একজন মানুষের ছবি শৈশব থেকেই আমার মানসপটে খোদাই হয়ে আছে-পাতলা ধরনের মানুষটির মুখে এক চিলতে হাসি, নাকের নিচে সরু গোঁফ, মুখে বিনয়ী ভাব কিন্তু চোখ দুটো যেন আনন্দের জোয়ারে ভাসছে। মানুষটির হাত ভর্তি পুরস্কারের ট্রফি, সেগুলোর সংখ্যা এটি বেশী যে দুই হাতে আগলাতে যেন হিমসিম খাচ্ছেন তিনি। মলিন নিউজপ্রিন্টে ছাপা খবরের কাগজটি যেন প্রাণোচ্ছলতায় ভরে উঠেছে কেবল তার হাসিময় চোখ দুটোর জন্য। কে তিনি? এত পুরস্কার কিসের?
নাম তার জহির রায়হান, পুরস্কারগুলো তিনি চিত্রপরিচালক হিসেবে পেয়েছিলেন তৎকালীন পাকিস্তানের চলচ্চিত্র উৎসবে। কোন জহির রায়হান? বিটিভির পর্দায় বারংবার দেখানো অসাধারণ চলচ্চিত্র জীবন থেকে নেওয়া-র স্রষ্টা। আরো অনেক পরে পরিচিত হলাম তার ক্ষুরধার লেখনীর সাথে, আরেক ফাল্গুনের চরিত্রের সাথে জোর গলায় বললাম- আসছে ফাল্গুনে আমরা কিন্তু দ্বিগুণ হবো। হাজার বছর ধরে আমাকে নিয়ে যায় বাংলা নামের দেশটার সুপ্রাচীন জীবনধারার বহমান স্রোতের মাঝে, শেষ বিকেলের মেয়ে আর বরফ গলা নদী যেন মধ্যবিত্ত সমাজের বাস্তব দর্পণ। আর মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এক অসাধারণ ছোট গল্প ছিল আমাদের স্কুলের বইয়ে যেখানে এক নাম না জানা মুক্তিযোদ্ধার রোজনামচায় মূর্ত হয়ে উঠেছিল সংগ্রামময় আনন্দ বেদনার কাব্য।
কি হয়েছিল এই অসাধারণ প্রতিভাবান মানুষটির? জানলাম ১৯৭২ সালের জানুয়ারি মাসে মাত্র ৩৬ বছর বয়সে উনি নিখোঁজ হন। নিখোঁজ? স্বাধীন দেশে? কেন? কিভাবে! পরম প্রতিভাবান বলতেই যে নমস্য মানুষগুলোর প্রতিকৃতি আমার চোখে ভেসে ওঠে তাদের মধ্যে কয়েক জন-লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি, আইজ্যাক নিউটন, মেরি কুরি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সত্যজিৎ রায়, জহির রায়হান। একের মাঝে অনেক কিছু ছিলেন তারা, এদের আবির্ভাব আলোকিত করেছে সমস্ত জাতিকে, সমগ্র মানবসমাজকে। মাত্র ৩৬ বছর বয়সে যখন প্রতিভা পৌঁছে পরিপূর্ণতার দিকে তখনই একজন সূর্যসন্তানের নিখোঁজ হওয়া ঠিক মানতে পারি না, জানতে চেয়েছি কি হয়েছিল জহির রায়হানের?
স্বাধীন বাংলাদেশে নিখোঁজ বড় ভাইয়ের সন্ধানে যেয়ে হারিয়ে গিয়েছেন তিনি চিরতরে, তার মৃতদেহটির সন্ধান পাওয়া যায় নি আজও! কে ছিলেন তার বড় ভাই?
শহিদুল্লাহ কায়সার। কোন শহিদুল্লাহ কায়সার? বাংলা সাহিত্যের অন্যতম সেরা কারিগর, যিনি আমাদের উপহার দিয়েছেন সারেঙ বউ, সংসপ্তকের মত অমর উপন্যাস সেই শহিদুল্লাহ কায়সার। নির্ভীক সাংবাদিক শহিদুল্লাহ কায়সার।
তিনি নিখোঁজ হলেন কি ভাবে? না, উনাকে বাড়ী থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। মুখে কাপড় বেঁধে জল্লাদেরা বাংলা সাহিত্যের উজ্জল নক্ষত্র শহিদুল্লাহ কায়সারকে হত্যা করার জন্য নিয়ে গিয়েছিল ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর। তার কোন সন্ধান, লাশের খোঁজ আর পাওয়া যায় নি।
১৪ ডিসেম্বর! সে তো বাংলাদেশে স্বাধীন হবার মাত্র দিন ২ আগে! তখন তো প্রায় সারা দেশই মুক্ত হয়ে গেছে, ঢাকায় পাক হানাদারদের অস্ত্র সমর্পণের আনুষ্ঠানিকতা বাকী, এই সময় কেন হত্যা করা হল আমাদের অন্যতম সেরা ঔপন্যাসিককে?
একজন জহির রায়হানের শূন্যতা আজো পূরণ করা সম্ভব হয়নি প্রায় ২০ কোটি ছুঁই ছুঁই করা জনগোষ্ঠীর। অকালপ্রয়াত চিত্রপরিচালক তারেক মাসুদ আক্ষেপ নিয়েই বলেছিলেন- জহির ভাই বেঁচে থাকলে মুক্তিযুদ্ধে অনেক মানবিক ঘটনা নিয়ে অসাধারণ সব চলচ্চিত্রের সৃষ্টি আমরা দেখতাম।
একজন শহিদুল্লাহ কায়সারের শূন্যস্থান পূরণ হবে না কোনদিন, জাতি তার উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত চলচ্চিত্র দেখবে, নাটক দেখে শিহরিত হয়ে ভেবেই যাবে ৪৩ বছর বয়সে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়া মানুষটির কলমে কতখানি এগোতে পারত স্বাধীন বাংলা।
মুনীর চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ব-বিদ্যালয়ের রূপকথার রাজপুত্র, ১৯৫৮ সালে হাভার্ড থেকে ভাষাতত্ত্বে এম এ করেছিলেন ভাষা আন্দোলনের এই সক্রিয় কর্মী, জেলের আঁধার গহ্বরেই রচনা করেছিলেন কবর নামের দীপ্ত নাটকটি, বাংলা ভাষার অন্যতম শ্রেষ্ঠ নাট্যকার রক্তাক্ত প্রান্তর রচনা করে বাংলা একাডেমী পুরস্কারও পেয়েছিলেন। এমন শ্রেষ্ঠ সন্তানকে আল-বদর বাহিনী ১৪ ডিসেম্বর অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যায় হত্যা করে বাংলাদেশকে চির আঁধারে নিমজ্জিত করার মানসে। আমরা হারিয়েছিলাম এক সূর্য সন্তানকে যার বয়স হয়েছিল মাত্র ৪৬ ।
শিশুকালেই রাজশাহী বিশ্ব-বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্বরে অবস্থিত শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালায় প্রায়ই যেতাম স্কুল ছুটির পরে। কিছু ঘরে মানুষের খুলি, হাড়গোড়, লাশের রক্তাক্ত সব আলোকচিত্র দেখে ভয় ভয় করত ঠিকই, তাই সেই এলাকাগুলো এড়িয়ে মূলত বিজয়ের পতাকা ওড়ানো ছবিগুলো দেখার জন্য মূলত বারবার যাওয়া হত, সেই সাথে ছিল বাংলাদেশের প্রথম ডাকটিকেট সেটটির উপর নজর বুলানোর আকাঙ্ক্ষা। অনেক অনেক শহীদ মানুষের ছবি ছিল সেখানে, তার মাঝে আলাদা করে খুব রূপবান একজন মানুষের সাদা-কালো আলোকচিত্রের দিকে চোখ চলে যেত, অনেকটা উত্তম কুমারের মত দেখতে মানুষটির নাম ছিল ডঃ ফজলে রাব্বি। শুনলাম এই মানুষটির হৃৎপিণ্ড উপড়ে নিয়ে ছিল মানুষরুপী হায়েনারা মুক্তিবাহিনীর সাথে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে।
ব্যক্তিগত ভাবে বাংলা ভাষার শ্রেষ্ঠ গান মনে হয় আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারীকে, আলতাফ মাহমুদের সুরে। একটি সঙ্গীতের সুরারোপের মাধ্যমে অমরত্ব পাওয়া সেই সুরকার আলতাফ মাহমুদকে থামিয়ে দিয়েছিল ঘাতকের বুলেট।
রাইফেল, রোটি, আওরাত- বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ নিয়ে লেখা একমাত্র উপন্যাস যা রচিত হয়েছিল যুদ্ধ চলাকালীন সময়েই। লেখক অধ্যাপক আনোয়ার পাশা বইটির ছত্রে ছত্রে অসীম দক্ষতায় ফুটিয়ে তুলেছেন সেই নারকীয় হত্যাযজ্ঞের ভয়াবহতা। এবং শেষে বইটির চরিত্রগুলোর মতই নির্মম হত্যার শিকার হলেন তিনি, ১৪ই ডিসেম্বর বধ্যভূমিতে নিয়ে যাবার জন্য হাজির হল জল্লাদের দল আনোয়ার পাশার বাড়ীতে।
এমন কত নাম, কত দুঃখ আমাদের দেশমাতার, তার পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙ্গে পড়ার সন্ধিক্ষণে হারিয়ে গেলে চিরতরে তার শ্রেষ্ঠ সন্তানেরা, রয়ে গেল কেবল তাদের অমর কীর্তি।
গোবিন্দ্র চন্দ্র দেব, জ্যোতিময় গুহ ঠাকুরতা, আ ন ম মনিরুজ্জামান, অনুদ্বৈপায়ন ভট্টাচার্য, মুহম্মদ আবদুল মুকতাদির, মোহাম্মদ সাদেক, আবুল খায়ের, সন্তোষ ভট্টাচার্য, রাশীদুল হাসান, গিয়াসুদ্দীন আহমদ, সুখরঞ্জন সমাদ্দার, আবুল কালাম আজাদ, মহদিন আলী দেওয়ান, রফিকুল ইসলাম, আহসান আলী, মোঃ সাদত আলী, ফয়জুল মহী, আবদুল কাইয়ূম, হাবিবুর রহমান, গোলাম রহমান, মোয়াজ্জেম হোসেন, এস এম ফজলুল হক, আবুল হাশেম মিয়াঁ, ফয়জুর রহমান, মঞ্জুরুর রহমান, সিরাজুদ্দীন হোসেন, নিজামুদ্দীন আহমেদ, সৈয়দ নজমুল হক, জহিরুল ইসলাম, আ ন ম গোলাম মোস্তফা, মেহেরুন্নেসা, নজমুল হক সরকার, এ কে এম সিদ্দিক, সেলিনা পারভিন, আবদুল জোব্বার, মামুন মাহমুদ, মোঃ আনোয়ারুল আজীম, যোগেশ চন্দ্র ঘোষ, আলীম চৌধুরী, আনোয়ারুল আজিম, মোহাম্মদ মোর্তজা, জিকরুল হক, মোহাম্মদ আলমগীর- এমন কত নাম, যারা ছিলেন জাতির বিবেক, যারা বেঁচে থাকলে হয়ত আমরা এতটা অধঃপতনের ভিতরে যেতাম না।
এখন কয়েক মিনিটের তথ্যচিত্রটি দেখুন পরের অংশ পড়ার আগে-
বাংলাদেশে আক্রমণের শুরুতেই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নির্বিচারে গণহত্যা চালিয়েছিলে ঢাকা বিশ্ব-বিদ্যালয়ে, ছাত্র-শিক্ষক সকলকেই নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা চালিয়েছিল কেবল নিজেদের ধামাধরা দালালদের বাদ দিয়ে। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির উপর বিশাল ক্ষোভ ছিল তাদের প্রথম থেকেই, এখান থেকেই যে জন্ম নিত বাংলার সমস্ত সংগ্রাম, ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১ পর্যন্ত নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে বাঙ্গালী জাতিকে প্রতিরোধে রসদ জুগিয়ে গেছে সবসময়ই। তাই তারা চেষ্টা চালাল প্রথমেই এর মুক্ত কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ করে দিতে।
আর যখন পাকিবাহিনী দেখল পরাজয় কেবলমাত্র কয়েক দিনের দূরত্বে, বাংলা ছাড়ার আগে তারা গ্রহণ করল সেই পৈশাচিক পরিকল্পনা, নীলনকশা প্রণয়ন করল নজিরবিহীন হত্যাকাণ্ডের, তাদের সম্পূর্ণ ভাবে সাহায্য করল পোষা আল-বদর বাহিনী। এমন ব্যবস্থা করল যেন বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও যেন মাথা চাড়া দিয়ে উঠে মুক্তচিন্তার পথে চলতে অনেক অনেক বছর লাগে। সেই হত্যাকারীদের সাথে কারা কারা জড়িত ছিল তা আমাদের জানা আছে।
আশার কথা আজ এত দশক পরে হলেও শুরু হয়েছে তাদের কয়েকজনের বিচার, কিন্তু এর ফাঁকে সময় গড়িয়েছে অনেক। রাজনীতি জটিল মারপ্যাঁচে সেই অপরাধীদের অনেক আজ বিশাল ক্ষমতাশালী, ধর্মের লেবাস ধরে ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর কাছে তারা বিশেষ সন্মানিত।
আজ অনেকের মনেই প্রশ্ন গোলাম আযমকে এই ৮৯ বছর বয়সে গ্রেফতার করে কারাবন্দী করা কি খুব জরুরী ছিল?
উত্তর- যতই পুরনো হোক আপনার অপরাধ কিন্তু অপরাধই! বয়স হলেই শয়তান কিন্তু সাধু হয়ে যায় না। যারা এমন চিন্তাধারা পোষণ করেন তার একটু চিন্তা করেন এই ৮৯ বছরের বৃদ্ধ ১৯৭১ সালে কি কাজগুলো করে ছিলেন! কত হত্যাকাণ্ড, কত ধর্ষণের সাথে তার মূল ভূমিকা ছিল।
খুব ছোট অবস্থায় একটা কার্টুন পত্রিকাতে গোলাম আজমের কাল্পনিক শাস্তির নানা কার্টুন দেখে বিমলানন্দ পেয়েছিলাম সেখানে নানা শাস্তি যেমন ৫ টন কাগজে রাজাকার বিরোধী রচনা লেখা, পৌরসভার ময়লা ফেলার ট্রাকে প্রতিদিন ঢাকা ভ্রমণ, মুষ্টিযোদ্ধা চ্যাম্পিয়নের সাথে রিঙ-এ নামা ইত্যাদি। কিন্তু একটা কার্টুন বুঝতাম না, লেখা ছিল গোলাম আযমকে ঢাকা বিশ্ব-বিদ্যালয় এলাকায় ছেড়ে দেওয়া! তখন বিশ্ব-বিদ্যালয় পড়ুয়া মামা বলেছিলেন, আরে ভাগ্নে বুঝিস না কেন, গোলাম আযমকে বিশ্ব-বিদ্যালয় এলাকায় পেলে সাধারণ জনতায় তার শাস্তি কড়ায়-গণ্ডায় বুঝিয়ে দেবে। কিন্তু এখন কি মামা সেই কথা জোর গলায় বলতে পারবেন!
মতিউর রহমান নিজামির সেই সময়ের পত্রিকায় প্রকাশিত বক্তব্যে জানা যায় তাদের ভূমিকা কি ছিল, বছর কয়েক আগেই রাজনৈতিক দলের কারণে গাড়ীতে স্বাধীন বাংলা পতাকা উড়িয়ে মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা এই নরপশুর এবং তার সাঙ্গদের মনে রাখা উচিত এক সময়ের রাজাকার সবসময়ের রাজাকার।
আলী আহসান মুজাহিদের ধর্মীয় লেবাস দেখে কি জাতি ভুল গেছে তার আসল চেহারা! একবার ক্ষমতায় গেলেই যে তার দানবীয় আসল রূপ প্রকাশ পাবে তা বুঝতে কি খুব বেশী বুদ্ধি লাগে!
দেশদ্রোহীর কোন দল নেই, কোন ধর্ম নেই। রাজাকার, রাজাকারই। সে তার পূর্বের দল জামাতই করুক বা ভোল পালটে বি এন পি, জাতীয় পার্টি, আওয়ামী লীগ যে দলেই যোগ দিক না কেন। তাদের বিচার হতেই হবে।
বাংলাদেশের রাজনীতি আজ সুস্পষ্ট ভাবে বিভক্ত, নিজ দলকে সমর্থন জানানোর জন্য রাজাকারের অপরাধকেও মাফ করার পক্ষে কথা বলছে অনেক মুক্তিযোদ্ধা, বর্তমানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ কি আসলেই দেশদ্রোহীদের বিচার করবে দ্রুত, না আগামীবার ভোটে জিতলে বিচার হবে জনগণের সামনে এই মুলো ঝুলিয়ে রেখেই যাবে!
আমি রাজনীতি সচেতন মানুষ না, এড়িয়েই চলি রাজনৈতিক কথাবার্তা সাধারণত, কিন্তু আমি চাইব, চিৎকার করে বলব- দেশদ্রোহীদের বিচার করতেই হবে, দেশের সূর্যসন্তানদের হত্যার বিচার হতেই হবে, বাংলার মাটি এবং মানুষের সাথে বেইমানী করে স্বজাতির রক্তে হাত রাঙানোর বিচার হতেই হবে।
মন্তব্য
দেশদ্রোহীদের বিচার করতেই হবে, দেশের সূর্যসন্তানদের হত্যার বিচার হতেই হবে
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
বিচার হতেই হবে।
facebook
সৌরভ কবীর
বিচার হতেই হবে।
facebook
বিচার হতেই হবে... হবেই হবে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
বিচার হতেই হবে... হবেই হবে
facebook
মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরে ওই সময়ের জাজ্বল্যমান পাশবিকতার ছবিগুলো দেখে বেশ অস্বস্তি অনুভব করছিলাম। আর অবাক হচ্ছিলাম, যে বাংলাদেশের মানুষ এই দীর্ঘ সময়েও এদের উপযুক্ত পাওনা বুঝিয়ে দিতে পারল না!
দেরী হলেও কয়েকজনের পাওনা এখন বুঝিয়ে দেওয়া হবে। পিশাচরা সব দেশেই পার পেয়ে যায় অল্প বিস্তর।
facebook
এই আশা দ্রুত সত্যি হোক।
সেইটাই আশা করি সবসময়।
facebook
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
বিচার হতেই হবে।
facebook
বিচার হতেই হবে।
বিচার হতেই হবে।
facebook
অনুদা এরকম একটা লেখার দরকার ছিলো।
দেশের এই গুনী সন্তানদের জন্য আভূমি প্রণাম।
নরপশুদের এখনো বিচার হয়নি এই কলঙ্ক আমাদের প্রজন্মের পর প্রজন্ম বহন করে চলতে হচ্ছে, এটা জাতির লজ্জা। রাজনীতির ময়দানে ধর্মের নামে এদেরকে ক্ষমতা দেয়া হচ্ছে এটা মানবতার লজ্জা।
তবে অনুদা, তোমাদের রাজনীতি সচেতন হতেই হবে, যোগ্য মানুষদের রাজনীতি সচেতন না হওয়ার ফল তো দেখতেই পাচ্ছ বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
সচেতন, অচেতন সবাই-ই জানে সব শালার দলই আমাদের ব্যবহার করছে, ইতিহাসকে বিকৃত করছে।
facebook
মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকার এই অবস্থা
সব জায়গায় চোর ঢোকানো হয়েছে । নিজেদের ইচ্ছামত কাহানি বানানো হয়েছে এবং হচ্ছে । এর জন্যই বাচ্চু ভাই'র গান- তুমি বুড়ো খোকাদের ইচ্ছে মতন/ভুলের ইতিহাস
মিছিলে যোদ্ধা থাকেন, যুদ্ধবাজও থাকে- দুভার্গ্য যে আমাদের ইতিহাস যুদ্ধবাজের কবলে ।
কড়িকাঠুরে
হ, আসল মুক্তিযোদ্ধাদের অধিকাংশেরই কোন পাত্তা নেই আর চাটুকাররা সবখানে। দেশে মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে তো ভুঁইফোঁড় সংগঠনের অভাব নেই।
facebook
বিচার... হতেই হবে।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
বিচার হতেই হবে।
facebook
বিচার হতেই হবে...
...চিরদিন বিশীর্ণ গলায়
নিয়ত বেড়াক বয়ে গলিত নাছোড় মৃতদেহ...
তীব্র ঘৃণা... শুধুই ঘৃণা...
কড়িকাঠুরে
বিচার হতেই হবে।
facebook
এটিএন নিউজ সহ নানা চ্যানেলে ভিআইপি স্টাইলে সাক্ষাৎকার দেওয়া রাজাকার শিরোমণি গোলাম আযম হাত নাড়ায়ে বেশ বিরক্তি নিয়ে বলছিলো অনেকেই নাকি বলে বিচারের দরকার নাই, এদেরকে ডাইরেক্ট ফাঁসীতে ঝুলায়ে দেন!
তখন দাঁতে ঠোঁট কামড়ে প্রবল আক্রোশ নিয়েও চুপ করে থাকি। তারপরেও মুখ থেকে খুব বাজে ভাষার গালি নিঃসৃত হয়ে যায়। এই শুয়োরের বাচ্চা বাংলাদেশের টিভি চ্যানেলে কী করে এতো কাভারেজ পায়! তার মতো খুনি, দালাল, রাজাকারকে ফাঁসী কেনো, ফাঁসীর আগে ও পরে জুতাপেটা করলেও তো তার অপরাধের দায় এতোটুকু শোধ হবার না।
আরও আক্রোশ হয় যখন দেখি এই মাদারচোদ শুয়োরের বাচ্চা এবং এর ছানাপোনাকে বাঁচানোর জন্য বৃহত রাজনৈতিক দল, বাঞ্চোৎ সুশীল-বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীরা হরতাল-অবরোধের ডাক দেয়, টিভিতে টক শো প্রসব করে, পেপারে কলম ধরে।
পৃথিবীর আর কোনো দেশ নাই যেখানে স্বাধীনতা সংগ্রামের বিরোধিতাকারীরা এমন সগর্বে মাথা তুলে চলাফেরা করে, সরকার গঠন করে, দেশ অচল করে দেয়ার হুমকী দেয় এবং সর্বোপরি এতোবড় মিডিয়া কাভারেজ পায়!
এদের বিচার হবেই, হতেই হবে। নাহলে বাংলাদেশ নামক দেশে প্রজন্মের পর প্রজন্ম তাদের পূর্বপুরুষদের রক্তের অশোধিত ঋণ নিয়ে তীব্র মানসিক যাতনায় দিন কাটাবে।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
মাথায় আগুন ধরে যায় মাঝে মাঝে-
সবকটারে বৌরা বাঁশের আগায় গেঁথে শুটকি দিতে ইচ্ছে করে- সাথে পা'চাটাদের- পা'চাটারা একালের...
কড়িকাঠুরে
সেকালের এবং একালের
facebook
একটি দেশের জন্মের বিরোধিতাকারীদের এরকম মাথায় তুলে নাচা মনে হয় আমাদের দেশেই সম্ভব।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
গাধাগুলাকে ক্যামেরা দিয়েছে কে? শুনছি, দেখার রুচি ছিল না।
facebook
এস এস সি এক্সাম এর পর এক আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে গিয়ে খুব বোরিং ফিল করছিলাম। উনার বড় মেয়ে বললো তুমি তো বই পড়তে পারো বসে বসে। তাদের শো-কেস খুলে বললো - যেটা ইচ্ছা নাও পড়ো, আমি কিছুদিন আগে জহির রায়হান উপন্যাস সমগ্রটা পড়লাম, ভালো লেগেছে, তুমি এইটা পড়তে পারো। এর আগে আমি জহির রায়হান পড়ি নাই। আমি ঐ দিন সকাল থেকে রাত অবধি গোগ্রাসে সবগুলো উপন্যাস পড়লাম। সবটা শেষ করে বইটা রেখে দেখি আমার কেমন যেন দুঃখ দুঃখ লাগছে। খুব মন খারাপ করে ভাবলাম, এই লোকটা যদি আজ বেঁচে থাকতো কতগুলো সুন্দর উপন্যাসই না পেতাম। একটা থেকে আরেকটার গল্পের প্যাটার্ন, বলার ভঙ্গিমা-এতো সজীব। মনে হচ্ছিল আমার মাথার মধ্যে কেউ সিনেমা চালিয়ে দিয়েছে। যেন প্রতিটা চরিত্রের মুখমন্ডল পর্যন্ত আমি দেখতে পারছি। বড় দুঃখ লাগে জহির রায়হানের কথা মনে হলে। এ ক্ষতি অপূরনীয়। ইচ্ছা করে রাজাকারগুলার টুটি চেপে ধরে কলম গুঁজে গলার এফোঁড় ওফোঁড় করে বলি-'ফিরিয়ে দে!'
আর উপরের যেই ভিডিওটা দিলেন নজরুল ভাই এর কল্যাণে খোমাখাতায় দেখেছি- বলা বাহুল্য চোখের পানি ধরে রাখতে পারি নি। হু হু করে কেঁদেছিলাম।
জাফর ইকবালের একটা লেখার পড়লাম কিছুদিন আগে এক মুক্তিযোদ্ধার সন্তান রাজাকারদের উদ্দেশ্যে চিৎকার করে নাকি বলেছিলেন ' আমার বাবাকে হত্যা করার সময় তো ওরা কোন বিচার-বিবেচনা করে নি, তাহলে আমার বাবার খুনীদের কেন বিচার করে সাজা দিতে হবে?'
তাই তো? কিসের বিচার? এদের সবগুলাকে অবিলম্বে ফাঁসিতে ঝোলানো হোক।
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
আসলেই, এমন একটা মানুষই যথেষ্ট কোটি মানুষের মনন গড়নে।
facebook
জহির রায়হানের হাজার বছর ধরে আমার খুবই প্রিয় একটা উপন্যাস, অনেককেই গর্ব ভরে বলতে শুনি "আমি হাজার বছর ধরে,পদ্মা নদীর মাঝি একবারো না পড়ে বাংলা পরীক্ষায় ভালো করসি", ধরে থাবড়া লাগাইতে ইচ্ছা করে এদের, চটি বই টাইপ ছাড়া অন্য কোনো কিছু না পড়ার মধ্যে কিভাবে গর্ব থাকতে পারে এটা আমার মাথায় ঢুকেনা। জহির রায়হানের একটু ছোটোগল্প খুব ভালো লেগেছিল,যুদ্ধ নিয়ে, নামটা মনে পড়ছেনা :(।
সেইটার কথাই লিখেছি এইখানে, নামটা মনে নেই। তবে স্কুলের সিলেবাসে কিছু সংক্ষেপিত করা হয়েছিল। গল্পটি অবলম্বনের বেশ চমৎকার একটি নাটকও হয়েছিল অনেক আগে।
facebook
গল্পটার নাম "একুশের গল্প"
গল্পটির নাম "সময়ের প্রয়োজনে"। গল্পটি সংক্ষিপ্ত করা হয় নি বঙ্গবন্ধুর নামটি সযতনে সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
যা যায়গাটিতে হাত দেওয়া হয়েছে সেটি এইরকম ছিলঃ
কমান্ডার যোদ্দাদের প্রশ্ন করে তোমরা কিসের জন্য যুদ্ধ করেছ।
কেউ বলে অন্যায় , কেউ বলে প্রতিশোধ, এক সাধারণ বলে উঠে "আমি এত কিছু বুঝি না, আমি শেখ সাহেবের জন্য যুদ্ধ করি" (এই অংশটুকু পাঠ্য বইয়ে কেটে ফেলা হয়েছিল)।
এই গল্পটি এসএসসি পরীক্ষা ১৯৯৭তে সবশেষ দিয়েছিল তাদের বাংলা বইয়ে চ
আরেকটি অংশ মনে হয় স্কুলের বইতে ছিল না, নৌকা করে যাবার সময় একদল বেশ্যাকে মাঝি নৌকায় নিতে আপত্তি জানায়, কিন্তু সেই মুক্তিযোদ্ধা জোর করে তাদের সাথে নিতে বাধ্য করে।
মূল গল্প থেকে যে নাটক হয়েছিল তাতে এই আবেগময় দৃশ্যটি ছিল ।
facebook
হতেই হবে।
বিচার হতেই হবে।
facebook
বড্ড আশাবাদী হতে ইচ্ছে করে যে সব যুদ্ধাপরাধীর বিচার একদিন হবেই..........
_____________________
Give Her Freedom!
বিচার হতেই হবে।
facebook
। আমি খুব ঠাণ্ডা মানুষ , আক্রোশ হয় না কোনও কিছুতেই তেমন একটা। কিন্তু এই রাজাকারগুলোকে দেখলে অথবা মনে পরলেও আমি মাথা ঠাণ্ডা রাখতে পারি না। আর কতদিন এরা যা ইচ্ছে তাই করে বেড়াবে এদেশে যে দেশটাকে তারা কখনই চায় নি ! আর আমরা সাধারন মানুষেরা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে আক্রোশ জমিয়ে অসহায়ত্ব আর মানসিক যন্ত্রণা নিয়ে বেচে থাকব, আর রাজনীতিবিদরা রাজাকারদের বিচার করার ব্যাপারটা নিয়েও রাজনীতি করে যাবে তাদের সুবিধামত। আমি খুব অবাক হই যখন দেখি আমাদের দেশের একদল মানুষ এদের পক্ষে কথা বলে, এদের সাথে কাঁধ মিলিয়ে চলে, "এতদিন পর আর বিচার করে কি হবে" জাতীয় আজব মতবাদ দেয়।
ধান্ধাবাজ চারিদিকে, দেশ বিক্রেতা সবখানে। নব্য রাজাকারের অভাব নেই।
কিন্তু বিচার হতেই হবে।
facebook
বিচার হতেই হবে। এবং সেটা আমাদের প্রজন্মের জীবদ্দশায়।
বিচার হতেই হবে।
facebook
আলী আহসান মুজাহিদের ধর্মীয় লেবাস দেখে কি জাতি ভুল গেছে তার আসল চেহারা! একবার ক্ষমতায় গেলেই যে তার দানবীয় আসল রূপ প্রকাশ পাবে তা বুঝতে কি খুব বেশী বুদ্ধি লাগে!
>তারপরেও আমাদের বুদ্ধি বাড়েনা, আমরা তাদেরকে মন্ত্রী বানাই, এই প্রজাতি আবার গাড়িতে পতাকা উড়িয়ে বেড়ায়, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে সুযোগমতোন বক্তৃতাও প্রদান করে, ফাঁসি কি শুধু নিরপরাধ কর্নেল তাহেরের জন্য? বুঝতে বাকী নেই ফাঁসিকাষ্ঠ ও ইহাদের নিতে চায়না-আহ! ইশ্বর, তুমি থাকো ঐ দূরে, ইহাদের ভদ্রপল্লীতে
প্রিয় তারেক অণু ভাই, অনেক সুন্দর
তারপরও আমরা আশা রাখি, স্বপ্ন দেখি, ভোরের অপেক্ষায় থাকি - বিচার হতেই হবে।
facebook
ছোটবেলায় যখন এই বিষয়ের সাথে পরিচয় হল তখন থেকেই বুকের একটা পাশে দগদগে ঘা আর চিনচিনে ব্যাথা নিয়ে ঘুরছি, স্বপ্ন দেখতে ভালবাসি, কিন্তু আদৌ কি বিচার হবে? - প্রস্তরখন্ড।
বিচার হতেই হবে।
facebook
রাজাকার!!! -- এই শব্দটা যেখানেই দেখি কিংবা শুনি মুখে শুধু থুথু জমা হয়। এদের বিচার হোক, হতেই হবে। যদি গণতন্ত্রের ধ্বজাধারীরা না করতে পারে তো জনগণের হাতে তুলে দেওয়া হোক সেসব অসভ্য, নষ্ট, পাকির দালাল, স্বাধীনতার ভক্ষক, পিশাচ নরখাদকদের......
ডাকঘর | ছবিঘর
বিচার হতেই হবে।
facebook
বিচার হতে হবে মানলাম। কিন্তু বিচারের ফাঁক দিয়ে এদের বের হয়ে যাবার সুযোগ দেয়া যাবে না। এইক্ষেত্রে বলব যে বিচার যাই হোক, রায় হতে হবে হয় ফাঁসি নয় ফায়ারিং স্কোয়াড। অন্যকোনও রায় মানিনা।
রায় কি হয় দেখা যাক। বিচার হতেই হবে মানলাম। তবে শাস্তিটা যত দীর্ঘক্ষণের হবে তত বেশী বজ্জাতগুলোর দুঃসহ অবস্থা হবে।
facebook
দুঃসহ অবস্থা মনে হয় হবেনা। নাহলে জেলখানার হাসপাতালে বসে কোনবেলায় কী খাবে সেইটার অর্ডার দিতে পারত না। এই দেশে কেউ শাস্তি কাটিয়ে জেল থেকে বের হলে আরও অনেক বড় নেতা হিসেবে স্বীকৃতি পায়। কেন কী অপরাধে তার শাস্তি হয়েছিল কেউ মনেও রাখে না; সে নিজেও শুধরায়না। কাজেই রাজাকারদের জন্য আমার একমাত্র দাবী - এদেরকে মেরে ফেলার।
আমার মনে হয় যে ব্যাটা যত বেশী সময় ধরে বুঝতে পারে তাদের অন্যায় হয়ে ছিল এবং তারা বন্দী তত তাদের শাস্তি বেশী হয়।
facebook
বিচার হতেই হবে।
বিচার হতেই হবে।
facebook
খুবই সময়োপযোগী একটা লেখা ।
এইসব নরপশুদের বিচার নিশ্চিত করা ও এ ব্যাপারে সচেতন থাকা জাতি হিসেবে সমষ্টিগতভাবে আমাদের দায়িত্ব ।
এইসব নরপশুদের বিচার নিশ্চিত করা ও এ ব্যাপারে সচেতন থাকা জাতি হিসেবে সমষ্টিগতভাবে আমাদের দায়িত্ব ।
facebook
আমাদের সূর্য সন্তানদের যারা খুব ঠাণ্ডা মাথায় অনেক পরিকল্পিত ভাবে খুন করেছে তাদের বিচার হতেই হবে।
বিচার হতেই হবে।
facebook
কিসের বিচার? আমি কোন বিচার চাইনা। আমি এই হত্যাকারীদের নির্বিচার মৃত্যুদন্ড চাই। বাংলার মাটিতে এরা থাকতে পারেনা। এদের অবস্থিতি আমার অস্তিত্বকে কলঙ্কিত করে। এদের নিষ্ঠুর মৃত্যু চাই। এদের সমর্থক চাটুকারদেরও শাস্তি চাই।
সূর্যের চেয়ে বালি গরম, ইদানীং রাজাকারদের চেয়ে তাদের মহামূর্খ ধান্ধাবাজ সমর্থকদের গলার জোর বেশী।
facebook
এইখানে এসে জামাতের লোকেরা ভারি বঙ্গবন্ধুভক্ত হয়ে যায় আর বলে সেসব কবেকার কথা সাধারন ক্ষমা তো করেই দিয়েছেন ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু দালাল আইনে (নামটি ব্যক্তিগতভাবে আমার খুবই পছন্দ) আটক সবাইকে সাধারন ক্ষমা করা হয়নি, শুধুমাত্র যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই তাদের জন্য ক্ষমা ঘোষণা করা হয়।
গোলাম আযম নিজামী সবার বিরুদ্ধেই সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। এদের বিচারের ব্যাপারে কোন প্রশ্ন নেই।
..................................................................
#Banshibir.
কোন সময়ই যারা হত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ করেছে তাদের ক্ষমা করা হয় নি।
facebook
আমিও সমস্বর। বিচার হতেই হবে।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
বিচার হতেই হবে।
facebook
"জীবন থেকে নেয়া" সিনেমা একবার দেখার পর কেউ আর আগের মতো মানুষ থাকতে পারে না। বদলে যায়, "কবর" কংবা "বরফ গলা পানি" একবার পড়বার পর মানুষ বদলে যায়। " আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো" গান শোনার পর মন বদলে যায়। এই অসাধারণ মানুষ গুলো যদি আজ থাকতেন, তাহলে এইসব ভন্ড বুদ্ধিজীবীর দল পালে হাওয়া পেত না। এদের সংস্পর্শে এসে পালটে আরও কত মননশীল মানুষ তৈরি হত, তাদের সংস্পর্শে এসে বদলে যেত আরও মানুষ। পরশপাথরের মতো এই মানুষগুলোকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে পৃথিবী থেকে, থেকে গেছে তেলাপোকার মতো ধূর্ত, লোভী একদল লোক। তারা তাদের বিষবাষ্প ছড়িয়ে দিয়েছে আশেপাশের মানুষের মাঝে। আজ যে দেশের মানুষের মাঝে এত ছোটলোকামি, নিষ্ঠুরতা, দূর্নীতি, অস্থিরতা, অশান্তি, সব কিছুর জন্য আমি দায়ী করি রাজাকার আর আল বদরের দলকে। বাংলাদেশের স্বাধীন হওয়া তারা ঠেকাতে পারেনি বটে, কিন্তু সদ্য জন্ম নেয়া দেশটির চোখের আলো নিভিয়ে দিয়েছে ভূমিষ্ঠ হবার আগেই।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
খুব সুন্দর লিখেছেন- বাংলাদেশের স্বাধীন হওয়া তারা ঠেকাতে পারেনি বটে, কিন্তু সদ্য জন্ম নেয়া দেশটির চোখের আলো নিভিয়ে দিয়েছে ভূমিষ্ঠ হবার আগেই।
facebook
কিন্তু এই দেশে সবাই পার পেয়ে যায়। কোনদিন কোনকিছুর সুষ্ঠ তদন্ত/বিচার হয়নি, আজও হবে না। তবু আমরা একাগ্র হয়ে বলব, "বিচার হবে, বিচার হতেই হবে।"
বলা যায় না, দিন বদলের শুরু হতেও পারে। বিচার হতেই হবে
facebook
বিচার হতেই হবে।
বিচার হতেই হবে
facebook
বিচার হতেই হবে পিরিয়ড।
অটঃ অণু ভাই আপনি খুব ভার্সেটাইল একজন লেখক।
বিচার হতেই হবে।
না রে ভাই, কত কিছু নিয়ে জানতে, পড়তে, দেখতে, লিখতে ইচ্ছে করে। সময়ের অভাবে কিছুই হইয়ে ওঠে না।
facebook
বিচার হতেই হবে
facebook
যুদ্ধপরাধীদের বিচার চাওয়ার জন্যে বোধহয় ঠিক রাজনীতি সচেতন হওয়াও লাগে না। মানুষ হলেই হয়। যারা এদের বিচারের কথায় তেনা পেঁচায় এদের আমার মানুষই মনে হয় না।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হতেই হবে।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
যারা এদের বিচারের কথায় তেনা পেঁচায় এদের আমার মানুষই মনে হয় না।
facebook
জানোয়ার গুলার বিচার কি আমরা করতে পারব? মনটা খারাপ হয়ে যায়, যখন মনের মধ্যে এমন সন্দেহ হয়।
আমি শুনেছি, মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ সাহস আর কৃতিত্বের জন্য বঙ্গবন্ধু কাদের সিদ্দিকীকে বিশেষ পছন্দ করতেন। কাদের সিদ্দিকের নেতৃত্বে গোলাম আযম সহ টপ লিস্টেড সকল রাজাকার, আল বদর, আল সামস্ দের একটা কিলিং মিসনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু সেটা বন্ধ করেন। সত্যিই যদি তেমন কিছু হোতো, আমাদের আজকের অবস্থান নিঃসন্দেহে আরও ভাল থাকত।
মনের রাজা টারজান।
অনেক কিছুই হয় নি, কিন্তু হবার দরকার ছিল। সাধারণ ক্ষমা ঘোষণাও ঠিক হয়নি বলেই মনে করি।
বিচার হতেই হবে।
facebook
সাধারন ক্ষমা সবাইকে করা হয়নি। হত্যা-ধর্ষন-নির্যাতন-অগ্নিসংযোগ-লুটপাট বা এসবের সহযোগিতায় সাথে যারা জড়িত ছিল, তাদেরকে তো নয়ই! জিয়া যখন ক্ষমতায় আসেন তখনও ১১,০০০প্লাস আসামী কারাগারে শাস্তিপ্রাপ্ত/বিচারের চলমান (কোনটা ঠিক মনে নেই) অবস্থায় বন্দী ছিল, জিয়া যাদের মুক্ত করে দেন। সুতরাং বুঝা যাচ্ছে সাধারণ ক্ষমা সত্বেও ৭২-৭৫ সময়ে এদের বিচার চলছিল। সেটা বন্ধ হয়েছে জিয়ার কারনে, সাধারণ ক্ষমার কারনে নয়। এই নিয়ে সচলয়াতনেই আগে বিস্তারিত এসেছে মনে হয়। বর্তমানে যাদের বিচার হচ্ছে তারা কেউই এই সাধারণ ক্ষমার আওতায় পড়বে না, যেমন পড়বে না আরও বহু শয়তান।
****************************************
সহমত
কড়িকাঠুরে
, সেইটাই উপরে মন্তব্যে বলেছি- হত্যা-ধর্ষন-নির্যাতন-অগ্নিসংযোগ-লুটপাটের সাথে জড়িতদের কোন কালেই ক্ষমা করা হয় নি, হবে না।
facebook
বিচার হতেই হবে।
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
বিচার হতেই হবে।
facebook
এসব সভ্য বিচার আচার প্রক্রিয়ায় আমি হতাশ।
বিচার হতে হবে, ঠিক আছে। বিচার চলছে, ঠিক আছে। কিন্তু বিচারের রায়ে কি শাস্তি হবে? শাস্তির কথাটা ভাবলে আমার স্বস্তি আসে না। সভ্য আইনে জেল কিংবা ফাঁসি ছাড়া অন্য কোন শাস্তি নেই। অথচ ওরা যে অমানবিক অপরাধ করেছে তার জন্য এগুলো নেহাতই লঘু সাজা। তাই, যত কঠিন সাজাই হোক আমি হয়তো কোন রায়েই সন্তুষ্ট হতে পারবো না।
আইনতঃ অসম্ভব, তবু সুযোগ থাকলে আমি চীৎকার করে বলতাম, আমি ওই সব নারকীয় অপরাধের জন্য নারকীয় শাস্তি দাবী করি!!!!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
facebook
একমত, আমি ওই সব নারকীয় অপরাধের জন্য নারকীয় শাস্তি দাবী করি।
facebook
হতেই হবে!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
বিচার হতেই হবে।
facebook
অসাধারন লেখনি। বিচার হতেই হবে।
-বিক্ষিপ্ত মাত্রা
বিচার হতেই হবে।
facebook
বিচার হতেই হবে? ai asha nia kotodur jawa jai jodi bastobe er protifoln abcha hoa ashe...din jache.mash jache.avabe bochor o jache......জিজ্ঞাসা থাকবে !
জিজ্ঞাসা
দেরী হলেও হতেই হবে।
facebook
আগে তাও অনেক কিছু দেখতাম পেপার পত্রিকায়, রাজাকাদের ব্যাপারে নতুন প্রজন্মকে সচেতন করার জন্য, যেমন ভোরের কাগজের "ধর রাজাকার" সিরিজ।
আমাদের স্মৃতি আসলেই মাছের মত, এখন আর এসব দেখি না ক্যান?।
আসলে অবাক হওয়ার কিছু নাই যদি দেখি আজ থেকে দশ বছর পর মোটামোটি সব ইয়াং পোলাপান এই ধারণা নিয়ে বড় হবে যে ২১শে ফেব্রুয়ারী তে "কি জানি একটা কোপাকোপি হইছিল"। হায়রে বাঙ্গালী।
দুঃখজনক, এই জন্য যার যার সামর্থ্য মত কাজ করা দরকার।
ঠিকই, আগের সিরিজগুলো আবার চালু করা দরকার।
facebook
বিচার হতেই হবে ।
হতেই হবে---
facebook
শুধু বিচার? উহু, মৃত্যুদণ্ড হোতেই হবে।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
বিচার হতেই হবে---
facebook
আজ ২৬ শে জুন, শহীদ জননী জাহানারা ইমাম এর মৃত্যু দিবস, আজকের এই দিনে একটাই দাবী, বিচার চাই!! হতেই হবে!! জয় বাংলা!!!
বিচার হতেই হবে!
facebook
নতুন মন্তব্য করুন