আমার প্রিয় কবি সেই ডাঙা ছেড়ে পৃথিবীর পথে রূপ খুঁজতে যান নি, যেই ডাঙার পথে পথে নির্জন অঘ্রাণে ছড়ায়ে থাকা বটের শুকনো পাতা এক যুগান্তের গল্প ডেকে আনে, বন্ধুদের বলেছিলেন- তোমরা যেখানে সাধ চলে যাও- আমি এই বাংলার পারে রয়ে যাব। বাংলার মুখ দেখে পৃথিবী রূপ খোঁজার ইচ্ছাও পোষণ করেন নি আর। মালাবারের সুনীল সমুদ্র, আর ঊটির পর্বতের শোভা দেখার আমন্ত্রণ অবলীলায় তিনি প্রত্যাখ্যান করেছেন বাংলার ভোরের দোয়েল পাখি দেখার জন্য, কুয়াশাস্নাত হবার জন্য।
কিন্তু সেই নির্জনতম কবিকে আমি আবিস্কার করি পৃথিবীর সবখানে- মেক্সিকোর চির হরিৎ বৃষ্টি অরণ্যে মাঝে হারিয়ে যাওয়া মায়ান নগরীতে, বাল্টিক সাগর তীরের এস্তোনিয়ায় যাযাবর পাখিদের ভিড়ে, হেলসিংকি বন্দরের নিশীথ সূর্যের সূর্যাস্তে, নেপলসের বনে দেখা বুনো ইঁদুরের দলে, ভূমধ্যসাগর তীরের গ্রীসের মোহময়ী গোধূলিতে, বিশ্বের উত্তরতম জনপদ স্পিটসবের্গেনে, ইংল্যান্ডের অবারিত ঘাসপ্রান্তরে, গাঙচিলের ডানায়, ক্যারিবিয়ান সাগরে, ঢাকার কংক্রিট অরণ্যে।
কবি কি এই সমস্ত দেখে, অনুভব করে তবেই না বলেছেন সারা জীবন বাংলাকে নিয়ে মেতে থাকার প্রত্যয়ের কথা? নাকি আমাদের মাঝে সেই বোধ ঢুকিয়ে দিয়েছেন যেন বিশ্বজগত দেখলেই তার শব্দমালা আপনা থেকেই ঠোঁটের আগায় চলে আসে?
এই পোস্টটি মেঘার জন্য। শুভ জন্মদিন মেঘা! ভালো থেকো, সুখে থেকো, বিশ্বের প্রতি কোণে পড়ুক তোমার পদচিহ্ন।
এই পাখিহীন নীলিমাবিহীন শাদা স্তব্ধতার দেশে
তুমি আর আমি দুই বিভিন্ন রাত্রির দিক থেকে
যাত্রা করে উত্তরের সাগরের দিপ্তির ভিতরে
এখন মিশেছি।
এখন বাতাস নেই- তবু
শুধু বাতাসের শব্দ হয়
বাতাসের মতো সময়ের।
কোনো রৌদ্র নেই, তবু আছে।
কোন পাখি নেই, তবু রৌদ্রে সারা দিন
হংসের আলোর কণ্ঠ রয়ে গেছে;
কোনো রাণী নেই- তবু- হংসীর আশার কণ্ঠ
এইখানে সাগরের রৌদ্রে সারা দিন।
যেইখানে বন
আদিম রাত্রির ঘ্রাণ
বুকে লয়ে অন্ধকারে গাহিতেছে গান!
অশ্বত্থের শাখা
করে নি কি প্রতিবাদ? জোনাকির ভিড় এসে
সোনালি ফুলের স্নিগ্ধ ঝাঁকে
করে নি কি মাখামাখি?
বলে নি কি: বুড়ি চাঁদ গেছে বুঝি বেনো জলে ভেসে?
চমৎকার!
ধরা যাক দু-একটা ইদুর এবার!
সূর্য কখন পশ্চিমে ঢলে মশালের মতো ভেঙ্গে
লাল হয়ে ওঠে সমুদ্দুরের ভিতরে নিভছে গিয়ে;
সে যে রোজ নেভে সকলেই জানে, তবু
আজো ডুবে যায় সময়মতন সকলের অজানিতে।
বেঁচে থেকে কোনো লাভ নেই, আমি বলি না তা।
কারো লাভ আছে,- সকলেরি; হয়তো বা ঢের।
ভাদ্রের জলন্ত রৌদ্রে তবু আমি দূরতম দেশের সমুদ্রের জলে
পেয়েছি ধবল শব্দ- বাতাসতাড়িত পাখিদের।
এখন এ পৃথিবীর গোধূলিসময় আর আমাদের হৃদয়ের যেন বেলাশেষ-
হৃদয়, অনেক বড়ো বড়ো শহর দেখেছ তুমি;
সেই সব শহরের ইটপাথর,
কথা, কাজ, আশা, নিরাশার ভয়াবহ হৃত চক্ষু
আমার মনের বিস্বাদের ভিতর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
দু-এক মুহূর্তে শুধু রৌদ্রের সিন্ধুর কোলে তুমি আর আমি
হে সিন্ধুসারস,
মালাবার পাহাড়ের কোল ছেড়ে অতি দূর তরঙ্গের জানালায় নামি
নাচিতেছে টারান্টেলা- রহস্যের; আমি এই সমুদ্রের পারে চুপে থামি
চেয়ে দেখি বরফের মতো শাদা ডানা দু'টি আকাশের গায়
ধবল ফেনার মতো নেচে উঠে পৃথিবীরে আনন্দ জানায়।
অনন্ত জীবন যদি পাই আমি - তাহ'লে অনন্তকাল একা
পৃথিবীর পথে আমি ফিরি যদি দেখিব সবুজ ঘাস
ফুটে উঠে - দেখিব হলুদ ঘাস ঝরে যায় - দেখিব আকাশ
শাদা হয়ে উঠে ভোরে
বাতাসে ধানের শব্দ শুনিয়াছি — ঝরিতেছে ধীরে ধীরে অপরাহ্নে ভরে;
সোনালি রোদের রঙ দেখিয়াছি — দেহের প্রথম কোন প্রেমের মতন
রূপ তার —
মন্তব্য
অসাধারণ!! চলুক, চলতেই থাকুক!!
ফারাসাত
facebook
শুভ জন্মদিন মেঘা !!!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
কেক্কুক কোথায়!
facebook
ধন্যবাদ দাদা। ফেসবুকে দেখি না কেন?
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
আপাতত তিব্বতের গুহায় ধ্যানে আছি !!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
ঐ মামুর বুটা, সেখানে ফেবু কাজ করে না, সচলের অবস্থাও সুবিধের না। তুমি কি গুম্ফাতে!
facebook
স্বামী হিমানন্দের হাই টেক গুম্ফা !! সিক্রেট !!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
facebook
এত কম ছবি ক্যান??
প্রতিবার ১০ টা করেই তো!
facebook
খুব বেশি সুন্দর। শেষ ছবি থেকে তিন নম্বর সীগালটার ডানা কাটা না গেলে আরো ভালো লাগতো।
মেঘাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই।
হা হা, ব্যাটা বেশী কাছে চলে এসেছিলো, হয়ত ঠোকর দিত।
facebook
ধুর্মিয়া!
খাইলেন না ক্যান?
সীগালের ঠোকর খাওয়ার সৌভাগ্য কয়জন মানুষের হয়?
শুভ জন্মদিন, মেঘা।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
facebook
ধন্যবাদ রু আপু
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
মারাত্মক!!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
facebook
হুম... বুড়ি চাঁদ গেছে বুঝি বেনো জলে ভেসে...
মেঘা আপুকে জন্মদিনে শুভেচ্ছা...
গেলই বা! নাহ, চাঁদের ছবি তুলতে হবে এবার!
facebook
ধন্যবাদ কড়িকাঠুরে
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
জন্মদিনের শুভেচ্ছা মেঘা!
facebook
ধন্যবাদ তুলি আপু
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
অপূর্ব বিন্যাস
।।।।। ঈয়াসীন
ধন্যবাদ
facebook
লা-জওয়াব!!
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
facebook
ওক্কে ! শুভ জন্মদিন মেঘা !
দারুণ পোস্ট। লা জওয়াব।
facebook
ধন্যবাদ নিলয়দা
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
* ঊটি সুন্দর কিন্তু তার চাইতে ভাল লেগেছিল কোডাইকানাল।
ছবি দেখান! না হলে ব্যানার দেন!
facebook
এই তো একটা সমস্যা - ক্যামেরা থাকেনা হাতে যখনই ঘুরতে যাই - কিন্তু বন্ধুদের কারো হয়ত থেকে থাকবে - পেলে জানাব। তবে স্মৃতি থেকে বলতে পারি কোডাইকানাল আপনার ভাল লাগবে - উটি গোছানো, কোডাই তুলনামূলক বন্য।
যেতেই হবে!
facebook
facebook
সুন্দর এবং সুন্দর! আনন্দে পূর্ণ থাকো, অণু।
শুভ জন্মদিন, মেঘা।
facebook
ধন্যবাদ সুমিমা আপু
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
এত্তডি মুগ্ধতা ভাইডি। অসাধারণ বলতে বলতে ক্লান্ত হয়া গেছি
ডাকঘর | ছবিঘর
facebook
ভাইয়াআআআআআ এতোগুলো খুশী হয়েছি। বিশাল বড় একটা থ্যাংকুশ
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
বিশাল বড় একটা কেক পাঠিয়ে দাও পার্সেল করে,
facebook
শুভ জন্মদিন মেঘা । সকল সাধ সত্য হোক শুভদিনে
অণু, বরাবরের মতই অদ্ভুত সব ছবি ও জীবনানন্দ ! কোনটা ছেড়ে কোনটা নির্বাচন করব ? কাজেই করছি না । সব ছবিতেই এক আকাশ তারা দিয়ে গেলাম ।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
facebook
মেঘা আপু, জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
facebook
নতুন মন্তব্য করুন