প্রতি বছর ডিসেম্বর মাস ফিরে আসল আমার বাবার কথা খুব মনে পড়ে, ১৯৭১ সালের শেষের দিকে, বাবার বয়স তখন হয়ত ২২ ছুঁই ছুঁই, নাকি আরও কম, জমাদার কৃষকের ছেলে, লেখাপড়া করে গ্রামের স্কুলের শিক্ষক হয়েছিলেন ( তখনো উচ্চ শিক্ষার্থে শহর অভিমুখে যাত্রা করেন নি), কিন্তু ১৯৭১এর সম্মুখ সমরের মুক্তিযোদ্ধা, অনেক অনেক বার বেঁচে গেছেন শত্রুর গুলী থেকে, যুদ্ধাহত প্রিয় বন্ধুকে পৌঁছে দিয়েছেন সীমান্তের অপর পারের হাসপাতালে, নয় মাস নাকি পরনে একটাই শার্ট ছিল, ভারতে ট্রেনিং নেবার সময় থেকে শুরু করে স্বাধীনতার লাল সূর্য আনা পর্যন্ত।
তার কথা খুব বেশী মনে পড়ে কারণ স্বাধীনতা যুদ্ধের গল্প তার কাছে আমাদের শোনা হয় নি! বয়স কম ছিল, রক্তময় অভিজ্ঞতার কথা, বীভৎস নারকীয়তার কথা আমাদের বলতেন না, যুদ্ধ মানেই যে আমরা জিতে গেলাম তা তো নয়, কত মায়ের কোল খালি হল, সোনার বাংলা শ্মশান হয়ে গেল তার খবর কে রাখে? তবুও জয়পুরহাট থেকে যখন মাঝে মাঝে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আবুল চাচা আমাদের বাড়ীতে বেড়াতে আসতেন, তখন দুই বন্ধু যুদ্ধের স্মৃতিচারণ করত বসার ঘরে, আড়ালে দাড়িয়ে শুনতাম মাঝে মাঝে, বুঝতাম না অনেক কিছুই! পেটের পীড়ায় আক্রান্ত অথচ ক্ষুধার জ্বালায় কাতর মুক্তিযোদ্ধা নিজের বমি ধুয়ে খেয়েছে এমন ধরনের কাহিনী কি বিশ্বাস হবার কথা?? কিংবা বাবা ঘুম থেকে উঠে যখন দেখেন তাবুর সবচেয়ে বাহিরের দিকে শুয়ে থাকা কিশোর যোদ্ধাটির করোটি ভেদ করে গেছে ঘাতকের বুলেট, নিঃশব্দে সে চলে গেছে অন্য ভুবনে, এও কি সম্ভব? তাদেরই এক আত্মীয়কে রাজাকার বাহিনীতে যোগদানের জন্য ন্যায্য শাস্তি হিসেবে নিকেশ করা হয়েছিল বাংলার মাটি থেকে- একি গল্প নাকি সত্যি? বাবা আর আবুল চাচা কি নিজের আত্মীয়ের রক্তে হাত রাঙাতে পারেন, যতই সে রাজাকার হোক? বিস্ময়ে ঘরের আড়াল থেকে নিজের মাঝে লুকিয়ে পড়ি, হিসাব মেলে না অনেককিছুরই। স্বাধীনতা যুদ্ধে ডিনামাইট দিয়ে এক ভবন উড়িয়ে দেবার সময় বিশাল এক খণ্ড কংক্রিটের টুকরো এসে পড়ে আবুল চাচার পায়ে, বিজয়ের খবর তিনি পেয়েছিলেন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায়ই, আজো খানিকটা খুড়িয়ে খুড়িয়ে হাঁটেন, হয়ত প্রতি পদক্ষেপেই বাংলার মাটি শান্তি পরশে কেঁপে ওঠে- বলে, এই সন্তানেরাই আমার জন্য রক্ত দিয়েছে।
আমার জানতে ইচ্ছে করে ১৬ ডিসেম্বর বাবা কী করছিলেন, জানা হয় নি এখনো, হয়ত এবার গ্রামে ফিরলে বেঁচে থাকা সহযোদ্ধাদের কাছে জানতে পারব, আমার জানতে ইচ্ছা করে ডিসেম্বর সদ্য জন্ম নেওয়া দেশটার জন্মের আগেই অন্ধ করে দিয়েছিল যে নরপিশাচেরা আমাদের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে, তাদের প্রতি কতখানি ঘৃণাবর্ষণ করেছিলেন তারা। কী শাস্তি হতে পারত বাংলার সেই কুলাঙ্গারদের তাদের হাতে?
হিমু ভাইয়ের লেখা একটি লাইনের কথা খুব মনে হয়- মানুষ ভাতের অভাবে দরিদ্র হয় যেমন, তেমনি দরিদ্র হয় কল্পনার অভাবেও। আমাদের দেশে কল্পনার চর্চা যাঁরা করেন, তাঁদের একজনের মৃত্যুই যেন জনপদের মৃত্যুর সমকক্ষ। এমন মানুষগুলোকে বেঁছে বেঁছে নৃশংস ভাবে খুন করল পাক হানাদার বাহিনী আল বদরদের সহায়তার, যোগসাজসে। একজন মুনির চৌধুরী, একজন শহিদুল্লাহ কায়সার, একজন জহির রায়হান, একজন আলতাফ মাহমুদ জন্ম নিলেন না গত ৪০ বছরেও, কতখানি পিছিয়ে গেছি আমরা একটা জাতি হিসেবে সেই ভয়ংকর নীলনকশার বাস্তবায়নের ফলে। ভাবতে পারেন যদি শামসুর রাহমান, মুহম্মদ জাফর ইকবাল, হুমায়ুন আজাদ না থাকতেন আমাদের মাঝে তাহলে কী অপূরণীয় ক্ষতি হত বাংলাদেশের?
কতখানি কাপুরুষ হলে, কতখানি নিষ্ঠুর হলে, কতখানি মানসিক বিকারগ্রস্ত হলে মানুষ এই কাজের কথা কল্পনাও করতে পারে? অবশ্য চৌধুরী মাইনুদ্দিনরা স্রেফ অমানুষ, জলজ্যান্ত পিশাচ। বাংলার সাধারণ জনগণ ধর্মভীরু, তাই তার তারা ধর্মের আড়ালে আশ্রয় নিয়েছে সবসময়ই, কিন্তু মনে রাখা উচিত এম আর আখতার মুকুলের আমি বিজয় দেখেছি বইতে বলা কিছু কথা --
১৬ই ডিসেম্বর, ১৯৭১ সাল। বাংলাদেশ তথা উপমহাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই দিনের বিশ্বের মানচিত্রে সৃষ্টি হলো, শুধুমাত্র ধর্মের বন্ধনের ভিত্তিতে প্রায় দেড় হাজার মাইলের দূরবর্তী দুটি ভৌগোলিক এলাকা নিয়ে একটি রাষ্ট্র টিকে থাকতে পারে না। এই সত্য প্রমাণিত হল যে, আধ্যাত্মিক জগতের ধর্মকে কখনই রাষ্ট্রীয় চৌহদ্দির মধ্যে আঁটকে রাখা কিংবা ক্ষমতাসীনদের সুবিধার জন্য রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা বাঞ্ছনীয় নয় এবং পরিণাম শুভ নয়। বাংলাদেশের অভ্যুদয় এর জলন্ত প্রমাণ।
বর্তমান বিশ্বের দিকে তাকালে দেখা যায় যে, ইরাক-ইরান, মিসর-লিবিয়া, পাকিস্থান- আফগানিস্তান, সিরিয়া - জর্দান কোথায় ধর্মীয় বন্ধনের নামে পারস্পারিক সংঘাত ঠেকানো যাচ্ছে না। একইভাবে একাত্তর সালেও ধর্মের জিগির তুলে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও বাঙালি মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াই বন্ধ করা যায় নি।
পাক হানাদার বাহিনীর চেয়েও আমি বহুগুণে ঘৃণা করি রাজাকার-আল বদর- আল শামস বাহিনীকে। যারা নিজের মাকে বিক্রি করে দেয় নরপশুর হাতে, নরপশুর চেয়েও তাদের অন্যায় অনেক অনেক বেশী। তারা অনেক বেশী ঘৃণার যোগ্য।
বাবা স্বাধীন বাংলায় রাজাকারদের বিচার দেখে যেতে পারেন নি, আশায় বুক বাধি- আমরা পারব।
চৌধুরী মাইনুদ্দিনসহ বুদ্ধিজীবী হত্যার সাথে জড়িত সকল নরপিশাচদের অভিশাপ দিচ্ছি,, অভিশাপ দিচ্ছি দেশমাতৃকার সাথে বেইমানি করা সকল রাজাকারকে-
আজ এখানে দাড়িয়ে এই রক্ত গোধূলিতে
অভিশাপ দিচ্ছি।
আমাদের বুকের ভেতর যারা ভয়ানক কৃষ্ণপক্ষ
দিয়েছিলো সেঁটে,
মগজের কোষে কোষে যারা
পুঁতেছিলো আমাদেরই আপনজনের লাশ
দগ্ধ, রক্তাপ্লুত,
যারা গনহত্যা
করেছে শহরে গ্রামে টিলায় নদীতে ক্ষেত ও খামারে
আমি অভিশাপ দিচ্ছি নেকড়ের চেয়েও অধিক
পশু সেই সব পশুদের।
ফায়ারিং স্কোয়াডে ওদের
সারিবদ্ধ দাঁড়
করিয়ে নিমিষে ঝা ঝা বুলেটের বৃষ্টি
ঝরালেই সব চুকে বুকে যাবে তা আমি মানি না।
হত্যাকে উতসব ভেবে যারা পার্কে মাঠে
ক্যাম্পাসে বাজারে
বিষাক্ত গ্যাসের মতো মৃত্যুর বীভৎস গন্ধ দিয়েছে ছড়িয়ে,
আমি তো তাদের জন্য অমন সহজ মৃত্যু করি না
কামনা।
আমাকে করেছে বাধ্য যারা
আমার জনক জননীর রক্তে পা ডুবিয়ে দ্রুত
সিড়ি ভেঙ্গে যেতে
ভাসতে নদীতে আর বনবাদাড়ে শয্যা পেতে নিতে
অভিশাপ দিচ্ছি আজ সেই খানে দজ্জালদের।
( অভিশাপ দিচ্ছি--- শামসুর রাহমান)
মন্তব্য
অভিশাপ সেই সব পশুদের।
facebook
ধিক্কার নেকড়ে-হায়েনাদের। সাথে ঘৃণা, অভিশাপ।
আজ পৃথিবীর মায়া কেটে চলে গেলেন হায়েনাদারে হাত থেকে যারা আমাদের বাঁচাতে এসেছিলেন তাদেরই একজন- উস্তাদ রবী শঙ্কর। তাঁর প্রতি রইল বিনম্র শদ্ধা।
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
facebook
শামসুর রাহ্মানই পড়ছিলাম, পড়ছিলাম এ আমার এক ধরণের অহংকার
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
facebook
আপনার বাবার জন্য অনেক
"আমি, আমরা অভিশাপ দিচ্ছি নেকড়ের চেয়েও অধিক
পশু সেই সব পশুদের। "
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
facebook
পাক হানাদার বাহিনীর চেয়েও আমি বহুগুণে ঘৃণা করি রাজাকার-আল বদর- আল শামস বাহিনীকে। যারা নিজের মাকে বিক্রি করে দেয় নরপশুর হাতে, নরপশুর চেয়েও তাদের অন্যায় অনেক অনেক বেশী। তারা অনেক বেশী ঘৃণার যোগ্য।
আপনার বাবা এবং বাংলাদেশের সকল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আভূমি কুর্ণিশ।
facebook
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হতেই হবে।
facebook
আমরা অসভ্য বলেই যুদ্ধাপরাধীরা এখনও বেঁচে আছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার না হওয়া অবধি আমরা অসভ্যই থেকে যাবো।
--- ঈয়াসীন
ঠিক
facebook
মনটা খারাপ হয়ে গেল।
এখন মন খারাপের সময় নয়, বিচারের সময়
facebook
দিয়ে বজ্জাতগুলারে ছ্যাচা দেওয়া দরকার আছিল
facebook
আমিও অভিশাপ দিচ্ছি নেকড়ের চেয়েও অধিক পশু সেই সব পশুদের
মুক্তিযুদ্ধের সময় যুদ্ধে যাবার সময় না হলেও একেবারে ছোটো ছিলাম না। চলাফেরা সময় রাস্তাঘাটে দেখেছি, হানাদার পাকি সৈন্যের সাথে তাল মিলিয়ে নিজদেশী শুয়োরদের ঘাতক কর্মকান্ড। দেখেছি, রাস্তার দুপাশে গলিত লাশের স্তুপ। মধুমিতা সিনেমার সামনে খড়ের স্তুপের মতো বড়ো লাশের স্তুপ দেখে বাবার হাত ধরে কেঁদেছি। নদীতে ভেসে যাওয়া লাশ দেখে দুর্গন্ধে নাক চেপে ধরেছি অনেকবার। এরপর ঘাটে ফিরেই দেখেছি শুয়োরদের ঘাতক চেহারা।
আমি যদি অভিশাপ না দিই, তাহলে কে দেবে অভিশাপ?
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
লিখে জানান আমাদের প্রজন্মকে সেই ঘটনাগুলো
facebook
বিচার হবেই!
মন থেকে অভিশাপ সকল নরপশুদের!
facebook
facebook
facebook
তোমার বাবাকে স্যালুট!
কাহিনীগুলো না জানার আফসোস থেকে যাবে জীবনময়
facebook
কবিতাটা পড়লাম। আপ্লুত।
বিচার হতেই হবে, আমাদের অভিশাপমুক্তির খাতিরেই।
facebook
শ্রদ্ধা রইলো মুক্তি সংগ্রামীর প্রতি
০২
সব কিছু শেষ হতে হতেও একসময় জেগে উঠে বোধ। সেই বোধ হয়তো জাগবে একদিন পৃথিবীর সবখানেই...
ডাকঘর | ছবিঘর
facebook
___________________________________
অন্তর্জালিক ঠিকানা
facebook
কিন্তু শুধু অভিশাপ দিতে চাই না, শাস্তি দিতে চাই! উচিত শাস্তি!! কঠিন শাস্তি!!
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
facebook
আপনার বাবা এবং আর সব মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি অনিঃশেষ কৃতজ্ঞতা আমাদের একটা স্বাধীন দেশে নিঃশ্বাস নেয়ার সুযোগ করে দেয়ার জন্য।
রাজাকার আলবদরদের অভিশাপ দিয়ে কোন কাজ হবে না, হলে এতদিনে এগুলো মাটিতে মিশে যেত। এই অমানুষগুলোকে দিতে ভয়ঙ্করতম শাস্তি।
ফারাসাত
facebook
এক সময় ছিল, আমি ঠিক বুঝে উঠতে পারতাম না- কুজন্মাদের কোন শাস্তি পেতে দেখলে আমি নিজে একটু হলেও স্বস্তি পাবো। দাঁত-মুখ কিড়মিড় করতাম। হাত-পা ছুড়তাম। কিন্তু কোনো কিছুই ঠিক মনমতো হতো না। তারপর একদিন পড়লাম এই কবিতা...
... সহ আরও কিছু লাইন...
কঠিন শাস্তি চাই...
facebook
বাবা এবং সব মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবেই হবে এ বাংলার মাটিতে।
__________
সুপ্রিয় দেব শান্ত
facebook
facebook
আপনার বাবার জন্য অনেক শ্রদ্ধা।
বুদ্ধিজীবী হত্যার কথাটা মনে পড়লেই আসলে আর মাথা ঠিক রাখতে পারিনা। কতটা পঙ্গু করে দিয়ে গেছে আমাদের।
শুধু অভিশাপ দিতে চাই না, এবার শাস্তি দেয়ার সময়।
facebook
আমার বাবা যখন কলেজে পড়ে তখন তাদের প্রিন্সিপ্যাল ছিলেন জি , সি, দেব। উনার কত গল্প যে বাবার মুখে শুনেছি! বড় হয়ে উনার শিশুর মত হাসিভরা মুখের ছবি দেখে ভেবেছি কতটা পিশাচ হলে ওই হাসি স্তব্ধ করে দেওয়া যায়।
facebook
আমৃত্যু অভিশাপ দিয়ে যাবো।
facebook
_____________________
Give Her Freedom!
facebook
যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য সরকার সোচ্চার- এটা পত্রিকায় পড়ে একটু স্বস্তি পেয়েছি। খুব দুঃখজনকভাবে একটা সত্যি কথা বলছি, যারা নিজেরা যুদ্ধে স্বজন হারায়নি বা বাস্তু থেকে উৎখাত হয়নি তাদের মধ্যে রাজাকারবিরোধী চেতনা নেই বললেই চলে। স্বাধীনতার পর ৪১ বছরে রাজাকাররা যেভাবে ফুলে-ফেঁপে উঠেছে এবং বংশবিস্তার করেছে তাতে এদের বংশধরদের হাত থেকে বাংলাদেশকে বাঁচাবে কে? এদের নেকড়েসুলভ চেতনায় উদ্বুদ্ধ লোকদের সুমতি কি করে আনা সম্ভব। জামাতের সুবিশাল অর্থনৈতিক ফাঁদ থেকে বাংলাদেশ আদৌ মুক্ত হতে পারবে কিনা কে জানে।
রাজনৈতিক বিরোধ নিয়ে অনেকেই কথা বলে। কিন্তু আমরা কি ভেবে দেখি এই বিরোধ আসলে কোন পর্যায়ে? আমার পর্যবেক্ষণ এই বিরোধ আসলে একেবারে কর্মী লেভেলে আর একেবারে শীর্ষ পর্যায়ে। মধ্যবিধ এবং ব্যবসায়ী সম্প্রদায় সব দলেই লিয়াজোঁ রাখেন। এই ডিসেম্বরেই আমার এক সহকর্মিনী আমাকে বিদ্রূপ করেছিলেন -
"যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে খুব চিন্তিত নাকি?" -এই বলে।
আমার উত্তর ছিল "'তবে কি চিন্তিত হওয়া উচিত নয়? এ নিয়ে যারা চিন্তিত নয় তাদের কি বাংলাদেশে থাকার অধিকার আছে?" সেই সময় অন্য ব্যস্ততা এসে যাওয়াতে আর কিছু বলতে পারিনি। তাছাড়া আমাদের ইউনিটপ্রধানও ছিলেন জামাতের। বেশি কিছু বললে আমার সমূহ বিপদ এবং সেখানে কাউকেই পাশে না পাওয়া প্রায় নিশ্চিত। কারণ জামাতের কিছু লোক এমন এমন নীতিনির্ধারণী জায়গায় বসে আছেন যে -এদের বিরুদ্ধে কিছু বলা মানে চিহ্নিত হয়ে ভাতে এবং প্রাণে মরা। অনেক পরিবারেই দেখেছি একেকজন একেক পার্টি করেন -আসলে ফায়দা নেওয়ার জন্য। এখানে আদর্শ বলে কিছুই নেই। আবার রাজনীতির বিকল্পও নেই। কারণ দুজন সংগঠিত লোকও দুশ জন বিক্ষিপ্ত জনতার চেয়ে শক্তিশালী। তাই আসলেই ভাবা দরকার এই পশুদের হাত থেকে কীভাবে দেশকে বাঁচানো যায়।
'
অফিস আদালতেও জামাতের কঠিন থাবা মনে হচ্ছে আজকাল
facebook
জামাত শিবিরের ভয়াল থাবা আবারও তারা দিতে চাই। মরিয়া হয়ে ওঠা এইসব শুয়োরেরা আজ বিভিন্নভাবে আমাদের জীবন বিপন্ন করার পাইতারা করছে। আজ মন থেকে ওইসব শুয়োরদের মূলোৎপাটনের জন্য অভিশাপ দিচ্ছি।
সতর্ক থাকতে হবে, রুখতে হবে পিশাচদের
facebook
অভিশাপে বিশ্বাস নেই। চাই উপযুক্ত শাস্তি।
যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...
facebook
ফায়ারিং স্কোয়াডের সামনে নিয়ে যাক,আমার সামনে আমৃত্যু ঝুলিয়ে রাখুক।
পশুদের দেহগুলো নিথর হয়ে গেলেও আমার ঘৃণা জেগে থাকবে,অভিশাপ জেগে থাকবে।
facebook
শুধু অভিশাপ নয় আরও আরও কঠিন শাস্তি চাই
facebook
অভিশাপ নয়,চাই আরও আরও কঠিন শাস্তি
facebook
শুধুই ঘৃণা তাদের জন্য।
facebook
অনু ভাই, দেখেন আপনার অই অভিশাপ লেগে গেছে। দেখেন আজ কোটি বাঙ্গালীর গ্রিণা অই অভিশপ্তদের মৃত্যু হয়ে নেমেছে সারা বাংলায়। ফাঁসি না দিয়ে তো বারি যাব না ভাই।
শরিফ মির্জা
নতুন মন্তব্য করুন