আফ্রিকার শেষ জীবিত ডাইনোসর মোকেলে এমবেবে ( মোকলে মবেম্বে)!

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: সোম, ০২/০৭/২০১২ - ৫:০৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ার সময়ই জীবনের লক্ষ্য ঠিক করে ফেললাম, বড় ভাইয়ের উপরের ক্লাসের বাংলা বইতে একটা রচনা পড়েছিলাম- তোমার জীবনের লক্ষ্য। সেখানে লেখা ছিল লক্ষ্যহীন জীবন নাকি মাঝিবিহীন নৌকার মত, কোথাও পৌঁছাতে পারে না, কাজেই লক্ষ্য থাকতেই হবে ( এখন জেনে গেছি, - ইহা বিশাল বাজে কথা, এক হিসাবে অভীষ্ট লক্ষ্য থাকা এবং সেখানে পৌঁছানোর জন্য পরিশ্রম করা অবশ্যই ভাল, আবার থাকতেই হবে এমন দিব্যি কেউ দিয়ে রাখে নি, আর লক্ষ্যটা কি সেইটা বুঝবার জন্যও একটা সময় আছে, জীবনবোধ সম্পর্কে জ্ঞানের প্রয়োজন আছে, নাহলে আমাদের দেশে জীবনের লক্ষ্যের ঠ্যালায় সবাইই হয় ডাক্তার না হয় ইঞ্জিনিয়ার হয়েই ছাড়বে।)। এই সময় হাতে এসেছিল সেবার এক পুরনো রহস্য পত্রিকা, সেখানে বিশ্বের নানা অঞ্চলের হ্রদ, নদী, সাগরের রহস্যময় প্রাণীদের নিয়ে এক সচিত্র ফিচার ছিল রহস্যময় জলদানব শিরোনামে। ব্যস, জীবনের লক্ষ্য ঠিক করে ফেললাম- স্কটল্যান্ডের লক নেসের সেই বিখ্যাত প্রাণী নেসির রহস্যভেদ করাই হবে জীবনের মূল কাজ, কেন জানি একটা আত্মবিশ্বাসও পেয়েছিলাম নিজের কাছেই, আমি গেলে সেই কালো জলের হ্রদ ফুঁড়ে নেসি ঠিকই হাজির হবে গুহার আশ্রয় ছেড়ে কিশোর ভক্তের সাথে দেখা করতে।

না, জীবনের লক্ষ্য আমার পূরণ হয় নি এখনো ( হয়লেই তো শেষ হয়ে গেল! ), কিন্তু সুযোগ পেলেই সারা পৃথিবীব্যপী ছড়িয়ে থাকা রহস্যময় প্রাণীদের বিশেষ করে জলদানবদের নিয়ে তথ্যভাণ্ডার সমৃদ্ধ করতে থাকি তা সেই লক নেসের নেসি হোক, নরওয়ের সেয়লর্ডের সেলমা হোক, সাইবেরিয়ার লেক কককোলের অদ্ভুতুড়ে জীবখানাই হোক, বা হোক উত্তর আমেরিকার চ্যাপলেন হ্রদের বিখ্যাত বাসিন্দা। কিন্তু আমাদের আজকের গল্প এদের কাউকেই নিয়েই নয়, আজকের সময় কেবল মাত্র বরাদ্দ আফ্রিকার শেষ জীবিত ডাইনোসর মোকেলে এমবেবের ( মোকলে মবেম্বে) জন্য। এর আগে যেমন ইয়েতির সন্ধানে গিয়েছিলাম সবাই মিলে হিমালয়ের কোলে তিব্বতে, আজ চলুন পূর্বআফ্রিকার জলাভূমিতে।

আফ্রিকার একধিক দেশ মূলত কঙ্গো এবং জায়ারেতে গত কয়েক শতাব্দী ধরেই শোনা যাচ্ছে বিশালাকার জীবের কথা, জলাভূমিতে পাড়ের নরম মাটিতে পাওয়া যায় মাঝে মাঝে বিশালাকার পায়ের চিহ্ন, শোনা যায় অজানা জীবের গর্জন। এই স্থানগুলিও অতি দুর্গম, তার উপর নিয়মিত চলছে সেখান গৃহযুদ্ধ, তাই খুব বেশী ধরনের যে পরীক্ষা চালানো সম্ভব হয়েছে তাও নয়, কিন্তু এর ফলেই পাওয়া গেছে সত্যের সন্ধান।

cf_large_locator

লিঙ্গালা ভাষায় মোকলে এমবেবে (Mokèlé-mbèmbé,) মানে যে নদীর স্রোত থামিয়ে দেয়। অর্থাৎ বিশালদেহী না বিশালাকার কোন কিছুর কথা বলা হয়েছে। গত কয়েকশ বছর ধরে কঙ্গো নদীর অববাহিকায় বসবাসরত নানা গোত্রের লোককথায় মোকলে এমবেবে এক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হয়ে উঠেছে, অঞ্চলভেদে তার স্বভাব, চেহারা, আকৃতি খানিকটা বদলে যায় বটে কিন্তু সবকিছুর অন্তরালে বিশাল এক সরীসৃপের আবছা আভাস ঠিকই টের পাওয়া যায়। ক্রিপটোজুলজিস্টরা দাবী করে বসলেন কঙ্গো বেসিনের পরিবেশ এবং ভূগোল নাকি জুরাসিক যুগের পর এমন কোন পরিবর্তিত হয় নি, প্রায় একই রকম আছে, কাজেই শেষ সময়ের কিছু ডাইনোসর যদি টিকে যায় সেই বিশাল অরণ্য আর জলাভূমিতে এবং সেই সাথে বংশবৃদ্ধি করতেই থাকে তাহলে সমস্যা কোথায়?

mokele_attack

সমস্যা আছে, প্রথম কথা প্রমাণ লাগবে! প্রমানের অভাবে যদি সম্ভাবনার কথাও বলেন সেটিও যাচাই করা হবে বিজ্ঞানের কষ্টিপাথরে, তারপর আগেও চিন্তা করতে হবে এমন প্রাণীর অস্তিত্ব বর্তমান পৃথিবীতে আদৌ সম্ভব কি না?

মূলত ১৭৭৬ সালে এক ফরাসী পাদ্রীর বইতে এই প্রাণীর কথা প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায়, উক্ত অঞ্চলের নানা প্রাণী, উদ্ভিদ এবং লোকজনের বর্ণনার সাথে সাথে তিনি বিশালাকার পায়ের ছাপের কথা উল্লেখ করে বলেছিলেন সেই প্রাণীটি নিশ্চয়ই বিশালাকার এবং ভারী হবে। সেই শুরু হয়েছে, এবং আজও চলছে মোকলে এমবেবের খোঁজে আমাদের যাত্রা, এই নিয়ে লেখা হয়েছে সহস্র বই, নিযুত রিপোর্ট, নির্মিত হয়েছে একাধিক ভিডিও তথ্যচিত্র। সেগুলো নিয়ে কথা বলে রাত কাবার করবেন? না জানতে চান- আসলে ঘটনা কি!

২০১১ সালে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেলের বীস্ট হান্টার অনুষ্ঠানের মোকলে এমবেবে পর্বে উপস্থাপক প্যাট স্পেইনে সেখানের হাতে কলমে প্রমাণ করে দেখান আমাদের গ্রহের সবচেয়ে বিশালাকার স্থলচর জন্তু আফ্রিকান হাতিও সেখানের ঘন বনে মুহূর্তের মাঝে চোখের আড়াল হয়ে যেতে পারে, কাজে কাজেই হয়ত এখানে বন ও বাদা এখনো অনেক রহস্যধারণ করে রেখেছে আধুনিক মানুষের জন্য! সেখানে একাধিক মানুষের সাক্ষাৎকার দেখানো হয় যারা নদীতে ক্যানু বাইবার সময় মোকলে এমবেবের আক্রমণের শিকার হয়েছে, স্বাভাবিক ভাবেই ২০০৯ সালে নির্মিত হিস্টরি চ্যানেলের মনস্টার কোয়েস্ট অনুষ্ঠানের কঙ্গো দানব পর্বেও একই মানুষগুলোর দেখা মিলে, যারা দৃঢ় ভাবে বলে আক্রমণকারী প্রাণীটি কুমির নয়, আর সেটির ছিল সরীসৃপের মত চিকন মাথা কিন্তু বিশালাকার দেহ। অনেকেই নিশ্চয়ই ভেবে বসেছেন- আহা, দেখা মিলল তাহলে আফ্রিকার শেষ ডাইনোসরের, কিন্তু ম্যাট সব উৎসাহে জল ঢেলে দিয়ে বলেন জলের মধ্যে শুঁড় তুলে এগোনো হাতির সাথেই এর বর্ণনা মিলে যাচ্ছে! ( লক নেসের দানবের সবচেয়ে বিখ্যাত আলোকচিত্রটি (যা সার্জনের আলোকচিত্র নামে খ্যাত) সহ বেশ কিছু ছবির জন্য হাতিদের দায়ী করা হচ্ছে ইদানিং, সেগুলো নাকি সার্কাসের পোষা হাতী, স্রেফ জলকেলিতে নেমেছিল!

3965570-Artists_impression_of_an_Elephant_as_Nessie_Scotland

আরেক দল বিজ্ঞানী সেই অঞ্চলের নানা গোত্রের মানুষের মাঝে গবেষণা করে এমনটাও তথ্য পেয়েছেন যে মোকলে এমবেবে আসলে শরীরী কোন প্রাণী নয়, এটি বিশেষ ধরনের রক্ষক, বা আত্মা। সোজাকথায় লোকবিশ্বাসের সৃষ্টি, যা কিনা আফ্রিকাসহ সারা বিশ্বের মানব সমাজে অত্যন্ত প্রচলিত এক জিনিস।

২০০১ সালে বিবিসি এবং ডিসকভারির যৌথ ভাবে নির্মিত কঙ্গো তথ্যচিত্রে স্থানীয় বাসিন্দারা একটি গণ্ডারের ছবিকে মোকলে এমবেবে হিসেবে চিহ্নিত করে, যদিও আফ্রিকার সেই অঞ্চলে গণ্ডার সুলভ কোন প্রাণী নয়! তাহলে কি এমনও হতে পারে হাজার হাজার বছর আগে যখন সেই অঞ্চলে গণ্ডার এবং মানুষের সহাবস্থান ছিল, তখন থেকেই নানারূপে পরিবর্তিত হয়ে শিংওয়ালা গণ্ডার আজকের মোকলে এমবেবেতে পরিণত হয়েছে!

এই সময় হাতে আসল এক বই, রেডমণ্ড ও,হ্যানলন নামের এক অভিযাত্রীর কঙ্গো জার্নি, যার ফ্ল্যাপে বিশেষ করে লেখা ছিল- এই বইতে লেখক সশরীরে শুধু সেই দুর্গম অঞ্চলে ভ্রমণই করেন নি, উদঘাঁটিত করেছেন মোকলে এমবেবের সত্যিকারের রহস্য!

143933

প্রায় ৫০০ পাতার ঢাউস বই, ভিতরে অল্প কিছু আলোকচিত্র, বিশেষ করে অতিদুর্গম টেলে হ্রদের, ( যেখানে ২০০৭ সালে প্রায় এক লক্ষ গোরিলার সন্ধান মিলেছে আকস্মিক ভাবেই) যে হ্রদটিকে কোন অজানা কারণে সবসময়ই মোকলে এমবেবের বাসস্থানে হিসেবে ধরা হয়, এবং কি বলা হয়েছিল ১৯৫৯ সালে এখানে একাধিক মোকলে এমবেবেকে পিগমিরা মেরে ফেলে এবং তাদের মাংসে বিশাল ভোজউৎসব পালিত হয়। এবং লেখক রসিয়ে রসিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন ভ্রমণজনিত সবকিছুই নিয়েই। কাহিনী এগিয়ে চলেছে, তিনি বলে যাচ্ছেন তার আফ্রিকার গাইডদের কথা, বুনো প্রাণীদের কথা, গা ছমছম করা আফ্রিকার রাতের কথা। যাই হোক, বিশাল বিস্তৃত বর্ণনার শেষে লেখক বুঝলেন তার আফ্রিকান গাইড যে কিনা হলফ করে মোকলে এমবেবে বা জলার ডাইনোসর দেখার কথা বলেছিল, সে আসলে তার সাথে মিথ্যা কথা বলছে!

কিন্তু কেন? এর উত্তর জানতে চাইলেই আরেক আফ্রিকান হেসে মোক্ষম উত্তরটি দিল- যাতে তোমার মত বোকা মানুষেরা ওর কথায় বিশ্বাস করে এখানে আসে, আর সে মোটা টাকা আয় করতে পারে, বুদ্ধু কাহিকা!

এই ছিল দশ কথার শেষ কথা!

আফ্রিকার জলার চরে বেড়ানো দানব ডাইনোসর মোকলে এমবেবে তাহলে কি? বুঝলেন তো!


মন্তব্য

কড়িকাঠুরে এর ছবি

মবেম্বে'র দু-একটা গল্পও বলতেন- লেখাটা তাহলে মবেম্বের সাইজ হত...

দীর্ঘদিন ধরে মানুষের মুখে মুখে প্রচলিত গল্পগুলোই একসময় বিশ্বাসে পরিণত হয়-
বাইরের অন্যান্য মানুষকে বোকা বানায়... তবে মাঝে মাঝে বোকা হওয়া ভালই...

তারেক অণু এর ছবি

হে হে, সেই সাইজের হলে আর রক্ষে ছিল না !

দুর্দান্ত এর ছবি

হাততালি

তারেক অণু এর ছবি
সুমাদ্রী এর ছবি

@অনু ভাই, বগা লেকের সাথেও এরকম এক বিশালাকার প্রাণীর যোগাযোগ আছে এরকম একটা গল্প চালু আছে বমদের মধ্যে, শুনেছেন নাকি? আপনাদের মত স্কেপটিক লোকদের ভয়েই তো এরা আর লোকচক্ষুর সম্মুখে আসেনা এখন, জ্বীন-পরী-ভূতেরও এখন মানুষ প্রমাণ খোঁজে। হাসি

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

তারেক অণু এর ছবি

পড়েছি বগা লেকের সেই গল্প, বেশ মজার।

আরে, স্কেপটিক হলাম কোথায়? বিশ্বাস তো করতেই চাইলাম, কিন্তু প্রমাণ মিলল উল্টো দিকের !

বাপ্পীহায়াত এর ছবি

চলুক

তারেক অণু এর ছবি
অবনীল এর ছবি

অনু, শঙ্কুর কংগো অভিযান মনে আছে? ওখানে এই শব্দটার সাথে প্রথম পরিচিত হই। দারুন! এই বইটা পড়তে হবে।

___________________________________
অন্তর্জালিক ঠিকানা

তারেক অণু এর ছবি

আবার জিগস! কিন্তু সেইটার ফিনিসিং অন্য ধরনের ছিল।

বইটা অবশ্য আমার ভাল লাগে নি, যদিও অনেকেই এর খুব প্রশংসা করেছে।

নিরবতা এর ছবি

চলুক

তারেক অণু এর ছবি
মাহবুব লীলেন এর ছবি

সাইদি গোলাম নিজামিরে একসাথে সিলাই দিয়ে বগা লেকে ছেড়ে দিলে কিন্তু ‌'সাইগোনি' দানব দেখিয়ে আমরাও বেশ কিছু পয়সা কামাতে পারতাম

ধুসর জলছবি এর ছবি

দেঁতো হাসি শয়তানী হাসি

বন্দনা এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

ইমা এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

তারেক অণু এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি বিষম খাচ্ছি এই কথা পড়ার পর থেকে। লীলেন দা রকস অলঅয়েজ!

অরফিয়াস এর ছবি

"সাইগোনি" দানব !! গড়াগড়ি দিয়া হাসি নামটা সেইরকম। গুল্লি

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

তারেক অণু এর ছবি

দুর্দান্ত।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

কঙ্গো মুভিটার আজীব গরিলাদের কথা মনে পড়ে গেল। এখনো কতো অনুদঘাটিত রহস্য।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

তারেক অণু এর ছবি

মুভিটা অল্প দেখেছিলাম, ক্রিকটনের বই থেকেই নেওয়া। খাঁটি রহস্য আছে এখনো অনেক, কিন্তু মানুষ যখন খামোখা ভেজাল রহস্য তৈরি করে খুব বিরক্ত লাগে।

স্বপ্নখুঁজি এর ছবি

চলুক

তারেক অণু এর ছবি
বন্দনা এর ছবি

যাতে তোমার মত বোকা মানুষেরা ওর কথায় বিশ্বাস করে এখানে আসে, আর সে মোটা টাকা আয় করতে পারে, বুদ্ধু কাহিকা!

এত কাহিনী শোনায়ে শেষে কিনা এই আপনার কনক্লুশন। অ্যাঁ

তারেক অণু এর ছবি

আমার না তো, লেখকের কনক্লুশন॥! খুশী হন যে ঐ ব্যাটার মত আমি ৫০০ পাতা লিখে এই কথা বলি নাই চোখ টিপি

ইমা এর ছবি

"যাতে তোমার মত বোকা মানুষেরা ওর কথায় বিশ্বাস করে এখানে আসে, আর সে মোটা টাকা আয় করতে পারে, বুদ্ধু কাহিকা!"
আরে এতো রীতিমত চরম-পরম ধান্দাবাজি।অবশ্য অতিশয় চতুর এবং কার্যকর সেটা স্বীকার করতেই হয়। না হলে কি আর আমারা অণুদার এই লেখাটা পেতাম!!! চাল্লু

তারেক অণু এর ছবি

এমন ধান্দাবাজি কিন্তু অহরহই চলে, আমাদের সমাজে চলে! পীর ফকির সাধুদের কেরামতির কথা চিন্তা করুন, কি ভাবে ছড়ায় তাদের ক্ষমতার কথা, আর কত মানুষ লাইনে দাঁড়ায় তাদের পা ছোবার আশায়!

ইমা এর ছবি

কথা সত্য মন খারাপ কিন্তু পীর ফকির সাধুরা এভাবে বোকা বানাতে পারে তার অনেকটা সুযোগ হয়তো আমরাই করে দেই। এমন অনেকেই আছেন পীর ফকিরেরা কিছু একটা বলেছেন তো সেটা নিয়ে হইচই ফেলে দেন। দুঃখ লাগে যখন দেখি এই ধরণের মানুষদের মধ্যে "শিক্ষিত" মানুষের সঃখ্যা নেহায়েত কম না।

তারেক অণু এর ছবি

এরাই তো বেশী! মন খারাপ সবসময়ই!

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

এইবারে কিছু অনুদ্ঘাটিত রহস্যের কথা জানতে চাই দাদা।
লেখা বরাবরের মতই ভালো লেগেছে।

তারেক অণু এর ছবি

যেমন মানুষ কেন ছাগু হয় ! আর পর্যন্ত কেউ বাহির করতে পারল না !

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

হো হো হো চলুক

তারেক অণু এর ছবি
সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

হ... পুরান টিরিক্স

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

তারেক অণু এর ছবি

জানলেন ক্যামনে!

সত্যপীর এর ছবি

ইয়েতিও নাই লকনেস মনস্টার ও নাই? সেইদিন আবার কইলেন ক্রিস্টাল খুলিও নাই. কুনদিন কইবেন ড্রাগন ও নাই. আপনে পাইসেন কি?

..................................................................
#Banshibir.

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

ঠিক, ঠিক, সহমত।
এরপরে কবে ভূতও নাই। এইগুলান চলতে দেওন যায় না। শয়তানী হাসি

তারেক অণু এর ছবি

আমরা তো থেকেও নাই!

তারেক অণু এর ছবি

লকনেস নিয়ে কথা ব্লিনাই হে ভ্রাত এখনো! ড্রাগন, আহা Where have all the Dragons gone !

সত্যপীর এর ছবি

লকনেস আর ড্রাগন আসে কৈতেসেন? (আপনের পিঠ চাপড়ে দেওয়ার ইমো)

..................................................................
#Banshibir.

তারেক অণু এর ছবি

হে হে, সেই আশাতেই তো জীবন পার করে দিলাম! কিন্তু কোথায় তারা?

ধুসর গোধূলি এর ছবি

এই ব্যাটারে নিয়া আসলেই বিরাট ঝামেলা আছে পীরবাহাদুর। কোন্দিন সে পোস্ট মাইরা কইবো, ধুসর গোধূলিও নাই! এই ব্যাটারে এখনই খাষ্টাঙ্গের পায়ার লগে বান্ধোন দরকার। আর বিলম্ব নহে... অই, কে আচিশ...

সত্যপীর এর ছবি

খাট চৌকির সাথে তারেকানুরে বাইন্ধা লাভ নাই ধুগোদা এই লুক জ্বিন, ইচ্ছামত উইড়া বেড়ায়.

..................................................................
#Banshibir.

তারেক অণু এর ছবি

হ কইছে আপনেরে, তাহলে পিলেন ভাড়া বেঁচে যেতে রে ভাই।

তারেক অণু এর ছবি

ধুসর গোধূলি! সে কে , কি, কেন, কবে কোথায়!
ধু গো কি এক প্যাঁচ লাগায়ে দিলেন!

ধুসর জলছবি এর ছবি

দুয়েকটা ডাইনোসর থাকলে মন্দ হত না। হাসি

তারেক অণু এর ছবি

সত্যিই। কিন্ত তাদের বংশধরেরা আছে চারপাশেই--

অতিথি লেখক এর ছবি

কোনদিন আবার অনু ভাই কইব আমরাই নাই সবই ভুয়া, আর আমরা কমু কস্কি মমিন!

তারেক অণু এর ছবি

খাইছে আমরা তো থেকেও নাই!

অরফিয়াস এর ছবি

জলদানব নিয়ে তো আগ্রহ আমারও। শয়তানী হাসি এমনকি ছোটবেলায় কিছু বই ছিলো এসব রহস্যময় প্রানীদের নিয়ে।

তবে লকনেস হ্রদের দানবের কাহিনীর পিছনে যে সার্কাসের হাতির শুড় এর কথা বললে সেটা মানতে পারলাম না। লকনেস হ্রদের যে ভৌগলিক অবস্থান তাতে সেখানে সার্কাসের হাতি যাওয়ার কোনো কারণ দেখিনা। শুধু তাই না, ঠিক যেই অংশটাতে ছবিটি তোলা হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়, সেখানের গভীরতা যথেষ্ট। অতোটা গভীরে সার্কাসের পোষা হাতি চলে যাওয়ার কোনো কারণ দেখিনা। এছাড়াও, বেশ কয়েকটি স্থানে আলাদা আলাদাভাবে দানব দেখা যাওয়ার কথা লোকমুখে শোনা যায়। যার মাঝে একটি গভীর গুহাকৃতির স্থানও রয়েছে। সেখানের জল যথেষ্ট গভীর। তাই ওই সব স্থানে পোষা কোনো জন্তু পৌঁছে যাওয়ার যুক্তিটি মানা যাচ্ছেনা। হয় এটি সম্পূর্ণ লোকগাঁথা, নয়তো কোনো সামুদ্রিক প্রাণীকেই ভুলবশত এরকম ধরে নেয়া হয়েছিল।

তবে যেসমস্ত স্থানে ভৌগলিক অবস্থান এবং নানা প্রতিকূলতার কারণে এখনও বিস্তারিত গবেষণা কিংবা খোঁজ সম্ভবপর হয়নি, সেসকল স্থানে অস্বাভাবিক দৈহিক বৃদ্ধিসম্পন্ন প্রাণী যে পাওয়া যাবেনা, সেটা বলা যায়না। সাগর কিংবা গভীর জলাশয়ের এরকম অজস্র ফাটলে এধরনের এক-আধটা প্রাণী আরামসে লুকিয়ে থাকতে পারে বছরের পর বছর। আর খাবারের অভাবের তো প্রশ্নই ওঠেনা। তবুও যেহেতু যে কয়টা জলদানবের কথাই ইতিহাসে এসেছে তার স্বপক্ষে যেমন কোনো প্রমান পাওয়া যায়নি কিংবা যথেষ্ঠ তথ্য জোগাড় করা সম্ভব হয়নি, তাই উপসংহার টানতে যাওয়া কঠিন।

তবে থাকুক না কিছু রহস্য, নাহলে এইসকল রহস্যের নেশায় বাড়ি ছেড়ে অভিযাত্রী হওয়ার স্বপ্নই বা কি করে দেখবে মানুষ? আর রহস্যের জলদানবের পিছনে ছুটতে ছুটতে নতুন প্রজাতির প্রাণী আবিষ্কার করলেও তো একদিক থেকে লাভবান হবে মানব সভ্যতা।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

তারেক অণু এর ছবি

হে ভ্রাত, আসল রহস্য অনেক অনেক আছে, কিন্তু দু-চারটে মিথ্যে রহস্য যা কিনা চতুর মানুষের অর্থ আর খ্যাতির লোভে গড়ে উঠেছে তার মুখোশ উম্মোচন করাও জরুরী।

নেসির এই ছবিটা কেমন করে তোলা হয়েছে, যারা এই কাজ করেছিল তারা কিন্তু স্বীকারোক্তি দিয়েছে! এইটি খুবই অগভীর পানিতে খেলনা সাবমেরিনের শরীরে এই দানব মাথা লাগিয়ে তোলা, বস্তুটির চারপাশের ঢেউ খেয়াল করলেই বুঝবেন, কিন্তু মানুষের মিথ্যার জনা কোন প্রাণী থাকার সম্ভাবনা নাই হয়ে যায় না।

অতল মহাসাগরে এখনো থাকতে পারে বিশালদেহী অনেক অনেক জীব যাদের সম্পর্কে জানতে পারিনি আমরা কিছুই কিন্তু একটি হ্রদে ডাইনোসর জাতীয় প্রাণী লুকিয়ে থাকা, বিশেষ করে বর্তমানে---এটা মানা খুব কঠিন।

সার্কাসের হাতির তত্ত্বটি বেশ নতুন, এবং সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে তারা লকে পাশের রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করত, এতই ছবিটির পিছনে তারা দায়ী নয়, কিন্তু অনেক উৎসাহী মানুষের নেসি দর্শনের পিছনে তারা দায়ী হতেই পারে।

সে তো আমি চাই-ই, খুব করে চাচ্ছি- যেন টিকে থাকে এই প্রাণীরা, কয়েক দশক আগেও কিন্তু পার্বত্য গোরিলাকে মানুষ গুল গপ্পো হিসেবেই মনে করত!

অরফিয়াস এর ছবি

চলেন একখানা অভিযাত্রী দল খুলি, যেখানেই এইরকম হাউকাউ সেখানেই আমরা দৌড়ামু !! শয়তানী হাসি

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

তারেক অণু এর ছবি

আমি হাজির !

তদানিন্তন পাঁঠা এর ছবি

মিয়া। পুরাই ফাউল একটা আপনি। আমার তো আর আপনার মতো ক্ষেমতা নাই দেশ বিদেশ দেখার। মনে মনে ছোটবেলার এইসব গল্পকেই পুঁজি করে উড়ায় চলি স্বপ্নের ফানুস। আর আপনে আইছেন একের পর এক সব স্বপ্ন বাতিল করতে। হেরা কি আপ্নারে কামড়ায়ছিল? আর যদি আমাগো একটা স্বপ্নরেও এম্নে করে নষ্ট করছেন; তয় এইবার দেশে আসলে আপ্নারে আমি মানুষখেকো (পড়তে হবে অনু খেকো) জংলীদের হাতে তুলে দেব। ইয়ে, মানে...

তারেক অণু এর ছবি

পরে দিয়েন্‌ এখন কাজীদাকে নিয়ে একটা বড়সড় লেখা দেন।

অন্যরকম ধ্রুব এর ছবি

চলুক

তাপস শর্মা এর ছবি

দারুন। বইটার মধ্যে লেখকের নিজস্ব ভ্রমণের বৃত্তান্ত আছে নিশ্চয়ই?

এই ধরণের মিথ অনেক যায়গায় প্রচলিত আছে। আসলে সেগুলি মানুষের সৃষ্ট উদ্ভট রটনা বৈ আর কিছুই নয়। যেমন একটা উদাহারণ দেই, আমাদের ত্রিপুরা রাজ্যের সবচে বড় অভ্যারণ্যতে ( পাইথনের জন্য বিখ্যাত ) নাকি জিরাফ দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। আজিব সব রটনা আছে!!

[ অটঃ বারমুডা ট্রাইএঙ্গেল নিয়ে একটা লেখা নামাতে পারো কিনা দেখো ]

তারেক অণু এর ছবি

জিরাফ আসল কোথা থেকে! ছাড়া পাওয়া?

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

যাতে তোমার মত বোকা মানুষেরা ওর কথায় বিশ্বাস করে এখানে আসে, আর সে মোটা টাকা আয় করতে পারে, বুদ্ধু কাহিকা!

এমন গাইডের পাল্লায় পড়েছেন কি কখনও ? ধোকা কি খেয়েছেন জীবনে ? মিথ্যে বলবেন না প্লিজ।

অমি_বন্যা এর ছবি

চলুক

তারেক অণু এর ছবি

হে হে, এমন জায়গায় যাওয়া পড়ে নি তো! তবে হিমালয়ে একাধিক শেরপা দাবী করেছিল তারা ইয়েতির পায়ের ছাপ দেখেছে, আর নরওয়ের এক বুড়ো জেলে বলেছিল সেলমার কথা, কিন্তু তারা আমার গাইড ছিল না।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

সুন্দরবনের সব গাইডদের কাজ হল, বাঘের পায়ের ছাপ নিয়ে এক বিশাল নাটক করা। একটা পায়ের ছাপ দেখিয়ে চরম উত্তেজনায় তুলে দিতে তারা ওস্তাদ।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

তারেক অণু এর ছবি
চরম উদাস এর ছবি

চলুক

তারেক অণু এর ছবি

(বাংলায়)

সত্যপীর এর ছবি

হো হো হো

..................................................................
#Banshibir.

তারেক অণু এর ছবি

হাইসেন না গো, চরম গরম হলেই কোবতে লেখা শুরু করবে।

সজল এর ছবি

দুনিয়াতে আর কোন ডায়নোসর নাই। ঈশ্বর সবগুলোরে কাবাব বানিয়ে খেয়ে ফেলেছেন অনেক আগেই।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

তারেক অণু এর ছবি

তাতে কি, তাদের বংশধরেরা আছে তো!

কুমার এর ছবি

চলুক

তারেক অণু এর ছবি
ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

এরকম মিথ মনে হয় খুব কমন। আমি যেখানে থাকি, মানে ব্রিটিশ কলম্বিয়ার কেলোনা শহরে। এলাকাটা বৃহত্তর ওকানাগান ভ্যালী তে অবস্থিত। এখানকার ওকানাগান লেক নিয়েও এরকম গল্প প্রচলিত আছে। ওগোপোগো নামে একটা জন্তু নাকি এই ওকানাগান লেকে। এরকম কোন একটা জন্তু নিয়ে এক্স-ফাইলসেও একটা পর্ব ছিল মনে পড়ে।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

তারেক অণু এর ছবি

আরে কবি ভাই, ব্রিটিশ কলম্বিয়া কিন্তু বিখ্যাত এমন নানা জলদানব বা সী সার্পেন্ট দর্শনের জন্য, ওগোপোগো কিন্তু খুবই বিখ্যাত। নাহ, আপনার ওখানে ঢু মারতেই হবে!

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

এসে পড়েন, আগামী চার বছর আশা করি থাকব ভ্যাঙ্কুভারে।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

তারেক অণু এর ছবি

এর মধ্যেই আসব। আসলে কানাডার গ্রীষ্ম, শরত ,শীত প্রায় ফিনল্যান্ডের মতই, তাই মাঝে মাঝে মনে হয় যাব, নাকি যাব না ! তবে ব্রিটিশ কলম্বিয়া অন্য ব্যাপার, আসবই যান!

ওডিন এর ছবি

লেখাটা দারুণ লাগলো। হাসি

আমি মনে করি এইরকম মিথ বা লিজেন্ড যাই বলেন- সব রহস্যভেদ না করে রহস্য রহস্যই থাকতে দেয়া উচিত। তাতে লোকজন একটু ভয়ও পাবে, চোরাশিকারিদের উৎপাতও একটু কমবে। হাসি

তারেক অণু এর ছবি

ভয়ের চেয়ে ভালবাসা দিয়েই পরিবেশরক্ষার চেষ্টা করা ভাল ।

তবে কিছু রহস্য সবসময় থেকেই যাবে--- ক্ষতি কি তাতে!

আশালতা এর ছবি

এইরকম করে হাটে হাঁড়ি ভাংতে থাকলে চলবে ? এরপরে অমাবস্যার রাতে ভয় পাব কি নিয়ে ? চোখ টিপি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

তারেক অণু এর ছবি

ভয় পাচ্ছেন না! তাকান দেখি পিছনে-

তুলিরেখা এর ছবি

মোকেলে মবেম্বে শুনলে শ‌ঙ্কুর কংগো অভিযানের সেই লাল দাড়ি লাল চুল ভিলেনকে মনে পড়ে যায় যে কিনা জোর করে লোকদের দিয়ে হীরে খোঁজাতো আর শঙ্কুদেরও জোর করছিলো কী নিয়ে যেন। গ্যাসবেলুনে চড়ে জেগে ওঠা আগ্নেয়গিরি থেকে পালানোর সময়ের অংশটা সবচেয়ে ভালো লাগতো, ভিলেনরা পালাতে পারলো না। (তবু কেন জানি আমার একটা অন্য ভার্সন নিজে নিজে বানাতে ইচ্ছে হতো যেখানে কিনা ভিলেনরা ভালো হয়ে গেছে চিন্তিত )
সারা পৃথিবী ঘুরেন আপনি, আগ্নেয়গিরিতেও গেছেন? কোনো কোনো ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরিতে নাকি নামা যায়, একজন বলছিলেন আফ্রিকার এক আগ্নেয়গিরিতে নামার আগে আগে স্থানীয় এক লোক যে কিনা বন্ধু হয়ে গেছিলো, সে তাকে বললো, "আমার বাবাকে যদি দ্যাখো ওখানে বোলো তার ছেলে ভালো আছে।" বলাবাহুল্য সেই লোকের বাবা বেশ কিছুকাল প্রয়াত।
যাই হোক, আপনি কোনো একটা অভিযানে আমাদের কয়েকজনকে যদি সাথে নেন, তবে লাইনে রইলাম ইঁট রেখে। আগে থেকে যোগাড়যন্তর করতে হবে তো।
হাসি

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

তারেক অণু এর ছবি

গল্পটা আরেকবার পড়লাম, কেন জানে সিক্স মিলিয়ন ডলার ম্যানের ছায়া আছে মনে হল, মানে রোবটের ব্যাপারটা।

না আগ্নেয়গিরি যা দেখছি সবই দূর থেকে, দেখি সুযোগ পেলেই একটার মাঝে নামতে হবে।

প্রস্তত হন, সামনের গ্রীষ্মে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু আগ্নেয়গিরিতে যাবার কথা চলছে, যদিও সে এখন মৃত।

তুলিরেখা এর ছবি

আরে! সামনের গ্রীষ্মে? দারুণ! আছি আছি যাবো যাবো। হাসি
আরে নেটে সেই সোনালীলাল আগুন আগুন লাভা লেকের ছবি দেখে আমি তো ফ্ল্যাট, কী অসাধারণ আমাদের এই দুনিয়া!

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

তারেক অণু এর ছবি

কী অসাধারণ আমাদের এই দুনিয়া!
আসলেই, আফ্রিকার কিছু দেশে একদম লাভা উদগীরণ হচ্ছে এমন জায়গাতে আজকাল নিয়ে যায় টুরিস্টদের, তবে মোটা অর্থের বিনিময়ে।

তুলিরেখা এর ছবি

মনে হয় একটা জীবন খুব অল্প হয়ে যায়, কী বিশাল হিমালয়, কী বিশাল আন্দিজ, বর্ণনার অতীত সৌন্দর্য, এক একটা চূড়ায় যাবার পথের দু'ধারে কী সীমাহীন আনন্দের পসরা, ধরা যায় না, উপচে পড়ে ---প্রশান্ত মহাসাগরের নীলে ছড়িয়ে থাকা টুকরো টুকরো মণির মতন দ্বীপমালা-আর সমুদ্র সমুদ্র সমুদ্র। আপনি এত ঘোরেন, এত অসীম সৌন্দর্য দেখেন, মাঝে মাঝে আপনার দম বন্ধ হয়ে আসে না ভালোলাগায়? মনে হয় না ওঃ, এত কী করে রাখি? কোথায় রাখি? হাসি

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

তারেক অণু এর ছবি

সবসময়ই মনে হয়, আমাদের নীল বাড়ীটা যে কি অপরূপ!

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাই আমি যতই আপনার লেখা পড়ছি সেই সাথে সাথে আপনার লেখার ভক্ত হয়ে যাচ্ছি গুরু গুরু চলুক হাততালি হাসি

তারেক অণু এর ছবি

আশা করি আপনার এই ভাল লাগার মর্যাদা দিতে পারব।

কল্যাণ এর ছবি

চলুক

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

তারেক অণু এর ছবি

আফ্রিকা নিয়ে লেখা দ্যান!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।