বিগত একটি দশক = বিগত একটি তিথি

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: বুধ, ১৯/০৯/২০১২ - ১:১৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ঠিক দশ বছর আগে, এক নয়, দুই নয় এমনকি তিনও নয়, ঠিক দশ দশটি বছর আগে আমার আগমন ঘটেছিল মর্ত্যের অন্য প্রান্তে। বাংলাদেশ বিমানে চেপে কোলকাতা, সেই স্মৃতি আর মনে করতে ইচ্ছে করে না কখনো- বাবার সাথে শেষ দেখা হয়েছিল ঢাকার বিমানবন্দরে- সাথে ছিল পরিবারের সবাই। কোলকাতা থেকে দিল্লী, সেখানে ভিসা নিয়ে ধস্তাধস্তি শেষ করে বাংলাদেশের মানুষ হবার জন্য প্রাপ্য হয়রানির কয়েকটা জঘন্য দিন পার করে এরোফ্লটে চেপে মস্কো হয়ে সোজা হেলসিংকি! হাজার হ্রদের দেশে ফিনল্যান্ডে।

নতুন দেশ, নতুন মহাদেশ, নতুন পৃথিবী। ২০০২ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর এসে পড়লাম অজানা এক ভুবনে, যেখানের অজানা মানুষেরা অজানা ভাষায় কথা বলে, শতকরা ১০০% ভিন্ন এক জগত। হেলসিংকির বিমান বন্দর থেকে মূল শহর কেন্দ্রে যেতে যেতে মনে হয়েছিল এমন সাজানো দেশ বিশ্বে আর দুটি নেই। পৌঁছালাম দেরীতে নেমে আসা সন্ধ্যায় সেখানের কেন্দ্রীয় রেলষ্টেশনে। যেতে হবে চারশ কিলোমিটার দূরের ছোট্ট শহর ভারকাউসে, টিকেট কাটতে যেয়েই টের পেলাম প্রথমবারের মত ইউরোপ আর এশিয়ার কোন জায়গাতে সাংঘাতিক মিল, সেটা হল নগদ নারায়ণে, মানে ফেল কড়ি, মাখ তেল! জানানো হল, দুই ধরনের ট্রেনের কেবিন আছে, তার মাঝে একটাতে বসে বসে যেতে হবে, এবং রাত সাড়ে তিনটার সময় ট্রেন বদলাতে হবে, সাথে ৪৪ কিলোর লাগেজও ( ফালতু জিনিসের ভরা, কিন্তু ব্যাটার ওজনের কারণেই পুরা ৫০০ ডলার বেশী দিতে হয়ে ছিল জরিমানা, সে দুঃখ এখনো ভুলি নাই) টেনে নিতে হবে। আর আরেকটি চরম সুব্যবস্থা, শুয়ে শুয়ে স্লিপিং কেবিনের যেতে পারব, বগি চেঞ্জ করতে হবে না, মাল টানারও দরকার নেই, কেবল ১০টি ইউরো বেশী দিতে হবে! কি আর করা, বিদেশ বিভূঁইয়ে রাত সাড়ে তিনটার সময় নাম না জানা জংশনে ভুল ট্রেনে ওঠার কোন ইচ্ছা মনে হয় কারোরই থাকে না, স্লিপিং বগির টিকিট কেটে প্লাটফর্মে বসলাম ট্রেনের অপেক্ষায়।

মিনিট তিনেকের মাঝে এক আলুথালু বেশের ছোকরা এসে পাশে বসে পড়ল, হাতে প্লাস্টিকের ব্যাগ, মনে হচ্ছে বোতল কুড়াচ্ছে কিছু উপরি পয়সার জন্য। বসেই ভাঙ্গা ইংরেজিতে আমাকে জিজ্ঞাসা করল- What is Life? কোথাকার দার্শনিক ব্যাটা, সেকি ডায়াজিনিস নাকি সক্রেটিস? এত জটিল জিনিস এত নির্লিপ্ত ভাবে জিজ্ঞাসা করল? মজার মানুষ তো! কথা হল বেশ কিছুক্ষণ, হেলসিংকিরই ছেলে, মাঝে কিছুদিন অন্য দেশেও ছিল, এখন স্রেফ ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিছু পরামর্শ মিলল মুফতে, বিশেষ করে মাতালদের কাছ থেকে রেহাই পাবার ব্যাপারে। এদিকে ট্রেনের সময় হয়ে গেছে, বিদায় নেবার জন্য উঠে দাঁড়িয়েছি, চকিতেই মনে হল ছেলেটার নাম জানা হল না, সেও আমার নাম জানল না! তার দিকে তাকাতেই দেখি ধূসর দুই চোখ হাসিতে ঝলমল করছে, মানে তার মাথাতেও এই কথারই উদ্ভব হয়েছে! তাই নাম না জানতে চেয়ে বললাম – This is life, and it is beautiful. এই যে দেখা হল, কথা হল, সেই কথা এতদিন পরও মনে পড়ে কিন্তু নাম জানা হল না- এই তো জীবন, এইসব নিয়েই জীবন বয়ে চলে, সবসময়ই।

কু ঝিক ঝিক ট্রেন চলছে, চেকার ইতিমধ্যেই ঘুম ভাঙ্গিয়েছে দরজায় টোকা দিয়ে, বাহনের গতি কমে আসছে, জানালার কাঁচ দিকে চোখে পড়ছে ঘন কালো কালো বন আর উত্তুরে সূর্যের পরাবাস্তব আভা, বুকের ভেতরটা কেমন টনটন করে ওঠে, এই আসাটার জন্য গত কয়েক বছর কত ঝামেলা পোহাতে হল, কত অপেক্ষার প্রহর গেল, আজ আমি এখানে, কিন্তু ভীষণ ভাবে একা।

ট্রেন থেমে যাচ্ছে, জানালার শার্সি দিয়ে আবছা ভাবে চোখে পড়ল রেল ভবনের গায়ে নীল অক্ষরে লেখা জনপদটির নাম – VARKAUS, পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর এলাকাগুলোর একটি আমায় সেই শরতের ভোরেই বুকে টেনে নিল, গাঢ় ভালোলাগায় ভালোবেসে ফেললাম শহরটির সবকিছুই- ষ্টেশন চত্বরের তিনটি আকাশ ছোঁয়া পাইন, একটি আবার ডান দিকে ঝুকে আছে অনেকখানি, ফাঁকা ফাঁকা রাস্তা, পান্না সবুজ বন, নীলার চেয়েও মসৃণ নীল পিঠের হ্রদগুচ্ছ, রূপকথার বইয়ে দেখা ছোট্ট ছোট্ট বাড়ী, আমাদের নিরিবিলি ছাত্রাবাস- সব।

জীবনের সবচেয়ে অসাধারণ, অলস সময়গুলো কেটেছে ভারকাউসে, কয়েক বছরের মধ্যে চেনা হয়ে গিয়েছিল প্রতিটি মানুষ, বনের প্রতিটি পাখি, এমনকি ঝর্ণার ক্ষুদের মাছগুলো পর্যন্ত। তখন নতুন কিছু জানার আশায়, অজানাকে ছুয়ে ছেনে দেখার সংকল্পে জীবের নেশায় মাতাল আমি। মাঝেই মাঝেই দিনের ১৬ ঘণ্টা কেটে যেত সদ্য পরিচিত প্রকৃতিপ্রেমী বন্ধু মারকুস মিয়েত্তিনেনের সাথে বনেবাদাড়ে ঘুরতে ঘুরতে। বিস্তীর্ণ এলাকার সমস্ত বন, পাহাড়, নদী, খাড়ি, হ্রদ তার নখদর্পণে। পাতা ঝরার দিনে ঝিলমিল করে বনের প্রতি ইঞ্চি, এর মাঝে গাছে চড়েছি উরাল পেঁচার ( Ural Owl) জন্য কাঠের বাড়ী বেঁধে দিতে, বিনা অভিজ্ঞতাই খুবই কষ্টকর কাজ, বিফল হয়ে নেমে আসতেই মারকুস লম্ফ দিতে মিনিট পনেরর মধ্যেই কাজটি সুচারু ভাবে করে আসল। কখনও হিমাঙ্কের নিচে ২৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা, এর মাঝে তুষারময় বন মাড়িয়ে চলেছি বিরল প্রজাতির কাঠঠোকরার খোঁজে। শীতের উইকএন্ডের দিনগুলোতে প্রায়ই ডর্মের বিছানা, যা জানালার পাশে অবস্থিত আরামে শুয়ে দূরের গাছগুলোর দিকে নির্নিমেষ চেয়ে থাকতাম, টন টন বরফ মাথায় নিয়ে দাড়িয়ে আছে পাইন আর বার্চের সারি, শুধু রবার্ট ফ্রস্টের কবিতা মনে আসত- One could do worse than be a swinger of birches.

নতুন বন্ধুর ঢল তখন জীবনে, নানা দেশের নানা ভাষার। সবাইকেই ভালো লাগে, কাছে টানতে ইচ্ছে করে, এতদিন বই পড়ে, ডকু দেখে, ডাকটিকেট জমিয়ে বিদেশের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে হয়েছে, আর এখন সেই মানুষেরাই চারিপাশে, একটু কথা বললেই তার দেশ সম্পর্কে জানা যায়, আরেকটু ভাব হলেই সেই দেশের রান্নাও আস্বাদন করা যায়! ফেসবুক চিনতাম না, ব্লগ ছিল অপরিচিত, সত্যিকারের রক্তমাংসের মানুষই একমাত্র ভরসা! তখনকার পরিচিত অনেকের সাথেই এখনো যোগাযোগ হয়, কালের আবর্তে সম্পর্ক আরও গাঢ় হয়েছে, কেউবা মুছে ঠাই নিয়েছে বিস্মৃতির আড়ালে, কেউ আবার হৃদয়ে রেখে গেছে অমোচনীয় দাগ।

নতুন দেশ, নতুন ভাষা! ইংরেজির চল নেই ক্লাসরুমের বাইরে কোথাও, ফিনিশ , সুইডিশের পর এখানে ইংরেজির ঠাই, তাই জানতে হয় বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন ভাষাগুলোর একটি। ২০,০০০ লোকের শহরে থাকি, গ্রামাঞ্চলই বলা চলে, স্থানীয়দের মাঝে ইংরেজির চল নেই , কাজেই ভাষা শিখা ছাড়া উপায়ও নেই তাদের সাথে মিশে যাবার।

অনেকেই প্রশ্ন করত- হোম সিক ফিল করি কি? এই শব্দটা আমার অপরিচিত, তখন বাঁধ ভাঙ্গা স্রোতে মত ঘটনার আবির্ভাব ঘটছে প্রতিদিন, রোজনামচার পাতা ভরে যায় নানা রঙের দিনগুলির সাতকাহনে, হোম সিক হবার সময় কোথায়? অবশ্যই দেশের বইয়ের আলমারিটা খুব মনে পড়ে, বন্ধুদের আড্ডা, বুনো পাখির খোঁজে ভ্রমণ, কিন্তু এও সত্য যে বুড়ো পৃথিবীটা অনেক বড়, তাকে দেখতে চাইলে বাড়ীতে থাকার সৌভাগ্য বেশীদিন হবে না কারোই।

বেলা বয়ে যায়, আমি এই দেশেরই একজন হয়ে পড়ি, পাতানো ফিনিশ বাবা মার্কু করহোনেনের সাথে জাল দিয়ে স্যামন মাছ ধরতে যেয়ে ভোঁদড়ের খেয়ে যাওয়া আধা-খাওয়া মাছ দেখে খিস্তি করি পলায়মান ভোঁদড়ের উদ্দেশ্যে ফিনিশ ভাষায়, মেরুজ্যোতির অপার্থিব লাল-সবজেটে আলোর নিচে হিম বনের গভীরে সারা রাত দাড়িয়ে থাকতে থাকতে জীবনকে উপলব্ধি করতে থাকি অন্য আঙ্গিকে, শীতল নির্জন জবুথবু মেরে পড়ে থাকা পাহাড় ভাত্তুভুওরির চূড়ায় দাড়িয়ে মনে হয় নির্জনতার মাঝেই নিহিত প্রকৃত সুখ। শীতের রাতের আকাশে ২২ ঘণ্টা আঁধার থাকে, নক্ষত্রেরা নেমে আসে চুপিসারে উষ্ণতা দিতে, গ্রীষ্মের আকাশে ২২ ঘণ্টা নিশীথ সূর্যের আভায় পৃথিবীর উত্তরতম প্রান্ত আলোকিত থাকে, আকাশের যে তারাদের ভালোবেসে তাদের নিয়ে গবেষণার আশায় ভিনদেশে এসেছিলাম, তাদের সাথে আর দেখা হয় না।

অবাক বিস্ময়ে অভিভূত হবার তীব্র মুহূর্তগুলো পার হয়ে, জীবন সংগ্রামে নতুন বাঁকে কর্মসংস্থান নিয়ে ব্যস্ত হতে হয় হয়ত সবাইকেই, তার মাঝেও জীবন বয়ে চলে। কেবলই অবাক লাগে- এত দ্রুত! এতই দ্রুত!


মন্তব্য

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

তার মাঝেও জীবন বয়ে চলে। কেবলই অবাক লাগে- এত দ্রুত! এতই দ্রুত!

ভালো লাগল।

তারেক অণু এর ছবি
নীলম এর ছবি
  • কিন্তু এও সত্য যে বুড়ো পৃথিবীটা অনেক বড়, তাকে দেখতে চাইলে বাড়ীতে থাকার সৌভাগ্য বেশীদিন হবে না কারোই।

খুব সত্যি। তবে মাঝে মাঝে বাড়ি গিয়ে অলস সময় কাটানোর সময় আবার মনে হয় খারাপ কি! কিছুদিন বাদেই অবশ্য সেই অনুভূতি ঘুচে যায়।

কাজিন থাকে ফিনল্যান্ডে, ছবি দেখে দেখেই পছন্দ হয়ে গেছে দেশটা। হাসি

তারেক অণু এর ছবি

মানে সামারের ছবি , নাকি খাইছে

কল্যাণ এর ছবি

খুব ভালো লাগছিল পড়তে, কিন্তু ফট করে শেষ হয়ে গেলো। এই রকম আরো ১০/১৫ টা দশক পার করে দাও নিশ্চিন্তে।

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

তারেক অণু এর ছবি

নাহ, পিথিমি দেখতে বাহির হমু, পলিনেশিয়া যাইতে মুঞ্চায়।

অতিথি লেখক এর ছবি

অদ্ভুত! আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-
-কিংশুক

তারেক অণু এর ছবি

কেন?

অতিথি লেখক এর ছবি

অদ্ভুত মানে অদ্ভুত রকমের সুন্দর! চলুক

তারেক অণু এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

অসাধারণ।

অবাক বিস্ময়ে অভিভূত হবার তীব্র মুহূর্তগুলো পার হয়ে, জীবন সংগ্রামে নতুন বাঁকে কর্মসংস্থান নিয়ে ব্যস্ত হতে হয় হয়ত সবাইকেই, তার মাঝেও জীবন বয়ে চলে। কেবলই অবাক লাগে- এত দ্রুত! এতই দ্রুত!

সব কিছুই জীবনের অংশ, কাজ অবসর। অথচ কিছু মানুষ কি সহজে বুড়িয়ে যায় কাজ- কাজ করে। আপনার মতো লোকেরা কাজ করে, আবার সুন্দর করে বাঁচতেও জানে। এরা কখনো বুড়ো হয় না! হাসি

নির্ঝর অলয়

তারেক অণু এর ছবি

লেখা -গুড়- হয়েছে
আশা করছি সেই জীবনের! ধন্যবাদ

অরফিয়াস এর ছবি

ছুটে চলার নামই জীবন। ভালো লাগার মুহুর্তগুলো আসলেই খুব দ্রুত পার হয়ে যায়।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

তারেক অণু এর ছবি

জানি না জীবন কি, হয়ত অন্তবিহীন পথ চলাই! কিন্তু সবই খুব দ্রুত চলে যায়-আজ, কাল, পরশুর প্রান্তে-

অতিথি লেখক এর ছবি

"পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর এলাকাগুলোর একটি আমায় সেই শরতের ভোরেই বুকে টেনে নিল, গাঢ় ভালোলাগায় ভালোবেসে ফেললাম শহরটির সবকিছুই- ষ্টেশন চত্বরের তিনটি আকাশ ছোঁয়া পাইন, একটি আবার ডান দিকে ঝুকে আছে অনেকখানি, ফাঁকা ফাঁকা রাস্তা, পান্না সবুজ বন, নীলার চেয়েও মসৃণ নীল পিঠের হ্রদগুচ্ছ, রূপকথার বইয়ে দেখা ছোট্ট ছোট্ট বাড়ী, আমাদের নিরিবিলি ছাত্রাবাস- সব।" চলুক
দারুণ লাগলো পড়ে।
অবাক লাগিয়ে সময়গুলো দ্রুতই চলে যায়, আপনার লেখাও দ্রুত পড়া হয়ে যায়।

সৌরভ কবীর

তারেক অণু এর ছবি

ধন্যবাদ

মেঘা এর ছবি

এইসব ভাল লাগাগুলো সারা জীবন তোমার সাথে থাকুক ভাইয়া। সময় যাবে নতুন সময় আসবে তবে প্রত্যাশা চলে যাওয়া সময়ের চেয়েও ভাল সুন্দর সব তোমার সাথে হবে।

একা থাকতে কেমন লাগে মাঝে মাঝে জানতে ইচ্ছা করে। পরিবারের আদর ভালবাসার পরিবেশের বাহিরে যেয়ে অচেনা সব কিছু সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে কি অনেক বেশি সাহস লাগে? তবে অজানায় চলে যেতে যাই। চেনা সব কিছু থেকে হারিয়ে যেয়ে চাই।

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

তারেক অণু এর ছবি

হারিয়ে যাবার দরকার নেই, ফিরে ফিরে আসা ভাল।

মেঘা এর ছবি

আচ্ছা ফিরে আসবো আবার।

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

তারেক অণু এর ছবি

কোথায় তুমি !

মেঘা এর ছবি

বুঝলাম না সচলে ঢুকলেই লেখা দেখাচ্ছে you are banned!!!! ঘটনাটা কি? অ্যাঁ

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

তারেক অণু এর ছবি

মন্তব্য আসলো তো!

খেকশিয়াল এর ছবি

হাসি

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

তারেক অণু এর ছবি

তোর মুখে হাসি ক্যান চিন্তিত দিমু পেটে একটা বাঁশের গুঁতা

Guest_Writer নীলকমলিনী এর ছবি

মন খারাপ হয়ে গেলো, কিন্তু কি ভালো লেখাটি।
আমি এসেছিলাম আশি সনের ১৯শে অগাস্ট। কিন্তু মনে হয় এই সেদিন। আমার জীবনের বেশীর ভাগ সময় কেটেছে আমেরিকায়। আজকাল প্রায়ই দেশে ফিরে যেতে ইচ্ছে করে, হয়তো যাবও। আমি জানি আমাদের মত যাদের সন্তানেরা বড় হয়ে গেছে তারা অনেকেই ভাবেন, কিন্তু যাওয়া আর হয়ে উঠে না। যে ঢাকা শহরে বহু বছর কাটিয়েছি সেখানে আমি একা একা আর চলাফেরা করতে পারি না। এখানে বসে দেশে ফেরার স্বপ্ন দেখতে ভাল লাগে, যখন সত্যি সত্যি গিয়ে থাকব তখন কেমন লাগবে জানিনা। আমি চেষ্টা করতে চাই।

তুমি কেন বলছ হু হু করে দিন চলে গেল? এই দশ বছরে কত কি করেছ, কত জায়গায় গেছ। কতজনের জীবনে তোমার মত বয়েসে এত অভিজ্ঞতা আছে?
জীবন আসলেই বড় বেশী সুন্দর।

তারেক অণু এর ছবি

জীবন আসলেই বড় বেশী সুন্দর। হাসি

আপনি সেই ন্যাশনাল পার্ক ভ্রমণের লেখা দিচ্ছেন না এখনো!

শারেক শহীদ এর ছবি

...আজ থেকে বহুবছর পর যখন সুবিখ্যাত তারেক অণু'র কথা উঠে আসবে আলোচনায়-সমালোচনায়, তখন আমাদেরও মনে হবে তার বেড়ে ওঠার দিনগুলোয় সে ছিল আমাদের একজন সচলায়তন-এ । সেবা যেমন ৮০-৯০ দশকের মানুষের জীবনের রঙ্গীন স্মৃতি হয়ে আছে, তখন আমরাও সে সুখস্মৃতি পরম মমতায় স্মরন করবেো ।

ভালো থাকুন, অণু ... নিরন্তর ।

তারেক অণু এর ছবি

লেখা -গুড়- হয়েছে ধন্যবাদ ভাই।

সত্যপীর এর ছবি

চমৎকার চলুক

আপনি লেখেন দারুণ। শেষ থেকে দ্বিতীয় প্যারাগ্রাফটা মন কেড়ে নিল।

..................................................................
#Banshibir.

তারেক অণু এর ছবি

ধুর ভাই, যদি আপনের মত ধনে- পিয়াজ- মরিচ- সর্ষের তেল দিয়ে একটা মুড়িমাখার মত উপাদেয় লেখা আসে- সেটাই না লেখা! আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

সত্যপীর এর ছবি

আমার লেখা বাদ্দেন, মুড়িমাখার কথা যখন কৈলেনই এই লনঃ

..................................................................
#Banshibir.

তারেক অণু এর ছবি

ওঁয়া ওঁয়া
ফতোয়া- জগতের সকল পীর ত্যক্তবাজ।

কড়িকাঠুরে এর ছবি

এই সময় এমন ত্যাক্ত করলে কন তো ক্যামুন লাগে... ধইরা ঠুয়া দিয়া দিমু...

তারেক অণু এর ছবি
ফেরদৌস নাহার এর ছবি

আহা অণু কী লিখলেন ভাই ! পড়ি আর দেখি। মন ভাল হয়- মন খারাপ হয়। এমনই করতে করতে শেষ করে ফেলি আপনার বিগত দশ বছরের রোজনামচা। অবাক বিস্ময়ে জীবনের ঝুঁকে থাকা তারেক অণু আরো লিখুন। আর এবার থেকে যাই লিখুন একটু কষ্ট করে ট্যাগ করে জানান দিয়েন পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

তারেক অণু এর ছবি

ধন্যবাদ আপা, আপনার শেষ প্রকাশিত বইটা পড়ার খুব ইচ্ছা, আশা করি দেশে গেলে হাতে পাব।

কড়িকাঠুরে এর ছবি

চলুক

গ্রীষ্ম টা এতো ভাল না, তারা দেখা যায় না...

তারেক অণু এর ছবি

হুম

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক লেখা -গুড়- হয়েছে লেখাটা আরেকটু বড় হলে পারত, ক্রমে আরো তোফা হয়ে আসছিলো!

.........
রংতুলি

তারেক অণু এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

সবেমাত্র ৫টা মাস শেষ হতে চলেছে জার্মানীর এই ছোট্ট শহরে। তারপরেও কেন জানি মিল খুঁজে পেলাম।

--বেচারাথেরিয়াম

তারেক অণু এর ছবি

হুট করে দেখবেন ৫ বছর হয়ে গেছে

পরমাণুঅণুজীব এর ছবি

কেমন যেন একটা বোধ হচ্ছে, এটা পেতে চাই, ওটাও পেতে চাই - দুটোই তো পাওয়া যাবেনা ! অমাবস্যা আর জোছনা - ২টা এক সাথে পাবেনা বাছা।
ওঁয়া ওঁয়া

তারেক অণু এর ছবি

বেঁছে নাও !

অতিথি লেখক এর ছবি

ভালো লাগলো পুরোটাই। পড়তে পড়তে ভালো লাগা নিয়ে হঠাৎ শেষ।

তারেক অণু এর ছবি

হা হা, এমনই ভাল। ভালালাগাটুকু রয়ে যাক,

বন্দনা এর ছবি

ছুঁয়ে গেল আপনার ফেলে আসা দিনের গল্পগুলা।এক দশক হইলে আমি ও আপনার মত লেখা দেবনে যান।

তারেক অণু এর ছবি

এখনই দিয়ে ফ্যালান।

বন্দনা এর ছবি

এক দশক হইতে আর মাত্র পাঁচ বছর বাকী খাইছে

তারেক অণু এর ছবি

তাহলে আপাতত অর্ধেক দিয়ে ফেলেন শয়তানী হাসি

গৌতম এর ছবি

আপনার লেখা ভালোলাগে।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

তারেক অণু এর ছবি

ধন্যবাদ। কোলাকুলি

অতিথি লেখক এর ছবি

অণু ভাই,

বেলা বয়ে যায়, আমি এই দেশেরই একজন হয়ে পড়ি, পাতানো ফিনিশ বাবা মার্কু করহোনেনের সাথে জাল দিয়ে স্যামন মাছ ধরতে যেয়ে ভোঁদড়ের খেয়ে যাওয়া আধা-খাওয়া মাছ দেখে খিস্তি করি পলায়মান ভোঁদড়ের উদ্দেশ্যে ফিনিশ ভাষায়

কজন পারে আপনার মতন এমন করে সবকিছুর সাথে মিশে যেতে
একেবারেই অন্যরকম ভাললাগার একটা লেখা।

নির্ঝরা শ্রাবণ

তারেক অণু এর ছবি

চেষ্টা করলেই সম্ভব, ধন্যবাদ

ঘুমকুমার এর ছবি

This is life, and it is beautiful

চলুক

তারেক অণু এর ছবি
তানিম এহসান এর ছবি

চলুক!

তারেক অণু এর ছবি

চলবে

উজানগাঁ এর ছবি

আপনি কিন্তু ধারাবাহিকভাবে ফিনল্যান্ডের দিনলিপি শুরু করতে পারেন।

অসম্ভব ভালো লাগলো লেখাটা। হাসি

খেকশিয়াল এর ছবি

সহমত

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

স্যাম এর ছবি

আমিও

তারেক অণু এর ছবি

খেকুর দলে যাইয়েন না গো !

তারেক অণু এর ছবি

এই খেকু, তুই সবার সাথে সহমত পোষণ করিস কেন! ভোটে দাঁড়াবি নাকি? গড়াগড়ি দিয়া হাসি

তারেক অণু এর ছবি

ফিনল্যান্ড নিয়ে একটা বড় লেখা দেবার চিন্তা করছি, দেখা যাক। ধন্যবাদ

কল্যাণ এর ছবি

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

তারেক অণু এর ছবি

মানে !

Prithvi এর ছবি

ফিনল্যান্ড নিয়ে আগ্রহ অনেকদিনের। মেটাল গানের ভক্তদের কাছে ফিনল্যান্ড মোটেই অপরিচিত না, বরং খুবই প্রিয় একটা নাম ঃ) তার উপর ফিনল্যান্ডের বিস্ময়কর শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে কিছু লেখা পড়েছি, এমন এক দেশ যেখানে শিক্ষাঙ্গনে প্রতিযোগীতাকে নিরুতসাহিত করে নিজেকে আবিস্কার করার উপরে গুরুত্ব আরোপ করা হয়। সাত বছরের আগে বাচ্চাদের স্কুলে ভর্তি নিষিদ্ধ, ১৬ বছর বয়সে জীবনে প্রথম বোর্ড পরীক্ষা দিতে হয়, ক্লাসে কোন পরীক্ষা নেওয়া হয় না। এরপরও ফিনিশ শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক প্রতিযোগীতাগুলোতে ইউরোপের সব দেশকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে।

একদিন অবশ্যই যাব আপনাদের ওখানে ঃ)

তারেক অণু এর ছবি

চলে আসুন, শীঘ্রই লিখব তাদের সেই ব্যবস্থাগুলো নিয়ে

অতিথি লেখক এর ছবি

পড়ে ভালো লাগলো। বিগত দশটি বছর ১০-১১ প্যারায় লিখলে কি আর পাঠকের কৌতূহল মেটে? বরং তা আরও বাড়ে। আম-পাঠকের একজন হিসেবে আমার আগ্রহও তাই বেড়ে গেল।

তারেক অণু এর ছবি
স্যাম এর ছবি

অন্যরকম ভাল লাগল লেখাটি - কিন্তু "এত ছোট ক্যানে? "

তারেক অণু এর ছবি

জীবন ছোট যে!

তানিম এহসান এর ছবি

জীবন ছোট, এই কথাটা মানতে আপত্তি আছে। প্রতিটি মুহূর্তই জীবন! কর্মের জন্য জীবন বড়, অনেক বড়। ঘুরাঘুরির জন্য ছোট নাকি?- আপনি এটা বইলেন না ভাই, ঠাডা পড়বো শয়তানী হাসি

তারেক অণু এর ছবি

হাততালি দারুণ বলেছেন--

novera এর ছবি

দারুন ! আপনার অন্ন্য লিখা গুলো পড়তে চাই।

তারেক অণু এর ছবি

ধন্যবাদ, ব্লগ তালিকায় গেলেই অধিকাংশ লেখা পেয়ে যাবেন।

এক জোনাকি এর ছবি

কি দারুণ লেখেন আপনি। খুব গভীর উপলব্ধি না থাকলে এমন প্রকাশ সম্ভব না।

আপনি যেমন দেশ বিদেশ ঘুরে বেড়াতে ভালবাসেন, আমি ঠিক তেমন ঘরকুনো হয়ে থাকতে ভীষণ ভালবাসি।
আপনার ভ্রমণ কাহিনী গুলো আমার বন্ধ ঘরে জানালার কাজ করে হাসি
বিপুল উদ্দ্যমে আপনার ঘোরাঘুরি আর চমৎকার লেখা অব্যাহত থাকুক।

তারেক অণু এর ছবি

আমি ঠিক তেমন ঘরকুনো হয়ে থাকতে ভীষণ ভালবাসি,,, আমিও হাততালি

তীরন্দাজ এর ছবি

বাহ! অসম্ভব গতিশীল আপনার কলম! সুন্দরম!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

তারেক অণু এর ছবি
সাবেকা  এর ছবি

লেখাটি অসাধারণ গুরু গুরু আরেক্টু বড় হওয়া উচিত ছিল হাসি
ফিনল্যান্ড নিয়ে ধারাবাহিক লেখা দেন, প্লীজ ।

তারেক অণু এর ছবি

চেষ্টা করব-

উদ্ভ্রান্ত পথিক এর ছবি

লেখা -গুড়- হয়েছে

---------------------
আমার ফ্লিকার

তারেক অণু এর ছবি
সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি

পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর এলাকাগুলোর একটি আমায় সেই শরতের ভোরেই বুকে টেনে নিল, গাঢ় ভালোলাগায় ভালোবেসে ফেললাম শহরটির সবকিছুই- ষ্টেশন চত্বরের তিনটি আকাশ ছোঁয়া পাইন, একটি আবার ডান দিকে ঝুকে আছে অনেকখানি, ফাঁকা ফাঁকা রাস্তা, পান্না সবুজ বন, নীলার চেয়েও মসৃণ নীল পিঠের হ্রদগুচ্ছ, রূপকথার বইয়ে দেখা ছোট্ট ছোট্ট বাড়ী, আমাদের নিরিবিলি ছাত্রাবাস- সব।

বাল্যকাল থেকেই ফিনল্যান্ডের প্রতি আমার ভীষণ ভালো লাগা-- বইয়ের দুইপাতা বিদ্যার কল্যাণে। আপনার লেখা পড়ে মুহূর্তেই যেন পৌঁছে যাই স্বপ্নের সেই দেশটিতে!

তারেক অণু এর ছবি

আসলে গ্রীষ্মে কিন্তু ! শীতে না!

নৈষাদ এর ছবি

বাহ্‌। চমৎকার স্মৃতিচারণ।

তারেক অণু এর ছবি

কষ্টময়, স্মৃতি সবসময়ই বেদনার-

তানভীর এর ছবি

আমারও আমেরিকায় এক দশক হয়ে গেলো। আমি এসেছিলাম ২০০২ এর ১০ই অগাস্ট। তখনো নাইন ইলেভেনের বছরপূর্তি হয় নি। এক দশকে আম্রিকার তেমন কোন চেইঞ্জ হয় নি। সে তুলনায় বাংলাদেশে দেখলাম ভালো পরিবর্তন হয়েছে- বদনার বদলে বাথরুমে হ্যান্ড শাওয়ার এসেছে হো হো হো

তারেক অণু এর ছবি

আম্রিকার স্মৃতিচারণ করেন একটু-

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

"সাদামাটা অনেক অনেক ঘটনায় যখন মনের মাধুরী মিশিয়ে লিখবেন, দেখবেন কেমন রত্নরাজি হয়ে ওঠে সেগুলো।"
আমার এককটা লেখায় আপনার মন্তব্য এটা।
সত্যিই আপনি মনের মাধুরী মিশিয়ে লিখতে জানেন।
খুব ভাল লাগলো। ভাল থাকবেন।

তারেক অণু এর ছবি

ধন্যবাদ ভাই, আশা করছি আপনার সাথে শীঘ্রই দেখা হবে।

অতিথি লেখক এর ছবি

ভালো লাগলো - উড়ন্ত ঘুড়ির এটা কি প্রথম ভ্রমন?

-অয়ন

তারেক অণু এর ছবি

বাংলাদেশের বাহিরে সেই বছরই প্রথম।

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

What is Life?
আহা কি জটিল জিজ্ঞাসা। জীবন হচ্ছে অনাগত আগামীর দিকে নিজেকে টেনে টেনে নেয়া।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

তারেক অণু এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

দারুন হয়েছে হাসি

তারেক অণু এর ছবি
তিথীডোর এর ছবি

এত চমৎকার একটা লেখা এত ছোট কেন? চিন্তিত

পড়েছি আগেই, দেরিতে মন্তব্য করা হলো। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

তারেক অণু এর ছবি

এই আর কি!

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক

ক্লোন ৯৯

তারেক অণু এর ছবি
দ্রোহী এর ছবি

১০ বছরে অনেক ঘুরে ফেলেছেন। এবার বিয়ে-থা করে বাচ্চাকাচ্চা পয়দা করে সংসার যুদ্ধে ঝাঁপায়া পড়েন। চোখ টিপি

তারেক অণু এর ছবি
হীরা এর ছবি

খুব ভালো লেগেছে। আশা করি ফিনল্যান্ড গল্প আরো শুনব। সবকিছুর মতোই দ্রুত, খুবই দ্রুত।

তারেক অণু এর ছবি

আশা রাখি-

অতিথি লেখক এর ছবি

মন খারাপ করে দেয়ার মত লেখা! মন খারাপ

ইমা

তারেক অণু এর ছবি
সংগীতা এর ছবি

লিখাটা পড়ে “আবেগিত” হলাম...... মন খারাপ but "this is life & it's beautiful...."

তারেক অণু এর ছবি
সংগীতা এর ছবি

লিখাটা পড়ে “আবেগিত” হলাম..... মন খারাপ but ..."thi...s is life & it's beautiful...." really it's beautiful....
সংগীতা

তারেক অণু এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

অসলো থেকে বাসে চেপে সুইডেন গেছিলাম একবার, প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য হা করে গিলে খেয়েছি জানালার পাশের সিটে বসে থেকে! সুযোগ থাকলে রিটার্ন বাসের ছাদে বসে জার্নি করতাম!!!
ঠিক করেছি পরেরবার ফিনল্যান্ড পর্যন্ত বাসের টিকিট কাটব।

......জিপসি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।