২৪ মার্চ, ১৯৭৬। সেনাবাহিনী অবৈধ ভাবে ক্ষমতা দখল করল ল্যাটিন আমেরিকার অন্যতম বৃহত্তম রাষ্ট্র আর্জেন্টিনায়। জনগণের চোখে বরাররের মত আলো ঝলমলে ভবিষ্যতের স্বপ্ন এঁকে তারা পরিকল্পিত ভাবে দখল করে নিল সমস্ত রাষ্ট্রযন্ত্র, কুক্ষিগত করল আইন ও বিচার বিভাগ। মহান বিপ্লবী চে আর্নেস্তো গ্যেভারার জন্মভূমি আর্জেন্টিনাতেই বন্ধ হয়ে গেল মুক্তচিন্তার চর্চা, আর সমাজ বদলের বিপ্লবের স্বপ্নের কথা- এমনটা যেন স্বপ্ন থেকেও হারিয়ে যেত থাকল লৌহকঠিন সেনাশাসনের নিষ্পেষণে।
ক্রনিকা দে উনা ফুগা বা ক্রনিকল অফ অ্যান এসকেপ, আর্জেন্টিনার এই চলচ্চিত্রটি বুয়েন্স এয়ার্স ১৯৭৭ নামেও সমধিক পরিচিত - সেই অন্ধকারাচ্ছন্ন সময়ের প্রতিবিম্ব, যখন অমানুষিক নিষ্ঠুরতায় দেশের মুক্তচিন্তার পূজারী তরুণ সমাজকে দমন-পীড়ন করছিল জলপাই রঙের পোশাক পরা আত্নঅহমিকায় অন্ধ লোকগুলো। আজো জানা নেই সেই সময়ে সেনাবাহিনীর হাতে নিহত মানুষের সংখ্যা, কেবল জানা যায় গুটিকয়েক ভয়াবহ তথ্য- সেনাশাসন বিরোধী অনেককেই তারা হেলিকপ্টারে থেকে নিক্ষেপ করেছিল উম্মাতাল অতলান্তিক মহাসাগরে, অনেক দম্পতির শিশুদের কেড়ে নিয়ে দিয়েছিল তাদের ধামাধারী নিঃসন্তান কর্মকর্তাদের এবং বিদেশী প্রভুদের।
সেই পঙ্কিলতায় ঢাকা সময়ের কয়েকজন আলোর স্বপ্ন দেখা তরুণের চরমতম অত্যাচারের ষ্টিম রোলারে পিষ্ট হবার মর্মান্তিক সত্যকাহিনীর দলিল ক্রনিকা দে উনা ফুগা, ২০০৬ সালে স্প্যানিশ ভাষায় নির্মিত চলচ্চিত্রটি মুক্তি পাবার পরপরই জিতে নেয় শিল্পপ্রেমীদের মন, কান চলচ্চিত্র উৎসবে মনোনীত হওয়া, সিলভার কনডর পুরষ্কার জেতা ও ২০০৭ সালে গোল্ডেন গ্লোব পুরষ্কারে আর্জেন্টিনার প্রতিনিধিত্ব করে সিনেমাটি।
এর অন্যতম মূল আকর্ষণ দ্য মোটরসাইকেল ডায়েরীজ খ্যাত আর্জেন্টাইন অভিনেতা রডরিগো দি ল্য সেরনার প্রাণবন্ত অভিনয় ও উরুগুয়ান-আর্জেন্টাইন চলচ্চিত্র পরিচালক আদ্রিয়ান কাইতানোর ক্যামেরার পিছনের দূর্দান্ত কাজ।
( সতর্কীকরণ—এখানে প্রিয় কিছু চলচ্চিত্রের গল্প বলার ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়েছি মাত্র, এটা কোন মুভি রিভিউ নয়, কারণ এমন চলচ্চিত্র নিয়ে রিভিউ লেখার জ্ঞান বা প্রজ্ঞা কোনটাই আমার নেই, এটি স্রেফ ধারা বিবরণী। কাজেই যাদের চলচ্চিত্রটি এখনো দেখা হয় নি, তারা আগে দেখে ফেললেই ভাল হয়, নতুবা সব ঘটনা জানলে হয়ত আগ্রহ কিছুটা কমে যাবে। এমন লেখার ব্যাপারে সকল ধরনের পরামর্শ স্বাগতম। )
১৯৭৭ এর ২৩ নভেম্বর, আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েন্স এয়ার্সের এক শহরতলী, মাঠ কাপিয়ে খেলা চলছে স্থানীয় দুই দলের মধ্যে, খুব পরিচিত এক দৃশ্য ফুটবল পাগল দেশটার, এক দলের গোলরক্ষক ক্লদিও তামবূরিনি (রডরিগো দি লা সেরনা) প্রানপণ খেলে চেষ্টা করে যাচ্ছে সে গোল ঠেকানোর, কখনো সফল তো কখনো বিফল কিন্তু মাঠের বাইরে চলছে অন্য ঘটনা- মিলিটারীদের গুপ্তবাহিনীর একদল নিছক সন্দেহ বশে হানা দেয় তার বাড়ীতে, ব্যাপক অত্যাচার করে তার সাধাসিধে ভালমানুষ মা-এর উপর, সেই সাথে চালাতে থাকে ব্যাপক লুটপাট, পছন্দ হওয়ার মাত্রই বাড়ীটির যে কোন জিনিস গাড়ীতে তুলছিল গুপ্তবাহিনী, কারণ তাদের বাধা দেবার তো দূরের কথা, এই মহাঅন্যায়ের প্রতিবাদ জানানোরও সাহস কারো ছিলনা সেই ঘুনধরা সমাজে।
খেলা শেষে বাড়ী আসে ক্লদিও, তার মা বোন তখন জিম্মি, তাকে অনায়াসে বন্ধি করা হয়, পরিচয়পত্র দেখতে চেয়ে ম্যানিব্যাগ নিয়ে সেখান থেকে প্রথমেই টাকা সরিয়ে নেয় নিরাপত্তা বাহিনীর এক সদস্য, এ যেন তাদের উদগ্র লোভের নগ্ন বহিঃপ্রকাশ। সন্ত্রাসবাদী সন্দেহে গ্রেফতার করা হয় তাকে, যদিও প্রমাণ হিসেবে কিছু পায় না গুপ্তবাহিনী কেবল একটি হাতে লিখা ব্যানার ছাড়া, শুরু হয় ক্লদিওর বন্দীজীবন।
বন্দী জীবনের প্রথম দিনেই অদ্ভূত সব নিষ্ঠুরতার মুখোমুখি হয় ক্লদিও, এক বাড়ীতে হাজির করা হয় থাকে, যেখানকার প্রতিটি কামরায় ছিক একাধিক বন্দী এবং সবসময়ের জন্য তাদের চোখ বাধা, ফলে অত্যাচারীদের চেহারাও জানা ছিল না তাদের সেই সাথে হাত ও পা সর্বক্ষণ শেকলে বাধা, অনেকেই হয়ে গেছে চিরতরে পঙ্গু।
৩য় দিনে গেরিলাদের সাথে সংশ্রবে অভিযোগে পানিতে ডুবিয়ে প্রবল অত্যাচার চালানো হয় তাদের উপর, এমন জীবন সংশয়কারী অবস্থাতেও গোপন তথ্য উদ্ধার না হওয়ায় সারিবদ্ধ ভাবে রড দিয়ে পেটানো হয় বন্দীদের। একের পর দিন অতিবাহিত হতে থাকে বন্দীশালায়, ক্রমেই গুপ্ত বাহিনীর ইচ্ছা- অনিচ্ছার পুতুলে পরিণত হয় আমাদের প্রতিবাদী তরুণেরা। ৩১তম দিনে মুক্তি দেওয়া হল একজনকে, সেই সাথে খুব ভাল মত শাসিয়ে বলে দেওয়া হয়,সে যেন বাহিরে সেনাবাহিনীর কেবল প্রশংসা করে, যেন বলে গুপ্তবাহিনী তার অতি যত্ন নিয়েছে, এর অনথ্য হলে আবারো বন্দীত্ব নয়তো মৃত্যু।
৪৫তম দিনে তার অবস্থার জন্য দায়ী করে এক বন্ধুর উপর ঝাপিয়ে পড়ে ক্লদিও, কিন্তু বন্ধু জানায় সেই প্রবল অত্যাচারের মুখে বাধ্য হয়ে তার নাম বলেছে, এই অত্যাচারীরা অতি নাছোড়বান্দা, কেন নাম, ঠিকানা, টেলিফোন নাম্বার আদায় না করে কাউকে ছাড়তে চায় না। হোক সে সত্যি বা মিথ্যা।
আটক হবার ১১৮তম দিনে নতুন ফন্দী এটে গুপ্তবাহিনী চালায় অন্য ধরনের অত্যাচার, সম্পূর্ণ নগ্নগাত্রে, হাত-পা বেধে মেঝে মোছার সরন্জাম দিয়ে গোসল করানো হয়, মুখের সামনে আয়না ধরে জিজ্ঞেস করা হয় তারা নিজেদের মুখকে চিনতে পারছে কি না, আর চিনবেই বা কি করে, এই অত্যাচারে, আধাপেটা খেয়ে সর্বোপরি মানসিক ধকলে তারা পরিণত হয়েছে একদল জীবন্মৃতে, আর পরিবারের সদস্যরাকেও এতটা মাস ধরে জানতে পারেনি কোন খবর। সেনাবাহিনী, পুলিশ কেউ জানায়নি তাদের এতটুকু তথ্য, এই তরুণেরা যে তাদের চোখে মুক্তচিন্তার দর্শনে দীক্ষিত হবার মহাদোষে পাতিত। প্রতিটি দিন গড়ানো সাথে সাথেই পরিবর্তিত ও পরিবর্ধিত হতে থাকে অত্যাচারের মাত্রা, বন্ধীরা বুঝতে পরে শেষের ভয়ঙ্কর দিন ঘনিয়ে আসছে, যেকোন মূহুর্তেই গুপ্তহত্যার শিকার হতে পারে তারা, হন্নে হয়ে তারা খুজতে থাকে মুক্তির উপায়। কিন্তু কি করে- হাত, পা, চোখ বাধা ! দূর্গের মত এক ভবনে আটক তারা , বাহিরা অস্ত্রধারী প্রহরী সর্বদাই টহলরত- এর মাঝে কোন ফাকে আসবে মুক্তি !!
অবশেষে ক্লদিওর বন্দীদশার ১২১ তম দিনে এককামরার সেই চার পূর্বপরিচিত বন্ধু শেষ চেষ্টা করে যমের বাড়ী থেকে পালানোর, একজনের হাতের বাধন খুলে, বিছানার চাদর পাকিয়ে দড়ি করে জানালা দিয়ে মহা ঝড়-বৃষ্টির এক রাতে নিচে নেমে যায় তারা জীবনের খোজে, মুক্তির দীপ্তি ঝিলিক দেয় তাদের অবরুদ্ধ চোখের মণিতে, পশুর মত চারপায়ে হামাগুড়ি দিয়ে পুরোপুরি নগ্নাবস্থায় জীবনের নেশায় এগোতে থাকে চার তরূণ। এদিকে তাদের নিখোজ সংবাদে কেপে ওঠে পুরো রাজধানী, শুরু হয় টহলবাহিনীর তল্লাশি। কোন সময় কাপড় চুরি, কোন সময় অণুগ্রহ ভিক্ষা এমন ভাবে এগোতে থাকে আমাদের স্বপ্নগ্রস্ত তরুণেরা, আবার বাস্তবতার তাগিদের তারা আলাদা হয়ে যায় দল থেকে, যাতে ধরা না পড়তে হয়। ছড়িয়ে পড়ে তারা, আর্জেন্টিনায় সেখান থেকে ইউরোপের নানা দেশে- মুক্তজীবনের খোজে।
সিনেমার শেষ দৃশ্যের সাথে সাথে আমাদের চার তরুণের পরবর্তী জীবনের কথা ভেসে ওঠে কয়েকটি শব্দে, সেই সাথে তাদের দেশের ইতিহাস। ধারণা করা হয়, ১৯৮৩ সালে গণতন্ত্রের পথে বাক নেবার আগে সেই ৭ বছরে অনন্ত তিরিশ হাজার ব্যক্তি রাষ্ট্রীয় ভাবে সেনাবাহিনীর হাতে গুপ্তহত্যার শিকার হয়েছে। ইতিহাসের দগদগে এই ক্ষতকে সামান্য হলেও ঢাকবার খানিকটে প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে বর্তমানের আর্জেন্টিনায়, বর্তমান রাষ্ট্রপতি ক্রিষ্টিনা কির্চনারের আমলে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে সেই কালোযুগের হোতাদের।
( আর্জেন্টিনায় তো শুরু হল বিচার, কিন্তু আমাদের দেশে কবে হবে! যেখানে রাজনৈতিক ক্ষমতার জন্য প্রবল অত্যাচারী স্বৈরাচারকে দুধ-কলা দিয়ে পোষে সব রাজনৈতিক দলই, ক্ষমতার স্বার্থে জনগণকে ভুলিয়ে দেওয়া হয়েছে ৯০এর ইতিহাস, সেখানে আমরা কি আশা করতে পারি যে অন্তত সেই সময়ে শহীদদের নির্মম হত্যাকাণ্ডগুলোর ন্যায় বিচার হবে একদিন?)
মন্তব্য
নামটা দেখেই কেমন জানি "উগা-বুগা" এর কথা মনে পড়ে গেলো।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
facebook
এই "উগা-বুগা" এর একখান গল্প আছে, পরে বিস্তারিত বলবোনে।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
facebook
এই ধরনের চলচ্চিত্র দেখে অনেক কিছু জানা যায়। সেই কালোযুগের নিষ্ঠুরতা,অত্যাচার
লেখাটা ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ। কিন্তু মানুষ ভুলে যায় যদি তাকে ভুলিয়ে দেবার ক্রমাগত চেষ্টা করা হয়।
facebook
আমরা সবকিছু ভুলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকি......চারপাশে ভুলে যাওয়ার পরিবেশ সচেতনভাবে তৈরী করা হয়....তাই আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিও বিভিন্ন শিবিরে ভাগ হয়ে যায়। আমরা যারা কাঠাঁলজনতা সবসময় আতঙ্কে থাকি কি জানলাম এর কোন অংশ আমরা বিশ্বাস করব.....না করতে চাইলে ঠিক কোন কারনে করব না...................
facebook
"ইপ ইউ ডন মাইন্ড ক্যান আই আক্স ইউ ওয়ান কয়েশ্চেন?" (খোঁজ দ্যা সার্চ থেকে জলিল সাহেবের অমর ডায়লগ ধার করলাম):
আপনার দিন হয় কত ঘন্টায়? এত কিছু পড়েন, দেখেন, লিখেন ক্যামনে?
আমারও একই প্রশ্ন।
সময়ের অভাবে ফুটবল খেলা দেখা প্রায় ছেড়েই দিয়েছি
জলিল সাহেবের ডায়ালগটা দেখতে হবে দেখচি
facebook
সবসময়ের মতোই চমৎকার লেখা।
একটা কথা জানতে মঞ্চায়, আপনি ঘুরে বেড়ান কখন, বই পড়ার সময় পান কখন আর সিনেমা দেখার সময় পান কখন। তারে মাঝে আবার লেখা। উফ!!!
__________
সুপ্রিয় দেব শান্ত
এই তো, ঘুরতে ঘুরতে পড়ি, পড়তে পড়তে ঘুরি। সবই গোঁজামিল!
facebook
উপরের মন্তব্যগুলো পড়ে আমার মনে হচ্ছে, আপনি রাবণের মতো দশ মাথা আর দুর্গার মতো দশ হাতের অধিকারী।
অত্লান্তিক আর 'অতলান্তিক' এ বোধহয় তফাৎ আছে।
ভাল থাকবেন। সত্যিই আপনার বিবিধ প্রতিভায় আমি মুগ্ধ।
অতলান্তিক ই লিখতে চেয়েছিলাম, টাইপো!
আর বিবিধ প্রতিভা! এর চেয়ে যে কোন একটায় ভাল হওয়া না কি অনেক ভাল বলেই তো মুরব্বীরা বলতেন !
facebook
সিনেমাটা দেখা হয়নি। তবে এই বর্বর ইতিহাস জেনে স্তব্ধ হলাম। পৃথিবীর সব বর্বরতাই প্রায় একই রকম......
ডাকঘর | ছবিঘর
মানুষে মানুষে কতই আর পার্থক্য?
facebook
দেখার জন্য লিস্টে তুলে রাখলাম
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ফিরেছেন!
facebook
আমিও তালিকায় রাখলাম।
দেখে জানিয়েন।
facebook
বন্ধী = বন্দী
বন্ধীত্ব = বন্দীত্ব
বন্ধীদশা = বন্দীদশা
বন্দী নিয়ে দেখি পুরাই বন্ধ হইয়ে গেলাম !
facebook
। দেখতে হবে।
দেখে ফেলেন।
facebook
চমৎকার লেখার জন্য ধন্যবাদ, আশা করছি সামনে আরও ভালো কিছু মুভির তথ্য পাব।
শুভেচ্ছা, চেষ্টা করব।
facebook
facebook
একই অঙ্গে কতো রূপ রে বাবা! সচলের দ্বিতীয় ---। চমৎকার একটা লেখা পড়ে মন ভালো হয়ে গেলো।
--------------------------------------------------------------------------------
সচলের দ্বিতীয় ---। বুঝলাম না !
facebook
অবশ্যই দেখবো ।
অন্য লেখাগুলোও পড়বো ।
কড়িকাঠুরে
ধন্যবাদ
facebook
লিস্টিতে। প্রতিদিন লিস্টি যেভাবে বড় হচ্ছে, তাতে আর এক জীবনে শেষ হবে বলে মনে হচ্ছে না।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
হবে হবে
facebook
আমার লিস্টিতেও ঢুকে গেল দাদা।
লেখা বরাবরের মতই চমত্কার।
তবে এইবারে আপনি 'টাইম ম্যানেজমেন্ট' নিয়ে একটা পোষ্ট ছাড়েন দেখি।
এতকিছু করার সময় কিভাবে পান?
আপনার দিনে কি ৪৮ ঘণ্টা থাকে নাকি?
৬ ঘণ্টা তো ঘুমিয়েই যায়!
facebook
নতুন মন্তব্য করুন