অলিভার স্টোনের W. - চলচ্চিত্রে বুশ পরিবারের ক্ষমতার রাজনীতি

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: বিষ্যুদ, ০২/০৮/২০১২ - ২:২৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১৯৬৬ সালের ঘটনা, তরুণ বুশ মদ্যপ অবস্থায় হৈ হুল্লোড়ে মত্ত বন্ধুদের সাথে, সেই সাথে সগর্বে জানান দেয় সে তার পরিবারের সুপ্রাচীন রাজনৈতিক ইতিহাসের প্রতি তার বিন্দুমাত্র আকর্ষণ নেই তো বটেই সেই সাথে তাদের অংশ হবারও কোন আগ্রহ নেই তার। এর কদিন পরই রাগবী মাঠে উম্মত্ত আচরণের জন্য জেলে পোরা হয় তাকে, জেল থেকে উদ্ধার করতে হাজির হয় টেক্সাসের প্রভাবশালী কংগ্রেস সদস্য তার বাবা সিনিয়র বুশ। বাবা ও ছেলের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে এক পর্যায়ে বাবা জানিয়ে দেয় তার পারিবারিক নামের গুরুত্ব ও ২০০ বছরের ইতিহাসের কথা, জানিয়ে দেয় একজন খাটি বুশের মত আচরণ করতে, কোন উড়নচন্ডী কেনেডীর মত নয় !

পরবর্তীতে বাবার প্রভাব খাটিয়ে বিশ্বখ্যাত হাভার্ড বিজনেস স্কুলে পড়বার সুযোগ পায় সে, ১৯৭৭ সালে সেই উড়নচন্ডী তরুণই কোনরকম প্রস্তূতি ছাড়াই ঘোষণা দেয় বাবার দল রিপাবলিকানদের পক্ষ থেকে কংগ্রেসে দাড়াবার, ভোটে দাড়ায় বটে কিন্তু দূর্বল উপস্থাপক, অনভিজ্ঞ বিতার্কিক হিসেবে ভোটারদের মন জিততে ব্যর্থ হয়ে নির্বাচনে পরাজয় ঘটে অবশ্যম্ভাবী ভাবে, কিন্তু স্বান্ত্বনা জোটে টেক্সাসের ইতিহাসে রিপাবলিকান প্রার্থী হিসেবে সবচেয়ে বেশী সংখ্যক ভোট পাবার।

প্রেক্ষাপটে আসে পরিবর্তন, ১৯৮৬ সালে ৪০ বছর বয়স্ক বুশ আগের খোলস ত্যাগ করে এক নতুন মানুষে পরিণত হবার ও পরিচয় দেবার চেষ্টা চালায়, মদ্যপান এড়িয়ে খ্রিষ্টান ধর্মের প্রতি আত্ন নিবেদন করে সে। ১৯৮৮ সালে রিপাবলিকানদের পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হয় ভাইস- প্রেসিডেন্ট সিনিয়র বুশ, ছেলে ডাকেন তার নির্বাচনী প্রচারণায় যোগ দেবার জন্য রাজধানীতে (যদিও বুশ মনে করে তাকে ডাকার প্রধান কারণ বাবার প্রিয়পাত্র তার ছোট ভাই জেব তখন অন্যখানে ব্যস্ত থাকায়), মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয় সিনিয়র বুশ, ১৯৯১ সালে শুরু হয় উপসাগরীয় যুদ্ধ, মাত্র ১০০ ঘন্টার যুদ্ধে জয়লাভ করে সাদ্দাম হোসেনের ইরাকী বাহিনীর বিরুদ্ধে, কিন্তু ইরাকের ক্ষমতাসীন বল ও গোটা জাতির উপর নানা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেই আপাতঃ স্তিমিত হয় তাদের রাজনৈতিক চাল, সাদ্দাম হোসেনকে ক্ষমতা থেকে সরানো লক্ষ্য ছিল না তাদের। পরের বছরই নির্বাচনে ডেমেক্রাট প্রার্থী তরুণ বিল ক্লিনটনের কাছে অপ্রত্যাশিত ভাবে ভোটের লড়াইয়ে হেরে যায় সিনিময় বুশ, যার কারণ হিসেবে শোকে মুহ্যমান তার ছেলে সবসময়ই দাবী করে সাদ্দামকে ক্ষমতা থেকে না সরানো !!

বাবা-মার নিষেধ শর্তেও টেক্সাস থেকে গর্ভনর পদে দাড়ায় বুশ, তেমনি এক পর্যায়ে ফ্লোরিডা থেকে তার ভাই জেব। সেই ভোটের লড়াইয়ে জয় ২০০০ সালে তার রাষ্ট্রপতি পদপ্রর্থীতা নিশ্চিত করে। সারা বিশ্বের সামনে এক অদ্ভূতুড়ে ভোট ব্যবস্থায়, অপেক্ষাকৃত কম ভোট পেয়েও, গর্ভনয় ভাইয়ের এলাকায় খানিকটে জালিয়াতি পূর্ণ ব্যলটপেপারের সুবাদে গনতান্ত্রিক ব্যবস্থার মুখে ছাই দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হন জর্জ ওয়াকার বুশ বা জর্জ ডব্লিউ বুশ, যার নামের মধ্যাংশের সারাংশ থেকে হয়েছে এই চলচ্চিত্রটির নাম।

w_movie_poster_oliver_stone_movie

(সতর্কীকরণ—এখানে প্রিয় কিছু চলচ্চিত্রের গল্প বলার ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়েছি মাত্র, এটা কোন মুভি রিভিউ নয়, কারণ এমন চলচ্চিত্র নিয়ে রিভিউ লেখার জ্ঞান বা প্রজ্ঞা কোনটাই আমার নেই, এটি স্রেফ ধারা বিবরণী। কাজেই যাদের চলচ্চিত্রটি এখনো দেখা হয় নি, তারা আগে দেখে ফেললেই ভাল হয়, নতুবা সব ঘটনা জানলে হয়ত আগ্রহ কিছুটা কমে যাবে। এমন লেখার ব্যাপারে সকল ধরনের পরামর্শ স্বাগতম। )

সন্ত্রাসী হামলায় ধবংস হয়ে গেল টুইন টাওয়ার, বুশ হঠকারী ভাবে ঘোষণা দিয়ে বসল এর জন্য দায়ী শয়তানের অক্ষশক্তিগুলো(ইরাক, ইরান, উত্তর কোরিয়া), এই দেশগুলো বিরুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র বা যে কোনো ধরনের মারণাস্ত্র তৈরীর প্রমাণ পাবার জন্য হন্যে হয়ে উঠল আমেরিকান সরকার ও তাদের সিআইএ বাহিনী। এবার পরিচালকের মুন্সিয়ানার আমাদের সামনে উম্মোচিত হয় এক অজানা ক্রুর সত্য, যে সত্য গনতন্ত্রের লেবাসধারী এক ক্ষমতালোভী চক্রের ক্ষমতা ও অর্থলিপ্সার প্রমাণ।

অতি উচ্চক্ষমতাসীনদের একের পর এক বৈঠকে যুদ্ধবাজ ভাইস-প্রেসিডেন্ট ডিক চেনি ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ডোনাল্ড র‍্যামসফেল্ড সবাইকে প্রভাবিত করার চেষ্টা চালায় ইরাক আক্রমণ করতে, কিন্তু ইরাক কেন ? কারণ সাদ্দাম হোসেনের মত স্বৈরাচারী শাসককে জনগণ চায় না, কাজেই তাকে হঠিয়ে গনতন্ত্রের স্বাদ দিতে হবে মধ্যপ্রাচ্যে- কিন্তু আসলি কি তাই ! অবশ্যই না, এ ঔপনিবেশকতাবাদেরই আরেক রূপ, ইরাকে হামলা চালাতে হবে কারণ তার মরুভূমীর ভিতরে লুকিয়ে থাকা অফুরন্ত তেলভান্ডারের জন্য, তেলের খনিরগুলো একের পর কব্জা করে, ইরাকের স্থল-জল সীমা করায়ত্ত্ব করার পর একপর্যায়ে ইচ্ছে মত ছুতো তৈরী করে আক্রমণ করা যাবে পাশ্ববর্তী দেশ ইরানকে, যা তেল সম্পদে আও অনেক বেশি সমৃদ্ধ।

এই দুই ঝানু ব্যবসায়ী রাজনীতিবিদে মুখে চকচক করতে থাকে লোভের ছায়া, লোভ ক্ষমতার, লোভ অর্থের, লোভ অন্যের মাথায় ছড়ি ঘুরিয়ে খবরদারী করবার। বুশতো বরাবরই একপায়ে খাড়া ইরাকে আক্রমণের জন্য, সাদ্দাম হোসেনের উপরে রয়েছে তার ব্যক্তিগত পুরনো ক্রোধ, তার উপর তাকে হাতছানি দিয়ে ডাকে বিশ্বের সামনে আমেরিকাকে সুপার পাওয়ার হিসেবে আরেকবার পরিচিত করে তোলার স্বপ্ন আর ২য় মেয়াদে নিজের রাষ্ট্রপতি হওয়া নিশ্চিত করা। এইভাবেই আঁকা হয় ভয়াবহ নীলনক্‌শা, কিন্তু কোথায় সেই গণবিধ্বংসী মারনাস্ত্র, যার ধোয়া তুলেই না ইরাক আক্রমণ করা হবে। তেমন অস্ত্রের সন্ধান তো মেলে না, ডিক চেনি আর র‍্যামসফেল্ড জানান দেয় অস্ত্র না পেলেও পাওয়ানোর ব্যবস্থা করা যেতে পারে, অর্থাৎ প্রয়োজনে সেই অস্ত্র তারাই ইরাকে সরবরাহ করে তাদের দোষী বানাবে বর্হিবিশ্বের সামনে।

সেই উচ্চক্ষমতাশালীদের বৈঠকে বেকে বসে সেক্রেটারী অফ ষ্টেট কলিন পাওয়েল, তার মতে কোন সুনির্দিষ্ট প্রমাণ ছাড়া এমন আক্রমণ চালানো হঠকারীতো বটেই সেই সাথে কেবল তা বিপদ এবং অসন্মানই বয়ে নিয়ে আসবে আমেরিকার জন্য। প্রতি সাক্ষাতেই তার বক্তব্যের তাৎপর্য ব্যাখ্যার চেষ্টায় ব্যর্থ হন কলিন পাওয়েল, অবশেষে ইরাক আক্রমণ করে আমেরিকা, সাদ্দাম হোসেনের পতন হয় এবং সেই সাথে মারা যায় লাখো আপামর জনসাধারণ। দূরভিসন্ধি সফল হয় ডিক চেনি ও র‍্যামসফেল্ডের, ইরাকের তেল বেচেই এই যুদ্ধের যাবতীয় খরচ তোলার সাথে সাথে আরো নানা সুদূরপ্রসারী নীলনকশা বুনতে থাকে এই নরদানবেরা। একজন বিচক্ষণ রাষ্ট্রনায়কের মত নয়, নেহাৎ মাথামোটা গোয়াড়ের লক্ষণ প্রকাশ পায় বুশের বক্তব্যে, আচরণে। কিন্তু সব সমস্যা আবার নতুন করে শুরু হয় জন্য পরিদর্শনকারী দল ইরাকে কোন রকম রাসায়নিক বা পারমাণবিক মারণাস্ত্রের খোজ পেতে ব্যর্থ হয়। এখন কি করা, তাই রাজনীতিবিদ ও সমরনায়করা একের দোষ অপরের কাধে চাপাতেই ব্যস্ত থাকে, এদিকে চাপিয়ে দেয়া অন্যায় যুদ্ধের ছোবলে মারা যেতে থেকে মানুষ।

সিনেমাটির শেষ পর্যায়ে দেখা যায়, সুনির্দিষ্ট প্রমাণ ছাড়া ইরাক আক্রমণ করাই সারা বিশ্ব ফুসে উঠেছে আমেরিকান সরকারের বিরুদ্ধে, এমনকি নিজ দেশেও, বিশেষ করে বুশ নামটি হয়ে উঠেছে সকল ঘৃণার পাত্র। চলচ্চিত্রের শেষ পর্যায়ে দুঃস্বপ্ন দেখে একাকী বুশ- সেখানেও তারা বাবা উপস্থিত হয়ে তাকে সম্পূর্ণ ভাবে দোষারোপ করে বুশ পরিবারের ২০০ বছরের ঐতিহ্যকে এইভাবে নষ্ট হতে দেওয়ায় বিশেষ করে তার আদরের ছেলে জেব বুশের ভবিষ্যত রাষ্ট্রপতি হবার ক্ষেত্র হয়ে গেল অনেক অনেক কঠিনতর। একাকী, হতাশ, বন্ধুশূন্য বুশ পড়ে থাকে ক্লেদময় আধারে।

অস্কার বিজয়ী চলচ্চিত্র পরিচালক অলিভার স্টোনে এমন ভাবেই অসম সাহস নিয়ে নির্মাণ করেছেন W. চলচ্চিত্রটি। ২০০৮ সালে মুক্তি পাওয়া ১২৯ মিনিটে দেখিয়েছেন পর্দার অন্তরালের নিষিদ্ধ জগৎ, যেখানে মানবতা বিকিয়ে চলে ক্ষমতার দন্ধ। এর মূল আকর্ষণ ছিল নিঃসন্দেহে বুশের অভিনয়কারী জোশ ব্রলিন- মদ্যপ তরুণ, রাগী টেক্সান কাউবয়, বেসবল ষড়যন্ত্রকারী রাজনীতিবীদ, হতাশ রাষ্ট্রপতি - এক চরিত্রে এত রূপ তিনি ফুটিয়ে তুলেছেন অপরূপ মুন্সিয়ানায়। সেই সাথে ডিক চেনি, র‍্যামসফেল্ড, কলিন পাওয়েল, রাইস প্রত্যেকের ভূমিকায় অভিনয়কারীরাই ছিলেন স্বমহিমায় উদ্ভাসিত।

কিন্তু আমাদের মনে প্রশ্ন থেকে যায়- এই অন্যায়ের শেষ কবে, এমন করে চলতে থাকবে আর কত কাল। আর তাহলে কি নিকট ভবিষ্যতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতায় আসছে জেব বুশ!


মন্তব্য

রাজীব রহমান এর ছবি

দেখতে হবে দেখি মুভিটা।।। এইরকম মুভি যে কেও বানাতে পারে ভাবি নাই।।। ধন্যবাদ পোস্টের জন্য।।।

তারেক অণু এর ছবি

দেখে জানিয়েন।

অতিথি লেখক এর ছবি

এই অন্যায়ের শেষ কোথায় আমরা জানি না.....................কারন অন্ধকার এই রাস্তা ধরেই মানুষ পৌঁছাতে চেয়েছে সাফল‌্যের শিখরে। আমরা সফল হতে চাই মানবিক হতে চাই না। সফল শব্দটার সাথে আরেক জনের ব‌্যর্থতার ইতিহাস জড়িত............এ থেকে জন্ম নেয় ক্রোধ যার ফলাফল সহিংসতা।

এত ভাল কি করে লিখেন বলেন তো?

জুঁই মনি দাশ

তারেক অণু এর ছবি
অবনীল এর ছবি

"এ লাইফ মিসআন্ডারেস্টিমেটেড" চরম পাঞ্চলাইন গড়াগড়ি দিয়া হাসি

___________________________________
অন্তর্জালিক ঠিকানা

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

আসলেই গড়াগড়ি দিয়া হাসি


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

তারেক অণু এর ছবি
তারেক অণু এর ছবি

তুই বেঁচে আছিস ! কাকা, খুব ভাল খবর, ডকিন্সের সাথে দেখা হচ্ছে সেপ্টেম্বরে।

অতিথি লেখক এর ছবি

সিনেমা টা এক্ষুনি দেখে ফেলতে ইচ্ছা করছে , কিন্তু দুঃখের কথা টরেন্ট পাওয়া যাচ্ছে না কোথাও ।

কৌস্তভ সমাদ্দার

তারেক অণু এর ছবি

তাই? খুঁজে দেখেন আরেকটু=

কড়িকাঠুরে এর ছবি

দাদা-পরদাদার ২০০বছরের ঐতিহ্য "ছোটখাটো ঝোপঝার'এ" প্রকাশ করতে পারে নাই!!!- কিন্তু যে আগাছা ছড়াইছে- চৌদ্দগোষ্ঠি ফেইল...

তারেক অণু এর ছবি

হ , সমস্যা হইছে আমাদের-

বুড়া মকবুল এর ছবি

হিমু সাহেবের মন্তব্বের অপেক্ষায় রইলাম!!!!!!!

তারেক অণু এর ছবি
বুড়ি মকবুল এর ছবি

আমিও হিমু সাহেবের ইনপুটের অপেকখায় রইলাম!!!!!!!!!!

তাসনীম এর ছবি

ছবিটা দেখেছি। মনে হয়েছে মদ্যপান ত্যাগ না করে পরিবারের টাকা নয়ছয় করলেই ভালো ছিল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হয়ে দুনিয়ার নয়ছয় করতে পেরেছে।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

তারেক অণু এর ছবি
স্যাম এর ছবি

চলুক

তারেক অণু এর ছবি
সুমন এর ছবি

এটা এখন মোটামুটি সারা দুনিয়ার নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে যে অর্থ থাকলেই রাজনীতিতে সফলতা লাভ করা যাবে। এ কারণে ব্যবসায়ীদের নতুন ব্যবসার ক্ষেত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনীতি।
-সুমন

তারেক অণু এর ছবি

খুব খারাপ।

অতিথি লেখক এর ছবি

উত্তম জাঝা!

তারেক অণু এর ছবি
তানভীর এর ছবি

W নিয়ে অনিকেতদার পোস্ট ছিলো একটাঃ http://www.sachalayatan.com/aah/19085

সিনেমাটা ভালো লেগেছিলো। তবে ব্রোলিনের সেরা ছবি সম্ভবত 'নো কান্ট্রি ফর ওলড ম্যান'। আমার কাছে তেমনটাই মনে হয়।

তারেক অণু এর ছবি

দেখি নি তো আগে লেখাটা! অনেক ধন্যবাদ।

বন্দনা এর ছবি

বরাবরের মত বেশ ভালো একখানা রিভিউ। সময় পাচ্ছিনা ইদানীং মুভি দেখতে বসার। লিস্টী বড় হয়ে যাচ্ছে।

তারেক অণু এর ছবি

নো প্রবলেম! আস্তে ধীরে হবে--

আশরাফুল কবীর এর ছবি

# নামই শুনলুম আজ, অনেক দারুনস আপনার মুভি রিভিউ তারেক অণু ভাই।

#ভাল থাকুন বাঘের বাচ্চা

তারেক অণু এর ছবি

মুভি দেখে জানিয়েন কেমন লাগল

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

ছবিটা দেখার লোভ সামলাতে পারছি না। টরেন্টে আসছে না, তবে উপরের লিংকগুলোতে চেষ্টা করতে হবে। দারুন এক রিভিউ করেছেন অণু। এরা বাপ-‌ব্যাটা মিলে গোটা বিশ্বকে অনেক নাচিয়েছে।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

সন্দেশ এর ছবি

টরেন্ট আইনগত পদ্ধতি নয়। সচলায়তনে টরেন্টের লিংক দেয়া থেকে বিরত থাকুন।

এই পোস্টের টরেন্ট লিংক গুলো মুছে দেয়া হলো। আর কেউ টরেন্ট আদান প্রদান করলে আমাদের জানাতে ভুলবেন না।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

ধন্যবাদ, এই বিষয়টা জানতাম না।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

তারেক অণু এর ছবি

টিভি বা ডিভিডিতে দেখে জানিয়েন

অমি_বন্যা এর ছবি

মুভি দেখার পাওনা লিস্ট কেবল বেড়েই চলেছে। ধন্যবাদ অনু দা। লেখা পড়ে দেখার আগ্রহ বেড়ে গেল।

তারেক অণু এর ছবি

তা তো বাড়বেই! বাড়বে না?

কাক্কেশ্বর কুচকুচে এর ছবি

বুশ মিয়াকে পচায় ছবি বানায় ফেলল,পরিচালক সাহসী বটে হাসি
অণু দা আপনার লেখা পড়লেই কেন জানি গুল্লি মারতে মন চায়
গুল্লি গুল্লি

তারেক অণু এর ছবি

আস্তে আস্তে, এত গুল্লি কিসের!
অবশ্যই, অলিভার বলে কথা! কিন্তু পচায় নি, সব সত্য বলেছে!

মন মাঝি এর ছবি

দেখতে হবে...

****************************************

তারেক অণু এর ছবি
প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

ছবিটা সম্পর্কে জানা ছিলোনা। দেখা হবে কিনা জানিনা। তবে আপনার লেখা পড়ে কিছুটাতো জানা হলো।
ধন্যবাদ, ভাল থাকুন।

তারেক অণু এর ছবি
ইমা এর ছবি

অনেক ঘাটাঘাটি করেও মুভিটা পেলাম না। ডিভিডিরই খোঁজ করতে হবে।

তারেক অণু এর ছবি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।