অনেক অনেক দিন ধরেই ইতিহাবিদ এবং নৃতত্ত্ববিজ্ঞানীদের ধারণা ছিল দশ থেকে পনের হাজার বছর আগে বর্তমান তুরস্ক থেকে ইরাক পর্যন্ত বিস্তৃত নদীবিধৌত উর্বর উপত্যকায় মানুষ প্রথম কৃষিকাজ শুরু করে। যাযাবর শিকারির জীবন ত্যাগ করে ডেরা বাধায় মন দেয়, অনেক সাধনা করে বুনো উদ্ভিদ এবং পশুকে পোষ মানিয়ে নিজের প্রয়োজন মেটাবার তাগিদে পুনঃপ্রজননে সক্ষম হয়। এই ছোট ছোট মানবগোত্র থেকেই একসময় পত্তন ঘটে নগর সভ্যতার, আসে রাষ্ট্র, আসে ধর্ম, আসে অন্ধ বিশ্বাস, আসে লিখন পদ্ধতি, চিত্রকলা।
যদিও আফ্রিকা থেকে বেরিয়ে আসা যাযাবর গোষ্ঠীরও হয়ত নিজস্ব বিশ্বাস ছিল, তারা প্রকৃতির নানা দৃশ্য-অদৃশ্য বস্তু, শক্তি ইত্যাদিকে দেবতা হিসেবে আরাধনা করত, কিন্তু মানুষের বিশ্বাস যে আদি সমাজ গঠনে সহায়ক ছিল এমন ধারণা ছিল প্রশ্নেরও অতীত। কিন্তু প্রচলিত সব ধারণাকে গুঁড়িয়ে সত্যের আলোকে উদ্ভাসিত করেছে গোবেকলে তেপে।
গোবেকলে তেপে কি?
এটি নিওলিথিক যুগের মানুষদের তৈরি এক বিশাল স্থাপনা, আসলে এটি মানুষের বসবাসের জন্য নির্মিত কুঁড়েঘরের বাহিরে তৈরি প্রথম স্থাপত্যকলার নিদর্শন। নির্মিত হয় ১২,০০০ বছর আগে! এর অবস্থান বর্তমান দক্ষিণ তুরস্কে।
কেন নির্মাণ করা হয়ে ছিল গোবেকলে তেপে ?
আমাদের প্রাপ্ত প্রমাণ সাপেক্ষে এটি পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন উপাসনালয়। নিওলিথিক যুগের স্তব্ধতায় মুখর শিকারি, পশুপালক এবং নব্য কৃষকেরা এখানে আসতেন তাদের মনে গজিয়ে ওঠা ঈশ্বরদের নৈবদ্য দিয়ে পরের বছরের সুখাদ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে। একটা ধারণা হচ্ছে, দেবতাদের সাথে সাথে মৃতদের কল্পিত আবাস হিসেবেও হয়ত এটি ব্যবহৃত হত। বৃটেনের স্টোন হেঞ্জের চেয়ে এটি দ্বিগুণ পুরনো।
এখন পর্যন্ত বিশাল মন্দিরটির মাত্র ১০ ভাগ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে, এবং বোঝা যাচ্ছে এখানে হয়ত স্থায়ী ভাবে মানুষ বসবাস করত না কখনোই, কেবল মাত্র বছরের নির্দিষ্ট সময়ে বিভিন্ন গোত্রের মানুষ আলাদা আলাদা ভাবে এসে একসাথে অর্পণ করত তাদের উপহার। সেই হিসেবে বিশ্বের প্রথম উপাসনালয়ের সাথে সাথে প্রথম তীর্থও গোবেকলে তেপেই। এইখানেই জন্ম নিয়েছিল আদি ধর্মের, যা পরবর্তীতে মানব বসতি বিস্তারের সাথে সাথে নানা রূপে নানা গল্পে ছড়িয়ে গেছে সারা গ্রহে এবং এখনো ছড়াচ্ছে।
কেমন ধরনের স্থাপনা গোবেকলে তেপে?
অবিশ্বাস্য ধরনের জটিল এবং বিস্তৃত। মনে রাখতে হবে ১২,০০০ বছর আগে আমাদের চাকা ছিল না, পরিবহনের কাজে গবাদি পশুর ব্যবহার তখনও উদ্ভব হয় নি, কোন রকম ধাতু ব্যবহার জানা ছিল না, লিখন পদ্ধতি, কুমোরের কাজ ছিল অজানা। অথচ তারাই ১৬ টন ওজনের একেকটি প্রস্তরস্তম্ভকে পালিশ করে, তাতে নিজস্ব দেবতা বা টোটেম খোদাই করে সেটি আবার জায়গামত স্থাপন করে ছিল, সে এক সত্যিকারের বিস্ময়। তবে এই কাজে প্রয়োজন হয়েছিল ব্যপক জনবলের, কাজেই অনেক গোত্র যে একসাথে এই ব্যাপারে কাজ করেছিল তা নিঃসন্দেহে ধরে নেওয়া যায়।
সেখানে স্থাপিত অনেক স্তম্ভের মধ্যে উচ্চতমটি ১৮ ফিট উঁচু, ওজন ১৬ টন! ২২ একর জমিতে ২০টি উপাসনালয়ের সন্ধান পাওয়া গেছে, একটি মন্দির নির্দিষ্ট সময়ের পরে পুরনো হয়ে গেলে নতুন একটি নির্মাণ করা হয়েছে , মুল স্তম্ভ T বর্ণের আকৃতির হবার কারণ হিসেবে বলা যায়, তারা সম্ভবত মানুষের প্রতিনিধিত্ব করছে, আর সেইগুলোর গোঁড়ার দিকে খোদাই করা প্রাণীগুলো তাদের কাছে পুতপবিত্র, হয়ত তারা মনে করত এই প্রাণী গুলোই তাদের দেখ ভাল করে, সেখানে আছে বৃশ্চিক, বন্য বরাহ,সর্প, সারস, শেয়াল, শকুন ইত্যাদি।
এগুলো ছিল আত্মার প্রতীক, অন্য কোন রহস্যময় জগতের প্রতীক, যা নিয়ে তাদের চিন্তা ভাবনা শুরু হয়েছিল গভীর ভাবে
যদিও বোঝা যাচ্ছে, সেই যাযাবর মানুষেরা নির্মাণ কাজের পরিকল্পনায় খুব একটা দক্ষ ছিলেন না , প্রায়শই মুল স্তম্ভ গুলো স্থাপন করা হয়েছে ভুল জায়গায়। রহস্যময় কারণে প্রতি কয়েক দশক পরপরই নির্মিত উপাসনালয়ের কার্যকারিতা শেষ হয়ে যেত, তখন তারা আবার নতুন করে মন্দির গড়া শুরু করত। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে যাবার সময়ে অজানা কারণে তাদের নির্মাণ দক্ষতা ক্রমাগত কমতে থাকে, স্তম্ভগুলো ছোট হতে থাকে, তাতে যত্নের অভাব বোঝা যায়, কেমন যেন দায়সারা ভাবে হতে থাকে সব কাজ, অবশেষে ১০,২০০ বছর আগে গোবেকলে তেপের পতন ঘটে, কোনদিনই এই সত্যিকারের জাদুঘেরা জায়গাটি আর আগের স্বর্ণযুগে ফিরে যায় নি।
কয়েক দশক আগেও গোবেকলে তেপে নিয়ে বিজ্ঞানীদের কোন বিশেষ চিন্তা ছিল না, কারণ তারা ভেবে ছিল এটি বাইজেনটাইন সাম্রাজ্যের সময়কার কোন নিদর্শন, পরবর্তীতে জার্মান প্রত্নতত্ত্ববিদরা এই খানে বিশদ গবেষনা চালাতে যেয়ে নিজেদের সাথে সাথে সারা বিশ্বকে হতভম্ব করে দেন। বছর বিশেক আগেও নিওলিথিক যুগের মানুষদের নিয়ে আমাদের ধারণা ছিল, ক্ষুদে ক্ষুদে গোত্র পশুশিকারে ব্যস্ত, মাঝে মাঝে পর্যবেক্ষণ করে দেখছে বুনো পশু এবং উদ্ভিদ পোষ মানানো যায় কিনা।
তাদের পরস্পরের সাথে যোগাযোগ হত খুব কম, অর্থাৎ এদের বিশাল কোন স্থাপনা গড়বার মত জনবল এবং যোগাযোগ ক্ষমতা থাকবার করা নয়, সেই সাথে নির্মাণকাজের সময় রসদের জোগাড় দেওয়াও অসম্ভব বলা চলে, প্রত্যেক গোত্রের ছিল আলাদা আলাদ উপাস্য, ভিন্ন ভিন্ন পুরোহিত, তারা নিশ্চয়ই এক সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কোন উপাসনালয় গড়বেন না। এরপর মাটি খুঁড়ে পাওয়া গেল গোবেকলে তেপে!
বিজ্ঞানীরা বললেন বারো হাজার বছর আগের যাযাবরদের তৈরি এই সুমহান স্থাপনা তাদের ততটাই অবাক করে দিয়েছে, যেন কোন মানুষ একটা তার বাড়ীর বেসমেন্টে বসে একটি ভোঁতা ছুরির মাধ্যমে বোয়িং ৭৪৭ বিমান করলে হবে।
আগুনের ব্যবহারের পরে বলা হত নিওলিথিক যুগের মানুষদের চাষাবাদের সূত্রপাতই মানব সভ্যতার মোড় ঘুরিয়ে দেয়, নির্দিষ্ট জমিতে কিছু বুনো ফসল ( গম, বার্লি) বাড়তে দেখতে হলে তাদের দেখ ভালের জন্য মানুষকে যাযাবরবৃত্তি ত্যাগ করে ডেরা বাঁধতে হল, জন্ম ছিল পৃথিবীর প্রথম গ্রামগুলো, বাড়তে থাকল তা কলেবরে। অতি উর্বর সেই ত্রিভুজাকৃতি ভূখণ্ডেই ঘটে সভ্যতার এক উম্মেষ, বর্তমানে দক্ষিণ তুরস্ক- সিরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে শুরু হয়ে যার বিস্তার ছিল মেসোপটমিয়ার টাইগ্রিস-ইউফ্রেতিস বিধৌত অঞ্চল পর্যন্ত।
কিন্তু গোবেকলে তেপের আবিস্কারের ফলে বোঝা যায় কৃষিকাজের প্রারম্ভেই সভ্যতার অন্যান্য মাপকাঠির বিস্তারের আগেই হয়ত ধর্ম মানুষের সমাজ গঠনে অন্যতম ভূমিকা পালন করেছে, হয়ত মানুষ যখন শিকারির পেশা ছেড়ে প্রকৃতির উপর প্রভুত্বের মিশন হাতে নিয়েছে ( ক্রস ব্রিডিং- এর মাধ্যমে নব জাতের পশু উৎপাদন, নব জাতের ফসল উৎপাদন ) তখন থেকেই অজানা বিস্ময়গুলো তাদের কাছে অন্য রূপে ধরা দিয়েছে, সেই অন্য কল্পিত ভুবনে পৌঁছানোর জন্যই তারা প্রাণীদের মূর্তি খোদাই করে শুরু করেছিল পূজা অর্চনা, ধারণা করেছিল- এই প্রাণীগুলোই হবে সেই অজানা জগতের দূত। এভাবেই শুরু হয় ধর্মের, যার ভিত মানব মনের এবং ইতিহাসে অনেক অনেক গভীরে।
গোবেকলে তেপের মুল গবেষক ডঃ স্মিড ( Klaus Schmidt) এই কারণেই মনে করেন- কুড়ি বছর আগেও আমরা মনে করতাম মানব সভ্যতা গড়ে ওঠার পিছনে মুল কারণ আমরা মনে করতাম জলবায়ুর পরিবর্তন, কিন্তু আজ আমরা কেবলমাত্র বুঝতে আরম্ভ করেছি মানব সভ্যতা গড়ে উঠেছে মানবমনের কিছু ধ্যান ধারণার জন্যই।
তথ্য সূত্র—ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক পত্রিকা, জুন, ২০১১
Inside the Neolithic Mind-- David Lewis-Williams, David Pearce
( সামান্য এই লেখাটি বাংলার প্রাতঃস্মরণীয় দার্শনিক, লেখক, জ্ঞানপিপাসু আরজ আলী মাতুব্বরের পুন্যস্মৃতির উদ্দেশ্যে। আমার চারপাশের না-পড়া বইয়ের পাহাড়ের দিকে যখনই চোখ পড়ে আরজ আলী মাতুব্বরের কথা , প্রতিটি বই জোগাড় এবং পড়ার পিছনে তার পরিশ্রমের কথা মনে করে আমি লজ্জায় মাথা নত করি, প্রতিদিনই। আমাদের অলস বাঙ্গালী সমাজে অন্য সব কিছু বাদ দিয়েও এমন পরিশ্রমী পাঠক থাকতে যে পারেন, যিনি একটি বই পড়ার জন্য ১৪ মাইল হেঁটে গ্রন্থাগারে যেতেন , যিনি নিজের জীবনের সমস্ত সঞ্চয় দিয়ে গণগ্রন্থাগার স্থাপন করেছিলেন, এমনকি সেই গ্রন্থাগারের মজুর হিসেবে নিজে কাজ করেছেন যাতে সেই অর্থ দিয়ে একটি হলেও বই বেশী ক্রয় করা যায়, এমনটি কেবলই গল্প মনে হয়।
আরজ আলী মাতুব্বর, আপনি আমাদের জ্ঞানের আকাশে অনুসন্ধান চালানোর জন্য দীপ্ত ধ্রবতারা। )
মন্তব্য
জানতামই না এর কথা। অসাধারন ভাল লেগেছে জেনে। আর ধন্যবাদ আপনাকে, জানানোর জন্য। সচল পড়ে পড়ে আমি অনেক কিছুই জেনেছি, সেই ঝুলিতে আপনার অন্যান্য মনি-মুক্তার সাথে আরো একটি মুক্তা যোগ হল।
ধন্যবাদ।
এই স্থানটি নিয়ে এখনো অনেক গবেষণা চলেছে, পর্যটকদের কাছে ব্যপক জনপ্রিয় এখনো হয় নি, কিন্তু হয়ে যাবে।
facebook
facebook
এটাও তো সেই টাইগ্রিস/ইউফ্রেতিসের মাঝখানে তাই না? ভাবতে অবাক লাগে নীল-টাইগ্রিস-ইউফ্রেতিস এই তিনটা নদী মানবসভ্যতায় কি অসাধারন অবদান রেখেছে।
****************************************
এটা আসলে আরো অনেক উপরে, বলা যায় পাহাড়ি অঞ্চলের পাদদেশে।
facebook
ম্যাপে নিকটবর্তী যে নদী দুইটা দেখা যাচ্ছে, ঐ গুলা টাইগ্রিস/ইউফ্রেতিস না ? আমি আসলে বিশেষভাবে মরু অঞ্চলে এবং সাধারন ভাবে যে কোন জায়গায় প্রাচীণ সভ্যতাগুলির স্রষ্টা মানুষের সাথে 'নদী'-র একটা অবিচ্ছেদ্য সম্পর্কের কথা বলতে চাইছিলাম। এগুলি অন্য কোন নদী হলেও আসলে কিছু আসে যায় না, তবে ম্যাপের ঐ নদী দুইটার নিশ্চয়ই কিছু ভাইটাল ভূমিকা ছিল ঐ মানুষ গুলির জীবন যাপনে।
****************************************
আসলেই, নদী মাতা ! ইউরোপে যখন মানুষ প্রথম আসে, দানিয়ুব ধরেই নাকি শুরু হয়েছিল তাদের পথ চলা, বিকাশ।
facebook
মিলান্কোভিচ সাইকেলের তত্ব যদি সত্য় হয়, তাহলে কিন্তু মিশর, ইরাক, সিন্ধু অববাহিকার কোথাও সেইসব সভ্য়তার চালু সময় সেখানে মরুভূমি ছিলনা। দক্ষিন মিশর-সুদান সহ পুরো সাহারা মরুভূমি ছিল সাভানা, আর ইরাক ও থর মরু এলাকা ছিল নদী অববাহিকা।
ছিল না, খোদ সাহারার বয়সই ধরা হয় ১০ হাজার বছর, এমনকি ২ হাজার বছর আগেও তা ছিল জলাভূমি ধরনের জায়গা।
facebook
আরো নদী আছে তো। গংগা-ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় সিরিয়াস কোন অনুসন্ধানই তো এখনো হয়নাই।
ঠিক।
facebook
অনেক কিছু জানলাম।
পোস্টে
আরজ আলী মাতুব্বরের মত অজানাকে জানার ইচ্ছা সব বাঙালীর মাঝে বিকশিত হোক।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
দারুণ বলেছেন-- আরজ আলী মাতুব্বরের মত অজানাকে জানার ইচ্ছা সব বাঙালীর মাঝে বিকশিত হোক।
facebook
কাকা তুরস্কে একবার গিয়েছিলাম তখন এ সম্পর্কে জানতাম না। আবার যদি যাই তবে আশা করি দেখবো। আরজ আলীর কথা শেষে পরে মনে হলো আমি নতুন জন্ম পেয়েছি এই মানুষটির জন্য।
এটি তুরস্কের জনপ্রিয় আকর্ষণগুলোর থেকে অনেক অনেক দূরে। আমারও যাওয়া হয় নি, কিন্তু পরের বার অবশ্যই যাব।
facebook
বিষয়টা আরো ডিটেইলসে জানা দরকার। কেননা ছবিগুলো আসলে আমাদের নিজস্ব ব্যাখ্যার আলোকে কম্পিউটারে তৈরি, তা বুঝতে সহায়ক অবশ্যই। কিন্তু যে আমলে তখনো চাকা আবিষ্কার হয়নি, সে আমলে এমন প্রাযুক্তিক উৎকর্ষ ভাবতেই ব্যাখ্যাহীন একটা অবিশ্বাস দানা বেঁধে ওঠে।
মাথার মধ্যে অনেকগুলো অব্যক্ত প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে। হতে থাকুক ! ধন্যবাদ অণু।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
সত্য দাদা, ২০ বছর আগেও এমন কথা বললে বিজ্ঞানীরা হেসেই উড়িয়ে দিত !
ব্যপক গবেষণা চলছে, দেখা যাক, নতুন রিপোর্ট পেলেই লিখব।
facebook
facebook
খুব ভাল লাগলো লেখা খানা। এই ঘটনা পড়ার পর থেকেই মাথায় ঘুরছে যে কেন আর্কিওলজিস্ট হলাম না
আমারও খুব হতে ইচ্ছে করে, কিন্তু ভাষা একটা মহা সমস্যা, প্রাচীন সব ভাষা জানতেই হবে বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে!
facebook
মিশর যাওয়ার আগে হিরোগ্লিফিক্সটা একটু বুঝে যেয়েন কিন্তু। আধাখেঁচড়া হলেও। নাহলে বহু কিছুই মিস্ করবেন!
****************************************
আসলেই ! আমি তো ভাবছি ভুলে বসা আরবি ঝালাই করব- কাইফা হালুকা !
facebook
ইন্টারনেটে কিন্তু হিরোগ্লিফিক্স শিখানোর অনেক সাইট আছে
****************************************
তাহলে আর কি ! হে, যেন আব্দার
facebook
চমৎকার! কিছুই জানা ছিল না, ধন্যবাদ আপনাকে।
facebook
আর একটু আলোচনার লোভ সামলাতে পারছি না। গোবেকলে তেপে যে অঞ্চলে রয়েছে ইতিহাসে, বিশেষ্ত ধর্মের ইতিহাসে জায়গাখানি খুব বিখ্যাত। ওখানে গোবেকলি তেপে ছারাও নেভালি করি আছে। সেটাও প্রায় ৯০০০ BC র সেটেলমেন্ট।
ওর পাশেই রয়েছে সালিনফুরা। এটাই নাকি বাইবেল বর্নিত উর, আব্রাহামের জন্মস্থান। সালিনাফুরা তেই আছে সেই মাছেদের পুকুর খানা যেখানে নিমরোদ আর আব্রাহামের ঝগড়া ঝাটি হয়। খুব ফেমাস টুরিস্ট স্পট।
হারান জায়গাটাও খুব কাছে যেখানে সপরিবারে কিছুদিন কাটিয়েছেন আব্রাহাম।
ঐ পুরো অঞ্চলখানি জুড়েই তিন আব্রাহাম জাত ধর্মের লেজেন্ড ছরিয়ে। জায়গটা সত্যি বার্থপ্লেস অফ রেলিজিয়ন।
বহু রহস্য লুকিয়ে আছে আশেপাশে।
এর কাছেই আর একটা জায়গা Sogmatar। এটার ব্যাপারে খুব ডিটেলস পাওয়া যায় না গুগল কাকুর থেকে। এই জায়গায় পাথরের তৈরী পাগান মন্দির ভর্তি। সুর্য, চাঁদ ইত্যাদির মন্দির আছে ওখানে। এগুল প্রায় 2nd Century ADর। তো খ্রীষ্টধর্মের ঐ বাজারে তখনো পাগান গডদের উপাসনা চলছে এই জায়গায়। কি আদ্ভুত। একদিকে আব্রাহাম অন্যদিকে পাগান ভগবানরা। পুরো জায়গায় আর কত রহস্য এখনো ধুলোর নীচে আটকে আছে কে জানে।
ধন্যবাদ।
সালিনফুরার কথা ছিল এই লেখাতে, কিন্তু সেটি অনেক পরের বিবেচনা করে আর লিখা হয় নি। দারুণ ব্যাপার স্যাপার।
facebook
গোবেকলি তেপে- হবে মূল উচ্চারণ, আপনি ঠিক লিখেছেন, আমি তুর্কি বন্ধুকে ফোন করলাম উচ্চারণ জানার জন্য, একেক বার একেক রকম মনে হয় !
facebook
ঃ) উচ্চারণ টা অনেকদিন ধরে মনে রাখার চেষ্টা করেছি। আর আপনাকে যথেষ্ট হিংসা করি আমি। যখনই নতুন কোথাও বেড়াবার খবর দেখি আপনার ঃ)
আরে হিংসার কিছুই নাই, দেখেন এই জায়গাটাতেই যেতে পারলাম না এখনো! তবে পরের বার তুরস্ক গেলে আর মাপ হবে না !
facebook
গেলে খবর নিয়ে যাবেন ভাল করে। ট্যুরিস্ট allow করে কিনা জানিনা। এখনো কাজ চলছে নানা রকম।
যেতে দেয়, অন্তত কিছু স্তম্ভ কাছে থেকেই দেখা যায়। আপনি গিয়েছিলেন নাকি? লেখুন না সেইটা নিয়ে, দারুণ হবে।
facebook
উইকিপিডিয়া কিন্তু 'উর'-এর লোকেশন বিষয়ে অন্য কথা বলছে।
****************************************
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকে বলছে এই জায়গার কথাই ! দেখা যাক, তবে এক বইতে পেয়েছিলাম এর অবস্থান ইরাকে !
facebook
উইকি ইরাকের কথাই বলছে। তাছাড়া বাইবেলে বর্ণিত আরো অনেক নবী-পয়গম্বর নূহ, আব্রাহাম ইত্যাদির জন্মস্থান বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ইরাকেই লোকেট করা হয় - সুমার/মেসোপটেমিয়া/ব্যাবিলন ইত্যাদি জায়গায়। এমনকি 'গার্ডেন অফ ইডেন' বা স্বর্গ/বাইবেলীয় নন্দনকাননকেও সুমার অর্থাৎ দক্ষিণ ইরাকে বেশির ভাগ গবেষক লোকেট করেন বলেই জানি। উইকিসহ আরো বহু জায়গাতে তো সেরকমই দেখছি।
****************************************
ভেজাল তথ্য অনেক কিছু নিয়েই আছে দেখি
facebook
নাহ আমি যাই নি ঃ( যাস্ট বই পড়ে ধারনা। উরের লোকেশান নিয়ে দ্বিমত আছে। তবে এটাও একটা লোকেশান। আর ম্যাক্সিমাম লোক এটাকেই মানে এখনো।
আমিও তাই পেলাম !
facebook
আরজ আলি মাতুব্বরের প্রতি শ্রদ্ধা। লোকটির পর্যবেক্ষণ শক্তি অসাধারন।
লিখা চমৎকার। আরো কিছু গুগল করে দেখি কি পাই। ন্যাট জিওর ভিডিও আছে কিনা কে জানে এর উপর, পেলে ভাল হত।
..................................................................
#Banshibir.
থাকবে নিশ্চয়। ওরা তো ম্যাগাজিনে আসলেই ডকু করে ফেলে।
facebook
এই অঞ্চলের লোকে পরে সারা পৃথিবীতে রাজ করেছে তাই এই ধর্ম বা এর ইতিহাস নিয়ে আমরা আগ্রহী। এই যদি মায়া-সভ্যতার লোকজনে পৃথিবীতে রাজ করত - তাহলে আমরা এখন ২০১২ তে সভ্যতার অন্ত হবে কিনা তা নিয়ে জল্পনা করতাম হয়ত।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
হয়ত, কিন্তু নিওলিথিকরাইতো আমাদের আদি পিতা! আফ্রিকা ছাড়ার পর মানুষ এই উর্বর এলাকাগুলোতেই গড়ে তুলেছিল সভ্যতার ভিত্তি।
facebook
এই অঞ্চলে এক গাদা জাতির সভ্যতার শুরু। তিনটে বড় ধর্ম ছারাও আর্য দের বৈদিক ধর্মও হয়তো এমন কোনো জায়গা থেকেই শুরু হয়েছিল। আমাদের পুরানেও নোয়ার মতন বন্যায় নৌকো নিয়ে ভাসা আছে। আর অসুর রাত আছেই বেদ জুড়ে। ইন্দ্র সহ সব অসুর রাই বেদের দেবতা।
ভেবে পাই না যে মিশরের সভ্যতা এত আলাদা হলো কি করে যদি ধরে নি আফ্রিকা থেকে মানুষ প্রথম এই অঞ্চলে এসে বসবাস শুরু করে।
নোয়ার বন্যা তো প্রমাণ মোতাবেক কৃষ্ণ সাগর তীরে হয়েছিল।
সেই মিশরীয়রা হয়ত মধ্যপ্রাচ্য থেকে ফিরে যেয়ে ফের বসতি স্থাপন করা মানুষ।
ভেবে কুল পায় না সাইবেরিয়া থেকে মানুষ আমেরিকা গেছে ১৩ থেকে ১৫ হাজার বছর আগে, তার পরপরই এত অল্প সময়ে কি শত গোত্রে পরিণত হল, কত সভ্যতার, ভাষার জন্ম দিল! কি অদ্ভুত আমাদের নিজেদের ইতিহাস !
facebook
ঠিক এমনি বন্যার বর্ননা আছে বিষ্ণু পুরাণে। জগৎ ভেসে যাবে, নৌক করে প্রলয়ের মধ্যে বেঁচে থাকবেন কয়েকজন রিষি। হয়তো একই জায়গা থেকে শুরু বলে অনেক কমন ঘটনার ছাপ রয়ে গেছে চারদিকে। দক্ষিন পুর্ব এশিয়ার আর্যরা বহু আগে এদিকে চলে এসেছেন বলে অনেক বেশী ডাইভার্টেড। সেখানে ইহুদি, মুসলমান আর খ্রীস্টানদের বেসে মিল অনেক বেশী।
ভেবে দেখুন চীন জাপানেঅ কেমন সভ্যতা কেমন আর আলাদা হয়ে গেল।
আচ্ছা রামায়নের সাথে হেলেন ও ট্রয়ের কাহিনির কি কোন মিল আছে? এ প্রসঙ্গে জয়ান্তানুজ বন্দোপাধ্যায়ের বইতে কি যেন পড়েছিলাম।
****************************************
এইটা শুনি নাই, খুলে বলেন তো ! তবে শিব নামের দেবতা খাঁটি আরবি মাল, মধ্যপ্রাচ্য থেকে আমদানি যে কারণে শিবের পারিবারিক ইতিহাস আর্য পুরাণে বেশী নাই।
facebook
শিব/ কালী এরা মূলতঃ অনার্য দেব-দেবী। আর্যরা অনার্যদের সাথে সন্ধি করতে তাদের অনেক দেব-দেবীকেই আত্মস্থ করে নেয়। আর প্রাক-ইসলামিক আরবদের বহু দেবদেবীর সাথে ভারতীয় দেব-দেবীদের মিল থাকাটা অস্বাভাবিক নয়, হিন্দু দেব-দেবীদের সাথে গ্রীক দেব-দেবীদেরও দারুণ সাদৃশ্য। আসলে দুনিয়া জুড়ে তো এক মানুষ, একটু এদিক আর ওদিক। কেন যে আমরা নিজেকে অন্যের চেয়ে অন্যরকম ভাবতে যাই?
এর কারন মনে হয় আমরা আমাদের বর্তমানের অনেক সঙ্কীর্ণ কালবদ্ধ বায়াস ও এজেন্ডাকে অতীতে প্রোজেক্ট করতে চাই, যেটা আসলে ওখানে নেই।
****************************************
কেন কেন !
facebook
বিস্তারিত মনে নাই। মূল বইটা খুঁজে পেলে বলবো নে। দেবতার মিল আরও আছে - প্রাচীণ ইরানিদের সাথে। আর শুধু আর্য না, দ্রাবিড়দেরও সাথে প্রাচীন পার্শিয়ার আশ্চর্য সব মিল আছে। নৃতাত্ত্বিক প্রেক্ষিতের বিচারে যেটা হয়তো খানিকটা আশ্চর্য লাগে। মিলটা মূলত বর্তমান ইরানের পশ্চিম ও দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলে প্রাচীনকালের 'ইলাম' অঞ্চল বা জনগোষ্ঠীর ভাষার সাথে দ্রাবিড় ভাষায় আশ্চর্য কিছু সাদৃশ্য। এইটা আরেক বইতে বেশ বিস্তারিত পড়েছিলাম, কিন্তু হাতের কাছে নেই। তবে উইকি দেখুন কি বলছে -
"Some scholars have proposed that the Elamite language could be related to the Munda Language of India, some to Mon–Khmer and some to Dravidian languages,[11] in contrast to those who denote it as a language isolate.[12] David McAlpine believes Elamite may be related to the living Dravidian languages. The hypothesis is considered under the rubric of Elamo-Dravidian languages." [এখানে বিস্তারিত পাবেন]
****************************************
ভয়ানক কেস খেলাম। ক্রোম থেকে লিখে সাবমিট করতে গিয়ে পুর আটকে গেল Ajax error দিয়ে।
মৎস্য পুরাণ বলে, একদিন মনু (মনুর সন্তান মানব বা মানুষ ; মনু + ষ্ণ) স্নান করতে গিয়ে খুজে পান এক ছোট্ট মাছ। মাছ মনুর কাছে আশ্রয় চায়। মনু তাকে তুলে এনে ছোট জলভরা পাত্রে রেখে দেন। সেই অদ্ভুত মাছ হু হু করে বড় হতে থাকে। তখন মনু তাকে পুকুরে, দিঘী তে, শেষে সমুদ্রে গিয়ে রেখে আসেন আর বলেন যে আপনি ত সাধারন মাছ নন, নিশ্চয় কন দেবতা। তখন বিষ্ণু দেখা দিয়ে বলেন যে ওহে খোকা, আমি ই মাছ ছিলাম। আমাকে তুমি চিনতে পারো নি। কিন্তু আমি তোমার ওপর খুব খুশী। কদিন পরেই খুব প্রলয় হবে। তুমি এক নৌকো বানাও। তাতে তুমি থাকবে আর থাকবে সব শষ্য গাছ পালার বীজ ইত্যাদি এবং থাকবে সপ্ত রিষির দল। বাসুকি নাগ তোমার নৌকা কে বেঁধে রাখবে আমার সাথে। তারপর প্রলয় হলো। মনু নৌকায় থেকে বেঁচে গেলেন এবং নতুন প্রান আনলেন পৃথিবীতে।
তো এই ঘটনার সাথে নোয়ার ঘটনার খুব মিল। আমার মনে হয় একসময় আর্য জাতি ভয়ানক বন্যা দেখেছিল। তার ই ছাপ লেজেন্ড গুলতে ছরিয়েছে। ভারতের দিকে আসা আর্যরা অনেক আগে ভাগ হয়ে গেছিল তাই গল্পটা কিছু টা আলাদা হয়তো।
আইস এজের বরফ গলে বন্যা হয়েছিল নাকি !! জানি না।
আর একটা ব্যাপার ক্লীয়ার যে মনু বাঙালী ছিলেন না। মাছ টা কে ঝালে ঝোলে খেয়ে ফেলেন নি। মুলতঃ এই কারনে Northern India তে বাঙালী হিন্দু দের নীচু চোখে দেখা হয়। মচ্ছি খোর বাঙালী বলা হয়। আমি বিভিন্ন ধর্মস্থানে গিয়ে এই জিনিস দেখেছি। এর সুবিধেও আছে। কেদার বদ্রীর মতন জায়গায় মচ্ছি খোর বাঙালী দের পেছনে পান্ডা দের ভীড় কম হয়। পয়সার জন্য বিরক্ত করে না।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের একটা অসাধারণ ডকু আছে নোয়ার বন্যা নিয়ে, অঙ্ক কষে প্রায় বাহির করা গেছে সেই বন্যার অঞ্চল, কৃষ্ণ সাগরের তীরবর্তী, হয়ত বানভাসি লোকজনেরা বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়ে বানিয়েছে নানা ধরনের গল্প।
facebook
প্রথমে আপনাকে অনেক ধন্যবাদ । অনেক কিছু জানলাম।
নোয়ার কৃষ্ণ সাগরের আশেপাশে সৃষ্ট প্রবল বন্যায় বানভাসি লোকজনের বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়ার ইতিহাস আপনার কাছে একটু জানতে চাচ্ছি । কারন, অনেক ঐতিহাসিকের মতে পারস্য কিংবা কৃষ্ণ সাগরের আশেপাশে অঞ্চল থেকে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়াতে (ইন্ডিয়াতে )আর্য জাতির আগমন ঘটে ।আবার অন্যদিকে বর্তমান ইন্ডিয়ান ঐতিহাসিকের মতে Northern India বা ইন্ডিয়ান অঞ্চল হতে আর্য জাতি পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে। সারা পৃথিবীর মানুষ আসলে উৎসের দিক থেকে আর্য জাতির কিংবা হিন্দু ধর্মের অনুসারি । ইত্যাদি ইত্যাদি । ব্যাপারটা কিছুটা হলেও linearized ভাবনায় ছেদ পড়ে। ধর্ম ছড়িয়ে পড়ার ইতিহাসটাও কিছুটা ধোঁয়াশা লাগে। মোদ্দাকথা আর্য জাতির বিস্তার সম্বন্দে সঠিক ইতিহাসটা জানতে চাচ্ছি ।
হেলেনকে চুরি করে ট্রয়ে নিয়ে এসে নিজের এবং নিজের দেশের বারোটা বাজিয়েছিল প্যারিস।
সীতাকে চুরি করে লংকায় নিয়ে এসে নিজের এবং নিজের দেশের বারোটা বাজিয়েছিল রাবণ।
দুই আখ্যানেই আছে দেবতাদের হস্তক্ষেপ আর প্রতারণার মাধ্যমে বিপক্ষের জয়। এই রকম সারফেস লেভেলের মিল পাচ্ছি।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
আর নোয়ার বন্যা তো সে গিলগামেশ থেকে শুরু করে সবখানেই বর্তমান, এমনকি চীন দেশের পুরাণ কথায়ও !
facebook
তার কারন সম্ভবত আফ্রিকা থেকে মানুষ পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ার অনেক অনেক পরের ঘটনা 'মিশরীয় সভ্যতা'। আর সব সভ্যতারই কিছু নিজস্ব বৈশিষ্ট্য থাকে, কিন্তু এদের সবার মধ্যেই প্রচুর মিথস্ক্রিয়া ছিল।
****************************************
সত্য। আবার জাপানীদের সবচেয়ে কাছের লোক হিসেবে পাওয়া গেল পেরুর এক ইন্ডিয়ান গোত্রকে, অবশ্য এখন ডি এন এ ম্যাপিং চালু হওয়ায় অনেক সহজ হয়ে এসেছে এমন হিসেব, যেমন ইস্টার দ্বীপে কোন ল্যাতিন আমেরিকানের সন্ধান মিলছে না, আগে যেমনটি ভাবা হত।
facebook
ডি এন এ ম্যাপিং বড় অদ্ভুত জিনিস। কোনদিন হয়ত জানা যাবে আমি ই এক কালে ফারাও ছিলাম। ঃ)
কিন্তু ইজিপ্ট নিয়ে যেটা বলতে চাইছি সেটা হলো যে ইজিপ্টের মানুষ্জনের এই নতুন কালচার এলো কোথা থেকে। ৩৫০০ BC তে এই মানুষজ্ন নীলনদের ধারে বাসা বাঁধলো। এরা যদি দক্ষিন থেকে আসে তাহলে আলাদা। কিন্তু এদের স্ট্রাকচার দেখে মনে হয় এরা উত্তর থেকেই এসেছে। এবারে উত্তরের জাতি গুলো কে দেখুন - সুমেরিয়ান, আক্কাদিয়ান, ব্যাবিলনিয়ান, হিট্টিস, অসিরিয়ান এদের মধ্যে ধর্ম এবং কালচারে প্রচুর মিল। পরবর্তী কালে ইহুদী কি খ্রিষ্টান ধর্মেও ছাপ পরেছে এদের।
অথচ মিশর যেন সবার থেকে আলাদা। এক আলাদা সংস্কৃতি নিয়ে টিকে রইলো যুগ ধরে। সবচেয়ে বেশী দিন টিকে ছিল যে সভ্যতা। এগুলো বড় অদ্ভুত লাগে।
হে হে, ফারাওয়ের বংশধর তো হতেই পারেন!
মানুষ ৭০,০০০ বছর আগে আফ্রিকা থেকে বেরিয়ে যায়, কিছু মধ্যপ্রাচ্য দিয়ে ভারতবর্ষের দিকে এগোই, কিন্তু কিছু গোত্র ইসরায়েলের এলাকাতে ছিল। বলা যায় না, হয়ত তাদের কিছু মানুষ পরিবেশের পরিবর্তন অথবা খাবারের সন্ধানে আবার আফ্রিকা মানে মিশরে ফিরে আসে। আদি মিশরীয়দের পরিচয় এখনো খুব রহস্যময়।
তবে ডি এন এ ম্যাপিং খুব কাজের জিনিস, এই দিয়েই তো চাইনিজদের প্রমাণ করা গেল যে আমাদের সবার পূর্বপুরুষ এক, তারা তো এতদিন ভেবে বসেছিল ভিন্ন জাতের হোমো ইরেকটাস থেকে তারা এসেছে! এই নিয়ে আগে একটা পোস্ট করেছিলাম সচলে, দক্ষিণ আফ্রিকার এক বিখ্যাত গুহা এবং আদিম মানুষ নিয়ে।
facebook
এই প্রশ্নটা আমাকেও কৌতুহলী করেছে অনেক সময়। আসলে উত্তর-দক্ষিন-পশ্চিম সবদিক থেকেই মানুষ মনে হয় নিওলিথিক ও প্রাক-নিওলিথিক যুগে এখানে এসে জড়ো হয়েছিল। দক্ষিনে সুদান/ইথিওপিয়া থেকে, পশ্চিমে এখন যেটা লিবিয়া সেখান থেকে আর উত্তর বা পূবের মধ্যপ্রাচ্য থেকে। ৩৫০০ বিসি-তে নয়, ৩০,০০০ বিসি (লেইট পেলিওলিথিক)-তেই মানুষের চিহ্ণ পাওয়া যায় এখানে। আর ৬-৯ হাজার বছর আগে থেকেই বসতি, শিকার ও পরে চাষাবাদের শুরু। এটা একটা অতি প্রাচীণ নৃতাত্ত্বিক ও সাংস্কৃতিক মেল্টিং-পট ছিল মনে হয়, অন্য অনেকের চেয়ে অনেক বেশি করেই হয়তো - হয়তো সেজন্যেই পার্শ্ববর্তী জাতিগুলির চেয়ে তারা এত স্বতন্ত্র ছিল। ভৌগলিক ও রাজনৈতিক বিচ্ছিন্নতা পরে হয়তো তাদের খানিকটা স্বতন্ত্র ও ডাইভার্জেন্ট পথে নিয়ে গেছে। অনেকটা ভারতবর্ষের আর্যদের মতই।
একজন বিশেষজ্ঞের মতে (নাম/সোর্স এখন মনে নাই) -
এই প্রাগৈতিহাসিক উত্তরআফ্রো-পশ্চিমএশিয়াটিক ট্রাইবাল সাংস্কৃতিক এবং এথনিক মেল্টিং পট থেকেই হয়তো ৪০০০ খৃষ্ট-পূর্বাব্দ থেকে ৩০০০ খৃষ্ট-পূর্বাব্দের মধ্যে এক নতুন এবং বৃহত্তর জনগোষ্ঠি বা জাতির জন্ম হয় – যারা সৃষ্টি করেছে আলোচিত ঐতিহাসিক যুগের প্রাচীণ মিশর। আর এতে অণু এই পোস্টে যাদের নিয়ে লিখেছেন, সেই "গোবিক্লে তেপি" যারা সৃষ্টি করেছিলেন, তাদেরও কোন না কোন অবদান থাকা মোটেই অসম্ভব কিছু নয়। অন্তত অনুপ্রেরনা। তখন তো আর পাসপোর্ট-ভিসা-সীমান্তরক্ষী ছিল না। তারেকানুর দেয়া এই ছবিগুলি আমার কল্পনাকে দারুন উষ্কে দিল - তাই এত গুলা কমেন্ট করে ফেললাম
পোস্টে ৫ তারার বদলে ৫০ তারা দিতে পারলেই বরং খুশি হতাম! তো সেই সুযোগ নাই যখন, ৫ই দিলাম। কি আর করা!
****************************************
মন কেড়ে নিলেন তো লেখা দিয়ে। এমন লেখা আরো দিন। সমতল ভূমিতে আরামে বসবাসের চেয়ে যে কিঞ্চিত খোড়াখুড়িতে বেশী আনন্দ!
-----------------------------------------------------------------------------
বুকের ভেতর কিছু পাথর থাকা ভালো- ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়
আরেকটু জানতে পারলেই গুছিয়ে লিখব। খোঁড়াখুঁড়ির মজা আলাদা !
facebook
আপনাদের দুজনকেই সুপার লাইক।
মন মাঝির সিগনেচার টা সুন্দর। একটা প্রশ্ন আছে। আপনার সিগনেচার টা আপনি কি এমন লিখেছেন? mo(w)n mAjhy ? এমন লেখা যেতো না? mo(w)n majhi?
উরেব্বাস, হায়ারোগ্লিফিক্স নিয়ে কথা চলছে মনে হয় !
facebook
লেখা যেত হয়তো। আমি তো আর হিরোগ্লিফিক এক্সপার্ট না। কিছুই জানি না। নেহাতই কয়েকটা
আংরেজি-হিরোগ্লিফিক তুলনামূলক-বর্ণমালা দেখে দেখে লিখেছি। মুশকিল হলো এখনকার দু'টা জীবিত ভাষার
বর্ণমালার মধ্যেই এইধরনের উচ্চারনগত তুলনা বা সমতা ঠিকমত চলে না যেখানে, সেখানে একটা প্রাচীন বিস্মৃত মৃত ভাষার বর্ণমালার সাথে সেটা কি নিশ্চিত নিখুঁততার সাথে সম্ভব? তাও আবার পিক্টোগ্রাফিক/অর্ধপিক্টোগ্রাফিক বা চিত্রলিপি জাতীয় বর্ণমালার সাথে ইডিওগ্রাফিক বর্ণমালার ? আমি যদ্দুর বুঝি এধরনের পিক্টগ্রাফিক বর্ণমালা, অন্তত হিরো, বেশ কালচার ও কনটেক্সট-স্পেসিফিক। অর্থাৎ প্রাচীণ মিশরীয়রা যেসব শব্দ, বস্তু বা আইডিয়ার সাথে পরিচিত ছিল সেগুলিই শুধু এটা রিপ্রেজেন্ট করতো বা করতে পারতো, বা বড়জোর সেগুলির সূচনাকারী ধ্বণির সাহায্যে নির্মিত কোনকিছু, কিন্তু সম্পূর্ণ এলিয়েন কিছু অত সহজে না ('মনমাঝি' এলিয়েন শব্দ ও কনসেপ্ট)। এমনকি এখনকার জীবিত চীনা ভাষাই দেখেননা। তো, ওরা লিখে যায়নি এমন কোন বিদেশী (অমিশরীয়) কোনকিছু লিখতে হলে আমাদের আসলে মনে হয় উচ্চারনের আনুমানিক ও এপ্রোক্সিমেট "ট্রান্সলিটারেশন" ছাড়া এখন আর কোন গতি নেই - আর সেক্ষেত্রে এদিক-ওদিক কিছু হবেই। তার উপর আমার কাছে তুলনামূলক-বর্ণমালার একাধিক ভার্শান ছিল - প্রত্যেকটার মধ্যেই দেখি কিছু না কিছু পার্থক্য। আমার তো আর এগুলির মধ্যে কোনটা কোথায় কতটুকু ঠিক আর কোথায় কতটুকু ভুল বিচার করার জ্ঞান নেই, তাই একটু চিন্তাভাবনা করে যেটা সবচেয়ে ভাল মনে হয়েছে সেটাই লিখেছি।
আপনি মনে হয় মনমাঝি-তে 'ও' আর 'ই' উচ্চারনের প্রতিবর্ণায়নের দিকে নির্দেশ করছেন। আমিও এই দুইটা নিয়ে দ্বিধান্বিত ছিলাম। কোন ভার্শানে দেখছি কোয়েলের বাচ্চাটা (২য় অক্ষর) 'oo', কোথাও 'u', আবার কোথাও 'ow', এবং কোন 'o' নাই। আবার কোথাও একটা ডিগবাজি-দেয়া 'আঙ্খ্'-চিহ্ণের মত চিহ্ন আছে যেটাকে 'o' বলছে। কিন্তু এটা আবার তুলনামূলক ভাবে খুব কম ভার্শানেই দেখছি। তাই এখান থেকে আমার নিজস্ব আন্দাজি/আরবিট্রারি এপ্রোক্সিমেট হিসেবে আমি 'কোয়েলের বাচ্চা'-কেই বেছে নিয়েছি। বেশি তেরিবেরি করলে খেয়ে ফেলতে পারব। খেতে খুব মজা।
'ই'-র ব্যাপারটাও প্রায় একই। হিরোর 'দুই-খাগড়া'র অক্ষরটা কোথাও ইংরেজি 'discovery' শব্দটার 'y'-এর মত 'ঈ' (sky-এর মত না), আবার কোন ভার্শানে 'ee'-এর মত 'ঈ' - অর্থাৎ একটুখানি প্রলম্বিত 'ই', এক-খাগড়ার হ্রষতর 'ই' (filled-এ যেমন) -র তুলনায়। monmajhi-র 'ই'-কে আমার দীর্ঘতর মনে হয়েছে filled-এর 'ই'-র তুলনায়। এক্ষেত্রে তাই "দুই-খাগড়াই" পছন্দ হয়েছে আমার।
আরেকটা ব্যাপার, আমি লিখেছি ইংরেজি বানানরীতি অনুযায়ী। যেমন 'জ' আর 'হ' (jh) পরপর বসিয়ে 'ঝ' বানিয়েছি, কারন আলাদা ভাবে 'ঝ' খুঁজে পাইনি হিরো-তে। কিন্তু আংরেজিতে j+h = 'ঝ' উচ্চারন হলেও বা ধরে নিতে পারলেও, হিরো-তেও যে একই উচ্চারনগত আউটপুট হবে তার নিশ্চয়তা কি? ওরা হয়তো এই রকম নিয়ম অনুসরন করতো না! ফলে এটা এমন উচ্চারনও হয়ে যেতে পারে হয়তো-- 'মুন মাজ্-হা-ঈ'। কে জানে!
মোদ্দা কথা হল এসব সুক্ষ পার্থক্যে আসলে কিছু যায় আসে না মনে হয়, কেউই বোধহয় পুরোপুরি সঠিক উচ্চারন জানে না। তা না হলে 'মনমাঝি' জাতীয় সম্পুর্ণ এলিয়েন শব্দ বাদই দিন, মিশরীয় ভাষার সর্বকালের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ শব্দগুলির একটি দেবী আইসিসের নামের 'আইসিস'-এর আসল উচ্চারন নিয়েই তো দেখি বিশেষজ্ঞদের মধ্যে মতৈক্য নেই। কেউ বলেন 'অসেট', কেউ 'উসেত', কেউ এমনকি 'ঈ-সা'! আসলে আমার পক্ষে এই ধরণের প্রতিবর্ণায়ন এক ধরণের ফান-এক্সপেরিমেন্টের চেয়ে বেশি কিছু না।
যাই হোক, এইটুকুই আমার হিরোগ্লিফিক্স-বিদ্যার দৌড়! না বুঝে উলটাপালটা প্রলাপ বকে থাকলে বা অল্পবিদ্যা ভয়ঙ্করী হয়ে গিয়ে থাকলে, জ্ঞানী মানুষেরা নিজগুনে ক্ষমা করে দিয়েন।
আর হ্যাঁ, আপনাকেও সুপার-ডুপার লাইক
আপনি আমার খুব প্রিয় একটা বিষয় নিয়ে আলোচনার অবতারনা করেছেন, যে ব্যাপারে আমার আগ্রহ প্রচুর কিন্তু জ্ঞান ও জ্ঞানের রসদের যোগান একেবারেই শুন্য। অথচ আপনি দেখছি অনেক কিছু জানেন! বিভিন্ন 'সভ্যতার' মধ্যে ইতিহাস ও প্রাক-ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় সংস্কৃতি, ধর্ম, চিন্তা, জ্ঞান - এধরনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে মিথস্ক্রিয়া নিয়ে একটা আলাদা বিস্তারিত পোস্ট ঝেড়ে ফেলুন না প্লিজ্!
****************************************
ঠিক, ঝেড়ে ফেলুন দাদা!
facebook
তারার বদলে আপনার এমন বিশ্লেষণী মন্তব্য পেলে অনেক বেশী খুশী হয়, সেই সাথে উপকৃতও।
facebook
শিব কালী নিয়ে বল্ছি।
শিব আরবী নন, শিব উপজাতি দের দেবতা। তবে শিব মুলত পাহাড়ি উপজাতি দেবতা। ইদানিং একটি ভাটের বই বাজারে চলে, Meluha নামে। ঐ বই খানা আদতে ভাট। তবে ঐ শিবের পাহাড়ি সোর্স নিয়ে ঘটনাটা লেখা। শিব নিয়ে সমস্ত লেজেন্ড হিমালয় ঘিরে। শিবের বাসস্থান কৈলাস, মানসের পাশে। এবং শিব উপাসনার বিখ্যায় স্থান গুলো অর্থাৎ ৬ টা কেদার (৫ টি ভারতে , ১ টি নেপালে ) সবই হিমালয়ে। রুদ্রনাথ ত দুর্গম জায়গায়।
শিব কে নিয়ে যে সব গল্প চলে ধরুন শিবের সাথে সতীর বিবাহ। সেই বিবাহের স্থান অ হিমালয়ের পাদদেশে বলে মনে করা হয়। এবং শিব নিন্দা শুনে সতী যখন দেহ ত্যাগ করেন তখ্ন শিব প্রচণ্ড রেগে গিয়ে সতীর বডি কাঁধে নিয়ে ঘুরতে থাকেন আর তাতে প্রলয় আসে। তখন বিষ্ণু পৃথিবী কে বাঁচাবার জন্য লুকিয়ে লুকিয়ে চক্র দিয়ে সতীর বডি টুকরো করে দেন। সেই টুকরো গুল যেখানে পরে সেখানেই একটা করে শক্তি পীঠ তৈরী হয়।
পাকিস্তানে হিংলাজের মন্দির থেকে কোলকাতার কালিঘাট হয়ে আসামের কামাখ্যা সব শক্তি পীঠ। এখন এই যে সতীর বডি টুকরো করার ঘটনা, এ আসলে প্রাচীন তিব্বতি প্রথা। তিব্বতে অনেক উপজাতির মানুষ আজ মৃত্যুর পর বডি টুকরো টুকরো করেন।
১৯৯৯ তে এরিক ভাল্লির এক সিনেমা আছে, নাম হিমালয়া। নেপালী সিনেমা। তাতে এই ঘটনাও দেখিয়েছে।
শিব মুলতঃ তন্ত্রের দেবতা। এবং তন্ত্রের মুল সোর্স বোধ হয় পাহাড়। আজ অ তিবেটিয়ান বুদ্ধিজ্ম তন্ত্র বেসড। হিন্দু তন্ত্রে কামাখ্যা সবচেয়ে বড় নাম।
এবারে আসা যাক কালী। কালী বৈদিক দেবী নয়। বেদে কালীর কথা নেই। এমনকি পুরাণেও সেই ভাবে কালী নেই। অনেকেই ছোট খাট কিছু রেফারেন্স দেবেন হয়তো, যেমন দেবী পুরাণ বা চণ্ডীর রেফারেন্স। কিন্তু আমরা যে কালী দেখি, তার সাথে এই রেফারেন্সের বিশেষ মিল নেই। কালী আসলে বেশ রিসেন্ট ঘটনা।
মুলতঃ তন্ত্র মতে শ্ক্তির সিম্বল হল কালী। তো বাংলা ভুমিতে তন্ত্র এবং শক্তির প্রচারের সাথে সাথে ক্রমশঃ বিবর্তনের পথে কালীমুর্তি এসেছে। আমার দেখা সবচেয়ে প্রাচীন কালি মুর্তি হল নিমতা কালি বাড়ি। প্রায় ৬০০ বছর আগে, সে মুর্তিও এখনকার থেকে বেশ আলাদা। রাজা মানসিংহ এই কালি মুর্তি পুজা করেছিলেন প্রতাপাদিত্যর সাথে যুদ্ধের সময়।
সম্পুর্ন কালিমুর্তির রুপ খুব ভেবে চিন্তে তৈরী। এছারা শ্মসান কালী, শ্যামা কালী এই সব মুর্তির মধ্যে বহু তফাৎ আছে।
সাংখ্য দর্শন অনুসারে এই পুরো জগৎ আসলে পুরুষ (ছেলে নয়) এবং প্রকৃতির বিক্রিয়া। প্রতিটি জীব হলো পুরুষ এবং পুরুষ বাই ডিফল্ট নিষ্ক্রিয়। খুব ফ্ল্যাট ভাবে বললে পুরুষের চারপাশ হল প্রকৃতি। প্রকৃতির বিভিন্ন change এ পুরুষ react করে। অর্থাৎ প্রকৃতি পুরুষ কে দিয়ে কাজ করায়। আমরা যা কিছু দেখি সব ই পুরুষ প্রকৃতির মিলন বা reaction বলা চলে।
মুল থিওরি টা বড্ড জটিল। আমিও খুব একটা বুঝি না। তাও সামান্য যা বুজেছি তা বলার চেষ্টা করলাম।
তো তন্ত্রেঅ এই মত ফলো করা হয়। প্রকৃতি সেখানে শক্তি। কালি মুর্তি তে পায়ের নিচে আছে শিব। নিষ্ক্রিয় পুরুষের সিম্বল। ওপরে কালী নাচছে, প্রকৃতি বা শক্তি। কালীর সব কিছুই এরকম নানা জিনিসের সিম্বল।
যেমন জিভ বেড়িয়ে থাকা। তন্ত্র পথে যারা সাধনা করেন তারা বহু যোগাসন করেন। তার একটি হল খেচর মুদ্রা। এই মুদ্রায় সাধক জিভ দিয়ে আলজিহ্বা কে টাচ করে। এইটা practise করলে নাকি শ্বাস নেওয়া অনেক কন্ট্রোল করা যায়। আর খেচর মুদ্রায় জিভ ভয়ানক ফেক্সিবল হয়ে যায়। অনেক নাগা সন্নাসি (যারা শর্ট কাটে বিশ্বাসি) জিভের নীচের মাসল কেটে দেয় এই টা করার জন্য।
তো এই খেচর মুদ্রার সিম্বল হলো কালীর লম্বা জিভ।
যাকগে গোবেকলি থেকে কালী , অনেক লম্বা রাস্তা হলো
বিন্ধ্যবাসিনী কে বলতে পারেন? মানে ইতিহাসসূত্রে? কথাসরিতসাগরে দেখলাম, বিন্ধ্যবাসিনীকেই সবাই পূজা করছে। এ বিষয়ে কিছু আলোকপাত করতে পারেন?
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
আর একটা জিনিস হলো হিন্দু দেব দেবীর সাথে গ্রিক দেবতাদের সাদৃশ্য। এ জিনিসের উত্তর খুব সহজ। বেদে ছবি টবি নেই। হিন্দু দেব দেবীর দের মুর্তি সবৈ প্রায় গুপ্ত যুগের। তার অনেক আগেই আলেকজান্ডারের প্রভাবে গ্রীক শিল্প কলা এসে গেছে ভারতে। জন্ম নিয়ে গান্ধার আর্ট। কোলকাতা মিউজিয়মে গেলে পরিষ্কার দেখা যায় প্রি-গান্ধার বুদ্ধ মুর্তি আর পোস্ট গান্ধার বুদ্ধ মুর্তির তফাৎ। তো এর পরে হিন্দু দেব দেবীর মুর্তি নির্মানে সেই ছাপ আসেই।
বরং বৈদিক দেব দেবী দের সাথে ইরানিয়ান ঠাকুর দেবতার মিল খুব বেশী। বেদের বহু জিনিস ইরানিয়ান আবেস্তা তে আছে। বেদ আর আবেস্তা সমসাময়িক (লিখিত বেদ অনেক পরে। গুপ্ত পিরিয়ড)। বেদেও শুরুর দিকের কিছু চ্যাপ্টারে দেবতাকে অসুর বলা হয় আবেস্তার মতন। পরের দিকে অসুর হয়ে গেল দানবের প্রতীক এবং দেবতা হলেন সুর। মনে হয় আর্য দের একটি গোষ্ঠী যখন আলাদা হয়ে বেড়িয়ে এলো তখন ক্রমশঃ তাদের আইডিয়া বদলাল। তাদের চোখে ইরানিয়ান গোষ্ঠী গুলো হলো শত্রু। ফলে ইরানিয়ান দের অসুর তখন দানব হলো।
মন্তব্য় ভাল লাগলো। আবেস্তা আর বেদ এর অনেক মিল রয়েছে।
এক রেফারেন্স বইতে পেয়েছিলাম শিবের আদি উৎস আরবভূমি, এমনকি জেদ্দার কয়েক মাইল দূরে এক গ্রামে শিবের থান কয়েক দশক আগেও ছিল, এখন সম্ভবত সরিয়ে ফেলা হয়েছে। দাঁড়ান, বইটির নাম পেলেই জানাচ্ছি।
গ্রীকদের নিয়ে লেখা অন্যতম তথ্যবহুল বইতে জেনেছিলাম বুদ্ধ মূর্তি আসলে গ্রীক দেবতা অ্যাপোলোর ছায়া অবলম্বনে গঠিত।
facebook
ধন্যবাদ দুর্দান্ত।
তারেক , আপনি রেফারেন্স দিলে খুব খুশী হবো। তান্ত্রিক কাল্ট আর শিব নিয়ে চর্চা এক ফেভারিট বিষয়। আমি কিন্তু এদিকে যা বই পত্তর পড়েছি বা জিনিস পত্তর ঘেঁটেছি তাতে পাহাড়ি সোর্স টাই সাপোর্ট করে সবাই।
শিবু দা is great। গাঁজা ভাঙ খেয়ে মজায় থাকে।
নেটে অবশ্য একটু ঘাঁটলেই পাবেন যে বিখ্যাত Black Stone আসলে শিব লিঙ্গ ছিল। কিন্তু ওগুলকে সিরিয়াসালি নেওয়ার মানে হয় না। RSS এবং বজরং দলের মার্কা মারা প্রচার ওগুলো। ওরা জগৎ জোরা সব জায়গায় হিন্দু ধর্ম দেখতে পায়।
একটু ঘাঁটলেই দেখবেন যে মিশরের পিরামিডের গায়ে গীতার শ্লোক, বা বেদে gravitation থেকে black hole থিওরি সব আছে। নিউটন বা স্টিফেন হকিং যাস্ট টুকে দিয়েছে মাত্র। তো এই সব থিওরি যাস্ট কাটিয়ে দেয়াই ভাল।
আমিও আজকাল বাংলা ব্যান্ডের গানে ফিজিক্সের কঠিন সব থিওরি পাই। সেগুলো কোথাও লিখিনা তাই ঃ) ঃ)
এই তুই একটা আইডি বানিয়ে নিতে পারছিস না?
আর কি বুনানভুল কি বুনানভুল
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
এই টাই তো আইডি। বুনান ঃ(
facebook
ভারতীয় দেব দেবীর মুর্তি বা বুদ্ধ মুর্তিতে গ্রীক প্রভাব খুব বেশী। তার আগে ভারতে মুর্তির প্রচল্ন ছিল না। বেদে মুর্তি পুজা বা মন্দির নেই। অনেক পরে এসেছে ঐ কনসেপ্ট।
জন্ম গত ভাবে বুদ্ধ তো নেপালী। টিকালো নাক নেপালী কখনো দেখি নি ঃ)
দাঁড়ান বুদ্ধ আর অ্যাপোলো নিয়ে একখান কড়া পোষ্ট দিচ্ছি !
facebook
অপেক্ষায় রইলাম ঃ)
facebook
উপমহাদেশের অন্যতম সমৃদ্ধ পুরাকীর্তির সংগ্রহ আছে রাজশাহীর বরেন্দ্র জাদুঘরে, সেখানের কিউরেটর আব্দুস সামাদ মণ্ডল মধ্যপ্রাচ্যের দেবদেবী নামে একটি ফিচার লিখতেন রুটস জার্নালে, সেই খানেই এর উল্লেখ ছিল, আমি পুরনো পত্রিকাটি হাতে পেলেই বিস্তারিত জানাব।
facebook
অতুল সুরের বইয়ে পড়েছিলাম, গুপ্ত যুগেই হিন্দুরা পূজা-পার্বণ, মন্দির তৈরী করা শুরু করে, মানে বলতে গেলে হিন্দু ধর্মের এখনকার চেহারাটার শুরু সেসময়ে। আর এই পূজা-পার্বন, মন্দিরের ব্যাপারটা নাকি বৌদ্ধদের দেখেই অনুপ্রাণিত।
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
মনোযোগ দিয়েই পড়তে বাধ্য হলাম লেখা অণুদা। মনটা খারাপ ছিলো, একটু হালকা হলো
মন খারাপ করেন না, পরের বার অনেক ভাল কিছু হবে এমন ধারাবাহিক ভাবে ভাল খেললে।
facebook
একেবারেই নতুন
আরো নতুন নতুন কত কিছু জানা যাবে---
facebook
এই লেখার ফলে হাইকোর্টের কোন বিচারকের আবার ধর্মানুভুতিতে আঘাত না লাগলেই হয়
সত্যকে জানার ইচ্ছেকে যদি আঘাত বলা হয় তাহলে জন্মানো কেন !
facebook
দারুণ বলেছেন-- আরজ আলী মাতুব্বরের মত অজানাকে জানার ইচ্ছা সব বাঙালীর মাঝে বিকশিত হোক।
facebook
যতদুর মনে আছে জার্মান প্রত্নতত্ত্ববিদরা একটানা ১৩ বছর ধরে খননকার্য চালিয়ে গেছেন এখানে, আর এই স্থানটির আর একটি বৈশিষ্ট্য আছে, স্থাপত্যটি এরকম ভাবে বানানো হয়েছিল যাতে একটা সময় এটি প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মেই মরুভূমির বালুতে ঢেকে যায় এবং অক্ষত থাকে বছরের পর বছর ধরে, তাই মানুষের ইতিহাসে পাওয়া সব থেকে পুরনো এই স্থাপত্যটি এখনো অটুট আছে, তবে সব থেকে বিস্ময়কর এই যে, এর প্রকান্ড সব পাথড়ের খন্ড এতটাই মসৃন করে বানানো এবং একেকটা খন্ডের এতো ওজন তাতে মনেই হয়না তখনকার মানুষদের কাছে উন্নত কোনো নির্মাণসামগ্রী ছিলোনা।
এছাড়াও যেসব প্রানীদের দেহ তৈরী করা হয়েছে তাতে যে সুক্ষ এবং সঠিক নির্মাণশৈলীর প্রয়োগ করা হয়েছে তা আশ্চর্যজনক, কারণ পাথড়ের এধরনের কাজে এখনো অনেক শ্রমসাধ্য এবং উন্নত কলাকৌশলের প্রয়োজন পড়ে।
জায়গাটিতে কোনো ধরনের জৈবিক চিহ্ন বা অবশিষ্ট খুঁজে পাওয়া যায়নি, পাওয়া যায়নি কোনো ফসিল (যতদুর জানি), তাই ধারণা করা হচ্ছে এখানে স্থায়ী ভাবে কারো বাসস্থান ছিলোনা, কিন্তু কি কারণে এধরনের প্রকান্ড একটি নির্মানকার্য এই জায়গায় শুরু করা হয়েছিল এবং সংরক্ষণ করা হয়েছিল তা নিয়ে এখনো গবেষণা চলছে, বিশেষ করে কোন সভ্যতার সাথে এর যোগাযোগ তা এখনও রহস্যাবৃত।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
ঠিক বলেছেন।
কিন্তু যেহেতু এখানে কোন বাসগৃহের প্রমাণ পাওয়া না,এর মানে আমরা মনে করি সেখানে কেউ থাকত না, কিন্তু সেইটা ঠিক নাও হয়ে পারে।
মানুষ এটি অনেক বছর পড়ে ঢেকে যাবে এই উদ্দেশ্য নিয়ে তৈরি করেছিল কিনা বলতে পারছি না, কারণ নিঃসন্দেহে সেই সময়ের আবহাওয়া ও ভূপ্রকৃতি অন্যরকম ছিল।
facebook
লেখাটি ভালো লাগলো।
ধর্মের সূতিকাগার দাবীটাকে অতিরঞ্জিত মনে হলো। আফ্রিকা থেকে বেরিয়ে পৃথিবীর বাকি অংশে ছড়িয়ে পড়ার শুরুতেই মানুষকে কিন্তু দক্ষিণ ভারতীয় উপকূল ঘুরে যেতে হয়েছিলো। সেখানেওতো ধর্মের উন্মেষ ঘটে থাকতে পারে। কিংবা পরবর্তী গন্তব্য অস্ট্রেলিয়া?
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
আসলে এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত প্রমাণের ভিত্তিতে দাবীটি করা হয়েছে, কখনো যদি অন্য জায়গায় এমন স্থাপত্য পাওয়া যায় নিঃসন্দেহে তখন সেগুলো এই স্থান দখল করবে।
তবে আমার মনে হয় না, এটিই ছিল তাদের প্রথম কাজ, এমন নিশ্চয়ই আগে ছোট ছোট আকারে অনেক হয়ে ছিল।
facebook
দক্ষিন ভারতীয় উপকুলে আসার অনেক অনেক আগে ইথিওপিয়া দিয়ে লোহিত সাগর পার হয়ে ইয়েমেন হয়ে এশিয়ায় প্রবেশ করে পুরো আরবীয় পেনিন্সুলা, মধ্যপ্রাচ্য, আফগানিস্থান আর পাকিস্তান পাড়ি দিয়ে সুদীর্ঘ পথ পেরিয়ে আসতে হয়েছে তাকে দঃ ভারতে। দীর্ঘকাল ধরে। সুতরাং আপনার হিসেবে সূতিকাগার দক্ষিন আরবে বা মধ্যপ্রাচ্যে হওয়াই বরং স্বাভাবিক (যদি আফ্রিকায় না হয়ে থাকে)। গোবিক্লে তেপেও বোধহয় তুলনামূলক ভাবে কাছে এখান থেকে। সেক্ষেত্রে তেপে বা কাছাকাছি অঞ্চলে হওয়াও অত অস্বাভাবিক মনে হয় না। তাছাড়া অন্য তত্ত্বে সুয়েজ/সিনাই অঞ্চলকে প্রবেশপথ মনে করা হয়। সেক্ষেত্রে তেপে আরো অনেক কাছে হয়ে যায় বহু বহু দূরের দঃ ভারত থেকে। আর ঐ তত্ত্বে মনে হয় এশিয়ায় প্রবিষ্ট মানুষরা এখান থেকে দুদিকে - তুরস্ক হয়ে ইউরোপ এবং মধ্য-এশিয়ার দিকে ছড়িয়ে পড়ে। সেক্ষেত্রেও তেপে পথিমধ্যস্থিত এবং ইউরোপও তুলনামূলক ভাবে অনেক কাছে।
তবে অণু যেমন বলেছেন সবকিছুই প্রমানসাপেক্ষ এবং আমরা শুধু প্রাপ্ত তথ্যপ্রমানের উপর ভিত্তি করেই ইতিহাসের বিষয়ে কথা বলতে পারি। বাকি সবই কল্পনামাত্র।
****************************************
facebook
অজানা একটি তথ্যবহুল পোস্টের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
facebook
অসাধারণ রোমাঞ্চকর! অনেক ধন্যবাদ, অণু ভাই!
কাবা শরীফকে পৃথিবীর আদি ঘর (বা প্রথম উপাসনালয়) বলে দাবী করে মুসলমানেরা। এ প্রসঙ্গে বিজ্ঞানীদের কি মত? তুরস্কে জন্ম নেয়া প্রফেট ইব্রাহিম স্রষ্টার আদিমতম ঘর খুঁজছিলেন। উনি কি আসলে গোবিকেল টেপি খুঁজছিলেন?
ন্যাশনাল জিওগ্রাফির ডকুমেন্টারিতে নিশ্চয়ই এই গোবিকেল টেপ নির্মাণের কৌশলগুলো বলা হয়েছে। সংগ্রহ করতে চাই।
আজ আলী মাতুব্বরের প্রতি আমারও বিনম্র শ্রদ্ধা। সীমিত সুযোগ পেয়ে তিনি যে অসামান্য যুক্তির সৌধ দাঁড় করিয়েছিলেন, তা সত্যি আমাদের লজ্জায় ফেলে দেয়।
মুসলমানেরা যেমন কাবাকে দাবী করে তেমন দব প্রচলিত ধর্মের লোকেরাও কোন কোন স্থানকে বিশ্বের আদি উপাসনালয় হিসেবে দাবী করে থাকে, কিন্তু এমন কোন প্রমাণ তো পাওয়া যায় নি ।
আব্রাহামের এই সমস্ত ঘটনা নেহাৎ গালগল্প, সাড়ে তিন হাজার বছরে তিল থেকে তাল নয়, মানুষের মুখে পরিবর্তিত হতে হতে মহাবিশ্ব গজিয়ে যেতে পারে।
facebook
এই পোস্টটা একটু ধিরে-সুস্হে-সময় নিয়ে পড়লাম। লেখার সাথে সাথে আপনার সাথে বুনান ও মনমাঝির আলোচনাও লেখায় একটা অন্যরকম স্বাদ এনেছে। অনেক ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা আপনাকেও আলোচনায় অংশগ্রহণের জন্য।
facebook
মোক্ষম বিষয় নির্বাচন করেছেন। মনে হয় পিপাসা বেড়ে গেল, এ বিষয়ে আরো জানতে চাই!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
হে হে, চলুন কবি ভাই , ঘুরে আসি ! তুরস্ক গেলে পরের বার এক মাস গাড়ী নিয়ে টোই টোই করব !
facebook
অসাধারণ !
facebook
দারুণ, অনেক কিছু জানতে পারলাম।
facebook
গুল সাহেবের দেশ দেখে আগ্রহ নিয়ে খুঁজলাম... তবু, জান্তব প্রতীক গুলোর মধ্যে ছাগল খুঁজে পেলুম না... প্রাচীন তুর্কিরাই তাইলে ভাল ছিল... এখন উন্নতির ঠেলায় উপরের দিকে পতন হয়েছে...
অটঃ আচ্ছা স্টোনহেঞ্জের সাথে এই জিনিসের এত্ত মিল কেনো?
আদি মানুষের চিন্তা ভাবনার ফারাক কমই ছিল হয়ত
facebook
আমাদের ডিপার্টমেন্টের এক প্রফেসর একবার তাঁর ফিল্ডওয়ার্কের গল্প বলেছিলেন। তিনি তখনও ছাত্র, তাঁদের সাইট ছিল সৌদি আরবের উত্তরে। তাঁরা খনন করে একটা সেটলমেন্ট খুঁজে পান। যাচাই-বাছাই করে তাঁদের মনে হয় যে এই সাইটটা Old Testament-এ বর্ণিত একটা গ্রাম হতে পারে। তাঁদের রিপোর্ট যথারীতি সৌদি সরকারের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগে জমা দিয়ে তাঁরা আমেরিকায় ফিরে যান। মাসখানেক পরে সৌদি আরব থেকে তাঁদের এক কলিগ জানান যে সেই রিপোর্ট পড়ার পরে সৌদি সরকার বুলডোজার পাঠিয়ে সেই সাইট সম্পূর্ণ মাটিতে মিশিয়ে দেয়। সৌদি আরবের মাটিতে ইসলাম-পূর্ব সময়ের কোন নিদর্শন সংরক্ষণ না করা নাকি সৌদি সরকারের একটা অলিখিত নীতি। সে দিক থেকে চিন্তা করলে আমাদের ভাগ্য ভাল যে গোবেকলে তেপে তুরস্কে অবস্থিত! লেখার জন্য ধন্যবাদ।
কী ভয়াবহ অপরাধ!
facebook
দারুনতো !! আপনার এই পুরনো লেখাটা না দেখলে তুরস্কের এই প্রত্ন স্থাপত্যটা আরো কয়দিন ধরে যে না জানাই থেকে যেত তাই ভাবছি। এই লেখাটার পর এই প্রত্ন নিদর্শন গুলো নিয়ে নিশ্চয়ই আরো গবেষনা হয়েছে। জানতে ইচ্ছে করছে আরো কি পাওয়া গেল।
---------------------------------------------------
মিথ্যা ধুয়ে যাক মুখে, গান হোক বৃষ্টি হোক খুব।
নতুন মন্তব্য করুন