এক জীবনানন্দকে নিয়েই জীবন পার করে দেয়া যায়। অন্যভাবে বলতে গেলে - জীবন নষ্ট করে দেয়া যায়। ছত্রে ছত্রে বিস্ময় ছড়িয়ে রাখেন এই কবি ---কথাগুলো লেখক আহমাদ মোস্তফা কামালের।
তিনি অনেক দূর থেকে প্রচণ্ড ব্যস্ততার মাঝেও জীবনানন্দের কবিতার সাথের ছবিগুলো নিয়ে ব্যপক উৎসাহ দেন সবসময়। এই পোস্টটি তার জন্য- আপনার উৎসাহের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ সুপ্রিয় কামাল ভাই।
এই জল ভালো লাগে; বৃষ্টির রূপালি জল কত দিন এসে
ধুয়েছে আমার দেহ-বুলায় দিয়েছে চুল-চোখের উপরে
তার শান-স্নিগ্ধ হাত রেখে কত খেলিয়াছে,-আবেগের ভরে
ঠোঁটে এসে চুমা দিয়ে চলে গেছে কুমারীর মতো ভালোবেসে,
এই জল ভালো লাগে;- নীলপাতা মৃদু ঘাস রৌদ্রের দেশে
ফিঙ্গা যেমন তার দিলগুলো ভালোবাসে-বনের ভিতর
বার বার উড়ে যায়,-তেমনি গোপন প্রেমে এই জল ঝরে
আমার দেহের পরে আমার চোখের পরে ধানের আবেশে......
এই কি সিন্ধুর হাওয়া?- রোদ আলো বনানীর বুকের বাতাস
কোথায় গভীর থেকে আসে!
অগণন পাখী উড়ে চ'লে গেলে তবু নীলাকাশ
কথা বলে নিজের বাতাসে।
বড়ো বড়ো গাছ কেটে ফেলছে তারা।
এইসব উঁচু উঁচু গাছকে আমার ইচ্ছা লালন করেছিলো ;
আমার দেহের ভিতর রক্তাক্ত কাঠের গন্ধ;
আমার মনে শহর ও সভ্যতার মতো শূন্যতা;
আমি দিনের আলোয়
কিংবা নক্ষত্র যে আভা আনে রাতের পর রাতে
এই মৃত গাছগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকি।
দিন প্রায় শেষ হয়ে এলে শাদা ডানার ঝিলিকে
আলো ঠিকরিয়ে গেলে বুঝেছি সংবাদবাহী আশ্চর্য পায়রা
উড়ে যায় সূর্যকে টুকরো করে ফেলে;
খণ্ড আলোর মতো সঞ্চারিত করেছে আবেগে
প্রকৃতিতে;কোন কোন মানুষের বুকে;
নাহারের বন থেকে একরাশ জ্যোৎস্না লয়ে মুখেচোখে তার
হঠাৎ হরিণ এক-বনের মৃগ সে নয়, স্বপ্ন-কল্পনার
ছবি এক-ছুটে এল-নেমে গেল পীত স্তদ্ধ নদীর ভিতরে
দুধারে জ্যোৎস্নার জলে হীরা যেন ঝরে
নক্ষত্র আকাশ নদী পাহাড়ের বধির গরিমা
দূরে যায়, কাছে এসে করে যায় ভাব,
নিজেকে শত্রুর মতো মনে করে চিরদিন যদি
নষ্ট করে দেওয়া যেত তাহাদের মিথ্যা প্রভাব
নিজেকে বন্ধুর মত মনে করে যদি অপলক
অনুভব করা যেত তাহাদের অবহিত মন;-
অনেক চতুরানন মরে গেছে এইসব ভেবে;-
জেনে হো হো করে হাসে একজন চতুর আনন।
(ওয়র্ডসওয়র্থ ইন ট্রপিকস পড়ে)
সিংহ অরন্যকে পাবে না আর
পাবে না আর
পাবে না আর
কোকিলের গান
বিবর্ণ এঞ্জিনের মত খ’শে খ’শে
চুম্বক পাহাড়ে নিস্তব্ধ।
হে পৃথিবী,
হে বিপাশামদির নাগপাশ, – তুমি
পাশ ফিরে শোও,
কোনোদিন কিছু খুঁজে পাবে না আর।
পুরনো পেঁচারা সব কোটরের থেকে
এসেছে বাহির হয়ে অন্ধকার দেখে
মাঠের মুখের পরে
আবার আকাশে অন্ধকার ঘন হয়ে উঠছে :
আলোর রহস্যময়ী সহদরার মত এই অন্ধকার।
যে আমাকে চিরদিন ভালোবেসেছে
অথচ যার মুখ আমি কোনদিন দেখিনি,
সেই নারীর মতো
ফাল্গুন আকাশে অন্ধকার নিবিড় হয়ে উঠছে।
রাত আরো বাড়িতেছে- এক সারি রাজহাঁস চুপে চুপে চলে যায় তাই,
এই শান্ত রাত্রিময় পৃথিবীরে ইহাদের পালকের নরম ধবল
তুলি দিয়ে আঁকে এরা- পৃথিবীতে এই বিজনতা যেন কোনোখানে নাই
কবিতা নিয়ে ছবির আজকের ব্লগ শেষ আপাতত, কিন্তু কবির কিছু লাইনের সাথে নিজের এত বেশী মিল পেলাম যে এখানে সেটা দেবার লোভ সামলাতে পারলাম না। ছবিটি আমার অজান্তেই পম্পেই রেলষ্টেশনে তোলা হয়েছিল।
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না; আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে, পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করবার অবসর আছে। জীবনের বিবিধ অত্যাশ্চর্য সফলতার উত্তেজনা অন্য সবাই এসে বহন করুক : আমি প্রয়োজন বোধ করি না : আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে নক্ষত্রের নিচে।
মন্তব্য
রাজহাঁসের ছবিটা অপূর্ব! আর কবিতার কথা কিছু বলার নেই। শুধুই মুগ্ধতা। কবিতার সাথে ছবিগুলো এতো চমৎকার ভাবে মিলে গেছে।
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
মেঘা এবারও প্রথম
facebook
তখনই মাত্র লগইন করেছি আর তোমার লেখা
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
facebook
শেষ ছবি আর কথাগুলো এত্ত হৃদয় ছোঁয়া---
বাকি ছবিগুলোও অদ্ভুত সুন্দর-পৃথিবীকে মায়াবী নদীর পাড়ের দেশ বলে মনে হচ্ছে
পৃথিবীতো মায়াবী নদীর পাড়ের দেশই
facebook
facebook
এই পোস্টটা এক্কেবারে কইলজা কাইট্টা গেলো...
০২
হ। আমিও তাই কই। হগ্গলে দৌড়ের উপ্রে থাকলে অখণ্ড অলসতার শিল্প বানাইব কেডায়?
হগ্গলে দৌড়ের উপ্রে থাকলে অখণ্ড অলসতার শিল্প বানাইব কেডায়?
facebook
মুগ্ধতা রেখে গেলাম!
facebook
কবিতা নিয়ে ছবির ব্লগ শেষ আপাতত.............?????????
আলোকিতা
না না, পরের টা আসিতেছি
facebook
অনুদা, আপনার এই সিরিজটা এত বেশি চমৎকার- মাঝে মাঝে ভাষা হারিয়ে ফেলি কি বলব !
ভাষা হারালে তো মুশকিল কিছু বলেন
facebook
ছবি আর কথা মিলে মিশে একাকার হয়ে যায় আপনার এই আমার জীবনের আনন্দে। আবারো মুগ্ধতা ।
কবিতা নিয়ে ছবির ব্লগ শেষ আপাতত
অমি_বন্যা
আরে শুধু এই পোস্টের কথা বলেছি-
facebook
শাদা ডানার ঝিলিকের পায়রার ছবিটা মারাত্মক! রিওতে?
..................................................................
#Banshibir.
লন্ডন! হ্যারডসের ঠিক উল্টো পাশে-
facebook
এর পরেরটা তো বটেই,তারপরেরটাও যেন আসে...আসতেই থাকে...আসতেই থাকে...এটা আমার সবচেয়ে ভাললাগার সিরিজ...এক জীবনানন্দকে নিয়েই জীবন পার করে দেয়া যায়,আর আপনি তো পার করবেন ছবি তুলেই!তাই চলতেই থাকুক...
আলোকিতা
চেষ্টা করব, ধন্যবাদ
facebook
সেকেন্ড লাস্ট(রাজহাঁস) ছবিটার জলছবি কী ভ্যান গগ এর আঁকা...!!! এত সুন্দর!!!
আমি এক গভীর অচল মানুষ হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে নক্ষত্রের নিচে- ঠিক...
অল্পের জন্য ভিনসেন্ট আঁকে নাই!
facebook
জীবনের জন্য জীবনানন্দ। ভালো লাগলো ভাই। পা ছুটিয়ে বেড়ান, আর হাত খুলে লিখতে থাকুন।
ফারাসাত
facebook
নিজের জীবনটা দিনদিন এত আবদ্ধ হয়ে যাচ্ছে যে মাঝে মাঝে মনে হয় আমি আর সুন্দর কিছু দেখবো না,, মাঝে মাঝে চারপাশের ভয়াবহ পরিচিত সবকিছুতেই চোখ বুজে থাকতে ইচ্ছে হয়। আপনার ছবিগুলো তখন খুব শূণ্য করে দেয় চেতনা------
অনেক অনেক ধন্যবাদ
facebook
প্রিয় সিরিজ, প্রিয় কবি, প্রিয় তারেক অণু
আবার ব্যানার আসছে নাকি প্রিয় ব্যানার্জী?
facebook
অপুর্ব, অসাধারন সুন্দর কবিতা ও ছবির যুগলবন্দি লেখা।
facebook
"আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না; আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে, পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করবার অবসর আছে। জীবনের বিবিধ অত্যাশ্চর্য সফলতার উত্তেজনা অন্য সবাই এসে বহন করুক : আমি প্রয়োজন বোধ করি না : আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে নক্ষত্রের নিচে।"
বরাবরের মতই অসাধারণ ছবি আর অতুলনীয় কবিতা।
ইমা
facebook
হুহ! অন্যের কবিতা নিয়ে এমন পোস্ট আমিও কতো দিতে পারি
তা বাপু বেশ একটা সিরিজ কিন্তু! উৎসাহ তো দেয়া হলো হবে নাকি আয়নামতির নামেও একটা সিরিজ উৎসর্গ
কি করব যা লিখতে ইচ্ছা করে, দেখি ব্যাটা লিখে রেখে গেছে !
হতেও পারে!
facebook
এই লাইন ক'টা আমি চাই!! ইয়ে লাইনস মুঝে দে দে অণু...
সম্ভব নহে, আমি অচল মানুষ, আমারই দরকার।
facebook
আইছে! তুমি অচল হইলে আমি তো মৃত...
মৃত আজকাল কথা বলে, আহা, তার কি কুদরত!
facebook
হুম, শয়তানী হাসি হাসলে ঘাড়ও মটকাতে পারে!
facebook
এই ব্লগ যেন না শেষহয়---- দাবী জানিয়ে গেলাম।
-অয়ন
আমারও একই দাবী, আমি চলে যাব কিন্তু ব্লগ থেকে যাবে-
facebook
প্রিয় লাইনগুলোর সাথে এত চমৎকার সব ছবি। কেম্নে কি বলি। কবিতার জন্যই ছবিগুলা বেছে বেছে তোলা যেন।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
হয়ে গেছে, কাকতাল মাত্র
facebook
এক রাশ মুগ্ধতা (আবারও, আবারও এবং আবারও)
আর মশ্কারি করেননি আমগো লগে ? আপনে অচল মানুষ হইলে সচল কুন .....য়!!
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
সচল, সে কে?
facebook
কবিতার ক ও বুঝি না, এমনি এমনি পড়ি! তবুও ভাল লাগে, ভাল লেগেছে!
আব্দুল্লাহ এ.এম.
ধন্যবাদ
facebook
এক দক্ষ কারিগরের হাতে পড়ে জীবনানন্দের কবিতা ব্লগানন্দে পরিণত হয়েছে।
জব্বর হয়েছে অণু ভাইয়া।
জীবনান্দের কবিতার মধ্যে কোনটি অধিক ভাল লাগলো তা খুঁজে বের করা বেশ মুশকিল। যেটি পড়ি সেটিই অন্য সবগুলোর চেয়ে উত্তম। আর পড়তে গেলে কেমন যেন ঘোরের মধ্যে চলে যাই।
শ্যামলী
শ্যামলী, তোমার মুখ সেকালের শক্তির মতন:
যখন জাহাজে চড়ে যুবকের দল
সুদূরে নতুন দেশে সোনা আছে ব’লে
মহিলারই প্রতিভায় সে ধাতু উজ্জ্বল
টের পেয়ে, দ্রাক্ষা দুধ ময়ুরশয্যার কথা ভুলে
সকালের রূঢ় রৌদ্র ডুবে যেত কোথায় অকূলে।
তোমার মুখের দিকে তাকালে এখনও
আমি সেই পৃথিবীর সমুদ্রে নীল,
দুপুরের শূন্য সব বন্দরের ব্যথা,
বিকেলের উপকন্ঠে সাগরের চিল,
নক্ষত্র, রাত্রির জল যুবাদের ক্রন্দন সব–
শ্যামলী, করেছি অনুভব।
অনেক অপরিমেয় যুগ কেটে গেল;
মানুষকে স্থির স্থিরতর হতে দেবে না সময়;
সে কিছু চেয়েছে বলে এত রক্ত নদী।
অন্ধকার প্রেরণার মতো মনে হয়
দূর সাগরের শব্দ — শতাব্দীর তীরে এসে ঝরে
কাল কিছু হয়েছিল — হবে কি শাশ্বতকাল পরে।
শ্যামলী নিয়ে একটা ছবি দিয়েছি কিন্তু আগে---
facebook
কবিতা দিয়ে ছবি বানিয়েছেন একজন, আর আপনি ছবি দিয়ে কাব্য তৈরি করছেন, ভালোই যুগলবন্দী
অঃ টঃ লেখকের নাম কি "আহমাদ" না?
জিজ্ঞাসা করতে হবে, দুই জায়গায় দুই রকম পেয়েছি!
facebook
ঠিকই বলেছেন, ঠিক করে দিলাম
facebook
আমারতো অপেক্ষা করবার অবসর নাই ! হাহাহা।
আমাদের সবারই আসলে অবসর, কিন্তু আমার ভুলে থাকতে পছন্দ করি সেটা
facebook
লেখা ও ছবিতে বরাবরের মতই পাঁচ তারা ।
তারেক, আমার একটা সত্যভাষন জানিয়ে যাই । মাঝে মাঝেই ভাবি, এই রকম বাচ্চা চেহারার এই ছেলেটির এমন তীব্র, গভীর অনুভব হয় কী করে? জীবনানন্দের মতন অন্তসলীলা গহন অনুভবের বোধ কেমন করে আত্মস্থ হ'ল এই কিশোরের?
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
জীবনানন্দ আমার লেখাগুলো লিখে গেছে যে, এইকারণেই হয়ত। ধন্যবাদ আপা, আমাকে অণু বললেই হবে
facebook
জলপ্রপাতের ছবিটা চোখে লেগে আছে, আর নীলিমার নীচ দিয়ে উড়ে যাওয়া সারসেরা। খুব ভাল। সুস্থ থাকুন।
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
কোথায় এখন?
facebook
এখন আছি আবিদজানে। ব্যাগ মিসিং এয়ারপোর্ট থেকে।
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
লে হালুয়া! ফিরে পেলে জানিয়েন। আমি তো ভাবলাম আপনি তুরস্কে!
facebook
facebook
তুলনা নাই।
অনেক দিন পর আপনার লেখা পড়লাম। খুব ভালো লাগলো।
উতসাহ পেয়ে আমিও আবার লিখতে শুরু করলাম। দেখি কতদিন নিয়মিত থাকা যায়।
ভাল লাগল শুনে, লেখা জারি থাকুক!
facebook
ভালো লাগাটা আবারও জানিয়ে গেলাম। একটা দুরন্ত সিরিজ চলতেই থাকুক
ডাকঘর | ছবিঘর
facebook
অসাধারণ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আরে ণজু ভাই, কইত থন?
facebook
হে বিপাশামদির নাগপাশ, – তুমি
পাশ ফিরে শোও,
কোনোদিন কিছু খুঁজে পাবে না আর।
facebook
ভাই আপনার লেখা পড়ি, দেখি কিন্তু কোনো মন্তব্য করি না। করে কি লাভ? রাত না পোহাতেই আপনি আরেকটা দুর্ধষ লেখা নামায়ে ফেলবেন। সেইখানেও আবার একি মন্তব্য করতে হবে। আপনার জীবনীশক্তি দেখে প্রতিদিনই ইর্ষায় জ্বলে পুড়ে মরার দশা হয়। যেইদিন ইর্ষাটা সহ্য হবে (সম্ভাবনা খুবই কম) অথবা আপনি খারাপ লিখবেন (সম্ভাবনা আরো কম) সেইদিন থেকে নিয়মিত মন্তব্য করবো
ততদিন পর্যন্ত লিখতে থাকেন অগুনিত মানুষকে ইর্ষান্বিত করে, অনুপ্রানিত করে।
রিক্তা
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
শুভেচ্ছা ,শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
facebook
_____________________
Give Her Freedom!
facebook
ফেসবুকে আপনার এই পোস্টগুলা দেখি আর ভাবি, কিভাবে সম্ভব এত সুন্দর করে মেলানো- একেবারে মণি-কাঞ্চণযোগের মত ছবিতা গুলো। কখন পড়েন আর কখনই বা মেলান, আশ্চর্য লাগে। একসাথে সব গুলোকে পেয়ে অস্থির লাগছে
থির থাকুন, স্থির থাকুন!
facebook
জীবনানন্দের কবিতার সমস্যা হলো, বয়েস বাড়ার সাথে সাথে বিষণ্নতাগুলিও প্রতিযোগিতায় নামে। সাথে নিঃসঙ্গতায় মোড়ানো মোহন ছবিগুলো যুক্ত হলে তো আর কথাই নেই ! কেবল নৈঃশব্দ আর নিঃসঙ্গতা !! খুব খারাপ, খুব খারাপ !!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
facebook
ফেসবুকে আপনার ছবির সাথে জীবনান্দ দাশের কবিতা পড়ে তার কবিতায় মুগ্ধ হয়ে যাই । এরপর তার কবিতা সমগ্র কিনি । মাঝে মাঝেই তার কবিতা পড়া হয় ।
তবে ছবির সাথে আপনার কবিতা মিলানোর ক্ষমতা বরারবরই অবাক করে । সাক্ষাতে এই সম্পর্কে জিজ্ঞাস করার ইচ্ছা থাকলেও মনে ছিল না ।
জাবের তুহিন
নতুন মন্তব্য করুন