স্কুল জীবনের ষষ্ঠ বা সপ্তম শ্রেণীতে ভূ-গোল নামের এক বিষয় জীবনে যুক্ত হল, ভূ মানে পৃথিবী আর গোল মানে তো রাউন্ড মানে গোল! গোল পৃথিবীর সমস্ত বিষয়-আসয় নিয়ে জানার চেষ্টা চলতে থাকল তখন থেকেই- সমভূমি কাকে বলে, মালভূমি কি, বিশ্বে কত ধরনের পর্বত আছে, ভূমিকম্প কেন হয়, মহাদেশগুলো তৈরি হল কি করে এমন অনেক কিছুর সাথে আগ্নেয়গিরি! যে পাহাড় থেকে মাঝেই মাঝেই আগুনের রূপ নিয়ে গরম পাথর বাহির হয়, তাদের নাম আবার লাভা। জানলাম বিশ্বে তিন ধরনের আগ্নেয়গিরি আছে - মৃত, সুপ্ত এবং সক্রিয়। নাম থেকেই বোঝা যাচ্ছে একটার সমস্ত লাভার ভাণ্ডার শেষ হয়ে গেছে, অন্যটার শেষের পথে, কিন্তু হঠাৎ হঠাৎ লাভা বমি করে জানান দেয় যে- বেঁচে আছি, আর সক্রিয় আগ্নেয়গিরির কাজকর্মে তার ধারে কাছে ভিড়তে পারবেনা না।
সেই সাথে মুখস্থ করা হল কিছু আগ্নেয়গিরির নাম বিশেষ করে মনে আছে জাপানের ফুজিয়ামা এবং ইতালি ভিসুভিয়াস। সেই প্রথম পরিচয় ভিসুভিয়াস নামটির সাথে, এর কয়েক মাস পরেই পড়া হল সেবা প্রকাশনীর বদৌলতে লর্ড লিটনের লেখা লাস্ট ডেইজ অফ পম্পেই, ভূমধ্যসাগর তীরের পম্পেই নামের সেই সমৃদ্ধ নগরীর জীবনযাত্রার বর্ণনা খোদাই করা ছিল সেখানে ভিসুভিয়াসের লাভাস্রোতের মূর্তিমান অভিশাপ হয়ে নেমে আসার আগ পর্যন্ত। কি ভয়ংকর হতে পারে কোন আগ্নেয়গিরি পাদদেশে বাস করা, বিশেষ করে যদি তার জ্বালামুখ থেকে নিয়মিত বিরতিতে ধোঁয়া বেরোতে থাকে! নানা পত্রপত্রিকা পড়ে পরের বছরগুলোতে জানলাম ২০০০ বছর আগেই ভিসুভিয়াসের অগ্ন্যুৎপাতের ফলে ধ্বংস হয়ে গেছিল পম্পেই সহ পাঁচটি শহর। তারপরও কয়েকবার ক্ষেপে উঠলেও তেমন প্রলয়ঙ্করী রূপ দেখা যায় নি এখন পর্যন্ত, নতুন ভাবে গড়ে উঠেছে পম্পেই, এরকুলান্যো শহর, সেই সাথে আছে কাছের মহানগরী নেপলস।
বারকয়েকই চিন্তা করেছি আগ্নেয়গিরি চড়ার, বিশ্বের উচ্চতম মৃত আগ্নেয়গিরি কিলিমাঞ্জারো চড়বার পরিকল্পনা প্রতি সামারেই হতে থাকে, কিন্তু পেছাচ্ছে নিয়মিত, টোকিও গেলেই ফুজিয়ামা চড়ার সমস্ত বন্দোবস্ত পাকা হয়ে আছে, কিন্তু টোকিও যাওয়াও হচ্ছে না, ফলে দাঁড়ানো হচ্ছে না ফুজিয়ামার তুষারাবৃতশৃঙ্গেও। এদিকে আমাদের সৌরজগতের সর্বোচ্চ পর্বতটাও কিন্তু একটা আগ্নেয়গিরিই, মঙ্গল গ্রহের অলিম্পস মন্স মাউন্ট এভারেস্টের তিনগুন উঁচু, আমাদের গ্রহে হলে অক্সিজেনে ছাড়া সেখানে আরোহণের সামর্থ্য কারোই হত না, কিন্তু মঙ্গলে যাবার উপায় আপাতত পাওয়া যাচ্ছে না বলেই এই মাসের ২য় সপ্তাহে ভিসুভিয়াসের পাদদেশের নেপলস শহর ভ্রমণে সময় মনে হল দিগন্ত জুড়ে দাড়িয়ে থাকা ভয়াল ভয়ংকর সুন্দর সুপ্ত আগ্নেয়গিরিটাতে আরোহণের চেষ্টা করলে কেমন হয়? কেমন লাগবে সেই জ্বালামুখের কিনারে দাড়িয়ে কন্দরের টগবগে লাভা দেখতে? নিজেকে কি জুল ভার্ণের জার্নি টু দ্য সেন্টার অফ দ্য আর্থ বইয়ের চরিত্রের মতই মনে হবে? বলি করে করে, সেখানে না যাওয়া পর্যন্ত!
চলুন তাহলে, ঘুরে আসি ভিসুভিয়াসের জ্বালামুখ থেকে, আর যাবার আগে কয়দিন হাঁটাচলা করে ফিটনেস বাড়িয়ে নিন, সকালে সেদ্ধ ডিমের সাথে শসা খেয়ে একা একা ঘরে থেকে গন্ধকের গন্ধে খাপ খাওয়ানোর চেষ্টা করুন ( খবরদার, সাথে কাউকে নিবেন না, নিলেও সাথীর অকথ্য গালাগালির জন্য তারেক অণুকে দায়ী করা চলবে না, হুম), মাঝে মাঝে ওয়াকিং স্টিক নিয়েও পায়চারি করতে পারেন। প্রস্তত? চলুন তাহলে --
৯ অক্টোবর সকালেই নেপলস থেকে ট্রেন যাত্রা শুরু হল প্রাচীন শহর এরক্যোলানোর উদ্দেশ্যে, সেখানে রেলষ্টেশন থেকেই ভিসুভিয়াসের দোরগোঁড়ায় যাবার বাহন পাবার কথা। কিউবার প্ল্যায়া হিরণের কাছে ক্যারিবীয় সাগরতলের অপূর্ব রঙিন অভিজ্ঞতার কথা খেয়াল আছে হয়ত আপনাদের এই পোস্টের কল্যাণে, সেইবারের মতই অতল সাগরের তলদেশ থেকে পাহাড় চূড়া ছোবার অভিযানে সাথী হয়েছে ফিনল্যান্ডের তরুণী সারা এসকেলিনেন।
সেই সাথে ষ্টেশনে জোটা কয়েকজনের সাথে চেপে মাইক্রোবাস ধরনের বাহনে চেপে যাত্রা শুরু হল ভিসুভিয়াস ন্যাশনাল পার্কের উদ্দেশ্যে। শহর ছাড়ার পর থেকেই সাদা মেঘের ভেলাদের নোঙর ফেলার বন্দর ভিসুভিয়াসের চূড়া দেখা গেল, বছরের এই সময়টা নাকি মেঘময়ই থাকে, তবে আজ অবস্থা কিছুটা ভাল। সূর্যের উপস্থিতি বোঝা যাচ্ছে থেকে থেকেই, এখন আশা যেন শিখরে পৌঁছানোর পরে মেঘের ভেলাদের অনুভব না করতে হয়!
১২৮১ মিটার ( ৪,২০৩ ফুট) উচ্চতার আগ্নেয়গিরিকে ঘিরেই গড়ে উঠেছে ১৩৫ বর্গ কিলোমিটারের ভিসুভিয়াস ন্যাশনাল পার্ক, দূর থেকেই বোঝা যায় চূড়ার কাছে যেমন যেন চকচকে লালচে পাথরের ঢাল কিন্তু খানিক নিচ থেকেই ঘন সবুজের জঙ্গল। সেই বন চিরেই ঘুরে ঘুরে উপরের দিকে চলে গেছে পীচ ঢালা রাস্তা,
লালচে মাটি, কেমন যেন সুড়কি মেশানো মনে হল, কয়েক জায়গায় কালো পাথরের বিশাল বিশাল স্তূপ, হাজার বছর আগের লেলিহান লাভা এখান পর্যন্ত এসেই জীবনীশক্তি হারিয়ে পরিণত হয়েছে পাষাণী অহল্যায়।
কিন্তু তার উপরেই এখন সবুজের সমারোহ, বিশাল বিশাল গাছ গজিয়ে ছেয়ে ফেলেছে সেই বিভীষিকাময় স্মৃতিকে। এই বনে যে হরিণের দর্শনও মিলতে পারে তা জানা গেল পথের পাশের সাইনবোর্ডে।
এক জায়গায় গাড়ী থামিয়ে গাইড দেখাল সবুজ বন দলে চলে যাওয়া পাথর নদীকে, ভিসুভিয়াসের শেষ লাভা উদগীরন ঘটেছিল ১৯৪৪ সালে, তখন নাকি এই পর্যন্ত এসেই তার সমস্ত তর্জন-গর্জন উবে গিয়েছিল, ধিকিধিকি আগুন জ্বলা তপ্ত লাভা পরিণত হয়েছিল কঠিন শিলাতে, নিশ্চিন্ত হয়েছিল অগণিত মানবজীবন। এখনও সবসময় ব্যপক নজরদারী করা হয় ভিসুভিয়াসের উপরে, বলা তো যায় না- পাগলী যদি খেপে যায় ২০০০ বছর আগের মত? অবশ্য খেপলে তার সেই ক্রোধ থেকে কি করে রক্ষা পাওয়া যাবে সে নিয়ে অবশ্য সবাই সন্দিহান।
পথের বাঁকে পাহাড় আর বনের ফাঁকে দূরের নেপলস শহর দেখা গেল, সাথে সুনীল ভূমধ্যসাগর, এমনিই কি আর নেপলসের রূপ নিয়ে বলা হয়- নেপলস দেখার আগে মারা যেও না!
গাড়ী নিয়ে গেল ঢালের গায়েই কিছুটা ছড়ানো মত জায়গায় সেখানেই গাইড তার যান সহ অপেক্ষা করবেন দেড় ঘণ্টা, এর মাঝেই আমাদের জ্বালামুখ ছুয়ে ফিরে আসতে হবে। সেই পার্কিং প্লেসের পাশেই টিকেটঘর, ৭ না ৮ ইউরোর জানি টিকেট ( কদিন আগে এক তথ্যচিত্রে দেখলাম আফ্রিকার এক দেশে, সম্ভবত কঙ্গোতে, জীবন্ত আগ্নেয়গিরি দেখতে টিকেটের দাম করা হয়েছে ২৫০ ডলার, নিরাপদ দূরত্বে দাড়িয়ে লাভার স্রোত বেরোতে মানে নতুন ভূমির জন্ম হতে দেখা যাবে), সেটার পরপরই মূলফটক পেরিয়ে লালমাটির রাস্তা চলে গেছে ঢাল বেয়ে উপরের দিকে, প্রথমেই দেখি লাঠি ভাড়া করার সুব্যবস্থা আছে! কেনাও যেতে পারে!
অবশ্য লাঠিয়ালরা তাদের দিকে ভ্রুক্ষেপও না করাকে মোটেও সুনজরে দেখল না, ভাব খানা এমন- যাওনা এমন গটগটিয়ে, দেখব কতক্ষণ পার এক দমে! কিন্তু ওদের কি করে বোঝায় যে মামুর বুটারা- এই ১২০০ মিটারের পাহাড়ের ঢাল বেয়ে উঠতে যদি লাঠি ব্যবহার করি, তাহলে তো কেউ পাসতেই পারবেহেনা( চিনতেই পারবে না),আর নিজের কাছেই কেমন কেমন লাগবে- তারচেয়ে যতক্ষণ শ্বাস, ততক্ষণ আশ- পদব্রজই ভরসা ভবঘুরের।
বেশ ছড়ানো পথ, রেলিং দেয়া আছে, এঁকে বেঁকে উঠে গেছে শিখর পর্যন্ত। ঢালের দিকে নজর গেলেই লাল মাটি, লাল পাথর, লাল কাঁকরের রাজত্ব, কিন্তু সবকিছু ছাড়িয়েই চোখে আরাম বুলিয়ে যাচ্ছে কঠিন পাথর ভেদ করে ফোটা ফুলের গুচ্ছ, বা গাছের দল। আসলেই, খানিকটা সময় পেলেই প্রকৃতি কি চমৎকার ভাবেই না প্রায় সমস্ত আঘাতই সামলে নেয়।
দূরের নেপলস যেন লুকোচুরি খেলতে লাগল সাদা মেঘের ফাঁকে ফাঁকে, এদিকে আমাদের ছোঁয়ার প্রতিযোগিতা লাগিয়েছে যেন কালো কালো মেঘের দলেরা, কিন্তু সুখের কথা- এখন পর্যন্ত তাদের বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ার লক্ষণ দেখা দিচ্ছে না, দিলেই কেলেঙ্কারির একশেষ!
জোর কদমে চলে চূড়ার কাছাকাছি পৌঁছে অবশেষে মনে হল ধোঁয়ার দেখা পেলাম, কিন্তু হা হতোস্মি! এ তো মেঘ! ফিনফিনে ঢাকাই মসলিনের মত মেঘেরা পাক খেয়ে ঘুরছে যেন আগ্নেয়গিরির চারপাশে,অবশ্য পরের কয়েকদিনেও ভিসুভিয়াসের দেখা কোন সময়ই সম্পূর্ণ মেঘমুক্ত অবস্থায় মেলেনি, হতে পারে শরতে এমনটাই হয়, যে কারণে এত উপরে উঠেও ঝকঝকে নীল ভূমধ্যসাগরের দর্শন মিলল না মেঘদূতদের কারণেই।
কিন্তু ভিসুভিয়াসের কুখ্যাত জ্বালামুখ তখন আমাদের সামনে, কেবল একটি রেলিংয়ের ব্যবধান! এরপরেই ঢাল নেমে গেছে নানা ধরনের শিলাস্তর নিয়ে কেন্দ্র পর্যন্ত, অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম জ্বালামুখের কন্দরেও সবুজের ছোঁয়া, বিশেষ করে একেবারে কেন্দ্রবিন্দুতেই বেশ কিছু গাছ চির উন্নত মম শির হয়ে দাড়িয়ে আছে সগর্বে! অবশ্য অনেক মৃত আগ্নেয়গিরিরই জ্বালামুখে জল জমে সেটি নয়নাভিরাম হ্রদে পরিণত হয়, যাদের বলা হয় আগ্নেয় হ্রদ। কিন্তু এমন পর্যায়ের যেতে মনে হচ্ছে ভিসুভিয়াসের দেরী আছে।
আমার ক্যামেরার এবং সারার সাহায্যে টুকটাক ফটোসেশন চলল, তার একটি তো আপনারা এই পোস্টে দেখেছেনই। ছবি তোলার সময়ই প্রথম বারের মত নিচের এক প্রান্তে ধোঁয়া চোখে আসল! সত্যিকারের আগ্নেয়গিরি ধোঁয়া! সেখানে ভূমির তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেডের বেশী! মাটি মনে হয় ফুটছে টগবগ করে, কতটা উত্তপ্ত হলে শিলা থেকে ধোঁয়া বেরোতে পারে!
উৎক্ষিপ্ত লাভা নয়, আগুনের ফুলকি নয়, সোনারঙা নিভু নিভু পাথর নয়, সেই অল্প ধোঁয়ার উৎসেই যে কি রোমাঞ্চের সৃষ্টি করল মনে তা পুরোপুরিই অলেখ্য। শুধু মনে হল, এবার যদি বাবা ভিসুভিয়াস একবার ফুঁসে ওঠে আপন মর্জি মত ব্যস – অমরত্ব ঠেকায় কোন দেবতা!
গত দুই হাজার বছরে মোটমাট ৭৯ বার অগ্ন্যুৎপাত ঘটেছে ভিসুভিয়াসে, কিন্তু কোনটাই ৭৯ খ্রিস্টাব্দের মত বিশাল ছিল না, এবং বাকী কোনটাই ঐটার মত মানবসমাজের ক্ষতিসাধনও করে নি। ইউরোপের নানা দেশে তো বটেই এমনকি এখানের ধোঁয়া ১২০০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে ইউরোপ- এশিয়ার মিলনস্থলের ইস্তাম্বুলের আকাশ পর্যন্ত দখল করে নিয়েছে মাঝে মাঝে!
তবে ভূতাত্ত্বিকদের ( আমাদের দ্রোহীদার মত) গবেষণায় জানা গেছে আল্পস পর্বতমালার জন্ম যে কারণে হয়েছে, ভূপৃষ্ঠে ভিসুভিয়াসের উদ্ভবও সেই একই কারণে- আফ্রিকা মহাদেশীয় প্লেটের সাথে ইউরেশীয় মহাদেশের প্লেটের সংঘর্ষ। তাপ-চাপের কারণে উদ্ভূত চিত্র- বিচিত্র শিলার দেখা মিলল জ্বালামুখের চারপাশে ( এই নিয়ে যে কোন প্রশ্ন থাকলে মন্তব্যে পাঠান- উত্তরদাতা হিসেবে দ্রোহীদা বস্তুনিষ্ঠ উত্তর দিতে বদ্ধ পরিকর) ।
যে এলাকায় সবচেয়ে বেশী ধোঁয়ার দেখা মিলল, মনে হল সুযোগ পেলেই চট করে বারবিকিউ সেরে ফেলতে পারব ১ মিনিটে, সেখানেই দেখি ক্ষুদের পাখির দল নির্ভয়ে নীড় পেতেছে, যদিও বংশ-কুল-জাত ঠাহর করবার আগেই তারা পুচ্ছ ঝাঁকিয়ে হারিয়ে গেল গহ্বরের নিচের দিকে।
আর পাওয়া যাচ্ছিল গন্ধকের কটু গন্ধ, একেবারে রসায়নল্যাবে পাওয়া পচা ডিমের গন্ধের জমজ ভাই। কেমন অদ্ভুত ধরনের এক বিশাল গহ্বর, মনে হল এর নিজস্ব কোন সত্তা আছে। ক্রুর, ভয়ংকর, নিষ্ঠুর সেই অন্ধ জ্বালামুখ বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর দানবের মতই যেন অপেক্ষা করছে অবশ্যম্ভাবী কোন পরিণতির!
সেই ধোঁয়াশাময় নির্জনে পরিবেশে অবশ্য ভিনগ্রহ না হলেও জুল ভার্ণের কোন উপন্যাসে পৌঁছে গেছি তা নিয়ে সন্দেহ ছিল না বিন্দুমাত্রও।
জ্বালামুখের এক কিনারে নানা স্মারক চিহ্ন কেনার দোকান, সেখানে রোদ্রকরোজ্জল আগ্নেয়গিরিটির ভিউকার্ড যেমন ছিল, তেমনি ছিল নানা ধরনের , নানা বর্ণের পাথর! প্রবল তাপে ও চাপে কি করে এক মৌল অন্য মৌলতে রূপান্তরিত হয় তার যেন একটা প্রদর্শনী হয়ে গেল ছোট টেবিলেই!
এর পরপরই নিচে নামার রাস্তা, কিন্তু জানা গেল সেটি নেমে গেছে পর্বতের অন্য প্রান্তে, আমাদের যানের কাছে নহে! সেখানে যেতে হলে যেই রাস্তা দিয়ে এসেছি সেইখান দিয়েই ফিরতে হবে, একটু ঝুঁকি নিয়ে অবশ্য জ্বালামুখটির ভিতর দিয়ে গেলে শর্টকার্ট হতেও পারে, কিন্তু রেলিং টপকালেই হয়ত হা রে রে রে রে রে করে তেড়ে আসবে ইতালিয় প্রহরীর দল। এমনিতেই একবার একটু ভিতরে ঢুঁকে ধোঁয়ার ছবি তুলতে যেয়ে বিপদে পড়তে যাচ্ছিলাম, তাই মানে মানে চললাম নিচের পথে। এবারে গন্তব্য- এরক্যুলানো শহর।
( এই পোস্টটি জনপ্রিয় কিন্তু আপাতত ফাঁকিবাজ ব্লগার, নামী ভূতাত্ত্বিক, ভূমিকম্পবিশেষজ্ঞ এবং প্রিয় মানুষ দ্রোহী দার জন্য।
প্রিয় দ্রোহী দা- আমি খাস দিলে পৃথিবীর কাছে প্রার্থনা করি- আপনি যেন সারাজীবন টয়লেটে নিজের একান্ত আরামের সময়টুকু প্রাইভেসি সহকারে অতিবাহিত করতে পারেন, বৌ- বাচ্চার তখন যেন অবশ্যই অবশ্যই দরজায় তবলা বাজানো কসরত করার মতি না হয় এবং বুড়ো পৃথিবীটাও যেন তখনকার মত ভূমিকম্প না ঘটিয়ে শান্ত থাকে, আমেন! )
মন্তব্য
একটু আগে ক্রেসিডার কবিতা পড়ে এখানে ঢুকলাম, সেকেন্ড লাস্ট ছবিটা দেখে ক্রেসিডার রেস্তোরা মনে হচ্ছে বার বার। ছবিগুলা মেনু আর পাথর গুলা খাবার।
...........................
Every Picture Tells a Story
ভোর সাড়ে টার সময় এটা কি রকম রসিকতা মুস্তাফিজ ভাই !
নাহ, ভ্যাঙ্কুভার আসতেই হবে
facebook
ভ্যাঙ্কুউভারে এলে তো খুশি হবারই কথা আমার। এই আসার কথাটা কি আবার রসিকতা নাকি?
...........................
Every Picture Tells a Story
নাহ, সামনে সামারের শেষ দিকে আম্রিকা আসলে, একবার কানাডা ঢু মারব না? তখন আমি, আপনি, সুজন্দা, আরও যারা যারা আছেন, সবাই মিলে রসিকতা করব!
facebook
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
অবশ্যই অশান্ত কবি সহ
facebook
অলিম্পস মন্সে ওঠার আগে যেমনেই হোক, সেখানে একটা বুদ্ধমূর্তি রাখার ব্যবস্থা কৈরেন। আর নেক্সটটাইম ভিসুভিসুতে গেলে দুই কেজি দেশী আলু নিয়া যাইয়েন। ১০০ ডিগ্রির কথা শুনে আমার প্রথমেই যেটা মনে হৈছে, সেখানে আলু ফেললে কতো তাড়াতাড়ি সেটা পোড়া হয়ে খাওয়ার যোগ্য হবে!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
সাথে লবণ? নাকি ভাবছেন লবণ সেই সমুদ্র মন্থন করে আমারেই তৈরি করে নিতে হবে? মেম্বর কো?
facebook
মেম্বর কুরবানীর গরু কিনতে গেছে গাবতলীর হাটে। একটু আগে ইন্টেল মারফত জানতে পাল্লাম, মেম্বর গরুর গলা ধরে হেলে দুলে গানের স্টিল ভিডিও বানাচ্ছে, 'তু জো মেরা ম্যায়না হোতি মে জো তেরা তোতা... খুলি গগনমে উড়তা দুনো, ডরনা কিসিকো হোতা...' গানের তালে তালে।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
'তু জো মেরা ম্যায়না হোতি মে জো তেরা তোতা... খুলি গগনমে উড়তা দুনো, ডরনা কিসিকো হোতা...' মেম্বর কি একা, নাকি পুত্র-পরিবার সহ?
facebook
এই প্রশ্নটা আমিও করছিলাম, আমার ইন্টেলও করছিলো। মেম্বর সাফ জবাব দিয়েছেন, হেমচন্দ্র বাবুর ভাষায়, 'দারা-পুত্র-পরিবার, তুমি কার কে তোমার...!'
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হ, টয়লেট করার সময় একা থাকাই ভাল, কি কন!
facebook
মেম্বর একটি অভিশাপ। ইন্টেল আরও জানিয়েছে, হাগনকুঠিতে বসে বসে মেম্বর পুরানা দিনের হিন্দি গানে টান মারে, 'আজা রে, ও মেরে দিলবার আজা... দিল কি পিয়াস বুঝা যা রে...'
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
গানটা কি বর্জ্যের উদ্দেশ্যে?
facebook
সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের ভূগোল অংশ দিয়ে ভিসুভিয়াসের সাথে পরিচয় এবং ক্যাডেট ভর্তি পরীক্ষা দেয়ার প্রেপ নিতে যেয়ে আরো অনেক আগ্নেয়গিরির নামের সাথে পরিচয়। গ্রীসের সান্তরিনির যেখানটায় ভলকানিক ইরাপশন হয়েছিল সেই এলাকাটা ঘুরে দেখেছি, হয়ত কোন এক সময় ভিসুভিয়াসও দেখা হয়ে যাবে, ছবির সাথে সাবলীল বর্ণনা আপনার লেখার বিশেষ বৈশিষ্ঠ্য।
দিবাকর
সান্তোরিনির লেখা দিয়ে ফেলেন, ছবিসহ, দারুণ হবে-
facebook
সচলে নিয়মিত হবার চেষ্টা করতেছি, লিখে ফেলবো শীগ্রই
দিবাকর
facebook
দুই নাম্বার ছবিটা খুবই পছন্দ হইছে
আচ্ছা, আপনি কি ভিসুভিয়াসে উঠা প্রথম বাংলাদেশি?
(যদিও কোথাও দাবি করেননাই, তারপরও উকিল/টুকিল লাগলে আউয়াজ দিয়েন )
আশা করছি আমি ভিসুভিয়াসে ওঠা শেষ বাংলাদেশী, মানে ১৭ কোটি জনতা ওঠার পরে আমি উঠেছি, এমনই অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় আমাদের জাতি! আশা করতে দোষ কি?
facebook
ওই টিশার্টটা কোনোদিন নিলামে উঠাইলে আগেভাগে আমায় জানায়েন।আপনের ভ্রমণ সঙ্ক্রান্ত পোস্ট আমি চোখ বুঁজে পড়ে চলে যাই।মন্তব্য দেয়ার জন্য যে সময় লাগে সেটুকুও থাকা হয়না ভয়ে। এবং সেই দায় আমার না!
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
হুম, পড়ে কোথায় চলে যান মণিকাদি, জাতি জানতে ইচ্ছুক?
নিলামে তুলব বলছেন?
facebook
অণুদা ঐ বস্তুটা কি? নীচের থেকে ২ আর ৪ নম্বর ছবিতে টেবিলের উপর-----গাছের ডাল / গুড়ির ক্রস সেকশন বা মাংসের রোল এর মত দেখতে ---
ভাল বলেছেন! দেখে মনে হচ্ছে গুড়ি, কিন্তু আসলে হয়ত কোন পাথর, দ্রোহীদা আসুক, তাপ্পর উত্তর মিলবে।
facebook
দ্রোহীদা কেন? সেও ছিল নাকি ঐ টেবিলের সামনে - কোথায় যেন পড়লাম দ্রোহীদা গাবতলির হাটে!
সারাজীবন কী হাটেই থাকপে! সে কি ব্যাপারির টেন্ডার নিছে নাকি !
facebook
ঘুরে আসলাম ভিসুভিয়াসের জ্বালামুখ থেকে, বুঝলেন হে প্রিয় উড়ন্ত ঘুড়ি
বুঝলাম
facebook
উদ্ভিদেরা কেমন বেয়ারা-নাছোড়বান্দা! উচ্চতা বা উচ্চ তাপমাত্রা কোন কিছুরই পরোয়া করতে চায় না। একটু সুযোগ পেলেই সবুজ বা সবুজ থেকে লাল-নীল-হলদে-বেগুনী কী অবলীলায় ফুটিয়ে দেয়। রোগা রোগা হাত-পা ছুঁড়তে থাকে। আরেকটু সুযোগ পেলে ঝোপঝাড়ে মাতিয়ে তোলে।
নিয়াপলিটানরাও দেখি উদ্ভিদদের মতোই। উঁচু পাহাড়ে, প্রচণ্ড গরমেও তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে!
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
জীবন জিনিসটাই এমন, কে জায়গাতেই যান কিছু না কিছু আছেই- গাছ, পাখি, সরীসৃপ, স্তন্যপায়ী নিদেন পক্ষে অণুজীব!
শুধু নিয়াপলিটানরাই নয়, এক ইতালিয়ান আমাকে দাঁত বের করে বলেছিল ফ্রাঙ্কফুর্টের বইমেলাতে- উই ইতালিয়ানস, উই সেল এভটিথিং!
facebook
কিছুই বলার নাই। তাই স্রেফ একটা অভিনন্দন
ডাকঘর | ছবিঘর
facebook
সকালে একবার পড়লাম। এখন আবার একবার পড়তে এলাম মন্তব্য করার জন্য। পড়তে পড়তে নিজেই একবার ঘুরে এলাম স্বপ্নে (আমি তো আর তারেক অনু না যে চাইলেই লাফ মেরে যেখানে খুশি চলে গেলাম তাই স্বপ্নেই ঘুরি আপনার লেখা পড়ে। ) আরও অনেক অনেক বিস্তারিত লেখা চাই আর সাথে অবশ্যই ছবি।
আমার কোলের কম্পুটারে কেন জানি কুনু ইমু কাম করতেছে না, তাই শেষে গুড় দিয়া গেলাম। নিজ দায়িত্তে গ্রহন করিবেন।
সব বিরোধী দলের ষড়যন্ত্র!
facebook
৪ নাম্বার ফটুখানা দেখ রে !!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
ক্যান, কি অয়ছে! আবে অইম তুই হাসতাছস ক্যান? ( চক্ষু খুইল্যা গুঁটি খেলুম, গুঁটি)
facebook
ছবির সীমান্ত দিয়ে কারুকার্যটাও সেই! যুগলের তাকিয়ে তো নজরুলের 'মোরা আর জনমে' গানটার কথা মনে পড়ে যাচ্ছে
সৌরভ কবীর
facebook
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
facebook
ভালো লাগলো অনু দা। ছবি আর বর্ণনা চমৎকার হয়েছে।
অমি_বন্যা
লেখা কোথায়, আফ্রিকা নিয়ে?
facebook
আসবে শীঘ্রই
অমি_বন্যা
আগ্নেয়গিরি, পাহাড়র আর বালিকাদের আশেপাশে গেলেই দেখি আপনার দাঁত সব বের হয়ে পড়ে
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
কেন না !
facebook
মনে হল ভিসুভিয়াস ঘুরে এলাম। তবে হেলিকপ্টার নিয়ে উপর থেকে একটা ছবি তুলতে পারলে পুরাটা বোঝা যেতো। ওখানে কি হেলিকপ্টার রাইড নেই?
একটা পরামর্শ। লেখার সাথে সাথে ছবি ঠিক আছে, কিন্ত ছবির নীচে ছোট ক্যাপশন থাকলে অনেক সুবিধা। যেমন--
আছে নিশ্চয়ই, কিন্তু মেঘলা আবহাওয়ায় যেয়ে সুবিধের হত না।
facebook
ভিসুভিয়াসের নাম শুনলেই গা ছমছম করে উঠে। দারুণ একটা ট্রিপ দিলেন দেখি!
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ছমছম পোস্ট আসিতেছে-
facebook
একটা ছবি ক্যাননের বিজ্ঞাপনের বিলবোর্ড হতে পারে। আবার সেই ছবিটাই ক্লোজ আপ টুথপেস্টের বিজ্ঞাপন হতে পারে
কই! কেউ তো যোগাযোগ করছে না !
facebook
১.
আমারে উৎসর্গ করার নাম দিয়ে তো চামে ফিনিশ তরুণীর সাথে ঘুরে এলেন! মিয়া ট্যাক্স দিসেন?
২.
মনির গোধুলি হইতে সাবধান। সে একজন অতিশয় বাটপার ব্যক্তি। তার সাথে বেশি ঘনিষ্ট হইয়েন না। সুযোগ বুঝে সে আপনাকে তার ইতালিয়ান মাফিয়া শ্বশুরের কাছে বেচে দেবে।
৩.
আমারে সাক্ষী রেখে মহাদেশের লড়াচড়া নিয়া যে কথাগুলা কইলেন তার সবই মিথ্যা কথা। আপনে আমার মতো একজন বুজুর্গ ব্যক্তিকে সাক্ষী মেনে এইসব কথা ক্যামনে বলতে পারলেন?
ভিসুভিয়াসের আসল ঘটনা অন্যরকম। জায়ান্টরা চারিত্রিক দিক থেকে ছিল মনির গোধুলির মত ফাউল এবং বাটপার কিসিমের। খেয়াল করলে দেখবেন দুইদিন পর পর জম্মনবাসী সচলেরা মনিরের উপর ক্ষেপে উঠে। তখন মনির প্রাণরক্ষার্থে তার শ্বশুর ইতালির বিখ্যাত মাফিয়ার আস্তানায় দিয়ে গা ঢাকা দেয় কয়েকদিনের জন্য। তো জায়ান্টদের বাটপারিতে অতিষ্ট হয়ে দেবতারা ঠিক করলো জায়ান্টদের পুটু মারা দেয়া দরকার। তখন দেবি অ্যাথিনা ভালকান জায়ান্ট এনসেলাডাসকে সিসিলিতে আর দেবতা ভালকান এনসেলাডাসের ভাই মাইমাসকে ইতালিতে গাইড়া ফালায়।
এইভাবে সিসিলিতে আগ্নেয়গিরি এটনা আর ইতালিতে ভিসুভিয়াস তৈরি হইছে। এনসেলাডাস আর মাইমাসের পিঠে চুলকানি হইলে তারা মাটিতে ঘষা দিয়া চুলকানির কাম সারে। তখন বলদ পাবলিকে মনে করে ভূমিকম্প হইতেছে।
মাঝে মধ্যে তারা যখন পাদু দেয় তখন আগ্নেয়গিরির মুখ দিয়ে ধুমা বাইর হয়। আপনের লাস্ট ছবিটাতে যে ধুমা দেখতেছেন ওইটা আসলে মাইমাসের পাদু।
আর যখন তেনারা নাম্বার টু করেন তখন অগ্ন্যুৎপাত হয়। তেনারা নাম্বার টু করলে তার পরিণাম কী হয় সেটা তো পম্পেইতে দেখেই আসছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছে মনির গোধুলি নাম্বার টু করলে নাকি ক্লাস্টার বোমায় বিধ্বস্ত হইলে কোন জায়গার অবস্থা যেমন হয় টয়লেটের অবস্থা নাকি সেইরকম হয়।
এই কথাগুলা কিন্তু একটাও বাটপার মনিরের মতো চাপাবাজি না। আমার কথা বিশ্বাস না হইলে ভার্জিলের ইনিয়াড পইড়া দেখেন।
মাঝে মধ্যে তারা যখন পাদু দেয় তখন আগ্নেয়গিরির মুখ দিয়ে ধুমা বাইর হয়। আপনের লাস্ট ছবিটাতে যে ধুমা দেখতেছেন ওইটা আসলে মাইমাসের পাদু।
মনির নামে কেউ নেই! মিয়া উত্তর দ্যান পাঠকের
facebook
তারেক অণু সাগরের তল, পাহাড়ের চূড়া, ভিসুভিয়াসের জ্বালামুখ ছেনে তামাম দুনিয়া (নিচ থেকে উপর, এসপার থেকে ওসপার) তামা তামা করে অবশেষে নিজে প্রমাণ করল যে দুনিয়াটা বাস্তবেই গোল!
চার নাম্বার ফটোটায় এক সুখি পরিবার, পাঠকের চক্ষুও গোল গোল, আহা!
দুনিয়া তো গোল না, কমলালেবুর মত চ্যাপ্টা!
পরিবার, ফাজিলের গাছে, নিজের লেজ কাটলে সবারই লেজ কাটতে ইচ্ছে করে, না?
facebook
লেখা, ছবি আর ভিসুভিয়াস অনেক
এর পরে কোথায় যাচ্ছেন অনুদা?
শুভেচ্ছা,
লেখাতে কোথায় যাব বলতে পারছি না, আর বাস্তবে বাংলাদেশ।
facebook
ভিসুভিয়াস বিয়াপক ছ্যাঁকা খাইছে মুনে অয়...
facebook
সবই বুজছি
..................................................................
#Banshibir.
facebook
কাল রাইত থেকে দেখতেসি চোখটিপ মার্তেসেন, থামেন মিয়া। ব্যথা করে না?
..................................................................
#Banshibir.
facebook
চোখ টিবি মারে? ক্রাইম মাস্টর গোগোজাহানরে খবর দিমু?
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আপনারে একটা মেসেজ দিছি, দেখেন তো। আচ্ছা অক্টোবর ফেস্টে যাবার না আপনের খুব শখ?
facebook
কাইল সারারাইত চোখটিপ মার্সে ধুগোদা, এহন গত কয় ঘন্টা খালি এদিকোদিক চায়। এই লুক মানুষ না আমি কয়া দিলাম। ডাকেন আপনের গোগোমাস্টর।
..................................................................
#Banshibir.
না না, আমি এখন ঘুমাচ্ছি।
facebook
ডাকতে হবে না, এরে ধরে ক্রাইম মাস্টর গোগোজাহানের সাথে টক-শো তে বসায়া দেন। চোখই যদি না থাকে, টিবি মারবো কী দিয়া!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
facebook
পম্পেই এর কথা প্রথম পড়ছিলাম সেরা সন্দেশে। তা এই সেই দাগী আসামী ভিসুভিয়াস তাইলে
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
ঠিক, পম্পেই নিয়ে আবার পোস্ট দিব সময় পেলেই-
facebook
জুল ভার্ণ পড়ে পড়ে আমার ও এরকম কোন জায়গায় যাওয়ার শখ হয় মাঝে মাঝে।আপনার পোস্টের মাধ্যমে সেই জায়গায় ঘুরে আসলাম।থ্যাঙ্কু !
শখ পূরণ হয়ে যাবে অবশ্যই।
facebook
ভয়াবহ দেখি!!
_____________________
Give Her Freedom!
আপাতত শান্ত, কিন্তু খেপলেই ভয়াবহতম!
facebook
১৯*১০ + ৬ = ১৯৬; আর ৪ খান পোস্ট দিলেই দুই শতক রান করার গৌরব অর্জন করবেন আমাদের কিংবদন্তি প্রিয় উড়ন্ত ঘুড়ি তারেক অণুদা। এই রান হাকাতে উনি সময় নিয়েছেন (নিবেন) মাত্র ১৬ মাস তথা ৪৮০+- দিন। প্রতি পোস্টে গড় মন্তব্যসংখ্যা ১০০ (আনুমানিক)। স্মরণকালের ইতিহাসে এমন আকাশচুম্বী রেকর্ডধারী সর্বজন-প্রিয় ব্লগার আর নাই মনে হয়।
_____________________
Give Her Freedom!
৪৮০ দিন সময় নিছে কিন্তু আমার জন্য না, ফ্যাসিবাদী মডুরা নীড়পাতায় লেখা আইতে দেয় নাই, অনেক সময় লেখা পাঠানোর জন্য ৩/৪দিন অপেক্ষা করতে হয়ছে! সব বিরোধী দলের ষড়যন্ত্র।
facebook
বর্ণনা ও ছবিগুলোও দারুণ হয়েছে। আর যুগল ফটোটাতো এই পোস্টের জন্য আবশ্যক ছিলনা। ওটাকি জনগণের ঈর্ষাভাবকে প্রকট করবার মানসে...
না না, কি কথা! ঐ ফাজিল ধু গো দা আর নজু ভাই বলল একটা ফটুক দেবার জন্য, আর কিছু না!
ভালো আছেন আশা করি।
facebook
একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়গুলো নিজের মধ্যে থাকাই ভাল, নয়কি?
ভাল আছি। ভাল থাকুন।
facebook
আমিও ঘুরি আপনার সাথে সাথে ---পড়ে----স্বপ্নে ।অণু ভাই ,আপনি টের পান না ?
অবশ্যই!
facebook
আসেন দেশে। ভিসুভিয়াসের মতো ধোঁয়া উঠা ভাপা পিঠা খায়ামুনে। ছবিগুলা আগেই ফেবুতে দেখছি। তাই আর কিছু কইলাম না। লেখা বরাবরের মতোই। তবে অল্পে সারলেন মনে হইল।
যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...
ধোঁয়া উঠা ভাপা পিঠা, দিয়া ! আহা
facebook
নতুন মন্তব্য করুন