জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক – কি আশ্চর্য শক্তিশালী ধরনের নব চেতনার ধারক একটি কথা! জগতের সকল প্রাণী, কেবলমাত্র মানুষ নয়, সমস্ত প্রাণীকুলের সুখী হবার অধিকার নিয়ে কথা বলা হয়েছে এইখানে। সেই আঁধার যুগে শোনালেন সাম্যবাদের গান, কে তিনি?
সিদ্ধার্থ নামের এক যুবরাজ, যিনি পরিচিত সারা বিশ্বের কাছে গৌতম বুদ্ধ হিসেবে। তিনিই বিশ্বে প্রথম কমিউন বা সঙ্ঘ শব্দটি ব্যবহার করেন, যে কারণে অনেকেই তাকে কমিউনিজমের আদি গুরু বলে থাকেন, সেই সাথে সকলের সম অধিকারের ব্যাপারটি তো আছেই।
বুদ্ধদেব আমার কাছে এক পরম আশ্চর্যের মানুষ, প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে আমাদেরই অঞ্চলের এই পাহাড়ি রাজ্যে জন্ম নিয়ে আপাতদৃষ্টিতে কোন অলৌকিক বলে সত্যজ্ঞানপ্রাপ্ত হয়ে অলৌকিকতাকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করে বাণী দিলেন- ধর্মকে বিশ্বাস করো না - অন্ধভাবে ভুল জিনিস শিখতে পার, সংস্কৃতিকে অনুকরণ করো না - অন্যের ভুল ধারণা তোমাকে প্রভাবিত করতে পারে, নিজে যাচাই-বাছাই করে যুক্তিসিদ্ধ মনে হলেই তবে সেই তথ্য গ্রহণ করতে পার।
সেই সাথে চারপাশে ছড়িয়ে থাকা লক্ষ কোটি দেবতাদের তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে বললেন, আমাদের বিপদে তো দেবতারা এগিয়ে আসেন না, নিজেদেরই সামলাতে হয়! তাদের কি দরকার আমাদের ?
কিন্তু তাহলে যে দেবতা জ্ঞানে বুদ্ধ দেবের মূর্তিতে সারা বিশ্ব জুড়ে পুজো করা হয়! নানা বইপত্র ঘেঁটে জানলাম- যে বুদ্ধ ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাস করতেন না তিনি নিশ্চয়ই নিজের মূর্তি গড়ে উপাসনা করতে বলে যান নি। এই ক্ষেত্রে মূল সমস্যা পাকিয়ে গেছে ভারতীয় উপমহাদেশে আক্রমণকারী গ্রীক সেনাদল, যাদের নেতৃত্বে ছিল আলেকজান্ডার। তারা বয়ে আনা প্যাগান ধর্মের সাথে এই দেশীয় প্রচলিত বিশ্বাসের একটা জগাখিচুড়ি নির্মাণের প্রয়াস চালালো এবং ব্যাপক ভাবে সফল হল, মানুষের মনে গেড়ে থাকা বুদ্ধদেবকে তারা গ্রীক সূর্যদেবতা অ্যাপোলোর আদলে মাথায় উঁচু করে বাঁধা চুলের আদলে ঢিবি দিয়ে নির্মাণ করল। উল্লেখ্য, আফগানিস্তানেই মনে হয় একমাত্র উপাসনালয় স্থাপিত হয়েছিল যেখানে একই বেদিতে হারকিউলিস এবং বুদ্ধদেবের মূর্তি আসীন ছিল।
মনে প্রশ্নে ঝড় বয়ে যায়, যে মানুষটি এতটাই আধুনিক ছিল, সে কি করে গতজন্ম- পরজন্মের মত খেলো ব্যাপারে বিশ্বাস স্থাপন করতে পারেন? পরে শুনি, এটিও ঐতিহাসিক রাজনৈতিক চক্রান্ত, শঙ্করাচার্য নামের সেই মহা ধড়িবাজ মৌলবাদী হিন্দুব্রাহ্মণ বুদ্ধ দেবের দর্শনের জনপ্রিয়তা লক্ষ্য করে তাকে বিষ্ণুর একটি অবতার হিসেবে চালিয়ে দিল, সেই সাথে আর্য হিন্দুধর্মের পরজন্ম- জন্মান্তরের মত বিষয়গুলো বৌদ্ধধর্মের অংশ হয়ে গেল, অথচ বুদ্ধদেব কোন ধর্ম প্রচার করতেন না, তিনি তার একান্ত উপলব্ধি অর্থাৎ দর্শন প্রচার করতেন, অথচ তার মৃত্যুর অনেক বছর পরে এই মহামানবকে নিয়েই চালু হল ধর্ম, মূর্তিগড়া, যাবতীয় ব্যবসা!
বুদ্ধদেব নিয়ে যত তথ্য হাতে আসে ততই শ্রদ্ধার মাত্রা মহাকাশ ছাড়িয়ে যায়, অবাক বিস্ময়ে আপ্লুত হতে থাকি বারংবার , বিশ্বের যেখানেই যাওয়া হয় বুদ্ধ সম্পর্কে নতুন বইয়ের খোঁজ পেলে সংগ্রহ করবার চেষ্টা করি সবসময়ই, তবে তাকে দেবতা জ্ঞানে গদ গদ ভক্তি মার্কা লেখা না, তার দর্শনমূল্য বিবেচনা করে তথ্যসমৃদ্ধ লেখা। এবং তাবৎ বিশ্ব হাতড়িয়ে কয়েক মাস আগে খেয়াল করি বুদ্ধদেব সম্পর্কে আমার পড়া সবচেয়ে সুলিখিত, ব্যপক তথ্যসমৃদ্ধ বইটি লেখা হয়েছে বাংলা ভাষাতেই, লিখেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
বুদ্ধদেব নামের শীর্ণ বইটি মূলত রবিঠাকুরের বিভিন্ন সময়ে বুদ্ধদেব নিয়ে লেখার সংকলন, বইটির প্রথম লাইন হচ্ছে- আমি যাকে অন্তরের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ মানব বলে উপলব্ধি করি আজ এই বৈশাখী পূর্ণিমায় তার জন্মোৎসবে আমার প্রণাম নিবেদন করতে এসেছি।
এরপরে বিশ্বকবি তার ঐন্দ্রজালিক ভাষায় উচ্ছসিত উপমা আর মুগ্ধতার জাল বুনেই থেমে যান নি বরং রীতিমত যুক্তির কষ্টিপাথর দিয়ে যাচাই করে দেখিয়েছেন কেন বুদ্ধকে বিশ্বমানব বলা হয় এবং কেন তার বাণী সর্বজনগ্রাহ্য হবে। বিশেষ করে কবি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেছেন বারংবার সেই ভেদাভেদমুক্ত সাম্যবাদী সমাজ ব্যবস্থার প্রচলনের চেষ্টার, উল্লেখ করেছেন বুদ্ধের আবির্ভাবে- সত্যের বন্যায় বর্ণের বেড়া দিলে ভাসিয়ে।
বিশ্বের সব মানুষ যে সমান, বহু যুগ ধরে চলতে থাকা জাত-পাত, ভেদাভেদ যে কেবল শোষণকারী একটা সমাজের কুৎসিত চক্রান্ত তার বিরুদ্ধেই যেন মহাস্ত্র হয়ে এল বুদ্ধের দর্শন।
তার সম্পর্কে কবি গুরু বললেন- এত বড় রাজা কি জগতে আর কোনোদিন দেখা দিয়েছে! বর্ণে বর্ণে, জাতিতে জাতিতে, অপবিত্র ভেদবুদ্ধির নিষ্ঠুর মূঢ়তা ধর্মের নামে আজ রক্তে পঙ্কিল করে তুলেছে এই ধরাতল, পরস্পর হিংসার চেয়ে সাংঘাতিক পরস্পর ঘৃণার মানুষ এখানে পদে পদে অপমানিত। সর্বজীবে মৈত্রীকে যিনি মুক্তির পথ বলে ঘোষণা করেছিলেন সেই তারই বাণীকে আজ উৎকণ্ঠিত হয়ে কামনা করি এই ভাতৃবিদ্বেষকলুষিত হতভাগ্য দেশে।
সেই সাথে যাবতীয় কুসংস্কারের ঝাড় প্রচলিত ধর্মগুলোর বিরুদ্ধে খড়গহস্ত হয়ে সত্য-সুন্দর আনন্দলোকের কবি লিখলেন- যে ধর্মকর্মের দ্বারা মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা হারাবার আশঙ্কা আছে তাকেই ভয় করতে হবে।
একই সাথে স্বজাতির কূপমণ্ডূকতায় ত্যক্ত বিরক্ত হয়ে উপলব্ধি করলেন- কেবল দানের দ্বারা যার ক্ষয় হয় না, বৃদ্ধি হয়, মানুষের প্রতি সেই শ্রদ্ধাকে সাম্প্রদায়িক সিন্ধুকের মধ্যে তালা বন্ধ করে রাখলুম।
বিশ্বমানবের উচ্চতায় আরোহণকারী রবীন্দ্রনাথ তারই মতন আরেক বিশ্বনাগরিকের বন্দনায় মেতে উঠে বলেছেন- তিনি তার সব-কিছু ত্যাগ করেছিলেন দীনতম মূর্খতম মানুষেরও জন্য। তার সেই তপস্যার মধ্যে ছিল নির্বিচারে সকল দেশের সকল মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা।
বাকী প্রবন্ধগুলোতে রবি ঠাকুর সরল ভঙ্গীতে বলে গেছেন বুদ্ধ দর্শনের ইতিহাস, নানা শ্লোকের তাৎপর্য, বিভিন্ন দেশে ও সংস্কৃতিতে এর প্রভাব, বৈষ্ণবধর্ম কতৃক দখলকৃত বৌদ্ধ জীবনধারা, প্রিয়তম মানুষের উদ্দেশ্যে রচিত শ্রদ্ধার্ঘ্য তার অমর কবিতা। এবং সেই সাথে দ্ব্যর্থ ভাবে বলে গেছেন- বৌদ্ধ ধর্মেই মানবকে দেবতার স্থান প্রথম দেওয়া হয়েছে।
( রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বুদ্ধদেব পড়ে জীবনে প্রথমবারের মত বই নিয়ে আলোচনা করার শখ জাগে, নিঃসন্দেহে তা ছিল অতীব ভাল লাগার আবেগে আপ্লুত হবার ফল। তাৎক্ষণিক ভাবেই সেই কথা জানিয়েছিলাম বাংলা লিটারেচার ক্লাব, ফিনল্যান্ডের আহবায়ক কবি, সাহিত্যপ্রেমী ওয়াসিম সাইদ দিপুকে ( যিনি ব্লগার ইয়াসিন নামে শীঘ্রই দুর্দান্ত সব কবিতা এবং প্রবন্ধ নিয়ে হাজির হচ্ছেন সচলায়তনে) , সেই সাথে সাময়িক আবেগ কেটে গেলে হিমালয়সম সন্দেহের উদ্ভব ঘটে যে রবি ঠাকুরের বই নিয়ে আলোচনার কোন অবকাশ আমার মত নাদান রাখে কি না, কিন্তু দিপু ভাই সর্বদাই অভয়বাণী জুগিয়ে গেছেন, বলেছেন পাঠক তার মতামত প্রকাশ করতেই পারে, সে যারই লেখা হোক না কেন। সেই অভয়েই লেখাটি একসময় শুরু করলাম।
এই লেখাটি দিপু ভাইয়ের জন্য, যার উৎসাহ ছাড়া এটি তো বটেই, আরও অনেক লেখা আলোর মুখ দেখত না কোনদিনই। )
মন্তব্য
খাইছে!!
এই বার বুঝবেন ঠেলা। বিনা পয়সায় উপদেশ আর জাকির নায়িকার অয়াজ সহ ইউ টিউবের লিঙ্ক।
একজন আমারে একদিন লিখছে মুসলমান হয়ে অন্য ধর্মের বই পড়া হারাম
অন্য ধর্মের লোক জতই ভালো কথা বলেন এই সবের কোন টাইম নাই
সুতরাং ভালো হইয়া যান নাইলে বিভিন্ন দেশে দেশে ঘুরে বেড়াবেন এইটাই আপনার শাস্তি
রক্ষে কর !
জাকির নায়েক যে শুনলাম জোকাই লামা নাম হয়ে বুদ্ধের শরণ নিয়েছে ! মতিকন্ঠ কি ভুল বলল !
facebook
মতিকণ্ঠের পাল্লায় পড়ে এখন গৌতম বুদ্ধরে দেখলেই জোকার নায়েকের কথা মনে পড়ে
মানে জোকাই লামা !
ধুর , মতি কণ্ঠের পাল্লায় পড়ে দেখি বুদ্ধদেবও রসাতলে, যত সব ফালতু লোকজন বুদ্ধের শরণ নিতে চাচ্ছে !
facebook
ভালো লেগেছে।
চমৎকার একটি কথা, "জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক"
ধন্যবাদ। এর চেয়ে গভীর অথচ সরল কথা শুনলাম না আজ পর্যন্ত--
facebook
বইটা পড়তে পারলে খুশি হতাম।
কত বই পড়া বাকি থেকে গেল এক জীবনে।
আপনার রিভিউয়ে
বইটা পড়েছেন বলে হিংসায়
পড়ে ফেলেন, রবি ঠাকুর তো সহজে পাওয়ার কথা।
আর বইটা খুবই ছোট।
facebook
খাসা হেয়েচ
facebook
"জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক – সেই আঁধার যুগে শোনালেন সাম্যবাদের গান, কে তিনি?
সিদ্ধার্থ নামের এক যুবরাজ, যিনি পরিচিত সারা বিশ্বের কাছে গৌতম বুদ্ধ হিসেবে।"
নুরলদীনের মুখ দিয়ে বলা 'জাগো বাহে কোন্ঠে সকল' কথাগুলোর ক্ররিতিত্ব কার? নুরলদীনের নাকি সৈয়দ শামসুল হকের? বুদ্ধ নামক পুরানসাহিত্য়ের এই চটুল চরিত্রটির মুখ দিয়ে বেরুনো কথাগুলোর যে মহান সুত্রলেখক বলে গেছে, আমাদের তাকে খোঁজা প্রয়োজন।
তরকের খাতিরে ধরে নিলাম গৌতম নামে খ্রিঃপূঃ ৫/৬ শতকে উত্তরপ্রদেশ-নেপাল-বিহারে একজন রাজপুরুষ ছিল। সেই সময়ে অত্র অন্চলে কাদের রাজত্ব? শাক্য় বা শক। তার পিতা শুদ্ধধন (সংসক্ররিত থেকে বাংলা করলে হটে পারে পরিস্কার ধান বা চাউল, যেটা রাজাসুলভ নামের চাইতে স্থানীয় সামন্তসুলভ নাম বলে আমার মনে হয়) একজন গোত্রপতি (আকার জরুরী নয়) হলে, তার গ্রিহস্থালিতে শক আচার-বিশ্বআসের প্রচলন ছিল ভাবা যায়।
আমরা জানি মধ্য়এশিয় সংসকরিতিগুলোতে করমফল, শরীর-আত্মার বিভেদ, আত্মার অবিনশ্বরতা ও পুনরজন্মের মাধ্য়মে শরীর নবায়ন, মোক্ষলাভ এইসকল বিশ্বআস প্রচলিত ছিল। মানে মোটামুটি বুদ্ধধরমের মেরুদন্ডটি ৫/৬ শতকের চাইতেও শতাব্দী পুরাতন। এইসব ধারনাকে আমরা বেদ ও আভেস্তাতে প্রতিফলিত হতে দেখি। বাসায় বসেই যদি এইসব ধারনা পাকাপোক্তভাবে থেকে থাকে, তাহলে জংগলে বসে গৌতম কি ছিড়ল?
"তিনিই বিশ্বে প্রথম কমিউন বা সঙ্ঘ শব্দটি ব্যবহার করেন, যে কারণে অনেকেই তাকে কমিউনিজমের আদি গুরু বলে থাকেন, সেই সাথে সকলের সম অধিকারের ব্যাপারটি তো আছেই।"
শিং নেই তবু নাম তার সিংহ!! বুদ্ধ-সাহিত্য়ের 'সংঘ'এর সাথে কমিউনিজমের মিল দেখতে হলে অনেক শক্তিশালি দূরবীন দরকার হতে পারে। বুদ্ধসাহিত্য়ের 'সংঘ' মানে তো হল 'আলিয়া-মাদ্রাসা' যেখানে কায়দা-আম্পারা-সিফারা-কিতাব এগুলোর সবক দেয়া হয়, সুবহে সাদিকে ছদকার বাটি পেতে ভাত-ল্য়াবড়া নিতে আর রাতের বেলা ওস্তাদের দিকে পাছা পেতে শুতে শেখানো হয়। সেখানে লে-ম্য়ানের 'সংঘ' কই? সবাই 'সংঘ'-এ যোগ দিলে ভাত-ল্য়াবড়া যোগাবে কে আর ফি বছর নতুন 'তালেবান-এ-শাবাব' আসবে কোথা থেকে?
হিন্দু সাম্প্রদায়িকতা কিভাবে বৌদ্ধধরমকে কলূষিত করেছে, তাতে দুঃখপ্রকাশ করার পরে বুদ্ধকে 'বুদ্ধদেব' বলাটা কি ঠিক হল? বুদ্ধসাহিত্য়ে তো বুদ্ধ নামে কোন দেবতা নেই। বৈষ্ণবমতই বরং তাকে 'বুদ্ধদেব' নাম দিয়ে দেবতার আসনে বসিয়েছে।
বৈষ্ণবমতের অনেক কিছুই যে বুদ্ধ থেকে নেওয়া হয়েছে রবি ঠাকুর সেটিও উল্লেখ করেছেন।
বুদ্ধতো নিজেকে দেবতা দাবী করেন নি, আমরাই বানিয়েছি, যেমন ভাবে বুদ্ধের দর্শনকে ধর্ম বানানো হয়েছে।
এইটা সবসময়ই বলা হয় বুদ্ধ প্রথম Commune শব্দটি ব্যবহার করেন, সেটাই বলতে চেয়েছি আর কিছু নয়।
facebook
দুর্দান্তদা,
শুদ্ধোদন (শুদ্ধধন না কিন্তু) শাক্যদের প্রজাতন্ত্রের একজন গণসংস্থার সদস্য ছিলেন বলে পড়েছি কয়েক জায়গায়। একটা সূত্র হাতের কাছে পাওয়া গেলো। যৌবনের শুরুতে এই শুদ্ধোদনের তৈরি করা 'ঋতু উপযোগী ভিন্ন ভিন্ন তিনটি মহলে অপ্সরী কন্যাদের যৌবন সাহচর্যে জগতের প্রতিটি বিস্তৃতি ও বিস্ময়কে বক্ষে ধারণ করতে শুরু করেন গৌতম।'
আত্মার অবিনশ্বরতা ও পুনরজন্মের ব্যাপার অন্তত গৌতম মানেননি। মোক্ষলাভ ছাড়া আর কোনোটাও তার কাছে পাত্তা পায়নি বোধহয়। তার অনেক চিন্তার মধ্যে 'আত্মার নিত্যতা স্বীকার না করা, কেননা আত্মা নিত্য হলে তার পরিশুদ্ধি ও মুক্তির প্রশ্ন আসে না ও জীবন প্রবাহ এই শরীরের মধ্যেই সীমিত মনে করা, অন্যথায় জীবন এবং তার নানা বৈচিত্র্য কার্যকারণ-প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উৎপন্ন না হয়ে শুধু এক আকস্মিক ঘটনা রূপে প্রতিভাত হবে'- টাইপের চিন্তাও ছিলো।
আর ছিড়াছিড়ির ব্যাপারে আমার ধারণা, জঙ্গলে বসে ছিড়াটাই ঐ যুগে ফ্যাশন ছিলো। গৃহীদের মধ্যে দর্শনচর্চা থাকলেও সেটা ব্যতিক্রমের বেশি কিছুনা। বরং প্রাচীন সময়ে এই অঞ্চলে সমাজ নিয়ে নতুন চিন্তা দেয়া ও তা কার্যকর করার জন্য উদ্যোগি হয়ার অনুমোদনটা সমাজ থেকে তারাই পেয়েছেন যারা সমাজের বাইরে ছিলেন(সাধু-সন্ন্যাসি আর কি)।
নাক্ষত্রিক অণুদা,
সিদ্ধার্থমিয়ারে নিয়া কৌস্তুভদা যে বিয়াপক ধুনফুন লিখে রাখছে তার খবর কি রাখেন?
আর গ্রীকদের নিয়া এমনতরো গীবতের কী কারণ! আমার আন্নের কমনগুরু মুজতবা বস ত অন্যকথা বলে গিয়েছেন। একদল গ্রীক আটকা পড়ে বর্তমানের আফগানিস্তান অঞ্চলে। কালক্রমে তারা এখানকার জনপ্রিয়তম 'ধর্ম'টি গ্রহন করে। কিন্তু যা হয় আরকি, আগের দেবতাঠাকুরকেও জিগর থেকে নির্বাসন দিতে পারেনা। শুরু হয় গ্রীক যোদ্ধা-স্থপতিদের হাতে গ্রীকদেবতাদের আদলে বুদ্ধমূর্তি নির্মাণ। আর নিজেদের থেকে উচ্চতায় বড় মানুষমাত্রকেই দেবতার আসনে বসাতে আগে থেকেই ওস্তাদ পাবলিক সেই মূর্তি লুফে নেয়। নিরীশ্বর বুদ্ধের মৃত্যুর কয়েক শ বছর পর থেকেই শুরু হয় তার প্রতিষ্ঠিত 'ধর্ম'টির উপর সবচে আজব বলাতকার।
গ্রীকদের নিয়ে আজ পর্যন্ত সবচেয়ে তথ্যবহুল বইটা ঘেঁটেই লিখেছি কিন্তু, Time Romans এর Ancient Greeks এর শেষ অধ্যায়ে দেখবেন এই নিয়ে বিস্তারিত বলা আছে। সেই গ্রীকদের বংশধররা পাকিস্তানের কাফেরিস্তানে বসবাস করে, যাদের বলা হয় কালাশ কুফর সম্প্রদায়।
কৌস্তুভদার লেখাটা পড়েছি, সমস্যা একটাই, এই ধরনের কথা যে বুদ্ধ বলে গেছে তার কোন প্রমাণ নেই, বরং মনে হয় তার মতবাদের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। সারা বিশ্বের মানুষকে জিজ্ঞেস করেন, সবাই বুদ্ধ মানে জন্মান্তর বোঝে, কিন্তু আসলে কি তাই!
facebook
১) আপনি সঠিক। শুদ্ধোদনই। কিন্তু সেভাবেও শুদ্ধ +ওদন = পরিস্কার বা সাদা (ওদন) চাল/ভাত/ক্ষীর।
২) আত্মার নিত্যতা ছাড়া মোক্ষলাভ কিভাবে হবে? আত্মার প্রকৃত নিত্যরূপ প্রকাশিত হওয়া মানেই তো নির্বান, আবিনশ্বর আত্মাই তো বোধিলাভ করে, কর্মফল-পুনর্জন্মের চক্রভঙ্গ হয়, দুঃখসহ অন্যান্য ক্লেশগুলো লোপ পায়।
৩) কোন কথা বুদ্ধ বলে গেছে, আর কোন কথা বুদ্ধ বলে নাই - এই আলোচনা হাদিস-ফিকাহ বাহাসের মতই হাস্যকর। গৌতম সাহিত্যের চরিত্র, যার সম্বন্ধে খুব বেশী হলে বলা যেতে পারে এই পুঁথিতে এই কথাগুলো নেই, অথবা অমুক পুঁথির কিছু কথা অন্যগুলোর চাইতে পুরাতন/নতুন। আলেখ্য সর্বদাই পরিবর্তনশীল এবং তার পুরোটাই কাল্পনিক।
আলেখ্য সর্বদাই পরিবর্তনশীল এবং তার পুরোটাই কাল্পনিক, হয়ত ঠিকই বলেছেন। আসলে বুদ্ধের যে বিষয়টা আমাকে ছোট থেকেই আকৃষ্ট করত তা হচ্ছে, অন্য সবাই পিছনে কাল্পনিক ঈশ্বরের কথা বলত, কিন্তু বুদ্ধ এমন কিছু উল্লেখ করেন নি।
facebook
পৃথিবীর সব মনিষীই [যেমন রবীন্দ্রনাথ নজরুল] বুদ্ধদেবকে গুরু মানে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আর আমাদের নজু ভাই !
facebook
গৌতম বুদ্ধকে সর্বশ্রেষ্ঠ মানব বলে কোটি মুসলমানের অন্তরে আঘাত দিলেন মিয়া। মৌলানারা দৌড়ায়া আসতেছে কইলাম।
সবগুলারে শুয়ায় দিতাম, কিন্তু বুদ্ধের অহিংস বাণীতে আস্থা রেখে কিছু বললাম না !
facebook
এটা বুয়েটের!!
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
কি মনে হয় !
facebook
লগে আছেন নি !
facebook
facebook
এই লোকটার কিছু কমন সেন্স ছিল। বাকিরাও হয়ত একই কথা বলতে চেয়েছিল, কিন্তু চটকদারি ছাড়তে পারে নাই।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
ঐ খানেই কবি নীরব! সবাই তো পিছনে ভগবান দাড় করিয়ে রাখে, বুদ্ধ সেটা করেন নি।
facebook
সকল প্রানী দূরে থাক, আমাদের-ই যে অবস্থা
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
দূরে থাকবে কেন, আমার কি তাদের চেয়ে উন্নত! সব প্রাণীর সমান অধিকার।
facebook
সুন্দর লেখা। এত চমৎকার লেখায় কে যেন তিন তারা দাগিয়ে গেছে
দিলাম কইষা পাচ তারা। এখন শান্তি লাগছে
সুন্দর লেখার জন্য সুন্দর একটা গান উপহার নাও।
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
আমি তারায় তারায় রটিয়ে দেব---
facebook
গান টা তো দারুন!!!
বিশেষ করে গীটারের কাজ।
সুবোধ অবোধ
ছবিটি "সারনাথ" এর। এখানেই গৌতম বুদ্ধ সর্বপ্রথম ধর্মশিক্ষা দিয়েছিলেন, আর এখানেই প্রথম "বৌদ্ধ সংঘ" প্রতিষ্ঠা হয়েছিলো। বৌদ্ধ ধর্মের বিকাশে এই জায়গাটির গুরুত্ব অপরিসীম|
বাম দিকের কোনায় যেটা দেখা যাচ্ছে সেটা "ধামেক স্তুপ", ১২৮ ফুট লম্বা এবং ৯৩ ফুট প্রস্থ। সম্রাট অশোক এর রাজত্বকালের আগের যে কয়টি স্তুপ এখনও সংরক্ষিত আছে এটি তার মধ্যে অন্যতম| এর উপরের অর্ধেক অনেক আগেই সরিয়ে নেয়া হয়েছে, তারপরও এর বিশালত্ব দেখতেই পাচ্ছেন নিচে-
এখানেই পাওয়া যায় "অশোক স্তম্ভ" যা এখনও সংরক্ষিত আছে এখানকার জাদুঘরে, একমাত্র অশোক স্তম্ভ যার নকশা অক্ষত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিলো, তুর্কিদের আক্রমনে এটি ভেঙ্গে গেলেও এর নিচের প্রধান অংশ এখনও সারনাথ এ সংরক্ষিত আছে, উপরের অংশ বিশেষ সুরক্ষায় সারনাথ জাদুঘরে রক্ষিত।
এছাড়াও বৌদ্ধ ধর্মের নানা প্রাচীন জিনিস ও সেই সময়কার নানা শিল্প সংরক্ষিত আছে এখনও। গিয়েছিলাম ১-২ বছর আগে|
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
দারুণ, এই নিয়ে একটা পোষ্ট ছাড়ুন জলদি।
facebook
লেখাটা আর একটু বিস্তারিত হলে আরও ভালো লাগতো...
আসলেই, কিন্তু রবি বাবু নিয়ে বেশী নাড়াচাড়ার ভরসা পেলাম না।
facebook
দারুণ । তবে লেখাটা আরো অনেক বড় হতে পারত।
অনেক বড়! তাহলে তো আরেকটা লিখতে হয়
facebook
এই মানুষটারে নিয়ে আগ্রহবোধ করি সবসময়।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
আম্মো !
facebook
রবীন্দ্রনাথ ও গৌতম বুদ্ধ আমার সবচেয়ে প্রিয় দুজন ব্যক্তিত্ব। এদেরকে নিয়ে লেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ, অণু ভাই। বুদ্ধের আদর্শকে আমি মনে করতাম অতুল্য এবং সর্বাপেক্ষা প্রগতিশীল প্রাচীন আদর্শ। কিন্তু জাতকের সপ্তম অংশের 'স্ত্রী বর্গ' তে নারীদের সম্পর্কে যা বলা হয়েছে, তার সঙ্গে অন্য ধর্মগুলোর নারী সম্পর্কিত দৃষ্টিভঙ্গির তেমন কোন পার্থক্য নেই।
কিন্তু তারপরও 'জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক' এমন একটি মাত্র মন্ত্রের জন্যই বুদ্ধ অবিস্মরণীয় এবং ধর্ম প্রবর্তকদের মধ্যে অনন্য, যেহেতু জগতের অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠিত ধর্মই অন্য প্রাণী তো দূরের কথা, অন্য ধর্মের মানুষদের সুখ কামনা করতে দ্বিধা বোধ করে।
যেহেতু জগতের অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠিত ধর্মই অন্য প্রাণী তো দূরের কথা, অন্য ধর্মের মানুষদের সুখ কামনা করতে দ্বিধা বোধ করে
জাতকের সেই কথাগুলো বৈষম্যে ভরা! আসলেই জানা দরকার এর পিছনের ইতিহাস।
facebook
তরবোহপি হি জীবন্তি জীবন্তি মৃগপক্ষিণঃ।
স জীবতি মনো যস্য মননেন হি জীবতি।।
[তরুলতাও জীবনধারণ করে, পশুপক্ষীও জীবনধারণ করে; কিন্তু সেই প্রকৃতরূপে জীবিত যে মননের দ্বারা জীবিত থাকে।]
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
facebook
এই ছবি বুয়েটের কেমনে হয় বুঝতেছি না,অবশ্য আমি সকাল ৮টায় ঘুমাতে যাই,ঘুম থেকে উঠি বিকাল ৪টায়।এর মধ্যে দুনিয়া ওলট পালট হয়ে গেলেও আমার খবর থাকে না
অনু ভাই,অসাধারণ লেখা,দিনশেষে শান্তিটাই মোদ্দা কথা,তা হোক মানসিক কিংবা শারীরিক।জগতের সকল প্রানী সুখী হোক
facebook
, বুদ্ধের বাণী চমৎকার। তাঁর দর্শনও অত্যন্ত ঊচ্চমার্গীয়। কিন্তু এর প্রায়োগিক দিকটি জটিল।
অর্থাৎ নতুন জীবসৃষ্টি হবেনা।
বুদ্ধ যে দর্শন প্রচার করেছেন সেটা সংসার ত্যাগী ভিক্ষুর মার্গ। এই বৌদ্ধ ভিক্ষুদের জীবিকা একমাত্র ভিক্ষাবৃত্তি। উৎপাদনের সাথে তাঁদের কোন সম্পর্ক থাকবেনা। সবাই বৌদ্ধ দর্শন গ্রহন করলে উৎপাদন কে করবে ? ভিক্ষা কে দেবে ? তিনি যে মার্গের কথা বলেছেন, সেটা হচ্ছে জগতের লয়। তাতেই সকলের মুক্তি অর্থাৎ নির্বাণপ্রাপ্তি।
হুমম বড়ই চিন্তার বিষয়, কিন্তু আজকের জনসংখ্যা বিস্ফোরণের সময় মনে হচ্ছে কিছু মানুষ বংশবিস্তার না করলে তাতে জগতেরই উপকার।
আপনার ধর্ম নিয়ে সিরিজটা আর লিখছেন না যে! বেশ হচ্ছিল কিন্তু।
facebook
facebook
গৌতম বুদ্ধ নামক ইতিহাসের যে চরিত্রটি সম্পর্কে আমরা বিভিন্ন বই-পুস্তকে জানি বা আমাদের জানানো হয়েছে, তার ভিত্তিতে তিনি আমারও খুব প্রিয়। কিন্তু বাস্তবে এ চরিত্রটির আদৌ অস্তিত্ব ছিলো কিনা সে সম্পর্কে দুর্দান্তদার মতো আমিও সন্দেহ পোষণ করতে চাই । আপনি গ্রিকদের কথা উল্লেখ করেছেন। বুদ্ধ যে সময়ে ছিলেন বলা হচ্ছে তার কাছাকাছি সময়ে মেগাস্থেনিস 'ইন্ডিকা' রচনা করে গেছেন। কিন্তু তিনি ভারতের বিভিন্ন ধর্ম সম্পর্কে উল্লেখ করলেও বৌদ্ধদের সম্পর্কে কিছু লিখে যান নি। "Particularly important are his comments on the religions of the Indians. He mentions the devotees of Heracles (Lord Krishana) and Dionysus (Lord Shiva or King Lord Indra), but he does not write a word for Buddhists, something that gives ground to the theory that the latter religion was not widely known before the reign of Asoka"
গৌতম বুদ্ধ সম্পর্কে যে সব নৃতাত্ত্বিক এবং অন্যান্য নিদর্শন পাওয়া যায়, সেগুলো তাঁর যে সময় উপস্থিতি ছিলো বলা হচ্ছে তার প্রায় ৫০০-৬০০ বছর পরের। এমনকি বুদ্ধের প্রথম প্রতিকৃতিরও উদ্ভব ঘটে প্রায় ছয়শ বছর পরে (http://www.exoticindiaart.com/article/lordbuddha) । প্রাচীন স্তুপাগুলোতে নানা শিল্পকর্মের নিদর্শন পাওয়া গেলেও সেখানে বুদ্ধের কোনো নিদর্শন ছিলো না! কাকতালীয়ভাবে ঠিক এ সময়ের পর থেকেই স্তুপায় বুদ্ধের নিদর্শন পাওয়া যায়। একটা মানুষ তিরোধানের প্রায় ৫০০-৬০০ বছর পরে যদি সব নিদর্শনের উদ্ভব হয়, তবে ইতিহাসে সে চরিত্রটিকে 'মিথিক্যাল' দাবী করলে বোধহয় অত্যুক্তি হয় না।
তবে গৌতম বুদ্ধ থাকুক বা না থাকুক, তাঁর শিক্ষাগুলো যে গুরুত্বপূর্ণ তাতে সন্দেহ নেই। বুদ্ধ মানে তো হলো যে আলোকিত (তানভীর অর্থ আলোকিত ) বা বোধপ্রাপ্ত (The Awakened One)। বৌদ্ধ ধর্মের মূল কথাই হলো বুদ্ধকে অনুসরণ করে বা বুদ্ধের আশ্রয় নিয়ে আলোকিত মানুষ হওয়া (বুদ্ধং শরণং গচ্ছামি)। আমার প্রিয় বুদ্ধের বাণী হলো- "Be your own light. Do not seek refuge to anyone but yourself".
আসলেই বলা মুস্কিল, সেদিন এক ডকু দেখলাম, তাতে প্রায় প্রমাণ করে ছেড়েছে যীশু নামে কেউ কখনো ছিল না, সেটি আসলে হোরেসের আদলে তৈরি এক চরিত্র।
আমার বড় ভাইয়ের নামও তানভীর, নামের অর্থ শুনেছিলাম জ্যোতি। হে হে, আলো আছে সবকিছুতেই।
facebook
হোরেসের আদলে??
আমি জানতাম এপোলোনিয়াস ......
ভাইডি, আপনার লেখা পড়ে চমতকৃত হইলাম। কিন্তু আমার একটা দাবি আছে ভাইডি। লোকজন বুদ্ধরে নিয়া লিখে, আরুজ আলী মাতব্বর নিয়া লিখে, কিন্তু কেউ লালন নিয়া লিখে না। উইকিপিডিয়ার লালন এর ভুক্তি (http://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%A8) দেখে কষ্ট পাইছি, উপরে এই বিজ্ঞপ্তি দেখে কষ্ট আরও বাড়ে 'এই নিবন্ধের ভঙ্গিমা বা রচনাশৈলী উইকিপিডিয়ার জন্য যথোচিত নয়। এই বিষয়ে আরও জানতে আলাপ পাতা দেখুন। উইকিপিডিয়াতে উৎকৃষ্ট নিবন্ধ লিখনের নির্দেশিকা দেখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। (July 2010)'। উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় দার্শনিক (আমার মতে), রবীন্দ্রনাথও যার আদর্শে অনুপ্রানীত ছিলেন, সাম্প্রদায়ীকতাকে যিনি প্রতিনিয়ত তার গানের মাধ্যমে আঘাত করে গেছেন, তাকে নিয়া কেউ লিখে না। আপনার প্রতি আমার দাবী, লালনরে নিয়া একটু লিখেন ভাইডি।সেই ২০০ বছর আগে যে লোক উপলব্ধি করতে পেরেছিল,
'লালন বলে জাতের কি রূপ
দেখলাম না তা-নজরে।।', যেটা আমরা এত 'শিক্ষিত' হওয়ার পরও এখনও অনেকেই উপলব্ধি করতে পারি না, সেই লোক অতি অসাধারন লোক। তাকে নিয়ে আরও বিস্তারিত লেখার দরকার আছে বলে মনে হয়।
আসলেই লালন নিয়ে অনেক লেখার, গবেষণার প্রয়োজন। লিখতে পারলে খুব খুশী হতাম, কিন্তু এই বিষয়ে আরো জানতে হবে- আপনিও চেষ্টা করতে পারেন।
সব লোকে কয় লালন কি জাত সংসারে--
facebook
@তারেকানু, কোনো ধারনা না নিয়ে আপনি বুদ্ধদেব সম্পর্কে আবলতাবল বলছেন .. সাথে ধর্ম নিয়ে দুকথা বলছেন যা আপনার মুখে সাজে না .. সনাতন ধর্মে (তথাকথিত হিন্দুধর্ম) সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বের কথা বলা হয়নি .. সেখানে বলে হয়েছে "কেউ বলে সৃষ্টিকর্তা আছেন, কেউ বলে নেই .. আমি বলি উনি থাকতেও পারেন নাও থাকতে পারেন" (http://en.wikiquote.org/wiki/Ashtavakra_Gita)..
বুদ্ধদেব কখনো বলেননি তার উপাসনা করতে .. তিনি বুদ্ধির সাথে চলতে বলেছেন .. সনাতন ধর্মে বিভিন্ন প্রিতিকৃতি প্রাচীন (১০,০০০ বছর) সংস্কৃতি ও শিক্ষার প্রকাশ .. সম্রাট অশোক বুদ্ধের মৃত্যুর দুশ বছর পর বুদ্ধের চিন্তা চেতনা প্রচার করেন .. তিনি বলেন তিনি বুদ্ধদেবের স্বপ্নদৃষ্ট প্রেরিত পুরুষ .. মানবজাতির রক্ষক (http://en.wikipedia.org/wiki/Ashokavadana).. এজন্য বুদ্ধদেবের প্রতিকৃতি অনেক দেরিতে তৈরী হয় ..
বুদ্ধদেব লালনের মতই ঘুরে বেড়াতেন গ্রামে শহরে.. তার সতীর্থ এবং সন্তানের কাছে বলা একতারা সুত্রে তিনি বলেন, দুধ নারাচারা করে যেমন ঘী পাওয়া যায় তেমনি মানুষের মাঝে যারা উন্নত চেতনা এবং বুদ্ধির চর্চা করে তারা সমাজে অমৃতসম .. তিনি সেখানে গতি বলতে সংসার এবং সন্তানলাভ বুঝিয়েছেন (পরজন্ম) (http://en.wikipedia.org/wiki/Ekottara_Agama) .. তিনি বলেন মানুষের এই বুদ্ধি সমাজে লালিত, তার চেতনা তার মজ্জাগত(imprinted) এবং তা জন্ম জন্মান্তরে বাহিত হয় ..
বুদ্ধদেব ক্ষত্রিয় বংশভূত ছিলেন, তার মায়ের নাম মহামায়া .. তিনি শাক্তদের মতই বিশ্বাস করতেন প্রকৃতি আমাদের প্রতিপালক , যেমন কম্পুটার এর মাদারবোর্ড সব যন্ত্রাংশের ধারক, তেমনি প্রকৃতি মায়া দ্বারা আমাদের ধারণ করছে ..
আমার বিনীত অনুরোধ আপনি ভুল বুঝতে পেরে ভ্রান্তিকর মনগড়া তথ্য অপসারণ করবেন ..
পরমার্থ , কোন জায়গা গুলোতে আবোল তাবোল বলা হয়েছে চিহ্নিত করে দিল সহজে বুঝতে পারতাম।
আর এইখানে আলোচনা করা হয়েছে রবীন্দ্রনাথের লেখা নিয়ে, আপনি ব্যক্তিগত ব্যাপার কেন টেনে আনলেন বুঝলাম না, ধর্ম নিয়ে দুকথা বলা কেন আমার মুখে সাজে না? এটি কি কারো কুক্ষিগত করে রাখা সম্পত্তি!
থাকতেও পারেন , আবার নাও পারেন- এই ধরনের কথার মানেটা কি! মানে আমরা সত্য জানবার চেষ্টা করব না কোন দিন ! আর দয়া করে কেবল উইকির লিঙ্ক না দিয়ে বই এবং লেখকের নাম উল্লেখ করবেন, তাতে আমার মত পাঠক উপকৃত হবে।
ভ্রান্তিকর তথ্যের প্রমাণ পেলে অবশ্যই নতুন জ্ঞানের আলোকে সেগুলো অপসারণ করব, সবসময়ই, আর আমার নাম বিকৃত করে না ডাকার জন্য অনুরোধ করছি।
শুভেচ্ছা
facebook
লেখার সময় দুটো নামের শব্দ এক হয়ে যায়, সেটা দেবার পরে আমি বুঝতে পারি .. এজন্য দুঃক্ষিত, অন্য কোনো হীন উদ্দেশ্য নাই ..
কোনো অজ্ঞাত কারণে আমি (firefox) আপনার লেখাটা অনুলিপি হিসেবে এখানে দিতে পারছিনা ..
"ধর্মকে বিশ্বাস করনা" - এখানে ধর্মের সাথে বিশ্বাস গুলিয়ে গেল .. ধর্ম হচ্ছে পালনীয় .. আর বিশ্বাস বলতে যা কিছু আছে তা কুসংস্কার
হতে পারে বা কোনো মানুষে বিশ্বাস হতে পারে ..
"সে কি করে গতজন্ম-পরজন্মের মত খেল ব্যাপারে বিশ্বাস স্থাপন করতে পারে ? পরে শুনি এটিও ঐতিহাসিক রাজনৈতিক চক্রান্ত, শান্কারাচার্য নামে এক মহা ধরিবাজ মৌলবাদী হিন্দুব্রাহ্মান বুদ্ধদেবের দর্শনের জনপ্রিয়তা লক্ষ্য করে .. " .. এখানে আপনি দেখুন এই বইতে তিনি জীবনের আবির্ভাব সম্পর্কে মতবাদ দিচ্ছেন ,(http://sites.google.com/site/ekottara/ekottaraagama21.1)
At one time the Buddha was staying in Śrāvastī, at Jetṛ’s Grove, in Anāthapiṇḍada’s Park. Then the Exalted One said to the bhikṣus:
There are three conditions (kāraṇa) for consciousness to receive a womb (garbha). Which are the three? Now there are, O bhikṣus, (a) the mother wishing to have sexual intercourse (maithunecchā), (b) the father and mother coming together in one place and spending the night together. However, (c) it is not the occasion for consciousness ‘from outside’ (bāhyāt) to [be instrumental in] bringing about rebirth (gati), and consequently an embryo cannot develop.
Moreover, if there is (a) lust (rāga) and if (b) consciousness [‘from outside’] presents itself, but if (c) there is no union of the father and mother then an embryo cannot develop.
এই বইটি প্রকাশিত হয় ৩৯৮ ক্রিস্টাব্দে যা আদি শঙ্করের জন্মের (৭৮৮ খ্রিস্টাব্দ) পূর্বে .. এই বইটি বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন উত্স থেকে পাওয়া যায় .. এবং এটিই বৌদ্ধ মতবাদের আদিরূপ ..
এখানে বলা হচ্ছে মানুষের ক্রিয়াকর্মের ফলে মানুষ নতুন রূপে জন্মলাভ করে .. যেমন আপনার পূর্বপুরুষেরা কোনভাবেই জন্মান্তর রহিত করতে পারেননি ..
আপনি এখানে "খেলো" কি ব্যাপার দেখলেন ? এখানে অতি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষার একটা আদি রূপ তুলে ধরা হচ্ছে .. শংকর আচার্য উনার দ্বারা প্রভাবিত ছিলেন .. মানুষের শিক্ষার এবং জ্ঞানলাভের প্রচেষ্টাকে উনি সম্মান করতেন ..
श्रुतिस्मृतिपुराणानामालयं करुणालयम्|
नमामि भगवत्पादशंकरं लोकशङ्करम् ||
I salute the compassionate abode of the Vedas, Smritis and Puranas known as Shankara Bhagavatpada, who makes the world auspicious.
সেই শিক্ষাকে সময়োপযোগী করার একটা প্রচেষ্টাও তিনি করেন ..
আর একটি ব্যাপার হচ্ছে বুদ্ধদেবের অন্যতম প্রধান সহচর ছিলেন মহাকশ্যপ(http://en.wikipedia.org/wiki/Mahakashyapa) .. এখানে উনি বুদ্ধদেবের দ্বারা প্রভাবিত হন এবং বুদ্ধদেব প্রভাবিত হন উনার দ্বারা .... মহাকশ্যপ ছিলেন ব্রাহ্মণ, অর্থাত নিশ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করে এমন প্রাণীর পুজারী .. একারণে প্রাণী হত্যার বিরুদ্ধাচারণ করা হয় .. এই ব্যাপারটি আপনি আজও দেখবেন বিভিন্ন স্থানে প্রাণী হত্যার বিরুদ্ধে সনাতন ধর্মের কিছু অনুসারীর প্রচেষ্টার মাঝে .. দেখুন গাছের প্রাণ আছে কিন্তু গাছ হত্যাকে এখানে হিংসা বলা হয়নি ..
দেখুন বুদ্ধদেবকে এখনো সনাতন ধর্মাবলম্বীরা সম্মান করে, এখানে রাজনৈতিক ব্যাপার আসলো কিভাবে ? ইংরেজ আসার আগে এখানকার মানুষ হিন্দুধর্ম বলে নিজেকে প্রচার করত না .. যারা ক্ষুদ্র গন্ডিতে আবদ্ধ ছিল তাদের সংস্কৃতি একটা বিশিষ্ট রূপ পায় .. আপনি এখনো বিভিন্ন বিছিন্ন এলাকায় সম্পূর্ণ অন্যরকম সংস্কৃতি, কিছু স্থানে বুদ্ধ সংস্কৃতির নিদর্শন পাবেন ..
কোনো মানুষের পূজা যেন না করা হয় সে জন্য ক্ষত্রিয়রা মৃত্যুর পরে দেহ পুড়িয়ে ফেলে .. আপনি দেখবেন আমাদের উপমহাদেশে রাজাদের ভাস্কর্য দুর্লভ .. যে সব ভাস্কর্য আছে তা বিভিন্ন ধারণার প্রকাশভঙ্গি, তারা প্রায় সবাই কাল্পনিক চরিত্র .. লক্ষ্য করুন কৃষ্ণ ক্ষত্রিয় নন .. বুদ্ধদেব তার উন্নত বুদ্ধির(rationalism) জন্য মানুষের শ্রদ্ধা ভক্তি পান তার অনিচ্ছা সত্যেও ..
অনেক রাজনীতিবিদ অনেক উদ্দেশ্য নিয়ে অনেককিছু লেখেন, কিন্তু সত্য খুঁজে বুদ্ধির অনুসরণ করতে বলেছেন বুদ্ধদেব ..
এই পর্যন্তই, একজনকে বড় বলে অন্যজনকে খাটো করা বা লেখার উদ্দেশ্য নিয়ে কিছু বলতে চাই না এখানে ..
এখানেও জন্মান্তর আছে না নাই বলতে চাইলেন পুরোপুরি পরিষ্কার হলো না। জিনিসটা রূপক নাকি না?
প্রথমে বলে নেই একে ভাষায় প্রকাশ করার সামর্থ মনে হয় আমার নেই .. গুরুদেবের ভাষায় "আমি শ্রান্ত আমি ক্লান্ত আমি" ভাষা "নাহি জানি" ..
এখানে বলা হচ্ছে দুটি মানুষ জৈবনিক প্রক্রিয়ায় নতুন জীবনের সৃষ্টি করে ..জীববিজ্ঞানের বইয়ের ছবিতে আঁকা এই জীবনচক্র চলে এসেছে যুগে যুগে .. গুরুদেবের ভাষায় "আমারে তুমি অশেষ করেছ এমনি মহিমা তব, ফুরায়ে ফেলে আবার গড়েছ জীবন নব নব" .. মানুষ এইভাবে বারে বারে জন্ম নিয়েছে ..
মানুষের পূর্বপুরুষের জন্মকে বলা হচ্ছে পূর্ব জন্ম হিসেবে ..
আমি জাতিশ্বরে বিশ্বাসী না, কিন্তু যে ব্যক্তি জাতিশ্বর তিনি নাকি পূর্বজন্মের কথা বলতে পারেন .. যেমন জাপানের এক ছেলে বলে সে স্বপ্নে যুদ্ধে যায় এবং সে বিমান থেকে কোনো নির্দিষ্ট স্থানে বোমা ফেলে .. যদিও সেই ছেলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে জন্ম গ্রহণ করেছে .. এখানে সে তার বাবার স্মৃতি (পড়বেন পূর্বজন্মের স্মৃতি) স্নরণ করতে পারে বলে দাবি করছে যদিও সে তার বাবাকে দেখেনি ..
উপরের এই গল্পে আমি পূর্বজন্ম সম্পর্কে ধারনা দিয়েছি ..
বিজ্ঞানী লামার্ক বলেন প্রাণী চর্চার মাধ্যমে যে বৈশিষ্ট্য অর্জন করে তা পরবর্তী প্রজন্মে সঞ্চারিত হয় .. ডারউইন সহ অনেক বিজ্ঞানী তার বিপক্ষে যুক্তি দার করান .. পরবর্তিতে ডারউইনের যুক্তিও অনেকে খন্ডন করেন .. কিন্তু লামার্ক যা বলেন তা সমসাময়িক গবেষণায় ক্ষেত্র বিশেষে সত্য প্রমানিত হয়েছে ..
মানুষের অর্জিত গুনাবলী পরবর্তী প্রজন্মে সঞ্চারিত হওয়াকেই বলতে পারেন জন্মান্তর্বাদের মূলকথা .. গুরুদেবের ভাষায় "হেথায় কারো ঠাই হবে না মনে ছিল এই ভাবনা, দুয়ার ভেঙ্গে সবাই জুটেছে .. যতন করে আপনাকে যে রেখেছিলাম ধুয়ে মেজে আনন্দে সে ধুলায় মেতেছে" ..
গীতায় দেহকে তুলনা করা হয়েছে বস্ত্রের সাথে .. মানুষ যেমন পুরনো বস্ত্র পরিত্যাগ করে নতুন বস্ত্র পরিধান করে সেইরকম আত্মা (পড়বেন আপনার বৈশিষ্ট্য) এক দেহ ত্যাগ করে অন্য দেহ ধারণ করে ..
আমরা বংশগতি বা জেনেটিক্সে 'গতি' শব্দটি যে অর্থে ব্যবহার করি তাই দেখুন লালনের কবিতায় "অগতির না দিলে গতি ওই নামে রবে অখ্যাতি .. পারে লয়ে যাও আমায় " .. লালনের এই রূপক ভাবধারার কারণ রয়েছে .. শিশুমনে এইশিক্ষা বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে তাই এইভাবে বলা .. বয়সকালে মানুষ এর অর্থ বুঝতে পারে .. "সামান্যে কি তার মর্ম বোঝা যায়, হৃদ কমলে ভাব দাড়ালে অজান খবর আপনি বেরয় " ..
সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা ..
ধিক ধিক অরে শতধিক তরে ব্যর্থ রমনী তুমি , টিক টিক করে বছর ঘরে এখনো একাকী আমি ..
এখান থেকে
এখানে আসলেন কীভাবে?
কোথায় বলা হচ্ছে?
এটা আবার কেমন? ‘আমি খোদায় বিশ্বাসী করি না, কিন্তু তিনি আমাকে ফি বছর ছাগল কোরবানি করার তৌফিক দান করেন’, এরকম বলার মতো কি?
লামার্কিজম ফেরত আসা আর আত্মার দেহান্তরী হবার মাঝে বিস্তর ফাঁক। লামার্ক দূরেও ছিলেন পর্যবেক্ষণসাধ্য প্রমাণের সহিত, ফেরত আসলেও আসবেন পর্যবেক্ষণসাধ্য প্রমাণের সহিত। আত্মার দেহান্তরী মতবাদের ক্ষেত্রেও একই প্রমাণ চাওয়া হবে। এর আগে তাকে লামার্কের পাশে পাশে বসালে সেটা আটলানটিসকে হরপ্পার পাশে পাশে বসানোর মতো হবে।
ল্যামার্কিসম ফেরত এসেছে কিনা তা নিয়ে অনেক ব্লগ পরলাম .. একটা থিসিস পেপার বলছে ইদুরকে খেলনার উপর শিক্ষা দেওয়া হয়, তারপর তার সন্তানকে আলাদা করে রাখা হয় .. ওই সন্তান ওই খেলনাটা বাকি সব ইদুরের থেকে দ্রুত শিখতে পারে .. আবার দেখুন বিভিন্ন জীবানু আমাদের দেহে রোগ সৃষ্টি করলে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যে নিরোগ করার চেষ্টা করে তার কৌশল সন্তানের মাধ্যমে বাহিত হয় .. আপনি আরও ঘেটে দেখতেপারেন তবে বিজ্ঞানীরা এই ব্যাপারটি এখন মেনে নিয়েছেন ..
আত্মা কি জিনিস "Ātman is an essence of things that does not depend on others; it is an intrinsic nature. The non-existence of that is selflessness." .. এখানের আত্মা বলতে আপনার প্রকৃতির বাহক বুঝাচ্ছে .. বর্তমান যুগে আমরা জানি মানুষের প্রকৃতি তার জীনে লিখা থাকে .. এবং এই আত্মা এক দেহ থেকে অন্য দেহে গমন করে .. উপরে বুদ্ধদেব বলেছেন কিভাবে গমন করে, কিভাবে নবজন্ম হয় ..
একটা গল্পের ছলে আমি আপনাকে ধারণা দিলাম তবু আপনি গল্পে পরে গেলেন ধারণা পেলেন না ..
গল্প পড়ে ধারণা পেলে তো আমার চলবে না। পর্যবেক্ষণসাধ্য প্রমাণ লাগবে। থিসিস পেপারটা ইঁদুরের উপর যে পর্যবেক্ষণ করলো, সেখান থেকে আপনি কী ইনফারেন্স টানছেন, সেটাই এখানে গুরুত্বপূর্ণ। আপনি কীভাবে নিশ্চিত হয়ে গেলেন এটা মানুষের ক্ষেত্রে খাটে? কতোটা খাটে? কোন কোন ক্ষেত্রে খাটে? আপনি বা আপনার ভাষ্যে বুদ্ধ তো পর্যবেক্ষণগত প্রমাণ ছাড়াই একশভাগ নির্ভরতার সাথে বলছেন যে এমনটা ঘটে। কীসের ভিত্তিতে বলছেন? প্রমাণ হবার আগ পর্যন্ত সেটা প্রকল্প পর্যায়তেই নয় রাখলেন? আমিও আপনার শিক্ষক নই। পর্যবেক্ষণ সাধ্য প্রমাণ আর গল্পভিত্তিক ধারণার পার্থক্য আপনার বোঝার থাকলে নিশ্চয়ই বুঝবেন।
এভাবে প্রমাণের আগেই বিশ্বাস করে নেয়ার বিপদ জানেন তো? জানতে লামার্কিজম ঘেঁষা লাইসেঙ্কোয়িজম পড়ুন। লাইসেঙ্কো আর স্ট্যালিন সমাজতান্ত্রিক আদর্শ বশে বিশ্বাস করেছিলো উদ্ভিদে (এবং অন্যান্য জীবে) অর্জিত বৈশিষ্ট্য প্রজন্মান্তরে বাহিত হয়। তারা সোভিয়েতে জেনেটিক্সের মৃত্যু ঘটিয়েছিলো। বিশ্বাসভিত্তিক তত্ত্ব প্রয়োগে সোভিয়েতে ফসল উৎপাদনে ব্যাপক ব্যর্থতা ঘটে। তাদের তত্ত্ব ভুল প্রমাণিত হয়। ওনাদেরও কিন্তু এটা একটা শুভচেষ্টাই ছিলো! ফলে গল্প না বলে কিংবা বুদ্ধের বাণী না শুনিয়ে পর্যবেক্ষণগত প্রমাণ দিন যে মানুষের ক্ষেত্রে লামার্কিজম কীরূপে ঘটছে।
কিন্তু আপনার পন্থাতো আবার ভিন্ন। যা বিজ্ঞানে আবিষ্কার হচ্ছে, তার সবটাই আপনার দর্শনের সাথে সামাঞ্জস্যপূর্ণ। যেকারণে দেহান্তর ধারণার একটা বিশেষ রূপকার্থ-ব্যাখ্যা দিয়ে তাকে বংশগতির সাথেও সামাঞ্জস্যপূর্ণ করে রাখলেন, যাতে লামার্ক গেলে জেনেটিক্সটা অন্তত থাকে। অমন সর্বব্যাখ্যাদায়ী বিজ্ঞানময়তা কোরানেও পাবেন মেটা-মেটা-তফসিরে গেলে। আমার যেকোনো লেখাও যদি আপনি একটু গভীর মনোযোগ দিয়ে পড়েন, দেখবেন জগতের, মহাকালের ভূত-ভবিষ্যত সবই বলা আছে। আপনাকে একটু বুঝে নিতে হবে আরকি।
এই সবই তো শুভচেষ্টা। তো কী দাঁড়ালো? আপনি যখন আপনার বিষয়টার ব্যাখ্যাটিকে প্রয়োজন অনুযায়ী যথেচ্ছা পরিবর্তন করতে পারবেন, তখন আপনি কখনোই ভুল করতে পারছেন না। আপনার ভুল করার তখন কোনো সুযোগই নাই। কোরানে পাওয়া বিজ্ঞানেরও ভুল হবার সুযোগ নাই। আপনার জন্মান্তরেরও ভুল হবার সুযোগ নাই। জন্মান্তর বংশগতির মতো প্রতিষ্ঠিত ম্যাটারিয়ালিস্ট ধারণাকেও ধারণ করতে ইচ্ছুক, আবার জাপানি বালকের আশ্চর্য মাজেজাটাও ছাড়তে রাজি নয়। ফলে একটা গেলেও আরেকটা থাকছে। আপনার বা জন্মান্তরের বা লালনের বা গুরুদেবের ভুল হবার উপায় কী? যার ভুল হবার সুযোগ নেই, সেই প্রকল্প থেকে নেবার কী থাকতে পারে, একটা দেবতা পাওয়া ছাড়া? কারণ আগামিতেও যাই ঘটবে, সেটাও বুদ্ধ জানতেন। একটু বুঝে বুঝে ব্যাখ্যা করে নিলেই হবে।
facebook
"থিসিস পেপারটা ইঁদুরের উপর যে পর্যবেক্ষণ করলো, সেখান থেকে আপনি কী ইনফারেন্স টানছেন, সেটাই এখানে গুরুত্বপূর্ণ। আপনি কীভাবে নিশ্চিত হয়ে গেলেন এটা মানুষের ক্ষেত্রে খাটে? কতোটা খাটে? কোন কোন ক্ষেত্রে খাটে? আপনি বা আপনার ভাষ্যে বুদ্ধ তো পর্যবেক্ষণগত প্রমাণ ছাড়াই একশভাগ নির্ভরতার সাথে বলছেন যে এমনটা ঘটে। কীসের ভিত্তিতে বলছেন? প্রমাণ হবার আগ পর্যন্ত সেটা প্রকল্প পর্যায়তেই নয় রাখলেন? আমিও আপনার শিক্ষক নই।"
আপনি এসম্পর্কে খোজ খবর না নিয়ে শুধু ছলচাতুরি করছেন .. আপনি বিস্তারিত পরুন .. (http://en.wikipedia.org/wiki/Long-term_memory)এখানে সার সংক্ষেপ বলছে "Research has suggested that long-term memory storage in humans may be regulated by DNA methylation" .. রেফারেন্সে দেখে গবেষণায় নেমে যান ..
"গল্প পড়ে ধারণা পেলে তো আমার চলবে না। পর্যবেক্ষণ সাধ্য প্রমাণ আর গল্পভিত্তিক ধারণার পার্থক্য আপনার বোঝার থাকলে নিশ্চয়ই বুঝবেন।"
আমি একটা উদাহরণ টেনে একটা ধারণা ব্যাখ্যা করেছি .. আপনি জন্মান্তর সম্পর্কে জানতে বইগুলো পড়ুন .. শুধু শুধু অন্য প্রসঙ্গে চলে যান কেন ?
ধারণা বিশ্বাস এসব নিয়ে বই লেখা হয়েছে .. ওখানে আপনি এগুলো সম্পর্কে বুঝুন .. কমপেউতারে আমরা গেইম লেখার সময় ফিসিক্স ইঞ্জিন ব্যবহার করি, যার কাজ বাস্তবতাকে অনুমান করা .. লক্ষ্য করুন আপনার মনেও এই ধাচের ইঞ্জিন আছে যা ছাড়া আপনি পরিকল্পনা করতে বা হাটতে পারতেন না ..
অবশ্যই ওতে ভুল থাকে, যেমন সবাই হোচট খায় .. কিন্তু তাবলে তার কল্পনা থেমে থাকেনি ..
আপনার জন্মান্তর সম্পর্কে ব্যাখ্যা শুনতে চাই .. আপনি তো বলছেন ওই কথা জিনের ধারণার সাথে সমান্জাস্যা পূর্ণ না .. আগের দিনের মানুষেরা কি জেনেটিক্স ছাড়া বংশবৃদ্ধি করেনি ? তারা কি তাদের পূর্বপুরুষের প্রচেষ্টাকে সম্মান করেনি ? আপনি কি আপনার বাবার মত হতে চান না ?
কোরানের বাণী বিজ্ঞানের সাথে সহমত প্রকাশ করতে পারে .. তা আপনার ভালো লাগলে আপনি গ্রহণ করবেন .. আপনি বিজাতীয় বলে কি তাকে গালি দিচ্ছেন ? কোরানে আলেক্সান্ডারের কথা আছে, সেখানে বলা হয়েছে তিনি আল্লাহর আশির্বাদপুষ্ট .. এখন কোরানে আছে যে আলেক্সান্দার তিনি আলেক্সান্দার দি গ্রেট নন এ নিয়ে যুদ্ধ করার কোনো মানে হয় না ..
ছলচাতুরি কোথায় দেখলেন জনাব? জন্মান্তরের প্রকল্প আপনি প্রস্তাব করছেন। আপনার কাছে সেটার প্রমাণ চেয়েছি। গল্প তো চাই নি। তাও দিয়েছেন ভালো কথা, কিছু বলি নি। কিন্তু আপনি নিজেই কিন্তু গায়ে পড়ে বললেন,
যদিও আমি কোথাও বলি নি যে আপনার গল্পটার ধারণাটা আমি বুঝতে পারি নি। আপনার ধারণাটা বোঝার পর সেটার প্রমাণই তো চাইছি, যাতে সিদ্ধান্তে আসা যায় যে সেটাকে তারেক অণুর খেলো বলা আবোল তাবোল ছিলো নাকি ছিলো না।
নিজ খুশি মতো ব্যাখ্যাও করছেন আপনি, গল্পের ছলও করছেন আপনি, আর অন্য প্রসঙ্গে যাবার, ছল করার দোষ দিচ্ছেন আমাকে। ছলচাতুরি গালগল্প বাদ দিয়ে প্রমাণে আসুন, স্পষ্টতায় আসুন। নিজের দাবী নিজে পেশ করুন। লালন, বুদ্ধদেব, গুরুদেবদের বাণী নিজের মতো ব্যাখ্যা করাটার চেয়ে বড় ছল আর কী আছে বলেন?
পর্যবেক্ষণ আর প্রমাণের মানদণ্ডে দাবীকে দেখুন। দেবতার আসনে বসালে সমীহ করতেই তো কেবল মন চাইবে। আর সমীহ করার জন্যে যে যা বলে নি তার তা মুখে গুঁজে দিতেও সমস্যা হবে না। যাচাই বাছাই করে পরখ করতে চাইছি আমরা। জন্মান্তরের যে প্রচলিত ধারণা, সেটার পর্যবেক্ষণ ও প্রমাণাদির অভাবের ভিত্তিতে তাকে খেলো বলার পেছনে এই প্রেরণাই কাজ করে। কিন্তু দেবতার মুখের বাণীকে যদি সমীহ করে অটুট রাখতে চান, তাহলে তার নানা ব্যাখ্যাই তখন দিতে পারবেন। কিন্তু তখন দেববাণী হারাবে বক্তব্যের স্পষ্টতা। 'পাছে শিশুরা পড়ে ফেলে মনে চোট পায়' সেই উছিলাকে পুঁজি করে বানানো যাবে রূপকের পাহাড়। অস্পষ্টতা হলো ছলচাতুরী ও 'খেলো'ত্বের প্রপিতামহ। সেটাই যদি আপনার উদ্দেশ্য হয়, সন্দেহের বদলে সমীহই যদি আপনার উদ্দেশ্য হয়, তাহলে তো আর বলার কিছু নেই।
আর আপনি নিচে বলেছেন যে আগের মানুষেরাও তাদের বক্তব্যগুলো তাদের পর্যবেক্ষণের উপর প্রতিষ্ঠিত করেছিলো। হয়তো তাই। আবার অনেকেই তাদের বক্তব্য পর্যবেক্ষণের উপর ভিত্তি না করে আদর্শ বা বিশ্বাসের বলে দিয়ে বসে, বুলি আউড়ায়, যেমন স্ট্যালিন আর লাইসেঙ্কো। তাহলে কী করে বুঝবো কোনটা ঠিক আর কোনটা বেঠিক? সেটার জন্যে আপনি অনুসন্ধানে নেমে যেতে পারেন। কিংবা সমীহ করে তদের বক্তব্যকে টেনে টুনে বৈজ্ঞানিকভাবে সামাঞ্জস্যপূর্ণও করে তুলতে পারেন। সামাঞ্জস্যকরণে নতুন জ্ঞানের কোনো উদ্ভব নেই। সেখানে কেবল আছে সমীহকরণ ও দেবত্ব রক্ষা করার প্রয়াস।
অনুসন্ধান যদি করতে চান, তাহলে আপনাকে দেখতে হবে যে ওনারা কোন পর্যবেক্ষণের উপর ভিত্তি করে ওই বক্তব্য দিয়েছিলেন সে নিয়ে কিছু বলে গিয়েছিলেন কিনা। যেমন, গুরুদেব যে বললেন, "হেথায় কারো ঠাই হবে না মনে ছিল এই ভাবনা, দুয়ার ভেঙ্গে সবাই জুটেছে .. যতন করে আপনাকে যে রেখেছিলাম ধুয়ে মেজে আনন্দে সে ধুলায় মেতেছে", সেখানে তিনি লামার্কিজমের কী ধরনের পর্যবেক্ষণগত পরীক্ষা সাধনের পর এই বক্তব্যে এসেছিলেন। সেই পরীক্ষা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে লিপিবদ্ধ কিনা? পুনরুৎপাদনযোগ্য কিনা, যেটা কিনা আমিও করে দেখে যাচাই করতে পারবো, নাকি ওনার মনের ঘরেই কেবল সেই পর্যবেক্ষণ ধরা দিয়েছে? এর কোনোটার যদি ব্যত্যয় ঘটে, তাহলে গুরুদেবের সেই বক্তব্য পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হিসেবে মেনে নেয়ার উপায় আর থাকলো না। এখন সেটাকে টেনেটুনে বিজ্ঞানের সাথে সামাঞ্জস্যপূর্ণ করুন, কিংবা কৈমাছ ধরার অনুভূতি হিসেবেই ব্যাখ্যা করুন, সে কেবলই আপনার কৃতিত্ব।
অনেকে গ্রীকদের অবতারের ধারণার সাথে এই জন্মান্তরবাদ গুলিয়ে ফেলে .. একারণে বুদ্ধদেব একে পুনর্জন্ম বলেন .. আবার আরেকটি পুনর্জন্ম আছে যেখানে নতুন দেহের কথা বলা হয় নি, যেটি একবারই শুধু ঘটে মানুষের জীবদ্দশায় .. মানুষ তার নিজেকে জানার পর নবরূপে পৃথিবীকে চেনে .. একারণে একে বলা হচ্ছে দ্বিজ ..
বিবর্তনবাদ বুঝতে পারলে আপনি দেখবেন এই পৃথিবীর সব স্তন্যপায়ী প্রাণী একটি কোষেরই অংশ .. একটি কোষ বিভাজিত হয়ে দুটি কোষ হয়, এবং ওই দুটি কোষ যতক্ষণ বেছে থাকবে ততক্ষণ মূল কোষটি বেছে থাকবে .. এর ফল যা দাড়ালো সেই যে প্রাণ তা এখনো জীবিত .. অনেকে বলেন সমগ্র মানবজাতি একটি দেহ .. এই ধারণা মানুষকে ভালবাসার কথা বলে ..
জন্মান্তরবাদও অতীতে তাই প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছে .. কৃষ্ণের বিশ্বরূপে ওই কথাটিই বলা হচ্ছে ..
এখানে দেখুন সাদির কবিতার অনুবাদ,
The children of Adam are limbs of one body
Having been created of one essence.
When the calamity of time afflicts one limb
The other limbs cannot remain at rest.
If you have no sympathy for the troubles of others
You are not worthy to be called by the name of "man."
উইকির রেফারেন্স দিয়ে বিপদজনক দাবী করে বসেছেন! আপনার কমেন্ট থেকে কোট করা বাক্যটা বাংলায় অনুবাদ করলে কী দাঁড়ায় দেখিঃ
"গবেষণায় ইংগিত পাওয়া গেছে, মানুষের মাঝে দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতি সংরক্ষণ ডিএনএ মিথাইলেশনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হতে পারে।"
স্মৃতি সংরক্ষণ একটা মানুষের জীবনকালে সংগঠিত হয়, সেটাতে ডিএনএ মিথাইলেশন নামে একটা জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়া দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হতে পারে। কোথাও কি বলা হয়েছে, ডিএনএর মাধ্যমে স্মৃতি পিতা-মাতা থেকে সন্তানের মাঝে সঞ্চারিত হয়? মূল পেপারের রেফারেন্স এখানে আছে।
বিবর্তনের মূল ব্যাপার পালটে দিয়ে কমেন্ট করার আগে একটু খোঁজ খবর নিয়ে নেবেন। বিবর্তন না বুঝলে দোষের কিছু না, কিন্তু বুঝে/না বুঝে বিবর্তনের নামে নিজের ভুল ধারণা প্রচার করা ঠিক না।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
শুধু কি তাই? ইঁদুরের থিসিসটাতেও ত্রুটি পাওয়া গেছে, বেশ কয়বার ফলাফল পুনরুৎপাদন করে নিশ্চিত করার চেষ্টা করে গবেষকরা ব্যর্থ হয়েছে।
^ W E Agar, F H Drummond (1935). "First report on a test of McDougall's Lamarckian experiment on the training of rats". Journal of Experimental Biology 12: 191.
^ W E Agar, F H Drummond (1942). "Second report on a test of McDougall's Lamarckian experiment on the training of rats". Journal of Experimental Biology 19: 158.
^ W E Agar, F H Drummond (1948). "Third report on a test of McDougall's Lamarckian experiment on the training of rats". Journal of Experimental Biology 25: 103.
^ W E Agar, F H Drummond, M M Gunson (1954). "Fourth (final) report on a test of McDougall's Lamarckian experiment on the training of rats". Journal of Experimental Biology 31: 308.
সকল বিতর্কিত গবেষণাই ওনার সূত্র।
কিন্তু এইসব বলে কি আপনি পরমার্থের শুভচেষ্টাকে প্রতিহত করতে পারবেন? এগুলো তো উপসর্গমাত্র। এর মূল বাস করে সৃজনশীল গল্প বলার ছলের মাঝারে। শানে নযুলে, মেটা-তাফসিরে। গুরুদেবের ভাষায় - "তোমার সৃষ্টির পথ রেখেছ আকীর্ণ করি বিচিত্র ছলনা জালে হে ছলনাময়ী"।
পর্যবেক্ষণগত প্রমাণ নিয়ে লামার্ক হয়তো আরো বেশি ফিরবেন, কিন্তু ক্রেডিটটা কিন্তু শ্রীকৃষ্ণ, বুদ্ধদেব আর গুরুদেবেরই থাকবে। না ফিরলেও ওনাদেরই। ভুল করলেও তাদেরই ক্রেডিট, কারণ গীতাই বলেছিলো যে মানুষ ভুল শুধরাতে পারে!
DNA methylation is a crucial part of normal organismal development and cellular differentiation in higher organisms. DNA methylation stably alters the gene expression pattern in cells such that cells can "remember where they have been" or decrease gene expression; for example, cells programmed to be pancreatic islets during embryonic development remain pancreatic islets throughout the life of the organism without continuing signals telling them that they need to remain islets.DNA methylation is typically removed during zygote formation and re-established through successive cell divisions during development. However, the latest research shows that hydroxylation of methyl group occurs rather than complete removal of methyl groups in zygote.
এখানে বলা হচ্ছে DNA Methyation এর কারণে DNA প্রবর্তিত হয় .. এমন না যে সে অপরিবর্তিত থেকে কোনো প্রটিন তৈরির মাধ্যমে কোনো কিছুকে পরিবর্তন করে .. DNA পরিবর্তিত হলে তা সন্তানের মাঝে যাবে এই তো নিয়ম ..
আর একারণে বলা হচ্ছে ভালোভাবে সুস্থভাবে বেছে থাকতে যেন আপনার সন্তানেরাও সুস্থ থাকে .. আমার বউ সিগেরেট খেলে অনাগত সন্তানের ক্ষতি হতে পারে এটাত জানেন .. আমি সিগেরেট খেলে আমার সন্তান সেটা শিখবে আমার কাছ থেকে .. এই ব্যাপারগুলো সবাই ভাবে .. আবার দেখুন সামাজিক বিবর্তনে, যে ব্যক্তি ধনী তার সন্তান ধনী হবার সম্ভাবনা বেশি .. যেমন আমি এখন সামান্য চাকুরে, আমার বাবাও চাকুরে ছিলেন .. ব্যতিক্রম আছে যেমন, বুদ্ধদেব রাজপুত্র হয়েও সন্ন্যাস ধর্ম পালন করেন ..
এই ধারণা যেমন মানুষকে ভালো থাকতে উত্সাহিত করে সেইরকম বিভিন্ন শ্রেণী বৈষম্যের জন্ম দায় .. বিভিন্ন শ্রেনীর বৈষম্য দূর করতে এখন দেখা হয় মৌলিক অধিকারকে, সাম্যবাদ নয় ..
আপনি কিছু কিছু কথা মারাত্নক ভাবে গুলিয়ে ফেলছেন, যে কারণে কথার পিঠে কথা বাড়তেই আছে। এমন না করে স্পষ্ট কথা বলেন-
facebook
আমি স্পষ্টভাবে দেহিয়েছি এইসব পুনর্জন্ম সন্করাচার্য়ের আগের .. সুতরাং শঙ্করাচার্য বুদ্ধধর্মে পুনর্জন্ম ঢুকান নি ..
হিন্দু ধর্ম থেকেই তো এইগুলি বুদ্ধের ধর্মে আসল, না কি? না সেটাও অস্বীকার করবেন !
শঙ্করাচার্যের কথা বাদ দেন, সে খোদ বুদ্ধকেই হিন্দু ধর্মে ঢুকিয়ে দিয়েছে, আর কি লাগে !
facebook
যেখানে বুদ্ধদেব মৈত্রীর কথা বলেছেন, সেখানে তাকে আপন করে নিতে সমস্যা কথায় ? মাদার তেরেসা যেবার মার যান সেবার দূর্গা মন্ডপে তার মূর্তি রাখা হয়, এতে তো সেই মহিয়সী নারীর প্রতি শ্রদ্ধা জন্যই হলো .. মহানবী হযরত মুহম্মদ (স:) যিশুকে আপন করে নিয়েছেন .. আপনার মত মন মানসিকতার মানুষেরাই ধর্মযুদ্ধ করে .. দুইদিন আগে দেখলাম শ্রীকৃষ্ণকে সয়ং ভগবান বলা যাবে না তাতে ব্লাসফেমি হয়ে যাবে, কারণ যিশু ভগবান পুত্র ..
গোলপোস্ট সরাবেন না। আমি যে লাইনটা আপনার কমেন্ট থেকে কোট করেছি সেটা আপনি ল্যামার্কের তত্ত্বের ফিরে আসার পক্ষে প্রমাণ হিসাবে দিয়েছেন। এই লাইনে জীবতকালে অর্জিত অভ্যাস/গুণ(গান গাওয়া, স্মৃতি) ইত্যাদি সন্তানের মাঝে বাহিত হওয়ার কোন কথাই নেই। তার মানে এই বাক্যটাই এখানে অপ্রাসঙ্গিক।
আগে একটা প্রশ্নের উত্তর দিন, তা না করে ধোঁয়াশা তৈরীর জন্য গাদা খানেক লাইন কোট করবেন না। আপনার এই আজাইরা কোটিং এর জন্য আমার ডিএনএ মিথাইলেশন নিয়ে পড়তে হয়েছে, পড়েই কমেন্ট করলাম। এখন আবার একই কাজ শুরু করলেন, আরো কোট। যুক্তি না বুঝলে তর্ক করতে আসবেন না, গীতা-ত্রিপিটক-কোরান পাঠ করুন।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
http://sciencelinks.jp/j-east/article/200308/000020030803A0129895.php
"Jean Baptiste de Lamarck (1744-1829) maintained that characteristics that were acquired during an organism's lifetime are passed on to its offspring. This theory, known as Lamarckian inheritance, was later completely discredited. However, recent progress in epigenetics research suggests it needs to be reexamined in consideration of DNA methylation"
গোলপোস্ট মানে ? আপনি সামাজিক বিবর্তনে লামার্কের উল্লেখ নিয়ে ভাবছেন ?
"বাস্তবতা স্বপ্নের কল্পনাতীত"
আপনি মন্তব্য করেছেন দেখে হাতের কাজ ফেলে দৌঁড়ে এলাম। আমিও গুরু আপনার দেখাদেখি এখন ইশারা পাচ্ছি।সুমন, নচিকেতা, মমতাজ, আলুপেপার যা-ই পড়ি যা-ই শুনি সবটাতেই বিবর্তন, মাধ্যাকর্ষণ, বিগ ব্যাং এসবের ইশারা। বুকটা ফাইট্যা যায় বললেই মহাবিশ্ব, মহাকাল, বিগ ব্যাং ইত্যাদি কত কী যে চলে আসে! ধরতে জানতে হয়।
তা গুরু অধ্যাপক আর এম গুপ্তের রিসার্চপেপারগুলো পড়েছেন? বিবর্তন, সৃষ্টি কৌশল..... কী নেই! শুদ্ধবস্ত্রে প্রত্যুষে দক্ষিণদিকে মুখ করে প্রতিদিন দুপাতা পড়বেন, সৃষ্টিরহস্য দিবালোকের মত ভাত হইবেক।
গুরুজী মমতাজের "এইবার না আইলে বাড়িতে আগুন লাগাইয়া দিমু শাড়িতে" এটার গুঢ়বিজ্ঞানটা ধরতে পারছি না। নক্ষত্র, অন্তর্যাত্রা, ধূমকেতু...না ইশারা এক সুতোয় ধরতে পারছি না। আসি আসি করছে কিন্তু আহে না হেলপান পিলিজ।
একলব্যদা পুরাই দ্রোণাচার্য !
facebook
মানবের শিশু মানব হবে এটা পর্যবেক্ষণ করে মানুষ খুব সহজে নিশ্চিত হয় .. এজন্য DNA পরীক্ষা করার প্রয়োজন পরেনি .. যেমন মানুষের হাটার জন্য মধ্যাকর্ষণ বলের সুত্র জানা লাগে না .. "সহসা বাতাস ফেলি গেল শ্বাস, শাখা দুলাইয়া গাছে .. দুটি পাকা ফল লভিল ভূতল আমার কোলের কাছে" - এখানে কবি কথাসুত্রে যদি মধ্যাকর্ষণ বলের কথা বলে থাকেন "তাহাতে আসে যাবে কিবা কার, নামাতে পারি যদি মন ভার !" .. আবার দেখুন হরপ্পায় মানুষ প্রকৃতিকে প্রতিপালক হিসেবে মাতা জ্ঞানে পূজা করত .. বিবর্তনে প্রকৃতির যে ভুমিকা রয়েছে তা বিজ্ঞানে উল্লেখ করা হয়েছে(ডারউইন এর তত্ত্ব ও লামার্কের তত্ত্ব দুটিতেই).. পর্যবেক্ষণ এইসব চিন্তাকে এক করে দিচ্ছে .. এসব চিন্তায় সত্য যদি ধরা দেয় তবে তাকে চোর বলে শুধুই তাদের অপমান করছেন .. মানুষের প্রচেষ্টাকে স্তিমিত রাখছেন .. আর এইসব বাণীকে কেউ ভুলের উর্ধ্বে বলছে না, কিন্তু তার সত্যতা দেখে তাদের প্রতি সমীহ করা হচ্ছে .. আরেকটি ব্যাপার দেখুন বর্তমান কালে মানুষের দর্শন বিশ্বাস যেমন সমসাময়িক পর্যবেক্ষণের উপর প্রতিষ্ঠিত, সেই রকম এই বক্তব্যগুলোও সেই সময়ের পর্যবেক্ষণের উপর প্রতিষ্ঠিত ..
কোনো প্রাচীন সময় দেওয়া ওই তত্ত্বগুলো ওই সময়ের পথেও ছিল .. এখানে আপনাকে কখনই সেই সময়ের ফুলের সুবাস নিতে বলেননি তারা ..
আজি হতে শতবর্ষ পরে
কে তুমি পড়িছ বসি আমার কবিতাখানি
কৌতূহলভরে--
আজি হতে শতবর্ষ পরে।
আজি নববসন্তের প্রভাতের আনন্দের
লেশমাত্র ভাগ--
আজিকার কোনো ফুল, বিহঙ্গের কোনো গান,
আজিকার কোনো রক্তরাগ
অনুরাগে সিক্ত করি পারিব না পাঠাইতে
তোমাদের করে
আজি হতে শতবর্ষ পরে।
মানুষকে আজ এই পথে চলার, নতুনকে বরণ করার জন্য অভিভাদন জানানো হয়েছে ..
এখন করিছে গান সে কোন্ নূতন কবি
তোমাদের ঘরে?
আজিকার বসন্তের আনন্দ-অভিবাদন
পাঠায়ে দিলাম তাঁর করে।
গীতাতেও এই কথাটি বলা হয়েছে যে সময়ে মানুষ ভুল সুধরাতে পারে যেমনটা চেষ্টা করেছিলেন শ্রীকৃষ্ণ ..
গীতায় দ্বিতীয় অধ্যায়ে, ২২ তম শ্লোক দেখুন , "just as man giving up old worn out garments accepts other new ones, in the same way the embodied soul giving up old and worn out bodies varily accepts new bodies" ..
গুরুদেবের কবিতায়, "আমারে তুমি অশেষ করেছ এমনি মহিমা তব, ফুরায়ে ফেলে আবার গড়েছ জীবন নব নব" ..
এবার দেখুন জিনের সংগা, "Genes hold the information to build and maintain an organism's cells and pass genetic traits to offspring" ..
এখানে উপরের প্রত্যেক কথায় একটা প্রকৃতির অনুলিপি গঠনের কথা বলা হচ্ছে .. যেখানে প্রকৃতিটাকে কেউ আত্মা বলছে, কেউ বলছে "আমারে", কেউ বলছে জিন ..
আমি আপনার শিক্ষক নই , আমি শিক্ষকতা করিনি কখনো .. আপনি যদি বুঝে থাকেন তবে হয়ত ভালোভাবে বুঝতে পারবেন ..
আপনার বা গীতার বা গুরুদেবের প্রকল্পের ভুল হবার সুযোগ রাখুন, তবেই যাচাই করা যাবে। যাচাই হয় পর্যবেক্ষণে, প্রমাণে, ঘটে যাবার পরে সৃষ্টিশীল ব্যাখ্যা প্রদানে নয়। কারণ বিজ্ঞানের একটা আবিষ্কার হয়ে যাবার পর আমার হাজারটা দিন পরে রয়েছে গুরুদেবের কবিতাকে সামাঞ্জস্যপূর্ণভাবে ব্যাখ্যা করার। সেটা অসম্ভব কি?
জিনের ধারাকে তো ব্যাখ্যা করে দিলেন গুরুদেব আর গীতার হয়ে। এবার অন্য বিষয়টাতে আসুন। আপনার কিংবা আমার জীবনের অর্জিত স্মৃতি, অভিজ্ঞতা আমাদের মৃত্যুর পরে অন্য মানুষের নিজস্ব স্মৃতি হয়ে ওঠে, নাকি না? উঠলে কীভাবে ওঠে? সেই জ্ঞান যদি আপনার নাও থাকে, আপনি কি মনে করেন সে জ্ঞান গীতা রচয়িতা কিংবা বুদ্ধ কিংবা গুরুদেবের ছিলো? উত্তর চাচ্ছি দেখে নিজেকে শিক্ষক মনে করে বসার প্রয়োজন নেই। প্রশ্ন-উত্তর যুক্তিতর্ক আলোচনার অংশ, কেবলই শিক্ষক ছাত্রের কথোপকথনের অংশ নয়।
প্রশ্ন-উত্তর যুক্তিতর্ক আলোচনার অংশ, কেবলই শিক্ষক ছাত্রের কথোপকথনের অংশ নয়।
facebook
ধর্ম হচ্ছে পালনীয় .. আর বিশ্বাস বলতে যা কিছু আছে তা কুসংস্কার
আপনার কথা মতে ধর্ম পালনীয় হলেও পূর্ণ দ্বিমত পোষণ করছি। আর যুগে যুগে মানুষ কুসংস্কারই পালন করে আসছে সারা বিশ্ব জুড়ে, এটা নতুন কিছু না।
facebook
বৌদ্ধধর্মাম্বলিরা ঈশ্বরে বিশ্বাস করে না, কিন্তু তারা অধার্মিক না .. পাখিরা বিশ্বাস করে কিনা জানিনা, কিন্তু তাদের ধর্ম আছে, তারা ধর্মকে রক্ষা করছে বলেই তারা টিকে আছে .. যুধিষ্ঠির বলেছেন "ধর্ম রক্ষতি রক্ষিত" .. এর অর্থ ধর্ম রক্ষিত হলে ধার্মিক রক্ষিত হয় .. অর্থাত যা মানুষকে টিকে থাকতে সাহায্য করে তাই মানুষের ধর্ম .. আমি শুধু এটুকু বলতে চেয়েছি ..
মানুষকে টিকে থাকতে সবচেয়ে বেশী কি সাহায্য করেছে তা মনে হয় সেলফিস জিন বইতে রিচার্ড ডকিন্স খুব ভাল ভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।
facebook
সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বের প্রশ্ন নিয়ে অনেক বই লেখা হয়েছে .. সৃষ্টিকর্তা, ঈশ্বর , দূর্গা , সর্বশক্তিমান এসব ভিন্ন ভিন্ন অর্থ বহন করে .. ইসলাম ধর্মমতে সৃষ্টিকর্তা, সর্বশক্তিমান, ভাজ্ঞানিয়ান্তা সবাই এক .. সনাতন ধর্মমতে এই মহাবিশ্বের সবকিছুই তার অন্তর্গত, সবকিছু তার অংশ .. সব অংশ মিলে তিনি এক(ঔম) .. বিভিন্ন মানুষ তাকে বিভিন্ন রূপে কল্পনা করে .. স্টিফেন হকিং বলেন সৃষ্টিকর্তা নেই .. তিনি বলেন পদার্থবিজ্ঞানের যত নিয়ম তাকে আমরা ভাগ্যবিধাতা বলতে পারি ..
আমি প্রসঙ্গক্রমে বলতে চাই, দেখুন কাল্পনিক সংখ্যার কিন্তু অস্তিত্ব নেই .. কিন্তু কাল্পনিক সখার যোগ বিয়োগে আমরা অনেক গানিতিক সমস্যার সমাধান করি .. আরবেরা বীজগনিতের জনক, তারা কল্পনার আশ্রয়ে গাণিতিক সমস্যার সমাধান খুঁজে পান .. একটা ধারনাকে বিশ্বাস করে একটা সিদ্ধান্তে আসেন ..
ভারতবর্ষ তার জ্যামিতিক প্রতিভার জন্য বিখ্যাত .. তারা গাণিতিক সমস্যাকে দৃষ্টিগ্রাঝাভাবে সমাধান করতেন .. আপনি দেখবেন কোনো গাণিতিক ব্যাপারে আমরা সংখা না দেখে গ্রাফের সাহায্য নেই ..হরপ্পার প্রাচীন লিপি উদ্ধার করতে না পারলেও আমরা তার পত্র এবং ছাপের ছবি দেখে তাদের সংস্কৃতি সম্পর্কে ধারণা পাই ..
আবার চিনের মানুষেরা অনেক সুরধ্বনি বুঝতে সক্ষম .. তাদের ভাষা এই সুরের উপর নির্ভর করে যা অন্য ভাষাভাষীদের পক্ষে আয়ত্ত করা কঠিন ..
মানুষের ঈশ্বরভাবনা এইভাবে প্রভাবিত হয় তার প্রকৃতির দ্বারা ..
প্রত্যেকটাই ক্রমানুসারে অল্পবিস্তর ব্যাখ্যা করে করে এগুচ্ছিলেন। কিন্তু যে সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর জন্যে এই যুক্তিগুলো ব্যয় করলেন, সেই সিদ্ধান্তটা প্রতিষ্ঠা করার বাক্যটা কীভাবে যেন ক্ষুদ্রতম হয়ে গেলোঃ
শেষ লাইনটাই না তো সবচেয়ে বিস্তারিত হবার দাবীদার ছিলো। তাহলে বক্তব্যটা আরেকটু পরিষ্কার বুঝতাম।
অন্য অনেকের মতই শঙ্করাচার্য বুদ্ধদেবের দ্বারা প্রভাবিত ছিলেন .. বুদ্ধদেব সকল সাত্তার স্থিতি চাইতেন (সর্বে সত্তা সুখিন হন্তু), একারণে তাঁকে বিষ্ণুর(স্থিতির) অবতার বলা হচ্ছে ..
প্রভাবিত হওয়া এক জিনিস, আজ নিজের বিশ্বাস প্রচারের কাজে গুটি হিসেবে ব্যবহার করা অন্য জিনিস।
বৌদ্ধ দর্শনের জনপ্রিয়তা লক্ষ্য করে যে শঙ্করাচার্য বুদ্ধকে বিষ্ণুর অবতার বলে চালিয়ে দিয়েছিল এই কথা ইতিহাসের যে কোন বইতে পাবেন। আর যোগ সাধনা যে কি উপায়ে বৌদ্ধদের কাছে থেকে চুরি করে হিন্দু ধর্মে ব্যবহার করা হয়েছিল তা পাবেন প্রবীর ঘোষের নতুন বইটিতে।
facebook
রবীন্দ্রনাথও একটি নতুন ধর্মের প্রচারক উনি বুদ্ধদেবের উপর লেখা লিখেন .. শান্কারাচার্য নতুন ধর্ম প্রচার করেননি, ওই সময় বুদ্ধদেবের নামে কোনো আলাদা ধর্ম ছিল না .. আমার ধারনা আপনি কোনো সাম্যাবাদির ধর্মের বিরুদ্ধাচারণের সাথে একে গুলিয়ে ফেলেছেন .. বুদ্ধদেব কখনো বলেননি সবাই সমান .. আমি অবশ্যই রবীন্দ্রনাথের সমান নই .. বুদ্ধদেব উন্নত বুদ্ধির চার্চাকারীকে ঘৃতের সাথে তুলনা করেন .. আপনার বিচারে হয়ত আমি দুধের পানি অংশটুকু ..
যোগ প্রাচীন সভ্যতায় আবির্ভূত একটি জীবন পদ্ধতি এবং শরীর চর্চা .. আপনি মহাভারতের নাম শুনে থাকতে পারেন .. আগের যুগে রাজারা মহাভারতের কৃষ্ণের বাণীকে (যা ভাগবত গীতা হিসেবে পরিচিত) ব্যবহার করে মানুষকে যুদ্ধে উত্সাহিত করত .. এই ভাগবত গীতা বুদ্ধের জন্মের বহুকাল আগের .. প্রত্নতাত্তিকেরা আটলান্টিস এবং দ্বারকার অস্তিত্ব খুঁজে পান যা হিমযুগের সময়ের .. এই সমুদ্র তীরবর্তী দেশগুলো দশহাজার বছর আগে সমুদ্রগর্ভে বিলীন হয় বরফ গলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ার কারণে .. এইসব অনুসন্ধান মহাভারত, কোরান এবং গ্রীক উপকথার বর্ণনার সাথে মিলে যায় .. যেমন ধরুন শাহজালাল ( রা ) একজন মানুষ ছিলেন বলে সর্বজন বিদিত .. কিন্তু উনার কাজ ভাষান্তরে অনেক অলীক গল্পের জন্ম দেয় .. যেমন উনি একটি চাদরের উপর ভেসে নদী পার হন ..
তো মহাভারতে এইরকম আট প্রকার যোগের কথা বলা হয়েছে, আপনি এগুলো যেকোনো গীতার বইয়ে পাবেন .. আপনার যদি মনে হয় এগুলো সমসাময়িক সময়ে বিধৃত হয়েছে তবে আমি অবাক হব কারণ এগুলোর লিখিত রূপ বুদ্ধের জন্মের আগেই পাওয়া গেছে ..
এখানে (http://www.eastwestcultural.org/public/protoyogi/) দেখুন একটি ছাপ ব্যবহার করা হয়েছে .. এ ছাপে ত্রিমূর্তি অর্থাত ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্মর ধ্যান করছেন পাদ্দ্মাসানে(অন্য একটা কিছু হতে পারে, নামটা খুঁজে পাচ্ছি না ) .. এটি হরপ্পা সভ্যতা থেকে পাব যায় যা বুদ্ধের জন্মের আগের .. আবার দেখুন বুদ্ধের জন্মের পরেও এই যোগ নিয়ে কাজ করেছেন পানিনি .. আমাদের পাঠ্যপুস্তকে এই প্রাচীন প্রচেষ্টাগুলো থাকলে আমাদের মনের দন্দ্ব দূর হত .. ইংরেজরাও বিভেদের প্রাচীর গড়ে দিয়ে যেতেন না ..
শেষে বলতে চাই নিউটন বলেন ডারউইন বলেন কেউ হঠাত করেই তত্ত্ব দার করেননি .. সব সময় একটা ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন, পুরনোকে শুধরেছেন .. এবং তারা পূর্বতন ধারনার প্রতি ভক্তি রেখেই তা করেছেন ..
তাই নাকি? আরেকটু বিস্তারিত বলুন তো! আটলান্টিসটা কোথায় পাওয়া গেলো? আর দ্বারকা তো ভেবেছিলাম আছেই। আরও বলুন।
বলছিলেন কৃষ্ণ আর ভগবত গীতার কথা, কিন্তু অলীক গল্পের উদাহরণে শামিল হবার জন্যে হািজর হতে হলো শাহজালালকে?
একই প্রশ্ন --
facebook
(http://www.youtube.com/watch?v=FyDEOuAO2OU) ওই প্রতিবেদনে তারা কিছু প্রমান দিয়েছেন আটলান্টিস সম্পর্কে, যেমন একটা ছাপ আছে যেখানে সেই নগরীর একটা মানচিত্র আছে .. ওই স্থানের অনতিদূরে একটা প্রমান শহর (রেপ্লিকা) দেখা যায় যা খ্রিষ্টপূর্বাব্দের .. আর যেখানে ওই শহরটা প্রকৃতপক্ষে আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে তাতে ভূগর্ভস্থ পানির উচ্চতা অনেক বেশি হওয়ায় খনন কাজ চালানো যাচ্ছে না ..
কোনকিছু সত্য না হলে বলুন তা মিথ্যা .. কিন্তু চোর/ধরিবাজ বলছেন কেন ? একটা ছোট বিষয়কে নিয়ে পেচিয়ে অনেক কথা বলা যায় সুদুর অতীতের মত বিষয়ে .. কিছু মানুষ(প্রবীর ঘোষ) ওই মানুষদের কথা ভাঙিয়ে দুই পয়সা আয় করছে .. ঐরকম অর্থ কি আমি আপনার কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছি ?
প্রবীর ঘোষ কি ভুল বলেছেন !!!!
facebook
কিছু অসুস্থ মানুষ যেমন ভিন্ন ধর্মকে গালি দেয়, তেমনি কিছু ব্যক্তি পরমত অসহিষ্ণু হয়ে গালি-গালাজ করে আনন্দ ও অর্থ আয় করে, তাও অসত্যের উপর ভিত্তি করে .. আমি দেখিয়েছি যোগ বুদ্ধদেবের পূর্বেও ছিল, আর জন্মান্তর সম্পর্কে বুদ্ধ নিজেই বলে গেছেন .. আর বুদ্ধ সংসার ধর্ম পালন করার পর সন্যাস পালন করেন .. এটা ওই সময়ের প্রথা ..
উপরের সীলে(ছাপ) আপনি দেখবেন বাঘ ও অন্যান্য প্রাণী শিবের(পশুপতি) সাথে সহাবস্থানে আছে, দেখুন প্রাণীর প্রতি ভালবাসার বিষয় কিন্তু নতুন নয় .. আবার বুদ্ধদেবকে আপনি চোর বলবেন না অনুরোধ রইলো ..
কোনো অজ্ঞাত কারণে আমার লেখা মনে হয় হারিয়ে গেছে .. আমি পুনর্বার লিখছি .. এখানে (http://www.exoticindiaart.co.in/articleprint/yoga) দেখুন তিন মাথা অর্থাত ত্রিমূর্তি(ব্রহ্মা,বিষ্ণু,মহেশ্মর) ধনরত অবস্থায় আছেন একটি বিশেষ যোগমুদ্রায় .. উপরের সীলে(ছাপ) আপনি দেখবেন বাঘ ও অন্যান্য প্রাণী শিবের(পশুপতি) সাথে সহাবস্থানে আছে, দেখুন প্রাণীর প্রতি ভালবাসার বিষয় কিন্তু নতুন নয় .. এটি হরপ্পায় পাওয়া যায় যার সময়কাল ছিল ৬০০০০ খ্রিষ্টপূর্ব থেকে ২৫০০০ খ্রিষ্টপূর্ব পর্যন্ত .. আবার বুদ্ধদেবকে আপনি চোর বলবেন না অনুরোধ রইলো ..
লেখায় একটু ভুল রয়ে গেল .. হরপ্পা ৬০০০ বছর আগে শুরু হয় , ভুলে তার ৬০০০০ হাজার হয়ে গেছে .. আর পতঞ্জলি যোগ নিয়ে কাজ করেন, পানিনি নন ..
ধ্যানরত বলতে চেয়েছেন? নাকি ধনরতই হবে? অনেক কিছুই বুঝি না!
আটলান্টিসের অস্তিত্ব কোথায় পাওয়া গেছে , একটু জানান তো -
facebook
আটলান্টিস নিয়ে নিশ্চিত হতে পারেনি বিজ্ঞানীরা, গবেষণা চলছে .. তা এখন নাকি কাদার মধ্যে আবৃত, নিশ্চিত হতে তিন বছর সময় লাগবে .. কিন্তু ট্রয় নগরী পাওয়া গেছে .. আগে মানুষেরা ভাবত ট্রয় নগরী কাল্পনিক ..
ধনরত শব্দটি ধ্যানরত হবে ..
শাহজালাল (র:) - উনার প্রসঙ্গ আনার কারণ উনি আমার প্রাক্তন নগরী সিলেটে বিখ্যাত ব্যক্তি .. অনেক গবেষণা করে দেখলাম উনি কোনো নবী নন বরং ইসলাম ধর্মের অনুসারীরা তার মাজারের উপর কিছুটা ক্ষিপ্ত .. তাই ভাবলাম তাকে দিয়েই উদাহরণ দেই কেউ কিছু মনে করবে না ..
অনেক কাল্পনিক জিনিস প্রমানিত হবার পরে বাস্তবে পরিণত হয়েছে, সত্যের মর্যাদা পেয়েছে, কিন্তু এইটা ভুলেন না কিছু কাল্পনিক জিনিস কোন সময়ই সত্যে পরিণত হবে না, রূপকথাই থেকে যাবে।
facebook
এখানে(http://www.youtube.com/watch?v=qxpLLgJLOgU) এই সভ্যতাকে আটলান্টিস মনে করা হত ২০০৯ সালে .. পরে তা প্রমানিত হয়নি .. নতুন ভিডিও দেখেছিলাম কিছুদিন আগে সেখানও তারা নিশ্চিত হতে পারেনি ..
দ্বারকা শহরটি বর্তমান সময়ের দ্বারকা শহরের কাছাকাছি সমুদ্রগর্ভে বিলীন হয় .. মহাভারতে এর বর্ণনা রয়েছে .. শ্রীকৃষ্ণ সেখানে থাকতেন .. বর্তমানকালের প্রত্নতত্বের বই আমি হাতে পাইনি তাই দিতে পারছি না .. কিন্তু এনিয়ে বই লেখা হয়েছে এটা ঠিক(ধর্মের পালে হওয়া লাগলে তা বাতাসের আগে যায়) .. (http://en.wikipedia.org/wiki/Dv%C4%81rak%C4%81) এখানে দেখুন আর ধৈর্য ধরুন, সমুদ্রগর্ভে জাদুঘর তৈরির কাজ চলছে, আশা করি আপনি ঐখানে যেতে পারবেন দেখতে ..
বঙ্গোপসাগরে ভারতের সমুদ্রতীরে সমুদ্রগর্ভে প্রাচীন কাঠামোর সন্ধান পাওয়া গেছে .. সেই কাঠামো এত বড় যে সেখানে মাছেরা বংশবৃদ্ধি করে, আর জেলেরা জাল পাতে .. অর্থায়ন হলে দ্রুত জানতে পারবেন ..
এসব বলার অর্থ মানব সভ্যতা অতি প্রাচীন ..
মানবসভ্যতা প্রাচীন এর অর্থ এই নয় যে তাদের সব বিশ্বাসই সত্য। বিশ্বের প্রথম উপাসনালয় নিয়ে আমার একটা অনুবাদ আছে, সময় থাকলে পড়ে দেখতে পারেন-
http://www.sachalayatan.com/tareqanu/43813
facebook
সত্য কিনা বলতে চাচ্ছিনা তাদের শুভচেষ্টার কথা বলছি .. এই চেষ্টাগুলোর একটিও যদি সত্য না হত তবে পৃথিবীতে এখন কোনো সভ্যতায় থাকত না .. আর মোল্লারা যত কথায় বলুক আল্লায় বিশ্বাস বলতে আমি শুভশক্তিতে বিশ্বাসীই বুঝি ..
শাহজালাল সাহেবও তো "একটি চাদরের উপর ভেসে নদী পার" হবার শুভচেষ্টাই করেছিলেন। অনেকেরই তাই বলতে ইচ্ছে করে যে "এই চেষ্টাগুলোর একটিও যদি সত্য না হত তবে পৃথিবীতে এখন কোনো সভ্যতায় থাকত না"। কিন্তু সত্যি কথা হচ্ছে শুভচেষ্টা মাত্রেই যদি সত্য হতো, বা সকল শুভচেষ্টাকেই যদি আটলানটিস আর হরপ্পা পার্থক্য বিলীন করে এককাতারে দাঁড় করানো যেতো, তাহলে বিজ্ঞান বলেও কিছু থাকতো না, অনুসন্ধানেরও কোনো মূল্য থাকতো না। স্টিফেন হকিং শুভচেষ্টার সহিত মহাভারত পার্ট টু লিখতে বসলেই সারতো।
অবাক লাগছে যে আপনিই কিনা শুরু করেছিলেন "আবোল তাবোল বকার" বিরুদ্ধে!
বিশ্বাস হচ্ছে বিশ্বাস, সত্য হচ্ছে সত্য!
সাত বিলিয়ন মানুষ বিশ্বাস করে মন্ত্র জপলেই সেইটা সত্য হয়ে যায় না কখনোই।
আপনি বিশ্বাস নিয়ে সুখী হলে সুখী থাকুন, কিন্তু সেটাকে সত্য বলে দাবী কইরেন না।
facebook
আমি সত্য দাবি করিনি .. আমি শুভশক্তিতে বিশ্বাসের কথা বলেছি .. যেমন বলা হয় জয় বাংলা .. বা আপনার লেখার শেষে শুভেচ্ছাতে .. অদ্ভুত !
আমি সত্য দাবি করিনি .. আমি শুভশক্তিতে বিশ্বাসের কথা বলেছি .. যেমন বলা হয় জয় বাংলা .. বা আপনার লেখার শেষে শুভেচ্ছাতে .. অদ্ভুত !
মানব সভ্যতা অতি প্রাচীন তো বটেই। কিন্তু তাতে তো মিথ আর ফ্যাক্ট একাকার হয়ে যায় না। আপনার ভাষ্যে এগুলোর পার্থক্যগুলো স্পষ্ট নয়।
এটা কি ফ্যাক্ট? যেটার রেফারেন্স হিসেবে বলছেন
?
নাকি এটা একটা ক্লেইম হিসেবে উপস্থাপন করছেন, যেটা প্রত্নতত্ত্ব দ্বারা পরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলতে চাচ্ছেন? এ ব্যাপারগুলো পরিষ্কার হলে ভালো।
আপনার 'উদ্ধার করা শহর' নিয়ে এই আর্টিকেলটা দেখুনঃ
http://en.wikipedia.org/wiki/Marine_archaeology_in_the_Gulf_of_Cambay
এখানে প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধানের মান নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহের কথা বলা আছে।
আপনার আটলান্টিস সংক্রান্ত ক্লেইমটারও কী গতি হলো স্পষ্ট হলো না। আগে বললেন খুঁজে পাওয়া গেছে, এখন বলছেন, "তা প্রমানিত হয়নি", "তারা নিশ্চিত হতে পারেনি"। তার মানে আগের ক্লেইমটা ভুল ছিলো? এরকম ক্ষেত্রে স্পষ্ট করে উল্লেখ করে দিলে সুবিধা হয়। যাই বলছেন, সবই সত্য হলে তো সমস্যা।
এখন ভারতীয় গবেষকদের দ্বারকার অনুসন্ধানে ফেরত আসি। উপরের আর্টিকেলে তো দেখলেন, তাদের প্রত্যেকটা ফাইনডিংস নিয়েই সন্দেহ আছে। তো এই অনুসন্ধানের নির্ভরতাকে ঠিক কতোটুকু? হরপ্পার অনুসন্ধানের মতো প্রতিষ্ঠিত? নাকি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায় নি এমন? নাকি এর স্ট্যাটাস "প্রত্নতাত্ত্বিকদের খুঁজে পাওয়া" আটলানটিসের মতোই?
অনুসন্ধানটার মান যদি এখনো অনিশ্চিত হয়, প্রশ্নাসীন হয়, তাহলে
"দেখুন আর ধৈর্য ধরুন, সমুদ্রগর্ভে জাদুঘর তৈরির কাজ চলছে, আশা করি আপনি ঐখানে যেতে পারবেন দেখতে .. " বা "অর্থায়ন হলে দ্রুত জানতে পারবেন .." এর মতো নির্ভরতা আপনি কীভাবে দিচ্ছেন? নাকি আপনার কাছে সবার গোচর-বহির্ভূত অতিরিক্ত প্রমাণ আছে? জানালে বাধিত হতাম!
আপনার সন্দেহ সঠিক .. সমুদ্রের নিচে এবং এর সময়কাল অতি প্রাচীন বলে সব বিজ্ঞানীরা এখনো এসব গ্রহণ করতে পারে না .. জাদুঘরের ব্যাপারটা আপনার ওই লিঙ্কেই আপনি পাবেন .. যদিও এই বিষয়গুলো আলোচনা না করলেই ভালো ছিল .. বঙ্গোপসাগরের ব্যাপারটা কিছুদিন আগে হিস্টরি চ্যানেল জাতীয় কিছুতে দেখলাম .. ঐখানে বিজ্ঞানী বলেছেন এইসব উদ্ধার করা খরচ সাপেক্ষ .. একটা সীলমোহর(হরপ্পা) তো দিলাম আপনার মনের মত .. এবার একটু ঘুমাই ..
এখানে বলা হচ্ছে নিশ্চিত হতে তিন থেকে পাচ বছর সময় লাগবে .. (http://www.youtube.com/watch?v=FyDEOuAO2OU)এখানে দখুন, এটি ২০১১ সালে ধারনকৃত .. আমার এই মন্তব্যটি সত্যানুসন্ধানের প্রচেষ্টা ভাববেন ..
দারুণ!
প্রচার করতেন দর্শন, হয়ে গেলো ধর্ম!
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ইংরেজ আসার আগে কখনো মানুষ বলতনা আমি অমুক ধর্মের মানুষ .. সধাকেরা সব গুনিজনের সম্মান করত .. এখন আমি বুঝলাম আমি মুসলিম বা ক্রিস্টানদের থেকে আলাদা .. সনাতন ধর্ম নামটি ব্যবহার শুরু হয়েছে গত শতাব্দিতে .. আগে ইংরেজরা আমাদের গালি দিত ধর্মহীন বলে ..
ইংরেজদের গালি দেবার আগে নিজেদের দিকে তাকান, আর্য- অনার্য, জাত পাতের বিভেদ কারা তৈরি করেছিল!
facebook
মানুষের স্বাতন্ত্র্য আচারের মুল্য দেওয়া হয়ছে এখানে .. সেই সাথে হয়েছে নির্যাতন .. যেমনটা বর্তমান যুগেও হচ্ছে .. আমি বাঙালি মানে আমি হিন্দীভাষী নই .. আমি সংসদসদস্য নই তাই আমি সংসদে গিয়ে দাড়াতে পারছি না .. ভারতীয় নই বলে ভারতীয় সীমান্তবাহিনী নিতান্ত অনৈতিকভাবে আমার মত অন্য কাওকে গুলি করে মেরে ফেলছে .. আমি বলছি শেখ মুজিব জাতির পিতা .. অন্যদিকে লোকনাথ বাবার অনুসারীরা বলছে বেদের থেকে লোকনাথের বাণীই শিরোধার্য .. শাক্তরা বলছে তারা প্রকৃতিকে মাতা জ্ঞানে পূজা করবে, তারা বলছে মানুষের সকল জ্ঞান প্রকৃতি থেকে নেওয়া .. বুদ্ধদেবের কিছু অনুসারী পশকে খাদ্য হিসেবে খাচ্ছে .. আবার কেউ কেউ বুদ্ধদেবের অনুসারী না হয়েও পশুবধ থেকে দুরে থেকেছে, তারা আহার করছে না কোনো পশুমাংস .. বর্তমানে যা সনাতন ধর্ম নামে পরিচিত তা কোনো নিয়মের দ্বারা একে নিয়ন্ত্রণ করেনি কখনো তা এইসব লোকাচার এবং ধারণার বর্ণনা ..
নির্যাতনের বিরুদ্ধে পূর্বেও প্রচারণা হয়েছে, এখনো হচ্ছে .. অনেক আপত্তিকর প্রথা উঠে গেছে .. রাস্তায় কত শিশু দিন কাটায়, আমি ত সংসারী নই তাই তাদেরকে তুলে নিজের ঘরে রাখতে পারছি না .. মাঝে মাঝে ইচ্ছা হয় তাদের কাউকে বিয়ে করে সংসারী হয়ে যাই .. এমন এদেশের অনেকেই চায় .. কিন্তু দেখুন এই স্বপ্ন বিলাসী বাঙালির পথশিশুদেরকে বাইরের দেশের মানুষেরা সন্তানরূপে লালন করেছে, যেখানে আমাদের দেশে তা বিরল .. তার পেছনে এক সাধু মাদার তেরেসা কাজ করে গেছেন, আপনি তাকে লাথি দেবেন না নিশ্চয় ..
এই দেশ যে গণতন্ত্রের পুজারী তা জানলে গ্রীক দার্শনিকরা খুশিই হতেন, পরশ্রীকাতর হয়ে চোর/ধরিবাজ বলতেন না .. আবার এদেশে মানুষ খুন হলে তার সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যদন্ড দেওয়া হয়, সংবিধানের বিরুদ্ধে একটা শব্দ করলে বা তার প্রচার করলেও মৃত্যুদন্ড .. আমি এর বিরুদ্ধাচরণ করে ফাসিতে ঝুলতে চাই না .. কিন্তু মানবতাবাদীরা মৃত্যুদন্ডকে রুখে দেবার চেষ্টা করছে .. একজন মানুষ অপরাধ করলে তাকে ভিন্ন দ্বীপে বা কোনো কারাগারে বন্দী করে রাখলে তার দ্বিতীয়বার সমাজের ক্ষতি করার সমর্থ থাকে না .. আমাকে রাজাকার ভাববেন না, কিন্তু রাজাকারদের ফাসি হলে ভবিষ্যতের মানুষেরা আমাদের ধিক ধিক বলবে .. মানুষ যেমন অসুস্থ হয়, সেইরকম সমাজের কিছু মানুষ অসুস্থ মনমানসিকতা থেকে অপরাধ করে বলে আমার মনে হয় যা ভবিষ্যতেও ঘটবে ..
নতুন কিছু না, সময়ের সাথে কতকিছুই পরিবর্তিত হতে থাকে! সাধারণ জিনিসই অলৌকিকতার টুপি পড়ে।
facebook
দারুন অণু, বুদ্ধের মূল দর্শনের উপর লেখা বই আমিও খুজে বেরাচ্ছিলাম অনেক দিন ধরে, যে তথ্যগুলো উপস্থাপন করা হলো, সেগুলোর রেফারেন্স দিয়ে দিলে ভালো হত। এ বিষয়ে আরো লেখার আশা রইল তোর কাছ থেকে।
___________________________________
অন্তর্জালিক ঠিকানা
মূল বইটার তো ছবিই দিয়ে দিলাম, আরেকটা টাইম রোমান সিরিজের গ্রীক সভ্যতার বই। দুর্দান্ত ।
facebook
এইরমের ল্যাখা ল্যাখলে আপনেরে খাষ্টাঙ্গের পায়ার লগে বান্ধুম না, বুদ্ধদেবের কসম।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
তয়লে আর কি ! লিখতে থাকি!!
facebook
আমার মন্তব্যটা লেখার বিষয়বস্তু সংক্রান্ত নয় ঠিক,
এ প্রসঙ্গে আমার একটা প্রশ্ন ছিলো, যেহেতু থিওলোজিতে আগ্রহ কম তাই আর ঘেঁটেঘুঁটে খুঁজে দেখা হয়নি, আবার সেভাবে কারও কাছে সদুত্তরও পাইনি। যেহেতু তোমার বুদ্ধের প্রতি আগ্রহ থেকে পড়াশোনাও বেশি, দেখো তো এইটার উত্তর জানো কিনা -
আমার অবজারভেশনে গৌতম বুদ্ধের যত মূর্তি/স্কালপচার দেখেছি, স্বচক্ষে বা ছবিতে, টিভিতে, সবেতেই বুদ্ধের কানের লতি তৈরি করা হয়েছে স্বাভাবিক মানুষের চেয়ে অনেক বড় করে। এমন কিছু স্কালপচার দেখেছি যেখানে এই কান মাথার তুলনাতেও বড়, বা ঘাড় ছাড়িয়ে নেমে এসেছে। সিদ্ধার্থের কান কি সত্যিই অত বড় ছিলো, (বখতিয়ার খিলজির হাতের মতো), নাকি এইভাবে পোর্ট্রে (উপযুক্ত বাংলা প্রতিশব্দ মনে আসছে না) করার কোন বিশেষ কারণ আছে?
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
এইখানে লেখক গুলিয়ে ফেলেছেন কোনো মূর্তি গঠন আর ঈশ্বর বিশ্বাসের সাথে .. ডাক্তাররা যে একটা কঙ্কাল নিয়ে এত সাধনা করে তারা কি তাকে ঈশ্বর জ্ঞান করে ? .. আপনি একটা বই লিখুন ইসলামের দৃষ্টিতে বুদ্ধ ..
ওই লম্বা লম্বা কানের অর্থ উনি অপরের সুখ দুঃখ বুঝতে পারেন, মনের কথা শুনতে পারেন .. এই জিনিষটা খুঁজে পাবেন গনেশের মুর্তিতেও ..
কেনো সাধারণ কান দিয়ে কি এগুলো করা অসম্ভব ? আর আপনি যে এই মতবাদগুলো দিয়ে যাচ্ছেন তার যৌক্তিক ভিত্তি কি ? গনেশের কান বড় কিন্তু দুর্গার কান তো ঠিকই আছে, তার মানে উনি অপরের সুখ-দুঃখের মনের কথা শুনতে পারেননা ?
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
আপনিই ব্যাখ্যা দিন শিবের মাথার উপর থেকে নদী আসলো কিভাবে ? শিবের অপর নাম মহাকাল, সময়ের সাথে নদের প্রবহমানতার তুলনা আপনি দেখবেন .. ওই সময়ে বেশিরভাগ মানুষের অক্ষর জ্ঞান ছিল না, তাই ওই সহজ উপমা দ্বারা জিনিসটাকে তুলে ধরা হয়েছে .. এসম্পর্কে জানতে আপনি ভাস্কর্য শিল্পীদের সাথে যোগাযোগ করুন .. তারা কিসের কি অর্থ তার ধারণা দেবেন ..
আর কানের ব্যাপারে দেখুন নজরুলের কবিতায় .. "অগনিত মানবের অবিরাম অশান্ত রোদন ভেসে আসে মোর কানে, নিশিথের বাণীহীন স্তব্ধ অন্থকারে" .. কবিতার পরবর্তী অংশে কবি বলছেন মানবের নির্যাতিত হবার কথা .. তাদের কান্নার কথা যা তার কানে বাজে, যদিও তা বানীহীন ..
আমার অবাক লাগে কিছু ধর্মভীরু মানুষের বিজ্ঞানে অবজ্ঞাকে, সেইরকম অবাক লাগে কিছু প্রতিক্রিয়াশীল মানুষের কবিতা নিয়ে মাপঝোক করাকে ..
"ভোর প্রতিদিনিই হয়"
শিবের মাথার উপর নদী না সাগর তার আগে বড় কথা শিব কি বাস্তব কোনো প্রতিকৃতি কিনা? আপনি নিজের ইচ্ছা মতো ব্যাখ্যা করে চলেছেন যা খুশি, এক কাজ করুন একটা ইতিহাস আর সাহিত্যের বই লিখুন, নাম দেবেন আপনার নিজের ইতিহাস ও সাহিত্য নামে।
কবিতার পংক্তি তুলে ভন্ডামি বন্ধ করুন, একবার বলেন গনেশের কান বড় শে মানুষের দুঃখের কথা শুনে, এখানে নজরুল এর কান বড় করে কোনো ছবি দেখেছেন, নাকি নজরুল নিজে কখনো কান বড় ছবি একে দেখিয়ে গেছে, নাকি কবিতায় বলেছে বড় কানের কথা। আবালের মত কথা বলার জায়গা পাননা না? ইচ্ছামত যখন খুশি এসে বিকৃত সব তথ্য দেখিয়ে যাচ্ছেন, এতগুলো মানুষ আপনার সূত্রে ভুল দেখিয়ে দিচ্ছে প্রমানসহ তারপরে আবার ওই একই জিনিস করে যাচ্ছেন, একটা ঐতিহাসিক ভাস্কর্য শিল্পের প্রকাশভঙ্গি কেনো এরকম হলো তার কোনো ঐতিহাসিক প্রমান বা ব্যাখ্যা না দেখিয়ে নিজের বালছাল থিউরি ঝেড়ে চলেছেন।
কবিতা কি আপনার বাপের সম্পত্তি যে মাপঝোক করা যাবেনা? আর ভন্ডামি ছেড়ে লাইনে আসুন নয়তো যেয়ে ভন্ডামি করুন, দুই কাজ একসাথে করা যায়না।
হ্যাঁ কিছু আবালের জন্য এই ভোর প্রতিদিনই হয়, ছাগলামি করার জন্য ভোর হওয়ার মর্মার্থ বোঝা লাগেনা তাদের।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
বুদ্ধদেবের কান বড় হবার দ্বিতীয় কারণ রাজা থাকার সময় তার প্রচুর অলংকারে কান ঝুলে পরে .. ওই লম্বা অলংকার শূন্য কান তার ত্যাগকে প্রকাশ করছে ..
আপনার মত লোক সংসদে গিয়ে লাঠি দেয়, আলোচনার পরিবেশ নষ্ট করে .. প্রতিদিনের সূর্য ওঠাকে ছাগলের চোখে দেখে আর এখানকার মডারেটররা আপনাকে আস্কারা দেয় অসভ্য ভাষা ব্যবহারের পরেও ..আমার মনে হয় আপনি কোনো অপরাধ চক্রের সাথে জড়িত ..
জ্বি, আমি আলোচনার পরিবেশ নষ্ট করেছি, যে মানুষ প্রথমেই লেখককে সরাসরি বলে বসেন "ধর্ম নিয়ে দুকথা বলেছেন যা আপনার মুখে সাজেনা" তার কাছে আমার আদব-কায়দা শেখার দরকার নাই|
প্রতিদিনের সুর্য ওঠা আমি আমার চোখে দেখি, আপনি আমার সিগনেচার লাইন নিয়ে সেটাকে উল্টো করে চুলকানি করবেন আর আমি আপনাকে আবাল বলবোনা, এতো ভদ্র আমি নই।
এখানকার মডারেটররা আমাকে আস্কারা দেয়না, আমি যেটা বলি সেটা অযৌক্তিক হলে আরও অনেকের থেকেই প্রতিবাদ আসতো, আসেনি, ঢিল ছুড়লে পাটকেল খাওয়ার অভ্যাস করুন|
জ্বি, এই একটা জায়গায় এতক্ষণে ঠিক ধরেছেন, আমি মানুষরুপী ছাগলদের পোন্দানোর সাথে জড়িত, তাও যেনোতেনো ভাবেনা, আমি ক্যাকটাস দিয়ে পোন্দাই। লাগলে জানাবেন|
আর আপনার কাছ থেকে যুক্তি শুনতে চাচ্ছিনা, নিচের প্রশ্নগুলোর যা উত্তর দিয়েছেন তাতে বোঝা হয়ে গেছে আপনার দৌড় কতটুকু|
বাল-পাকনামি করতে থাকুন, তাতে যদি মোক্ষ লাভ হয় আপনার|
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
হা হা হা.... ব্যপক বিনোদন !!!
ভাই পরমার্থ, আপনি অতি শিগ্গির 'মিরাক্কেল'-এ যোগ দিন !! ওরা এখন প্রতি ৩ এপিসোডে ভারতীয় রূপিতে ১ লক্ষ ৫ হাজার টাকা প্রাইজ দিচ্ছে (ফাইনালে ৩ লাখ তো আছেই)। আপনি মীরাক্কেলে পার্টিসিপেট করলে আপনাকে প্রতি এপিসোডে না, প্রতি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ১ লক্ষ ৫ হাজার টাকা দিতে বাধ্য হবে জি-বাংলা। ইন ফ্যাক্ট আপনাকে পে করতে করতে জি-বাংলাই ফতুর হয়ে যাবে। আর আপনিও পরমার্থের পাশাপাশি চরমার্থ পেয়ে দুদিনেই শতকোটিপতি হয়ে যাবেন। আপনি সেই কতক্ষণ ধরে এই পোস্টে অক্লান্ত পরিশ্রমে বিনামূল্যে অমূল্য জ্ঞানদান করে যাচ্ছেন, অথচ দেখুন কেউ আপনার প্রতিভার মূল্যায়ন করছে না এখানে, এপ্রিশিয়েট করছেনা। ধিক্কার এইসব "অপরাধ চক্রের" লোকগুলাকে! তাই আমি বলি কি, আসলে মীরাক্কেলই আপনার যথার্থ জায়গা। ওখানে গেলে কিন্তু মূল্যায়ন-এপ্রিসিয়েশন সবই পাবেন আপনি, বিপুল বিত্তের উপ্রি হিসেবে। সেই সাথে দেশ ও দশের সুনামও হবে। একটু ভেবে দেখবেন?
****************************************
মিরাক্কেল দেখি নাই কখনো, খুব মজার নাকি !
facebook
এইরকম একটা পিস গেলেই মীরাক্কেল বিশ্বরেকর্ড করতে পারবে আর কাউরে দরকার নাই, একাই ১০০
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
সৃষ্টিকর্তা শব্দের অর্থ কি? সরল বাংলায় "যিনি সৃষ্টি করেন", সনাতন ধর্মে তাকে পরমেশ্বর, ঈশ্বর,বিধাতা ইত্যাদি নামেও সম্মোধন করা হয়ে থাকে। সনাতন ধর্মের তথ্য অনুযায়ী এই পৃথিবী সৃষ্টির পদ্ধতি কি? "নারায়নের নাভিমূল থেকে এবং ব্রহ্মার মাধ্যমে", এখানে ব্রহ্মা সৃষ্টির দেবতা, বিষ্ণু পালনের এবং মহাদেব বিনাশের। এই সুস্পষ্ট তথ্যগুলোর মাধ্যমে সনাতন ধর্ম কি সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব স্বীকার করে?
আপনি উইকিপিডিয়া থেকে যে লিঙ্কটি এই সম্বন্ধে দিয়েছেন সেটি গীতার একটি শ্লোক এর অনুবাদ উল্লেখ করা হয়েছে সেখানে "Some think that something exists, and others that nothing does. Rare is the man who does not think either, and is thereby free from distraction."
তার মানে দাড়াচ্ছে, "কেউ মনে করে তিনি আছেন, কেউ মনে করেন তিনি নেই, এরকম দুর্লভ যে কেউ এর কোনটাই চিন্তা করেনা।" এই একটি শ্লোক থেকে আপনি আপনার সিদ্ধান্তে চলে এলেন? গীতার বাকি শ্লোকগুলো পড়া আছে?
সনাতন ধর্মের উপাসনা পদ্ধতি দুটি-
১. সাকার মতবাদ
২. নিরাকার মতবাদ
এই দুই উপায়ে তাহলে কার উপাসনার কথা বলা হয়েছে?
জন্মসুত্রে যে ধর্মটি আপনি পালন করছেন সেটি পালনীয় হতেই হবে এমন কোনো কথা আছে? বিশ্বাস যদি না থাকে তাহলে আপনি একটি নির্দিষ্ট ধর্মের আচার অনুষ্ঠান কি কারণে পালন করেন? কারণ ধর্মীয় রীতি-আচার তত্ক্ষনাত চাক্ষুষ কোনো প্রমান দেখাতে তো পারেনা? তাহলে আপনি কি বিশ্বাস করে ধর্মীয় রীতি-নীতি পালন করেন?
আর যদি নির্দিষ্ট একটি ধর্মীয় রীতি-নীতিতে আপনার বিশ্বাস থাকে তাহলে পারতপক্ষে কি আপনি একটি নির্দিষ্ট ধর্মে বিশ্বাসী নন?
কোনো উপযুক্ত লিপিবদ্ধ প্রমান আপনি উপস্থাপন করতে পারবেন কি ?? নাকি মহাভারতের গান্ধারীর গল্প নিয়ে আসবেন?
সনাতন ধর্মে বলি প্রথা কিংবা শাক্ত বা শক্তি পূজায় বলির আবশ্যকতা সম্পর্কে আপনার কি মত? আর সনাতন ধর্মের দশাবতার এর এক অবতার যদি বৌদ্ধ হয়ে থাকেন, তাহলে তিনি নিজে একটি ভিন্ন দর্শনের পথ কেনো বেছে নিলেন?
গাছের প্রাণ আছে এই তথ্যটি স্যার জগদীশচন্দ্র এর আগে তো কেউ আবিষ্কার করেনি, উদ্ভিদ ও নিশ্বাস-প্রশ্বাস এর মাধ্যমে জীবন ধারণ করে তাহলে বর্তমান ধর্মে গাছ হত্যা হিংসা নয় কেনো?
এই তথ্যের কোনো উপযুক্ত তথ্য প্রমান বা যুক্তি?
সনাতন ধর্মালম্বীরা ইংরেজ আসার আগে হিন্দুধর্ম বলে প্রচার করতোনা এটা ঠিক কি ধরনের ব্যাখ্যা হলো? একজন হিন্দু তাহলে নিজের ধর্ম ও নিজেকে কি হিসেবে পরিচয় দিতো?
সনাতন ধর্মে জাতপ্রথাটা আসে একজন ব্যক্তির কর্মের উপর ভিত্তি করে, তার মানে যে ব্রাহ্মন তিনি ইন্টেলেকচুয়াল পেশার সাথে জড়িত, যিনি ক্ষত্রিয় তিনি রাজ্য রক্ষা কিংবা যুদ্ধের সাথে জড়িত, বৈশ্য ব্যবসায়িক কর্মকান্ডের সাথে এবং শুদ্র সেবামূলক কাজের সাথে জড়িত। কাজের ভিত্তিতে যে কেউ ব্রাহ্মন কিংবা শুদ্র হতে পারে, কিন্তু কালক্রমে ব্রাহ্মন এর উত্তরসুরীরাই ব্রাহ্মন এধরনের একটি পদ্ধতি প্রচলন হয়, বংশানুক্রমে নির্দিষ্ট জাত এর বহন এর পেছনে অবশ্যই রাজনীতি কাজ করে।
দেহ পুড়িয়ে ফেলা সনাতন ধর্মের পদ্ধতি, মৃত্যুর পরে দেহ আফ্রিকার অনেক গোষ্ঠীও পুড়িয়ে ফেলে, এই পদ্ধতি যে "মানুষের পূজা" বন্ধ করার জন্য এই উর্বর যুক্তি কিভাবে এলো? ভাস্কর্য দুর্লভ কিন্তু হাতে আঁকা ছবিও কি দুর্লভ? আর সেই সময়ে ভারতবর্ষে ভাস্কর্য তৈরির প্রথা কি ধরনের ছিলো সেই সম্পর্কে কোনো তথ্য জানা আছে আপনার?
কৃষ্ণ ক্ষত্রিয় নন শুধু সেই সব মানুষের জন্য যারা মনে করে জাত তার বাপের সম্পত্তি, যদি কর্ম অনুযায়ী জাত নির্ধারিত হয় তাহলে কৃষ্ণ যোদ্ধা হিসেবে ক্ষত্রিয়।
কেনো উদ্দেশ্য নিয়ে লিখতে হলে শুধু রাজনীতিবিদ কেনো হতে হবে? যেকোনো মানুষ নিজের স্বার্থ পূরণ এর জন্য কি লিখতে পারেননা?
সনাতন ধর্মের জন্মান্তরবাদ কি এটা বলে?
"কর্মফল ভোগের জন্য বার বার জন্ম হয়, যতক্ষণ না পর্যন্ত কর্মফল শেষ হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত আত্মার বিনাশ নেই, যখন কর্মফল ভোগ বা প্রায়শ্চিত্ত শেষ হয় তখন আত্মা পরমাত্মায় বিলীন হয়ে যায়।"
এখানে আপনি কোথা থেকে পেলেন যে পূর্বপুরুষের কথা বলা হয়েছে? এখানে নির্দিষ্ট একজন এর পুনর্জন্ম এর কথা বলা হয়েছে, আর এর সাথে জীববিজ্ঞানের জীবন চক্রের কি মিল আছে? শুধু শব্দের মিল থাকলেই হলো? ব্যাখ্যা,যুক্তি আর প্রমান কোনো দরকার নেই? জীবন চক্রে একটি প্রাণী নিজের বংশবিস্তার করে নিজের প্রজাতিকে টিকিয়ে রাখার জন্য এখানে "জন্মান্তর" এর থিউরি কি করে এলো?
জাতিশ্বর এর ধারণার সপক্ষে গল্প ফেঁদে বসলে তো হবেনা ভাই, পৃথিবীতে এধরনের কোনো ঘটনা ঘটলো আর বিজ্ঞানীরা কোনো প্রমান বা পরীক্ষা করলোনা এটা আপনি বললেন আর হয়ে গেলো? যদি কোনো ব্যাক্তি তার পূর্ব জন্মের সব কাহিনী বলে মানুষকে অবাক করতো আপনার মনে হয় তা কোনো ব্যাপক আলোড়নের সৃষ্টি করতো না? নাকি যেমন অনেকে আত্মা নামান প্ল্যানচেট করে এটাও সেরকম? মহাভারতে গান্ধারী তার ১০০ পূর্বজন্মের কথা বলতে পারতেন কিন্তু এটা তো আর প্রমান হিসেবে আনবেন না ?
ল্যামার্ক এর গবেষণা নিয়ে বিস্তারিত বিবর্তন-১ : একটি ধারণার সূচনা আমার এই লেখায় পাবেন, আর আবারও বলছি ভাই জগাখিচুরী ভালোই পাকিয়েছেন বিবর্তনের সাথে আপনি জন্মান্তরের যোগসূত্র স্থাপন করছেন, মশাই আগে ধর্মগন্ত্র আর উইকি ছেড়ে দুনিয়ায় গবেষণা নিয়ে যে ভুরিভুরি বই ছাপা হচ্ছে তা পড়ার অভ্যাস করুন, তারপর নাহয় আসবেন। নাহলে আপনিও "জোকার নায়েকের" মতো কোরানে কোয়ান্টাম থিউরি খুঁজতে লাগবেন|
আর ভাই গুরুদেব এর গানের অর্থ না বুঝে খালি টুকে দিলেই তো আর হয়না, তাই একটু বুঝে টুকবেন।
গীতার এই কথায় আমি আত্মার জায়গায় বৈশিষ্ট্য পড়ব ? তাহলে জীবনশক্তি কে আপনি ধর্মের ভাষায় কি বলবেন? নাকি থিউলোজি নিয়ে পিএইচডি করে ফেলেছেন? যে ধর্ম গ্রন্থের বাণী নিজেই অনুবাদ করে চলেছেন ইচ্ছামতো?
বংশগতিবিদ্যা বিজ্ঞানী মেন্ডেল যে পরীক্ষা ও প্রমানের উপর ভিত্তি করে স্থাপন করে গেছেন আপনি সেখানে সুফী সাধক লালন এর গানের অর্থ খুঁজছেন, এতে দুইটা জিনিস হচ্ছে, এক বিজ্ঞানী মেন্ডেল এর কাজের অপমান এবং ভ্রান্ত প্রয়োগ, লালন এর গানের প্রতিভার অপমান। ভ্রান্ত ধারণা ছড়াবেনই যখন একটু ঠিকঠাক যুক্তি দাড়ানোর চেষ্টা তো করুন।
এই ব্যাপারেও বলবো, গালগল্প ছেড়ে একটু লাইনে আসুন। যদি ধর্মগ্রন্থই পড়তে হয় তো ভালো করে পড়ুন আর যদি বিজ্ঞান পড়তে হয় সেটাও ভালো করে তথ্য জেনে প্রমান সহ পড়ুন। বাতাস থেকে মুদ্রা আনার জাদু চলছেনা এখানে।রোগ প্রতিরোধ করার কৌশল ক্ষমতা যদি আপনার কথা অনুযায়ী বাহিত হতো তাহলে এতদিনে মানুষের শরীরে "চিকেন পক্স" এর প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরী হয়ে যেতো। আর বাকি উদাহরণে নাই গেলাম।
দেখুন বোল্ড করা জায়গাটা, আশা করি "may be" এই টার্মটার গুরুত্ব বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে দেখবেন, ডিএনএ নিয়ে এখন পর্যন্ত যে পরিমান কাজ চলছে তার মধ্যে যেগুলোর সম্পর্কে শতভাগ নিঃশ্চিত হওয়া গেছে তার রেজাল্ট সহ গবেষণা পত্র আছে, খালি উইকি গুতিয়ে আধা বা চলমান গবেষনার রেফারেন্স টেনে তর্ক না করুন।
হাঁটার জন্য সূত্র জানা লাগেনা, কিন্তু যে মানুষটা জানতে চায় শে কি করে হাঁটে তার জন্য লাগে। এধরনের ফালতু যুক্তি নিয়ে তর্ক কেনো করেন?
কবি এখানে মধ্যাকর্ষণ নিয়ে বলেন নাই, তিনি এই কবিতাটি পুরোটাই একজনের স্মৃতিচারণের অনুভূতির উপর তৈরী করেছেন, কোথা থেকে আপনি কি নিয়ে আসেন?
"বিবর্তনে প্রকৃতির যে ভুমিকা রয়েছে তা বিজ্ঞানে উল্লেখ করা হয়েছে(ডারউইন এর তত্ত্ব ও লামার্কের তত্ত্ব দুটিতেই).. পর্যবেক্ষণ এইসব চিন্তাকে এক করে দিচ্ছে"
প্রকৃতি এখানে নিয়ামকের কাজ করছে ঠিকই কিন্তু এটি আর দশটি সাধারণ উপাদানের মতো, প্রকৃতি কোনো সুপারন্যাচারাল কোয়ানটিটি তো নয়, "বস্তুবাদ আর ভাববাদ" এই দুটি জিনিসের পার্থক্য আশা করি জানেন?
বিবর্তন কি এবং এ সম্পর্কিত তথ্য কিংবা যেকোনো বৈজ্ঞানিক প্রমানকে ধর্ম কিংবা ধর্ম ব্যবসায়ীরা যেভাবে ব্যবহার করছে তা চুরি না সেগুলো মহাচুরি। একজন বিজ্ঞানী তার জীবনের পুরোটা সময় যে পরিমান জ্ঞান অর্জন করে কষ্ট করে তার কাজ করেন, তার কিছু না করে, দুইটা ধর্মের বই আর কিছু সুরা আর শ্লোক মুখস্ত করে তার ইচ্ছামত অনুবাদ করে সেই বিজ্ঞানীর কাজ নিয়ে আলোচনা বা সমালোচনা যারা করে তাদের সমাজ থেকে লাত্থি মেরে বের করা উচিত। যারা ডিএনএ নিয়ে এতো পটপট করে তাদের অধিকাংশ বলতে পারবে না ডিএনএ এর মানে কি।
আপনার অধিকাংশ যুক্তি হাস্যকর ও ভুল। আগে জানুন বুঝুন। সব মিলিয়ে খিচুরী না পাকিয়ে সঠিক ভাবে বুঝতে শিখুন, যা খুশি তাই বলে তর্ক করলে কারো কিছু যায় আসেনা, আপনি নিজেই অন্ধকারে থাকবেন। সনাতন ধর্মে ১০টি দিকের কোথা বলা হয়েছে এখন যদি এসে বলেন এটা "স্ট্রিং থিউরি" বা "টেন ডাইমেনশন" এর রূপক তাহলে এই নিয়ে আগে তর্ক করবে কে?
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
--------------------------
"সরল বাংলায় "যিনি সৃষ্টি করেন", সনাতন ধর্মে তাকে পরমেশ্বর, ঈশ্বর,বিধাতা ইত্যাদি নামেও সম্মোধন করা হয়ে থাকে"
--------------------------
ইসলাম ধর্মে তা সত্যি কিন্তু দেখুন সনাতন ধর্মে ইত্যাকার নামে একজনকে বুঝাচ্ছে না .. বলা হচ্ছে সকল ভাষা, সকল কল্পনা, সকল জৈব অজৈব, সকল প্রাণী নির্জীব পদার্থ তার মধ্যে বাস করে .. সবকিছু তার অংশ, সব মিলে তিনি এক .. আপনি যদি কোনো সনাতন ধর্মের দীক্ষাগুরুর কাছে ওই মতবাদ পেয়ে থাকেন তাহলে তা আমি বা সকল সনাতন ধর্মের মানুষ মেনে নেবে না .. সেক্ষেত্রে আমার স্বাধীনতা রাখুন ..
১. আমি যদি সব ভবিষ্যত জানি, আমি যদি ভাগ্যবিধাতা হই তাহলে আমি কখনো ভবিষ্যতকে পরিবর্তন করতে পারব না ..
২. আমি যদি সর্বশক্তিমান হই তাহলে আমি যাখুশি করতে পারি, এমন কি ভবিষ্যত পরিবর্তনও করতে পারি ..
উপরের এই দুইটি কখনো এক হলে তা হয় অর্থহীন .. এরকম অনেক অর্থহীন পাবেন সবকিছু এক করে ফেললে ..
-------------------------
"সনাতন ধর্মের তথ্য অনুযায়ী এই পৃথিবী সৃষ্টির পদ্ধতি কি? "নারায়নের নাভিমূল থেকে এবং ব্রহ্মার মাধ্যমে", এখানে ব্রহ্মা সৃষ্টির দেবতা, বিষ্ণু পালনের এবং মহাদেব বিনাশের। এই সুস্পষ্ট তথ্যগুলোর মাধ্যমে সনাতন ধর্ম কি সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব স্বীকার করে?"
-------------------------
প্রাচীন মানুষ ওই কথাটি বলেছে, এইরকম গুরুদেব তার কৌতুক কাব্যে বলেছেন, "ব্রহ্মা যেই সূর্যকে শানে চরিয়েছেন তখন তার নাকে ঢুকে পড়ল একটা আগুনের স্ফুলিঙ্গ, তখন তিনি কামানের মত গর্জন করে হেচে ফেললেন সেই স্ফুলিঙ্গ থেকে আমার উত্পত্তি" .. এখন আপনি তার কথা বিশ্বাস করে প্রতিদিন হাচি দিন দেখুন কোনো রবীন্দ্রনাথ খুঁজে পান কিনা .. অতীতকে বিশ্বাস করে থাকলে তো চলবে না, আমি এখন স্টিফেন হকিন্সের কথা মানি, কিন্তু তা যদি অসত্য প্রমানিত হয় কোনো কালে তবে নতুন যা দাড়ায় তাতে চলে যাব .. প্রাচীন গ্রন্থে আপনি প্রাচীন মানুষের চিন্তার ধারণা পেলেন মাত্র .. আধুনিককালে আমি দেখুন তা সত্য বলছি না .. আপনি হয়ত বলতে পারেন তা বিচার করা আমার উচিত হয়নি , ওই সব গল্প "ভাববাদী" ..
--------------------------------------------------
"তার মানে দাড়াচ্ছে, "কেউ মনে করে তিনি আছেন, কেউ মনে করেন তিনি নেই, এরকম দুর্লভ যে কেউ এর কোনটাই চিন্তা করেনা।" এই একটি শ্লোক থেকে আপনি আপনার সিদ্ধান্তে চলে এলেন? গীতার বাকি শ্লোকগুলো পড়া আছে? সনাতন ধর্মের উপাসনা পদ্ধতি দুটি-
১. সাকার মতবাদ
২. নিরাকার মতবাদ
এই দুই উপায়ে তাহলে কার উপাসনার কথা বলা হয়েছে?"
--------------------------------------------------
এক গীতার(অষ্টবক্র গীতা) সাথে আরেক গীতা(সম্ভবত শ্রীকৃষ্ণের বাণী) নিয়ে আসলেন .. রবীন্দ্রনাথ গীতা লিখেছেন "গীতাঞ্জলি", সেটাও আলোচনা করেন, রবীন্দ্রনাথ কিভাবে জিশুমূর্তি গড়ে পূজা করতেন তা বলার চেষ্টা করেন ..
সনাতন ধর্মের কিছু মানুষ কোনো সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী না , যেমন ধরুন আমি, আমার বাবা, তার বাবা .. এইখানে বুদ্ধদেবের নাম বললে আপনি বলবেন তিনি সনাতন ধর্মাবলম্বী নন .. কিন্তু সনাতন্ ধর্মাবলম্বীরা তাকে অবতার বলছে, অর্থাত তার মত আমি সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস না করলে কিছু যায় আসে না ..
আমি দূর্গা পূজায় বাড়ীতে যাই, আমার কাকাত মামাত ভাইদের সাথে দেখা হয়, দেবী মহামায়ার অনুষ্ঠানে গিয়ে দুটি রবীন্দ্রসঙ্গীত গাই "যেথায় থাকি যে যেখানে বাধন আছে প্রাণে প্রাণে মিলেছি আজ মায়ের ডাকে" .. এতে কুসংস্কারে বিশ্বাস কি দেখলেন .. আমি কি বিশ্বাস করলাম ?
" কারণ ধর্মীয় রীতি-আচার তত্ক্ষনাত চাক্ষুষ কোনো প্রমান দেখাতে তো পারেনা?"
উপরে আমি বলেছি পূজার কথা ..
এই পৃথিবী যদি তার ধর্ম না পালন করত, যদি তার মধ্যাকর্ষণ বল বিলুপ্ত হত, তাহলে আমি শুন্যে হারিয়ে যেতাম .. পৃথিবী তার ধর্ম পালন করছে কি বিশ্বাস থেকে ?
দেখুন কেও কেও বিশ্বাস করে এই পৃথিবী ২০১২ সালে ধংশ হয়ে যাবে .. এটা আমার কাছে কুসংস্কার মনে হয় .. ধর্মীয় ভিত্তি ছাড়া কি সংস্কার দাড়িয়ে নেই ?
----------------------------------
"কোনো উপযুক্ত লিপিবদ্ধ প্রমান আপনি উপস্থাপন করতে পারবেন কি ?? নাকি মহাভারতের গান্ধারীর গল্প নিয়ে আসবেন?"
----------------------------------
আপনি আছেন মানে আপনার বাবা আছে, আপনার পূর্বপুরুষ সবাই আছে .. এতেই প্রমানিত হয় তারা সংযম করে নির্বাণ বা মোক্ষ লাভ করতে পারেননি, বার বার পৃথিবীতে এসেছেন .. আপনি বিয়ে করে সংসারী হলে আপনার ছেলে হবে, আপনার মৃত্যুর পর আপনারই দেহের কোষ বেছে থাকবে, সুখ-দুঃখ ভোগ করবে, নির্বাণ লাভ করবে না .. আপনি মরার আগে সন্তানকে যদি বলে যান বাবা বিয়ে করন তাতে আপনার সন্তান যদি তা না করে তাহলে আপনার মুক্তি ..
অন্য কেও আপনার সন্তান জন্ম দিচ্ছে না, আপনার কর্মফল আপনিই ভোগ করছেন .. এতে গান্ধার যেন কেন আসলো ?
--------------------------------------------------
"সনাতন ধর্মে বলি প্রথা কিংবা শাক্ত বা শক্তি পূজায় বলির আবশ্যকতা সম্পর্কে আপনার কি মত?"
--------------------------------------------------
আমার মত উপাসনালয়ে বলি চলবেনা .. আমি আমার শহরে দেখিনা এইরকম বলি .. সময়ে তা সব জায়গা থেকে উঠে যাবে .. কেও যদি করতে চায় সে করুক, সেখানে আমি যাই না ..
--------------------------------------------------
"আর সনাতন ধর্মের দশাবতার এর এক অবতার যদি বৌদ্ধ হয়ে থাকেন, তাহলে তিনি নিজে একটি ভিন্ন দর্শনের পথ কেনো বেছে নিলেন? "
--------------------------------------------------
পদার্থবিজ্ঞানের উজ্জল নক্ষত্র নিউটন এবং আইনস্টাইন , তাদের দুজনের মত ভিন্ন এতে সমস্যা হচ্ছে কি ?
--------------------------------------------------
"গাছের প্রাণ আছে এই তথ্যটি স্যার জগদীশচন্দ্র এর আগে তো কেউ আবিষ্কার করেনি, উদ্ভিদ ও নিশ্বাস-প্রশ্বাস এর মাধ্যমে জীবন ধারণ করে তাহলে বর্তমান ধর্মে গাছ হত্যা হিংসা নয় কেনো?"
--------------------------------------------------
বুদ্ধদেবের অনুসারীরাও প্রাণী হত্যা করে আহার করে .. আত্মরক্ষা বা বেচে থাকার জন্য কোনো হত্যা হিংসা নয় .. হিংসা তখনি যখন আপনি শুধু শুধু একজনকে লাথি দিতে চাইবেন .. এসম্পর্কিত অনেক গল্প আছে পরে দেখতে পারেন বুঝার জন্য ..
--------------------------------------------------
"সনাতন ধর্মালম্বীরা ইংরেজ আসার আগে হিন্দুধর্ম বলে প্রচার করতোনা এটা ঠিক কি ধরনের ব্যাখ্যা হলো? একজন হিন্দু তাহলে নিজের ধর্ম ও নিজেকে কি হিসেবে পরিচয় দিতো?"
--------------------------------------------------
ইসলাম ধর্ম আসার আগে এ অঞ্চলের মানুষ কারো সথে দেখা হলে করজোরে নমস্কার জানত .. এখানে কোনো অন্য ধর্ম ছিল কি ? বৌদ্ধ ধর্মও ইংরেজদের সৃষ্টি .. আপনি চীন গিয়ে দেখুন কারো ধর্ম সুখে বের করতে পারেন কিনা .. বাইরে থেকে কেউ বলে তাদের চৈনিক ধর্ম, কেও বলে কনফুসিয়াস এর ধর্ম , কেও বলছে তাদের বুদ্ধ ধর্ম .. এইসব যত নব্য নাম আপনি আমি বাইরে থেকে দিচ্ছি যা আসলে দর্শন .. এদেশে ইসলাম এবং হিন্দু বলে রাষ্ট্র তাদের আলাদা করছে, তাদের জন্য আলাদা আইন তৈরী করছে .. আপনি চিনে এইরকম খুঁজে বের করুন .. অথবা দেখুন ইবনে বতুতা কি বলছে(বলছে তারা স্রষ্টায় অবিশ্বাসী হলে তাকে মুরতাদ বলে না, তারা তাদের হিন্দু বা সনাতন ধর্মাবলম্বী বলে তা বলা নেই) ..
আপনার মুখে অহিংস বুদ্ধ ! আবার আপনার মুখেই লালন ! হিন্দু কি মুসলিম জিজ্ঞাসে কোন জন ? অরফিয়াস
আপনি কিছু গালি গালাজ করে মনটা খারাপ করে দিলেন .. আমার আর লেখতে ইচ্ছা করছে না .. শুধু অনেক পেটেন্তেদ থিসিস খুঁজে একটা খোলা পেপারের কিছু তথ্য দিলাম ..
http://sciencelinks.jp/j-east/article/200308/000020030803A0129895.php
"Jean Baptiste de Lamarck (1744-1829) maintained that characteristics that were acquired during an organism's lifetime are passed on to its offspring. This theory, known as Lamarckian inheritance, was later completely discredited. However, recent progress in epigenetics research suggests it needs to be reexamined in consideration of DNA methylation"
এর পরের অনেক গবেষণায় এর প্রমান পাওয়া যায়, গুগলে সার্চ করে দেখুন, আপনার বই লেখার পর পরিস্থিতি পরিবর্তন হতে পারে ..
ধর্ম একটি চলমান ধারণা, আজকের দিনে মানুষের কথা গানেও আপনি এইসব জন্ম জন্মান্তরবাদ পাবেন .. সুমনের গানে দেখুন,
"
জন্মেছি আমি আগেও অনেক মরেছি তোমারই কোলে
মুক্তি পাইনি শুধু তোমাকে আবার দেখবো বলে
..
..
তোমাকে চেয়েছি ছিলাম যখন অনেক জন্ম আগে
তথাগত(বুদ্ধ) তার নিঃস্বংগতা দিলেম অস্তরাগে
তারই করুনায় ভিখারিনি তুমি হয়েছিলে একা একা
আমিও কাঙাল হলাম আরেক কাঙালের পেতে দেখা
নতজানু হয়ে ছিলাম তখন এখনো যেমন আছি
মাধুকরী হও নয়নমোহিনী স্বপ্নের কাছাকাছি
...
...
আমার স্বপ্নে বিভোর হয়েই জন্মেছ বহুবার
আমি ছিলাম তোমার কামনা বিদ্রোহ চি]কার
দুঃখ পেয়েছ যতবার জেনো আমায় পেয়েছ তুমি
আমি তোমার পুরুষ আমি তোমার জন্মভূমি
যতবার তুমি জননী হয়েছ ততবার আমি পিতা
কতো সন্তান জ্বালালো প্রেয়সি তোমার আমার চিতা
বার বার আসি আমরা দুজন বার বার ফিরে যাই
আবার আসবো আবার বলবো শুধু তোমাকে চাই
"
ক্লাসিক !!! জিও গুরু|
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
আমি মনে মনে এটাই ভাবছিলাম যে চারপাঁচটা খুন করে সারাজীবন সন্তান না নিয়ে মরে গেলেও কি তাহলে সূত্রমতে নির্বাণ লাভ হচ্ছে না? ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞেস করতে পারি নি, পাছে তাফসিরসহ দুটো কবিতা শুনতে হয়। এখন নিশ্চিত হলুম। জয় গুরু!
আমার তো একখানা কু-প্রশ্ন মাথায় চলে এলো, , গুরু "পরমার্থ" মশাই নিজে নির্বাণ লাভের জন্য কি করছেন, বিয়ে-শাদী করবেন না বা বাচ্চা-কাচ্চা নেবেননা? নাকি নিজের বাচ্চাকে তার এই মহাজ্ঞান সম্পন্ন করার দায়ভার চাপিয়ে যাবেন ?
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
চার পাঁচটা খুন করলে সমাজ বেচে থাকার তাগিদে আপনার বিচার করবে .. সমাজের বিচার ব্যবস্থা সমাজের মানুষকে রক্ষা করার জন্যই .. আমি বুদ্ধ ধর্মের প্রচারক নই, বুদ্ধ ধর্মের সাথে রাজকার্য/আইন আদালতের সম্পর্ক আছে কিনা বলতে পারি না .. তবে অতীতের কিছু আইনের নিদর্শন আপনি পাবেন মনু-সংহিতায় .. মনু-সংহিত নাম থেকে এটুকু বুঝবেন যে এটি ওই সময়কার আইনগুলোর সংগ্রহ, কোনো ঈশ্বরের বাণী নয় ..
যেহেতু বুদ্ধ ধর্মে সৃষ্টিকর্তা নেই তাই এখানে সৃষ্টিকর্তা কোনো বিচার করবে বলা হচ্ছে না .. এই পৃথিবীতে এখন অনেক জীবন ভ্রুণ অবস্থাতেই অপসারণ করা হয় যাকে অনেকে মানবহত্যার সামিল বলেন .. সাধু মাতা তেরেসা এর বিপক্ষে বলেছেন .. কিন্তু হত্যা হয়েই চলেছে, বিচার হচ্ছে না ..
"কি তাহলে সূত্রমতে নির্বাণ লাভ হচ্ছে না?"
সংঘের কিছু নিয়ম আছে, সেখানে কেউ অপরাধ করলে তাকে সংঘ থেকে বহিস্কার করা হয় .. খুন করলে কি হয় তার জন্য পুরো আইনটা পরতে হবে ..
জন্মান্তর সম্পর্কে বুদ্ধ কি বলতেন তা আমি দেখিয়েছি ..
এখন দেখাবো কিছু মতপার্থক্য,
-----------------------------------------------------------------
বুদ্ধদেব বলতেন চেতনা কখনো এক দেহ থেকে অন্য দেহে বাহিত হয় না, তা মৃত্যুর সাথে শেষ হয় .. যা কৃষ্ণের বাণীর পরিপন্থী ..
অর্থাত বুদ্ধের কাছে কর্মফল জন্মান্তর্বাদের অংশ নয় .. কিন্তু ওপর ধারনায় কর্মফল ও জন্মান্তরবাদ পরিপূরক ..
-----------------------------------------------------------------
এ ব্যাপারে সম্পূর্ণভাবে বুঝতে আপনাকে আরও কিছু ভিন্নমত দেখতে হবে ..
-----------------------------------------------------------------
পুরান কশ্যপের মতে পাপ পুণ্য বলে কিছু নেই (যদিও হাস্যকর কিন্তু বলে নেই আমরা কশ্যপ বলে পরিচয় দেই)..
আশ্তবক্রমতে যা যেমন তা তেমন, মানুষের মতামতের উর্ধ্বে ..
আপনার জন্য একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ পাঠ এইখানে (http://en.wikipedia.org/wiki/Shramana), এখানে ছয় রকমের মতভেদ আছে ..
-----------------------------------------------------------------
আমি ঘেটেঘুটে একটা লেখা লিখব আশা করছি সমস্ত বিষয়টার উপর ..
গান্ধারীর গল্পে গান্ধারী শুধু খেলা করে নিরীহ প্রজাপতি হত্যা করে .. যেখানে তার বেচে থাকায় তাদের কোনো হুমকি ছিল না .. এ কারণে তাকে হিংসা বলা হচ্ছে ..
আমাকে গুরু বলবেন না, আপনার ইত্যাকার গলিতে(এবং আপনার কথিত "ক্যাকটাস" গাছের ভয়ে) আমি ভীত .. "আমি গান গাই তাতে কার ক্ষতি, তব " দ্বারে " কেন সজল মিনতি ? আমি কি ভুলেও কোনো দিন এসে দাড়িয়েছি তব " পশ্চাত দ্বারে ?
ক্লাসিক ! কত অজানা রে--
facebook
আপনি জোকার নায়েকের বাপেরও বাপ। সেও আপনাকে দেখলে কুর্নিশ করবে। মাঝেমধ্যে ইতিউতি মন্তব্য করে যাবেন তো। আবাল দেখতে যে এত আমোদ লাগে আগে বুঝি নাই। 'যুক্তি' বানান করতে পারেন তো গুরুজী?
জোকার নায়েক তো শিশু আমাদের গুরু পরমার্থের কাছে।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
আমার বক্তব্য যদি সঠিক নাও হয় তাতেও তেনা পেচাতে আমি সফল .. যুখ্তি ! সে আবার কি ? .. ভাই সত্যি কথা বলতে আপনার লেখায় আসি চাকরির ফাকে বিনোদনের আশায় .. এইসব অপ্রিয় ভাষা আপনি কি গুরুদেবের বইতে দেখেছেন ?
চিকেন পক্স নিয়ে কিজানি বললেন .. জীবানুও বিবর্তিত হয় .. যখন জীবানু বিবর্তিত হয়ে আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ধোকা দিয়ে দেহের ক্ষতি করে তখন আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ি .. অস্ট্রেলিয়া এবং আমেরিকাতে মানুষ নতুন জীবানুর সংস্পর্শে এসে লাখে লাখে মারা গেছেন(কোনো কোনো জাতির ৯০ ভাগ) ..
আর লিখবনা ..
ভাই আপনি তো মানসিক ভাবে অসুস্থদের মত আচরণ করছেন। আপনাকে একটি জিনিস জিজ্ঞাসা করলে আপনি অপ্রাসঙ্গিক অন্য কিছু উত্তর করেন আর না হয় ত্যানা পেচাইতে থাকেন। আপনি খুবই অল্প কথায় বলেন তো "What's the point you want to prove???"
১, আমি প্রমান করেছি, মানুষের জন্ম-মৃত্যু-পুনর্জন্ম খেল ব্যাপার না ..
২. শান্কারাচার্য ওই ব্যাপারটা বুদ্ধ ধর্মে আনেননি, সেটি তার জন্মের আগে থেকেই ছিল, সুতরাং তাকে ধরিবাজ বলার কিছু নেই ..
৩. যেহেতু সেই সময় শঙ্করাচার্য বুদ্ধদেবকে অপমান করে নতুন কোনো ধর্ম প্রচার করেননি, সুতরাং তিনি চোর না, আর বুদ্ধদেবের আগেও যে জীবের প্রতি ভালবাসা ছিল তা আমি দেখিয়েছি ..
৪. রবীন্দ্রনাথ একটি নতুন ধর্ম প্রচার করেন .. উপরে বুদ্ধদেব সম্পর্কে আলোচনা গুরুদেবের বই থেকে উক্ত .. এর মানে এই নয় গুরুদেব বুদ্ধকে চুরি করেছেন ..
৫. উনি ধর্ম আর বিশ্বাসকে এক বলেছেন আর বার বার তা বলছেন কিন্তু যা এক না ..
তাই তারেক অনু সাহেব যেভাবে সন্করাচার্যকে চোর ধরিবাজ বলছেন তা শুধু কিছু মানুষকে আঘাত দেবার জন্য, আমি তার আগের লেখা পরেছি সভ্যতা সম্পর্কে, তার কাছ থেকে এমনটা আশা করিনি ..
উনার সপক্ষে কিছু মানুষ দাড়িয়েছে যারা এই ব্যাপারগুলা বলার পর অন্য ব্যাপার নিয়ে আলোচনায় চলে গেছে .. তারা "লাথি" দিতে চায়, তারা "ক্যাকটাস" নিয়ে কি যেন করতে চায়, তাদের অসুস্থ কথায় আমার নিজেরও অসুস্থ লাগছে ..
ধর্মকে বিশ্বাস না করতে বলার কথা টি তারেক অণু না, গৌতম বুদ্ধ বলে গেছেন। ( এবং আমি তাতে ১০০০% সহমত )
এখানে কোন মানুষকে আঘাত করার জন্য কিছুই বলা হয় নি ইতিহাসের বই ভাল মত পড়লেই জানতে পারবেন শঙ্করাচার্য কেন, কিভাবে বুদ্ধকে নিজের ধর্মে অবতার বলে ঘোষণা দিয়েছিল।
রবীন্দ্রনাথ কোথায় নতুন ধর্ম প্রচার করলেন! ব্রাহ্ম ধর্মের অনুসারী তো তার বাবা অনেক আগে থেকেই ছিলেন, আর রবি ঠাকুরের এই বইটি পড়ে না থাকলে জলদি পড়ে ফেলেন, এখানে তিনি কোন ধর্ম প্রচার করেন নি। বুদ্ধের দর্শনের প্রতি তার শ্রদ্ধা প্রকাশ করেছেন।
পুনর্জন্ম খেলো ব্যাপার না, এটা প্রমাণ করা দূরে থাক, আপনি এর সংজ্ঞা দিতেই পারছেন না।
দেখেন, সবার সব জানা থাকে না, না জানা থাকলে, জানার চেষ্টা করুন, তারপর এসে উত্তর দেবেন। খামোখা মনগড়া কথা বলবেন না।
facebook
-------------------------
"ধর্মকে বিশ্বাস না করতে বলার কথা টি তারেক অণু না, গৌতম বুদ্ধ বলে গেছেন।"
-------------------------
বুদ্ধদেবের কোন গ্রন্থে পেলেন ঐরকম ..
-------------------------
"রবীন্দ্রনাথ কোথায় নতুন ধর্ম প্রচার করলেন!" -
-------------------------
এটা সর্বজনবিদিত রবীন্দ্রনাথ ছিলেন ব্রাহ্মধর্মের প্রধান নেতা এবং প্রচারক, তার জীবদ্দশায় ব্রাহ্ম ধর্মের উত্থান .. উনি সম্মান করেছেন বুদ্ধকে, যেমন শঙ্করাচার্য করেছেন .. আর ব্রাহ্মধর্মের বাণীগুলো প্রাচীন গ্রন্থের উপরেই প্রতিষ্ঠিত .. ঐসব গ্রন্থ কোনো আলাদা ধর্ম তৈরী করেনি ব্রাহ্মধর্ম প্রচারের আগে ..
অন্যের কথায় কান না দিয়ে(বুদ্ধদেবের ধর্মে অবিশ্বাস বলতে আপনি আসলে যা বুঝতে চাচ্ছেন) আপনি নিজেই বিচার করুন ত কেন আপনি দুষছেন শান্কারাচার্যকে, উনি তো কোনো নতুন ধর্ম প্রচার করেন নি !
আমি উপরে একবার বলেছি সন্তানলাভ করাই পুনর্জন্ম .. আবার বুদ্ধদেবের বাণী এখানে বলছি পুণ্যবানদের উদ্দেশ্যে যা উপরে বলা আছে,
"[be instrumental in] bringing about rebirth (gati), and consequently an embryo cannot develop."
এটি অতি প্রাচীন বুদ্ধের একতারা আগমে পাবেন (http://sites.google.com/site/ekottara/ekottaraagama21.22) .. ঐখানে যতটুকু
বলা আছে ততটুকুই .. পরবর্তিতে এর বিস্তার আমি সুমনের গানে দেখিয়েছি বর্তমানের প্রেক্ষাপটে ..
প্রিয় পরমার্থ,
আপনার দীর্ঘ বাক্যবিনিময় মন দিয়ে পড়লাম। আপনার উপরের দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে আপনাকে নিচের প্রশ্নগুলো করিঃ
১) রবীন্দ্রনাথ প্রচারিত ধর্মটির নাম কি?
২) কবে তিনি এই ধর্মের পত্তন করেন?
৩) তার ধর্মের একটি অনুসারীর নাম দিন।
উত্তরে রবীন্দ্রনাথ নজরুল বা ওয়াল্ট হুইটম্যানের কবিতা, গীতার উইকি লিঙ্ক, মনুসংহিতার আইন, ডি এন এ অথবা ডাইনোসর, আবেগাপ্লুত বিজ্ঞানী অথবা শ্রীকৃষ্ণের মাথার চুলের জটা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা শুনতে চাই না। ১ ২ ৩ করে উত্তর দিন।
আবারও বলছি, শুধুমাত্র ধর্মটির নাম (অনধিক তিন শব্দ), পত্তনের তারিখ (এক সংখ্যা) এবং অনুসারীর নাম (অনধিক তিন শব্দ) লিখুন। একটিও অতিরিক্ত শব্দ খরচ করলে "ত্যানা প্যাঁচানী সম্রাট" উপাধীটি আপনারই।
..................................................................
#Banshibir.
প্রিয় সত্য পীর ..
১. আদি ধর্ম
২. ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দ
৩. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
সম্রাট উপাধিটা দিন, চাকরিতে বসকে বুঝ দিতে এটা কাজে লাগে ..
আপনার মানসিক অসুস্থতা ও অযৌক্তিক পাকনামিগুলো ধাপে ধাপে লক্ষ্য করুন|
আপনার উপরের ১৪৩ নং মন্তব্যে আপনি লিখেছেন-
[যদিও এই উত্তর ছোট বাচ্চারাও জানবে তাও আপনার জন্য আর একবার]
ব্রাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠার অগ্রদূত ছিলেন "রাজা রামমোহন রায়", তিনি দ্বারকানাথ ঠাকুর ও প্রসন্ন কুমার ঠাকুরের সাথে যুক্ত হয়ে প্রতিষ্ঠা করেন এই সমাজ, ১৮২৮ সালে| দ্বারকানাথ ঠাকুর, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দাদু|
সত্যপীর এর প্রশ্নের জবাবে আপনার ১৪৫ নং উত্তরটি আপনার তৈরী নিজস্ব উদ্ভট ইতিহাসের আর এক অনবদ্য প্রমান|
১. আদি ধর্ম, ব্রাহ্মসমাজেরই আরেক পরিচয়, যা রবীন্দ্রনাথ কোনকালেই প্রতিষ্ঠা করেননি| প্রতিষ্ঠা করেছিলেন রাজা রামমোহন রায় এবং দ্বারকানাথ ঠাকুর মিলে|
২. ১৮৭৮ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ইংল্যান্ডে পড়তে জান| আর আদি ধর্ম ব্রাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠা হয়েছিলো ১৮২৮ সালে|
৩. ব্রাহ্মসমাজের অনুসারী ছিলেন ঠাকুর পরিবার, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একা নন, এছাড়াও অনেকেই ছিলেন, কিন্তু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই সমাজের প্রতিষ্ঠাতা পিতা নন|
আপনার এই অলৌকিক ও উদ্ভট ইতিহাস তৈরী বজায় রাখুন, তবে এখানে নয়|
জ্বি, আশা করি এবার সবাই আপনাকে ত্যানা পেঁচানোর মহাসম্রাট উপাধি দান করতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা বোধ করবেনা, তবে আপনার অফিসের সহকর্মীদের আমি ব্যক্তিগত ভাবে সমবেদনা জানাচ্ছি|
ভালো থাকুন, ত্যানা পেঁচাতে থাকুন, বিশ্ব রেকর্ড হয়ে গেলে জানাবেন|
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
আপনার সব কথা বলার পর এই বলতে চাইলেন যে "কিন্তু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই সমাজের প্রতিষ্ঠাতা পিতা নন" .. আমি কথায় তা বললাম দেখান তো ? "প্রচারক" র "প্রতিষ্ঠাতা" এক হয়ে যায় কিভাবে .. কিছু মানুষ আপনার মতই প্রমান করতে চাইছে সবজান্তা ঈশ্বর নেই, কারণ Heisenberg uncertainty principle নাকি বলছে সবকিছু ঐভাবে পরিমাপযোগ্য নয় .. এর মানে কি এই যে তারা বিশৃঙ্খল বা কোনো নিয়ম মেনে চলে না ? আর আদিধর্ম সম্পর্কে জানুন, ধারণা তো সেই উপনিষদ থেকে নেওয়া কিন্তু তার প্রকৃত রূপ(2nd phase) আর ধর্মান্তর কার্যকর হয় ১৮৭৮ সালে .. ধরলাম আমার সন গণনা আপনি মানতে পারলেন না .. কিন্তু এর সাথে কি গুরুদেব সংস্লিষ্ট ছিলেন না ? তিনি "ব্রাহ্মধর্ম" নামে একটি বইও লিখেন ..
..................................................................
#Banshibir.
ভাই আপনার ত্যানা সাপ্লাইয়ের প্রশংসা না করে আর পারছিনা
পরমার্থঃ আপনি প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন যে গীতা, মহাভারত, রবীন্দ্রনাথ রচনাবলী ইত্যাদি বৈজ্ঞানিক ভাবে স্বীকৃত ফ্যাক্ট। আপনারে সেলাম । এর প্রেক্ষিতে আপনার সাথে এরা সব যুক্তি দিয়ে তর্ক করতেছে কেন সেটা অবশ্য ঠিক বোঝা যাচ্ছে না।
উপস্থিত অন্যান্য মন্তব্যকারী/নীঃ ইসসস সময়ের কি নিদারুন অপব্যায়!!! যানেন না টেনিদা বলেছেন মানুষ বেশি বক বক করলেই বক হয়ে যায়, এখন আপনারা যদি বকের অন্য কোন উতপত্তি/বুতপত্তিগত প্রমাণ হাজির করেন তার কোন বেইল আছেনি? ফুলস্টপ
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
"আমার অবাক লাগে কিছু ধর্মভীরু মানুষের বিজ্ঞানে অবজ্ঞাকে, সেইরকম অবাক লাগে কিছু প্রতিক্রিয়াশীল মানুষের কবিতা নিয়ে মাপঝোক করাকে .."
আমারে কোন দলে ফালাইলেন ভাইডি?
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
হ
facebook
এত্তবড় তাল্গাছটা কি আমারে দিলা নাকি গুরুদেবরে?
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
ছি ছি দাদা, আপনে তো তালগাছটা আমার বলে ভ্যাজ ভ্যাজ করছেন না ! নাকি?
facebook
আর কইও না, সব সময় "ক্লারিফিকেশন" চাইতে চাইতে অভ্যাস খারাপ হয়া গেছে।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
হ, প্ল্যান করতাছি, আপনেরে উদ্ধার করে কালাহারি নিয়া যামু, কদিন বুশম্যানদের সাথে থাকলে জীবনের আনন্দ ফিরে আসবে।
facebook
যেখানে বিজ্ঞানীরা প্রাচীন ডাইনোসরের হার থেকে, প্রাচীন মানবের দেহাবশেষ থেকে বিবর্তনের মহিমা খুঁজে পেয়ে আবেগাপ্লুত হন .. সেখানি এই তারেক অনু সাহেব অতি প্রাচীন দুই দর্শনের পার্থক্য গড়ে, চোর ধরিবাজ বলে স্পষ্টতই সাম্প্রদায়িকতাকে উস্কে দিয়েছেন ..
কিসের মাঝে কি ! আপনি তো কথা বলার রুচিই নষ্ট করে দিচ্ছেন, পান্তা ভাতে ডালডা পুরাই !
facebook
ডাইনোসরের পুনর্জন্ম এবং নির্বাণলাভ সম্পর্কিত আপনার মন্তব্য জানতে মন চায়।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
এক প্রজাতির ডাইনোসর পুনর্জন্মে অন্য প্রজাতিতে জন্ম নিতাছিল সব সিরিয়ালি। এতে সুষ্ঠ জাতিগত ভারসাম্যও বজায় থাক্তেছিল। এদিকে কয়দিন পর আকস্মিক এক ভয়ানক ঘটনার সংঘটনের ফলে বিলুপ্তির মাধ্যমে জ্ঞাতি-গুষ্টি শুদ্ধা নির্বাণলাভ করছে। সব এখন হরিনাম করে আর দুধ কলা খায়।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
টাইরানোসরাসেরা সব টাইরান্ট হয়ে পুনর্জন্ম নিয়েছে,এরা মোটেই দুধকলা খায় না, কাঁচা মাছ ভেজে ভেজে উল্টিয়ে পাল্টিয়ে খা্য়।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
সে হত নির্বাণলাভের আগে, বিশেষ করে গোঁবোরডাঙ্গায়। তাছাড়া তখন জীবেরা অনেকেই কাঁঠাল পাতা, কচু, মূলা, পটল দিয়ে শিঙ্গিমাছের ঝোল কত কিছুই না খাইছে, কিন্তু নির্বাণলাভের পর জাতীবর্ণ নির্বিশেষে অনলি দুধ-কলা। ওঁ মণীপদ্মে হু-হুমকি।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
বিজ্ঞানীরা যেখানে আবেগাপ্লুত হচ্ছেন সেইখানে আপ্নে মজা লন? এই সাম্প্রদায়িকতা রুখতে হবে! তারেকানুর কল্লা চাই। গান্ধারীর নির্বাণ চাই। আমার কথা কিছু না বুঝলে পড়ুন রবীন্দ্রনাথের গীতাঞ্জলী যার প্রেরণা তিনি মঙ্গলগ্রহের বুদ্ধিমান প্রাণীদের হতে পেয়েছিলেন।
..................................................................
#Banshibir.
ডরাইছি
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
এহহহ আর আমি যে পেত্যেকদিন কোটিকোটি আলোকবর্ষ দূরের গোঁবোরডাঙ্গা নক্ষত্রমন্ডলের অধিবাসীদের প্রেরণা পাইতাছি, সেইটার কোন দাম নাই না?
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
facebook
মরে গ্লাম!
আমিও।
facebook
এই যে জনাব পরমার্থ, আপনি যে লেখক গুলিয়ে ফেলেছে, গুলিয়ে ফেলেছে করেই যাচ্ছেন, কিন্তু কোথায় গুলাল, কি গুলাল তা পরিষ্কার করে বলতে পারছেন না, উল্টো নিজে হাস্যকর সব তথ্য দিয়ে যাচ্ছেন প্রমাণ ছাড়া।
কি বলতে চান স্পষ্ট করে ঝেড়ে কেশে বলুন।
আর আমার বলার আগেই ব্লগার অরফিয়াস আপনের জন্য পয়েন্ট টু পয়েন্ট সব লিখে দিয়েছে, পারলে আপনের বিশ্বাস না, জ্ঞানের মাধ্যমে সেগুলোর উত্তর দিয়ে তারপর কারো নামে বলবেন যে তার লেখাতে ভুল তথ্য আছে।
facebook
অনুদা, "পরমার্থ মশাই" এর নিচের মন্তব্যগুলো নিয়েও লিখতে চাইছিলাম সেখানে "ধ্রুব বর্ণন" যে প্রশ্ন করেছে মশাই তারই উত্তর দিতে পারছেননা দেখে আর এগোলাম না !!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
"যে বুদ্ধ ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাস করতেন না তিনি নিশ্চয়ই নিজের মূর্তি গড়ে উপাসনা করতে বলে যান নি।" এখানে আপনি বললেন যে বিশ্বাস আর মূর্তি গড়ে উপাসনা সমার্থক .. আমি সেটিই বলছি যে ডাক্তারদের সাধনা যে কঙ্কাল নিয়ে সেটি মূর্তি নয় কি ? সেখানে ঈশ্বরে বিশ্বাস দেখলেন কি ? আর এত বড় মন্তব্য এখন পড়তে পারলাম না, আমি আবার সময় অন্যখানে বিক্রি করে রেখেছি, তাদের পয়সায় দুটি খেয়ে বেছে আছি ..আমার পর্যবেক্ষণ বলে সময়ই সবচে পূজনীয় বস্তু, পরে রাতে আশা করি পরে উত্তর দিব ..
এই বিষয়টি নিয়ে জানার খুব কৌতূহল কিন্তু সন্তোষজনক ব্যাখ্যা পায় নি এখনো।
একটা হাইপোথিসিস বলে, মানুষ যত বুড়ো হয় তার কান এবং নাক তত বড় দেখায় বা লম্বা হয়। যেহেতু বুদ্ধ অনেক দিন বেঁচে ছিলেন হয়ত তার অনুসারীদের মাঝে তিনি লম্বা কর্ণের এক মানুষ হিসেবে মনের স্মৃতিতে ছিলেন, আবার যেহেতু বুদ্ধের মূর্তি গড়া হয় তার মৃত্যুর অনেক অনেক পরে, তাই এই যুক্তিটি সেখানে টিকে না।
ভাবছি, গ্রীকদের নিয়ে সেই অসাধারণ বইটার রিভিউ করে ফেলব সময় পেলেই।
facebook
সর্বকালের শুদ্ভতম মানুষদের একজন শ্রমণ গৌতম । তাকে নিয়ে লেখার জন্য ধন্যবাদ ।
বাণী বসুর 'মৈত্রেয় জাতক' পড়েছেন ? বুদ্ধর জীবন গল্পের অংশ হয়ে এসেছে ওখানে । পড়তে দারুন লাগে । পড়ে দেখতে পারেন ।
পড়া হয় নি এখনো, আপনার কাছে পিডিএফ থাকলে অনুগ্রহ করে জানান।
facebook
না ভাইয়া, PDF নাই .. অনেক খুঁজেছি । বাণী বসুর অন্য বইগুলো পাওয়া যায় । এটা নেই । আপনি পেলে বরং আমাকেও দিয়েন । আমি মুদ্রিত বইটিই পড়েছি । অতি চমৎকার । চাণক্য, আম্রপালি, বৈশালি, তিষ্য আর শ্রমণ গৌতম গল্পের চরিত্র হয়ে এসেছেন । দারুন লাগে পড়তে ।
ই -মেইল টা দেন, আমাকে একজন দয়ালু সহ ব্লগার বড়ভাই পাঠিয়েছেন সদ্য।
facebook
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া ।
shareq.shahidএটyahoo.com তে পাঠিয়ে দিলেই হবে ।
ও ভাইয়া, বইটা যে এখনো পেলাম না ..
একটা সমস্যা হয়েছে, বইটা এসেছে ১০টা ইমেইলে, কিন্তু অন্য ফরম্যাটে, যা আমি পড়তে পারছি না। ঠিকমত পেলেই পাঠিয়ে দিব।
facebook
দারুন উপভোগ্য উপন্যাস! অনেক দিন আগে পড়েছি, কিন্তু যদ্দুর মনে পড়ে বাণী বসু আধুনিক জাতীয়তাবাদী দৃষ্টিকোন থেকে বুদ্ধের অহিংসা ও বৌদ্ধ ধর্মের অন্যান্য মৌল ফিচারকে তীব্র সমালোচনা করেছেন এ বইতে।
****************************************
এক ভাই পাঠাচ্ছেন, খুব তাড়াতাড়ি পড়া হয়ে যাবে আশা রাখি!
facebook
জগতের সকল প্রাণী সুখি হোক - এইটা শুনলেই স্কুল বেলার এক ছড়ার কথা মনে পড়ে যার শুরু 'চারিপার্শ্ব কালো কেশ্যো...' দিয়ে। উপরে ভাল আলোচনা চলতেছে, যাই দেখি কোন দিকে আগাইতাছে সব।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
ছড়াটা জানতে চাই!
facebook
এহহেরে ছুড়াডা বুলছে কি। এই ছড়া এইখানে লিখলে অশ্লীলতার অভিযোগে ব্যান হওয়ার বিকল্প আছে কোন?
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
ব্যাপার না ! লিয়ে লেন ! হৈ দাদা, সেদিন আপনের নাম দেখলাম যে, সচলের ফাঁকিবাজের তালিকায়!
facebook
তাই নাকি!!!! ফাঁকিবাজের তালিকায় নাম ওঠার আগেই আবার এসে পড়েছি মনে করে বেশ শান্তিতে ছিলাম, কিন্তু আগেই যে ধরা খেয়ে আছি সেইটা তো বুঝি নাই। খুব কঠিন সময় যাচ্ছেরে ভাই।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
ঠিক হয়ে যাবে, এই সামারে আসবেন নাকি বলেন !
facebook
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
লেখা তো দারুণ। এদিকে দেড়শ র বেশি কমেন্ট দেখে আমি তো কমেন্টগুলো পড়তে লইলাম। একেবারে ফাইস্যা গেলাম। আলোচনা দেখে তো হাহাপগে শুধু না, পইড়া গইড় দিয়া উঠলাম। উফ, কী আলোচনা!
এদিকে নির্বাণের ব্যাপারে---ওরে বাবা, কী থিওরি! ভাগ্যি ভালো কোয়ান্টাম কি স্ট্রিং আসে নি এখনো, ল্যামার্কে আর ডারউইনেই আছে, তবে ভরসা কী? যেকোনো সময় হয়তো দেখবো লিখে গেছেন এই তো কোন প্রাচীন বইয়ে কোয়ান্টামের কথা ছিলো!!!
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
কাম সারছে, সাঁকো পার হওনের আগে পাগলরে কয় সাঁকো নড়াইস না। কই যাই।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
আরে ধুর, কিসের কোয়ান্টাম কি স্ট্রিং তুলিদি, এবার আসবে মালটি ইউনিভার্স !
facebook
কিন্তু বাকী আদ্ধেক যে আছে! তার পিছনে কি আমার কোন কৃতিত্ব নেই !
facebook
আমার মাথার আদ্ধেক চুল পড়ে গেচে।
তারেকাণু ভাইয়ের কাছে ক্ষেতি পুরণ চাই !
কিন্তু আর আদ্ধেক যে টিকে গেল, তার পিছনে কি আমার কৃতিত্ব নেই !
facebook
না, তর্কালোচনাটি একেবারে বৃথা যায়নি। অনেক গরলের মাঝে কিছু অমৃতও উঠে আসলো। নতুন করে ভাববার ও জানবার আগ্রহ জন্মালো।
ধন্য্যবাদ তারেক অনু, কৃতিত্বটি আপনাতেই বর্তায় বৈকি।
ভাল লাগল শুনে, ধন্যবাদ !
facebook
Karen Armstrong-এর 'Buddha' পড়েছেন? একটু ব্যতিক্রমধর্মী, কিন্তু আমার খুব প্রিয় বই। দারুন।
****************************************
এখনো পড়া হয় নি, কিন্তু এখন কারেনের স্রষ্টা সম্পর্কিত বইটা পড়ছি! কি কাকতাল!
facebook
"হিস্টরি অফ গড" ? বইটা আছে আমার কাছে, কিন্তু পড়া হয়নি। আগে এইসব গোগ্রাসে গিলতাম, কিন্তু এখন কেন জানি....। আপনি পড়ে একটা পোস্ট দ্যান, তারপর ঠিক করব পড়ব কিনা!
****************************************
সেইটাই, খুব একটা মজা পাচ্ছি না , তবে ব্যপক তথ্য!
লেখিকার মুহম্মদ বইটা পাচ্ছি, দেখি কেমন লিখেছে। বুদ্ধার ব্যাপারে আপনের মন্তব্য পড়ে তো পড়তে ইচ্ছে করছে।
facebook
রাহুল সাংকৃত্যায়নের বৌদ্ধদর্শন বইটাও বেশ তথ্যবহুল। পড়েছেন নিশ্চই।
না, সেটা আর তিব্বতে সোওয়া বছর খুজতেছি হ্যাচাক জালিয়ে! কারো আছে থাকলে আওয়াজ দেন ---
facebook
আচ্ছা, এই লেখাটা কেউ সবকটা মন্তব্যসহ পড়ে শেষ করেছেন ??? তাইলে জায়গায় দাড়াইয়া হাত তুলেন ...
এই প্রথম তারেক অণুর একটা লেখার সব মন্তব্য পড়া ধৈর্য্য রাখতে পারলাম না (লেখা কিন্তু পড়ছি ..) ..
কি আর করা
facebook
মন্তব্য ২০০ বানায়ে দিলাম। পোস্ট পড়ে প্রথমে জ্ঞান অর্জন হইছে তারপর কিছু কিছু মন্তব্য পড়ে জ্ঞান বর্জন হইছে । জ্ঞানার্জন আর জ্ঞানবর্জন মিলে ঝিলে ইন্টারেস্টিং একটা পোস্ট।
হ। আমারও একিবস্থা। জয় হোক।
ডাকঘর | ছবিঘর
আচ্ছা উদাস দা, জ্ঞান অর্জন তো মস্তিস্কের মাধ্যমে হয়, তয়লে জ্ঞান বর্জন কিসের মাধ্যমে ঘটে
facebook
শিবের আরেক নাম মহাকাল তার প্রামাণ ব্যাটার মাথায় নদী ছিল। আবার ধর ছিল রুমাল, হয়ে গেল বেড়াল। কিংবা তুমি এই যে বেশি বকবক করতেছ, কবে যে বক হয়ে উড়ে যাবা টেরো পাবা না আবার ধরো সেইযে বাঘটা যে দাঁতগুলো হারিয়েছিল কালীসিংগির মহাভারতের ধাক্কায় সে তো বহুদিন কলাটা মূলাটা শব্জিটা খেয়েই না বেঁচে ছিল? এইসব পরম জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমেই না (অ)জ্ঞান বর্জন ঘটে।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
নাকের উপর টেনিদা মুগ্ধবোধ বসিয়ে দিলে আর দেখতে হবে না---
facebook
ফলাফল নাক ভাঙ্গা বুদ্ধদেব অর্থাৎ ডাইরেক্ট নির্বান
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
মনে আছে তাহলে !
facebook
কমেন্টের ঘুরনিতে পইড়া এমুন গইড় দিছি, আসল কথাই ভুইলা গেছি।
আমার একটা অনুরোধ ছিলো। এই গৌতম বুদ্ধ আর মহাবীর জিন দুজনেই সূত্র নির্ভর যৌক্তিক ধর্ম দিয়েছিলেন। দেবদেবী ফুলবেলপাতা বলিদান বিহীন একটা পথ। এর নেপথ্যে কি এনাদের গণরাজ্যের সংস্কৃতির কিছু ভূমিকা ছিলো? শাক্য আর লিচ্ছবিরা উভয়েই গণরাজ্যের লোক,সেখানে রাজা বলতে কেউ থাকতো না, নির্বাচিত গণনায়কেরা শাসনকার্য চালাতেন। মল্লরাজ্যও তো তেমন। সেখানে শুনেছি নারী ও পুরুষ উভয়েই সেই আমলে শস্ত্রচর্চা ও শিকার করা শিখতেন। এইসব নিয়ে লিখবেন?
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ও তুলিদি , আপনি লিখে ফেলুন না একটু সময় করে! আমি দৌড়ের উপরে, একটু, আর রেফারেন্স বইয়ের ঘাটতি আছে অনেক! না জেনে লিখি কি করে! দিন না একটা পোস্ট---
facebook
হুম, অনেক কথা হয়ে গিয়েছে দেখলাম। প্রথমত, লেখাতে
পরমার্থ দা দেখলাম অনেক কথা বলে গেলেন। আরেকবার বুঝলাম, বুদ্ধকে হিন্দু অবতারের পদ থেকে আলাদা করে ফেললেই অনেকে বাকি ৯ অবতারের শক্তি আর ধৈর্য নিয়ে কথা চালিয়ে যেতে পারে।
আমি নিজে ছোটবেলা থেকে বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী। সেটা বৌদ্ধ ধর্মের মাহাত্ম্যের কারণে নয়, বরং পারিবারিক সংস্কৃতির কারণে। বৌদ্ধ ধর্মে "জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক, দুঃখ হতে মুক্তি লাভ করুক" বা "অহিংসা পরম ধর্ম" জাতীয় সহজ কথা যেমন আছে, তেমন চারি আর্য সত্য, নির্বাণ ইত্যাদি কঠিন কথা আছে। কঠিন আলোচনাতে যাবো না, উপযুক্ত গোলাবারুদও হাতের কাছে নেই। ব্যক্তিগতভাবে আমি তাকে "বুদ্ধদেব" বলি না, তাতে তার উপর আরোপিত "মহাপুরুষ" ইমেজকে স্বীকৃতি দেয়া হয়। তিনি মানুষই ছিলেন এবং আমার কাছে তিনি সিদ্ধার্থ গৌতম। বৌদ্ধ ধর্ম আমার কাছে আকর্ষণীয় নয়, আকর্ষণীয় হলো এর দর্শন। গৌতম তাকে উপাসনা করার জন্য বলেন নি, তিনি ঈশ্বরের অস্তিত্বকে স্বীকার করেন নি, তার দর্শনে "প্রশ্ন করা যাবে না" টাইপের উদ্ভট কর্তৃত্বও খাটান নি। স্বর্গ-নরক-নির্বাণ-জন্মান্তরবাদ এসব নিয়ে আমার বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই এবং আমি ধর্মে বিশ্বাসী নই। বৌদ্ধ ধর্মে অনেক বিপরীতধর্মী বিষয় আছে, যেগুলোকে অনায়াসে প্রশ্নবিদ্ধ করা যায়। কিন্তু বৌদ্ধ দর্শন আমার আগ্রহের বিষয়, অন্য যে কোন দার্শনিকের দর্শনের মতই। গৌতমের উচ্চতা ছিলো ৮০ হাত, তার শরীরে কোন ময়লা জমতো না, তিনি জন্মের পর প্রথম সাত পদক্ষেপে সাতটি পদ্মফুলের জন্ম দেন- এ ধরনের হাস্যকর কথায় কান না দিলেও চলবে। অনুসারীদের স্বভাবই হলো কিংবদন্তী তৈরি করা এবং সে যুগে এটা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার ছিলো।
ধর্মটার ব্যাপারে একটু আসি। গৌতমের মৃত্যুর পর শুরু হয় দর্শনটার রাজনীতিকরণ। মূর্তি পূজা-স্বর্গ-নরক-ঋদ্ধি (অলৌকিক কিছু করার ক্ষমতা) আরো অনেক কিছু ঢুকে যায়। গৌতমের উপর দেবত্ব আরোপ করা হয়। জাতক (প্রায় সব জাতক পড়া আছে আমার) কিছু ভালো শিক্ষা দিতে পারে (একটা জাতকে যেমন আছে যে, নক্ষত্র দেখে বিয়ে করা- এসব হলো অপ্রয়োজনীয় ধারণা), কিন্তু অন্য সব ধর্মের মত জাতকে নারীকে হীন চোখে দেখা হয়েছে। বৌদ্ধ ভিক্ষুসংঘে প্রথম দিকে নারীদের স্থান দেয়া হত না। কারণ, তারা "মার" (বৌদ্ধ ধর্মের শয়তান ইবলিশ বলা যায় একে। তার তিন মেয়ে- রতি, আরতি, তৃষ্ণা। তবে মারের স্পষ্ট কোন ধারণা নেই, নেই শয়তান ইবলিশের মত দীর্ঘ কোন ইতিহাস কিংবা মানুষকে সারাক্ষণ প্রলুব্ধ করে চলেছে এমন কোন কিছু। কুকাজ করার প্রবৃত্তিকেই মার হিসাবে চিহ্নিত হয়ে থাকে সাধারণত)। নির্বাণ খুব আপেক্ষিক বিষয়। নির্বাণ হলো চেতনার চির অবসান। এটাকে নাকি শুধু অনুভব করা যায়, প্রকাশ করা যায় না। (আমি যেহেতু পরজন্মে বিশ্বাস করি না বা মৃত্যু পরবর্তী জীবনেও যুক্তি স্থাপন করতে পারি না, আমার কাছে, নির্বাণ হলো মৃত্যু। আমার কাছে এটা এমনকি অনুভূতিরও বিষয় নয়। মরসি, ঠুস!)
আরেকটা বড় ব্যাপার হলো, বৌদ্ধ ধর্মের বড় পৃষ্ঠপোষক ছিলেন তৎকালীন সময়ের ধনী ব্যক্তিরা। সম্রাট অশোক, বিম্বিসার, বিশাখা- এদের যে পরিমাণ সম্পদের কথা জানা যায় এবং তারা বৌদ্ধ ধর্ম প্রসারে যে বিনিয়োগ করেন, তাতে ইতিহাসে তাদের ঠাঁই হয় মহা পুন্যবান হিসাবে। এগুলো রাজনীতির অংশ। তবে মধ্যপ্রাচ্যীয় ধর্মের সাথে একটা জায়গাতে পার্থক্য হলো, বৌদ্ধ ধর্ম প্রসারের জন্য ধর্মীয় রাজনীতির অংশ হিসাবে গণিমতের মাল, কাফের নিধন কিংবা এ ধরনের কোন বিষয় বৌদ্ধ দর্শন বা ধর্ম- কোন জায়গাতেই স্থান পায় নি।
যাহোক, বাকিরা যা বললো, আমি শুধু একটু টাচ দিলাম যেহেতু ধর্মটার ভেতর আমি ছিলাম। [বিঃদ্রঃ একটা সময় আমি চরম বিশ্বাসী ছিলাম। প্রার্থনা করতাম বুদ্ধদেবের কাছে। বরং এখন শান্তি বোধ করছি যে, মানুষটাকে এখন আমি একটু হলেও বুঝি আর দার্শনিক হিসাবে সম্মান করি। তার সাত পদ্মফুল কিংবা শরীর থেকে বের হওয়া শুভ্র জ্যোতি আমাকে আর টানে না ]
ধন্যবাদ আপনার জীবনঘেঁষা মন্তব্যের জন্য।
বুদ্ধদেব শব্দটি ব্যবহারের একমাত্র কারণ রবিঠাকুর সেটি ব্যবহার করেছেন তাই, আর কিছুই না। ধর্মের প্রসার সাধারণত রাজনীতির মাধ্যমেই ঘটে, চিন্তা করে দেখুন অশোক এই ধর্ম গ্রহণ ও বিস্তার না করলে আর বৌদ্ধ ধর্ম হয়ত জৈন ধর্মের মতই অল্প কিছু লোকসমাজের মাঝেই আবদ্ধ থাকত।
আপনার ব্যক্তিগত উপলব্ধি ভালো লাগল, ভালো থাকুন সবসময়।
facebook
গুরুদেবের ছুটি গল্পে ছুটি বলতে আসলে কি বোঝাচ্ছে তা আসলে বইয়ের পাতার স্নায়ুস্পন্দন মেপে বোঝা যাবে না .. মানুষের বুদ্ধির যতেষ্ট বিকাশ হলে সে প্রয়োজনীয় টীকা ছাড়াই বুঝে যাবে .. আবার মানুষের জন্ম কিভাবে এটাও মানুষের এক সময় বুঝে যাওয়া উচিত .. কেন আমরা বলছি আকাশ থেকে তার জন্ম, কেন আমরা বলছি মৃত্যুতেই ছুটি তা বোঝাও সহজ ..
মৃত্যুর পর কোনো ভিন্ন পুরিতে আমার বিশ্বাস নেই .. যুধিষ্ঠির থেকে বুদ্ধদেব সবাই দেখিয়েছেন সন্তান লাভই পরজন্ম .. আর বুদ্ধদেব নিজে সংসার জীবন পালন করে পরে স্বল্প বসনে, স্বল্প অন্নে সমাজের ভালো চিন্তায় যে অহিংস সময় কাটিয়েছেন সেটি ওই সময়ের প্রথা .. বুদ্ধদেব না থাকলেও দ্বিজ ধারণা, সমাবর্তনের ধারণা, নির্বানের ধারণা, জন্মান্তরের ধারণা, অহিংস ধারণা থাকত .. তার কোনো ধারণাই স্রষ্টার প্রেরিত নয় .. বরং ওই সময়ের ধারণার সংকলন .. তার কর্মের জন্য, সমাজে তার অগ্রণী ভূমিকার জন্য তাকে মানুষ ভালোবেসে দেবতা বলেছে, যেমন আমরা বঙ্গবন্ধু অথবা বিদ্রোহী কবি বলি .. মহাবীরের ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার প্রযোজ্য .. আর সনাতন ধর্ম কোনো একজন ব্যক্তি ভিত্তিক ধর্ম নয় যে তা কোনো ব্যক্তির অনুপস্থিতিতে বিলুপ্ত হবে .. আফ্রিকার গহীন জঙ্গলে যেখানে মানুষ এখনো ছোট ছোট বিচ্ছিন্ন গোষ্ঠীতে বাস করে তারাও এক ধারার জন্মান্তরকে(Kinship) লালন করে .. ঐসময় মৌর্য রাজাগণ যেমন রামায়ন মহাভারত চর্চা করেছেন সেইরকম বুদ্ধের অহিংস নীতির প্রচার করেছেন ..
সাম্যবাদী রাশিয়া তার পূর্বের অংশীদারদের দেশে বিশাল সংখ্যক রাশিয়ান রেখে গেছে, মানুষদেরকে স্থানান্তর করেছে জাতীয়যতাবাদী শক্তিকে ধংশ করার জন্য, চালিয়েছে গণহত্যা .. গীতা অনেকদিন সেদেশে সরকারিভাবে নিষিদ্ধ পুস্তক ছিল .. এই কিছুদিন আগে পোলান্ডের ছয় সংসদ সদস্য সেখানে পলিশ গণকবর পরিদর্শনে গিয়ে তথাকথিত বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায় .. সে দেশ আজ মুখ থুবরে পড়েছে .. সাম্যবাদ টিকে থাকতে পারেনি .. বরং ওই দেশের গুনী মানুষেরা পার্শবর্তী দেশে গিয়ে ভালো করেছে ..
এত বড় চীন যা করেছে, তার চেয়ে ছোট দেশ হিসেবে তাইওয়ান অনেক ভালো করেছে .. চীনের অগ্রগতিতে ভুমিকা রেখেছে ..
আর দেখুন ঐসব সাম্যবাদী দেশ যা করতে পারেনি তা অস্ট্রলিয়া করে দেখিয়েছে .. কোনো সাম্যবাদ ছাড়াই ভিক্ষাবৃত্তিকে হটিয়ে দিয়েছে ..
একটা সময় চরম নিরর্থক ভাবতাম দর্শনকে .. এখন পূর্বপুরুষদের, তাদের ধারনাকে শ্রদ্ধা করতে শিখেছি ..
গৌতম বুদ্ধ বলেগেছেন সকল নারীর কাছ থেকে দূরে থাকতে। যদি গৌতম বুদ্ধকে সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ হয়ে থাকে তাহলে উনার কথা অবশ্যই মানে চলবেন। আজকেই আপনার মায়ের কাছ থেকে দূরে চলেজান।
পরমার্থ লোকটা একটা কলোসাল আবাল।
এইরে পাগল পরম অর্থ খুঁজতে (খেপলো) বেরোলো বলে !!! আবাল বলাতে আমাকে বলেছিলো গুপ্ত-সন্ত্রাসী সংঘের সদস্য আপনাকে কি বলে দেখুন !!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
আমি শুধু এই লোকটারে ঠাডায়া দুইটা চটকানা মারার জন্য কলোসাল গুপ্ত-সন্ত্রাসী সংঘের সদস্য হতে রাজি আছি। এই লোকটা কী খায়?
স্বাগতম
এই লোকটা বলে "গুরু পরমার্থের" অবমাননা করবেননা হিমুদা, উনি সাধারণ (স্বাভাবিক) মানুষ নন, উনি "মহাত্যানি" (মহা ত্যানাবাজ), উনি সাহিত্য ভক্ষণ করেন॥
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
হে সুধী ভ্রাত আমার, এতদিন পর কোথা থেকে খড়গহস্ত হইয়ে! তবে বিয়াপক বিনুদুন!
facebook
সব মন্তব্য পড়তি পারলি আবার আওয়াজ দিবানি... মাথাডা ঠাণ্ডা করি- এহনি শ্যাষ হইতাম চাইনা...
হা হা, ঠাণ্ডা হয়ছে মাথা !
facebook
এই লেখাটি পরে আমরা দুইটি জিনিস শিখলাম ..
১। পিতৃদেব মাতৃদেব বললে সমস্যা নেই বুদ্ধদেব বললেই অনেকে রেগে যান ..
২। আফ্রিকা আমাজন সব স্থানে সকার পূজা আছে, কিন্তু আমি করলেই দোষ, আমি করলেই তা গ্রীকদের পত্তলিকতা ..
দীর্ঘদিন পর আপনার মন্তব্য দেখেই আবারো পড়লাম - লেগে থাকেন মশাই।
সবাই মিথ্যাকে সত্য বললেই কি সেটা সত্য হয়? হয় না।
facebook
বাদ্দেন। নেন গান শুনেন, পাগল ছাড়া দুনিয়া চলে না ♪♫
..................................................................
#Banshibir.
গৌতম বুদ্ধকে নিয়ে যেহেতু লেখা, দুইটা কথা বলার ছিলো। কিন্তু কমেন্ট সেকশনে আইসা পুরা ট্রোলড হয়া গেলাম।
বাপরে বাপ :/
অলমিতি বিস্তারেণ
facebook
.....একদিন শঙ্কর এসে বলল, তুমি অদ্বৈতবাদ না মানতে চাও মেনো না। কিন্তু গৌতম যে দেশের সর্বনাশ করলে সেটা তো স্বীকার করবে। এর একটা বিহিত করতে হবে। আমি বললাম, বিহিত করতে চাও তো করো। তাতে যদি মনে শান্তি পাও তো করো। কিন্তু এটা মনে রেখো যে তোমার কাজ পণ্ড করারও লোক আসবে। এদেশে ধর্ম নিয়ে ফুটবল খেলা হবে সেকথা বলে দিলুম আমি। .....ছোকরার মধ্যে জিনিস ছিল। কিন্তু আয়ুর্বিজ্ঞানটা আয়ত্ব হয় নি তো। তাই ৩২ বছর বয়সেই ......
অজ্ঞাতবাস
বিরিনচি ! বিরিনচি! কিরিনচি !
facebook
বুদ্ধ তো কখনও দেব ছিলেন না , কিন্তু তাঁহাকে কেন এখানে বুদ্ধদেব বলিয়া সম্বোধন করা হইয়াছে , ইহা আমার বোধগম্য হয় নাই
রবীন্দ্রনাথ তাই বলিয়াছিলেন বলিয়াই। মানুষ প্রেমিকাকেও দেবী বলে, সেই থেকেও চিন্তা করতে পারেন
facebook
নতুন মন্তব্য করুন