উত্তর মেরু যে একদা গিয়েছিলাম সেই কথা আমার ক্রমাগত ঢোলের বাড়ীতে মনে হয় না কারো জানতে বাকী আছে, সেই মূল অভিযান এবং তার শাখা-প্রশাখা নিয়ে একাধিক পোস্ট পর্যন্ত আছে সচলায়তনেই, দেখুন- উত্তর মেরুর ম্যারাথন, সুমেরুর যাত্রী, মেরু ভালুকের দেশে, উত্তর মেরুর আলোকচিত্র প্রদর্শনী - আরও একাধিক থাকতেও পারে, আপাতত মনে পড়ছে না। কিন্তু মনে হল সুমেরু অভিযানের সময় যে জায়গাটিতেই মূলত আমরা ছিলাম, যেখানে ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছিল, তাবু পর তাবু মিলে তৈরি করেছিল এক ভিনগ্রহের আবহ- সেই জায়গাটি নিয়ে কথা না বললে মেরু অভিযানের বর্ণনা পূর্ণতা পাচ্ছে না, তাই আজকের যাত্রা মেরু ক্যাম্প বার্নেও নিয়ে যা উত্তর মেরু বিন্দু থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত ( সুমেরু বিন্দু থেকে অবশ্য সব দিকই দক্ষিণ!), সাথে পড়ে নিন কয়েক প্রস্থ কাপড়-চোপড়, যদিও সময়টা ভরা গ্রীষ্ম, চোখে রোদ চশমা, মাথায় টুপি, পায়ে বিশেষ জুতো- প্রস্তত- চলুন তাহলে-
89°31.5′N 30°27′W. তে অবস্থিত ২০০২ সালে আইস ক্যাম্প বার্নেওর যাত্রা শুরু হয় রাশিয়ান জিওগ্রাফিক সোসাইটির অর্থায়নে, সাধারণত প্রতি বছরের এপ্রিল মাসে একে নতুন করে গড়ে তোলা হয়, একটি রেডিও ষ্টেশনের নামে এর নামকরণ করা হয় বার্নেও। বেশ কিছু তাবু ফেলে মরুভূমির মাঝে মরূদ্যান তৈরি করেই কিন্তু বার্নেওর দায়িত্ব শেষ নয়, রীতিমত বুলডোজার এনে বিমান উঠানামার জন্য রানওয়ে তৈরি করা হয়, এছাড়া আছে হেলিপ্যাড স্থাপন, শত অভিযাত্রীর খাদ্য-পানীয়ের সাথে সাথে শৌচাগারের ব্যবস্থা করা। আর প্রতিবছর এর স্থাপনা সম্পূর্ণ ভাবে নির্ভর করে সেই বছরের পোলার আইস প্যাক বা উত্তর মহাসাগরের পুরুত্ব ও গঠনের উপর।
লঙইয়ারবিয়েন বিমানবন্দর থেকে বিশেষ ধরনের আন্তনভ বিমান আমাদের যাত্রা শুরু হয়েছিল, এই বিমানটি ভাসমান বরফপিণ্ডের উপর অবতরণ এবং সেখান থেকে উড্ডয়নে সক্ষম, ওঠা এবং নামার মাঝে চুলচেরা বিপদ হলে উত্তর মহাসাগরের ঠাণ্ডা জলরাশির স্পর্শে ধরাধাম ত্যাগ করার সমূহ সম্ভাবনা।
বিমানে উঠেছিলাম সন্ধ্যের আগে, কিন্তু যতই উত্তর দিকে যেতে থাকি, আলো ততই তীব্র হতে থাকে! পাইলটের ঘোষণায় জানা গেল অল্পক্ষণের মাঝে আইস ক্যাম্পে পৌঁছানো হবে, কিন্তু জানালা দিয়ে বাহিরে তাকালে শুধু চোখ জ্বালা করা সাদা প্রান্তর ছাড়া আর কিছু নজরে আসে না।
আগে থেকে তৈরি করে রাখা বরফের রানওয়েতে বিমান নামল বেশ মসৃণ গতিতেই, অবশ্য মহাসাগরের উপরে ল্যান্ডিংটা ক্র্যাশ ল্যান্ডিং হবে নাকি সে নিয়ে মৃদু রোমাঞ্চ কাজ করছিল সবার মাঝেই। দরজা দিয়ে বাহির হবার পরপরই মুখে থাবড়া দিল হিম শীতল বাতাস, একেবারে মগজের যেয়ে ছুরি ঢোকাল যেন! অথচ তখন গ্রীষ্ম কাল সুমেরুতে! তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে মাত্র ২৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস, চরম শীতে অবশ্য হিমাঙ্কের নিচে ৭০ ডিগ্রীও নামে, এবং তখন চারিদিক থাকবে ঘুটঘুটে আঁধারে ঢাকা!
বিমানে যাত্রী এবং মাল-সামান প্রায় একসাথেই ছিল তাই যে যার ব্যাকপ্যাক আর সাইকেল নিয়ে রওনা হয়ে গেল দলপতি রিচার্ড ডনোভানের দেখানো তাবুতে ( দূরপাল্লার দৌড়ে রিচার্ড কয়েকটা বিশ্ব রেকর্ডের মালিক, ম্যারাথন নিয়ে পোস্টে তার কিছু কীর্তির উল্লেখ করা হয়েছে)। বিশাল তাবু, একেক দিকে কয়েকটা করে বিছানা ফেলা, যন্ত্রের মাধ্যমে উষ্ণ রাখা হয়েছে, তারপরও তাপমাত্রা ১৫ থেকে ২০ ডিগ্রী সেলসিয়াস ( অনেকটা বাংলাদেশের শীতের মত!) তাই ব্যাগ রেখে শরীরের উপরে চাপানো কয়েক প্রস্থ কাপড়সই চললাম বাকী এলাকাটা চিনে নিতে। অনেক কোম্পানিই এখন উত্তর মেরুতে যাওয়ার বাণিজ্য নিয়ে উৎসাহী, কেউ হেঁটে যায়, কেউ কুকুরটানা স্লেজে চেপে, কেউ বা স্কি করে, অন্যরা আমাদের মত ম্যারাথন দৌড় দেবার পরে হেলিকপ্টারে চেপে। এবং তাদের অধিকাংশেরই ঘাঁটি এই আইস ক্যাম্প, এখানেই ঘাঁটি গেড়ে সেখান থেকে মূল অভিযানগুলো পরিচালনা করা হয়।
প্রথমেই খাবার ঘরে যাওয়া হল, ঘর বলে আসলে আলাদা কিছু নেই দুনিয়ার এই প্রান্তে, সবাই নানা আকৃতির, নানা রঙের তাবু। কিছু রং চটা কাঠের বেঞ্চি-টেবিল, এখানে ধোঁয়া ওঠা স্যুপ সহ অন্যান্য খাবার মিলবে আগামী ৬০ ঘণ্টা, সেই সাথে এন্তার চা-কফি।
তারপর টয়লেট দেখা হল, এক রাশান মহিলা ভীষণ শাপ-শাপান্ত করে বললে খবরদার যেখানে সেখানে মূত্র বিসর্জন চলবে না, এখানে যে ঝকঝকে রোদ বলেই সবাই তোমাকে সেই সময় দেখতে পাবে কেবল তাই-ই না বরং যেখানেই সেই তরল পড়বে সেইখানের বরফ হলুদ হয়ে থাকবে অনেক অনেকক্ষণ! আমরা ঠিকই বুঝে যাব কোন অলস ব্যাটা এই কাজটা করেছে। আর গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে তোমাদের রান্নার, খাবার জল কিন্তু এই বরফ গলিয়েই হবে কাজেই যদি সেখানে হলদে বরফ আছে সেই দায় তোমাদের! সাবধান!!
আর কি সেই টয়লেট, কোন মতে দাড় করানো একটা টিনের ঘর, বরফের গর্ত করে তার উপরে বসানো। একবার ভুল করে ঢুঁকে নিচের দিকে তাকাতেই পেটের ভিতরে এমন গুলিয়ে উঠল যে ট্রাউজার না নামিয়ে ছোট একটা চিৎকার দিয়ে বেরিয়ে আসলাম, সারা বিশ্বের বিদঘুটে বর্জ্যগুলা মনে হয় সেখানে স্থান নিয়েছে! চরম উদাস দা না হলেও তারই মত কোন উর্বর মস্তিস্ক প্রফেশনাল ফাজিল সেখানে নিশ্চয়ই উপস্থিত ছিল কারণ সেই গা গুলিয়ে ওঠা দৃশ্য আবার ভিডিও করে সে ইউ টিউবে ছেড়েছে! বিশ্বাস হল না? দেখুন নর্থ পোল টয়লেট লিখে ইউটিউবে।
গোসলের সুযোগ বলতে এখানের বৈমানিক এবং কর্মচারীদের কপালে যা জুটে তাই-ই, খালি গায়ে ডলে ডলে তুষার ঘসা! ইউটিউবে তারও ভিডিও আছে! দেখেই গোসলের ইচ্ছা উবে গেল সেই সময়টুকুর জন্য। সোজা সেধিয়ে গেলায় রান্নাঘরের পাশের ছোট তাবুতে, সেখানে উত্তর মেরু এবং ক্যাম্প বার্নেওর নানা স্মারক বিক্রি হয় চড়া দামে। যেহেতু আশেপাশের কয়েক হাজার মাইলের মাঝে কোন দোকান নেই তাই দাম বিদঘুটে ধরনের বেশি।
আছে সেখানে অনেক কিছুই- চকলেট থেকে শুরু করে হুইস্কির বোতল সবই। আর একটা ছোট টেবিল চারটে সিল, সেগুলোতে ক্যাম্প বার্নেও এবং উত্তর মেরু অভিযানের নানা চিহ্ন খোদাই করা, অভিযাত্রীরা ইচ্ছে করলে তাদের পাসপোর্টে সিলগুলো মেরে নিতে পারেন। মেরু থেকে ফেরার পরে আমার এবং ইনাম ভাইয়ের পাসপোর্টেও সিলগুলোর স্মৃতি নিয়ে এসেছিলাম, কোনটাতে ছিল হেলিকপ্টারের চিহ্ন, আবার গর্জনরত ভালুকের ছাপ, একটাতে রাশান ভাষায় বার্নেও লেখা এবং মেরু পৌঁছানোর তারিখ লেখা।
এরপর সবাই মিলে পতাকা উত্তোলন করা হল সারি বেঁধে।
মাঝে এক স্তম্ভের সাথে মোলাকাত, যেখানে রাশানে কয়েকটি শহরের নাম এবং সেটি কতদূরে অবস্থিত তা লেখা আছে-
সমস্যা হত চশমার কারণে, মাঝে মাঝে দুইটি কাঁচই ঝাপসা হয়ে যেত মুখে থেকে নির্গত বাতাসে, কখনও বা একটি কাঁচ!
তবে এর মাঝে লাল ঝুঁটি নীল টিয়ার মত ঘোরাঘুরি করতাম সমানে-
ক্যাম্প ছেড়ে দূরে একা যাবার নিয়ম নেই, অবশ্য সবদিকই এক মনে হয়, বিশ্বটায় যেন তুষারে মোড়া একটা বল, কম্পাস অবশ্য এখানে কাজ করে ( কম্পাস কাজ করে না চৌম্বকীয় মেরুতে যা কিনা সবসময় অবস্থান পরিবর্তন করে), আর এমনিতে সময়ও খুব কম।
ম্যারাথনেই অনেক সময় চলে গেল, এরপর ক্লান্তিতে যাও বা একটু ঘুমোলাম, ভুবন ফাটানো এক চড়াৎ শব্দে জেগে উথলাম হতভম্ব হয়ে, ব্যাপার কী? চিৎকার চেঁচামেচি শুনে বাহির হয়ে দেখি এক বিশাল ফাটল তৈরি হয়েছে সমুদ্রে, আদিগন্ত বিস্তৃত তার রাজত্ব! খুব একটা চওড়া হতে পারে নি এখনও, তাই উপরিপৃষ্ঠের জল দ্রুত জমে বরফ হয়ে গেছে বটে কিন্তু আবার যদি বরফপিণ্ড গুলো নিজেদের মধ্যে সোহাগ বিনিময় করতে আসে তাহলে কী হবে বলা যাচ্ছে না! পরের দিন অবশ্য ক্যাম্পের অন্য পারেও এমন আরেকটা ফাটল দেখা দিয়েছিল, আমরা ভাবছিলাম ঘুমন্ত অবস্থায় যদি তাবুর ঠিক নিচে এমন ফাটল দেখা দিত তাহলে যেতাম কোথায়?
অবশ্য বৈশ্বিক উষ্ণতা ক্রমাগত বৃদ্ধির কারণে সুমেরু অঞ্চলে এমন ফাটলের সংখ্যা বাড়ছে প্রতি বছরই, বিজ্ঞানীরা এমনও আশঙ্কা করছেন যে হয়ত ২০৩০ সালে পোলার আইস ক্যাপ সম্পূর্ণ গলে যাবে, এবং তার আগে থেকেই হয়ত কোন গ্রীষ্মে পর্যটকটা স্রেফ জাহাজে করেই সুমেরু বিন্দু যেতে পারবে! কী ভয়াবহ কথা!
আর মেরু দেশের নিয়ম মেনে সূর্যের উপস্থিতি ছিল দিনে ২৪ ঘণ্টা। সে সুন্দর করে মাথার উপরে একবার করে ৩৬০ ডিগ্রী ঘুরে আসত, অস্ত বা উদয়ের প্রশ্নই আসে না। চিন্তা আসল যারা সূর্য এবং চন্দ্রের উপরে নির্ভর করে নানা ধরনের ধর্ম পালন করে তারা এই জায়গাতে আসলে কী করে উপাসনা করবে? সূর্য থাকে আকাশে ছয় মাস, চাঁদ ছয় মাস, এমন সৃষ্টিছাড়া জায়গা তো আর তথাকথিত পবিত্র গ্রন্থগুলোর রচয়িতাদের জানা ছিল না, কাজেই সেখানে গেলে কী করে দেবতার মান ভাঙ্গানো যাবে তার কোন হদিশও মেলে না।
চির কৌতূহলী ইনাম ভাই ভাষার বিন্দুমাত্র তোয়াক্কা না করে স্থানীয় ( মানে রাশান পাইলট)দের সাথে জটিল আড্ডা পিটিয়ে আসলেন, তারা রীতিমত ম্যাপ এঁকে বুঝিয়ে দিল রাশিয়ায় গেলে কী করে তাদের খোঁজ করতে হবে, এবং তাদের গ্রাম এই মেরুর চেয়ে কত সুন্দর!
আর একদিন যাওয়া হল বিমানের অবতরণের ছবি তুলতে-
এমন করেই চির ঊষর প্রান্তর থেকে ফেরার সময় হয়ে এল, ফেরার আগে সাদা গ্রহে পতপত করে উড়তে থাকা লাল- সবুজ পতাকাটা খুলতে যেয়েই বিশাল এক বোকামো করে বসলাম, যদি বিমান ছেড়ে দেয় তাই তাড়াহুড়োয় হাতের দস্তানা খুলে পতাকা যে ধাতব দণ্ডে বাঁধা ছিল তা হাত দিয়ে ধরে পতাকার গিঁট খোলার মতলব করতেই – আর কী! হাত যেন চুম্বকের মত সেই ধাতব দণ্ডের সাথে লেপ্টে গেল! সেই সাথে মনে গেল হাতে যেমন আগুনের ছ্যাকা লেগেছে তেমন সারা দেহ যেন ঠাণ্ডা হয়ে গেছে। অনেক ঝাকিয়েই সেটা ফেলতে পারছি না, মনে হচ্ছে জোর করলে হাতের চামড়া ছিলে যেতে পারে-
ছ্যাঃ ছ্যাঃ ছ্যাঃ! এমন ভুল কেউ করে! তাপবিদ্যায় সবচেয়ে সাধারণসূত্র পরিবহন ভুলে গেছিলাম!, মুহূর্তের মাঝে আমার দেহের সমস্ত তাপ সেই ধাতব পতাকা দণ্ডে চলে গেছে! কী বিষম যন্ত্রণা! পরে অনেক ঝামেলা করেই হাত ছাড়াতে হল ( এমন দুর্মতি যেন আপনাদের কারো না হয়!), তখন আমরা ফেরার পথে বরফরাজ্য থেকে—
( যে মানুষগুলোর আত্নত্যাগের বিনিমিয়ে লাল-সবুজ পতাকাটি অর্জিত হয়েছিল, তাদের জন্য হৃদয় নিংড়ানো শ্রদ্ধা। )
মন্তব্য
উত্তরমেরু ঘুরে এলাম।
কিভাবে ছিলেন অনুদা, আমার তো দেখেই ঠাণ্ডা লাগছে। আর এত বেশী সাদা, ছবিতেই চোখ ঝলসিয়ে যাচ্ছে, সামনা সামনি না জানি কি !!!
দেখা যাক, অদূর ভবিষ্যতে হয়ত আপনার জাহাজে করে উত্তর মেরু ভ্রমনের পোস্ট পাব। অপেক্ষায় বসলাম।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
বিয়াপক ঠাণ্ডা! নথ বেঙ্গল ফেইল!
facebook
সূর্য থাকে আকাশে ছয় মাস, চাঁদ ছয় মাস, এমন সৃষ্টিছাড়া জায়গা তো আর তথাকথিত পবিত্র গ্রন্থগুলোর রচয়িতাদের জানা ছিল না, কাজেই সেখানে গেলে কী করে দেবতার মান ভাঙ্গানো যাবে তার কোন হদিশও মেলে না।
আহা! কি একটা কথা মারলেন অণু দা একবারেই ভালো লাইগা গেলো।
মুগ্ধ হয়ে পড়লাম আর ভাবতাছি জাহাজে চড়েই মনে হয় যেতে হবে সেখানে।
শুভ্র নিপাট ভদ্র এলাকা ভয়ঙ্করও কম না।
পাপলু বাঙ্গালী
বিপদা চারিদিকেই, সুমেরু খুবই ভয়ংকর জায়গা, কিন্তু রোমাঞ্চকর।
facebook
লাল-সবুজের জন্য হৃদয় নিংড়ানো শ্রদ্ধা
(অফটপিক - ভাগি্যস হাত দিয়ে পতকাকার দন্ড ধরছিলেন, অন্য কিছু না )
অন্য কিছু কিভাবে সম্ভব ভাবার চেষ্টা করছি ।।।
facebook
লন , মজা লন
facebook
সাউথ পোলেও পতাকাওলা ছবি চাই।
..................................................................
#Banshibir.
ঠিক,
facebook
বিজয়ের এই দিনে বাংলাদেশের উত্তরমেরু বিজয়ের কাহিনী! অসাধারণ অণুদা।
কতদিন পরপর আপনার পাসপোর্ট বদলানো লাগে, জাতি জানতে চায়--
পৃথিবীর উত্তর প্রান্তে যে আলোর-আলেয়ার নানা রঙের খেলা চলে, একটানা দিন বা রাত বা সন্ধ্যা চলে, সময় যেখানে সত্যিই এক বৈজ্ঞানিক ধাঁধা সেখানে যেতে মন চায়। মৃত্যুর আগে সেখানে একবার অন্তত যেতে চাই আমি।
আমার ঘোরাঘুরি, বাউন্ডুলে হবার সখ সেই ছোটবেলা থেকেই ছিল অণুদা, আপনার এইসব কান্ড-কীর্তিতে সেটা উসকে যাচ্ছে খালি, জীবন বড়ই বেদনাদায়ক!
জীবন বড়ই সৌন্দর্য!
facebook
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
facebook
আপনের কোন দেশে এখনো যান নাই ???
অনেক অনেক তার সংখ্যা
facebook
সাবাস বাঙালি, সাবাস তারেক অনু।
ধন্যবাদ ভাই
facebook
চরম উদাস বলেছেন
চউ দার কথায় কান দিবেন না
facebook
সাউথ পোলে এই হাসিমাখা মুখটা কবে দেখা যাবে হে ??
ডাকঘর | ছবিঘর
চাচ্ছি তো কালকেই, কিন্তু হচ্ছে না আপাতত
facebook
কী চমেৎকার দেখা গেল!!!
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
হায় হায় ত্যাড়ানা আছেন নেটে? ফেবু বন্ধ দেখলাম যে!
facebook
শুনলাম আপুর কাছে, দেশে আসিতএছেন। আসলে জানায়েন। সাক্ষাতে বাকি কথা হবে!
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
ওকে দকি! সামনে মাসে-
facebook
দন্ড হাতে দন্ডায়মান ঘনুদা !!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
মজা লস! এক চটকানা দিমু, নিঠুর পিথিমি
facebook
হা হা হা !!! হাসি থামতেই পারছিনা !!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
facebook
চমৎকার!
দুনিয়ার আর কোথায় কোথায় এখন পর্যন্ত পতাকা পুঁতেছেন?
****************************************
আছে আছে, বলব আস্তে আস্তে
facebook
যেদেশে বর্ষা নাই, সেইটা কোনো দেশ হইলো?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এই জন্যই তো ইহা দেশ দূরে থাক, মহাদেশও নয়
facebook
facebook
facebook
আমি শীতকাতুরে ভেতো(ভীতুও) বাঙালী, কেমন যেন শীত শীথ লাগছে।
তবে পর্যটক লেখকটির জন্য-
শীত শুধু! পুরাই হিম
facebook
ছবিগুলো সুন্দর বরাবরের মতই, মন চায় ঘুরতে বের হই। ছাত্রজীবনে যে রেটে ঘুরেছি কর্মজীবনে তা যদি বজায় থাকত অর্ধেক দুনিয়া ঘুরা হয়ে যেত।
''দিবাকর''
ঘুরতে ইচ্ছে করে সবসময়ই
facebook
তোমায় করি নমস্কার।
চমৎকার!
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
শীতের ছবি কোথায়?
facebook
ভাই ওইখানে তারিখ হিসাব করে কিভাবে?? জানতে মন চাইল।
ঘড়ি আর ক্যালেন্ডার দেখে
facebook
নতুন মন্তব্য করুন