( সতর্কীকরণ—এখানে প্রিয় কিছু চলচ্চিত্রের গল্প বলার ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়েছি মাত্র, এটা কোন মুভি রিভিউ নয়, কারণ এমন চলচ্চিত্র নিয়ে রিভিউ লেখার জ্ঞান বা প্রজ্ঞা কোনটাই আমার নেই, এটি স্রেফ ধারা বিবরণী। কাজেই যাদের চলচ্চিত্রটি এখনো দেখা হয় নি, তারা আগে দেখে ফেললেই ভাল হয়, নতুবা সব ঘটনা জানলে হয়ত আগ্রহ কিছুটা কমে যাবে। এমন লেখার ব্যাপারে সকল ধরনের পরামর্শ স্বাগতম। )
২য় বিশ্বযুদ্ধ শেষ, সারা বিশ্বের গায়ে দগদগে ক্ষত, কিছু মানুষের পাশবিকতায় মনুষ্যত্ব শব্দটি বুলেটবিদ্ধ হয়ে পড়ে আছে কোন রণাঙ্গনে, কোটি কোটি সৈনিকের কবর না হওয়া লাশের সাথে গোলার আঘাতে সৃষ্ট কর্দমাক্ত গর্তে। সবচেয়ে বেশী বুকে বাজছে যুদ্ধে নিহত সৈনিকদের করুণ পরিণতির চেয়ে করুণতর নাৎসী বাহিনীর হাতে পরিকল্পিত ভাবে নানা বন্ধীশালায় গ্যাসচেম্বারে ষাট লক্ষ নিরস্ত্র নিরাপরাধ ইহুদী ধর্মাবলম্বীদের অকাল মৃত্যু।
সারাবিশ্বে জনমত গড়ে উঠল ইহুদী সম্প্রদায়ের পক্ষে, তাদের কোন নিজস্ব ভূমি নেই, স্বদেশের স্বাদ তারা কোনদিনই পায় নি, পাবেই বা কি করে, সাড়ে তিন হাজার বছর ধরেই তারা দেশান্তরী, সেই যে ফারাও রামসেসের সময় মোজেসের নেতৃত্ব তারা ফিরে এসেছিল পাথূর কানান প্রদেশে, ধর্মীয় ঈশ্বর তাদের যে ভূমি প্রদানে অঙ্গীকারে করেছেন ওল্ড টেষ্টামেন্টে(তাওরাত), সেখান থেকেও তারা বাত্যচ্যুত।
চলল জটিল-কুটিল রাজনীতির খেলা, মানবতার চেয়ে বরাবরের মতই বড় হয়ে দাড়াল স্বার্থরক্ষা। ঈশ্বর প্রদত্ত্ব সেই তথাকথিত পবিত্র ভূমির শাসন কর্তা তখন সারা বিশ্বে ঔপেনিবেশিকতার পতাকা ওড়ানো ইংরেজরা, যদিও সেখানে অনেক দশক ধরেই দেশান্তরী ইহুদীরা বসৎ গাড়ছে কিন্তু কোন রূপ প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি ছাড়াই, নাৎসীদের অত্যাচারের পরে লক্ষ লক্ষ ইহুদী সারা বিশ্ব থেকে এসে হাজির হল ভূ-মধ্যসাগর তীরের এই ঊষর ভূ-খন্ডে। শেষ পর্যন্ত ১৯৪৮ সালের ১৪ মে স্বাধীনতা ঘোষণা করল বিশ্বের এক মাত্র ইহুদী রাষ্ট্র, এবং পরের দিন থেকেই শুরু হয়ে গেল প্রতিবেশী আরবদেশগুলোর সাথে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ।
ইসরায়েল ভূ-খন্ডের জনগোষ্ঠীর ইতিহাস বিশ্বের অধিকাংশ স্থানের চেয়ে অনেক জটিল, প্রাচীন কালে, প্রায় তিন হাজার বছর আগে ইসরায়েলী কিশোর ডেভিড (পরবর্তীতে রাজা ডেভিড, দাউদ নামে কোরানে উল্লিখিত) যে বিশালদেহী গোলায়েথকে যুদ্ধে পরাজিত করে রাজত্ব নিশ্চিত করেছিল নিজ সম্প্রদায়ের জন্য, সেই গোলায়েথও কিন্তু ছিল ফিলিস্তিনী গোত্রের। অর্থাৎ ইসরায়েলী-ফিলিস্তিনী এই দুই গোত্রের দ্বন্ধ মধ্যপ্রাচ্যে খ্রীষ্টান এবং ইসলাম ধর্মের উদ্ভবের অনেক আগের। সেই রেশ আজো বহমান, অনেকটা রাজনীতির কারণে, অনেকটা অন্ধ ধর্মবিশ্বাসের কারণে।
ইহুদী রাষ্ট্র না হয় হল, কিন্তু এখানে হাজার বছর ধরে বসবাসরত মুসলমান আর খ্রীষ্টানদের কি হবে! তারাই কেন হতে হতে যাবে বাস্তহারা- যুদ্ধ লাগল গ্রামে, শহরে, বন্দরে- প্রতিটি জনপদে, ঈশ্বরের পবিত্র ভূমিতে, ধর্মগ্রন্থের বর্ণিত ক্রোধোমত্ত্ব ঈশ্বরের মতই তার অনুসারীরা প্রতিশোধের নেশায় পাগলপারা- চোখের বদলে চোখ, দাঁতের বদলে দাঁত, কল্পিত বিশ্বাসে বলি হতে থাকল হাজার হাজার মানুষ, কোন কোন গ্রামে বেঁচে গেল লুকিয়ে থাকা অল্প বয়সী শিশুরা, তারা বড়দের উম্মত্ত্বতা থামার পরে অনেকেই কায়ক্লেশে পৌছানোর চেষ্টা করল বারুদের ঝাঝালো গন্ধমুক্ত আশ্রয়ে, যেখানে অন্তত মিলবে খাবার, মাথার উপরে ছাদ।
গোটা ইসরায়েলের বাস্তহারা শিশুদের জন্য সেরা আশ্রয় ছিল হিন্দ হোসেইনির স্কুল দার-আল তিফেল, অন্য অনেক নেতার মত বিপ্লবের মন্ত্রে নয়, কোমল শিশুমনে আত্নঘাতী বোমা হামলার বীজ বুনে নয়, মিস হিন্দ হোসেইনি একজন নিবেদিতাপ্রাণ মানুষের মত আজীবন চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন বাস্তহারা শিশুদের যথাযথ শিক্ষিত করার জন্য, একমাত্র প্রকৃত জ্ঞানই দিতে পারে চিরশান্তির বুনিয়াদ, এই অমোঘ সত্যটি জপমন্ত্রের মত বিশ্বাস করে আলো ছড়িয়েছেন কলঙ্কময় যুদ্ধবিধ্বস্ত পোড়া পবিত্রভূমিতে।
মিরাল, অতি সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত চলচ্চিত্র, আমেরিকান পরিচালক জুলিয়ান সাচনাবেলের নবতম সৃষ্টিতে বলা হয়েছে ইতিহাসে আধাঁরে ঢাকা গলি ঘুপচিতে আলোকপাত করে ইসরায়েলী ভূ-খন্ডের আসল ইতিহাস ও চলমান যুদ্ধের কথা। মিস হিন্দ হোসেইনীর স্বপ্নের কথা, স্বাধীন প্যালেষ্টাইনের কথা আর মিরাল নামে এক তরুণীর কথা যার দুচোখে আগামীর আলোঝরা স্বপ্ন খেলা করে। মিরালের নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন স্ল্যামডগ মিলিওনিয়ার খ্যাত অভিনেত্রী ফ্রিডা পিন্টো।
কুখ্যাত দার ইয়াসিন গণহত্যার পর বাড়ী ফেরার পথে ৫৫টি ক্ষুদে শিশুকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখেন হিন্দ হোসাইনী, মাতৃবোধে উদ্দীপ্ত হয়ে সবাইকে নিয়ে আসেন আপন বসতবাটীতে, চেষ্টা করেন তাদের সেই দুঃস্বপ্ন ভুলিয়ে খাদ্য, পানীয়, আশ্রয় আর সেই সাথে সবচেয়ে মূলবান পাথেয় শিক্ষায় আলোকিত করে তুলতে।
ছয়মাসের মধ্যে তার স্কুলের আশ্রয়প্রাপ্তদের সংখ্যা ৫৫ থেকে দুই হাজার ছাড়িয়ে যায়, কিন্তু কোন সময়ই তিনি কোন বিদেশী রাষ্ট্রের সাহায্য নেন নি, তার স্বচ্ছ ধারণা ছিল বিদেশী সাহায্য নিলে, সাহায্যকারীরা কোন না কোন পর্যায়ে তার এই নিঃস্বার্থ মহতী উদ্যেগের ফায়দা লুটতে চাইবে রাজনৈতিক ভাবে।
মিরালে চলচ্চিত্রটির চরিত্র অনেক, বেশ কিছু ঘটনা এগিয়েছে সমান্তরাল ভাবে, এক পর্বত শিখর থেকে উৎপন্ন হওয়া জলধারা যেমন সমতলে শতভাগ হয়ে ভিন্ন ভিন্ন দিকে গমন করে, মাঝে মাঝে আবার তাদের দেখা হয়েও যায়, মিলন ঘটে স্রোতস্বিনীর ঠিক তেমন ভাবে জীবন থেকে নেওয়া চরিত্রগুলো ফুটিয়ে তোলে মিরালের মা নাদিয়ার কাহিনী- নিজ সৎ পিতার কদর্য লালসার শিকার নাদিয়া মুক্তির জন্য বেছে নেয় ক্যাবারে নর্তকীর জীবন, সেখানে থেকে ভাগ্যের ফেরে নিজেকে আবিষ্কার করে সে কারাগার প্রকোষ্ঠে।
কারাগারে পরিচয় হয় প্রাক্তন নার্স ফাতিমার সাথে, যে সন্ত্রাসী পরিচয়ের কারণে তিন তিনটি যাবৎজীবন কারাদন্ড প্রাপ্ত, অথচ তার অপরাধের শুরু হয় প্যালেষ্টাইনে যুদ্ধের অংশ নিতে আসা তিনটি বিদেশী আরব তরুণকে স্বদেশে ফিরে যেতে সহায়তা করায়। ফাতিমার ভাই জামালের সাথে নাদিয়ার পরিচয় ঘটে কারাগারেই, মুক্তির পর তার সাথেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় দুঃখী নাদিয়া, কিন্তু ফেলে আসা ক্লেদাক্ত দুঃসহ স্মৃতি পিছু ছাড়েনা তার, সাগরে আত্নহননের মাধ্যমে সলীল সমাধি ঘটে তার কাহিনীর। মসজিদের ইমাম জামাল শিশু কন্যা মিরালকে নিয়ে আসে হিন্দ হোসায়নির বোর্ডিং স্কুলে, ঘুরতে থাকে কালের চাকা।
ইসরায়েলে দানা বাধে নতুন আন্দোলন- ইন্তিফাদা, স্বাধীন প্যালেষ্টাইন রাষ্ট্রের দাবীতে ফিলিস্তিনীদের সংগ্রাম। তরুনী মিরাল ঘটনাক্রমে জড়িয়ে পড়ে সেই আন্দোলনের কয়েক জন সংগঠকের সাথে, তথ্য ফাস হয়ে যাওয়ায় পুলিশের হাতে গ্রেফতার ও শারীরিক নিগৃহের নির্মম শিকার হয় সে। জামাল অবস্থাদৃষ্টে মেয়েকে পাঠিয়ে দেয় তার বোনের বাড়ীতে ,সমুদ্র তীরবর্তী শহরে। সেখানে ফুফাতো ভাইয়ের প্রেমিকার সাথে ঘটনাক্রমে পরিচয় ঘটে মিরালের, অত্যন্ত সদালাপী, আমুদে, দিলখোলা মেয়ে সে কিন্তু ইহুদী ! মিরালের পরিচিত বিশ্বে ইহুদী মানেইতো দখলদারিত্বের, অত্যাচারীর প্রতীক, সেই মেয়েটি ভিন্ন হল কি করে ! মেয়েটিও জানায় আসলেই তার মত ইসরায়েলির সংখ্যাই হয় বেশি, যারা যুদ্ধ নয় প্রতিবেশীদের সাথে সর্বদাই শান্তির পক্ষে। আর সেনাবাহিনীতে একবার গেলেতো তারা মগজ ধোলাই করে ছাড়বেই, তাই সেনাবাহিনীর আচরণ হয়ই অন্যরকম।
নিজ বাসভূমে ফিরে আসে মিরাল, এর মধ্যে তার প্রেমিক, ফিলিস্তিনী গোপন সংগঠক হানি শিকার হয় গুপ্তহত্যার। মিরাল জানতে পারে সে আসলে জামালের পালক কন্যা। মিরাল বুঝতে পারে মিস হিন্দ হোসাইনীর স্বপ্ন, বুঝতে পরে শিক্ষার কোন বিকল্পই হয় না আলোকিত মানুষ, উম্মুক্ত সমাজ গড়তে চাইলে। আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপে আইজ্যাক রবিনের ইসরায়েলী সরকার মোট ভূমির বাইশ ভাগ ভূ-খন্ড ছেড়ে দিতে সম্মত্ত হয় ফিলিস্তিনীদের কাছে, অসলোতে ঐতিহাসিক চুক্তি সাক্ষর হয় রবিন ও ইয়াসির আরাফাতের মধ্যে।
মিস হিন্দ হোসায়নি অকপটে জানান তিনি জানতেন এমন দিন আসবে সার্বভৌম ভূ-খন্ডের, কিন্তু তার জীবদ্দশায় হবে এমনটি তিনি বিশ্বাস করেন নি। আলোচনার শেষ পর্যায়ে এসে চলচ্চিত্রটির প্রথম মুহুর্তে ফিরে যায়, মিস হিন্দ হোসায়নির শবযাত্রা, সবাই শান্তির প্রতীক ফুল দিয়ে শেষ বিদায় জানাচ্ছে মহিয়সী শান্তিদূতকে, এই সময় নেপথ্যে থেকে মিরাল বলতে শুরু করে তার কাহিনী---
মন্তব্য
ঠিকই তো। যুদ্ধফুদ্ধ আসলে কিছু করতে পারেনা, "শিক্ষার কোন বিকল্পই হয় না আলোকিত মানুষ, উম্মুক্ত সমাজ গড়তে চাইলে।" আর আসলে শান্তিকামি মানুষের "সংখ্যাই হয় বেশি, যারা যুদ্ধ নয় প্রতিবেশীদের সাথে সর্বদাই শান্তির পক্ষে। আর সেনাবাহিনীতে একবার গেলেতো তারা মগজ ধোলাই করে ছাড়বেই, তাই সেনাবাহিনীর আচরণ হয়ই অন্যরকম।"~
এই একই ধরনের রিকন্সিলিয়েশান-ডিকন্স্ট্রাশ্কন-শোষনের ইতিহাস ভুলে প্রতিবেশীর সাথে শান্তিময় ভবিষ্য়তের দিকে তাঁকানোর বক্তব্য়ওয়ালা একটা ফিল্ম ১৯৭১ নিয়ে বানালে ক্য়ামন হয়?
সেখানে -
"যারা যুদ্ধ নয় প্রতিবেশীদের সাথে সর্বদাই শান্তির পক্ষে। আর সেনাবাহিনীতে একবার গেলেতো তারা মগজ ধোলাই করে ছাড়বেই, তাই সেনাবাহিনীর আচরণ হয়ই অন্যরকম।"
- জাতীয় ভালো ভালো ভাবনা ভাবার দায়ভারটা পাকিস্তানিদের ঘাড়ে পড়বে, আমাদের নয়। কারণ এখানে এই ভালো ভালো কথাটি বলছে কিন্তু এক ইসরায়েলি মেয়ে। এবং সেই ভালো ভালো কথাকে সাইডলাইনে ফেলে রেখে আক্রান্তের প্রতিরোধ আর মুক্তির সংগ্রাম করারও কিন্তু কোনো বিরোধ নেই।
গল্পের কোন চরিত্রের মুখ দিয়ে কথাটা বেরুলো সেটা আমার পয়েন্ট ছিলনা। আমার পয়েন্ট ছিল গোটা ছবির বক্তব্য় নিয়ে। পাকিস্তান তো ভাল ভাল ভাবনা অনেকদিন থেকেই করছে। আমাদের ক্রিকেট টিমকে পাকিস্তানে কুহু কুহু ডাকাডাকি সেই ভাল ভাল ভাবনা অংশ বলেও বিবেচনা করা যায়।
সচলের প্রথম পাতায় আজকে পাকিস্তান নিয়ে আমাদের বক্তব্য় একাধিক আকারে স্পষ্ট ভাবে এসেছে। তার ফাঁকে তারেকের লেখাতে এই ছবিটিকেই 'স্মরনীয় ছবি' হিসাবে উল্লেখ করা হল বলে একটু বিভ্রান্ত হলাম। কারিগরি চোখে ছবিটি সুনিরমিত, হয়তো ভিন্ন কোন পরিস্থিতিতে ছবির বক্তব্য়ও গ্রহন করার মত হত। কিন্তু যে তারেকের লেখায় সচরাচর ৭১ এর পক্ষের কথা পড়ি, দুরবল ও শোষিতের পক্ষের থাকার কথা পড়ি, অবিচারের বিরুদ্ধে আপোশহীনতার কথা পড়ি, সেই একই তারেক এই ছবির আপোশ-রফা করার বক্তব্য়কে কেন স্মরনীয় বলা প্রয়োজন মনে করল, সেটাই প্রশ্ন।
হুমম।
আরও আরও ভাবা দরকার। ভাবতে ভাবতে যখন মুখে ফেনা উঠে যাবে, তখন পা ধরে মাফ চাইতেও তাদের রাজি হতে হবে।
ডাকুক। কিন্তু আমরা সফরে গিয়ে ভালো ভালো ভাবনার অংশীদার হবার দায়ভারযুক্ত না। বরং তাদের পা ধরে মাফ চাইতে বলাটাই আমাদের দায়।
"বরং তাদের পা ধরে মাফ চাইতে বলাটাই আমাদের দায়।"
সহমত। নো কম্প্রোমাইজ।
এই লেখাটা রেডি ছিল তাই দিয়ে দিলাম, আর এই সিনেমাতে কিন্তু বারবার ইসরায়েলীদের
অত্যাচারের কথা বলা হয়েছে, তাদের দখলদারিত্ব দেখানো হয়েছে। ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনের কি ঘটছে তা নিয়ে এমন বাস্তবভিত্তিক চলচ্চিত্র বিরল।
পাকিদের সাথে এই লেখার সম্পর্ক কি !
facebook
এটা প্য়ালেস্টাইনি মেহেরজান! এই হল সম্পরক।
(পরিচালকের নামটা বোধকরি 'শ্নাবেল')
ধ্রুব বর্ণন আপনি কি ফিল্মমেকার নাকি------------------------?
বলার আগে কি বলেেছন একটু ভেবে নেবেন।অতি পান্ডিত্য দেখানোর কিছু নেই।
কী সমস্যা হইলো ভাইজান?
আপনি কি বলতে চাচ্ছেন মিলমিশ করে থাকার দায় বাংলাদেশিদের? সেটার জন্যে মেহেরজান দেখুন।
পান্ডিত্য কই দেখাইলো বুঝলাম না তো। কিসের মইধ্যে কি, পান্তাভাতে ডালডা
সারাবিশ্বেই এখন 'যা হওয়ার হইছে, এখন শান্তির পথে আসো বাছা'র কালচার শুরু হইছে দেখা যায়
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হুম, ইউরোপেই কিছুদিন আগ পর্যন্ত সবাই নিজেদের মাঝেই মারামারিতে ব্যস্ত ছিল, আজ ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন গড়ে সবাই অন্তত দেখাবার চেষ্টা করছে যে যুদ্ধের সম্ভাবনা আর নাই।
facebook
হুমম!
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
facebook
ফ্রিদা পিন্টোকে ভালো লাগে না কেন যেন। সিনেমাটা দেখা হয় নি। দেখার আগ্রহও তেমন একটা নাই।
পরামর্শ না ঠিক, নিজের মতামত জানাই... শুধু কাহিনির বর্ণনা না লিখে সিনেমার টেকনিক্যাল দিকগুলো নিয়েও টুকিটাকি তথ্য লিখতে পারেন।
শিরোনামে ওটা "প্যালেস্টাইন" হবে।
ধন্যবাদ।
facebook
facebook
সিনেমা পরে দেখুম, আগে মূল্যবান কথা কয়া লই। এই নাইকারে আমার বড় ভালো লাগে।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
লেখিকারে দেইখা তোমার মতামত কি হয়, দেখার অপেক্ষায় আছি।
কিসের মধ্যে কি কথা মুরব্বী!
facebook
স্টকে আছে।
দেখা হয়নি।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
দেখে জানিয়েন।
facebook
আবহমানকালের একটা স্থিরচিত্র ফুটে উঠে চলচ্চিত্রটির ভাষায়।
মুভিটাও দুর্দান্ত লেখাটাও পুরাই সেরাম হৈছে ভাইডি।
ডাকঘর | ছবিঘর
ধন্যবাদ তাপস দা
facebook
এই মুভিটা কেন যেন আমার দেখতে ইচ্ছে করেনি।আমি ইসরায়েলিদের দেখতে পারিনা। এভাবে বলাটা হয়ত ঠিক হল না, কিন্তু আসলেই ভালও লাগে না তাই বললাম। আপনার রিভিউ পড়ে মনে হল দেখা দরকার আসলেই কি দেখিয়েছে।
কোন জাতি সম্পর্কে এমন বলা আসলেই ঠিক হল না, আপনার হয়ত প্রফেসর শঙ্কুর একটা ডায়ালগ খেয়াল থাকবে, যেখানে শঙ্কু দৃঢ় ভাবে বলে, আমার সবচেয়ে নমস্য ব্যক্তিদের একজন ইহুদী, তিনি আইনস্টাইন।
সব জায়গাতেই ভাল - খারাপ আছে, আর বাংলাদেশে ইসরায়েল সম্পর্কে সবসময় নেতিবাচক ধারণা দেওয়া হয়, আমাদের পাসপোর্টেও লেখা আছে ইসরায়েল ছাড়া সারা বিশ্বে যাওয়া যাবে। সেই সাথে যোগ হয়েছে ইসরায়েল রাষ্ট্রের গত কয়েক দশকের ভয়াবহ অন্যায়, দমন, পীড়ন- যার কারণে এমন ধারণা আপান্র মনে উদ্ভূত হতেও পারে। সুযোগ পেলে দেখেন সিনেমাটি, এটি আসলে ফিলিস্তিনিদের নিয়েই।
facebook
"কোন জাতি সম্পর্কে এমন বলা আসলেই ঠিক হল না"- আপনার এই কথার সাথে একমত হইতে পারলাম না। যে জাতির ইতিহাস পুরাপুরি দখলদারিত্তের ইতিহাস তাদের সম্পরকে অবশ্যই এমন বলা যায়। যতক্ষন পর্যন্ত তারা তাদের কৃত দুষ্কর্মের জন্য হ্মমা না চাইবে তাদের সম্পর্কে অবশ্যই এমন কথা বলা যায়।
কোন জাতিরই সব মানুষ খারাপ হয় না, তেমন সব মানুষ ভাল হয় না। তাই বললাম, জাতি নিয়ে এমন না বলাই উচিত।
আর কোন জাতির ইতিহাস পুরাপুরি দখলদারিত্তের ইতিহাস ?
facebook
ভালো লেগেছে।
facebook
রিভিউ বরাবরের মতই, 'উমদা' হয়েছে । তবে কিনা 'প্যালেস্টাইন-ইসরায়েল' বিষয়টাই এমন ত্যানা-প্যাঁচানো যে এনিয়ে সর্বমহলে গ্রহনযোগ্য কোন সমাধানে পৌঁছনো আরো বহুদুরের গল্প ।
ঠিক, সেই সাথে আছে নতুন নতুন মানুষের সেখানে গমন এবং বসত গড়া।
বিশেষ করে রাশান ইহুদীদের কথা তো মুখ ফসকে স্বয়ং ক্লিনটন নিজেই বলে ফেলেছে। !
facebook
এখনকার ইসরাইল রাষ্ট্রের উদ্ভবের পেছনের গল্পটা যতদুর মনে পড়ছে -
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের যে পর্বটায় জার্মানরা এগিয়ে চলেছে দুরন্ত গতিতে তখন বিজ্ঞানী এসিটোন একটি পদার্থ আবিষ্কার করেন (যা এসিটোন নামে পরিচিত) যা মাইন বোমার প্রকৃতিকেই পাল্টে দেয়। সমুদ্র যুদ্ধে মিত্রশক্তির প্রাধাণ্য বিস্তারে এই এই বোমা সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী যখন এসিটোনকে কৃতজ্ঞতা স্বরুপ প্রতিদান দিতে চাইলেন তিনি প্রতিদান স্বরূপ চাইলেন - ইসরাইল রাষ্ট্র। বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী তাকে ইসরাইল রাষ্ট্রের প্রতিশ্র“তি দেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইসরাইল রাষ্ট্রের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হন এসিটোন।
গল্পটা মনে পড়ে গেল।
মাফ করবেন। আমি যে কাহিনীটি জানি সেটা হলো, ১ম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন ব্রিটিশদের বোমা বানাবার রসদে টান পড়ায় উন্স্টন চার্চিল (বৃটিশ সৈন্যবহরে মোটামুটি উচ্চপদে আসীন ছিলেন) এর অনুরোধে ম্যানেস্টার ইউনিভার্সিটির কেমিষ্ট্রির প্রফেসর ডা: কাইম ভাইজম্য্যান ৩০০০০ টন কৃত্রিম এসিটোন তৈরি করে দেন যা যুদ্ধ জয়ে দারূণ প্রভাব ফেলে। যুদ্ধ জয়ের পরে তাঁর এই অসামান্য অবদানের পুরস্কার স্বরূপ তাকে অর্থ, স্ম্পদ ইত্যাদি অফার করা হলে তা তিনি সবিনয়ে প্র্ত্যাখ্যান করে জেরুজালেমের সন্নিকটে ইহুদীদের জন্য একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। ঐ অঞ্চল তখন ব্রিটিশদের অধীন ছিল। এরই ফলশ্রুতিতে তদানিন্তন ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রী আর্থার বালফোর একটি ঘোষণা দেন। সেটি 'বালফোর ডিক্লারেশন, ১৯১৭' নামে পরিচিত। এই সময়ে জায়োনিষ্ট মুভমেন্ট বেশ জোরদার ছিল এবং ডা: কাইম ভাইজম্যান এই আন্দোলনের একজন নেতা ছিলেন। অনেকের মতে স্বজাতি হিতৈষণার এত বড় উদাহরণ আর পাওয়া যায়না। এই সময় থেকেই পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাসরত ইহুদীরা প্যালেস্টাইনে জড় হতে শুরু করে।
২য় বিশ্বযুদ্ধের সময় ডা: কাইম ভাইজম্যান, ব্রিটিশ সরকারের একজন যুদ্ধ উপদেষ্টা ছিলেন। মিত্রবাহিনীর যুদ্ধ জয়ের পর তিনি আমেরিকার তদানিন্তন প্রেসিডেন্ট হ্যারি ট্রুম্যানের সাথে দেখা করে তাঁদর দাবীর প্রতি ট্রুম্যানের সম্মতি আদায় করেন। আর এদিকেতো পূর্ব পরিচিত উইন্স্টন চার্চিল তখন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
১৯৪৮ সালে 'ইসরাইল' রাষ্ট্র ঘোষণার কয়েক মিনিটের মধ্যেই আমেরিকা, ইংল্যান্ড, রাশিয়া তাদে সমর্থন জানায়।
আমার মনে পড়া গল্পটার আবছা অংশটা আপনার বিবরণের সাথে সাথে মনে পড়ে গেল। ধন্যবাদ। আরো মনে পড়লো - আগে এসিটোন সংগ্রহ করা হতো - সম্ভবত তিমি মাছ এর চর্বি থেকে। যে কারনে অনেক এসিটোন সংগ্রহ করা সম্ভব ছিল না বলে মাইন তৈরী করা সম্ভব হতো না। কৃত্রিম এ্যাসিটোন আবিষ্কারের কারনে সমুদ্র পথে জার্মানরা তীব্র মাইন প্রতিরোধের কারনে আর এগুতে পারে নি। এরকমভাবেই মনে পড়ছে অনেক আগে শোনা গল্পটা...
এমনটাই পড়েছি। যদিও এমন রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন মোল্লা ইহুদীরা দেখেছে অনেক অনেক বছর ধরেই, তাদের এই রাষ্ট্রের মূল নকশাবিদ যাকে বলা হয়, উনি মনে হয় ১৯০০ সালের আগের জাহাজে চেপে ঘুরে এসেছিলেন সই সময়ের ইসরায়েল, যদিও আলাদা ভূখণ্ড দেখা হয় নি তার।
facebook
হ্যা, আপনি সঠিকভাবেই বলেছেন, ধর্মীয় বিশ্বাসের কারনেই এই দ্বন্দ জিইয়ে রেখে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল হচ্ছে। আর সেই আব্রহামের সময় থেকেই তাদের ঈশ্বর, অঙ্গিকার করে গেছেন তাদের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট আবাসভূমি দেবার। তারা যেখানে একটু স্থায়ী হয়েছে অমনি সেখানে দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে। এভাবে তাদের দেশান্তরী হয়ে বেড়াতে হয়েছে অনেককাল (হিব্রু বাইবেল, জেনেসিস পর্ব)।
আরেকটি বিষয়, পুরো ওল্ড টেষ্টামেন্ট কিন্তু 'তাওরাত নয়। ওল্ড টেষ্টামেন্ট বা হিব্রু বাইবেলের তিনটি অংশ, (১) তোরাহ্ যা কিনা তাওরাত, (২) নেভিম, (৩) কেতুবিম, এই অংশের যিমরা বা যালম হচ্ছে 'যাবুর'।
facebook
ঢাকায় ভাল প্রিন্ট এর ডি বলুন ভিডি কই পাব বলুন তো?
ঠিক বলতে পারছি না, রাইফেলসএ না হয় এলিফেনট রোডে।
facebook
গতকাল রাতে দেখলাম ছবিটা। ভাল লেগেছে।
ভাল লাগল জেনে
facebook
নতুন মন্তব্য করুন