স্টোনহেঞ্জ, মধ্যযুগীয় সপ্তম আশ্চর্যের একটি, এইভাবেই প্রথম তার নাম জানা হয়েছিল শৈশবে সাধারণ জ্ঞানের বইতে। সাদা কাগজে নীল রঙের ছাপা ছবিতে দেখা যেত কয়েকটি পাথর এবড়ো থেবড়ো দাড়িয়ে আছে ইতস্তত। অন্যান্য বিস্ময়গুলো বিশেষ করে তাজমহল, কলোসিয়াম, পিসার টাওয়ার, চীনের প্রাচীরের কাছে কেমন যেন জৌলুসশূন্য, বড়ই সাদামাটা। কিসের জন্য বিশ্বের বিস্ময় হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিল স্টোনহেঞ্জ? যতই দিন যায়, টুকটাক তথ্য জানতে থাকি সেই স্থাপত্য নিয়ে এবং বিস্ময়ে ভরে যায় মন, এটি যে বিশ্বের প্রাচীন যুগের সপ্তাশ্চর্যের সবগুলির চেয়েও প্রাচীনতর, কারণ মিশরের পিরামিড পাঁচ হাজার বছরের পুরনো হলেও স্টোনহেঞ্জ তার চেয়েও পুরাতন! আচ্ছা বুঝলাম জিনিসটা বড়ই প্রাচীন, কিন্তু এইটা কি?
গেল তো গোলমাল বেঁধে? স্টোনহেঞ্জ কিভাবে নির্মাণ করা হয়েছিল সেই নিয়ে মোটামুটি একটা ঐক্যমতে পৌঁছানো গেলেও এইটি কি এবং কেন নির্মিত হয়েছিল টা নিয়ে আছে শত শত তত্ত্ব এবং ফি বছরই উদয় হচ্ছে নতুন মত ও প্রমাণের। যাক, সাথে সওয়ার হয়ে পড়ুন, স্টোনহেঞ্জের পাথুরে বৃত্তের চারপাশে ঘুরতে ঘুরতে আলাপচারিতা করা যাবে সেই তত্ত্ব প্রমাণ নিয়ে--
গেল বৃহস্পতিবারে কি করে লন্ডন থেকে মোটমাট ৯ বাঙ্গালী মিলে সদলবলে স্টোনহেঞ্জ যাবার বাস মাত্র ২ মিনিটের জন্য মিস করে, পরে অন্য ষ্টেশনে যেয়ে কি করে দ্রুতগতির ট্রেনে চেপে সালসবারী শহরে পৌঁছানো গেল সেই গল্প অন্য সময়ে করা যাবে খন, কিন্তু আসল কথা হচ্ছে আকাশে অল্প মেঘের দল কোণঠাসা হয়ে আছে ঝকঝকে রোদের কবলে! অথচ গত সাত দিন ধরেই আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে ঝরঝরে বৃষ্টি সহ বজ্রপাত পর্যন্ত হতে পারে! কি মুশকিল, বিশ্বের বিস্ময়টি এমনিতেই বিশাল ফাঁকা প্রান্তরে অবস্থিত, তার মাঝে যদি হয় মুষলধারে বৃষ্টি, তাহলে যাব কি করে! কিন্তু আমাদের দর্শন উপলক্ষেই যেন আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে, সাথে সচলায়তনের সৈনিক কৌস্তভ দা কিছুটা যেন আমসি মুখেই বলল, আপনার ভাগ্য এত ভাল কেন? ভাগ্য বলে কিছু নেই, কিন্তু ইংল্যান্ডের রোদেলা দিনে কোন পাষাণও এই কথা বলতে চায় না, তাই সোজা ট্যাক্সি চেপে ১৩ কিলোমিটার ( ৮ মাইল, ইংল্যান্ডের সবখানেই মাইলমিটার, কেন কে জানে!) দূরের স্টোনহেঞ্জ প্রান্তরের দিকে যাত্রা শুরু।
চমৎকার প্রকৃতি, শহর ছাড়ালেই রাস্তার দুই পাশে সবুজ গাছে ছাড়ালেই মাইলের পর মাইল চলে গেছে সোনালী গমের বিস্তৃত ক্ষেত, যদিও তার আগে অ্যাভন নামের কয়েক হাত চওড়া এক বিখ্যাত নদীর খানিকটা চোখে পড়ল, ট্যাক্সিচালক নিজে থেকেই জানালেন ধারণা করা হচ্ছে এই নদী দিয়েই ভেলায় করে স্টোনহেঞ্জের পাথরগুলো পরিবহণ করে আনা হয়েছে ওয়েলশ থেকে।
অবারিত শস্যক্ষেত দেখেই মনে পড়ল ইংল্যান্ডের বিখ্যাত Crop Circleএর কথা, জানতে চাইলাম চালকের কাছ কোন সময় আসলে সেগুলো দেখা যেতে পারে, উত্তর পাওয়া গেল গম নিড়ানোর ঠিক আগে আগে আসলে সেই বিদঘুটে ছাপগুলোর দেখা পাওয়া যেতেও পারে, গত বছরও নাকি দুইটা বেশ জটিল ধরনের চমৎকার নকশা ছিল। সেই সাথে বিনামুল্যে জ্ঞান বিতরণ করে জানাল গায়ক রবি উইলিয়ামস এখানেই থকে, কারণ সে এলিয়েনে বিশ্বাস করে। ( এমন কথা শুনলেই মেজাজ চটকে যায়, ব্যাটা, মানুষ বিশ্বাস করলেই কি না করলেই কি, তাতে কি এলিয়েন উদয় হবে না তাদের অস্তিত্ব বিলিন হয়ে যাবে!) এলিয়েনের সাথে এখানে বাড়ি করার কি সম্পর্ক? কারণ সেই আদি ও অকৃত্রিম ক্রপ সার্কেল! এগুলো নাকি ফ্লাইং সসারের অবতরণের ফলেই হয়ে থাকে, আর জনাব রবি উইলিয়ামস তাদের সাথে বন্ধুত্ব করার আশায় এখানে বাড়ি কিনেছে( ক্রপ সার্কেল স্রেফ একটা জালিয়াতি, তা নিয়ে মেল গিবসন যতই সিনেমা করুন না কেন) । আরও জানা গেল গায়ক স্টিং চার মিলিয়ন পাউন্ড খরচ করে এখানেই একটি ভিলা কিনেছেন কারণ অবশ্য তিনি উপত্যকার প্রকৃতি এবং গ্রামের দৃশ্য পছন্দ করেন।
তাকে ভালো মানুষের মত শুধালাম স্টোনহেঞ্জ নিয়ে কি মতামত স্থানীয় অধিবাসীদের? এবারে অবশ্য আমাদের চমকিত করে দারুণ উত্তর দিলেন চালক মহাশয়- জানি না, কারোই জানা নেই! দেখ, স্টোনহেঞ্জের পাথরগুলো হচ্ছে ব্লু স্টোন, যাদের হাজার হাজার বছর ধরে রোগ নিয়াময়ের ক্ষমতা আছে বলে মানুষ বিশ্বাস করেছে, তাহলে কি স্টোনহেঞ্জ একটি রোগ নিরাময় কেন্দ্র ছিল পুরোহিতদের? নাকি এটি ছিল এক মানমন্দির? নাকি এক সূর্যঘড়ি? উপাসনালয়? তীর্থস্থান? উত্তর- আমি জানি না।
তার ব্যাখ্যা শুনতে শুনতেই পথের মোড়ে চোখে পড়ল বিশ্বের সবচেয়ে পরিচিত ল্যান্ডমার্কগুলোর একটি, চিরচেনা কিছু এলোমেলো পাথর!
তাহলে এসে গেছি শেষ পর্যন্ত! ট্যাক্সির সাথে আগেই রফা করা ছিল, হাতে এক ঘণ্টা সময় এর মাঝে স্টোনহেঞ্জের চারপাশে চক্কর দিয়ে ফিরে আসতে হবে, অনেকেই অবশ্য টিকেট কাটার ভয়ে হাইওয়ের উপরেই গাড়ী থামিয়ে বেড়ার পাশ থেকে ছবি তুলে দিব্যি ফিরে যাচ্ছে, তাদের যুক্তি- স্টোনহেঞ্জের একেবারে কাছে তো এমনিই আর যেতে পারবে না, খামোখা পয়সা খরচের দরকার কি! অথচ আমার কানাডা প্রবাসী এস্তোনিয়ান বন্ধু আভো কুবার জানিয়েছে মাত্র ২০ বছর আগেই তারা স্টোনহেঞ্জ একেবারে মাঝখানে সারা রাত কাটিয়ে ভোরের সূর্যের আলোর সেই পাথরের উপরে পড়ার জাদুময় মুহূর্ত দেখেছিল, অথচ এখন লাখো লাখো পর্যটকের কারণেই হবে, পাথরগুলোকে নিরাপদ দূরত্ব থেকেই দেখতে হয়। প্রায় ৮ পাউন্ডের টিকেট কেটে ঢুঁকে পড়া গেলে সদলবলে, প্রথমেই সিঁড়ি পাশে সম্পূর্ণ স্থাপত্যটি কেমন ছিল তার একটি চিত্র আঁকা হয়েছে, এর পরপরই আর কিছুই নেই বিরান সবুজ প্রান্তর ছাড়া।
বিশাল ফাঁকা জায়গার একখানে পাথরের সেই স্থাপত্য, অনেক দূরে চরে বেড়াচ্ছে ভেড়ার পাল, কিন্তু বিশাল বিস্তৃত প্রান্তরটি যেন রহস্যে মোড়া! ঠিক কোন কারণে এই জায়গাটি বেছে নিয়েছিল সেই যুগের মানুষেরা এমন স্থাপনার জন্য? আবার এও জানা গেছে, অন্তত দশ হাজার বছর আগেও এইখানে আদিমানুষের আনাগোনা ছিল এবং তাদের তৈরি বিশালাকার গর্ত পাওয়া যায়, আর হয়ত সাড়ে পাঁচ হাজার বছর আগে শুরু হয়েছিল ধাপে ধাপে স্টোনহেঞ্জ গড়ার পালা, আস্তে আস্তে প্রজন্মের পর প্রজন্ম কোন অজানা কারণে কয়েক শত বছর ধরে বা সঠিক করে বললে হাজার বছর ধরে এর নির্মাণ চলতে থাকে, সম্ভবত এতে বড় ধরনের কাজ শেষবারের মত করা হয় ৩৭০০ বছর আগে।
অবশেষে দেখা মিলল বিশ্বের বিস্ময়ের, ঠিক ছবিতে যেমন দেখেছি তেমন, এলোমেলো, রহস্যময়। মনে হচ্ছে কোন দানবশিশু ঝাড়া হাত পা চালিয়ে কিছু পাথর উপর থেকে ফেলে দিয়ে রাগ করে চলে গেছে, বাকী পাথরগুলো এখনো ভূমিতে দাড়িয়ে। মানুষের ভিড়ে পাথরগুলোর ক্ষতি এড়ানোর জন্য এখন বেশ কয়েক মিটার দূর থেকে দড়ির বেষ্টনীর এপার থেকেই বুভুক্ষুর মত দেখতে হয় স্টোনহেঞ্জ কিন্তু তাতে তার হাজার বছরের জাদুর কোন কমতি ঘটে না। বরং দিব্য চক্ষে ভেসে ওঠে সেই ধূসর অতীত, কেমন করে এই অসাধ্য সাধন করেছিল সেই যুগের মানুষেরা, প্রায় ২৫ টন ওজনের এতগুলো পাথর ২৫৭ কিলোমিটার ( ১৬০ মাইল) দূরের ওয়েলশের আগ্নেয় নীলাভ শিলার খনি থেকে নিয়ে এসে গাণিতিক এবং আকাশ পর্যবেক্ষণের জ্ঞানকে চুলচেরা কাজে লাগিয়ে জায়গা মত স্থাপন করেছিল, যা কিনা আজো বিস্ময়ের উদ্রেক করে চলেছে আমাদের!
প্রথমেই আলাদা ভাবে নজর কাড়ল পাথরের স্তম্ভগুলোতে রোদ পোয়াতে থাকা স্টারলিং আর কাকের দল, সেই সাথে দেখলাম একজোড়া স্টারলিং মজাসে এক হেলে পড়া পাথরের শরীরে সৃষ্ট গর্তের জমে থাকা জলে জলকেলি করেই যাচ্ছে, কিন্তু ক্যামেরা ফোকাস করতেই উড়াল দিয়ে টা টা বলে গেল!
চোখ পড়ল সেই কুখ্যাত সমতল পাথরটির দিকে যা ডানদিকে উঁচুতে বসানো, ধরা হয়ে থাকে স্টোনহেঞ্জের নির্মাতার ছিল প্যাগান এবং হয়ত তারা বছরের সবচেয়ে বড় দিনে বিশাল জমায়েতের সামনে এই পাথরের উপরে কুমারী নারী বলি দিত, দেবতাদের তুষ্টির জন্য। অকাট্য প্রমাণ যদিও মিলছে না কিন্তু পাথরের গঠনের কারণেই হয়ত এমনটা ধারণা করা হয়েছে।
হাজার হাজার বছরের রোদ-বৃষ্টি-ঝড় সয়ে সুকঠিন শিলার অস্তিত্ব টিকে থাকলেও তাদের বাহিরের দিক হয়ে গেছে ব্যপক ক্ষয়প্রাপ্ত, এককালের মসৃণ চকচকে আবরণে আজ জন্মেছে শ্যাওলা। এক ডকুতে দেখেছিলাম, পাথরের সাহায্যে পাথরে ক্রমাগত মৃদু আঘাত বা পালিশ করেই এমন মসৃণ করা হয়েছিল সমস্ত পাথর, হয়ত উপর থেকে দড়ির সাহায্যে ঝোলানো থাকত সেই পালিশের যন্ত্র, যা পর্যায়ক্রমে ব্যবহার করা হত সকল স্তম্ভের জন্যই।
বিশেষ ভাবে লক্ষ্য করলাম দাড়িয়ে থাকা গোটা দুয়েক স্তম্ভ যেগুলোর উপরিভাগে কিছুটা পাথর উঁচু হয়ে আছে, অনেকটা বড় পেরেকের মত।
গবেষণায় জানা যাচ্ছে প্রায় সব স্তম্ভের মাথাতেই এমন আছে এবং তাদের উপরে শোয়ান পাথরগুলোতে আছে গভীর গর্ত, যা কিনা সেই পেরেকের মাথার মত উঁচু জায়গায় রাখলে একদম খাপে খাপে বসে যেয়ে অনেকটা নাট-বল্টুর মত নিজেরা নিজেরাই বাহিরের সাহায্য ছাড়াই দাড়িয়ে থাকতে পারে!
স্টোনহেঞ্জ চারিদিক ঘিরে এক মেঠোপথ ধরে দর্শনার্থীরা হেঁটে যাচ্ছে, অবাক হয়ে খেয়াল করলাম বিভিন্ন পাশ থেকে পাথুরে বৃত্তটিকে দেখতে বেশ অন্যরকম লাগে! এটি যে কাজেই ব্যবহার করা হয়ে থাক না কেন হয়ত কেন্দ্রস্থলে থেকে আকাশ বা ভূমি দেখতেও অন্যরকমই লাগত।
আশেপাশের প্রান্তরে সেই আমলের অনেক সমাধি পাওয়া গেছে, মাটির মাঝে স্তূপাকারে, তবে স্টোনহেঞ্জের এলাকাতে কোন জনবসতি ছিল এমন প্রমাণ পাওয়া যায় নি, তাই ধারণা করা যায় বছরের বিশেষ বিশেষ দিনেই কেবল জনসাধারণ আসত এই পবিত্র স্থানে। হয়ত বা সূর্যকে সাক্ষী রেখে প্রদিক্ষন করত আজকের পর্যটকদের মত, হয়ত দেবতাদের কাছে ভিক্ষা করত অফুরন্ত শিকার আর ফলনের।
বাল্যবন্ধু শোভনের ব্যপক উৎসাহ ছিল দেশে থাকতেই স্টোনহেঞ্জ নিয়ে, সেই ছিল আমাদের আজকের যাত্রার মূল গাইড, যে কিনা আগেও এসেছিল বিস্ময় দর্শনে। তার সাথেই ভাগাভাগি করলাম স্টোনহেঞ্জ নিয়ে এখন পর্যন্ত পাওয়া সবচেয়ে গৃহীত ব্যাখ্যাটি যা কিনা সেখানে কর্মরত প্রত্নতত্ত্ববিদকে দিয়েছিলেন তারই পরিচিত এক মাদাগাস্কারের গবেষক। সেই ভদ্রলোক স্টোনহেঞ্জ দেখেই চারপাশে একটা ঘুরান দিয়েই বলেছিলেন, বুঝেছ তো এটি কিসের জন্য তৈরি হয়েছিল? মৃতদের জন্য! মৃতদের সন্মান জানাতে নাকি এমন ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে দ্বীপদেশ মাদাগাস্কারে! এবং তার কিছুদিন পরপরই স্টোনহেঞ্জ ঘিরে বিশাল এলাকা জুড়ে প্রাচীন এক বৃত্তের সন্ধান পাওয়া যায়, যা কিনা অনেকেই ধারণা করছেন সেই পবিত্র এলাকার সীমারেখা, যেখানে জীবিতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল বিশেষ বিশেষ দিন ব্যতিরেকে।
সেই সাথে আরও জানান গবেষক, যদি মৃতদের জন্য পাথরের অক্ষয় একটি স্থাপত্য নির্মাণ করা হয়ে থাকে তাহলে জীবিতদের জন্যও নিশ্চয়ই কিছু একটা নির্মিত হয়ে থাকবে, তবে তা হবে ক্ষয়শীল কোন বস্তুর, সম্ভবত কাঠের! এবং কাকতালীয় ভাবেই এরপর কাঠের তৈরি এমন গোলাকার ধাঁচের স্থাপত্যের সন্ধান মেলে কয়েক মাইল দূরে, যার আদুরে নাম দেওয়া হয়েছে উডহেঞ্জ!
কিন্তু আসল সত্য জানার জন্য এখনো প্রয়োজন নিবিড় গবেষণার এবং পর্যাপ্ত তথ্যের। কিছু পাথরের গায়ে নানা আঁকিবুঁকি দেখে নিরাপত্তাকর্মীকে প্রশ্ন করে হানা গেল গোটা কয়েক নকশা বহু প্রাচীন কাল থেকেই আছে আর আছে শত শত নাম যা কিনা পর্যটক নামের কুলাঙ্গাররা খোদাই করে গেছে ঘুরতে এসে। হয়ত তাদের কারণেই এখন আর যাওয়া যায় না এই স্বপ্ন সৌধের কাছাকাছি, অনুভব করা যায় না পাথরগুলোর সত্যিকারের বিশালত্ব।
কিন্তু অভিভূত আমরা বিশ্বের বিস্ময় দর্শনে, সেই সাথে আনন্দিত রোদেলা আবহাওয়ার জন্য, এদিকে এক ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে কাঁটায় কাঁটায়, মুগ্ধ দৃষ্টিতে প্রাচীন স্থাপত্যের দিকে শেষ বারের মত চেয়ে যাত্রা শুরু হল সালসবারি শহরের উদ্দেশ্য।
( ব্যবহৃত ১ম ছবিটি বন্ধু হিমুর তোলা।
পোস্টটি প্রিয় গল্পকার সুহান রেজওয়ানের জন্য, আশা করছি তিনি অচিরেই স্টোনহেঞ্জের রহস্যভেদ নিয়ে ব্যাডভেঞ্চারের এক দুর্দান্ত গল্প উপহার দিবেন, নায়ক হবে বরাবরের মতই মজিদ ভাই! )
মন্তব্য
(গুড়)
শক্ত গুড় না ঝোলা গুড়
facebook
আসতেছি দাদা।
ফেবুতে ছবি দেখার পর থেকেই এই পোষ্টের অপেক্ষায় ছিলাম।
কোথায় হারালেন!
facebook
আচ্ছা, এই প্রশ্নটা যদিও মাথায় বহু আগে থেকেই পাক খায়- কখনো জিজ্ঞাসা করা হয়নি কাউকে। ...স্টোনহেঞ্জ কি এখনো আদিরুপেই আছে - অবিকৃত ??? না বিজ্ঞানী/চোরেরা কিছু সরিয়ে দিয়েছেন- কিছু প্রকৃতিতে ক্ষয় হয়েছে ??
আর ধন্যবাদ ম্যান !! প্রশংসায় চিঁড়ে ভেজে না, তবে দেশে আসলে আপনারও কোঞ্চিপার চা এবং গোলকেক পাওনা রৈলো
না না, বেশ ক্ষয়প্রাপ্ত এবং কিছু পুনর্বিন্যাসও করা হয়েছে,
কোঞ্চিপার চা এবং গোলকেক
facebook
প্রশংসায় চিঁড়ে ভেজে না নাকি, দাঁড়ান ভেজানোর ব্যবস্থা করছি, ইংল্যান্ড থেকে আপনার জন্য বেশ জবরদস্ত একটা বই খরিদ করা হয়েছে, ফুটবলারদের নিয়ে। কিন্তু ভারী তো, তাই বলতে পারছি না কবে পাবেন। সামনে মাসে আর না হলে আমি আসার সময় নিয়ে আসব। ডারেলের বইটা এই সপ্তাহে পেয়ে যাবেন আশা করছি।
facebook
আগে ধারণা ছিলো আপনি একটা মাল্টি-কপোট্রনিক রবোট, কেবল বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে মানব্জাতির স্বার্থে যার সিস্টেম রিবুট করা হয় - এখন মনে হচ্ছে আপনি ব্রুস ওয়েন !!!
"অপারেশন তারেক অণু" নামের গল্পে স্টোনহেঞ্জের সাথে আপনার রহস্যভেদও করতে হবে
ডানে কেটে বায়ে চাপেন!
facebook
আপনে যদি কোনদিন গুম হয়ে যান, তাইলে খুনি খুঁইজা বাইর করা খুব কঠিন হবে কিন্তু।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ক্যান!
facebook
আপনার কিছু কিছু লেখা পড়লে মনে হয় সশরীরে ঘুরে আসলাম এইমাত্র। এইটাও তেমনি একটা পোষ্ট।
ধন্যবাদ, ভ্রমণকাহিনীকারদের জন্য সবচেয়ে বড় প্রশংসা এইটিই।
facebook
অনুদা, আমি অনেক আগে এমনটা শুনেছিলাম যে স্টোনহেঞ্জের কাছা কাছি গেলে নাকি নিজের ভেতর একধরনের শক্তি ফিল হয়, সত্যি নাকি? স্টোনহেঞ্জ আমার কাছে এক বিশাল বিস্ময়।
এমন কথা লোকমুখে প্রচলিত। আর বাহিরে কিছু হবার কথা না কিন্তু!
facebook
অসম্ভব ভাল লাগল। চারদিকে খালি সচলাড্ডা দেখতে পাচ্ছি। আঙ্গুর ফল টক-এর মডার্ন ভার্সন হতেই পারে 'সচলাড্ডা জমে না'।
টেমসের সচলাড্ডা তো লিখলামই না !
facebook
ভাই কিছুই আর বাকি রাখলেন না, এবার ক্ষ্যান্তি দ্যান। চরম পোষ্ট।
পরে ক্ষ্যান্ত দিন, এখন দৌড়ের উপরে আছি!
facebook
আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে
প্রথম ছবিটা সেইরাম !
facebook
শেক্ষপীরের বাড়ির ওদিকটা হয়ে এলেন না? স্ট্রাটফোর্ড অন আভন।
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
এবার সময় ছিল না, কিন্তু একই নদী এই অ্যাভন!
facebook
এত এত বছর ধরে চেষ্টা চলছে জানার জন্য যে এটা আসলে কী? আরও কত দিন লাগবে...
"জানার কোন শ্যাস নাই"...
মূল নকশা যখন টিকে ছিল তখনও কী একেক পাশ থেকে একেক রকম লাগতে দেখতে?
রৌদ্রজ্জ্বল লেখা...
"জানার কোন শ্যাস নাই"..
তাই হবার কথা, কারণ মাঝের উচু দুই পাথর ছিল একদিকেই!
facebook
আমার যা যা দেখার ইচ্ছে, সবই আপনি দেখে ফেল্লে কিভাবে হবে?
নারে ভাই, আপনার ইচ্ছার লিস্টি অনেক বড় নিশ্চয়ই! সব কি আর সম্ভব হয় কোনদিন!
facebook
সেইরকম পোস্ট; সবসময়ই আনন্দ নিয়ে পড়ি।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
facebook
ভালৈছে পছন্দৈছে
..................................................................
#Banshibir.
একটা ফতোয়া দিনে দেন এইসব পাঁথরপূজারীদের নিয়ে
facebook
এবাদত বন্দেগী বাদ্দিয়া পাত্থর নিয়া টানাহেচড়া ক্যান কন দেখি? এহুদি নাছারার ষড়যন্ত্র.
..................................................................
#Banshibir.
কিন্তুক কিন্তুক হজরে আসওয়াদ-ও একটা পাঁথর এমন শুনছিলাম পীরবাবা!!
facebook
হজরে আসওয়াদ বিরাট ফজিলতের পাত্থর রে ব্যাটা. ঐটাকে উল্কার পাত্থর বৈলা চালায় দেওয়াও এয়াহুদী নাছারার চক্রান্ত.
..................................................................
#Banshibir.
উল্কা কইল কিডা ! ( পীরবাবা খাইছে ধরা)
facebook
আরজ আলী মাতুব্বর নামে এক লুক কৈসে শুনলাম. নাউজুবিল্লা মিন জালিক.
..................................................................
#Banshibir.
নামের মাঝেই মাতুব্বর , হক মওলা!
facebook
ভ্রমন নিয়ে একখান বই লেখেন এবং তা পি ডি এফ আকারে আমাদের পড়ার সুযোগ করে দিয়েন
জানাবো, হৈ ভাই, লিখুম কিন্তুক ফ্রিতে পিডিএফ দিলে তো প্রকাশক খেপব!
facebook
ছবিগুলো দেখে পুরাই টাশকি!
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আমি জায়গা দেখেই টাশকি।
facebook
ঈশ্ কী সুন্দর সব ছবিগুলো ! আর কী জাদুকরী তোমার লেখা, অণু !
দ্বিতীয় বাক্যটি মিছা কথা
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
কও, আরও মিছা বলতে থাক দুই চারটা!
facebook
এটা নিয়ে জানার আগ্রহ ছিল অনেকদিন। আপনার লেখা পড়ে অনেক কিছু জানলাম। ধন্যবাদ। ঘুরতে থাকুন, লিখতে থাকুন
চেষ্টা করে যাচ্ছি। ধন্যবাদ।
facebook
বরাবরের মতই অজানা অনেক কিছুই জানিয়ে গেলেন আর অদেখা অনেক কিছু দেখার বাসনা দিয়ে গেলেন। লেখা ও ছবি দুইটাই অনেক ভালো হয়েছে।
অসংখ্য তারকা আর ।
অমি_বন্যা
অবশ্যই দেখবেন, আমিও দেখব বাদামের বাগান।
facebook
চমৎকার ছবি এবং লেখা, ভাইয়া আপনি কি Teotihuacan ভ্রমন করেছেন?
লিখেছিলাম কিন্তু সেই শহর নিয়ে, এই যে লিঙ্ক= http://www.sachalayatan.com/tareqanu/42905
facebook
তুমি সাধারণ মানুষ না, এই গোপন খবর আমি পাইছি, পিছনে যে টিকটিকি লাগাইছিলাম সে অনেক আগেই খবরটা দিছে। কিন্তু একটা কথা, স্টোনহেঞ্জ এ এইবার কি তুমি বিকন লাগাইছ? নেক্সট এলিয়েন ট্রিপটা কি তোমার সংকেতেই পৃথিবীতে নামবে? বেশ ঘোরালো ব্যাপার-স্যাপার।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
আগে মহাস্থানগড়ের লিপির সংকেত উদ্ধার করি, তারপর বলতে পারব।
facebook
হুমম,
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
এটা কি পাবলিক ব্লগ! তাহলে বলা যাবে না, যতই পপ্পন চিবাও
facebook
তাহলে কোডেড মেসেজ দিও। আমি কোডব্রেক করে নিবো।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
সবার আগে জার্মানীতে ল্যান্ড করব। ডয়েচ শিখছি ।
facebook
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
নাহ, হল না! তুমি বাদ, পরের যাত্রায় সিট ফাঁকা নাই !
facebook
বললেই হলো, তাহলে তো গোয়েন্দা ঝাকানাকাকে খোঁজ লাগাতে হয় !!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
ঝাকানাকা ইজ গান!
facebook
সবই বুঝলাম কিন্তু প্রথম ছবিতে টাইটানিক পোজ দিছেন কেন?? আর দিলেনই যখন কৌস্তভদাকে নিয়েই পোজটা দিতেন
হেই কৌ দা, গিলোটিন ক্যান লগে! মনো, ডাইলে লবণ দেছ নাকি দেবা!
facebook
হাসেন যে, আপনিও একই অঞ্চলের নাকি !
facebook
আহা, কিসের টাইট, কিসের টনিক! সূর্যপূজারী মশাই আমরা, পুজো নিয়ে ুদুর ুদূর চইত্ত ন!
facebook
প্রথম ছবিটা দেখে আমার বাংলা সিনেমার মত মনে হল। কেউ যেন এক্ষুনি পাথরের ফাঁক থেকে দৌড়ে এসে বলবে, 'ডাল্লিং, অণু ডাল্লিং, তুমি এসেছ'?
facebook
দারুণ লাগলো।
বলা যায় না, এই প্রজেক্ট হয়ত সেই আমলের আবুল হোসেনদের হাতে পড়েছিল। মেরে দাওয়া টাকায় কোথাও পিরামিড তৈরি করেছে তারা। সুহানের রহস্যভেদ গল্পে এই এঙ্গেলটা থাকা উচিত।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ঠিক !
facebook
ঘুরেন, ঘুরেন আর ছবিসহ পোস্টান। আমরা দেখি আর পড়ি। ভাল থাকুন।
দেখি, যে কয়দিন পারা যায়
facebook
ছবিগুলো বিশেষ করে প্রথম ছবিটা একেবারে লা-জওয়াব
মশাই, এতো ঘুরাঘুরি করলে শেষ বয়সে কিন্তু বাতের ব্যাথা হবে (অভিশাপের ইমো)
না করলেও হবে,
facebook
ঘুরেন, ফিরেন, ছবি-লেখা দেন আর আমরা দেখি-পড়ি। ভাল থাকুন।
facebook
আমিও দেখেছিনু একদা। বেশি একটা ভাল্লাগে নাই। ভাঙাভুঙা পাথর।
ইউকের আইল অফ ওয়াইট আর আইল অফ স্কাই জায়গা দুইটা আমার খুব ভাল্লাগছে। আইল অফ স্কাই অবশ্য সেই স্কটল্যআন্ডের চিপায়। খরচ পরে অনেক। নেক্স টাইম আসলে আইল অফ ওয়াইট যাইয়েন। নিডল পার্ক জায়গাটা বড়ই সৌন্দর্য।
যাব, কান্ট্রি সাইডে বেশীদিন থাকার ইচ্ছা।
facebook
আপনার জ্বালাযন্ত্রণায় একটু শান্তিতে থাকবো সেই উপায় নাই, আপনি ঘুরে আসলে আমার ও মনে হতে থাকে আমি কবে যাবো । প্রথম ছবি পুরাই ঝাক্কাস।
তিষ্ঠ ক্ষণকাল! পরের কনফারেন্স কবে?
facebook
এবং বোমা
, শান্তি
facebook
আপনার অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখা দিন না---
facebook
বিশ্ব ডাইনি সম্প্রদায় না কি যেন নাম - এরা নাকি স্টোনহেঞ্জকে এদের প্রধান মন্দির হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। এরকম কিছু কোথাও শুনেছেন?
****************************************
হ, পাগলের অভাব নাই, নাই যেমন ছাগলেরও! অত শখ, পারলে একটা হেঞ্জ তৈরি করে দেখাক না !
facebook
মনে মনে স্বপ্ন আছে স্টোনহেঞ্জ দেখতে যাবার। জানি না কবে যাওয়া হবে।
সাগর পাড়ি দিলেই হবে---
facebook
আপনার কল্যানে আরেকটা জায়গা দেখা হল। ধন্যবাদ আপনাকে অনু ভাই।
শুভেচ্ছা, পরের বার ট্যাঙ্গোর দেশে যেতেও পারি!
facebook
দারুণ !!!
facebook
নতুন মন্তব্য করুন