গ্যাবো মার্কেজের আত্মজীবনী- গল্পগুলো বলার জন্যই বেঁচে থাকা

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: মঙ্গল, ০৬/০৩/২০১২ - ১১:০২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

garcia-marquez-vivir-para-contarla

বই পড়ি আমি গোগ্রাসে, স্কুল জীবনে পাঠ্য বইয়ের নিচে লুকিয়ে শিক্ষকের চিরুনি দৃষ্টি এড়িয়ে পারলে ক্লাসের মাঝেই শেষ সংগৃহীত আসল মজাদার বইখানা শেষ করার অভ্যাস করতে করতে এখনো এটি সিন্দবাদের বুড়ো দৈত্যের মত কাঁধে চেপে বসেছে, তবে তাতে নেহাত অখুশি নয় আমি! সারা বিশ্বে কত বই, এক ক্ষুদ্র জীবনে প্রায় সবই অপঠিত, অজ্ঞাত থেকে যাবে, তার মাঝে দ্রুত যতগুলো পড়ে ফেলা যায় ততই হয়ত অপূর্ণতা খানিকটা কমে।

কোন বই খুব বেশী ভাল লেগে পড়তে পড়তেই আমার ঘোর লাগা অবস্থা হয়, বিভোর হয়ে ঘুম বাদ দিয়ে, ভোরের অ্যালার্মের তীব্র যন্ত্রণা ভুলে বইটির পাতা উল্টোতেই থাকি আপন মনে। এক এক পর্যায়ে খেয়াল করে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে গিয়ে প্রায় জ্বর বাঁধিয়ে ফেলেছি! কিন্তু বইখানার শেষ হবার তৃপ্ত এবং রিক্ত অবসন্ন মনে বসে থাকার খানিক পরেই সব স্বাভাবিক হয়ে আসে, ফিরে আসি চারপাশের চেনা জগতে অন্য ভুবন থেকে। বোঝা যায় বইটির ঘটনা প্রবাহের সাথে মিশে যেয়ে শেষ করবার উৎকণ্ঠায় আবার অমৃতভাণ্ড খালি হয়ে যাবার আশঙ্কায় এমনটি হয়।

সবসময় না, কিছু কিছু বইয়ের ক্ষেত্রে এমন হয়েছিল। কোনটার শেষের পর্যায়ে এসে, কোনটার মাঝে থেকে, কোনটার আবার শুরু কয়েক লাইন পরেই। শেষ যে বইটির শুরুর প্যারাটি থেকেই আমার জ্বর লাগা ঘোরাক্রান্ত অবস্থা হয়েছিল তা আমাদের গ্রহের শ্রেষ্ঠ জীবিত উপন্যাসিক গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজের আত্নজীবনীর প্রথম খন্ড Vivir para contarla( LIVING TO TELL THE TALE) (গল্পগুলো বলার জন্যই বেঁচে থাকা)।

নিতান্তই আটপৌরে শুরুয়াদ বইটির, মার্কেজের মাকে তাকে খুঁজতে এসেছেন উচ্ছল আড্ডার মাঝে, তাকে নিয়েই তিনি তার সর্বশেষ সম্বল বাপের ভিটেটি বিক্রি করতে যেতে চান।

শুরু হয়ে যায় ছত্রে ছত্রে মার্কেজীয় শব্দখেলার মুন্সিয়ানা, নিজের মায়ের এবং তার পারিবারিক ইতিহাসের যে বর্ণনা তিনি অল্প কয়েক লাইনে দিয়েছেন তা একান্তই তার নিজস্ব বৈশিষ্ট্য, মার্কেজীয় ঘরানার নির্লিপ্ত বর্ণনা কিন্তু গনগনে আবেগে মোড়া, এর মাঝেই চেনা যায় ব্যক্তি লেখকের অভিব্যক্তি।

তখন গ্যাবো মার্কেজের ছন্নছাড়া জীবন তুঙ্গে, মফস্বল এক শহরের অখ্যাত খবরের কাগজে নামমাত্র বেতনে কাজ করে চলেছেন। খাবার ঠিক নেই, রাতে শোয়ার কোন নির্দিষ্ট ব্যবস্থা নেই, যখন যেখানে যাকে মিলে যায় তার সাথেই ব্যবস্থা হয়ে যায় কোনমতে, সেই সাথে দিনে ৬০টি সিগারেট ধ্বংস চলছে সমানে। বিশ্ব-বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোনো হয় নি, শুরু যে করবেন এমন নিশ্চয়তাও দেওয়া যাচ্ছে না !

Gabriel-Garcia-Marquez-2-190

এমতাবস্থায় মা তাকে নিয়ে জন্মশহর অ্যারাকাতাকার দিকে যেতে যেতে প্রশ্ন করেন- তোমার বাবাকে আমি তোমার শিক্ষাজীবন নিয়ে কি বলব?
মার্কেজ- তাকে বল সারা জীবনে আমি একটি জিনিসই হতে চায়, তা হল একজন লেখক, এবং সেটা আমি হয়েই ছাড়ব।
মা- তোমার বাবা তো তাতে নিষেধ করছেন না, তার আশা তুমি ডিগ্রিটাও শেষ করবে।
মার্কেজ- আমি বুঝি না, তুমি যখন খুব ভাল করে জান আমি হাল ছাড়ব না, তাহলে একই প্রশ্ন করে কি ফায়দা!
মা- তুমি কি করে জান আমি জানি?
মার্কেজ- কারণ, আমি তোমার মতই হয়েছি!

images311181_garcia_marquez_gabriel1

এই যাত্রাতেই এক কলা কোম্পানির দরজায় মাকেন্দো নামটি লেখা থাকতে দেখেন গ্যাবো, যে নামটিকে তিনি অমর করে রেখেছেন ওয়ান হানড্রেড ইয়ারস অফ সলিচিউড বইয়ের গ্রাম হিসেবে এবং একাধিক ছোট গল্পে। কিন্তু নামটির অর্থ তার জানা হয় নি আজও।

এভাবেই নিজ জীবনের গল্প বলতে থাকেন আমাদের গ্রহের সেরা লেখক, কোন সময় তার উদ্দীপ্ত তারুণ্যের, কোন সময়ের ৪ বছর বয়সে নানার সাথে প্রথম মহাসাগর দর্শনের স্মৃতির। পাঠকের সামনে নির্দিষ্ট কোন গতিধারা ছাড়াই অপূর্ব ছন্দময় সব ঘটনা একের সাথে অন্যে মিলে তৈরি হয় মুগ্ধতার ইন্দ্রজাল। ছেঁড়া মেঘের ঘটনার ভেলারা ভেসে বেড়ায় গ্যাব্রিয়েল মার্কেজ নামের চিরতরুণ গ্রহটির আকাশে।

imgGabriel Garcia Marquez3

পরম মমতায় নিজের শৈশব স্মৃতি হাতড়ে তিনি বর্ণনা দিয়ে যান তাদের বাড়ীর, বসার ঘরের, প্রতিবেশীর, নিজের দেখা প্রথম মৃত মানুষের, পাঠশালার বইয়ের। দুকূল উপচিয়ে পড়া ঘটনার জোয়ারে মুগ্ধ আবেশে ভেসে যেতে যেতে পাঠক নিজেকে আবিস্কার করে মার্কেজের ৫ম উপন্যাস লাভ ইন দ্য টাইম অফ কলেরার প্রকাশকালের কথা, যা রচিত হয়েছিল পরিবারের কিছু সদস্যদের সত্য ঘটনা নিয়ে। সাংবাদিকরা মার্কেজের বাবাকে প্রশ্ন করেছিল, জীবনে তার কোন সময় উপন্যাস লেখার ইচ্ছে হয়ে ছিল কি না? বিরাস বদনে তিনি উত্তর দিয়েছিলেন, একটিই লেখার ইচ্ছে ছিল, কিন্তু গ্যাবোর এক প্রশ্নে বুঝে গিয়েছিলাম সেও একই ঘটনা নিয়ে লিখছ, তারপর আর চেষ্টা করি নি।

এরপরই আসে ১৯২৭ সালের ৬মার্চ, রোববার, সকাল নয়টায় মর্ত্যে তার আগমনের এবং অস্তিত্ব প্রকাশের জন্য সুতীব্র গল্প।

gabriel-garcia-marquez-cubarte

শুরু হয় তার বিশাল পরিবারের চাচা-চাচী, খালা-খালু এমন সবার বর্ণময় জীবনের কাহিনী। সেই সাথে অবধারিত ভাবেই স্কুল জীবন, সেখানকার শিক্ষক ও গ্রন্থাগারের করা। মার্কেজের ছোট বেলায় প্রিয় বই ছিল অবশ্যম্ভাবী ভাবেই হাজার এক রাত্রির গল্প, এরপরই ডন কুইক্সোট, কাউন্ট অফ মন্টিক্রিস্ট্রো, ট্রেজার আইল্যান্ড।

আসে তার বিখ্যাত ছন্দময় নামের পেছনের ইতিহাসটিও, কি করে ব্যাপ্টিজমের সময় রাখা নাম গ্যাব্রিয়েল হোসে দে লা কনকর্ডিয়া বাবার পারিবারিক নাম গার্সিয়া এবং মার পারিবারিক নাম মার্কেজ নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে সুপরিচিত নামগুলোর একটি হল তার মজার গাঁথা।

serio

সমান্তরালে চলতে থাকে পারিবারিক এবং শিক্ষা জীবন। ১১ ভাই-বোনের পরিবারে বিনা মেঘে বজ্রপাত হয়ে আসে বাবার ঔরসে অন্য মহিলার গর্ভে জন্ম নেওয়া আরেক সন্তানের ঘটনা। কিন্তু মমতাময়ী মা ঠিক আশ্রয় দেন সেই ছেলেকেও তার আকাশের চেয়ে বিস্তৃত আশ্রয়ডানার নিচে।

খবরের কাগজে নিজের লেখা গল্প ছাপা হবার প্রথম স্মৃতি উদ্বেলিত হয়ে বর্ণনা করেছেন মার্কেজ, এর মাত্র ৪২ দিন পরেই তার ২য় গল্পটি ছাপাখানার মুখ দেখে। এরপর চলতেই থাকে তার কলম।

অদ্ভুত এক বই হাতে আসে তরুণ লেখকের, যার প্রথম বাক্যেই একটি মানুষ ঘুম ভেঙ্গে নিজেকে পরিবর্তিত পতঙ্গ হিসেবে দেখতে পান! কাফকার মেটামরফসিসের প্রতি আকাশচুম্বী সাহিত্যিক মুগ্ধতা দেখিয়েছেন তিনি, একই কাতারে আছে জেমস জয়েসের ইউলিসিস।

মায়াবাস্তবতায় ঘিরে নিজের জীবনকে এমনভাবেই আমাদের উদ্দেশ্যে বলে গেলেন তিনি, মায়া, মমতা, আনন্দ, দুঃখ, বেদনার কথা। নিজের প্রথম বই ছাপা হবার অনুভূতির কথা, হুলিয়া মাথায় নিয়ে স্বদেশ ছেড়ে ইউরোপ গমনের ঘটনা, অবশেষে মনের মানুষকে জীবন নদীর বাঁকে খুঁজে পাবার শান্তি।

কিন্তু ঘটনা শেষ হয় না এখানেই, গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ আমাদের অঙ্গীকার করেছেন এর পরবর্তী পর্বের, সারা বিশ্বের সমস্ত সাহিত্য পিপাসু যার অপেক্ষায় আছে এক দশক ধরে!

tumblr_lj4zky4XlT1qzdwano1_400

( গ্যাবো মার্কেজের সাথে একবারই আর্নেস্ট হেমিংওয়ের সামনা সামনি দেখা হয়েছিল, রাস্তার অপর পারে প্রিয় লেখককে দেখে উল্লাসে চিৎকার করে উঠেছিলেন তরুণ মার্কেজ- Hola Maestro !

মার্কেজের প্রাক্তন বসবাসের শহর বার্সেলোনা, একসময়ের কর্মক্ষেত্র হাভানা, বর্তমান অবস্থানের নগরী মেক্সিকো সিটি, তার জন্মভূমি কলোম্বিয়ার বোগোতায় অবস্থানকালীন সময় মনে মনে অসংখ্যবার চিন্তা করেছি, যদি দেখা হয়ে যেতে প্রিয় লেখকটির সাথে, আমিও চিৎকার করে সোল্লাসে বলতাম- জয় গুরু।

লেখায় ব্যবহৃত আলোকচিত্রগুলো নেট থেকে সংগৃহীত।

পেঙ্গুইনের প্রকাশিত বইটির ইংরেজি অনুবাদ করেছেন এডিথ গ্রোসমান।

আজ এই মহান লেখকের জন্মদিন, এই দিনে নিজের জীবন নিয়ে লেখা গ্রন্থ শুরু আগেই যে বাক্যটি তিনি লিখেছেন তাই দিয়েই শেষ করলাম-

“Life is not what one lived, but what One remembers and how One remembers it in order to recount it”

Living_to_Tell_the_Tale


মন্তব্য

প্রিয়ম এর ছবি

শুভ জন্মদিন , মার্কেজ সাহেব !

তারেক অণু এর ছবি

কেকের ইমো কই !

হিমু এর ছবি

বিবির পারা কন্তারলা নামটার লাগসই বাংলা অনুবাদ এখনও পেলাম না কোথাও। আক্ষরিক অনুবাদ হয়, "বেঁচে থাকার গল্প বলার জন্যে বেঁচে থাকা"। পশ্চিমবঙ্গের এক কবি উৎকট ভুল অনুবাদ করেছিলেন "বেঁচে আছি সব গুণে গুণে বলে দেবো বলে"। ইংরেজি অনুবাদটাও লাগসই মনে হয়নি।

প্রিয় লেখককে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই।

তারেক অণু এর ছবি

"বেঁচে আছি সব গুণে গুণে বলে দেবো বলে" গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি ওঁয়া ওঁয়া

শিশিরকণা এর ছবি

এর মধ্যে গুনাগুনি আসলো কোত্থেকে?

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

তারেক অণু এর ছবি
হিমু এর ছবি

ট্র্যানজিটিভ হিসেবে স্প্যানিশ ভার্ব কন্তার এর দুটো মানে আছে। একটা হচ্ছে গোণা (টু কাউন্ট), আরেকটা হচ্ছে বর্ণনা করা, গল্প বলা (টু টেল)। কবিসাব মনে হয় কোনটা নিবেন বুঝতে না পেরে দুইটারেই ফিট করে দিছেন।

রায়হান আবীর এর ছবি

কবিরা এতো বস হয় ক্যানো হিমু ভাই? দেঁতো হাসি

তারেক অণু এর ছবি

দেঁতো হাসি হে কবি, কবি হে---

রায়হান আবীর এর ছবি

ভাইয়া লেখাটার জন্য ধন্যবাদ। আমি না মার্কেজ পড়িনি। আজকে পড়া শুরু করলাম নিঃসঙ্গতার একশ বছর।

তারেক অণু এর ছবি

অনুবাদ? কার করা ?
এই বইটা নিয়ে কিন্তু মার্কেজের অনেক আফসোস আছে, এইটির খ্যাতিই নাকি তাকে অন্য অনেক ভাল লেখা থেকে বঞ্চিত করেছে !

রায়হান আবীর এর ছবি

জি এইচ হাবিব, অনুবাদ ঝরঝরে।

তারেক অণু এর ছবি

কেমন লাগল?

হিমু এর ছবি

দলছুট, দ্দীণূ, আনিসাইল ... সব বসবস লুক। নিশ্চয়ই তাদের কোনো রহস্যময় কমন বস অ্যানসেস্টর আছে। যে একটা বস জিন ঢুকিয়ে দিয়েছে জায়গামতো।

তারেক অণু এর ছবি
আয়নামতি এর ছবি

তাঁর জন্য জন্মদিনের শুভেচ্ছা!

তারেক অণু এর ছবি
স্যাম এর ছবি

আমার প্রিয় লেখক কে নিয়ে এত সুন্দর করে লিখার জন্য তারেক অণু কে টুপিখোলা অভিনন্দন গুরু গুরু ! আপনাকে নিয়েও কেউ একদিন এমন লিখবেন ভবিষ্যত এ!
অবশ্য জীবনের প্রথম কলকাতায় গিয়ে আমার বেশীরভাগ অর্থ তার জন্য পানিতে পড়ে যাওয়ায় আমি কোনদিন ক্ষমা করবনা ্মার্কেজ সাহেব কে - চোখ টিপি
শুভ জন্মদিন প্রিয় মার্কেজ!

তারেক অণু এর ছবি

হ, গ্যাবোর জন্য অনেকবার পকেট খালি হয়ছে, তাতে কোন আফসোস নাই, দুঃখ একটাই - বইগুলা সব পড়া হয় নি এখনো!

চরম উদাস এর ছবি

চলুক

তারেক অণু এর ছবি
মুহিত হাসান এর ছবি

গুরু গুরু

তারেক অণু এর ছবি

আর কামকাজ নাইক্যা! দেঁতো হাসি

মুহিত হাসান এর ছবি

চিন্তিত

তারেক অণু এর ছবি
অনিকেত এর ছবি

শুভ জন্মদিন মার্কেজ!

অসম্ভব প্রিয় লেখককে নিয়ে অসামান্য এই লেখাটি লেখার জন্য তারেক অণুকে এক হাওয়ায় ভরা তারার রাত উপহার দিলাম----

শুভেচ্ছা নিরন্তর

তারেক অণু এর ছবি

সে তারা ভরা রাতে----
চলবে না দাদা, একটা গান দিন বরং, সবাই মিলে শুনি!

মেঘা এর ছবি

মাত্রই মার্কেজের memories of my melancholy whores পড়ে শেষ করেছি। living to tell the tale বইটা চোখের সামনেই রাখা। যেকোনদিন পড়তে শুরু করবো অনেকদিন ধরে ভাবছি। এখনো পড়া হয় নি। খুব বেশীদিন ধরে আমি মার্কেজের বই পড়তে শুরু করি নি। কিন্তু যে কটা পড়েছি একটা কথাই মনে হয়েছে কথার যাদুকর বোধ হয় একেই বলে। ৯০ বছরের একজন বৃদ্ধের কাম চিন্তা ভাবতে যেমন অরুচিকর লাগে পড়তে যেয়ে দেখলাম চির সবুজ একজন মানুষের জীবনী সেটা। একটুও খারাপ লাগেনি। মুগ্ধ হয়েছি।

love in the time of cholera এই বইটা এখনো পড়তে পারলাম না!

প্রিয় লেখকের জন্মদিনের অনেক অনেক শুভ কামনা। আরো অনেক বছর বেঁচে থাকুক এই প্রিয় বুড়ো। আমাদের তার কাছ থেকে অনেক কিছু পাবার আছে এখনো। হাসি

তারেক অণু এর ছবি

বুড়ো হবে কেন! কি সজীব একটা মানুষ !
আমার তার অধিকাংশ লেখাই পড়া হয় নি, সব সংগ্রহ করে ফেলছি, কবে যে পড়তে পারব !

নিটোল এর ছবি

এই প্রিয় লেখকের জন্য রইল শুভেচ্ছা।

_________________
[খোমাখাতা]

তারেক অণু এর ছবি
মাহমুদ.জেনেভা এর ছবি

চলুক

তারেক অণু এর ছবি
ধূসর জলছবি এর ছবি

হাসি মাকেজ আমার অনেক প্রিয় একজন লেখক। তার লিভিং টু টেল দা টেল , ওয়ান হান্ড্রেড ইয়ারস অফ সলিচিউড , মেমরিস অফ মাই মেলানকলি হোরস, ক্রনিকল অফ আ ডেথ ফরটোল্ড, নো ওয়ান রাইটস টু কর্নেল , আ স্টরি অফ আ শিপরেকড সেইলর , এ বইগুলো পড়েছি। লাভ ইন দা টাইম অফ কলেরা পড়া হয়নি। ইন এভিল আওয়ার এর বাংলা অনুবাদ টা পড়েছি । বাকিগুলোও পড়তে হবে কিন্তু সংগ্রহে নাই। মন খারাপ নাহ আনি আবার মন খারাপ করিয়ে দিলেন।
জন্মদিনে প্রিয় লেখক কে অনেক অনেক শুভেচ্ছা । সাথে আপনাকেও লেখাটার জন্য। চলুক

তারেক অণু এর ছবি

শুভেচ্ছা। জেনারেল ইন হিস ল্যাবিরিন্থ খুব শখ করে কিনেছিলাম, পড়া হয়ে উঠছে না।

আ স্টরি অফ আ শিপরেকড সেইলর আমার পড়া প্রথম মার্কেজ।

আস্তে ধীরে পড়েন, উনি নিজেও খুব আস্তে লিখেন !

ধূসর জলছবি এর ছবি

আমারও আ স্টোরি অফ আ শিপরেকড সেইলর প্রথম পড়া বই তার।
আস্তে ধীরে পড়লে কিভাবে হবে, এত হাজার হাজার ভাল ভাল বই, তারমধ্যে আপনি দুদিন পর পরই এ্ক এ্কটার কথা মনে করিয়ে দেন।

তারেক অণু এর ছবি
শিশিরকণা এর ছবি

লাভ ইন দ্য তাইম অফ কলেরার অখাদ্য অনুবাদ কে আবার ইংলিশে ট্রান্সলেট করে নিজের মত করে বাংলায় অনুবাদ করে করে পড়েছিলাম। কিছু কিছু বর্ণনা মগজের মধ্যে গেথে আজীবনের মত জায়গা করে নেয়, থেকে থেকে ভূতের মত তাড়া করে ফিরে।

ক্রনিকলস অফ এ ডেথ ফোরটোল্ড এর অনুবাদ পড়েও অসাধারণ লেগেছিল।

বাংলা অনুবাদ পড়ে কতটুকু রসাস্বাদন করতে পেরেছি, সন্দেহ আছে, আশা রাখি বড় হলে একদিন লেখকের নিজের ভাষায় পড়ে খাটি রস চেখে দেখতে পারবো।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

তারেক অণু এর ছবি

ইস, স্প্যানিশটা সড়গড় না হওয়া পর্যন্ত শান্তি নাই !

জালিস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-
কোলাকুলি

তারেক অণু এর ছবি
তাপস শর্মা এর ছবি

ছুঁয়ে যায়।

শুভ জন্মদিন মার্কেজ।

তারেক অণু এর ছবি

সে আমাদেরই লোক !

খেকশিয়াল এর ছবি

দারুণ লিখেছিস বন্ধু! কোলাকুলি
শুভ জন্মদিন প্রিয় লেখক! আরো একশ বছর বাঁচুন! লিখতে থাকুন ফাটিয়ে! জয় গুরু! গুরু গুরু

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

তারেক অণু এর ছবি

হ, অন্তত আরো ১০০ বছর ।

পরী  এর ছবি

প্রথমেই অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমার অনেক প্রিয় লেখককে নিয়ে লেখার জন্য।
কাউণ্ট অফ মন্টিক্রিষ্টো দিয়ে শুরু করি। তারপর একে একে ট্রেজার আইল্যান্ড,মেমরিস অফ মাই মেলানকলি হোরস, ক্রনিকল অফ আ ডেথ ফরটোল্ড পড়েছি। তারপর আর পড়া হয়ে উঠেনি। আবার শুরু করে দেব সময় পেলেই।
"জয় গুরু" গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ। শুভ জন্মদিন তোমায়।

পুনশ্চঃ আমি কেন ইমো দেখিতে পাচ্ছিনা মন খারাপ

হিমু এর ছবি

কাউন্ট অব মন্টেক্রিস্টো তো আলেক্সন্দ্র দ্যুমার। আর ট্রেজার আইল্যান্ড রবার্ট লুই স্টিভেনসনের। নাকি?

ব্যাঙের ছাতা এর ছবি

হ‌্যা, তার ই

তারেক অণু এর ছবি

শুরু করে দেন, আমিও আজকে একটা ব্যাগে নিয়ে নিলাম, সুযোগ পেলেই পড়া শুরু হবে।

পরী  এর ছবি

ধন্যবাদ হিমু ভাই ভুল ধরিয়ে দেয়ার জন্য।

জয়নাল এর ছবি

ভালই!

তারেক অণু এর ছবি
Debaroti Roy এর ছবি

ক্রনিকল অফ আ ডেথ ফরটোল্ড বই দিয়ে আমার মার্কেজের বই পড়া শুরু। তাই এবারের বইমেলায় আমি গিয়েছিলাম শুধু মার্কেজের বই কিনতে। কিন্তু পেলাম মাত্র একটা। ওয়ান হান্ড্রেড ইয়ারস অফ সলিচিউড। ওটাই পড়লাম গোগ্রাসে। বাকি গুলা কোথাই পাই কেউ বলবেন প্লিজ?

শুভ জন্মদিন মার্কেজ।

ধন্যবাদ অনু, এত সুন্দর লেখার জন্য। মার্কেজ সম্পর্কে অনেক নতুন তথ্য পেলাম।

তারেক অণু এর ছবি

শুভেচ্ছা।
ঢাকায় পাবেন নিশ্চয়, তবে মার্কেজ অনুবাদ খুব কঠিন কাজ।

ধূসর জলছবি এর ছবি

বুকওয়ার্ম নামে এটা দোকান আছে কেন্টনমেন্টে ঢুকার মুখে জাহাঙ্গির গেটের কাছে। ওখানে পাওয়া যায় ইংরেজি অনুবাদগুলো।

^_^ এর ছবি

হাততালি আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

তারেক অণু এর ছবি
প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

চলুক

তারেক অণু এর ছবি
তাসনীম এর ছবি

চলুক

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

তারেক অণু এর ছবি
পথিক পরাণ এর ছবি

হিমালয় থেকে আন্দিজ পর্যন্ত ঘুরে বেড়ানো। এরই সাথে রবীন্দ্রনাথ থেকে মারকেজ পর্যন্ত পড়ে ফেলা। এর ফাঁক ফোঁকরে আবার অসাধারণ কিছু ছবি দেখেটেখে তার জীবন্ত বর্ণনা দেয়া। আমি কেবল অবাক হয়ে ভাবি-- আপনি কিকরে পারেন এতসব সুন্দরের পায়ে শেকল পড়াতে!

লেখা অতি উত্তম হইসে।

-----------------------
পথেই আমার পথ হারিয়ে
চালচুলোহীন ছন্নছাড়া ঘুরছি ভীষণ---

তারেক অণু এর ছবি

লইজ্জা লাগে
চেষ্টা করি, চেষ্টা করতে ক্ষতি কি?
সুন্দরের পায়ে শেকল না, পিঠে পাখা গজানোর চেষ্টা করছি। !

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

এ লেখাটা তিনদিন ধরে পড়ার সুযোগ খুঁজছিলাম। আজ পড়ে ফেললাম হাসি

তারেক অণু এর ছবি

বলেন কি ! আপনি দেখি আমার মত টো টো!

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

প্রিয় লেখককে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই। (যদিও লেট মন খারাপ )
লিখা ভাল লাগল।

তারেক অণু এর ছবি

জানিয়ে দিলাম !

সুবোধ অবোধ এর ছবি

এমন এক দিনে লেখাটা পেলাম যেদিন আর প্রিয় লেখক টি নেই।
মন খারাপ

তারেক অণু এর ছবি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।