কাজীদা, মানে আমাদের কাজী আনোয়ার হোসেন, সেবা প্রকাশনীর জন্মদাতা, কর্ণধার, কোটি কোটি বাঙ্গালীর আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্নের পৃষ্ঠপোষক, কুয়াশার লেখক, বাংলা ভাষার সর্বকালের শ্রেষ্ঠ অনুবাদকদের অন্যতম, এবং বাংলা বইয়ের জগতের জনপ্রিয়তম চরিত্র মাসুদ রানার জনক।
কি! এতেই শেষ হয়ে গেল কাজীদার পরিচয়? না, কাজীদার সর্বগুণের সন্ধান দেওয়া অথবা সেই মানুষটাকে কাগজে আঁকার ক্ষমতা আমার মত নাদানের কলমের থাকলে এতদিন বাংলা সাহিত্য আরেক দিকপাল হয়ত পেয়েই যেত, যেহেতু তা হয় নি তাই খুব সংক্ষেপেই বলি- কাজীদার কথা শুনলেই আমার আকাশের কথা মনে হয় - অসীম মহাশূন্য, বিশাল যার ব্যপ্তি, যার কোন শেষ নেই সেই আমাদের কাজীদা, কাজী শামসুদ্দিন আনোয়ার হোসেন নবাব।
কাজীদার জন্মদিন ১৯ জুলাই, কততম তা নিয়ে আমার কোন মাথা ব্যাথা নেই, পত্রিকায় হয়ত আসবে ৭৬তম, কিন্তু কাজীদা ৯০ হোন বা ৪৫ তাতে কি যায় আসে! যে মানুষটি সমান কর্মস্পৃহা নিয়ে কোটি কোটি পাঠকের চাহিদা ও ভালবাসাকে মাথায় রেখে যুগের পর যুগ আমাদের অমৃত জুগিয়ে চলেছেন তার বয়সের ক্ষেত্রে একটি উপমাই মানানসই- চিরসবুজ তিনি, চিরতরুণ তিনি। গল্পের মাসুদ রানা বয়স যেমন আঁটকে আছে তিরিশের কোঠায়, আমাদের কাজীদার বয়সও তেমনি আঁটকে গেছে সেই ১৯৬৪ সালেই, পেপারব্যাকের নিউজপ্রিন্টের পাতা এবং পাঠকের ভালোবাসার সাথে।
ঠিক কবে সেবার সাথে পরিচয়, এই নিয়ে তিন গোয়েন্দার এক লেখাতে কিছু ঘটনা বলেছিলাম কিন্তু কাজীদা ছিলেন অনন্য, জুলিয়াস সিজারের চেয়েও অনেক অনেক কম সময়ে অকল্পনীয় দ্রুতগতিতে এক কিশোরের মনোজগত দখল করে ফেলে আদরের সাথেই হাসি মাখা মুখে বলেছিলেন- ভিনি ভিডি ভিসি! বইটির নাম যে ছিল রবিনহুড! অনেকের মতেই সেবার এবং কাজীদার জীবনের শ্রেষ্ঠ কীর্তি! পদ্মাপারের রাজশাহীর ধূসর বিকেল থেকে একটানে সেই স্বপ্নালু কিশোরকে নিয়ে গেলেন তিনি নটিংহ্যামের ঘন সবুজ শেরউড অরণ্যে, ঘোড়া দাবড়িয়ে সে ঘুরে বেড়াল সাত কুড়ি মুক্ত স্বাধীন প্রাণ অনুচরের সাথে, বনে গেল কল্পনার ফানুস উড়িয়ে, শরীরে লিংকন গ্রীন চড়িয়ে তাদেরই একজন হয়ে। সেই স্বপ্নমাখা আবীর মুছে নি আজও মুগ্ধ কিশোরের। সেই থেকেই শুরু হয়েছে আমৃত্যু সেবা সম্মোহনে আকৃষ্ট হয়ে পথ চলা।
অবাক এবং বিরক্ত হয়ে লক্ষ্য করেছি কাজীদার কথা আসলেই সবাই দেখি কেবল মাসুদ রানা নিয়ে প্রশ্ন করে, জানতে চায় কুয়াশা নিয়ে, কিন্তু আমরা কি ভুলে গেছি সারা বিশ্ব ভাণ্ডার খুঁজে কি এক-একখান অসাধারণ ছোট গল্প তিনি বাঙ্গালী পাঠকের উপযোগী করে সুস্বাদু মশলা মাখিয়ে পাতে তুলে দিতেন? এভাবেই আমরা পেয়েছিলাম পঞ্চ রোমাঞ্চ, তিনটি উপন্যাসিকা, ছয় রোমাঞ্চ, ছায়া অরণ্য, এবং কাজী আনোয়ার হোসেন নির্বাচিত রোমাঞ্চগল্পও। অনুবাদক তো দুই বাংলা মিলিয়ে কয়েক লক্ষ আছেন, সবার কাজের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি কাজীদার অনুবাদের বা রূপান্তরের পাশে কেন পিছনে দাঁড়াবার মত অনুবাদকের সন্ধান আজ পর্যন্ত আর মিলল কোথায়! আর সেটি কেবল রোমাঞ্চ গল্প বলে নয়, সিরিয়াস সাহিত্য নিয়েও, পড়েছেন কি কাজীদার অনুবাদের রিচার্ড কনেলের সবচেয়ে বিপদজনক শিকার? যদি পড়ে থাকেন, তাহলে বুঝে গেছেন কি বলতে চাইছি, আর যদি না পড়ে থাকেন- এখনই পড়ে ফেলেন, বুঝবেন কি রসসুধায় বঞ্চিত ছিলেন এতদিন! অথবা হেনরি রাইডার হ্যাগার্ডের মন্টেজুমার মেয়ে?
কাজীদার রূপান্তরিত প্রথম যে গল্পটি পড়া হয়েছিল তা রহস্যপত্রিকার কল্যাণে, নাম ছিল জালিয়াত। অসাধারণ এক গল্প, বাঙ্গালী ঢঙ্গে বলা, এমনই কারুকার্য করেছিলেন কাজীদা যে উত্তমপুরুষে বলতে যেয়ে নিজেকেই গল্পের একজন চরিত্র বানিয়ে ফেলেছিলেন। সেখানে তার ঠাকুরদার ভাই মিজান কাজীর (?) সাথে আমিও গিয়েছিলাম প্রথমবারের মত তাহিতি ভ্রমণে , পরিচয় হয়েছিল পল গগ্যা এবং সমারসেট মম এই নাম দুটোর সাথে, সেই সাথে পেয়েছিলাম সান্দ্রো বত্তিচেল্লীর বার্থ অফ ভেনাসের অপূর্ব বর্ণনা ( এর অনেক অনেক বছর পড়ে ফ্লোরেন্সের উফিজি গ্যালারীতে আসল বার্থ অফ ভেনাসের চোখ চোখ রেখে ফিরে গিয়েছিলাম অন্য আলোর শৈশবে, কাজীদার কাছে ঋণ বেড়েছিল একলাফে কয়েক গুণ)। অ্যাবাকাস ব্রেনের যোগসাজসে অনেক দিন ধরে ভেবেই ছিলাম যে এটি আসলেই কাজী পরিবারের সত্য ঘটনা! অবশ্য আমি একা নই, একবার সেবার বইয়ের আলোচনা বিভাগে দেখিছিলাম এক সরলমনা দেশপ্রেমী তরুণ লিখেছে- কাজীদা, যতদূর জানি আপনি বি সি আই-এর প্রধান, আমি সেখানে যোগ দিতে ইচ্ছুক, কি করতে হবে? কাজীদা কিন্ত এমন পাগল ভক্তের অদ্ভুতুড়ে কথায় বিন্দুমাত্র উষ্মা প্রকাশ করেন নি, একজন খাঁটি মানুষের মতই বলেছিলেন- গ্রাজুয়েশন করে দরখাস্ত কর, আর সুস্বাস্থ্য বজায় রাখ!
আহ, সেবার আলোচনা বিভাগ! কি দারুণ এক বাড়তি আকর্ষণ, কত আব্দার পাঠকদের, কত আকুলি বিকুলি করা তথ্য! এমন যুগান্তকারী লেখক-প্রকাশক-পাঠকের মিলনমেলা কি এর আগে কেউ শুনেছে না দেখেছে! কি প্রাণবন্ত সব চিঠি, আর দুর্দান্ত মায়ামাখা তাদের উত্তর। এই-ই হচ্ছে সেবার জাদু, শুরু করলাম ছোট গল্প দিয়ে হাজির হয়েছি অবলীলায় আলোচনা বিভাগে! কিন্তু কাজীদার সৃষ্টি যে এমনই, জীবনের প্রতি অলিগলিতে অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িত, একটা ফেলে আরেকটা নিয়ে বলা সম্ভব না।
এই আলোচনা বিভাগেই এক কিশোরের চিঠিতে জানলাম সে তার বাবার বালিশের নিচে কাজীদার অসাধারণ কীর্তি যৌনবিষয়ে সাধারণজ্ঞান খুঁজে পেয়ে লুকিয়ে লুকিয়ে এক নিমিষে পড়ে ফেলে এবং অজস্র ধন্যবাদ দেয় লেখককে তার কৈশোরের অনেক ভয়াবহ ভুল ভেঙ্গে দেবার জন্য! যৌনবিষয়ে সাধারণজ্ঞান! কি অদ্ভুত ধরনের নিষিদ্ধ নাম, এই নামে আবার বইও প্রকাশিত হতে পারে তা ছিল কল্পনারও অতীত! যদিও বিদ্যুৎ মিত্রের নামে বইটি ছাপা হয়েছিল কিন্তু ততদিনে সবাই জেনে গেছে এটি কাজীদারই একাধিক ছদ্মনামের একটি। ইঁচড়ে পাকা এক বন্ধু অশেষ উপকার করল বইটি ধার দিয়ে, যে বইটি কাজীদা লিখেছেন তার জ্যেষ্ঠ সন্তানের উদ্দেশ্যে, যেখানে বলেছেন আমাদের রক্ষণশীল সমাজে অতি গুরুত্বপূর্ণ যৌন শিক্ষাকে এমন ভয়ের এবং গোপনীয়তার চোখে দেখা হয় যা শেষ পর্যন্ত তা নিয়ে ভুল শিক্ষা পেতে হয় ইঁচড়ে পাকা বন্ধু নতুবা বাড়ীর কাজের মানুষদের কাছে, এবং এই ভুল তথ্যগুলো অনেকাংশেই দুর্বিষহ করে তোলে কোমলমতিদের কৈশোর! উনার নিজেরও তাই হয়েছিল, কিন্তু এমনটা যেন তার সন্তানের অথবা আমাদের না হয় তাই কলম দিয়ে ভাঙতে চেয়েছিলেন সেই ফালতু সংস্কারের দেয়াল, জ্ঞানের আলোকে।
কাজীদা হচ্ছেন আমাদের সত্যিকারের সব্যসাচী- এককালে পেশাদার গায়ক ছিলেন, পরবর্তীতে সুপার হিট গানের গীতিকার, এমনকি পুরস্কার পাওয়া সংলাপ নির্মাতা, দুর্দান্ত মাছশিকারি, গীটার বাদক, আলোকচিত্রগ্রাহক, সেই সাথে একজন দক্ষ ব্যবসায়ী তো বটেই। কিন্তু তার সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব বইবিমুখ একটি জাতিকে আস্তে আস্তে নানা ভাবে বই পড়ার দিকে আকৃষ্ট করা এবং জ্ঞানভাণ্ডের সন্ধান দেওয়া।
ভাবতে পারেন, কোথায় থাকতাম আমরা যদি কেবল সেবার ক্ল্যাসিক আর অনুবাদগুলো না থাকত! বিশ্ব সাহিত্যের সাথে পরিচয় হত কি করে! মার্ক টোয়েনের টম আর হাক আমাদের প্রাণের বন্ধু হয়ে উঠত কি? কিংবা প্রেইরির ছোট্ট মেয়ে লরা এবং কিষাণবালক আলমানযো? জুল ভার্ণের অমর লেখনীর স্বাদ পেতাম কি করে মাতৃভাষায়! আজব সিরিজের বইগুলোর মাধ্যমে কত রহস্যের সাথে পরিচিত হয়েছে আমাদের পিপাসু মন,শিকার কাহিনীগুলো নিয়ে গেছে সুন্দরবন থেকে আফ্রিকার অবারিত সাভান্নায়। বুকে হাত রেখে বলুন সেবা ছাড়া জীবন ম্যাড়ম্যাড়ে হয়ে যেত কিনা?
অসম্ভব প্রচারবিমুখ একজন মানুষ কাজীদা, আমাদের আত্মপ্রচারের সমাজ এবং সংস্কৃতিতে কাজী আনোয়ার হোসেন এক হিমালয়ের নাম যিনি চারপাশের মানুষের কাছ থেকে শেখেন না নিজের ঢোল নিজে পেটানোর ফালতু বাকোয়াজ, গিরিরাজের মতই আপন গরিমা নিয়ে নিয়ন্ত্রিত করেন নিজের আলয়। আমাদের মন্ত্রীরাও যেখানে ফালতু আলোচনাসভায় টেলিভিশনের ক্যামেরা ভাষণের পরে পৌঁছালে, স্রেফ ক্যামেরায় চেহারা দেখাবার জন্য ভাষণের জায়গায় জনশূন্য হলে দাড়িয়ে বক্তৃতা দেবার অভিনয় করে, তথাকথিত সুশীল সমাজ নাকি সমাজের বোঝারা সুযোগ পেলেই টক শো ( নাকি তিতা শো ) করে বেড়ায় সেখানে কাজিদার একটি সাক্ষাৎকার নেওয়া এখনো তিব্বতের মালভূমি পায়ে হেঁটে অতিক্রমের মতই দুরূহ! আর টেলিভিশনে তার চেহারা! কে কবে দেখেছে? এই প্রসঙ্গে চ্যানেল আইয়ের ফরিদুর রেজা সাগরের এক লেখায় পড়লাম, বছর কয়েক আগের ১৯ জুলাই চ্যানেল আইয়ের পক্ষে থেকে সকাল বেলাতেই জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে গেলে কাজীদা আগত আগন্তকদের সাথে কথা বলেন, ফরিদুর রেজা সাগরের সাথেও ফোনে বাক্যালাপ হয় কিন্তু টিভি ক্যামেরা তার বাড়ীতে ঢুকতে দেন নি!
আমি দৃঢ় ভাবে মনে করি স্বাধীন বাংলাদেশের যতখানি অগ্রগতি হয়েছে গত কয়েক দশকে, তার পিছনে যে গুটিকয়েক ব্যক্তির অবদান সবচেয়ে বেশী তাদের মাঝে অন্যতম কাজী আনোয়ার হোসেন। বাংলাদেশ গড়ার পিছনে নোবেল দেবার নিয়ম থাকলে উনিই হতেন তার যথার্থ দাবীদার। জ্ঞানী মানুষ তো আছেনই আমাদের সমাজের সর্ব স্তরে ( জ্ঞানপাপীরও অভাব নেই), কিন্তু নিজের জ্ঞান পিপাসাকে অন্যের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া, নিজের আত্মবিশ্বাস, জীবন দর্শনকে আমজনতার জীবনে ঢুকিয়ে দেওয়া এবং সর্বোপরি স্বার্থপরের মত জীবন ও সাহিত্য সম্ভোগে নিয়ত না থেকে সেই অনাবিল আনন্দ সকলের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়া- এমন লোক সারা বিশ্বেই বিরল। এমনটিই করেছেন তিনি, বিশ্ব সাহিত্যে তোলপাড় করে এনেছেন সেরা রত্নরাজি, তাতেই ক্ষান্ত হন নি, পাঠকের উপযোগী করে সামনে তুলে ধরেছেন, যখন সময়ের অভাবে এই কাজ গুলো ব্যহত হচ্ছিল ঠিকই খাঁটি জহুরীর মত পাঠক সমাজকে উপহার দিয়েছেন খসরু চৌধুরী, জাহিদ হাসান, রকিব হাসান, নিয়াজ মোর্শেদ, শেখ আব্দুল হাকিম, মাসুদ মাহমুদের মত লেখক- অনুবাদকদের। যারা বিমোহিত করেছে পাঠক চিত্ত আবির্ভাবের সন্ধিক্ষণ থেকেই।
রহস্য পত্রিকা, আর কিছু নয় কেবল রহস্য পত্রিকায় যথেষ্ট ছিল সেবাকে অমর করে রাখার জন্য। কি জানতে পারি নি রহস্য পত্রিকা থেকে এককালে? গ্যালোপাগোসের জীব বৈচিত্র, নাজকার রহস্যময় আঁকিবুঁকি, লক নেসের দানব, মাচু পিচুর নির্জনতা, ফারাওয়ের কাহিনী, সাহারার হাতছানি, আমাজনের দুর্গমতা, সুমেরু- কুমেরুর অভিযান, আলেকজান্দ্রিয়ার গ্রন্থাগার, এনগোরংগোরোর জ্বালামুখ, বাহামার গুপ্তধন, গ্রিনল্যান্ডের মেরুজ্যোতি, প্রিয় লেখক-অভিনেতা-গায়ক- গোয়েন্দা- অভিযাত্রীদের জীবন- সব। জীবনে যা নিয়ে মেতে রয়েছি, যা নিয়ে জানতে চেয়েছি তার প্রায় সবকিছুরই শুরু সেবার রহস্য পত্রিকা থেকে। কাজীদা না থাকলে কোথায় পেতাম এমন সুলভ জ্ঞান ভাণ্ডার, যা উস্কে দিত কল্পলোকের ঘোড়াগুলোকে প্রতি মাসের প্রথম সপ্তাহে! জানি রহস্য পত্রিকার সেই রমরমে দিন আর নেই অনেক অনেক বছর, কিন্তু পুরনোগুলো তো এখনো সোনা দিয়ে বাঁধিয়ে রাখার মত, সেগুলোই তো খুঁজে ফিরি ফুটপাতের পুরনো বইয়ের দোকানে ক্ষ্যাপার মত। ভীষণ কষ্ট পেয়েছিলাম কিশোর পত্রিকা বন্ধ হয়ে যাওয়ায়, এমন মানসম্পন্ন বৈচিত্রময় পত্রিকা কিশোরদের কথা ভেবে আর কেউ করতে পেরেছে কি?
অনেক আগে আলোচনা বিভাগে প্রকাশিত পাঠকের লেখা চিঠিতে সুন্দর ভাবে প্রকাশিত হয়েছিল মাসুদ রানার সাথে প্রকাশিত একগুচ্ছ অভিজ্ঞতা- সাগরের ভাটার টানে পড়ে মারা যেতে বসেছিল সে, শরীর ছেড়ে দিয়েছে, এমন সময় মনে হয়েছে তার- রানা এই অবস্থায় থাকলে কি করত? নিশ্চয়ই মাথা ঠাণ্ডা রাখত, স্রোতের বিরুদ্ধে ঝুজে অযথা শক্তিক্ষয় করত না, বরং সুবিধাজনক সময়ের অপেক্ষায় থাকত- সেই যাত্রা প্রাণ রক্ষা পায় তার! আরেকবার পকেটে টিউশনির বেতন নিয়ে বাড়ি যাচ্ছেন তিনি, পাশের গলিতে দেখলেন ছিনতাইকারী চাকু ধরেছে কারো উদ্দেশ্যে, প্রথমেই ভাবলেন- বেতনের টাকা পকেটে, ঝামেলার দরকার নেই, উল্টো ঘুরে হাঁটা ধরেছেন, হঠাৎ মনে হল রানা এই অবস্থায় কি করত? নিশ্চয়ই অন্যায়ের প্রতিবাদ করত! ব্যস, ঘুরে হুংকার দিয়ে এগোলেন ছিনতাইকারীর দিকে, তারা তখন ভো দৌড়! এমন ভাবেই কল্প লোকের এক চরিত্র ঠাই করে নিয়েছে আমাদের প্রতিদিনের নিত্যকার একঘেয়ে জীবনে। সবচেয়ে গর্বের কথা মহান মুক্তিযুদ্ধের অনেক বীর সেনানী জানিয়েছেন তারা দেশমাতৃকার জন্য জীবন বাজি রেখে ঝাপিয়ে পড়ার প্রেরণা পেয়েছেন মাসুদ রানা এবং কুয়াশা থেকে।
এক বন্ধু নিয়মিত আড্ডা দিতে যেত সেগুন বাগিচায়, বাড়ীর বারান্দায় মাঝে মাঝে পায়চারি করতে দেখা কাজীদাকে তাদের মনে হত মূর্তিমান রাহাত খান, যে কিনা ভুরু কুঁচকে চিন্তা করছে পরবর্তী মিশন নিয়ে। সেবায় গিয়েছি আমিও, বই সংগ্রহ করতে, কাজীদার সাথে সামনাসামনি দেখা না হওয়ায় চক্ষু-কর্ণের বিবাদ ভঞ্জন তাই হয়ে ওঠে নি, এখনো তাই মাঝে মাঝেই মনে হয় এতসব অসামান্য কাজ একজন মানুষের পক্ষে এতদিন ধরে করে আসা সম্ভব না আমাদের ঘুণে ধরা সমাজে, হয়ত বেশ কজন আনোয়ার হোসেন আছেন, যারা একই নামের আড়ালে কাজ করেন! যেমন জেনেছিলাম, জুল ভার্ণের অসাধারণ অনুবাদক শামসুদ্দিন নওয়াব বলে আসলে কেউ নেই, কাজীদার পুরো নামে মাঝখান থেকে শামসুদ্দিন আর ডাক নাম নবাব থেকে নওয়াব নিয়ে সেই লেখকের নামের আড়ালে লিখে চলেছেন একাধিক লেখক। কিন্তু কাজীদার ভাষার গন্ধই আলাদা, এক মাসুদ রানা বিশেষজ্ঞ বন্ধু বলেছিল স্কুল জীবনে রানার অনেক বই-ই নানা ছায়া লেখকদের লেখা, কাজীদা পরবর্তীতে ঘষে-মেজে দেন। কিন্তু মাঝে মাঝেই উনি নিজে পুরো বইটির কাজ করেন, আর সেই বিশেষ বিশেষ বইগুলোর শুরু থেকেই পরতে পরতে থাকে কাজীদার ট্রেডমার্ক- ঝর্ণাধারার মত সাবলীল ভাষা, রোমাঞ্চের ঠাস বুনোট, তীক্ষ সংলাপ আর রসবোধের সমন্বয়। যে কারণে অগ্নিপুরুষ, আই লাভ ইউ ম্যান, সেই উ সেন পড়ার সাথে সাথে বলে দেওয়া যায় এই অ্যাডাপ্টেশনের কাজ স্বয়ং মাসুদ রানার, থুড়ি তার জন্মদাতার।
কাজীদা জেনে নিশ্চয়ই অবাক হবেন না যে তারই এক ক্ষুদে পাঠক ছয় মাস আলো- ছয় মাস আঁধারের রাজ্য উত্তর মেরুতে পা দিয়ে কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেছে তার অমর লেখনীকে, মনে করেছে ক্যাপ্টেন হ্যাটেরাসকে। মেক্সিকো উপসাগরের অতলে ডুব দেবার সময় হঠাৎ আলোর ঝলকানির মত যার মনে পড়েছে সেই ঝকঝকে সম্মোহনী বাক্যগুলো, যা উৎসাহ জুগিয়েছে অথৈ সাগরের তলদেশে হাঙরের ভয় ভুলে মাছেদের ঝাঁকের মাঝে নিজেদের আবিস্কার করতে। রাঙামাটির পাহাড়-হ্রদে যার পাগলপারা হয়ে ঘুরতে ঘুরতে মনে হয়েছে এই স্থান চিরচেনা হয়ে আছে মনের পর্দায় ধ্বংসপাহাড়ের কবির চৌধুরীর আস্তানার কল্যাণে। যেমনটি হয়েছিল গুয়াতেমালার সীমান্তে জাগুয়ার অধ্যুষিত চির সবুজ গহীন অরণ্যে মায়ান শহরে, ইউরোপ- এশিয়ার সংযোগ রক্ষাকারী ইস্তাম্বুলের সেতু পেরোতে, ভেনিসের গণ্ডোলায়, প্যারিসের জাদুঘরে, প্রাগের নির্জন রাস্তায়, মধ্যপ্রাচ্যের ধু ধু বালিয়াড়ির মাঝে, দানিয়ুবের তীরে, নয়াদিল্লীর বাজারে, লন্ডনের বৃষ্টিতে, আল্পসের বরফে, লেলিনগ্রাদের খালে, আফ্রিকার বুনো প্রান্তরে, মিলানের ভিড়ে, কিম্বার্লির হীরক খনির শহরে, ক্যারিবীয় দ্বীপের ঝড়ে, মতিঝিলের শাপলা চত্বরে- কোথায় না! কৃতজ্ঞতায় বিমূঢ় বালক বুঝেই উঠতে পারে না সেবা ছাড়া, কাজীদা ছাড়া সে এগোত কি করে জীবনের বন্ধুর সুন্দর পথে?
প্রিয় কাজীদা, অন্তত শতায়ু হন আপনি, জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত যেন রোমাঞ্চকর এবং সুখময় হয় আপনার, আপনার ভাল থাকা যে আমাদেরই ভালো থাকা।।
( কাজীদার জন্মদিন ১৯ জুলাই, কিন্তু দিনকয়েক আগেই লেখাটি পোস্ট করলাম যেন কেউ ভুলে না যায় এই জ্যোতিঃময় মহাপুরুষকে তার জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে। ব্যবহৃত ছবি উইকি, নেটে প্রকাশিত কাজীদার সাক্ষাৎকার, সচলে প্রকাশিত একটি লেখা থেকে নেয়া হয়েছে, আলোকচিত্রগ্রাহকের নাম জানা নেই বিধায় উল্লেখ করতে পারছি না। সবাইকে লন্ডনের ঝিরিঝিরি বৃষ্টিভেজা শুভেচ্ছা-)
মন্তব্য
খুব ভালো লিখেছেন। কাজীদা এবং তাঁর সেবা প্রকাশনীর কাছে ঋণের শেষ নেই।
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
চলতি পথে লেখা আর কি!
সেবার বইয়ের ছবিটি মনে হয় আপনার লেখা থেকেই পেলাম, কে তুলেছে?
facebook
"প্রিয় কাজীদা, অন্তত শতায়ু হন আপনি, জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত যেন রোমাঞ্চকর এবং সুখময় হয় আপনার, আপনার ভাল থাকা যে আমাদেরই ভালো থাকা।।"
ঠিক
facebook
প্রিয় কাজিদা আপনি বেঁচে থাকুন, শতায়ু ? না, আপনি বেঁচে থাকুন অন্তত যতদিন আমি বেঁচে আছি ! অণুদাকে
তাই যেন হয়---
facebook
শুভ জন্মদিন, প্রিয় কাজীদা। আপনি বেঁচে থাকুন অনেকদিন।
অনেক অনেক দিন, অনেক অনেক যুগ
facebook
আমার মত অসংখ্য মানুষের কৈশরের সময়গুলো কেটেছে সেবা প্রকাশনীর বই এর সাথে। কাজীদা দীর্ঘায়ু হোন। অনুদা অনেক ধন্যবাদ লেখাটার জন্য।
আমাদের সবারই শৈশব, কৈশোর, সারা জীবন জুড়েই সেবা।
facebook
একটি অসাধারণ শৈশব উপহার দেয়ার জন্য কাজীদার কাছে অশেষ কৃতজ্ঞতা।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
আটপৌরে জীবনকে অসাধারণ করে তোলা কেবল মাত্র জাদুকরের কাজ, শব্দজাদুকর।
facebook
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
কোবতে কই হে তিথি!
facebook
শুভ জন্মদিন কাজী দা। আর ধন্যবাদ অনু দা কে যিনি এমন একজন মানুষের জন্য অসম্ভব সুন্দর করে লিখলেন।
অমর হোক সেবা প্রকাশনী ।
অমি_বন্যা
অমর হোক সেবা--
facebook
বেঁচে থাকুন কাজীদা। আর আপনাকেও ধন্যবাদ লেখাটার জন্য। যা কোন দিন গুছিয়ে বলতে পারতাম না, আপনি তার থেকেও বেশি বলে দিলেন। আশা করি আপনার এই লেখাটা কাজীদার নজরে পড়বে।
facebook
এত বড় আশা করছি না ভাইডি---
facebook
আহা । অনুদা আবার নস্টালজিক করে দিলেন। সেই কবেকার কথা। সেবাতে আমারও হাতেখড়ি রবিনহুডের মাধ্যমে। আপনার লেখায় সেইসব দিনের কথা মনে পরে গেলো। বইয়ের শেষে আলোচনা বিভাগের চিঠিগুলোও বেশ আগ্রহ সহকারে পড়তাম। অনেক সময় এমন হয়েছে বই কেনার পর আগে আলোচনা বিভাগ পরে শেষ করতাম। তখনতো আর এখনকার মতো ইন্টারনেট ছিলনা ! ওয়ার্ল্ড ক্লাসিক গুলার সাথে পরিচয়টাও তো এই কাজিদার কারনেই। আসলেই লোকটার অবদান অপরিসীম। আমরাকি আসলেই তার সঠিক মূল্যায়ন করতে পারছি? আমার কেন জানি মনে হচ্ছে হয়তো কাজিদা আপনার লেখাটি পড়বেন। উনি কি সচলে ঢুকেন না একদম? আহা তাহলে আমার মন্তব্যটিও নিশ্চয় পড়বেন। কাজিদা আপনি জেনে রাখুন পুরো পৃথিবীতে আপনার ফ্যানের সংখ্যা নেহাত কম হবেনা। আমার মনে হয়না আর কোনও বাংলাদেশির এত ফ্যান আছে। যুগ যুগ জীয়ে আমাদের কাজিদা।
যুগ যুগ জীয়ে আমাদের কাজিদা। (গুড়)
facebook
অসাধারণ এই মানূষটাকে নিয়ে লেখার জন্য ধন্যবাদ অণুদা।
_________________
[খোমাখাতা]
প্লেজার ইজ মাইন
facebook
জানিনা এ লেখাটি বা মন্তব্যটি কখনো কাজীদা পড়বেন কিনা,তার প্রতি ভালোবাসা থাকলো হৃদয়ের গভীর থেকে। আমি সহ হাজার হাজার ছেলেমেয়ের শৈশব রাঙিয়ে দিয়েছেন আপনি,আপনি শিখিয়েছেন কিভাবে ঘন্টার পর ঘন্টা বইয়ের মাঝে ডুবে থাকতে হয়,কিভাবে কল্পনার ডানা মেলতে হয়। কখনো অ্যালান কোয়াটারমেইনের সাথে আফ্রিকার গহীনে,কখনো অ্যাথোস-পর্থোস-আরামিসের সাথে রাজা লুইয়ের ক্যাসলে,কখনো বাউন্টিতে চেপে তাহিতি দ্বীপে,কখনো নিশ্চুপ পশ্চীম রণাঙ্গনে,কখনো হাইপেশিয়া,ক্লিওপেট্রা,আংকেল টমের সাথে কেটেছে সকাল-সন্ধ্যা-রাত। আপনার দীর্ঘ সুস্থ জীবন কামনা করছি।
কখনো অ্যালান কোয়াটারমেইনের সাথে আফ্রিকার গহীনে,কখনো অ্যাথোস-পর্থোস-আরামিসের সাথে রাজা লুইয়ের ক্যাসলে,কখনো বাউন্টিতে চেপে তাহিতি দ্বীপে,কখনো নিশ্চুপ পশ্চীম রণাঙ্গনে,কখনো হাইপেশিয়া,ক্লিওপেট্রা,আংকেল টমের সাথে কেটেছে সকাল-সন্ধ্যা-রাত। (গুড়) বাহ
facebook
কাজী আনোয়ার হোসেন, নামটি কীবোর্ডে লিখে নিজের স্ক্রীণে দেখতে খুব অদ্ভুত লাগছে, মনে হচ্ছে লেখাটা জীবন্ত, যেন হঠাৎ করেই স্ক্রীণ ফুঁড়ে বের হয়ে এসে তিনি নিজেই কথা বলে উঠবেন। এই অনুভূতি থেকেই বুঝতে পারছি, হৃদয়ের অনেকখানি জায়গা এই মানুষটির জন্য বরাদ্দ রয়েছে, নাহ, আমাকে কিছু করতে হয় নি, এই কৃতিত্ব পুরোটাই লেখকের। তাঁর বিশাল কীর্তি থেকে মাত্র তিনটি উদাহরণই তাঁকে আলাদা করে চিনিয়ে দেবার জন্য যথেষ্ট। পঞ্চ রোমাঞ্চ, ছয় রোমাঞ্চ, ছায়া অরণ্য, কি অসাধারন তিনটি বই। কাজী আনোয়ার হোসেন লোকটি নিজে গল্পগুলো পড়ার পর অন্যদের সাথে শেয়ার করতে না চাইলে কারো কিছুই বলার থাকতো না, আমরা অনেকেই কত কিছু পড়ি, ছড়িয়ে দিই ক'জনে?
প্রকাশক কাজী আনোয়ার হোসেনের সাফল্য, আধুনিক এক পাঠকগোষ্ঠী তৈরি করা, যারা বিশ্বসাহিত্যের জন্য ক্ষুধার্ত হতে শিখেছে, সবসময়ই সীমানা পেরিয়ে যেতে চেয়েছে, পাঠক হিসেবে নিজেকে ক্রমশ আরও উচ্চতায় তুলে নিতে আগ্রহী হয়েছে।
পাঠক হিসেবে আমার সবিশেষ কৃতজ্ঞতা শ্রদ্ধেয় লেখককে, শুভ জন্মদিন!
সুন্দর বলেছেন---
facebook
ভাল লিখেছেন অণু ভাই। আমাদের জীবনটা সেবা ছাড়া কল্পনা করলে আসলেই কেমন পানসে হয়ে যায়। অন্য কারও কথা জানিনা। কিন্তু বাংলায় যদি বিশ্বসাহিত্যের এই বইগুলো না পেতাম তাহলে কখনই এইসব পড়া হয়ে উঠত না আমার। জানতেই পারতাম না কী বিশাল এক পৃথিবীকে মিস করে যাচ্ছিলাম আরেকটু হলেই।
কাজীদা খালি শতায়ু নন, একজন মানুষের আয়ূ সর্বচ্চ যা হতে পারে তার চেয়েও বেশি দীর্ঘায়ু লাভ করুন। স্বার্থপরের মতো হলেও আমি তাই চাই, কারন তাহলেই যে আমাদের লাভ।
যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...
কাজীদা খালি শতায়ু নন, একজন মানুষের আয়ূ সর্বচ্চ যা হতে পারে তার চেয়েও বেশি দীর্ঘায়ু লাভ করুন।
facebook
কাজীদা খালি শতায়ু নন, একজন মানুষের আয়ূ সর্বচ্চ যা হতে পারে তার চেয়েও বেশি দীর্ঘায়ু লাভ করুন। স্বার্থপরের মতো হলেও আমি তাই চাই, কারন তাহলেই যে আমাদের লাভ।
facebook
শুভ জন্মদিন শৈশব আর কৈশোরের ম্যাজিশিয়ান।
facebook
শুভ জন্মদিন কাজীদা।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
facebook
ছোটবেলা থেকে যত অনুবাদ সাহিত্য পড়েছি, তার ভিতর হাতে গোণা দুয়েকটি বাদে সবই তো সেবার আর কাজীদার! তাই স্বীকার করতে দ্বিধা নেই, আমার কাছে অনুবাদের মানদণ্ড নির্ধারিত হয় কাজীদাকে দিয়েই! এখনো যেকোনো অনুবাদ পড়লে মিলিয়ে নেই কাজীদার লেখার সাথে! অনেকে অন্ধত্ব ভাবতে পারে, কিন্তু কাজীদার অনুবাদের তুলনায় অন্য বেশিরভাগ অনুবাদই আমার কাছে পানসে মনে হয়! অন্য অনুবাদকেরা যেখানে আক্ষরিক আর ভাবানুবাদের দোটানায় পড়ে খেই হারান, সেখানে কাজীদার অনুবাদে পাঠক এগিয়ে যেতে পারে তরতর করে, মুল মেজাজ বিন্দুমাত্র বিসর্জন না দিয়ে!
শুধু আপনার নয়, আমার মনে হয়, বাংলাদেশের বেশিরভাগ শিশু-কিশোর-তরুণের ক্ষেত্রেই এমন হয়েছে! তাদের কল্পনার দুয়ার খুলে গেছে রবিনহুড, কিশোর থ্রিলার, রহস্য পত্রিকা, অদৃশ্য মানব প্রভৃতির হাত ধরে! বলা হয়, বাংলাদেশের তরুণদের জেনারেল নলেজ অনেক ভাল! এর পেছনে সেবার অবদান কম নয়! একজন কিশোর সেবার বই পড়ে ভ্রমণের সুযোগ পায় রকি বিচ, মমি থেকে শুরু করে মহাকাশ আর সাগরতলের কত অজানা রাজ্যে! আপনি ঠিকই বলেছিলেন, আজকের বাংলাদেশের অগ্রগতির পেছনে অবদান রাখা ব্যক্তিদের শর্ট লিস্টে অবলীলায় ঢুকে পড়তে পারেন কাজীদা! অথচ নিভৃতচারী হওয়ার কারণেই হয়ত অত আলোচনা হয়নি তাকে নিয়ে, যেমনটা হয়েছে অন্য অনেককে নিয়ে! তবে যে তরুণেরা আগামী দিনে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবে, তারা নিশ্চয়ই ভুলে যাবে না তাদের কাজীদাকে! বস্তুত তাকে ভুলে যাওয়া সম্ভব নয়! এমনই তার প্রভাব বাংলাদেশের তরুণদের মানস গঠনে!
এ তথ্যটা আগে জানা ছিল না! উনার প্রতি শ্রদ্ধা আরও বেড়ে গেল!
জন্মদিনে কাজীদার জন্য আমার ভালবাসা আর শুভেচ্ছা!
বস্তুত তাকে ভুলে যাওয়া সম্ভব নয়
facebook
জন্মদিনের অজস্র শুভেচ্ছা প্রিয় এই লেখক কে ।
যদিও বাসায় পুরাতন ১৯৬০-৭০ দশকের কিছু বই বার বার পড়ি কিন্তু তবুও কুলাচ্ছে না , ভাবছি এবার সিলেট থেকে ঢাকা গেলে সেবা প্রকাশনীতে হানা দিবো । ওয়েস্টারন আর মাসুদ রানা অনেক বিখ্যাত পুরাতন বই গুলোর জন্য ।
দেন হানা দেন
facebook
সবার কাজের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি কাজীদার অনুবাদের বা রূপান্তরের পাশে কেন পিছনে দাঁড়াবার মত অনুবাদকের সন্ধান আজ পর্যন্ত আর মিলল কোথায়!"
এই লাইনটা একটু কেমন যেন। সবার কাজের প্রতি শ্রদ্ধা থাকলে এভাবে বোধহয় বলা যায় না।
কাজীদার প্রতি আমার মুগ্ধতাবোধ সম্পর্কে এভাবে বলতে পারি, অনেকের অনুবাদ এ এতোটা আড়ষ্ট ভাব থাকে যে ভয়ে ভয়ে থাকি, বইটা শেষ করতে পারবো কি না। কাজী আনোয়ার হোসেন এর অনুবাদ হাতে নিতে গিয়ে এই ভয়টা পাই না, উনি হতাশ করবেন না এরকম একটা গভীর বিশ্বাস আছে।
------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল
সেইটাই তো বললাম !
facebook
আমি বেশ খোজাখুজি করেও কোন ওয়েবসাইট পেলাম না যেখান থেকে সেবা প্রকাশনীর বই কেনা যাবে। boi-mela.com এর সনংগ্রহ খুব সীমিত, আবার শিপিনং খরচ খুব বেশি।
সচলের অনেকেই আমেরিকা বা কানাডা প্রবাসী। আপনারা কেউ কি আমেরিকা ভিত্তিক কোন বিক্রেতার খোজ দিতে পারবেন ?
আমিও খোঁজে আছি--
facebook
একটা রুশ কৌতুক আছে, ইহুদি রাবিনোভিচ একটা প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে ঘুরছে। তাতে লেখা, সুন্দর শৈশবের জন্য স্তালিনকে ধন্যবাদ। লোকজন তাকে ধরে বললো, তোমার শৈশবে তো স্তালিন ছিলোই না হে। রাবিনোভিচ হেসে বললো, সে জন্যেই তো ধন্যবাদ!
কিন্তু কাজী আনোয়ার হোসেন আমার শৈশবে খুব ভালোমতোই ছিলেন। আনন্দময় শৈশবের জন্যে নিজের পরিবারের বাইরে যে কয়েকজন মানুষকে ধন্যবাদ জানাতে পারি, তাদের মাঝে কাজীদা অন্যতম। আমার মতো আরো বহু মানুষের শৈশব-কৈশোরে তিনি একটা অলীক জানালা খুলে এক চমৎকার পৃথিবী দেখার সুযোগ আর আগ্রহ তৈরি করে দিয়েছেন।
কাজীদাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা, কামনা করি তিনি শতায়ু হন।
কাজী আনোয়ার হোসেন আমার শৈশবে খুব ভালোমতোই ছিলেন। আনন্দময় শৈশবের জন্যে নিজের পরিবারের বাইরে যে কয়েকজন মানুষকে ধন্যবাদ জানাতে পারি, তাদের মাঝে কাজীদা অন্যতম। আমার মতো আরো বহু মানুষের শৈশব-কৈশোরে তিনি একটা অলীক জানালা খুলে এক চমৎকার পৃথিবী দেখার সুযোগ আর আগ্রহ তৈরি করে দিয়েছেন।
facebook
কতশত শৈশব-কৈশোর আলোকিত করার কারিগর- বাতিঘর...
মনে করিয়ে দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ অণু'দা ।
facebook
কাজী আনোয়ার হোসেনের গায়ক পরিচয়টি কি এই প্রজন্ম জানে? রেডিওতে গান গাইতেন। চলচ্চিত্রেও গেয়েছেন। রেডিওতে তাঁর গাওয়া--আজ হলো শনিবার কাল কোনো কাজ নেই রাত জেগে তোমাকেই ভাবছি/নাগরিক আভাসে যান্ত্রিক পরিবেশে কল্পনা মায়াজাল বুনছি--খুবই জনপ্রিয়তা পেয়েছিলো। গানটা কোন চলচ্চিত্রের মনে পড়ছে না।
মুস্তাফিজ পরিচালিত উর্দু তালাশ ছবিতে রবীন ঘোষের সুরে কাজী আনোয়ার হোসেন গেয়েছিলেন বিখ্যাত একটি গান--ম্যায় রিকশাওয়ালা বেচারা। (ঠিক বলছি তো! )
শুভ জন্মদিন হে প্রিয় কাজী আনোয়ার হোসেন।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
রিকশা ওয়ালা বেচারা মনে হচ্ছে বশীর আহমেদ গেয়েছিলেন!
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
এই ছবিটা দুইবার হয়েছিল। প্রথমবার গেয়েছিলেন কাজীদা। পরেরবার রিমেক এর সময় আর উনার কন্ঠ দেয়া হয়নি।
যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...
তালাশ ছবিতে কাজী আনোয়ার হোসেনের গাওয়া গানটি শোনা যাক তাহলে। দৌঁড়ের ওপর আছি বলে স্মৃতিনির্ভর মন্ত্যব্যে খানিকটা সন্দেহ ছিলো। মন্তব্য করেই কাজে চলে গিয়েছিলাম। কাজ থেকে ফিরে এসে দেখলাম আমার সন্দেহটা অমূলক ছিলো না। রিমেকের সময় গেয়েছিলেন বশীর আহমেদ। কিন্তু প্রথমবার কাজী আনোয়ার হোসেনই। কাজীদার সম্মানে গানটি তুলে দিলাম এইখানে---
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
facebook
(গুড়)
facebook
সম্ভবত এই সিনেমারই আরেকটা গান আছে, "আমি আজ পিয়েছি তো কী, মন নেশায় চুর হলো তো কী" ... এটা কি রিটন ভাইয়ের সন্ধানে আছে?
লিঙ্ক দেন রে ভাই !
facebook
লেখাটি দেখে আমি পড়ার আগেই কাজীদাকে ফোন করে বলেছিলাম সচলায়তন এ ঢুকতে। যদিও বলিনি কেন। তার ঘন্টা খানেক পরে উনি ফোন দিলেন। আমাকে ধন্যবাদ দিলেন উনাকে জানানোর জন্য। আর লেখক এবং মন্তব্যকারীদের জানাতে বললেন ধন্যবাদ। বিশেষ করে অণুদার জন্য একটা তথ্য - এই লেখা কাজীদার চোখে পানি আনতে সক্ষম হয়েছে।
যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...
বাহ, কাজীদাও সচলায়তন পড়েন শুনে খুশিতে মুসা আমানের মতই "ইয়াল্লা" বলে উঠতে ইচ্ছা করছে
নাহ! সেই সময়টা উনি ঠিক পান না। এই লেখাটার জন্যই উনাকে সচলায়তনে ঢুকতে অনুরোধ করেছিলাম।
যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...
কি বলেন !
facebook
মামুর বুটা, ক্যাখে লাড়তে কাখে লাড়েছ!
facebook
আরে ভাই, আসেন সেবার একটা আর্কাইভ গড়ে তুলি
আমার ইচ্ছা সেবা নিয়ে পিএইচডি করার।
খুব ভাল, তার আগে স্কুল শেষ করেন। সেবা নিয়ে আর্কাইভ গড়ে তুলে মূল কাজ হবে চুরি ঠেকানো/
facebook
শুভ জন্মদিন কাজীদা
facebook
দশ বছর পর এস এস সি 'র পরীক্ষা শেষে যখন ঢাকায় আসি, প্রথম মিশনই ছিল কাজীদার সাথে দেখা করা। আমি আর বন্ধু মিলে গিয়েছিলাম সেগুনবাগিচায় তাঁর বাসায়। দেখা হয়নি, দারোয়ানকে বলে ছিলাম কাজী দা কেমন আছেন ? যদি পারেন তাঁকে বলবেন,'আমরা তাঁকে অনেক ভালবাসি।' সত্যিই উনার আর সেবার কাছে আজীবন ঋণী থাকব। শুভ জন্মদিন কাজীদা।
তারেক অণুকে ধন্যবাদ এই সুন্দর পোস্টের জন্য।
আমরা তাঁকে অনেক ভালবাসি।
facebook
শেরউডের রবিন, বেহালাবাদক কুয়াশা আর দুর্ধর্ষ-দুঃসাহসী মাসুদ রানার হাত ধরে যারা শৈশব পেরিয়েছে- তারাই জানে সেই সময়ে এই মানুষটি না থাকলে তারা কতটা অন্যরকম মানুষ হয়ে বড় হতো আজ
সত্যিই
facebook
শুভ জন্মদিন কাজীদা!!!
_____________________
Give Her Freedom!
facebook
বাংলাদেশী বাংলা বইয়ের পাঠক এবং বাজার দুটোকেই বাচিয়ে রেখে আজকের এ পর্যায়ে নিয়ে এসছেন যারা তাদের শিরোমনি কাজী আনোয়ার হোসেন ।
যদিও বইযের সাথে অন্য কিছুর তুলনা চলে না তবু ও আমাদের সাংস্কৃতিক অন্য অংগনে যে প্রবল ভারতীয় /হিন্দি আগ্রাসন (গান , টেলিভিশন , সিনেমা ) তা ঠেকানর অস্ত্র কিন্তু কাজী দা দেখিয়ে গেছেন । বিশ্ব সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ রত্ন গুলো দিয়ে , পাঠকের সামনে আরো ভাল অপশন দিয়ে তাদের কে বাংলাদেশী বাংলা বইয়ের জগতে বেধে রেখেছেন । ভুল বলা হলো , তাদের কে বাংলা বইযের জগতের মধ্য দিয়ে বিশ্ব সাহিত্যের রস আস্বাদনের যোগ্য করে তুলেছেন ।
আর বাংলা বইয়ের বাজার (বানিজ্যিক অর্থেই ) এখন যে পর্যায়ে আছে আমি মনে করি তা কাজী দা ‘র অবদান ছাড়া আজকের পর্যায়ে আসত না
অসাধারণ বিশ্লেষণী মন্তব্য করেছেন। ধন্যবাদ।
facebook
শুভ জন্মদিন কাজীদা, শৈশব-কৈশোর-তারুণ্যে অসংখ্য স্বপ্নময় মুহুর্তের পিছনের কারিগর।
লেখককে
শুভেচ্ছা।
facebook
নিশ্চিতভাবে তারেক অণুর লেখা অন্যতম সেরা একটা লেখা ......
আর বিষয় ... কাজী আনোয়ার হোসেন, সেবা প্রকাশনী । এনিয়ে নতুন করে কিইবা বলার আছে, যেখানে আমাদের নামই 'সেবা প্রজন্ম'
দেশের বাইরে থাকার জন্য এমুহূর্তে পঞ্চ রোমাঞ্চ, ছয় রোমাঞ্চ, ছায়া অরণ্য, রবিনহুড .... কোনটাই নতুন করে যোগাড় করা সম্ভব নয় ... আহা, কোনভাবে যদি কোন ডিজিটাল ভার্সান পাওয়া যেত !!!
বলার কিন্তু এখনো আছে অনেক কিছুই---
facebook
কাজীদা কে জন্মদিনের আগাম শুভেচ্ছা,
তারেক অনু ভাইকে বলি; আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, শ্রদ্ধা আর ভালবাসার মিশেলে এত চমৎকার লেখার জন্নে, আপনার মত লিখার গাঁথুনি আমাদের নেই, কাজীদার গুণমুগ্ধদের পক্ষ থেকে আপনি এ লিখে দিলেন!
*কয়েক বছর ধরে মাথায় একটা কথা ঘুরছে; এই যে ১৯৬০ থেকে বাংলা একাডেমী পুরষ্কার, ১৯৭৬ থেকে একুশে পদক পান এদেশের জ্ঞানী গুণীরা, শ্রদ্ধেয় কাজী আনোয়ার হোসেন কি কারো চোখে পরেন না? নাকি যারা এই পুরস্কার/পদক কমিটিতে যারা আছেন, তারা সেবার বই কোন দিন পরেন নাই??
তমাল রহমান
আসলে পুরস্কার কাজীদা পেয়েছেন প্রথম থেকেই- পাঠকের ভালবাসা এবং মুগ্ধতা।
facebook
আহ ক্যাপ্টেন হ্যাটেরাস! সেবার কিশোর ক্লাসিক আর অনুবাদগুলো না থাকলে এইসব অত্যাশ্চর্য এডভেঞ্চার কাহিনিগুলোর সন্ধান কখনো পাওয়া হতো না।
সেবা প্রকাশনীর স্রষ্টাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
কখনো পাওয়া হতো না।
facebook
কাজীদার ভাষাতেই বলা যায়, এসব পুরষ্কারতো লেখক বা কৃতিদের জন্য। সেবাতো শুধু অন্যের লেখায় কেরদানি (অনুবাদ) করেছে। নিজের কিছুতো নেই।
আসলে বোধহয় একদিক থেকে ভাল হয়েছে এইসব ডামাডোলের ভিতর না পরে। দেখিতো কী পরিমান রাজনীতি এবং কূটনীতি চলে এই সব পুরষ্কার নিয়ে। একটা কথা আমি জানি এবং বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের বর্তমানের যে কোনও লেখকের চাইতে কাজীদা পাঠকের হৃদয়ে অনেক বেশীদিন ধরে বেঁচে থাকবেন। তার কারন বোধহয় কাজীদা কোনও একক লেখক নন। উনি একক ভাবে একটা প্রতিষ্ঠান। আর জ্ঞানীগুণীরা দাম না দিলেও আমরা আমজনতা তো জানি যে উনি আমাদের জন্য কী করেছেন বা উনি না থাকলে আমাদের কতখানি ক্ষতি হতো।
যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...
facebook
কাজীদাকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
আপনাকে ধন্যবাদ।
facebook
কাজী আনোয়ার হোসেনকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা, আপনি দীর্ঘায়ু হন।
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
একটা কার্টুন চাইগো দাদা---
facebook
ভাবছি।
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
facebook
জন্মদিনের শুভেচ্ছা কাজীদাকে।
facebook
শুভ জন্মদিন কাজী আনোয়ার হোসেন
উনার একটা সাক্ষাতকার নেয়া যায় না সচলের পক্ষ থেকে?
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
চেষ্টা কর না বাবা অলসরাজ---
facebook
কাজী আনোয়ার হোসেনকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা!
আমাদের শৈশব, কৈশোর শুধু না, এই মধ্যবেলাও সেবার সাথে সময় কাটে। উনি না থাকলে অনুবাদ যে একটা শিল্প, জানা হতো না।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
উনি না থাকলে অনুবাদ যে একটা শিল্প, জানা হতো না।
facebook
শুভ জন্মদিন, প্রিয় কাজী'দা
তারেক অণু, আপনাকে অ-অনেক ধন্যবাদ তাঁর প্রতি আমার এই শ্রদ্ধাটা নতুন করে জাগিয়ে দেয়ার জন্য
facebook
"আর মাসুদ রানার মতো জাতীয় বীর গত ৪০ বছরে আর কারো হাতে আসেনি।"
মনে হয় না এখনও পর্যন্ত মাসুদ রানার চেয়ে কোনও বড় কোনও বীর আমাকে প্রভাবিত করতে পেরেছে! এবং কাজীদার এই সৃষ্টিশীল প্রয়াস অন্য যেকোনো ব্র্যান্ডেড লেখকের চেয়েও অনেক দিকদিয়ে মানসম্পন্ন।
এই মহান প্রচারবিমুখ লেখকের জন্মদিনে আমার হৃদয় নিংড়ানো সবটুকু শুভেচ্ছা পৌঁছে দিন। তাকে কোনও ভাবে কোনও সামাজিক ওয়েবসাইট বা অন্য কোনও মাধ্যমে এ ফলো করা গেলে জানাবেন। তাকে সরাসরি শুভেচ্ছা জানাতে পারলে খুবি ভাল লাগত।
ধন্যবাদ আবারও এরকম একটি ব্লগ এর জন্য
করেছে , মাসুদ রানার লেখক।
facebook
ভালো লাগলো।।।।অসাধারন একটা লেখা।।।।।।।।।।।।। কাজীদা বেচে থাকুন যুগ যুগ ধরে।।।।।।।।।।।।।।
facebook
কাজীদাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা, অণুকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এই লেখাটার জন্য। এই ছেলেটার ফ্যান হয়ে যাচ্ছি দিনদিন। সেদিন তোমার মুভি রিভিউ পড়ে মুভিটা দেখে কেঁদে ফেলছি এক্কাবারে, এত সুন্দর সুন্দর সব বিষয় নিয়ে লিখো সবসময়, অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা তোমার কাছে।
যে গরম, কিছু ফ্যান আসলেই দরকার, বুঝলে হে!
facebook
ইণ্টারেস্টিং! এনার কাজের সঙ্গে পরিচয় নেই, কিন্তু আপনার লেখাটা এনার পরিচয় দিচ্ছে যথেষ্টই
আপনি একটা ঝোলাগুড়, দাঁড়ান কিছু বই ধরিয়ে দিতে হবে।
facebook
কাজী আনোয়ার হোসেন ছবিও তুলতেন। এখন তুলেন কীনা জানিনা। উনার বই যেমন অনেকের জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে তেমন উনার ছবিও।
যে ছবির সিরিজটার কথা বলছি সেটা ১৯৭৪এ তোলা। সাপ্তাহিক বিচিত্রার মাঝখানের দুই পাতা জুড়ে সেই ছবিগুলো আর শিরোনাম লেখা ছিলো। সেসময় এলিফেন্ট রোডে হাইজাকার সন্দেহে গণপিটুনীতে/ইট দিয়ে থেথলে একজনকে খুন করা হয়েছিলো। ঘটনার প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত অসহায় কাজী’দার সামনে ঘটনাটা ঘটে, উনি কোন সহায়তা করতে না পারলেও এই ঘটনাকে ক্যামেরা বন্দী করেছিলেন। আমি চোখ খোলা রেখেও এখন উনার তোলা সেই সিরিজের শেষ ছবিটা স্পষ্ট দেখতে পাই, মারা যাবার ঠিক আগের মুহূর্তে তোলা অসহায় সেই যুবকের ক্যামেরার দিকে বাঁচার আকুতি নিয়ে তাকিয়ে থাকা সেই চোখ দুটি। আমার বয়স তখন ১১ পেরিয়েছে।
শুভ জন্মদিন কাজী আনোয়ার হোসেন।
...........................
Every Picture Tells a Story
মনে পড়েছে, উনার এক সাক্ষাৎকারে পড়েছিলাম এই নিয়ে। কিন্তু ছবিগুলো দেখা হয় নি, লিঙ্ক আছে কি কারো কাছে?
facebook
বিচিত্রা'র প্রচ্ছদ কাহিনি ছিলঃ বছরের আলোচিত চরিত্র ভায়োলেন্স।
নেটে কোন লিঙ্ক আছে কি !
facebook
প্রচারবিমুখ এই লোকটিই একজন খাঁটি মাসুদ রানা, টানেন সবাইকে কিন্তু বাঁধনে জড়ান না.
..................................................................
#Banshibir.
facebook
জন্মদিনের নিরন্তর শুভেচ্ছা আমাদের সময়ের হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
প্রথমেই ধন্যবাদ তারেক অণু ভাই কে অসাধারণ লেখাটার জন্য
আমার বয়স তখন মনে হয় ছয় বছর। আব্বু বাইরে থেকে নিয়ে এসেছে "কিশোর পত্রিকা"।, খুলতেই চোখে পড়ল মজার মজার সব গল্প, ছড়া আর তথ্য সম্বলিত এক মজার জগত। ডুবে গেলাম সেবার দুনিয়ায়। ঈদের ছুটিতে দাদুবাড়ি গিয়ে আব্বুর শেলফ থেকে পড়লাম "সুইস ফ্যামিলি রবিনসন"।, আমাকে উড়ে নিয়ে গেল ছোট্ট এক দ্বীপে যেখানে আশ্রয় নিয়েছে জাহাজডুবির পরে রবিনসন ফ্যামিলি। লুকিয়ে পড়লাম "গড ফাদার শেষ পর্ব"।,বিভোর হয়ে গেলাম মাইকেল কর্লিয়নি আর এপোলোনিয়ার প্রেম এ।, কল্পবিজ্ঞান এর হাতেখড়ি হল জুলভার্ণ এর সাথে। গোগ্রাসে গিলে ফেললাম মরুশহর, পাতাল অভিযান, মাস্টার অফ দ্যা ওয়ার্ল্ড, আশি দিনে বিশ্বভ্রমণ। এডমন্ড দান্তের সাথে পাড়ি দিলাম মন্টিক্রিস্টো দ্বীপে। আব্বু-আম্মুর বকা খেয়ে রবিনন ক্রুসো হতে চেয়েছি কতদিন! থ্রি কমরেডস পড়ে মন খারাপ করে বসে থেকেছি দাদুবাড়ির বারান্দায় আর ভেবেছি কেমন আছে এখন তিন বন্ধু। অল কোয়ায়েট অন দ্যা ওয়েস্টার্ণ ফ্রন্ট পড়ে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। বলার ছিল না কিছুই। টম আর হাক ফিনের ছিল আমার সেরা বন্ধু। ক্লাস থ্রিতে পড়ার সময় বানালাম নিজেদের তিন গোয়েন্দা ক্লাব। আমাদের রহস্যই ছিল কিভাবে সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে বই অদল-বদল করে পড়া যায় তার সমাধান করা। তিন গোয়েন্দার সঙ্গি ছিলাম অনেকদিন, ক্লাস নাইন পর্যন্ত। নানুবাড়ির পুরনো ঘরে, ধুলো মেখে ঘাঁটাঘাঁটি করে আবিস্কার করলাম মাসুদ রানা আর ওয়েস্টার্ণ। শুরু হল অভিভাবকদের চোখ এড়িয়ে মাসুদ রানা পড়ার গল্প। সে কি রোমাঞ্চ! রবিনহুড পড়ে শিহরিত হয়েছি কত নির্জন কাকডাকা দুপুর, মন খারাপ করেছি বইয়ের শেষ টা পড়ে।
ধন্যবাদ কাজী দা আপনাকে। ধন্যবাদ এরকম বর্ণিল একটা শৈশব আর কৈশর উপহার দেয়ার জন্য। আপনাকে ছাড়া বিশ্ব সাহিত্যের জগত আমার অচেনাই থেকে যেত চিরকাল। শুভ জন্মদিন।
ধন্যবাদ আপনাকেও, অনেক কথা মনে করিয়ে দিলেন, কিশোর ক্ল্যাসিক নিয়েই একটা পোস্ট দিতে হবে পরে।
facebook
আরে, আপনিও লিখুন না !
facebook
facebook
অনুদা অনেক অনেক ধন্যবাদ। অসাধারণ লেখা। অসাধারণ।
পড়তে পড়তে মনে পড়ছিলো, কী চমৎকার সময় কাটতো সেবার বই হাতে নিয়ে! এখন ও মনে পড়ে এক বসাতে রবিনহুড আর জুলভার্ণ পড়ার কথা, মাসুদ রানা পড়ে সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়ার স্বপ্নের কথা কিংবা পো-র ছোটগল্প পড়ে শিহরিত হওয়া। বিদুৎ মিত্রের খালি হাতে আত্মরক্ষা পড়ে সেগুলো বন্ধুদের উপর খাটানো।
আমাদের প্রজন্মের মানসিকতা গঠনে কাজী আনোয়ার হোসেনের অবদান অপরিসীম। তাঁর প্রতি রইলো শুভেচ্ছা আর শ্রদ্ধা
আসলেই, খালি হাতে আত্মরক্ষার কথা মনে পড়ে গেল!
facebook
সেব প্রকাশনী স্পন্দিত বুকে মনে হয় আমিই মাসুদ রানা।
শুভ জন্মদিন কাজীদা। মনের কথাগুলো গুছিয়ে হুবুহু প্রকাশ করার জন্য অনেক ধন্যবাদ লেখককে।
সেবা প্রকাশনী স্পন্দিত বুকে মনে হয় আমিই মাসুদ রানা। (গুড়)
facebook
সেবা দেশে অনেক তারেক অনু যদি বানাতে পারতো দেশের অনেক সেবা হত।
এ ইউসুফ
বানিয়েছে এবং বানাচ্ছে নিশ্চয়ই।
facebook
কাজীদার এক সাক্ষাতকারেই পড়েছিলাম মাসুদ রানা লিখতে গিয়ে তিনি এর ভাষা নিয়ে কী সমস্যায় পড়েছিলেন। রানার কাহিনি পরিবেশনের উপযুক্ত ভাষা তখন বাংলা সাহিত্যে ছিল না। বাধ্য হয়েই তিনি নিজস্ব গদ্যশৈলী নির্মান করলেন। সেই শৈলী হয়ে দাঁড়াল সেবা প্রকাশনীর গদ্যশৈলী। পরবর্তীতে তাঁর গদ্যে প্রভাবিত হয়েছেন সেবার দুই কান্ডারী শেখ আবদুল হাকিম ও রকিব হাসান। আমরা যারা বাংলা ভাষায় খেয়ে পড়ে মানুষ হয়েছি তারা এই দু'জনের লেখা পড়িনি কি?
আমি নিশ্চিতভাবেই বলতে পারি, আজকে বাংলাদেশের তরুণ লেখকরা যে ভাষায় গদ্য সাহিত্যে কাজ করছেন তার পেছনে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রভাব ফেলেছে কাজী আনোয়ার হোসেনের গদ্য।
হ্যাটস অফ টু য়ু, কাজীদা।
থ্যাঙ্ক য়ু অণু।
অবশ্যই প্রভাবিত আমরা, এমন ভাষা আর আছে কোথায়!
facebook
ধন্যবাদ অনু'দা এমন অসাধারণ একটা পোস্টের জন্য, পোস্টের প্রতিটা মন্তব্য ঠিক তেমন অসাধারণ।
নতুন করে কিছু বলার নাই, অন্য সবার মত আমার শৈশব আর কৈশোরকে স্বপ্নময় রঙ্গিন করেছে সেবার বইগুলো।
জন্মদিনের শুভেচ্ছা কাজী'দা। ভাল থাকবেন সবসময়।
facebook
অসম্ভব পছন্দের একজন লেখক কে নিয়ে আপনার লেখা ভাল লাগলো অণু ভাইয়া।
পছন্দের লেখক, পছন্দের মানুষ।
facebook
শুভ জন্মদিন কাজীদা---সারা বাংলার মানুষ তোমার কাছে ঋণী! সত্তুরের দশকে, আশির দশকে যারা শৈশব-কৈশোর কাটিয়েছেন তারা জানেন কাজীদা কিভাবে আচ্ছন্ন করে রেখেছিলেন গোটা একটা প্রজন্মকে। হয়ত আগের সেই রমরমা নেই---কিন্তু বাংলাদেশের সাহিত্য নিয়ে আলোচনা কাজীদা বা সেবা কে বাদ হতে পারে না।
স্যালুট ঠুকে গেলাম কাজীদা'র উদ্দেশ্যে আর আরো একটা স্যালুট গেল তারেক অণুর জন্যে--কাজীদা অন্তত একজন বেদুয়িন বাঙ্গালী তৈরী করে দিয়ে যেতে পেরেছেন--আমাদের সুপ্রিয় তারেক অণু--পায়ের তলায় যার বিশাল মরু দিগন্তে বিলীন!
বাংলাদেশের সাহিত্য নিয়ে আলোচনা কাজীদা বা সেবা কে বাদ হতে পারে না।
আপনি একটা গান ছাড়েন না ভাইডি কাজীদার জন্মদিন উপলক্ষে!
facebook
কাজিদা সম্পর্কে এমন অনুভূতি থাকলেও এত সুন্দর করে প্রকাশ করতে পারতাম না। ধন্যবাদ আপনাকে। স্বপ্ন দেখানোর কারিগরকে নিয়ে এত সুন্দর করে লেখার জন্য।
আমি খুব দৃঢ়ভাবেই বিশ্বাস করি যে কাজিদা না থাকলে বা সেবার বইগুলো নফ থাকলে আমি বর্তমানের এই আমি হয়ে উঠতে পারতামনা।
আপনি একা নহে, আমরা সবাই একই নৌকার যাত্রী ।
facebook
শুভ জন্মদিন কাজীদা'! যতদিন বাঁচবেন সুস্থ-সবল-কর্মমুখর-আনন্দময় থাকুন। সেবা প্রকাশনীতে কয়েকবার গিয়েও আপনার দেখা পাইনি। অবশ্য দেখা পেলেও বলে বোঝাতে পারতাম কিনা আপনার কাছে আমার কি অপরিসীম ঋণ। যারা কোনদিন সেবা'র বই, বিশেষত আপনার বই, পড়েনি তাদের পক্ষে বাংলা ভাষা, বাংলাদেশ আর বাংলাদেশের কয়েক কোটি মানুষের জীবনে আপনার সীমাহীন অবদানের কথা বোঝা সম্ভব নয়। আপনার লেখা পড়েও যারা আপনাকে যথাযোগ্য সম্মান দেখায়নি তারা হীনমন্যতা থেকে, প্রচণ্ড ভীতি থেকে অমনটা করেছে। তারা জানে, যোগ্যতায় তারা আপনার চেয়ে অনেক খাটো। আপনাকে যে এখনো কোন পুরষ্কার বা সম্মানে ভূষিত করা হয়নি তাতে এক অর্থে আমি খুশি। এতে আপনার একটা আনপ্যারালাল অবস্থান তৈরি হয়েছে। আপনি কোটি কোটি বাংলাদেশীর মগজে আর হৃদয়ে বাস করেন অন্যরা যেখানে চাইলেও পৌঁছাতে পারবে না। আপনি আমাদের অনেকের জীবনই পালটে দিয়েছেন এটা আর কারো পক্ষে করা সম্ভব না।
কারো কাছে হয়তো মনে হতে পারে অণু'র এই লেখাটাতে কোথাও কোথাও ভাষার বা আবেগ প্রকাশের বাড়াবাড়ি হয়েছে। যাদের জীবনে কাজীদা' আর সেবা'র প্রত্যক্ষ প্রভাব আর অবদান আছে তারা জানেন অণু একবিন্দুও বাড়িয়ে লেখেনি; বরং আরো কিছু লেখা যেতো।
এই লেখাটার জন্য অণুকে ধন্যবাদ নয়, গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ধন্যবাদ পাণ্ডব দা, সেই সিরিজের বইগুলো নিয়েই আলাদা লেখা যেত- নিজেকে জানো, সঠিক নিয়মে লেখাপড়া, মন নিয়ন্ত্রণ।
তথ্যের জন্য ধন্যবাদ, আসলে যৌনসঙ্গম কোন সময় হাতে আসে নি, কিন্তু পুরনো রহস্য পত্রিকায় অ্যাড দেখে ভেবেছিলাম আলাদা বই!
facebook
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
একই বই, প্রথম প্রকাশে নাম ছিলো যৌনসংগম আর দ্বিতীয় প্রকাশে নাম বদলে করে দেন যৌন বিষয়ে সাধারণ জ্ঞ্যান। এই বইটা কিনতে পাড়ার এক ইয়াং নানাকে হায়ার করে নিয়ে গিয়েছিলাম পাছে ছোট দেখে আমাদের কাছে বিক্রি না করে। চটিবই পড়ে অভ্যস্থ সেই ইয়াং নানার কাছে কিন্তু বইটি ভালো লেগেছিলো না কারন সে যা খুঁজছিল তা এই বইতে ছিলো না। তবে সত্যিকার অর্থে অনেক কিছুই জেনেছিলাম সেই বইটি পড়ে।
কাজীদার আরেকটা দক্ষতার কথা পড়েছিলাম, তিনি ছোটবেলায় ভালো দাবা খেলতেন। বিখ্যাত দাবাড়ু বাবার কাছে তালিম পেয়ে তিনি ভালোই দাবা আয়ত্ব করেছিলেন যদিও পরে আর খেলেননি।
তার লেখার কথা আর বলতে চাইনা, বললে বলা ফুরোবে না। সেই উ সেন ২ এর খোঁজে যা করেছি তা অবিশ্বাস্য। কিশোর মনে রহস্য, রোমাঞ্চ, দুঃসাহসিকতা, এসবকিছুই এসেছিলো কাজীদার হাত ধরে। সোহানাকে কতো যে স্বপ্নে দেখেছি তার ইয়াত্তা নেই।
কাজীদা শতায়ু হোন, সক্রিয় থাকুন। বড়োই জানতে ইচ্ছে করে কিনি কি এখনও তার ওয়ালথার পিপিকে আর কমান্ডো নাইফ সাথে রাখেন?
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
দারুণ বলেছেন
উসেনের খোঁজে শিরোনামে কিছু একটা লিখে ফেলুন!
facebook
ঠিক করে দিলাম।
facebook
সেবা তথা কাজীদার কাছে কৃতজ্ঞতার কোনো শেষ নাই। সেবার বই ছাড়া নিজের ছেলেবেলা কল্পনা করতে পারিনা। এতো অসাধারণ এক রঙিন জগত সেবা ছাড়া আর কেউ বাংলাদেশকে দিয়েছে বলে মনে হয় না।
অণুকেও একটা সালাম জানাই সাথে, সুন্দর লেখাটার জন্য।
এতো অসাধারণ এক রঙিন জগত সেবা ছাড়া আর কেউ বাংলাদেশকে দিয়েছে বলে মনে হয় না। (গুড়)
facebook
মানুষটাকে এখনও সামনাসামনি দেখিনি অথচ তিনি স্কুলে ক্লাশের একেবারে শেষ সারিতে আমাদের সাথে বসতেন, বাসায় পড়ার টেবিলের পাশে হাত ভর্তি বই নিয়ে অপেক্ষা করতেন-একটা শেষ হলেই আরেকটা দিতেন, অলস দুপুরে স্টোর রুমের মেঝেতে পা ছড়িয়ে পাশে বসে থাকতেন, বিকেলে হাত ধরে বাসা থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দুরে পাবলিক লাইব্রেরী- গণ উন্নয়ন গ্রন্থাগার- আদর্শ লাইব্রেরীতে নিয়ে যেতেন! আমার সাদামাটা শৈশবটাকে রঙ করে একটা পুরো রঙিন জীবন দিয়েছেন তিনি।
জীবনের এই অদেখা অভিভাবকের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা আর জন্মদিনের শুভেচ্ছা রইল।
আর সুযোগটা করে দেবার জন্য অণু ভাইকে ধন্যবাদ।
অসাধারণ মন্তব্য, ছুয়ে গেল!
facebook
facebook
এই লেখাটা পড়ে শরীরে রোম গুলো দাঁড়িয়ে গেল। ভয়ে না- ভালোবাসায় আর আনন্দে!! সেবা আর কাজীদা এই দুজনের জন্য।
কাজীদাকে বলি- মুগ্ধতা জানাতে আমি কোন লেখককে চিঠি পাঠাইনি জীবনে। আপনি ছিলেন একমাত্র ব্যতিক্রম। দুই যুগ আগে লেখা চিঠি আপনি পেয়েছিলেন কিনা আজ জানার উপায় নেই।
বাংলাদেশকে পড়তে শিখিয়েছে সেবা প্রকাশনী।
সেবা না থাকলে বিশ্বসাহিত্যের সাথে আমাদের অনেকেরই যোগাযোগ হতো না। সেবার অনুবাদ বিশ্বসেরা। দুই বাংলায় তার তুলনা নেই। রহস্যপত্রিকায় বিশ্বসাহিত্যের রহস্যগল্পগুলোর অনুবাদ পড়ে আমি মোপাসাঁ থেকে শুরু করে এডগার এলান পো পর্যন্ত রচনাসমগ্রের অনুবাদ কিনে ফেলি। কিন্তু ভারতীয় অনুবাদগুলো পড়ার পর আমি হাড়ে হাড়ে টের পেলাম, সেবা প্রকাশনীর সাথে আর কারো তুলনা হবার নয়। সেবার অনুবাদ পড়লে মনেই হয় না বিদেশী ভাষা থেকে অনুদিত কিছু পড়ছি। অনায়াসে গল্পের মধ্যে ঢুকে যাই। "ত্রিরত্নের নৌবিহার" বইটা জেরোমের বইয়ের সবচেয়ে সফলতম অনুবাদ কর্ম। একই বই আমি বাংলা একাডেমী আর কোলকাতা দুই জায়গার অনুবাদ পড়েছি। ওগুলো পড়ে বুঝতে কষ্ট হবে এটি একটি রম্য সাহিত্য। কিন্তু সেবার অনুবাদটা আমি পঞ্চাশবার পড়েছি কমপক্ষে। এখনো হেসে গড়িয়ে পড়ি। পেপারব্যাক ছিড়ে গিয়েছিল অতি পঠনে, দুবছর আগে বাংলা একাডেমীর মেলা থেকে আরো দুই কপি কিনে এনেছিলাম। যারা হাসতে ভুলে গেছেন তাদের জন্য এই বইটা অবশ্য পাঠ্য।
কুয়াশা, মাসুদরানা, ওয়েস্টার্ন, ক্লাসিক, আত্মউন্নয়ন, কোন জাতের বইয়ের কথা বলবো? সেবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে আস্ত একটা বই লিখে ফেলা যাবে।
নাক উঁচু মহল থেকে কাজীটা কোন স্বীকৃতি পাননি। কিন্তু কাজীদার কোটি কোটি পাঠকের বুকের মধ্যে আজীবন থাকবেন তিনি। আবারো বলি বাংলাদেশকে পড়তে শিখিয়েছে বলেই আজ বাংলাদেশের বিশাল এক মননশীল পাঠকশ্রেণী পেয়েছে। বইমেলায় গাদা গাদা বই কেনা লোকের অনেকেই সেবা কতৃক নির্মিত। আমার সেবার বইগুলো বয়সের কারণে ছিড়ে আলগা হয়ে গেছে পাতা। তবু আমি সবগুলো বই এখনো সযত্নে আলমীরার তাকে রেখে দিয়েছি। ওই পুরোনো ঘ্রানে ডুবে যেতে যেতে আমি আমার স্মৃতি উদ্ধার করি।
কাজীদার কাছে আমাদের ঋন অপরিসীম!! শুভ জন্মদিন প্রিয় কাজীদা!!!!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
সবার কথার শেষ কথা- বাংলাদেশকে পড়তে শিখিয়েছে সেবা প্রকাশনী।
facebook
সেবায় আমার পড়া সেরা রম্যসাহিত্য, পি জি ওডহাউস লিখিত "থ্যাঙ্ক ইউ জীভস"। এত আনন্দ পেয়েছি বইটা পড়ে!
ক্যারি অন জীভস বেশী ভাল লেগেছিল।
facebook
একমত, একমত, একমত
-অয়ন
facebook
কাজী আনোয়ার হোসেনকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা । আর অণু আপনাকে কি বলব? এমন একটা লেখা লিখলেন মনের ভিতরটা ভিজে গেল একেবারে । আশির দশক্টা আমার কেটেছে সেবার হিরা - মাণিক্যে বুঁদ হয়ে । সেবার বই না থাকলে আমার মত নিজের মধ্যে গুটিয়ে থাকা মানুষের জীবন আসলেই পানসে হত, হত স্বপ্ন-শুণ্য ।
(গুড়) সুন্দর লিখেছেন
facebook
সেবার অনুবাদের ভিন্নতা বুঝতে হলে শুধু সেবা থেকে প্রকাশিত Godfather এর অনুবাদ টি পড়ুন আর সাথে মিলিয়ে দেখুন বাজারে প্রকাশিত অন্য অনুবাদ গুলো ,...বুঝবেন অনুবাদ কাকে বলে..
গ্র্যান্ড, পুরা লা জবাব!
facebook
এইটা একটা দারুন কথা বলেছেন ভাই।
নতুন করে আবার পড়লাম, হারিয়ে গেলাম জলপাই তেলের জগতে !
facebook
খুব বেশি কিছু আর বলার নাই। সবাই যা বলার বলে দিয়েছেন।
অনেক অনেক অনেক শুভেচ্ছা কাজীদাকে তার জন্মদিনে। উনি শতায়ু কেন উনি হাজার বছর বেঁচে থাকবেন বাঙ্গালীর হৃদয়ে।
অণুদাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ, লেখাটার জন্যে।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আমাদের হৃদয়ে তিনি অমর।
facebook
প্রিয় লেখক সমন্ধে অনেক অজানা জানতে পারলাম। কাজীদা'র ছবিও আগে দেখিনি, কাজীদাকে সবসময় মনে হয়েছে রহস্যময়, পর্দার আড়ালে থাকতে পছন্দ কসন্রেদেহ হন, সত্যি কথা কি, উনি যে আসলে রক্ত মাংসের মানুষ সেটাও আমার সন্দেহ হয়।।। এতো যার কীর্তি!!! ধন্যবাদ তারেক অনু ভাই। ধন্যবাদ সবাইকে। কাজীদা আপনার জন্য দোয়া আর ভালবাসা।
সেই ছোটবেলা থেকে আজ অবধি, সেবা যেন জীবনেরই একটা অংশ। এখনও রাস্তাই সময় পেলেই বুক স্টোর এ সেবার পুরনো সব বই খুজি।
মাহিন,
এখনও রাস্তাই সময় পেলেই বুক স্টোর এ সেবার পুরনো সব বই খুজি।
facebook
ঠিক বলেছেন। শৈশবের বা কৈশোরের দিন গুলোর সাথে সেবা তথা কাজীদা জড়িয়ে আছেন অঙ্গাঙ্গীভাবে। সেবা প্রকাশনীর বই পড়ে বাংলা ভাষার রচনাশৈলী আত্মস্থ করেছি, সেবা প্রকাশনীর বই দিয়েছে নির্ভুল বানানে মাতৃভাষা লিখে যাওয়ার প্রাথমিক ভিত্তি, সেবা প্রকাশনীর হাত ধরে ( থুড়ি, বই ধরে) প্রবেশ করেছি বিশ্বসাহিত্যের সুবিশাল ভান্ডারে - সেবা তথা কাজীদা এবং অন্যান্য সবার কাছে বিশেষ করে আমাদের প্রজন্মের ঋনের শেষ নেই।
ধন্যবাদ অণু ভাই, সুন্দর একটা লেখার জন্য
- অয়ন
facebook
লোং লিভ কাজি ডা
facebook
এই লেখাটা নস্টালজিক করে দিল !!! কতদিন আগের সেই স্মৃতিগুলো একে একে ধীর পায়ে সামনে এসে থমকে যায়।সদ্য গোফ উঠা বাংলাদেশের সব কিশোরের হাতে কাজী দা এক অন্যভুবন তুলে দিয়েছিলেন। কাজী দা, আপনি আমাকে বই পড়া শিখিয়েছেন। ঐ বই পড়ে আমরা কেউ পরীক্ষায় পাশ করিনি, আপনার বই পড়ে বই পড়ার আনন্দময় ভুবনটা আমরা চিনতে পেরেছি। বইয়ের দোকান দেখলে আমরা আজও থমকে দাড়াই, রাতে ঘুমানোর আগে এক পাতা পড়ে নেই, ট্রাভেল ব্যাগে আইপডের সাথে একটা বইও তুলি----------এখন মনে হচ্ছে এই অভ্যাসগুলোর পেছনের কারিগর তো আপনিই !!!!
অণু, আপনাকে ধন্যবাদ, লেখাটার জন্য।
দারুণ বলেছেন।
facebook
সেবার সাথে আমার পরিচয় তৃতীয় শ্রেণিতে। অজপাড়া গাঁ বলতে যা বোঝায় এমন গ্রামে বাবা আমাদের সেবার গ্রাহক করে দিয়েছিলেন। ভিপি যোগে আসতো তিন গোয়েন্দা আর কিশোর ক্লাসিক সিরিজের বইগুলো। যেদিন বই হাতে পেতাম তিন ভাই বোনের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হতো কে আগে পড়বো তা নিয়ে। মনে আছে ক্যাপ্টেন হ্যাটেরাসের কয়েকটা পাতা এবং বেগমের রত্নভান্ডারের শেষ পরিচ্ছেদ ছিড়ে গিয়েছিল এই টানাটানিতে।
বাথানের প্রচ্ছদটা দেখে চোখটা চকচক করে উঠলো। প্রথম খন্ড পড়েছিলাম। পরে অনেক খুঁজেছি বাকি খন্ড, আর না পাওয়ার কারণে পড়া হয়ে উঠেনি।আগ্রহী এখনও বাকিটা জানার জন্য।
আবারো অভিনন্দন কাজীদাকে- প্রতন্ত্য এক গ্রামবাংলার পিঠেপিঠি ভাইবোনদের বিশ্ব সাহিত্যের অমূল্য রত্নভান্ডারের সাথে পরিচয় করে দেবার জন্য। মনে পরে উপজেলা সমাপনী পরীক্ষায় স্থান করে নেয়ায় ইউএনও সাহেবের হাত থেকে পুরস্কার নেয়ার সময় তোমার প্রিয় সাহিত্যিক কে প্রশ্নের জবাবে জুল ভার্নের নাম শুনে অবাক ইউএনও সাহেবের সেই চেহারাখানা!
প্রচ্ছদগুলো যে কি দারুণ ছিল!
facebook
উনি আম্মার বান্ধবী রোজী খালার আপন মামা। রুবা লায়লার 'যখন থামবে কোলাহল' গানটি সম্ভবত তাঁর লেখা। আমার অসম্ভব পছন্দ তাঁর 'ওস্তাদ' গল্পটা। দারুণ হয়েছে অণু!!!
অগ্নিপুরুষ উপন্যাসে পাওয়া ইটালিয়ান গানের কথাগুলোর সাথে "যখন থামবে কোলাহল" গানের অসম্ভব মিল। আমার ধারণা ছিল, কেউ এই বইটা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে গানটা লিখেছে। কাজীদা নিজে লিখে থাকতে পারেন, এটা একবারও মাথায় আসেনি, তাঁর গায়ক পরিচয়টি জানা ছিলো না বলেই হয়তো। দারুণ একটা তথ্য দিলেন।
গানটার গীতিকার,কাজীদার বন্ধু মাসুদ করিম।গানের কথা "অগ্নিপুরুষ" থেকেই নেয়া।
ওস্তাদ সম্ভবত জি কে চেস্টারটনের লেখা।
দারুণ গল্প।
facebook
facebook
শুভ জন্মদিন, প্রিয় কাজীদা।
সেবা প্রকাশনীর বই পড়েই বইয়ের নেশা শুরু। অণুর লেখাটা পড়ে অনেকগুলো পুরনো বইয়ের কথা নতুন করে মনে পড়ে গেল-- আবার পড়তে ইচ্ছে করছে যেগুলো।
হা হা, পড়ে ফেলেন !
facebook
শুভ জন্মদিন কাজীদা। শ্রদ্ধা আর ভালবাসা আপনার জন্য।
আমাদের প্রজন্ম এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্ম চিরদিন মনে রাখবে আপনাকে।
আমাদের প্রজন্ম এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্ম চিরদিন মনে রাখবে আপনাকে।
facebook
শুভ জন্মদিন কাজীদা!
অনেকে রূপান্তরিত/অনুদিত গল্পকে সাহিত্য বলে মানতে চাননা। অথচ একই সময়ে একই ধরণের অন্যান্য প্রকাশের অনুবাদ বা রূপান্তর কোনটাই সেবার ধারে কাছে যেতে পারেনি।
শুধু গুণগত মান নয়, হাঠে বাজারে গ্রামে গঞ্জে এসব লেখাগুলোকে ছড়িয়ে দিতে যে পরিমাণ পরিকল্পণা, বিনিয়োগ আর ব্যবস্থাপনার দরকার হয় তার তুলনাই হয়না!
facebook
জন্মদিনের আগাম শুভেচ্ছা । শ্রদ্ধা আর শুভকামনা।
তারেক অণু ভাইকে এক ঝুড়ি ধন্যবাদ, এরকম একটা লেখা উপহার দেবার জন্য।
facebook
যতদূর মনে পড়ে মা স্কুলে যাওয়া-আসার রিক্সা ভাড়া ও টিফিন বাবদ ১৫ টাকা দিত প্রতিদিন। রিক্সা বাদ দিয়ে হেঁটে যাওয়া-আসা করতাম, আর তাতে করে দৈনিক ১০ টাকা বাঁচত। ফলে প্রতি দুই দিনে একটি করে সেবার বই কিনতে পারতাম।
গত সপ্তাহান্তে একটি বাংলা মহাঅনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। তিন দিন ব্যাপি নাচ,গান, কবিতা, ক্লাসিক্যাল সব কিছুর এক ধুন্দুমার আয়োজন। ক্লাসিক্যাল মিউজিক ক্যাটেগোরিতে দেখি একজন উস্তাদ সরোদ বাজাচ্ছেন। সব বড় বড় শিল্পীকে বাদ দিয়ে সরোদ বাজান শুনতে লাগলাম। নিজের অজান্তেই মনটা আদ্র হয়ে গেল। মনে হতে লাগলে যে এখনই বোধ হয় কুয়াশা সরোদে রাগ ভৈরবী বাজাতে আসবেন।
দেশ ছেড়েছি অনেক দিন আগে, প্রায় এক যুগ। শৈশব-কৈশরের স্মৃতি ফিঁকে হয়ে আসছে ক্রমশ। জীবনের প্রায়রিটি পরিবর্তন হয়ে গেলেোও বোধ হয় অনুভূতিটুকু রয়েই যায়। ধন্যবাদ কাজিদা, সুবর্ণ শৈশব-কৈশরের জন্য। আপনি শতায়ূ হোন।
/----------------------------------------------------
ওইখানে আমিও আছি, যেইখানে সূর্য উদয়
প্রিয়দেশ, পাল্টে দেবো, তুমি আর আমি বোধহয়
কমরেড, তৈরি থেকো,গায়ে মাখো আলতা বরণ
আমি তুমি, আমি তুমি, এভাবেই লক্ষ চরণ।।
আহা, রিকশা ভাড়া বাঁচিয়ে কত সেবার বই কিনেছিলাম।
facebook
আপনি তো অনেক বড়লোক ছিলেন ভাই। আমি বাস ভাড়া ২ টাকা পেতাম; সেটা সারা মাস ধরে জমিয়ে ১টা বই কিনতাম!
- কাজী
আমারও একই অবস্থা!
facebook
এক্কেবারে খাঁটি কথা - আমাদের প্রজন্মকে সঞ্চয় করাও বোধহয় শিখিয়েছে সেবা প্রকাশনী। আমি নিজে প্রতিদিন টিফিনের ৫০% টাকা না খেয়ে জমিয়ে জমিয়ে কিশোর ক্লাসিক এবং তিন গোয়েন্দার বই কিনেছি।
- অয়ন
facebook
বর্তমান সময়ে বেশ জনপ্রিয় কয়েকজন লেখক একসময় মাসুদরানা লিখতেন । অনেক সাক্ষাতকারে কাজীদাকে অনুরোধ করা হয় তাদের নাম বলতে, কিন্তু তিনি তাদের নাম প্রকাশ করতে অপারগতা প্রকাশ করেন ।
কেউ কি জানেন উনারা কে কে? আমি অনেকের নামই শুনেছি, কিন্তু নিশ্চিত না ।
একটা বই 'পপি' তে দেখেছিলাম, রচনা: হাসান উতপল, অনেক পুরনো একটা সংস্করনে । নতুন সংস্করনে আর উনার নাম নেই ।
যতদূর জানি হাসান উতপল হচ্ছেন বিচিত্রার সাবেক সম্পাদক শাহাদাত চৌধুরী ।
হুম
facebook
এই তো সেদিন বাংলাদেশ থেকে বিদেশ আসার আগে নীলক্ষেতে গিয়েছিলাম কিছু বই কিনব বলে । একটানা বিমান ভ্রমনের ক্লান্তি দূর করতে মাসুদ রানার বইয়ের কোন বিকল্প আমি খুঁজে পাইনি । দীর্ঘ ভ্রমনে এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেললাম কাজিদার দুই খণ্ডে সমাপ্ত বই "সেই কুয়াশা "এই বইটিতে কাজিদা চমৎকার ভাবে মাসুদ রানা আর কুয়াশা কে মুখোমুখি করে এক রোমাঞ্চকর উপন্যাস উপহার দিয়েছেন । আমার বই পড়ার অভ্যাস গড়ে উঠার পিছনে সেবা প্রকাশনীর অবদান অনেক অনেক বেশী । হৃদয় নিংড়ানো শ্রদ্দ্বা রইল এ মানুষটির প্রতি ।
পড়ি নাই,! পড়তে হবে--
facebook
লজ্জার সাথে স্বীকার করতে হচ্ছে, বিশ্ব-সাহিত্যের যা পড়েছি, সব সেবার অনুবাদ। অন্যান্য অনুবাদ ঠিক গলা দিয়ে নামে না। কুয়াশা সিরিজের খোঁজ পেয়েছি অনেক দেরিতে, মাত্র ১টা বই হাতে পেয়েছিলাম, আর জোগাড় করতে পারিনি। কই পাওয়া যাবে? সেবার সহজ গদ্যরীতি শিশু কিশোর মনের কাছে সহজে আবেদন সৃষ্টি করে, সুশীল লেখকদের অত কঠিন কঠিন বই পড়ে পড়ুয়া হতএ গেলে বই পাগল হওয়াটা হয়ত কখনোই হোত না।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
সেবার সহজ গদ্যরীতি শিশু কিশোর মনের কাছে সহজে আবেদন সৃষ্টি করে, সুশীল লেখকদের অত কঠিন কঠিন বই পড়ে পড়ুয়া হতএ গেলে বই পাগল হওয়াটা হয়ত কখনোই হোত না।
facebook
কুয়াশা সিরিজটা ৭৪ পর্যন্ত মনে হয়; ফার্মগেট এর তেজগাঁও কলেজের একটু পরে ফুটপাথে দাঁড়ানো্ পত্রিকা স্টোরে পাবেন। ওখানে মোটামুটি সেবা এর সব কিছুই পাওয়া যায়। আমি ওখান থেকেই সেবার মেক্সিমাম বই কিনেছি।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
৭৬
facebook
হ্যা, তাক খুঁজে দেখলাম তাই.. আমার কাছে সবগুলো আছে.. সেই কবেকার পড়া ...
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
হা হা, ৭৫ নম্বরটার নাম ছিল মনে হয় হাঙ্গর! তারপর আরেকটি বেরিয়েছিল
facebook
আমার বই পড়ার হাতে খড়ি সেবা প্রকাশনীর হাত ধরে । তিন গোয়েন্দা দিয়ে শুরু । এর পর জুলভারনের সাইন্স ফিকশান , রহস্য পত্রিকা , মাসুদ রানা , কুয়াশা সিরিজের কোনটাই বাদ যায়নি । স্কুলে টিফিনের বিরতিতেও সেবার বই ছিল আমার নিত্য সঙ্গী । বাংলা সাহিত্যে আর কোন লেখক এত পাঠক প্রিয়তা পেয়েছে কিনা জানা নাই । স্যালুট কাজী দা ।
আর কেউ ধারে কাছে নাই !
facebook
শুভ জন্মদিন কাজীদা। শৈশব এবং কৈশোরের নায়কদের জন্মদাতা। অন্তরের অন্ত:স্থল থেকে জানাই সশ্রদ্ধ সালাম।
facebook
সেবা নিয়ে আমার এতো কিছু বলার আছে! কোনটা রেখে যে কোনটা বলি! আপনাকে আমি সব সময় অনেক অনেক হিংসা করি অণুদা। আজকে আপনি আমাকে একটু হিংসা করেন!
আমি সেবা প্রকাশনীতে বই কিনতে গিয়েছিলাম যখন তখন কাজীদার সাথে আমার দেখা হয়েছিলো!!! কাজী মাইমূর হোসেন বসেছিলেন প্রকাশনীতে। আমি বই কিনতে যাওয়া থেকেই উনার সাথে গল্প করছিলাম। তখন হঠাৎ করেই দেখি আমার পেছনে দাঁড়িয়ে ভারী গলায় কে যেন বলছে "তুমি রাতে গেট খুলে চলে গিয়েছিলে কেন?" কথাটা মাইমূর হোসেন কে বলা হয়েছিলো! আমি পুরাই বোকার মত তাকিয়ে ছিলাম। জীবনে ভুলবো না ওই দুই মিনিটের কথা। আমি কাজীদা কে দেখেছিলাম! আমি সালাম দিয়ে বলেছিলাম আমার পরীক্ষা সামনে আমার জন্য দোয়া করবেন! আর কাজীদার বলা "বইগুলো তাহলে পরীক্ষার পর পড়ো" আমার কাছে সারাজীবনের স্মরণীয় ঘটনা। সত্যি কাজীদাকে দেখলে শ্রদ্ধায় মাথা নত হয়ে যায়। আর কোন লেখককে দেখে এমন হতবিহবল হয়ে যাই নি। আমার অবস্থা দেখে হাসছিলেন মাইমূর হোসেন! আমি বলেছিলাম সত্যি কাজী আনোয়ার হোসেন ছিলো? তখন বলেছিলো হুম সত্যি উনি আমার বাবা! কী শ্রদ্ধা নিয়ে বলা কথাটা এখনো মনে পরে!
আর কোন প্রকাশনী নাই বাংলাদেশে যারা কিশোরদের জন্য ভেবেছে। এতো চমৎকার অনুবাদ! বাংলাতে কোন অনুবাদ পড়তে গেলে আমি সব সময় সেবার সাথে তুলনা করি। ভাষার সহজবোধ্যতা আর কোন প্রকাশনীতে পেলাম না!।
অণুদা এতো চমৎকার লিখলেন! অসাধারণ।
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
(গুড়)
হিংসা করলাম!
facebook
সেবার বইয়ের, বিশেষ করে রানা-কুয়াশার প্রসঙ্গ আসলেই দেখি অনেকে স্মৃতিচারণ করেন তারা কিভাবে ছোটবেলায় বড়দের থেকে লুকিয়ে-চুপিয়ে বা পড়ার বই দিয়ে ঢেকেঢুকে কত কসরৎ করে এগুলি গোপনে পড়তেন। আমি এগুলি পড়ি আর হাসি! ভাবি, আমি যদি এখন আমার স্মৃতির কথা বলি, যদি বলি - আমাকে পিচ্চিতম বয়সেও কোনদিন রানা-কুয়াশা বড়দের লুকিয়ে পড়তে হয়নি, বরং বড়রাই আমাকে লুকিয়ে 'রানা' পড়তেন - এমনকি খোদ আমার অন্য সব ব্যাপারে ডাকসাইটে পিতাজান তার ১০ বছরের পিচ্চি পোলার ভয়ে থরহরিকম্প ছিলেন, তার ভয়ে পুরনো পত্রিকা দিয়ে আলগা মলাট লাগিয়ে লুকিয়ে-লুকিয়ে রানা-কুয়াশা পড়তেন - তাহলে কি কেউ বিশ্বাস করবে ?!
আমার সেবার সাথে পরিচয় কুয়াশা-৬৭ দিয়ে। ক্লাস ফাইভে মনে হয়। কিনে দিয়েছিলেন বাবাই - আমার দেখা দুনিয়ার অন্যতম দুর্ধর্ষ নেশাড়ু-বইখোর। এর দুয়েক বছর আমার রানার সাথে পরিচয় 'সেই উ সেন'-এর মাধ্যমে। এইটা আমিই কিনেছিলাম টিফিনের পয়সা বাঁচিয়ে। এবং এই বেলায় আমিই বরং উলটো আব্বাকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলাম রানার সাথে। তবে সজ্ঞানে না - আমার গল্প বইয়ের বাক্স 'লুট' হওয়ার মাধ্যমে আমার ঘটনা সম্পর্কে জ্ঞানোদয় ঘটে।
এরপর আর কোন থামাথামি নাই - বাপে-ছেলেতে পাল্লা দিয়ে, রীতিমত কম্পিটিশন মেরে বই পড়তাম। শুধু তাই না, এই নিয়ে দু'জনের মধ্যে মাঝেমধ্যে দস্তুরমত রাইভালরি ও মনোমালিন্য পর্যন্ত হত। আব্বা অনেক সময় আমার নাম করে রানা বা কুয়াশা (বা অন্য কিছু) কিনে এনে আমাকে না বলে নিজেই পড়া আরম্ভ করে দিতেন। আর তক্কে তক্কে থাকা পিচ্চি আমি যাতে গন্ধে গন্ধে সেই খবর পেয়ে হামলে না পড়ি, সেজন্যে পুরানো পেপার দিয়ে বইটা মুড়ে লেপের তলায় লুকিয়ে সেটা পড়ার কত কসরৎই না করতে হত তাকে! (আজ সেসব কথা ভাবলে কেমন জানি লাগে)। তবে আমিও কম চালু ছিলাম না, কিছুদিন মধ্যেই 'সাপের হাঁচি বেদেয় চিনে' বা 'তুমি যদি চল ডালে ডালে, আমি চলি পাতায় পাতায়' স্টাইলে এসব কায়দা-কানুন-কৌশল ঠিকই বুঝে গিয়েছিলাম। নিউজপ্রিন্ট মোড়া বই বা বুকের কাছে উঁচু হয়ে থাকা লেপ - এসব চিহ্ণ দেখলেই বুঝে ফেলতাম কি ঘটছে। আর তারপর.... বলাই বাহুল্য। যুদ্ধ!
আবার আমিও অনেক সময় হয়তো একসাথে দুই-চারটা কুয়াশা বা রানা নিয়ে আসতাম। জানি আব্বাকে দিতে হবে - কিন্তু আগে আমি পড়ব সব, তারপর তাঁকে দিব। সুতরাং চুপচাপ লুকিয়ে রাখতাম নিজের পুরনো বইয়ের বাক্সে অনেক পুরানো বইয়ের তলায়। কিন্তু তক্কে তক্কে কেবল আমি একাই থাকতাম না বা নতুন বই বাড়িতে ঢুকলে না দেখেও অনেক দূর থেকেও সেটার গন্ধ খালি আমি একাই পেতাম না, আমার জন্মদাতাও পেতেন। তার থেকেই তো আসলে শেখা। ফলে দেখা যেত আমাকে টেক্কা দিয়ে সেসব গুপ্তধনগুলি কখন যেন হাওয়া হয়ে গেছে.... এবং কয়েকদিন পরে আবার যাদুর মত যথাস্থানে পূণরাবির্ভুত হচ্ছে! কোথায় গেছে সেটা বুঝতে অবশ্য বাকি থাকত না। এরপর বাক্সে তালা লাগানো আরম্ভ করলাম। তাতেও রক্ষা নাই - কারন তারপর আর লুকোচুরির বালাই থাকল না। তখন রীতিমত বর্গীর মত হামলা করে তালা ভেঙে বই লুট শুরু হল।
তো এইভাবে দুইজনের মধ্যে লুটালুটি, হামলা-প্রতিহামলা, কমাণ্ডো রেইড -- কাউন্টার কমাণ্ডো রেইড করে পাল্লা দিয়ে বই পড়া চলত। এমনকি বন্ধুদের কাছ থেকে একসাথে ৪-৫ টা কুয়াশা-রানা এনে আব্বা টের পেয়ে হামলা করে নিজে পড়ার জন্য দুয়েকটা নিয়ে যাবেন এবং বইগুলি কয়েকদিনের জন্য তাঁর কাছে আটকে যাবে, এই ভয়ে প্রায় সারা রাত জেগে ভোর পর্যন্ত একটানে সবগুলি বই এক সিটিং-এ পড়ে সাবাড় করে উঠার অভিজ্ঞতাও আছে ঐ পিচ্চি বয়সেই।
আমাদের মধ্যে বয়স বা কে কি পড়তে পারবে বা না পারবে, সেসব প্রায় কোন ফ্যাকটরই ছিল না আসলে। পড়াটা ছিল আমাদের জীবনের শ্রেষ্ঠ উৎসব - দুজনই দুজনের ধাত ভাল করেই বুঝে গিয়েছিলাম এই ব্যাপারে। ফলে উপ্রে উপ্রে এনিয়ে নিজেদের মধ্যে প্রচুর কম্পিটিশন আর লুটপাট-ডাকাতি-পাল্টা ডাকাতি চললেও, আসলে এব্যাপারে আমরাই ছিলাম একে অপরের সবচেয়ে বড় বন্ধু ও সহযোগী। চোরে-চোরে সব রাইভালরি সত্ত্বেও মাসতুতো ভাই হয়, তো এই বিষয়ে বাপে-ছেলেতে এইরকম গোপন সমঝোতাকে কি বলা যায় বুঝতে পারছি না। মাঝখান থেকে মা বেচারা ছিলেন এইসব পাগলামির একমাত্র অসহায় নিরুপায় দর্শক! এবং সেই ছোট বেলা থেকে শুরু করে আব্বুর মৃত্যুর আগে পর্যন্ত প্রায় একই রকম প্রতিযোগিতা চলেছে আমাদের মধ্যে। একটাই শুধু তফাৎ হয়েছে বড় বয়সে যে আমার বিষয়বস্তুর প্রতি আগ্রহের ডালপালা ছড়িয়েছে - কিন্তু প্রতিটা ক্ষেত্রেই এই আনন্দময় প্রতিযোগিতা অব্যাহত থেকেছে।
আজ যখন ফিরে তাকাই, তখন বুঝতে পারি এক আশ্চর্য আনন্দময় আর মধুমাখা শৈশব ও কৈশোরের পিছনে ইন্ধনটি বা চাবিকাঠিটি যিনি ছিলেন, তিনি এই কাজী আনোয়ার হোসেন নামক ব্যক্তিটি। হিমুর ভাষায় "শৈশব-কৈশোরে তিনি একটা অলীক জানালা খুলে এক চমৎকার পৃথিবী দেখার সুযোগ আর আগ্রহই" শুধু তিনি করে দেননি, বরং পরবর্তীকালে সেই চমৎকার 'পৃথিবী'-টাকে যখন মাঝেমধ্যে অতটা চমৎকার মনে হয় না, তখনও শৈশব-কৈশোরের সেই অক্ষয় সেভিংস একাউন্ট ভাঙিয়ে অচমৎকারকেও চমৎকার বা সহনীয় করে নিয়ে চলার নিরন্তর মানসিক পাথেয়টুকু তিনি তখনই জুটিয়ে দিয়েছেন। তাছাড়া এই মন্তব্যটা লিখতে গিয়ে সেই একাউন্টে লুকিয়ে থাকা অনেক হারিয়ে যাওয়া মণিমুক্তোর কথাও অনেক দিন পরে মনে পড়ে গেল। বাস্তব পৃথিবীতে সেই মণিমুক্তোগুলির সাথে ইহজীবনে আর কখনও দেখা হবে না ভেবেছিলাম। কিন্তু এখন দেখছি হবে - হারাবে না কিছুতেই। এই মণিমুক্তোগুলি একবার কেউ পেলে সহজে মনে হয় হারায় না, নানারূপে পাথেয় হয়ে থাকে সবসময়।
শুধু বই না, আরও বহু-বহু কিছুর জন্যেই আপনাকে নিরন্তর আর অফুরান কৃতজ্ঞতা কাজীদা!
****************************************
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
বাহ, কি চমৎকার! এই নিয়ে একটা পোস্ট লিখে ফেলেন না ভাই!
facebook
ভাই, এখন বাজারে পাওয়া অনেক অনুবাদ তো সেবার অনুবাদ থেকে কপি-পেস্ট করা। উদাহরণ: বাজারে পাওয়া ক্লাইভ কাসলারের "মে-ডে" বইটির অনুবাদ পড়ে দেখতে পারেন, ওখানে নায়ক ডার্ক পিট বলে বাংলাদেশে আছেন এক বাহাত্তুরে বুড়ো যিনি আমার সংবাদ পাওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে আছেন (সঠিক বাক্যটি মনে নেই, এই রকমই কিছু একটা)। আসলে এটা মাসুদ রানার "হামলা" বইটি থেকে কপি করার উদাহরণ, হামলা বইটি মে-ডে র ছায়াবলম্বনে লেখা।
-অয়ন
ফাজিলের দল।
facebook
সেবা প্রকাশনী আমাকে পড়তে শিখিয়েছে। কাজী দার কাছে চির কৃতজ্ঞ থাকবো তাই।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আমাকেও---
facebook
শুভ জন্মদিন কাজীদা!! আমাদের জীবনের এক একটা সময়ের একটা অধ্যায় আপনি যেভাবে মেলে ধরেছেন আমাদের সামনে তা আর কেউ করতে পারে নাই, পারবেও না। তিন গোয়েন্দা, কুয়াশা, কিশোর ক্লাসিক, ওয়েষ্টার্ন, জুলভার্ন, রহস্য পত্রিকা, রানা বলে শেষ হবে না। উপরে সবাই বলছে আপনি আমাদের পড়তে শিখাইছেন, তাতে কোন সন্দেহ নাই। আমি পড়া শেখানো সাথে সাথে এইটাও যোগ করতে চাই যে আপনি আমাদের হাটতেও শিখাইছেন কারণ রিকশা ভাড়া বাচানোর জন্য আমাদের প্রচুর হাটতে হইছে। ছোট ভাইকে ম্যানেজ করতে হইতো, এইতো ভাইয়া এই সামনে থেকে রিকশা নিব, রাস্তার ঐ পার থেকে রিকশা নিব এইসব বলে টলে। উদ্দ্যেশো হইল রিকশা ভাড়া যত কমেনো যায় ততো। আর যদি কোন বই কেনার ইমারজেন্সি টার্গেট থাকতো তাইলে পুরা পথই হেটে ফিরতাম। সেইদিন আবার ছোট ভাইকে আমার ঘুষও দিতে হইতে কোজাক চকলেট বা মেরি বিস্কুট কিনে দিয়া যাতে বাসায় না বলে হেটে ফিরছি। আহা কি সব দিন আর উত্তেজনা।
ভাই তারেক অণু, আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনার লেখা পড়ার পর থেকেই পুরা নষ্টালজিক হয়ে আছি। এক আনন্দময় সময় পার করছি। আমার আড়াই বছরের ছেলের জন্য সেবার বই কালেকশন করার চিন্তা করছি। অনেক দিন হয়ে গেল সেবার বই পড়ি না। বই গুলা আবার পড়তে শুরু করব। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। সত্যপীরদার পোস্টে দেখলাম পরের বার আপনি ইস্ট কোষ্টে আসছেন। তখন আপনাদের সাথে দেখা করার ইচ্ছা রইলো। ভাল থাকবেন।
ক্লোন৯৯
বাহ, সুন্দর পরিকল্পনা। এমন বাবা দরকার সবখানে--
facebook
লেখাটা পড়েছি কয়েকদিন আগে। ব্যস্ততায় আর মন্তব্য করতে পারিনি।
সেবার রবিনহুড বের হয় যখন আমি তখন ক্লাস থ্রি বা ফোরে পড়ি। বইটা কিনতে আমরা দুই ভাই তেজগাঁ রেল স্টেশনের বইয়ের দোকানে গিয়েছিলাম, মোটা সোটা বইটা দেখে প্রথমে ভয় লেগেছিল। কিন্তু পড়া শুরু করার পরে আর থামতে পারি নি। একটানে শেষ। নানান দিক দিয়েই আমার জন্য প্রথম এই বই - বিশ্ব সাহিত্যের পাঠ অথবা বইপাঠের অভ্যাস দুটোরই শুরু এটা দিয়ে। এই বইটা পড়ার সময়ের ঘটনাগুলো আমার এখনো মনে আছে, বইটা হাতে নিলেই চারিপাশ পালটে যেত - আমি নিমিষেই স্থান-কালের দূরত্ব ঘুচিয়ে দিয়ে হাজির হতাম নটিংহামের অরণ্যে। বইটার শেষটা পড়ে চোখে পানি এসে গিয়েছিল।
সেবা প্রকাশনী আমার প্রজন্মের মধ্যে অসম্ভব জনপ্রিয় ছিল। আমি ও আমার বন্ধুরা কুয়াশা পড়তাম, সেই সঙ্গে সেবার অনুবাদ। বড় হয়ে মাসুদ রানা গোগ্রাসে গেলা। বাসায় সেবার বইয়ের অবাধ প্রবেশ ছিল। আম্মাও পড়তেন। বই আদান প্রদানের এর কালচারটাও সেবা দিয়ে শুরু।
অন্তত চার প্রজন্মের নবীন কিশোরদের পাঠভ্যাস তৈরি দেওয়ার কৃতিত্ব কাজীদা নামক নিভৃতচারী মানুষটাকে দেওয়া যায়। মানুষের নীরব ভালোবাসা মনে হয় নোবেল প্রাইজের চেয়েও অনেক বড় সম্মান।
জন্মদিনে তাঁকে অশেষ শুভেচ্ছা।
তারেক অণুকে অনেক ধন্যবাদ এই লেখাটার জন্য।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
মানুষের নীরব ভালোবাসা মনে হয় নোবেল প্রাইজের চেয়েও অনেক বড় সম্মান।
facebook
সেই কোন যুগে পড়েছিলাম এডাগার অ্যালান পো'র "পৃথিবীর সবচে ভয়ংকর শিকার" , কাজীদার অনুবাদে। আজকে পড়লাম আরেক প্রিয় লেখক সৈয়দ মুজতবা আলীর অনুবাদে। মূল গল্পের রসসুধা পাঠকের কাছে পৌঁছে দিতে পারার বিচারে কাজী সাহেব ফার্স্ট, সৈয়দ সাহেব সেকেন্ড।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
এডগার অ্যালান পো-র কোন গল্পটা "পৃথিবীর সবচে ভয়ঙ্কর শিকার"? দ্য মোস্ট ডেঞ্জারাস গেইম নামে একটা বিখ্যাত গল্প আছে, যেটা সেবার অনুবাদে পড়েছিলাম, সেটা পো-র নয়, রিচার্ড কনেলের।
হুম, ছয় রোমাঞ্চে যেটা আছে, একটু কনফার্ম করেন তো!
facebook
হ্যাঁ, ছয় রোমাঞ্চের "সবচেয়ে ভয়ঙ্কর শিকার" গল্পটাই রিচার্ড কনেলের দ্য মোস্ট ডেঞ্জারাস গেইম এর ছায়াবলম্বনে লেখা। বইয়ের শুরুতে এটা বলা আছে। - অয়ন
কোথাও ভুল হয়ে গেছে, আমার মনে হচ্ছে অ্যালান পোর কথা, তবে আপাতত কর্নেলের নাম ঠিক করে দিলাম।
facebook
গল্পটার নাম "সবচেয়ে বিপজ্জনক শিকার"(The Most Dangerous Game by Richard Connell)
ছয় রোমাঞ্চের গল্পগুলো হলো:
১।বাঁশের ফাঁদ
২।রবাহূত
৩।সর্বনেশে পিঁপড়ে
৪।উত্তপ্ত আগস্ট
৫।অগ্নি-প্রত্যাশা
৬।সবচেয়ে বিপজ্জনক শিকার
facebook
শুভ জন্মদিন কাজীদা।
আপনাকে নিয়ে কিছু বলার ক্ষমতা রাখি না, তারপরও দীর্ঘ আড়াই দশক ধরে সেবার সাথে সম্পর্কের কারণে যা যা বলতে পারতাম তাও সবাই মিলে বলে দিয়েছে। তাই সেবার কথা বলি। বইমেলাতে সেবার স্টল অনেক দূর থেকেই চেনা যায়, ভিড়ের কারণে, তা মেলার প্রথম দিনই হোক আর শেষদিন, মেলার শুরু সময় বা বন্ধের। সেবা সম্ভবত একমাত্র প্রকাশনী যারা বইমেলা কেন্দ্রিক বই প্রকাশ করেনা।
কয়েক বছর হল, কাজীদার আরেকটি গুণকে নতুন করে অনুভব করছি। অসাধারণ সম্পাদনা। সেবা প্রকাশনীর সেরা লেখক অনুবাদকদের অনেকেই সেবা থেকে বের হয়ে এখন অন্য প্রকাশনী থেকে বই প্রকাশ করেন। বিশ্বসাহিত্যের অনন্য সব বইয়েরই অনুবাদ। কিন্তু সেই ঝরঝরে গদ্য, টানটান উত্তেজনা কিছুই নেই। বারবার উলটে পালটে দেখেও বিশ্বাস হয় না, একই লেখকের বই। একাধিকবার এরকম ঠকার পরে এখন বুঝি , লেখক এক হতে পারেন, বইটাতো আর সেবার না, কাজীদার হাতের ছোঁয়াতো আর নেই।
আর কাজীদা যদি এই লেখাটি কখনো আবার পড়েন, তার জন্য
কাজীদা , আপনি বইমেলায় আসেন না কেন? প্রতি বইমেলায় সেবাতে খোঁজ করি, কাজীদা কি এবার একবার আসবেন? উত্তর আসে – উনি বইমেলায় আসেন না। কাজীদা প্লীজ, একবার আসবেন? আমাদের জন্য আসুন, এত্ত বছর ধরে সেবাকে যারা ভালবাসে তাদের জন্য প্লীজ । শুভ জন্মদিন কাজীদা।
সেবা সম্ভবত একমাত্র প্রকাশনী যারা বইমেলা কেন্দ্রিক বই প্রকাশ করেনা।
facebook
আমি মনে হয় সেই বিরল প্রজতি সৌভাগ্যবানদের একজন, যার সাথে কাজিদার দেখা হয়েছে। গত বছরের সেই দিনটাকে আমি কখনো ভুলব না। সেই রোমাঞকর মুহূর্তে আমি কোনোমতে উচ্চারণ করতে পেরেছিলাম- আমি রনি...। ঘোরলাগা চোখে দেখলাম কাজীদার স্নেহাদ্র একটি হাত এগিয়ে এলো। তারপর তার স্পর্শ- যেন বাস্তবতার ওপার হতে আসা মাসুদ রানার স্বপ্নালু পরশ। বিস্ময়ে বিমূঢ় হয়ে গেলাম তার বিনয় মেশানো কণ্ঠে শুনে- তোমার সাথে দেখা হয়ে খুব ভালো লাগলো।
সংক্ষিপ্ত আলাপের মধ্যেও তিনি আমার লেখালেখির খোজ-খবর নিলেন। উৎসাহ দিলেন।
পাঁচ বছর আগের জন্মদিনে ফোনে তার সাথে প্রথম আলাপ। তারপর কুশলাদি জানার ছুতোয় নিয়মিত তাঁকে কল করি। কখনো নিরাশ করেননি। যদিবা কখনো ব্যস্ত থাকেন, সেদিন যখনি ফ্রি হন ব্যাক কল করে রীতিমতো কৈফয়তের ঢংয়ে ঊল্টো আমার কুশল জানতে চান। এ যে আমার কত বড় পাওয়া তা, কত গর্বের ধন তা কী করে বোঝায় সচলদের!
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
আহ, কি দারুণ! এই নিয়ে লিখে ফেলেন না একটা !
facebook
সেই ১৯৮৯ সালে শৈশবের শুরুতে সেবার সাথে পরিচয়।বাবার পড়ে শোনান বিদেশী রুপকথা 'সোনার পাখি' এর ইভানের কাহিনী বহুদিন মুগ্ধ করে রেখেছিল আমাকে আর আমার চেয়ে এক বছরের বড় বোন কে। সেবাই আমাকে প্রথম পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল স্নো হোয়াইট ও সিনডারেলার সাথে। মনে পড়ে তৃতীয় শ্রেনীতে যখন পড়ি তখন স্কুলের এক ছুটিতে নাওয়া খাওয়া ভুলে টানা তিন দিন ধরে ওজের জাদুকর রুদ্ধশ্বাসে পড়ার কথা। এর পর অন্তত দশম শ্রেনী পর্যন্ত বুদ হয়ে ছিলাম সেবার কিশোর ক্নাসিক, তিন গোয়েন্দা, মাসুদ রানা সহ অসাধারন সব অনুবাদে। সেবার অনুবাদের কথা মনে পড়লেই রবার্ট লুই স্টিভেনসনের অনুবাদ গুলোর কথা মনে পড়ে যায়। সেবার অনুবাদ করা 'কিডন্যাপড' পড়ার পর ভারতীয় এক অনুবাদকের কিডন্যাপড পড়ে বুঝতে পেরেছিলাম সেবার মান কতখানি ভাল। সেবার অনুবাদের ধারের কাছেও যেতে পারেনি ওই অনুবাদক। ধন্যবাদ কাজী আনোয়ার হোসেন কে আমার মত হাজারো মানুষের শৈশব ও কৈশোর রাঙ্গিয়ে দেওয়ার জন্যে।
facebook
লেখাটা এবং মন্তব্যগুলি বার বার পড়া হয়েছে। মনে হল মন্তব্যের মাধ্যমে অন্তত একটি বারের জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়ে যাওয়া উচিত। সবই বলা হয়েছে। আমার নিঃসঙ্গ কৈশোরে সেবা প্রকাশনী অন্য রকম একটা ব্যাপার ছিল।
অনেক স্মৃতি আছে। ......... তবে পড়ার বই রেখে ‘বাইরের বই’ পড়ার বিরুদ্ধে স্কুলের শিক্ষক, মা এবং বড় বোনের ত্রিমুখী প্রতিরোধের মুখে যে ব্যাক্তিটি যোগ হইয়েছিল – তিনি শ্রদ্ধেয় আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। তিনি টিভিতে কোন এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ‘এগুলি বাজে বই’ । বহুদিন তাঁকে ক্ষমা করতে পারিনি।
আমার নিঃসঙ্গ কৈশোরে সেবা প্রকাশনী অন্য রকম একটা ব্যাপার ছিল।
facebook
অথচ বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বইগুলির দিকে তাকান- কোন বইগুলি শেলফে থরে থরে শোভা পাচ্ছে; লাইব্রেরিয়ানকে জিজ্ঞেশ করুন কোন প্রকাশনীর বই সব সবচে বেশি পড়ছে পাঠক------?
যে যত সমালোচনাই করুক ইতিহাস শেষ পর্যন্ত বিজয়ীরই জয়গান করে।
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
সেবার বিজয়ী হবার কিছু নেই, তারাই নব বইপড়া আন্দোলনের ভিত্তি।
facebook
খুব দৌড়ের উপরে আছি। এর মধ্যেই পোস্টটা দেখেছি আগেই, কিন্তু মন্তব্য করি নি। আজ ১৯শে জুলাই। সঠিক দিনেই প্রিয় কাজীদাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই। এই মানুষটার কাছে অসীম কৃতজ্ঞতা, শৈশবটাকে এত আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য।
এত অসাধারণ পোস্টের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ, সঠিক দিনে শুভেচ্ছার জন্য।
facebook
শুভ জন্মদিন কাজীদা।
কাজী আনোয়ার হোসেন অমর হউক, যেন হুমায়ুন এর মৃত্যু এর মত আর দুঃখ পেতে না হয়। যেন ভাবতে না হয় আর রানা তার ওয়ালথার পিপিকে নিয়ে ছুঁটে যাবে না পৃথিবী বাঁচাতে।
facebook
কাজীদার জন্মদিনে তার দীর্ঘ আয়ুর কামনা করি। এবার আরও কিছু গল্পের অপেক্ষায় থাকতে পারব আশা করছি।
একই আশা, এইখানেও---
facebook
বিলেটেড শুভ জন্মদিন কাজীদা'
লেখায় (গুড়)
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
পৌঁছে গেছে !
facebook
নৈষাদ,
আমি ঠিক জানিনা আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যার সেবার বই নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করে ছিলেন কিনা! তবে আমি নিজে বিশ্বসাহিত্য পাঠচক্রে সক্রিয় সদস্য হিসাবে ছিলাম স্যারকে খুব কাছে থেকে দেখেছি, যতদূর মনে পড়ে ওনাকে বলতে শুনেছি, একটা বয়সে সবারই সেবার বই দিয়ে শুরু হয় আমাদের এখানে। এই বইগুলির মধ্যে আলাদা একটা জগত আছে কল্পনার, এগুলো একটা বয়স পর্যন্ত ভালো, বই পড়ার অভ্যাসটা বেশ ভালো মতো গড়ে ওঠে। তবে আস্তে আস্তে শুধু বিনোদনের দিকে না তাকিয়ে যে বইগুলো আরেকটু চিন্তা করতে শেখায় যেমন দর্শন-বিজ্ঞান-ইতিহাস বিষয়ক বা আরো অগণিত বিষয় এগুলোর দিকেও মনযোগী হওয়া উচিত। আর শুধু পড়লেই তো চলবে না, চিন্তা করতে হবে, লেখতে হবে-কি ভালো লাগলো এ বইটা থেকে, কি যোগ হলো আমার জীবনে এই বইটা থেকে এগুলো ভাবতে হবে।
ক্যাপ্টেন হ্যাটেরাস পড়ে যদি উত্তর মেরু অভিযানের স্বপ্ন না জেগে ওঠে আমার মধ্যে, নিমোর সাথে যদি ডুবো জাহাজে চড়ে গভীর সমুদ্রে ডুব না মারতে পাড়লাম, এ্যালান কোয়ার্টারমেইন যদি আমাকে আফ্রিকার গহীন জঙ্গলে নিয়ে তুলতে না পারলো তবে আর বই পড়ে লাভ কি, শুধু শুধু বসে বসে ল্যাজ নাড়ানো টিকটিকির মতো!
চমৎকার লেখার জন্য ধন্যবাদ অণু ভাই।
----ফয়সাল ইজা
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
facebook
অণুদা, আপনি কত সৌভাগ্যবান, তা কেউ কল্পনাও করতে পারবে না। আপনি কাজীদার সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। আমি এক হতভাগা মাসুদ রানার সাথে প্রথম পরিচয় '৯২ সালে। ক্লাস ফোরে পড়ি তখন। সেই থেকে শুরু। চট্টগ্রামে মাসুদ রানার বইয়ের আমার চেয়ে ওল্ড কালেকশন অন্য কারো ছিল না- বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি। সাড়ে তিনশ'র ওপর রানা ছিল আমার কাছে। যার মধ্যে ছিল '৬৮ এর অরিজিনাল প্রিন্টও। এবং প্রচুর বই ছিল প্রথম প্রকাশের কপি। নুপুর মার্কেট এলাকার বইয়ের দোকানদারদের আমার বাসার ফোন নাম্বার মুখস্ত ছিল। তারা তখন ঢাকা থেকে বই এলে আমাকে জানাত প্রথমদিকে। পরবর্তীতে মুসলিম হাই স্কুলে ভর্তির পর আমি নিজেই যাওয়া আসার পথে ঢুঁ মারতাম। বাছাই করা সেরা সব প্রিন্ট থাকত আমার সংগ্রহে। বই সংগ্রহটাই ছিল আরেকটা রোমাঞ্চকর অভিযান। অনেক সামরিক বাহিনীর অফিসার সহ বহু গণ্য মান্য ব্যক্তিবর্গ আমার ফোন নাম্বার সংগ্রহ করে যোগাযোগ করত রানার বই এক্সচেঞ্জ করতে, ভাবলেও অবাক লাগে।
ইন্টার পরীক্ষায় খারাপ করার কারনে আমার বাবা আমার মাসুদ রানা-ওয়েস্টার্ন এবং সেবার অন্যান্য বই সহ প্রায় ৬০০ বই'র কালেকশন বস্তায় ভরে বাসার পাশের খালে ফেলে দেয়। এই ঘটনার পরে আমি মানসিকভাবে এতটাই আঘাত পেয়েছিলাম যে প্রায় অপ্রকৃতিস্থ হয়ে গিয়েছিলাম দীর্ঘদিন। আমার জীবনের সবচেয়ে বড় আঘাত এটি। এই স্মৃতি আমি আজো ভুলতে পারিনা। আজ এত বছর পরেও সেবার সাথে আমার সম্পর্ক অটুট।
এইটুক জীবনে আমি যতটা জেনেছি, জ্ঞানার্জন করেছি, তার বড় অংশের অবদান কাজীদার। কাজীদার প্রতি রইল আমার হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা। কাজীদা, আমি যদ্দিন বেঁচে আছি, অন্ততঃ তদ্দিন পর্যন্ত আপনাকে দেখে যেতে চাই অবিরাম গতিতে লিখে যাচ্ছেন। অণুদা, আপনিও আমার ভালবাসা নেবেন।
ইশ! খুব খারাপ লাগল শুনে। চট্টগ্রামে আসিই, আপনার সাথে ধুমায়ে আড্ডা হবে।
facebook
১৯৮৫ তে নতুন ভাবে রহস্য পত্রিকা চালু হলো। ১৯৮৫ এর প্রথম সেই সংখ্যায় হুমায়ুন আহমেদ এর অনুবাদ উপন্যাস 'অমানুষ' ছাপা হয়েছিলো। পড়ে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। দেহরক্ষী লোকটির জন্য কষ্ট পেয়েছিলাম অনেক। কিন্তু এর বছর দুই পর হাতে পেলাম 'অগ্নিপুরুষ'। ওহ্ মাই গড! অহ্ মাই গড!! সেবার রোজার ঈদের একক সঙ্গীতসন্ধ্যায় রূণা লায়লা যে গানটি গাইলেন, তা রানাকে শুনিয়েছিলো মেয়েটি। অগ্নিপুরুষ-১ এ লিরিক পেয়ে সমর মজুমদার সুর বসিয়ে দিলেন। এখনও সেই গান রুণা লায়লা'র ট্রেড মার্ক গান ----- 'যখন থামবে কোলাহল, ঘুমে নিঝুম --------- '।
আর, দীর্ঘদিন মাসুদ রানা পড়ে মনে হতো আমাকে কোথাও কেউ ঠেকাতে পারবে না। আমি ঠিকই উতরে যাবো। তা পাঁচতারা হোটেলের রিসেপশন হোক, বিলাসবহুল জাহাজ এর ক্যাপ্টেন হোক আর উড়োজাহাজ এর পাইলট হোক যে কোন পরিবেশ সামলাতে পারবো আমি। কিভাবে আগ্নেয়াস্ত্র চালাতে হয়, কিভাবে প্যারাস্যুট জড়িয়ে প্লেন থেকে লাফাতে হয়, কিভাবে স্কুবা ডাইভিং করতে হয় এসব যেন মাসুদ রানার মাধ্যমে আমাকে শিখিয়েছেন আমাদের কাজী'দা।
আমাকে গোবেচারা থেকে স্মার্ট বানিয়েছেন কাজী আনোয়ার হোসেন।
সেই স্বপ্ন পুরুষের জন্মদিনে অনেক ভালোবাসা, অনেক শ্রদ্ধা।
-------------------------------------------------
অনু, আপনার লেখাটা অসাধারণ হয়েছে। আপনি আমাকে আবার 'সেবা'র সান্নিধ্যে যাবার প্রেরণা দিলেন। আপনাকে অনেক অভিনন্দন।
-------------------------------------------------
কামরুজ্জামান পলাশ
দীর্ঘদিন মাসুদ রানা পড়ে মনে হতো আমাকে কোথাও কেউ ঠেকাতে পারবে না। আমি ঠিকই উতরে যাবো। তা পাঁচতারা হোটেলের রিসেপশন হোক, বিলাসবহুল জাহাজ এর ক্যাপ্টেন হোক আর উড়োজাহাজ এর পাইলট হোক যে কোন পরিবেশ সামলাতে পারবো আমি। কিভাবে আগ্নেয়াস্ত্র চালাতে হয়, কিভাবে প্যারাস্যুট জড়িয়ে প্লেন থেকে লাফাতে হয়, কিভাবে স্কুবা ডাইভিং করতে হয় এসব যেন মাসুদ রানার মাধ্যমে আমাকে শিখিয়েছেন আমাদের কাজী'দা।
facebook
দাঁড়ান না! গোলামকুমারকেও মাসুদ্রানা পড়া শিখায় দিতেছি
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
ক্যারি অন জীভস আর থ্যাঙ্ক ইউ জীভস বইদুটো খুঁজছি, কারো কাছে থাকলে জানাবেন প্লিজ
আমার প্রথম বই ছিল - ক্লাস ৪ এ, মাস্টার অফ দি ওয়ার্ল্ড। আহা - কি মধু।
আমি আজ জীবনে যত অর্জন করেছি - তার উৎসাহ পেয়েছি সেবা থেকে। মন বড় করতে পেরেছি সেবার বই পড়ে।
শুভ জন্মদিন কাজীদা।
আপনার লেখাটাও কিন্তু ক্ল্যাসিক ধরনের হয়েছে
দেবদ্যুতি
শুভ জন্মদিন কাজীদা
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
নতুন মন্তব্য করুন