১৯৩০ সালের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, আরও স্পষ্ট করে বললে দক্ষিণের রাজ্য টেক্সাসের ঘটনা। সুমহান গণতন্ত্রের ধ্বজা ওড়ানো দেশের বিশাল অংশে শুধু চামড়ার বর্ণের কারণে কৃষ্ণাঙ্গরা সমাজের একজন সাধারণ নাগরিকের সুযোগ-সুবিধা-অধিকার থেকে বঞ্চিত। সবচেয়ে বড় কথা- পদে পদে, সমাজের সর্বক্ষেত্রে তারা প্রবল নিপীড়নের শিকার।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তথা সারা বিশ্বকে অসাধারণ সব উপহার- নতুনধারার মন মাতানো সংগীত, একের পর এক অতিসফল ক্রীড়াবিদ, কবি, অভিনেতা, অভিযাত্রী উপহার দেওয়ার পরেও তাদের জন্য বরাদ্দ ছিল আলাদা শিক্ষাব্যবস্থা, আলাদা বিদ্যালয়, আলাদা কৃষ্ণাঙ্গ শিক্ষক। টেক্সাসের উইলি কলেজের শিক্ষক মেলভিন টলসন চাইছিলেন তুখোড় একটি বিতর্কের দল তৈরি করতে যারা জিতবে একের পর এক বিতর্ক প্রতিযোগিতা, সুক্ষ নিপুন ক্ষুরধার যুক্তি দিয়ে বিজয় ছিনিয়ে আনবে প্রতিপক্ষের কাছ থেকে, জানাবে সারা জাতিকে কালোদের বুদ্ধিদীপ্ত বলিষ্ঠ কণ্ঠ। কিন্তু কৃষ্ণাঙ্গদের যে শ্বেতাঙ্গদের সাথে বিতর্ক প্রতিযোগিতা আয়োজনের অবকাশ নেই! তাই টলসন চাইলেন এমনভাবে তার উইলি কলেজকে প্রতিটি কৃষ্ণাঙ্গদের বিতর্ক প্রতিযোগিতায় জিততে হবে যেন সারা দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাড়া পড়ে যায়, যেন এক পর্যায়ে হাভার্ডের মত কুলীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকেও বিতর্কের আমন্ত্রণ আসে।
বিশ্বখ্যাত আধুনিক কবি, শিক্ষাবিদ ও রাজনীতিক মেলভিন টলসনের ভূমিকায় অসাধারণ অভিনয় করেছেন ডেঞ্জেল ওয়াশিংটন। তখনো কবি হিসেবে টলসনের সুনাম চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েনি, একজন নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষক এবং সাম্যবাদী দলের গুপ্তসংগঠক হিসেবেই মহাব্যস্ত তিনি। কিন্তু কলেজ শিক্ষকের ভুমিকাতেই দেখা যায় ন্যায়বান, জ্ঞানী, একরোখা, কঠোর পরিশ্রমী টলসনরূপী ডেঞ্জেলকে। প্রচণ্ড রাশভারী ব্যক্তিত্ব তার, কালো চোখ দুটো যেন সর্বদাই হাসছে, আবার পরমুহূর্তেই প্রয়োজনে নির্মম হতে উঠতে দ্বিধা বোধ করছে না। কথা বলার সময় প্রতিটি শব্দ অত্যন্ত স্পষ্ট ভাবে উচ্চারিত, তীক্ষধার ছুরির মত যেন মর্মে গিয়ে বিঁধে। এমনই প্রানবন্ত অভিনয় করে দর্শকদের আবারও মোহিত করেছেন একাধিকবার অস্কার জয়ী ডেঞ্জেল।
প্রতিটি ছাত্রছাত্রীর মানসিক বিকাশের দিকে তার তীক্ষ নজর, শ্রেণীকক্ষের বাইরেও প্রায়ই তার বাড়ীতে বসে জ্ঞানচর্চার আসর, মূলত বিতর্ক নিয়েই।
দ্য গ্রেট ডিবেটরস চলচ্চিত্রের আরেক বিশাল আকর্ষণ প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ হিসেবে টেক্সাস থেকে পিএইচডি অর্জন করা অধ্যাপক জেমস ফার্মেরর ভূমিকায় অভিনয়কারী ফরেস্ট হুইটেকারের অনবদ্য অভিনয়। সাত-সাতটি দুরূহ ভাষা জানা শান্তিকামী অথচ নিজ নীতিতে অটল, পাহাড়ের মত দৃঢ় একজন ব্যক্তির ছবি সেলুলয়েডের ফিতেয় যথার্থভাবে ফুটিয়ে তোলার অতি পরিশ্রমসাধ্য কাজটি করেছেন নিজের নামের প্রতি সুবিচার করে অস্কার বিজয়ী ফরেস্ট হুইটেকার।
( সতর্কীকরণ—এখানে প্রিয় কিছু চলচ্চিত্রের গল্প বলার ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়েছি মাত্র, এটা কোন মুভি রিভিউ নয়, কারণ এমন চলচ্চিত্র নিয়ে রিভিউ লেখার জ্ঞান বা প্রজ্ঞা কোনটাই আমার নেই, এটি স্রেফ ধারা বিবরণী। কাজেই যাদের চলচ্চিত্রটি এখনো দেখা হয় নি, তারা আগে দেখে ফেললেই ভাল হয়, নতুবা সব ঘটনা জানলে হয়ত আগ্রহ কিছুটা কমে যাবে। এমন লেখার ব্যাপারে সকল ধরনের পরামর্শ স্বাগতম। )
এই দুই মূল ব্যক্তিকে ঘিরেই চলচ্চিত্রটি আবর্তিত হলেও মূল কেন্দ্র কিন্তু সেই বিতার্কিক দল আর অবরুদ্ধ সমাজব্যবস্থা। আগাছা বাছতে শস্য উজাড়ের মতো একের পর এক ছাত্রছাত্রীকে কষ্টিপাথরে যাচাই করে অবশেষে চারজনকে নিয়ে তৈরি হয় বিতর্কের দল। এর মধ্যে জেমস ফার্মেরের ১৪ বছর বয়সী ছেলে ফার্মের জুনিয়রও সুযোগ পায় নিজ দক্ষতা ও প্রত্যুৎপন্নমতিতায়। সেই সাথে প্রথমবারের মত নারী বিতার্কিক হিসেবে মূল দলে অংশ লাভ করে কলেজে নবাগতা সামান্থা বুক। চলতে থাকে একের পর এক বিতর্কের প্রতিযোগিতা, দলগত প্রচেষ্টা ও টলসনের অভিজ্ঞ দিক নির্দেশনায় একের পর এক বিজয়ে সারা দেশে সুনাম ছড়িয়ে পড়ে উইলি কলেজের।
কিন্তু ঘটনার সমান্তরালে ঘটতে থাকে অন্য ঘটনা, রঙ্গিন পর্দায় কৃষ্ণাঙ্গদের নির্মম বাস্তবের দুঃখ-বেদনার কাব্য দেখানো হয়। ডাকসাইটে প্রফেসেরও যদি কেবল নিছক দুর্ঘটনায় কোন শ্বেতাঙ্গের পোষা প্রাণী মেরে ফেলে , তাহলে তারা অস্ত্র এবং নির্যাতনের ভয় দেখিয়ে আদার করে ন্যায্য দামের অনেক বেশী চড়া জরিমানা, স্বকীয়তা বলতে কিছুই নেই কৃষ্ণাঙ্গদের সেই অভিশপ্ত সমাজে। রাতের আঁধারে পশু শিকারের মত করে নিছক কদর্য বিকৃত আনন্দের জন্য বর্ণবাদীরা দল বেঁধে নামে নিগ্রো শিকারে, অসহায় নিরপরাধ মানুষকে শুধু তাদের গাত্রবর্ণের জন্যই হত্যা করা হয় উম্মত্ত পাশবিকতায়, গাছের ডালে ফাঁসি দিয়ে, গুলি করে, অনেক সময় জীবন্ত আগুনে পুড়িয়ে এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডগুলোকে তারা আবার অভিহিত করে লিঞ্চ বলে।
মূর্খ, অসভ্য, ক্রোধোমত্ত, রক্তপিপাসু সেই শ্বেতাঙ্গদের সামান্যতম জ্ঞানও নেই যে একসময় আফ্রিকা থেকে সুদূরের পানে যাত্রা শুরুর আগে সব মানুষের গাত্রবর্ণই ছিল কুচকুচে কালো, পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নিতেই মানুষে বিভিন্ন অঞ্চলে বসতি বিস্তারের সাথে সাথে ভৌগোলিক পরিবেশে খাপ নেওয়ার জন্যই না চামড়ায় মেলানিন কমবেশী হয়ে সৃষ্টি করেছে এত ভিন্ন ভিন্ন গাত্রবর্ণের, আবার এটুকু জ্ঞান থাকলে কি আর কোন মানুষ বর্ণবাদী হতে পারে? পারে না।
এর মাঝে গোপনে সাম্যবাদী দলের পক্ষে তৎপরতা চালাতে গিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন টলসন, কোন অদ্ভুত কারণে কম্যুনিস্ট শব্দটি কর্ণকুহরে প্রবেশ করলেই পাগলপারা হয়ে সেই শব্দের উৎস ধ্বংস করতে ছোটে মার্কিন শাসকগোষ্ঠী, কিন্তু টলসেনের বক্তব্য ছিল- ক্ষুধার জ্বালায় কোন কৃষ্ণাঙ্গ মুরগী চুরি করলে আমরা তাকে ফাটকে পুরি, কিন্তু তার এই দারিদ্রতা দূর করতে কোন পদক্ষেপ নিই না। এটার প্রতিবাদ করলে আমি যদি তোমাদের চোখে কম্যুনিস্ট হয়ে যাই, তাহলে আমি কম্যুনিস্টই।
সব ছাত্রদের নিয়ে থানা ঘেরাও করে ন্যায়ের পক্ষে জোরালো যুক্তি দেখিয়ে প্রফেসর ফার্মের তার সহকর্মীকে মুক্ত করে নিয়ে আসেন সে যাত্রা। বিভিন্ন রাজ্যে বিতর্কে অংশগ্রহণের একপর্যায়ে কালো রাতে উম্মত্ত বর্ণবাদীদের মুখোমুখি হয় তারা। যখন মানব মনের আঁধার ঘেরা কোণের নারকীয় উম্মত্ততায় জলন্ত আগুনে দগ্ধ হচ্ছেন একজন নিগ্রো, সেই মুহূর্তে তাদের গাড়ীর উপরে হামলা চালায় বর্ণবাদীদের দল, কোনোরকমে পালিয়ে প্রাণ বাঁচাতে সক্ষম হন তারা, কিন্তু এই দুঃসহ স্মৃতি তাদের ডুবিয়ে যায় আতঙ্কে, লজ্জায়- এক বর্ণবাদী সমাজ ব্যবস্থায় কৃষ্ণাঙ্গ হওয়ার লজ্জায়।
অবশেষে আসে কাঙ্খিত মুহূর্ত, হাভার্ড থেকে আসে আমন্ত্রণ। পুলিশের নিষেধাজ্ঞার কারণে টলসনের টেক্সাস ছেড়ে না যাওয়ার অনুমতি না থাকায় তাকে ছাড়াই প্রথমবারের মত রওনা দেয়া আমাদের তিন বিতার্কিক। বিতর্ক প্রতিযোগিতার গুরুত্ব উপলব্ধি করে সারা দেশে তা সরাসরি বেতার প্রচারের ঘোষণা দেওয়া হয় এবং শেষ মুহূর্তের সিদ্ধান্তে সামান্থা বুকে সাথে বিতর্কের মঞ্চে আসেন ১৪ বছর বয়সী ফার্মের জুনিয়র- তার বিতর্ক শুরু হয় মহাত্মা গান্ধীর শান্তিপূর্ণ অসহযোগ আন্দোলনের সংলাপ দিয়ে, চলতে থাকে একের পর এক ধারালো যুক্তিতর্ক, বাক-প্রতিবাক, স্বয়ং গান্ধীর প্রেরণাদাতা হেনরি ডেভিড থ্যুরোর করা আসে এর পরে ( থ্যুরো ছাত্রজীবনের একাংশ হাভার্ডেই কাটিয়েছিলেন), পরিশেষে চোখের জলে আমেরিকার দক্ষিণে এখনো কালো মানুষদের লিঞ্চের ঘটনা বলে যান ফার্মের জুনিয়র, দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলেন কোন অন্যায় আইন যতই প্রতিষ্ঠিত হোক না কেন, তা কোন আইনই নয়।
বিচারকদের রায়ে প্রতিযোগিতায় জয়ী হয় উইলি কলেজ।
ডেঞ্জেল ওয়াশিংটনের পরিচালনায় এবং অপরাহ উইনফ্রের প্রযোজনায় ২০০৭ সালে মুক্তি পায় দুই ঘণ্টা ছয় মিনিটের বাক স্বাধীনতার লড়াইয়ের এই অপূর্ব আলেখ্য। যদিও সম্পূর্ণ ইতিহাসভিত্তিক, তবে চলচ্চিত্রটির প্রয়োজনে কিছু কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে ঘটনায়, যেমন হাভার্ডের সঙ্গে আসলে উইলি কলেজের কোন প্রতিযোগিতা হয় নি, হয়েছিল ইউনিভার্সিটি অফ সাউদার্ণ ক্যালিফোর্ণিয়ার সাথে এবং তিরিশের দশকে এক নামী শ্বেতাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়কে বিতর্কে হারানো ছিল হাভার্ডকে হারানোরই সমতুল্য, তাই চলচ্চিত্ররূপে রূপক অর্থে হাভার্ডকে দেখানো হয়েছে।
এরপরেও দুঃখজনক ভাবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে পর্যন্ত কৃষ্ণাঙ্গদের বিতার্কিক সমাজে পূর্ণভাবে যোগদানের সুবিধা দেওয়া হয় নি। এই কাহিনী মুক্তিকামী মানুষের কাহিনী, স্বপ্ন দেখা মানুষের সংগ্রামের ইতিহাস, ন্যায়ের কণ্টকপূর্ণ কিন্তু সঠিকপথের গল্প।
মন্তব্য
খুব পছন্দের একটা মুভি। দিন দিন ভাইয়ার লেখা যা হচ্ছে! চমৎকার রিভিউ।
আমি মনে হয় আজকেও প্রথম
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
অভিনন্দন!
facebook
এটা আমার প্রিয় চলচ্চিত্র। প্রথম দেখবার পর বুঝেছিলাম যে বিতর্কচর্চার এত সৌন্দর্যের ও ক্ষমতার বিষয়ে আগে আমার তেমন সচেতন বোঝাপড়াই ছিলোনা। চলচ্চিত্রটির মাধ্যমে পরিচিত হয়েছিলাম Langston Hughes এর সাথে, পরে তার বেশ কিছু কবিতা পড়েছিলাম। সিনেমায় ব্যবহৃত Gwendolyn Bennett এর Hatred কবিতার লাইনগুলিও একদম মনে গেঁথে আছে।
Hatred
I shall hate you
Like a dart of singing steel
Shot through still air
At even-tide,
Or solemnly
As pines are sober
When they stand etched
Against the sky.
Hating you shall be a game
Played with cool hands
And slim fingers.
Your heart will yearn
For the lonely splendor
Of the pine tree
While rekindled fires
In my eyes
Shall wound you like swift arrows.
Memory will lay its hands
Upon your breast
And you will understand
My hatred
___________
সৌরভ কবীর
facebook
জেমস ফার্মার জুনিয়র (উচ্চারণটা ফার্মার- কৃষক) আসলে সেইন্ট অগাস্টিনকে কোট করে বলেছিলেন- "An unjust law is no law at all." এবং সেটার ব্যাখা দিয়েছিলেন- "Which means I have a right, even a duty to resist. With violence or civil disobedience. You should pray I choose the latter."
অসাধারণ একটা ছবি নিঃসন্দেহে
"An unjust law is no law at all."
facebook
ব্রাকেটে লেখা কথাগুলো পর্যন্ত পড়ে থেমে গেলাম। বাকিটা সিনেমাটা দেখে তবেই পড়বো।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
facebook
অনেক আগে দেখা। খুব পছন্দের একটা সিনেমা। আরেকবার দেখতে হবে।
আমারও আবার দেখতে ইচ্ছে করছে-
facebook
অসাধারণ মুভি! সবচেয়ে প্রিয় মুভির মধ্যে একটা। অণুদা the shawshank redemption নিয়ে একটা রিভিঊ দেন! আমার সারা জীবনে এই পর্যন্ত দেখা সেরাদের সেরা মুভি। এটা নিয়ে আপনার রিভিঊ পড়তে অনেক ভাল লাগবে
ইমা
ফারাসাত
facebook
আমার পছন্দের সেরাদের সেরা মুভি সেটা! ১০ এ ১০ ! ভয়েই সেটা নিয়ে লিখি না।
facebook
আপনি যদি একথা বলেন তাহলে কেমনে হবে? লিখে ফেলেন। শুরু করলেই হয়ে যাবে।
ইমা
ইমা, আপনারও কিছু লেখার কথা ছিল!
facebook
ভয় পাই
এইরকম অসংখ্য মানব ইতিহাসের ঘটনা মানুষ হিসেবে নিজের ভেতর এক ধরনের হিনমণ্যতা এনে দেয়,, তাই মানুষের ঘুরে দাড়ানোর বিপ্লব দেখলে তাতে একটা আত্মতৃপ্তি পাই,, মনে হয়, না, সভ্যতার পথ একটা না একটা সময় বিভেদহীন সমতলে পৌছাবে। যেখানে একজন মানুষ শুধু্ই মানুষ। চলচ্চিত্রটি কালকের মধ্যেই দেখব আশা করি।
সভ্যতার পথ একটা না একটা সময় বিভেদহীন সমতলে পৌছাবে।
facebook
গত তিনদিন ধরে আমার বিদ্যালয়ে জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতার বিচারকের দায়িত্ব পালন করে এলাম। চলচ্চিত্রটি প্রিয়গুলোর অন্যতম একটি।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
বিচারকের রায় কি?
facebook
রিভিও তো খাসা হয়েছে !!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
facebook
দেইখা ফেলব এবার !
রিভিউতে কাঁচকলা
দেখে ফেলেন!
facebook
আমার হালও কীর্তানাশার মতই। তাই আগে বাড়লাম না আর। ইয়ে, আপনি সব বিষয় নিয়েই মনে হয় লিখেছেন
না? রান্না বিষয়ক কোন রেসিপি আছে কি আপনার? না থাকলে জিলাপি'র রেসিপিটা দিয়ে দিননা দয়া করে!
আশাদি, কাঁচকলা দেখিয়ে কোথায় যেন লুকিয়েছে
হা জিলাপি, বানাতে পারলে জিলাপির দোকান দিয়ে সারাদিন জিলাপি খেতাম!
আপাতত রংতুলির কাছে চান।
facebook
ময়রা নিজের বানানো মিস্টি নিজে খায় না-এটা জানেন না? দেখেন ভেবে জিলাপির দোকান দিবেন কিনা
আমার আম্মু ছোট বেলাতে বলত জিলাপির ময়রার মেয়ের সাথে বিয়ে দিবে, এত বেশী জিলাপি খেতে চাইতাম।
facebook
আমিও জেলাপি খাবো!
মুভিটা দেখি নাই , আপনার রিভিউ পড়ে আগ্রহ পাইলাম। রিভিউতে
অমি_বন্যা
দেখে ফেলেন, ভাল লাগবে আশা করি
facebook
লজ্জার সাথে স্বীকার করছি হার্ডডিস্কে ১বছরেরও বেশি সময় ধরে জমে থাকা মুভির ফোল্ডারেই জমে ছিল, দেখা হয়ে যাও্য়া ফোল্ডারে নেয়া হয় নি। আজকে নীড়পাতায় লেখাটা দেখে আর খুলি নাই, দেখে এসে তরতাজা স্মৃতি নিয়ে কমেন্ট করছি। অসম্ভব ভাল একটা সিনেমা, ডেঞ্জেল বরাবরের মতই অনবদ্য।
ডেঞ্জেলের "দ্যা হারিকেন" দেখেছেন কি?
--বেচারাথেরিয়াম
যাক, ভাল লাগল!
দেখা হয় নি হারিকেন!
facebook
দেখে ফেলুন, সময় বৃথা যাবে না। বিফলে মূল্য ফেরত
মূল্য কি ইউরো তে দিবেন?
facebook
এই সপ্তাহান্তে দেখব।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
facebook
#দারুন মুভি রিভিউ প্রিয় তারেক অণু ভাই, শুভেচ্ছা আপনাকে।
আশরাফুল কবীর
শুভেচ্ছা
facebook
উইকএন্ডে দেখব আশা করি। রিভিউ ভালো লাগলো।
facebook
ছবিটা দেখি নাই। আপনার রিভিউ পড়ে আগ্রহ হলো। আজই দেখবো।
আপনার রিভিউ কেমন হচেছ তার চেয়ে বড় বিষয়, আপনি মুভি দেখার তাড়না তৈরি করতে পারছেন। চালিয়ে যাও ভাই।
ধন্যবাদ, দেখে জানিয়েন--
facebook
নতুন মন্তব্য করুন