দাগি রাজহাঁস ( Bar-headed Goose, Anser indicus) এর বাৎসরিক পরিযোজনের দূরত্ব অন্যান্য অনেক পরিযায়ী পাখির চেয়ে যথেষ্টই কম, কিন্তু সেই ভ্রমণের আকর্ষণ অন্য জায়গায়। তাদের প্রজননক্ষেত্র তিব্বতের সুউচ্চ মালভূমিতে এবং শীতকালীন বিচরণক্ষেত্র ভারতবর্ষের নিচু এলাকায়। প্রতি শীতে তাদের অতিক্রম্য দূরত্ব মাত্র ৭০০- ১০০০ কিলোমিটার, এবং বাতাসের যথেষ্ট সহযোগিতা পেলে এই দূরত্ব ১ দিনেও অতিক্রম করা সম্ভব। কিন্তু পরিযায়ী পাখিটির এই সংক্ষিপ্ত যাত্রাপথের মাঝে আছে আমাদের গ্রহের উচ্চতম পর্বতশ্রেণী দুর্লঙ্ঘ্য হিমালয়!
নানা প্রজাতির সারস, হাঁস, রাজহাঁসেরা পরিযাজনকালীন সময়ে হিমালয়ের এই বাঁধা অতিক্রম করেই দক্ষিণ এশিয়ায় আসে, কিন্তু এই সময়ে তারা হিমালয়ের নানা ফাঁক-ফোঁকর দিয়ে ( গিরিখাদ, উপত্যকা) পার হয়, বিশেষ করে চির হিমের আকর সুতীক্ষ সুউচ্চ চূড়াগুলো থেকে সন্মানজনক দূরত্ব বজায় রাখে।
কিন্তু দাগি রাজহাঁস সবসময়ই সোজা চূড়াগুলোর উপর দিয়ে উড়ে আসে, প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে এরা মাউন্ট এভারেস্টের কাছাকাছি ৮০০০ মিটার ( ২৬,৪০০ ফিট) উচ্চতায় উড়তে উড়তে অনেকক্ষেত্রেই ৯০০০ মিটার ( ২৯,৭০০ ফিট) উচ্চতা অতিক্রম করে থাকে। আমাদের গ্রহের আর কোন পাখিই এত নিয়মিত ভাবে এই উচ্চতায় উড়ে না।
এত উচ্চতায় মানবজাতি যে বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারবে না তা বলাইবাহুল্য, তাপমাত্রা হয়ে দাঁড়ায় হিমাঙ্কের ৫০ ডিগ্রী সেলসিয়াস নিচে, বাতাসের অক্সিজেনের পরিমাণ হয় সমতলের মাত্র এক-তৃতীয়াংশ। কিন্তু দাগি রাজহাঁসের আছে অতি বিশালাকৃতির শক্তিশালী হৃৎপিণ্ড এবং ক্ষমতাশালী ফুসফুস। আর সেই সাথে কোটি কোটি বছরের বিবর্তনের ফলে ক্রমাগত পরিবেশের সাথে চমৎকার ভাবে খাপ খাইয়ে নেওয়ায় তাদের রক্তে আছে একাধিক ধরনের হিমোগ্লোবিন! যার কারণে এই ভিন্ন ভিন্ন রক্তকণিকাগুলো বিভিন্ন উচ্চতায় পরিভ্রমণের সময় আলাদা আলাদা বায়ুচাপের সাথে সামঞ্জস্য রেখে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন গ্রহণ করতে পারে।
(আলোকচিত্রটি পাখিবিশেষজ্ঞ ইনাম আল হকের তোলা, তার অনুমতিক্রমে ব্যবহার করা হল। )
বর্ণনা- দাগি রাজহাঁস বড় আকারের জলচর পাখি ( দৈর্ঘ্য ৭৩ সেমি, ওজন ১.৬ কেজি, ডানা ৪৫ সেমি, ঠোঁট ৫.৫ সেমি, পা ৭.১ সেমি, লেজ ১৪.৮ সেমি)। প্রাপ্তবয়স্ক পাখি দেখতে ধূসর মনে হয়। সাদা মাথা থেকে সাদা একটি লাইন ধূসর গলার নিচ পর্যন্ত নেমে গেছে, মাথায় দুটি স্পষ্ট কালো ডোরা থাকে, ওড়ার সময় এদের সাদা মাথা, ফিকে দেহ ও ডানার কালো আগা স্পষ্ট চোখে পড়ে। এদের চোখ বাদামি, হলুদ ঠোঁটের ডগা ও নাক কালো, পা ও পায়ের পাতা গাঢ় হলুদ। মেয়ে ও ছেলে পাখির চেহারায় কোন পার্থক্য নেই। অপ্রাপ্তবয়স্ক পাখি মাথায় ডোরা নেই, এর সাদা কপাল, গাল ও গলা মলিন, ধূসর- বাদামি মাথার চাঁদি ও ঘাড়ের নিচের অংশ থেকে পৃথক করেছে, পিঠ ও পেটের রঙ এক।
স্বভাব- দাগি রাজহাঁস বাংলাদেশে লতাপাতা ঘেরা জলাশয়ের পাড়, জনবসতহীন উপকূলীয় দ্বীপ এবং বড় নদীর চরে বিচরণ করে। সাধারণত ৫- ১০০ পাখির ঝাঁক চোখে পড়ে। রাতে খাবার খেলেও দ্বীপাঞ্চলে এদের দিনেও খাবার খেটে দেখা যায়।
খাদ্যতালিকায় আছে সবুজ ঘাস, লতাপাতা ইত্যাদি। মাঝে মাঝে উপকূলের ধানক্ষেতেও হানা দেয়। সোজা লাইনে অথবা V আকৃতির সারিতে এরা উড়ে চলে। খাওয়ার সময় এরা নাকি সুরে ডাকে—গ্যাগ- গ্যাগ- এবং কোলাহলময় ডাক আহনঙ- আঙ- আঙ- যা অনেক দূর থেকে শোনা যায়।
মে-জুন মাসে তিব্বতে হিমালয়ের উঁচু জলাভূমিতে এদের প্রজনন হয়। হ্রদের ধারের মাটিতে লতাপাতার মাঝে পালকের বাসা তৈরি করে এরা ডিম পাড়ে। ডিমগুলো গজদন্তের মত সাদা, সংখ্যায় ৩-৪ টি, মাপ ৮.৪ X ৫.৫ সেমি। মেয়েপাখি একাই ডিমে তা দেয়, ৩০ দিনে ডিম ফোটে। বাবা ও মাপাখি উভয়ে মিলে ছানা পালন করে।
বিস্তৃতি- দাগি রাজহাঁস বাংলাদেশের দুর্লভ পরিযায়ী পাখি, শীতকালে উপকূলে থাকে, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ঢাকা, খুলনা ও সিলেট বিভাগের বড় জলাভূমিতে কালে ভদ্রে দেখা যায়। দক্ষিণ, পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, সাইবেরিয়া, মঙ্গোলিয়া, আফগানিস্তান ও চীনে এর বৈশ্বিক বিস্তৃতি রয়েছে।
অবস্থা- দাগি রাজহাঁস বিশ্বে বিপদমুক্ত বলে বিবেচিত। বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী আইনে এ প্রজাতি সংরক্ষিত।
বিবিধ- এর বৈজ্ঞানিক নামের অর্থ ভারতবর্ষের রাজহাঁস। ল্যাটিন Anser= রাজহাঁস, indicus= ভারতবর্ষের।
(তথ্যসূত্র- Extreme Birds, বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষের পাখি খণ্ড)
পালকাবৃত বন্ধুদের নিয়ে লেখা এই সিরিজটি সেইসব মানুষদের জন্য, এই গ্রহের প্রতিটি বুনো পাখির পালকে আমি যাদের প্রতিচ্ছবি দেখতে পাই--
ডেভিড অ্যাটেনবোরো
জেরাল্ড ডারেল
কনরাড লোরেঞ্জ
ইনাম আল হক
সালিম আলী
জেমস অডুবন
রজার টোরে পিটারসন
মন্তব্য
পাখি পর্যবেক্ষণ একটা চমৎকার হবি। এদের বিশেষ শারিরীক গঠন ও রক্তের বিশেষ বৈশিষ্ট পড়ে ভাবনা এলো, ঠিক কোন অভিযোজন কারনে এরা এতো উচ্চতায় ভ্রমণ করে!
আরেকটা কথা, রাজহাঁসের নামে দাগি শব্দটার ব্যবহার কি পালকে দাগের উপস্থিতির কারনে?
দাগি আসামী শব্দজোড়াও কি জেলখানার স্ট্রাইপ কাপড়ের কারনে! জাস্ট ভাবছিলাম।
দাগি শব্দটা মাথার দাগ থেকেও আসতে পারে, জিজ্ঞেস করতে হবে। নতুন বাংলা নামে অনেক পাখিকেই দাগি বলা হয়েছে।
হিমালয়তো এমনিতে বেশ তরুণ পর্বত, তিব্বতের মালভূমির অনেকাংশের চেয়ে তো বটেই। এখন পাখিরা ঠিক কত বছর ধরে এমন ভাবে পরিভ্রমণ করে তা নিয়ে বিশদ তথ্য লাগবে তত্ত্ব খাড়া করতে হলে।
facebook
ডিকশেনারি টা কাছে নেই; আমার মনে হয়, দাগি শব্দটা identical criminal বা অনেক অপরাধ করা ( এবং অপরাধগুলো সনাক্তকৃত), তাকে দাগি আসামী বলে। শিওর না, সেন্স থেকে বল্লাম।
লেখা সুন্দর। ভালো লাগলো তারেক অণু ভাই।
খুশি তো? এইবার মিশাই নাই
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
দাগির উৎপত্তি জেনেই জানাচ্ছি।
facebook
ঠিক আছে-
তবে কোন দাগ থাকলে সেটাও দাগি বলে পরিচিত
কড়িকাঠুরে
তাই হবার কথা-
facebook
এখানে অন্যকিছু হবার তো কারণ দেখছি না আর
দাগ আছে বলেই দাগি- আলাদা তো করতে হবে ।
কড়িকাঠুরে
facebook
একমত।
সমসদ বাংলা-ইংরেজী অভিধান ‘দাগি’ শব্দের অর্থ জানাচ্ছেঃ পূর্বে সাজাপ্রাপ্ত [এমন আসামি] (previously convicted).
‘দাগি’ ও ‘আসামি’ বানানদু’টি লক্ষ্য করার মতো। আমি অবশ্য বানানে মোটেও বিশেষজ্ঞ নই; তাই মন্তব্যও করছি না।
সিরিজটি খুবই প্রিয়। ধন্যবাদ তারেক অণু'কে।
নামকরণকারী দেশের বাহির আছেন, ফোনে যোগাযোগ সম্ভব হচ্ছে না। পরে জানাচ্ছি কি কারণে বেশ কিছু পাখী বাংলা নামে দাগি শব্দটি যুক্ত করা হয়েছে।
facebook
ধন্যবাদ, তারেক ভাই।
দাগ (স্পট) থেকে 'দাগি' নামকরণ খুবই বোধগম্য ব্যাপার, নামকরণকারীকে জিজ্ঞেস করার দরকারও দেখছি না। আমি শুধু 'দাগি' ও 'আসামি' সংক্রান্ত আরিফুর রহমানের মন্তব্যে ক্রেসিডা'র প্রতি-মন্তব্যের সাথে সুর মিলিয়েছি মাত্র।
পরের পর্বের অপেক্ষায় ...
দাগি রাজহাঁস বিশ্বে বিপদমুক্ত বলে বিবেচিত।
#যাক অন্তত একটি প্রজাতিকে বিপদমুক্ত হিসেবে পাওয়া গেল, তাইবা কম কিসে?
>অনেক সুন্দর প্রিয় তারেক অণু ভাই, ভাল থাকুন সবসময়
কম না, ঠিক আছে, কিন্তু এটি যেন বিপদমুক্ত থাকে সেটিও আমাদেরই খেয়াল রাখতে হবে।
facebook
কঠিন অবস্হা! ৯০০০ মিটারে এরা কেন উঠতে যায় ফাঁকফোকর রেখে জানতে ইচ্ছা করছে।
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
ঠিক বলা যাচ্ছে না, হয়ত সেখানে শিকারি ঈগলের শিকার হওয়ার ঝুঁকি নেই ! আবার অনেক পাখিই কিন্তু কোন কারণ ছাড়াই কেবল শো অফের জন্য অনেক উঁচুতে উড়ে !
facebook
পরযায়ী'রা আসলেই খেয়ালী- ৯০০০মিটার!!!
এটাই ওদের জীবন---
পড়ে হাঁস হাঁস গন্ধ পাচ্ছি---
কড়িকাঠুরে
ঠিক খেয়ালী না, জীবনের প্রয়োজনেই এমনটা হতে হয়েছে।
facebook
ওই তো জীবনটাই খেয়ালী---
পরযায়ী'রা এমনই
কড়িকাঠুরে
আসলে ওড়া কিন্তু খুবই কঠিন একটা কাজ, দেখবেন পাখিরা ঠেলায় না পড়লে উড়তে চায় না, অনেক পাখিও দরকার না থাকায় ওড়া ভুলে গেছে।
facebook
জীবনের প্রয়োজনেই তো উড়ে---
জীবন আছে তাই উড়াও আছে---
দরকার না থাকায় উড়ে না- মানে তো জীবনে ওদের উড়বার প্রয়োজন নেই
কড়িকাঠুরে
"বুড়ো আংলা"- গল্পের কথা মনে পড়ে গেলো। হাসের পিঠে চড়ে মানস সরোবর !!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
আহা, বুড়ো আংলা !
facebook
এইসব হাঁসেদের দলে শেরপা থাকেনা অনু ভাই? এরা কতশত বার হিমালয় অতিক্রম করল, অথচ মানবকূল এদের প্রাপ্য সম্মানটুকু দিলনা
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
ওরা সবাই-ই মনে হয় শেরপা
facebook
বুদ্ধ মূর্তির সাথে ছবি না দেখে কিভাবে শিওর হই ওরা হিমালয় পাড়ি দেয়?
আপনার এই সিরিজটা দারুন।
__________
সুপ্রিয় দেব শান্ত
অন্যদের ক্ষেত্রে যেভাবে শিওর হয়েছেন
facebook
খাইসে! এভারেষ্টের উচ্চতায় পাখি!!!!
কইমাছের প্রাণ বাগধারাটা বদলে দাগি রাজহাঁসের প্রাণ বলা উচিত আমাদের
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
আমরা তো প্রায়ই ভুল বিশেষণ প্রয়োগ করি, যেমন বনের রাজা সিংহ! সিংহতো বনের প্রাণীই না !
facebook
"কিন্তু দাগি রাজহাঁস সবসময়ই সোজা চূড়াগুলোর উপর দিয়ে উড়ে আসে, প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে এরা মাউন্ট এভারেস্টের কাছাকাছি ৮০০০ মিটার ( ২৬,৪০০ ফিট) উচ্চতায় উড়তে উড়তে অনেকক্ষেত্রেই ৯০০০ মিটার ( ২৯,৭০০ ফিট) উচ্চতা অতিক্রম করে থাকে।"
বিবিসি'র একটা ডকুমেন্টরিতে দেখেছিলাম দাগি রাজহাঁস হিমালয় অতিক্রম করে, কিন্তু এভারেস্ট অতিক্রমের কোন চাক্ষুশ বা জিপিএস উপাত্ত এখনো তারা পায়নি। বানগর বিশ্ববিদ্য়ালয়-বিবিসি-মাক্স প্লান্ক ইন্স্টিটিউটের করা সমীক্ষাটি এখানে পাওয়া যাবে। এখানে দেখা যাচ্ছে পাখিগুলো আনুমানিক ৬ হাজার মিটারের ওপরে ওঠেনা।
তবে ৬ হাজার মিটারও কম কিসে?
***
১.৬ কেজি ওজন কি ন্য়ুনতম? আমার চোখে এগুলোকে আড়াই/তিন কেজির নিচে মনে হয়নি।
***
গুজ ও রাজহাঁস, সোয়ান ও রাজহাঁস। বড় অবিচার।
***
ঠিকমত রান্না করতে পারলে পোষা রাজহাসের মাংস বেশ উপাদেয় হয়। কিনতু দাগি বা তার চাচাতো ভাইয়েরা (আন্সার আন্সার) মোটেও মোলায়েম নয়, ৫ কেজির একটা পাখির থেকে খাবার যোগ্য় ১ কেজি গোস্ত পাওয়া গেলে আপনি ভাগ্য়বান। ফাঁপা হলেও এদের হাড্ডি এত শক্ত যে লোহার তার কাটার সরতা দিয়েও এদের ডানা-পা এর হাঁড় কাটা যায়না। আর বুকের মাংস ছাড়া অন্য় কোন জায়গার মাংসের কাছে আমার প্রেস্টিজ প্রেশার কুকারও হার মেনে বসেছিল। হয়তো উপাদেয় না বলেই এগুলোকে সফলভাবে সুরক্ষা করা গেছে, আর তারফলে এরা সংখ্য়ায় প্রয়োজনের চাইতে অনেক বেড়ে গেছে। হল্য়ান্ডের আম্স্টারডাম বিমানবন্দরে উপায়ান্তর না দেখে এদের নিধনের অনুমতি দেয়া হচ্ছে। কিন্তু এর গোস্ত কেউ খেতে চায়না বলে আপাতত এই 'আন্সার' এরা ফকির মিসকিনদের প্লেটেই উঠবে।
দুর্দান্ত মন্তব্য।
এরোডাইন্যামিক-নেসের চুড়ান্ত দেখা যাচ্ছে এই দাগী পাখিদের কাঠামোতে। পাখি বলতে আমরা যে কোমল পুতুপুতু একটা ভাব সঞ্চার করি, দাগী ভায়া'র বর্ননা পড়ে তার বদলে সমীহ সঞ্চার হচ্ছে।
পরিচয় করিয়ে দেবার জন্য লেখকের প্রতি
গুজ ও রাজহাঁস, সোয়ান ও রাজহাঁস। বড় অবিচার। ঠিক!
আপনি মিয়াঁ খাবার টানলেন যে এর মধ্যে ! বাকী তথ্যগুলোর রেফারেন্স দিয়েছি, সেইখান থেকেই নেওয়া।
facebook
এইডারে মনে হয় আমি দেখছি।
ডাকঘর | ছবিঘর
হতে পারে। জলাতে যায় তারা।
facebook
পাখি দেখে দেখে খুবই আশ্চর্য লাগে আমার। এইটুকু ছোট্টো হামিংবার্ড, উরে বাবা কী ব্যস্তসমস্ত সদাই। আর চড়াইগুলোই বা কম কী ? কী স্মার্ট! আর মকিংবার্ড, কোথায় লুকিয়ে বসে কত রকমের সুরে যে ডেকে যায়! একদল কালো পাখি দেখি, নাম জানি না, চকচকে কালো আর বাদামী পালক, দল বেঁধে ঘাসবনে খাবার খোঁজে। আর দেখি নীল ব্লুজে, লাল কার্ডিনাল---সবাই কী ব্যস্ত।
আপনারা যারা পাখি দেখতে দুনিয়া ঘুরে বেড়ান, কী ভালো ই না করেন! আহা, কী সুন্দর ডানা ঝাপটানো হাঁসটা। ঐ অত হাজার ফিট উঁচু দিয়ে উড়ে আসে!!! কত সব আশ্চর্য ব্যাপার লুকিয়ে আছে জীবজগতে। খুব ভালো লাগলো।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
প্রতিটি জীবই কি অসীম বিস্ময়ের আঁধার!
ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্যের জন্য।
facebook
ভাল লাগল।
আহা ঐরকম একখান হৃৎপিণ্ড আর একখান ফুসফুস যদি আমার থাকত !!
দিনে ১৫ কিমি জগিং শুরু করেন আপাতত
facebook
আহা, পাখি নিয়ে পোস্ট - (গুড়) (গুড়) (গুড়)
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
বড় পোস্টটা দেখেন নাই!
facebook
এভারেস্টের উচ্চতায় পাখি থাকতে পারে কল্পনা করাই কঠিন!!
কোয়েল পাখি আমার খুবই প্রিয়। তবে অবশ্যই খেতে না,পালতে, বাসার বড় বারান্দায় ৪টা কোয়েল পাখি ছাড়া ছিলো,খুবই মজা লাগতো এদের কাজকর্ম দেখতে। মাঝে মাছে জার রেখেছিলাম বারান্দায়,কোয়েল গিয়ে সোজা পড়লো জারের মধ্যে,ভাগ্যিস তাড়াতাড়ি দেখতে পেয়েছিলাম। আরেকবার মশারী দিয়ে ঘর বানিয়ে দিয়েছিলো আমার বাবা,একটা পাখি সেই মশারীতে এমন ভাবে জড়ায় গেলো যে কেটে উদ্ধার করা লাগলো সেটাকে। তেলাপোকা পেলে ওগুলার ইদের আনন্দ ছিলো।
আপনার এ সিরিজটি আমার খুব পছন্দের,চালিয়ে যান :)।
দারুণ, কোয়েল পালন নিয়ে একটা লিখা দিন! একবার দাগি কোয়েল দেখতে ফরিদপুরে যে কি এক অ্যাডভেঞ্চার হয়েছিল ।
facebook
মডারেটররা আমার অ্যাকাউন্টটা অ্যাকটিভেট করে দিলোনা আজ পর্যন্ত :-(।
আপনি কি এক অ্যাকাউণ্ট থেকেই মন্তব্য করেন এবং লেখেন?
facebook
হ্যা একই অ্যাকাউন্ট থেকেই করি।
কয়েকবার মন্তব্য করার চেষ্টা করে করতে পারলামনা,ক্যাপচা পূরণ করতে বলি কিন্তু আমি কোনো ক্যাপচা দেখছিনা। আমি মূলত মুক্তমনায় লিখি,এখানে মন্তব্য করি কিন্তু কোনো পোস্ট দেইনি।
facebook
নতুন মন্তব্য করুন