উপরের ছবিটি দেখে আমার এক বন্ধু বলেছিল ছবিটা কিউবার প্রতীক! কিভাবে- সেই সিগার, সেই অ্যান্টিক গাড়ী, সেই পানামা হ্যাট! কিউবার শেষ পোস্টে বলেছিলাম সবুজ দ্বীপটা নিয়ে নতুন কোন গল্প সহসা আঁকব না, মনের গভীর থেকে কোন স্মৃতি বের হবার জন্য ভীষণ জোরাজুরি শুরু করলে তবেই আবার স্মৃতিচারণ করব কিউবা নিয়ে। কিন্তু গত শুক্রবারে বিখ্যাত নাট্যকার এবং অভিনেতা মামুনুর রশিদের এক সাক্ষাৎকারে দেখলাম তিনি বলেছেন- মানুষ যে কত ভাল হতে পারে তা আমি কিউবা যেয়ে বুঝেছি। কেন যেন এরপর থেকেই অনেকগুলো ঘটনা ক্রমাগত তাদের অস্তিত্ব জানান দিতেই আছে মাথার ধূসর নিউরনে! ভাবলাম, ঘটনাগুলো আপাতত থাক, বরং কিছু আলোকচিত্রই ভাগাভাগি করি সবার সাথে, সেই সাথে এর কয়েকটার পিছনের কাহিনী। ( কিছু ছবি সচলে আগের কোন পোস্টে এসে থাকতেও পারে)। আর সবুজ সেই দ্বীপের আর তার সংগ্রামী জনতার গল্প? পরের বারের জন্য তোলা থাক—
ইউনেস্কো কতৃক বিশ্বের সবচেয়ে নয়নাভিরাম স্থান বলে নির্বাচিত ভিনিয়ালাসের স্বর্গ উপত্যকা
ছবির ঝাঁকড়া গাছটি দেখে হেনরী রাইডার হ্যাগার্ডের অমর সৃষ্টি অ্যালান কোয়াটারমেইনের কিছু লাইন মনে পড়েছিল--
সুন্দর বড় গাছ দেখতে চিরদিনই আমার ভাল লাগে। শৈত্যপ্রবাহের সময় কি গর্বভরে মাঠ উঁচু করে থাকে ওরা, প্রাণ ভরে অনুভব করে বসন্তের পদধ্বনি! কি অসাধারণ শোনায় তাদের কণ্ঠ, যখন তারা কথা বলে বাতাসের সাথে। পাতার ফিসফিসানির কাছে হার মানে বায়ূ দেবতা ঈওল্যাসের হাজারটা বীণা। সারাদিন পাতাগুলো চেয়ে চেয়ে দেখে সূর্যালোক, সারারাত ধরে দেখে তারা। শতাব্দীর পর শতাব্দী তাদের খাবার জোগায় মা ধরিত্রী। অনেক দালান-কোঠা-বংশের উত্থান পতন দেখার পর অবশেষে ঘনিয়ে আসে চূড়ান্ত দিন। হয় লড়াইয়ে সেদিন জিতে যায় বাতাস, নয়তো নেমে আসে অস্বাভাবিক মৃত্যু।
বড় একটা গাছ কাটার আগে সবার একবার ভেবে দেখা দরকার।
কুসুমিত ইস্পাত ( হামিং বার্ডটিকে কাঁটাতারের বেড়ার উপরে বসতে দেখে কবি হুমায়ূন কবিরের অমর কাব্য গ্রন্থটির নাম পড়ে ছিল, যেন ইস্পাতের সেই নিষ্ঠুর কর্কশ বেড়া কুসুমিত হয়ে উঠেছিল পাখিটির কোমলতায়)
জীবনের এই সব গল্প বেঁচে রবে চিরকাল
(অবশ্য এই ছবির নিচে তাসনীম ভাই লিখেছিলেন- আলহামদুলিল্লাহ...এই শরীর নিয়ে আর বিপ্লব করা যাবে না। বিপ্লব ইজ ওভার।)
পূজারীর বিশ্বাসেই দেবতা বেঁচে থাকে-
এটি কোন ভাল ছবি নয়, কিন্তু শুধুমাত্র হামিংবার্ড কিভাবে বৃষ্টির সময় তার বিশাল জিহ্বা বাহির করে জলপান করে সেটি দেখানোর জন্য দেওয়া।
এটি কিউবার রাস্তায় তোলা আমার সবচেয়ে প্রিয় ছবি। পার্বত্য শহর ভিনিয়ালেসের এক ক্ষুদে ক্যাফেতে বসে উপত্যকায় সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসা উপভোগ করছি চমৎকার আইসক্রিমের সাথে, রাস্তার ওপর পাড়ে দেখি দাদীমা দাড়িয়ে আছেন, আর বেশ দূরে দেখি ছবির তরুণী হেঁটে আসছে সেদিক পানেই। চকিতেই মনে হল তাদের একসাথে যদি ফ্রেমবন্দী করতে পারি, একটা গল্পময় আলোকচিত্র হতেও পারে। লেন্স তাক করে বসেছিলাম খানিকক্ষণ এই অসাধারণ মুহূর্তটির জন্য।
(এই পোস্টটি আমাদের প্রিয় কবি ভাই রোমেল চৌধুরীর জন্য- তার অসামান্য কবিতা, অবিরাম উৎসাহ প্রদান আর স্বচ্ছতোয়া ভাষার জন্য )
মন্তব্য
খুব সুন্দর।
কয়েকটা ছবি যেন চিরন্তন বাংলাদেশের চিত্র!
যা বলেছেন ! তাও দেখি আমের ছবি বাদ পড়ে গেছে !
facebook
শুধু ড্যাং ড্যাং করে ঘুরে বেড়ালেই হয় না। দেখার মত চোখ আর ছবি তোলার মত দক্ষতাও থাকা চাই হিংসা উদ্রেক করতে হলে।
হামিং বার্ডের পানি খাওয়ার ছবি দেখে কেমন যেন লাগলো, শিরশিরে অনুভূতি।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
তিমির ছবি কোথায়!
হুম, আমি তো পয়লাবার দেখে মহা অবাক, কি বিশাল জিহ্বা!
facebook
তিমির দেখা পাই নাই গো!
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
আহ হা, আমি তো ভাবছি তিমির সাথে সাঁতার পর্যন্ত হয়ে গেছে ! পরের বার তয়লে--
facebook
আপনার মত দেশ বিদেশ ঘুরে বেড়াতে আমারও খুবই ভালো লাগেঃ)। অবসর সময় পেলেই কোথাও না কোথাও ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করি, কিন্তু বেশীরভাগ সময় জীবন জিবিকার অনিশ্য়তার কথা ভেবে শেষ পর্যন্ত যাওয়া হয়ে উঠে না।
যেমন মাস্টারস শেষ করে পেরু ভ্রমনের পরিকল্পনা করেছি কিন্তু মনের অনিশ্য়তা বলে আগে ভালো একটা চাকুরি পাও, সেটল হও তারপরে দেখা যাবে। আপনিও নিশ্চইয় এধরনের ঝামেলার মুখোমুখি হন ?এ বিষয়ে আপনার জীবন থেকে নেয়া গল্প শেয়ার করলে উপকৃত হব
সবসময়ই হতে হয়। কাজেই সব পরিকল্পনাতো আর বাস্তব হবে না কিন্তু কিছু হলেই হয়ে যায়।
একটা কথা- জীবনে কেউ কোনসময়ই সেটল হতে পারে না, এটা আমরা খামোখা মনে করি। চিন্তা করেন না, আপনিও যথেচ্ছ ঘুরে বেড়াতে পারবেন।
facebook
দারুণ বলেছেন। "সেটল" নামক এক মরিচিকার পিছে আজীবন ঘুরে বেড়াই আমরা,একসময় দেখি জীবনের সেরা সময়টা শেষ হয়ে গেছে "সেটল" এর পিছে ঘুরতে গিয়ে। আমারো খুব ইচ্ছা পৃথিবীর সুন্দর সব জায়গাগুলো দেখার। আন্ডারগ্র্যাডে পড়ছি বলে এখন সে সুযোগ কম,চেষ্টা করছি দেশের ভিতর সুন্দর জায়গাগুলো আগে দেখার,পরে একসময় বিশ্বভ্রমনে বের হতেই হবে।
অবশ্যই।
facebook
facebook
হ, সেটলের কথা চিন্তা করে করে আমি জীবন-যৌবন ম্যালা কিছু নষ্ট করছি । এখন "আসুক আগে, দেখে লিব" থিওরিতে চলতেছি। দেখি এইটা কেমন কাজ করে।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
লে, ঘিরে লে !
facebook
ছবিগুলো দেখে মনে হয় যেন কিউবার খুব কাছাকাছি চলে এসেছি। ছবিগুলো সারা দেশকে নিয়ে এসেছে সামনে। বেশ হয়েছে ।
ধন্যবাদ, বিশাল দেশতো মাত্র অর্ধেক ঘোরা হয়েছিল সেযাত্রা !
facebook
ছবিগুলান 'সেরাম' হয়েছে, ভাই । তবে আপনার লেখারতো আর তুলনা হয়না। কিউবা নিয়ে যে'কখানা লিখেছেন, তাতে তৃষ্ঞা মেটে নাই । আরো লেখা চাই ।
লিখব, ধন্যবাদ
facebook
দাদুর সিগারটা দেখি দাদুর শরীর থেকেও বড়!
****************************************
তাতো একটু হবেই, ডাক্তার চিরহাপানির রোগী চে গ্যেভারাকে দিনে মাত্র একটা সিগার খাবার অনুমতি দিলে সে যে সিগারটা নিয়ে এসেছিল তা ছিল মাত্র মিটারখানেক লম্বা !
facebook
ও হ্যাঁ, আপনার বিভিন্ন কিউবা সংক্রান্ত লেখায় এই 'সিগার' প্রসঙ্গটা ঘুরেফিরে আসায় একটা কথা মনে হল হঠাৎ। কিউবান সিগার বিশ্ববিখ্যাত হলেও এবং স্মোকারদের চোখে দেখতে খুব লোভনীয় হলেও এটা সম্ভবত ফার্স্ট-টাইমার বা নবিশদের (অর্থাৎ যারা সিগারেট খান কিন্তু আগে 'সিগার' খাননি বা খেয়ে অভ্যস্ত নন) জন্য মোটেই উপযোগী না। এটা পুরোপুরিই 'এ্যাকোয়ার্ড টেস্ট'-এর ব্যাপার, আর সেটা একোয়ার করা সিগারেটখোরদের জন্য খুব একটা সুখপ্রদ না। অন্ততঃ আমার অভিজ্ঞতা তাই। সিগারেটখোর এবং অকেশনাল সিগারপ্রেমীদের জন্য বরং ডোমিনিকানরা সবচেয়ে ভাল জিনিষ বানায়। তার মধ্যে গার্সিয়া ভেগা আমার প্রিয়, যেমন এটা। খানদানি সিগাররসিকরা হয়ত নাক সিঁটকাবে, কিন্তু নবিশদের জন্য এটাই সেরা।
****************************************
জানি নারে ভাই! জানতেও খুব একটা ইচ্ছুক না কিন্তু ধন্যবাদ, অনেকেরই হয়ত কাজে লাগবে।
facebook
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
ও দাদা, আপনার জন্য একখান সরেস সিগার সংরক্ষণ করা আছে কিন্তু, বিশ্ব সেরা আলেহান্দ্রো রুবাইনার ফার্মে উৎপন্ন।
facebook
আরে করো কি করো কি, আস্তে কও, আমার ভাগ ছিন্তাই হয়ে গেলে তখন? সাবধানে সীল করে তালা দিয়ে রাখো ড্যাম ডুম না হয়ে যায় আবার।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
প্লাস্টিকে মোড়ানো আছে, ২-৩ বছর টিকবে, কাজেই জলদি---
facebook
---এই সামারে এসে পড়ো এসএ
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
এই সামারে ভেজালে আছি। সামনে হতে পারে, তবে আপনি প্রজেক্ট দিতে বিমান ভাড়া বাগাতে পারলে অন্য ব্যাপার
facebook
বিমান ভাড়া পেরে উঠবো না, তবে জোবার্গে তোমার থাকা-খাওয়ার ফুল স্পন্সর হইতে রাজী আছি সানন্দে
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
ভাগেন মিয়া !
facebook
facebook
অনেকগুলাই মনে হয় আগে দেখা, ফেসবুকে? আপনার লেখায় আর মন্তব্য করিনা একই মন্তব্য কতবার করা যায় বলেন তো?
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
কিছু আগেই ছিল, ঠিকই বলেছেন, আরে ভিন্ন কিছু বলেন- কবির আর কি শব্দের অভাব !
facebook
দাদা আপনার এই রঙিন জীবন দেখে হিংসা হয় ভীষণ
সবগুলো ছবিই অসাধারন রকম সুন্দর!
ধন্যবাদ, জীবন কিন্তু সবসময়ই রঙিন, আমরা অনেক সময় বুঝি না এই যা ।
facebook
facebook
দারুন সব ছবি।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
জায়গাটা দারুণ যে !
facebook
দারুন ছবিগুলো। অপেক্ষা ছবিটায় যদি আয়নার প্রতিচ্ছবিটা পুরাটা থাকত না দুর্দান্ত লাগত! আর স্বর্গ আসলেই স্বর্গ!
আসলেই--
facebook
ছবির সৌন্দর্য নিয়া কিছু বলার নাই। তবে শেষ ছবিটা দেখে একেবারেই চুপ হয়ে গেলাম।
ঐটা আমার খুব প্রিয়। ধন্যবাদ।
facebook
দারুন ছবিগুলো।
facebook
হাসির কি হল ! রাজশাহীতে গরম খুব বেশী পড়ছে নাকি
facebook
ঝাউলা নাকি আউলা
facebook
তাসনীম ভাইয়ের ওই কমেন্টখানা মনে করেই হাসতে হাসতে শেষ
হ, ছবির চেয়ে কমেন্টে লাইক পড়েছে কয়েকগুণ বেশী !
facebook
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
facebook
ছবিগুলো দেখে এই মাত্র আমার মৃত্যু হলো।
আমার মৃত্যুর জন্য তারেকাণু দায়ী।
(দিসি ফাঁসায়া )
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
আরে তুমি দেখি পুরাই টিনটিনের রনসন, জনসন, মৃত্যুর মানে ঘুমের পরও কথা বল !
facebook
কী বলবো, ভাষা নাই।
আরে কবি মানুষের আবার ভাষার সমস্যা!
facebook
পোস্টটা সকালেই পড়েছি। একটু ব্যস্তার কারণে মন্তব্য করা হয়নি। ছবিগুলোর কোনটা ছেড়ে কোনটা সবচেয়ে ভাল লেগেছে বলব ঠিক বুঝতে পারছি না। সবগুলো ছবি আসাধারণ।
অনেক ধন্যবাদ। আরে না, এত তাড়াহুড়োর মাঝে সব ছবি কি আর ভাল হয় ! হয় না, হয়ত আপনার বেশী ভাল লেগেছে।
facebook
এত ভাল ছবি ভাল না লেগে কি পারে! কিন্তু আপনার সব ছবিব্লগেই একই মন্তব্য করতে হচ্ছে। লেখা আর ছবি সব গুলোই এত আসাধারণ যে অন্য কিভাবে ভাললাগা প্রকাশ করা যায় সেটা বের করতেও একটা ভাল মাথা দরকার।
আপনার জন্য কিউবান জাফরানি রঙ সূর্যাস্তের শুভেচ্ছা। (গুড়)
facebook
আপনার লজ্জা পাবার ইমো দেখে হাসতে হাসতে চেয়ার থেকে পরে যাবার উপক্রম। কিউবান জাফরানি রঙ শুভেচ্ছার জন্য
কি ফাজিল রে বাবা। পইড়েন না !
facebook
না পড়ি নাই
facebook
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
আপনি কইত থন !
facebook
হেহ হে মন্তব্যগুলা সবি ফলো কর্তেছিলাম, তোমারে লজ্জা পাইতে দেইখা দাঁতাগুলা আর ঢাইকা রাখা গেলো না
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
রসিকতা হচ্ছে, দাঁড়ান দেখাচ্ছি মজা ---
facebook
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
অণুদার লজ্জা পাওয়া বিশাল ব্যপার
facebook
দাদার সাথে আপনিও যোগ দিলেন সাবধান!
facebook
হিহি হুমকি দেন নাকি অণুদা!!
ছি ছি, না না, হুমকি না , সাবধান করে দিলাম, পড়ে আমাকে দুষলে চইলত ন !
facebook
কি ব্যপারে সাবধান করলেন ঠিক বুঝবার পারলাম না
দাদার দলে না ভিড়ার জন্য, দাদা বিশাল ফাজিল লোক, উনাকে নিয়ে একটা লেখা লিখেছিলাম তো সচলে- নিরিবিলি মাপুতো! পড়লেই বুঝবেন---
facebook
আপনার সাবধান করাটা মনে হয় কাজে লাগলো না। নিরিবিলি মাপুতো পড়ে মনে হলো এমন 'ফাজিল লোক' এর দলে ভিড়তে আমার কনোই সম্যসা নাই।
তয়লে আর কি !
facebook
কাম সারছে, আমার দলে যোগ দিলে কিন্তু জেবোন শ্যাষ
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
facebook
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
facebook
ভাল লেগেছে। জেলের চেহারার গ্রীক নিরলিপ্ততা ফ্রেমবদ্ধ করেছেন সুন্দরভাবে।
ধন্যবাদ! সবই তার ইচ্ছা
facebook
অসাধারণ সব ছবি, মুগ্ধ বিস্ময়ে দেখে গেলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ ছবিগুলোর জন্য !
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা, আপনার নিকটা দারুণ, সেই নদীর তীরেই নিবাস নাকি?
facebook
আজীবন ঋণী করে রাখলে!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
এতই সহজ !
facebook
ঝক ঝকে জীবন্ত ছবি গুলো যেন কথা বলছে, সাথে আপানর লিখা যেন তাদরই বলা কথা গুলো!
গাছ কাটার কথাটা মনে ধরেছে, ছোট বেলা থেকে বাসায় বা আশে পাশে কোথাও গাছ কাটা হলে খুব কষ্ট পেতাম!
সেই, বলাই-য়ের মত।
facebook
আপনাকে কৃতজ্ঞতা জানাই, আপনার চোখদিয়ে আপনি যে দেখালেন এত কিছু ! কতজনই তো দেখে, কিন্তু অপরকে এইভাবে কয়জন দেখাতে পারে।
ভালবাসার এক বিশুদ্ধ খামার খামার যেখানে শুধুই চাষ হয় আপনাকে দিয়ে দিলাম
ধনে পাতার ব্যপক আকাল চলছে, মানে বাস্তবের! কিছু পাঠাতে বলব নাকি
facebook
আকাশের ওপারের আকাশ দেখার স্বপ্ন জন্মাবধি..........এ যেন সেই আকাঙ্খার দৃশ্যকাব্য.........দূরে বহূদূরে ওড়ে যে গাঙচিল, জলের ওপর তার ছায়া.....................
facebook
(গুড়)
facebook
মুগ্ধ- মুগ্ধ
"সবুজ কুমির" কে আপনার চোখে দেখলাম
কড়িকাঠুরে
মানে কি গিরগিটির কথা বলছেন !
facebook
না
চে'র কবিতায় পড়েছিলাম কিউবাকে "সবুজ কুমির" বলেছেন ।
কিউবা'র ভৌগলিক আকৃতি অনেকটা কুমির সদৃশ ।
আর 'সবুজ'? আমি চর্মচোউক্ষে না দেখলেও আপনি তো দেখেছেন ।
কড়িকাঠুরে
বাহ, খুব সুন্দর বলেছেন।
facebook
ধুউউররর।।।
সবই তো ধার করা।।।
কড়িকাঠুরে
তাতে কি ! কবিতাটা দিন না এইখানে, সবাই মিলেই পড়া যাক==
facebook
এর জন্য অপেক্ষা করতে হবে ।
মনে পড়ছেনা কোথায় পড়লাম ।
খুঁজে পেলে অবশ্যই দেবো ।
কড়িকাঠুরে
facebook
কড়িকাঠুরে
অবশেষে 'পাইলাম- আমি উহাকে পাইলাম'- চে'র কবিতাটা পেয়েছি= তাই দিলাম
ফিদেলের জন্য গান
---চে গুয়েভারা
তুমি বলেছিলে সূর্যোদয় হবে ।
চলো যাই
সেই আচিহ্নিত পথে
তোমার ভালোবাসার সবুজ কুমিরকে*
মুক্ত করতে ।
এবং চলো আমরা
সকল উপেক্ষাকে তুচ্ছ করি
বিদ্রোহী প্রগাঢ় নক্ষত্রপ্লাবিত ভ্রুকুটিতে ।
হয় বিজয়ী হবো
নয়তো মৃত্যুকে যাবো পেরিয়ে ।
প্রথম গুলিতেই সারাটা জঙ্গল
উঠবে জেগে সতেজ বিস্ময়ে ।
আর তখনই সেখানে
তোমার পাশে
আমরাও থাকবো
স্নিগ্ধ সহচার্যে ।
যখন তোমার কন্ঠস্বর বাতাসকে করবে
চার ফালি-
ভূমি সংস্কার, সুবিচার, রুটি, স্বাধীনতা
সেখানে আমরাও থাকবো
তোমার পাশে,
আমাদের কন্ঠে ধ্বনিত হবে-
একই উচ্চারণ ।
দিনের শেষে
অত্যাচারীর বিরুদ্ধে অভিযান
সাঙ্গ হলে,
তখন দেখবে সেখানে
শেষ যুদ্ধে
আমরাও রয়েছি
তোমার পাশে ।
যখন বন্য পশু চাটে তার ক্ষত
যেখানে বিদ্ধ কিউবার বর্শা,
তখন গর্বিত হৃদয়ে আমরা থাকবো
তোমার পাশে ।
ভেবো না ওইসব উপহারসমেত
ব্যাঙের মতো লাফিয়ে বেড়ানো
তমঘা-আঁটা মাছিরা
আমাদের সংহতি করতে পারবে বিনষ্ট,
আমরা চাই তাদের রাইফেল, বুলেট
আর এক টুকরো পাথর
অন্য কিছু নয় ।
আমেরিকার ইতিহাস রচনায়
আমাদের সামনে যদি
ইস্পাত-বাঁধা আসে
তাহলে আমাদের গেরিলা অস্থি
ঢাকার জন্য চাই শুধু কিউবার অশ্রুধারা-
আর কিছু নয় ।
*এ কবিতায় 'সবুজ কুমির' কিউবার প্রতীক । কিউবার মানচিত্রের রূপ কুমির আকৃতির ।
১৯৫৪ সালের দিকে চে এবং ফিদেল যখন গেরিলা যুদ্ধের জন্য কিউবা যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তখন এই কবিতাটি লেখেন চে ।
বাংলায় অনুবাদ করেছেন মতিউর রহমান ।
কড়িকাঠুরে
ধন্যবাদ, কোন মতিউর রহমান?
facebook
এটাতো জানি না । আপনি জানলে জানাবেন ।
কড়িকাঠুরে
সেই জন্যেই তো জানতে চাইলাম! কোন পত্রিকায় পেয়েছেন, অথবা কোন সংকলনে?
facebook
পেয়েছিলাম 'বিপ্লবীদের কথা' ওয়েব সাইটে, এছাড়া 'ফিদেলের জন্য গান' লিখে খুঁজলে অনেক গুলো পেজ পাবেন । আর বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যও এর অনুবাদ করেছিলেন । গুগলে পাবেন । কোন সংকলন বা বইএর খোঁজ জানা নেই ।
কড়িকাঠুরে
দাঁড়ান খোঁজ নিতে হবে।
facebook
বই-টই পেলে জানাবেন, আমিও খুঁজবো ।
কড়িকাঠুরে
চে-র উপরে প্রথম আলোর বিশেষ সংখ্যায় ক বছর আগে মতিউর রহমানের মূল রচনা ছিল, কিন্তু কবিতা অনুপস্থিত! চে-র অন্য কবিতার অনুবাদ ছিল বটে কিন্তু অনুবাদক ভিন্ন।
facebook
নতুন মন্তব্য করুন