মেজাজ চটে পুরা খাট্টা হয়ে আছে, মনে হচ্ছে সারা জীবনে শুনে আসা সকল কথাই মিথ্যা, বই এবং বাস্তবে ফারাক অনেক অনেক বেশী। বেশ কদিন হল এসেছি আফ্রিকাতে, আরও শুদ্ধ করে বললে দক্ষিণ আফ্রিকায়, মূলত বিশ্বকাপ ফুটবলের খেলা দেখার জন্য, কিন্তু তাই বলে ৭ দিন পার হয়ে গেল কোন বুনো প্রাণী দেখব না ! মেসির খেলা দেখালাম, কোচ হিসেবে ফুটবল ঈশ্বর দিয়েগো ম্যারাডোনাকে দেখলাম, গান্ধী স্কয়্যার দেখা হল, ম্যাণ্ডেলা সেতুও কিন্তু আমার বুনো পশুর পাল কোথায়! সবদিকেই খালি মানুষ আর মানুষ।
অবশেষ এক রাতে খেলা দেখে ফিরবার পথে আফ্রিকার প্রথম বুনো জন্তুর সাথে মোলাকাত হয়েই গেল, তাও দুইখানা একসাথে। চক্ষু ছানাবড়া করে দিয়ে চোখে সামনের জোহান্সবার্গের রাস্তা দিয়ে দৌড়ে চলে গেলে এক জোড়া ধেড়ে ইঁদুর! বাহ, কি পরিহাস, কোথায় সারাজীবন শুনে আসলাম সাভানা কাপিয়ে বেড়ানো এন্তার হরিণ, জেব্রা, জিরাফ, চিতা, সিংহের কথা আর দেখলাম কিনা মূষিকরাজ! যদিও তা বেশ বড়সড়ই ছিল কিন্তু দেহ-মন-প্রাণ একুনে বিদ্রোহ করে বসল, সেই রাতেই আশ্রয়দাতা ভালো মানুষ ইকবাল ভাইয়ের কাছে তর্জন-গর্জন করে বললাম, মান- সন্মান নিয়ে নিজের কাছে টিকতে হলেও ভাই এই যাত্রা কিছু বুনো জন্তু দেখতেই হবে, না হলে আফ্রিকা আসা কেন ?
আসলে মূল সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছিল সময় এবং দূরত্বের সমন্বয়, যেহেতু কয়দিন পরপরই খেলা, তাই বিশ্বখ্যাত ক্রুগার ন্যাশনাল পার্কে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না, আর কাছের রাস্টেনবার্গ ন্যাশনাল পার্কও প্রায় ২৫০ কিমি দূরে, সেটি আপাতত থামিয়ে রাখা হয়েছে কোয়াটার ফাইনাল পর্যন্ত, শেষে গাইড বই খুঁজে পেতে জানা গেল শহরের সীমানার খানিক দূরেই অবস্থিত ন্যাশনাল পার্কের কথা। এটিকে অভিহিত করা হয়েছে তৃণভোজীদের স্বর্গরাজ্যে, যেখানে বেশ কধরনের হরিণ ছাড়াও আছে জেব্রার পাল, বিভিন্ন প্রজাতির বানর এবং পাখি। তবে বিশালদেহী নিরামিষভোজী বিশেষ করে হাতি এবং জলহস্তী নেই সেখানে, আর নদী থাকলেও নেই করাল কুম্ভীর!
কিন্তু গণেশের বাহন ইঁদুরদর্শন দিয়ে যার যাত্রা শুরু তার আর কিসের এত জাতপাত! যা আসে সামনে তাই সই। এক সকালে রওনা দেওয়া হল ট্যাক্সি করে সেই সংরক্ষিত অঞ্চলের সীমানায়, বিশাল কাঁটাতারের বেড়া বসানো শহরের প্রান্তসীমায়, সেখানে টিকেট ঘরের ঢুকবার দর্শনী দিয়েই প্রবেশপথ আইনসম্মত ভাবেই উম্মুক্ত হল শ্বাপদ-সংকুল বনভুমির( যদিও এখানে হিংস্র প্রাণীর থাকার কথা নয়)। সেখানের প্রহরারত মহিলা একগাল হেসে বললেন কাছের যে নালাটা আছে সেটা ধরেই এগিয়ে যাও, যখন সেটা লাল পাহাড়ের সাথে মিলিত হবে সেখানেই দেখবে ফিরে আসার পথের চিহ্ন দেওয়া আছে। নালা? তা সেখানে গোটা দুয়েক অলস কুমির মিলবে কি? মহিলা হেসেই কুটোপাটি, বলে- এই খালেই কুমির দেখতে চাও বাপু! আব্দার খারাপ না কিন্তু তাহলে বহু দূরের বড় নদীতে যেতে হবে! সেই সাথে এও জানালেন আফ্রিকায় জীবজন্তু পর্যবেক্ষণের সবচেয়ে ভাল সময় সূর্যাস্তের ঠিক আগে আগে, তখন জলার ধারে তৃষ্ণা নিবারণে ব্যস্ত প্রাণীদের দেখা মিলে এন্তার। এখন সূর্য মাথার উপরে, সেও এক সমস্যা বটে, তৃণভোজীরা দেখা গেল সারাদিনের ঘাস ভোজন শেষে কোন ছায়ার কুণ্ডলী পাকিয়ে জাবর কাটছে।
পদব্রজেই যাত্রা শুরু হল, নালার পাশেই লাল মাটির মেঠো পথটিতে দর্শন মিলল দিনের প্রথম বুনো জীবসমাজের দূতের, কিন্তু সে মাংসাশী! বেশ অবাকই হলাম, কিন্তু মনটা খুশীতে পরিপূর্ণ হয়ে উঠল একটি মাঝারি আকৃতির চঞ্চল বেজিকে দেখে। কেমন যেন ক্যামেরুনে জঙ্গলে বিশেষ ধরনের বেজির খোঁজে জেরাল্ড ডারেলের বিখ্যাত অভিযানের কথা মনে পড়ে গেল, বেজিটিও আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে কয়েক মুহূর্ত স্থাণু হয়ে থেকে, তার মাংস ছেদন, পেষণ, কর্তন ও চর্বণের উপযুক্ত ধারালো দাঁতগুলো দেখিয়ে চোখে নিমিষে উধাও হইয়ে গেল পাশের সোনা রঙা ঘাসের দঙ্গলে। অবশেষে আফ্রিকার রহস্যময় প্রকৃতি খোলা শুরু করল তার অবগুণ্ঠন বিস্ময়াভুত বালকের কাছে-
খালের ধারে তখন কয়েক প্রজাতির রঙচঙে ক্ষুদের পাখিদের মিলনসভা চলছে কিন্তু তাদের ক্যামেরার বদলে মানসপটে আটকে রাখার ব্যবস্থায় করতে হল। যদিও খানিক পরেই দেখা মিলল গাছ থেকে ঝুলে থাকা অগুনতি আফ্রিকান বাবুইয়ের বাসা, বিশ্বের শ্রেষ্ঠতম শিল্পসম্পদগুলোর মালিকেরা মনে হয় বাড়ীতে ছিলেন না কিন্তু সেই সুষম সুক্ষ সৌন্দর্য উপভোগে তা অবশ্য কোন বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় নি।
বাবলার কাঁটা ভরা ঝোপের মাঝ দিয়ে সন্তর্পণে যেতে যেতে কেবল মনে হচ্ছিল বুনো আফ্রিকা যাওবা দেখা গেল কিন্তু বিশালদেহী কোন প্রাণী এখানে আসবে কি! ঠিক সেইসময়ই বামের ছড়ানো প্রান্তর থেকে ভেসে আসল উচ্চ নিনাদ! দেখা দিল একদল ওয়াইল্ডবিস্ট! বিশালদেহী হরিণগুলো কত যে দেখেছি টেলিভিশনের পর্দায়, আজ চোখের সামনে দেখেও ঠিক বিশ্বাস হচ্ছিল না। তারা নিরাপদ দূরত্বে দাড়িয়ে জাবর কেটে যাচ্ছিল দিবাকালীন বিশ্রামের অংশ হিসেবে, কিন্তু আমরা পথ মাড়িয়ে সেই আস্তানার কাছাকাছি চলে আসার অমার্জনীয় অপরাধ করে ফেলাতে কেবল সতর্ক করে দেবার জন্য তাদের সর্দার সেই বজ্রকণ্ঠের ঘোষণা!
সেই সতর্কবাণী উপেক্ষা করবে এমন বুকের পাটা কার! বেশ খানিকক্ষণ তাদের সঙ্গ উপভোগ করে লাল পাহাড়ের পাদদেশে পৌঁছালাম সবাই, সেখানেই এক পাথুরে জায়গায় বিশ্রামরত ক্ষুদে অ্যান্টিলোপ মুহূর্তের মাঝে বিশাল লম্বা লাফ দিয়ে তাদের নামের পেছনের রেকর্ডটিকে আরো একবার সার্থক প্রমাণিত করে পগার পার হয়ে গেল।
এরপরে ভূপ্রকৃতি খানিক অন্যধরনের, সোনালি শ্যামলিমায় ছাওয়া চারিদিকে, দীঘল ঘাসের প্রান্তর। এমন প্রান্তরেই হোমিনিড থেকে বিবর্তিত হয়ে আমাদের পূর্বপুরুষদের উদ্ভব ঘটেছিল দুই লক্ষ বছর আগে, বলা হয়ে থাকে আমাদের যত অনুভূতি বিশেষ করে ভয়, বিষাদ এবং আনন্দের তার প্রায় সমস্তগুলোই আমাদের মাঝে জিন বাহিত হয়ে চলে এসেছে পূর্বপুরুষদের কাছে থেকে, সেই সমস্ত অনুভূতির জন্মই এই আফ্রিকার তেপান্তরে।
সংরক্ষিত এলাকার এক প্রান্তে কুঁড়ে চোখে পড়ল, সেখানে বাঁধা ঘোড়ার পাল! জানা গেল, ইচ্ছে করলে ঘোড়া ভাড়া নিয়ে রেকি করতে যাওয়া যায়! আরণ্যকের নায়কের মত ঘোড়ার চড়ে তখনই বেরিয়ে পড়ার সুতীব্র ইচ্ছাটিকে চাপা দিতে হল সময়ের তাড়ায়।
কিন্তু দেখা ঠিকই করলাম পাথুরে বোল্ডারে বসবাসরত হাইর্যাক্সদের সাথে, যদিও তাদের ইতিউতি তাকানো খুব একটা বন্ধুত্বপূর্ণ বলে মনে হবার কোন কারণ দেখলাম না। দুই ধরনের হরিণও চোখে পড়ল, কিন্তু তারা বেশী লাজুক বিধায় দেখা দিলনা এক পলকের বেশী।
তখন আমরা ফেরার পথে, চিন্তা করছি কোন এক সূর্যাস্তে এসে প্রাণীদের বেশী কাছ থেকে অবলোকনের এমন সময় দেখা দিল দিনের সেরা বিস্ময়েরা! একপাল বুনো জ্রেবা, প্রাণপ্রাচুর্যে উদ্দাম সাদা-কালো বিস্ময়।
তাগড়া প্রাণীগুলো আমাদের খুব কাছে যাবার সুযোগ করে দিল কোন রকম প্রতিবাদ না করেই! কি আনন্দ, কি আনন্দ! ঘোড়ার জাতভাইগুলো মনের সুখে কেবল খেয়েই গেল আমাদের উপেক্ষা করে, সেই সুযোগে চলল ছবিতোলার পর্ব।
অবশেষে আফ্রিকার বুনো জীবনের জন্য তৃষিত মন এবং চোখ কিছুটা হলেও সান্ত্বনা পেল, স্মৃতির ভাণ্ডারে জমা হল অপূর্ব সব স্মৃতি। ফেরার সময় তাই-ই কি ঠোঁটের আগায় ছিল অ্যান্ড দিস ইজ আফ্রিকা! দিস টাইম ফর আফ্রিকা!
( স্মৃতিচারণটি কাগজে লিপিবদ্ধ করা শুরু করেছিলাম গত পরশু, এমন সময় এক ভয়াবহ দুঃসংবাদ ভেসে এল ফেসবুকে, দেশ থেকে আসল ফোনের পর ফোন, খবরের কাগজের আপডেটে দেখলাম এই সংবাদটি।
http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-06-07/news/264010
আসাদুজ্জামান লেনিনের সাথে আমার বন্ধুত্ব ১৯৮৯ সাল থেকে, পরবর্তীতে নানা ঘটনাপ্রবাহে সে কেবল স্কুলবন্ধু নয়, আমার ভাইয়ে পরিণত হয়েছিল। তার মত জীবনের নেশায় মাতাল, উদ্যমী, পরিশ্রমী মানুষ আমার চারপাশে কেউই ছিল না। অর্থের প্রয়োজন ছিল কিন্তু সে লোভী ছিল না। বিদেশ থেকে দেশে গেলে প্রতিবারই দেখা হয়, কিন্তু অনেকের মতই বন্ধু আমার কোনদিন অর্থ, মোবাইল, ক্যামেরার দাবী করে নি। পৃথিবীর নানা প্রান্তে ঘুরে অন্তত কিছু মানুষ চেনার সৌভাগ্য আমার হয়েছে, সেই অভিজ্ঞতার আলোকে বলতে পারি লেনিনের চরিত্রে যদি একটি জিনিস অসম্ভব হয় তা হচ্ছে আত্মহত্যা। এশিয়া এক্সেল ট্রেডিং এবং গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাশেদ মোবারকের সাক্ষ্য অনুযায়ী সেই অসম্ভব ঘটনাটিই ঘটেছে বলে দাবী করা হচ্ছে। আমার বন্ধু, আমার ভাই লেনিন আর ফিরে আসবে না, তার সন্তান কোনদিনই জানবে না কেন তার বাবাকে আমরা রাজশাহীর ম্যারাডোনা বলতাম, কেন ক্রিকেট মাঠে সমান আতঙ্ক ছড়াত সে বিপক্ষ দলে, কেন স্কুলে স্কাউট, রেডক্রিসেন্ট, বনভোজনসহ যে কোন গঠনমূলক কাজেই তার উপস্থিতি ছিল সবচেয়ে বেশী কাম্য এবং অপরিহার্য। কিন্তু আমি চাই তার মৃত্যুর সঠিক তথ্যটি যেন তদন্তে বেরিয়ে আসে। দেশের আইন-শৃঙ্খলার যে পরিস্থিতি তাতে কি এমনটা সম্ভব হবে???
কেন পুলিশের উপস্থিতিতে, অফিসের কর্মকর্তাদের সামনে মৃত একজনের লাশ মর্গে বেওয়ারিশ হিসেবে পাঠানো হল!
দুঃসাহসী লেনিন কি গোপন কিছু জেনে গিয়েছিল? হয়েছিল কারো পথের কাঁটা? তার অনাগত সন্তান এখনো মায়ের গর্ভে, সে কি জানবে তার বাবাকে কত ষড়যন্ত্র এবং কালিমা নিয়ে বিদায় নিয়ে হল আমাদের ঘুণে ধরা সমাজ থেকে।
অক্ষম আমি কি করতে পারি! কেবল মুখে বলে যাচ্ছি লেখকের কাজ লেখে যাওয়া, The Show must Go on, The Show must go on, লিখে চলেছি আমার স্মৃতিকথা, যদি কোনদিনই নিজেও এমন ভাবেই হারিয়ে যায়, তার আগেই লিপিবদ্ধ থাকুক কিছু ঘটনা।
লেখাটি লেনিনের জন্য। )
মন্তব্য
আচ্ছা উনি কি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের লেনিন??
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল এবং কলেজের ছাত্র। বাড়ী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেশনের পাশেই।
facebook
ছবি দেখে আর লেখাটি পড়তে পড়তে শেষের স্মৃতিচারণে এসে মনটা অসম্ভব খারাপ হয়ে গেল। একটা নোংরা অপবাদ নিয়ে তার পৃথিবী ত্যাগ করতে হল আমাদের নোংরা সমাজ থেকে। তার আত্মার শান্তি কামনা করছি, সাথে অনাগত সন্তান ও মায়ের সুস্থতা।
এই অপবাদ মুছতেই হবে, কি করা যায় বুঝতে পারছি না। কিন্তু করা দরকার অবশ্যই-
facebook
কিচ্ছু বলার নেই। বোধহয় করারও নেই আমাদের। শুধু দেখে যাওয়া ছাড়া।
হয়ত আমাদেরই করার আছে, জীবনটা তো আমাদেরই
facebook
ওরে অণু রে, তুই এত কেন ঘুরিস রেএএএ... (মাথা চাপড়ানো ইমো)
ওয়াইল্ডবিস্ট-কে হরিণ বলা যায় কি? তারা তো মোষ-জাতীয় প্রাণী।
শেষটা পড়ে খুব খারাপ লাগছে। ভালো লোকেদেরকেই এভাবে মুছে যেতে হয় কেন?
না হে দাদা, ওয়াইল্ডবিস্ট সবচেয়ে বড় অ্যান্টিলোপ, অবশ্য শিশুকালে আমিও সেটিকে মোষ ভাবতুম।
ঘুরা ত কেবল শুরু করব, আফ্রিকার কসম, আর কয় মাস সময় দাও, তবে তার আগে কৌস্তভ দর্শনে বিলেত ঘুরে আসব।
জানি না, এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না।
facebook
আমেন।
মোষ, ওয়াইল্ডবিস্ট - সবকটাই ফ্যামিলি Bovidae। কিন্তু সাবফ্যামিলি আলাদা। আর হরিণের ফ্যামিলিই তো Cervidae। দেশি অ্যাপ্রক্সিমেশনে মোষ বললুম আরকি।
মেষ, মোষ এক সমান!
facebook
লাস্টের টুপিওয়ালা জেব্রাটার ছবি বেশি ভালাচৈ
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
হ, সে আবার বেশ ফটুজেনিক কি না
facebook
চরকির মতো ঘুরতে থাকেন!!
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
চেষ্টা করছি।
facebook
তাঁদের বাবুটা ভাল কিছু নিয়ে আসুক পৃথিবীর জন্য । আর কী বলতে পারি...
কড়িকাঠুরে
দেখি, অনেকেই যোগাযোগ করছেন, যদি বাচ্চাটার জন্য কিছু করা যায়।
facebook
খবরটা দেখলাম। বুঝাই যাচ্ছে বিশাল ঘাপলা আছে কোথাও।
দু:খ লাগে মানুষটা অকালে তো মরলই, কিন্তু মরেও বদনামের বোঝা নিয়ে থাকতে হবে।
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
এইটাই, এত বড় বড় দুইটা বদনাম, যার একটিও সত্য হবার সম্ভাবনা নেই।
facebook
ভীষণ ভাল্লাগ্লো।
তোমার সেই বন্ধুটির কথা তুমি গত দুইদিন ধরেই ফেবুতে বলে যাচ্ছ। আমি পড়েছি প্রতিটি কথাই। এমনকি লেনিন নামক মানুষটি যে ভীষণ প্রাণচঞ্চল এবং খুনসুটি প্রিয় মানুষ, তা তোমার সেখানে আপলোড করা ছবি এবং তার বর্ণনা শুনে জেনেছি। সেখানেও কিছু বলিনি, এখানেও কি কিছু বলার আছে! একা মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে হয়তো সেই লোকটি ভয় পেয়েছিল, নিশ্চয়ই। ... মানুষকে তো মরতেই হবে, তবে এভাবে চলে যাওয়াটা যে মেনে নেওয়া যায়না, বলতে গেলেই একটা দীর্ঘশ্বাস বেড়িয়ে আসে।
ডাকঘর | ছবিঘর
বুঝতে পারি না কি বলব, কি করব।
facebook
মেনে নেয়া খুব দুষ্কর-
#তার আত্মা শান্তিতে থাকুক, এ কামনা
খুবই। মেনে নিতে পারছি না।
facebook
অন্যকিছুই না, আমি প্রতিশোধ চাই, সব হত্যা আর অকাল মৃত্যুর প্রতিশোধ!
আমি প্রতিশোধ চাই, সব হত্যা আর অকাল মৃত্যুর প্রতিশোধ!
facebook
লেখা ভাল হইছে, লাস্টের অংশটুকু মন খারাপ করার। আজ আর ইটা দিলাম না।
হুম, কি আর করব। কলম চলছে না, সেই দিনও কথা বললাম, আজ বন্ধু আর নেই!
facebook
কেমন যেন শুকনা, দেইখাই গলা শুকায় গেছে, সবুজের এত অভাব!! অন্যরকম লাগল, অসাধারণ!
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আফ্রিকার অধিকাংশ স্থান এমনি,লাল মাটির দেশ।
facebook
অসম্ভব ভাল লেখা।।।
facebook
খুব ভাল লাগল লেখাটা, অণু ভাই।
আমরা সবাই হারিয়ে যাব, কিন্তু এভাবে কেন? আপনার বন্ধু তো আর ফিরে আসবে না, কিন্তু তার মৃত্যুর সঠিক তদন্ত হোক।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
মৃত্যুর সঠিক তদন্ত হবে, এই আশাতেই আছি।
facebook
"ভাল কথা- বাওবাব গাছ কই? দেখি না যে তাঁরে...
কড়িকাঠুরে
মাদাগাস্কার যেয়ে নি, তারপর।
facebook
পোস্টের প্রাণী বিযয়ক অংশটি ভাল হয়েছে।
আপনার বন্ধুর মৃত্যু সংবাদটি দুঃখজনক।
আসলেই--
facebook
লেখা ভাল হয়েছে।
কিন্তু খারাপ লাগল আপনার বন্ধুর খবরটা পড়ে।
অন্যায় অপবাদ খুবই কষ্টের।
ভাবতেও পারছিনা তাঁর পরিবারের ওপর দিয়ে কিরকম ঝড়-ঝাপটা যাচ্ছে।
সেই শিশুটি সুস্থভাবে পৃথিবীতে আসুক। অনেক বড় হোক।
আর তদন্তের মধ্যে দিয়ে সত্য সামনে আসুক। এই কামনা করি।
লেনিন ভাইয়ার জন্যে
facebook
facebook
লেনিন ভাইয়ের মৃত্যুর সঠিক তথ্য বেরিয়ে আসুক।
সৌরভ কবীর
পুলিশ নিজে সাক্ষী হলে খুব মুস্কিল হবে। মনে হচ্ছে ভাল চক্রান্ত আছে।
facebook
নতুন মন্তব্য করুন