রেইনহোল্ড মেসনার। কে তিনি, কি করেছেন?
রেইনহোল্ড মেসনার কি করেছেন বলার চেয়ে বলা সহজ কি করেন নি ! ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক পত্রিকার মতে বিশ্বের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ পর্বতারোহী তিনি, বারংবার অসম্ভব শব্দটাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে লিখে চলেছেন মানুষের পক্ষে নব নব ইতিহাস।
চিকিৎসাবিদ্যার যাবতীয় ধারণাকে কাঁচকলা দেখিয়ে বিনা অক্সিজেনে প্রথমবারের মত বন্ধুর সাথে এভারেস্ট জয় করলেন। এরপরে মনে হল যথেষ্ট হয় নি, আরও একবার এভারেস্ট জয় করবেন অক্সিজেন ছাড়া এবং একা! করলেনও!
একে একে বিশ্বে ৮০০০ মিটার উচ্চতার যে ১৪টি পর্বতশৃঙ্গ আছে সবগুলোই জয় করলেন প্রথম মানুষ হিসেবে। এর মাঝে বিশ্বের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা পর্বত জয় তো আছেই। তারপরে গেলেন উত্তর মেরু আর দক্ষিণ মেরু জয়ে। শেষে ৫০ বছর বয়েসে গোবি আর টাকলামাকান মরুভূমি পাড়ি দিলেন উটের কাফেলা নিয়ে।
মোদ্দা কথা, মেসনার পৃথিবীর সবচেয়ে বিখ্যাত মানুষদের একজন, তার লেখা বই মিলিয়ন মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়, প্রায়ই পর্বতারোহণের উপর লেকচার দেন বিভিন্ন দেশে, তার কোন অভিযানেই স্পন্সরের অভাব হয় না কখনই, সত্তরে পৌঁছে এখন মেতে আছেন তার নানা অর্জন নিয়ে বেশ কটি বিশাল জাদুঘর গড়ার কাজে।
সেই সাথে বলে রাখি ইতালি – অস্ট্রিয়ার সীমান্তে তিরলে জন্ম নেওয়া জার্মানভাষী এই ইতালিয়ান নাগরিক সাংঘাতিক একরোখা মানুষ, অতি দুর্বিনীত এবং স্পষ্টবাদী। জীবনে কোন পর্বতে ইতালির পতাকা নিয়ে যান নি, এই ব্যাপারে প্রশ্ন করলে বলেন- আমার পতাকা আমার রুমাল! সেই সাথে এও বলেন মাউন্ট এভারেস্টে আরোহণের পর যদি কেউ বলেন, তার জীবনের সেরা মুহূর্ত এটি, সে নিঃসন্দেহে মিথ্যা বলছে! কারণ এভারেস্টের চুড়ো একটি বিদঘুটে জায়গা!
এই মেসনারই কয়েক দশক আগে সারা বিশ্বকে চমকে দিলেন তিনি তুষার মানব ইয়েতি দেখেছেন এই বলে! শুরু হয়ে গেল গুঞ্জন, তর্ক, যুক্তি- পাল্টা যুক্তির খেলা! হিমালয়ের অধিবাসীরা অনেকেই এই তুষার মানবের অস্তিত্বে বিশ্বাস করলেও আজ পর্যন্ত এর অস্তিত্বের পক্ষে কোন অকাট্য প্রমাণ দেখাতে সক্ষম হয় নি।
মেসনার মুখে কুলুপ এঁটে একজন যথার্থ গবেষকের মত কাজে লেগে পড়লেন, এবং দীর্ঘ দুই দশকের নিবিড় অনুসন্ধান চালানোর পরে সমস্ত ফলাফল MY QUEST FOR YETI বইতে লিপিবদ্ধ করেন। এখানে সেই বইটির চুম্বক অংশ তুলে ধরার চেষ্টা করছি, ইয়েতি নিয়ে নিজের পড়া অন্যান্য খবরের সাথে।
প্রথমবারের মত হিমালয়ে গিয়েছিলাম অন্নপূর্ণা সার্কিটের একটা অংশ ট্রেকিং করতে, সেবার এক গ্রামে রাতে খাবার সময় রেস্তোরাঁর পরিচারক জানালেন তাদের পানীয়ের তালিকায় আছে দুধ থেকে তৈরি বিখ্যাত পানীয় ছাং ! আরে, এই ছাংই না উল্লেখ করা ছিল তিব্বতে টিনটিনে, বিখ্যাত ইয়েতির প্রিয় পানীয় হিসেবে! সেই সুযোগ আর ছাড়ি কেন? পান করা হল দুই গ্লাস ঘন সাদা বর্ণের ছাং, তবে এই পানীয়ের জন্য পাহাড়ের কন্দর ছেড়ে ইয়েতি কেন লোকালয়ে হামলা চালাবে তা বোধগম্য হল না।
সেই সাথে আছেন বাস্তববাদী ইনাম আল হক, তিনি নির্মম প্রশ্নবাণ ছুড়ে দিলেন ইয়েতির অস্তিত্বকে প্রায় বাতিল করে দিয়ে, ১ম প্রশ্ন- ইয়েতিরা ধরে নিলাম লাজুক এবং নির্জনতাপ্রিয়, আমাদের সামনে সহজে আসে না, কিন্তু তারা নিশ্চয়ই মারা যায়! হিমালয়ের সবখানেই তন্ন তন্ন করে খুঁজেও তাদের একটি কংকাল, এক টুকরো হাড় বা চামড়া আজ পর্যন্ত পাওয়া গেল না কেন! ২য় প্রশ্ন, আমরা যদি ধরেও নি ইয়েতি এপ জাতীয় উন্নত মস্তিস্কের প্রাণী, তাহলে বুদ্ধিমান প্রাণীর মতই সে পরস্পরের সাথে যোগাযোগ রক্ষে করবে, বংশবিস্তারের চেষ্টা করবে। হিমালয়ের মত বিশাল দুর্গম এলাকায় এত লক্ষ বছর ধরে বংশ বিস্তার করে টিকে থাকতে তাদের নিশ্চয়ই একটা ভাল জনসংখ্যার অধিকারী হতে হবে, এমনতো না যে কেবল মাত্র ৫ টি ইয়েতি থাকতে পারে, সেই সংখ্যাটা হতে হবে কমপক্ষে দুই হাজার! কোথায় তারা?
এই সময়ের পাশের টেবিলে উপস্থিত এক এভারেস্ট জয়ী শেরপা জানালেন তিনি একাধিকবার ইয়েতির পায়ের ছাপ দেখেছেন, সেই সাথে আবছা ছায়ার মত ইয়েতিও দেখেছেন! অবশ্য তার বর্ণনা বেশী গোঁজামিল দেওয়া ছিল, শুনেই ইনাম ভাই তার বিখ্যাত প্রাণখোলা হাসি দিয়ে বললেন, বাংলাদেশের যে কোন গ্রামে যান, কিছু মানুষ পাবেনই যারা ভূত দেখেছে, নিদেন পক্ষে জ্বিন ! সুন্দর বর্ণনা দিবে তাদের, তাতেই কি জ্বিন -ভূত সত্যি হয়ে গেল! নেপালেও তাই, শেরপারা প্রায় সবাই বলবে, রাতের আঁধারে দেখেছে চলমান বিশাল অবয়ব, শুনেছে বিকট চিৎকার। কিন্তু প্রমাণ করার মত উপাত্ত দিতে পারে না কিছুই।
কাকতালীয় ভাবে তার পরের দিনই ট্রেকিং শুরুর আগে এক অদ্ভুত দর্শন জীর্ণ পুরনো বইয়ের দোকানে মেসনারের বইটি চোখে পড়ল, উনার লেখা বই আগেও পড়েছি , বিশেষ করে প্রথম মানুষ হিসেবে একাকী অক্সিজেন ছাড়া এভারেস্ট জয়ের ঘটনা নিয়ে লেখা The Crystal Horizon মুগ্ধ করে রেখেছিল অনেক দিন, কিন্তু এই বিশেষ বইটি আগে হাতের নাগালে আসে নি, তাই গুপ্তধন পাবার পরপরই চোখ ঝলছে উঠেছিল নিশ্চয়ই লোভ আর আত্মতৃপ্তিতে, সুযোগসন্ধানী দোকানী দামাদামির বিন্দুমাত্র সুযোগ না দিয়ে তার চাহিদামত দাম নিয়ে নিল ( অবশ্য নেপালে বইয়ের দামাদামি করে সুবিধের হয় না কখনোই, এত বেশী পর্যটক আর চাহিদা, যে দোকানিরা জানে বিক্রি হবেই হয় আজ না হয় কাল )। চারপাশের আকাশ ছোঁয়া অন্নপূর্ণার আর ধবলগিরির আশ্রয়ে পড়া শুরু করলাম ইয়েতির খোঁজে সর্বশ্রেষ্ঠ পর্বতারোহীর একক অভিযানের গল্প।
বইয়ের শুরুতেই মেসনার বলেছেন, একাকী অভিযান চালাবার সময় এক রাতে পরিত্যক্ত এক গ্রামের চালাঘরে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন তিনি, সেই রাতেই চাক্ষুষ করেন সেই অদ্ভুত প্রাণীটি, যা দুই পায়ে বেশ খানিকদূর হাঁটতে সক্ষম। যা তার চেনা জানা সমস্ত প্রাণীর চেয়ে আলাদা, এই কি তাহলে কিংবদন্তীর সেই তুষারমানব!
এই প্রসঙ্গে একটি ছোট কথা, ঘটনাটি ১৯৮৬ সালের, তার ঢের আগে থেকেই মেসনার নিজেই একজন কিংবদন্তী, কাজেই ইয়েতির মত একটি বিতর্কিত বিষয় নিয়ে সাক্ষী হতে চেয়ে তিনি নাম-যশ-অর্থ কামাতে চেয়েছেন এমন ধারণা নেহাতই বাতুলতা মাত্র। বরঞ্চ এই কথা জনসমক্ষে বলার পর থেকেই যথেষ্ট সমালোচনার শিকার হয়েছেন তিনি, অনেকে এমনও বলেছে পাহাড়ের সেই উচ্চতায় গাঁজা খেয়ে মেসনার চোখে ভুল দেখেছিলেন, অনেক উচ্চতায় অক্সিজেনের অভাবের প্রভাবে মানুষ মস্তিস্কের নিয়ন্ত্রনের অভাবে ভুল দেখে, অনেক অবাস্তব জিনিসের সাক্ষী হয় সত্য, কিন্তু রেইনহোল্ড মেসনার না, যিনি প্রায় বলে কয়ে সমস্ত শীর্ষস্থানীয় পর্বত বিনা অক্সিজেনে জয় করেছেন তিনি আর যাই হোক এই সমস্যায় অন্তত তরুণ কালে ভুগবেন না। এই প্রসঙ্গে মেসনার নিজেও বলেছেন তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা, তিরলে তার প্রতিবেশী মুখের উপর বলেছিলে- তুমি আর তোমার ইয়েতি গোল্লায় যাক!
আসলে ইয়েতি, বিগ ফুট, মৎসকন্যা, লক নেসের নেসি, ইউ এফ ও ইত্যাদি নিয়ে অবিশ্বাসের মূল সমস্যা কিন্তু শুরু হয় কিছু মানুষের জন্যই, যারা কেবল অর্থ আর খবরের কাগজের শিরোনাম হবার জন্য অবলীলায় মিথ্যা বলে। এই গত বছরও রাশিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলে দুটি ইয়েতি ধরা পড়েছে বলে সরগোল শুরু হয়ে যায়, পরে জানা গেল সেই গ্রামটিকে পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করার জন্য গুজব ছড়ানো হয়েছে!
এই সমস্ত অভিজ্ঞতাই তাকে আরো জেদি, একগুয়ে করে তোলে, বেরিয়ে পড়েন তিনি ইয়েতির রহস্য উদঘাটনের জন্য। একজন খাঁটি গবেষকের মত তিনি সমস্যার কেন্দ্রবিন্দুতে পৌঁছানোর চেষ্টা করেন সমস্ত বাঁধা এড়িয়ে।
এবং মাঠে নেমেই মেসনার আবিস্কার করে বসেন এক চমকপ্রদ তথ্য, ইয়েতির কাহিনী সবচেয়ে বেশী নেপালে শোনা গেলেও এটি আসলে নেপালের স্থানীয় কিংবদন্তী নয়! এটি তিব্বতের অবারিত মালভূমি আর বন্ধুর পর্বতে বসবাসকারী কিছু গোত্রের লোককথার চরিত্র, তারা যখন নানা গিরিখাদ পার হয়ে অনেক অনেক আগে হিমালয় ডিঙ্গিয়ে নেপালে এসে বসতি স্থাপন করে, তাদের সাথে সাথে আসে সেই লোকগাঁথা, সংস্কৃতি, ইয়েতির গা ছমছমে গল্প।
সেই সাথে মেসনার আলোকপাত করেন ইয়েতি নিয়ে মিথ্যাচারের উপরে, বিশেষ করে তার পায়ের ছাপ নিয়ে- তুষারের উপর সামান্য ব্যতিক্রম বড় পায়ের ছাপ পেলেই তা নিয়ে বাড়াবাড়ি রকমের উত্তেজনা শুরু হয়ে যায় , অথচ তলিয়ে দেখলেই বোঝা যায় এটি তুষারচিতা, পাহাড়ি ভাল্লুক বা অন্য কোন প্রাণী পায়ের ছাপ। রোদের তুষার গলে বিকৃত অবস্থায় পৌঁছালে ছাপগুলোকে অনেক বড় দেখায়, ব্যস শুরু হয়ে যায় মানুষের জল্পনা-কল্পনা।
অবশ্য মিথ্যেটাও কম দায়ী নয়, বিশ্বের প্রথম দিককার শীর্ষস্থানীয় পর্বতারোহী এরিক শিপটনের তোলার যে ইয়েতির পায়ের ছাপের ছবি আজ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশী বিখ্যাত, এডমণ্ড হিলারির সাথে শিপটনের কথোপকথনে এক পর্যায়ে উঠে আসে যে ব্যাপারটি ভুয়া, সম্ভবত এভারেস্ট অভিযানের অর্থ যোগান বন্ধ হয়ে যাবে এই আশঙ্কা থেকেই শিপটনের মত বরেণ্য অভিযাত্রী এই জালিয়াতি করে।
সেই সাথে আছে একাধিক বৌদ্ধ মঠে সংরক্ষণ করা ইয়েতির দেহাবশেষ, বিশেষ করে খুমজুং উপাসনালয়ের সংরক্ষিত ইয়েতির মাথার উপরিভাগের চামড়াটি বিবেচনা করা হত এক অকাট্য প্রমাণ হিসেবে,
কিন্তু ব্রিটেনে নিয়ে যেয়ে ডি এন এ পরীক্ষার মাধ্যমে জানা গেল এটি কোন বাঁদর জাতীয় প্রাণীর নয়, হিমালয়ের ছাগল বা হরিণের চামড়া দিয়ে তৈরি এক শো-পিস! যদিও স্থানীয় শেরপারা সেটিকে আজও দেবতাজ্ঞানে পূজা করে। (বিখ্যাত প্রাণী বিশেষজ্ঞ দ্য নেকেড এপের লেখক ডেসমণ্ড মরিসের এক বইতেও এই ঘটনার উল্লেখ ছিল, যেখানে গবেষকদের মাঝে মরিস খোদ উপস্থিত ছিলেন)।
সেই সাথে স্যার এডমণ্ড হিলারি তার বিখ্যাত তুষারমানব অভিযানের ইতিটানার পরে ইয়েতির অস্তিত্ব নেই ঘোষণা দিলে হিমালয়ে পাওয়া সন্দেহজনক কিছু পশম গবেষণার জন্য দান করেন, দেখা যায় সেগুলোও হিমালয়ের ভারালের পশম!
এরপরে মেসনার তুষারমানবের নাম নিয়ে যথেচ্ছ নাড়াচাড়া করেন, এলাকা ভেদে তাদের নাম Michê, Dzu-teh, Migoi, Mi-go, Mirka , Kang Admi , JoBran ( তিব্বতে টিনটিনে ইয়েতিকে মিগু বলা হত) , এবং প্রায় সবগুলো নামই ভাল্লুকের সাথে জড়িত, এমনকি ইয়েতি শব্দটিও মেতি-র অপ্রভংশ, যার অর্থ ভাল্লুক।
ইয়েতি কিংবদন্তীর উৎপত্তিস্থল সম্পর্কে নিঃসন্দেহ হবার পর তিব্বতে অসংখ্য জনপদে ব্যপক অনুসন্ধান চালান মেসনার বছরের পর বছর ধরে, তার কাছে গোপন সন্ধান পৌঁছে- দুর্গম এক মনেস্ট্রিতে তিনটি তুষার মানবের মৃতদেহ সংরক্ষণ করে রেখেছে লামারা, কিন্তু তাদের কাছে তা অতি পবিত্র বস্তু বিধায় বিদেশীদের সেখানে প্রবেশ নিষিদ্ধ।
মেসনারের এই অনুসন্ধানের মূলপ্রেরণা ছিল- এই কিংবদন্তীর মূলে কোন না কোন বাস্তব ভিত্তি অবশ্যই আছে, এটি স্বর্গীয় দেবদূত বা কল্পকথার শয়তান না, নিশ্চয়ই কোন প্রাণীর আদল থেকে, মানুষের সাথে তার সংঘর্ষময় ইতিহাস থেকে হাজার হাজার বছর ধরে ডাল-পালা গজিয়ে বিশাল মহীরুহতে পরিণত হয়েছে ইয়েতির গল্প, কিন্তু মূল ভিত্তিটা কি !
মেসনারের মনের পর্দায় বারবার ভেসে ওঠে বাস্তবের ইয়েতির সাথে তার সাক্ষাতের কথা, তার চলাফেরা, ভঙ্গীর সাথে হিমালয়ের কোন প্রাণীটার মিল আছে, এমনকি লাসার চিড়িয়াখানাতেও ঢুঁ মারেন সেই রহস্যমানবের সন্ধানে। বারংবার কথা বলেন তার পুরনো বন্ধু দালাই লামার সাথে।
অবশেষে দৃঢ় সিদ্ধান্তে আসতে সক্ষম হত পর্বতারোহীদের রাজা, প্রথম থেকে যদিও মেসনারের মনে সন্দেহ জেগেছিল ইয়েতির রহস্যের সাথে ভাল্লুকের দৃঢ় সম্পর্ক আছে, বিশেষত তাদের কিছুক্ষণ দুই পায়ে হাঁটার ক্ষমতা, নিশাচরপ্রবৃত্তি, যে কোন খাবার খাওয়ার অভ্যাস, কৌতূহলী স্বভাব যার অনেক কিছুই ইয়েতির সাথে মিলে যায়। কিন্তু হিমালয়ের এই অঞ্চলে একাধিক ধরনের ভাল্লুক বাস করে, ঠিক কোন ধরনের ভাল্লুক থেকে এই গুজবের শুরু? এর দাবিদার ছিল তিব্বতের নীল ভাল্লুক Tibetan blue bear (Ursus arctos pruinosus), কালো ভালুক আর অতি বিরল হিমালয়ের বাদামী ভাল্লুক, যাকে অনেকে লাল ভালুক বলেও অভিহিত করে।
এই ব্যাপারে মেসনার ভালুকের পায়ের পাতার দিকে বেশী গুরুত্বারোপ করেন, কোন ধরনের ভালুকের পা থেকে বরফের ওপর হাঁটলে তা ইয়েতির পায়ের ছাপের মত হতে পারে, সেই সাথে দুই পায়ে দাঁড়ানো অবস্থায় তাদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণের চেষ্টা চালান,
এবং চুলচেরা বিশ্লেষণের পর সিদ্ধান্তে উপনীত হন- হিমালয়ের বাদামী ভালুকই Himalayan brown bear,Ursus arctos isabellinus, ইয়েতির কিংবদন্তীর পিছনের মূল ভিত্তি, বাস্তবের রক্তমাংসের প্রাণী।
অতি বিরল এই প্রাণীটির বিরলতর একটি ভিডিও ক্লিপ এখানে দেওয়া হল, প্রাতঃনমস্য ডেভিড অ্যাটেনবোরোর ধারা ভাষ্যে বিবিসির লাইফ সিরিজের গ্রেট প্লেইনস থেকে নেওয়া। দেখে চিন্তা করুন মেসনারের সাথে আপনি একমত হবেন না অন্য উত্তরের খোঁজে চষে ফেলবেন হিমালয়!
সবার শেষে দালাই লামার সাথে একবার দেখা করে তিনি বলেন, আপনার নিশ্চয় জানা আছে ইয়েতির কিংবদন্তী ভালুকের সাথে সম্পর্কিত, তাই না? মুচকি হেসে দালাই লামা চোখ টিপে বলেন- ঠিকই ধরেছ, কিন্তু কে বিশ্বাস করবে তোমার কথা!
( ব্যবহৃত ছবিগুলো মেসনার এবং ইয়েতি বিষয়ক নানা ওয়েব পেজ থেকে সংগৃহীত)
মন্তব্য
ইশ, আমি কিনা এতদিন ভেবে রেখেছিলাম, দালাই লামা নিজেই আফিং এ টান পড়লে জাস্টফরফান ইয়েতি বনে সেজে লোকদের ভয় দেখায়। আর শেষকালে কিনা ইয়েতি হল গিয়ে উইনি দা পু? যাচ্চলে।
***
পাহাড়ে ওঠার সাথে মস্তিষ্কবিকৃতির সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছে কিছু অতি উতসাহী লোকজন।
এখানে এখানে আর এখানে আরো তথ্য।
অক্সিজেনের অভাবে অনেক কিছুই হয়, নিজের অভিজ্ঞতার কথা লিখব নাকি?
দালাই লামা = ইয়েতি ! বেড়ে মজা তো! মতিকন্ঠ যে কি খবর ছাপবে এইটা শুনলে!
facebook
অক্সিজেনের অভাবে এভারেস্টে না উঠেও উঠেছি মনে হতে পারে ?
****************************************
আনিসুল ভাইয়াকে একটি অক্সিজেনের শিশি উপহার দিথাম ছাই।
দিয়েন না। উনি পদক-টদক ফেরৎ দিতে পারবেন না, খামাখা মানসিক যন্ত্রনায় পড়বেন পরে। তার চেয়ে এইই ভাল!
****************************************
উডি অ্যালেনের একটা সিনেমা আছে, এভরিবডি সেইজ আই লাভ ইউ। সেখানে একটা ছোকরা চরিত্র আছে, সে কড়া রিপাবলিকান। সবার সাথে সে এ নিয়ে তর্ক করে। সিনেমার একেবারে শেষে দেখা যায় সে আসলে গোটা সময় মস্তিষ্কে রক্তজমাটের কারণে কমনসেন্স খুইয়ে বসেছিলো।
এমনিই মনে পড়ে গ্যালো, আনিসুল ভাইয়ার কথা ওঠায়। এমনিই ।
facebook
ভাবতেছিলাম আমি প্রথম মন্তব্যটা করব, কিন্তু সেটা আর হল কই। এটা ইয়েতির কারবার ছাড়া আর কি হতে পারে? মেস্নারের বইটার পিডিএফ আছে? থাকলে ইমেইলে ছাড়ো শিজ্ঞির। ইসসসস এতোদিনের একটা জীব একেবারে নাই করে দেওয়া কি ঠিক হল?
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
নাই দাদা, কিন্তু টেনিদার ইয়েতির পিডিএফ থাকতেও পারে !
facebook
টেনিদার যত কিছু আছে সবডি জিপ করে ইমেইলে ছাড়োনা বাপু। এর মধ্যে আমি একটা বায়োগ্রাফি পাইছি, পড়ে উঠতে পারি নাই এখনো, তোমার সেই হটমেইলে ছাড়লাম ছেক কোরো।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
আপনাকে লিঙ্ক পাঠাব, জিপ,গাড়ি এগুলো খুব ভেজাল !
facebook
অতি উত্তম
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
ও দাদা, আফ্রিকার ডাইনোসর মোকলে মেবেম্বেবে নিয়ে লিখে ফেলেন জলদি! নাইলে কিন্তু আমিই দিয়া দিমু
facebook
হুম্ম এসাইনমেন্ট, ভালু আইডিয়া দিছোতো, তাইলে মোকেলে মবেম্বে কিন্তু আইজ থিকা আমার হু হু।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সুচাগ্র মোকেলে মবেম্বের লেজ !
facebook
ওই মিয়াঁ টেনিদার লিঙ্ক কো ফোঁস ফোঁস
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
যবর উড়ার উপরে আছি, উইক এন্ডে দেখা হবে--
facebook
তারেকাণুর পায়ের ছাপ নিয়ে পরীক্ষার আবেদন জানাই! আমার বিশেষ সন্দো হয়
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
সহমত
সহমত সহমত!
সহমত
facebook
পায়ের ছাপ কুতি পাইলেন ভাইডি !
facebook
তারেক অণুর ইয়েতির ছাপ নিয়ে পরীক্ষা করে দেখা দরকার আগে।
একবার পাইয়ে লয় ইয়েতিরে, দাঁড়ান সামনে বছর তিব্বতের কৈলাসে যাবার প্ল্যান হচ্ছে, ঐ এলাকায় ওদের আনাগোনা বেশি। ব্যাটাকে নাকে খত দিয়ে বলাব= মানুষ হইতে দূরে থাকিব, ওদের মত নচ্ছার হইব না, ওদের পানীয় পান করিব না !
facebook
আপনি লোকটা ভীষণ খ্রাপ
আমি ইয়েতি দেখবার চাই, আপনে মানা করেন কে?
লেখায়
এতো লেখেন কখন?
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
দেহেন , দেহেন, নিষেধ করছে কেডা!
সময় নাই রে ভাই, বিশাল সমস্যায় আছি।
facebook
ইহ, কইলেই হইলো ইয়েতি নাই! ফাজিলের দল, সবকিছু অস্বিকার করে
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
ছি ছি, বিশ্বাস করতেই তো চাই! প্রমাণ পাচ্ছি না যে
facebook
আমার আগেই সন্দেহ ছিলো আপনে ইয়ে
কি য়ে
facebook
এইগুলা সব আপনের ফটু না?
বুঝলাম না, উদাস'দা কেন অণু'দা কে সহ্য করতে পারে না।
জটিল হয়েছে।।।
একদম পারফেক্ট।
হাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহ
শেষেরটা আমি কুন সন্দেহ নাইক্যা, কিন্তুক প্রথম ৩টা পুরান দোস্ত- পরম উদাস, শরম উদাস, চরম উদাস!
facebook
হয় নাই। পরম, শরম আর চরম উদাসের ফটু এই যে,
পরম
শরম
চরম
পরম, চরম, শরম, নরম, গরম সবি হইতারে মানলাম। কিন্তু এর মধ্যে উদাস কো? কেমনে কি?
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
জটিল!
facebook
আপনার লেখাটা নিয়ে কী যেন বলতে যাচ্ছিলাম, কিন্তু চরম উদাস যেই মুখ খুললো, হাহাহিহি করতে করতে নামতে নামতে এইখানে এসে আসল কথাই ভুলে গেছি ।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
যাহ্, মনে করেন ---
facebook
তারক অণু=পুষ্টকায় ইয়েতি
(এইব্যটা এত্ত ঘুরে ক্যাম্নে !!)
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
facebook
আরে এযে ঠুয়াক্রমণ, আমিত খালি শূন্যস্থান পূরন করলাম
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
অ, আপনিও বিদ্যুৎ মিত্রের খালি হাতে আত্ম্র পড়ছেন! ক্যামনে কি !
facebook
লেখা ভালো হয়েছে .. কিন্তু উপরের হাস্যময় ব্যক্তি আমি না ..
আমার মনে হয় এই ইয়েতি রহস্যময়তার পিছনে তিব্বত, নেপাল ও ভুটানের চেয়ে বিদেশী প্রচার মাধ্যম দায়ী .. আমরাও বাঘের বীরত্ব নিয়ে গল্প করি, কিন্তু তা নিতান্ত বাঘই থাকে ..
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
গরম উদাস কিন্তু অন্য জিনিস! ফাহিম ভাই কিন্তু বলেছিল ন্যাংটু ছবির কভারের নাম
facebook
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নজু ভাই হাসে কেন ?
facebook
facebook
প্রথম দুটার কথা জানি না, কিন্তু শেষের দুজনের মধ্যে কেন জানি মিল দেখতে পাচ্ছি, হাসিতে
হ, ঐটাই উদাস দা, তার ছবিতে দেখেন দাত বাহির করা এপ!
facebook
পোস্টটা দারুণ লাগলো পড়তে। হিমালয়, তিব্বত... এই নামগুলো শুনলেই কেমন অন্যরকম একটা অনুভূতি হয়।
আসলেই, কি যে জাদুময় জায়গা সেগুলো, তিব্বতের রাস্তায় ধুলো উড়লেও আমার মনে হত কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছে!
facebook
অসাধারণ লেখা হয়েছে। অনেক কিছুই জানলাম আপনার লেখা থেকে। এরকম আরও রহস্যময় লেখা চাই আপনার কাছ থেকে। অপেক্ষায় থাকলাম।
ধন্যবাদ উৎসাহ দেবার জন্য। আসিতেছে---
facebook
কেন জানি সবকিছু ধোঁয়াশা ধোঁয়াশা লাগছে। বিশ্বাস করেও করতে পারছিনা। ভিডিও লিঙ্কটা দেখলাম, কিন্তু কেমন যেন গোলমেলে। কিছু তো একটা আছে অবশ্যই।
লেখা (গুড়) হয়েছে।
হে হে, এটাই তো মানব মন- আমরা চাই রহস্য টিকে থাকুক!
দাঁড়ান, এমন প্রাণীদের নিয়ে নিয়মিত লিখতে হবে।
facebook
রেইনহোল্ড সেসনার - এর বই পড়তে চাই। পথ বাতলান। সব দোষ আপনার, এমন লেখা লিখলেন ক্যান!
মেসনারের বই পাবার সবচেয়ে সহজ উপায় কাঠমান্ডুতে খোজ করা, থামেলের যে কোন গলিতেই পাওয়া যাবে!
facebook
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের সিরিজ 'ইজ ইট রিয়েল'-এর একটা পর্ব ছিল ইয়েতি নিয়ে।
সেখানে ইয়েতির গোটা কয়েক পুরোনো ভিডিও দেখানো হয়েছিল।
দেখলে যে কেউ বুঝতে পারবেন এসব আসলে ছদ্মবেশী অভিনেতাদের হাস্যকর কাজ কারবার।
সবচে' মজা পেয়েছিলাম নরম তুষারে উরু পর্যন্ত ডুবে যাওয়া এক ইয়েতিকে দেখে।
কোন দিকে যেতে না পেরে বেচারার সে কি হাঁসফাঁস।
(ওরে তোরা আমাকে বাঁচা, জীবনে আর ইয়েতির অ্যাক্টিং করুম না!!)
(ওরে তোরা আমাকে বাঁচা, জীবনে আর ইয়েতির অ্যাক্টিং করুম না!!)
বিগ ফুটের অভিনেতাটা অবশ্য বেশ জাঁদরেল ছিল, অনেক দিন ঘোল খাইয়েছে সারা বিশ্ব কে!
facebook
বিগ ফুটের অভিনয় দেখেছি। ব্যাটা হাঁটতে হাঁটতে মাইনশের মত ঘাড় ঘুরিয়ে ফিরে তাকায়, ওই খানেই ধরা।
অতি চালাকের গলায় দড়ি!
আসলে ব্যাটার হাঁটার ভঙ্গি ছিল সম্পূর্ণ আলাদা ধরনের, ঐখানেই জমে উঠেছিল রহস্য!
facebook
ইয়েতির রহস্যোদঘাটন হয়েছে দেখে ভালো লাগলো, দাদা।
তারপরও কিছু কিছু রহস্য থাকলে ভাল লাগে, আর হিমালয় মানেই রহস্য!
facebook
এহ, কইলেই হইলো ইয়েতি নাই? আপনেরা অবিশ্বাসী লোকজন, কালকেই হয়তো কইবেন জ্বিন নাই।
ছি ছি এত বড় গুনাহগার বান্দা আমরা না, ইয়ে মানে জ্বিনদের কোহকাফ নগরী ভ্রমণের অতিলৌকিক অভিজ্ঞতা নিয়ে একটা পোস্ট দিব নাকি
facebook
আর জ্বিন যদি ভিনগ্রহের এলিয়েন হয়, তবে?
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
তাহলে আর কি, ভুতেরাও হরতাল করবে তাদের অস্তিত্ব স্বীকার করাবার জন্য!
facebook
পোষ্ট।
মন্তব্য গুলান
পোস্টের চেয়ে মন্তব্য সরেস
facebook
এই লোকরে 'পাহাড়াদার' উপাধি দিলাম
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
কেন রে ভাই ! আবার কি করলাম!!
facebook
এই উপাধি আপনার জন্য না তো, রেইনহোল্ড মেসনারের জন্য প্রযোজ্য
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
facebook
জিও জিও......
ডাকঘর | ছবিঘর
যুগ যুগ
facebook
ছোটবেলায় মানে স্কুলে থাকতে বেগম সুফিয়া কামাল এর 'আজিকার শিশু' কবিতাটা পড়ছিলাম--
"উত্তর মেরু, দক্ষিণ মেরু সব তোমাদের জানা
আমরা শুনেছি সেখানে রয়েছে জিন ,পরী, দেও, দানা।"
আমি নিশ্চিত সুফিয়া কামাল বেঁচে থাকলে এবং আপনার কথা জানলে বিস্মিত হতেন!
আপনার লেখা নিয়মিত পড়ি, কমেন্ট করা হয় না। আজকে সব মুগ্ধতার কথা একলগে জানায়া গেলাম!
দারুণ মন্তব্য হইসে। তারেক অণুর জন্যে এইটাই সবচেয়ে উপযুক্ত বিশেষণ !!
অণু ভাই, বইটার পিডিএফ পাইলে ভালাইতো।
পেলেই জানাব।
facebook
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
কবিতাটা যে কি অপরূপ মুগ্ধতা জাগাত সবসময় !
facebook
আমার বলার আগেই আপনি বলে দিলেন ..
facebook
লেখাটা পড়ে যা যা মাথায় এসেছে মন্তব্যগুলো পড়ে সব ভুলে গেছি।
আরেকবার পড়েন, মন্তব্য উহ্য রেখে !
facebook
যেমন অসাধারণ লেখা তেমন জটিল মন্তব্য। দুটোই চলুক
facebook
মন্তব্যগুলো পড়তে গিয়ে মূল পোস্টটার কথা ভুলেই গিয়েছি। ভাবছি, কি বুইলতে কি বুইলবো আবার !
বুইলেন, হামরাই তো !
facebook
জটিল পোস্ট বন্ধু!! বইটা পড়তে মঞ্চায়, খাড়া বাইর করি খুইজা
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
পড়ে জানাস, নায়লে থামেল চ, এই বই তোরে ২ টা কিনে দিব, একটা ইয়েতির সাথে দেখা হলে পড়তে দিস!
facebook
লেখা দারুউউণ।
কিন্তু এত পড়া-লেখার সময় কই পান কন তো!!!
সময় নাই রে ভাই ! ঐটার নাগাল পাওয়া সম্ভব না
facebook
নতুন অনেক কিছু জানলাম।
facebook
ইয়েতির আত্মীয় হইতে মনচায়
, উদাস দার সাথে যোগাযোগ করেন !
facebook
মেসনারের একটা অবিশ্বাস্য কীর্তি উল্লেখ করতে ভুলে গেছেন। একটা আট হাজার মিটার উচু পাহাড়ে চড়ে সেটা থেকে নেমে বেসক্যাম্পে না ফিরে সোজা আরেকটা আট হাজার মিটারোর্দ্ধ শৃঙ্গ জয় করা (Gasherbrum I & II)। এবং এর পুরোটাই নিজের প্রয়োজনীয় সকল সামগ্রী নিজেই বহন করে। লোকটা মানুষ কিনা তা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে।
তবে ওর সেই কথাটার তুলনা নেই। এভারেষ্টে অক্সিজেন ছাড়া ওঠার পর সাংবাদিক সম্মেলনে ওনাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, "তুমি কি করতে ওখানে গিয়েছিলে? মরতে?"। মেসনারের জবাব ছিল, "না, আমি বাঁচতে গিয়েছিলাম"।
কথাটা বাংলা করলে একটু কেমন কেমন ঠেকে। আসলটা হচ্ছে "No, I went there to live."।
মেসনারের মত করে বাঁচতে শেখার ইচ্ছে বা সামর্থটা সবার থাকেনা।
ধন্যবাদ। আসলে মেসনারের অনেক কীর্তিই উল্লেখ করা হয় নি, ভবিষ্যতে কেবলমাত্র তার পর্বতারোহণ নিয়েই একটা বড় পোস্ট দিতে পারব আশা রাখি। বছর কয় আগে বোলজানো শহরের তার দুর্গের কাছাকাছি ছিলাম, কিন্তু তিনি তখন বরাবরের মতই দেশের বাহিরে !
facebook
।। দারুণ একটি লেখা। আমিও মেসনার এর বিরাট ভক্ত!! জয় হোক অনুদার!!
facebook
কী আশ্চর্য! এই পোস্টে আমি মন্তব্য করেছিলাম মনে পড়ে, এখন তো খুঁজে পেলাম না...! যাই হোক, বইটার e-bookএর লিংক পাওয়া গেলে কেউ দিয়েন প্লিজ।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
না হে যাযাবর, তুমি মন্তব্য করলেও আমার পড়া হয় নি, মানে এখানে আসে নি!
ইবুক বাদ দেও, নেপালে গেলে নিয়ে আসব নি
facebook
নতুন মন্তব্য করুন