আজ একটি বিশেষ দিন, ঘড়ির কাটা পুরো এক ঘণ্টা এগিয়ে শীতের সময় চালু হয়ে যাচ্ছে, মানে ৬০টি মিনিট জীবনের মুফতে পাচ্ছি, টানা ঘুমানো যাবে সারা রাত বই পড়ার পর, অবশ্য শীতের শেষে গ্রীষ্মের সময় যখন চালু করা হবে তখন আবার এক বোনাস পাওয়া এক ঘণ্টা ছোঁ মেরে কেড়ে নিয়ে শুরু হবে গ্রীষ্ম সময়। যাক গে, হঠাৎ জীবনের বোনাস ঘণ্টাটিতে ঘুম ভেঙ্গে গেল একই সাথে সকালের রোদে এবং বন্ধুর ফোনে!
ফোন করেছে পাখিপ্রেমিক বন্ধু স্টেফান নপম্যান, যার কথা বলেছি আপনাদের বিশ্বের সুন্দরতম হাঁস দেখার গল্পে এবং এস্তোনিয়ায় পরিযায়ী পাখিদর্শনের পোস্টে। ( সামনের বছরে বাংলাদেশে আসছে সে দক্ষিণবঙ্গে এবং হাওরে পাখিশুমারিতে অংশ নিতে, তখন অনেকের সাথে দেখা হবে আশা করি), দিনটা হিমময় হলেও ঝকঝকে রোদেলা, সে খবর পেয়েছে উত্তরের ল্যাপল্যান্ড থেকে কিছু পাখি এসে দেদারসে খাওয়াদাওয়া করছে হেলসিংকির কিছু উদ্যানে, তাদের সাথে দেখাসাক্ষাতের সাথে সাথে ছবি তোলার একটা হিল্লে হয়ে যেতেও পারে। আর কি, ৩০ মিনিটের মধ্যে ঠাণ্ডা ঠেকানোর একগাদা কাপড় পড়ে দূরবীন আর ক্যামেরা গুছিয়ে যাত্রা শুরু হয়ে গেল আজকের।
( এই ঘটনা গতকালের মানে ২৮ অক্টোবর, রবিবারের। পোস্টের সবগুলা ছবিই গতকালের তোলা, কিন্তু ফ্যাসিবাদী মডুদের চক্রান্তে গতকাল নীড়পাতা থেকে আমার পোস্ট না সরায় আর নতুন পোস্ট দিতে পারলাম না, তাই আজকেই দিলাম, মনে করুন আজকেরই ঘটনা!)
প্রথমে হেলসিংকির বোটানিকাল গার্ডেনে যাওয়া হল বোহেমিয়ান ওয়াক্সউইং দের খোঁজে যাওয়া হল, সেখানে বেশ কিছু গাছে লাল রঙয়ের বেরীতে সয়লাব হয়ে আছে, ফিনল্যান্ড আসার পর থেকেই দেখছি এই গাছগুলোর সবুজ পাতা আর লাল ফল মিলিয়ে অপূর্ব হয় দেখতে কিন্তু সুদর্শন ফলগুলো নাকি মানুষের ভক্ষনের অযোগ্য! মানে ছোটখাট মাকাল ফল আর কি!
কিন্তু পাখি মহলের তাদের জনপ্রিয়তা কিংবদন্তীর মত, ঝাকে ঝাকে নানা জাতের পাখি এসে দিবারাত্রি খেয়েই যাচ্ছে টুকটুকে লাল ফলগুলো।
এইখানেও তার ব্যতিক্রম নেই, কয়েকশ বোহেমিয়ান ওয়াক্সউইং (Bohemian Waxwing, Bombycilla garrulus) ইচ্ছামত উড়ে উড়ে পালা করে এক গাছ থেকে আরেক গাছে বসছে, কিছু ডালের ফল নাই করে দিয়ে আবার দূরের আরেক গাছে যেয়ে হামলা করছে, আবার ফিরে এসে আরেকটায় চক্কর লাগাচ্ছে, একেবারে মোচ্ছব যাকে বলে! বোহেমিয়ান ওয়াক্সউইং আমার খুবই প্রিয় একটা পাখি, কেমন জানি একটা স্বাধীন চেতা একটা ভাব আছে তাদের বসার ভঙ্গীতে, সেই সাথে মাথার ঝুঁটিখানাও যেন জীবনের উল্লাসে নাচছে সবসময়। সেই সাথে নামের সাথেই আছে বোহেমিয়ান, ভাল না লেগে উপায় কি!
তাদের নানা খুনসুটি ফ্রেমবন্দী করার চেষ্টা চালাচ্ছি এই সময় ধপ করে একটা পাখি পড়ল আমার সামনের মাটিতে, কেমন অসহায় হয়ে পা দুটো উপরের দিকে তুলে শুয়ে রইল খানিকক্ষণ। মনে হল কোন গাছের ডালে বা ধাতব বেড়াতে আঘাত পেয়ে বেচার ধরাশায়ী হয়েছে, খুব খারাপ লাগল- চোখের সামনে তরতাজা একটি প্রাণ এইভাবে ধুঁকে ধুঁকে মারা যাবে চিন্তা করে।
তার দিকে এমনিতেই আপন মনে কথা বলতে বলতে বেশী কাছের পরপরই দেখি বেচারা কোনমতে হাচড়েপাচড়ে খানিকটা হামাগুড়ি দিয়ে শেষমেশ উড়াল দিলে সক্ষম হল! ভেবে ভাল লাগল যে, হয়ত বেশী কাছে যাওয়াতে ভয় পেয়ে ওড়ার চেষ্টা করতেই তার জীবন রক্ষা পেল এযাত্রা!
কিন্তু সেখানেই দেখি আরও দুটি পাখি মৃতদেহ! হিমে জমে গেছে চকচকে অপূর্ব সুন্দর নিখুঁত সন্নিবেশিত পালকগুলো।
তার মানে কি? এখানে প্রায়ই পাখি মারা যাচ্ছে কোন দুর্ঘটনায়!। স্টেফান তখন আরেক গাছের পাখিদের ছবি তুলতে ব্যস্ত, তার কাছে যেয়ে এই ঘটনার বয়ান করতে না করতে সে উচ্চস্বরে হেসে বলল, দেখ দেখ পাড় মাতালটাকে দেখ! দেখি একটা বোহেমিয়ান ওয়াক্সউইং বেড়ার গায়ে বসতে যেয়ে নখ জায়গা মতো বাঁধাতে না পেরে ধুপ করে মাটিতে পড়ে নিশ্চল হয়ে রয়ল! ঠিক খানিক আগের পাখিটির মতই!
তারপর কোনমতে মাথা বার কয়েক ঝুঁকিয়ে, মাতাল মানুষের মতই যেন জ্ঞান ফিরে পাবার চেষ্টা করতে করতে টলমল কয়েক পা এগিয়ে আবার বিশ্রাম নিতে থাকল! কিন্তু মাতাল কেন? এই গাছের ফল! অত্যধিক পরিমাণে খেয়ে নিজের উপরে নিয়ন্ত্রণ সম্পূর্ণই হারিয়ে ফেলেছে অনেক বেচারা, বুঝলাম মৃত পাখি ২টি এত বেশী সেই সুধা টেনেছিল যে মাটিতে পড়ার পর আর ঘুম ভাঙ্গে নি! মাতাল মানুষ আর মাতাল মশা ( মাতাল মানুষের রক্ত টেনে মশাকে টালমাটাল হয়ে উড়তে দেখি প্রতি গ্রীষ্মে) ছাড়া চোখের সামনে আর কোন প্রাণীকে মাতাল দেখি নাই, একটা ভিডিওতে অবশ্য নানা জাতের প্রাণীকে একটি বিশেষ আফ্রিকান গাছে ফল খেয়ে নেশা করতে দেখেছি, মোজাম্বিক ভ্রমণের সময় সেই ফল থেকে বিশেষ পক্রিয়ায় তৈরি পানীয়ও চাখা হয়েছিল কিন্তু মাতাল পাখি চর্মচক্ষে দেখলাম এই প্রথম।
বাড়ী ফিরে পড়ে নেট ঘেঁটে খবরে দেখি এই বছর উত্তর আমেরিকাতেও এমন ফল খেয়ে অনেক বোহেমিয়ান ওয়াক্সউইংএর জাতভাই সিডার ওয়াক্সউইং মারা পড়ছে!
আবার যাত্রা শুরু করে পাসিলা নামের এক জায়গাই যাওয়া হল যেখানে শহরের মাঝেই বিশাল বন ধরনের প্রাকৃতিক উদ্যান আছে, যেখানে ল্যাপল্যান্ড বাসী পাখিগুলোকে Pine Grosbeak /Pinicola enucleator, দেখা যেতে পারে। এবং এক বিশাল পাহাড়ের ঢালে তাদেরও দেখা মিলল ব্যপক ভাবে ফলাহার চালাতে! কত কায়দায় কে দুলে দুলে, ঝুলে ঝুলে ওস্তাদ দড়াবাজিকরদের মত খেয়েই চলেছে তারা এন্তার-
যেন শপথ করেছে যে শেষ ফলটি গাছে থাকা পর্যন্ত তারা থামবে না! সাত থেকে আটটি পাখির দল, কিন্ুl সবই মহিলা পাখি! স্টেফান মুখটা বেগুনভাজার মত করে বলল- পুরুষ পাখিটা দেখতে দারুণ লাল রঙের হয়, আর সাধারণত ১০টি পাখির দলে একটা মাত্র পুরুষ থাকে, মানে কিনা তার নিজস্ব হারেম! কিন্তু মাঝে মাঝেই সে একটু দলছুট হতেও পারে!
পাহাড়ি এলাকাটি বেশ কবার ঘোরা হল পুরুষ পাখির লেজের খোঁজে, কিন্তু দর্শন মিলল না, এই সময়ে দূরে এক জায়গা থেকে অনেকগুলো পাখি একসাথে উড়াল দিল আচমকা ভাবে, মনেই হল কোন শিকারি এসেছে সেখান, আকাশের এক কোণে দ্রুত বেগে ধেয়ে আসা সেই মৃত্যুদূতকে দেখা গেল সাথে সাথেই, সোজা ভীষণ গতিতে প্রায় আমাদের মাথার উপর দিয়েই মুহূর্তের মাঝে দিগন্তে মিলিয়ে গেল অসাধারণ এক শিকারি পাখি, উত্তুরে গোদাশিকরে (Northern Goshawk, Accipiter gentilis)! একেবারে যুদ্ধবিমানের মত ভঙ্গিমা, বায়ুগতিবিদ্যার সমস্ত নিয়ম মেনে সাদাকালো ডোরার সুদর্শন বিশাল শিকারি পাখিটি আমাদের মুগ্ধতায় ভাসিয়ে চলে গেল নিমিষের মাঝে।
সেখান থেকে বিদায় নিয়ে লাওতাসারি নামের এক দ্বীপে যাওয়া হল সেই ল্যাপল্যান্ডের পাখিদের খোঁজে, আরও কয়েক প্রজাতির পাখির সাথে মিলেও গেলে একটি পুরুষ, কিন্তু সেটি উঠতি মাস্তান, পেকে ঝুনো হওয়া বুড়ো মাতবর না, যে কারণে শরীরের পালকে লালের ছোঁয়া এখনো খুব বেশী লাগেনি।
এই সময় আবার ফোন বেজে উঠল, পাখিপর্যবেক্ষক এক বন্ধু জানাল শহরের অপর প্রান্তে এক বিরল পেঁচা দেখা গেছে। সাথে সাথেই সমস্ত পরিকল্পনা বাতিল করে পেঁচা দর্শনে যাওয়া হল লায়াসালো নামের মহল্লায়। এখন পর্যন্ত বেজায় খুশী আমরা, পাখি দেখার সাথে সাথে ভাল ছবিও মিলেছে আশা করা যাচ্ছে, এখন পেঁচাটি দেখলেই সোনায় সোহাগাময় একটি দিন হতে পারে।
সেই এলাকায় পৌঁছে কিছুক্ষণ বৃথা ঘোরাঘুরি পর, বেশ কিছু গাছের ডাল এবং শীর্ষস্থান ভালো মত নজরদারি করে একটা সমতল পাইন বনের দিকে এগোচ্ছি দেখি তিনজন মানুষ কিসের জন্য ছবি তুলছে! ব্যস, সেই নিশানা ধরেই দেখা পেলাম বিশ্বের কিউটতম একটি পাখির!
নিশাচর ক্ষুদে পাখিটি তখন রীতিমত আলস্য জড়িয়ে ঘুমাচ্ছিল, আমাদের এতগুলো ক্যামেরার ক্রমাগত ক্লিক ক্লিক শব্দে বিরক্ত হলেও একই জায়গায় বসে রয়ল সবসময়ই, যেন জানে- খানিকপরেই মানুষের বাচ্চারা এমনিতেই সরে যাবে, তখন জম্পেশ ঘুমানো যাবে।
বেশ খাসা পেঁচাটি (Boreal Owl / Tengmalm's Owl ), Aegolius funereus), তার ডালের মিটারখানেকের মধ্যে গেলেও কোন প্রতিবাদ জানালো না, চোখ পাকিয়ে তাকাল না, বখে যাওয়া মানুষের বাচ্চা বলে গালি দিল না, এমনকি সাধারণ প্রতিবাদ স্বরূপ হাগুও করল না, কেবল একবার বেশ খক খক করে কেশে শরীর মুচড়ে পাকস্থলী থেকে এক পিলেট উগরিয়ে ফেলল ( পেঁচারা সাধারণ ইঁদুর বা পোকা যেটাই খেয়ে থাকে, সেটার লোম, চামড়া সহ যে অংশগুলো হজম হয় না, সেগুলো জোট লেগে অনেকটা গুঁটির মত হয়, পেঁচারা নিয়মিত ভাবে সেই হজমের অযোগ্য বস্তু উগরিয়ে ফেলে দেয়, এই গুটিকে ইংরেজিতে বলে পিলেট (Pillet) এই জন্য পেঁচার বাড়ীতে অনেক অনেক পিলেট দেখা যায়) ।
বেশ হিম পড়েছে এই রোদের মাঝেও তাই ক্ষুদে পেঁচাটি রোম ফুলিয়ে একটা গুটুস বলের মত আকৃতি নিয়ে চেষ্টা করছে শরীর উষ্ণ রাখার। বেশ অনেকক্ষণ অসাধারণ পাখিটিকে পর্যবেক্ষণের পর বিদায় নেবার ঠিক আগ মুহূর্তে ২ সেকেন্ডের জন্য হলুদ-কালো চোখের তীব্র দৃষ্টি হেনে যেন বলল- বেয়াদবি মাপ করে দিলাম, আর কখনও ঘুমের সময় বিরক্ত করবা না! বুঝলে কুঁদুলে মানুষের বাচ্চারা।
বিশাল খুশীতে মশগুল আমরা, একদিনেই দারুণ কিছু পাখির দেখা পেলাম, সেই সাথে আবহাওয়া দুর্দান্ত ধরনের ভাল, হয়ত কিছু ছবিও মিলেছে, স্টেফানকে বললাম- চল, সেলিব্রেট করি! চোখ মটকে সে বলল- অবশ্যই আজ সেলিব্রেট করার মত অনেক ঘটনা ঘটল, আর আজকে আমার জন্মদিন! ৪৯ পূর্ণ হল!
ব্যস আর কি, দুই বন্ধু মিলে চললাম অসাধারণ দিনটি উদযাপনে, তবে তার আগে যাওয়া হল আরও কিছু বনে অন্য পাখির খোঁজে, সেই গল্প অন্যদিন।
( এই পোস্টটি আমাদের সচলপিডিয়া, নিবিড় পাঠক স্নেহময়ী নীলকমলিনী আপার জন্য।
আপা ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন সবসময়, সচল থাকুন, সচল রাখুন, আর ইয়ে, মানে আপনার লেখা পড়তে পারলে কিন্তু ভাল লাগত সবার! )
মন্তব্য
চমৎকার।
---ঈয়াসীন
facebook
ছবি দেখেই মন্তব্য করতে ইচ্ছে হল। এতদূর থেকে আমার জন্য এত সুন্দর সব ছবি দিয়ে প্রিয় ভাইটি আমাকে লেখাটি দিয়েছে, আমি অভিভূত।
আর কিছু বলতে পারছি না।
না বললে ঠিক আছে, কিন্তু স্মোকি মাউন্টেনের লেখাটা দিয়ে দেন, নাকি?
facebook
পাখীগুলোর কান্ডকারবার দেখে পুরা অবাক, এরাও দেখি মানুষের মত বেশী খেয়ে মরে! আর কিউটেস্ট পেঁচার ছবি দেখে ওর মতই চোখ বড় বড় করে তাকায় আছি... ঘুমনোর আগে এত্তো সুন্দর একটা পোস্ট দেখলাম, আহ! চুইট ড্রিম শিওর!
চুইট ড্রিম!
পাখিরাও মানুষ যে! লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু!
facebook
ঘুম থেকে উঠেই দারুন কিছু ছবি দেখলাম।সকাল টাই সুন্দর হয়ে গেলো,ধন্যবাদ অনু দা
বাকী দিনটাও সুন্দর হোক।
facebook
বাহ্, ভালো পোজ দিছে তো।
হ
facebook
দারুণ লাগলো।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনার পিচ্চিরা কি বলে পেঁচা দেখে?
facebook
লাস্যময়ী পেঁচা!
পুরো
facebook
দারুণ দারুণ দারুণ।।।।।
facebook
ভীষন মন ভাল করা একটা পোস্ট অণুদা।
শুনেই মন ভাল হয়ে গেল--
facebook
অসাধারণ প্রণ আর রূপ সঞ্চারী!!!
_____________________
Give Her Freedom!
দিনটা যে রোদেলা!
facebook
ভীষণ ভাল লাগল লিখাটি।
-লাবণ্যপ্রভা
facebook
'প্যাঁচা'দার পোজগুলো ব্যাপক...
সে শুধু ঘুমানোর আয়োজনে ছিল !
facebook
কাউয়ারে ভাতের সাথে বাংলা মদ খাইয়ে টাল করে কানে দুল পরিয়ে দিতো আমার পরিচিত একজন... ফটোগ্রাফাররাও যে সেই কাম করে জানতাম না...
০২
হেলসিংকিতে লাললাল ফলগুলো দেখে আমার মনে হচ্ছিল কোনো না কোনোভাবে ফলগুলো খাওয়ার যোগ্য হবেই... এখন তো দেখি রীতিমতো গুণধর সরাববিচি...
এহহে, মিস্টেক হয়ে গেছে! পরের বার আসেন, কয়েকটা গাছ শুধু আপনার জন্যই থাকবে!
facebook
পেঁচাটা কি কিউট !!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
খাসা!
facebook
প্রথম ছবিটা দেখার মত সুন্দর ।
কাদম্বরী
ধন্যবাদ।
facebook
দারুণ!
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
নিদারুণ!
facebook
খাইছে- মাতলামি করতে করতে মরেই যায়- ... এরা তো দেখি বিবাগীস্ট- দ্যা জেবনে কী আছে...
শিকারির ছবি টা- গুল্লি হইছে- আহা!!!
পেঁচা ভালু পাই-
আসলে লোভে পড়ে খাওয়া থামাতে পারে না! জানলে কি আর খেত!
facebook
ওহ্, মাতাল করা সব ছবি।
আমরা জীবনের নেশায় মাতাল--
facebook
পাখীগুলা কি কিউট।
পুরাই, শুধু উপর থেকে হাগু না করলেই সব ঠিক!
facebook
একেবারে প্রথম ছবিটাই, আঁকা মনে হয়!
তা রোদেলা দিনে কোনো বালিকার দেখা পান নাই? নাকি সব বালিকা মানস সরোবরে সিনান করতে গেছে গা মিয়া!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ছবি আঁকা শিখে রাখুম চিন্তা করতাছি।
বালিকা নিয়ে আন্নের এত মাথা ব্যথা কেন ধু গো দা , না আপনার শালীর ব্যবস্থা করতেই হইবেক---
facebook
প্রথম ছবিটা অসাধারণ হয়েছে তার মানে কিন্তু এই না যে বাকিগুলো ভালো না। পেঁচার চাহনি, বেরি খেতে আসা পাখির ঝাক সব মিলিয়ে অসাধারণ একটা পোস্ট।
আপনার মত যদি একটা কাম্রা থাকতো আমার, তাইলে এক্কারে ফাডাইলাইতাম অনু দা। পোষ্টের জন্য
অমি_বন্যা
অনেক ধন্যবাদ ভাই।
আর ক্যামেরা, কেবল ধরাই শিখলাম, ছবি তোলা আর শিখা হচ্ছে না।
facebook
মানুষ আমি আমার কেনো পাখির মত মওওওওন ♪ ♫
..................................................................
#Banshibir.
মানুষ আমি আমার কেনো পাখির মত মওওওওন ♪ ♫ মারহাবা, মারহাবা।
facebook
এইযে শুনেন গান।
..................................................................
#Banshibir.
বিবি লজেন্স ছাড়া গান শোনা হবে না আর, অভ্যাস খারাপ করে দিয়েছেন পীর সাহেব।
facebook
..................................................................
#Banshibir.
facebook
সাংঘাতিক সুন্দর সব ছবি অনুদা।
প্রথম ছবিটা তো
এত কিউট প্যাঁচা! প্যাঁচাটার জন্য রইল ভালবাসা, আমার পক্ষ থেকে, প্রিয় কবির পক্ষ থেকে-
"কোনোদিন জাগিবে না আর
জানিবার গাঢ় বেদনার
অবিরাম – অবিরাম ভার
সহিবে না আর – ‘
এই কথা বলেছিলো তারে
চাঁদ ডুবে চলে গেলে – অদ্ভুত আঁধারে
যেন তার জানালার ধারে
উটের গ্রীবার মতো কোনো-এক নিস্তব্ধতা এসে।
তবুও তো প্যাঁচা জাগে;
গলিত স্থবির ব্যাং আরো দুই মুহূর্তের ভিক্ষা মাগে
আরেকটি প্রভাতের ইশারায় – অনুমেয় উষ্ণ অনুরাগে। "
শুভ কামনা। ভালো থাকবেন নিরন্তর।
ধন্যবাদ , কি দারুণ কবিতা!
facebook
একটু দৌড়ের উপ্রে আছি। ছবি দেইখা পাঁচাতারা দাগ্লাম।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
পড়ে পইড়া জানায়েন!
facebook
আমিও ৫ তারা দিলাম - শেষের ছবিটা ছাড়া বাকি সবগুলো আর লেখার জন্য
শেষের ছবিতে মানুষ এর মত দেখতে কিন্তু পাখির মত জীবন কাটানো ক্যামেরাওয়ালাকে কিছু বলার নাই ----
শুভকামনা।
ফিরছেন নাকি?
facebook
অসাধারণ!
ধন্যবাদ
facebook
নতুন মন্তব্য করুন