নানীর সাথে পাখি দেখা ও পদ্মার চরে কালা মানিকজোড় দর্শন

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: রবি, ০৪/০৩/২০১২ - ৪:২৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

P1120118

পাখিপ্রেমী ইনাম আল হকের হাত ধরেই আমাদের দেশের পাখি মেলা শুরু হয়, প্রথম স্থানটি ছিল জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ব-বিদ্যালয়, সার্বিক আয়োজনে বাংলাদেশ বার্ড ক্লাব। ভিন্ন ধরনের সেই আয়োজনে কাউকে না জানিয়েই প্রবল শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও খবরের কাগজে মেলার খবর দেখে সোজা উপস্থিত হন কবি শামসুর রাহমান, আমাদের অপরিসীম ঋণে আবদ্ধ করে রূপকথার রাজকুমারের মত রূপবান এই মানুষটি প্রায় সারাদিনই উপস্থিত ছিলেন শরালিদের কলকাকলি মুখর জায়গাটিতে। এসেছিলেন বাচ্চাবেলার প্রিয় লেখক আলী ইমাম, তার বিটিভির কাজের সাথে সাথে নিজ উৎসাহের তাগিদে।

উৎসাহিত হয়ে আমিও দাবী জানালাম রাজশাহীতে এমন পাখি মেলা আয়োজনের ( মানুষের মনে প্রথম প্রথম ধারণা ছিল এখানে খাঁচায় আবদ্ধ রেখে নানা ধরনের পাখি প্রদর্শন করা হয় ! কিন্তু এই আয়োজন পাখি নিয়ে মানুষকে সচেতন করার সাথে সাথে বুনো, স্বাধীন পরিবেশে পাখি দেখার উৎসাহ বাড়ানোর জন্যই।)

ভাবলাম বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের রাজশাহী শাখার পক্ষ থেকে এই আয়োজন করা যায় নাকি, বেকে বসলেন ইনাম ভাই,বললেন- নতুন সংগঠন করে ফেলুন, নাম হবে রাজশাহী বার্ড ক্লাব! আমি তো চাই বাংলাদেশের প্রতি থানা, প্রতিটি জেলায় পাখি পর্যবেক্ষণের এমন সংঘ গড়ে উঠবে!

100_9436

চমৎকার আশা জাগানিয়া কথা, অতএব, যাত্রা শুরু হল রাজশাহী বার্ড ক্লাবের, রাজশাহী বিশ্ব-বিদ্যালয়ে পাখি মেলা আয়োজনের মধ্য দিয়ে, সেই সাথে পাখি পর্যবেক্ষণের জন্য ছিল মতিহারের সবুজ চত্বর আর উপরি হিসেবে পদ্মার চর। আমাদের আজকের যাত্রা সেই পদ্মার চরেই, সাথে থাকছেন রাজশাহী বার্ড ক্লাবের বয়স্কতম কিন্তু মনের দিক দিয়ে সজীবতম সদস্য আমার নানী, সাহার বানু।

P1120050

নগরের টি-পয়েন্ট বাঁধের কাছে পূর্ব নির্ধারিত সময় মোতাবেক সবাই উপস্থিত, বেশ রোদেলা দিন, এমন সময়ে ধু ধু বালুচরে পাখি চিনে আলাদা করা খুব একটা সহজ না হলেও নানা ধরনের শিকারি পাখি দেখার সম্ভাবনা আছে পুরোমাত্রায়, সেই সাথে সাধারণত এই ধরনের পাখি দেখার আয়োজন শিশিরভেজা কাকভোরে করা হলেও নানীর উৎসাহের জন্যই এটি মধ্য দুপুরে আয়োজন করা হয়েছে।

100_9454

পরিচিত মাঝি ভাই নৌকা চালু করার মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই সারাজীবনের পরিচিত শহরটাকে অন্যরকম লাগতে শুরু করল, যেন বহু দূরের নির্জনতার কুয়াশাধৌত কোন জনপদ, নদীর পাড়ের সবুজ বেষ্টনী, ঔপনিবেশিক শাসনের চিহ্ন ওলন্দাজ কুঠি ( যা বড়কুঠি নামে পরিচিত), কাপড় কাঁচতে এসেছে তীরের বাসিন্দারা, অদ্ভুত টান টান দীপ্তময় ভঙ্গীতে চুল ঝাড়ছে কেউ কেউ।

শীতের শীর্ণ পদ্মার অন্য পারে চরের প্রবল অস্তিত্ব দৃষ্টিকটু ভাবে চোখে পড়ে, কিন্তু তার অপর পারেই ঝকঝকে অগভীর জলের অস্তিত্ব। এভাবেই সমগ্র পদ্মা জুড়ে চরের রাজত্ব, সর্বগ্রাসী পদ্মা আজ শীর্ণকায়। ধু ধু বালুচর আজ মানুষের চাহিদা আর পরিশ্রমের কাছে নত হয়ে ফসলের হাসিতে উদ্ভাসিত। সেখানে সাময়িক আশ্রয় নিয়েছে পাখির ঝাঁক, এমনকি ইঁদুর, ছুঁচো, শেয়াল নানা স্তন্যপায়ী প্রাণীও।

100_9385

মৃদুমন্দ হাওয়ায় এই রোদের মাঝেও শরীর জুড়িয়ে আসছে, কিন্তু গা এলিয়ে দেবার জো নেই, চোখ কুঁচকে দূরবীনে রেখে দূরের আকাশচারী, জলচারী, স্থলচারী পালকাবৃত বন্ধুদের খোজার চেষ্টা চলছে অবিরত। সবার আগে এত রোদে পোড়া অন্বেষণের প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানাল এক পাকরা মাছরাঙ্গা (Pied Kingfisher , Ceryle rudis), বাঁশের উপর বসে তীক্ষ নজর রাখছে সে বহমান জলধারার গভীরে মীনগণের হীন হয়ে থাকার ব্যাপারে বড়ই সজাগ। ইনি আবার জগতের সমস্ত মাছরাঙার মাঝে সর্বাধিক সময় একই স্থানে থেকে হেলিকপ্টারের মত পাখা সঞ্চালন করে শূন্যে স্থির থাকতে পারেন! বড়ই চিত্তাকর্ষক সাদাকালোয় মেশানো এই পেশাদার মৎস্যশিকারির সেই শিকারের পূর্ব মুহূর্তের দৃশ্য, যদিও এযাত্রা আমাদের হতাশ হতে হল তাকে শিকারির ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে না দেখে।

নদীর বুকে তখন নৌকার মিছিল, নানা ধরনের জলযান- পাল তোলা, ছই ছাওয়া, ইঞ্জিনওয়ালা সবাই পাল্লা দিয়ে যাচ্ছে নিজ নিজ গন্তব্যে, শত ব্যস্ততার মাঝেও দুপুরের রান্না নৌকাতেই ছাপিয়েছে মাঝি, ভাসমান আগুন নিয়ে তীর্থযাত্রার মত চলেছে সেই অলৌকিক নৌযান।

100_9388

কেউ বা নোঙর ফেলে মুখটি এক চিলতে কাপড় দিয়ে ঢেকে সেখানেই দিবানিদ্রা সেরে নিচ্ছে সূর্যের খরতাপ আর নদীতে পতনের ভয়কে উপেক্ষা করে।

100_9387

বাক ঘুরতেই নদীর অন্যরূপ দেখা গেল, তীরে আছড়ে পড়া ক্রমাগত তরঙ্গের ধাক্কায় ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে বালুচড়াগুলোতে তৈরি হয়েছে অপূর্ব সব বিমূর্ত ভাস্কর্য, কয়েক দশক আগেই নিশ্চয়ই এই ধরনের মিহি বালুর চরে মুখ হাঁ করে হাসতে থাকা রোদ পোয়ানো অলস কুমির দেখা যেত, নিদেনপক্ষে মেছোকুমির ঘড়িয়াল, কিন্তু আজ! মানুষের কুশিক্ষা, কুসংস্কার, কুঅভ্যাসের ফলে বলা যায় নিতান্তই অসম্ভব নদীর ইকো সিস্টেমের অপরিহার্য সদস্য এই প্রাণীগুলোর দর্শন পাওয়া। আমরা অবশ্য ছোট বেলায় প্রায়ই শুশুক বা গাঙ্গেয় ডলফিনের বাতাসের সন্ধানে ভেসে ওঠা ও মুহূর্তের মাঝে অতলে তলিয়ে যাওয়া চাক্ষুষ করতাম, কিন্তু আজ সেও বিরল বস্তু।

এক বিরান চরে নোঙর ফেলা হল ধুপনি বক (Grey Heron ,Ardea cinerea) দেখে, যদিও বক বাবাজী মোটেও প্রীত হলেন না এই অযথা উৎপাতে, সপাটে ডানা ঝাপটিয়ে মানুষের উড্ডয়নে অক্ষমতার প্রতি উপহাস করে সোজা চলে গেলেন রসালো খাদ্যের সন্ধানে। কি অপূর্ব দীর্ঘদেহী একটি পাখি, ধুসর পালকে সিংহভাগ শরীর ( লম্বা সুঠাম ঠ্যাং দুটো বাদে) ঢাকা থাকলেও মাঝে মাঝেই উঁকি দিচ্ছে সাদা কালো পালক, ঠোটে গাঢ় হলদে রঙের তুলির পরশ বুলিয়েছেন যেন স্বয়ং ভিনসেন্ট ভ্যান গগ নামের এক ঈশ্বর।

P1120172

দুটো হাঁস উড়ে গেল মাথার উপর দিয়েই, বেশ বড় আকৃতির, এই রোদে ভুল অবস্থানের থাকলে সব রঙই গুলে একাকার হয়ে কালো কালো হয়ে যায়, তারপরও মনে হল দেশী মেটেহাঁস( Spot-billed Duck, Anas poecilorhyncha) যুগল এক ঝলক জীবনানন্দ বইয়ে দিয়ে চলে গেল অজানা গন্তব্যে।

বেশ বড় চরটি, খানিকক্ষণ পদব্রজে এগোতেই দেখা হল জীবিকার তাগিদে আসা মৎস্যজীবী, কৃষিজীবী, পশুপালকদের সাথে।

100_9434

এক জায়গায় দেখি অগণিত ক্ষুদে ক্ষুদে আগ্নেয় পর্বতের মত অদ্ভুত কাঁদার ঢিবি, সেখান থেকে আবার জ্বালামুখ থেকে লাভা নির্গমনের মত কাঁদা বেরোচ্ছে বুদবুদের সাথে সাথে!

100_9443

সেই সাথে ঘাস বনের ছোট বন্ধুদের সাথে মোলাকাত হল ক্ষণিকের।

100_9444

আবার নৌকায় চেপে এগোনো হল নদীর অন্য প্রান্তে, অগভীর ও গভীর, দুই স্থানের জলেই সূর্যের রশ্মি ও মেঘের ছায়ায় যে কি অসামান্য সব চিত্রকর্ম তৈরি হয় তা গুরু সৈয়দ মুজতবা আলীর রাজশাহীতে অবস্থানের সময়ে লিখিত রোজনামচায় পাওয়া যায়, সেই সাথে দেখা যায় একজন খাঁটি প্রকৃতিপ্রেমীর নিসর্গকথন।

শিকারি পাখি কেস্ট্রেলকে সন্তর্পণে উড়ে যেতে দেখলাম তীরের দিকে, জ্যা মুক্ত তীরের মত তার উড়াল গতিবিদ্যার সমস্ত নিয়মের নিখুঁত উদাহরণ। কিন্তু তার পরপরই আমার পেলাম দিনের শ্রেষ্ঠ উপহার। জীবনে প্রথম বারের মত দেখলাম এক জোড়া কালো কুচকুচে সারসের মত দেখতে পাখি সামনের বালুচরে নামল, বিশাল চঞ্চু লাল বর্ণের, কি পাখি এটি?

100_9402

সাথে করে বয়ে আনা রিচার্ড গ্রিমেট এবং ইন্সকিপ দম্পতির পাখির ফিল্ড গাইডটি কাজে লাগল সাথে সাথেই, সারসের অধ্যায়ে যেয়েই নিঃসন্দেহ হলাম এরা দুর্লভ কালা মানিকজোড় (Black Stork ,Ciconia nigra)! সাথে সাথে ইনাম ভাইকে মোবাইল করে উল্লাসময় কণ্ঠে প্রশ্ন করলাম, বলেন তো আমাদের সামনে কোন পাখি?

100_9415

উনি কেবল জিজ্ঞাসা করলেন, আপনারা কোথায়? উত্তর হিসেবে পদ্মার চরের কথা শুনেই সাথে সাথে বললেন কালা মানিকজোড় হতে পারে! দেশের সেরা পাখি বিশেষজ্ঞ হিসেবে তার ঠিকই জানা আছে কোন অঞ্চলে কোন পাখি থাকতে পারে, আর বিরল কোন পাখি না হলে আমরা যে এইভাবে ফোনে উৎপাত করব না , তাও বটে! উনার কাছেই শুনলাম, প্রায় ৪ বছর পরে এই অঞ্চলে কালা মানিকজোড়ের দেখা মিলল!

এই কথা শুনে আমরা তো উৎসাহে আর ফুর্তিতে টগবগিয়ে ফুটতে থাকলাম, সন্তর্পণে নৌকা ভিড়ল চরের কাদায়, নানী বাদে দলের সবাই চুপিসারে কাদামাটি পাড়ি দিয়ে

P1120179

সুবিধাজনক জায়গায় টেলিস্কোপ স্থাপন করে এই বিরল বন্ধুদের পর্যবেক্ষণ করতে থাকলাম পালা করে। দেখে তো আমাদের আঁশ মেটে না, কিন্তু তাদের সময় এল ফুরিয়ে! আবার নীলাকাশে বিশাল দুই ডানা মেলে চলল দূরের চরে। সাথের পুঁচকে লুমিক্স ক্যামেরায় চলল তাদের স্মৃতি বন্দী করার সবিশেষ চেষ্টা।

P1120147

এই মহাসৌভাগ্যে সবাই ভীষণ উদ্বেলিত হয়ে উঠলেও বাল্য বন্ধু আদনান বাবু ( যে স্কুল জীবনে রঙ নম্বর টেলিফোনে- এই গানটির নকল শোনাতে শোনাতে আমাদের জীবন ভাজা ভাজা করে ফেলেছিল) মহা উত্তেজনায় কাঁদা পানিতে নেমে মহিষের মত গড়াগড়ি দিতে থাকল!

P1120141

নানী নৌকা থেকেই হাক দিলেন, এতদিন জানতাম গণ্ডার আর মহিষ কাঁদায় গড়াগড়ি করে, আজ আরেকজনকেও পাওয়া গেল !

P1120149

আবার যাত্রাপথে, নদীর সাধারন বাসিন্দা ছোট পানকৌড়ি, ছোট বগা তো ছিলই এন্তার, কিন্তু আমাদের আবার আনন্দে ভাসিয়ে গেল একদল পাকরা উল্টোঠুটি ( Pied Avocet, Recurvirostra avosetta) !

100_9427

বিবর্তনের অন্যতম অসাধারণ নিদর্শন পাখীগুলোর ঠোঁট উপরের দিকে খানিকটে বাঁকানো, তারা সেই কিম্ভুত ঠোঁট নিয়ে ঘাড় নেড়ে নেড়ে পেটপুজোয় ব্যস্ত ছিল সদলবলে। তাদের খাবার সংগ্রহের দৃশ্যটা আসলেই অভিনব, মনে হয় কেবল ভিনগ্রহের পাখিরাই এমন অদ্ভুত আকৃতির ও স্বভাবের হতে পারে!

100_9432

সূর্যি মামা তখন মাথার উপরে, পালা এসেছে তীরে ভিড়ার, টি বাঁধে ফেরার আগ মুহূর্তে আকাশে কেমন অন্য ধরনের চিল চিৎকার শুনে তাকাতেই দেখি একটি কাকের পেছনে তাড়া করেছে শিকারি পাখি লম্বা পা তিসাবাজ (Long-legged Buzzard ,Buteo rufinus) যা আমাদের অনেকের জন্যই নতুন পাখি, যদিও আগুনরঙা শ্যেনটি কোথাও না বসেই গোত্তা দিয়ে হারিয়ে গেল গাছপালার পিছনে, কিন্তু রেখে গেল তার ঝকঝকে পালকগুলোর মতই কিছু অপূর্ব স্মৃতি।

100_9449

নানীকে নিয়ে পাখি পর্যবেক্ষণের অপার আনন্দ আর মুখ ভরা হাসি নিয়ে বাড়ীর পথে আমরা তখন, পরিকল্পনা চলছে পরবর্তী নৌকা ভ্রমণের।

100_9455


মন্তব্য

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

বাহ্ , আপনি তো দেখি কিছুই বাদ রাখেন নি।

তারেক অণু এর ছবি

না না দাদা, সবটাই বাকি, আসমুদ্রহিমাচল, বিশ্বাস করেন। কিন্তু চেষ্টা করে যাচ্ছি।

রু (অতিথি)  এর ছবি

আপনার নানিকে লম্বা সালাম দিয়েন। উনাকে খুবই পছন্দ হয়েছে। পোস্টের কথা আর কী বলব! খুব বেশি সুন্দর।

তারেক অণু এর ছবি

ধন্যবাদ। নানীর মত স্মার্ট মানুষ আজ পর্যন্ত দেখলাম না। আজকেও কথা হল ফোনে অনেকক্ষণ।

নিঃসঙ্গ পৃথিবী এর ছবি

আরে অস্থির কাহিনী, দাদা।
নানীর সাথে ভ্রমণে। দেঁতো হাসি

তারেক অণু এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- অস্থির হবে কেন ! স্থবির নাকি !

নিঃসঙ্গ পৃথিবী এর ছবি

হো হো হো গড়াগড়ি দিয়া হাসি

তারেক অণু এর ছবি
সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি
তারেক অণু এর ছবি

আরে আবার উরিব্বাস কেন! নদীতে আর পাহাড়ে মিলেই তো আপনের রাজত্ব! নদী ছাড়া পাহাড় আছে বলেন?

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

আপনের তোলা সুন্দর ফটুক দেইখা মুখথুন বাইর হয়া পড়ছে।
অণুর জয় হোক!

তারেক অণু এর ছবি

ধুর ভাই, সুন্দর ফটুক পাইলেন কই! দেহেন, আমি আলোকচিত্র হিসেবে ট্যাগও করি নাই, ছবিগুলা কেবল স্মৃতি রক্ষার্থে তোলা, আর কিছু না! পুঁচকে ক্যামেরা, প্লাস কারিগরি জ্ঞান হীন!
উৎসাহ দেবার জন্য শুভেচ্ছা।

সৃষ্টিছাড়া এর ছবি

অবশেষে ইহাকে পেলুম.... হাততালি আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- নেন দেঁতো হাসি

তারেক অণু এর ছবি

দেন, বেচারা খুব কাজের জিনিস!

কুমার এর ছবি

গুরু গুরু গুরু গুরু
( চলুক বাদ যাবেনা কোনো কিছু)

তারেক অণু এর ছবি

ধন্যবাদ !

তিথীডোর এর ছবি

ছবি লেখায় হিংসা। পদ্মা দেখার ম্যালা শখ ছিল, সব ঠিকঠাক হওয়ার পরও শেষমেশ যাওয়া হয়নি রাজশাহী। মন খারাপ

ইয়ে অণুদা, কাঁদা (কান্না) তো নয়, এখানে হবে কাদা। ঠিক করে নিন। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

তারেক অণু এর ছবি

ঠিক আছে, পরের বার এসেন! যাযাবরতো আছেই, আমিও থাকব। একবার নৌকা করে রাজশাহী থেকে পাকশি যাবার শখ আছে।
তবে বর্ষার পদ্মার রূপ আলাদা।

চরম উদাস এর ছবি

জটিল হাততালি

তারেক অণু এর ছবি

সরল ম্যাঁও

মিলু এর ছবি

পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

তারেক অণু এর ছবি
অতিথিঃ অতীত এর ছবি

পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

অতীত

তারেক অণু এর ছবি
আমি শিপলু এর ছবি

নানুকে হাজারো সালাম। বয়সটা আর একটু সরষ হইলে নির্ঘাত নানির প্রেমে পইরা যাইতাম। যেমন নাতি তেমন নানি। দুইটাই ভাদাইম্মা। গুরু গুরু

তারেক অণু এর ছবি
চিলতে রোদ  এর ছবি

এমন নানী পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। আপনি অনেক দিক হতেই সৌভাগ্যবান অণু ভাই! হাসি

তারেক অণু এর ছবি

নানী খুবই অন্য ধরনের মানুষ।

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

আরে, আপনার নানী দেখি আমার মায়ের ওড়না পরেছেন !
ভাল লাগলো, পাখি দেখা।

তারেক অণু এর ছবি
তাপস শর্মা এর ছবি

আপাতত ছবি দেখেই চলে গেলুম ভায়া। বইমেলায় যাচ্ছি তাই, দেঁতো হাসি

ফিরে এসে বিস্তারিত পড়বো।

অটঃ লুঙ্গির আইডিয়া পুরাই সেরাম দিছে উদা ভাই। রকিং খাইছে

তারেক অণু এর ছবি

একেবারেই বাজে আইডিয়া !

ধূসর দিগন্ত এর ছবি

ছবিগুলো অনেক সুন্দর । রাজশাহীর পদ্মা দেখার সখ আছে । জানিনা পূরণ হবে কিনা ।

তারেক অণু এর ছবি

অবশ্যই হবে। তবে পদ্মার অনেক পরিবর্তন হয়েছে।

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

অল্প কিছুদিন আগেই দেখে আসলাম। পরিবর্তনটা খুব বেশীই চোখে লাগলো।

মন মাঝি এর ছবি

আরো অনেক হবে! মন খারাপ

যত পারেন বর্ষায় পদ্মার ছবি তুলে রাখেন। যার দেখার শখ আছে দেখে ফেলেন এখনই। একদিন নাতিপুতিরে 'প্রমান'-এর মত করে ছবিগুলি দেখায়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলতে হবে মরুভূমির দেশ বাংলাদেশ সাহারার মতই চিরকাল মরুভূমি ছিল না!

ভারত 'আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প' বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে। আমি যদ্দুর বুঝেছি, এই প্রকল্পের মাধ্যমে তারা এইসব নদীর (মোট ৩৭টি নদী) অনেক উজান থেকেই প্রচুর পানি সরিয়ে নিয়ে যাবে দূরবর্তী মরুময় অঞ্চলে বা রাজ্যে, যেসব জায়াগায় চাষাবাদের জন্য পানির ঘাটতি আছে। বাংলাদেশের উপর এর প্রভাব হবে মারাত্নক। ফারাক্কা-টিপাইমুখ হয়তো এর কাছে নস্যি হয়ে যাবে তখন।

****************************************

তারেক অণু এর ছবি
ফাহিম হাসান এর ছবি

@মনমাঝি: বিস্তারিত পোস্ট দেন না ভাই। চকলেট খাওয়াব।

মন মাঝি এর ছবি

বিভিন্ন প্রথম সারির পত্রিকাতেই এই খবর বিস্তারিত ভাবে এসেছে। আমি মনে হয় না নতুন কিছু এ্যাড করতে পারব। দেখা যাক।

****************************************

তারেক অণু এর ছবি

তারপরও!

জালিস এর ছবি

ব্যাপক কোলাকুলি

তারেক অণু এর ছবি
সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি

বয়স্কতম কিন্তু মনের দিক দিয়ে সজীবতম সদস্য আমার নানী, সাহার বানু।

লেখা-ছবি-নানী-অণু... সবই দুর্দান্ত! হাততালি

তারেক অণু এর ছবি
দময়ন্তী এর ছবি

চলুক
দারুণ দারুণ

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

তারেক অণু এর ছবি
guest_writter এর ছবি

কেউ কি আছেন?????? অনুকে থামান!!!!!!!!!!
আর সহ্য করতে পারছি না। ইর্ষায় জ্বলে পুড়ে ছারখার ওঁয়া ওঁয়া

দীপাবলি।

তারেক অণু এর ছবি

পদ্মার জলধারা লাগবে !

guest_writter এর ছবি

নারে ভাই।
আপনার মত হইতে মুঞ্চায়।

তারেক অণু এর ছবি

হ, আর কাম পান নাই তো! রোদের মধ্য জলে কাদায় লাফালাফি!

তমাল এর ছবি

খুবই সুন্দর তো জায়গাটা। বাংলাদেশে না এত বছর না গিয়েও এত সুন্দর একটা জায়গা দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন, তাই আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
---
তমাল

তারেক অণু এর ছবি

শুভেচ্ছা

ধূসর জলছবি এর ছবি

আপনার নানীকে দেখে বুঝা গেল তারেক অণু হওয়ার রহস্য , নানীই যার এরকম সজীবতম সে তো পৃথিবী ঘুরে বেড়াবেই (আমাদের ঈর্ষায় পুড়িয়ে), আপনার নানীকে সালাম। হাসি চলুক

তারেক অণু এর ছবি

ঠিক! দেঁতো হাসি

Debaroti Roy এর ছবি

আপনার প্রতিটি লেখাই অত্যন্ত আগ্রহ নিয়ে পড়ি। সবসময়ই কিছু লিখতে চাই কিন্তু ভাষা হারিয়ে ফেলি। আজও একই দশা। কিন্তু নানীকে দেখে না লিখে পারলামনা। নানীকে সালাম।

তারেক অণু এর ছবি

ধন্যবাদ।

ফাহিম হাসান এর ছবি

আপনার নানীকে লাল সালাম। খুব ভাল লাগলো।

তারেক অণু এর ছবি

পৌঁছে দিলাম।

রামগরুড় এর ছবি

উদয়, আদনান রে দেখলাম, আর লোকজন কই? মজা হইছে ভালই মনে হচ্ছে, রাজশাহী'র আরো ছবি চাই!
লেখা হেভি মজা হইছে, জম্পেশ!

তারেক অণু এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-
আর লোকজন পাব কই! এই কয়জনই উৎসাহী।
পাখি মারতে চাইলে অবশ্য কয়েকশ জোগাড় হয়ে যেত !

অতিথি লেখক এর ছবি

নানী আপা তো দুর্দান্ত ! উনিও একটা পাখি বৈকি !

তারেক অণু এর ছবি

দেঁতো হাসি

সংগীতা এর ছবি

নানীকে ভীষণ পছন্দ হয়েছে । আর পাখিগুলো তো বটেই ।

তারেক অণু এর ছবি

অবশ্যই

আমি জানি না এর ছবি

নানী রকস্

Anarja Tapos  এর ছবি

কোপাও মামা... কোপাও মামা...

তারেক অণু এর ছবি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।