মর্ত্যের বুকে এক বিশাল স্বর্গ, হিংস্র কোন পশু সেখানে নেই, নেই প্রাকৃতিক তাণ্ডব, সময়ের সাথে বিশেষ কিছুই বদল হয় না এমন এক অদ্ভুত ভূখণ্ড। মানুষের দল ৪৫ থেকে ৫০ হাজার বছর আগে অগভীর আদি সমুদ্র পাড়ি দিয়ে পৌঁছেছিল এই বিশাল দ্বীপ মহাদেশে, আড়াই শতাধিক ভিন্ন ভাষা-ভাষী নৃগোষ্ঠীর উদ্ভব ঘটল এত হাজার বছরে অতঃপর তাহারা সুখে শান্তিতে বসবাস করিতে লাগিল। এমনটাই ছিল আবহমান কাল ধরে, হঠাৎ পরিবর্তন হয়ে গেল সবকিছুর, একদল শ্বেতকায় আবিষ্কার করল দক্ষিণের এই স্বর্গ, শুরু হয়ে গেল বসতি স্থাপন আর আধিপত্য বিস্তারের লড়াই। ভূ- খণ্ডের নাম দেওয়া হল অস্ট্রেলিয়া !!
১৯৩০ সালের পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার ঘটনা, ইতিমধ্যে সারা মহাদেশে তাদের কথাকেই আইনে পরিণত করেছে দখলধারী শ্বেতাঙ্গরা, সুপ্রাচীন কাল থেকে বসবাসরত আদিবাসীরা আজ নিজ ভূমে পরবাসী। হঠকারী ভাবে একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়ে বসল শ্বেতাঙ্গ আর আদিবাসী অস্ট্রেলিয়ানদের মিলনের ফলে উদ্ভূত (মূলত আদিবাসী নারীরাই শিকার হত দখলদারীদের লালসার) প্রজন্ম তাদের আদিবাসী মা অথবা পরিবারের সাথে বেড়ে উঠতে পারবে না, বরং তাদের মায়ের কোলের নিরাপদ আশ্রয় থেকে কেড়ে নিয়ে যাওয়া হবে দেশের শেষ মাথার এক বোর্ডিং স্কুলে, যেখানে তাদের আধুনিক আদব-কায়দা রপ্ত করিয়ে বানানো হবে সুসভ্য নাগরিক, আসলে পরিকল্পনা ছিল তাদের প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত দাস হিসেবে গড়ে তোলার, যারা নতমুখে সেবা করে যাবে ঔপনিবেশিক প্রভুদের আজীবন।
২০০২ সালে অস্ট্রেলিয়ায় মুক্তি পাওয়া ফিলিপ নয়েশের রাবীট প্রুফ ফেন্স চলচ্চিত্রটিতে তুলে ধরা হয়েছে ইতিহাসের সেই কালো অধ্যায়ের কথা, যাকে অনেক সমাজ বিজ্ঞানীই অভিহিত তুলনা করেছেন গণহত্যার সাথে। সেই সাথে সেলুলয়েডের ফিতেয় ধরে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে তিন দুঃসাহসী কিশোরী- মলি, ডেইজি এবং গ্রেসির কথা , যারা স্রেফ পায়ে হেটেই পাড়ি দিয়েছিল প্রায় পুরোটা মহাদেশ।
চলচ্চিত্রটির নাম খানিকটা অদ্ভুত শোনালেও প্রতীকী অর্থে তা মোক্ষম। ভৌগলিকভাবে কোটি কোটি বছর পুরো গ্রহ থেকে আলাদা থাকায় সেখানে বিবর্তনের কলকাঠিতে গড়ে উঠেছিল এক স্বতন্ত্র জীব-বৈচিত্র, কিন্তু পরিবেশের ভারসাম্য নিয়ে বিন্দুমাত্র জ্ঞান না থাকায় শ্বেতাঙ্গরা সেই পরিবেশে অনুপ্রবেশ করিয়েছিল গরু, ভেড়া, ইদুর, নানা ধরনের পাখি ও খরগোশসহ নানা প্রাণী। ব্যস, স্থানীয় প্রানিজগতে সেই প্রাণীগুলোকে নিয়ন্ত্রনে রাখার মত শিকারি প্রানী না থাকায় ঘটে গেল মহা বিপর্যয়। শখ করে আনা কজোড়া খরগোশ দ্রুতগতিতে বংশবৃদ্ধি করতে করতে না নিয়ে গেল কয়েক কোটিতে, সাবাড় করতে লাগল কৃষকের ফসল। তাদের ফাদ পেতে, গুলি করে, বিষ ছড়িয়ে কোন ভাবেই নির্মূল করতে না পেরে অবশেষে বিশাল অস্ট্রেলিয়ার কিছু অংশ তারা বেড়া দিয়ে আলাদা করার চেষ্টা করতে থাকল, তৈরি হল মানুষের তৈরি দীর্ঘতম বেড়া। প্রায় আড়াই হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ বেড়াটি হয়ে থাকল সবার কাছে মানুষের বোকামি, লোভ আর দখলদারিত্বের প্রতিক।
মা ও নানীর সাথে জিগালং এলাকায় বসবাসরত দুই বোন ১৪ বছরের মলি আর ৮ বছরের ডেইজি এবং তাদের আত্নীয় ১০ বছরের গ্রেসিকে বোর্ডিং স্কুলে পাঠানোর জন্য আসে উর্দিপরা পুলিস, কোর্টের আইনের কাগজ দেখিয়ে অসহায় ক্রন্দনরত মার কাছ থেকে রীতিমত অপহরণ করে তারা তিন কিশোরীকে। সোজা পশুচালান দেবার মত তাদের নিয়ে যাওয়া হয় আড়াই হাজার কিলোমিটার দূরের মুর রিভার এলাকায়। স্কুলের দুর্বিষহ গুমোট বাঁধা পরিবেশে বিষিয়ে ওঠে তাদের মন, কঠোর, নির্মম সেখানকার পরিবেশ, ক্ষণে ক্ষণে বোঝানো হয় বর্ণসংকর হয়ে জন্মানোটায় এক বিশাল পাপ হয়েছে সেই কোমলমতিদের। এ যেন সারা দ্বীপ মহাদেশ থেকে ধরে নিয়ে আসা আধাঁ-আদিবাসী শিশুদের এক বিশাল কারাগার।
প্রথম দিনেই সিদ্ধান্ত নেয় মলি, পালাবে তারা এই বন্ধীশালা থেকে, ফিরে যাবে সারা জীবনের আবাস জিগালং-এ। এক বৃষ্টির দিনে মুক্তির স্বাদ নেবার তীব্র নেশায় পালায় তারা-ঝড়, বৃষ্টি, খুনে শীতল বাতাসকে অগ্রাহ্য করে তাদের যাত্রা অব্যাহত থাকে সম্মুখ পানে, আর আবহাওয়ার চেয়েও বড় ভয় তাদের বোর্ডিং স্কুলের বেতনভুক্ত এক আদিবাসী ট্র্যাকারকে , যে এর আগে একাধিকবার পালীয়ে যাওয়া কিশোরীদের ঠিকই খুজে বাহির করে ফিরিয়ে এনেছে। ছোটদের দায়িত্ব এককভাবে কাধে নিয়ে চৌকস দলনেতার মত এগিয়ে যায় মলি, ট্র্যাকারের চোখে ধুলো দিতে কোনসময় তারা কখনো এগোয় অগভীর জলপথ ধরে, কখনো মরুর বুক চিরে।
এভাবেই এগোতে এগোতে লোকমুখে সেই খরগোশ বেড়ার কথা শুনতে পায় তারা, আনন্দে নেচে ওঠে কিশোরী মন, বেড়া মানেই তো তা ধরে একসময় জিগালং-এর বাড়ী যাওয়া যাবে, হোক না তা হাজার কিলোমিটার দূরে! অন্যদিকে মলির চালাকির কাছে রীতিমত নাকাল হয় সেই ঘোড়েল ট্র্যাকার, বুঝতে পারে সে পড়েছে শক্ত প্রতিপক্ষের পাল্লায় যার মূল শক্তি স্বাধীন জীবনে ফিরে যাবার আকুতি। অনাহারে, অর্ধাহারে এগোতে থাকে আমাদের তিন কন্যা। এক পর্যায়ে ছদ্মবেশী পুলিশের কথায় বিভ্রান্ত হয়ে রেলস্টেশনে অপেক্ষারত অবস্থায় ধরা পড়ে গ্রেসি, অন্য দুই বোন তাদের ঐতিহাসিক যাত্রা অব্যাহত রাখলেও চতুর পুলিশেরা বুঝতে পারে তারা ধীরে ধীরে এগোচ্ছে বাড়ীর পথে, তাই তাদের চর অপেক্ষায় থাকে দুই কিশোরীর আগমনের।
নয় সপ্তাহ পরে সুদীর্ঘ আড়াই হাজার কিলোমিটারের পদব্রজের কঠিন যাত্রা শেষ হয় মলি ও ডেইজির, এক অদ্ভুত ঝড়োবাতাসময় রাতে যখন তাদের মা-নানী নিবেদিত আদিবাসী সঙ্গীতে, সন্তানের মঙ্গল কামনায়, সেই জাদুময় পরিবেশেই ঘটে আবেগময় পুনর্মিলন! দৃশ্যপটে পুলিশের ফেউ উপস্থিত থাকলেও অপার্থিব সঙ্গীত ও ঘটনার ঘনঘটায় ভয় পেয়ে পালিয়ে যায় সে।
৯৪ মিনিটের এই আনন্দ-বেদনার কাব্যের শেষ মুহূর্তে পর্দায় হাজির হন বাস্তব জীবনের মলি ও ডেইজি, তারা আর কোন দিনই মুর রিভার বোর্ডিং স্কুলে ফিরে যান নি, যদিও গ্রেসি কোন দিন আর আপনভূমে ফিরে আসতে পারেন নি। মলি বলে যান আদিবাসীদের সাথে সংঘটিত রাষ্ট্রযন্ত্রের এই বর্বরোচিত অপরাধের করুণ কাহিনী, যে কারণে তাদের প্রজন্মকে উল্লেখ করা হয় অস্ট্রেলিয়ার চুরি যাওয়া প্রজন্ম বলে।
মন্তব্য
চলচ্চিত্রটা বেশ চমৎকার। একটা অফটপিক প্রশ্ন করি সামুর নৃ-বিজ্ঞানীর কাছে নৃতাত্ত্বিক ভাবে কি অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসীদের সাথে কি আমাদের পূর্বপুরুষ অর্থাৎ দ্রাবিরদের কোন মিল আছে? যতদুর জানি আমাদের আদি অস্ট্রলয়েড গোষ্ঠীর বলা হয়ে থাকে, তা কেন? আমাদের অঞ্চল থেকেই কি অস্ট্রেলিয়া ভূ-খন্ডে মানুষ গিয়েছিলো নাকি ওখান থেকে আমাদের এদিকটাতে এসেছিলো? ধন্যবাদ।
এশিয়া থেকেই নানা দ্বীপ পাড়ি দিয়ে অস্ট্রেলিয়া গিয়েছিল আদি মানুষ। তখন সমুদ্রের বিস্তার ও গভীরতা অনেক কম ছিল।
facebook
ভালো পাইলাম।
সভ্যতার খোলনলচে প্রভূত্ব ভাবধারা আজও টিকে আছে। শুধু রূপটাই তার পাল্টেছে।
সত্য, আপনার মন্তব্য পড়ে মনে হল বলিভিয়া নিয়ে একটা লেখাতে হাত দিতে হবে।
facebook
অপেক্ষায় রইলাম লেখাটার, অণু ভাই।
লিখব--
facebook
সিনেমাটা দেখতে ইচ্ছা করছে!
কী ভালো লিখো তুমি!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
লিখি নাকি !
facebook
#যথারীতি ছক্কা, গতকাল দেখলাম গেইল এমন এক ছক্কা হাকিয়েছেন সেটা গিয়ে স্টেডিয়ামের উপর।।।।।
>একটি প্রশ্ন, উত্তর জানতে মুঞ্চায়।।।
আপনি এতো সময় পান কখন?
সময় নাই, নাই, নাই কি যে সমস্যায় আছি।
facebook
#প্রিয় তারেক অনু ভাই, আপনার প্রোফাইল পিকের পেছনে যে জলপ্রপাত সেখানে গৌসল করতে মুঞ্চায়, কোন দেশে যেতে হবে।।।।
আশরাফুল কবীর
জার্মানির বাভারিয়া অঞ্চলে, আল্পসে। ব্যাপক ঠাণ্ডা
facebook
হেইয়ো বাভারিয়ায় যাবোই যাবো, হেইয়ো বাভারিয়ায় যাবোই যাবো, হেইয়ো, হেইয়ো
#আপনি কি গোসল করতে যেয়ে কঠিন পদার্থে রূপান্তরিত হয়েছিলেন? ব্যাপক ঠাণ্ডা বলে কথা!
আশরাফুল কবীর
না মানে জলে নামার আগে কিছু পান করে নেয়া ভাল, ক্যাপ্টেন হ্যাডকের স্মরণে।
facebook
ক্যাপ্টেন হ্যাডকের স্মরণে
#উনি কে? বাবা নবকুমার এবার বুঝিয়া লও, তুমি যে পাল্লায় পড়িয়াছ হ্যাডকরূপী ?
আশরাফুল কবীর
facebook
এই ছবির নাম শুনিনি কোনদিন। আপনার লেখা দেখে অদ্ভুত ভালো লাগায় ছেয়ে গেল। ছবিটা খুঁজে বের করে এখনি দেখতে ইচ্ছে করছে। লেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাল লাগবে আশা করি, দেখে জানিয়েন।
facebook
সিনেমা দেখুম কী? কাহিনী তো পুরাই কয়া দিছেন
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
তারপরও দেখেন ! ইতিহাস পুরোটা জেনেও তো আমরা সিনেমা দেখি, নাকি?
facebook
এতো করে যখন বললেন, দিলাম তাইলে ডাউনলোড
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
facebook
বংশ বিস্তারে সিদ্ধহস্ত জাতির জন্য Bangladeshi Proof Fence বানানোর সম্ভাবনা কতটুকু?
facebook
শ্বেতকায় সভ্যতার পেছনে অনেক রক্ত, অনেক নিষ্ঠুরতা, অনেক ধ্বংস....
আসলে কিন্তু সব সভ্যতার পিছনেই==
facebook
খুব ভাল লিখেছেন,
facebook
কঠিন!
ছবিটা দেখতে হবে।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
পাষাণ! দেখে ফেলুন !
facebook
অসম্ভব সুন্দর একটি মুভি। যতবার দেখেছি, ততবার মলি, গ্রেসি, ডেইজির মনের শক্তির কাছে মন আপ্লুত হয়েছে। যেখানে গ্রেসিকে ধরে নিয়ে যায়, বা ক্ষুধায় কাতর মলি যখন ডিম চুরি করছে, ক্ষত বিক্ষত পায়ের ছোট্ট ডেইজিকে মলি কোলে করে হাঁটছে, বা মরুভুমিতে অবচেতনের মত পড়ে আছে, ট্রেকারের সাপের মত শীতল চোখের চিত্রায়ন সত্যি অপুর্ব।
বার বার দেখার মত এই মুভিটির আলোচনার জন্য ধন্যবাদ, তারেক অনু!
খুব খুশী হলাম আপনার মন্তব্য পড়ে। কি অদ্ভুত কাহিনী সব-
facebook
লেখাটা পড়ার পর সিনেমাটা ডাউনলোড করতে দিলাম।
facebook
ইন্টারেস্ট জাগালেন অণুদা। দেখতে হবে
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
facebook
হুম রিভিউ ভালো লাগছে, দেখতে হবে,লিস্টে যোগ করলাম।
facebook
ছবিটা দেখেছি। মেসেজটা নিয়ে কোন কথা নেই। তবে আমার একটু শ্লথ লেগেছে সিনেমার গতি।
মনে হয় সেখানকার জীবনযাত্রাই একটু শ্লথ।
facebook
গরু ছাগল খরগোশ আর সাদা চামড়ার মানুষ গুলারে ঢুকাইয়া এখন এয়ারপোর্টে ওরা অন্য দেশের মাটি, পানি সবকিছু আটকায়।
ছবিটা দেখতে হবে।
লেখা উত্তম বরাবরের মতই--
-------------------------
পথেই আমার পথ হারিয়ে
চালচুলোহীন ছন্নছাড়া ঘুরছি ভীষণ--
এইখানেই তো কবি নিরব !
facebook
দারুন রিভিউ লিখেছেন! এই উইক এ মনে হয় আর দেখা হবে না! তবে নামায় রাখব।
এটা পড়ে Dances with Wolves এর কথা মনে পড়ে গেলো! আমেরিকার আদিবাসী 'রেড ইন্ডিয়ান' দের নিয়ে বানানো মুভিটা, Kevin Costner অভিনীত। আমেরিকার মূল আদিবাসীদের উপর শ্বেতাঙ্গদের চালানো বর্বরতার অনেক চিত্র ফুটে উঠে সেখানেও, যদিও কাহিনী সম্পূর্ন আলাদা, Kevin Costner এর সে অঞ্চলে বসবাস, একাকীত্বের সঙ্গী হিসেবে নেকড়ে, সেখানকার আদীবাসিদের সাথে ক্রমে মিশে যাওয়া, সেখানে আদিবাসীদের এডোপটেড এক মেয়ের প্রেমে পড়া, সাদাদের আক্রমন থেকে তাদের রক্ষা করার চেষ্টা, অসাধারণ একটা মুভি! (জানিনা হয়তো দেখেছেন)
দেখে জানিয়েন।
Dances with Wolves দেখেছি একাধিকবার, রেড ইন্ডিয়ানদের উপর বর্বরতার সঠিক চিত্র এখনো সেভাবে ফুটিয়ে তোলা হয় না। হবে একদিন আশা করি--
facebook
মুভিটা দেখতে হবে।
facebook
আমি লেখা আর সবার রিভিউ পরে চলে যাইতেছিলাম, কিন্তু মনে হয়লো আপনারে একটা ধন্যবাদ না জানানো তা একটা অপরাধের পর্যায়ে পরে যাই, আসাধারান মুভি রিভিউ লিখছেন।
ধন্যবাদ।
facebook
যা বলতে চাই তা সহজ করে বলতে পারাটা একটা বিশেষ গুন .....লেখাটা পড়ে সে কথাটাই মাথায় ঘুরছে.....
facebook
ভেরি ইন্টারেস্টিং !
ছবিটা দেখতে হবে।
দেখে ফেলেন
facebook
আপনার লেখা পড়লেই বারবার মনে হয় -- কত সব বই, সিনেমা সম্পর্কেই না জানা দরকার! সে অনুসারে কাজ তো করি কম। নামগুলি যদি ভুলে যাই এই ভয়ে Google Docs-এ এগুলির একটা তালিকা বানানো শুরু করলাম আজ।
সেই তালিকা থেকে আমাদেরও জানিয়েন
facebook
চমৎকার বর্ণন।
facebook
জানা ছিল না। জানলাম। মানুষের নিষ্ঠুরতার মনে হয় কোন শেষ নাই!
আপনার লেখাটাও খুব সুন্দর হয়েছে।
ধন্যবাদ। মানুষ খুব অদ্ভুত প্রাণী, তার দয়া এবং নিষ্ঠুরতা দুইটারই কোন পরিসীমা নেই।
facebook
তোমার রিভিউ পড়ে ছবিটিকে অসাধারণ বলেই মনে হলো। আর রিভিউ হয়েছে প্রাঞ্জল। অবশেষে সবাইকেই ফিরে আসতে হয় শেকরের টানে। যতই যাযাবর হও না কেনো, দেখো, তোমাকেও ফিরতে হবে একদিন। অবশ্য ভিন্নটিও হতে পারে। কারণ, পুরো পৃথিবী জুড়েই তো বিশ্ব-নাগরিকের শেকড় ছড়িয়ে থাকে।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
এই তো আমাদের শেকড়, এই বুড়ো পৃথিবীটা।
facebook
facebook
দরুন।
সুযোগ পেলেই দেখে নিবো শিউর
facebook
আরে করছো কি? এখন টরেন্ট হাতড়াই
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
পাইছেন।
facebook
গেলিভার ট্রাভেলস -এ এইরকম ছিল .. খুব দুঃখ হয় .. আমার মনে হয় চীনে এইরকম ভয়াবহ কিছু এখনো চলছে ..
অনেক দেশেই চলেছে এবং চলছে।
facebook
facebook
বর্ণনাটা খুব ঝরঝরে, পড়তে পড়তে ওদের সাথে কখন পায়ে পা মিলিয়ে অজানার পথে চলতে শুরু করেছি বলতে পারলাম না। দেখতেই হবে এমন মুভির তালিকায় আরেকটা নাম যুক্ত হলো আপনার সৌজন্যে। ভালো থাকবেন।
দেখে জানিয়েন কেমন লাগল !
facebook
আগেও প্রশ্নটি শুনেছেন, উত্তরও দিয়েছেন ।
আমি আবার করি- 'ভাই, আপনি কী? মানুষ তো?(আশেপাশে যাদের দেখি আর কি! আমি নিজেও)
এত সময় ক্যামনে বাইর করেন?' ।
অনেক বেশি জানার আগ্রহ না থাকলে এরকম সম্ভব না ।
স্যালুট ।
কড়িকাঠুরে
সবই তার ইচ্ছা
facebook
নতুন মন্তব্য করুন