ভিনগ্রহের তেপান্তর পাড়ি দিয়ে আমাদের যান ছুটে চলেছে, রাস্তার দুপাশেই বরফের মুকুট পড়া আকাশের গায়ে হেলান দিয়ে দাঁড়ানো সুউচ্চ পর্বতের দল, উপত্যকাগুলোতে ছাড়া ছাড়া ভাবে চোখে পড়ছে পশুপালকদের সাময়িক আবাস, কাদা আর খড় দিয়ে কোন মতে দাড় করানো কুঁড়ে, হাজার বছরের বহমান জীবনধারা, কঠিন শিলা চিরে বেরিয়ে আসা খরস্রোতা জলধারা, আর অপার্থিব নির্জনতা।
তখন আমরা চার হাজার মিটার উচ্চতায় পৌঁছে গেছি, বাতাস ভীষণ পাতলা, অক্সিজেনের স্বল্পতায় অনেকেরই মাথাব্যাথা দেখা দেয়, সহযাত্রী হুয়ান ভিদাল সেই ঠ্যালাতে গোটাকয়েক ব্যাথা দূর করার ট্যাবলেট খেয়ে ঘুমাতে লাগল বাসের সীটেই গুটিসুটি মেরে, গন্তব্য বহু দূরের এক ইনকা গ্রাম, নাম তার রাকচি , সেখানে অল্পক্ষণ থেকেই যাওয়া হবে পুনো শহরে, যার পা ছুয়ে যাচ্ছে টিটিকাকা হ্রদের ফেনিল জলরাশি। এর মাঝে বিশ্বের সেরা বাসহোস্টেস ( বাসবালা হবে কি বাংলায়!) ম্যারিয়েল্লা স্যালাস মোহিনী হাসির ঝঙ্কার তুলে বলল- প্রস্তত হয়ে পড় বন্ধুরা, মিনিট পনেরর মাথায় বাস থামবে, তখন আমরা পৌঁছাব যাত্রাপথের সবচেয়ে উঁচু জায়গাতে, প্রায় ৪৫০০ মিটারে!
মানে আরো পাতলা বাতাস, আরও খাবি খাওয়া! সেটা নিয়ে এত সোরগোলের কি আছে! কিন্তু ম্যারিয়েল্লা নিটোল মুখ ভর্তি দেখি দুষ্টুমির হাসি, চোখ মটকে জানাল- ইনকাদের এলাকাতে এসেছ, আর তাদের বাজার না দেখেই চলে যাবে! বাজার? রাকচি তো এখনো ঢের দূর শুনলাম! তা সত্য, কিন্তু সবচেয়ে উঁচু জায়গাতিতেই অল্প খানিকতে জায়গা জুড়ে আছে রঙ ঝলমলে এক ক্ষুদে ইনকা বাজার, সেখানেই নাকি বাস থামানো হবে মিনিট বিশেকের জন্য।
পেরুভিয়ান আন্দেজের এই অংশ যেন পটের নিখুঁত চিত্রকর্ম, কোথাও কিছুর কমতি নেই প্রকৃতিতে, ঠিক যেমন কিছুর বাড়তি নেই। এখানেই যেন মানায় আন্দেজের আকাশ ছোঁয়ার স্পর্ধা, বিস্তৃত চারণ ক্ষেত্র, অসীম আকাশের মিলন। দেখা হচ্ছে চলন্ত অবস্থাতেই লামার দলের সাথে, তাদের সাথে মিশে আছে আলপাকা আর ভিক্যুনা। এই তিন জাতির উটকেই পোষ মানিয়ে গৃহপালিত প্রাণীতে পরিণত করতে সক্ষম হয়েছিল এই অঞ্চলের আসি বাসিন্দারা। শুনলাম, লামারা একটু বেয়ারা গোছের অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয়, তারা অনেক বেশী ঠাণ্ডা সহ্য করতে পারে অন্যান্য জাতভাইদের তুলনায়, প্রায়ই নাকি একাকী চূড়ার উপর উঠে পড়ে! নিচ থেকে দেখা যায় কোন গোত্রপতি যেন খবরদারি করছে সবার উপরে, এই নিয়ে অবশ্য স্থানীয়দের মাঝে চালু আছে নানা লোকগাথাও।
দূর থেকে কু ঝিক ঝিক রেল গাড়ীকে যেতে দেখলাম, গায়ে লেখা Peru Rail, একেবার সিনেমার দৃশ্যর মত।
বাস থামতেই বরাদ্দ ২০ মিনিটের সর্বোচ্চ ব্যবহার করার জন্য লাফিয়ে বেরোতে হল, সাথে সদ্য ঘুম ভাঙ্গা মুখ ফোলানো হুয়ান ভিদাল, কিন্ত পাড় বদমাশ ইয়াইয়াস সেরণা এই যাত্রা ঘুমিয়েই কাটাল বাসে, তার যুক্তি- বড্ড ঘুম পাচ্ছে, আর খবর পেয়েছি এখানে কোন শুঁড়িখানা নেই,কি দরকার খামোখা নামার! তারচেয়ে যুৎমত একটা ঘুম দিয়ে ফেলি, বড্ড ক্লান্ত পথের ধকলে!
উচ্চতম স্থানের নাম এবং উচ্চতা শোভা পাচ্ছে এক সাইনবোর্ডে,
তার একপাশে বাজার, কিন্তু দৃষ্টি চলে গেল দূরের এক অপূর্ব পর্বতশিখরে, সেখানে কি তখন বৃষ্টি হচ্ছিল? নাকি যাযাবর মেঘেরা আলতো ছুয়ে যাচ্ছিল আদুল পাথর বাতাসের সাথে সাথে, কেন জানি মনে হলে এই ধরনের পর্বতকেই আত্মাপর্বত ( Soul Mountain) বলে, জড়পাথর স্তূপটি যেন এক আলাদা অস্তিত্ব, কোন মায়াবলে আপাত থেমে আছে বটে কিন্তু আমাদের সকলের আকর্ষণ কেড়ে নিচ্ছে অনায়াসে।
পাশেই রঙধনু নেমে এসেছে আকাশ থেকে, ভূমি স্পর্শ করেই সে পরিণত হয়েছে ইনকাবস্ত্রে, সুক্ষ রঙিন বস্ত্রের উজ্জলতায় চোখ যেন ঝলসে যায়, এই অঞ্চলের মানুষ অনেক আগে থেকেই রঙ ঝলমলে পোশাককে ভালবাসে, জীবনের মতই।
কমনীয়তায় মখমলকে হার মানানো এক কাপড় সম্পর্কে উৎসাহী হয়ে শুনলাম সেটি আলপাকার পশম দিয়ে বোনা হয়েছে ইনকাদের নিজস্ব তাতযন্ত্রে। ভেজালহীন আলপাকার পশম বেশ দুর্মূল্য, প্রায় হাজার ডলারে বিকোয় প্রতি কেজি! সেই মহামূল্যবান পোশাকের উৎস দেখি চোখের সামনে জলজ্যান্ত ঘুরে বেড়াচ্ছে আর আদুরে ভঙ্গিতে ইতিউতি তাকাচ্ছে! সত্যিকারের আলপাকা!
লামার তুলনায় বেশ খর্বাকৃতির, আবার ভিক্যুনার তুলনায় মাংসল দেহ, গোটা চামড়া ঢাকা পাকানো পশমে, বেশ কৌতূহলী লক্ষ্মী ছেলের মত বাজারের ফাঁকফোঁকর দিয়ে হেঁটে বেড়াচ্ছে, একেবারে বড় মাপের একটা পুতুলের মত।
হয়ত আমাদের সবার চোখ তার চামড়ায় সেঁটে আছে বুঝতে পেরেই মনে করলেন একটু বিনোদন দেওয়ায় যাক , বেচারারে এসেছে কত দূর দেশ থেকে, বাড়ী যেয়ে গল্প করতে পারবে- এই মনোভাব থেকেই যেন পাথুরে মাটিতে গড়াগড়ি দেওয়া শুরু করল! সাথে সাথেই তাকে ঘিরে শুরু হয়ে গেল ক্যামেরাবাজদের ক্লিক, ক্লিক।
ভেড়াশাবক কোলে নিয়ে দাড়িয়ে ছিল এক কেচোয়া ইন্ডিয়ান বালিকা, তখনই স্প্যানিশ আয়ত্তে আসে নি তার, সাথে বড় ভাই, দুজনেরই পরনে ছিল ঐতিহ্যবাহী ইনকা পোশাক, মাথায় হাতে বোনা টুপি। বোবা চোখ মেলে তাকিয়ে আছে পর্যটকদের দিকে, তাদের সাথে সামান্য অর্থের বিনিময়ে ছবি তোলা যাবে
। ফ্রেমবন্দী করা যাবে আন্দেজের সন্তানদের সাথে অতিবাহিত অবিস্মরণীয় মুহূর্তটুকু, দেশে ফিরে ফেসবুক-ফ্লিকারে আপলোড করলে হয়ত নিজের কাছেই স্বপ্ন মনে হবে- সত্যিই কি একদিন এখানে ছিলাম? কুড়ি বছর পর মনে হবে সেটি একটি ইতিহাসে অংশ, কিন্তু ছবির ইনকা বালক- বালিকার? তাদের তো বয়স বাড়ে না, কি করছে তারা এখন! সেই রঙিন পোশাক গায়ে চাপিয়ে কষ্টের হাসি দিয়ে এখনো ছবি তুলেই যাচ্ছে পর্যটকদের সাথে, নাকি তাদের বংশধরেরা দখল করে নিয়েছে সেই স্থান!
কিন্তু লোভী নয় তারা, কোন দাবী নেই সেই কচি মুখে। ছবি তুলে যা দিবেন তাতেই খুশী, ক্যামেরার শ্যাটার একবার পড়ুক বা শতবার, বিনিময়ে পেরুর কিছু খুচরো সোলেস দিন বা কড়করে ডলারের নোট, তারা প্রতিবাদ করবে না, দাবী জানাবে না , কেবল কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করবে মিটি মিটি হেসে। খুকিটির তো দেখলাম এক পর্যায়ে হাত আর পকেট মিলিয়েও খুচরো পয়সা রাখার জায়গা নেই, সলজ্জ হাসি দিয়ে মায়ের কাছেই রাখতে গেল হয়ত।
হুয়ানের শখ হল অন্য সবার মত ইনকা শিশুদের সাথে ছবি তো তুলবেই, গৃহপালিত আলপাকার সাথেও গলা ধরে একটা ছবি তুলবে! আমার কেন জানি তখন আগের রাতেই পড়া টিনটিনের সূর্যদেবের বন্দীর কথার মনে হচ্ছিল ( পথে থাকলে সবসময়ই টিনটিন আমার সঙ্গী, পড়িও এলাকা বুঝে- কাঠমান্ডুতে তিব্বতে টিনটিন, মধ্য ইউরোপে অটোকরের রাজদণ্ড, সান সালভাদরে বিপ্লবীদের দঙ্গলে, আর এখন ইনকা এলাকায় বলে মমির অভিশাপ আর সূর্যদেবের বন্দী) , বললাম- লামারা কিন্তু বিরক্ত হলে জল ছুড়ে দেয় মানুষের মুখে,অনেকে বলে থুতুও দেয়! হুয়ান বলে- এরাতো আলপাকা, খুবই নিরীহ। হুম, কিন্তু আর বললাম না যে লামা সুযোগ পেলেই ক্যাপ্টেন হ্যাডকের দাড়ি চিবোত! ছবি তোলা শুরু করলাম,
কয়েক সেকেন্ড পড়েই অন্য দিকের জল ভরা পোয়াতী মেঘেরা পাহাড় ডিঙ্গিয়ে এসেই পড়ল নাকি না তা দেখার জন্য সেদিকে ঘাড় ঘুরিয়েছি শুনি হুয়ানে উদ্বাহু চিৎকার সাথে উচ্চকণ্ঠের হাসি মিশে আছে, মানে হাসতে হাসতে চিৎকার করছে সে সাহায্যের জন্য!
কি ঘটনা? আর কিছুই না, তৃণভোজী আলপাকাটির সাথে বেশী ঘনিষ্ঠ হয়ে বসেছিল হয়ত, তার ঘন কালো কোঁকড়া চুল দেখে উৎসুক প্রাণীটি একটু চিবিয়ে পরখ করতে গিয়েছিল- এই আর কি! আফসোস, সেই বিরল মুহূর্তের ছবি পেলাম না, যখন আলপাকার দাঁতের মাঝে ছিল হুয়ানের চুল!
এই ফাঁকে দেখি ম্যারিয়েল্লা দেখি খোশ গল্প জুড়েছে ইনকা শিশুদের সাথে, সবাই-ই কেচোয়া ভাষায় অনর্গল কথা বলে যাচ্ছে।
দু-একটা প্রশ্ন করে টুকটাক কিছু তথ্য জেনে নিলাম, সবাইই খুব বিরক্ত রাজনীতিবিদদের উপরে, তারা মহাদুর্নীতিবাজ ( মায়ের কাছে মাসীর গল্প, বাংলাদেশে গেছ কখনো?) আর পেরুর ক্ষমতার মূলত আছে এখনো জাপানীজ বংশোদ্ভূত পেরুভিয়ান ( আলবার্তো ফুহিমোরি প্রেসিডেন্ট ছিল, এখন পার্টির প্রধান তার মেয়ে কেইকো) আর শ্বেতাঙ্গদের হাতে, পেরুর আদিবাসীদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের ক্ষেত্রে নজর নেয় কারো। পর্যটকদের কারণে হয়ত কিছু কিছু মানুষের কর্মসংস্থান হচ্ছে এই দুর্গম এলাকাতেও কিন্তু সেটা না হলেই মহাবিপদের সম্মুখীন হবে আদিবাসীরা।
অনেক কষ্টে পুঁজি জোগাড় করে এই ব্যবসা চালায় তারা, বাস থামলেই যে সবাই কিছু কিনে তা তো নয়, তাই লাভ হয় খুবই সামান্য। তারপরও চলে যাচ্ছে সংগ্রামময় জীবন।
সময় পেরিয়ে যাচ্ছে মহাকালের সাথে পাল্লা দিয়ে, কয়েক মিনিটের ব্যাপারই মাত্র, জায়গাটির বিভিন্ন অবস্থান থেকে আরও কটি মুহূর্ত ফ্রেমবন্দী করে আবারো--- যাত্রাপথে!
( এই লেখাটি আমার অনেক বছরের পুরনো বন্ধু মৌরিন মেহজাবীন চৌধুরীর জন্য, যার সাথে আমার দেখা হয় নি কখনোই কিন্তু তার উৎসাহবাণী ভেসে আসে অন্য সকলের আগে নেটের মাধ্যমে বিশ্বের সকল প্রান্তে! সে আমি মেক্সিকোর শ্বাপদ সংকুল অরণ্যেই থাকি, বা বসফরাসের তীরে, বা ল্যাপল্যান্ডের নির্জনতায়, জনারণ্য প্যারিসে বা জনবিরল আন্দেজে। ধন্যবাদ মৌরিন, সবসময় পাশে থাকার জন্য।। )
মন্তব্য
ভাই, এইবার একটু বিশ্রাম নেন না, আর কত ঘুরবেন? আপনার ভ্রমন কাহিনী পড়তে পড়তে আমিই তো ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছি। এতো এনার্জি পান কি খেয়ে কন তো।
পপ্পন ( খবরদার বেশী খাবেন না, ক্যালোরি মারাত্নক বেশী! )
facebook
দারুণ,অনেক গল্পের বইয়ে পড়ার কারণে হয়তো আন্দেজ পর্বতমালার নামটা শুনলেই অ্যাডভেঞ্চারের ইচ্ছা জেগে উঠে,ছবিগুলো দেখেই শখ মিটালাম আপাতত।
কথা সত্য, আন্দেজ নামটা শুনলেই উড়াল দিতে ইচ্ছা হয়।
facebook
এমন কোন নাম আছে যেটা শুনলে আপনার একটু বসতে ইচ্ছে করে ?
গণভবন
facebook
- কন্ কী...
আর হাওয়া ভবন শুনলে মনে হয় অন্য দিকে দৌড় দি!
facebook
আন্দিজ-হিমালয়ের হাওয়া খাওয়ার পরে তো আর খাম্বায় উইঠা হাওয়া খাওয়ার মানে অয় না...
ঠিক ঠিক
facebook
facebook
ভাই যতই ঘুরেন, "চাঁদে টিনটিন" আর "চন্দ্রলোকে অভিযান" এই বই দুইটাতো মনে হয় আপনার ঘরেই পড়ে থাকবে, হে, হে, -- নাকি সেই প্ল্যানও আছে ??
চরম লেখা আর ছবি, আপনারে মেলা দিন ইটা দেই না --
লন ইটা
ইটা
লন লন ভাই, ইটা লন।
-- রামগরুড়
পেলান তো আছেই, কিন্ত বাস্তবায়ন দূর অস্ত, হে হে
facebook
মাঝে মাঝে মনে হয় সব ছেড়ে বেরিয়ে পড়ি কম্বল সম্বল করে, কিন্তু পকেটে যে কিছু নাই!!!
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
কম্বলই বেশী জরুরী!
facebook
আহা রে শুধু কম্বলেই যদি হইতো!
না, আর না, একটা ভালো স্পনসর পাইলেই বাইরইয়া পড়ি। সচলে আছেন কেউ? থাকলে কইযেন।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
সবার আগে আমার স্পন্সর চাচ্ছি, তুলি দি সহ কে কে আছেন- খয়রাত শুরু করুন-
facebook
আপনেরা বোকাসোকা মানুষ, তারেক অণুর পোস্ট পইড়া আহ্ উহ্ করেন। আমি ছোটবেলা থেকেই মারাত্মক প্রতিভাবান, তিন কেলাশ লাফ মাইরা ফোরে ভর্তি হইছিলাম। সচলায়তনের কুচক্রী মডুমহলের কাহিনী আমি প্রথম থিকাই বুইঝা ফালাইছি। তারেক অনু নামে আসলে কেউ নাই, সবই ফক্কা। চরম উদাস, অনার্য সঙ্গীত, হিমু সহ আরো কয়েকজন মিলা পালা কইরা পোস্ট লেখে, আর ছাইড়া দেয় তারেক অনুর নামে। অন্তর্জালে তো আর ছবির অভাব নাই, তার উপ্রে আছে ফটোশপ। আবার দেখেন কি সুন্দর নিজেরা আইসা কমেন্ট কইরা যায়। এমনকি অনুরে নিয়া পোস্ট পর্যন্ত দিয়া দেয়! আপনেরা মিয়া গদোগদো হইয়া কমেন্ট দ্যান, মডুলাসরা পেট চাইপা হাসে!
এতো বোকা হলে চলে?
সাব্বাস! আপনেই বুঝলেন
৫ তারা কমেন্টে!
facebook
-বেচারাথেরিয়াম
facebook
এই তাইলে কাহিনি। আমিতো ভাবছিলাম অণুদা এলিয়েন। দুনিয়াতে আসছে কোন গোপন উদ্দেশ্য নিয়ে।
আইছি একা, যামু একাকাকাকা
facebook
আপনি তো একাই, মাঝে মাঝে খালি একটু দোকলা ছবি তুলেন
তাই নাকি! কখন তুল্লাম
facebook
এই বিষয়ে আমার একটা বিকল্প থিউরি আছে। তারেক অনু হলো সুলিখিত একটা বট্। এর তিনটি মডিউল। প্রথম মডিউলটি দুনিয়ার সব ব্লগ ঘেঁটে ভ্রমন কাহিনী গুলো বের করে। দ্বিতীয় মডিউল বাংলাতে তার ভাবানুবাদ করে, ফ্লিকারে সংশ্লিষ্ট ছবিগুলো আপলোড করে এবং যথাস্থানে লিংক জুড়ে দেয়। তৃতীয় মডিউলটি অপেক্ষাকৃত জটিল প্রকৃতির, অগমেন্টেড বাই AI, ইউ নো। এটার কাজ হলো পাঠকমন্ডলীর মন্তব্যের বুদ্ধিদীপ্ত জবাব দেয়া।
এই ধুরন্ধর বট্ অন্যান্য ব্লগেও ভিন্ন নামে পোস্ট করে বলে আমার ধারনা। এ বিষয়ে তারেক অণু ভাইয়ের কি মতামত?
বট্
facebook
হি হি হি।।।
facebook
লেখা- ছবিতো বরাবরের মতই চমৎকার সেই সাথে আপনার উৎসর্গপত্রগুলো অনন্য অসাধারণ।
ধন্যবাদ, আসলে সেই মানুষগুলো অসাধারণ --
facebook
অণু, এই লেখাটি আরেকটু দীর্ঘ পরিসরে সাজাতে পারো। চাইকি তোমার ইনকা সভ্যতা নিয়ে লেখাটিকেও এঁর সাথে জুড়ে দিয়ে কয়েক ফর্মার একটি বইয়ের আদল দিতে পারলে সেটি বাংলায় লেখা একটি মূল্যবান ভ্রমণকাহিনী হবে বলেই আমার ধারণা।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
ধন্যবাদ ভাই, সবগুলো মিলিয়েই আপাতত একটা সংকলনের চিন্তা চলছে।
হয়ত ভবিষ্যতে আবার ঐ দিকে যাওয়া হলে কেবল ল্যাতিন আমেরিকা নিয়ে একটা আলাদা সংকলনের চিন্তা করা যেতে পারে।
facebook
ইনাকা নিয়ে লেখা আপনার আগের ব্লগ পড়ার সময় এইরকম অনুভূতি হচ্ছিল। পৃথিবীর সমস্ত শান্তি যেন সেখানে।
খুকি আর ভেড়ার ছবিগুলোও ভীষণ কিউট।
তাই তো বলি আপনার টিনটিন এর এত কিছু মনে থাকে কি করে। গতবছর আরেকবার পড়েছিলাম সবগুলো। তাও আপনার মত এত খুঁটিনাটি মনে থাকে না।
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
শান্তি আছে কিনা বলা দুষ্কর, মানুষ এত বেশী শোষণ করেছে এবং করছে তাদের।
টিনটিন তো সবসময়েরই সঙ্গী।
facebook
ব্যানার কই!
facebook
আপনার তোলা ছবি দিয়ে সারাজীবন ধরে ব্যানার করা যাবে যদি করতে দেন
ফান না - অণু কিছু আইডিয়া দিয়েন্তো ব্যানার এর ।
কি কথা!
আসেন, পরিযায়ী পাখি দিবসে যাযাবর পাখিদের নিয়ে একটা ব্যানার করা যাক, অথবা পর্বত নিয়ে, এডমুন্ড হিলারিকে নিয়ে, চে, সুমেরু, মাচুপিচু-- শুধু বলেন!
facebook
দক্ষিণ আমেরিকা সিরিজ কি শেষ ?
নাকি আপনার ঝুলিতে আরও কিছু আছে ??
না না, সবে শুরু!
facebook
খুব যেতে ইচ্ছে করছে ছবিগুলো। অনেক সুন্দর। ওই রঙিন জামাকাপড় গুলো দারুন সুন্দর।
তা তো বটেই---
facebook
খুব যেতে ইচ্ছে করছে ছবিগুলো। অনেক সুন্দর। ওই রঙিন জামাকাপড় গুলো দারুন সুন্দর।
facebook
উদাস হইয়া গেলামগো দাদা, আপনেরে বাইন্ধা রাখুম ভাবতেছি
--বেচারাথেরিয়াম
আমি উদাসসসসসস হয়ে বসে আছি আছি-
facebook
ওয়াও!!
দ্রোণ মৈত্র
facebook
আলপাকা টাকে আমার খুবই পছন্দ হইছে
খুব কিউট
facebook
কি সুন্দর রঙ বেরঙের কাপড় পরে ওরা, দারুণ সব নকশা তোলা! এখন ওরকম কাপড় আমারও পরতে ইচ্ছা করছে...
লেখা, ছবি বরাবরের মতিই
.........
রংতুলি
ঠিক, ওরা খুব বেশী বর্ণিল
facebook
ঠিক এরকম বাহারি রং দিয়ে সাজানো বাজার দেখেছিলাম রাঙ্গামাটিতে, চাকমা রাজার বাড়ির সামনে। অনেকদিন আর সেদিকে যাওয়া হয় নি।
খবরে দেখেছিলাম - সেই রাজবাড়িটি আগুনে পুড়ে গেছে। রংবেরঙের কাপড়ের পসরা আর বসে কিনা কে জানে।
আপনি এতো সুন্দর জায়গাতে ঘুরে বেড়ান, অনেক গুলো বই প্রকাশ করছেন না কেন? এসব লেখা, নানা রকম মানুষের গল্প বই হাতে নিয়ে গরমের দুপুরে মেঝেতে শুয়ে শুয়ে পড়ার মতো। যেন পড়া শেষ করে, বইটা হাতে নিয়ে সেই জায়গাগুলো থেকে কল্পনায় ঘুরে আসা যায়।
বই কিনবে মানুষ? বই কেনার লোক কিন্তু খুব কম দেশে--
facebook
বই কেনার মানুষ আসলেই কমে গেছে। কিন্তু এখনও অনেকেই কাগজের বই হাতে নিয়ে পড়তে ভালবাসে।
আমি সেই দলের মানুষের পক্ষ থেকে আপনাকে অনুরোধ করছি। ভালো, নতুন বাংলা বই এর অভাব এখনও এই দলের মানুষকে কষ্ট দেয়।
আপনি পরীক্ষামূলক ভাবে কিছু প্রিন্ট বের করতে পারেন, যেমন-১০০০ কপি। এই সংখ্যার ভক্ত পাঠক মনে হয় আপনার আছে, যারা বই কিনে পড়বে। অবশ্য আমি জানি না, এতো কম প্রিন্ট বের করা যায় কিনা। বই প্রকাশনী সম্পর্কে আমার কোন ধারণা নেই
১০০০ কপি্ হা হা, বাংলাদেশে ১০০০ কপি বিক্রি হবেই এমন লেখকের সংখ্যা মাত্র ২ জন! এটা অনেক বড় সংখ্যা।
কথা চলছে, আশা করি সামনের বই মেলাতে সম্ভব হবে।
facebook
খুব ভালো লাগলো জেনে
আপনি আসবেন মেলাতে?
facebook
আপনার পোষ্ট পড়লে অস্থির লাগে। পাখা মেলার জন্য ছটফট করি। যে কোন সময় দে উড়াল!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
দেন উড়াল দেন--
facebook
চমৎকার বর্ণনা।
বরাবরের মতই ভাল লেগেছে খুব।
-- ঠুটা বাইগা
facebook
facebook
আমি উত্সর্জন এর জন্য আনন্দিত। শুভেচ্ছা।
সাথে থাকার জন্য বরাবরের মতই
facebook
হৈ মিয়া। এইটা কী বেঠিক শিরোনাম দিছেন? শেষের দিক থেকে তিন নাম্বার শব্দটায় টাইপো আছে, ঠিক করেন। শুরুতে ব বর্গীয় বর্ণের প্রথম বর্ণ বাদ পড়ছে!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
অমানুষিক
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
facebook
আহহা- এইবারের মত ছাড়ান দেন--
facebook
আপ্নে এইসব ছবি কোন সাইট থেকে সংগ্রহ করেন ইট্টু গুপনে জানায়েন তো
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
সিকিরেট!
facebook
facebook
এত শোষণের মধ্যেও চারিদিকে এত বর্ণিল রং ছাড়িয়ে বেঁচে থাকার এই প্রচেষ্টা আসলেই আসাধারন। লেখা আর ছবি নিয়ে কোন মন্তব্য করা নিষ্প্রয়োজন।
এত শোষণের মধ্যেও চারিদিকে এত বর্ণিল রং ছাড়িয়ে বেঁচে থাকার এই প্রচেষ্টা আসলেই অসাধারন। (গুড়)
facebook
পোস্টের বিষয়ে কিচ্ছু বলবোনা। শুধু বলবো, ভাল থাকুন।
ভালো থাকুন আপনিও, ঢাকার সচলাড্ডায় দেখা হবে আশা করি।
facebook
কবে হবে? কবে হবে???????? আমি যাইতে চাই, চাই, চাই, চাইইইইইইইইইইইইইইইই
জানু বা ফেব!
facebook
সবকিছু এই জানু/ফেব্রু তে হতে হবে
ইমা
ভালো পাইলাম, বরাবরের মতো।
facebook
ছবি গুলো বরাবরের মতই ঝাক্কাছ্ হইছেগো দাদা।
facebook
আপনার লেখাটি প্রথম দিনেই পড়া হয়েছিল, মন্তব্য করা হয়ে ওঠেনি। আজ ছবি দেখতে আবার এলাম (মন খারাপ লাগলেই আপনার পোস্টে বেড়াতে যাই) উপরি পেলাম মন্তব্যগুলো। সব মিলিয়ে দারুন।
অনেক অনেক ধন্যবাদ, মন ভাল থাকুক সবসময় কিন্তু মাঝে মধ্যে পইড়েন
facebook
সুন্দর!
ওদের কাপড়ের বুনন আর রং অনেনকটাই আমাদের দেশের আদিবাসীদের বোনা কাপড়ের মতো মনে হচ্ছে।
অনেক অঞ্চলেরই আদিবাসীদের পোশাকে বেশ মিল দেখা যায়।
facebook
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
facebook
বোধ হয় আপনার উন্নতমানের ক্য়ামেরার জন্য়ই, যেসব কাপড় দেখা গেল তার সবগুলোই মোটামুটি চোখ ধাঁধানো আধুনিক রসায়নিক ডাই-এ রাঙানো কাপড়চোপড়। এই সহজ মানুষগুলোও নিস্তার পেলনা।
খুবই খারাপ!
এমনিতে তাদের যে রঙিন সুতো, তার ব্যবহারের ইতিহাস তো বেশ প্রাচীন।। কিন্তু শুরু হয়েছে বিপণনের যুগ
facebook
ভাবছি আপনার পোস্ট আর পড়ব না । বড্ড হিংসে হয় আপনাকে । একেকটা করে পোস্ট পড়ি আর হিংসেয় জ¡লে পুড়ে ছাই হয়ে যাই ।
ছাই থেকে ছাই, ধুলো থেকে ধুলো! জগতের সকল প্রাণী সুখী হউক!
facebook
এইটার নাম আলপাকা? আমিতো দেইখা ভাবছিলাম চলন্ত ঘুরন্ত কম্বল বিশেষ!!
হ, কম্বল কেড়ে নিলেই সে ন্যাড়া!
facebook
হিংসিত!!
অনেকদিন পর দেখলাম!
facebook
আলপাকা তো খুব্বি কিউট একটা প্রাণী !
ইস এদের বুনন করা কাপড়গুলা ভীষণ সুন্দর। পরেরবার গেলে এগুলা গিফট চাই অণু ।
পরের বার! আহা, পরের বার !
facebook
আলপাকা তো আসলেই আদুরে দেখতে। খুব ঝলমলে বুনন। এরা রঙ করে কীভাবে জানেন?
পুরোপুরি জানি না, খবর নিতে হবে
facebook
সুন্দর ছবিগুলো
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
আপনি কোথায়!
facebook
অপরূপ
tomalforex
facebook
নতুন মন্তব্য করুন