আগামীকাল ২৫ আগস্ট, ২০১২, সকালে ঘুম ভাঙ্গার পরপরই গত এক যুগের মতই খুব পরিচিত এক নাম্বারে ফোন করব, ঢাকার ওল্ড ডি ও এইচ এস এলাকার এক বাড়ীতে ফোন বেজে উঠবে, বরাবরের মতই এক প্রশান্ত গম্ভীর কণ্ঠ বলে উঠবে- ইনাম বলছি।
আমি, তারেক অণু, সাত সমুদ্র তের নদীর পারের দেশ ফিনল্যান্ড থেকে অনেক আগে থেকে রীতিমত প্ল্যান করে রাখা আবেগ চেপে রাখার সমস্ত চেষ্টা এক মুহূর্তের মাঝে বিসর্জন দিয়ে প্রায় চিৎকার করে চারপাশ হতচকিত করে দিয়ে বলব- শুভ জন্মদিন ইনাম ভাই! অন্য মহাদেশ থেকে ইনাম ভাই হাসতে হাসতে বলবেন- আরে, আজকে ২৫ আগস্ট নাকি, এক বছর হয়ে গেল আবার!
এই হচ্ছে আমাদের ইনাম ভাই, পৃথিবীতে নিজের আগমন দিবসটিও যিনি বেমালুম ভুলে যান প্রায়ই, অবশ্য কারণ হিসেবে বলেন- আমারতো প্রতিদিনই জন্মদিন! আলাদা ভাবে পালনের কি আছে?
মানুষ ইনাম আল হক নিয়ে লেখা অতি দুরূহ, তার কাছের প্রতিটি মানুষই এই বিষয়ে জানেন বলে সযত্নে এড়িয়ে চলেন, মিডিয়ায় আসে তার যে কোন একটি বিষয় নিয়ে কথা হয়ত কোন বার পাখিবিশেষজ্ঞ হিসেবে, কোন বার অভিযাত্রী কখনো বা আলোকচিত্রগ্রাহকের ভূমিকা। এই সব তো সবাই জানেনই কিন্তু এগুলোর বাহিরেও যত গুণে গুণান্বিত যে এই নিভৃতচারী মানুষটি তার কিয়দংশ তুলে ধরার ব্যর্থ চেষ্টা করব আজকের লেখাতে।
২০০৫ সালে প্রায় বছর তিনেক পরে দেশে ফিরলাম, ঢাকায় নেমেই পরদিনই ইনাম ভাইকে নিয়ে গেলাম রাজশাহীতে, বাড়ী ব্যাগ রেখে সোজা পদ্মার তীরে, শীতের পরিযায়ী পাখি দেখার জন্য, সূর্যের আলো ছড়িয়ে পড়ছে শীর্ণ শীতের পদ্মার থোকা থোকা ঘোলা জলের সরোবরের মাঝে, কুয়াশার মিছিল বিদায় নিয়েছে নদী পারের হাওয়ায়, এমন সময় বছর তিনেক পর পদ্মার পলিমাটি ছোঁয়ার আবেগে ভর করেই খানিকটে দ্বিধার সাথে ইনাম ভাইয়ের জীবনী লিখার ইচ্ছা পোষণ করলাম। উনি সাথে সাথে রাজী হলেন, বললেন- চাইলে অবশ্যই লিখবেন, কিন্তু আমি মনে করি এর চেয়ে অনেক ভাল ভাল গুরুত্বপূর্ণ কাজ করার যোগ্যতা আপনার আছে, সেগুলো করলেই আমি বেশী খুশী হব!
ইনাম ভাইয়ের জীবনী লেখার চিন্তা আমার মাথায় হঠাৎ করে আসে নি, অনেক দিন ধরেই ভেবেছি আমাদের জল-হাওয়ায় বেড়ে ওঠা এমন এক অসাধারণ মানুষের কীর্তি সম্বন্ধে জানতে পারলে কি আলোড়িতই না হবে আমাদের কিশোর সমাজ, তাদের অনেকেই হয়ত জীবনের সুদীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে একজন ইনাম আল হক হতে চাইবে, চিন্তা করবে দেশের প্রকৃতি নিয়ে, প্রাণীসম্পদ নিয়ে। আমারও তো জানতে ইচ্ছে করে মফস্বল শহর ফরিদপুরে বেড়ে ওঠা এক বালক কি করে পা রাখল বিশ্ব দরবারে। সবার আগে তাকেই বললাম সরাসরি- ইনাম ভাই, আপনার আত্মজীবনী লিখবেন না? উনি বিন্দুমাত্র ভণিতা না করে সরাসরি বললেন- নিজেকে নিয়ে লেখা আমার কাছে খুবই একঘেয়ে মনে হয়, কোনদিনই নিজেকে বিষয় হিসেবে কল্পনা করে সেটাকে উপস্থাপন করা আমার দ্বারা হবে না। সেই প্রেক্ষিতেই অনেক চিন্তাভাবনার পরে তার সেই অলীক জীবনের ঘটনাপ্রবাহ লিপিবদ্ধ করার আগ্রহ প্রকাশ করলাম, যদিও সে কাজ খুব বেশিদূর এগোই নি দূরত্বের কারণে, তবে শেষ করতে পারলে নিঃসন্দেহে দুর্দান্ত কাজ হবে। তবে তার বিমানবাহিনীর জীবনের অংশ এখানে আসবে না ।
কিন্তু ইনাম আল হকের প্রথম স্মৃতিটা সবার সাথে ভাগাভাগি করার লোভ সামলাতে পারছি না- ধান কাঁটা হয়ে গেছে, কিষাণেরা ন্যাড়া মাঠের জায়গায় জায়গায় ধানের গোঁড়া স্তূপ করে রেখেছে, ইতিমধ্যেই এমন এক স্তূপে ওমের সন্ধানে আগুন লাগানো হয়েছে, সেটাকে ঘিরে নানা গল্পে মশগুল শ্রমিকেরা। তাদেরই একজন একটা পাখির বাচ্চার পায়ে সুতো বেঁধে গ্রামের এক বালকের হাতে দিয়েছে, বালকের চোখে তখন বিষম ঘোর, ক্ষুদে পাখিটি উড়তে শিখেনি, পায়ে সুতো বাঁধা তাই ছোট ছোট লাফ দিয়ে এগোচ্ছে থপ থপ করে, পূর্ব দিগন্তে ঝলসে ওঠা সোনালী কিরন, আগুনের আভা, পড়ে থাকা খড় আর পাখির পালকের রঙ এক হয়ে গেছে বিশ্ব চরাচরে, পাঁচ অথবা ছয় বছরের বালক ইনাম জীবনের সেরা মুগ্ধতা নিয়ে চলেছেন পালকাবৃত বন্ধুর পিছু পিছু, যে যাত্রা তার শেষ হয় নি আজো, কিন্ত সুদূর অতীত পানে তাকালে সবার পিছনে এই স্মৃতিটিই নাড়া দেয় তার মনে।
ইনাম ভাইয়ের কথা উঠলে যে কত অযুত-নিযুত স্মৃতি ঝকমক করে ওঠে মণিমাণিক্যের ওঠে আপন উজ্জলতায়। তার সাথে প্রথম পরিচয়ের সাথে সাথেই প্রথমেই অভিযোগ করে ছিলাম প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে অ্যাণ্টার্কটিকা যাবার স্বপ্নটা ভেস্তে দেওয়ার জন্য, উনি তো হেসেই খুন। বললেন, অ্যাণ্টার্কটিকায় এতো মানুষ গিয়েছে যে এখন আর দেশের পক্ষে প্রথম এটা কোন আবেদনই রাখে না, আর আমি গেছি তো কি হয়েছে, আপনি যাবেন আপনার জন্য, নিজের উপভোগের জন্য। আর সেই সাথে বললেন,আমিই প্রথম বাংলাদেশী কি না তা কিন্তু জানি না, এটুকু বলতে পারি যেহেতু মহাখালি এলাকায় আমি অনেক দিন ধরে আছি, এই এলাকা থেকে আমিই প্রথম অ্যাণ্টার্কটিকা যাওয়া মানুষ, সারা দেশের কথা বলতে পারব না। কি অদ্ভুত মানুষ, নিজের কৃতিত্বকে বিন্দুমাত্র বড় করে দেখতে রাজী নন, সেটা ২০০০ সালের কথা-
মনে পড়ে অন্নপূর্ণায় ট্রেকিংয়ের সময় পাথর ধ্বসে পথ বন্ধ হয়ে গেছে, আসলে কোন পথই নেই, ব্যপক ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হবে সেই ভয়াল গিরিখাদ, একটু ওলটপালট হলেই অন্যভুবনের প্রবেশপত্র মিলবে তৎক্ষণাৎ। নির্লিপ্ত মুখে উনি পার হয়ে গেলেন, তার পেছন পেছনে আমরাও!
যমুনার চরে নেমেছি চখা-চখি দেখার জন্য, জনসংখ্যার ভারে আক্রান্ত বাংলাদেশে যে এমন বিস্তীর্ণ চর আছে যেখানে কেবল পাখিরই পায়ের ছাপ তার সাথে পরিচয় হল, বিনিময়ে কাঁদায় গেঁথে রাখলাম আমাদের পায়ের ছাপ, নৌকায় নিয়ে ফিরলাম পলিমাটির গন্ধ।
সুমেরুবিন্দুতে পৌঁছালাম হেলিকপ্টারে চেপে, কত আবেগ নিয়ে ইনাম ভাল বলেছিলেন- সারা জীবন আশা করেছি, জীবনের অন্তত আমাদের গ্রহের দুই মেরুর এক মেরুতে পা রাখব, আজ সেই আশা পূর্ণ হল! এই অসাধারণ জায়গাটি না দেখেই মরে যেতে পারতাম!
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পেলেই পাখি পর্যবেক্ষণের জন্য-
পৃথিবীর সবচেয়ে উত্তরের জনপদ স্পিটসবের্গেনের আস্তানা থেকে কেবল বেরিয়েছি, সামনে এসে দাঁড়াল বলগা হরিণেরা!
নেপালের চিতোয়ান বনে হাতিঘাসের জঙ্গল মাড়িয়ে আমরা চলেছি গণ্ডারের খোঁজে।
মেরুভালুকের খোঁজে তন্ন তন্ন করে খুঁজে ফিরছি পূর্ব উপকূল, দেখা মিলল পেল্লাই আকৃতির এক সিলের!
নিজে বইয়ের পোকা বলেই হবে হয়ত, দেশের মান্যগণ্য অনেক লেখক এবং পাঠকের সাথে পরিচয় হয়ে গেছে কালক্রমে, বিশ্ব সাহিত্য নিয়ে কথা বলে জানার চেষ্টা করেছি অনেকের সাথেই। কিন্তু সবচেয়ে বেশী অভিভূত হয়েছি আজ পর্যন্ত ইনাম ভাইয়ের সাহিত্য জ্ঞানে- ওয়ার্ডসওয়ার্থ, বায়রন, হুইটম্যান, ফ্রস্ট থেকে শুরু করে রবি ঠাকুর, নজরুল, জীবনানন্দ- কি না জেনেছি! কোন ঘোর লাগা বিকেলে তিনি বলেছিলেন পেঁচা যে হামাগুড়ি দিয়ে মাঠে নামে এটা জীবনানন্দ বাদে আর কোন বাঙ্গালী কবি লিখে যান নি। ড্যাফোডিলের মাথা নাড়া দেখে কবি ওয়ার্ডসওয়ার্থ ড্যাফোডিলেরই বন্দনা করেছেন, কোন ভুলে যাওয়া প্রিয়ার মুখের নয়, তা জানতে পারি তার কথার জালে। বায়রন যে স্বর্গ থেকে নারী বিতাড়িত করে হুর দিয়ে সাজাতে চাওয়ায় ইসলামের নবী মুহম্মদকে উপহাস করে নারী বন্দনার যে অসাধারণ ছত্রগুলো রচনা করেছিলেন To Eliza কবিতাতে , তাদের সাথে পরিচয় সেখানেই। তিব্বতে যাবার সময় দস্তয়েভস্কির ব্রাদার্স অফ কারামাঝভ নিয়ে যাচ্ছি, শুনেছি সেটি বিশ্বের সেরা উপন্যাসের দাবীদার, বলতেই ইনাম ভাই বললেন পড়ে শেষ করুন তারপর কথা হবে। হিমালয়ের নির্জনতায় বসে গ্রুসেঙ্কার কল্পনায় বিভোর থেকে শেষ করলাম বিশাল বইখানা, ভাল লাগল, কিন্তু মনে হল এটি বিশ্বের সেরা উপন্যাস না। সমতলে ফিরে সেটি বলতেই তিনি একমত হলেন। পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন হেনরি ডেভিড থ্যুরো নামের এক অসাধারণ মানুষ এবং তার ওয়াল্ডেন নামের পুকুর এবং বইয়ের সাথে। সেই সাথে ছিল কনরাড লোরেঞ্জের কিং সলোমনস রিং। বুনোফুলের ডানা। অবন ঠাকুরের পাখির চোখে বাংলাদেশ। ও হেনরির ছোট গল্প। এমনই আরো কত অজানা বিস্ময়ের সাথে পরিচয় হয়ে ছিল এই একজন মানুষের মাধ্যমে।
যে কোন কঠিন কথা খুব সহজ করে সংক্ষেপে বোঝাতে ইনাম ভাইয়ের কোন জুড়ি নেই, একবার জিজ্ঞাসা করলাম, পুনর্জন্ম নিয়ে মাঝে মাঝে যে সমস্ত মানুষের অভিজ্ঞতার কথা শোনা যায়, নিজেদের জাতিস্মর দাবী করে তারা পূর্বজন্মের কথা হুবহু বলে যান, এদের নিয়ে আপনার কি মনে হয়? উনি সরাসরি কাঠখোট্টা ভাবেই বললেন- আমার এত বিলাসিতা নেই ভাই যে এসমস্ত ব্যাপার নিয়ে ভাবব। মানে? মানে জিজ্ঞাস করতেই উনি প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন- মানুষ মারা গেলে কি হয়? বললাম, কি হয় আবার, তার দেহ প্রকৃতিতে পচে গলে মিশে যায়। আবার প্রশ্ন- তাহলে সেই পচা গলা দেহ যা নানা উপাদানে বিভক্ত হয়ে যায়, সেই অণু-পরমাণুগুলো কি আবার এক হয়ে নতুন মানুষ হিসেবে জন্ম নিতে পারে? বললাম- না তো, এমন তো আসলেই সম্ভব না। উনি তার বিখ্যাত হাসি দিয়ে বললেন- খেয়াল করে দেখবেন, যারা এ সমস্ত কথা বিশ্বাস করে বা ছড়ায় তারা এত দূর পর্যন্ত চিন্তা করে দেখে না, যে এমনটা আদৌ সম্ভব না কি।
ইনাম ভাইয়ের ঈর্ষণীয় বইয়ের সংগ্রহে এক সিরিজের চারটি বই ছিল বিশ্বে নানা রহস্যময় ঘটনা নিয়ে- ড্রাগন থেকে শুরু করে প্যারালাল ইউনিভার্স সবই উপস্থিত। আমার অতি উচ্ছাস দেখে কেবল বললেন ইয়াং বয়সে পড়ার জন্য খুব ভাল বই। তখন সবে ১৯ চলছে, সব কিছুতেই মনপ্রাণ বিদ্রোহ করতে চায়, বলে বসলাম- শুধু ইয়াং বয়সে কেন? বুড়ো বয়সে পড়লে সমস্যা কি? এগুলো কি যে কোন বয়সের মানুষের চিত্ত আন্দোলিত করে না? হয়ত আমার উষ্মা বুঝলেন বা বুঝলেন না, কিন্তু স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গীতে বললেন- এই সমস্ত বিষয় না জেনেই যদি কোন লোক বুড়ো হয়ে যায়, তাহলে ধরে নিতে হবে সে হাওয়া খেয়ে বড় হয়েছে, সারাজীবন কিছুই পড়ে নি!
মনে পড়ে টাঙ্গুয়ার হাওরের উম্মাতাল দিনগুলি, আমার জীবনের সেরা ভ্রমণস্মৃতি। অথচ কাউকে বলা হয় নি সেই সময়ে, ২০০২ সালে টাঙ্গুয়ার হাওরের পাখিশুমারিতে অংশ নিতে হলে ৩০০০ টাকা লাগত, যে টি ছিল অনেকটা এভারেস্ট জয়ের মতই, কিন্তু একবার উৎসাহ প্রকাশ করতেই সাথে সাথে ইনাম ভাই বললেন- অণু আপনি যেতে চাইলে স্বাগতম, আপনার সম্পূর্ণ খরচ আমি স্পন্সর করব। ( উনি হাওর এবং উপকূলীয় এলাকায় প্রতিবারই উৎসাহী তরুণদের কাউকে না কাউকে নিজেই খরচ দিয়ে নিয়ে যেতেন)। সেই ৩০০০ টাকার চেয়েও কোটি গুণ মূল্যবান ছিল তার আশ্বাস, উৎসাহ, প্রকৃতিজগত দেখার আমন্ত্রণ। আমার যে নিরন্তর পথচলা, তার পিছনে অন্যতম অনুপ্রেরণার কাজ করে সেই ভ্রমণে স্মৃতি, ইনাম আল হকের প্রেরণা।
পর্বতারোহণের পেছনেও অন্যতম ভূমিকা তারই, তখন হয়ত স্কুলে বা কলেজে পড়ি, প্রথম আলোর ছুটির দিনে কভার স্টোরি এসে ছিল পাখি অন্ত প্রাণ ইনাম আল হক, সেখানে দীর্ঘ সাক্ষাৎকারের এক পর্যায়ে অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় মানুষটি বললেন- আমাদের বাড়ীর কাছেই হিমালয়, অথচ আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের কেউ সেখানে পা রাখতে পারল না, এটি আমার জন্য এক বিশাল আফসোস। এই বয়সে আমি নিজে আর হয়ত ওঠার চেষ্টা করব না কিন্তু অবশ্যই চেষ্টা করে যাব যেন বাংলাদেশ থেকে কেউ জয় করে এই সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ। সেই কথাগুলো আমার মনে এক অদ্ভুত আবেস নিয়ে এসেছিল, তুষার ধবল হিমালয়, সারি সারি আদিঅন্তহীন পর্বত শিখর, এদের মাঝে আকাশ ছোয়া এভারেস্ট, একদিন যেতেই হবে সেখানে! এই স্বপ্ন থেকেই ইনাম আল হক স্থাপন করেন বাংলাদেশ মাউন্টেনিয়ারিং অ্যান্ড ট্রেকিং ক্লাব ( বি এম টি সি ), শুরু হয় বাংলার তরুণ- তরুণীদের এক অন্য জীবনের পথে পদচারণা। কিন্তু হায়, আমি ততদিনে বিদেশ পাড়ি দিয়েছি, তাদের দলে ভিড়ে হিমালয়যাত্রা করার সৌভাগ্য আর সেভাবে হল না, যদিও পরে ইনাম ভাইয়ের উৎসাহেই চৌ য়ু অভিযানে অংশগ্রহণ করি, সহঅভিযাত্রী এম এ মুহিত চৌ য়ু পর্বত জয় করে বাংলাদেশকে প্রথম বারের মত ৮০০০মিটারের এলিট ক্লাবে নিয়ে যান। এখন পরিকল্পনা চলছে আবার সবখানেরই- কিলিমানজারো, অ্যাকনকাগুয়া, ভিনসেন কোথাকার না?
কত চিত্র-বিচিত্র স্মৃতি আমাদের, দক্ষিণ বঙ্গের উপকূলে পুলিশ আমাদের গ্রেফতার করে নিয়ে গেল এক রাতে! কারণ তারা আমাদের নৌকাকে ডাকাতের নৌকা ভেবে ছিল! থানায় যাবার সাথে সাথে ওসি সাহেব আবার ভুল স্বীকার করে হাসতে হাসতে আপ্যায়ন করে বিদায় দিলেন সেযাত্রা।
কাঠমান্ডুর এক কুয়াশাভেজা সকালে চললাম নাগার্জুন বনে পাখি দেখার আশায়, ঝোপ ঝাড় মাড়িয়ে পথ চলেছি পা টিপে টিপে, মন আনন্দে পূর্ণ হয়ে আছে লম্বা লেজের হিমালয়ের হাঁড়িচাচা জাতীয় পাখি দেখার আনন্দে, হঠাৎই দেখি চোখের সামনে থেকে ইনাম ভাই নেই হয়ে গেলেন! সেখানে মাথা দোলাচ্ছে নাম না জানা সবুজের দঙ্গল! মনে হল স্লো মোশন সিনেমার মত কয়েকবার ডিগবাজি খেলেন ভারী ক্যামেরাসহ-, এদিকে আমার পায়ের নিচেও মাটি টলে উঠেছে, খামচে আশ্রয় নেবার মত লতাগুল্ম কিছুই না পেয়ে তারই টালমাটাল পদক্ষেপ অনুসরণ করতেই হল প্রবল অনিচ্ছে শর্তেও। কয়েক মিটার ডিগবাজি দিয়ে থামার দেখি হাত-পায়ের অনাবৃত অংশ ভীষণ রকম চুলকোচ্ছে! কি ব্যাপার? ব্যাপার কিছুই না, পড়বি তো পর, সোজা বিছুটির ঝোপে! একটু ধাতস্থ হতেই ছেড়ে আসলাম সেই বিদঘুটে চুলকানি বন।
অসলোতে কন টিকি জাদুঘরে সত্যিকারের কনটিকি দেখে মহাখুশী তিনি, সেই সাথে চলল অ্যামুণ্ডসেনের মেরু জাহাজ ফ্রাম দর্শন।
স্টকহোমের নোবেল জাদুঘরে যেয়ে নানা দুর্লভ জিনিসে দেখার সাথে সাথে তার মনে গেঁথে রইল আইজ্যাক সিঙ্গারের নোবেল বক্তৃতা, যেখানে সিঙ্গার হাসতে হাসতে বলছেন- আমি মৃত একটি ভাষায় লেখি, কারণ আমি লিখি ভূতের গল্প।
২০০৫ সালে ইউরোপে ভ্রমণে সময় ফিনল্যান্ডে আসলেন তিনি কয়েকদিনের জন্য, বিশেষ কিছুই করা হয়নি পাখিপাগল বন্ধুদের সাথে নানা জলা, বন, নদী ভ্রমণ ছাড়া, কিন্তু প্রকৃতির মাঝে কাটানো সেই দিনগুলোকেই সেযাত্রা নিজের সেরা সময় বলে অভিহিত করলেন, ছবিও মিলল দেদার নানা উত্তুরে পাখির।
মানুষকে আপনি বলে সম্বোধন করতে শুনি অনেককেই, কিন্তু ইনাম ভাইয়ের কাছেই প্রথম জেনেছিলাম এর পিছনের যথার্থ কারণ। হাঁটুর বয়সী হওয়া স্বত্বেও তিনি আপনি করে বলতেন প্রথম থেকেই, অনুযোগ করাই বললেন- আমি কেন আপনাকে তুমি করে বলব? উত্তর দিলাম- আমি বয়সে ছোট, তাই। উনি পাল্টা প্রশ্ন করলেন- কেবলমাত্র বয়সে ছোট বলেই তুমি করে বলতে হবে! আপনি তো আমার চেয়ে লম্বায় বড়, তাহলে কি প্রথম থেকে উচ্চতার কারণে আপনি তুমি করে বলবেন? খেয়াল করে দেখবেন আমাদের সমাজের অনেক মানুষ বয়োজ্যেষ্ঠ রিকশাওয়ালাকে প্রথমেই তুমি বলে বসে, সেখানে বয়সটা কোন ব্যাপার না, তার কাছে মনে হয়েছে সামাজিক মর্যাদায় হয়ত সে একজন শ্রমিক শ্রেণীর মানুষের উপরে, তাই অনায়াসে একজন বাবার বয়সী মানুষকে সে তুমি করে বলল। আমার কাছে তুমি করে বলার মানে কোন না কোন দিক দিয়ে আমি তাকে ছোট মনে করছি, সেটি বয়স বা সামাজিক অবস্থান যায় হোক না কেন। তবে আমাকে কেউ তুমি করে বললে আমারও তুমি বলতে আপত্তি নেই!
বাহ, তাই তো! খুব সরল ভাবে বুঝিয়ে দিলেন জিনিসটি, কত সহপাঠীকেই দেখতাম অনায়াসে বুড়ো রিকশাওয়ালাকে তুমি করে বলতে, তখন খারাপ লাগত কিন্তু কারণটা বোঝা হয় নি।
কোড়া পাখির খোঁজে গিয়েছিলাম মাদারিপুরের বাওর অঞ্চলে, অপূর্ব এক জেলে গ্রামে। অন্যরকম এক বাংলাদেশের দেখা পেয়েছিলাম সেখানে হাসিখুশি মানুষগুলোর মাঝে, তাদের মাসিক উপার্জন সেই সময়ে ৫০০ টাকাও হয় তো ছিল না, কিন্তু অবাক হয়ে দেখেছিলাম তাদের হাসিমুখ, উচ্ছলতা, দৈনন্দিন একঘেয়ে জীবনের নানা ঘটনাতেও খুঁজে নেওয়া অনাবিল সুখে উপাত্ত। অনেক রাত পর্যন্ত হৈ হল্লা করে পুঁজো হল সেইবার, আশ্রয়দাতা ইনাম ভাইয়ের পূর্বপরিচিত এক তরুণ মৎস্যজীবী, ঘরে মা, দুই বোন, শিশু পুত্র, স্ত্রী। তারা মুহূর্তের মাঝেই পরিবারের একজন করে নিয়ে যে আপ্যায়ন করেছিলেন তাতে জীবনে প্রথম মনে হয়েছিল কিছু মানুষ এই কথা সত্যি সত্যিই মানে- অতিথি ভগবান।
তার জীবনে একটাই লক্ষ্য ছিল অনেকদিন পর্যন্ত- বাংলাদেশের সমস্ত পাখি নিয়ে পাখির একটা বই প্রকাশ করা, অনেকে তখন বলেছিল এমন বই নিশ্চয় কেউ না কেউ করে গেছে, কিন্তু ইনাম আল হক জানতেন এই ধরনের কাজগুলোতে আমরা কত পিছিয়ে, তার কয়েক দশকের পরিশ্রমের ফসল হিসেবে আমরা পেলাম এশিয়াটিক সোসাইটি থেকে প্রকাশিত পাখি খণ্ড, প্রথমে ইংরেজিতে এবং পরবর্তীতে বাংলায়, যেখানে বাংলাদেশে আজ পর্যন্ত দেখা পাওয়া সমস্ত পাখি আলোকচিত্র, যাবতীয় তথ্য, বাসস্থানের ম্যাপ বর্তমান ( যেগুলো এর মাঝে বিলুপ্ত হয়ে গেছে তাদের কথা আলাদা!)
জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশের প্রথম পাখি মেলা হয়েছিল বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের পক্ষ থেকে, বেশ সাড়া ফেলেছিল সেই আয়োজন, ছুটে এসেছিলেন কবি শামসুর রাহমান, লেখক আলী ইমাম। এর পরপরই দাবী জানালাম রাজশাহীতে পাখি মেলা করতে হবে। উনি সাথে সাথেই রাজী, বললাম বাংলাদেশে বার্ড ক্লাবের রাজশাহী শাখার পক্ষ থেকে মেলা হবে! ইনাম ভাই বেঁকে বসলেন, বললেন মেলা হবে রাজশাহী বার্ড ক্লাবের পক্ষ থেকে , আমি চাই দেশের প্রতিটি জেলা- থানা- গ্রামে গ্রামে পাখি দেখার ক্লাব গড়ে উঠুক, বিজ্ঞানকে নিয়ে ভাবার, প্রকৃতিকে নিয়ে জানার আগ্রহ বাড়ুক। তার কথাই থাকল, এর পরে বেশ কবছর রাজশাহীতে পাখি মেলার আয়োজন করেছে রাজশাহী বার্ড ক্লাব।
ইনাম ভাই এও বলেছিলেন ক্লাবের এক বছরের আড্ডার চায়ের খরচ তিনি তখনই দিয়ে দিবেন। কয়দিন পর ক্লাবের কয়েকজন সদস্য বলে বসল দূরবীন নেই, টেলিস্কোপ নেই পাখি দেখব কি করে! কি মনে করে যেন বলেছিলাম ভালবাসা দিয়ে, ভাল লাগা দিয়ে, ইনাম ভাই যখন পাখি দেখতেন তার নিশ্চয়ই দূরবীন ছিল না, কিন্তু উনি আজ দেশের সেরা পাখিবিশেষজ্ঞ! কাজেই দেখার মত চোখ এবং হৃদয়ের টান থাকতে হবে।
বড় ভাই তানভীর অপুর সাথে চেহারার মিল বাদে আর কোন মিল আছে বলে আমার মনে পড়ছে না, সে পুরান ঢাকার ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের ক্যাপ্টেন হিসেবে হকি লীগ খেলেছে কয়েক বছর, আমি জীবনে খেলোয়াড় হিসেবে স্টেডিয়ামের চৌকাঠ পেরোই নি। আমি বইয়ের পোকা, সে অ্যাকশন সিনেমার পোকা, আমার প্রিয় অভিনেতা গ্রেগরি পেক, তার সিলভেস্টার ষ্টালোন, শাকান্ন খেয়ে জীবন অতিবাহিত করতে আমার অরুচি নেই, সে মহা ভোজনবিলাসী এবং দুর্দান্ত পাচক, আমি ব্রাজিলের খেলা দেখতে অন্য মহাদেশ চষে ফিরি, সে বাড়ীতে আর্জেন্টিনার পতাকা ওড়ায়! কিন্তু এত অমিলের মাঝেও ঘুরতে বেশ পছন্দ করি তা বলাই বাহুল্য। সেই টগবগে ছেলে ফিনল্যান্ডে আসার পর দেখি প্রায়শই মনমরা হয়ে থাকে! কি ব্যাপার, দেশের জন্য মন খারাপ করে? তার উত্তর- না, শুধু একটাই চিন্তা, দেশে যখন আবার ফিরব, ইনাম ভাইয়ের বয়স অনেক বেড়ে যাবে, তখন কি আর আগের মত ঘুরতে পারব তার সাথে?
চিত্রকর প্রিয়ারঞ্জিনীর সাথে আড্ডার এক ফাঁকে সে বলেই বসল বাবা-মার কাছে আমি জন্ম দেওয়ার জন্য অবশ্যই কৃতজ্ঞ , তারা আমাকে জীবনের আলো দিয়েছেন, কিন্তু আমাকে পৃথিবীর আলো দিয়েছেন ইনাম আল হক। তার মা ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর কিছুই বলার থাকে না এই ক্ষেত্রে, ইনাম ভাইয়ের সবচেয়ে কাছের বন্ধুদের মাঝে তিনি একজন যে!
এভারেস্টজয়ী নিশাত মজুমদার সরাসরিই বলেছিলেন ইনাম ভাই উৎসাহ না দিলে এতদূর আশা সম্ভব হত না কোন দিন।
দুই-দুইবার এভারেস্ট জয়ী এবং একমাত্র বাঙ্গালী হিসেবে তিন তিনটি আট হাজার মিটার শিখর জয়ের অসাধারণ কৃতিত্বের অধিকারী এম এ মুহিত তার সব প্রেস কনফারেন্সেই একটি কথা বলেন- ইনাম আল হক একজন ব্যক্তি নন, তিনি একজন প্রতিষ্ঠান। আমাদের প্রজন্মকে তিনি দিকনির্দেশনা দিয়ে তৈরি করেছেন পাখিপ্রেমী এবং অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয়তে। অন্য অনেকের মতই তিনি আমাদের কেবল স্বপ্ন দেখেই পথে একা ছেড়ে দেন নি, বাস্তব ভিত্তি গেড়ে দিয়েছেন, পাশে থেকেছেন সবসময়।
এমন আরও হাজার মানুষের কথা আমি ব্যক্তিগত ভাবে জানি, যাদের কথা শেষ হবার নয়। ইনাম ভাইয়ের প্রাক্তন গাড়িচালক মুকুল ভাই ( বর্তমানে সফল ব্যবসায়ী, যেহেতু ইনাম ভাই আর গাড়ী ব্যবহার করেন না!) আমাদের নিয়ে যেতেন বাংলাদেশের আনাচে কানাচে- গাইবান্ধা, দিনাজপুর থেকে শুরু করে শ্রীমঙ্গল, কুমিল্লা। সে পর্যন্ত বৌ-পরিবার ফেলে প্রতি ছুটির দিনে গাড়ী নিয়ে ভ্রমণের সঙ্গী হত, যা তার অফিসের কাজের মধ্যে পড়ে না। এই প্রসঙ্গে জিজ্ঞাস করলেই এক গাল হেসে বলত- ভাইরে, ইনাম স্যারের সাথে নানা জায়গা ঘোরার যে কি নেশা, এইটা না ঘুরলে বুঝতেন না।
আমার মা গেলবার বাংলাদেশে থাকার সময় একবার আমার ভ্রমণ পিপাসার প্রতি অনুযোগ করায় ইনাম ভাই হেসে বলেছিলেন, রাজশাহীতে তো অণু থেকেছে বিশ বছর, আর পৃথিবীটা কত বড়! সেটা দেখতে হলে তো এখন বেরোতেই হবে! বলাবাহুল্য মা সেই কথা পছন্দ করেন নি, কিন্ত আমরা যে নাচার! বুড়ো পৃথিবীটা আসলেই অনেক বড়, আর জীবন অনেক অনেক ছোট।
ইনাম আল হক এককালে খুব ভাল ছবি আঁকতেন, হয়ত চিত্রকরই হতেন জীবনে কিন্তু নানা কারণে সেই পথ আর চলা হয় নি। কিন্তু হয়েছেন আর্টক্রিটিক। সেই সাথে বাংলাদেশের সমস্ত শিল্পীদের সাথে তার মহাখাতির। তাদের মাঝে আবার কালিদাস কর্মকার ছিলেন তার স্কুল জীবনে বন্ধু। এবং জানেন বটে তিনি চিত্রকর্ম এবং ভাস্কর্য নিয়ে। অসলো ন্যাশনাল গ্যালারীর নানা কক্ষ ঘুরতে ঘুরতে ব্যাখ্য করলেন এডভার্ড মুঙ্কের নানা পেইন্টিং, পিটার পল রুবেনসের সিংহ শিকার, ভ্যান গগের তুলির কাজ, রেনোয়ার অসাধারণ ধাতব ভাস্কর্য নিয়ে ( রেনোয়া যে ভাস্কর্য গড়েছেন তাই এর আগে জানতাম না)। ঘণ্টার পর ঘণ্টা আমাদের কেটেছে নানা শিল্পীর কাজ নিয়ে কথা বলে, দালির বাড়ী গিয়েছেন ইনাম ভাই, সেই সাথে ভ্যান গগের জাদুঘরে, ল্যুভরে, ল্য সাগরাদা ফ্যামিলিয়ায়, ব্রিটিশ ন্যাশনাল গ্যালারীতে, সেই অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করেছেন একজন জ্ঞানপিপাসুর মত, যিনি জানতে এবং জানাতে ভালবাসেন।
বিবিসি থেকে তাকে এক সাক্ষাৎকারে প্রশ্ন করা হয়েছিল, আপনার যেহেতু বর্তমানে অর্থনৈতিক সচ্ছলতা আছে সেই কারণেই আপনি এই ধরনের কাজ যেমন ভ্রমণ, পাখি দেখা, ছবি তোলা, পাহাড়ে চড়া এইগুলি করতে পারেন?
ইনাম ভাইয়ের উত্তর – দেখুন ঘোরাঘুরি তো আমি আজকে করছি না, যখন আমি ছাত্র ছিলাম, নিজস্ব সঞ্চয় ছিল না তখন থেকেই করছি। এখন বিমানে চেপে অনেক দূরে যাই , কিন্তু তখনো সুযোগ পেলেই পায়ে হেঁটে, বাসে, নৌকায়, ভ্যানে চেপে দূরের শহর, গ্রামে যেতাম। তখনো পাখি দেখতাম, কিন্তু দূরবীন, টেলিস্কোপ ছাড়াই, আনন্দটা কিন্তু পেতাম পুরোদমেই! আমাদের সমাজের অধিকাংশই মানুষকেই প্রশ্ন করুন জীবনের চাহিদা নিয়ে- সবাই বলবে চাকরি, বাড়ি, গাড়ি, সংসার। কিন্তু কয়জন বলবে, বাংলাদেশের ৬৪টি জেলা আমার ঘোরা থাকতে হবে, পায়ে হেঁটে হলেও! কজন ভাবে বান্দরবানের পাহাড়গুলো আমার চড়া থাকতেই হবে! টেঁকনাফ থেকে তেতুলিয়ার সৌন্দর্য একবার হলেও দেখতেই হবে?
আমি জীবনে যদি ইনাম আল হকের মত আর কিছুই হতে না চাই, তবে তার মত বিনয়ী হতে চাইব, অন্তরের অন্তস্থল থেকে বিনয়ী। যে পাখিবিশেষজ্ঞ, আলোকচিত্রগ্রাহক, অভিযাত্রী হিসেবে বাংলাদেশ নন্দিত রিটায়ার্ড উইং কমান্ডার ইনাম আল হক যখন চুরি যাওয়া ভোরের আলোয় পদ্মা পারের কিশোর তারেক অণু কে বলেন- আমি আপনার মতই একজন, যে অনেক কিছু নিয়ে উৎসাহী। অণু ভেবে পায় না কি করে তার এবং ইনাম আল হকের মাঝে তুলনা পর্যন্ত হতে পারে! তা যে বিষয়েই হোক!
ফিরে আসি ইনাম আল হকের জীবনীগ্রন্থ নিয়ে, তার কাছে জানতে চেয়েছিলাম এর ভূমিকা কে লিখবে? এমন কেউ যে তাকে খুব ভাল মত জানেন, যেমন কবি শামসুর রাহমান অথবা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, ইনাম বললেন উনারা আমাকে খুব পছন্দ করেন জানি, কিন্তু আমাকে খুব ভাল চেনেন কিনা তা বলতে পারছি না। তাহলে? উনি বললেন মীজানুর রহমানের কথা ( আমাদের কিংবদন্তীর মীজানুর রহমানের ত্রৈমাসিক পত্রিকার সম্পাদক) অথবা বর্ষীয়ান সাংবাদিক শ্রদ্ধেয় ফওজুল করিম তারা ভাইয়ের কথা। কিন্তু আমার যাওয়ার জায়গা ক্রমশই কমে আসছে, নক্ষত্রের মত দীপ্যমান মানুষগুলোর একাধিক জন এর মাঝেই ছেড়ে গেছেন পৃথিবী, তাদের শেষ জন থাকতে থাকতে শেষ হবে তো এই কাজ?
অভয় দেন ইনাম ভাই নিজেই, গত জন্মদিনে এই কথা তুলতেই হাসতে হাসতে বলেন – সবচেয়ে বেশী খুশী হব শতবর্ষে পা দেবার পরে আমার জীবনী হাতে পেলে! খুশী তো হব আমি নিজেও, কাজটি হোক আস্তে ধীরে, কিন্তু ইনাম আল হক থাকুন আমাদের মাঝে, কর্মব্যস্ত, সদাচঞ্চল, সবসময়ই। অন্তত তার শতবর্ষী হওয়া পর্যন্ত তো বটেই।।
মন্তব্য
লেখাটা পড়ে খুব ভালো লাগলো, আপনার "ইনাম ভাই"কে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। ইনাম আল হক আর আপনাদের ঔৎসুক্য বেঁচে থাকুক চিরকাল।
---দিফিও
facebook
বাংলাদেশকে ইনাম আল হকের মতো মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ ছাড়া কে আর বেশি ভালো চেনে? সুস্থ, সবলভাবে বেঁচে থাকুন উনি আরো অনেক বছর। জন্মদিনে এই শুভকামনা।
লেখাটাও অনেক ভালো হয়েছে।
আসলেই, উনার সাথে ঘোরার সুবাদেই অর্ধেক দেশ তখন দেখা হয়ে গিয়েছিল---
facebook
আরে ইমাম তো দেখি আমাদের দেশি লোক। "সবচেয়ে বেশী খুশী হব শতবর্ষে পা দেবার পরে আমার জীবনী হাতে পেলে!" আমরাও এটাই কামনা করি। শুভ জন্মদিন।
facebook
ভাল লাগল লেখাটা। জন্মদিনে এই গুণী মানুষটার দীর্ঘায়ু কামনা করি। ভ্রমণপিপাসু, অনুসন্ধানী, চিরতরুণ ইনাম আল হকের জীবনীগ্রন্থপেতে চাই।
(দুঃখিত.. কি যেন এরর দেখাচ্ছে, মন্তব্যটা ব্লগে যাচ্ছে না।)
এখন ঠিক আছে, ধন্যবাদ
facebook
আমি জীবনে যদি ইনাম আল হকের মত আর কিছুই হতে না চাই, তবে তার মত বিনয়ী হতে চাইব, অন্তরের অন্তস্থল থেকে বিনয়ী।
ইনাম আল হক সম্পর্কে আগে কিছুটা জানা ছিল।
এই বিস্ময় তরুণকে আবার নতুন করে খুঁজে পেলাম এখানে। ঋত্বিক ঘটকের মেঘে ঢাকা তারা ছবির সেই স্কুল মাষ্টারের মত বলতে ইচ্ছে করে- Living Is An Art.
শ্রদ্ধাভাজন এই বিস্ময় মানুষটিকে অসীম শ্রদ্ধা আর শতায়ু কামনা করছি।
অসাধারণ উপস্থাপন হয়েছে লেখায়। গোগ্রাসে গিলেছি । লেখার মধ্যেখানে থমকে যাওয়া মানে পাপ করা।
পাপলু বাঙ্গালী
Living Is An Art.
facebook
ইনাম ভাই বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষের মনে পাখি বিষয়ে আগ্রহের সৃষ্টি করেছে। এই চমৎকার মানুষটির কাছে আমি নানাভাবে কৃতজ্ঞ।
শুভ জন্মদিন!
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
পাখি রিংগিং- এর বিষয়টি উল্লেখ করতে বেমালুম ভুলে গেছি! পরে একটা সাক্ষাৎকার নিতে হবে।
facebook
ছোট মাপের দেশের একজন বড় মাপের মানুষ।
শুভ জন্মদিন ইনাম আল হক।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
ছোট মাপের দেশের একজন বড় মাপের মানুষ।
facebook
'ছোট মাপের দেশ' কথাটা ভালো লাগল না রিটন ভাই। ডঃ ইউনুস থেকে শুরু করে ইনাম আল হক -- কারো বড়ত্ব বুঝাতে গিয়ে দেশটার ছোটত্ব নিয়ে টানাটানি হলে অস্বস্তি লাগে বড়।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
'ছোট মাপের দেশ' এখানে আয়তন ইঙ্গিতক। সীমানা নির্দেশক। কানাডা নামের একটা দেশে বসে আমি মন্তব্য করছি। পঞ্চাশটা বাংলাদেশ ঢুকে পড়তে পারে কানাডার মানচিত্রের ভেতরে।
ইনুস আমার প্রিয় নবী
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
ইনুস আমার প্রিয় নবী
...........................
Every Picture Tells a Story
ও, তাইলে ঠিক আছে
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
এক নিঃশ্বাসে পড়ে গেলাম।
শুভ জন্মদিন ইনাম ভাই---
এমন এক বহুমাত্রিক জ্যোতির্ময় মানুষ আমাদের মাঝে আছেন, এমনটা ভাবলেই গর্বে বুকটা ভরে উঠছে।
সবচাইতে বড় যে বিষয় তিনি তাঁর ভেতরের আগুনটি ছড়িয়ে দিতে পেরেছেন দেশময়। একজন ইনাম আল হক ছিলেন বলেই আমরা আজ মুহিত, নিশাত কে পাই। একজন ইনাম আল হক ছিলেন বলেই আমরা আমাদের তারেক অণুকে পাই----
আবারো সেলাম ঠুকে গেলাম ইনাম ভাইয়ের চরণে---
আর অণু, বস, লেখাটা সেইরকম হয়েছে---
শুভেচ্ছা নিরন্তর।
ধন্যবাদ হে ভ্রাত, ইদানীং আপনার গান বেশ বেশী শোনা হচ্ছে।
facebook
উনার সম্পর্কে অনেক কিছু জানা হলো। অনেক ধন্যবাদ।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
facebook
আপনার গুরুকে শুভ জন্মদিন এবং আমার তরফ থেকে সালাম জানিয়েন।
আর আপনার লাইগ্যা ইটা ---
লন ইটা লন।
ইটা দিয়া কি করুম! বাড়িঘর নাই আমার !
facebook
চমৎকার লেখা,একজন মানুষের সার্বিক অবয়ব এত অল্প কথায় এত সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলার জন্য লেখক তারেক অনুকে অভিনন্দন,ইনাম আল হক সম্পর্কে আমার খালু এনাম তালুকদারের কাছ থেকে যা শুনেছি,তারেক অণু তার লেখায় সেটিরই প্রতিধ্বনি করলেন,ফরিদপুরের সন্তান হিসেবে গর্বটা একটু বেশিই বোধ করছি, আবারো ধন্যবাদ তারেক অণু কে
facebook
উনি মানুষ হিসেবে খুবই বড় একজন। আমার সৌভাগ্য হয়েছিল কয়েকবার উনার কথা শোনার। সমাজে কিছু স্বপ্নবাজ মানুষ থাকতে হয়, যারা হয়ে ওঠেন আমাদের তরুণ সমাজের স্বপ্নগুলোর আশ্রয়। তিনি সেইরকমই একজন।
শুভ জন্মদিন ইনাম ভাই। অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
লেখা অনেক সুন্দর হয়েছে অণু ভাই
-বিপ্লবী স্বপ্ন
স্বপ্নবাজ মানুষ
facebook
শুভ জন্মদিন ইনাম ভাই। জন্মদিনে শতায়ু হোন এই শুভ প্রত্যাশা রইল।
তারেক অনু ভাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ পোষ্টের জন্য।
ভাল থাকুন সতত
শুভেচ্ছা
facebook
ইনাম ভাই সম্পর্কে জানতাম সেই কৈশোর থেকেই। কিন্তু বেশীরভাগ জায়গাতে তার পরিচিতি দেয়া হত " পাখি বিশেষজ্ঞ"! আর কিছু না ! এই নির্লজ্জ অতি প্রচারের যুগে একদম প্রচার বিমুখ মানুষগুলো - কাজীদা,ইনাম ভাই। এই কারণে আরও বেশী ভাল লাগে তাদের। কিন্তু যারা তাদের কাছাকাছি থাকেন তাদের উচিত তাদের করে যাওয়া কাজগুলো আলোতে আনা, যাতে বাকিরা অনুপ্রাণিত হয়। কে না জানে যে উপদেশ থেকে উদাহরণ উত্তম !
একটা ব্যাপার - মুসা ইব্রাহীম কিংবা ওয়াসফিয়াকে নিয়ে প্রথম আলো কিংবা ডেইলি স্টার যে মাতামাতি করে (অবশ্যই করা উচিত ) মুহিত কিংবা নিশাত কেন পুরোপুরি অনুপস্থিত থাকে ? এই ব্যাপারটা পুরো দৃষ্টিকটু রকমের তিতা লাগে ! এখানেও কেন এই বিভাজন ?
শরীফ খানকে নিয়ে একটু একটু জেনেছিলাম কিশোর পত্রিকা পড়ার কালে। উনার সম্পর্কে কি কিছু লিখা যায় অণুদা ?
আপনার এই লিখাটা কেমন হইছে ?
এই নির্লজ্জ অতি প্রচারের যুগে একদম প্রচার বিমুখ মানুষগুলো - কাজীদা,ইনাম ভাই। এই কারণে আরও বেশী ভাল লাগে তাদের।
১০০ % সত্য
facebook
বেঁচে থাকার মানে শিখায় এই মানুষগুলো.......
আর অণু'দা, আপনাকে আমি অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে হিংসা করছি ইমাম ভাইয়ের সঙ্গ পেয়েছেন বলে।
আর লেখাটি হয়েছে
-- ঠুটা বাইগা
শুভেচ্ছা, কিন্তু অনেকদিন হল আগের মত ঘুরতে পারি না, দেশে না থাকার সবচেয়ে বড় ক্ষতি হয়েছে এইখানেই।
facebook
ফিনল্যান্ড নিয়ে কি লিখেছেন?
আমিও আমার সাম্প্রতিক একটি ভ্রমণ নিয়ে লেখা দিব ভাবছিলাম, কিন্তু আপনার লেখা পড়ে সাহস হারিয়ে ফেলেছি।
লেখে ফেলেন। সাহস দিচ্ছি===
facebook
আগস্ট ২৫, ইনাম আল হকের সাথে এই সচলেরই আরও একজনের জন্মদিন।
এই সুযোগে দুই প্রথিতযশা ব্যক্তিত্বকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে গেলাম।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
, একটু খুলে বলেন ( লুঙ্গি না তাই বলে )
facebook
আইজকা হাঁটুর জন্মদিন।
facebook
কৃতজ্ঞতা অণুদা।
মহাত্মনকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
আর আপনার উনার জীবনী লেখার কাজটি যথাসময়ে শেষ হোক এই কামনা করি।
_____________________
Give Her Freedom!
আমিও
facebook
অনেক মমতাসান্দ্র ভালবাসা নিয়ে লেখা এই স্মতিচারণ খুব ভালো লাগলো।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
আপনার লেখা পাচ্ছি না অনেকদিন !
facebook
চমৎকার লেখা (গুড়)
ইনাম ভাইকে শুভ জন্মদিন। আশা করি উনি শতায়ু হোন
---------------------
আমার ফ্লিকার
আশা করি--
facebook
ধন্যবাদ আপনাকে! অনেক কিছু জানলাম পাখি ও প্রকৃতি পাগল ইনাম আল হক সম্পর্কে। তাঁর জন্মদিনে শুভেচ্ছা রইল আমার তরফ থেকেও!
.........
রংতুলি
facebook
ইনাম আল হককে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
@তারেক অণু, আপনার লেখাটা থেকে ওনার সম্পর্কে অনেক কিছু জানলাম। তার জীবনীটা আপনি লিখছেন জেনেও ভালো লাগলো। এমন উৎসাহজাগানিয়া একজন ব্যক্তিত্ব কিন্তু তাকে নিয়ে ইনটারনেটে তেমন কোনো তথ্য পাই না। গুগল করে উইকিপিডিয়া থেকে কেন তার নামের নিবন্ধটি সরিয়ে ফেলা হবে না, সে বিষয়ক কিছু আলোচনা পেলাম। লিঙ্ক কী দুর্ভাগ্য! এমন মানুষের কথা জানতে জানতেই না এমন হতে চাইবে তরুণরা!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আপনি বললে আমরা এইটা নিয়ে কাজ করতে পারি একসাথে। আর ইনাম ভাইয়ের সাথে কথা হয়েছে সেই পাখির বই নিয়ে, আমরা সমস্ত তথ্যই পাখির বাংলা নাম সহ বাংলা উইকিতে ব্যবহার করতে পারব, রেফারেন্স হিসেবে বইটির নাম দিব।
facebook
শুভ জন্মদিন ইনাম ভাই!
লেখা
আপনার পরের ব্যানার কবে আসবে?
facebook
দারুণ।
ইনাম ভাইকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
facebook
শুভ জন্মদিন, ইনাম ভাই!
সুন্দর লেখা ও ছবির জন্য অণুকে ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা
facebook
শুভ জন্মদিন প্রিয় ইনাম আল হক।
জানুয়ারিতে দেশে আসলে বইলেন, ট্যুর হয়ে যাবে।
facebook
'শুভ জন্মদিন', ইনাম আল হক।
অসংখ্য ধন্যবাদ, তারেক অনু।
facebook
জেলাস !
ক্যান !
facebook
facebook
দারুন লেখা হয়েছে! উপভোগ করলাম উষ্ণ 'মমতাসান্দ্র' স্মৃতিচারণ । ইনাম আল হককে শুভ জন্মদিন!
অঃটঃ আচ্ছা আপনার প্রিয় অভিনেতা (আমারও) গ্রেগরি পেককে নিয়ে একটা লেখা দিন না?
****************************************
আহেন ভাই, একসাথে লিখি!
facebook
শুভ জন্মদিন ইনাম ভাই
...........................
Every Picture Tells a Story
facebook
শুভ জন্মদিন
facebook
ইনাম ভাইকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
অণু, ধন্যবাদ। খুব সুন্দর একটা লেখা, খুব সুন্দর একজন মানুষকে নিয়ে।
facebook
খুব ভাল লেগেছে।
facebook
ঈদের পরদিন বৃষ্টিবাদলের মধ্যেই কেওক্রাডং এ উঠলাম। বারবার আপনাদের কথাই আসছিল; আসছিল আমাদের মতো তরুণদের মাথায় দূর্গম পথে অবলীলায় এগিয়ে যাওয়ার ভূত চাপিয়ে দেওয়া আপনাদের কথা। আপনারাই যে আমাদের অনুপ্রেরণা।
জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই ইনাম ভাইকে।
আর তারেকাণু ভাই, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই অসাধারণ মানুষটি সম্পর্কে আমাদেরকে জানানোর জন্যে।
...
কেওক্রাডং জয়ের জন্য শুভেচ্ছা--
facebook
জন্মদিনের শুভেচ্ছা ইনাম ভাইকে। আশা এবং প্রার্থনা করি যেন শতবর্ষের উপহার হিসেবে আত্মজীবনীটা হাতে পান।
ইমা
facebook
আরো বছর দশেক আগে ইনাম ভাইয়ের সাথে একবার পাখি বিষয়ে চিঠি চালাচালি হয়েছিল। চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় আটকে পড়া একটা বিরল প্যাঁচাকে বাঁচিয়ে রাখতে কিরকম খাবার দেয়া উচিত জানতে চেয়েছিলাম। ইনাম ভাই বোধহয় ইঁদুরের কথা বলেছিলেন। বলাবাহুল্য চিড়িয়াখানার বাজেটে ইঁদুরের কোন জায়গা নেই। কিন্তু আমাকে বার্ডস ক্লাব সভাপতি ইনাম ভাই পাঠিয়েছেন পাখিটার ভালোমন্দ খোঁজ নিতে- এটা শুনে চিড়িয়া কতৃপক্ষের মধ্যে ইঁদুরের খোঁজে যে নড়াচড়া শুরু হয়ে গিয়েছিল তা মনে পড়লে এখনো মজা লাগে।
শুভ জন্মদিন ইনাম ভাই!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
তাই নাকি! মনে হয় পেঁচাটির ছবি আমি দেখেছিলাম, পেটে ডোরা ডোরা পালক। এই নিয়ে একটা পোস্ট দেন না?
facebook
[restrict:সচল][/restrict]
ইনাম ভাইকে শুভ জন্মদিন। কামনা করি যেন ইনাম ভাই ও আপনি (অণু ভাই) উভয়েই যেন শতায়ু হোন।
২০০২ সালে ইনাম ভাইয়ের সাথে পরিচয় হয়েছিল।উনি মানুষ হিসেবে খুবই বড় একজন। উনার প্রেরণাতেই হেটেছিলাম তেতুলিয়া থেকে টেকনাফ ২০০২ এর মে-জুন মাসে।
ইফতেখার রনি
সেই হাটার ঘটনা- ছবি নিয়ে পোস্ট করেছিলেন কি?
facebook
এত দিন ইনাম ভাই কে আমিও পাখি বিশারদ হিসাবেই চিনতাম। ধন্যবাদ অনুদা এই গুণী মানুষটি সম্পর্কে বিশদ ধারনা দিয়ে আমাদের আলোকিত করার জন্য।
উতপাখির হৃদয়
কিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট বাদ পড়ে গেছে, পরবর্তীতে আসবে।
facebook
জন্মদিনের শুভেচ্ছা ইনাম আল হক।
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
facebook
বরাবরের জন্য চমৎকার লেখা!!
জন্মদিন এর শুভেচ্ছা ইনাম ভাইকে।( উনি আমার পড়শী )
হা হা, তাই নাকি? তাহলে ঢাকায় আপনি আমারও পড়শি, আমি উনার ওখানেই থাকি দেশে গেলে।
facebook
বহু গুনে গুনান্নিত ইনাম ভাই সম্পর্কে আরও জানতে পেরে খুব ভাল লাগলো আর ওনাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা । ধন্যবাদ অণু ভাই আপনার সুন্দর উপস্থাপনের জন্য ।
facebook
শুভ জন্মদিন ইনাম ভাই !!
চমৎকার গুরুদক্ষিনা অনুদা !!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
facebook
ইনাম আল হক কে জন্মদিনের শুভেচ্ছা আর আপনাকে ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা লেখার জন্য। ভাল থাকবেন ভাইয়া।
facebook
জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো পথিকৃৎ ইনাম আল হক এর জন্য । শুভকামনা তাঁর পথচলায় ।
উনি একজন সত্যিকারের পথিকৃৎ
facebook
তাঁর সম্পর্কে অনেক অনেক গল্প শুনি, অনেক অনেক বছর আগে থেকেই মনে খুব বড় একটি আশা নিয়ে আছি, একদিন মানুষটার সঙ্গে কথা বলবো... কিন্তু সাহস বা সুযোগ হয় নাই কখনো...
জন্মদিনের শুভেচ্ছা
লেখাটি অনেক ভালো লাগলো অনু
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
শীঘ্রই দেখা হবে, খুব শীঘ্রই
facebook
ইনাম ভাই এর জন্যে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
আমরা আফ্রিকার প্ল্যান করছি কয়েক বছর ধরেই, দেখি আপনাকে সিস্টেম করা যায় নাকি।
facebook
আহা
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
লাফায়েন না মিয়া ! আপনি লাফালে আমার সন্দেহ লাগে-
facebook
উফফ ভালু মানুষের কোন দামই নাই
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
facebook
অনু ভাই খুব ভাল লাগলো লেখাটি পড়ে। ইনাম ভাই এর তুলনা উনি নিজেই। উনি যখন কথা বলেন মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুধু শুনতেই ইচ্ছা করে। সত্যি নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে হয় উনার সাথে সবসময় কাজ করতে পেরে। অসাধারণ লিখেছেন। শতায়ু কামনা করছি।
ইনাম ভাই এর তুলনা উনি নিজেই।
facebook
শ্রদ্ধায় মাথা নত হয়ে আসছে ।উনাকে আগেই চিনতাম কিন্তু আজ আসল মানুষ টাকে জানলাম ।
ধন্যবাদ ।
অনেক অনেক কিছুই বাদ পড়ে গেছে, পরে লিখবার আশা রাখি।
facebook
মোটামুটি নিচ্চিত হলাম, বছরের এই সময়টার দিকে বসরাই জন্মায়।
হা হা, আপ্নিও একই সময়ের?
facebook
সাত নম্বর ছবিটা কি modi khola valley ?
কালীগণ্ডকীর তীরে, মনে হয় কালাপানির পরপরই।
facebook
তাইলে তো মনে হয় আপনে "অন্নপূর্ণা সার্কিট" trekking করসেন, তাই না?
কিছু অংশ- জমসম থেকে নিচের দিকে বেনি পর্যন্ত। একদিন পুরোটা করার ইচ্ছা আছে।
facebook
ইমানে কইতেসি.... যদি অন্নপূর্ণা সার্কিট - এ যান কয়েক মাস আগে থেকে একটু জানায়েন .......
ওডিন দার সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেন, পরিকল্পনা উনার।
facebook
শুভ জন্মদিন প্রিয় পাখি বিশারদ!
facebook
খুব খুব ভালো লেগেছে। লেখা পড়তে গিয়ে আমিও যেন এনাম ভাইয়ের স্মৃতিতে ফিরে এসেছি। এনাম ভাই কে খুব মনে পরছে, অসাধারন মানুস একটা..................
facebook
খুব ভাল লাগলো লেখাটি পড়ে
facebook
নতুন মন্তব্য করুন