কতদিন ভোরের বাতাসে কাঁঠাল পাতা ঝরতে দেখি না, কুয়াশা ফুঁড়ে বের হওয়া গাঙশালিকের দল কেমন অপরিচিত হয়ে গেছে, মাথার উপরে সোনালি ডানার চিল ভর দুপুরে উড়ে না কেঁদে কেঁদে, চালতাফুল শিশিরের নরম গন্ধের ঢেউয়ে ভিজে না- কিন্তু আমি ভিজি, বছরের প্রতিটি দিন জীবনানন্দের কবিতা আমাকে সিক্ত করে, আপ্লুত করে, সেই ফেলে আসা চেনা জগতে ফিরিয়ে নিয়ে যায়।
এই পর্বেও ১৫টা ছবি থাকল। সিরিজটি বিশ্বের সেইসব মানুষের জন্য যারা কবিতা ভালবাসে, জীবনকে ভালবাসে, জীবনানন্দকে ভালবাসে। এবং বিশেষ করে দুজন মানুষের জন্য, তারা হলেন- কুখ্যাত জীবনানন্দ প্রেমী নাবিউল আফরোজ ( ব্লগার রাফি) এবং আমাদের সকলের প্রিয় ব্যানার্জী স্যাম।
যতদিন বেঁচে আছি আকাশ চলিয়া গেছে কোথায় আকাশে
অপরাজিতার মতো নীল হয়ে-আরো নীল-আরো নীল হয়ে
আমি যে দেখিতে চাই;
— দেখেছি সবুজ ঘাস — যত দূর চোখ যেতে পারে
ঘাসের প্রকাশ আমি দেখিয়াছি অবিরল, — পৃথিবীর ক্লান্ত বেদনারে
ঢেকে আছে;
কল্পনার হাঁস সব-পৃথিবীর সব ধ্বনি, সব রং মুছে গেলে পর;
উড়ুক উড়ুক তারা হৃদয়ের শব্দহীন জোৎস্নার ভিতর।
সুজাতাকে ভালোবাসতাম আমি —
এখনো কি ভালোবাসি?
সেটা অবসরে ভাববার কথা,
অবসর তবু নেই;
তবু একদিন হেমন্ত এলে অবকাশ পাওয়া যাবে
এখন শেলফে চার্বাক ফ্রয়েড প্লেটো পাভলভ ভাবে
সুজাতাকে আমি ভালোবাসি কি না।
— এক রাত আর এক দিন সাঙ্গ হলে
পশ্চিমের মেঘে আলো এক দিন হয়েছে সোনেলা!
আকাশে পুবের মেঘে রামধনু গিয়েছিল জ্বলে
এক দিন রয় না কিছুই তবু — সব শেষ হয় —
সময়ের আগে তাই কেটে গেল প্রেমের সময়;
ভোমরা উড়িছে,শুনি-গুবরে পোকার ক্ষীণ গুমরানি ভাসিছে বাতাসে
রোদের দুপুর ভরে-শুনি আমি; ইহারা আমারে ভালোবাসে-
সূর্যের আলো মেটায় খোরাক কার
সেই কথা বোঝা ভার।
অনাদি যূগের অ্যামিবার থেকে আজিকে ওদের প্রাণ
গড়িয়া উঠিল কাফ্রির মতো সূর্যসাগর তীরে
কালো চামড়ার রহস্যময় ঠাশবুনুনিটি ঘিরে
মেঘের চিলের মতো — দুরন্ত চিতার মতো বেগে
ছুটে যাই — পিছে ছুটে আসিতেছে বৈকাল
নীল আকাশে খইক্ষেতের সোনালি ফুলের মতো অজস্র তারা,
শিরীষ বনের সবুজ রোমশ নীড়ে
সোনার ডিমের মতো
ফাল্গুনের চাঁদ।
তারপর তুমি এলে
এ পৃথিবী সলের মতন
তোমার প্রতীক্ষা করে বসেছিল
মাঠে মাঠে ঝরে এই শিশিরের সুর,–
কার্তিক কি অঘ্রানের রাত্রির দুপুর–
হলুদ পাতার ভিড়ে ব’সে,
শিশিরে পালক ঘ’ষে ঘ’ষে,
পাখার ছায়ায় শাখা ঢেকে
ঘুম আর ঘুমন্তের ছবি দেখে -দেখে
মেঠো চাঁদ আর মেঠো তারাদের সাথে
জেগেছিল অঘ্রানের রাতে
এই পাখি!
সারারাত দখিনা বাতাসে
আকাশের চাঁদের আলোয়
এক ঘাইহরিণীর ডাক শুনি –
কাহারে সে ডাকে!
মাঠ থেকে মাঠে মাঠে — সমস্ত দুপুর ভরে এশিয়ার আকাশে আকাশে
শকুনেরা চরিতেছে; মানুষ দেখেছে হাট ঘাঁটি বস্তি — নিস্তব্ধ প্রান্তর
শকুনের; যেখানে মাঠের দৃঢ় নীরবতা দাঁড়ায়েছে আকাশের পাশে
নিচের ছবিটা অনেক কষ্ট, অনেক বেদনা থেকে দেয়া। এর বদলে রামুর পুড়িয়ে দেওয়া বৌদ্ধমন্দিরের ছবি দিতে পারলে যথার্থ হত।
অদ্ভুত আঁধার এক এসেছে এ পৃথিবীতে আজ,
যারা অন্ধ সবচেয়ে বেশি আজ চোখে দেখে তারা;
যাদের হৃদয়ে কোনো প্রেম নেই-প্রীতি নেই-করুনার আলোড়ন নেই
পৃথিবী অচল আজ তাদের সুপরামর্শ ছাড়া।
যাদের গভীর আস্থা আছে আজো মানুষের প্রতি,
এখনো যাদের কাছে স্বাভাবিক বলে মনে হয়
মহৎ সত্য বা রীতি, কিংবা শিল্প অথবা সাধনা
শকুন ও শেয়ালের খাদ্য আজ তাদের হৃদয়।
মন্তব্য
আপনে ভাই আসলেই একখান পিস।
টুপি খুইলা সালাম জানাইলাম।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
মানে কি বলতে চাচ্ছেন আমি আল্লার মাল?
facebook
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
facebook
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
facebook
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
facebook
আপনে একটা আল্লার মালগাড়ি।
..................................................................
#Banshibir.
হেইডা কি! পীর সাহেব কি ঘুরায়ে আবুল মালের আত্মীয় ?
facebook
অপমান করেন ক্যান?
..................................................................
#Banshibir.
ছরি, মানে বলতে চাইছিলাম, আপনি কি আমারে ঘুরায়ে মালের আত্মীয় বলতে চাইছেন!
facebook
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
এহহে্ মিসিং মনে হচ্ছে অল্পের জন্য!
facebook
খেলবোই না আমি আর
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
হাল ছেড় না বন্ধু,
facebook
পুরাই মুগ্ধ হয়ে গেলাম। তুমিও দিন দিন চরম হয়ে যাচ্ছো। চরম তারেকাণু ১, ৫, এতো সুন্দর! বলার মত না! ইস কবিতাগুলো এতো সুন্দর কেন?
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
কবিতা পড়েই তো উদাস
facebook
আহা, বড় শান্তি লাগলো দেখে, পড়ে। পেঁচার ছবির কবিতাটা দেশে থাকতে প্রচন্ড গরমে লোডশেডিং এর রাতে পড়তাম, ম্যাজিকের মত গরম দূর হয়ে যেতঃ
প্রথম ফসল গেছে ঘরে,
হেমন্তের মাঠে মাঠে ঝরে
শুধু শিশিরের জল;
অঘ্রানের নদীটির শ্বাসে
হিম হয়ে আসে
বাঁশপাতা — মরা ঘাস — আকাশের তারা!
বরফের মতো চাঁদ ঢালিছে ফোয়ারা!
ধানক্ষেতে — মাঠে
জমিছে ধোঁয়াটে
ধারালো কুয়াশা!
ঘরে গেছে চাষা,
ঝিমায়েছে এ পৃথিবী–
তবু পাই টের
কার যেন দুটো চোখে নাই এ ঘুমের
কোনো সাধ!
রিক্তা
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
facebook
আমিও সালাম জানাইলাম। বাঘমামা চিতা না, লেপার্ড।
লেপার্ড, বিশ্বের দুর্লভতম বিড়াল। আমুর লেপার্ড।
facebook
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
শান্তি, শান্তি, গুল্লি নহে!
facebook
ঠিকাসে, নিজের তোলা একটা ফাউল ছবির লিঙ্ক দেই তাহলে---
জীবনানন্দ দাশ
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
facebook
অপূর্ব সুন্দর! হাসের ছবিটা কিভাবে তুললেন? সুজাতার চোখ দুইটা মরা মাছের মতো।
হাঁসের নাক বরাবর লাফ দিয়ে!
সুজাতা মৃত যে!
facebook
চলুক !
শাটার বন্দী জীবনানন্দ মনের কথা বলুক !
facebook
উপায় নাই উপায় নাই
০৭-টাকে ছুঁয়ে দেখতে ইচ্ছে করে। এত্ত জীবন্ত
ডাকঘর | ছবিঘর
গুল্লি, না গোলাপ দরকার।
facebook
সুমনের দুটো লাইন বলি, কেমন। অঞ্জন দত্তকে নিয়ে বেঁধেছিলেন
চল অঞ্জন ছুটিতে দার্জিলিঙে
টেলিগ্রাফের তারেই নাচুক ফিঙে
ছেলেবেলার তার ছন্দেই একাকার
চল অঞ্জন গীটার'টা দরকার ......
( অঞ্জনের যায়গায় তোমার নামটা বসিয়ে উচ্চারণ করলুম )
ডাকঘর | ছবিঘর
facebook
অসাধারণ অণুদা, অসাধারণ সমন্বয়!
জীবনানন্দে শুধু তলিয়ে যেতে হয়- শুধু গভীরে নিয়ে যায়!!!
_____________________
Give Her Freedom!
জীবনানন্দে শুধু তলিয়ে যেতে হয়- শুধু গভীরে নিয়ে যায়!!!
facebook
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আপনি কোথায়?
facebook
খুবই সুন্দর!
ধন্যবাদ
facebook
সুন্দর, অনেক সুন্দর।
চলুক, আসুক নতুন নতুন 'ছবিতা'
-স্বপ্নচারী
facebook
ভাষাহীন।
facebook
অসাধারণ। ছবি গুলো কোথায় তোলা জানতে পারলে ভাল lag't.
দেওয়া যেতেই পারে, কিন্তু লেখা বেশী হয়ে যাবে, এই চিন্তাতেই দিচ্ছি না
facebook
মন্ত্যব্যের ঘরে দিতে পারেন, খুবি জানতে ইচ্ছে করে কোথায় তোলা ছবিগুলো।
বিভিন্ন দেশে- কিউবা, ফিনল্যান্ড, বলিভিয়া, ইংল্যান্ড, সুইডেন, আর নদীর ছবিটা বাংলাদেশের, পদ্মা তীরের রাজশাহীতে।
facebook
অনেক অনেক ভালো লাগা
facebook
আকাশ ছড়ায়ে আছে নীল হয়ে আকাশে----
আহা
facebook
ঘাসের প্রকাশ আমি দেখিয়াছি অবিরল, — পৃথিবীর ক্লান্ত বেদনারে ঢেকে আছে---
কি দারুন প্রকাশ!
এমন করে দেখে কিভাবে মানুষ?!
আপনাকে আবারও অসংখ্য ধন্যবাদ।
- এই সিরিজ টা দিয়ে একটা অডিও-ভিজুয়াল প্রেজেন্টেশন বানাতে পারলে !! সচলে ই বুক এর মত আরেকটা কিছু হয়ত করা যেত!
আচ্ছা কে করবে> স্যাম দা?
ঐ ঘাসের ছবিটা কিউবাতে তোলা
facebook
হিমু বা অনিকেত এর মিউজিক এবং মাঝে মাঝে আবৃত্তি যদি কোনভাবে পেয়ে যান - বাকিটা আমি চেস্টা করতে পারব
অবশ্যই!
facebook
ছবিগুলি কবিতার মতই সুন্দর। কোথায় পেলেন এত সুন্দর সুন্দর ছবি?
তামান্না ঝুমু
এইতো, এখানে সেখানে!
facebook
আহা, জবাব নেই!
শুধুই প্রশ্ন আছে, উত্তর নেই !
facebook
facebook
লেখাটা আগেই পড়েছি কিন্তু সৌন্দর্য প্রকাশের জন্য নতুন করে আর কিছু আপাতত খুঁজে পাচ্ছি না দেখেই আগে মন্তব্য করা হয়নি। মানে হচ্ছে আগের দুটো পোস্টে সব কথা বলে দিয়েছি। যাই হোক ছবিতে চলতে থাকুক জীবনানন্দ বন্দনা।
ইমা
আরে বলতে থাকেন, ইচ্ছা মত। আর লেখা দ্যান- আম্রিকা নিয়া-
facebook
বেশি সুন্দর...
facebook
তোমার সবুজ পোষ্ট আমাদের ক্লান্ত বেদনাকে ঢেকে দেয়।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
দাঁড়ান ভাই, ধূসর পোস্ট দিতে শুরু করব-
facebook
একদম একমত রোমেল ভাই। কিন্তু আমার মত টা আপনার মত সুন্দর করে জানানোর ক্ষমতা নাই
অণুদা নো ধুসর পোস্ট - ঐ গুলার জন্য আমি আছি।
হাতাহাতি হয়ে যাবে কিন্তু হাটে
facebook
facebook
নতুন মন্তব্য করুন