এক দিনে আর কতই বা চাওয়া যায় বা পারা যায়, আজীবন দেখতে চাওয়া ডজন খানেক বস্তুর সবগুলোর চাক্ষুষ দর্শন পেয়েছিলাম কয়েক মাস আগের এক বুধবারে লন্ডনে, যাদের মধ্যে আছে রোসেটা স্টোন, রাজা দারিয়াসের সিলিন্ডার, স্ফটিক খুলি, শেক্সপিয়ার, ডিকেন্স ও জেন অস্টেনের একমাত্র পোট্রের্ট, ইস্টার দ্বীপের মোয়াই, ভ্যান গগের সানফ্লাওয়ার, ভিঞ্চির ভার্জিন অন দ্য রক, ফারাও রামসেসের ভাস্কর্য, গুটেনবার্গের বাইবেল, বিটোভেনের চিঠি, শার্লক হোমসের বাড়ী, ওয়েস্ট মিনিস্টার অ্যাবে ইত্যাদি ইত্যাদি অজস্র অগুনতি চিত্রকর্ম আর প্রত্নসম্পদ। কিন্তু মন সবচেয়ে বেশি উৎফুল্ল হয়েছিল চ্যারিং ক্রসের এক পুরনো বইয়ের দোকানে!
হন হন করে হেটে চলেছি, কিন্তু পুরনো বইয়ের দোকান দেখলেই যা হয়, ঝা করে ঢুঁকে পড়ে জিজ্ঞাসা করলাম ডেভিড অ্যাটেনবোরো আর জেরাল্ড ডারেলের বই আছে নাকি, শুভ্র কেশের ভদ্রলোক নাকের ডগায় চশমা নিয়ে বললেন, ডেভিডের একটা বই এসেছিল বটে গত সপ্তাহে, বেশ পুরাতন কিন্ত মলাটটি নয়নকাড়া, তুমি চাইলে খুজে দেখব কিন্তু সময় লাগবে। বলে ফেললাম, আমার হাতে সারাদিন আছে ডেভিডের বই হল, মনে মনে ভাবছি কোন বই আর হবে লিভিং প্ল্যানেট না হয় লাইফ অন আর্থ। এগুলোই দেখি সবখানে, কেনাও হয়েছে একাধিকবার, উপহার হিসেবে ডেভিডের বই বা ডিভিডির চেয়ে ভাল কি আছে?
কিন্তু সে নিচের এক স্তূপ থেকে বাহির করল ১৯৫৮ সালে ছাপা জু কোয়েস্ট টু গায়ানা~ যার ছবি কেবল নেটেই দেখেছি এতদিন, কোনদিন হাতে নিব চিন্তাও করিনি! উৎফুল্লতার তোড়ে হতভম্ব হয়ে কেবল বিড়বিড় করে বললাম, আশা করি খুব একটা দামী নয়। এদিকে মুখ তো জ্বলে উঠেছে হাজার পাওয়ারের বাল্বের মত, ভাবছি ব্যাটা তো দাম ২০ গুণ চেয়ে চাইবেই, ঘোড়েল বিক্রেতা! কিন্তু দাঁত বাহির সে বলল, এক পাউন্ড দাও, এই বইয়ের জন্য এটি এমন বেশি কিছু দাম নয়!!! পরে আর কিছু খেয়াল নেই, শুধু বইটি বগলদাবা করার আনন্দে মনে মনে হুটোপুটি খেয়েছি সারা দিন!
ডেভিড অ্যাটেনবোরোর Zoo Quest to Guyana পড়ে কেবলমাত্র শেষ করলাম, দুর্দান্ত সবকিছুর বিচারেই। ল্যাতিন আমেরিকার দেশে ব্রিটিশ গায়ানাতে চিড়িয়াখানার জন্য জন্তু সংগ্রহ এবং ভিডিও করার জন্য গিয়েছিলেন তিনি পঞ্চাশের দশকে- সেই সময়ের বুনো প্রকৃতি, অপাপবিদ্ধ মানুষ, আর রোমাঞ্চময় পথের কথার আছে পাতায় পাতায়, সেই সাথে জেরাল্ড ডারেলের মত রসবোধ। কি করে তারা কুমির ধরলেন, স্লথের সাথে মোলাকাত হল, ডেভিড মুখে রুটি চিবিয়ে তা মুখে থেকেই তোতার ছানাকে খাওয়ালেন, মৎস্যকন্যা ম্যানাটির দেখা মিলল, কামড় খেলেন রক্তচোষা বাদুরের তা জানতে হলে বইটি পড়তেই হবে আপনার!
এখানে কেবল কয়েকটা ঘটনা ভাগাভাগি করছি সবার সাথে। তখন খৃস্টান মিশনারিরা কেবল গিয়েছে দেশটাতে- যেয়েই চার্চের নামে সেই ধর্মের কব্জায় নিয়েই প্রথমেই সবার রেড ইন্ডিয়ান নাম পরিবর্তন করে খৃস্টান নাম দিল গণহারে, সেই এলাকায় লাব্বা নামে এক রোডেণ্ট ( গিনিপিগ জাতীয় প্রাণী) পাওয়া যেত যা ছিল স্থানীয়দের প্রিয় খাদ্য, কিন্তু মিশনারিরা নিষেধ করেছিল সেই প্রাণী না মারতে। একবার এক ইন্ডিয়ান ধরা পড়ল বনের মাঝে মজাসে এক লাব্বা ঝলছে খাবার সময়, তাকে গির্জার ফাদার বলল- তোমাকে তো নিষেধ করেছিলাম লাব্বা মারতে! ইন্ডিয়ান বলল- হে ফাদার, এটি একটা মাছ! ফাদার অবাক হয়ে সেই ঝলসানো দেহ দেখে বললেন- বিশ্বের কোন মাছের মুখের সামনে এত বড় বড় দুটো দাঁত থাকে না! তখন ইন্ডিয়ান চটে গিয়ে বললেন- দেখ ফাদার, তুমি এই দেশে এসেই বললে আমার ইন্ডিয়ান নাম ভাল না, মাথার উপরে পানি ছিটিয়ে আমার নাম দিলে জন, মেনে নিলাম। আজ এই লাব্বাকে মেরে আমি বলেছি, তোর নাম ভাল না, তার উপর পানি ছিটিয়ে নতুন নাম দিলাম- মাছ!!
আরেকটি অসাধারণ ঘটনা বলেছেন মাকুসি গোত্রের এক তরুণকে নিয়ে, যে কয়েকদিন শহরে যেয়ে গির্জাতে ঘোরাঘুরি করে হঠাৎ তার গ্রামে ফিরে আসে এবং জানায় এক দিব্য মূর্তি তাকে দর্শন দিয়েছে, যার নাম ছিল পাপা! পাপাই সত্যিকারের ঈশ্বর, তিনি মানুষদের বলেছেন প্রার্থনা করতে তার করুণা লাভের জন্য। সেই ধর্মের নাম হয়ে গেল হ্যালেলুইয়াহ ধর্ম! এবং হাজারে হাজারে রেড ইন্ডিয়ান তরুণ সেই ধর্ম গ্রহন করল। পাপা এও বলে ছিলেন- একদিন সাদা মানুষেরা আসবে, একই ধরনের ঈশ্বরের ভ্রান্ত ধারণা এবং তাদের ধর্মের বই নিয়ে, কিন্তু তাদের সবকিছুই ভুল! ( হা হা, ব্যাটা মাকুসি ছিল বাঘের উপরে টাগ, মহা ধড়িবাজ),
এই প্রসঙ্গে মনে পড়ছে বাংলাদেশের মুরংদের মধ্য থেকে আরেকটা জাতিগোষ্ঠীর উদ্ভব হয়, ম্রো। উপকথায় আছে দেবতা একবার জাতিগুলোর মধ্যে ভাষা বন্টন করার জন্য একজন করে প্রতিনিধি ডাকে, ম্রোরা একটি গরুকে পাঠায় ভাষা আনতে। দেবতা কলাপাতায় লিখে দেয় বর্ণমালা। পথে ক্ষুধা পেলে গরু সেই কলাপাতা খেয়ে ফেলে। তাই ম্রোদের কোনো বর্ণমালা নেই। আর সেই দুঃখে ম্রোরা বছরের একদিন গরুমারা উৎসব করে। আর মদ খায়।
গতশতকের আশির দশকে মেনলে ম্রো নামে এক তরুণ, যে কি না ছোটবেলা থেকেই বেশ উদাসীন টাইপ, পাহাড়ে জঙ্গলে ঘুরে বেড়ায়, সেই মেনলে একদিন পাহাড় থেকে ফিরে ঘোষণা করে নতুন ধর্মমত... গরু মেরে আর মদ খেয়ে পড়ে থাকলে চলবে না, শিক্ষিত হতে হবে, নতুন বর্ণমালা দেয়। স্কুল দেয়।
এই নতুন মতবাদ যারা মেনে নেয় তাদের নিয়ে গড়ে ওঠে নতুন ধর্মমত, ক্রামা ধর্ম।এরপর একদিন হঠাৎই মেনলে ম্রো আবার নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। কিন্তু ধর্ম টিকে আছে বহাল তবিয়তে। কি অদ্ভুত মিল গায়ানার সেই যুবকের সাথে বাংলাদেশের তরুণের।
হুডিনি নামের এক টাপির পেলেন তারা, মানে টাপির পাবার পরপরই তার ব্যপ্টাইজড করা হল হুডিনি নামে! সে বেচারা দিন নেই , রাত নেই খালি আনারস খায় আর তাই রে নাই রে নাই করে ঘুরে বেড়ায়। মুশকিল বাঁধে রাতের আঁধারে- সে পালিয়ে যায়! রাতে মশাল জেলে সদ্য ঘুম ভাঙ্গা ডেভিড হ্যামক থেকে পড়িমরি করে নেমে হুডিনিকে খুঁজে পান আনারস খাওয়া অবস্থায়!
বলেছেন সাগর গাভী বা ম্যানাটির কথা, যে ম্যানাটি থেকেই মনে করা হয় মৎস্যকুমারীদের গল্পের উৎপত্তি, ইউরোপিয়ান নাবিকরা আমেরিকার উপকূল এই প্রাণীদের বাচ্চাকে দুধ খাওয়াতে দেখেই হয়ত রোদে পোড়া চোখে ভেবেছিল- ঐ যে অর্ধেক মাছ, অর্ধেক নারী! বিশাল অভিযানের পর একটি ম্যানাটি সংগ্রহে সমর্থ হন তারা, যেটি দেখে বন্ধু চার্লস দ্ব্যর্থ ভাবে বলে বসেন- যে নাবিক ব্যাটারা এই বিতিকিচ্ছি জীব দেখে মৎস্যকুমারী মনে করেছে, কোন সন্দেহ নেই তারা অনেক অনেক দিন ডাঙ্গা থেকে দূরে ছিল!
সেই সাথে আছে আশ্চর্য পাখি হোয়াটজিনের কথা, যে পাখিটির ডানার এখনো আছে প্রাচীন পাখিদের মত নখর এবং পাকস্থলীতে আছে একাধিক প্রকোষ্ঠ। ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইঁদুর ক্যাপিবারার সাথে স্থানীয় রেড ইন্ডিয়ান আদিবাসীদের সহাবস্থানের গল্প। তাদের কাছে থেকেই ক্রীড়ারত কয়েকটি ক্যাপিবারা নিয়ে আসেন তিনি লন্ডনে।
তেমনই এক আদিবাসী রমণী চমৎকার এক তোতা পাখির ছানা উপহার দেন ডেভিডকে, সদ্য পালক গজাতে থাকা এতিম বাচ্চাটিকে খাওয়ানোর একমাত্র উপায় ছিল নিজের মুখে রুটি চিবিয়ে ছানা তোতাটিকে মুখের সামনে ধরা, তারপরে সে স্বাভাবিক ভাবেই ডেভিডের মুখ থেকে খাবার ঠুকরে নিত! এমন ভাবে দিনে তিনবার আর কাঁহাতক ভাল লাগে? দিন কয় পরেই অপূর্ব তোতাটি নিজে থেকেই খুঁটে খেতে শিখলে যারপরনাই স্বস্তি পেলেন ডেভিড।
পাৎলা বইটি আমাদের জগতের সেরা অভিযাত্রীর সাথে নিয়ে চলে গায়ানার রোমাঞ্চকর সব অঞ্চলে- কোরাইবোঁ, কারানামবো, তুমেরেং, আরাকাকা, মাবারুমা- এমনতর সব জায়গা যাদের নাম শুনলেই অ্যাডভেঞ্চারের লোভে রক্তে নাচন শুরু হয়ে যায়। তার সাথেই আমরা সামিল হয়ে পড়ি অ্যানাকোন্ডার বাদা থেকে পিঁপড়েভুকের তৃণভূমি হয়ে পিরানহা অধ্যুষিত নদী- সবখানেই। আরও বললে মজা নষ্ট হয়ে যাবে, তাই কষ্ট করে বইটি পড়েই ফেলুন!
ডেভিডকে নিয়ে আগের দুটি লেখার লিঙ্ক এখানে--
http://www.sachalayatan.com/40382
http://www.sachalayatan.com/tareqanu/44496
( এখন পড়ছি জু কোয়েস্টের পরের পর্বের বই যেখানে ডেভিড কমোডো দ্বীপে পা দিয়েছেন ড্রাগনের সন্ধানে! শুনতে চান সেই অভিযান সম্পর্কে?)
মন্তব্য
হেঁ হেঁ, সেই সাথে ডকুমেন্টারিগুলাও দেখে ফেলেন।
...........................
Every Picture Tells a Story
অবশ্যই ! সব ভাজা করেছি, এখন নতুনগুলো জন্য দিন গুনছি।
facebook
ধুরো, আমি আরো ভাবলাম গানা
জ্ঞানা না?
facebook
বইটা পড়ার লোভ লাগিয়ে দিলেন মশাই।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
পড়ে ফেলেন===
facebook
চমৎকার লেখা । বইটাও পড়তে হবে
facebook
পুরোন বইয়ের দোকানে কিছু খুঁজে পেলে ওরকম আনন্দই হয়।
আপানার দারেলের বইটা পড়া শুরুই করতে পারলাম না এখনো ভাইয়া। কবে শেষ করবো- কে জানে
সেই আনন্দের কোনই তুলনা হয় না আসলেই।
হৈ মিয়া, ডারেল, দারেল না ! শুরু করেন, করলেই শেষ না করে থাকতে পারবেন না।
facebook
হ্যাঁ, এই আনন্দের তুলনা হয় বোধহয় হাল ভেঙে দিশা হারানো নাবিক যখন সবুজ ঘাসের দেশ দেখে তখন যে আনন্দ পায়, তার সাথে।
-অয়ন
facebook
অরাধ্য হাসিল করায় আনন্দে মনটা কানায় কানায় ভরে ওঠে আদতেই।
ইয়ে অণু ভাই, আবদারটা যদিও একটু বেশিই হয়ে যায়, তারপরও বলি, শুরু করে দিন না বইটার অনুবাদ কর্ম এই আমাদের জন্য।
আপাতত পারব না রে ভাই, অন্য একটা মোটকা বই অনুবাদে আছি।
facebook
অণু রক্স অলওয়েজ!
লাব্বা, মাকুসি, ম্রো - চমৎকার করে লিখেছেন!
লাব্বা,লাব্বা,লাব্বা,
facebook
মোটকা বই?কোনটা?
ফিদেলের দীর্ঘ সাক্ষাৎকার, ৮০০ পাতার।
facebook
-অয়ন
facebook
(বাংলায়)
facebook
- সবই তো অমুক বাবু-তমুক বাবু লিখে গিয়েছেন, আমি কী লিখবো...
তবে লিস্টি হচ্ছে...
facebook
লিখতে থাকুন। যতখানি সম্ভব আপনার মুখেই চেখে দেখি।
কি কথা!
facebook
দিলেন তো মনের মধ্যে হিংসার আগুন জ্বালায়া - এখন এই বইটা পড়ার ইচ্ছা তীব্র হচ্ছে। মজার ব্যাপার হচ্ছে ওনার বই পড়ার সময়ও আমি ওনার গলা শুনতে পাই (মর্গান ফ্রিম্যানকে নিয়ে এমন একটা অনলাইন মিম আছে)
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
আমিও, ফার্স্ট ইডেন পড়েছেন কি? সেটাও বেশ।
facebook
আপনি কি জু-কো্যেস্ট অনুষ্ঠানগুলো দেখেছেন? ব্রিটিশ কলোনির দুরদুরান্ত থেকে বন্য়প্রানীদের ধরে এনে লন্ডনের চিড়িয়াখানা্য পুরে রাখার বিষয়টা একজন প্রকৃতিপ্রেমিক উপনিবেশবিরধী হিসাবে আপনার কেমন লাগে?
যে ৫৫-৫৮ সালে এটেনবুড়ো রুটি চিবিয়ে টিয়াপাখির বাচ্চা পালতে ব্য়াস্ত, গায়ানায় সে সময়টা আমাদের ৬৫-৭১ এর মতই উত্তাল। চেদি আর জ্য়ানেট জগন তখন নির্বাচনে জিতেও ঔপনিবেশিক শক্তির কাছে নাস্তানাবুদ। জঙ্গলের দিক থেকে ক্য়ামেরা জর্জটাউনের দিকে ঘোরালে সে আরো দরকারি কিছু জিনিস দেখতে পেত।
জু কোয়েস্টের অনুষ্ঠানগুলো ছিল এই ধরনের প্রথম অনুষ্ঠান, সেই সময়ে স্টুডিওতে বা খাঁচায় প্রাণী দেখানোর এই প্রথাটাই চালু ছিল, যেখান থেকে আস্তে আস্তে উত্তরণ ঘটেছে এখনকার প্ল্যানেট আর্থ তথ্যচিত্রের। ডিয়ান ফসি কিংবা জেন গুডাল প্রথম প্রথম খাবার দিয়ে হাত করার চেষ্টা করেছিলেন এপদের, কিন্তু এখন আমরা জানি সেটা ছিল ভুল, কিন্তু তাদের সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েই দাঁড়িয়েছে আজকের অসাধারণ সব গবেষণা। লন্ডন জু-র ব্যাপারে আলাদা করে কিছু বলার নেই, ডেভিড বা জেরাল্ড ডারেলের চাকরি সেখানে ছিল, তারা সেখানের জন্য প্রাণী সংগ্রহ করেছেন, এবং সেই সাথে পরবর্তীতে চেষ্টা চলেছে সেউ প্রাণীর বংশবিস্তারের মাধ্যমে সংরক্ষণের- ভুলে যেয়েন না, নিজেদের দেশে সাধারণত মানুষের মুখোমুখি হলে একটাই পরিণতি বরাদ্দ ছিল সেই প্রাণীগুলোর জন্য- হত্যা।
হয়ত সেই উত্তাল সময় তার লেখাতে আসেনি, হয়ত সে অন্য কাজের বেশী গুরুত্ব দিয়ে ব্যস্ত ছিল, কোন মানুষের পক্ষেই সব দিকে নজর দেয়া এবং সব কাজ করা সম্ভব না । সে তার ভাল লাগার কাজটি যথাযথ ভাবে করার চেষ্টা করেছে, সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ।
facebook
জলের দামে পেয়েছেন। নীলক্ষেতে আজকাল এসব পাওয়াই যায় না। আর পেলেও ৫ পাউন্ডের নীচে কথাই বলবে না। বাংলাদেশের সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষের ক্রয়ক্ষমতা চিন্তা করলে আজকাল আসলেই বই কিনে দেউলে হবার সম্ভাবনা আছে!
লেখা ভাল লাগল যথারীতি।
নির্ঝর অলয়
আসলেই খুব কম দামে পেয়েছি, তবে দামের চেয়েও মূল ব্যাপার ছিল অক্ষত অবস্থায় এমন বই পাওয়া।
facebook
ভাইজান কোন ভিটামিন খাইলে ডেলি ডেলি এমন দুর্ধষ পড়ালেখাঘোরা যায়?
'বিআন্ম্যারিড' ভিটামিন মনে হয় বস
facebook
ভিটামিন ডি! সূর্যের নিচে দাড়ায়ে থাকলেই হবে
facebook
নতুন মন্তব্য করুন