৭৯ খৃস্টাব্দের ২৪ আগস্ট বিকেল - ভূমধ্যসাগর তীরের মুখরিত এক সমৃদ্ধ রোমান জনপদ এরকোলানো (Herculaneum), ব্যবসায়ী আর মৎস্যজীবীদের আবাসস্থল মূলত , বীর হেরাক্লেসের ( গ্রীক-হারকিউলিস) নামে নাম এর। শহরের একদিকে সাগর, অন্যদিকে দিগন্ত আড়াল করে আছে সবুজের বনে মোড়া এক পাহাড়। ১৭ বছর আগে একবার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল সমগ্র এলাকা আর অদূরের ন্যাপোলি শহর কিন্তু বিশাল কোন ক্ষয়ক্ষতির স্বীকার হয় নি কেউই। কিন্তু কারো জানা ছিল না সেই ভূমিকম্পই বুনে দিয়ে গেছে সর্বনাশের বীজ, ভূগর্ভে নাড়িয়ে দিয়ে গেছে এমন কিছু কলকব্জা যে সময় ঘনিয়ে এসেছিল হিরোশিমার পারমাণবিক বোমার চেয়ে লক্ষগুণ শক্তিশালী বিস্ফোরণের। সেই বিকেলেই গত ৮০০ বছর ধরে নির্বিবাদে ঘুমিয়ে থাকা সবুজ পাহাড়টা ক্ষেপে উঠল যেন, কালো কালো ধোঁয়া বেরোল কিছুক্ষণ, এর পরপরই সেকেন্ডে দেড় মিলিয়ন টন লাভা আর অন্যান্য পদার্থ উদগীরণ করল ভিসুভিয়াস নামের পাহাড়টি, সেটি যে একটি আগ্নেয়গিরি তা কোনদিন টেরই পায় নি এর আগে পাহাড়ের পাদদেশে বসতি স্থাপন করা মানুষেরা। কয়েক মিনিটের মাঝে আশেপাশের অঞ্চলের তাপমাত্রা হয়ে গেলে প্রায় ৫০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস! এরকোলানোর যত নৌকা ছিল তার প্রায় সবগুলোতেই হতভম্ব কিছু মানুষ চটজলদি উঠে সাগরে ভাসিয়ে দিল জীবন রক্ষার শেষ চেষ্টা হিসেবে, বাকী মানুষেরা একই পরিণতি বরণ করল অদূরের পম্পেই নগরীর মানুষদের মত! ১৬,০০০ তরতাজা প্রাণ মুহূর্তের মাঝেই নাই হয়ে গেল এই দুই শহরে, বা বলা ভাল তাপে পুড়ে গেল। ধেয়ে আসা লাভাস্রোত, নানা খনিজের কাদা আর ছাইয়ের ২০ মিটার পুরু স্তরের নিচে তলিয়ে গেল এককালের সমৃদ্ধ এই নগরী।
এর ১৬০০ বছর পরে ১৭০৯ সালে কুয়ো খুড়তে গিয়ে কাকতালীয় ভাবে আবার সন্ধান মিলল হারিয়ে যাওয়া রোমান শহরের। জানা গেল করুণ ইতিহাসের সাক্ষী তিন শতাধিক নরকঙ্কালের, যাদের অনেকের মাথার খুলি পর্যন্ত বিস্ফোরিত হয়ে গেছিল সেই অসহ্য তাপমাত্রায়। তাদের মধ্যে ব্যপক পরিচিত পাওয়া আংটিওয়ালা মহিলার কঙ্কালটি (The Ring Lady) আবির্ভূত হল ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক পত্রিকার মলাটে, বিশ্ব নতুন করে জানল এরকোলানোর গল্প।
শুনতে চান ধ্বংস হয়ে যাওয়া সেই নগরের কাহিনী? অনুভব করতে চান দুর্ভাগা মানুষগুলোর মৃত্যুর আতঙ্ক? জানতে চান সেই সময়ের সমৃদ্ধ জীবনধারার কথা? চলুন তাহলে, ঘুরে আসা যাক এরকোলানো।
ইতালির নেপলস ( ন্যাপোলি) মহানগরী থেকে এরকোলানো যেতে ট্রেনে মাত্র কয়েক মিনিট লাগে, ভাড়াও অল্প, সেখানে নেমে মানে নতুনভাবে গড়ে ওঠা এরকোলানো শহরের রেলষ্টেশনে জিজ্ঞাসা করে জানতে পারলাম পুরনো এরকোলানো শহরের আরেক মাথায়, সাগর ছোঁয়ার আগে আগে, পদব্রজে যেতে মিনিট আটেক লাগতে পারে। যে কোন নতুন জায়গা পরখ করতে চাইলে আসলেই পায়ে হাঁটার কোন বিকল্প নেই, তাই শহরের মূল রাস্তা দিয়ে মাছের বাজার মাড়িয়ে পর্যটকদের পকেট হালকার জন্য থরে থরে সাজিয়ে রাখা পণ্যের দোকান পার হয়ে যখন সংরক্ষিত পুরনো শহরে পৌঁছলাম, অবাক হয়ে দেখি এরকোলানো আমার পায়ের নিচে!
আক্ষরিক অর্থেই পায়ের নিচে! মনে পড়ল প্রায় ৬০ ফুট ছাইয়ের নিচে ছাপা পড়েছিল শহরটা, প্রায় দুই হাজার বছরে আশেপাশের উঁচু জায়গাতেই নতুন বসতি গড়ে উঠেছে, এখন নতুন করে অতীত খুঁড়ে বাহির করবার চেষ্টা করা হচ্ছে হারিয়ে যাওয়া এরকোলানোকে। প্রথমেই টিকেট কাটতে হবে, এক এরকোলানোর জন্য আলাদা টিকেট, অথবা এরকোলানো, পম্পেই সহ মোটমাট যে ৫টা নগরী ভিসুভিয়াসের ছাইয়ের নিচে চাপা পড়েছিল সেগুলোর টিকেট একসাথে কেনা যাবে, তবে মেয়াদ ৩ দিনের, এর মাঝেই সব দেখে শেষ করতে হবে। দামের খুব হেরফের তা নয়, কিন্তু লম্বা লাইনে অপেক্ষার যন্ত্রণা এড়াতে ৫ শহরের টিকেট একেবারেই কিনে ফেলা ভাল।
অদ্ভুত এক শহর, পোড়ো, খাঁ খাঁ করছে, অধিকাংশ বাড়ীর ছাদ নেই, প্লাস্টার সুরকি খসে পড়া দাঁত বাহির করা স্তম্ভ দেখা যায় সারি সারি, মাঝে মাঝে ফাঁকা জায়গায় এক টুকরো সবুজ বাগান, আর দূরে, নতুন গড়ে ওঠা শহরের পিছনে আকাশের গায়ে হেলান দিয়ে খবরদারি করছে ভিসুভিয়াস।
কেমন বিষণ্ণ, স্মৃতিমেদুরতায় আক্রান্ত যেন প্রতিটি ইট-কাঠ-পাথর। হ্যাঁ, কাঠও আছে, ২০০০ বছর আগের কাঠ, যা পরিণত হয়েছে অপচনীয় বস্তুতে এবং দর্শনীয় দ্রব্যে।
বেশ প্রশস্ত রাস্তা সেই সময়ের হিসেবে, দুপারে নানা ধরনের বাড়ী, কোনটা বাসগৃহ, কোনটা পানশালা, কোনটা খাবারের দোকান, কোথায় বা শহরের মানুষজনের সভার স্থান, স্নানাগার, উদ্যান।
কেবল মানুষগুলো জাদুবলে নেই হয়ে গেছে দৃশ্যপট থেকে , সেখানে ইতস্তত হেঁটে বেড়াচ্ছে ভ্রমণপিপাসুরা, খুঁটিয়ে দেখছে ক্ষয়ে যাওয়া প্রাচীন মোজাইক, চিত্রকর্ম, ভেঙ্গে পড়া প্রাচীর।
অধিকাংশ ঘরেই অবশ্য যাবার অনুমতি নেই, খননকাজ চলছে এখনো ব্যপক ভাবে, বিশেষ করে আংটি পড়া সেই মহিলাসহ সেই সময়ে মৃত কারো কঙ্কাল দেখার অনুমতি নেই গবেষক ছাড়া অন্যদের, বিশেষ করে সাগরের কাছের যে জায়গাটিতে সবচেয়ে বেশী কঙ্কাল পাওয়া গেছে (ধারণা করা হয়ে শেষ রক্ষা হিসেবে হতভাগ্য মানুষগুলো সেখানে গিয়েছিল নৌকায় উঠবার আশা নিয়ে) সেখানে প্রবেশ নিষেধ কড়াকড়ি ভাবে। কিন্তু দেখা মিলল ২০০০ বছরের প্রাচীন ধ্বংস প্রাপ্ত দুই নৌযানের,
এবং মাছ ধরার কিছু বড়শির, যেগুলো ছিল ব্রোঞ্জের তৈরি।
কিছু কিছু ঘরে প্রত্নতাত্ত্বিকরা অপরিসীম যত্ন, ধৈর্য ও কুশলতা নিয়ে সেই সময়ের সামান্যতম চিত্রকর্ম ফিরিয়ে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন তাতেই আভাস পাওয়া যায় এরকোলানোর অধিবাসীদের সূক্ষ রুচি এবং শিল্পবোধের। এবং সেই সাথে মন বিষণ্ণ হয়ে ওঠে এই মনে করে যে কী অমূল্য সম্পদ আমরা হারিয়েছে ভিসুভিয়াস আর কালের যৌথ চক্রান্তে তা মনে করে, সেই সাথে আছে ঘুরে ফিরে মনে আসতে থাকা উত্তাপে মারা যাওয়া মানুষগুলোর মৃত্যুযন্ত্রণা।
বিশেষ ভাবে নজর কাড়ল কিছু স্নানাগারের দেয়ালের অপূর্ব নকশা, মুখোশ, মোজাইকের কাজ।
শুনেছি রোমান আমলে নাকি অনেক গুরুত্বপূর্ণ সভাও এই স্নানাগারেই হত! সেখানে সাতার কাটা সম্ভব এমন বাথটাবের দর্শনও মিলে গেল।
এমন এক জায়গার মেঝেতে মিলল সমুদ্র দেবতা নেপচুনের সাথে নানা জলজ প্রাণীর মোজাইকে আঁকা প্রতিকৃতি, বিশেষ করে আট শুঁড়ের অক্টোপাস আর দশ শুঁড়ের স্কুইডের নিখুঁত প্রতিরূপ মাথায় গেঁথে গেলে একেবারে।
প্রাচীন এরকোলানোর যে স্থানগুলোতে বাগিচা ছিল সেখানে নতুন করে মাটি ফেলে নানা জাতের গাছ এবং ঘাস লাগানো হয়েছে, কিছুটা ফিরে এসেছে তাতে ইতিহাসে ঠাই করে নেওয়া মানুষগুলোর সুরুচির প্রমাণ। ফিরে এসেছে নানা জাতের পাখি এবং গিরগিটিরাও এই নতুন নতুন বাগানে, ফল দেখলাম একাধিক গাছের ডালে।
প্রাচীন শহরটির সকল পণ্যের দোকানের সামনেই লেখা থাকত যে সেটা কিসের দোকান- কামারের, কুমোরের, দেহব্যবসার, খাবারের, নাকি পানীয়ের। এমন এক দেয়াল জুড়ে দেখলাম বিশাল সব কুঁজোর নিখুঁত ছবি, এত্তো বড় কুঁজো থেকে পানীয় খেতে নিশ্চয়ই ওবেলিস্ক আকৃতির লোকজনেরা, তবে সত্য কথা বলতে ছবি দেখেই প্রিয় বন্ধু ক্যাপ্টেন হ্যাডকের মতো তেষ্টা পেয়ে গেল বেশ খানিকটা।
মনে পড়ল উদভ্রান্তের মত ঘুরতে ঘুরতে নেহাত কম হাঁটা হয় নি, প্রায় সব মূল রাস্তা পায়ে দলা হয়েছে, এবার আসলেই গলা ভেজাবার পালা। আর এরকোলানোর আদি জীবনযাত্রা সম্পর্কে এখনো খুব বেশী জানা যায় নি, যেমনটা গেছে পম্পেই সম্পর্কে, দরকার আরও অনেক নিবিড় গবেষণা এবং প্রচুর সময়ের। আশা করা যায় এর পরের বার আবার ইতালির এই প্রান্তে আসলে নতুন পাওয়া তথ্যগুলো দিতে পারব, আপাতত চলুন, বের হওয়া যাক নতুন এরকোলানোর উদ্দেশ্যে!
[এই পোস্টটি অনেক দূরে থেকেও কাছের মানুষ হয়ে ওঠা জুন্নুনুর ভাইয়ের ( সহব্লগার জুন) জন্য।]
মন্তব্য
এত বড় শহর ছিল মাটির নিচে! ভাবতে অবাক লাগে। ইতালির এই প্রান্তের আরও তথ্য নিয়ে লেখেন অনু দা।
ছবিগুলো দারুণ , বিশেষ করে আপনার টি শার্টের পিছনের বাংলাদেশ লেখাটা ।
অমি_বন্যা
পম্পেই আসিতেছে
facebook
পম্পেই এর জন্য অপেক্ষা করতে থাকলাম----
আমিও
facebook
মদের জালার সাইজ দেইখা ডরাইলাম!
..................................................................
#Banshibir.
ডরাইলেই ডর, হান্দাইয়া দিলে কিয়ের ডর?
গৃহবাসী বাঊল
facebook
কিন্ত মদখোরের সাইজ যদি অবেলিস্কের মত হয় !
facebook
নৌকাগুলো এখনো আছে! কী দিয়ে বানানো ভাই?
_________
(সচল ফারহান)
কাঠের তৈরি
facebook
দারুণ।
ডাকঘর | ছবিঘর
facebook
ইতালির অনেক জায়গায় গেলেও ওদিকটায় যাওয়া হয়নি। সামনের বছরে যাবো।
বরাবরের মতোই সুন্দর লেখা আপনার।
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
অবশ্যই যাবেন, তবে নেপলস খুব আলাদা ধরনের ইতালি মনে হয়েছে আমার কাছে
facebook
facebook
স্নানাগারে সভা?
ছবি দেখে ভ্রমণের তেষ্টা পেয়ে গেল।
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
আমারও
আরে ভাই শৌচাগারে সভা হতে পারে, আর স্নানাগার!
facebook
হ স্নানাগারে সভা হওনের নিয়মডা ফিরায়ে আনা দরকার। স্যুটটাই পইড়া মিটিং করতে করতে টায়ার্ড হইয়া গেসি!
facebook
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
facebook
ভাবতেছি আপনার লেখা আর পড়বো না। নইলে বই বের হলে দেখবো কি, কিনবো কি?
চোখ বন্ধ করে কমেন্ট করলাম
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
না না, বই বেরোলেও অন্য ধরনের হবে! লেখা না পড়লে কিসের কি--
facebook
বই কবে বের হচ্ছে?
হয়ত ২০১৩র বইমেলাতে
facebook
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
ক্যান, আসবেন নাকি হে বিজ্ঞানী?
facebook
মানে কি? মানে আগামী বইমেলাতেই? দারুণ খবর - তারমানে এদ্দিনে প্রেস এ চলে গেছে? প্রকাশক? - কিন্তেই হবে!
দারুন!!!
facebook
আজব তো!
জানা হলো আরও একটা নতুন বিষয়। ছবিগুলো চমৎকার !
আজব হলেও গুজব নয়
facebook
এবারের লেখাটায় কেমন একটা অতৃপ্তি রয়ে গেল। আসলে আপনার কাছ থেকে বেশি বেশি পেতে পেতে প্রত্যাশা বেড়ে গেছে
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
বেশী ছোট হয়ে গেছে মনে হয়!
facebook
পাঁঠা খুশ হুয়া।
যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...
facebook
আপনার সব লেখা-সব ছবিই মন দিয়ে পড়ি-দেখি। কমেন্ট কম করি, কারণ এত অসাধারণ সব জায়গা আর ইতিহাস তুলে আনেন, সবাই মুগ্ধ হতে বাধ্য!
কী ভয়ংকর এক ইতিহাস! পম্পেই সম্পর্কে জানতাম, এরকোলানো নিয়ে কখনো পড়িনি।
যাওয়ার আগে একরাশ হিংসা
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
পম্পেই আসিতেছে--
facebook
অধিবাসীরা জানতোই না যে ভিসুভিয়াস আগ্নেয়গিরি!
নাহ, ভেবেছিল নিরীহ পাহাড়!
facebook
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
facebook
হেরাক্লেস = গ্রীক (HERR-ə-kleez; Ancient Greek: Ἡρακλῆς, সূত্র)
হারকিউলিস = রোমান (সূত্র)
হুম
facebook
পড়তে পড়তে আর ছবি দেখতে দেখতে মনটা কেমন বিষণ্ণ হয়ে গেল। কত মানুষ এর জীবন আর স্বপ্নের সমাধি হয়েছে কিছু বুঝে ওঠার আগেই...ধুকে ধুকে মরবার চেয়ে হয়ত এমনি ভাল। কে জানে।...দেশে দেশে একদল মানুষরুপি হায়েনার হাতে মৃত শিশুদের রক্তাক্ত ছবি দেখতে দেখতে মনে হয় পুরো জগত টাই এরকোলানো হয়ে যাক। তাহলে অন্তত কাউকে আপনজন হারানোর শোক সহ্য করতে হবে না
facebook
পম্পেই এর কথা জানতাম, এরকোলানোর কথা জানা ছিলনা। এই ধরনের ঘটনাগুলো পড়লে আমার মন খারাপ হয়। সেখানেও একদিন মানুষ ছিল, কথা ছিল, গল্প, গান, আনন্দ, উৎসব সব ছিল। হঠাৎ করে সব থেমে যাওয়া, আগের মুহূর্তেও কেউ জানতে পারেনি। হয়ত তখন বিষণ্ণ কোন বালিকা আকাশ দেখছিল, কোন কবি কবিতা লিখছিল, কোন মা তার সন্তানকে আদর করছিল, কোন ভাই তার বোনকে জ্বালাতন করছিলো, কোন প্রেমিক তার ভালবাসার মানুষের জন্য সুর বাঁধছিল, কোন বাবা দিন শেষে বাড়ি ফিরছিল-- সব হঠাৎ করেই একদম শেষ। কি ভয়ংকর!!!
আপনি কি সুন্দর কত কি দেখে বেড়ান অনুদা !
লেখা বরাবরের মতই ।
ছবিগুলো দেখে উদাস হয়েছি
কতটা অসহায় মানুষ, তবুও আমাদের মতি হয় না ক্ষমতার লড়াই থেকে সরবার
facebook
facebook
নতুন কোথাও যাচ্ছেন নাকি আবার? ভালো থাকুন, শুভকামনা।
যাচ্ছি তো! বাংলাদেশে!
facebook
#দারুন প্রিয় অণুদা, এককথায় অসাধারনস! খুব ভাল লেগেছে লেখাটি, অভিনন্দন আপনাকে।
#আনন্দের ক্ষণ কারন পম্পেই আসিতেছে দিনগুলো তাড়তাড়ি বয়ে যায়না কেন?
আশরাফুল কবীর
facebook
আহ ! মন ভরে গেল। এতো বছর আগেও কি অপূর্ব ছিল হাতের কারুকাজ , কি শৈল্পিক বোধ ! কি রুচি ! কত উন্নত জীবনাচরণ ! ভেবে অবাক হয়ে গেলাম !
এতদিন শুধু ভিসুভিয়াস-এর নাম শুনেছি । আজ সচিত্র তার ভয়াবহতার নজিরও দেখলাম । সেইসব মানুষগুলোর মুহূর্তের মাঝে কি পরিণতি হয়েছিল ভাবতেই গা শিউরে উঠল ।
আর সেই সব গবেষক কর্মীদের স্যালুট যারা এতো নিখুঁতভাবে শহরগুলোকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছেন ।
সেই সাথে তারেক অনুকেও হাটস অফ , তার চোখেই তো দেখতে পেলুম । আশা রাখছি আরও দেখার ।
অনেক অনেক শুভকামনা আপনার জন্য অনু ।
পরের পর্বে সেই মানুষগুলোরও ছবি দেখবেন!
কেবল ভিসুভিয়াস নিয়ে কিন্তু একাধিক পোষ্ট আছে।
facebook
অপেক্ষায় থাকলাম ।
facebook
মানুষ গুলো নাই হয়ে গেল … তাদের শেষ আনুভূতি গুলো কেমন ছিল … ভাবতেই ..
ভয়াবহ
facebook
নতুন মন্তব্য করুন