প্রথমবারের মত নারী-পুরুষ পর্বতারোহীদের যৌথ দল গঠিত হয়েছে বাংলাদেশে, যারা স্বপ্ন দেখছে বিশ্বের সর্বোচ্চ বিন্দু মাউন্ট এভারেস্টের উপরে হিম রাজ্যে ওড়াবে বাংলার লাল-সবুজ পতাকা। তাদের একজন ইতিমধ্যেই সেই দুঃসাধ্য কাজটি বাস্তবে পরিণত করেছেন গত বছর, তিনি বাংলাদেশের সবচেয়ে অভিজ্ঞ পর্বতারোহী এম এ মুহিত, যিনি একই সাথে সারা বিশ্বের একমাত্র বাংলাভাষী হিসেবে তিন তিনটি আট হাজার মিটার জয়ের অভূতপূর্ব গৌরবের অধিকারী ( চৌ য়ূ, এভারেস্ট, মানাসলু), দলের অপর সদস্য নিশাত মজুমদার বাংলাদেশের নারীদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৭২০০ মিটারে আরোহণের মাইল ফলক স্থাপন করেছেন গত বছরের মানাসলু অভিযানে। এর আগে তারা একসাথে বিশ্বের ৪র্থ বিপদজনক পর্বত মানাসলু অভিযানের একসাথে অংশ নিয়েছেন।
তাদের অভিযানে একজনের সম্পূর্ণ ব্যয়ভার ( ৩৫,০০০ ডলার, প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা) স্পন্সর করেছেন প্যারাগন গ্রুপ, বাকী অর্ধেক স্পন্সর পাওয়া গেছে সুইস বেকারি, মাছরাঙা টেলিভিশন, ঢাকা আইসক্রিম ইন্ডাস্ট্রিজ, এ কে খান কোম্পানি লিমিটেড, আমিন মোহাম্মদ বারজার পেইন্ট, কল্ডওয়েল, ঢাকা বিশ্ব-বিদ্যালয় অর্থনীতি বিভাগ অ্যালমানাই, প্লান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের সহযোগিতায়।
এপ্রিল মাসের ৬ তারিখে তারা কাঠমান্ডু পৌঁছাবেন, তারপর ৯ তারিখে লুকলা, সেখান থেকে ৮ দিনের ট্রেকিং শেষে বিশ্বখ্যাত এভারেস্ট বেসক্যাম্প, যা খুম্বু হিমবাহের উপর অবস্থিত। এর পর আবহাওয়াসহ সব ঠিক থাকলে পর্যায়ক্রমে ক্যাম্প ১, ক্যাম্প ২, ক্যাম্প ৩ , ক্যাম্প ৪ পৌঁছানোর তারা শিখর জয়ের চেষ্টা চালাবেন। আশা করা যায় মে মাসের ১৫ থেকে ২২ তারিখের মধ্যে আমরা বাংলাদেশের প্রথম নারী-পুরুষ যৌথ দলের এভারেস্ট জয়ের সুখবর পাব।
এই নিয়েই আজ সকালে দীর্ঘক্ষণ মুঠোফোনে কথা হল এম এ মুহিত এবং নিশাত মজুমদারের সাথে। তাদের ব্যক্তিগত চিন্তা-চেতনা, পর্বতারোহণ নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, দেশের তরুণ প্রজন্ম ইত্যাদি ইত্যাদি নিয়ে। সেই কথোপকথনের চুম্বক অংশ এখানে থাকল, আর ব্যবহৃত আলোকচিত্রগুলো তাদের বিভিন্ন অভিযানের সময় তোলা, অভিযাত্রীদের অনুমতি সাপেক্ষে ব্যবহার করা হল সচল পাঠকদের জন্য-
অণু- বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ অভিযানে যাচ্ছেন, যা প্রত্যেক অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয়র আজীবনের স্বপ্ন, কেমন লাগছে?
নিশাত- নিজেকে অত্যন্ত সৌভাগ্যবান মনে হচ্ছে। বিশ্বে ৮০০০ মিটারের চূড়া আছেই মাত্র ১৪টা, যাদের পর্বত শৃঙ্গগুলোর মাঝে এলিট শ্রেণী বলে সবসময় আখ্যায়িত করা হয়, তাদের মধ্যে আবার এভারেস্টের অবস্থান ভিন্ন উচ্চতায়, সেটি আরোহণের পথে আমরা! মনের মধ্যে অনেক উত্তেজনার সাথে সাথে উৎকণ্ঠা এবং ভয় কাজ করছে, বিশেষ করে আবহাওয়া নিয়ে, উচ্চতার সাথে নিজেদের মানিয়ে নেওয়া নিয়ে।
অণু- পাহাড়ে চড়ার শুরুর দিনগুলোর কথা মনে পড়ে কি এভারেস্ট অভিযানের প্রাক্কালে?
নিশাত- আসলে অ্যাডভেঞ্চারের নেশা মাথায় জেঁকে বসেছিল কিছু বই পড়ার ফলে, বিশেষ করে জুল ভার্ণের আশি দিনে বিশ্বভ্রমণ, থর হেয়ারডালের কন-টিকি, বিভূতিভূষণের চাঁদের পাহাড় এবং নেভিল শুলম্যানের পর্বতারোহণ এবং জেন দর্শন পড়ে।
কিন্তু পাহাড়ে চড়ার আগ্রহ প্রথম জন্মেছিল খবরের কাগজে এভারেস্ট বিজয়ের লক্ষ্যে ইনাম আল হকের নেতৃত্বে এভারেস্ট টিম-১ গঠনের খবর দেখে, মনে হয়েছিল আমিও যদি এমন অভিযানে অংশগ্রহণ করতে পারতাম। পরবর্তীতে বি এম টি সি ( বাংলা মাউন্টেনিয়ারিং অ্যান্ড ট্রেকিং ক্লাব)র সাথে যোগাযোগ হয়, বান্দরবানের পাহাড়ে হাইকিং চলতে থাকে, অবশেষে ২০০৬-এর মে মাসে দার্জিলিং-এর মাউন্টেনিয়ারিং ইন্সিটিউটে পর্বতারোহণের প্রশিক্ষণের জন্য যোগদান করি।
অণু- পর্বতারোহণের কোন দিকটি আপনাকে সবচেয়ে বেশী আকর্ষণ করে ?
নিশাত- অবারিত প্রকৃতির মাঝে গেলে মানুষ হিসেবে নিজের ক্ষুদ্রতা বোঝা যায়, তবে নিজের মধ্যেই আবিস্কার করা যায় যে সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করা সম্ভব। এবং সেই সাথে পর্বতশৃঙ্গে না উঠেও প্রকৃতি সম্ভোগের অনাবিল আনন্দ পাওয়া সম্ভব।
অণু- কিন্তু কোন পর্বতশীর্ষে আরোহণের সেই তীব্র সুখানুভূতি নিশ্চয় আলাদা কিছু ?
নিশাত- এটি পৃথিবীর আর সব আনন্দের চেয়ে আলাদা, স্বতন্ত্র।
অণু - পর্বতে অভিযান চলাকালীন সময়ে বিশেষ কোন ঘটনার স্মৃতি ভাগাভাগি করবেন আমাদের সাথে?
নিশাত- ২০০৯ সালে বিশ্বের অন্যতম উঁচু পর্বত মাকালুতে আমাদের পর্বতারোহণের শিক্ষক ঝুনা ঠাকুর বলা চলে আমাদের চোখের সামনেই মৃত্যুবরণ করেন, সেই মুহূর্তগুলো আমি কিছুতেই ভুলতে পারি না। এমন অফুরন্ত প্রাণশক্তির অধিকারী একজন মানুষ এভাবে সবার সামনে চলে গেল, আমরা কেবল অসহায় হয়ে দেখলাম। বিশাল ট্র্যাজেডি ।
অণু - পাহাড়ে চড়ার পেছনে কাদের অবদান সবচেয়ে বেশী আপনার জীবনে?
নিশাত- আমার জীবনের খুব দারুণ একটা দিক হচ্ছে আশে-পাশের সবাই আমাকে এই ব্যাপারে সবসময় প্রবল উৎসাহ জুগিয়েছে। বিশেষ করে পরিবারের পক্ষ থেকে কোন সময়ই নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে হয় নি, কোন সময়েই তারা বলেন নি- এমন ঝুঁকিপূর্ণ কাজে অংশ নেওয়া যাবে না। আমার অফিসের ( ওয়াসা) সহকর্মীরাও অত্যন্ত উৎসাহ দেয় সবসময়। সেই সাথে আছেন বি এম টি সির সকল সদস্য বিশেষ করে মুহিত ভাই, শম্পা আপা, নুর মোহাম্মদ ভাই, বিপ্লব ভাই।
তবে আজকের আমি যে নিশাত, এর পেছনে যে মানুষটির অবদান সবচেয়ে বেশী তিনি ইনাম আল হক। প্রথম থেকে তিনি আমাকে অবিরাম উৎসাহ দিয়ে চলেছেন, এবং সেইখানেই ক্ষান্ত নন, ব্যয়বহুল অভিযানগুলোর স্পন্সর জোগাড় করে দিয়েছেন সবসময় প্রচণ্ড ব্যস্ততা সত্ত্বেও। সেই সাথে কোন কোন ক্ষেত্রে আমরা খানিকটা দমে গেলেও তার কথায় ও কাজে উজ্জীবিত হয়েছি এবং হচ্ছি সবসময়ই।
অণু- আপনি তো বাংলাদেশের প্রথম নারী যিনি ৭০০০ মিটার পর্যন্ত আরোহণে সক্ষম হয়েছেন?
নিশাত- গত বছরের আগ পর্যন্ত আমার চড়া সবচেয়ে উঁচু পর্বত ছিল ৬৬৫৪ মিটার উচ্চতা বিশিষ্ট মেরা পিক, কিন্তু মানাসলু পর্বতে অভিযান চালানোর সময় আমি ৭২০০ মিটার পর্যন্ত আরোহণের পর অন্যরকম অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়, সেখানে আমি এবং মুহিত ভাই দুইজনেই শারীরিক এবং মানসিক ভাবে শিখর জয়ের জন্য প্রস্তুত ছিলাম কিন্তু নানা কারণে সেখানে দেখা যায় কেবল মাত্র একজনের শিখর জয়ের জন্য অক্সিজেন সিলিন্ডার আছে, যেহেতু মাত্র ৩ টি সিলিন্ডার অবশিষ্ট ছিল, তা দুইজনের জন্য অপ্রতুল।
( এইখানে এম এ মুহিত বলেন- নিশাত সেই অবস্থাতে কেবলমাত্র দলের সাফল্যের কথা চিন্তা করে, অসাধারণ টিম স্পিরিটের উদাহরণ স্থাপন করে তার অক্সিজেন সিলিন্ডার আমাকে দিয়ে দেয় , বলে যেহেতু আপনার অভিজ্ঞতা বেশী, এর আগে দুটি ৮০০০ মিটারের শৃঙ্গ জয় করেছেন, হয়ত আপনি গেলেই আমাদের সাফল্যের সম্ভাবনা বেশী থাকবে, তার এই বিশাল ত্যাগের কারণেই ২০১১ সালের ১২ অক্টোবর দুপুর সাড়ে বারটার সময় মানাসলু জয়ে আমি সক্ষম হয়, এছাড়া কোনমতেই সেই বিপদজনক পর্বতে অভিযান সাফল্যমণ্ডিত হত না)
অণু – আপনি তো এখন দেশের নারীদের মাঝে যথেষ্ট সাড়া ফেলেছেন, এত প্রতিকূল সামাজিক অবস্থাতেও যে এই ধরনের কাজ করা সম্ভব তা প্রমাণ করেছেন –
নিশাত- ভাল লাগে যদি কেউ এমনটা মনে করে। ২০০৯-এ অনন্যা বর্ষ সেরা দশ নারীর মাঝে আমাকে নির্বাচিত করেছিল, এরপরে প্রথম আলো সমাজের বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে অবদানের জন্য ৭জন নারীকে সন্মাননা জানায়, তাদের মাঝে আমিও ছিলাম। তবে এ আমার একার অর্জন নয়, সবারই অবদান এর পেছনে।
অণু- সচলায়তন পড়েন?
নিশাত- মাঝে মাঝে পড়া হয়, বিশেষ করে ভ্রমণবিষয়ক পোস্টগুলো, কিন্তু ঐগুলো পড়লে হিংসায় আমার শরীরে ফোস্কা পড়ে যায় !
এর পরপরই নিশাত তার প্রাণখোলা হাসি শুরু করেন, সকল ধরনের শুভ কামনার পরে কথা হয় এম এ মুহিতের সাথে-
অণু- আবার এভারেস্টে যাচ্ছেন?
মুহিত- হ্যাঁ, এটা এভারেস্টে আমার ৩য় অভিযান কিন্তু নেপালের দিক দিয়ে এই প্রথম। এর আগে তিব্বত দিয়ে এভারেস্টে আরোহণের জন্য ২০১০ এর মে মাসে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আমিই প্রথম চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে ৭০৭০ মিটার থেকে ফিরে আসতে বাধ্য হই। অবশেষে ২য় বারের প্রচেষ্টায় তিব্বত দিয়েই ২০১১এর ২১ মে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু পর্বতশৃঙ্গে ওড়াতে সক্ষম হয়েছিলাম বাংলার লাল-সবুজ পতাকা।
অণু – বাংলাদেশের সবচেয়ে অভিজ্ঞ পর্বতারোহী আপনি, বিশ্বের একমাত্র বাঙ্গালী হিসেবে তিন তিনটি ৮০০০ মিটার উচ্চতার পর্বত জয় করেছেন এর পিছনে মূল প্রেরণা কি ?
মুহিত- আমি সবসময়ই মনে করি আমরা পর্বতে যায় প্রকৃতিকে নিবিড় ভাবে উপভোগ করতে, জানতে। অনেকেই দেখেছি বলেন- আমরা হিমালয়কে পদানত করেছি , আমি এমন চিন্তাধারার বিরোধী, পর্বতকে কেউ কখনোই জয় করতে পারে না, কেবলমাত্র ক্ষণিকের জন্য হয়ত সেখানে অবস্থান করে তার রূপে মুগ্ধ হতে পারে, এর বাহিরে কিছু নয়।
অণু- এভারেস্ট জয়ের সার্টিফিকেট বা সনদ নিয়ে আমাদের কিছু বলুন।
মুহিত- দেখুন এভারেস্ট জয়ের ক্ষেত্রে সার্টিফিকেট গুরুত্বপূর্ণ কোন বিষয় নয়, আমি লক্ষ্য করে দেখেছি ইউরোপিয়ান-আমেরিকান পর্বতারোহীরা সাধারণত এই সনদের জন্য অপেক্ষা করে না, কারণ তাদের সাথের ক্যামেরায় তোলা ছবিই সবচেয়ে বড় প্রমাণ শৃঙ্গ জয়ের। আর নেপালের দিকে সনদ পাওয়ার আগে নানা প্রশ্ন করে যাচাই বাছাই করা হয়ে থাকে যে পর্বতারোহীর দাবী সত্যি কি না, কিন্তু তিব্বতে কেবলমাত্র একজন লিয়াজো অফিসার থাকে, যাকে দলের শেরপা সর্দার যেয়ে বললেই সে সম্পূর্ণ বিশ্বাসের উপরে এভারেস্ট জয়ের সনদ দিয়ে দেয়।
এই প্রসঙ্গে আমার নিজের অভিজ্ঞতার কথায় বলি, এভারেস্ট জয়ের পরে আমি অত্যন্ত ক্লান্ত অবস্থায় ধীরে ধীরে বেস ক্যাম্পের দিকে যাচ্ছি, আমার দলের সর্দার একাধিক বিশ্বরেকর্ডধারী( সবচেয়ে কম সময়ে এভারেস্ট জয়ের রেকর্ডসহ) পেমবা দরজি শেরপা দুপুর ১২টার সময় বেস ক্যাম্পে পৌঁছায়, আমি সেখানে যায় আরো ৪ ঘণ্টা পরে, কিন্তু লিয়াজো অফিসার আমাকে একটিও প্রশ্ন না করে শুভেচ্ছা জানিয়ে কেবলমাত্র শেরপা সর্দারের কথার উপর ভিত্তি করে আমাকে সেই সনদ প্রদান করেন।
অণু- এর আগে বাংলাদেশের পর্বতারোহীর এভারেস্ট জয়ের প্রমাণের অভাব নিয়ে অনেক কথা হয়েছে, যথেষ্ট উপাত্ত ছিল না বলেই শুনেছি, তা হলে এভারেস্ট জয়ের প্রমাণ হিসেবে আমরা কি ধরনের জিনিস দেখে নিঃসন্দেহ হতে পারি?
মুহিত- দেখুন এভারেস্ট বিশ্বের উচ্চতম শৃঙ্গ বটে, কিন্তু এর উপর থেকেই বিশ্বের ৪র্থ উচ্চতম শৃঙ্গ লোৎ সে, ৫ম উচ্চতম শৃঙ্গ মাকালু, ৬ষ্ঠ উচ্চতম শৃঙ্গ চৌ য়ু দেখা যায়। আপনি যেখান থেকেই ছবি তুলেন না কেন, এই ৩ চূড়ার একটি না একটি অবশ্যই আপনার ছবিতে থাকবে, এটি একটি বড় প্রমাণ।
এছাড়া অবশ্যই সাথের উচ্চতামাপক যন্ত্র অল্টিমিটারের ছবিও প্রমাণ হিসেবে কাজ করতে পারে আবহাওয়া মেঘলা থাকলে।
অণু- তাহলে কি ধরে নিব প্রাপ্ত প্রমাণের ভিত্তিতে বাংলাদেশের প্রথম এভারেস্ট বিজয়ীর নাম এম এ মুহিত?
মুহিত- এই বিষয়ে আমি ব্যক্তিগত ভাবে কিছু বলতে নারাজ, কিন্তু মিডিয়ার কারণে যেহেতু বাংলাদেশে পর্বতারোহণ অনেক জনপ্রিয় হয়েছে বর্তমানে, তারা চাইলেই এই সত্যটি উদঘাটন করতে পারে।
অণু- তরুণদের উদ্দেশ্যে আপনার বক্তব্য?
মুহিত- বি এম টি সির অন্যতম শ্লোগান হচ্ছে ধূমপানের বিরুদ্ধে, মাদকের বিরুদ্ধে পর্বতারোহণ। তরুণেরা যেন প্রকৃতি প্রেমে মশগুল থেকেই জীবনের আনন্দকে খুঁজে নেয়। সেই সাথে তারা যেন জীবনের মূলমন্ত্র হিসেবে সবসময় মনে রাখে – Never stop exploring.
অণু – আপনার পর্বতারোহীর হয়ে ওঠার পিছনে কাদের অবদান সবচেয়ে বেশী মনে করেন ?
মুহিত- শুধুমাত্র একজনের কথা বলতে হলে আমি অবশ্যই ইনাম আল হকের কথা বলব, তিনি একজন ব্যক্তি নন, তিনি একজন প্রতিষ্ঠান। ইনাম আল হক বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মকে পাখি দেখা, প্রকৃতিতে যাওয়া, পাহাড়ে হাইকিং, পর্বতারোহণ ইত্যাদিতে দিক নির্দেশনা দিয়ে গেছেন নিঃস্বার্থ ভাবে অনেক অনেক বছর ধরে, এবং অন্য অনেকের মত তিনি কেবলমাত্র পথ দেখিয়ে দিয়েই সরে যান নি, সবসময় আমাদের পথ তৈরি করে দিয়ে , আমাদের হাত ধরে নিয়ে এগিয়েছেন। তার জন্যই আজ বাংলাদেশের তরুণ-তরুণীরা পাখি পর্যবেক্ষণ করে, হিমালয় জয়ের স্বপ্ন দেখে।
অণু- পর্বতের বিশেষ কোন স্মৃতি?
মুহিত- অবশ্যই মাউন্ট এভারেস্টের শীর্ষে দাঁড়াবার সময়টুকু ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে আনন্দময় মুহূর্ত।
সেই সাথে মনে পড়ে বারকয়েক সাক্ষাৎ মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে এসেছি স্রেফ কপাল জোরে, একবার তো এক ইউরোপিয়ান সহ অভিযাত্রী আমার মাত্র ৩০মিনিট আগে রওনা দেন, এবং তুষারধ্বসের ( অ্যাভালাঞ্জ) কবলে পড়ে মৃত্যুবরণ করেন। এছাড়া চৌ য়ু অভিযানের সময়ও একজন মার্কিন পর্বতারোহী মারা যান, এইগুলো মনে সাংঘাতিক ভাবে পীড়া দেয়, কিন্তু তারপরও এই ঝুঁকি নিয়েই মৃত্যুকে জয় করার পাগলপারা নেশাকে সঙ্গী করেই আবার শুরু করি নতুন পর্বতে অভিযান।
তবে বিশেষ করে ২০০৯ সালের চৌ য়ু অভিযানের কথা বিশেষ ভাবে মনে পড়ে, সেটি ছিল ৮০০০ মিটার উচ্চতায় বাংলাদেশের প্রথম কোন সাফল্য, এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত।
আমার সঙ্গী ছিল তারেক অণু, সে অক্সিজেনের স্বল্পতা জনিত কারণে কয়েকদিনের জন্য বিশ্বের উচ্চতম অ্যাডভান্স বেস ক্যাম্পে অবস্থান করতে বাধ্য হয়েও দলগত সাফল্যের কথা চিন্তা করে এবং ধেয়ে আসা খারাপ আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে আমাকে একাই শিখর জয়ে উৎসাহিত করে।
শুরু হয় বাংলাদেশে নবগৌরবের ইতিহাস, কারণ বিশ্বে এখনো অনেক দেশ আছে যারা ৮০০০ মিটারের এলিট ক্লাবে প্রবেশ করে নি।
অণু- সচলায়তন পড়েন?
মুহিত- মাঝে মাঝেই পড়া হয়, বিশেষ করে ভ্রমণ এবং পাহাড় নিয়ে পোস্টগুলো বাদ যায় না। বেশ আগে আমার একটা সাক্ষাৎকার রেকর্ড হিসেবে সেখানে দেওয়া হয়েছিল।
এম এ মুহিত এবং নিশাত মজুমদার প্রতিশ্রুতি দেন নেপাল থেকেও তারা মুঠোফোনে যোগাযোগ রাখবেন, সম্ভব হলে বেস ক্যাম্পে যেয়েও শেরপাদের স্যাটেলাইট ফোন নাম্বারটি দেবেন যেন যোগাযোগ অক্ষুণ্ণ থাকে, যেন আমরা তাদের অভিযানে সঙ্গী হতে পারি সর্বদাই।
শুভ কামনা বাংলাদেশের প্রথম যৌথ নারী-পুরুষ দলের প্রতি--- আশা রাখি অচিরেই নিচের ছবিটির মত( এটি তোলা হয়েছিল বাংলাদেশ-নেপাল ফ্রেন্ডশিপ পিক বা মৈত্রী চূড়ার শিখর থেকে, এই পর্বতটি প্রথম বারের মত আরোহণ করা সম্ভব হয় মানুষের দ্বারা, অভিযানে বাংলাদেশ এবং নেপালের বেশ কজন পর্বতারোহী অংশগ্রহণ করেছিলেন, ছবিতে মুহিত এবং নিশাত)
একটি ছবি আমরা পাব, যেটি ধারণ করা হবে আমাদের গ্রহের শীর্ষবিন্দুতে।
মন্তব্য
চমতকার
আমিও যাইতে চাই উদাস দা---- দেখেন না ফাণ্ড পাওয়া যায় কি না!
facebook
আপনে গেলে আমি নিজের পকেট থাইকা ৫ লাখ দিমু যান (৩০ লাখের সাধ্য নাই)। সাথে একটা খালি দুই বান্দরওয়ালা চরম উদাস ব্যানার লয়া যায়েন।
বান্দর আর ওরাং ওটাঙদের এক সারিতে ফেলার জন্য আপান্র জরিমানা আরো অনেক বেশী হবে, খাসি দিয়ে কুলাইতে পারবেন না
facebook
দারুন। আরো কিছু ছবি নেই ক্লাইম্বিং এর। আমিও যাবো ভাবছি। যাস্ট একটা জিনিসের জন্য ওয়েট করছি।
আছে, ছবি অনেক, অন্য পোস্টে দিব।
facebook
আমিও যাবো পাহাড়ে
পোষ্ট ঝাঝা
facebook
মুহিত এবং নিশাতের জন্যে রইল আমার শুভকামনা ।
ওঁরা অবশ্যই সফল হবে - আমার দৃঢ় বিশ্বাস ।
অণুদা, ধন্যবাদ লেখাটার জন্যে ।
facebook
পাহাড় চরেন নাকি তারেক?
আর উদাস স্যার, আপনার পকেটে কি পাঁচ লাখ সবসময় রেডি থাকে। তাহলে আপনার সাথে দেখা করার ইচ্ছে রইলো কোন পকেটে থাকে?
কইতে কি আর পয়সা লাগে? প্রথমে ৫ হাজার লিখতে গেছি, পরে ভাবলাম লাখ লিখতে অক্ষর একটা আরো কম লাগে।
হা হা হা হা
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
facebook
এই না হলে উদাস দা!
facebook
চড়ার সাধ হয় মাঝে মাঝে দাদা, তখন যায় আর কি, আমাকে অণু বললেই খুশী হব
facebook
তো ছুটি নিয়ে চলে আসুন এখানে, পাহাড় পর্বতে ঘোরা যাবে। জগতে একটাই মাত্র পাহাড় আছে, হিমালয়।
আসব, অবশ্যই।
facebook
শুভ কামনা রইলো দু'জনের জন্যে।
facebook
অনু ভাই যখন সাংবাদিক
বেশ লাগলো
facebook
মুহিত আর নিশাতের জন্য শুভ কামনা
...........................
Every Picture Tells a Story
facebook
ওয়াসফিয়া নাজরীন নাম এ একজন সম্প্রতি এভারেস্ট এর পথে গেছেন। বিস্তারিত এই লিঙ্ক এ পাবেন।
http://bdon7summits.org/
হ্যাঁ, উনি একাই আছেন, তার সেভেন সামিটের অংশ হিসেবে।
facebook
হুম। এই মেয়েটার মনে হয় কোন আলু-মূলো গং নেই যার কারণে প্রচারের আলো তেমন একটা নেই। ইতিমধ্যে সে আফ্রিকা ও ইউরোপের সর্বোচ্চ পর্বত আরোহণ সম্পন্ন করেছে। এখন সে এভারেস্ট জয় এর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। আগামী ২৬মার্চ যাত্রা শুরু করবে বলে জানা গেছে। এখন সে নেপালে আছে।
তার ভালো স্পন্সর আছে, বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। আশা করি তিনি সফল হবেন। হয়ত ওয়াসফিয়া অনেক বছর ধরে প্রবাসে থাকার কারণে দেশের মিডিয়ায় পরিচিত মুখ না, কিন্তু তাতে কিছু যায় আসে না। স্পিরিটটাই আসল।
facebook
যৌথ দলের জন্য শুভ কামনা।
হিমু ভাইয়ের নেভারেস্ট সিরিজের শেষে কিন্তু ছবি অ্যানালাইজ করে মুসা ইব্রাহীমের এভারেস্ট জয়ের প্রমাণ পাওয়া গেছে বলা হয়েছে। প্রথম বাংলাদেশী এভারেস্ট জয়ী নিয়ে কি সত্যিই আর বিতর্কের অবকাশ আছে?
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
আছে। সংগত কারণেই আছে, ক্যাম্প ১ থেকে কেউ কখনো এক লাফে শীর্ষে পৌছায় না, পথে আরও কয়েক সপ্তাহ ক্যাম্প ২, ক্যাম্প ৩ , ক্যাম্প ৪-এ কেটে যায়। কেউ এভারেস্ট আরোহণ করলে স্বাভাবিক ভাবে সেই এলাকাগুলোর ছবি নিদেন পক্ষে বর্ণনা শুনতে পাওয়ার কথা
facebook
অণু ভাই ঠিক সন্দেহটা আপনার কোন জায়গায় বুঝতে পারলাম না। একটু যদি ক্লিয়ার করতেন।
এই ব্যাপারে লিখতে গেলে আলাদা পোষ্ট হয়ে যাবে, অল্প কথায় বলি--
উত্তর মেরুতে যখন পিয়েরি পদার্পণ করেন, তখন ফ্রেডরিখ আলবার্ট কুক আরো একজন অভিযাত্রী পিয়েরির আগে মেরুতে যাবার দাবি তোলেন, তখন দুই জনের কাছ থেকে প্রমাণ চাওয়া হলে পিয়েরি প্রমাণ দাখিল করলেও অন্যজন আর করেন নি, এর মাঝে তদন্ত কমিটির একজন জানতে পারেন সেই লোক এর আগে উত্তর আমেরিকার সবচেয়ে উঁচু পর্বত শৃঙ্গ মাউন্ট ম্যাককিনলে জয়ের ব্যাপারেও মিথ্যা বলেছিল, ব্যস, অভিযানের ক্ষেত্রে একবার মিথ্যাচার করা হলে সাধারণত সেই ব্যক্তিকে আর বিশ্বাস করা হয় না, তার দাবী খারিজ হয়ে গেল।
মুসা ইব্রাহীমের সাথে ব্যক্তিগত কোন রূপ বিরোধ আমার নেই, বরং এক যুগের মত সময় ধরে পরিচয় আছে, তাই আশা রাখি কেউ এমন ব্যাখ্যাকে ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দের রূপ দিবেন না, বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতি সম্পন্ন শেরপা যার এভারেস্ট নিয়ে তিন তিনটি বিশ্ব রেকর্ড আছে, সেই পেমবা দরজি শেরপা আমাকে ব্যক্তিগত ভাবে কাঠমান্ডুতে ২০০৯ সালে বলেছিলেন মুসা ইব্রাহীম অন্নপূর্ণা ৪ শিখর বিজয় করেন নি, তার শিখর জয়ের ছবি হিসেবে যে ছবি দেখানো হয়েছে, সময়ের যে বর্ণনা দেওয়া হয়েছে তাতে বিরাট অসঙ্গতি !
যে কারণে মুসা ইব্রাহীমের এভারেস্ট জয়ের খবরে লেখক-সাংবাদিক আনিসুল হক কাঠমান্ডুতে তাকে বরণ করতে গেলে যখন বাংলাদেশ দূতাবাসে তার সাথে পেমবার দেখা হয়, সে সরাসরি আনিসুল হককে বলে- মুসা অন্নপূর্ণা ৪ নিয়ে অনেক মিথ্যা বলেছে, কিন্তু এভারেস্টে ওঠার দাবী তাকে অবশ্যই প্রমাণ করতে হবে, আনিসুল হক তার সেই সময়ের কলামগুলোতে অনেক আবেগী কথা, ভুল তথ্যের সাথে সাথে কিন্তু বিশ্ব সেরা এই পর্বতের আরোহীর এই কথা উল্লেখ করেন নি !!!
এখন কথা হচ্ছে, পর্বতারোহণ নিয়ে পেমবার ধারণা ভুল প্রমাণ করতে যাওয়া অনেকটা মেসির ফুটবল জ্ঞান বা শচীনের ক্রিকেট জ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন তোলার মত, এতবড় যোগ্যতা বা অভিজ্ঞতা কোনটাই আমার নেই। আমি কেবল বলেছিলাম, সে এইটা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে কেন, পেমবা স্মিত হাস্যে বলেছিল- পর্বতারোহণ একটি ক্রীড়া, একজনের স্পোর্টস মেন্টালিটি না থাকলে কেবল বিখ্যাত হবার আশায় মিথ্যে বলে এই ক্রীড়াতে অংশ নেবে এইটা সে মেনে নিতে পারছিল না, সে নিজের জীবন শুরু করেছিল অন্যান্য পর্বতারোহীর কুলি বা মালবাহক হিসেবে, আজ পরিশ্রমের ফলেই সে বিশ্ব সেরা পর্বতারোহী, অন্যদেরও সে এমনটাই দেখতে চায়, মিথ্যাচারের মাধ্যমে নয়।
আর মূল সন্দেহ জাগিয়েছে তো মুসা ইব্রাহীম নিজেই, দৈনিক প্রথম আলোর বুধবারের ক্রোড়পত্রে এভারেস্ট অভিযান নিয়ে তার ধারাবাহিক ভাবে ৩৮ টি লেখা ছাপা হয়েছিল ( সংখ্যা উল্লেখে একটু ভুল হতেও পারে), প্রথম ৩৭টি লেখায় তার জীবনের শুরু থেকে অন্যান্য সব পর্বত, দার্জিলিঙের প্রশিক্ষণ, কাঠমান্ডুর বাজার ইত্যাদি ইত্যাদি, অথচ তিনি যখন এভারেস্ট ক্যাম্প -১ এ পৌঁছালেন তিব্বতে, যেখান থেকে তার মূল বর্ণনা শুরু হবার কথা, সেখানে কেবল দায়সারা ভাবে লিখলেন- এভাবে ক্যাম্প-২,৩ ,৪ পার হয়ে আমি শিখর জয় করলাম!!!!
এটা কি ধরনের ফাজলামো জানতে ইচ্ছে করে! সেই সাথে এটিও বলি, সমতলের মানুষদের হয়ত বরফের কিছু ছবি দেখিয়েই কেউ বোকা বানাতে পারে, কিন্তু পর্বতারোহী কাউকে বিশ্বাস করাতে হলে তার লাগবে শক্ত প্রমাণ।
এখন বলেন, প্রমাণ কেন করতে হবে? কারণ, অতীত ইতিহাস তার বিরুদ্ধে কথা বলে।
facebook
ধন্যবাদ ।
কিন্তু এই বিষয় কি আগেই মিটে যায় নাই।
http://www.sachalayatan.com/himu/35653
যদি মিটে গিয়ে থাকে তাহলে বিতর্ক বাদ দিয়ে সামনের দিকে নজর দেওয়াটা উত্তম কাজ নয় কি?
বিতর্ক চলুক। স্বপ্ন হীন কি প্রথম আলোতে চাকরি করেন? মুসা ইব্রাহীমের এভারেস্ট ব্যবসার ভাগ বখরা পান?
কেন ভাই, প্রশ্ন করতে হলে কী প্রথম আলোতে চাকুরী করতে হবে?
আপনার কি অন্য কারো ভাগ বখরা পাওয়ার অভ্যাস আছে নাকি?
আমার জিজ্ঞাসার কোন জায়গা থেকে আপনার এই ধারণা জন্মাল যে আমি প্রথম আলোর অথবা মূসা ইব্রাহিমের কামলা!!
আপনি কিন্তু খুব অদ্ভুত একটা কথা বললেন, আমি যে কয়টা যুক্তি দিয়েছি তা ভুল প্রমাণিত করার মত কিছু বললে মেনে নিতাম। কিন্তু সেই ব্যাপারটি এখনো সন্দেহজনক।
আর ঐ যে বললাম প্রথম আলোর সেই অদ্ভুত রিপোর্ট জনসাধারণ বিশ্বাস করুক, পর্বতে যেয়ে অন্তত দুই বার মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছি , এই সমস্ত গালগল্প বিশ্বাস করতে মন সায় দেয় না, যেমন ২টা উদাহরণ দিচ্ছি, প্রথম আলোতে মুসা ইব্রাহীমের মূল গাইড সোম বাহাদুর তামাং নাকি হাতের তালুর মত এভারেস্ট চেনেন অথচ সেখানে আজ পর্যন্ত উঠেন নি !
অন্য টি আনিসুল হক সাহেবের লেখায় উল্লেখ আছে, মুসা ইব্রাহীম এভারেস্ট থেকে নেমে বেশ ক্যাম্পে এসে দূর হতে দেখতে পান মুহিত নিচে নেমে চলে যাচ্ছেন! অথচ মুহিত বারবার বলেছেন সেখানে অবস্থানের সময় তিনি কোন সময়ই মুসা ইব্রাহীমের অবস্থানের কথা শোনেন নি, আচ্ছা যদি তিনি নাও শুনে থাকেন, আপাদমস্তক ঠাণ্ডা ঠেকানোর কাপড় পড়ে থাকা একজনকে অনেক দূর থেকে দেখে চিনে ফেলা--- হক সাহেব বিশ্বাস করতে পারেন, আমি নিজের অভিজ্ঞতা থেকে করতে পারছি না।
facebook
কথাটা আমার কাছেও খুব অদ্ভুত ঠেকলো। আমার কোন কথাটা ঠিক অদ্ভুত ঠেকলো তা আমি বুঝতে পারি নাই।
আমি একজন সচল পাঠক হিসেবে আপনার কাছে জিজ্ঞাসা করেছিলাম মাত্র। কারণ এ বিষয়ে নিয়ে হিমু ভাই কয়েকপর্বের বিশ্লেষনী লেখা নামিয়েছিলেন। এবং তিনি সমাপ্ত টেনেছিলেন -
এরপর থেকে আমি মনে করেছিলাম যে বিষয়টা বোধ হয় মিমাংসিত। কিন্তু আজ আপনার লেখা আর সজল ভাইয়ের মন্তব্যের উত্তর দেখে আপনার সন্দেহের কারণটা জিজ্ঞেস করেছিলাম।
এর বেশি কিছু নয়।
কিন্তু 'মোজেস' আমাকে ব্যক্তি আক্রমণ করে বসল। আমি কোন গং এর হয়ে প্রশ্ন ক্রতে আসি নাই এবং কোন গং এর সদস্যও নই, সাধারণ পাঠক হয়ে জিজ্ঞাসা করেছলাম।
ধন্যবাদ।
ব্যক্তিগত আক্রমণ না করার অনুরোধ করছি সবাইকে, এটি কোন ব্যক্তিগত ব্যাপারও নয়। হিমু ভাইয়ের কাছে মনে হলেও বাংলাদেশের যারা পর্বতারোহণের সাথে সংশ্লিষ্ট তাদের অধিকাংশই কিন্তু এই সমস্ত প্রমাণে সন্তুষ্ট নয়, আর মোদ্দা কথা হচ্ছে, কারো সন্তুষ্টির জন্য নয়, আমাদের দরকার সত্যটা জানা।
অদ্ভুত কথা বলতে আমি বুঝিয়েছি যে আপনি বলছেন এসব তো মিটেই গেছে ! আসলে সঠিক প্রমাণ না পাওয়া পর্যন্ত যাবেও না। যাই হোক, সত্য একসময় বেরিয়ে আসবেই, আর ব্যক্তিগত ভাবে আমি আপনাকে নেগেটিভ কিছু বলি নাই।
facebook
ধম্যবাদ
facebook
'পর্বতারোহণ একটি ক্রীড়া ' - ঠিক তাই। যারা খেলার আনন্দ না নিয়ে শুধু নিজের কৃতিত্ব হিসেবে এটা দেখান তারা আর যাই হোক পাহাড়ের কাছের মানুষ হতে পারেন না।
প্রমান ছারা কি ভাবে এটা বোঝা যায় কেউ এভারেস্টে বা অন্য কোনো সামিট করলেন কিনা? আমাদের এখানে তো IMF এ কাগজ পত্র সহ প্রমান জমা দিতে হয়। IMF এর approval লাগে।
বাংলাদেশে কোন প্রমান লাগে না। গনিত অলিম্পিয়াড ব্যবসায়ী মুনীর হাসান আর এভারেস্ট ব্যবসায়ী আনিসুল হক পেপারে লিখালিখি করলেই সেটা প্রমানিত বলে ধরে নেয়া হয়। তাদের মুখের কথাই আইন, তাদের হাতের লেখাই প্রমান।
সত্য, বাংলাদেশে খবরের কাগজে লিখলেই প্রমাণিত ধরে নেওয়া হয়।
facebook
"গনিত অলিম্পিয়াড ব্যবসায়ী" কি জিনিস?
' বুকে বিশ্বাস বরফে পা, যা হিমালয় পেরিয়ে যা '
facebook
চমৎকার একটা পোস্ট।
একসাথে ঘোরাঘুরির কারনে নিশাত আপু, শম্পা আপুর সাথে ভাল পরিচয় আছে। নিশাত আপুর এভারেস্ট যাওয়া নিয়ে প্রস্তুতি মোটামুটি ভালই জানতে পারছিলাম। অনেক অনেক শুভ কামনা আমাদের প্রিয় নিশাত আপু ও মুহিত ভাইয়ের জন্য। তাঁরা বিশ্বখ্যাত এভারেস্ট সফলতার সাথে জয় করে আসুক এই দোয়া রইল।
facebook
মুহিত আর নিশাতের জন্য শুভ কামনা! অণু কে
ধন্যবাদ।
facebook
আমি এখনো বিশ্বাস করি এম এ মুহিত প্রথম এভারেস্ট বিজয়ী. শুভ কামনা রইলো অভিযাত্রী দলের প্রতি.
বিশ্বাসের ব্যাপারটার চেয়ে প্রমাণটা অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ। এম এ মুহিতের কাছে অকাট্য প্রমাণ আছে যে তিনি এভারেস্টে আরোহণ করেছেন, একই গৌরবের দাবীদার অন্যজনের ছবি, কথা, বর্ণনা, ইতিহাস কোনটাই অকাট্য হবার মত নয়।
এই বিষয়ে স্বচ্ছতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেটি অনেক সময় পাওয়া যায় না।
facebook
শুভকামনা নিশাত, শুভকামনা মুহিত, শুভকামনা ওয়াসফিয়া। বাংলাদেশের ছেলেমেয়েরা ঘরকুনো না হয়ে আপনাদেরকে দেখে শিখুক অভিযাত্রিক হতে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
facebook
তারেকণুরে ভুল্লে চলবে না। নিশাত আপা পর্যন্ত এরে হিংসা করে। এরে এভারেস্টে নিয়ে গিয়ে উলটা করে ঝুলায় রাখা আসা উচিত।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
দেন , ঝুলায়ে দেন ! এভারেস্টটা দেখি মরার আগেই !
facebook
বলা যায় না, এভারেস্টের উলটা ভিউ দেখার ক্ষেত্রে আপনি প্রথম রেকর্ডধারী হয়ে যাইতে পারেন। এভারেস্ট চড়ব এইটা আমার বাকেট লিস্টের অন্যতম। পাহাড় ভালু পাই।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
facebook
সত্যিকার অর্থে কে প্রাথম এভারেস্টজয়ী বাঙ্গালি সেটা নিয়ে আরও তথ্য, উপাত্ত ও ছবি সমেত একটা পুর্নাঙ্গ পোস্ট কি আপনার কাছ থেকে আমরা আশা করতে পারি?
চেষ্টা করতে পারি। উপাত্ত খুব গুরুত্বপূর্ণ, আর এইখানে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে ব্যক্তির চেয়ে দেশ সবসময়ই বড়।
facebook
বাঙালী বলতে যদি শুধু বাংলা দেশ না বোঝান তো বলতে পারি, ২০০৪ এ সত্যব্রত দাম এভারেস্টে ওঠেন। ২০০৫ এ শিপ্রা মজুমদার আর ২০১০ এ ওঠেন বসন্ত সিনহা রয় এবং দেবাশিষ বিশ্বাস (আমাদের এদিক থেকে এখনো অব্দি এই তিন জন সফল বাঙালী)।
সত্যব্রত এবং শিপ্রা নর্থ কল দিয়ে এবং শেষ দুজন সাউথ কল দিয়ে ওঠেন।
বাঙালি হিসেবে মুহিতের যে তিনটি ৮০০০ মিটার জয়ের রেকর্ড তা সমস্ত বাংলাভাষীর।
আর এভারেস্ট জয়ের ব্যাপারটা কেবলমাত্র বাংলাদেশের মধ্যকার।
facebook
মুহিত আর নিশাতের জন্য শুভ কামনা রইল।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
facebook
মুহিত আর নিশাতের জন্য শুভকামনা রইল।
facebook
শুভ কামনা রইল।
facebook
মুহিত ও নিশাতের জন্য শুভকামনা । শুভকামনা ওয়াসফিয়ার জন্যও । আপনাকে ধন্যবাদ এতো চমৎকার ভাবে বিষয়টি আমাদের সাথে লিখে শেয়ার করবার জন্য । আশা করে থাকলাম তাঁদের সব খবরাখবর আপনার মাধ্যমে আমরা জানতে পারব ।
বেস ক্যাম্পের পর অবশ্য যোগাযোগ ব্যবস্থা বেশ অপ্রতুল এবং তাদের জন্য খুবই ব্যয়বহুল, তারপরও দেখা যাক! ধন্যবাদ আপনাকে।
facebook
পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়ায় এঁকে দিয়ে আসুন তাঁরা তাঁদের দৃপ্ত পদচিহ্ন। শুভকামনা রইলো।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
facebook
মুহিত এবং নিশাতের জন্য শুভ কামনা।
facebook
শুভ কামনা রইল।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
facebook
অভিযাত্রীদের জন্য শুভ কামনা!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
facebook
একটি কমেন্ট।
কই !
facebook
অণু ভাই, আপনি এভারেস্ট অভিযানে গেলে আমরা অনেক মজার মজার পোস্ট পেতাম। যাবেন নাকি?
যাবার চেষ্টা করব অবশ্যই, আপাতত ফিটনেসটা ফিরিয়ে আনি আর স্পন্সর জোগাড় হোক, একমাত্র উদাস দা ৫-এর ভরসা দিছে ,
facebook
আমারে সঙ্গে নিলে আমি তিন সিলিন্ডার অক্সিজেন আর আপ্নারে উলটা করে ঝুলানোর দড়ির জোগান দিব।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
তিন সিলিন্ডার অক্সিজেন খারাপ না, প্রায় ২ থেকে আড়াই হাজার ডলারের মামলা, তাই দিন আপাতত, দড়ি আমি ব্যবস্থা করে নিব, দরকার হলে চমরী গাইয়ের গলা থেকে খুলে নেব !
facebook
ও: দারুণ। আপনি এভারেস্টের দিকে রওনা হলে দারুণ হবে, পথেই কতগুলো সচল পোস্ট, চূড়ায় পোস্ট। আঃ, দারুণ হবে। চরম উদাসের ৫ এর পাশে আমার আড়াই কি সোয়া দুই এর হিসাবও ধরে রাখেন।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আমি গরীব, আমার এক থাকল।
সাবাস ! ছোট বালুকার কণা, বিন্দু বিন্দু জল !!! তাহলে কি সামনে বছরের বুকিং দিয়েই ফেলব! জাগো বাহে, কোনঠে সবাই !
facebook
দরকার হলে সবার দাঁত ছবি বাহির করা ছবি এবং ব্যানার নিয়ে যাব! যদিও নির্দিষ্ট উচ্চতার পর সরাসরি পোস্ট দেয়া যাবে না মোবাইল এবং নেটের অভাবে কিন্তু ফিরে আসতে পারলে পোস্টের সাইক্লোন বইয়ে দেব
আর কেউ কোন সাড়া দেবে নাকি! উদাস দা ৫ লাখ বলে সেই যে গেল আর কোন খবর নাই !
facebook
আয় হায়, আমি তো আরো ভাবছিলাম চূঁড়া থেকে আপনাকে লাইভ ওয়েবকাস্ট বা সচলকাস্ট করতে বলবো!
****************************************
আমি প্রস্তত!
facebook
এই তো তারেকণুর খরচার ৮লাখ উঠে গেল।
মাটির ব্যাঙ্কে পয়সা ফেলা শুরু করলাম।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
facebook
শুভকামনা
facebook
আট লাখ তো উঠেই গেলো, আর চিন্তা কী !
বাকি টাকা আমিই দিবো। শেরপা মামুরে বইলেন খাতায় লেইখা রাখতে, আমি দিয়ে দিবো পরে।
অলমিতি বিস্তারেণ
জলদি ভাগেন, হিমালয়ে পা দেবার আগেই ১০০ % টাকা শেরপাদের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দিতে হয় !
সামনে বছর একটা কথা চলছে মানস - কৈলাস যাত্রা নিয়ে, এপ্রিলে হয়ত। কি অবস্থা আপনার?
facebook
সবার জন্য শুভকামনা রইল।
সামান্য দু-একটা টিলা পাহাড়ে উঠেই আমার মনের মধ্যে বিশাল পরিবর্তন চলে আসে। আর এটাতো "হিমালয় পর্বত"!
সবার শুভ হোক। সংকীর্ণতা দূর হোক।
অবশ্যই।
facebook
একটি ছবিতে সামিটে বাংলাদেশের পতাকা হাতে দেখা যাচ্ছে মুহিতকে। মুহিতের পিছনে লোকটার চেহারা মুছে দেয়া হয়েছে দেখা যাচ্ছে! বিষয়টা কি একটু খোলাশা করবেন ?
নতুন মন্তব্য করুন