বার্নাকল আপাত দৃষ্টিতে নিরীহ এক প্রাণী, যে কিনা অন্য কিছুর সাথে লেপটে থেকে, তা হোক জীব বা জড়, জীবন অতিবাহিত করে। প্রাচীন কালে নাবিকদের কাছের আতঙ্ক ছিল এই ক্ষুদে জীবগুলো, প্রায়ই নৌকার নিচে বিশাল আস্তর পড়ে যেত তাদের, দেখা গেল পালের জাহাজ আটকে যেন অগভীর সমুদ্রে। বালুচরাতে উঠিয়ে তখন জলযানের নিচে থেকে ছেঁচে তুলে ফেলা হত সমস্ত বার্নাকল। এখনও হ্যাম্পবাক তিমি সহ নানা বিশাল জলজ প্রাণীর মুখে দেখবেন চিত্রবিচিত্র এই ক্ষুদের প্রাণীগুলো লেগে থাকে, তিমির মত শক্তিশালী প্রাণীরও সামর্থ্য হয় না তাদের ফেলে দেবার।
চার্লস ডারউইন নামের তরুণ প্রকৃতিবিদ পাঁচ বছরের বিশ্ব ভ্রমণ শেষে বিলেতে ফিরে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন দীর্ঘ সফরে সংগৃহীত নানা নমুনা নিয়ে, মহাদেশ- মহাসাগরের পতঙ্গ, মাছ, সরীসৃপ, পাখি, প্রবাল, পাথরের নমুনা, কোটি বছর আগে জীবাশ্ম কী নেই সেখানে! জাদুঘরে সেগুলোর সংরক্ষনের ব্যবস্থা, পর্যবেক্ষণ করে নতুন তথ্য আবিস্কার এই সব গুরুত্বপূর্ণ কাজে ৬-৭ বছর চলে গেলে, অবশেষে ১৮৪৬ সালে ১ অক্টোবর ডারউইন সংগ্রহের দক্ষিণ আমেরিকার দেশ চিলির উপকূলে পাওয়া একটি মাত্র বার্নাকল নিয়ে তার প্রজাতি নির্ধারণে কাজ শুরু করলেন, ইতিমধ্যেই বাকী সব বার্নাকল নিয়ে সন্তোষজনক কাজ শেষ হয়ে গেছিল, এক একটি বিশেষ জাতের বার্নাকল, যার নাম তিনি দিয়েছিল “Mr. Arthrobalanus”, , অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে পর্যবেক্ষণের সময় ডারউইন দেখলেন এই বিশেষ বার্নাকলটির অন্যগুলোর মত দেহের বাহিরের শক্ত খোলস নেই, কিন্তু কেন? এই নিয়ে কাজ করতে যেয়েই ডারউইন একের পর এক নব আবিস্কারে মেতে ওঠেন, চেষ্টা করতে থাকেন যতদূর সম্ভব বার্নাকল সম্পর্কে জানার, দীর্ঘ ৮ বছর পরে হাজার হাজার প্রজাতির বার্নাকল নিয়ে ইয়া মোটা মোটা চারটি ভলিউমে লিপিবদ্ধ করার মাধ্যমে শেষ হয় একটি বার্নাকল নিয়ে তার গবেষণার পর্ব!
এই হচ্ছেন চার্লস ডারউইন, যার সম্পর্কে ডেভিড অ্যাটেনবোরো বলেছেন সারা জীবনই ডারউইন তাকে প্রকৃতি উপভোগ করতে এবং এর রহস্য উদঘাটনে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন, ডারউইন ছিলেন পৃথিবীর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ পর্যবেক্ষকদের একজন। আর দশজন মানুষ যেভাবে ফুলের সৌন্দর্য, পতঙ্গের উড়াল, পাখির ডানা ঝাপটানি দেখেই সন্তুষ্ট থাকত, ডারউইনের চোখে সেই কাজগুলোই ধরা দিত নানা প্রশ্নের রূপে, প্রকৃতিতে প্রাপ্ত প্রমাণ দিয়ে তিনি চুলচেরা উত্তর খুঁজতেন সেই প্রশ্নগুলোর। অনেকেই মনে করেন বিপুল ভ্রমণের মাধ্যমেই প্রকৃতির মাঝে জীবনের উদ্ভব এবং বিস্তারের রহস্যভেদের জ্ঞান পেয়েছিলেন ডারউইন, কিন্তু সত্যি কথা হচ্ছে তিনি ভ্রমণ করেছিলেন মাত্র ৫ বছর, বাকী সময়টুকু তিনি চিন্তায়, গবেষণায় ব্যয় করেছিলেন স্বদেশে বসে, বিশেষ করে কেন্টের বাড়ীতে যেখানে ৪০টি বছর তিনি সারা পৃথিবী থেকে প্রাপ্ত নমুনাগুলো প্রবল নিষ্ঠা নিয়ে পর্যবেক্ষণ করেছেন, বারংবার প্রশ্ন করেছেন প্রচলিত জ্ঞান কে, উত্তর খুঁজেছেন প্রমাণের মাঝে, অবশেষে গ্রহণযোগ্য উত্তরে পৌঁছেছিলেন পর্যবেক্ষণের মাধ্যমেই।
তার প্রকৃতিকে কেবল মুগ্ধতাপূর্ণ নয়, বরং বিজ্ঞানের আলোকে অন্য ভাবে পর্যবেক্ষণের নমুনা অবশ্য আমরা দেখতে পাই দক্ষিণ আমেরিকায় এক বিশেষ ধরনের লম্বা ফুল পাবার পড় যখন তরুণ বিজ্ঞানী জানান এই ধরনের ফুলের প্রজননের জন্য অবশ্যই বিশাল লম্বা শুঁড়ওয়ালা পতঙ্গ থাকতে হবে অথবা লম্বা ঠোঁটের পাখি। তখন অনেকেই এই কথা হেসে উড়িয়ে দিলেও অনেক অনেক বছর পরে পাওয়া গেছিল সোর্ড বিল হামিংবার্ডের দেখা, নির্ভুল ভাবে প্রমাণিত হয়েছিল ডারউইনের ধারণা।
চার্লস ডারউইন যে আমার প্রিয় ভ্রমণ লেখক তা বলেছি এই পোস্টে, আফসোস যে বাকী জীবন যথেচ্ছ ভ্রমণ করবার মত সময় ছিল না তার, বিশ্বসাহিত্য বঞ্চিত হয়েছে তার জার্নি অফ দ্য বিগলের মত একাধিক মাস্টারপীস থেকে। সেই সাথে তার রচিত সবচেয়ে বিখ্যাত এবং কালজয়ী বই অরিজিন অফ স্পেসিসের কথা বলাই বাহুল্য। সমগ্র মানব সভ্যতাতে আর কোন বই এতটা প্রভাব ফেলেনি যতটা ফেলেছে অরিজিন অফ স্পেসিস, জীবনের উদ্ভব এবং বিকাশের রহস্য ব্যাখ্যা করার সময় সারা বইতে মানবজাতি উৎপত্তি নিয়ে তিনি অবশ্য একটি মাত্র বাক্য লিখেছিলেন- "Light will be thrown on the origin of man", ব্যস এতেই কূপমণ্ডূক রক্ষণশীল সমাজ বিশেষ করে ধর্মীয় গোষ্ঠী তার উপরে ক্রোধান্ধ হয়ে শুরু করল বিষেদাগার। বিচলতি হন নি জ্ঞানতাপস ডারউইন, তিনি জানতেন সেই মোল্লাদের ক্রোধের কারণ- মানুষ যখন মানবজাতির উৎপত্তি সম্পর্কে সম্মক জ্ঞান লাভ করবে তখন আপনা থেকে ধসে পড়বে কুসংস্কার আর আজব রূপকথায় ভরা ধর্মগুলো। তাই ধৈর্যশীল মানুষটি কাজের মধ্যে ডুবে থেকে লিখলেন The Descent of Man, মানবজাতির উদ্ভব এবং বিবর্তন নিয়ে।
আর যায় কোথায়? বানরজাতীয় প্রাণী এবং মানুষের আদি পূর্বপুরুষ এক ছিল এমন সত্যের সম্মুখীন হতে ভয় পেল তাবৎ ধর্মীয় গোষ্ঠী সহ অনেক সাধারণ মানুষই, ডারউইনকে নিয়ে চলল ব্যঙ্গ, বিদ্রূপ, মুর্খামি ভরা প্রচারণা। মানুষ অন্য সকল প্রাণীর চেয়ে শ্রেষ্ঠতর এমনটাই সাধারণত মনে করা হত সকল যুগে, ভাবা হত কল্পিত ঈশ্বর মানুষের সুখের এবং সেবার জন্যই নির্মাণ করেছেন সকল প্রাণীদের- সেখান থেকে বিবর্তনের ধারণায় বলা হল আমাদের সবারই আগমন আদি প্রাণ থেকে, পরিবেশ অনুযায়ী টিকে থাকার তাগিদের সমস্ত পরিবর্তন ঘটে কোটি কোটি বছরের বিবর্তনে কেউ পরিণত হয়েছে কচ্ছপে, কেউ বা পাখিতে, কেউ মানুষে, আবার বিশাল অংশ পুরোপুরি বিলুপ্তই হয়ে গেছে। কিন্তু সবাই নয়, নির্ভীক সত্যসন্ধানীরা ঠিকই বুঝতে পারলেন চার্লস ডারউইনের মহাকীর্তি, সাদরে সম্ভাষণ জানালেন তার তত্ত্ব, কর্ম, গবেষণাকে।
তবে বিবর্তনে তত্ত্ব অনেক পুরনো, প্রায় ২০০০ বছর আগেও গ্রীক দার্শনিক এই বিষয়ে ভাসা ভাসা ধারণা ছিল, ডারউইনের দাদা ইরাসমুস ডারউইন স্বয়ং এই বিষয় নিয়ে অনেক গবেষণা করেছিলেন, ফরাসী বিজ্ঞানী ল্যামার্কও বিবর্তন নিয়ে মুল্যবান গবেষণা করেছিলেন কিন্তু ডারউইন এবং অ্যালফ্রেড রাসেল ওয়ালেসের কাজের ফলেই প্রথমবারের মত এক বৈজ্ঞানিক ভিত্তির উপরে বিবর্তনের তত্ত্ব প্রতিষ্ঠিত হল। পাওয়া গেলে অজস্র না মেলা প্রশ্নের উত্তর।
মানুষ হিসেবে নির্জনতা প্রিয় এবং চরম বিনয়ী ছিলেন ডারউইন, তাকে নিয়ে কটু কথা, কার্টুন, ব্যঙ্গ তখনও হয়েছে ( এখনো হয়), কিন্তু জবাব হিসেবে নিজে কখনও কটু ভাষার আড়ালে আশ্রয় নেন নি বরং একের পর এক গবেষণার মাধ্যমে জয়গান গেয়েছেন সত্যের। তার জার্নি অফ দ্য বিগল পড়লে পরিষ্কার বোঝা যায় তরুণ কাল থেকে প্রচলিত দাসপ্রথার বিরোধী ছিলেন তিনি মনে প্রাণে। সারাজীবন কেন্টে বসে গবেষণা করলেও ইচ্ছা ছিল বিবর্তন নিয়ে তার কাজ মৃত্যুর পরেই প্রকাশিত হবে কিন্তু সেই সময়ে মালয় দ্বীপপুঞ্জ থেকে প্রকৃতিবিদ রাসেল ওয়ালেসের গবেষণা নিয়ে চিঠি তার হাতে পৌঁছে, অবাক হয়ে ডারউইন দেখেন তার সারাজীবনের গবেষণার মূলকথায় ধ্বনিত হয়েছে রাসেলের লেখাতেও, ফলে জীবদ্দশাতেই অরিজিন অফ স্পেসিস প্রকাশের দরকার হল ডারউইনের। সাথে সাথে বিশাল মনের পরিচয় দিয়ে রাসেলের চিঠির কথা উল্লেখ করলেন এবং রাসেলের লেখাও ছাপানোর ব্যবস্থা করলেন (অনেক বড় বড় বিজ্ঞানীদের মাঝেও এমন ঔদার্য অত্যন্ত বিরল, খ্যাতির প্রশ্নে ছাড় দিতে হলে আসলেই মনটা অনেক অনেক বড় হতে হয়), এছাড়া রাসেল ইংল্যান্ডে ফিরে আসার পড় তার জন্য নানা সহযোগিতাসহ যেন নিয়মিত মাসোহারা পান সেই ব্যবস্থাও করেছিলেন ডারউইন।
অবাক হয়ে ভাবি একজন মানুষ এত বিষয় নিয়ে কী করে এত বিশদ জ্ঞান অর্জন করতে পারে!! জীবনের শেষ বইটি তিনি লেখেছিলেন কেঁচোদের নিয়ে, কেঁচোদের মাটিখনন বছরের পর বছর পর্যবেক্ষণ করে। এবং জ্ঞানার্জনের চেয়েও বড় কথা প্রাপ্ত তথ্য দিয়ে নব চিন্তার আলোকে বিশুদ্ধ সত্যকে আবিস্কার করেছেন তিনি বারংবার। তার লন্ডনের বাসগৃহ দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল, দেখেছি তার প্যাটাগোনিয়া থেকে সংগ্রহ করা বিলুপ্ত বিশালাকার শ্লথের জীবাশ্ম, গেছিলাম তার কেন্টের বাড়ী এবং বাগানে যেখানে কাটিয়েছেন তিনি দীর্ঘ চারটি দশক, হেঁটেছি তার সেই বিখ্যাত থিংকিং পাথে যেখানে তিনি প্রতিদিন হাঁটতে হাঁটতে চিন্তা করতেন আপন মনে, কিন্তু উত্তর পাই নি তার খাঁটি জিনিয়াস হবার পেছনের রহস্যের, অথবা সেই উত্তর ছিল তার মাঝেই- পর্যবেক্ষণ, কল্পনাশক্তি, জ্ঞান- সবকিছু সমন্বয়।
চারপাশের পরিবেশ আমি ডারউইনের মত কৌতূহলী দৃষ্টিতে দেখার চেষ্টা করি- মেঠোপথে খরগোশের দৌড়, মুরগী মুখে নিয়ে পলায়নরত শেয়াল, শুঁয়াপোকা থেকে ডানা মেলা রঙ ঝলমলে প্রজাপতির আবির্ভাব, শরতে গাছের পচা গুঁড়িতে গজিয়ে ওঠা ব্যাঙের ছাতার দঙ্গল, পেঙ্গুইনের লাফ, পদ্মা নদীর প্রায়ান্ধ শুশুক, কাকের ডিম ফেলে দেয়া কোকিলের গান, সিংহের থাবার ছটফট করতে থাকা হরিণ, উত্তরের বনে আকাশ ছোঁয়া বার্চ গাছ যারা ন্যাড়া হয়ে যায় প্রতি শীতে, কাঠবেড়ালির শীতনিদ্রা, নিশাচর বাদুড়, লাল কাঁকড়ার সারি, বুকে হাটা মাছ- আর ভাবার চেষ্টা করি চার্লস ডারউইন কীভাবে চিন্তা করতেন এই জিনিসগুলো নিয়ে, এবং চরম ভাবে ব্যর্থ হই প্রতিবারেই।
যে প্যাঁচা ইদুর খায় তার পায়ে গোছা গোছা পালক থাকে (যেমন লক্ষ্মী প্যাঁচা), কারণ ইদুরের কামড় থেকে রক্ষা পাওয়া। আবার যে প্যাঁচা মাছ খায় (যেমন খয়রা মেছো প্যাঁচা) তার পা হয় পালক শূন্য, কারণ মাছ ধরার জন্য যতবার ঝাপ দিতে হবে ততবারই যদি ভেজা পালক নিয়ে উঠতে হয় তা নিশ্চয়ই আরামপ্রদ কিছু নয়! কিন্তু একটি পর্যায়ে, হয়ত কয়েক লক্ষ বছর আগে, বা কোটি বছর আগে এই দুই প্যাঁচার পূর্বপুরুষ একই ছিল, পরে খাবারের প্রাচুর্য, আবহাওয়া ইত্যাদি নানা কারণে হাজার প্রজন্মের মধ্যে ক্রমাগত অল্প অল্প সাধিত পরিবর্তন মানে বিবর্তনের ফলে তার আজকের অবস্থানে পৌঁছেছে। বিবর্তনের এমন উদাহরণ ছড়িয়ে আছে সবখানে, প্রতিটি জীবে, আপনার-আমার মাঝে। এটি বোঝার জন্য কেবল প্রয়োজন উৎসাহ এবং পর্যবেক্ষণ।
মহামতি ডারউইন,
আপনার গবেষণা ও জ্ঞানতৃষ্ণা আমার ক্ষুদ্র জীবনের ধ্রুবতারা, হিমালয়সম প্রতিকূলতার মাঝেও কী করে অধ্যবসায়ে অটল থেকে জ্ঞান আহরণ করা যায়, সত্যের পথে নিবিষ্ট থাকা যায়, তা শিখেছি আপনার জীবন থেকেই। মহাবিশ্বের সবচেয়ে বড় রহস্য জীবনের বিকাশ নিয়ে সত্য উদঘাটন করার জন্য মানবজাতি আপনার কাছে চিরঋণী। আপনি অমর ।
( কয় সপ্তাহ আগে সাত সমুদ্দুর পাড়ি দিয়ে ফিনল্যান্ডে এসে পৌছাল অসাধারণ একটি বই – বিবর্তনের পথ ধরে। আমাদের বন্যা আহমেদ আপার লেখা। বাংলা ভাষায় বিবর্তন নিয়ে দুই মলাটের মাঝে এত প্রাঞ্জল বর্ণনা, চার্ট, ছবি, প্রমাণ-উপাত্ত নিয়ে বিবর্তনকে বিশ্লেষণ আগে পড়ি নি। এই পোস্টটি শ্রদ্ধেয় বন্যা আপার জন্য।
ভালো থাকুন আপা, সুস্থ থাকুন সবসময়, জীবনে পথের বাঁকে দেখা হবে নিশ্চয়ই। )
প্রিয় মুখ সিরিজের বাকী লেখাগুলো এই খানে
মন্তব্য
মহাবিজ্ঞানীর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।
___________________________________
অন্তর্জালিক ঠিকানা
এবং কৃতজ্ঞতা
facebook
কিছু মহামানব জন্মেছিলো বলেই পৃথিবীটা এখনো আমাদের বসবাসের উপযুক্ত আছে, চিরকৃতজ্ঞতা জানাই তার প্রতি! লেখা ভালো লাগলো অণু!
facebook
একজন অসম্ভব সুন্দর মনের মানুষকে নিয়ে অসাধারণ সুন্দর লেখা।
facebook
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
facebook
অসাধারণ
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
facebook
আপনার স্যালুট কপি পেষ্ট করলাম।
facebook
****************************************
দারুণ সিরিজ! এই নিয়ে একটা লেখ দিন না?
facebook
এইটা দেখছি
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
অ্যাটেনবোরোর একটা আছে ডারউইনকে নিয়ে, দারুণ।
facebook
বলতে ভুলে গিয়েছিলাম - 'প্রিয় মুখ' সিরিজটা দারুন হচ্ছে!
****************************************
ভাবছি পচা মুখ নামের একটা সিরিজ করার, যাদের দেখলেই জীবন তিতা হয়ে যায় তেমন অমানুষগুলারে নিয়ে
facebook
..................................................................
#Banshibir.
দোয়া দ্যান এত্তু, পীরসাহেব!
facebook
ডারউইন কে নিয়ে ব্যানার করতেই হবে
আমিও অবাক হয়ে ভাবি, এই পুচকে ছোড়াটা (ঘণূ) এতো পড়া আর ঘোরার সময় কৈ পায়
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
এত পড়লাম কোথায়! হয়ে যায় টুকটাক, বেশী কিছু না
facebook
অবশ্যই স্যাম দা, অপেক্ষায় আছি
facebook
কিন্তু এই বিষয়ে মহামতী নায়েক সাহেব কী বলছেন?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এই বিষয়ে নায়েক সাহেব বা তার ভক্তবৃন্দের কোন জ্ঞান নাই, একবার বিবর্তন নিয়ে বলতে যেয়ে ৫ মিনিটে ২২টা ভুল করছে ( ভিডিও নেটেই পাবেন), তারপর থেকে মনে হয় রিস্ক কম নেয়
facebook
আপনি ডারউইনকে স্যালুট করেন, আমি আপনাকে। -রু
facebook
দারুন লিখেছেন অনুদা। অসাধারন। উনার জন্য কৃতজ্ঞতা এবং শ্রদ্ধা।
আমার মাথায় আসেনা কিভাবে মানুষ বিবর্তনবাদ অস্বীকার করে? অনেক প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত মানুষও অদ্ভুত অদ্ভুত কুসংস্কারে আটকে থাকে। জানিনা শিক্ষা ওদের কোথায় প্রবেশ করে।
ফাইলোজেনেটিক্স পড়তে গেলে পদে পদে শিহরিত হতে হয় জীবনের গাছ দেখে।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
বোঝে না বা বোঝার চেষ্টা করে না বলেই অস্বীকার করে, কী আর করা!
facebook
নতুন মন্তব্য করুন