১১ ফেব্রুয়ারী, ১৯৯০, রবিবার, বিকেল তিনটে- দক্ষিণ আফ্রিকার রক্তবর্ণ ধূলোময় মাঠে রাগবী অনুশীলনে মত্ত একদল শ্বেতাঙ্গ কিশোর, রাস্তার অন্য পারে কাটাতারের বেড়া ঘেরা মাঠে তুমুল হৈ হট্টগোলে ফুটবল খেলায় নিবিষ্ট সমবয়সী একদল কৃষ্ণাঙ্গ কিশোর, তখনকার অভিশপ্ত রাজনৈতিক সামাজিক ব্যবস্থার এক প্রতীক এই ভিন্ন গাত্রবর্ণের কোমলমতি কিশোরদের জন্যও আলাদা আলাদা খেলা, খেলার মাঠ ও কাটাতারের ব্যবস্থা।
পর্দা ওঠার কয়েক মূহুর্ত পরেই মাঝের সেই পীচ ঢালা পথ দিয়ে দমকা হাওয়ার মত ছুটে গেল এক গাড়ী বহর, কালো কিশোররা খেলা ফেলে বেড়ার কাছে এসে প্রাণের শেষ বিন্দু দিয়ে সোল্লাসো চিৎকার করে গেল একটাই শব্দ- ম্যান্ডেলা, ম্যান্ডেলা! ক্রীড়ারত কিশোরদের জানা নেই সেদিন সেই মহেন্দ্রক্ষণে সারা বিশ্বের দৃষ্টি নিবদ্ধ তাদের দেশে, সেই গাড়ী বহরটার উপরে, মুক্তিকামী আফ্রিকানদের প্রতীক, সত্যিকারের বিশ্বনেতা নেলসন ম্যান্ডেলার প্রায় তিন দশকের কারাবরণের অবসান ঘটিয়ে তার মুক্ত জীবন শুরুর প্রতীক্ষায় উম্মুখ বিশ্ব মানবতা। সবাই যে তার মহান মতাদর্শে আপ্লুত তাও নয়, বিশেষ করে তৎকালীন শাসক গোষ্ঠী, তাই তো কিশোর পিয়েনারের জবাবে রাগবীর ক্রোধান্বিত কোচ ক্রদ্ধস্বরে বলেন এই ভয়াবহ সন্ত্রাসী ম্যান্ডেলাকে আমরা মুক্তি দিলাম, মনে রেখ আজ থেকে এই দেশটাকে আমরাই তুলে দিলাম একদল অপরাধীর হাতে।
শুরু হল ক্লিন্ট ইষ্টউড পরিচালিত ও প্রযোজিত ইনভিকটাস বা অপরাজেয় চলচ্চিত্রের, চলচ্চিত্রটির মূল চরিত্র নেলসন ম্যান্ডেলার ভূমিকায় রয়েছেন এক্মেবাদ্বিতীয়ম মর্গান ফ্রিম্যান এবং দক্ষিণ আফ্রিকার রাগবী দলের দলনেতা ফ্রাসোয়া পিয়েনারের ভূমিকায় ম্যাট ডেমন।
(সতর্কীকরণ—এখানে প্রিয় কিছু চলচ্চিত্রের গল্প বলার ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়েছি মাত্র, এটা কোন মুভি রিভিউ নয়, কারণ এমন চলচ্চিত্র নিয়ে রিভিউ লেখার জ্ঞান বা প্রজ্ঞা কোনটাই আমার নেই, এটি স্রেফ ধারা বিবরণী। কাজেই যাদের চলচ্চিত্রটি এখনো দেখা হয় নি, তারা আগে দেখে ফেললেই ভাল হয়, নতুবা সব ঘটনা জানলে হয়ত আগ্রহ কিছুটা কমে যাবে। এমন লেখার ব্যাপারে সকল ধরনের পরামর্শ স্বাগতম। )
সদ্যমুক্তিপ্রাপ্ত শান্তিবাদী নেতা প্রথমেই ঘোষণা দিলেন নিরবিচ্ছিন্ন শান্তির, বলিষ্ঠ কন্ঠে বললেন হাতের সমস্ত অস্ত্র সাগরে বিসর্জন দিতে। পরবর্তীতে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোটের মাধ্যমে আফ্রিকান ন্যাশন্যাল কংগ্রেসের ( এ এন সি ) নিরঙ্কুশ সংখ্যাপরিষ্ঠতা অর্জনের ফলে ১৯৯৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ৭৫ বছর বয়সী ম্যান্ডেলা। রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে প্রথম কার্যদিবসেই ম্যান্ডেলা দেখেন এতদিন অফিসিয়াল দায়িত্ব পালন করতে থাকা শ্বেতাঙ্গরা আমসি মুখে নিজস্ব জিনিসপত্র গুছিয়ে নিয়ে অফিস ত্যাগের চিন্তা ভাবনা করছে, সবাইকে একসাথে করে দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে বলেন নতুন প্রেসিডেন্ট- দক্ষিণ আফ্রিকানরা রঙধনুর সাতরঙের মত বর্ণিল এক জাতি(রেইনবো নেশন), এখানে স্থান সকল বর্ণের, সকাল জাতির মানুষের, কাজেই সকলকেই একসাথে দেশ গড়ার দায়িত্ব নিতে হবে। সেই সাথে কৃষাঙ্গ দেহরক্ষীদের প্রবল আপত্তি স্বত্ত্বেও কয়েকজন প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত শ্বেতাঙ্গকেও তার দেহরক্ষী হিসেবে নিয়োগ দেন, এই ব্যাপারে তার সাফ মন্তব্য ছিল- আমার দেহরক্ষীরা জনসমক্ষে আমার প্রতিনিধিত্ব করে, কাজেই আমিই যদি নিজেকে বদলাতে না পারি, তাহলে এই পরিবর্তন আমি সমগ্র জাতির কাছে আশা করব কি করে?
দৃশ্যপটে হাজির হয় দক্ষিণ আফ্রিকার অন্যতম জনপ্রিয় খেলা রাগবী, যে দলটি পরিচিত ছিল স্প্রিংবক নামে ও ছিল বর্ণবাদের প্রতীক, কিন্তু এখন যে নতুন আফ্রিকা, নতুন চেতনায় মনন রাঙানোর সময় এখন। ব্যপক জনপ্রিয়তা স্বত্ত্বেও প্রেসিডেন্টের উপস্থিতিতে ইংল্যান্ডের কাছে লজ্জাজনক ভাবে হেরে যায় স্প্রিংবকরা। অন্যদিকে স্পোটর্স কাউন্সিলের মিটিং-এ সদ্য ক্ষমতা প্রাপ্ত কৃষাঙ্গরা সমবেতভাবে স্প্রিংবকদের বিরুদ্ধে দাড়ায় তাদের বর্ণবাদী ইতিহাসের কারণে, সবাইকে চমকে সেই মিটিংয়ে হাজির হন ম্যান্ডেলা স্বয়ং, জোর গলায় তিনি আবেদন রাখেন বর্ণবাদী চিন্তা ভুলে বর্তমান দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে একাত্ন হবার জন্য, স্প্রিংবকদের সমর্থন দেবার জন্য। রাগবীর প্রতি রাষ্ট্রপতির এই পক্ষপাত অনেকের কাছেই তাকে বিরাগভাজন করে তোলে, তার সেক্রেটারী ব্রেন্ডা সরাসরিই বলে বসে এর চেয়ে অনেক জরুরী কাজ আছে একজন দেশনেতার আর সেই সাথে শ্বেতাঙ্গদের প্রতি তারই বা এত সহমর্মিতা কেন! স্মিত হাস্যে ম্যান্ডেলা জানান আজ এ এন সি ক্ষমতায় এলেও মুষ্টিমেয় সংখ্যালঘু সাদারাই কিন্তু গোটা দেশের পুলিশ, ব্যাংক ও অর্থনীতির সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রক, আর তারা যদি নতুন আফ্রিকায় নিজের বাড়ীর মত স্বাচ্ছদ বোধ না করে তাহলে তারা যেমন সমস্ত ব্যবসার পাততাড়ি গুটিয়ে চলে যাবে, তেমনি আর্ন্তজাতিক বিনিয়োগও আর আসবে না! আর এই শ্বেতাঙ্গদের অন্যতম গর্ব স্প্রিংবক রাগবী দল। সুচতুর হেসে ব্রেন্ডা জানতে চায় তাহলে ম্যান্ডেলার কাছে রাগবী কি নিছক রাজনীতির গুটি মাত্র, জবাবে রাষ্ট্রপতি একজন খাঁটি কূটনীতিকের মত বলেন হ্যাঁ এবং না, কিন্তু সেই সাথে এও জানান রাজনীতির উর্দ্ধ্বেও একটি বস্তু আছে যাকে কোনমতেই অগ্রাহ্য করা যায় না- হৃদয়ের ডাক।
রাগবী নিয়ে নতুন আফ্রিকায় গনজাগরণের ও বর্ণবাদের অভিশাপ ভুলিয়ে দেবার সূদুরব্যাপ্তী দিগন্তছোয়া স্বপ্ন ছিল বিশ্বনেতার, সেইখান থেকেই স্প্রিংবকদের অধিনায়ক ফ্রাসোয়া পিয়েনারকে চা চক্রে আমন্ত্রণ জানান তিনি, তার জাদুকরী ব্যাক্তিত্ব, সাদাসিধে দিলখোলা আচরণ ও মাধুর্যময় কথায় সারা বিশ্বের কোটি কোটিমানুষের মত পিয়েনারও হয়ে যান পুরোপুরি মোহাবিষ্ট, তাকে নিজের হাতে চা পরিবেশন করেন ম্যান্ডেলা স্বয়ং, চলে নিছক প্রাসঙ্গিক আলাপচারিতা। এর ফাকেই পিয়েনার বুঝতে পারেন রাষ্ট্রপতি আসলে চাচ্ছেন ১৯৯৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় আয়োজিত রাগবী বিশ্বকাপে স্প্রিংবকদের চ্যাম্পিয়ন হতে এবং সেই সাথে পুরো জাতিকে এক অপার আনন্দে মাতিয়ে সব বর্ণের মানুষকে এক পতাকার তলে নিয়ে আসার গুরুদায়িত্ব দিচ্ছেন রাগবী খেলোয়াড়দের।
শুরু হয় এক অন্য অধ্যায়, স্প্রিংবক খেলোয়াড়রা আসন্ন বিশ্বকাপের জন্য নিরবিচ্ছিন্ন প্রস্তুতির সাথে সাথে চষে ফেলতে থাকে গোটা দেশ, বিশেষ করে অনুন্নত দারিদ্রময় কৃষ্ণাঙ্গ অধ্যুষিত বস্তি এলাকায় যেয়েও তারা রাগবী খেলতে উৎসাহী করে তোলে আগামী প্রজন্মকে, এই ছোট্ট সফরগুলো ব্যাপক প্রচার পায় স্থানীয় টেলিভিশন ও খবরের কাগজে, গর্বে ফুলে ওঠে দূরদর্শী ম্যান্ডেলার বুক। হেলিকপ্টারে করে হঠাৎই খেলোয়াড়দের প্রস্তূতি ক্যাম্পে হাজির হন তিনি তাদের উৎসাহবর্ধনের জন্য, উপস্থিত প্রতিটি খেলোয়াড়ের নাম আলাদা আলাদা ভাবে অভিহিত করে বিনয়ী রাষ্ট্রপতি মন জিতে নেন সকল খেলোয়াড়ের, দেশের জন্য বিশ্বকাপ জয়ের নেশায় উম্মুখ হয়ে ওঠে সবাই। কিন্তু সে পথ যে বড় বন্ধুর, বিশেষ করে স্প্রিংবকদের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সতো তাইই বলে, কিন্তু ম্যান্ডেলার উৎসাহে বুকে আশায় মশাল জ্বেলে জয়ের মন্ত্রে, দেশসেবার আদর্শে লড়ে যাবার শপথ নেয় তারা সামর্থ্যের শেষবিন্দু পর্যন্ত। বিনা যুদ্ধে নাহি দেব সূচাগ্র মেদিনী- মন্ত্রে দিক্ষীত হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা অবিশ্বাস্য ভাবে একে একে অষ্ট্রেলিয়া, রোমানিয়া, কানাডাকে হারানো পরে কোয়ার্টার ফাইনালে ওয়ের্স্টান সামোয়া ও সেমি ফাইনালে ফ্রান্সকে চুলচেরা ব্যবধানে হারিয়ে সবার ধারণা মিথ্যা প্রতিপন্ন করে ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হয়। গোটা জাতি কাপতে থাকে রাগবী জ্বরে, প্রায় প্রতি ম্যাচের স্প্রিংবকদের জার্সি শরীরে চাপিয়ে মাঠে উপস্থিত থাকেন নেলসন ম্যান্ডেলা, তার পিঠে লেখা থাকত ৬ যা স্বয়ং দলনেতা পিয়েনারের জার্সি নম্বর। তার ক্ষমার আদর্শে অণুপ্রানিত হয়ে সাদা-কালো নির্বিশেষে সমর্থন জানায় দেশের প্রতিনিধিত্বকারী স্প্রিংবকদের।
ফাইনালের অপেক্ষায় আহার-নিদ্রা ব্রাত্য করে উত্তেজনায় হয়ে পড়ে চার কোটি ২০ লক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকান। এক পর্যায়ে কার্যালয়ের জানালা দিয়ে একসময়ের পারস্পরিক বিদ্বেষী শ্বেতাঙ্গ ও কৃষাঙ্গ দেহরক্ষীদের কাধে কাধ মিলিয়ে রাগবী খেলতে দেখে স্মিতহাস্য ম্যান্ডেলা প্রশ্ন করেন সেক্রেটারি ব্রেন্ডাকে- এরপরও বলতে তাও রাগবীর পিছনে আমার সময় ব্যয় কেবলই বৃথা!
ফাইনালের আগে স্প্রিংবকদের বিশেষ ভ্রমণে কেপ টাউনের কাছে রোবেন দ্বীপে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানকার কুখ্যাত কারাগারে নেলসন ম্যান্ডেলা তার বন্ধী জীবনের ২৭ বছরের ১৭ বছর অতিবাহিত করেছেন, তার ছোট্ট প্রকোষ্ঠে দাড়িয়ে অদ্ভূত এক অনুভূতিতে ছেয়ে যায় দলনেতার পিয়েনারের অন্তর- জীবনের মহামূল্যবান তিনটি দশক এই ক্ষুদ্র কুঠুরীতে কাটিয়ে এর জন্য দায়ী ব্যাক্তিদের যিনি ক্ষমা করে দিতে পারেন তিনি কতটা মহান হৃদয়ের অধিকারী এই কল্পনায় তল পায় না তার মন। দলের সবাই অর্ন্তদৃষ্টিতে অনুভব করে সেই মহামানবের প্রত্যয়, আনন্দ, সুখ সমস্তটাই তার পুরো জাতিকে নিয়ে।
অবশেষে ফাইনালে সেই সময়কার সেরা রাগবী দল নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হয় স্প্রিংবকরা, বিশেষ করে নিউজীল্যান্ডের মাওরী বংশোদ্ভূত রাগবী সুপারষ্টার জোহান লমুর অতিমানবিক পারফরম্যান্সের কারণে তাদের বিজয় যে কেবল সময়ের অপেক্ষা মাত্র এই ধারণা ছিল সকল রাগবী বোদ্ধার। কিন্তু জোহান্সবার্গের এলিস পার্ক ষ্টেডিয়ামে ৬০,০০০ দর্শকের উম্মাদনায়, সবুজ জার্সি গায়ে নেলসন ম্যান্ডেলার উপস্থিতিতে হাড্ডা-হাড্ডি লড়াইয়ে, রোমান্চময় একের পর এক ক্রীড়াঅধ্যায়ের জন্মদিয়ে, আক্ষরিক অর্থেই খেলার মাঠে রক্ত বিসর্জন দিয়ে বিশ্ব রাগবী মন্চে নতুন চ্যাম্পিয়ন হিসেবে নাম লেখায় দক্ষিণ আফ্রিকা। রাষ্ট্রপতি ম্যান্ডেলার হাতে থেকে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি গ্রহণ করে দলনেতা ফ্রাসোয়া পিয়েনার সগর্বে জানান আমাদের এই জয় মাঠে উপস্থিত ৬০,০০০ দর্শকের নয়, এই জয় চার কোটি বিশ লক্ষ (৪২ মিলিয়ন) দক্ষিণ আফ্রিকানের। বর্ণবাদের বিষ ভুলে আনন্দে মেতে ওঠে পুরো জাতি। নিছক এক ক্রীড়া দিয়ে সঠিক পদক্ষেপ নিয়ে মহামানব নেলসন রোহিহলালা ম্যান্ডেলা অতীতের তিক্ত ইতিহাস বিস্মরণ করিয়ে মিলন মালায় আবদ্ধ করেন তার স্বপ্নের রঙধনু বর্ণের জাতিকে।
২০০৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ২ ঘন্টা ১৪ মিনিটের এই অপূর্ব সাম্যের গান গাওয়া আলেখ্যর শেষ দৃশ্যে দেখানো হয় সেই ফাইনালের কিছু সত্যিকারের অমর আলোকচিত্র, যেখানে উপস্থিত ছিলেন ম্যান্ডেলা স্বয়ং !
( ব্যবহৃত ছবি দুইটি উইকি এবং দ্য টেলিগ্রাফ থেকে নেওয়া হয়েছে।
হয়ত নিতান্তই অপ্রাসঙ্গিক, কিন্তু পাঠকদের জানানোর লোভ সামলাতে পারছি না, ২০১০ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ দেখার সময় একাধিক ম্যাচ জোহান্সনার্গের এলিস পার্কে (মাঠটিকে তখন রাগবী থেকে ফুটবল ষ্টেডিয়ামে পরিণত করা হয়েছে) অবলোকনের অপার সৌভাগ্য হয়েছিল, বিশ্বকাপ ফুটবলে জ্বর পেরিয়েই সেই মাঠের মূহুর্তগুলোই আমাকে অসংখ্যবার ঘিরে ধরেছিল সেই ফাইনালের রোমাঞ্চ আর মহামানব ম্যান্ডেলার উপস্থিতির স্মৃতি। )
মন্তব্য
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
কুতি গো দাদা!
facebook
দিলাতো আমার ইটার টেস মাইরা । বাড়িতেই আছি আর কুতি, তোমার মেলা পুস্ট জমা পড়ছিল সব পড়ে পড়ে কিলিয়ার করতেছি।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
হা হা, গুড লাক! অপু তো জেদ ধরছে আপনের ওখানে যাওয়ার জন্য!
facebook
আইসা পড়ো
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
পিলান করেন- ক্রুগার, কেপ, কালাহারি, বতসোয়ানা, এর কমে ুদুর ুদূর চইত্ত ন!
facebook
আমার লাইফে মনে হয় আর ঘুরাঘুরি হবে নারে ভাই, আমি গন কেস। কিন্তু লিস্টে কিলি, ভিক ফলস আর লিভিংস্টোন বাদ গেছে বুল্ল্যাম। আইসা পরো কিন্তু, আড্ডাতো হবে
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
ভাত পাচ্ছি না, আর চা!
কিলি অন্য রুটে, অন্যবার।
facebook
হুর মিয়া খালি পোস্টান কেন? আমি তো বাশ খাইয়া এখন ভয়ে কম পোস্টাই.. লেখা খসড়ায় রাইখা দিসি.. খালি হাত চুলকায়
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
facebook
চলচ্চিত্রটি আগেই দেখেছি, অসাধারণ লেগেছে, বিশেষ করে যেহেতু এটি একটি সত্যি ঘটনা অবলম্বনে তৈরী করা। ঘনুদা এগিয়ে চলো।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
থেমে আছি, বেজায় গরম রে ভাই!
facebook
গরমে শরম করলে কি চলে?
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
আসে পাশে দেখে তো মনে হচ্ছে শরম করলে লস!
facebook
আসলেই!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
আর বলতে
facebook
বস.. হারানো শহর আটলান্টিস.. এই রিলেটেড কোন মুভি বা ডকুমেন্টরি থাকলে কটা নাম দিয়েন।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
অভাব নাই কিন্তু। তথ্যমূলক জানতে চাইলে বিবিসি, ন্যাট জিও বেস্ট, হিস্ট্রি চ্যানেলের মনে হয় দেখেছিলাম আটলান্টিস নিয়ে ডকু।
facebook
অণু ভাই,
আপনার রিভিউ পড়ে চলচ্চিত্রটা আবারো দেখতে বসলাম।
রিভিউ ভালু পাই
নির্ঝরা শ্রাবণ
ধন্যবাদ, আমারও আরেকবার দেখতে হবে।
facebook
মর্গান ফ্রিম্যান আমার দেখা শ্রেষ্ঠ অভিনেতাদের মধ্যে একজন। আর মান্ডেলা তো চিরকালীন শ্রদ্ধাজাগানিয়া একজন ব্যক্তিত্ব। যে মানুষটা জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়গুলোকে তিলে তিলে পচতে দেখেও হৃদয়ে ঘৃণার বিষ জমিয়ে না রাখার শিক্ষা পেয়েছিলেন। জেনেছিলেন, ' ঘৃণা দিয়ে ঘৃণাকে কখনও জয় করা যায়না।' ধন্যবাদ, সুন্দর এই ছবিটি দেখার জন্য সবাইকে অনুপ্রানিত করার জন্য।
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
ঘৃণা দিয়ে ঘৃণাকে কখনও জয় করা যায়না।'
facebook
ভাই, আপনার ব্লগ পড়লে ফ্রাস্ট্রেটেড হইয়া পড়ি, লাইফে করলামটা কি?
অলস সময়
এটা কোন কথা হইল! মেজাজ খারাপ কইরা দিলেন ভাই।
facebook
হিহি.. মনে হয় বলছে হিংসায় জ্বলে-পুড়ে যায় তাই.. জলন্ত অবস্থায় একটা বিড়ি ধরাই # বিড়ি টানের ইমো #
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
ধূমপান স্বাস্থ্যের এবং পরিবারের জন্য ক্ষতিকর, পৃথিবীর জন্য তো বটেই।
facebook
এক্কেরে মনের কথাটা কইলেন ।
--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে/ লিখি কথা ।
আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার/ স্বাধীনতা ।।
facebook
দেখার ইচ্ছা আছে অনেকদিন থেকেই। লেখা ভাল লেগেছে।
দেখে ফেলুন সময় করে, আশা করি ভাল লাগবে।
সম্ভব হলে খেমোখাতায় একটা টোকা দিয়েন-
facebook
"সম্ভব হলে খেমোখাতায় একটা টোকা দিয়েন-"
সম্ভব না রে ভাই। এই জিনিশটা ব্যবহার করি না।
তাহলে হঠাৎ মহল্লায় উদয় হলে জানানোর উপায় জানিয়েন
facebook
হুম- যেমন আমাদের ক্রিকেট কিন্তু পুরো জাতি কে এক করে ফেলে, এবং যার ভাল রেজাল্টও আমরা পাচ্ছি...
facebook
আমার য্খন মন খারাপ করে আমি তখন এ এই সিনেমাটা দেখি, কত বার জে দেখেচি ভাই, গুনে শেষ করতে পারবনা, আমার অতি প্রিয় এই সিনেমা টা নিএ লেখার জন অনেক
শুনে ভাল লাগল। ভালো থাকুন সবসময়।
facebook
না পুরোটাই একবারে এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেলার মত। অসাধারণ আপনার এই ধারা বর্ণনা। দেখা হয়নি মুভিটা । দেখে নেব তবে আগ্রহ কিন্তু কমেনি -এই ধারাবিবরণীর পর বরং তা আরও বাড়িয়ে দিলেন।
ভালো থাকবেন অনু দা।
দেখে জানিয়েন
facebook
ইশ! এই মুভিটা নিয়ে আপনি আগে লিখলেন না কেন? মুভিটা আগেই দেখা হয়েছে, অসাধারন কিছু বক্তব্য আছে। কিন্তু আপনার লেখা মুভি রিভিউ পড়ে সেই মুভিটা দেখা বেশি আনন্দের।
তাই নাকি! অনেকে কিন্তু বলেছে সব বলে দিলে মুভিটা দেখার মজা কমে যায় !
facebook
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
facebook
দেখা প্রিয় সিনেমার রিভিউ পড়তে এম্নেই ভাল্লাগে
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
তা সত্য
facebook
facebook
নোটেড, এটা ও দেখবো, ধন্যবাদ রিভিউ করার জন্য।
অবশ্যই, তবে এটি আনন্দময় মুহূর্তের সিনেমা
facebook
হ্যাঁ, ধারা বর্ণনা ভাল লেগেছে।
facebook
ছবিটা দেখা হয়নি।
এবার মনে হচ্ছে দেখতেই হবে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
দেখে ফেলেন, না হলে জমায়ে রাখেন একসাথে দেখুন নে।
facebook
আরো ফিল্ম রিভিউ চাই। এমন পোষ্ট আরো চাই অনু। খুব ভালো লেগেছে।
-কামরুজ্জামান পলাশ
facebook
দারুন
ইসরাত
facebook
নতুন মন্তব্য করুন