একশ বছরেরও বেশী সময় আগে ১৯০৮ সালের ২১ এপ্রিল মার্কিন অভিযাত্রী ফ্রেডেরিখ কুক প্রথম মানুষ হিসেবে উত্তর মেরু বিন্দু জয়ের দাবী করেন। ঠিক এক বছর পরে আরেক মার্কিন অভিযাত্রী রবার্ট পিয়েরি ১৯০৯ সালের ৬ এপ্রিল একই দাবী করেন। তাহলে উত্তর মেরু বিন্দুতে আসলে কে আগে পৌঁছেছেন?
এই নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে সাক্ষ্যপ্রমাণ তলব করা হলে রবার্ট পিয়েরি সমস্ত মেরু জয়ের পক্ষে সমস্ত তথ্য- উপাত্ত দাখিল করেন, কিন্তু জনাব ফ্রেডেরিখ কুক কোন প্রমাণ দিতে পারেন নি, যদিও সবসময় দাবী করে গেছেন যে তিনিই সুমেরুতে পা রাখা প্রথম মানুষ!
এদিকে ফ্রেডেরিখ কুকের আরেক কেলেঙ্কারি প্রকাশ হয়ে পড়ে ১৯০৬ সালে সেপ্টেম্বরে উত্তর আমেরিকার সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট ম্যাককিনলে জয়ের দাবী করে ছিল কুক, কিন্তু তাদের সহযাত্রীদের সাক্ষ্য, কুকের ছবি ইত্যাদি থেকে প্রমাণিত হয় সে ম্যাককিনলের শীর্ষে আরোহণ না করেই মিথ্যা গৌরবের জন্য কাহিনী ফেঁদেছিল!
এই ঘটনার প্রকাশের পর থেকে ফ্রেডেরিখ কুকের কোন দাবীই আর গ্রাহ্যের মধ্যে ধরা হত না, কারণটা খুব সহজ- যে একবার মিথ্যা বলেছে, সে দুইবারও বলতেই পারে!
তারপর থেকে রবার্ট পিয়েরিকেই সুমেরুতে পা দেওয়া প্রথম মানুষ হিসেবে ধরা হয়, যদিও আধুনিক কালের চুলচেরা বিশ্লেষণে মনে করা হচ্ছে পিয়েরি হয়ত মেরুবিন্দু থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে ছিলেন, কিন্তু সেই একশ বছর আগের হিসেব এবং যন্ত্রের সাহায্যে তিনি যে ফলাফল পেয়েছিলেন তাই প্রকাশ করেছেন, জালিয়াতির আশ্রয় নেন নি মিথ্যা গৌরবের জন্য।
জনাব ফ্রেডেরিখ কুকের বাকী জীবন সুখময় হয় নি, উনি তেল ব্যবসায় জড়ানোর পরে সাক্ষর জালিয়াতিসহ অন্যান্য কারণে বেশ কিছু বছর জেলের ঘানি টানেন।
উপরের ঘটনাটি বলার কারণ যে কোন অভিযানের সাফল্য দাবী করতে হলে প্রমাণ পেশ করতে হবে, প্রমাণ ছাড়া আপনার দাবী তাৎক্ষণিক ভাবে মেনে নেয়া হলেও কালের কষ্টিপাথরে তা ধোপে টিকবে না।
২০০৭ সালের এপ্রিল মাসে আমি, তারেক অণু, পাখিবিশারদ, আলোকচিত্রগ্রাহক, অভিযাত্রী ইনাম আল হকের সাথে উত্তর মেরু গিয়েছিলাম। সেও অভিযানের প্রমাণ হিসেবে জিপিএসের রিডিং এবং যথেষ্ট ছবি আমাদের কাছে আছে। সেই ঘটনা দেশের অনেক পত্রিকাতেই প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে উল্লেখ করা হয়েছিল বাংলাদেশে পক্ষ থেকে আমরাই প্রথম উত্তর মেরু বিজয়ী। যদি ভবিষ্যতে বাংলাদেশের কোন নাগরিক দাবী করেন যে তিনি আমাদের আগে উত্তর মেরু গিয়েছিলেন এবং সেই মোতাবেক প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেন, নিঃসন্দেহে তাকে সাধুবাদ জানাব আমরা। অভিযানটাই মূল কথা, কে প্রথম বা কে শেষ সেইটা নয়।
২০০৯ সালের ৪ জুলাই দৈনিক প্রথম আলোর শনিবারের ক্রোড়পত্র ছুটির দিনে কভার স্টোরি হিসেবে প্রকাশিত হয়েছিল অন্নপূর্ণা শিখরে- সেখানে ঢাকার নর্থ আলপাইন ক্লাবের ২ জন বাংলাদেশি পর্বতারোহী মুসা ইব্রাহীম এবং তৌহিদ হোসেনের নেপালের কয়েক পর্বতারোহীর সাথে ৭৫২৫ মিটার (২৪,৬৮৮ ফুট) উচ্চতার অন্নপূর্ণা-৪ বিজয়ের সংবাদ। সেটি ছিল সেই সময় পর্যন্ত কোন বাংলাদেশীর পক্ষে আরোহণ করা সর্বোচ্চ শিখর, দারুণ সংবাদ! সেই বছরের ১৪ জুন তাদের শিখর জয়ের কাহিনী লিখেছিলেন সাংবাদিক দেবব্রত মুখোপাধ্যায়। এইখানে লিঙ্ক
এর পরপরই বাংলাদেশের নামী অভিযাত্রী এবং সাইকেলে বিশ্ব ভ্রমণকারী পর্বতারোহী মুনতাসির মামুন ইমরানের একটি লেখা নজরে আসে, যেখানে মুনতাসির মামুন ইমরান অন্নপূর্ণা-৪ বিজয়ের দাবী করা মুসা ইব্রাহীম এবং তৌহিদ হোসেনের কথাতে বেশ কিছু বিভ্রান্তিকর তথ্য খুঁজে পান, যেমন-
নর্থ আল পাইন ক্লাবের সদস্যরা ৮ জুন অবসন্ন অবস্থায় অনেক দেরীতে অন্নপূর্ণা -৪ এর বেস ক্যাম্পে পৌঁছায়।
( প্রতিটি উঁচু পর্বতেরই একটি বেস ক্যাম্প থাকে যেখান থেকে অভিযান পরিচালনা করা হয়, সেখানে মূল অভিযাত্রী দলের সমস্ত রসদ, রান্নার পাচক, পরিবহনের প্রাণী, অক্সিজেনের সিলিন্ডার ইত্যাদি থাকে। সেখান থেকে শেরপারা বিভিন্ন সুবিধা জনক উচ্চতায় অ্যাডভান্সড বেস ক্যাম্প, ক্যাম্প- ওয়ান, ক্যাম্প- টু, ক্যাম্প- থ্রি, ক্যাম্প –ফোর স্থাপন করে, বিপদ সংকুলস্থানগুলোতে দড়ি লাগিয়ে আসে ( রোপ ফিক্সিং)।
সোজা কথায় বেস ক্যাম্প থেকে সবকিছু পরিচালনা করা হয়। আপনাদের খেয়াল থাকতে পারে বাংলাদেশে পক্ষে প্রথম ৮০০০ মিটার উচ্চতার পর্বত বিজয় অভিযানে আমি এবং এম এ মুহিত বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু অ্যাডভান্স বেস ক্যাম্প চৌ য়ুর অ্যাডভান্স বেস ক্যাম্প নিয়ে একটা লেখা দিয়েছিলাম।
সাধারণত অভিযাত্রীরা বেস ক্যাম্পেই সবচেয়ে বেশী সময় অতিবাহিত করেন অল্প অক্সিজেনের বাতাসে খাপ খাওয়াতে, এইখানে কিছু দিন থাকলে সাধারণত রক্তে অক্সিজেন পরিবহণের ক্ষমতা বাড়তে থাকে, সেই সাথে বৃদ্ধি পায় পাতলা বাতাসে শ্বাস নেবার ক্ষমতা। এখান থেকে অভিযাত্রীরা একাধিকবার ক্যাম্প ওয়ান যেয়ে আবার ফিরে আসে, অনেক সময় ক্যাম্প টু বা থ্রিতে যেয়েও ফিরে আসে, এভাবেই শরীরকে সুউচ্চ পর্বতারোহণের জন্য প্রস্তত করা হয়। চূড়ান্ত দিনে ক্যাম্প ফোর পর্যন্ত পৌঁছে সেখান থেকে সামিট পুশ করা হয়, অর্থাৎ শিখর জয়ের শেষ ধাপ। )
এখানে প্রথম আলোতে প্রকাশিত কাহিনীমতে ৮ জুন বেলা শেষে বেস ক্যাম্পে পৌঁছালেও ১০জুন তারা ১৭,৭১০ ফুট উচ্চতার ক্যাম্প ওয়ানে পৌঁছে যান।
পরে ১৩জুন রাতে তারা শিখরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে ( বেস ক্যাম্প থেকে কি!) এবং ১৪জুন স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় শিখর বিজয় সম্পন্ন হয়।
এইখানে একাধিক লিঙ্ক দিচ্ছি অন্নপূর্ণা ৪ অভিযান নিয়মিত আয়োজন করে এমন কোম্পানির,
http://www.uniquetreks.com/nepal/expedition_in_nepal/annapurna_iv_expedition.php
http://www.nepalfctrekking.com/annapurna-iv-expedition.php
http://www.environmentaltrekking.com/mount_annapurna_iv_expedition.php
http://www.angritatreks.com/expedition/annapurna4_expedition.html
সেখানে বলা হয়েছে বেস ক্যাম্পে পৌঁছানোর পর থেকে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে শিখর জয়ের পরে ফিরে আসতে ২০ থেকে ২৪ দিন সময় লাগে। এবং এইখানে শেরপাদের আগে যেয়ে ক্যাম্প স্থাপন এবং রোপ ফিক্সিংয়ের সময়ও ধরা হয়েছে।
সেখানে নর্থ আলপাইন ক্লাব ৯ তারিখ সকালে ( ৮ তারিখ অনেক বেলাতে পৌঁছেছিল, কাজেই সেই দিন হিসাবের বাহিরে) বেস ক্যাম্পের জীবন শুরু করে ১৪ জুন সকালে, মানে সাড়ে চার দিনে মাথায় অক্সিজেনে সিলিন্ডারের সাহায্য ছাড়াই শিখর জয় করেছিল।
মুনতাসির মামুন ইমরান নেট ঘেটে তথ্য দিয়ে প্রমাণ করে দেখান সাড়ে চার দিনে অন্নপূর্ণা -৪ বিজয় হলে এটি একটি রেকর্ড হবার কথা! কিন্তু কোথাও সেটির উল্লেখ নেই!
এখান ডেইলি স্টারে অন্নপূর্ণা-৪ জয়ের খবর প্রকাশিত হবার পরেই প্রথম প্রতিক্রিয়া বা মন্তব্য ছিল ইমরানের- সেটি এখানে সম্পূর্ণ উল্লেখ করা হল -
Muntasir Mamun Imran
Thursday, June 18, 2009 09:56 AM GMT+06:00 (174 weeks ago)
I am really happy to learn about the endeavor they made with the name of Bangladesh. As I love mountains I know that every summit has a sheer pain and joy like giving birth of a child! I am really surprised to see that our mountaineer claimed they have started their summit push on 14th June 2:30am and reached the crest in a same day from a height of 21,817 ft even they had to face troublesome crevasse on the way to summit! I really wonder how fast the team could climb at that altitude so that they have reached to the top only in few days from Basecamp.
As far as the route is concern its a dedicated 16 to 20 days climbing route for the summit of Annapurna IV (from BC to BC). Again the time our mountaineer has chosen to start their bid it was quite optimistic. Since from the classic Annapurna I French expedition (1950) which was the first ever successful expedition to any 8,000, expedition leader Maurice Herzog was about to killed due to the delayed of the climbing period as monsoon has already out broke. Climbing in Annapurna region is not at all suitable during monsoon even then our mountaineers could tackle their fate and climbed the mighty mountain with that very short span of time! For this mountain a standard itinerary says it takes nearly 40 days from the start to end including 16-20 days climbing period from Basecamp to Basecamp and establishing 3 or more camps after the Basecamp.
Another article has been published in DS on 9 June 2009 reported by the same person from the same place where from he wrote today's report. But in this report he said they have reached to Basecamp on 8 June. My question is how does he do that? As far the standard itinerary is concerns Chame is far away from the Basecamp (BC) which will take nearly another 3 days (Day 05: Besisahar - Nagdi
Day 06: Nagdi - Jagat | Day 07: Jagat - Tal | Day 08: Tal - Chame | Day 09: Chame - Pisang |
Day 10: Pisang - Sabji Khola | Day 11: Sabji Khola - Annapurna 4 th Base camp) to reach to the BC. In a same way how fast does he decent to Chame and write this report within 4 days after the summit? And how can the team reached to BC on 8th and write a report from Chame on 9th?
Another thing, reporter Mr.Musa Ibrahim have mentioned that the other team of 5 have successfully finished the amazing Annapurna Circuit trek but as I know Mr. Dhrubo Jyoti Ghosh-who is still in Nepal and other members of the team came back to Dhaka before completing the course- MH Jaiedi Tusher (team member of the trekking team) confirmed.
Few days ago we have found another interesting article in The Daily Prothom Alo regarding mountaineering in Bangladesh, where it was clearly written previous expedition lead by the same person who lead this expedition. That article was written by his team member and also he was member of the most of the expeditions claimed successful summit without reaching to the top.
Years back after claiming successful summit of Mt. Chulu West, he wrote many articles to many news papers but after some days he has published the real story of the expedition, where he confess they could not summit that peak but claimed that instantly due to media manic behavior.
After this summit ISPR wrote a complain letter after their news expressing some facts about heights mountains ever climbed by any Bangladesh till that day. But they tactful managed that complain.
গেলবার চৌ য়ু অভিযানের জন্য বাংলাদেশে অবস্থানের এক ফাঁকে প্রথম আলোর অফিসে সাংবাদিক দেবব্রত মুখোপাধ্যায়ের সাথে সরাসরি কথা হয়েছিল,(দেবু দা খুবই মাইডিয়ার একজন মানুষ, সাংঘাতিক এনার্জেটিক তরুণ, উনি এখন দৈনিক ইত্তেফাকে চাকরি করেন ), দেবু দার ভাষ্যমতে এই লেখা ছাপা হবার পর একাধিক প্রতিবাদ উঠলে উনি নেটে ঘেঁটে কিছু তথ্য দেখে মনে করেন অন্নপূর্ণা-৪ এ আরোহণের বিশ্বরেকর্ড করতে যে কয়দিন লাগে, মুসা ইব্রাহীমদের সেই কয়দিনই লেগেছিল, কাজেই এই অল্প দিনে আরোহণ অবশ্যই সম্ভব।
কিন্তু দেবুদার হিসেবে একটি ছোট্ট ভুল ছিল, সেই সময়ের মাঝে বেসক্যাম্প থেকে কারা শিখর আরোহণ করতে পারেন? একমাত্র অভিজ্ঞ পর্বতারোহীরা! যারা সবসময় এমন উচ্চতায় আরোহণ করেছেন, বা দীর্ঘদিন ধরে এমন অভিযান করতেই আছেন।
এখন দেখা যাক সেই দলটির সদস্যদের পূর্ব অভিজ্ঞতা-
মুসা ইব্রাহীম, তৌহিদ হোসেন, মীর শামছুল আলম বাবুর লাংসিসারি পর্বতশৃঙ্গ অভিযানের খবর ছবিসহ দেখেছিলাম প্রথম আলোর প্রথম পাতায়। পরবর্তীতে মীর শামছুল বাবুর সাথে কথা বলে জানতে পারি লাংসিসারির উচ্চতা ২১,০৮১ ফুট হলেও উনার উঠেছিলেন ২০,৭০০ ফুট পর্যন্ত। সেখানে বরফফাটলসহ নানা কারণে চুড়ায় আরোহণ তখন প্রায় অসম্ভব ছিল, সেখান থেকে তারা ফিরে আসেন, কিন্তু দেশের পত্রপত্রিকায় ফলাও করে প্রচার করা হয় লাংসিসারি বিজয়ের গল্প, যদিও মীর শামছুল আলম বাবু প্রথম থেকে এর প্রতিবাদ করে একাধিক জায়গায় লেখা প্রকাশ করেন যে তারা ২০,৭০০ ফুট পর্যন্ত উঠেছেন এবং শিখর জয় করেন নি। ( তার সাথে আজকেই ফোনে পুনরায় কথা বলে বিষয়টা নিশ্চিত করেছি)।
আর এইখানে দেখুন ২০১০ সালে ২৯মে প্রথম আলোর ছুটির দিনে মুসা ইব্রাহীমের এভারেস্ট জয় উপলক্ষে তৌহিদ হোসেনের একটি স্মৃতিচারণামূলক লেখা
যেখানে তিনি স্পষ্ট বলেছেন লাংসিসারি তারা বিজয় করেছেন, এবং তার উচ্চতা ২০,৭০০ ফুট! অর্থাৎ জনাব তৌহিদ পরোক্ষ ভাবে জানাচ্ছেন তারা আসলে ২০,৭০০ ফুট পর্যন্তই উঠেছিলেন! কিন্তু এইটা জানাচ্ছেন না যে তারা আসলে ২১,০৮১ ফুট উচ্চতার শিহরে ওঠেন নি, তাদের শিখর জয় হয় নি।
তাহলে আমরা দেখছি মুসা ইব্রাহীম ও তৌহিদ হোসেনের সর্বোচ্চ যে উচ্চতায় পৌঁছেছেন তা হচ্ছে ২০,৭০০ ফুট। সেটি ২০০৮ সালে। নর্থ আলপাইন ক্লাবের নেপালি সদস্য সারিন প্রকাশ প্রধান যে কিনা অন্নপূর্ণা-৪ এও আরোহণের সময় সঙ্গী ছিলেন তার সাথে মুসা ইব্রাহীমের সাথে পর্বতারোহণ কোর্স করার দার্জিলিঙয়ে পরিচয় ঘটে( ২০০৭ সালে আমার প্রথম হিমালয় ট্রেকিং-এ সারিনের মাধ্যমে একাধিক প্যাকেজ কেনা হয়েছিল, তরুণ একজন শেরপা কিন্তু বড় পর্বতের কোন অভিজ্ঞতা ছাড়া, ইদানিং এটি বিরল কিছু নয়, কাঠমান্ডুতে বেড়ে ওঠা অনেক শেরপাই পাহারে চড়তে আর রাজি হয় না।), কাজেই ধরে নেয়া যায় সেও একই মানের পর্বতারোহী, উঁচু পর্বতের অভিজ্ঞতা ছাড়া উচ্চাভিলাষী একজন তরুণ।
এবং এই তিন তরুণই ৭৫২৫ মিটার (২৪,৬৮৮ ফুট) উচ্চতার আকাশ ছোঁয়া এক পর্বত বিশ্ব রেকর্ড করার সময়ে, সাড়ে চার দিনের মাঝে সুচারু ভাবে আরোহণ করে ফেরত আসলেন, বোতলের অক্সিজেন ছাড়া! কোনরকম Acclimatization ছাড়া! পর্বতের সাথে জড়িত যে কেউই এটাকে স্রেফ কৌতুক ছাড়া কিছু ভাববে না। যদি জানতাম তাদের ১৮ দিন লেগেছে, বা নির্দিষ্ট উচ্চতার পরে অক্সিজেনের সিলিন্ডার ব্যবহার করতে হয়েছে, কিছুটা বুঝতাম, কিন্তু নিজে অক্সিজেনের এবং অভিজ্ঞতার অভাবে কেমন খাবি খেয়েছিলাম তিব্বতের ছয় হাজার মিটারেই তা তো বলেছি- আর এমন অনভিজ্ঞরা বিশেষ করে তৌহিদ হোসেন স্রেফ উঠে –নেমে হেলায় জয় করে আসলেন, এটি মানা অসম্ভব।
এখানে সবচেয়ে বড় প্রমাণটি আমাকে দিয়েছে সুপার শেরপা খ্যাত পেমবা দরজি শেরপা, দ্রুততম সময়ে মাত্র ৮ ঘণ্টা ১০ মিনিটে বেসক্যাম্প থেকে এভারেস্ট শিখর জয় সহ একাধিক বিশ্ব রেকর্ডের মালিক এই ভদ্রলোকই কিন্তু এভারেস্টের চুড়োতে বুদ্ধ মূর্তিটি স্থাপন করেছিল।
এবং এভারেস্টে তিব্বতের পতাকা উড়িয়ে দালাই লামার শুভাশিস লাভ করলেও চীনা কতৃপক্ষের বিরাগভাজন হয়ে আপাতত তার তিব্বত গমন বন্ধ, যে কারণে ভিসা না পাওয়ায় আমাদের সাথে ২০০৯ সালে চৌ য়ু অভিযানে সে শেষ মুহূর্তে যোগ দিতে পারে নি। বাংলাদেশের খাঁটি বন্ধু এই শেরপা বাংলাদেশে দূতাবাসের অনুরোধে বিশেষ বাণীও বহন করে নিয়ে গিয়েছিল বিশ্ব শীর্ষে।
সেই পেমবা দরজি শেরপা তার ব্যবসায়িক পার্টনার রাম তামাংকে নিয়ে আমাদের চৌ য়ু অভিযানের জন্য অভ্যর্থনা জানাতে এসেছিল কাঠমান্ডু বিমান বন্দরে। গাড়ীতে উঠার পরপরই সে মুহিত ভাই কে ( পেমবা এম এ মুহিতের পূর্বপরিচিত, বাংলাদেশেও একাধিক বার এসে ঘুরে গেছে সে) নিজের মোবাইল থেকে মুসা ইব্রাহীমের অন্নপূর্ণা-৪ জয়ের প্রমাণ হিসেবে বহুল ব্যবহৃত এই ছবিটি দেখায়, এবং ছবিতে যেমন লাল তীর চিহ্ন দেয়া আছে সেখানে নির্দেশ করে বলে- এইটা একটা ঢালে তোলা ছবি, কোন পর্বত শিখরে না। এবং আমার অভিজ্ঞতায় বলে এটি এমন বিশেষ কোন উচ্চতায়ও তোলা না।
পেমবা দরজি শেরপার পর্বতারোহণের অভিজ্ঞতা নিয়ে প্রশ্ন করতে যাওয়া মানে শচীন টেন্ডুলকারের ক্রিকেট বা লিওনেল মেসির ফুটবল জ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন করা! কাজে কাজেই আমি শুনে গেলাম-
এদিকে রাম তামাং আবার জানালেন সোম বাহাদুর তামাং এবং গণেশ মাগারকে নিয়ে কোন ব্যাটা উঁচু পর্বতে গেছে এটা শুনলেই কাঠমান্ডুতে আমরা হাসাহাসি করি, কারণে একজন অসৎ শেরপা হিসেবে তার খ্যাতি আছে, যে কিনা প্রায়ই চূড়াতে না উঠেও উঠার দাবী এবং সনদ দেয়! এবং সোম বাহাদুরের এক ভাগ্নে যে কিনা রাম তামাংয়ের বন্ধু, সে নাম না প্রকাশের শর্তে জানিয়েছে- মুসা ইব্রাহীমের দল অন্নপূর্ণা-৪ শিখর জয় করে নি, তার মামার সাথে ঘোঁট পাকিয়ে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে।
এই সেই সোম বাহাদুর তামাং যাকে নিয়ে প্রথম আলো লিখেছিল- সোম বাহাদুর তামাং জীবনে এভারেস্টে ওঠেন নি, কিন্তু সেটি তার হাতের তালুর মত চেনা!!!!
এমন মুর্খামি ভরা কথা যে কোনদিন পাহাড়ে ওঠে নি, তুষারে জীবনের ঝুকি নিয়ে হাঁটেনি তাকে বলে ভোলানো যেতে পারে, পর্বতে চড়তে যেয়ে একাধিকবার সাক্ষাৎ মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছি, এমন আতলামি ভরা কথা আমার জন্য না।
মীর শামছুল আলম বাবু আজকেই জানালেন তিনি NMA (Nepal Mountaineering Association) গিয়ে সোম বাহাদুরের নামে লিখিত অভিযোগ করে এসেছেন তার এই অসততা নিয়ে। নারী-পুরুষের যৌথ অভিযানে এভারেস্ট যাত্রা প্রাক্কালে মুহিত এবং নিশাতের এই সাক্ষাৎকারে নিশ্চয়ই এইটুকু জেনেছেন যে- পর্বতের সনদ মিলবে শুধু যদি আপনার শেরপা বলে যে আপনি শিখর জয় করেছেন, অন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ নয়। এই সোম বাহাদুর তামাং-ই এম এ মুহিত, সজল খালেদ, মুসা ইব্রাহীমদের সাথে চুলু ওয়েস্ট অভিযানে যেয়ে নির্দিষ্ট উচ্চতার পরে পাড়ি দেওয়ায় অযোগ্য ফাটল দেখে বলে ছিল –এইটাই অফিসিয়াল সামিট, দেখ এখানে লোহার শলাকা পোতা আছে, এখান পর্যন্ত আসলেই সামিট সফল! যে অভিযানটি নিয়ে পরবর্তীতে অনেক ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল অভিযানের সদস্যদের মাঝে। কিন্তু নিজেদের কম অভিজ্ঞতা এবং তার বেতন কম হওয়ার কারণেই বিএমটিসির প্রথমদিকের একাধিক অভিযানে তাকে নেওয়া হয়েছিল, যা বিশাল ভুল সিদ্ধান্ত বলে প্রমাণিত হয় দরকারি মুহূর্তগুলোতে তার পিছিয়ে যাওয়ায়।
সেই সাথে মীর শামছুল আলম বাবু জানালেন অন্নপূর্ণার শেখরের সেই ছবিটির Properties-এ তারিখ উল্লেখ আছে ১৩ জুন! কিন্তু সামিট হয়েছিল ১৪ জুন!!!
কি ব্যাপার? হতেও পারে ডিজিটাল ক্যামেরার সেটিঙয়ে কোন সমস্যা ছিল একদিন ওলটপালট হতেও পারে,আমিও চাইলে আমার ক্যামেরায় এখন ২০১২ সালের বদলে ২০১০ বসিয়ে ছবি তুলেই পারি। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে অন্নপূর্ণা-৪ অভিযানের অন্যান্য ছবিগুলোতে কিন্তু তারিখ ঠিক আছে! বেস ক্যাম্পের তোলা ছবিতেও! তাহলে শিখরের ছবিতে তারিখ পুরো ২৪ ঘণ্টা কেন এগিয়ে আসল?
পেমবা দরজি শেরপা সরাসরি বলেছে- বাংলাদেশের যে কেউ চাইলে তার সাথে মুসা ইব্রাহীম এবং তৌহিদ হোসেনের অন্নপূর্ণা-৪ জয়ের মিথ্যা দাবী নিয়ে যোগাযোগ করলে তিনি তার ধারণা পক্ষে কারণ দর্শাবেন।
তখন আমি পেমবাকে প্রশ্ন করেছিলাম- মুসা ইব্রাহীমের সাথে তার কোন রেষারেষি আছে নাকি? কেন সে খামোখা এক ভিনদেশীর প্রতি এত বিরাগ! তার উত্তর ছিল- দেখ আমি ছোট্ট বেলায় কাঠমান্ডুতে কুলিগিরি করেছি, মার খেয়েছি মানুষের, আজ পর্বতের জন্য বিশ্ব জোড়া আমার সুনাম, আমরা ৫ ভাই এভারেস্ট জয়ী, পর্বত শুধু আমার দেবতাই না, সে আমার অন্নদাতা। কেউ পর্বত নিয়ে নোংরামি করলে, প্রতারণা করলে আমি সহ্য করতে পারি না। মুসার মত কাজ যদি তোমরাও কর, অবশ্যই আমি তোমাদের নামেও অভিযোগ করব।
পেমবা জানাল সে ইতিমধ্যেই NMAকে অন্নপূর্ণা- ৪ এর ব্যাপারে অভিহিত করেছে, কিন্তু তাদের বক্তব্য- যদি শেরপা বলে যে কেউ পাহাড়ে উঠেছে, তাহলে তারা সনদ দিতে বাধ্য!
এখানে একটি অদ্ভুত ব্যাপার- মুসা ইব্রাহীমের এভারেস্ট জয়ের খবরে যখন বিশিষ্ট লেখক-সাংবাদিক আনিসুল হক কাঠমান্ডু গিয়েছিলেন তখন এম এ মুহিত এবং পেমবা দরজি শেরপার সাথে তার বাংলাদেশ দূতাবাসে দেখা হয়। সেখানে পেমবা দরজি শেরপা তাকে সরাসরি ইংরেজিতে বলেন- অন্নপূর্ণাতে মুসা প্রতারণা করেছে, এভারেস্ট জয়কে তার কিন্তু প্রমাণ করতেই হবে। জনাব হক কাঠমান্ডুর সেই দিনগুলোর অনেক অনেক কথা এবং কাহিনী খবরের কাগজের পাতা ভরে পাঠকদের উপহার দিয়েছেন, কিন্তু বিশ্ব রেকর্ডধারী সেই সুপার শেরপার কথা ঘুণাক্ষরেও উল্লেখ করেন নি। সেই সাথে এম এ মুহিত নিয়ে তিনি মিথ্যা ভাষণও দিয়েছেন প্রথম আলোর পাতাতে যেখানে দাবী করা হয়েছে মুহিত তিব্বতের এভারেস্ট ক্যাম্পে মুসা ইব্রাহীমকে দেখেছে! আজ পর্যন্ত এম এ মুহিত বলে গেছেন তার প্রথম এভারেস্ট অভিযানে তিনি একটিবারের জন্যও মুসা ইব্রাহীমকে দেখেন নি।
যাক গে, কথা হচ্ছে অন্নপূর্ণা- ৪ নিয়ে, এভারেস্ট নিয়ে নয়। সেই কথা অন্য দিন হতেও পারে। প্রাপ্ত তথ্য, প্রমাণের ভিত্তিতে মুসা ইব্রাহীম, তৌহিদ হোসেন যে অন্নপূর্ণা বিজয় করেছেন এমন কোন হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। এই প্রমাণ করবার দায়িত্ব কিন্তু তাদেরই ছিল। প্রমাণের অভাবে এবং প্রাপ্ত তথ্যের গরমিলেই তাদের সেই শিখর বিজয়ের দাবীকে সম্পূর্ণ মিথ্যা বলেই মনে হচ্ছে।
( পেমবার সাথে ফোনে কথা হলেও সামনাসামনি শেষ কথা হয়েছে ২০০৯ সালের শেষ দিকে, এখন বলতে পারেন তাহলে এতদিন এই লেখা দিই নাই কেন? কারণ, কারো প্রতারণা নিয়ে লেখার চেয়ে অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ কাজ আমার আছে, কিন্তু গতকাল এই খবরটি দেখে মনে হল এভারেস্ট না হোক অন্নপূর্ণা -৪ এর বিষয়টি অন্তত আমি জানি, সেটিই লিখি না কেন!)
মন্তব্য
কিভাবে দেয় মন্তব্যে এগুলো?
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
মাথা ঘুরে!
facebook
আবার কি ! যা বলার তো বলেই দিলাম অন্নপুরনা-৪ নিয়ে!
facebook
আমি তো অন্নপূর্ণা নিয়ে কিছু বলি নাই। আমি বলছি "পপ্পনটা হেয়্যাব্বি টেস্টি"!
আপনার এমন এক ছবি দিছেন যে দেখতে গেলে মাথা ঘুরছে
facebook
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
আবার পপ্পন, উফ
facebook
****************************************
খোদার খাসির রান নাকি!
facebook
আমরা আরো জানতে চাই ?
আমিও
facebook
সত্য হলো ছাই চাপা আগুন, যত ছাই ঢাল বাইরয়া আসবো। পোস্ট, এরপর নেভারেস্ট সম্পর্কে দ্রুত ছাড়।
___________________________________
অন্তর্জালিক ঠিকানা
তাহলে এত তাড়া কিসের! সত্য তো প্রমাণিত হবেই একদিন!
facebook
যে একবার মিথ্যা বলে সে বারবার মিথ্যা বলবে। মুসা পর্বত শিখর নিয়ে ৩ থেকে ৪ বার মিথ্যা বলেছে। তারপর তার বিখ্যাত এভারেস্ট জয় কাহিনী। তার কথা কেন আমরা ধরব তাহলে? নীল নদের উৎস নিয়েও একইরকমের ঘটনা ঘটেছিল। wiki তে দেখা যাচ্ছে মুসা ইব্রাহীমের দু'টো ছবি, এভারেস্ট শৃঙ্গে মুসা। আরে!! এই ছবি আসল কোথা থেকে? সে তো বলেছিল তার কামেরা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।সামিটের ছবি নাই। যাইহোক! অণু, সাধুবাদ আপনাকে এই লেখা প্রকাশের জন্য।
যে একবার মিথ্যা বলে সে বারবার মিথ্যা বলবে।
facebook
হুমমমম। একটা মিথ্যাকে ঢাকতে তারা হাজার মিথ্যা বলবে।
তাতে কি! মিথ্যা কি সত্য হয়ে যাবে? হবে না।
facebook
কত যে মুখোশ চারপাশে!
সৌরভ কবীর
facebook
এইবার মুছাকে কে বাঁচায় দেখি?!!
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
হুম! নতুন কার্টুন কবে পাচ্ছি?
facebook
এই বিষয় কার্টুন তো আপনিই দিলেন! তবে মুছা বিষয় ১টা করছিলাম কিন্তু!
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
facebook
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
সুজন্দা আসলেই সুজন্দা!
facebook
আইচ্ছা এইখানেও কি বুদ্ধ মূর্তি আছে নাকি?!!!
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
থাকলে কি ছবি দেখতেন না !
facebook
হ তাও ঠিক! তবে যা দিনকাল পরছে !পাহাড় শুনলেই বুদ্ধ মূর্তির কথা মনে হয়!!!
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
কি বিপদ! ভিসুভিয়াসে চড়ছি, হিম্ভাই বলে- বুদ্ধ মূর্তি কো!
facebook
, আসলেই তো!!!
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
আমি তখন জান বাঁচাতে অস্থির ! দেখেন তো বুদ্ধ কোই পামু!
facebook
পর্বত বা পার্বতী, যার উপ্রেই চড়েন না কেন, দাবিদাওয়া তুল্লেই বুদ্ধের সঙ্গে ছবি দেখাতে হবে। নাইলে হপে না।
কৈলাস যামু গা ! সেখানে পার্বতী থাকে কিন্তু চড়া নিষেধ!
facebook
প্ছন্দ হইচে
কি?
facebook
চেনা পরিচিত সাংবাদিকদের মুখে এই কথা শুনেছিলাম আগে।
কোন কথা?
facebook
দেশের একটি বহুল প্রচারিত দৈনিকের একজন বিশেষ ব্যক্তি হয়ে এরকম মিথ্যাচার করলেন কোন মানসিকতায়!
নির্ভয়ে সত্য প্রকাশ করুন। মুখোসধারীদের মুখোস খুলে দিন।
তাতো জানি না!
facebook
ধন্যবাদ। জেনে ভাল লাগল!!
facebook
দারুণ!! ।
আমি জানি মুসা এবং তার অনেক অনেক বন্ধুগণ এই লেখা পড়বেন। তাদের উত্তর কি হতে পারে জানার কৌতূহল হচ্ছে। মুসার এভারেস্ট জয় নিয়ে অনেক জল ঘোলা হয়েছে, আমি ব্যক্তিগতভাবে এখনো সেটা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করি। কিন্তু সে অন্য কাহিনী। বিভিন্ন লেখা পড়েই "অন্নপূর্ণার বিষয়ে মুসা মিথ্যাচার করেছেন" - এই বক্তব্য সঠিক মনে হয়েছে। দেখা যাক এটা স্বীকার করার মতো বড় মন বা বা খণ্ডানোর মতো যথেষ্ট যুক্তি প্রমাণ তার আছে কিনা। যদি না থাকে তবে এই বাটপাড়ির বিরুদ্ধে মামলা করা দরকার।
মামলা, ওরে বাবা, কে দেবে কামলা!
facebook
মুসা কী বলবে জানা নাই। তবে মুসার বন্ধুদের মূল আর্গুমেন্ট একটাই - সে আমাদের বন্ধু অতয়েব সে কোন খারাপ কাজ করতে পারে না।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
এইটা একটা ফালতু যুক্তি।
এর আগেও দেখছি একই যুক্তি- তাকে আমি অনেক বছর ধরে চিনি, এমন করতেই পারে না!!
facebook
facebook
রাখাল কহিলো বাঘ আসিয়াছে
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
বাঘ বাঘ
facebook
দেখা যাক মুছার বন্ধুরা এবার কোন ঢাল তলোয়ার নিয়ে হাজির হয়
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
না না মেঘা, একটা জিনিস ভুল বুঝ না- আমি কিছু কংক্রিট তথ্য দিয়েছি, ব্যস, এখানে ঝগড়া ফ্যাসাদের কিছুই নেই।
কেউ আমার দেওয়া তথ্যকে ভুল প্রমাণিত করতে চাইলে, আরো নিরেট তথ্য নিয়ে আসুক, প্রমাণসহ।
facebook
জানি তো আমরা ঝগড়া করার জন্য এইসব লিখছিও না বলছিও না। কিন্তু দুইদিনের মধ্যে মুসা ইব্রাহীমের পক্ষের লোকেরা এসে কেমন যুক্তি তর্ক শুরু করে দেখো।
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
এত তর্কের কি দরকার! জনাব মুসা এবং জনাব তৌহিদ পর্বতে চড়ার পরিষ্কার প্রমাণ দিলেই তো কেউ কোন তর্ক করত না !
মুহিতের ২বার এভারেস্ট জয়, নিশাতের এভারেস্ট জয়, ওয়াজফিয়ার এভারেস্ট জয় নিয়ে কেউ যুক্তি তর্ক করতে গেছে? প্রমাণ দেখে সবাই সাধুবাদ দিয়েছে।
facebook
মাহফুজুর রহমানের - আসিফ রবি অচিরেই হাজির হবেন আশা করি।
সে কে !হাজির হবে কেন, উনি কি পাহাড়ে চড়েন?
facebook
না উনি পাহাড়ে চড়েন না তবে মুসার ভয়েস হয়ে অনেক কথা বলেন। যুক্তি আর যুক্তি!!! হিমু ভাইয়ের নেভারেস্ট দেখতে পারো।
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
এখানে যুক্তির কি আছে? আমি পাহাড়ে চড়েছি, এই যে প্রমাণ! ব্যস। প্রমাণ পেলেই তো ঝামেলা শেষ
facebook
প্রমাণ তো নাই তাই যুক্তি দেখাবে। প্রমাণ থাকলে কি আর ৩ বছরের বেশি সেটা না দিয়ে বসে থাকে?
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
তা অবশ্য বলেছ বটে খাঁটি! যদি থাকে কিছু ঘটে, তবে বুঝবে যাহা রটে, তার কিছুটাতো বটে!
৩ বছর অনেক বড় সময়!
facebook
"সে কে !হাজির হবে কেন, উনি কি পাহাড়ে চড়েন?"
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
চড়ে নাকি?
facebook
ভাইরে আপনি যা কইছেন!! সে কে! হাজির হবে কেন, উনি কি পাহাড়ে চড়েন? কঠিন লাগছে!!!
ক্যান, ভুল বলছি?
facebook
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
তুই আবার কাকে .দ্রিমু!
facebook
একবার মিথ্যা বললে বারবার বলে। কথাটা দেখি পুরাদস্তুর আপনাদের জন্য সত্য। মিনমিন করে, ইনিয়ে বিনিয়ে একই কথা বলার চেষ্টা করেছেন ছাগুদের মত করে।
মুসার এভারেষ্ট বিজয় দেখি মান্তেই পারছেনা। শুধু বাংলাদেশের নেতা নেত্রীদের মত অন্তর্জালা জোয়ারে জোয়ারে চাগিয়ে ওঠে। দেশ বিদেশ ঘুরে বেরিয়ে লাভ নেই, যদি মনটাকে বড় না করতে পারেন।
রেসেল ভাই, এখানের লোকজন সবাই বেশ কর্কশ (এক মাত্র আমি মিষ্টি)। তাই মিষ্টি করেই বলি, এই লেখাটা কিন্তু এভারেষ্ট নিয়ে না। অন্নপূর্ণা নিয়ে। সুতরাং আপনি মুসা ইব্রাহীম এর ভাই, বেরাদর, আত্মীয়, বন্ধু, শুভাকাঙ্ক্ষী অথবা স্রেফ ভক্ত যাই হন না কেন যদি অন্নপূর্ণা ও এই অভিযোগ নিয়ে কিছু বলার থাকে বলুন। আসলেই আমরা অনেকে আছি শুনতে চাই।
'এখানের লোকজন সবাই বেশ কর্কশ (এক মাত্র আমি মিষ্টি)' - আমি সাক্ষী
রেসেল ভাই এর নামটি খুব আঙ্কমন।
জলিল হাউয়ায়ু?
জনাব রেসেল কি আদৌ পোস্টটা পড়েছেন! লিখলাম অন্নপূর্ণা নিয়ে, আর আসছেন কাঁদতে এভারেস্ট নিয়ে ( ঠাকুর ঘরে কে রে, আমি কলা খাই নি)।
শোনেন মিয়াঁ, মন বড় হোক আর ছোট, জীবনের ঝুঁকি নিয়া পাহাড়ে গেছি একাধিকবার, যখন উঠতে পারি নি, ফিরে এসেছি, মিথ্যা দাবী করে গলাবাজি করি নি। জীবনে তো মনে হয় না পর্বতের দিকে তাকায়েও দেখছেন, কাজেই পর্বতে না উঠে মিথ্যা দাবী যে কি পরিমাণ জঘন্য বাপার সেটা বোঝার সামর্থ্য আপনার নাই।
facebook
লেনজা প্রকাশিত হইসে একটার
এখানে আব্জাব বলে লাভ নাই রে ভাই। এখানে কেউ ঘাস খায় না। তবে সামনে কিন্তু কুরবানীর ঈদ। সো সাধু সাবধান
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
কথা হচ্ছে অন্নপূর্ণা-৪ নিয়ে সে টানছে এভারেস্ট!
আচ্ছা টানছেন যখন বলেন দেখি- মুহিতের ২বার এভারেস্ট জয়, নিশাতের ১বার এভারেস্ট জয়, ওয়াজফিয়ার ১বার এভারেস্ট জয় নিয়ে কেউ যুক্তি তর্ক করতে গেছে? প্রমাণ দেখে সবাই সাধুবাদ দিয়েছে। কিন্তু একজনেরটা নিয়ে এত বিতর্ক কেন?
facebook
এদের কারোরই ব্যাটারির সমস্যা হয় নাই। কিন্তু মুসা ভাইয়ার সংস্পর্শে থাকলে ব্যাটারি কিছুক্ষণের মধ্যেই খালি হয়ে যায়। মুসা ভাইয়া ডেঞ্জারম্যান।
সবসময়ই কি ব্যাটারি খালি হয়ে যায়?
তাহলে তৌহিদ হোসেনের ব্যাটারির কি হয়েছিল??
facebook
আপনি দেখি আমাকে দিয়ে নন্নপূর্ণা লিখিয়ে ছাড়বেন।
ক্যান! আরে সবাই মুসা ইব্রাহীমের কথা বলে, কিন্তুক তৌহিদ হোসেন তো ঢাকাতেই থাকে, তাকেও জিজ্ঞেস করা হোক- বলুক তার কি বলার আছে, দাড়িকমাসহ!
facebook
বলেছিলো কিছুমিছু
নতুন কিছু বলেছিল কি? জাতি জানতে ইচ্ছুক, আফটার অল জাতির পতাকা নিয়ে গেছে, জাতি অবশ্যই ঘটনা জানতে চাইতে পারে।
facebook
আমি এর আগেও আগে বিষয়টা নিয়ে বেশ দ্বিধা দন্দের মধ্যে ছিলাম, এইটুকু জানতাম, মুসা ইব্রাহীম কোন কংক্রিট প্রমান দেখাতে পারেন নাই তার দাবীর সপক্ষে। সত্যি মিথার দোলাচালে দুলতাম। আজ বিষয়টা পরিস্কার হল। জানিনা এই মিথ্যাচার করে কি লাভ? নিজেই আমরা নিজেদের ছোটো করি
দুঃখজনক!!!
দেখুন, আমার লেখা দেখাই সিদ্ধান্তে আসবার দরকার নেই, তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করুন।
পারলে নেটে ঘেঁটে দেখুন ঐ অল্প সময়ে এমন পর্বত জয় সম্ভব কি না আদৌ?
তারপর সিদ্ধান্তে আসবেন। শুভেচ্ছা
facebook
এই নোংরামি গুলা ভাল্লাগে না। এরকম একটা লেখা লিখতে হয় এটাই একটা দুঃখজনক ব্যাপার অণু ভাই। তারপরও লিখতে হয়। আশা করি এইসব নোংরামি বন্ধ হবে। আমাদের এরকম লেখা লিখতেও হবে না পড়তেও হবে না।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
অবশ্যই দুঃখজনক, কে কি চোদ্দনম্বরি মুড়ি ভিজাইছে সেই নিয়ে পোষা পত্রিকা ফাটায়ে ফেলছে, তা নিয়ে লিখতে হল।
facebook
৪ কিমি: যাইতে আইতে ২০ দিন লাগে!!! আফ্নে ওগোত্তে বেশি বুঝেন...
লালতীর মিশ্র সার অইলো ফটুশপ ডিসটাব- মিশাইতে গিয়াঞ্জাম হৈছিল।
নোংরামি বন্ধ হোক।
বেশী বুঝি না, বুঝতে চাইও না। এটুকু জানি যে দাবী করতে হলে প্রমাণ দিতে হবে।
facebook
পর্বতজয়ের সহজ ফর্মুলা:
১. একখান ক্লাব ফাঁদতে হবে। সেই ক্লাবে বড়সড় খবরের কাগজের সাথে জড়িত লোকজনকে পেছিডেন প্রাইম মিনিস্টার বানাতে হবে। "মা"লেখক আনিসুল হককে সভাপতি আর গণিতের মাইবাপ মুনির হাসানকে কেষ্টুবিষ্টু বানাতে পারলে আপনি কুড়ি হাজার ফুট উচ্চতা মোটামুটি চড়ে ফেলেছেন বলে ধরে নিন।
২. এর পর আরো দুই-চারহাজার ফুট উচ্চতা পাড়ি দিতে চাইলে নেপাল থেকে একদিন মুনির হাসানকে ফোন করে বলুন যে আপনি কেল্লা ফতে করে এসেছেন। উনি অর্ধেক পিথাগোরাস, বাকি অর্ধেক বড়পীর আব্দুল কাদের জিলানী। অফলাইনে দুধের বাচ্চাদের টপোলজির গণিত গেলান, অনলাইনে ঈশ্বর কী তরিকায় ফাংশন করেন তার সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম ব্যাখ্যা দেন ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন। মুনির হাসান ভাইয়া তখন পত্রিকায় লিখে দেবেন, কামাল তুনে কামাল কিয়া ভাই। উনি পেশায় গণিত বিক্রেতা হলেও এইসব রিপোর্ট লেখার সময় ক্যালকুলেটর, ক্যালেন্ডার, কমনসেন্স প্রভৃতি বেদ্বীনী জিনিসপাতি ব্যবহার করেন না। আপনি যা বলবেন, তাই সাজিয়ে গুছিয়ে আপনার উল্লেখ করা পর্বতশীর্ষে লালসবুজকে পতপত করে উড়িয়ে দেবেন।
মুনির হাসান যেভাবে মুসা ইব্রাহীমকে অন্নপূর্ণা-৪ জয় করিয়েছেন:
৩. বরফের উপর মানানসই শীতের কাপড় পরে মোহনীয় ভঙ্গিমায় দুইখানা আঙুল উঁচিয়ে তাসবীর খিঁচুন।
বাস হয়ে গেলো সহজ পর্বতজয়।
বরফের উপর মানানসই শীতের কাপড় পরে মোহনীয় ভঙ্গিমায় দুইখানা আঙুল উঁচিয়ে তাসবীর খিঁচুন। কিন্তু বরফ হলেই তো আর পর্বতশিখর হইল না
আপনার উদ্দেশ্য কি বলেন তো? মানে বলতে চাচ্ছেন পাহাড়ের চুড়োয় না উঠেই ঢালে ছবি তুলে শিখর বিজয় দাবী করতে! না না, ছি ছি! যদি এই ক্ষুদ্র মন কারো থাকে তার পাহাড়ের ধারে কাছে থাকার দরকার নাই, যারা এমন তাদের জন্য
facebook
পর্বতজয়ের ছবি অনেকটা বিয়ের ছবির মতো। সব কিছু না দেখালেও লোকে বোঝে কী হচ্ছে। পথের বাধা সরিয়ে নিন, দেশকে এগোতে দিন। মনকে বড় করুন।
জনাব আনিসুল হক, সজল খালেদ এবং মুসা ইব্রাহীমের রেষারেষিতে বিরক্ত হয়ে বলেছিলেন, যতদূর মনে পড়ে সজল খালেদকে উদ্দেশ্য করেই- এরা এত ক্ষুদ্র মন নিয়ে পাহাড় জয় করতে চায়!
কি চমৎকার একটা কথা, দর্শনের বাণীর মত। অবশ্যই আমাদের মেনে চলা উচিত।
কিন্তু পরবর্তীতে হক সাহেবের কাজকর্মে, বিশেষ করে মিডিয়ার সামনে নিজেকে তুলে ধরার বিরক্তিকর প্রবণতায় মনে হয়েছিল- এত ক্ষুদ্র মন নিয়ে মানুষ শিল্পী হয় কি করে! স্রষ্টা হয় কি করে!
facebook
হুম, গভীর বাণী, এরপর আপনারা পাহাড়ের মতো মন নিয়ে মূষিক ধরতে যাবেন!!
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
ধুর সুজন্দা, রাত আড়াইটা বাজে, এত হাসাইয়েন না গো!
facebook
বাংলাদেশি "৫:২৬পূর্বাহ্ন"-তে "রাত আড়াইটা বাজে" কোন্দেশে? আপনি এখন কৈ? নিচের কোন দেশে -
Bahrain, Comoros, Djibouti, Eritrea, Kuwait, Kenya, Madagascar, Republic of Moldova (Transnistria Region only, Qatar, Saudi Arabia, Somalia, Sudan, Tanzania, Uganda, Yemen ?
****************************************
আরেকটু উত্তরে ফিনল্যান্ড পর্যন্ত যান।
facebook
মিয়া, আপনে শুধু নিরক্ষরেখায় ঘুরাঘুরি করেন! উত্তরে যান, মেরুর দিকে
facebook
ঘানা আসেনাই ,লাকিলি
facebook
নেন, নেন, মজা নেন!
GMT+3 টাইমজোন দেখে ভাবছিলাম এইবার আপনারে পাইসি, লুকায়ে লুকায়ে ঘুরাঘুরি অবস্থায় মিডল-ইস্টের আশেপাশে কোথাও ক্যাঁক্ কইরা কট-রেডহ্যান্ডেড ধরুম আপনারে! গ্রিনউইচ্মিনটাইম.কম সার্চ দিয়া ঐ টাইমজোনে পাওয়া দেশগুলির নামই উপ্রের কমেন্টে দিছি। ঐ ব্যাটারা যে আমারে এ্যম্নে কইরা ডুবাবে, ভাবতেই পারি নাই!
****************************************
facebook
এরকম অনেক মিথ্যা আর মুখোশ নিয়ে অনেকে লুকিয়ে আছে আমাদের চারপাশে। সত্যটা বের করে সেই মুখোশ অনেকে উন্মোচন করিয়ে দেয় না। আপনি সেই কাজটি করেছেন অনু দা। আপনাকে স্যালুট।
ভালো থাকবেন।
অমি_বন্যা
ধন্যবাদ ভাই।
আমাদের জন্যই আমাদের সত্যটা জানা উচিত, আপনার শিশুদের জন্য আমাদের সত্যটা জানা উচিত।
facebook
আমাদের জন্যই আমাদের সত্যটা জানা উচিত, আপনার শিশুদের জন্য আমাদের সত্যটা জানা উচিত।
অমি_বন্যা
facebook
আমি এই ব্যাপারে মুখ খুললেই জনগণ আমাকে বকে দেয়! আমি নাকি সপ্তাহের বারগুলোর নামধাম সংবিধান সম্মতভাবে উচ্চারণ না করে সানডে'র পরে মানডে, টুয়েসডে না বলে সরাসরি ডব্লিউ-টি-এফ বলে ফেলি। নীল নদ ফাক করা (কুচিন্তকেরা অন্যকিছু ভাবলে কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়) মহান নবী আর সুইডেনের বিখ্যাত স্ট্রাইকারের নামও নাকি আমি যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যতার সহিত ফরমাই না! নানাবিধ এইসব কারণে আমি ঠিক করছি এই ব্যাপারে আমি আর মুখ খুলবো না। মুখ খুললেই বিপদ!
কিন্তু আপনারে হেদায়েত করবো। আপনের নিজের নামের ডাইনে-বামে, উপরে-নিচে, কোথাও কোনো নবী, নিদেনপক্ষে কোনো আউলিয়া-দরবেশের নামধাম, ঠায়ঠিকানা ইত্যাদি আছে? নাই। আরে, নামেরও তো একটা মাজেজা আছে। মুযিযা আছে। নামের ঠেলাতেই কুড়ি দিনের পথ কুড়ি সেকেন্ডে পাড়ি দেওয়া সম্ভব। এইটার আপনে কী বুঝবেন! দুই কদম বরফের মধ্যে হাঁইট্যা আসছেন দুদুখানা বিখ্যাত নবীর নাম সম্বলিত একজন আলেমে ওলামার নামে গীবত করতে! মশকরা পাইছেন মিয়া!
ভালো হইয়া যান। দ্বীনের পথে আসুন, সত্যের পথে আসুন, আলুর পথে আসুন, রেল লাইনের পথে আসুন। নাইলে আসমান জমিনের তামাম জ্বীনেরা জামাতের সহিত আপনের মাথায় পেচ্ছাপ করে দিবে। আর আপনে টাকলু হয়ে যাবেন।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
জনাব ধুগো কি ইদানীং টাক নিয়ে চিন্তিত মনে রাইখেন যতই টাক পড়ুক, জনগণ আপনারে মনে রাখবে টকটক করার জন্যাই!
facebook
সমস্যা হইলো কোন এক আশ্চর্য কারণে আমাদের প্রশ্ন করাটাকে খারাপ চোখে দেখা হয়। এই দেশে গ্রামীণ ব্যাঙ্ক কী প্রক্রিয়ায় দারিদ্র্য বিমোচন করছে এর তথ্য প্রমাণ চাওয়া যাবেনা, চাইলে গুণীর মান বেগুন ভাজি করা হয়, হিমালয়জয়ীর কাছে হিমালয় বিজয়ের প্রমাণ চাওয়া যাবেনা, তাহলে ঈর্ষাকাতর আখ্যা পেতে হবে - শুধু কর্তা যা বলবে তাই বিশ্বাস করতে হবে।
মহামান্য মূসা ইব্রাহীমের এভারেস্ট জয় নিয়ে এই সচলায়তনেই প্রচুর কথাবার্তা হয়েছে। এক নবু্যয়তি পেন ড্রাইভের কথাও শুনেছিলাম যা ভর্তি ছিল এভারেস্ট চূড়ার ছবিতে কিন্তু আজ পর্যন্ত তার কোন ছবির মুখ দেখিনাই। দিন শেষে এই সচলায়তনের ব্লগারকেই ছবির কোণা কাঞ্চি খুঁজে বের করা লাগে, ছবির এই চিপাটা দেখতে তো দেখা যায় বুদ্ধ মূর্তীর মত লাগে।
মহামানব মূসা ইব্রাহম এখানেই থেমে থাকেন নি। এর পর তিনি "বাংলা চ্যানেল" পাড়ি দিয়েছেন। প্রথম আলোতে মুসা ইব্রাহীম বলেন -
অথচ কোন এক দুষ্টুমতি ব্লগার বেফাঁস কিছু ছবি দিয়ে দেন -
তাতে দেখা যায় কখনও নৌকায় কখনও টিউবে চেপে মহামানব "সাঁতরাচ্ছেন"। বলা বাহুল্য এর কোনটাই প্রথম আলোতে আসেনি। বিস্তারিত এখানে।
ইংরেজীতে একটা কথা আছে - "Fool me once, shame on you. Fool me twice, shame on me" অন্নপূর্ণার পরে সেন্টমার্টিন আর কতবার বোকা বানাবেন মুসা ইব্রাহীম?
আয়! হায়!! এইটা কি দেখালেন সুহান ভাই!!!
মনে করেছিলাম নেভারেস্ট সিরিজ থেকে মুসা কিছুটা শিক্ষা নিবে - এখন দেখি সে পুরাই উল্টাপাল্টা ৬৯
আচ্ছা মুসা নাকি মাউন্ট কিলিমান্জারো-তেও উঠেছে? সত্যি নাকি ঐটাতে আবার হেলিকপ্টারের সাহায্য নিয়েছে?
৮-৯ বছরের শিশুরাও প্রায়ই কিলিমাঞ্জারোতে ওঠে, সেটা উঁচু পর্বত কিন্তু স্রেফ হাঁটার রাস্তা। কোন ঝুঁকি নেই। ওটা না পারার কোন কারণ নেই।
facebook
ইয়ে মানে আমিও স্মোকি মাউন্টেনের টেনেসি স্টেটের হাইয়েস্ট পিকে চড়েছি। (এইটা সোজা রাস্তা, গাড়ি ধরে উঠে যাওয়া যায়, তারপরে আধ মাইলের একটা ছোট ট্রেইল। )
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
উঠার পথে অক্সিজেনের বোতল ফুটা হয় নাই তো?
কিলি তেঁ অক্সিজেন লাগে না। লাগলে পাহাড়ে ওঠার দরকার নাই, অন্য অনেক জায়গা আছে যাবার।
facebook
আমিও গিয়েছি। এক চূড়া থেকে আরেক চূড়ায় তার বেধে, ঝুলে ঝুলে গিয়েছি। হাজার ফুট নিচে পাথুরে মাটি। একবার আছড়ে পড়লে বাচার আশা নাই।
তারের সাথে বুদ্ধমূর্তি ঝুলতেছিলো তো? নাইলে কিন্তু হবে না। দেইখেন। বুঝেশুনে।
বুদ্ধ মূর্তি, বুদ্ধ মূর্তি! ধুর- পরের বার নেপাল গেলে পেমবাকে ধরে মাইর দিব এই বুদ্ধ মূর্তি এভারেস্টে নিয়ে যাবার জন্য।
facebook
ক্যাবল কারের মধ্যে নিজেই বুদ্ধমূর্তি স্টাইলে বসে ছিলাম।
তারপরও ছবি লাগবে!
facebook
লেখা দ্যান!
facebook
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
♪♫ নৌকায় চড়িয়া মুসা সাঁতার কাটিল
তিন দিনের পথ মুসা তিন ঘন্টায় গেল ♫♪
কোন বন্ধুর বিয়েতে আপনারে পেলেনে কে আনা হবে, শুধু পুঁথি পড়ার জন্য।
facebook
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
মেঘার বিয়ে দিয়েই শুরু হউক! কি কন মেম্বর?
facebook
"Fool me once, shame on you. Fool me twice, shame on me"
ইংলিশ চ্যানেলে এমনটা করতে গেলে কানে ধরে দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেবে, সেখানে সাতারের মাঝে বিরতির কোন সুযোগ নেই। কোথাও আদৌ বিরতি নেওয়া যায় বলে শুনি নি, এক আপনার ছবির স্থানগুলো বাদে।
facebook
আমনে মুসাত্তে বেশী বুজেন?
নাহ! তা কি হয়!
facebook
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
facebook
আপনার দেওয়া লিঙ্কে দেখলাম মুসা নিজেই মামলা করেছেন। নেভারেস্ট সিরিজ পড়ে মেনে নিয়েছি মুসা এভারেস্ট বিজয় করেনি। তাই অন্নপূর্ণার ব্যাপারেও অবাক হওয়ার মতো কিছু পেলাম না।
মামলা তো করেছে, দেখেন শেষ পর্যন্ত কি হয়।
কিন্তু অন্নপূর্ণা নিয়ে কি হবে, এটিও কি মামলা করবে?
facebook
নিজের খোঁড়া গর্তে নিজেই পা দেয়ার সম্ভাবনা আছে? এটা হইলে অনেক ঝামেলা আর পরিশ্রম বেঁচে যায় কিন্তু!
****************************************
তা বটে! এইটা মিথ্যা দাবী নিশ্চিত না হলে আমি লিখতাম না ।
facebook
আপনার না, পয়গম্বর সাহেবের কথা বলতেছি। উনি বিষয়টা আদালতে নিয়ে গেছেন। এখন ইনাম আল হক সাহেবকেও মনে হয় আদালতে গিয়েই এর জবাব দিতে হবে। সেই সুযোগে উনি অনেক কিছুর অফিশিয়াল শপথ পূর্বক ধানাইপানাইমুক্ত জবাবও চাইতে পারবেন। এতদিন পয়গম্বর সাহেবের গালগল্পগুলি নিয়ে আমপাব্লিকের মধ্যে আনফিশিয়ালি আলোচনা হইছে। প্রমান দাবি করলে উনি সুবিধামত পিছলায়ে গেছেন, ধরা যায় নাই। কিন্তু এখন বোধহয় ওনাকে অনেক কিছুর ব্যাপারেই জবাবদিহি করতে বাধ্য হতে পারে, পিছলায়া যাওয়ার সুযোগ কম। আর সেটা হলে পয়গম্বর সাহেবের অনেক জারিজুরিই ধরা খাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা। মামলাটা বুমেরাঙ হয়ে যেতে পারে।
এটা সম্ভব কিনা সেটাই জানতে চাচ্ছিলাম।
****************************************
এখানে একটা ব্যাপার- মুসা ইব্রাহীমের আছে এভারেস্টে ওঠার সনদ, আদালতে সনদ দেখতে চাইবে, এইটাই তার বড় প্রমাণ হিসেবে গণ্য হতে পারে।
কিন্তু তিব্বত থেকে মুহিতের এভারেস্টে ওঠার অভিজ্ঞতা থেকে আমরা জানি যে শেরপা বললেই সনদ পাওয়া যায় , এখন এর বেশী বলছি না।
অপেক্ষা করুন, কারো কথা বিশ্বাস না করে নিজে তথ্য যাচাইবাছাই করুন।
facebook
মুছা ইব্রাহীম এখনও কে২ তে যায় নাই।
যাই, তার আগেই কে২ ঘুইরা আসি। বুদ্ধ মুর্তির সাথে ছবি সাথে কইরা নিয়াই যামু।
হিম্ভাই ইদানিং যা শুরু করছে। তার যন্ত্রনায় পাব্লিক এখন বাড়ির পাশের পিপড়ার ঢিবিতেও উঠতে ডরায়। পিপড়ার ঢিবিতে তো আর বুদ্ধমুর্তি থাকে না। ছবি পাইব কই থেইকা?
কে-২ !!!!
সম্ভব না! সোজা বললাম, কে-২ এই সামর্থ্য নিয়ে সম্ভব না।
facebook
কথা সত্য....
বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন পর্বত। যে ব্যাটা এভারেস্টে ৬ বার চড়ছে, মানে আসলেই চড়ছে সেও সাহস করে না। কেটু, নাঙ্গাপর্বত, অন্নপূর্ণা-১, কাঞ্চনজঙ্ঘা অন্য জিনিস।
facebook
আহহ নাঙ্গাপর্বত! আহহ ফেয়রি মেডৌজ!
পাকিস্থান নামক নরকের খালি ঐ একটা জায়গাতেই যেতে চাই - ফেয়রি মেডৌজ (নাঙ্গাপর্বতে উঠার হেডম তো আর নাই)
অণু'দা - পাকিস্থান (পড়েন ফেয়রি মেডৌজ) যাওয়ার কোনো প্ল্যান থাকলে ফেসবুকে আওয়াজ দিয়েন।
নিচে থেকেন আসবেন, না উপর পর্যন্ত যেতে চান?
facebook
পর্বতারোহন এর কিসুই বুঝিনা....... কিন্তু কেন যেন হেরমান বুল রে ভালো পাই..... আর সেই জন্য নাঙ্গা পর্বত রে সব চেয়ে রোমান্টিক মনে হয়...... (এভারেস্ট বা হিলারি দের কে সেই তুলনায় নস্যি মনে হয় .......আপনে কি Fairy meadows এ যাওয়ার চিন্তা করতেসেন? jodi যান আমারে নেওয়ার কথা চিন্তা কইরেন........ আমার নিজের অন্নপূর্ণা বেস ক্যাম্প trekking এর অভিজ্ঞতা আসে....... কাজেই আপনে স্পিড trekker হইলেও আমারে নিয়া ঝামেলায় পড়বেননা.......
জানাব-
facebook
কে-২ সমন্ধে এই পেইজটা মন দিয়া পড়াই যথেষ্ট- http://www.everestnews.com/sumk2.htm
অলমিতি বিস্তারেণ
facebook
কে-২ তে যাবো...
বড়জোর k-2 সিগারেট...
ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
facebook
বিড়ি খান নাকি? এইভাবে হাসলেন যে বড়-
facebook
পর্বতারোহণ নিয়ে মিথ্যাচারের পেছনের কারণ অনুসন্ধান করতে গেলে আরো অনেক কিছু বেরিয়ে আসবে বলেই আমার বিশ্বাস । মুসা ইব্রাহীম বলেন মোহিত বলেন, তাদের থেকেও বড় হলো এখানে পর্বতারোহণ নিয়ে মিথ্যাচার । আর তারেক অনু খুব সুন্দরভাবে চুলু ওয়েস্ট এঁর কাহিনী এড়িয়ে গেলেন, বুঝতে পারলাম । এবার আমি হাল্কা একটা বিশ্লেষণ জানাই । এসব পর্বতারোহীদের যেই ওস্তাদ উনি হলেন গিয়ে ঈনাম আল হক । দেশের পর্বতারোহণের একদম শুরুর একটা অভিযানে সামিট না করতে পেরেই একটা দল যখন দেশে ফিরে আসে ( ঊল্লেখ্য যে একজন পর্বতারোহী মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসেন ) তখন ইনাম আল হক বলছিলেন যে সামিট ছাড়া এক্সপেডিশন হয় না, যা হয় তাকে বলা হয় পিকনিক । এরপরেই তাদের ক্লাব ছেড়ে অনেকে নিজেদের বিভিন্ন ক্লাব খুলেন , আর যারা থেকে যান তাদের মধ্যে মোহিত অন্যতম একজন । পরবর্তীতে উনিই এই ক্লাবের প্রধান পর্বতারোহী হয়ে ওঠেন । যাই হোক, ইনাম আল হকের ঐ একটি কথা বাকি সবার মানসিকতায় কি পরিমাণ প্রভাব ফেলে তা মনে হয় এখন বোঝা যাচ্ছে । পর্বতারোহণ নিয়ে একবার যখন কথা শুরু হয়েছেই তখন এটা পুরোপুরি সামনে আসা দরকার । আর মুসা ইব্রাহীম কে যদি মিথ্যা প্রমাণিত করতে চান তবে ইনামের নিজের ক্লাবের নিজেদের জচ্চুরি ( চুলু ওয়েস্ট নিয়ে কিছু বলবো না বরং আপনাদের কাছেই জানতে চাইবো ) নিয়েও সামনে আসবার মত সত সাহস থাকা উচিত । নয়ত এটা শেষ হবার নয় । এভারেস্ট থেকেও বড় ব্যপার এখানে পর্বতারোহণ এবং এঁর সার্বিক বিকাশ । তারেক অনু যদি এ ব্যপারে নিজের ক্রেডিবিলিটি বাড়াতে চান তবে নিজেদের ক্লাবের সত্যগুলোকেও সামনে আনতে পারবার মত সাহসী হওয়া দরকার । মনে রাখবেন অর্ধেক সত্য মিথ্যার থেকেও খারাপ ।
আফজাল শরিফ সাহেব, আপনি ইনাম আল হকের যাবতীয় দুষ্টামির কথা তুলে ধরে একটা পোস্ট দেন। আজকে ওনার একদিন কি আপনার একদিন।
জনাব আফজাল শরিফ, হিমু ভাই যথার্থ বলেছেন, আপনি ইনাম আল হকের বিরুদ্ধে যা যা বলার আছে প্রমাণ সহ একবারে বলে ফেলেন, দেখি সেটি নিয়ে আমার কি বলার থাকতে পারে। ঠিক আছে?
আর চুলু ওয়েস্ট পর্বত নিয়ে কি ভাবে তথাকথিত অফিসিয়াল সামিট নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছিল তা জনাব এম এ মুহিত অনেক আগের পরিষ্কার ভাবে বলেছেন, যদি আপনার চক্ষু এবং কর্ণ এড়িয়ে গিয়ে থাকে এই সাক্ষাৎকার তাহলে আরেকবার শুনুন- http://www.sachalayatan.com/himu/34961
সত্য প্রকাশ হবেই, যতই সময় লাগুক।
facebook
@ আফজাল শরীফ:
মুসা ইব্রাহিমের মিথ্যাচার নিয়ে বলার আগে আমাদের আর কি কি করে আসতে হবে সেটার একটা লিস্ট দিলে সুবিধা হয়
১. নিমিয়ার সিংহ বধ
২. লেরনায়ার নয়মাথা হাইড্রা সংহার
৩. আর্তেমিসের সোনার হরিণ পাকড়াও
৪. ইরিমান্থিয়ার বরাহ পাকড়াও
৫. একদিনে অজেয়ান আস্তাবল পাকসাফ সাধন
৬. স্টিমফ্যালিয়ার পাখিকূল সংহার
৭. ক্রিটীয় ষণ্ডবধ
৮. ডায়োমিডিসের ঘোটকী হরণ
৯. হিপোলিটার মেখলা হরণ
১০. গেরিওনের গরুচুরি
১১. হেসপেরিডেসের আপেল চুরি
১২. সেরবেরাসকে জ্যান্ত পাকড়াও করে আনা
আপাতত এই বারোটা হারকিউলিয়ান খাটনি খেটে তারপর মিছেদার পিছে লাগিস।
তোরে গ্রিক মিথোলজির বইটা যে দিসে তারে পাইলে
মিথ ছেড়ে বাস্তবে আসুন-
facebook
আরেকটা বাদ পইড়া গেছে তো ভাই- -এইটা হওন লাগব মাস্ট।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
কি হওয়া যাবে এইটা পরে আসুক, এখন কথা হচ্ছে কি হয়েছে সেইটা নিয়ে
facebook
মুখফোড়ের এই লেখাটার কথা মনে পড়ে গেল
সোমবাহাদুরতামাঙিল
মুখফোড় একটা অমানুষ! আহা ,এই সরেস মাল এতদিন পড়ি নাই!
facebook
মানীর মান না রাখলে চলবে গো কিংবদন্তি? অন্যে কিংবদন্তি হৈতে চাইলে হিংসান ক্যান কন তো?
মিথ্যার বিষদাঁত ভেঙে দেওয়ার জন্য
_____________________
Give Her Freedom!
হিংসার সময় নাই গো কবি, জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক, সৎ পথে।
facebook
তারেক অণু ভাই, প্রসংগক্রমে আমার করা আরেকটা কার্টুনের কথা মনে পরলো!!!!!!!!!!
এই চান্দেরালু আর আনিসাইল ২টা জিনিসইরে ভাই!!
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
হিট!
facebook
অনু ভাই,
ওই বিশিষ্ট সবকিছু পারনেওয়ালার বাংলা চ্যানেল পাড়ি নিয়ে একখানা ফটুক আছে-
কিরাম হল?
(পোস্টের বিষয়ের সাথে অপ্রাসঙ্গিক হওয়ার জন্য দু:খিত)
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
হ, ছবি দেখলাম কিন্তুক এভাবে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিলে হয়ত সমস্যা নেই , ইংলিশ চ্যানেলে আসলে স্রেফ বেল্লিক বলে খেদিয়ে দিবে।
facebook
অসাধারণ! এরকম জীবন্ত বাস্তব সম্মত ছবি তো সব কিছু পারলেওয়ালাও কোনদিন দেখাতেন পারে নাই
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
আসবে হয়ত--
facebook
বাংলাদেশের মেসনারকে নিয় এইসব বাজে কথা বলায় দিক্কার! ভবিষ্যতে মেসনারকে ইতালির মুসা ইব্রাহিম বলা হবে হুহু দেখে নিয়েন
---------------------
আমার ফ্লিকার
মেসনার !!!!!!!! হৈ মিয়া, বুইঝে বইলেন, মেসনার যখন একা একা পর্বতের শিখরে উঠছে তখনও ছবিসহ অন্যান্য অকাট্য প্রমাণ নিয়ে এসেছে। এমনিতেই তাকে সর্বকালের সেরা পর্বতারোহী বলা হয় না।
facebook
আরে ভাই সার্কাসম বুঝলেন না
---------------------
আমার ফ্লিকার
facebook
বাংলার মেসনার! হাহাহাহাহাহাহাহাহাহা
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
রেইনন্ত জলনার !
facebook
ভাই আপ্নে হাচা কথা বলচেন। তবে দ্যশে বইসা এই কথা কইলে আপ্নারে ১৪ শিকের ভাত খাওয়াই দিত। ভাগ্গিস বহুত দুরে আচেন। আপ্নারে
(অনুপমা)
যে না, ১৪ শিক এত্ত সহজ না। দেশে থাকলেও বলতাম।
facebook
এইভাবে মানী লোকের লুঙ্গি খুলে নিয়ে
টাইপের গান গাওয়ার অপচেষ্টার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অচিরেই একটা মানববন্ধনের আয়োজন করতে হবে
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
ছিঃ ছিঃ, , কারো লুঙ্গি খোলার চেষ্টা কেন করা হবে?
ভুল বুঝছেন, এখানে জানার চেষ্টা করা হয়েছে সেই সময়ে কি করা সম্ভব ছিল এবং কি ছিল না!
facebook
অসাধারণ লিখাটার জন্য ধন্যবাদ ।।।।।।
facebook
হায় হায় হাটের মাঝখানে হাড়িটা ভেঙে ফেললেন:-P
শেষ পর্যন্ত পড়তে পারছি অনু দা,ব্রাউজার পরিবর্তন করে
অনেক আগেই লেখা উচিত ছিল
facebook
অনেক আগেই হাড়িটা ভেঙে ফেললেন না কেনো?
তাহসিন রেজা
ভাল প্রশ্ন, হয়ত ভেবেছিলাম অন্য কেউ, যে আরও ভালো এবং বিশদ জানে, সে লিখবে।
facebook
আমি শুধু ভাবছি মিথ্যা গৌরবের বোঝা মানুষ বয় কিভাবে ?? ধন্যবাদ আপনাকে সত্য সামনে আনার জন্য।
আমার চিন্তায় আসে না মানুষ মিথ্যা গৌরবের চিন্তা করে কিভাবে!
facebook
একটা মন্তব্য করলাম কয়দিন আঘে আসছে না!
মুসার মত মুহিতের মিথ্যাও প্রমাণ করা যাবে, আশা করি।
একটু জানান ২০১২ তে ওরা কয়টায় সামিট করেছিল ? কতক্ষন ছিল ?
মুহিতের কোন মিথ্যা?
মুহিত এখন কাঞ্চনজঙ্ঘার পথে, ফিরে এলেই জানাব, অথবা পুরাতন খবরের কাগজে দেখতে পারেন, তার বিশদ বর্ণনা আছে
facebook
মুসা ইব্রাহিম অন্নপূর্ণা-৪ উঠেছেন কি উঠেননি,সেটা নিয়ে যে মিথ্যাচার করেছেন সেটা জানার আগেই জানলাম উনি এভারেষ্ট জয় করেছেন প্রথম বাঙালি হিসাবে।বিষয়টা সবার জন্যে আনন্দের ছিলো,গর্বের ও বটে।কিন্তু তাকে নিয়ে প্রথম আলু আর আনিসুল হকের অতিপ্রচার আমাকে প্রচন্ড বিরক্ত করে ফেলেছিলো।সবখানে মুসা সাহেব হাসি মুখে পোজ দিচ্ছেন,সাথে তার গুনগান নিয়ে রচনার পর রচনা লিখে গেছেন আনিসুল সাহেব।আরো যারা এভারেষ্ট বিজয় করলো তাদরে নিয়ে প্রথম আলু আর আনিসুল হকের কোন মাথা ব্যাথা নেই।তাদের আচরণ দেখে মনে হলো এরা মায়ের সৎ সন্তান।ঘৃনায় আমি প্রথম আলু আর আনিসুল হকের সব লিখা পরিত্যাগ শুরু করলাম।অতি আত্নপ্রচার কোন প্রকৃত শিল্পীর কাজ হতে পারে না,লিখেছেন একখানা বই “মা” যখন যেখানে যাই সবখানে উনি সেই আজাদের গল্প আর মা উপন্যাসের প্রচার নিয়ে মেতে থাকেন।আগে কয়েকজনের কাছে শুনেছি মুসা সাহেব সত্যিকার এভারেষ্ট জয় করেননি,আপনার পড়া শেয়ে জানলাম অন্নপূর্ণা-৪ না।আর ওই যে বললেন একবার যে মিথ্যে বলে সে বারবার মিথ্যে বলে।তাই তার আর তাদের(প্রথম আলু্,আনিসুল) কোন কিছুই আমার এখন বিশ্বাস হয়না।বাকিটা আদালত প্রমাণ করবে,দেখা যাক মিথ্যে কতদিন টিকে।
মাসুদ সজীব
দেখা যাক
facebook
পড়ে ভালো লাগলো, অনেক কিছু জানলাম। ধন্যবাদ লেখার জন্য।
সাজ্জাদ হোসেন শিপলু
নতুন মন্তব্য করুন