আমরা কি কখনও স্থির?
কেন, দিনের বিশাল একটা অংশ যে ঘুমিয়ে থাকি, তখন তো আমরা নট নড়ন চড়ন, মানে তখন তো স্থিরই, নাকি?
কিন্তু কিন্তু আমাদের বাড়ী, পৃথিবী নামের বিশাল গ্রহটা যে নিজের অক্ষের উপরে পাক খেতে খেতে আবার ঐ গনগনে সূর্যটার চারপাশে ঘুরতে থাকে সেকেন্ডে ২৯,৮ কিলোমিটার বেগে, এইখানেই শেষ নয়- সূর্যকে কেন্দ্র করে চলতে থাকা আমাদের সৌরজগতও চলছে কয়েকশ কিলোমিটার গতিতে, সে আমরা ঘুমায় বা জেগে থাকি, হাঁটতে থাকি বা উপুর হয়ে নাক ডাকি, সবসময়ই! তার মানে আমরা সবসময়ই ভ্রমণ করছি, বিপুল বেগে!
ইস আমাদের জীবনটা যদি এমন হতো! সবসময়ই ঘুরতে পারতাম বনবন করে, নিদেনপক্ষে মাঝে মাঝে। বিশাল এই পৃথিবীর এক অপরূপ শোভা, কত জানা-অজানা জনপদ, প্রাণীকুলের সম্মেলন দেখতে ইচ্ছা করে, তাদের সম্পর্কে জানতে ইচ্ছে করে।
জেনেছিলাম ইস্টার দ্বীপের রহস্য মূর্তিদের কথা, প্রশান্ত মহাসাগরের সেই দ্বীপটিতে যেতে বড় ইচ্ছে করে, একেক সময় মনে হয় জীবনে আর কোথাও যাবার প্রয়োজন নেই, ইস্টার দ্বীপে যেয়ে সেই মোয়াইদের রহস্যভেদ করলেই জীবনের দারুণ একটা কাজ হবে। মোটর সাইকেল ডায়েরী পড়ে জানলাম বিপ্লবী চে গ্যেভারাও তার বন্ধুর সাথে ডাক্তার হিসেবে ইস্টার দ্বীপের কুষ্ঠ রোগীদের চিকিৎসার জন্য যেতে চেয়েছিলেন, মূল উদ্দেশ্য ছিল সেই রহস্যময় অঞ্চল ভ্রমণ করা, কিন্তু সফল হন নি। কিন্তু দ্বীপটিতে যে আর কোন গাছ রাখে নি মানুষ, সেখানে গড়ে উঠেছে হোটেল-মোটেল, নিরবিচ্ছিন্ন শান্তি আজ বিরল বস্তু বিশ্বের নির্জনতম কোণে অবস্থিত দ্বীপটাতেও। তাহলে- তাহলে কি চলে যাব নানমাদোল, নাকি তাহিতি? পলিনেশিয়ার যেয়ে সারা জীবনের জন্য থিতু হবার স্বপ্ন দেখেছি তিন গোয়েন্দার অথৈ সাগর পড়ার পর থেকেই, আহা- সেই নীল ল্যাগুন, সাদা বালির সৈকত, সবুজের ছাওয়া পাহাড়ের মাঝে লাল টালির বাংলো, যার মালিক ছিল আই লাভ ইউ ম্যানের মাসুদ রানা। ইশ, যদি একটিবারের মত মহাশূন্য থেকে আমাদের নীল পৃথিবীটাকে দেখতে পারতাম! বড় সাধ হয়, কিন্তু পূরণ হচ্ছে না যে-
তবুও ক্লায় ক্লেশে জীবনযাপন করে পথ চলার চেষ্টা করে চলেছি অবিরত, তাতেই জীবনের মুক্তি মনে হয়, নতুন কিছু জানার শ্রেষ্ঠ উপায় বলে মনে হয় – ইউকাটানের ঘন সবুজ বন ভেদ করে যখন মায়া সভ্যতার প্রাচীন শহর কালাকমুল ঘোমটা খুলে ধরে আমাদের উদ্দেশ্য, অনুভব করতে পারি যেন ইতিহাসের স্রষ্টা সেই কুশলী নির্মাতাদের ফেলে যাওয়া প্রগাঢ় নিঃশ্বাস। মহাস্থানগড়ের মূল ফটকে পা দিয়ে মনে হয় চার হাজার বছর আগে আমার মতই কোন পথভোলা কিশোর এক এসেছিল হয়ত মায়াবতী এই পুণ্ড্র নগরে। সম্রাট অশোকের আদেশে নির্মিত জলসরবরাহ ব্যবস্থা দেখে মনে হয়েছিল নেপালের পাটানে - দূরের গেরুয়াধারী বুদ্ধ শিশুটিই হয়ত অশোক, কৌতুকপূর্ণ দৃষ্টিতে পরখ করে দেখছেন ২০০০ বছর পরের আগন্তককে। আফ্রিকার সোনা রঙা প্রান্তরে শিকার ভোজনরত সিংহ দেখে মনে হল আমি যদি মাসাই এলমোরান হতাম তাহলে সিংহ কি খাবার ফেলে মাথা নিচু করে চলেই যেত? পৃথিবীর উত্তরতম জনপদের জমে থাকা সবুজ হিমবাহের উপরে চলেছি বুক ভরা বিস্ময় আর শঙ্কা নিয়ে- শ্বাপদ মেরুভালুকের মুখোমুখি হবার আশায়, পাহাড়পুরের বৌদ্ধ বিহারের ১৮৮টি ধ্বংসপ্রাপ্ত কক্ষে অবাক দৃষ্টিতে অনুধাবনের চেষ্টা করি কেমন ছিল সেই জ্ঞানপিপাসুদের জীবনধারা। মায়ান মহারাজা পাকালের গোপন সমাধিগৃহে অনুপ্রবেশ করে হয়েই গেলাম কি অভিশাপের ভাগীদার? বিশ্বের দীর্ঘতম পর্বতমালা আন্দেজের আকাশ ছোঁয়া শৃঙ্গগুলোর মাঝ দিয়ে বিমান উড়ছে, যদি মুখ থুবড়ে পড়ে তবে আমরাও কি উরুগুয়ান রাগবি খেলোয়াড়দের ভাগ্য বরণ করব?
কত বিস্ময় পথের ধারে। কত চমৎকার সব মানুষ। কত রঙ্গিন দিন।
আবার পথ চলার সবকিছুই কিন্তু সুখের অভিজ্ঞতা নয়-
পেরুর নাম না জানা ইনকা শহরের ছোট শিশুটি যখন আমার দিকে জুলজুল করে চেয়ে থাকে তার দৃষ্টিতে কি স্রেফ কৌতূহলই থাকে, নাকি ভিনদেশী সাহেবের দিকে তাক করা সেই দৃষ্টিতে ঘৃণার পরশও থাকে, যেখানে সে বলে- সাত সমুদ্দুর পাড়ি দিয়ে তুমি আমার দারিদ্রতা দেখতে এসেছ, কেবল কিছু অর্থের জোরে পথের ধুলায় ভূলুণ্ঠিত আমাকে দেখে বিশাল অভিজ্ঞতাপ্রাপ্ত হয়েছ এমন মনে করেই ফিরে যাচ্ছ আপন দেশে। আমার সমগ্র অস্তিত্ব চিৎকার করে সেই নীরব বোবা দৃষ্টির ভৎসনার বোবা বিরুদ্ধতা করে, বলে- বিশ্বাস কর, আমি তোমাদেরই লোক, তোমাদের সম্পর্কে এত বেশী পড়েছি, জেনেছি যে দেখতে এসেছি তোমার সুন্দর শহর আর সুমহান সভ্যতাকে, কিন্তু তোমাদের হাল এমনটা হবে জানতাম না। আর জানলেই কি তার পরিবর্তনে খুব একটা ভূমিকা রাখতে পারতাম? আমি তো চে গ্যেভারা নই যে নিজের অসীম আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান হয়ে মানবতার মুক্তির সংগ্রামে ঝাপিয়ে পড়ব, আমি চার্লস ডারউইন নই যে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা আর বিপুল গবেষণা দিয়ে মানুষের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় জ্ঞানটি আবিস্কার করব, আমি ডেভিড অ্যাটেনবোরো নই যে নিজের ভাল লাগাকে জাদুবলে শত কোটি জনগণের ভালবাসাতে পরিণত করব। আমার মাতৃভূমিরই ৩০ ভাগ লোক আজও তিন বেলা পেট পুরে খেতে পারে না, এমন কি কোন ভূমিকা রাখতে পেরেছি তাদের দুর্দশা লাঘবে? পারি নি আজ পর্যন্ত।
কিন্তু আমার পথ চলতে ভাল লাগে, পথের বাঁকে কত অজানা মুখ প্রিয় বন্ধুতে পরিণত হয়, অতর্কিতে আলগোছে ভালবাসার তীব্র ঝাঁঝালো হাহাকারময় অনুভূতি ঝাঁপ দিয়ে পড়ে ঘাড়ের উপরে, কত না সূর্যাস্তের পেলব মুহূর্ত হৃদয়ের মণিকোঠায় ভাস্বর স্মৃতি রেখে যায়, কত না ভোলা নদীঘাট, ষ্টীমারের ডেকের বাতাস- বাচ্চাবেলায় কি কালপুরুষ ভর করে ছিল আমার উপরে? নাহলে এমন উদাস চিত্তে জগত জুড়ে চলতে ইচ্ছে করে কেন? এমন তো না যে দায়িত্ববোধ নেই কাঁধের উপরে, না থাকলে তো স্রেফ ভবঘুরে হয়েই কাটানো যেত ছোট্ট জীবনটা।
আজকের মতই এক দিনে বেশ কবছর আগে এই ধরাধামে আবির্ভাব হয়েছিল ( অনেক বছর বেশ আফসোস করেছি, কেন আমার জন্ম ১৬ নভেম্বর না হয়ে, ১৬ ডিসেম্বর হল না??? তাহলে কি দারুণ ব্যাপারটাই না হতো!), তখনো পৃথিবীটা বনবন করে ঘুরে চলত, বুড়োটা এখনও ঘুরেই চলেছে অক্লান্ত ভাবে, পরিচিত অনেক মুখের ঘোরা থেমে গেছে চিরতরে, তারা চলে গেছে না-ফেরার জগতে চিরতরে, কিন্তু আমাদের ভ্রমণও আজও অব্যাহত। যখন চারপাশের ঘটনার নাগপাশ থামিয়ে দেবার চেষ্টা করে জীবনের গতি মনে মনে জপতে থাকি- “Twenty years from now you will be more disappointed by the things that you didn't do than by the ones you did do. So throw off the bowlines. Sail away from the safe harbor. Catch the trade winds in your sails. Explore. Dream. Discover.”
এমন একটি দিনেই যখন এসেছিলাম, এমন কোন দিনেই হয়ত চলে যাব, শেষ মুহূর্তে নিশ্চয়ই মনে পড়বে প্রতিটি দিনই ছিল আলাদা স্ব মহিমায় ভাস্বর, এবং নিজেকেই বলব হয়ত- একটা মানুষ জন্ম পাওয়া গেল, নেহাৎ মন্দ কাটলো না!
মন্তব্য
শুভ জন্মদিন
facebook
শুভ জন্মদিন ঘণুদা।
অ-জটিল জীবন আরো অনেক বেশি আনন্দের হোক।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ধন্যবাদ এই তিথিতে হে তিথী !
facebook
পিথিমী ঘুরে সুইয্যের চারপাশে, আর অণু ঘুরে পিথিমীর চাইরপাশে। পিথিমীর পিঠে চইড়ে সুইয্যের চারোপাশে আরেক খান চক্কর দিয়ে আসার জন্য অভিনন্দন রইলো!
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
পিথিমীর চাইরপাশে যাইতে পারছি না কিন্তু যামুই!
facebook
শুভ জন্মদিন, মঙ্গল হোক প্রতিদিন।
কেক পাওনা রইল।
facebook
সচল বতুতাকে জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা!
facebook
শুবু জম্মদিন জ্বীনের বাদশা!
..................................................................
#Banshibir.
সিনেমাটা হলে যেয়ে দেখেছিলাম ছোটকালে
facebook
এমন মানব জনম আর কি হবে...
শুভ জন্মদিন অণু ভাই।
অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
সৌরভ কবীর
facebook
অণু, আপনাকে দেখে বেঁচে থাকাটাকে অর্থবহ করতে পারার উদাহরণ অনুভব করতে পারি। শুভ জন্মদিন।অনেক আনন্দে থাকুন।
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
ধন্যবাদ মণিকাদি, ফেব্রুয়ারিতে দেখা হচ্ছে--
facebook
facebook
(আমি চউদাকে স্বচক্ষে দেখসি, আই কনফার্ম দ্যাট দিস গাই উইথ অরেঞ্জ স্কার্ফ অ্যান্ড সানগ্লাসেস ইজ চরম উদাস হিমসেলফ)
..................................................................
#Banshibir.
আর সেন্ডু গেঞ্জি পরা সামনের টা তারেক অণু
চউ দা একটা মতিকণ্ঠ!
facebook
উঁহু তারেকাণু পিছনে নীল গেঞ্জি পরে দোলনায় দুলতেসে একা একা। পুলাপানে ঠিকই চিনে কেডা জ্বিন, তাই খেলায় নেয়নাই
..................................................................
#Banshibir.
কিন্তু উদাস!
facebook
সবই যখন আপনি বলতেসেন তাহলে সামনেরটা কনফার্ম সত্যপীর ভাই আপনি। আর কুনো সন্দেহ নাই।
"নিশ্চয় তোমরা জানিয়া রাইখো, সত্যপীরগণ যুগে যুগে সামনে থেকেই জ্বীনদের নেতৃত্বদান করে"!!
ফারাসাত
আরে নাহ, আমি ভিড্যু কর্তেসি। ক্যাম্রাকি পিছে, চুনরি কে নিচে।
..................................................................
#Banshibir.
পীর অচলিল
ডাকঘর | ছবিঘর
facebook
মাস্ট বি!
facebook
আর ছোট মানব নর্তকটা কি উদাস, উদাসিনীর ছানা!
facebook
নাহ ঐটা একটা ড়্যান্ডম বদ পুলা।
..................................................................
#Banshibir.
ধুর মিয়া, দিলেন জল ঢেলে এই শীতের মাঝে!
facebook
আমার তো সুন্দেহ হয়, এইসব কাজকম্ম সব পীর এর কেরামতি ছাড়া আর কিচ্ছু না ... চউদা নির্দুষ
ডাকঘর | ছবিঘর
..................................................................
#Banshibir.
facebook
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
facebook
আপনার জন্মদিনে আপনাকে উপহার দেয়ার কথা ছিলো; উল্টো আপনিই উপহার দিলেন আমাদের এই চমৎকার লেখাটুকু। হয়তো এমনটাই হওয়ার কথা ছিলো। আপনি এবং আপনার পরিবারের সবাই খুব ভালো থাকুন এই কামনা করা ছাড়া আর কিছুই আসলে দেয়ার সাধ্য নেই আমার।
লেখাটা খুব গভীরে কোথাও নাড়া দিয়ে গেলো।
ফারাসাত
ধন্যবাদ ভাই, ভালো থাকুন সবসময়
facebook
শুভ জন্মতিথি,, আপনার কথাগুলো পড়া শেষ করে আপনার জন্য শুভকামনার বদলে দেখি নিজের জন্য আসছে-- আর কত ঘরে, এইবার দে হাটা----
facebook
শুভ জন্মদিন
আশাকরি একদিন দেখা হবে।
...........................
Every Picture Tells a Story
অবশ্যই হবে! সামনের শরতে আসতেও পারি!
facebook
****************************************
facebook
শুভ জন্মদিন ঘনুদা !!!
আর হ্যাঁ বস এও তোমারে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠাইছে !!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
যা ব্যাটা! এই বুটা হেভেনে যাবে কোন আক্কেলে! ফার্স্ট কথা হেভেন নাই, সেকেন্ড কথা থাকলেও এই ব্যাটা যাইত না!
facebook
কি যে কও !! বস এর প্রথম বার্তাটা তো পোস্টই করতে পারি নাই !! চারিদিকে হুরবেষ্টিত সেই ছবি দেখলে যদি আবার সেন্সর বোর্ড কাঁচি চালায় এই ভয়ে বসরে কৈলাম একটা সাফ সুতরা বার্তা পাঠাইতে, দেখো কি নুরানী পোজ দিছে হেয় !!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
হেভেন শব্দটা চেঞ্জ করা যায় না! আর ইয়ে, মানে হুরের ছবিটা কোথায়?
facebook
কও কি !!!!! বসে রাগ করবো। আর ঐ শব্দতেই তো আসল মজা !! হুরের ছবি আমার কাছে, সাক্ষাৎ এ বিশদ বলা হবে !!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
বইলা ফ্যাল!
facebook
ভালোবাসা রইলো ভ্রাত। পৃথিবীটা খুবই ছোট, ঘুরতে থাক; আশা করি ঘুরতে ঘুরতে একদিন আমার শহরেও তুমি চলে আসবে। সেই দিনের অপেক্ষায় থাকলাম
জন্মদিন শুভ হোক। ভালো থাকো। সুস্থ থাকো
ডাকঘর | ছবিঘর
আসব, ডিল!
facebook
অণুদা, শুভ জন্মদিন!
facebook
শুভ জন্মদিন আমাদের উরন্ত ঘুড়ী, অনন্তকাল বেচে থাকুন আর ক্লান্তিহীন ঘুরতে থাকুন আমাদের এই সুন্দর পৃথিবীর বুকে...
ধন্যবাদ
facebook
শুভ জন্মদিন
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
facebook
শুভ জন্মদিন , পথ চলা অব্যাহত থাকুক আরও কয়েক যুগ
ধন্যবাদ
facebook
জিও! জিও!
পিলেট ভরা জেলাপির সুভেচ্ছা দিলাম!
ইসস রে জিলাপি, এইডা কি ঠিক করলেন, এখন যে খাইতে মুঞ্ছাই
খাইতে মুঞ্চাইলে চাইলে চইলা আসো বনডি!
দাওনা বাবা একটা পার্সেল পাঠিয়ে।
facebook
তবে রে, জেলাপি খাইতে না তুমি আসতেছিলা?!
দেরী হয়ে যাচ্ছে , জিলাপী ঠাণ্ডা হয়ে যাবে
facebook
জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা রইল অনুদা, ভালো থাকবেন সবসময় !
শুভেচ্ছা
facebook
আমি ভাবছিলাম জন্মদিনের পোস্টের ভিতর ভিসুভিয়াসের জ্বালামুখ থেকে একটা জ্বালাময়ি ছবি টবি থাকবে। যাই হোক শুভ জন্মদিন। দুইন্যা ঘুইরা হ্যাশ কইর্যালাও... এই কামনা করি।
জ্বালাময়ি দিছে চউ দা!
facebook
আগমন দিবসের শুভেচ্ছা। আপনার বাবা-মা কে অভিনন্দন এইরকম অসাধারণ পাগলা ছেলের জন্ম দেয়ার জন্য। পৃথিবীর সকল মানুষ যেন আগামী একশো বছর আপনাকে হিংসায় জ্বলে-পুড়ে খাক হয়ে যেতে পারে (আমি সহ) সেই কামনা করি।
এইবার নূরের পথে আসেন
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
নূরের মাঝেই আছি!
facebook
ঐ কে আছিস ! অণু ভায়ের জন্য ইস্পিসাল কাচ্চি লাগা। শুভ জন্মদিন বস।
পিলিজ লাগে---
facebook
শুভ জন্মদিন অণু ভাইয়া। বিশেষ কারণে আপাতত অনেক দূরে আছি। তবু এতো প্রিয় ভাইয়াটার জন্মদিন আজ যে শুভেচ্ছা না জানালেই না মনে হচ্ছিল। বেশ ঝামেলা করেই নেটে এলাম।
তোমার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা। আশা করি বেঁচে থাকতে দেখা হবে একদিন আমাদের সাথেও
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
থ্যাঙ্কুস মেঘা!
facebook
প্রথমে ধরতে পারি নাই তারপর যখন ধরা গেল তখন বেশ বোকাই বনে গেলাম।
শুভ জন্মদিন অনু দা। কয়েক হাজার বছর হোক আপনার আয়ু। পৃথিবীর সব দেশ তো দেখবেনই সেই সাথে যেন কোন চিপাও বাদ না যাই সেই কামনাই করি।
অমি_বন্যা
পৃথিবীর সব দেশ তো দেখবেনই সেই সাথে যেন কোন চিপাও বাদ না যাই সেই কামনাই করি।
facebook
বেশিদিন পড়ি নাই আপনার লেখা বাট কয়েকটা পইড়াই সন্দ করছিলাম বিচ্ছু। এহন দেহি তাই! এক মুফতিরে জিগাইছিলাম, হুজুর- জন্মদিন পালন নাকি বেদাতি? হাইসা কয়, নাহ- এই দিনেই তো চোখ মেইলা এত সুন্দর দুনিয়া দেখার নসীব হইছিলো। ঈদ তো এইডাই। আর দোয়া করলেন,
রাব্বি ইন্নি লিমা আনযালতা ইলাইয়া মীন খাইরিন ফকির। রাব্বানা আতানা মিল্লাদুনকা রাহমাতাউ ওয়া হাইয়েলানা মিন আমরিনা রাশাদা।
আমিও দোয়া করে দিলাম।
(স্বপ্নীল সমন্যামবিউলিসট)
facebook
শুভ জন্মদিন অণুদা
facebook
শুভ জন্মদিন বস
পথচলা অব্যাহত থাকুক--
শুভেচ্ছা নিরন্তর!
গান কোথায়?
facebook
শুভ জন্মদিন অণুদা।
facebook
শুভ জন্মদিন হে, তোমার বয়স তো ঠাহর করা মুশকিল!!!
বয়স তো মনে! সবে ১৮!
facebook
শুভ জন্মদিন তারেকাণু।
আপনার পায়ের চিন্হ পড়ুক পৃথিবীর প্রতিটি ধূলিকণায়।
আহা, যেন সত্য হয়
facebook
শুভ জন্মদিন। সুস্থ থাকো, আনন্দে থাকো আর মনের সুখে ঘুরে বেড়াও।
facebook
হেফি বাড্ডে !!
জন্মদিনে বেশি কইরা ক্যাক-কুক খাইয়া একটু মোটা তাজা হন, বুজলেন ? সারা দুইন্নাডা টো টো কইরা তো শইলডারে কাডি কাডি বানায়ালাইছেন, সেই খেয়াল আছে ??
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
জে না, যথেষ্টই ঠিক আছে !
facebook
শুভ জন্মদিন অনু । এই শুভ দিনে কী উপহার দেয়া যায়? রবীন্দ্রনাথের গীতাঞ্জলি থেকে একটি খুব প্রিয় কবিতা তুলে দিচ্ছি (এটি আমার মায়েরও খুব প্রিয় কবিতা ছিল । প্রায়শই আবৃত্তি করতেন) ।
যাবার দিনে এই কথাটি
বলে যেন যাই-
যা দেখেছি যা পেয়েছি
তুলনা তার নাই ।
এই জ্যোতিঃ সমুদ্রমাঝে
যে শতদল পদ্ম রাজে
তারই মধু পান করেছি,
ধন্য আমি তাই –
যাবার দিনে এই কথাটি
জানিয়ে যেন যাই ।
বিশ্বরুপের খেলাঘরে
কতই গেলেম খেলে,
অপরুপকে দেখে গেলেম
দুটি নয়ন মেলে ।
পরশ যাঁরে যায় না করা
সকল দেহে দিলেন ধরা,
এইখানে শেষ করেন যদি
শেষ করে দিন তাই-
যাবার বেলা এই কথাটি
জানিয়ে যেন যাই ।
আপনার হাজার বছর আয়ু হোক, অনু । অনেক অনেক অ...নে...ক সৃজনশীল লেখা আসুক আপনার হাত থেকে । মানুষের কল্যান হোক আপনার দ্বারা ।
আর হ্যাঁ, আপনার মাকে যেন আমার অভিবাদন জানাতে ভূলবেন না । কারন আজকের এই দিনটিতে যে শুধু আপনার জন্ম হয়েছে, তাই না একজন “অনুর মায়ের”ও জন্ম হয়েছে ।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
অনেক অনেক ধন্যবাদ
facebook
শুভ জন্মদিন, অণু দা। পৃথিবী ঘোরাঘুরি শেষ করে অন্যান্য গ্রহেও আপনার পদধূলি পড়ুক।
ইয়াহু
facebook
#শুভ জন্মদিন প্রিয় তারেক অণু ভাই, শতায়ু হোন, এ প্রত্যাশা
আশরাফুল কবীর
facebook
হাজার বছর ধরে আমি পথ হাঁটিতেছ পৃথিবীর পথে
রাসসাইয়ের পদ্মাপার ধরে মামুর বোটার সাথে
অনেক ঘুরেছি আমি। ...............................
........................................................
আমারে দুদণ্ড শান্তি দিয়েছিল হেলসিংকির সেই এক তেইন।
জন্মদিনে (লাল গোলাপের ইমো)।
আব্দুল্লাহ এ.এম.
facebook
শুভ জন্মদিন!
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
facebook
[img][/img]
আহা, কি দারুণ! সাথে প্রিয় গান! স্যাম দা একটা, হুম্ম্, না বলি--
facebook
স্যাম
শুভ জন্মদিন জিয়া-পুত্রের নেইমসেক।
মানুষ হিসেবে আপনি যে সুবিধার না তা আপনার নাম শুনেই বুঝেছি। ঃ-)
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
হ,আপ্নেরও একটি নাম যে!
facebook
শুভ জন্মদিন প্রিয় তারেক অনু। পৃথিবীর সব রাস্তায় আপনার পদধুলি পরুক, সেই সাথে আমরাও বেড়াতে থাকি আপনার সাথে সাথে। শুভেচ্ছা আপনার পরিবারের সবার প্রতি। ভাল থাকুন সব সময়।
ধন্যবাদ
facebook
শুভ জন্মদিন অণু'দা।
চিন একটা অভিশাপ!!! এমুন ঠান্ডা, এরপরে আবার কি এক আজব দেশ! ইন্টারনেট বইলা কিছুই নাই মনে হয়। গুগল, ফেসবুক, টুইটার, স্কাইপি তো কাজ করেই না, সচলে পররযন্ত লগাইতে পারতেছি না ঃ( আব্বাহুজুরের কোলকম্পুতেও অভ্র নাই। আপনাকে হেফি বাড্ডে জানাইতে অনেক কষ্টে এইখানে টাইপ করলাম। বিল্ট ইন বানংলায় টাইপ করা বিশাল গিয়ানজাম!
যাই হোক- হেফি বাড্ডে!!!!!
আর বাড্ডে গিফট তো আগেই দিছি, ভূটানের লেখাটা
সাব্বাস থরের বাবা! কামের কাম করছেন মিয়াঁ! নিশ্চিন্ত হলাম আপনের খবর পেয়ে।
আর শুনেন, ভ্যান্তারা কইরেন না, আগের লেখাটা অনেক পুরান, গিফট হিসেবে চীনের দেয়াল অথবা ১ম চীনে সম্রাটের সমাধি মন্দির ভ্রমণে অভিজ্ঞতা লিখেন, এক দফা, এক দাবী!
facebook
শুভ জন্মদিন
facebook
শুভ জন্মদিন! আয়ুষ্মান ভবেহ্!!
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
facebook
শুভ ল্যাংটা দিবস হে ইবনে বতুতা!
কোন চিন্তা নাই। আইছেন ল্যাংটা, যাইবেন ল্যাংটা। মাঝে কয়দিন প্রাণখুলে ঘুইরা বেড়ান।
হক কথা!
facebook
খুব ভালো লেগেছে লেখাটা।
ধন্যবাদ
facebook
হেপি বাড্ডে, ম্যান! (নাকি বয়!)
দেশে আসলে খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা কইরেন, ব্যস, এই তো!
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
বেবী বললেও হবে
facebook
ওকে বেবী!
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
facebook
শুভ জন্মদিন
বাংলাদেশে ক্রিকেটের নবজাগরনের আগে কেউ একে ক্যারিয়ার হিসেবে নেবার চিন্তা করত না। এখন অনেকেই একে সিরিয়াসলি নিচ্ছেন। আপনাকে দেখে মনে হয় বিশ্ব ভ্রমন অথবা পরিব্রজন(?)-কে যদি সেরকম নেয়া যেত!
আহা, যদি নেয়া যেত!
facebook
এই নেও ট্যাকা। জন্মদিনে কিছুমিছু কিন্না খাইও
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
ট্যাকার ছবি গেলো না। আমার কি!
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
ছবির দরকার নাই, ছড়া হলেই চলত আপাতত
facebook
তাই? টাকার দরকার নাই? ছড়া হলেই চলবে?
দাঁড়াও দিচ্ছি।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
facebook
তারেক অণুকে জন্মদিনের উপহার
লুৎফর রহমান রিটন
এই ছেলেটার নাম কি জানো?
--এই ছেলেটা তারেক।
একসঙ্গে কাজ করে সে
মাত্র গোটা চারেক!
এই উঠে যায় পাহাড় চূড়ায়
এই চলে যায় পাতাল,
এই ছেলেটা অস্বাভাবিক!
রঙের নেশায় মাতাল।
টিঙটিঙে এই ছেলের মাথায়
পনিটেলের বাহার,
হাতের মুঠোয় সমুদ্র তার
পায়ের তলায় পাহাড়।
দুরন্ত এক পড়ুয়া সে
বই প্রীতিতে তুখোড়,
উদ্দীপনায় অক্লান্তিতে
এই ছেলেটা মুখোর।
ক্যাম্রাবাজির হাতটা পাকা
আগ্রহটা অধির
আকাশ ও মেঘ, পাহাড়, সাগর
ফুলে, পাখি, গাছ, নদীর—
কত্তো রকম ছবি আহা!
তাই দেখে চোখ জুড়ায়।
ব্লগিং এবং ভ্রমণ-কথায়
মুগ্ধতা সে কুড়ায়।
তাইতো বলি, তারেক—
ঈর্ষণীয় প্রতিভা তার,
কত্তো কিছু পারেক!
অটোয়া ১৭ নভেম্বর ২০১২
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
ওরে এ এ এ এ এ এ ! --- রিটন ভাই - অসাধারণ বস! - তারেকাণুরে হিংসা আবারো
আমার শুধু অন্য একটা ছড়া মনে পড়ছে আর নিজেকে মামুদ মিয়া মনে হচ্ছে -
মামুদ মিয়া বেকার - তাই বলে কি শখ নাই তার বিশ্ব ঘুরে দেখার ------
আসলে পরে চেকার - বলল হেসে মামুদ মিয়া ট্রেন কি তোমার একার?
রিটন ভাই পাত্থর।
যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...
ফারাসাত
facebook
উইকিপিডিয়া থেকে:
Dromomania
Dromomania, also travelling fugue, is an uncontrollable psychological urge to wander.[1] People with this condition spontaneously depart from their routine, travel long distances and take up different identities and occupations. Months may pass before they return to their former identities. The term comes from the Greek: dromos (running) and mania (insanity).[2]
শুভ জন্মদিন।
facebook
অথবা Wanderlust.
উইকিপিডিয়াঃ Wanderlust is a strong desire for or impulse to wander or travel and explore the world.
****************************************
facebook
১৭ তারিখ হয়ে গেল তো...
তাতে কি? প্রতিদিনই জন্মদিন মানুষের।
facebook
লন ভাই, জন্মদিনে লন ইটা।
দেন, দেন, বেশী করে দেন
facebook
শুভ জন্মদিন
আসমা খান
facebook
একটু দেরি করে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। অনেক শুভকামনা।
facebook
লেখাটার গুরুত্বপূর্ণ একটা অংশ বাদ পড়ে গেছে-- যেখানে নেমনতন্নের দিনক্ষণ-স্থানের উল্লেখ ছিল!
facebook
শুভ জন্মদিন।
শুভ হোক আগামীর পথচলা।
facebook
পথচলা থাক অবিরাম। বিলম্বিত শুভ জন্মদিন।
facebook
শুভ জন্মদিন।
ঘাসফড়িং
facebook
ফেবুতে আগেই জানায়ছিলাম। এইখানে আবার জানায়া গেলাম। হ্যাফি বাতডে।
যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...
facebook
বিলম্বিত শুভ জন্মদিন।অনেক শুভকামনা।
তাহসিন রেজা
facebook
হায় হায় লেখাটা আজ পড়লাম, দেরী হয়ে গেল তাও শুভ জন্মদিন,হাজার বছর বেঁচে থাকুন আর পৃথিবীর প্রতিটি জনপদ দেখুন এই কামনা করি
facebook
পূর্বের লেখায় নতুন করে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা ।
ভালো থাকবেন ।
রাসিক রেজা নাহিয়েন
আগে ঘুরাঘুরি না করলে খারাপ লাগতো না, কিন্তু এখন আপনার লাটিমের মত ভনভন করে পৃথিবীটাকে চক্কর খাওয়া দেখে
ঘুরাঘুরি না করলে নিজেকে অপরাধী মনে হয়. আপনার পৃথিবী চক্কর দেয়া দেখে মনে হয় ঘরের পাশে পাড়ার মোড়ের চা দোকানে চক্কর মারা. আগে অবাক হতাম, এখন আর অবাক হয়না. কাল কেউ যদি বলে তারেক অণু চাঁদে যেয়ে চা খাচ্ছে, আমি হয়ত বলব-ও আচ্ছা.
ঘুরাঘুরি আরো শত বছর চলুক জন্ম দিনে এই কামনা করি.
সুন্দরতম হোক জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত।।।।।।
নতুন মন্তব্য করুন