এক নাম না জানা প্রবাল দ্বীপের নির্জনতা ছেড়ে এক দল শ্যুটি পানচিল ( Sooty Tern, Sterna fuscata) দূর গন্তব্যে যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছে, যাত্রা শুরু পরপরই মা-বাবা পাখি উড়ালরত অবস্থায়ই সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে মাছ, স্কুইড ইত্যাদি খাদ্য সংগ্রহ করে তাদের ছানাদের খাওয়াতে থাকে। কিন্তু কবে তারা আবার ডাঙায় ফিরে আসবে, কেউই জানে না !
অতি হালকা দেহ, কোণাকৃতি ডানা এবং লেজ নিয়ে নিঃসন্দেহে পানচিল প্রজাতির পাখিরা অন্যতম শ্রেষ্ঠ উড়ুক্কু পাখি হবার দাবী রাখে, কিন্তু তাই বলে দীর্ঘতম উড্ডয়নের রেকর্ডে তাদের নাম অনেকেই কোন দিন কল্পনা করেন নি। এক্ষেত্রে জয়ের দাবীদার ছিল সুইফট্, অ্যালব্রাটস অথবা শিয়ারওয়াটার গোত্রের পাখিরা।
কিন্তু বর্তমান গবেষণায় বেরিয়ে আসছে অবিশ্বাস্য সব তথ্য- তরুণ শ্যুটি পানচিল তাদের প্রথম আবাসস্থল ত্যাগ করে সমুদ্রযাত্রা শুরুর পর কমপক্ষে চার থেকে পাঁচ বছর ডাঙায় অবতরণ করে না !!
৪-৫ বছর পর পূর্ণ বয়স্ক পাখি হিসেবে সে আবার তার জন্মভুমিতে ফিরে আসে! অবাক করা ব্যাপার হচ্ছে, এই পাখিরা সাঁতরাতে পারে না, তাদের পালক জলনিরোধক নয়, কাজেই অন্তত বলা যায় তারা জলে ভেসে ভেসে এই দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করে না!
এই দীর্ঘ ৪-৫ বছরে তারা কি ঘুমায়? ক্লান্ত হয়ে পড়ে না এই অতিভ্রমণে? সঙ্গম ঘটে কিভাবে? আবার ঝড়ের সময় তাদের পরিণতি কি হয়?
এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর আজও জানা নেই আমাদের, প্রয়োজন তাই নিবিড় গবেষণার।
(তথ্যসূত্র- Extreme Birds
আলোকচিত্রগুলো নেট থেকে সংগৃহীত। )
পালকাবৃত বন্ধুদের নিয়ে লেখা এই সিরিজটি সেইসব মানুষদের জন্য, এই গ্রহের প্রতিটি বুনো পাখির পালকে আমি যাদের প্রতিচ্ছবি দেখতে পায়--
ডেভিড অ্যাটেনবোরো
জেরাল্ড ডারেল
কনরাড লোরেঞ্জ
ইনাম আল হক
সালিম আলী
জেমস অডুবন
রজার টোরে পিটারসন
মন্তব্য
চলবে--
facebook
facebook
এই প্রকৃতিকে ভালোবাসতে জানলে পৃথিবীর আর কোন ভালোবাসার দরকার নেই আসলে মানুষের।
ক্যান যে মানুষ এই সুন্দর পৃথিবীতে বসে হুদাই স্বর্গের স্বপ্ন দ্যাখে...!
আরে স্বর্গ তো আমাদের চারপাশেই.... একটু চোখ মেলে দেখলেই হয়, কি বিস্ময়!!
এখানেই স্বর্গ, আর কোথাও হতে পারে না।
facebook
facebook
পৃথিবীতে এই রকম যা আছে অজানা, যা আছে অবিশ্বাস্য তার জ্ঞান আহরনে যারা আছেন তাদের ধন্যবাদ, আর তাদের মাঝে হয়তো তারেক আনু একজন তোমাকে ধন্যবাদ।
facebook
কয় কী!!
...........................
Every Picture Tells a Story
facebook
খাইছে !!
ডাকঘর | ছবিঘর
facebook
চার পাঁচ বছর???? কস্কী মমিন!!!!
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
There r more things in Heaven and Earth---
facebook
সুটি টার্নের বাংলা "শ্যুটি" পানচিল কেন? সুটির বাংলা করা যেতে পারে মিশিমাখা।
এর বিজ্ঞানসম্মত নাম (স্টের্না ফুসকাটা) থেকেও বাংলা করা যায় কিন্তু। ল্যাটিন ফুসকাটা মানে হচ্ছে "যাকে কালো করে দেয়া হয়েছে"।
ভালো বলেছেন। যারা বাংলা নামকরণের সাথে জড়িত সবাই শ্রীমঙ্গলে ব্যস্ত, মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে না পেরে আর নিজে নাম বসিয়ে দিই নি। আপনের দেওয়া নামটা জানাব।
facebook
এ যাবৎ করা নামগুলোর একটা তালিকা কি পাওয়া যাবে?
আছে, খুব তাড়াতাড়ি দেবার চেষ্টা করছি।
facebook
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
facebook
জানলাম বস
facebook
কিন্তু উইকিপিডিয়া তো দেখি বলছে -
আবার আম্রিকার ন্যাশনাল ওয়াইল্ডলাইফ ফেডারেশনের ওয়েবসাইটে আপনি যা লিখেছেন সেটাই বলছে। আর ঘুমানোর বিষয়ে তারা লিখছে -
১-২ সেকেণ্ডের জন্য ঘুমানো !!!
****************************************
হ ! অবশ্য অনেক পাখিই বাতাস ওড়ার সময় ঘুমিয়ে পড়ে ক্ষণিকের জন্য।
facebook
বাংলাদেশ বিমান এই তথ্য পাইলে কিন্তু খবর আছে।।
বিমান তো খালে-বিলে ঘুমায়, তাও মাঝে মাঝে।
facebook
মজাদার তথ্য পেলাম অণুদা। ধন্যবাদ।
পাখিদের নিয়ে আরও অনেককিছু জানার বাকি আছে মনে হয়। পরিযায়ী পাখির দল শীত গ্রীষ্মে হাজার হাজার মাইল পাড়ি দেয়। আবার একই পথে ঠিক ঠিক নিজ ডেরায় ফিরে যায়। মাটি থেকে অনেক উঁচুতে পাখির দল দিনে রাতে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে ভেসেই বেড়ায়। ওরা তো কম্পাস ব্যবহার করে না। তবুও ওদের কখনো দিক ভুল হয় না। পৃথিবীর সকল বাসিন্দাই কমবেশি অদ্ভুত।
---------------
পথেই আমার পথ হারিয়ে
চালচুলোহীন ছন্নছাড়া ঘুরছি ভীষণ---
ঠিক ! প্রাণ মাত্রেই অদ্ভুত এবং অনন্য !
facebook
আকাশজয়ী ও ঘুমজয়ী এক অবাক-পাখির কথা জানানোর জন্য অনেক ধন্যবাদ, অণু ভাই!
শুভেচ্ছা। ঘুমাই তারা ঠিকই, তন্দ্রার মত !
facebook
আমারতো ধারনা ছিল, 'অনুপাখি' !
facebook
ঠিক! বাংলায় এগুলির নাম দেয়া উচিৎ 'অণুপাখি'। খালি উড়তেছেই।
****************************************
facebook
কে বলতে পারে, ঐ আশ্চর্য পাখির পক্ষে হয়তো মাটিতে নামাই একধরনের ঝকমারি। হালকা বাতাসে ডানা ছড়িয়ে ভেসে থাকা, খাওয়া ঘুম সব ওভাবেই হয়তো ওদের ভালো লাগে। বড় বড় নানাধরনের মাছেদের কথা মনে পড়লো, তারাও তো ভেসে ভেসেই জীবন পার করে,নিচে মাটি ছোঁয় না। এখানে না হয় বাতাস,সেও হয়তো তলার দিকের হাওয়া ওদের বেশ ঘন লাগে,ধূলো ধূলো লাগে, কেজানে! উপরের হালকা হাওয়ার সওয়ার হয়েই ওরা হয়তো সুখে থাকে।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
সুন্দর বলেছেন
facebook
৪ / ৫ বছর কই থাকে এরা??
এই গ্রহেই! সাগর পাড়ি দেয়, আবার ফিরে আসে !
facebook
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
facebook
এরকম অনেকটা সময় 'ডাংগায়-না-ফেরা' বোধ হয় শিয়ারওয়াটার, পেংগুইন, পাফিন আর কিছু সাগরকাছিম এর মত প্রাণীরা করে থাকে। ডিম ফোটাতে শুক্নো জায়গা লাগাটা ডায়নোসরদের (পাখি ও কাছিমেরা আদতে বেঁচে থাকা ডায়নোসর) সাগরকে পুরোপুরি জয় করতে না পারার পেছনে একটা বড় অন্তরায়।
তিমি বা ডলফিনের মত খোলা সাগরের (প্য়ালেজিক) স্তন্য়পায়ীরা এই ঝামেলা থেকে মুক্ত।
ভালো বিশ্লেষণ করেছেন, কিন্তু পেঙ্গুইন তো ডাঙ্গাতেই থাকে!
দেখতে হবে ব্যতিক্রমী আর কি কি আছে।
facebook
আমিও ভেবেছিলাম পেংগুইন পাকাপোক্ত ডাংগার। আদতে দেখা যাচ্ছে কিছু প্রজাতি বছরের অরধেকটা সময় ডাংগায় আসেনা।
মানে সাগরে খাবার শিকার করে, কিন্তু তারপর বরফের উপর ফিরে বিশ্রাম ! তাই তো ?
facebook
না মনে হয়। এখানে বলছেঃ
" The penguins headed east as soon as they leave Kerguelen and travel long distances, swimming on average about 10,000 km...None of the birds came ashore during the six months of winter."
কৈ রে কেউ ধর আমায়।
কি অয়ছে !
facebook
আমি সব দিন মন্তব্য করার সময় ১০০ নাম্বারে থাকি। আফসুস।
কেন আজ তো ৫০ নম্বরে !
facebook
নতুন মন্তব্য করুন