• Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_clear_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_electoral_list_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_results_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_writeins_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).

প্রিয় মুখ-৬, গণিতবিদ সুব্রত মজুমদার

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: সোম, ০৫/১১/২০১২ - ৮:৩১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

419568_10150652005539304_210619119_n

স্কুল-কলেজে পড়ার সময় রাজশাহী বিশ্ব-বিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের যে কোন ছাত্র/ছাত্রী, প্রাক্তন বা তৎকালীন, বড় ভাই, গৃহশিক্ষক, বন্ধুর মামা কারো সাথে দেখা হলেই যখন জানতাম উনি সেই বিষয়ে এই বিশেষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই গণিতে পড়েছেন সাথে সাথেই প্রশ্ন করতাম- আপনার প্রিয় শিক্ষকের নাম কি?

উত্তরটা আমার খুব ভাল জানা ছিল, একশতে একশ জনই উত্তর দিত প্রফেসর সুব্রত মজুমদার।

তখন বুক টানটান করে দন্ত প্রদর্শনী করে উত্তর দিতাম- জানিই তো, উনি আমার কাকু হন।

কাকুর নামের কত যে ঘটনা শুনেছি- উনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণতম শিক্ষক হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেছিলেন ২১ বছর বয়সে, একবার জানলাম উনি নাকি সারা বাংলাদেশের সাধারণ গণিতের একমাত্র শিক্ষক যিনি কোনরকম বইপত্র ছাড়ায় ক্লাসে পড়ান, আরেকবার শুনলাম উনি নাকি উগান্ডাতে অনেক বছর স্রেফ শূন্য নিয়ে গবেষণা করেছেন, প্রফেসর সত্যেন বোসের বিশেষ স্নেহের পাত্র ছিলেন, এমন আরও অনেক অনেক কিছু। কিছু কাকুর কাছে জানতে চাইলে উনি বরাবরের মত একগাল হেসে বলতেন, শোন তোদের একটা ঘটনা বলি- একবার অচেনা এক ভদ্রলোক আমার সাথে দেখা করে আমার নামে একগাদা ঘটনা বলে বলল- এতগুলো অসম্ভব কাজ সম্ভব করলেন কি করে! তখন তাকে বললাম- আপনার উল্লেখিত কীর্তিগুলো যদি আমার হত তাহলে যারপরনাই খুশী হতাম, কিন্তু দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে এর একটিও আমার কাজ না!

কিন্তু মানুষ কোন খামোখা তার নামে এত এত কথা বলতে যাবে? উত্তরটা খুব সহজ- কারণ সবাই তাকে প্রচণ্ড ভালবাসে। শিক্ষক মানুষ সকলের সন্মানের, শ্রদ্ধা পাত্র তো বটেই, কিন্তু এগুলোর অনেক অনেক উপরে উঠে একজন সুব্রত মজুমদার হয়ে দাঁড়িয়েছেন সকলের প্রিয় মানুষ। মনে পড়ে মুহম্মদ জাফর ইকবাল সুব্রত কাকুর ছেলে আলোককে একটা বইয়ে লিখে দিয়েছিলেন- আমি সারা জীবন চেষ্টা করেছি তোমার বাবার মত একজন মানুষ হবার জন্য।

এখানেই একজন সুব্রত মজুমদারের সার্থকতা- শিক্ষাবিদ হিসেবে নয়, সংস্কৃতিমনা হিসেবে নয়, বেহালাবাদক হিসেবে নয়, দার্শনিক হিসেবে নয়, তিনি আমাদের সবার মনে স্থায়ী আসন গেড়ে আছেন একজন পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে। আমাদের আপনার জন হয়ে।

কাকুর সাথে যখন প্রথম পরিচয় ঘটে তখন আমি নেহাতই স্কুলছাত্র, সাদা শার্ট, নীল প্যান্ট পড়ে ঘাড়ে ব্যাগ ঝুলিয়ে বিদ্যালয় গমন করি। মুক্তিযুদ্ধ চর্চা কেন্দ্র নামের এক দুর্দান্ত সাংস্কৃতিক সংগঠন ছিল আমাদের, তারই কোন এক আড্ডা পরিচয়ের সুবাদে ঘনিষ্ঠ বন্ধু উদয় শঙ্করের সাথে গুটি গুটি পায়ে কড়া নেড়েছিলাম কাকুর বাসার দরজায় – বিশাল মাপের আত্নভোলা সরল মানুষটি দুই স্কুল পড়ুয়ার বালকের জানা-অজানা জগত নিয়ে অজস্র প্রশ্নবাণে জর্জরিত হয়ে স্নেহময় প্রশয়ের হাসি দিয়েছিলেন, আকাশের নক্ষত্রমণ্ডলী চিনিয়েছিলেন মূল্যবান সময় ব্যয় করে, বলতেন নিজের সারা পৃথিবী ঘোরার গল্প, কিন্তু সবসময়ই প্রাধান্য দিতেন আমাদের মনের অনুসন্ধিৎসাকে, তার হিমালয়সম জ্ঞানের আড়ালে যেন আমরা চাপা পড়ে কুঁকড়ে না যায় সেদিকে বরাবরই সতর্কদৃষ্টি ছিল তার! কৌতূহল জাগিয়ে তুলতে গণিতের মজার মজার ধাঁ ধাঁ দিতেন, পল ডিরাক, রামানুজন, আইনস্টাইন নিয়ে কত যে গল্প করতেন। অন্যান্যদের কাছে পরিচয় করিয়ে দিতেন- এই ছেলেদুটোর প্রবল জ্ঞানপিপাসা।

হয়ত স্কুল থেকে ফিরছি, কাকুর সাথে রাস্তায় দেখা- খামোখায় উনার সাথে কথা বলা লোভে বেমাক্কা প্রশ্ন করে বসলাম- আচ্ছা ডাইনোসররা পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেল কেন? কাকু তার সমস্ত কাজ ফেলে জ্ঞানঝাপি খুলে শোনালেন আদি পৃথিবীর গল্প। কোন দিন বলতেন তার মায়ের পড়া এরিক ফন দানিকেনের বইগুলোর কথা, তার ঘুরে আশা ল্যুভর জাদুঘরের কথা, উগান্ডায় দেখা পৃথিবীকে দুই ভাগে ভাগ করা বিষুবরেখার কথা। এমনভাবেই কাকু আমাদের পরিবারের একজন হয়ে গেলেন, নাকি আমিই কাকুর পরিবারের একজন হয়ে গেলাম তা বলা মুস্কিল! তার পরিবারের সকল সদস্যদের জন্য আলাদা আলাদা ভাবে লেখার ইচ্ছে আছে বলেই এযাত্রা এড়িয়ে যাচ্ছি অন্যান্যদের কথা।

এর আগে বলেছিলাম একজন সত্যিকারের বিনয়ী মানুষ ইনাম আল হকের কথা, আজ বলছি প্রফেসর সুব্রত মজুমদারের কথা। এত জ্ঞানী একজন মানুষ যে নিপাট নিরহংকারী এবং বিনয়ী হতে পারে সেই অভিজ্ঞতা কাকুর সাথে ঘনিষ্ঠ না হলে হয়ত জানা হত না, প্রায় বিষয়েই কথা বলার আগে কাকু নিজেকে ঘোষণা দেন- আমি মূর্খ মানুষ - মানুষকে শোনানোর জন্য নয়, নিজের বিদ্যা জাহির করার জন্য নয়, ঋষিতুল্য মানুষটি অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে নিজেকে আসলেই মূর্খ মনে করেন, ভাবেন জানার আছে বহু কিছু, মনে করিয়ে দেন সক্রেটিসের কথা- আমি একটা জিনিস জানি, যে আমি কিছুই জানি না! যে কোন বিষয়ে অন্যরা বিশেষ করে আমার মত অর্বাচীন কথা বললেও অতি মনোযোগ দিয়ে শুনবেন, সবকিছু থেকেই জানতে চান তিনি সবসময়ই।

নিজের শৈশবের কথা বলতেন কাকু, রাজশাহী বিশ্ব-বিদ্যালয়ের ছাত্র-জীবনের কথা, পরে ১৯৬২ সালে তো শিক্ষক হিসেবেই যোগদান করলেন ২১ বছর বয়সে, তার বর্ণনায় সেই সময়ের রাজশাহী শহরটি টুকরো টুকরো ছবির মত ধরা দিত মনের পর্দায়, যার সাথে আমাদের চেনা শহরের যোজন যোজন ফারাক, কাকুর কাছে আব্দার করি- সেই ঘটনাগুলো লিখে রাখা যায় না? তার জীবনের সাথে রাজশাহী জড়িয়ে ওতপ্রোত ভাবে, নিজের জীবনে নিয়ে লিখলেই তা হয়ে যাবে মূল্যবান এক স্মৃতিকথা। কাকু তার মায়াভরা হাসি দেন, বলেন- আমি একটা যা-তা লোক, আমার জীবন নিয়ে কে জানতে চাইবে? ঘুরিয়ে বলি- আপনার জীবনের সাথে সাথে এই জনপদটির ইতিহাস আসবে, বাংলাদেশের গল্প আসবে, লিখবেন না কাকু? তার কাছে এক একটাই দাবী আমার- উনি যেন নিজের জীবন নিয়ে লিখেন।

ইতালির ত্রিয়েস্তে গণিত নিয়ে কাজ করার সময় প্রফেসর আব্দুস সালামের সাথে তার সাক্ষাৎ হয়েছিল অনেকবার, হিসাব করে দেখেছিলাম কাকু আমার জীবনে দেখা প্রথম মানুষ যিনি নোবেল পুরস্কার পাওয়া কারো সাথে একান্তে সময় কাটিয়েছেন, স্মৃতির ঝুলি খুলে বলতেন সত্যেন বোসের সাথে এক যুগের পরিচয়ের নানা টুকরো টুকরো ঘটনা। কাকুর বাবা সুবোধ মজুমদারও গণিতের শিক্ষক ছিলেন, কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯১৮ সালে গণিতে পাশ করেছিলেন- তাদের পারিবারিক গানবাজনার আড্ডায় শিল্পী এস এম সুলতান কাঁধে একটা জ্যান্ত বেজি নিয়ে কিভাবে অংশ নিয়েছিলেন, এবং কি করে বালক কাকুর তবলাটিকে বলে কয়ে এস এম সুলতান মাত্র এক চাঁটি দিয়ে ফাটিয়ে দিয়েছিলেন সেই কথা বলতেন খুব রসিয়ে রসিয়ে।

আর গানপাগল মানুষ, সবসময় আছেন গান-বাজনার মাঝে ডুবে, অবসর জীবনে জিরোবার জো নেই, বাড়ীতে গানের আড্ডা বসছে প্রতিনিয়ত, তিনি গান গাচ্ছেন, নাহলে মেতে আছেন হারমোনিয়াম আর বেহালা নিয়ে। পরিচিত বেশ কজনকে আমি বিস্ময় প্রকাশ করতে শুনেছি যখন তারা জেনেছে উনি আসলে গণিতের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষক, সঙ্গীতের নন!

কাকুর গণিত এবং সঙ্গীতের জগতে দীপ্ত প্রবল পথচারণা নিয়ে লেখার মত জ্ঞান আমার নেই, যদি কোনদিন সেই বিষয়গুলো নিয়ে সামান্য জ্ঞানও অর্জন করতে পারি, তাহলে অবশ্যই লিখব- প্রত্যেক রাগ রাগিনীর একটা স্বরগত প্যাটার্ন আছে, আরোহন অবরোহন বলে, কাকু এগুলোর ফ্রিকুয়েন্সী স্টাডি করতেন বেশ অনেক অনেক আগে , তখন কম্পুটার ব্যবহার শুরুই হয়নি!এই কাজগুলো এখন বোধ হয় অনেক সফ্টওয়ার করছে।

কাকু যেবার রাজশাহী বিঃ থেকে এমএসসি তে পাশ করে বেরোলেন, সেবার বিজ্ঞান-এ পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তান (অর্থাত সমগ্র তত্কালীন দেশে) থেকে তিনি সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে গোল্ড মেডেল পেয়ছিলেন | বি এস সি তে পরীক্খাপত্র একটু বেশি কঠিন করা হয়েছিল (সুব্রত মজুমদার কে একটু টেস্ট করার জন্য!) -- সে বার উনি ছাড়া আর কেউ পাশ কতে পারেনি |

কাকু ষাটের দশকে বিভিন্ন স্বৈরাচারী সময়ে (সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সময় ইত্যাদি) এখানকার সংখ্যালঘু পরিবার (মহিলা শিশু দের) প্রটেকশন দেয়ার জন্য এগিয়ে থাকত | ছোটবেলা থেকে তার শরীরচর্চা করে গড়ে তোলা শক্ত শরীর, লাঠি খেলা, জুজুৎসু জানতেন, উনার মূলকথা ছিল- আমাদের না মেরে কারুর কিছু করতে পারবে না | সে সময় কিন্তু ঘরে ঘরে অধিকাংশ পুরুষরাও ভয়ে গুটিয়ে আছে, বা পলায়ন করছে |

শুনেছি বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যাঁর কাছে কাকু পি এচ ডি করলেন (ডঃ হোর) তিনি কিন্তু এই টপিকে সাহায্য করেননি, কারণ টপিকটা তাঁর কাছেও অজানা ছিল | কাকু ওখানে যাবার পর বিভাগীয় প্রধান (প্রফেসর ম্যাকবেথ, এক জন বিশ্বখ্যাত গণিতবিদ) এই টপিক এ উনাকে কিছু প্রবলেম দেন, আর সেটা কাকু একাই সমাধান করেছিলেন | এই টপিক নিয়ে ওই বিভাগের এর আরো কিছু দল ও কাজ করতেন, তাঁদেরও সম্ভবত কাকু সাহায্য করেছিলেন |

কাকু ১৯৭১ সালে সত্যেন বসুর পরামর্শে ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসটিক্যাল ইনস্টিটিউট ( আই এস আই) এ যোগ দান করেন, বয়েস খুব কম, সংসারের সকলে (ঠাকুমা, পিসিরা) তার এই সামান্য আয়-এর ওপর নির্ভরশীল | এখানে ওয়ার্ল্ড ক্লাস গণিতবিদদের আখড়া | তিনি সেখানে পড়াতে ও গবেষণা করতে শুরু করেন | বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর ওনাকে থেকে যেতেই বলেছিল | সম্ভবত অন্য মানুষ হলে এই সুযোগ হাত ছাড়া করত না, এত ভালো গবেষণা ও পড়াশুনোর পরিবেশ মিলবে কোথা? | কিন্তু দেশ গড়ার সকল্প নিয়ে রাজশাহীতে প্রত্যাবর্তন করেন |

কাকুর জীবনের কথা তার জীবনের পার্টনার আমার দীপিকা কাকীর কথা ছাড়া সম্পূর্ণ হতেই পারে না, কিন্তু সেই কাহিনী এত বড় যে আরেক পোস্টের অপেক্ষাতে রাখতেই হচ্ছে সবাইকে, শুধু বলি অনেক অনেক বছর আগে শিলাইদহ কুঠিবাড়ী থেকে ফেরার পথে কাকী আমাদের বিশ্বের সবচেয়ে সত্য কথাটি বলেছিলেন- বিশ্বের সব মানুষের মাঝে যদি আসলেই কোন পার্থক্য থেকে থাকে সেটি হচ্ছে ভাষার পার্থক্য। এটি ছাড়া সব মানুষ এক।

সংসারে এমন প্রচার বিমুখ সন্ন্যাসীর ন্যায় জীবন পালন করা মানুষটি একজন সত্যিকারের খাঁটি মানুষ, আমাদের ঘেয়ো সমাজের অতি বিরল শেষ সন্তদের একজন, যার বিশাল ছায়াতলে কিছুটা মহামূল্যবান সময় কাটিয়েছি বলে নিজেকে পুণ্যবান মনে হয়। এইতো শেষবার দেশ থেকে আসার সময়ও কাকু এবং কাকী হুট করে রেলষ্টেশনে হাজির হয়ে গেলেন বিদায় দেবার জন্য, শৈশবের বালকটির মতই মাথা নেড়ে আদর করে বললেন- ভালো থাকিস।

13958_354302060496_7278336_n

( খুব কাছের মানুষদের নিয়ে লেখা অত্যন্ত কঠিন, বিশেষ করে তাদের অর্জন বুঝতে লেখক যেখানে অক্ষম। এই লেখাটি হয়ত কাকুর মত বিশাল মাপের একজন মানুষকে চিত্রায়িত করার ব্যর্থ চেষ্টা হিসেবেই বিবেচনা করা হবে, হোক না, ক্ষতি কি? আমার ভাল লাগা, ভালবাসা, শ্রদ্ধা তো পাঠকেরা নিশ্চয়ই বুঝবেন, তাই না? )

প্রিয় মুখ-৫, সত্যসৈনিক আরজ আলী মাতুব্বর

প্রিয় মুখ ৪ – ও ক্যাপ্টেন, মাই ক্যাপ্টেন

প্রিয় মুখ-৩, এডমণ্ড হিলারী

প্রিয় মুখ-২ , জেরাল্ড ডারেল

প্রিয় মুখ-১ : জেন গুডাল


মন্তব্য

রামগরুড় এর ছবি

লেখা ভাল পাইলাম। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আরেকজন আছেন "অরুণ কুমার বসাক" ফিজিক্সের অধ্যাপক, উনারে নিয়া লেখা ছাড়েন জলদি।

তারেক অণু এর ছবি

অবশ্যই, উনিও কি চমৎকার একজন মানুষ! বেশ ভাল পরিচয় আছে। লিখব।

প্রদীপ্ত এর ছবি

আমি এই নমস্য মানুষটিকে চিনি। উনি আমার কাকু।

তারেক অণু এর ছবি
সবজান্তা এর ছবি

দুর্দান্ত অণু ভাই, স্রেফ দুর্দান্ত ! উনার ব্যাপারে আমি অল্পস্বল্প কিছু শুনেছিলাম আগে, তবে উনাকে এতো কাছ থেকে চেনে, এমন কারো কাছ থেকে না অবশ্যই। একটা আগ্রহ তাই অনেকদিন ধরেই ছিলো। আপনার সাথে এতোটা ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ, সেটা জানতাম না।

আমার মাঝে মধ্যে ক্লান্ত লাগে শুধু মানুষের সমালোচনা করে বেড়াতে, সবকিছুতে শুধু দোষ খুঁজে বেড়াতে- সবকিছুকে তাচ্ছিল্য করতে। অসুস্থ মনে হয় নিজেকে। খুব ছোটও লাগে নিজের কাছেই নিজেকে। তাই এমন মানুষের কথা জানলে আর কিছু না হোক, নিজের মানসিক একটা সুস্থিতি আসে। এমন চমৎকার মানুষের কথা আমাদের সবারই জানা উচিত। হয়তো এমন লোক সারা দেশে হাজার হাজার নেই, কিন্তু অল্প যে ক'জনই আছেন, তাদের কথা যদি সবাই জানে, অনেক বেশি অনুপ্রেরণা পাবেন অনেকেই।

লেখাটা খুব বেশি ছোট হয়ে গেলো মনে হচ্ছে। একটাণে পড়া হয়ে গেলো- আরো একটু বড় করতে পারতেন।

তবে এমন চমৎকার একটা লেখার জন্য ধন্যবাদ না দিলে ব্যাপারটা খারাপ হয়ে যায়, তাই বি-শা-ল ধন্যবাদ অণু ভাই :)

আইলসা এর ছবি

আমার মাঝে মধ্যে ক্লান্ত লাগে শুধু মানুষের সমালোচনা করে বেড়াতে, সবকিছুতে শুধু দোষ খুঁজে বেড়াতে- সবকিছুকে তাচ্ছিল্য করতে। অসুস্থ মনে হয় নিজেকে। খুব ছোটও লাগে নিজের কাছেই নিজেকে। তাই এমন মানুষের কথা জানলে আর কিছু না হোক, নিজের মানসিক একটা সুস্থিতি আসে। এমন চমৎকার মানুষের কথা আমাদের সবারই জানা উচিত। হয়তো এমন লোক সারা দেশে হাজার হাজার নেই, কিন্তু অল্প যে ক'জনই আছেন, তাদের কথা যদি সবাই জানে, অনেক বেশি অনুপ্রেরণা পাবেন অনেকেই।

- অসাধারন

অনু'দা লেখাটার জন্য (জাঝা)

তারেক অণু এর ছবি

(ধইন্যা)

নীলম এর ছবি

আমার মাঝে মধ্যে ক্লান্ত লাগে শুধু মানুষের সমালোচনা করে বেড়াতে, সবকিছুতে শুধু দোষ খুঁজে বেড়াতে- সবকিছুকে তাচ্ছিল্য করতে। অসুস্থ মনে হয় নিজেকে। খুব ছোটও লাগে নিজের কাছেই নিজেকে। তাই এমন মানুষের কথা জানলে আর কিছু না হোক, নিজের মানসিক একটা সুস্থিতি আসে। এমন চমৎকার মানুষের কথা আমাদের সবারই জানা উচিত। হয়তো এমন লোক সারা দেশে হাজার হাজার নেই, কিন্তু অল্প যে ক'জনই আছেন, তাদের কথা যদি সবাই জানে, অনেক বেশি অনুপ্রেরণা পাবেন অনেকেই।

কি সুন্দর গুছিয়ে এই সত্য কথাটা বলে ফেললেন! (জাঝা)

তারেক অণু এর ছবি

সত্য! (গুলি)

তারেক অণু এর ছবি

পরে কাকুর বিশাল সাক্ষাৎকার নিয়ে পুষিয়ে দেব, ঠিক আছে?

অতিথি লেখক এর ছবি

আরেকটা ব্যপার স্যারের কিন্তু "ম্যাথ জিনিওলজি প্রজেক্টে" এন্ট্রি আছে, এখানে দেখতে পারেন --

http://www.genealogy.math.ndsu.nodak.edu/id.php?id=91447

আর ম্যাথ জিনিওলজি প্রজেক্ট হইল দুনিয়ার সব বিখ্যাত গণিতবীদদের শিক্ষক-ছাত্র সম্পর্কের ফ্যামিলি-ট্রি ডেটাবেইজ। এখানে একদম অয়লার, গাউস, নিউটন থেকে শুরু করে এই যুগের কিংবদন্তী গ্রিগরী পেরেলমান পর্য্যন্ত আছেন। এখান থেকে আপনি জানতে পারবেন কে কার ছাত্র/শিক্ষক ছিলেন আর কে কি বিষয়ে গবেষণা করেছেন।

এই তথ্যটা যোগ করা জরুরী বলে মনে হইল বইলা কইলাম আরকি।

-- রামগরুড়

তারেক অণু এর ছবি

অবশ্যই, ধন্যবাদ।

কুমার এর ছবি

"উনি আমারও কাকু হন"। কাকু কাকিমার সাথে আমারও একবার সামনাসামনি দেখা-কথা বলার সৌভাগ্য হয়েছিল।উনারা নমস্য।

তারেক অণু এর ছবি
নীলসমুদ্র এর ছবি

তারেক অনু, আমি আপনার প্রতিটা লেখা পড়লেও মন্তব্য এই প্রথম করছি। আপনার অন্যসব লেখার মত এই প্রিয়-মুখ সিরিজটাও আমার বেশ পছন্দের। তরতর করে এই লেখাটা পড়ে শেষটায় বিরাট একটা ধাক্কা খেলাম আপনার সাথে অধ্যাপক সুব্রত মজুমদার ও তাঁর স্ত্রীর ছবিটা দেখে, কারন ছবিতে আপনার সাথের মানুষ দুজনকে আমি চিনি, তাঁদের সাথে পরিচিত হয়েছিলাম রাজশাহীতে এক আত্মীয়ের বাসায়, তাঁদের দুজনকে আমার সঙ্গীত-প্রেমী ভালমানুষ মনে হয়েছিল, কিন্তু ঘুনাক্ষরেও টের পাইনি তাঁদের আসল পরিচয়, বরং আমি নিজেই অনেক রাজা-উজির মেরেছি তাঁদের সাথে আলাপ চলাকালে। এখন এই পোষ্ট পড়ে তো আমার ধরনী দ্বিধা হও অবস্থা!

নিজের পর্বতপ্রমান অজ্ঞতা আর নিরর্থক বৈষিয়ক প্রাপ্তি নিয়ে সুখেই ছিলাম, দিলেন তো সুখ টা তছনছ করে, কেন যে এমন পোস্ট দেন!

নীলসমুদ্র

তারেক অণু এর ছবি

হা হা, কবে দেখা হয়েছিল?

নীলসমুদ্র এর ছবি

এবছর জানুয়ারীতে দেখা হয়েছিল, মাসখানেকের জন্য দেশে গিয়েছিলাম তখন। মাত্র ঘণ্টাখানেকের আলাপেই উনাকে অন্যরকম মানুষ মনে হয়েছিল; একই সাথে সদালাপী, মনযোগী শ্রোতা, সুবক্তা ও তেজস্বী; আর তাঁর জানার পরিধির কথা তো বাদই দিলাম। এরকম মানুষ খুব কম থাকে, এমন আরেকজনের সাথে আমার একবার খানিকক্ষণ কথা হয়েছিল যা আমি ভুলিনি, তিনি কাজী আনোয়ার হোসেন।

শুধু একটা আফসোস, অধ্যাপক মজুমদার আর তাঁর স্ত্রী আমার স্ত্রীকে একটা গান শোনাতে বলেছিলেন যখন শুনলেন যে সে গানের চর্চা করে, কিন্তু সেটা তাঁদেরকে আর শোনানো হয়নি।

আপনি সামনে এরকম আরও মানুষদের সাথে আমাদের পরিচয় করিয়ে দেবেন, সেই প্রত্যাশা রইল।

ভাল থাকুন।

নীলসমুদ্র

তারেক অণু এর ছবি

কাজী আনোয়ার হোসেন নিয়ে লেখা আসিতেছে।

কাকুর সাথে সময় কাটানোর অভিজ্ঞতা অসাধারণ।

রু এর ছবি

খুব সুন্দর একটা লেখা। উনার ব্যাপারে আগে জানতাম না। এই মানুষ গুলোকে নিয়ে জানা হয় না। আফসোস।

কাকীর কথাটা আসলেই সত্যি।

তারেক অণু এর ছবি

এখন জানলেন তো!

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

এইরকম মেধাবী মানুষেরা এতো বিনয়ী হন কি ভাবে!

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

তারেক অণু এর ছবি

মনে হয় মেধাবী হতে হলে আলাদা মেধা লাগে!

সুজন চৌধুরী এর ছবি

খুব ভালো লাগলো পড়ে। আপনি সত‌্যি খুব ভাগ্যবান।

তারেক অণু এর ছবি

পরের কার্টুন কবে আসছে?

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

উনার একটা সাক্ষাতকার আশা করছি।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

তারেক অণু এর ছবি

অবশ্যই।

নীলম এর ছবি

এমন মানুষদের কথা জানলেও যে কি ভীষণ আনন্দ হয়! :)

ধন্যবাদ আপনাকে।

তারেক অণু এর ছবি

সত্যি কথা বলেছেন, ধন্যবাদ।

রাজিব মোস্তাফিজ এর ছবি

দারুণ একটা লেখা!

----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!

তারেক অণু এর ছবি

(ধইন্যা)

পরী এর ছবি

(Y) চমৎকার একটি পোস্ট।
লেখা (গুড়) হয়েছে। স্যার ও কাকিমার জন অনেক অনেক শ্রদ্ধা।

তারেক অণু এর ছবি

শুভেচ্ছা

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

(Y) (জাঝা) মহানক্ষত্রদের সামনে এসে দাঁড়ালে বুঝি অনেক দূর যেতে হবে.......................

বিশ্বের সব মানুষের মাঝে যদি আসলেই কোন পার্থক্য থেকে থাকে সেটি হচ্ছে ভাষার পার্থক্য। এটি ছাড়া সব মানুষ এক। (Y)


_____________________
Give Her Freedom!

তারেক অণু এর ছবি

হ্যাঁ কবি, অনেক অনেক দূর যেতে হয়

ভালো মানুষ এর ছবি

এই মানুষটার কথা শুনেছি কিন্তু নিজ চোখে সামনা সামনি দেখতে পারি নি। আলোক দার সাথে ফেবুতে এড থাকায় ছবি দেখছিলাম উনার, দেখে প্রাণ জুড়িয়ে গিয়েছিল । উনার শুভ কামনা করি।

তারেক অণু এর ছবি

দেখা হবে আশা করি

দ্রোহী এর ছবি

শাজাহান খান, আবুল হোসেনদের মত গুণী মানুষ এত বেশি এই দেশে যে সুব্রত মজুমদারদের মত মানুষদের দরকার পড়ে না। :(

তারেক অণু এর ছবি

হুম :S

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

সুব্রত মজুমদার ও তাঁর পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা।
একদিন আপনার সাথেও আমি ছবি তুলবো। :)

স্যাম এর ছবি

(Y)

তারেক অণু এর ছবি

স্যাম দা আবার ব্যানার বানাবার পায়তারা করছে!

তারেক অণু এর ছবি

কয় মাস পরেই

বাপ্পীহায়াত এর ছবি

(Y)

তারেক অণু এর ছবি

(ধইন্যা)

অতিথি লেখক এর ছবি

ফাঁকিবাজী পোষ্ট, তীব্র নিন্দা জানাই X( । তাঁর মুখ থেকে আপনি অনেক শুনেছেন, আমরা সেসবের কিছুই জানলাম না। পোষ্টটি পড়ে বরং একটা অপ্রাপ্তি গ্রাস করলো মনকে।

আব্দুল্লাহ এ.এম.

তারেক অণু এর ছবি

তা কিছুটা ফাঁকিবাজি করেছি, অস্বীকার করছি না! কিন্তু সব জানাতে গেলে তো বই হয়ে যাবে!

অতিথি লেখক এর ছবি

পুরো বইটিও কম আকর্ষনের হবে না, ভবিষ্যতের কর্মতালিকায় রাখতে পারেন। তবে সব না হোক, চুম্বক অংশগুলো নিয়ে পৃথক একটি পোষ্টের জন্য একান্ত অনুরোধ রইল।

তারেক অণু এর ছবি

উনাকে নিয়ে একটা বই সংকলনের কাজ চলছে, জানাব প্রকাশিত হলে।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

খুব চমৎকার লেখা অণু ভাই। আপনার এই সিরিজটা আমার খুব পছন্দের।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

তারেক অণু এর ছবি

ধন্যবাদ হে কবি!

স্যাম এর ছবি

২০১ নম্বর - মনে রাখার মত - অসাধারণ!
স্যারকে শ্রদ্ধা।

তারেক অণু এর ছবি

ও স্যাম দা , আপনি নম্বর কাউন্ট করা শুরু করলেন কি মনে কইরে?

লালকমল এর ছবি

(Y)

তারেক অণু এর ছবি
কড়িকাঠুরে এর ছবি

অনেক ছোট মনে হল লেখাটা- অনেক বড় মানুষ নিয়ে বলে হয়তো। বিশাল সাক্ষাৎকার চাই...

আবারও বিনম্র শ্রদ্ধা...

তারেক অণু এর ছবি

আসলেই ছোট হয়ে গেছে, অংক বুঝি না যে আর!

অতিথি লেখক এর ছবি

ওনার পরিচিত কিছু মানুষ আমার আবার কাছের মানুষ। ওনার কথা তাদের মুখে খুব শুনি।আপনার লেখায় আরো ভালভাবে জানতে পেরে ভাল লাগল। :)

-শর্মালুনা

তারেক অণু এর ছবি

ধন্যবাদ।

songjukta  এর ছবি

(Y)

তারেক অণু এর ছবি
ওডিন এর ছবি

কত অজানা প্রচারবিমুখ মনীষিরা আমাদের চারপাশে ছড়িয়ে আছেন, অনেকেই জানে না হয়তো।

ধন্যবাদ অণুদা, ওনার সাথে পরিচয় করিয়ে দেবার জন্য। :)

তারেক অণু এর ছবি

(ধইন্যা)

অরফিয়াস এর ছবি

নমস্য মানুষ তিনি। দেশে এলে একবার নিয়ে যেও তো আমাকে, পা ছুঁয়ে আসবো।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

তারেক অণু এর ছবি

যাব, রাজশাহী যাইতে হবে মামুর বুটা !

অতিথি লেখক এর ছবি

অনুদা দেশ বিদেশ ঘোরা আপনার ভাগ্য হতে পারে, কিন্তু এই মানুষটার ছায়াতলে শৈশব-কৈশোরের বড় অংশ পার করা আসলে সাত রাজার সৌভাগ্য। আপনে ভাগ্যবান অনুদা
--বেচারাথেরিয়াম

তারেক অণু এর ছবি

দুর্ভাগ্য এত বছর এত দূরে থাকাটাও

রংতুলি এর ছবি

(Y) (Y)

তারেক অণু এর ছবি

(ধইন্যা)

মরুদ্যান এর ছবি

=DX

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

তারেক অণু এর ছবি

(ধইন্যা)

শিশিরকণা এর ছবি

ইস! এরকম মানুষ যদি আরও থাকত আমাদের দেশে, তাহলে আমরা আরও অনেক তারেক অণু, মু। জাফর ইকবাল এদের মত মানুষ পেতাম। একটা ভালো মানুষ দিয়ে অনেক কিছু পালটে ফেলা যায়।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

তারেক অণু এর ছবি

একটা ভালো মানুষ দিয়ে অনেক কিছু পালটে ফেলা যায়।

অতিথি লেখক এর ছবি

এতদিন শুধু উনার নামটাই জানতাম, আজ এর চেয়ে বেশি কিছু জানলাম। আরো জানতে চাই,লেখাটা আরো বড় হলে ভালো হত। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া, এই লেখাটির জন্য।

তারেক অণু এর ছবি

পরে বড় সাক্ষাৎকার নিতে পারব আশা রাখি

ধুসর জলছবি এর ছবি

এই সিরিজটা অনেক ভাল লাগে। কত অসাধারন সব মানুষের কথা জানা যায়। আপনি ঠিক কতটা সৌভাগ্যবান সেটা জানেন? আগে হলে হিংসা করতাম। এখন আর আমি তারেক অণুরে হিংসা করি না। ( ভাল হয়ে গেছি :( )

তারেক অণু এর ছবি
কৌস্তুভ এর ছবি

হুঁ, ভালো মানুষেরা তো আইএসআই'তেই যাতায়াত করে :P

অরফিয়াস এর ছবি

:D

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

তারেক অণু এর ছবি

কইছে আপনাকে :p

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

উনার কথা অনেক শুনেছি বাবার মুখে, দূর থেকে দু একবার দেখা, আব্বা অনেকবার বলেছিলেন স্যারের কাছে নিয়ে যাবেন। আমার দুর্ভাগ্য, আব্বা সবসময় রাজশাহীর বাইরে থেকেছেন অফিসের কাজে, আমারও তাই আর পরিচিত হয়ে হওয়া উঠেনি। এবার রাজশাহী যেয়ে প্রথম কাজ হবে আব্বাকে ধরে বেঁধে উনার কাছে যাওয়া। এই ধরনের শ্রদ্ধেয় মানুষদের দেখলে, জানলে ভিতরে খুব অন্যরকম একটা অনুভূতি কাজ করে। নিজের কাছে মনে হয়, নিজের আত্মশুদ্ধির প্রয়োজন। খুব ইচ্ছে করে, আমিও ভালো হয়ে যায়, উনাদের মতন।

আপনি খুব ভাগ্যবান অনুদা,খুব কাছ থেকে এমন সব অসাধারণ মানুষদের দেখেছেন।
খুব খুব খুব ভালো লাগলো লেখাটা :)

তারেক অণু এর ছবি

খুব সুন্দর করে লিখছেন, অবশ্যই যাবেন।

সাত্যকি এর ছবি

শেষ ছবিটা দেখে আপনা হতেই মনটা খুব ভালো হয়ে গেল প্রিয় তারেক অণু।
ভালো মানুষ এমনই।

তারেক অণু এর ছবি
মন মাঝি এর ছবি

(Y)

****************************************

তারেক অণু এর ছবি

(ধইন্যা)

হিমু এর ছবি

ড. মজুমদারকে অনুরোধ করবেন একটা আত্মজৈবনিক বই লেখার জন্যে। সবাই তো আর আপনার মতো সান্নিধ্যে আসার সুযোগ পাবেন না, এই সময়ে যারা বয়সে কিশোর, তাদের কথা ভেবে কিছু লেখা প্রয়োজন ওনার মতো মানুষদের।

সাফিনাজ আরজু  এর ছবি

(Y)

তারেক অণু এর ছবি

করেছি এবং আনার অনুরধ করব, ধন্যবাদ

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

২০১৪-১৬ এর মাঝে গণিত ও গান নিয়ে স্যারের দুইটি বই প্রকাশিত হয়েছে। শেলফ ঘেঁটে জানাব।

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

আয়নামতি এর ছবি

কপাল একটা অণুর! খুব খুব ভালো লাগলো আপনার প্রিয় কাকুর কথা জেনে।
তাঁর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে লিখবেন বলেছেন, সেটার অপেক্ষায় থাকলাম।

তারেক অণু এর ছবি

চেষ্টা করব, আপনার কি খবর? অনেক দিনে পরে?

অতিথি লেখক এর ছবি

অনু দা মানুষটি সম্বন্ধে আরও জানতে ইচ্ছে করছে। হঠাৎ শেষ হয়ে গেল যেন। ওনার সম্বন্ধে আরও জানতে চাই, লিখুন।

অসাধারণ একটা লেখা। (জাঝা)

ভালো থাকবেন।

অমি_বন্যা

তারেক অণু এর ছবি

চেষ্টা করব।

শাব্দিক এর ছবি

(Y)

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

তারেক অণু এর ছবি
যুমার এর ছবি

(Y)

তারেক অণু এর ছবি

(ধইন্যা)

শান্ত এর ছবি

(Y)

__________
সুপ্রিয় দেব শান্ত

তারেক অণু এর ছবি

(ধইন্যা)

তুলিরেখা এর ছবি

কী যে ভালো লাগলো, কী যে ভালো লাগলো বলে বোঝাতে পারবো না। এইসব মানুষরা আছেন বলেই পৃথিবীটা সুন্দর, এঁদের কথা জানতে পারলে শুনতে পারলে জীবনটা শুদ্ধ হয়।
ওঁর একটা সাক্ষাৎকার আশা করছি, খুব ভালো লাগছে ওঁর জীবনের কথা জানতে।

একটা কথা, গণিত আর সঙ্গীতে কোনো গভীর মিল আছে, তাই না? অনেক বড় বড় গণিতজ্ঞের কথা শুনি, তাঁরা ভালো মিউজিশিয়ানও!

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

তারেক অণু এর ছবি

ভাল বলেছেন, থাকাই মনে হয় স্বাভাবিক! কাকুকে জিজ্ঞাসা করব-

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি এই মহান মানুষকে একবার দেখেছি, কি যে অসাধারণ একজন মানুষ।

তাহসিন রেজা

নীড় সন্ধানী এর ছবি

গণিতের শিক্ষকদের আমি বরাবর ভয় পাই সঙ্গত কারণেই।
কিন্তু এই মানুষটার কথা জেনে অবাক হলাম এরকম একজন মানুষ দেশে আছে অথচ বেশীরভাগ মানুষ জানে না। প্রচারবিমুখ মানুষদের নিয়ে কেউ লেখে না।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

তারেক অণু এর ছবি

কাজের মানুষেরা সাধারণত প্রচারবিমুখই হয়ে থাকে।

অতিথি লেখক এর ছবি

এই মানুষগুলোকে দেখলেই আরেকবার ভাল হতে ইচ্ছা হয়!

- বিক্ষিপ্ত মাত্রা

তারেক অণু এর ছবি

(গুড়)

তারেক অণু এর ছবি

(ধইন্যা)

রাজীব মাহমুদ এর ছবি

রাবি’র পদার্থবিদ্যা বিভাগের আরেক গুণী অধ্যাপকের নাম শুনেছি। উনার নাম ডঃ মুশফিক আহমেদ। যদিও উনাকে সবাই ধর্ম-কর্মে মেতে থাকা একজন বলে একপেশে করে রাখেন কিন্তু মানুষটা চমৎকার শুনেছি। এও শুনেছি উনি আইনস্টআইনের থিওরি অব রিলেটিভিটির একটা দারুণ সমালোচনা লিখেছেন।

সজল এর ছবি

এও শুনেছি উনি আইনস্টআইনের থিওরি অব রিলেটিভিটির একটা দারুণ সমালোচনা লিখেছেন।

নিশ্চই পাবলিশড হয়েছে, দারুণ বলছেন যেহেতু। লিংক দিন।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

রাজীব মাহমুদ এর ছবি

লিংক পেলাম না। আমি আসলে মুখে মুখে শুনেছি উনার কথা। তারেক অণু হয়ত বলতে পারবেন আসলে বিষয়টা কী।

তারেক অণু এর ছবি

বলতে পারছি না, খবর নিতে হবে।

Diponkar Kundu এর ছবি

স্যার এর সাথে ৬ মাস একই রুম এ বসে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এ শিক্ষকতা করার চরম সৌভাগ্য হয়েছিল। স্যার মহান। স্যার অস্থায়ী ভাবে ৬ মাস পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এ গনিত বিভাগে সভাপতি ছিলেন। স্যার এর কাছ থেকে অনেক গল্প শুনেছি, গান শুনেছি ও একসাথে একটি হোটেল এ প্রতিদিন মিষ্টি খাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল। স্যার এর সাথে অনেক দিন কথা হয় না। স্যার কে বিনম্র শ্রদ্ধায় প্রনাম জানায় ।

Diponkar Kundu এর ছবি

স্যার এর সাথে ৬ মাস একই রুম এ বসে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এ শিক্ষকতা করার চরম সৌভাগ্য হয়েছিল। স্যার মহান। স্যার অস্থায়ী ভাবে ৬ মাস পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এ গনিত বিভাগে সভাপতি ছিলেন। স্যার এর কাছ থেকে অনেক গল্প শুনেছি, গান শুনেছি ও একসাথে একটি হোটেল এ প্রতিদিন মিষ্টি খাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল। স্যার এর সাথে অনেক দিন কথা হয় না। স্যার কে বিনম্র শ্রদ্ধায় প্রনাম জানায় ।

রামদুলাল ভৌমিক এর ছবি

অরুণ কুমার বসাক-কে নিয়ে লিখলেন না? আরেকজন অসাধারণ পন্ডিত আর অসাধারণ বিনয়ী মানুষ। আমার আত্মীয় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. সুশান্ত কুমার দাস-এর পিএইচডি গবেষণার তিনি তত্বাবধায়ক ছিলেন, সেই সুবাদে তাঁর সাথে পরিচয় হয়েছিল। পাবনা শহরে তাঁর জন্ম, আমিও সেই একই শহরে থাকি, তাঁর পরিচিত কেউ কেউ আমারও পরিচিত - এসব কারণে গল্পসল্পের বাড়তি সুযোগও তৈরি হয়েছিল এই অসাধারণ মানুষটির সাথে।যতবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে তাঁর রুমে গিয়েছি ততবারই তিনি নিজহাতে চা বানিয়ে খাইয়েছেন।মনে আছে, একবার তিনি ট্রাকের ধাক্কায় আহত হয়েছিলেন, তখনও পুরোপুরি সুস্থ হননি, দেখা করতে গিয়েছি। আগের মতই হাসিমুখে অভ্যর্থনা জানালেন। সেবারও এই অমায়িক মানুষটি নিজেই চা বানালেন, আমার আপত্তিতে বরাবরের মতই কোন কাজ হল না। আদর্শ শিক্ষক । আদর্শ মানুষ ।

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার জন্য হিংসা।
স্যারের জন্য শুভকামনা।

ভালো থাকবেন অণু।

----------------------------
কামরুজ্জামান পলাশ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।