প্রাইমারী স্কুলের গণ্ডিতেই আছি তখনো, চোখে মুখে রঙিন স্বপ্ন, স্কুল নামের যন্ত্রণা ছাড়া সবই পাগলের মত ভালো লাগে- কার্টুন, ফুটবল, গাছের সবুজ, পাখির উড়াল, পদ্মার চর, শহরের বিদঘুটে চিড়িয়াখানা আর নতুন নেশা- বই, মানে গল্পের বই! ঠাকুরমার ঝুলি, সোনার পাখি, ডালিম কুমারের ঘোড়া দিয়ে সেই যাত্রা শুরু হয়েছিল, এখনো পঙ্খিরাজ ঘোড়া হয়ে সে দেশ কাল সীমানা ছাড়িয়ে নিত্য নতুন রাজ্য দেখার নেশায় পাগলপারা। বাড়ীতে রাখা হত দৈনিক ইত্তেফাক, সেখানের ৩য় পাতায় উপরের বাম কোণাতে অল্প কয়েক ইঞ্চি জুড়ে ছাপা হত অসাধারণ এক কার্টুন- টারজান! পাশে লেখা থাকত এডগার রাইস বারোজ। তখন কি আর জানতাম ইনিই টারজানের স্রষ্টা।
কে যেন একদিন ক্লাসে কানে জীবনের শ্রেষ্ঠ ফুঁসমন্তরটি দিয়ে বসল- আরে ব্যাটা টারজানের কি সব দুই-তিনটা ছবির কমিক্স পড়ে গল্প ঝাড়িস, পড়তে হলে বই পড়, আসল বই ! আরেব্বাস, টারজানের বই! কোথায় পাব?
সেই ইঁচড়ে পাকা বন্ধুটিই নিয়ে গেল টিফিনের সময় স্কুলের কাছেও কাজলার মোড়ে এক দোকানে, অন্য আর সব দোকানের চেয়ে আলাদা, সেখান কয়েক তাকে জুড়ে শুধু রাখা বই আর বই, তাও নিউজপ্রিন্টে ছাপা, একটু ছোট আকারের। জানলাম তাদের আবার গালভরা একটা নাম আছে, পেপারব্যাক! সব বইয়ের পেছনের নাকি লাল-হলুদের একটা প্রজাপতি আছে, যার পায়ের কাছে কায়দা করে লেখা সব, নাকি সেবা! ঢাকার এক প্রকাশনা সংস্থা! তারাই টারজানের বইগুলো প্রকাশ করে। আর এই দোকানে সেগুলো দিনে ১ টাকার বিনিময়ে ভাড়া পাওয়া যাবে! ১ টাকায় দিন, মানে পরের দিনই ফেরৎ দিতে হবে! না দিলেও মুশকিল হবে না, কেবল ভাড়ার অঙ্ক বাড়তেই থাকবে।
নিয়ে এলাম, মন্ত্র মুগ্ধের মত পড়ে গেলাম সেই রহস্যময় দোকানে থাকা সব গুলোর টারজানের বই। তখন থেকেই মনে হয় পড়ার বই দিয়ে ঢেকে গল্পের বই পড়ার সুঅভ্যাসটি গড়ে উঠেছে। কিন্তু বইগুলো নিজের করতে খুব ইচ্ছে করত, মানে কিনে ফেলতে পারলে খুব ভাল হত ।
এই হিসেব করেই মায়ের সাথে একদিন সাহেব বাজারের বুকস প্যাভিলিয়ন নামের এই বইয়ের দোকানে হাজির হলাম বই কেনার আশায়, কিন্তু টারজান নেই তাদের, এগুলো নাকি বহু আগের বই, এখন আর ছাপা হয় না। তার বদলে লোকটা সেবার অন্য বেশ মোটাসোটা একটা বই ধরিয়ে দিয়ে বলল, এটিও খুব ভাল লাগবে, তোমাদের জন্যই লেখা!
এত মোটা বই! উপরে লেখা তিন গোয়েন্দা- ভলিউম ৩ , লেখক রকিব হাসান। বইটির প্রচ্ছদে ছোট ছোট অনেকগুলো ছবির সমন্বয়ে যেন অনেকগুলো গল্পের ইঙ্গিত আছে, মনে পড়ে স্বর্ণকেশী এক কিশোরীর হাসি ঝলমলে চোখ, নীল সাগর সৈকতের নারকেল গাছ, সোনার মোহর, একটা হলদে কুকুর, জংলী, কিছু চিত্রকর্ম- সব মিলিয়ে একটা টান তৈরি হয়ে গেল, কিন্তু এত মোটা বই! দোকানী আবার হেসে বলল- ছয়টা বই আছে, ছয়টা আলাদা আলাদা ঘটনা। তাই নাকি, মজা তো , একটা কিনলেই ছয়টা বই, উত্তেজনায় দম বন্ধ হয়ে আসে! টানা কয়েকটা নির্ঘুম রাতের আভাস।
আবার নেড়ে চেড়ে দেখি আলগোছে, প্রথম কাহিনীর নাম- হারানো তিমি, প্রথম লাইনে ছিল মনে- হুই যে , দেখা যাচ্ছে ফোয়ারা!
কিসের ফোয়ারা, তিমির! ব্যস, দারুণ মনে হল ব্যাপারটা অন্য প্রাণী জড়িত থাকায়, সেই শুরু হল আমার তিন গোয়েন্দার অতল হ্রদে অবগাহন- শেষ হল একে একে হারানো তিমি, মুক্তো শিকারি, মৃত্যু খনি, কাকাতুয়া রহস্য, ছুটি, ভুতের হাসি।
দারুণ সব কাহিনী, একটা আরেকটার চেয়ে আলাদা, রহস্য আর অ্যাডভেঞ্চারের মিশেল। কত অজানা তথ্যের ভাণ্ডার, উপস্থিত বুদ্ধির ঝলক! তখন আমার সেরা বন্ধু হয়ে গেল কিশোর পাশা, মুসা আমান, রবিন মিলফোর্ড, মাঝে মাঝে সেই তালিকায় জিনা পার্কার আর রাফিয়ানও ঢুঁকে পড়ে।
হন্নে হয়ে গেলাম তিন গোয়েন্দার বাকী সব বই জোগাড় করার জন্য, কিছু মিলে , কিছু মেলে না। মনের ভিতরে প্রচণ্ড কৌতূহল এই সিরিজের প্রথম বইটি নিয়ে, তারনামই তিন গোয়েন্দা! হ্যারি প্রাইস, মিস্টার ফিসফিস, পরিচালক ডেভিড ক্রিস্টোফার গেথে গেল মাথার কোষে কোষে । প্রচ্ছদটাও ছিল মনকাড়া, এক পাশে নিগ্রো ব্যায়ামবীর মুসা আমান, অন্য পাশে সোনালি চুল আধা আইরিশ রবিন মিলফোর্ড। তাদের পিছনেই কিশোর পাশার একজোড়া স্বপ্নময় চোখ। মুখমণ্ডল দেখা না গেলেও বাঙালি বলে কল্পনা করতে তো সমস্যা নেই।
পরের বই কঙ্কাল দ্বীপ, তিন গোয়েন্দার কিছু বন্ধু যে তাদের মতই মনোযোগ ও ভালবাসা প্রাপ্তির দাবী রাখে তার প্রমাণ পেলাম পাপালো হারকুসের সাথে পরিচিত হয়, গ্রীক কিশোর মৎস্যজীবী সে, সোনার মোহর খুঁজে বেড়ায় সাগরে ডুব দিয়ে! এথেন্সের বন্দরে যতজন ঝাঁকড়া চুলো স্থানীয় কিশোরের সঙ্গে দেখা হয়েছিল, সবার সাথেই মিলাবার চেষ্টা করেছিলাম পুরনো বন্ধু পাপালোর আদল। ঠিক তেমনি ভাবেই প্রথমবার জার্মানির বাভারিয়া ভ্রমণের সময় কান পেতে শুনছিলাম, সেখানকার স্থানীয়রা কি আসলেই বরিস আর রোভারের মত ওকে না বলে হোকে বলে কিনা!
এমন ভাবেই স্কুল জীবনের তিন গোয়েন্দা আজো ঘিরে থাকে দৈনন্দিন জীবনে অঙ্গাঅঙ্গি ভাবে। ক্যারিবীয় সাগরতলে ডুবুরীর অভিজ্ঞতা অর্জনের সময় সব কিছু ছাপিয়ে মনের পর্দায় কেবল ভাসতে থাকে অথৈ সাগরে মুসা আমানের অভিজ্ঞতার কথা, ব্রাজিলে বন্ধুর বাড়ীতে হ্যামক দেখে- এই চিরচেনা বস্তুটির কথাই তো জেনেছিলাম ভীষণ অরণ্যে, যেমন একই বই থেকে জেনেছিলাম হাওলার বানরের ভয়াবহ চিৎকারের কথা। মেক্সিকোর ইয়ূকাটানের গহীন বনে পথ হারিয়ে সেই উদ্বাহু ভয়াবহ চিৎকারে যখন আমার বন্ধু হুয়ান ভিদাল পালাবার জন্য এক পায়ে খাঁড়া, তিন গোয়েন্দা হাতড়ে আমি বললাম, ওরা অতি নিরীহ বানর, কেবল তাদের উৎপন্ন শব্দই ভয়াবহ!
দেশে ফিরলেই পরম মমতায় তিন গোয়েন্দা সিরিজের প্রথম ৮৮টি বই আবার ধুলো ঝেড়ে, নিম পাতা ছড়িয়ে সাজিয়ে রাখি, মাঝে মাঝে গভীর আবেগে আঙ্গুল বুলিয়ে যায় দক্ষিণের দ্বীপ, মমি, ঘড়ির গোলমাল, ছিনতাই- আরও কত বইতে, যেখানে আমার স্বপ্নালু কৈশোর আঁটকে আছে আজো।
তখনো পাখি দেখার নেশা পেয়ে বসে নি, কিন্তু ভূতের হাসি বইতে জানলাম কাকাবুরা নামের সেই পাখি আর তার বিটকেল হাসির কথা ( বইটার মন্দলোকটার নাম ছিল ডাংম্যান= গোবরমানব, আজো হাসি আসে) , পরে কাকাবুরা নামের ক্রিকেট ব্যাট দেখেছিলাম কিন্তু সেই বিশাল মাছরাঙা দেখতে অস্ট্রেলিয়া যেতে হবে বলে তা আঁটকে আছে।
আইসল্যান্ডের সদ্য পরিচিত বন্ধুদের যখন তাদের লম্বা পারিবারিক উপাধির পিছনের ইতিহাস বলি তারা অবাক হয়ে শুধোয়, জানলে কোথায় এতসব! তখন কৃতজ্ঞতা বোধ করি ধূসর মেরু নামের বইটির প্রতি। মেক্সিকোর চলুলা শহরে করটেজের কুৎসিত গির্জা দেখে মনে হয়েছিল ভাঙা ঘোড়ার করটেজের তলোয়ারের কথা।
আফ্রিকার বুনো প্রান্তরে বারংবার মনে পড়েছে পোচার, তেপান্তর আর সিংহের গর্জনের কথা, সোনালি ঘাসের বনে রক্তাক্ত মুখে হুমহাম শিকার খেতে থাকা সিংহযুগলকে দেখে মনে হয়েছে অবিকল প্রচ্ছদের সিংহটির মত। এই বইটি থেকে আমার বিশাল পাওয়া ছিল ডঃ লুই লিকি সম্পর্কে জানতে পারা।
তবে খেলার নেশার পর থেকে আর তিন গোয়েন্দা পড়া হয় নি, কেন জানি আকর্ষণ কমে যাচ্ছিল প্রতি পর্বেই, তাই পুরনো ভালাবাসা রক্ষার তাগিদেই আগেরগুলোই বারবার পড়া শুরু করি। নিজেকে মনে হত বইয়ের পোকা রবিন, আবার কোন কোন সময় জন্তু প্রেমী মুসা, মাঝে মাঝে কিশোর পাশা, সবকিছুর পরও বাংলাদেশের বলে তো একটা দাবী থেকেই যায়! চোখ-কান খোলা রাখতাম টুলবেঞ্চির দিনগুলোতে- যদি কোন রহস্যের সন্ধান পেয়ে যায়, পুরনো বইয়ের ফাঁকে গুপ্তধনের নকশা, অমীমাংসিত অপরাধ!
এই বোধ গুলো আরও জাগ্রত রাখে তিন গোয়েন্দার নানা অভিযান, ভুতুড়ে সুড়ঙ্গ আর দীঘির দানোর পর থেকে সারা বিশ্বের রহস্যময় জলদানবগুলো নিয়ে যত খবর পাওয়া, সবই সংগ্রহ করে ফেলি। মহাকাশের আগন্তক থেকে মনে হতে থাকে কোন দিন যদি আমাদের পাড়ার মাঠটাতে নামত এক ফ্লাইং সসার। ভয়াল গিরির রহস্যময় প্রাণীটার মত একটা প্রাণী আবিষ্কারের আশা বুকের খাঁচার ডানা ঝাপটে চলে অবিরাম। কিউবার প্লায়া হিরণ নামের এক সৈকতবর্তী শহরে পদার্পণ করেই জানতে পারলাম এক ভয়াবহ জলদস্যু হিরণে নামে এই শহরের নাম, মনে হয়েছিল সেই জলদস্যুর দ্বীপে এলাম, দেখা হবে লুই ডেকেইনির সাথে , নিদেন পক্ষে মরুর বুনো ঘোড়া ওমর শরীফের সাথে।
খোঁড়া গোয়েন্দায় নতুন স্বাদ নিয়ে এলেন ভিক্টর সাইমন সাথে তার ভিয়েতনামী বাবুর্চি। মনে পড়ে বোম্বেটে বইয়ের টকার নামে ডেঁপো ছোকরার কথা, বোম্বেটে শব্দটির সাথে পরিচয়ও সেই প্রথম, যেহেতু টিনটিন পড়েছি অনেক অনেক পরে। শুঁটকি টেরিয়ার ডয়েলের উপস্থিতিও কাম্য করতাম মনে প্রাণে কাহিনী জমানোর জন্য।
কিছু কিছু বইয়ের প্রচ্ছদও খুব মন কাড়ত, বার বার উলটে উলতে দেখতাম পড়ার ফাঁকে, বিশেষ করে যেগুলোতে তিন গোয়েন্দার ছবি থাকত, যেমন ছুটি। সেই সাথে কাহিনীর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছবি যেমন মহাবিপদ, ইন্দ্রজাল, মহাকাশের আগন্তক, রক্তচক্ষু- আরো কত নাম।
সেই সাথে রাশেদ চাচা, মেরী চাচী, শোফার হ্যানসন, দস্যু শপা, মিস্টার পার্কার, কুমালো, রক্তচক্ষুর সেই পুরোহিত – কত আপন করা চরিত্র। হঠাৎ একদিন বুকের রক্ত ছলকে উঠল সদ্য প্রকাশিত তিন গোয়েন্দার বইটির নাম দেখে- ঢাকায় তিন গোয়েন্দা! কি যে ভাল লাগল রকিব দা তাদের বঙ্গভূমিতে নিয়ে আসায়।
সেই সাথে তিন গোয়েন্দার সাথে সাথে আমারও উকি দেয়া হয়ে যেত অদ্ভুত সব জগতে, যেমন পশু শিকারিদের চোরাকারবারে ( পোচার), বাস্কেটবলের মাঠে ( খেলার নেশা), পুরনো কমিক্সের রাজ্যে ( অবাক কাণ্ড), গলফের পরিত্যক্ত বলের ব্যবসায় ( বানরের মুখোশ), পুরনো মূর্তির সংগ্রহে ( মূর্তির হুংকার), প্রজাপতির খামারে প্রজাপতির রঙ ঝিলমিল জগতে। যা কিছুই জানতাম, সবছিল নতুন, আনকোরা।
আফসোস বাড়ে যখন মনে হয় ৭ম শ্রেণীতে বন্ধুকে ধার দেওয়া নকল কিশোর আজো ফেরত আসে নি ( এখানে কিশোরের মত দেখতে আরেকজন ছিল) , কিন্তু ভাল লাগে অনেক ঝামেলার পর উদ্ধার করতে পারা ওয়ার্নিং বেলের কথা মনে হওয়ায় ( এইখানে এক ছেলে ছিল যার কণ্ঠ হুবহু কিশোরের মত )
এখনো শেখার চেষ্টা করি প্রিয় বইগুলো থেকে, এখনো মনে হয় জীবনের সেরা প্রাপ্তি হবে যদি কোন দিন দক্ষিণের পলিনেশিয়ার প্রবাল দ্বীপে যেতে পারি, নীল ল্যাগুনে পা ডুবিয়ে দেখি সেই অপরূপ সূর্যাস্ত। এমন স্বপ্ন দেখানোর জন্য, জীবনে চলার উৎসাহ দেবার জন্য তিন গোয়েন্দার প্রতি আমার ঋণ প্রতিনিয়তই বাড়তেই থাকে, বাড়তেই থাকে, যা কোনদিনই শেষ হবার নয়।
( হাতের কাছে কোন তিন গোয়েন্দা নেই, শেষটিও পড়েছি বছর কয়েক আগেই, তাই কেবল স্মৃতি থেকে লিখে গেলাম, কিছু ভুলচুক হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি তিন গোয়েন্দা ভক্তদের।
বাংলাদেশ গড়ার পিছনে যে গুটিকয়েক মানুষের অবদান অনস্বীকার্য মনে হয় আমার কাছে তার মধ্যে অন্যতম কাজি আনোয়ার হোসেন, এই লেখাটি আপনার জন্য কাজিদা। শতায়ু হন আপনি, আমাদের সুযোগ দিন নিত্যনতুন ভাবে আপনার লেখনীর কাছে ঋণগ্রস্ত হবার সুযোগ)
মন্তব্য
facebook
এই মন্তব্যটা লেখা যাবে না। শেষ হবে না বলে। পুরাতন স্মৃতি নিয়ে এমনে টান দিলেন! আপনার জন্য মুসা আমানের "উরুক্কু মানব বর্শা"
আপনার জন্যও মুসা আমানের "উরুক্কু মানব বর্শা" !!!
facebook
'মমি' পড়েই তিন গোয়েন্দার প্রেমে পড়ে যাই। তারপর একে একে পড়ি, ইন্দ্রজাল, ঘড়ির গোলমাল, বাক্সটা প্রয়োজন সহ হাতের কাছে যখন যা পাই। মনে আছে, কিশোর, মুসা আর রবিনের সাথে কি গভীর বন্ধুত্ব হয়ে গিয়েছিল। যখন একটি বই হাতে পেতাম, সেই দিনটা আমার কি যে অসাধারণ কাটত!
রকিব হাসান বিদেশী গল্পের ছায়া অনুসারে যা লিখেছেন, তা আমাদের দেশের কিশোরদের কল্পনার জগতকে সমৃদ্ধ করতে অকল্পনীয় অবদান রেখেছে। একজন রকিব হাসানের হাত ধরে কত শিশু-কিশোরের মনে কত দূর জগতের স্বপ্নের বীজ রোপিত হয়েছে, তা বলে শেষ করা যাবে না। রকিব হাসানকে এই লেখার সূত্র ধরে আমার সীমাহীন কৃতজ্ঞতা! আর তারেক ভাইকে কত ধন্যবাদ দেব! উনার লেখার জন্য এখন থেকে ইনফিনিট ধন্যবাদের ব্যবস্থা করলে ভাল হয়!
মমি দারুণ লেগেছিল!
আসলেই, দারুণ এক আলাদা ধরনের জগত তৈরি করেছিল এই বইগুলো,
আমাকে অণু ব্ললেই খুশী হব, শুভেচ্ছা
facebook
আমারও প্রথম তিনগোয়েন্দা'র বই মমি।
দারুণ বই। অ্যানুবিসের মূর্তি দেখলেই মমির কথা মনে পড়ে।
facebook
খুব ভাল লাগল লেখাটা ।
কিছুক্ষনের জন্যে পুরো অন্য একটা দুনিয়ায় চলে গিয়েছিলাম ।
না, সব চরিত্রগুলো মেলাতে পারিনি, হয়তো আমি পশ্চিমবঙ্গে থাকি বলে ।
আমার ছোটবেলার আলাদা আরও কিছু চরিত্র ছিল ।
যেমন অরণ্যদেব মানে ফ্যাণ্টম, শঙ্কু, ফেলুদা ।
তবে যে অনুভব আপনি তুলে ধরেছেন, তা আমাকে ছুঁয়ে গেল ।
আর বইয়ের নীচে গল্পের বই রেখে পড়ার সুঅভ্যাসটি আমারও ছিল ।
নাহ, এইবারে আমি একটা লেখা লিখব সেই সংক্রান্ত ঘটনা নিয়ে ।
তাই এখানে আর নাই বা বললাম ।
জমিয়ে রাখি ।
লেখেন তাড়াতাড়ি।
facebook
থ্রি চিয়ার্স ফর তিন গোয়েন্দা, হিপ হিপ হুরররে
পরীক্ষা আসলেই তিন গোয়েন্দা পড়া বেড়ে যেত আমার
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
একই পথের পথিক আমরা।
facebook
অসাধারন লিখেছেন। সেই ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। তিন গোয়েন্দার কথা কোনদিন ভুলতে পারবো না।
সম্ভব না ভুলে যাওয়া
facebook
রকিব হাসানের লেখা তিন গোয়েন্দা আমি সবগুলো পরেছি,আছেও সবগুলো আমার কাছে। আপ্নার মত আমিও এখনও সেই পুরান বইগুলো বের করে মাঝে মাঝে নষ্টালজিক হই। বড় হয়ে যত বইই পড়ি না কেন তিন গোয়েন্দার মত ফ্যান্টাসিতে ভুগিনি আর কোনটা নিয়েই । আমিতো ছোটবেলায় গোয়েন্দাই হব ভেবে রেখেছিলাম । তারপর দেখলাম এক্স ফাইলস। ডানা এস্কালি না হতে পারলে আমার জীবনই বৃথা এরকম মনে হত । ।
আসলেই! তবে আমি বড় হতে চাচ্ছি না
ডানাকে দারুণ লাগে, সবসময়ই !
facebook
দেশে গেলে আপনের ৮৮টা তিন গোয়েন্দা বই আমারে পড়তে দিবেন? আপনের বারিন্দায় বসে পড়ে আবার ফিরত দিয়া দিব (আপনের বাসা থেকে চা নাস্তা দিলে আপত্তি নাই)
..................................................................
#Banshibir.
facebook
এত্ত পপ্পন খাইতে হয় না !
facebook
। কিছুক্ষণের জন্য ডুব মারলাম একটা অন্য জগতে।
ডাকঘর | ছবিঘর
বেশীক্ষণের জন্য নয় কেন ! তাপসদার কি তিন গোয়েন্দা পড়া আছে, ত্রিপুরাতে কি সেবার বই পাওয়া যায়?
facebook
না। তোমাদের কাছ থেকেই শুনি। বই পড়ুয়াতেও আলোচনা দেখি।
ডাকঘর | ছবিঘর
নেটে আছে !
facebook
জলদি লিঙ্কাও। আমার ফেবুর দেয়ালে দিলেও চলবে।
ডাকঘর | ছবিঘর
বইপড়ুয়াতে আছে !
facebook
ডাকঘর | ছবিঘর
চমৎকার বিষয়ের অবতারণা করেছেন। আমাদের কৈশোরে তিন গোয়েন্দা হওয়া ছিল স্বপ্ন। মনে প্রাণে বিশ্বাস করতাম - রকি বীচে ওরা আছে।
বিড়াল উধাও, জিনার সেই দ্বীপ, খেলার নেশা, মারাত্মক ভুল, নকশা, শয়তানের থাবা, ঢাকায় তিন গোয়েন্দা; কোনটা ফেলে কোনটা বলি?
বয়সের সাথে সাথে পাঠক হিসেবে পছন্দ পাল্টেছে, তবে তিন গোয়েন্দা নিয়ে স্মৃতিকাতরতা বেড়েছে।
এ প্রসঙ্গে, আমার কাজিন- ছোটো ভাই মফস্বলের এক স্কুলের ক্লাস সেভেন শেষে এইটে উঠলো এবার।
ক্লাস সেভেনে থাকা সময়েই সে তিন গোয়েন্দার ৫১টি ভলিউম (মোট ১৫৩টি গল্প) পড়েছে।
গত ডিসেম্বরে তার সঙ্গে তিন গোয়েন্দা নিয়ে আলাপ হচ্ছিল।
তার কিছু পর্যবেক্ষণ সচলে, এই পোস্টের সূত্রে, শেয়ার করার সুযোগ পেলাম।
"- রকিব হাসানের লেখা তিন গোয়েন্দাগুলো ভালো ছিল। রহস্যের চমক ছিল বেশি। শামসুদ্দীন নওয়াবের লেখা ভালো লাগে না।
- শামসুদ্দিন নওয়াবের লেখাগুলো আকারে ছোট। অনেকটা ফাঁকিবাজি। ২২-২৩ পৃষ্ঠার মধ্যে কাহিনী শেষ।
- শামসুদ্দিন নওয়াবের লেখায় অনেক সময় তিন গোয়েন্দার ২ জন থাকে। মুসা বা রবিন ছাড়াই গল্প শেষ হয়ে যায়।
- তিন গোয়েন্দারা গোয়েন্দাগিরি করবে, এটাই প্রত্যাশা, কিন্তু এখন দেখা যায় তারা কোথাও ঘুরতে গেল, ওখানে কী কী দেখলো; এটাই মূল গল্প।
মূলতঃ রকিব হাসানের লেখার ধারে কাছেও শামসুদ্দিন নওয়াবের লেখার মান নেই। রকিব হাসান সেরা।"
এইবার তিন গোয়েন্দা ভলিউম-১২৪ কিনে দেখলাম, বাংলাদেশেরই বিভিন্ন জনের লেখা ছোটোগল্পকে বড় করে তিন গোয়েন্দা প্রকাশ হচ্ছে।
প্রশ্ন হলো - সেবা প্রকাশনী তাদের নতুন প্রজন্মের পছন্দ অপছন্দের কথা শুনছে তো?
সত্য। আসলে শামসুদ্দীন নওয়াব বলে তো কেউ নেই, এই নামের আড়ালে একাধিক লেখক লিখে থাকেন।
রকিব হাসান না লেখাতে একটা বিশাল শূন্যতা তৈরি হয়েছে, আবার রকিবদার লেখার আবেদনও প্রতিবারেই কেম যাচ্ছিল, কারণ হিসেবে অবশ্য উনি বলতেন- রূপান্তরযোগ্য কাহিনীর অভাব।
তবে মূল কারণ সম্ভবত- কাজিদা শারীরিক কারণে আগের মত সময় দিতে পারছেন না।
facebook
আমার ধারণা ছিল শামসুদ্দীন নওয়াব আসলে কাজিদা নিজেই। অন্তত শুরুর দিকে। উনার ডাকনামও তো আসলে 'নবাব', তাই না ?
****************************************
কাজিদার পুরো নাম কাই শামসুদ্দীন আনোয়ার হোসেন, ডাক নাম নবাব।
তার নামের ছায়া থেকেই শামসুদ্দীন নওয়াব নেয়া হয়েছে, কিন্তু প্রথম থেকেই লিখেছে একাধিক জন।
facebook
এটা কি টাইপো? 'কাজি' হবে না?!
****************************************
অবশ্যই কাজি! বিশাল টাইপো !
facebook
সত্য। আসলে শামসুদ্দীন নওয়াব বলে তো কেউ নেই, এই নামের আড়ালে একাধিক লেখক লিখে থাকেন।
রকিব হাসান না লেখাতে একটা বিশাল শূন্যতা তৈরি হয়েছে, আবার রকিবদার লেখার আবেদনও প্রতিবারেই কেম যাচ্ছিল, কারণ হিসেবে অবশ্য উনি বলতেন- রূপান্তরযোগ্য কাহিনীর অভাব।
তবে মূল কারণ সম্ভবত- কাজিদা শারীরিক কারণে আগের মত সময় দিতে পারছেন না।
facebook
উম, রকিব হাসানের মতো বর্ণনার স্বাদ নওয়াব সাহেবে পাওয়া যায় না- সত্য। কিন্তু তিন গোয়েন্দার সাম্প্রতিক অবনমনের কারণ সম্ভবত এটা নয়। মূল কারণ হলো কাহিনীর অভাব। যে বিদেশী সিরিজ থেকে অনুবাদ করে হয়, সেই সিরিজের লেখক কাহিনীশূণ্যতায় ভুগেছেন বলে লেখা বন্ধ করে দিয়েছেন- এই রকম একটা প্রতিবেদন কোথাও দেখেছিলাম। রকিব হাসানের শেষের দিকের কাহিনীগুলোও কিন্তু জমাট হচ্ছিলো না
আর ঘণুদা, অদ্ভূত একটা বিষয় নিয়ে লিখেছেন। আহ- তিন গোয়েন্দা। এখনো নতুন কোন বই পেলেই পড়ি, আর হতাশ হই। ধুর।
হুম, ঐ যে বললাম, পরের দিকের গুলো পড়া হয় নি।
কাহিনী শূন্যতা প্রধান কারণ, মাসুদ্রানাতেও তাই, আর অনুবাদেও!
facebook
তিন গোয়েন্দার প্রথম দিকের প্রায় প্রতিটা বই অনুবাদ করা হয়েছে The three investigators নামের সিরিজ থেকে। এই সিরিজ এ ৩০ টার মত বই। লিখেছিলেন রবার্ট আরথার। এই বইগুলোতে তিন গোয়েন্দা রিপোর্ট করতো বিখ্যাত প্রডিউসার আলফ্রেড হিচকক এর কাছে। সিরিজটার প্রতিটা বইই দারুন।
যেই বইগুলোতে জিনা আর রাফিয়ান আছে সেগুলো অনুবাদ করা হয়েছে এনিড ব্লাইটন এর লেখা Famous Five সিরিজ থেকে। ২০ টার মত বই। এনিড ব্লাইটন এরই অন্য কিছু সিরিজ (Mystery series, Adventure series) থেকে অনুবাদ করা হয়ে অল্প কিছু বই। একই লেখকের Secret Seven সিরিজ অনুদিত হয়েছে গোয়েন্দা রাজু নামে।
এই দুটো সিরিজ শেষ হওয়ার পর রকিব হাসান অনুবাদ শুরু করেন The hardy boys আর Nancy Drew। The hardy boys এর কাহিনিগুলো প্রথমে অনুবাদ হয়েছে রোমহর্ষক নামে। পরে সেটা বন্ধ করে তিন গোয়েন্দা হিসেবেই রুপান্তর করা হয় (এগুলোতে হয় রবিন নয়ত মুসার ভুমিকা কম )। ভিক্টর সাইমন এর চরিত্রটি নেয়া এই সিরিজ এর হেক্টর সেবাসটিয়ান থেকে। Nancy Drew তিন মেয়ে গোয়েন্দার কাহিনি।
মজার ব্যাপার হলো কয়েকটা বই অনুবাদ করা হয়েছে সম্পুর্ন ভিন্ন্ ধাচের বই থেকে।যেমন অথৈ সাগর বইটা হলো Biggles in the south seas এর অনুবাদ।
এই সবই নিলখেতের কল্যানে আমার পড়া হয়েছে। তবে সেটা কলেজে ওঠার পরে। আমার কৈশোর কিশোরের সাথেই কেটেছে। এখন কাজের চাপে বই পড়া হয়ে ওঠে না। মাঝে মাঝে সচলেই এসে কিছু পড়ি। আজকে এই লেখাটা পড়ার পর সেইসব সময়ের কথা ভেবে মন খারাপ হয়ে গেলো।
খুব ভাল লাগল
facebook
শৈশব ও কৈশরের দিনগুলোতে তিন গোয়েন্দার সাথে অনেক সময় কেটেছে আমার। লেখাটা পড়ে খুব মনে পড়ছে সেই সময়গুলো।
আমারও
facebook
তিন গোয়েন্দা আমারও .. ’কাকাতুয়া রহস্য’ বলে একটা বই পড়েছিলাম - টু টু টু বি..
তিন গোয়েন্দা না থাকলে আমার শৈশব অপূর্ণাঙ্গ থেকে যেত বলেই মনে করি ..
আহ, ঐটা লিখব লিখব করেও ভুলে গেছি
টু টু টু বি অর নট টু টু টু বি !
facebook
"ফ্রম দ্য বটম অফ মাই হার্ট আই স্যালিউট ইউ"। ...ইয়ো হো হো... অ্যান্ড আ বটল অফ রাম" এইসব কাকাতুয়া রহস্যে না?
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
মনে পড়ছে না, কিন্তু জলদস্যুর দ্বীপে হতেই পারে! ট্রেজার আইল্যান্ডের সংলাপ কিনা।
facebook
ঐ যেমনটা আপনি বলেছেন
অফটপিক-তিন গোয়েন্দার একনিষ্ঠ ভক্ত হলেও আমার কোন দিনও মাসুদ রানা পড়া হয়ে ওঠেনি।
পড়ে ফেলেন, রানাও চমৎকার।
facebook
তিন গোয়েন্দা!! আহা! কতো স্বপ্ন ছিল কিশোর পাশা হবো!!
_________________
[খোমাখাতা]
স্বপ্ন থাকলেই হবে, একদিন সেটাই বাস্তব।
facebook
আমি তো প্রতিটি কাহিনীতে নিজে কে চারতম গোয়েন্দা ভাবতাম। প্রথম ৫০/৬০ টা বই যে কতবার পড়েছি। তিনবন্ধু আর পিশাচ কাহিনী যোগ হবার পর থেকে বাদ দিয়েছি পড়া।
সেবার কিশোর ক্লাসিকগুলোও কিন্তু অসাধারণ ছিল। প্রথম ৪০টার নাম এখনও সিরিয়ালই বলতে পারব।
এরকম ব্লগ পড়লে বড় হবার জন্য আফসোস হয়।
হা হা, ঠিক বলেছেন, আমারও তারপর থেকে পড়া হয় নি।
ক্ল্যাসিক, আহা। কি দুর্দান্ত! সেবা ছাড়া জীবনই পানসে।
facebook
কয়েক মূহুর্তের জন্য আমাকে কৈশোরে নিয়ে গিয়েছিলেন। ভালো লাগলো তারেক অণু ভাই।
facebook
তিন গোয়েন্দা!
আহা!
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
শুঁটকী টেরির ছিল ১১ গোয়েন্দা
facebook
'কিশোর পাশা' নামটা বড়ই পরিচিত ঠেকছে! মাসুদ রানা, ওয়েষ্টার্ন এসব বইতো অনেক পড়া হয়েছে। মনে হচ্ছে যেন তিন গোয়েন্দা সিরিজেরও দু-একটা বই পড়া হয়েছে।
না পড়লে মিস কিন্তু !
facebook
পড়ার বইয়ের ফাকে চুরি করে তিন গোয়েন্দা পড়ার কথা মনে পরে গেল । ভালো লিখেছেন।।
ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী, একা একা করি খেলা ...
, ক্লাসে ধরা খাইছি একধিকবার!
facebook
খাইছে! আবারো পুরানো সেই দিনগুলার কথা মনে করিয়ে দিলেন যে!
আহা! কত স্মৃতি!
সেই অ্যাডভেঞ্চার গুলোতে যদি নিজে থাকতে পারতাম! অন্তত রকি বীচে যদি যাওয়ার সুযোগ হত!
দিব না? জীবনের তো শেষ পর্যন্ত স্মৃতিই তো সম্বল।
facebook
আমি বিশা------ল একটা মন্তব্য করলাম, সেটা গেল কই!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
গেল কই, জবাব চাই!
facebook
মাসুদ রানা পড়ার অনুমতি মিলতো না সহজে। আর তিন গোয়েন্দাও কিনতে হয়েছে কম-ই। পাড়াতো বড় ভাইয়ারা ইশকুলের বন্ধুদের থেকে ধার নিয়ে বাড়ি ফেরার সময়ই ব্যাগ থেকে ঝপ করে কেড়ে নিতাম।
শৈশব -কৈশোরের অনেকটুকু পথ জুড়ে এখনো পায়চারি করে কিশোর -রবিন -মুসা আর বরিস -রোভার, লস এঞ্জেলেসের সেই সৈকত ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকা জিনার সেই দ্বীপ। ছিল হ্যানসন, অথৈ সাগরে পথ হারিয়ে বসা শুঁটকি টেরি আর ফগর্য্যাম্পারকট। মুক্তোশিকারের গোপন ফর্মূলা খুঁজতে খুঁজতে পাড়ি দেওয়া হুইইইই কঙ্কাল দ্বীপে আছে রূপালি মাকড়শা। তিন পিশাচকে নিয়ে নকল কিশোর হয়তো ছুটছে এখনো ঈশ্বরের অশ্রু আর রেসের ঘোড়ার লোভে। ঘড়িতে গোলমাল, তবু উপায় যে নেই। ভীষণ অরণ্যে ঝামেলা এড়াতে স্পেনের জাদুকরের বাক্সটা ভীষণ-ই প্রয়োজন!
ছিলো প্রজাপতির খামারে ছোটাছুটি, ছিলো না খুন হওয়ার ভয়। আছেন রাশেদ চাচা, হারিয়ে গেছেন ওমর ভাই।
রয়ে গেছে আলোর সংকেত, প্রাচীন মূর্তি, কানা বেড়াল, ছায়াশ্বাপদ আর বিষের ভয়।
হায়, 'ধূলোলাগা চেনা বইসব, হাতড়ায় কে না শৈশব...
ভাল লাগা চেনা বইসব, ভালোবাসে কে না শৈশব!' ♪♫
[আরো কী কী যেনো লিখেছিলাম তখন, ভুলে গেছি! ]
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
দারুণ,
ইস, আমি এইভাবে কাড়াকাড়ি করে পাই নি !
বাকিটুকু মনে পড়লে ঝপ করে লিখে ফেলেন, আমি এক বসায় লিখার জন্য অনেক তথ্য বাদ পড়ে গেছে।
facebook
দারুন।
facebook
চমৎকার লিখেছেন। শেয়ার করতে পারেন আমাদের সাথে। http://www.facebook.com/shebaprokashoni.fanpage । অনেক তিন গোয়েন্দা প্রেমী বন্ধু পাবেন।
করলাম, ধন্যবাদ
facebook
আহ তিন গোয়েন্দা '!!!' সত্যি কথা বলতে কি জীবনের সেরা দিন গুলো ছিল এই বইগুলো পড়ার সময়কার দিনগুলো 'কৈশোর' । বাসার সানশেডের উপরে, কখনোবা ডাইনিং টেবিল এর নিচে বালিশ পেতে পড়তাম,পাশা সাল্ভেয ইয়ার্ডের জঞ্জালের মাঝে ছোট্ট হেড কোয়ার্টারের অনুভুতি আনার জন্য। আরও দুজন বন্ধুকে নিয়ে গোয়েন্দা দল খোলার কথাও মনে পরে গেল।আরও কত কি !
অণুদাকে ধন্যবাদ এই সব মিষ্টি স্মৃতি গুলো মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য।
আহা, লাল কুকুর চার! সবুজ ফটক দুই ! কত কিছু!
facebook
ইডা মারতে গিয়াও মারলাম না, তিন গোয়েন্দা ভাল পাই বলে। শৈশব জুড়ে আছে কিশোর পাশা, কুয়াশা, অ্যালান কোয়াটারমেইন, এরফান জেসাপ, সাবাডিয়া, রবিনহুড, ক্যাপ্টেন নিমো এরা সবাই। সেবা আর কাজীদার কাছে আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব।
খাড়ান একটু, ওদের নিয়েও লিখতাছি, তারপর চরম উদাসরে নিয়েও !
facebook
আহারে সেই দিনগুলো...... আমি তো বুকস্টলে দাঁিড়য়েই অর্ধেক শেষ করতাম
দারুণ বুদ্ধি! আসলেই, শেষ না করা পর্যন্ত শান্তি ছিল না!
facebook
নস্টালজিক হয়ে গেলাম, পেপারব্যাক বই, দাম মাত্র ১৭ টাকা ছিল যখন পড়া শুরু করি।
হ, রিক্সা ভাড়া জমিয়ে জমিয়ে কিনতাম, বাড়ী ফিরতাম হেঁটে।
facebook
খুব ভাল লেগেছে পুরনো স্মৃতি তোলপাড় করা তোমার এই লেখাটা।
আমরা বান্ধবীরা পালা করে তিন গোয়েন্দা কিনতাম আর পালা করে লেপের মধ্যে টর্চ লাইট জ্বালিয়ে পড়তাম
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
এই অভিজ্ঞতা অনেকেরই আছে দেখছি
facebook
আমাদের সময় তিন গোয়েন্দা ছিলোনা। বড় হয়েছি কুয়াশা, দস্যু বনহুর আর মাসুদ রানা পড়ে। এখানে এসে আমার ছেলের বই পড়ার অভ্যাস গড়ে উঠেছে, বাংলা বই যেহেতু নেই তাই বিদেশী ভাষার বই, তিন গোয়েন্দা যদি নেটে থাকে তাহলে আমিও লিঙ্ক চাই, আমার ছেলের জন্য (আমিও অবশ্য পড়বো)।
...........................
Every Picture Tells a Story
মুস্তাফিজ ভাইয়া বার্তা চেক করেন। ওখানে কিছু দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
ডাকঘর | ছবিঘর
ধন্যবাদ
...........................
Every Picture Tells a Story
আপনার ছেলের কেমন লাগল জানিয়েন।
facebook
আহ! তিন গোয়েন্দা। আপনার মত আমারও শুরু ভলিউম তিন দিয়ে। আমার বোন তার বান্ধবীর কাছ থেকে নিয়ে এসেছিল, আমি দখল করেছিলাম। নিজের পড়া বাদ দিয়ে গোগ্রাসে গেলা শুরু করায় মা খেপে দুজনকেই বকাবকি শুরু করলো। পরের দিন তাই বোন বললো সে ফেরত দিয়ে দিয়েছে, তখন আমি মাত্র কাকাতুয়া রহস্যের অর্ধেকে। আম্মুর ভয়ে বেশী কান্নাকাঁটিও করতে পারছি না। পরে হঠাৎ রাতে খেয়াল করলাম আমার বোন ঘরের কোণায় বসে গভীর মনোযোগে পড়ার বই পড়ছে, যেটা ওর জন্য অস্বাভাবিক। পা টিপে টিপে গিয়ে আবিষ্কার করলাম বইয়ের মাঝে লুকানো সম্পদ।
সেই থেকে শুরু, যখন যা হাতে পেয়েছি গিলেছি, বোনদের কাছ থেকে আর পাশের বাসার ভাইয়ার কাছ থেকে। তিন গোয়েন্দা দিয়ে আমার গোয়েন্দাকাহিনীর শুরু। এর কিছুদিন পরে ঐ পাশের বাসার ভাইয়া সন্ধান দিল আরো আশ্চর্য জগতের, প্রথমে ফেলুদা, পরে শার্লক। এখনো স্পেলবাউন্ড হয়েই আছি।
কয়দিন হলো মাথার মাঝে পুরানো তিন গোয়েন্দাগুলো খুব কামড়াচ্ছে। ওয়ার্নিং বেল, নকল কিশোর, ইশ্বরের অশ্রু, রক্তচক্ষ।। কিন্তু নেটে এইগুলো খুঁজে পাচ্ছি না। আপনার লেখাটা পড়ে আফসোস আরো বাড়ল। সেদিন না পেয়ে থ্রি ইনভেস্টিগেটরস নামিয়েছিলাম, কিন্তু চিরচেনা শৈশবের স্বাদ কি তাতে পাওয়া যায়?
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
কাকাতুয়া রহস্য আমার মতে তিন গোয়েন্দার সেরা রহস্যভেদী বই। নেটে কিন্তু কিছু কিছু পাওয়া যায়।
খুব ভাল লাগল আপনার স্মৃতিচারণ।
facebook
২২২বি অর নট ২২২বি, আসলেই অসাধারণ
ঠিক, ঘড়ির গোলমালের ধাঁধাঁগুলোও দারুণ ছিল।
facebook
আরে তারেক অণু, তুমি তো বাচ্চা ছেলে হে।
তিগোর ভলিউম যখন বের হয়েছে তখনও স্কুলেই পড়েন মিয়া?
মাইন্ড খায়েন না। মজা করলাম। আমাদের বগুড়ার ছিলেন রোমেনা আফাজ। রাশিয়ান প্রগতি প্রকাশনার বইগুলোর অনেকটাই পড়া শিখার আগেই মুখস্ত হয়ে গিয়েছিল বোনেরা পড়ে শোনাত বলে। এরপরে দেশি রূপকথা, ছড়া, কবিতা, ধান শালিকের দেশে আরো কত কী। বনহুর, ফ্লাইং হুড এবং পাঞ্জা (সর্ব দস্যু)র পাশাপাশি কুয়াশার এক্কেরে প্রথমটা থেকে শেষটা (বোধহয় ৭৫ বা ৭৭টা) পর্যন্ত ছিল বাসাতেই। মাসুদ রানারও বিশাল কালেকশান পেয়েছিলাম বাসাতেই অনেক গুরু গম্ভীর বইয়ের সাথেই। যদিও ক্লাস ৪ / ৫ এ থাকতে বুঝতাম না তেমন একটা মাসুদ রানা। বড়দের জন্য ট্যাগ দাওয়া দেখেই পড়ার শুরু ছিল। এরপর আসলো তিনগোয়েন্দা। ক্লাসিক, অনুবাদ, রোমাঞ্চ, সেরো -র পাশা পাশি যায়গা করে নিয়েছিলেন ভারতের শীর্ষেন্দু, সুনিল, আশাপূর্ণা দেবী, লীলা মজুমদার, সত্যজিৎ রায় সহ আরো অনেকেই। ফ্যান্টম, নন্টে-ফন্টে বা হাঁদা-ভোদার কমিকস নিয়ে কম মারপিট করিনি স্কুলে। সেভেনে থাকতে শেষ করেছিলাম আরব্য রজনীর গল্প। স্কুলে গল্পের বই নিয়ে যাওয়ার কমপ্লেইন্টা যখন বাসায় নিয়মিত আসতে থাকল; তখন বাদ দিলাম। না বই না; স্কুল। টানা দুইটা বছর স্কুলের জন্য বের হয়ে গিয়ে ঢুকেছি শিশু একাডেমীতে। বের হয়েছি স্কুল ছুটির পর। অবশ্য তার ফলটাও পেতাম স্কুলের রেজাল্ট শিটেই। কিন্তু ততোদিনে অভিভাবকের স্বাক্ষর কী করে নকল করতে হয় তাও রপ্ত করে ফেলেছি। তাই ধরা খেয়েছি অনেক পরে।
আপনার পরের পোস্টের অপেক্ষায়।
(গুড়)
আমি তো কাচ্চাই! বনহুর, মুনলাইট অল্প কিছু পড়া হয়েছে, কুয়াশা ৭৬টার সবগুলোই পড়া কিন্তু সংগ্রহে ছিল ৬০ টা!
পরের পোষ্ট অন্য কিছু নিয়ে।
facebook
আরে, আপনি দেখি এক্কেবারে আমার দলের লোক! আসেন করি।
আপনি যা যা বললেন আমারও প্রায় ওভাবেই শুরু রাশিয়ান বই দিয়ে। এসএসসি নাগাদ স্কুল লাইব্রেরি থেকে নিয়ে নিয়ে বঙ্কিম, শরৎ আর তারাশঙ্কর পর্যন্ত পড়ে ফেলেছি অবশ্য। বনহুর, বাহরাম, নাগিনী, মোহন, পাঞ্জা, ভয়াল, কুয়াশা, কিরীটি, ফেলুদা, শঙ্কু, ঘনাদা, মাসুদ্রানা - এসব তো ছিলই।
তবে হ্যাঁ, 'আপনাদের বগুড়ার' রোমেনা আফাজের তুলনা নাই! আধুনিক রহস্য-রোমাঞ্চ লাইনে এমন ২-বউওলা নায়ক বোধহয় একেবারে ইউনিক। নায়কবাবাজি পাগড়ি মাথায় টগবগ্ করিয়া ঘোড়া ছুটাইতে ছুটাইতে 'কান্দাই'-দেশ তোলপাড় করিয়া ফেলেন - একরাতে একবউর ঘরে তো আরেক রাতে অন্য বউর ঘরে থাকেন। ঘোড়া হইতে ফাল পাড়িয়া জানালা দিয়া বউ-এর ঘরে প্রবেশ করেন আবার সকাল হওয়ার আগেই একই ভাবে জানালা হইতে আরেক ফালে ঘোড়ার পিঠে টগবগিয়া প্রস্থান। অপূর্ব!
মাইন্ড খায়েন না। মজা করলাম।
আর অণু ভাই, স্যরি, 'তিন গোয়েন্দা' আমি পড়তাম কিন্তু অতটা উত্তেজনা ছিল না। মাসুদ্রানা পড়তে পড়তে ততদিনে অনেক বেশি পাকনা হয়ে গেছি - 'সিরাজি'-র বায্ কি কোকে জমে? তবে আরও অল্প বয়সে 'কুয়াশা'-ই ছিল আমার ফেভারিট। এটা নিয়ে কিছু লিখেন না ?
****************************************
লিখার ইচ্ছে আছে, কিন্তু মনে হচ্ছে আপনার বেশী ভাল পড়া, লিখে ফেলেন একটা ! গরম গরম !
facebook
তিন গোয়েন্দা পড়া শুরু করেছিলাম বুদ্ধির ঝিলিক দিয়ে। তারপর এক এক করে বড় ভাই বোনের সংগ্রহে থাকা সবগুলো পড়া। বই কেনার জন্য আমি আর আমার বড় ভাই স্কুলে যাওয়া আসার জন্য পাওয়া যাত্রা খরচ বাঁচিয়ে বই কিনতাম। আসাদ গেটের বাস স্ট্যান্ডের পত্রিকা/বইয়ের দোকানদার আমাদের খুব ভালো করে চিনতেন। বড় ভাই পাশ করে যাবার পর আমি কিনে গেছি সব বই যতদিন না আমারও যাবার পালা হয়েছে। তিন গোয়েন্দা ভৌতিক ঘটনার দিকে মোড় নেওয়ার পর আর পড়ার আগ্রহ ছিলোনা। আর ততোদিনে বড় হয়ে গেছি বলে আর লুকিয়ে মাসুদ রানা পড়তে হতো না সুতরাং ওইদিকেই মনোযোগ চলে গিয়েছিলো । যতদিন স্মৃতি আছে ততোদিন তিন গোয়েন্দা তাতে একটা বড় জায়গা জুড়ে থাকবে।
দেশ ছেড়ে চলে আসার পর একটা পুরনো বইয়ের দোকানে Mystery of the Screaming Clock পেয়ে অনেক আগ্রহে কিনে ফেলেছিলাম। পড়ার পর বুঝতে পেরেছিলাম যে কিশোর পাশা, রাশেদ চাচা আর মেরী চাচি সংশ্লিষ্ট ঘটনা বাদে বাকী সবকিছুই হুবুহু অনুবাদ করা। তাতে অবশ্য তিন গোয়েন্দার মূল্য একটুও কমেনি। আপনার লেখা পড়ে আবার মনে পড়লো। মনে বড় ইচ্ছা একবার হলেও রকি বীচ দেখে আসার।
(গুড়) বুদ্ধির ঝিলিক বেশ ছিল কিন্তু।
এই সিরিজের সব বই-ই তো রূপান্তর, তারপরও সেবা না থাকলে এইগুলো পেতাম না।
facebook
বিশাল অরণ্য পড়ছেন?
আহ! সেইসব দিন।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ও আল্লাহ্! কিসব মনে করিয়ে দিলেন। দৈনিক ইত্তেফাকে শুধু ঐ টারজান সিরিজ পড়ার জন্য প্রতিদিন অপেক্ষায় থাকতাম কখন আব্বু অফিস শেষে বাসায় আসবে। তাও পড়তে পারতাম সবার পরে। সবার দখলে থাকতো যে। আমার বই পড়ার আসক্তি দেখে ভাইয়া পাড়ার পাঠাগার থেকে এনে দিতো টিনটিন আরও সব মজার মজার কার্টুন বই।
তিন গোয়েন্দা আমার হাতে আসে যখন আমি ষষ্ঠ শ্রেণীতে। উফফফ! আজও ভুলতে পারিনা সেইসব দিন গুলা। সেখানেও ছিল লম্বা লাইন। সবাই যখন টিফিনের অবসরে খেলতে যেত আমি তখন খেলা ফেলে বই পড়তটা। আরবি ক্লাসে মৌলভি স্যারের চোখকে ফাঁকি দিয়ে বইএর ভেতর বই রেখে পড়া। মেয়ে হয়েও আমরা বান্ধবীরা হতাম কেউ কিশোর, মুসা অথবা রবিন। ইচ্ছে করতো তখনি বেড়িয়ে পরি অজানার সন্ধানে। আহা! কতই মধুর না ছিল সেইসব দিন। সেবা প্রকাশনী ছিল আমার সবচেয়ে ভালো লাগার একটা, আজও আছে। অনুবাদ বইগুলার জন্য তো সেবাই সেরা। যতদিন বাঁচব কাজিদা কে শ্রদ্ধাভরে স্মরন করে যাবো।
(গুড়) সেবাই সেরা।
facebook
না তো! কোনটা এইটা? ভীষণ অরণ্য- ১,২ পড়েছি বটে।
facebook
তিন গোয়েন্দার অনেক বড় ফ্যন আমি। মনে পড়ে গেল অনেক পুরনো স্মৃতি
facebook
আহা ! সেই সব স্বপ্নময় দিন !!!!!
আমার প্রতিবেশী এক মামা সেবার বই দিন প্রতি দুই টাকা করে ভাড়ায় দিত । এছাড়াও চার দিন স্কুল থেকে ছুটির পর হেঁটে ফিরলেই একটা বই কেনার টাকা হয়ে যেতো ।
জীবনে একবারের জন্য হলেও রকি বীচ বেড়াতে যাব তিন গোয়েন্দাময় সেই স্বপ্নের কৈশোর ফিরে পাবার জন্য ।
সত্যই যাব।
facebook
আরেকটা কথা বলা হয়নি । আপনার এই লেখাটি পরে বেশ বোঝা গেলো ছোটবেলারা আসলে হারায় না । বড় হতে হতেও আমাদের হৃদয়ের গহীনে থেকে যায়
সত্য
facebook
রকি বিচ বলে আসলে কোনো জায়গা নেই. অনেকে মনে করেন সান্তা মনিকা থেকে ধারণা নেয়া হয়েছে রকি বিচের |
এইটা কি বললেন? আমি তো প্ল্যান কঅরে রাখছি এর পরের বার ক্যালিফোর্নিয়া গেলে পাশা স্যাল্ভিজ ইয়ার্ড খুঁজে বের করব।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
facebook
পুরো নসটালজিকতায় ভরা েকটা লেখা দিলি। আসলেই তিন গোয়েন্দা, সেবার কিশোর ক্লাসিক্স আর রোমাঞ্চোপন্যাসগুলোর মধ্য দিয়ে এক অসাধারন ছেলেবেলা কাটিয়েছি আমরা। চমৎকার লেখা।
- নাভেদ
___________________________________
অন্তর্জালিক ঠিকানা
আসলেই। অন্যগুলো নিয়েও লিখতে চাই, তুইও লিখতে পারিস,
facebook
তিন গোয়েন্দা "পোচার" পর্যন্ত রেগুলার পড়েছি। তারপরে অনিয়মিতভাবে পড়েছি বেশ কিছূ।
আহ! সেই স্কুলের রিকশাভাড়া আর টিফিনের পয়সা বাঁচিয়ে একেকটা বই কেনা। তিন গোয়েন্দা, ওয়েস্টার্ণ আর কতো কতো অনুবাদ। তখনকার অনুবাদগুলো অসাধারণ ছিলো!
তিন গোয়েন্দা পড়তে গেলে যে বইগুলোতে জিনা ছিলো, সেইগুলো আমি স্পেশাল চোখে দেখতাম। মনে মনে নিজেকে জিনা ভাবতাম কিনা।
তবে সেবার সাথে আমার পরিচয় মাসুদ রানা দিয়ে। তখন ক্লাস ফোরে পড়ি।
বইয়ের নাম ছিলো "মূল্য এক কোটি টাকা মাত্র"। সামনের কাভার পেইজটা ছেঁড়া ছিলো। কলোনির কলেজ পড়ুয়া এক বড়ো ভাইয়ের কাছ থেকে নিয়ে শিশুতোষ বইগুলো পড়তাম। মানে তিনিই বেছে দিতেন আর কি। একদিন ব্যস্ত থাকায় নিজেই বই নিয়ে নিতে বললেন। আমি এক কোটি টাকা দামের বই দেখে ওটাই তুলে নিয়ে এসেছিলাম।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আমিও পড়েছি কোটি টাকার বই
(গুড়)
facebook
ভাই, আপনার লেখা পড়ে আবার ছোট হতে মন চাইলো।
আমরা তো ছোটই!
facebook
আহারে দিন গুলা ! মনে পৈড়া যায়, মন চৈলা যায় ।।।।।।।
কেমন উদাস উদাস লাগে-
facebook
আমি লস এঞ্জেলেসের কাছেই থাকি. লস এঞ্জেলেস গেলেই তিন গোয়েন্দার কথা মনে পড়ে. রকি বিচ অনেকে মনে করেন লস এঞ্জেলেস এর অদূরে Topanga Beach. আবার কেউ কেউ অশান পার্ক কেউ মনে করেন. যাই হোক রকিব হাসান কে কখনো পত্রিকায় বা অন্য কথাও দেখিনি. তিনি কি প্রচার বিমুখ কেউ ?
আমাদের স্কুল ম্যাগাজিনের জন্য রকিব হাসানের সাক্ষাতকার নিয়েছিলাম ১৯৯৮ সালে। আমাদের কে চা আর এলাচি কিরিম বিস্কুট খাইয়েছিলেন।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
উনার সাক্ষাৎকার পড়েছি মাঝে মাঝে। সেবার লেখকরা কেউই মিডিয়াতে বেশি আসতেন না।
facebook
প্রথম পড়েছিলাম মনে হয় মৃত্যুখনি। ফুপাতো ভাই বিদেশে চলে যাওয়ার আগে তার সংগ্রহ আমাদের বাড়িতে দান করে দিয়েছিল। তারপর পাগলের মত নীলক্ষেত থেকে সংগ্রহ করেছি। প্রথম থেকে ১৬০ তম পর্ব পর্যন্ত প্রত্যেকটা বই আছে আমার। তারপরে আর নিয়মিত কেনা হয় নি। ভলিউমে থাকলেও প্রচ্ছদের জন্য সিঙ্গেল কপি আবার কিনতাম।
আমার অ-রমনীসুলভ ছেলে-মার্কা স্বভাব বানিয়ে দেয়ার জন্য জর্জিনা পার্কার দায়ী।
১৯৯৮ সালে স্কুল ম্যাগাজিনের জন্য রকিব হাসানের সাক্ষাৎকার নিয়েছিলাম, সে আরেক কাহিনী বটে। একটা খাতায় প্রশ্ন লিখে নিয়ে গিয়েছিলাম। বন্ধুদেরকেও দিয়েছিলাম খাতাটা, তারা কি প্রশ্ন করতে চায়, সেটা লিখে দিতে। শয়তান গুলো সব 'ইয়ে' মার্কা ফাজিল সব প্রশ্ন লিখে দিয়েছিল। সাক্ষাৎকারের সময় খাতা দেখে প্রশ্ন করছি, এমন সময় রকিব দা বললেন, "খাতাটা দেখি আর কি কি প্রশ্ন আছে তোমাদের?" খাতা এগিয়ে দিয়ে কুল কুল করে ঘামছিলাম মনে আছে।:S উনি পাতা উল্টাতে উল্টাতে ঠিক আগের পৃষ্ঠায় এসে থেমে গেছিলেন।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
প্রশ্নগুলো আমাদেরও জানান না
একই কারণে আমারও সিঙ্গেল বই কেনার শখ ছিল- অপূর্ব প্রচ্ছদগুলোর জন্য।
facebook
প্রশ্ন এখন আর মনে নাই, একটা ছিল এইরকম, " আপনি বাথ্রুম করার পর কোন হাতে বদনা ইউজ করেন?"
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
facebook
...miss that days.......still.
হুম, খুব বেশী।
facebook
আহ! আর কি ফিরে পাব? যাদের সাথে বইগুলো শেয়ার করতাম তাদের সাথে এই পোষ্টটাও শেয়ার করতে ইচ্ছে করছে। শুধু তারা নেই। হারানো কৈশোরের মতই হারিয়ে গিয়েছে...
সেই! কত চেনা মুখ ছিল বইগুলোর সুবাদে!
facebook
তিন গোয়েন্দা দিয়ে শুরু।।।গহীন অরণ্য সবচেয়ে ভাললেগেছিল। সেইদিনগুলোর কথা আবার মনে পড়ে গেল।।। :(।।
facebook
বইপড়ুয়ায় লেখাটার লিংক পেয়ে আসলাম। বলা যায় নস্টালজিক হবার জন্যই।
আহা তিন গোয়েন্দা। সেই কাকাতুয়া রহস্য দিয়ে পরিচয় ক্লাস ফাইভে। তারপর ইন্টার পর্যন্ত টানা পড়ে গেছি। এখনো সেই দিন গুলো ভাসে চোখের সামনে। একবার, ক্লাস সেভেনে তখন, কোনো কারণে বাদ পড়ে যাওয়া তিনটা বই নিয়ে বসেছি সকাল বেলা। সন্ধ্যা নাগাদ সেই তিনটাতো বটেই, সাথে আরো চারটা রিভিশন দিয়ে উঠেছি। ইস কি দিন ছিলো সেগুলো...
তবে, একটা জিনিস আমি খেয়াল করছি বেশ কিছুদিন ধরেই। তিন গোয়েন্দার প্রসঙ্গে অনেক বইয়ের অনেক স্মৃতির কথাই বলেন প্রায় সবাই, কিন্তু কেনো জানিনা ছুটি বইটার কথা কারোরই স্মৃতিতে নেই সেই যে একটা গ্রামে বেড়াতে যায় কিশোর মুসা রবিন, সাথে জিনা আর রাফিয়ান। জেল পালানো কয়েদি, ব্ল্যাক ওয়াটার, ওয়াটার মেয়ার, টিকসি নোজ বলে দৈবাৎ পেয়ে যাওয়া মেসেজ ধরে ভাঙ্গা বোট হাউজে উপস্থিত হওয়া। ব্লাক ওয়াটার হ্রদে মাঝরাতে ডুব দিয়ে গুপ্তধন উদ্ধার। তারপর ডাকাত দলের নাকের ডগা দিয়ে পালিয়ে আসা...
এভাবে নস্টালজিক করে দেবার জন্য তারেক ভাইকে অশেষ ধন্যবাদ...
ইয়েস, আমার মনে আছে। নৌকাটা পানির নীচে ডুবে ছিল। ডাকাতদেরকে ধোঁকা দিতে জিনার মেকাপ বক্স দিয়ে খুঁজে পাওয়া নৌকাটার জায়গা মার্ক করে রেখেছিল। ইশশ, আবার পড়তে ইচ্ছা করছে
আমারও খুব প্রিয় ছিল বইটা, বিশেষ করে রাফিয়ানের খাবার চুরি করে আনাটা উপভোগ করতাম দারুণ ভাবে! এই লেখাতে কিন্তু ছুটির উল্লেখ করেছি !
facebook
ঠিক, ওই জায়গাটা আসলেই খুব মজার ছিল। তিন গোয়েন্দার বেশিরভাগ গল্পেই খাবার-দাবারের ব্যাপারগুলো এতো সুন্দর করে লিখতো যে তখনি মনে হতো খেতে বসে যাই।
আর পৃথিবীর অনেক জায়গা, মানুষ, সংস্কৃতি, ইতিহাস সম্পর্কে সহজভাবে আমি শিখেছি তিন গোয়েন্দা পড়ে। যে তথ্যগুলো আজও আমি ভুলি নি। আমাদের দেশের কতো কিশোর-কিশোরী যে এভাবে সাধারণ জ্ঞানের ভাণ্ডার সমৃদ্ধ করেছে তার হিসাব মনে হয় কখনো করা হয় নি। আমি এখনো সময় পেলেই আগের বইগুলো আবার পড়ি, ছোট ভাইবোন গুলোকেও নেশা ধরিয়ে দিয়েছি
আমার সাথে খুব মিলে গেল। স্কুলের কুইজেও অনেক সময় প্রশ্ন করতাম তিন গোয়েন্দা থেকে !
facebook
ইশশ সেবার সবগুলো বই যদি সংগ্রহ করতে পারতাম! দুইশ র মত আছে, বাকিগুলো অনেকে ধার নিয়ে আর দেয় নি :(। কাকাতুয়া রহস্য দিয়ে শুরু, শেষ পড়লাম রানী শেবার আংটি। টারজানের ১ থেকে ১২ অনেক খুঁজেছি, পাই নি। জিগাতলা থাকতে 'শীলা বই বিতান' থেকে ২ টাকা প্রতি সপ্তাহ রেটে ভাড়া করে এনে পড়েছিলাম। যদি কোথাও পান, জানাতে ভুলবেন না।
টারজান এখন ভলিউম হিসেবে সহজেই পাবার কথা।
facebook
মনে আছে আমার পুরানো বাসায় ক্লাস ফোর-ফাইভের দিকে সিড়ির দেয়ালে প্রশ্নবোধক চিহ্ন একেছিলাম চক দিয়ে। কোনো এক অজানা কারণে ৩-৪ বছর পরেও দাগ ওঠেনি। ভাবছি আবার ওই বাসায় গিয়ে দেখে আসবো দাগগুলো এখনো আছে কিনা!!!
আহা, কি দারুণ স্মৃতি!
দেখে এসেছেন এর মাঝে?
facebook
নতুন মন্তব্য করুন