দূর পৃথিবীর গন্ধে ভ'রে ওঠে বাঙালির মন
আজ রাতে; একদিন মৃত্যু এসে যদি দূর নক্ষত্রের তলে
অচেনা ঘাসের বুকে আমারে ঘুমায়ে যেতে বলে,---
মৃত্যু এলেও হয়ত প্রিয় কবি ক্ষণিকের জন্য হলেও মনের মাঝে আসবেন, এতোটাই ঘনিষ্ঠতা তার সাথে আমাদের। অনেক অনেক বছর ধরে ভোরের কুয়াশায় কাঁঠাল পাতা ঝরে না চোখের সামনে, সোনালী ডানার চিল উড়ে বেড়ায় না মাথার উপরে, কান পাতলে জামের ডালে লক্ষ্মী পেঁচার হিম সুর শোনা যায় না কিন্তু সেই মুহূর্তগুলো, সেই গাঢ় ভাললাগার পংক্তিগুলো সাথে থাকে। জীবনানন্দের সুক্ষ অনুভূতির মহাবিশ্বব্যপী সৌন্দর্যকে ফ্রেমে আটকানো সম্ভব না কখনোই, কিন্তু তারপরও স্মৃতি ঘেঁটে দেখলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে মনে হয় কবি হয়ত সেখানে ছিলেন, সেই মুহূর্তে।
মোট ২০টা আলোকচিত্র আছে এখানে। এই প্রথম ছবি ব্লগে ক্রমিক নং ব্যবহার করছি, ইচ্ছামত মন খুলে সমালোচনা করুন। জানান কোথায় কমতি আছে। আর যদি আপনাদের ভাল লাগে, একটি ছবি দেখেও যদি নির্জনতম কবির নির্জনতর কবিতা মনে আসে, তাহলে ভবিষ্যতেও সিরিজটি চালু রাখার আশা করি, ধন্যবাদ।
এই সিরিজটি বিশ্বের সেইসব মানুষের জন্য যারা কবিতা ভালবাসে, জীবনকে ভালবাসে, জীবনানন্দকে ভালবাসে। এবং বিশেষ করে দুজন মানুষের জন্য, তারা হলেন- কুখ্যাত জীবনানন্দ প্রেমী নাবিউল আফরোজ ( ব্লগার রাফি, আজকেই দেখলাম ফাঁকিবাজদের তালিকায় তার নাম উঠেছে) এবং আমাদের সকলের প্রিয় ব্যানার্জী স্যাম।
কিংবা যে আকাশে
কাস্তের মতো বাঁকা চাঁদ
জেগে ওঠে, -ডুবে যায় — তোমার প্রাণের সাধ
তাহাদের তরে!
যেখানে গাছের শাখা নড়ে
শীত রাতে, — মড়ার হাতের শাদা হাড়ের মতন! —
যেইখানে বন
আদিম রাত্রির ঘ্রাণ
বুকে লয়ে অন্ধকারে গাহিতেছে গান!–
কচি লেবুপাতার মতো নরম সবুজ আলোয়
পুথিবী ভরে গিয়েছে এই ভোরের বেলা;
কাঁচা বাতাবির মতো সবুজ ঘাস-তেমনি সুঘ্রাণ-
হরিণেরা দাঁত দিয়ে ছিড়ে নিচ্ছে।
আমারো ইচ্ছা করে এই ঘাসের এই ঘ্রাণ হরিৎ মদের মতো
গেলাসে - গেলাসে পান করি,
এই ঘাসের শরীর ছানি- চোখে চোখে ঘষি,
ঘাসের পাখনায় আমার পালক,
ঘাসের ভিতর ঘাস হয়ে জন্মাই কোন এক নিবিড় ঘাস-মাতার
শরীরের সুস্বাদ অন্ধকার থেকে নেমে।
হয়তো বা হাঁস হব — কিশোরীর — ঘুঙুর রহিবে লাল পায়,
সারা দিন কেটে যাবে কলমীর গন্ধ ভরা জলে ভেসে-ভেসে;
আবার আসিব আমি বাংলার নদী মাঠ ক্ষেত ভালোবেসে
জলাঙ্গীর ঢেউয়ে ভেজা বাংলার এ সবুজ করুণ ডাঙায়;
পাহাড়, আকাশ, জল, অনন্ত প্রান্তরঃ
সৃজনের কী ভীষণ উৎস থেকে জেগে
কেমন নীরব হয়ে রয়েছে আবেগে;
যেন বজ্রবাতাসের ঝড়
ছবির ভিতরে স্থির- ছবির ভিতরে আরো স্থির।
মনে হয় কোনো বিলুপ্ত নগরীর কথা
সেই নগরীর এক ধূসর প্রাসাদের রূপ জাগে হৃদয়ে।
ভারতসমুদ্রের তীরে
কিংবা ভূমধ্যসাগরের কিনারে
অথবা টায়ার সিন্ধুর পারে
আজ নেই, কোনো এক নগরী ছিলো একদিন,
কোনো এক প্রাসাদ ছিলো;
মূল্যবান আসবাবে ভরা এক প্রাসাদ;
পারস্যগালিচা, কাশ্মীরী শাল, বেরিন তরঙ্গের নিটোল মুক্তা প্রবাল,
আমার বিলুপ্ত হৃদয়, আমার মৃত চোখ, আমার বিলীন স্বপ্ন আকাঙ্ক্ষা;
আর তুমি নারী--
এইসব ছিলো সেই জগতে একদিন।
জানি পাখি, শাদা পাখি, মালাবার ফেনার সন্তান,
তুমি পিছে চাহো নাকো, তোমার অতীত নেই, স্মৃতি নেই,
বুকে নেই আকীর্ণ ধূসর
পাণ্ডুলিপি; পৃথিবীর পাখিদের মতো নেই শীতরাতে
ব্যথা আর কুয়াশার ঘর।
অন্ধভাবে আলোকিত হয়েছিলো তারা
জীবনের সাগরে-সাগরেঃ
বঙ্গোপসাগরে,
চীনের সমুদ্রে- দ্বীপপুঞ্জের সাগরে।
নিজের মৎসর নিয়ে নিশানের 'পরে সূর্য এঁকে
চোখ মেরেছিলো তারা নীলিমার সূর্যের দিকে।
তারা সব আজ রাতে বিলোড়িত জাহাজের খোল
সাগরকীটের মৃত শরীরের আলেয়ার মতো
সময়ের দোলা খেয়ে নড়ে;
তোমার মুখের দিকে তাকালে এখনও
আমি সেই পৃথিবীর সমুদ্রে নীল,
দুপুরের শূন্য সব বন্দরের ব্যথা,
বিকেলের উপকন্ঠে সাগরের চিল,
নক্ষত্র, রাত্রির জল যুবাদের ক্রন্দন সব–
শ্যামলী, করেছি অনুভব।
তোমার বুকের থেকে একদিন চলে যাবে তোমার সন্তান
বাংলার বুক ছেড়ে চলে যাবে; যে ইঙ্গিতে নক্ষত্রও ঝরে,
আকাশের নীলাভ নরম বুক ছেড়ে দিয়ে হিমের ভিতরে
ডুবে যায়, – কুয়াশায় ঝ’রে পড়ে দিকে-দিকে রূপশালী ধান
একদিন; – হয়তো বা নিমপেঁচা অন্ধকারে গা’বে তার গান,
আমারে কুড়ায়ে নেবে মেঠো ইঁদুরের মতো মরণের ঘরে –
হ্নদয়ে ক্ষদের গন্ধ লেগে আছে আকাঙ্খার - তবু ও তো চোখের উপরে
নীল মৃত্যু উজাগর – বাঁকা চাঁদ, শূন্য মাঠ, শিশিরের ঘ্রাণ -
আমি কোন এক পাখির জীবনের জন্য অপেক্ষা করছি
তুমি কোন এক পাখির জীবনের জন্য অপেক্ষা করছো
হয়তো হাজার হাজার বছর পরে
মাঘের নীল আকাশে
সমুদ্রের দিকে যখন উড়ে যাবো
আমাদের মনে হবে
হাজার হাজার বছর আগে আমরা এমন উড়ে যেতে চেয়েছিলাম।
ধান কাটা হয়ে গেছে কবে যেন — ক্ষেত মাঠে পড়ে আছে খড়
পাতা কুটো ভাঙা ডিম — সাপের খোলস নীড় শীত।
এই সব উৎরায়ে ঐখানে মাঠের ভিতর
ঘুমাতেছে কয়েকটি পরিচিত লোক আজ — কেমন নিবিড়।
কোনো হ্রদে
কোথাও নদীর ঢেউয়ে
কোনো এক সমুদ্রের জলে
পরস্পরের সাথে দু'-দণ্ড জলের মতো মিশে
সেই এক ভোরবেলা শতাব্দীর সূর্যের নিকটে
আমাদের জীবনের আলোড়ন-
হয়তো বা জীবনকে শিখে নিতে চেয়েছিলো।
মোটরকার সব-সময়েই একটা অন্ধকার জিনিস,
যদিও দিনের রৌদ্র-আলোর পথে
রাতের সুদীপ্ত গ্যাসের ভিতর
আলোর সন্তানদের মধ্যে
তার নাম সবচেয়ে প্রথম।
মনে হয় শুধু আমি,- আর শুধু তুমি
আর ঐ আকাশের পউষ-নীরবতা
রাত্রির নির্জনযাত্রী তারকার কানে-কানে কত কাল
কহিয়াছি আধো-আধো কথা!
সেই মেয়েটি এর থেকে নিকটতর হ’লো না :
কেবল সে দূরের থেকে আমার দিকে একবার তাকালো
আমি বুঝলাম
চকিত হয়ে মাথা নোয়ালো সে
কিন্তু তবুও তার তাকাবার প্রয়োজন – সপ্রতিভ হয়ে
সাত-দিন আট-দিন ন-দিন দশ-দিন
সপ্রতিভ হয়ে — সপ্রতিভ হয়ে
সমস্ত চোখ দিয়ে আমাকে নির্দিষ্ট করে
অপেক্ষা করে — অপেক্ষা ক’রে
সেই মেয়েটি এর চেয়ে নিকটতর হ’লো না
কারণ, আমাদের জীবন পাখিদের মতো নয়।
সারাদিন একটা বেড়ালের সঙ্গে ঘুরে ফিরে কেবলই আমার দেখা হয়:
গাছের ছায়ায়, রোদের ভিতরে, বাদামি পাতার ভিড়ে;
কোথাও কয়েক টুকরো মাছের কাঁটার সফলতার পর
ভালবেসে দেখিয়াছি মেয়েমানুষেরে,
অবহেলা করে আমি দেখিয়াছি মেয়েমানুষেরে,
ঘৃণা করে দেখিয়াছি মেয়েমানুষেরে;
আমারে সে ভালবাসিয়াছে,
আসিয়াছে কাছে,
উপেক্ষা সে করেছে আমারে,
ঘৃণা করে চলে গেছে-যখন ডেকেছি বারে বারে
ভালবেসে তারে
শুনি আমি আরো শব্দ- যত দূরে চলে যাই তত;
ওরা সব আমারি মতন:
দুশ্চর সমুদ্র ঘিরে বধির বদ্বীপ- ইতস্তত-
নিস্পৃহ ভূখণ্ড নিয়ে
এক- একজন।
ঝিমায়েছে এ -পৃথিবী
তবু আমি পেয়েছি যে টের
কার যেন দুটো চোখে নাই এ ঘুমের
কোনো সাধ!
আকাশ ছড়ায়ে আছে নীল হয়ে আকাশে আকাশে।
জীবনের রঙ তবু ফলানো কি হয়
এই সব ছুঁয়ে ছেনে!-সে এক বিস্ময়
পৃথিবীতে নাই তাহা – আকাশেও নাই তার স্থল-
চেনে নাই তারে ওই সমুদ্রের জল!
মন্তব্য
খুবই চমতকার একটা সিরিজ। চলুক।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
বলছেন? তাহলে চলতেই হয়-
facebook
খুবই চমৎকার লাগলো।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ধন্যবাদ ভাই
facebook
ওরে সর্বনাশ !! এইটা তো কঠিন হইসে... আইডিয়াটা চমৎকার তো বটেই, ছবিগুলিও দুর্ধর্ষ ! আরো আসুক এমন ব্লগ
অলমিতি বিস্তারেণ
আপনেও তুলতে থাকেন, ডালাসে খালাস!
facebook
আহ! জীবনবাবুর কবিতার সাথে মন উদাস করা সব ছবি
-পাভেল
না না, উদার হবার জন্য চউ দা আছে !
facebook
facebook
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
facebook
শিরোনামে-
কড়িকাঠুরে
এত গোলাগুলি কিসের!
facebook
এই রকম পোস্ট পড়ার পর মুগ্ধতা প্রকাশ না ক'রে চলে যাওয়াটা পাপ!
সত্যিই অসাধারণ পোস্ট অনু ভাই!
ধন্যবাদ ভাই
facebook
বড় হয়ে তো তারেক অণু হবোই!
তখন জীবনবাবুকে নিয়ে এরকম সিরিজ ছবি আমিও তুলব। হুঁহ!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
বড় হইয়ে কাজ নাইক্যা, এখনই তোলা শুরু করেন।
facebook
আমারও এইম ইন এনাদার লাইফ তারেক অণু হওয়া।
পালালাম
facebook
অনেক ভাললাগা ছুঁয়ে গেল। অসংখ্য ধন্যবাদ।
facebook
মারাত্তক সুন্দর সব ছবি, তার সাথে আমার হৃদয় ছুঁয়ে দিয়ে যাওয়া আর ও অসাধারন কিছু কবিতার পঙতি।
তাই্, আরও আসিতেছে
facebook
"ওগো নদী, ওগো পাখি,
আমি চলে গেলে আমারে আবার ফিরিয়া ডাকিবে নাকি!
আমারে হারায়ে তোমাদের বুকে ব্যথা যদি জাগে ভাই,-
জেনো আমি এক দুখ-জাগানিয়া, -বেদনা জাগাতে চাই;
পাই নাই কিছু, ঝরা ফসলের বিদায়ের গান তাই,
গেয়ে যাই আমি, - গাহিতে গাহিতে ঘুমে বুজে আসে আঁখি"
মানুষ কেন থমকে যায় ৬০-৬৫ বর্ষা পার করেই ?
ওই বুডডা কচ্ছপের, তিমির বাচ্চার ১৫০-২০০ বছর বাঁচতে হবে ক্যান !
ওদের হায়াত আমারে ফ্লেকজি করে দে মাবুদ !!
ব্যায়াম শুরু করেন, এখন তো ৯০ ছোঁয়া অনেকটাই সহজ।
facebook
জ্বর জ্বর শরীরে পড়তে শুরু করলাম, আপনার ছবি আর জীবনান্দের কবিতা মাথায় ভর করল........সবগুলো ছবি দারুন, প্রথমটা সম্পর্কে মুগ্ধতা জানানোর ভাষা নেই......"এই রকম পোস্ট পড়ার পর মুগ্ধতা প্রকাশ না ক'রে চলে যাওয়াটা পাপ"....তাই চেষ্টা করে গেলাম.
জ্বর থেকে সেরে উঠুন জলদি
facebook
দারুন ! পেন্নাম গুরু পেন্নাম!!!
facebook
আপনি আর জীবনানন্দ বাবু মিলে সকালটাই সুন্দর করে দিলেন
জীবনানন্দ বাবুকে এত্ত তাড়াতাড়ি ছাড়বেন না যেন।
ছাড়ব না, আমি ছাড়লেও উনি কি আর ছাড়বেন!
facebook
খুবই চমৎকার হয়েছে! আরো চাই...
আসিতেছে--
facebook
অণু দা গ্রেট!
facebook
খুব ভালো লাগলো।।।
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
ঢাকায় থাকেন কিছুদিন, আসিতেছি।
facebook
আমার চারদিকটা রূপশালী আলোয় ভরে উঠ্ল।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
কি ভাষা!
facebook
****************************************
facebook
"তোমার মুখের দিকে তাকালে এখনও
আমি সেই পৃথিবীর সমুদ্রে নীল,
দুপুরের শূন্য সব বন্দরের ব্যথা,
বিকেলের উপকন্ঠে সাগরের চিল,
নক্ষত্র, রাত্রির জল যুবাদের ক্রন্দন সব–
শ্যামলী, করেছি অনুভব।"
এই কবিতা নিয়ে ফেসবুকে আপনার পোস্ট দেখেই শেয়ার করেছিলাম। দারুণ। গোটা পোস্টটা পড়ে দেখে রোমেল চৌধুরীর ভাষায় বলতে হচ্ছে - আমার চারদিকটা রূপশালী আলোয় ভরে উঠ্ল।
(রোমেল চৌধুরীর শব্দচয়ন বরাবরই মনকাড়া)
"আকাশ ছড়ায়ে আছে নীল হয়ে আকাশে আকাশে" দেখে মনে পড়লো আমার ভীষণ ভালোলাগা একটি কবিতার কথা।
"পৃথিবীর সব ঘুঘু ডাকিতেছে হিজলের বনে;
পৃথিবীর সব রূপ লেগে আছে ঘাসে;
পৃথিবীর সব প্রেম আমাদের দু'জনার মনে;
আকাশ ছড়ায়ে আছে শান্তি হয়ে আকাশে আকাশে।"
এই লাইনগুলি নিয়ে আর 'সোনালী ডানার চিল' নিয়ে আগামীতে ছবি পোস্টানোর অনুরোধ করে গেলাম।
সৌরভ কবীর
চেষ্টা করব। ধন্যবাদ
facebook
ওরে কি দারুন রে, চলুক !!!
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
আপনি বললে চলতেই হবে---
facebook
আমাদের প্রজন্মের একজন প্রিয় কবি। অবশ্য সব সময়ের প্রিয় কবিও বটেন।
অবশ্যই সব সময়ের
facebook
এক্কেবারে মনের মত একটা পোস্ট ❤ ✿
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
মন শুধু মন ছুয়েছে--
facebook
আপনার জীবনের আনন্দ লাফিয়ে লাফিয়ে চলুক।
facebook
দারুণ হয়েছে।
এক কথায় মুগ্ধ।
মোহছেনা ঝর্ণা
ধন্যবাদ
facebook
৯৬৫/১৫০ পিক্সেল এ দিলেই ২০ টা ব্যানার! ভাগ্য ভাল আপনি এখনো হাত দেননি এ জায়গায়
আসেন একসাথে চেষ্টা করি
facebook
ক্লোন ৯৯
facebook
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
facebook
অসাধারণ, বরাবরের মতই 'তারেকানু স্টাইল'। সিরিজটা চলতেই হবে।
ভাল থাকুন।
-স্বপ্নচারী
চলবে্, ধন্যবাদ
facebook
চলুক চলুক, মানে মানে দৌড়াক। ভালো লেগেছে খুব।
তারেক, খুউউউউউউউউউব ভাল লাগল ছবি আর কবিতা । সবচেয়ে ভাল লেগেছেঃ
চলুক ।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
ধন্যবাদ
facebook
এখন থেকে কবিতার লাইনগুলো পড়লে এই ছবিগুলো মনের ভিতরে ফুটে উঠবে,
অসাধারণ মিল। এক কথায় অসাধারণ হয়েছে, এমনিতেই জীবন বাবুর কবিতার প্রতি দুর্বল, তার উপরে ছবি সহ কবিতা,,,
না চললে কেমনে হয়!
facebook
facebook
দারুন
facebook
পুরা পৃথিবী একটা চক্কর দিলাম। এত সুন্দর করে উপস্থাপনের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
জীবনানন্দ দাশ এর কবিতা সবসময় মনকে শীতল করে।
শুভেচ্ছা
facebook
[img][/img]
facebook
এই ছবিটা দেখে ভীষণ মুগ্ধ হয়েছি।
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
আমার প্রিয় শহর- ভারকাউস।
facebook
[img][/img]
facebook
পোস্টকার্ড! ওহ, দারুণ!
আসলেই চমৎকার লাগছে এখন।
facebook
[img][/img]
facebook
[img][/img]
নীলে নীল!
facebook
[img][/img]
স্যাম, প্রতিটাই অসাধারণ হয়েছে। আপনার আর তারেক অণুর মত কয়েকজন মানুষই যথেষ্ট সচলকে সাজিয়ে রাখতে।
একমত
আহ, ১০এ ১০! এইটা মিস্টি হয়েছে!
facebook
কোনটাই বেশি ভাল হয় নাই জানি - তাড়াহুড়ো করে করা - ছবি নস্ট করতে না চাওয়ার একটা চেস্টা ছিল শুধু - আমি বেশ কয়েকটা নিয়ে কাজ করে দেখলাম ব্যানার এর চাইতে পোস্টকার্ড বা পোস্টার এ ভাল লাগবে ছবিগুলো সাথে আপনার বিখ্যাত লেখা ---
সাদা পাখি আর পাল তোলা নৌকা/জাহাজ এর ছবিটা যে কতবার দেখলাম!
ডকিন্স কে নিয়ে লেখা আসবেনা?
আপনার কাজ অসাধারণ সেটা আর না বললেও চলে। এই দুটো ব্যানার দেখে মনে হল ৫ নং ছবি দিয়ে একটা ব্যানার হলে মন্দ হত না।
ইমা
facebook
ধন্যবাদ ইমা।
৫ নং ছবি টা তে শুধু সচলায়তন লিখাটা বাকি নাহলে ব্যানার হয়েই আছে
পোস্টকার্ড এ ছবিটি তাই দেইনি - ডুপ্লি না হোক
facebook
অবশ্যই আসবে, কেবল ফিরলাম, দেখি সময় করে লেখে ফেলব। ব্যানার করবেন নাকি উনাকে নিয়ে, ভাল ছবি আছে
facebook
অণু - অবশ্যই করব -এতো অনেক বড় পাওয়া হবে!
আমার ইমেইল তো আছেই - ইমেইল ই ভাল - আপ্নিতো ফেসবুক ইনবক্স চেক করেন না মনে হয় - আমারো খুব কম ঢোকা হয় - একটা মেইল যদি করতেন ছবি আর একটু লেখা দিয়ে।
করব, কালকেই
facebook
পোস্ট টা পড়েছি আগেই, ব্যস্ততার কারণে মন্তব্য করা হয়নি। এটা ফেবু তে রেখে দিয়েছি, যখন মুড অফ হবে বের করে দেখব।
হা হা, ধন্যবাদ, আশা করছি মুড অফের দরকার হবে না, এমনিই দেখবেন।
facebook
জীবনবাবুর বোধের ওই কটা লাইন বহু বছর ধরে মুখস্ত, ভালোবেসে দেখিয়াছি মেয়েমানুষেরে, অবহেলা করে দেখিয়াছি মেয়েমানুষেরে ;;; উহহহ অসহ্য, যখনই মনে আসে অসহ্য যন্ত্রনা হয়, জীবনবাবুটা যে কিনা। তারেক অনু আপনিইবা কম কিসে,এটা নিয়েই কেন সিরিজ করতে হবে?
অসহ্য ভালো লাগায় আচ্ছন্ন হোলুম; চালিয়ে যান দাদা;
facebook
আর কোন কথা থাকে নাকি!
থাকে-
facebook
facebook
১৪ নাম্বার ছবিটা দেখে পুরোই উদাস হয়ে গেলাম। হায় এমন কোথাও আমি কবে যাবো??!
জীবনানন্দ দাশের কবিতাগুলো এতো অপূর্ব কেন? কিছু কিছু লাইন চোখে জল নিয়ে আসে। কিছু সৌন্দর্য দেখলে বুকের ভেতর কান্না জমে।
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
উদাস হওয়া যাবে না! সেটা কেবলমাত্র চউ দার জন্য, না হলে খেপে যাবে সে!
facebook
জীবন বাবু আমার খুব পছন্দের কবি, তার কবিতার সাথে ছবিগুলোর সংযোগ, এক কথায় আমি বাকরুদ্ধ !!!
মন ছুঁয়ে গেল।
সাফিনাজ আরজু
ধন্যবাদ
facebook
সালাম অণুদা। সালাম স্যাম ভাই। বসে বসে বসাকার।
আপনার ছবির পেঁচাটা কোথায় পেলেন, খুব ভাল লাগে।
facebook
জীবনানন্দ
তার সাথে সাথে আমাদের বেড়ে ওঠা, পথ চলা,
দেখে নেওয়া - প্রিয়তম মুখ, চাঁদ ডুবে গেলে পর
মরে যাওয়া, ফিরে, ফিরে আসা - অণু পরমাণু হয়ে
আলো হয়ে, শূণ্য হয়ে। জীবনের স্বাদ জিভের ভিতর
নিরন্তর মিশে যায়, অমৃত ফলের মত, ফ্যানে গলা
ভাত, ধোঁয়া ওঠা, শীতের সন্ধ্যায় অনেক ক্ষুধার পর
নিজস্ব মানুষের ঘামে ভেজা মুখ কোলে লয়ে
বাদামী রমণীর স্তন যেই ভাবে ঢেকে ফেলে চরাচর।
রৌদ্রে ও জ্যোৎস্নায়, কাপাসডাঙার বিলে বালিহাঁস
তাহাদের মতো অনায়াসে সাঁতরায়ে নিজের ভাষায়
এই সাধ বুকে - বাংলার নীল জলে আমাদের লাশ
সুবর্ণ গোধূলিতে এইসব ইতিহাস টুপ টুপ ডুবে যায়।
আবার জন্মালে যেন বাংলার মাটি, সবুজ ধানের ভোর
শাপলার ফুল, জীবনানন্দ, জেগে থাকে বুকের ভিতর।।
অমিতাভ চক্রবর্ত্তী
মার্চ ২০, ২০১৩
facebook
অনন্য। অসাধারণ সুন্দর ছবিগুলো, নির্জনতম কবিকে মনে পড়ছে প্রায় সবগুলোতেই!!
প্রথম ছবিটা দেখে মনে হয় স্বপ্ন! স্বপ্ন!
শেষ ছবিটা দেখে মনে হয়ে কলম ডুবিয়ে নীল কালিতে লিখে ফেলা যাবে কিছু একটা। উফ্ অদ্ভুত সুন্দর!
গান্ধর্বী
নতুন মন্তব্য করুন