ইদানীং যে প্রশ্নটা শুনলে মাথার এক হাত লম্বা চুলগুলো পুরো খাড়া খাড়া হয়ে যায় তা হচ্ছে- আপনি কি বিবর্তনে বিশ্বাস করেন? প্রশ্নটা শোনা মাত্রই যে ধারণাটা প্রশ্নকর্তা সম্পর্কে করা যায় তা হচ্ছে সে বিবর্তন সম্পর্কে কোন জ্ঞান রাখে না, লোকমুখে ভাসা ভাসা কিছু শুনে শব্দটা জেনেছে, এখন জ্ঞান কপচানোর জন্য এমন ফালতু একটা প্রশ্ন করে বসেছে।
শিশুকাল থেকে গুরুজনদের মুখে শুনে এসেছি- বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর। এর মানে যদি বলা হয় আত্মবিশ্বাস রাখ, তাহলে নিশ্চিত ভাবে কাজটি তুমি পারবে, তাহলে অবশ্যই ঠিক আছে। কিন্তু যদি বলা হয় যে যাহা প্রমাণ সাপেক্ষে প্রমাণিত নয় ( যেমন- ড্রাগন, চাঁদের চরকা কাটা বুড়ি, ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহাদেব, আল্লাহ্, জিহোভা, আদম, পরী, ভূত, জিন, দৈত্য ) তাদের অস্তিত্বে বিশ্বাস করলেই সেগুলো বাস্তব হয়ে গেল সেটা নেহাতই মুর্খামি হবে। দেখুন, মাত্র ৫০০ বছর আগেও বিশ্বের অধিকাংশ মানুষই মনে করত পৃথিবী মহাবিশ্বের কেন্দ্র, এবং সূর্য সহ সমস্ত জগতই পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ঘুরে, কিন্তু তাতে কি পৃথিবীর কিছু যায় এসেছে? সে আপন মনেই সূর্যের চারপাশে ৩৬৫ দিনে একবার সুন্দর করে ঘুরে আসে, যেমন সূর্যও আমাদের ছায়াপথ মিল্কিওয়ের কেন্দ্রের চারপাশে ২০ কোটি বছরের একবার ঘুরে আসে। তাহলে কোটি কোটি মানুষের বিশ্বাসের ফল কী দাঁড়াল? উত্তর = শূন্য!
আবার কিছু অতি জ্ঞানী এখনো মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন যে পৃথিবী সমতল! তাদের অন্য সকল প্রমাণ বাদ দিয়ে কেবল মাত্র উপগ্রহের সাহায্যে তোলা মহাশূন্যে ভাসমান গোলাকার পৃথিবীর একটি ছবি দেখালেই কিন্তু সেই বিশ্বাস ভেঙ্গে চুরে পালাবার কথা, কিন্তু পালাচ্ছে না! কারণ- ঐ যে বিশ্বাসে মিলায় বস্তু! যে কারণেই কি তিতিবিরক্ত হয়ে জনাব ক্রিস্টোফার হিচেন্স বলে গেছেন - It is not knowledge, thatswhy it is called faith.
অনেক দিক দিয়েই বিশ্বের সবচেয়ে তথাকথিত উন্নত দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শতকরা ৪০ জন মানুষ মনে করে যে পৃথিবীর বয়স ৬০০০ বছর যা কিনা প্রাপ্ত প্রমাণ অনুসারে মানুষ কতৃক কুকুরকে পোষ মানানোর সময়সীমারও কম! কিন্তু সেই কোটি কোটি মানুষের বিশ্বাসের কি কোন দামই নেয়? না নেই, ভ্রান্ত বিশ্বাস বা ধারণার কানাকড়ি মূল্য নেই কোথাও। তবে হ্যাঁ, সেটা বিশ্বাস করে এই ২০১২ সালে আপনি চোখে ঠুলি পড়ে অন্ধ সেজে বাকি জীবন কাটাতে পারেন, কিন্তু বিশ্ব আপনার জন্য বসে থাকবে না, সে এগিয়ে যাবে আপন গতিতে।
এই বিশ্বাসজনিত ব্যাপারগুলোর মূল শেকড় প্রোথিত আছে মানুষের আত্মঅহংকারে। মানুষ নিজেকে অন্য সকল জীবের চেয়ে আলাদা স্তরে নিয়ে গেছে নিজের চিন্তায়, নিজেদের তারা দাবী করে সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রাণী বলে, যে কারণে তাদের তৈরি ধর্মগুলোতে বারংবার বলা হয়েছে- মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব, মানুষের ভোগের জন্যই সবকিছু তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু আসলে কী? আমাদের গ্রহে জীবন উদ্ভূত হবার পরে প্রায় সাড়ে তিনশ কোটি বছর হয়ে গেছে, বিবর্তনের পথ ধরে প্রাণের শাখা-প্রশাখা ছড়িয়ে গেছে সবখানে। পরিবেশের পরিবর্তনের সাথে সাথে নানা সময়ের নানা ধরনের প্রাণী কতৃত্ব করেছে এই ধরাতে, ডাইনোসর নামের সরীসৃপরা ১৩৫ মিলিয়ন বছর টিকে ছিল জলে স্থলে অন্তরীক্ষে সদর্পে, সে হিসেবে আমাদের আধুনিক মানুষের জীবনকাল মাত্র ২ লক্ষ বছর!
মানবজাতি কি আরও এক লক্ষ বছর দূরে থাক, ৫০০ বছরও টিকতে পারবে? আমাদের বিশ্বাস পারবে, এই নীল গ্রহ ছেড়ে মহাশূন্যে নানা গ্রহ- নক্ষত্রে যাত্রা করবে ভবিষ্যতের মানুষেরা, কিন্তু বিশ্বাসটি কোন কাজেই দিবে না যদি না সেই মিশন সফলের মতো উদ্যোগ নেয় মানুষ।
হয়ত পরম সত্য আমাদের জানা নেই, কিন্তু পদার্থবিদ, লেখক রিচার্ড ফেইনম্যানের মতই মনে হয় ভুল কিছুতে বিশ্বাস স্থাপন না করে বরং কোন কিছুতে বিশ্বাস না করাই ভাল। সেই সত্য জানার জন্য আমরা হয়ত সারাজীবন জ্ঞানের এক স্তর থেকে অন্য স্তরে পৌঁছাব, কেন্দ্রে যেতে পারব না, কিন্তু তারপরও অন্ধ বিশ্বাসে অটল থাকার চেয়ে সেও ভাল।
বিবর্তন কোন বিশ্বাসের জিনিস নয়, সাড়া বিশ্বের সাত বিলিয়ন মানুষ বিবর্তন নিয়ে না জানলেও তাতে কিছু যায় আসত না, কারণ বিবর্তনে চলতেই থাকত আপন গতিতে। তাহলে এখন প্রশ্ন করুন যে আমার- আপনার বা সাতশ কোটি মানুষের বিশ্বাসে ঈশ্বরের অস্তিত্ব যেমন প্রমাণিত হচ্ছে না তেমন অবিশ্বাসে তা ঝরেও যাচ্ছে না। কথা সত্য, ঈশ্বরের অস্তিত্বের পক্ষে যেমন জোরালো প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে না তেমন তাঁর থাকার সম্ভাবনা একেবারে শূন্য বলাও যাচ্ছে না, ঠিক যে কারণে আমার খাটের নিচে একটি অদৃশ্য ড্রাগন থাকার সম্ভাবনাও শূন্য নয়। ধরা যাক আপনি সেই ড্রাগনটিকে দেখার চেষ্টা করলেন কিন্তু পারবেন না কারণ সেটি অদৃশ্য। আচ্ছা, তাহলে মেঝেতে ময়দা ছড়িয়ে দিলেন ড্রাগনের পায়ের ছাপ দেখার জন্য, কিন্তু পারবেন না কারণ আমার ড্রাগন ভেসে থাকে! এখন ইনফ্রারেড ক্যামেরা ধরনের যন্ত্র নিয়ে আসলেন যাতে ড্রাগনের শরীরের উত্তাপ চিহ্নিত করা যায়, আমি এবার বললাম অদৃশ্য ড্রাগনের উত্তাপও অদৃশ্য! এখন আপনি এক বালতি রঙ ছুড়ে দিবেন যাতে ড্রাগনের শরীরে তা বাঁধা পায়, কিন্তু আমার ড্রাগনের আশগুলো এতই পিচ্ছিল এবং সে এতই দ্রুতগামী যে এতই পদ্ধতিও ব্যর্থ হল! কি মশাই, পারলেন আমার খাটের নিচের ড্রাগনকে নেই প্রমাণ করতে?? পারলেন না। তা আমার কি ঠ্যাকা পড়েছে যে মহাবিশ্বের সৃষ্টিকর্তা, পরম দয়ালু, ন্যায়বিচারক, সর্বশক্তিমান ঈশ্বরকে নেই প্রমাণ করার?? তবে ইদানীং দুষ্ট লোকেরা অবশ্য ঈশ্বর বাবাজীর ঠিকানা আবিস্কার করেই ফেলেছে-
( ড্রাগনের কাহিনীটি কার্ল স্যাগানের কাছ থেকে ধার করা)
কিন্তু বিবর্তন অন্য ব্যাপার, এর পক্ষে কোটি কোটি কোটি প্রমাণ আছে, সবচেয়ে বড় কথা একটি অকাট্য প্রমাণ আজ পর্যন্ত পাওয়া যায় নি যা বিবর্তনের বিরুদ্ধে যায় ( অনেক প্রশ্নের উত্তর মিলে নি এখনো, কিন্তু সে জন্য দরকার গবেষণার) । প্রমাণের জন্য দূরে যাবার দরকার নেই, নেট ঘাটার দরকার নেই। নিজের দিকে তাকান, নিজের সম্পর্কে জানার চেষ্টা করুন- দেখবেন, জানবেন, শিখবেন এবং বুঝবেন, জলবৎ তরলং।
এই জন্যই বলছিলাম, আমি বিবর্তনে বিশ্বাস করি না। এটাকে বোঝার চেষ্টা করি, মুগ্ধ হয়ে উপলব্ধির চেষ্টা করি, প্রকৃতির এই অন্ধচয়নকে শত কোটিবার ধন্যবাদ দিই, এটা কার্যকরী না হলে আমি-আপনি আজ এখানে থাকতাম না।
( ব্যবহৃত ছবিগুলো রিচার্ড ডকিন্স ফাউন্ডেশন ফর রিজন অ্যান্ড সাইন্সের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া হয়েছে)
মন্তব্য
দারুন লেখা মাঝে ব্লগে লিখেছিলাম-
ঐ তুই আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতা তত্ত্ব বুঝস?
- সামান্য ধারণা তো আছেই।
বিশ্বাস তো করস?
- এইটা আবার কেমন কথা। আপেক্ষিকতা তত্ত্ব তো বিজ্ঞানের খুবই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। আর এই ধারণা আইনস্টাইন কই থেকে পাইছে জানস তো?
আরে জানবো না ক্যানো। প্রতিদিন সকালে উঠে তো তিনি দুই ঘণ্টা ঐ বই পড়তেন। আচ্ছা তুই কি বিবর্তন তত্ত্ব বুঝস?
- ভালো মতোই বুঝি।
বিশ্বাস করস?
- বিশ্বাস করার কি আছে এতে? বিবর্তনবাদ হলো পৃথিবীব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া নাস্তিক প্রোপাগান্ডা। ডারউইন নামক এক বান্দর এই বান্দর তত্ত্ব দিছে। সারা দুনিয়ার মিডিয়া কারা নিয়ন্ত্রণ করে জানস তো? ইহুদি। আর ইহুদির একমাত্র কাজ ইসলাম ধ্বংস করার ফন্দি ফিকির করা। এরাই এই বান্দর ডারউইনকে তেল দিয়ে গাছ উঠাইছে। আচ্ছা দোস্ত তুই বল- এমনি এমনি জগতে কোনো কিছু হয়? সবকিছু বাদ দিয়ে মানুষের চোখের কথাটাই ধর। একটা ক্যামেরার সাথে চোখের কতো মিল। অথচ বান্দরওয়ালারা বলে এই চোখ নাকি এমনি এমনি প্রাকৃতিক ভাবে উদ্ভব হইছে। এমনি এমনি হরলিক্স খাওয়া যেতে পারে, কিন্তু চোখের মতো একটা দুর্দান্ত জটিল জিনিসের তাকালে যেকোনো বাচ্চাও বুঝবে কেউ একজন নিপুণভাবে এটা সৃষ্টি করেছে। আর তিনিই হলেন …
বিশ্বাস করার কি আছে এতে? বিবর্তনবাদ হলো পৃথিবীব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া নাস্তিক প্রোপাগান্ডা। ডারউইন নামক এক বান্দর এই বান্দর তত্ত্ব দিছে। সারা দুনিয়ার মিডিয়া কারা নিয়ন্ত্রণ করে জানস তো? ইহুদি। আর ইহুদির একমাত্র কাজ ইসলাম ধ্বংস করার ফন্দি ফিকির করা। এরাই এই বান্দর ডারউইনকে তেল দিয়ে গাছ উঠাইছে। আচ্ছা দোস্ত তুই বল- এমনি এমনি জগতে কোনো কিছু হয়? সবকিছু বাদ দিয়ে মানুষের চোখের কথাটাই ধর। একটা ক্যামেরার সাথে চোখের কতো মিল। অথচ বান্দরওয়ালারা বলে এই চোখ নাকি এমনি এমনি প্রাকৃতিক ভাবে উদ্ভব হইছে। এমনি এমনি হরলিক্স খাওয়া যেতে পারে, কিন্তু চোখের মতো একটা দুর্দান্ত জটিল জিনিসের তাকালে যেকোনো বাচ্চাও বুঝবে কেউ একজন নিপুণভাবে এটা সৃষ্টি করেছে। আর তিনিই হলেন …
ইভা
হ, সব কিছুই করছে ইয়াহুদি- নাছারারা, আর তোমরা মুড়ি ভিজাইছ
facebook
ইহুদীরা কি বিবর্তনবাদী?
অজ্ঞাতবাস
অবশ্যই না ! সব ধর্মের মোল্লারাই এক।
facebook
আমি বিবর্তন মানি না। কারণ আমি জানি আসল সত্য কোনটা।
আদম আর হাওয়া যখন বেহেশতের বাগানের সৃষ্টিকর্তার নির্দেশ অমান্য করে আপেল (গন্ধম) খাইলো তখন খোদা রাগ করে তাদের বলল, "কেয়া এক ঘর মে দো পীর! যাও বাচ্চা সো রহো!"
তারপর আদম আর হাওয়া বেহেশতের বাগান থেকে পৃথিবীতে চলে আসলো। কেমনে আসলো জিগায়েন না। বিশ্বাসীরা প্রশ্ন করে না। তারপর পৃথিবীতে আসার পর তারা আপেল-আঙুর-কলাটা-মূলোটা খেয়ে জীবন কাটাতো আর সারা দিন দুষ্টু কাজ করতো। এভাবে দুষ্টু কাজ করতে করতে তাদের দুইটা ছেলে হল, হাবিল আর কাবিল। তারপর একদিন হাবিল-কাবিল মারামারি করে একজন মরে গেল।
পৃথিবীতে কেবল দুই জন পুরুষ আর একজন নারী। এই অবস্থায় কী আর উপায়। বাপ-মা-ছেলে মিলে থ্রি-সাম চলল দিনের পর দিন। এভাবে আরো বাচ্চাকাচ্চা হল। তখন সেই বাচ্চারাও বাপ-মা-ছেলে-মেয়ে বিভিন্ন পারমুটেশন কম্বিনেশনে দুষ্টু কাজ করলো। এভাবে পৃথিবীতে মানুষ বাড়তে লাগল।
৬ হাজার বছর ধরে বিভিন্ন পারমুটেশন কম্বিনেশনে দুষ্টু কাজ করে করে পৃথিবীতে ৭ বিলিয়ন মানুষ পয়দা হইছে। এই হইল ঘটনা। বিশ্বাস না করলে লাগবা বাজি?
হোতায়ালাইসেন!!!
ফারাসাত
কুন কথা নাই!
আপনি মিয়াঁ বস্লুক
facebook
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
আপনেরে নিয়া তো মিয়া বিপদেই পড়া গেল
facebook
গভীর চিন্তা ভাবনা ... ...
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
facebook
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
...অর্থাৎ থ্রী-সাম নতুন কিছু না ..
অজ্ঞাতবাস
কথাগুলো সহজ করে বলার জন্য ধন্যবাদ অনুদা। আরেকটু এগুলে বোধহয় লিখাটা আরও ভাল হত
কথা সহজ, বোঝাও সহজ, তারপরও দেখবেন শুধু ত্যানা প্যাচানি
facebook
আপনি মানুষ ভাল না! কোটি মানুষের বিশ্বাসে আঘাত করেন! চোখ বন্ধ করে যারা আছে তাদের মনে আলো যাবে না। তবুও আশায় জেগে থাকি ।
তবুও আশায় জেগে থাকি-
facebook
এইটা মূল পোস্টে অ্যাড করে দিয়ে মন্তব্যটা মুছে দেন।
দারুণ! বাহিরে যাচ্ছি, ফিরে চেষ্টা করব অ্যাডের, ধন্যবাদ
facebook
খুবই চমৎকার রেফারেন্স! বিবর্তনের মতো জটিল বিষয়কে খুব সহজভাবে ইলাস্ট্রেট করা হয়েছে! এর চাইতে সহজ করতে গেলে অবশ্য 'বানর থেকে মানুষ' নামক ডারউইনিজমের মাদ্রাসা ভার্সন হইয়া যায়!
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
দারুন লাগলো পোস্টারটা! সেভ করে নিলাম। ধন্যবাদ!
___________________________________
অন্তর্জালিক ঠিকানা
এই রকম একটা ডিজাইন কর ব্যাটা গুহামানব
facebook
পোস্টার জটিল, তবে আধুনিক অংশটুকু বাদ পড়ছে। তাই এড করে দিলাম নিজ দায়িত্বে
রামছাগল টা তো পুরাই
facebook
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
দ্রোহী, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
এই ছবিতে গ্রীণ নাই, সুতরাং এইটা ভুয়া
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
বেশ ভালো লাগলো , ধন্যবাদ আপনাকে
facebook
ভালো বিষয়। বিবর্তন থিওরি নাকি ফ্যাক্ট এটা নিয়ে বিজ্ঞানের দর্শনে অনেক তর্ক আছে। কিন্তু তার কোনোটাই বিবর্তন-বিরোধী বিশ্বাসীদের আত্মপ্রসাদ লাভের নিমিত্তে না। বিশ্বাসপন্থীরা সুবিধা মতো স্ট্যাটাস ছেঁকে নেয়। তাদের কাছে বিবর্তন বিশ্বাসের বিষয়, অথচ বিগ ব্যাং আবার ফ্যাক্ট। কারণ পরেরটা প্রেরিত পুস্তকের সাথে বেশি সামাঞ্জস্যপূর্ণ, কম দ্বন্দ্বপূর্ণ। বিগ ব্যাং কে ঘটালো টাইপ প্রশ্ন কিছুক্ষণ চালানো যায়। বিবর্তন প্রাণের বিকাশের উপর থেকে ঐশ্বরিক হাতকে রীতিমত সরিয়ে নেয়। সেটা নিয়ে এটা সেটা করার সুযোগ কম। অথচ ফ্যাক্ট আর থিওরির বিজ্ঞান দর্শনগত তর্কে বিগ ব্যাং আর বিবর্তন দুটোর স্ট্যাটাসই কাছাকাছি হবার কথা।
তবে কোনোটাই বিশ্বাসের বস্তু নয়। গবেষণা ও যাচাইয়ের বস্তু। বিশ্বাস করে কী কাজ, যাচাই করেই যখন নেয়া যায়। পপার সাহেবের কথাটা প্রণিধানযোগ্য -
বিশ্বাসপন্থীরা সুবিধা মতো স্ট্যাটাস ছেঁকে নেয় হা হা, যা বলেছেন ধ্রুব দা
facebook
স্পিরিচুয়াল টেক্সট আর সায়েন্টিফিক টেক্সট কি এক ????
স্পিরিচুয়াল ইস স্পিরিচুয়াল সায়েন্টিফিক ইজ সায়েন্টিফিক।
ধ্রব দা, দারুন বলেছেন। আসলে ঘাড়ের উপ্রে একটা মাথা থাকা দরকার।
facebook
লেখাটা আরেকটু বড় হওয়া উচিৎ ছিল। অবশ্য আপনাকে এর চাইতে বেশী লেখতে বলাটা অন্যায় আবদার হয়ে যায়। ভালো লেগেছে।
ফারাসাত
এই লেখা শেষ নয়, আরও লেখা আছে
facebook
এই লাইন্টা খুব পছন্দ হইছে। অন্যসবার মত আমার ও মনে হয়েছে, লেখা আর ও একটু বড় হতে পারতো।
হিচ কাকার ডায়ালগ যে !
facebook
খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। লেখায়
ঠিক এই নিয়েই গত রাতে নিউ জিল্যান্ডের এক মেয়ের সাথে বিরাট বাকচিত হয়ে গেল। বলে কিনা এইটা ফ্যাক্ট না, প্রমাণ যেগুলো আছে সেগুলো যথেষ্ঠ না, এভিডেন্সগুলো আমাদের মতো করে ইন্টাপ্রিটেশন করা হয়েছে ব্লা ব্লা ব্লা------তো একিই পয়েন্ট নিয়ে ওর ইশ্বররেও ধুইলাম আচ্ছা করে, জেসাস শালা কোনদিন পৃথিবীতে আসেই নাই, কোন প্রমান নাই, হোরাস থেকে শুরু করে সব একই কাহিনীর পুনাবৃত্তি ব্লা ব্লা ব্লা---
বাংলাদেশে এইটা সহ কিছু জিনিস ব্যাপক আলোচনায় নিয়ে আসার দরকার। সব ভন্ডামিগুলো ন্যাংটো করে দেয়ার দরকার। অন্তত দুটি সংবাদ এখানে শেয়ার করতে চাই:
১। ইসলামের সুন্নি মতবাদ অনুযায়ী নবী বা খোলাফায়ে রাশিদিনএর কোন ছবি আঁকা, বা চরিত্র ফুটিয়ে তোলা গুরুতর অপরাধের (পাপ) ভেতরে পড়ে। কিন্তু ঠিক এই রোজার মাসেই চৌদি আজবে ওমর কে নিয়ে সিরিয়াল হয়েছে, সেখানে তার সহ আবু বকর, উমাইয়াদের মতো সাহাবাদের চরিত্রায়ন হয়েছে। এই নিয়ে বাংলাদেশে কোন বিক্ষোভ হয় নাই, চুতিয়া প্ররথম আলুর মুখ বন্ধ ছিল তখন!
২। আপনারা কি জানেন ইরানের রাজধানী তেহরানে ৪০ হাজার সুন্নী বাস করে। এই রোজার ইদেই তাদের ইদের নামাজ পড়তে দেয়া হয় নি। তাদের সব মসজিদ নিষিদ্ধ করেছে সরকার! বাংলাদেশের মুমীনরা তো ইরানের নাম সুনলেই ইশকে পিয়ারা হয়ে যায়, তারা কি এই ঘটনা জানে, কোন প্রতিবাদ হয়, এটা যদি আম্রিকার কোন শহরে হতো তাহলে সারা পৃথিবীতে কত লোক মারা যেত! শালা সব ভন্ড, জোচ্চর, চুতিয়ারা সব-----
১। ভাই চৌদি গজবের সিরিয়ালটার কোন লিঙ্ক দেয়া যায়??
২। এইগুলান সব নাস্তিক, ইহুদী, নাসারাদের প্রপাগান্ডা। আপ্নে লুক খ্রাপ দেইখা এইগুলান বিশ্বাস করেন!
ফারাসাত
অনেক চেষ্টা করলাম কিন্তু কোনভাবেই আমার লিংকসহ লেখাটা পোষ্ট করতে পারছি না। বারবার ভ্যারিফাই করতে বলছে কিন্তু কোড দেখাচ্ছে না। মডুরা কি একটু সাহায্য করতে পারেন?
facebook
নতুন প্রোপাগান্ডা শুরু হইছে- বিবর্তন হচ্ছে ঈশ্বরের ইচ্ছা, সে প্রথমে জীবন তৈরি করে পৃথিবীতে ছেড়ে দিয়েছে, এখন তারা নিজেরা পথ করে নিচ্ছে
facebook
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
ক্যান, জানতেন না!
facebook
কয়েকদিন পরে বলবে ঈশ্বর নিজেই বিবর্তিত হয়ে প্রথম বিবর্তনের নজীর স্থাপন করসিলো।
ফারাসাত
facebook
কবে বলে বসতে পারে যে ইশ্বরের জন্ম হয়েছে ইশ্বরের ইচ্ছায়
আব্রাহামিক ধর্মগুলো প্যাগান বা পৌত্তলিকদের সমানে গালিগালাজ করে। এখন দেখছি এই ধর্মগুলোর সবকিছুই ওখান থেকে কপিপেষ্ট করা
মোজেজ-জিসাস-মুহাম্মদ সবাই তো প্যাগানই ছিল
facebook
বস খবরদুইটার লিঙ্ক দেয়া যাবে? কালেকশানে রাখার জন্যে। না পোস্টাতে পারলে একটু ইনবক্স কইরেন
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আমি গতকাল লিংক দুইটা পোস্টাইসিলাম; কিন্তুক আজও পর্যন্ত সে-পোস্টের টিকিটি দেখা যাইতেসে না। আজকেও পোস্টাইতে গিয়া বারবার একটা সতর্কবার্তা দেয় এরকম "To complete this form, please complete the word verification below." কিন্তু কোনো ওয়ার্ড ভেরিফিকেশন ব্যবস্থা নাই; বুঝলাম না
মডারেটর সুক্ষ্ণ ষড়যন্ত্র করতেসেন বইলা সন্দেহ হইতেসে
নেন এবার লিংক:
ইরানের কাহিণীর লিংক: http://www.guardian.co.uk/world/2011/aug/31/iran-forbids-sunni-eid-prayers
সৌদির ওমর নিয়া বানানো সিরিয়ালের লিংক: (এখানে শুধু প্রথম পর্বের লিংক দেয়া হলো, বাকিগুলা সহজেই এই লিংকগুলো অনুসরণ করলে পাওয়া যাবে; বংলাদেশে এখনো ইউটিউব দেখা যায় কি না জানি না বলে, একটা অলটারনেটিভ লিংকও দেয়া হলো।)
ই্উটিউব লিংক: http://www.youtube.com/watch?v=xMu_654ASDk
বিকল্প লিংক: http://www.viki.com/channels/10017/videos/77623
--
আনু-আল হক
গতকাল থেকে অন্তত ১০ বার চেষ্টা করেছি। আনু ভাই লিখে দিয়েছেন যে সমস্যাটা কী, আমি ঠিক এই সমস্যায় পড়েছি
অনেক ধন্যবাদ আনু ভাই। কাজটা করে দেয়ার জন্য। আমি এখনো চেষ্টা করলাম কিন্তু হচ্ছে না এখনো
মেজাজটা কখন সবচে খারাপ হয় জানেন! ইরান কোন পাদ দিলেও শুওরের বাচ্চা পাকিজাত পত্রিকাগুলো (প্রধানত আলু পত্রিকা) হুমড়ি খেয়ে সংবাদ ছাপায়। আজও একটা সংবাদ দিয়েছে, ইরান আজানের সময় বিমান উড্ডয়ন নিষিদ্ধ করেছে আর সেইনা দেখে মাশাল্লাহ, সুবানাল্লাহর ঢেউ। কিন্তু এত বড় একটা সংবাদ আলু পুরোপুরি চেপে গেছে।
আমিও খুবই অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম বিষয়টা। এমনকি একবার আমার কোনো এক ছাত্রের মারফত (বেচারা না বুইঝা ‘লাইক’ মারসিলো) ফেইসবুকে দেখলাম আহমাদিনেজাদকে নিয়ে একটা পোস্ট। তার ‘হিরোইক’ জীবনী, এবং তার শাসনামলে ইরানের মুহুর্মুহু ‘উন্নতি’... মানে ইরান এতোটাই উন্নতি করতেসিলো যে পুরা বিশ্ব তার উন্নতিতে ঈর্ষাকাতর, তাই এর বিরুদ্ধে এতো প্রোপাগান্ডা... আমার মেজাজটাই চড়ে গেলো; তৎক্ষণাৎ ওই ছাত্রকে বললাম, ইরান-আহমাদিনেজাদ-খোমেনি ইত্যাদি নিয়া পড়াশোনা করতে, এবং জায়নামাজের ছবি দেখলেই লাইক না দিতে...যাই হোক, এমনকি স্বৈরশাসক গাদ্দাফির বিষয়ে এজাতীয় কথা বললেও এতোটা খারাপ লাগতো না, কারণ ওর আমলে লিবিয়ার ফরেন রিজার্ভসহ কিছু ক্ষেত্রে অন্তত ঈর্ষা করার মতো উন্নতি হয়েছে (দেইখেন আমারে আবার গাদ্দাফিভক্ত মনে কইরেন না। শুধুই তূলনা করার জন্য বলা যে, মানুষ কতোটা অন্ধ হইতে পারে)। অথচ ইরান পুরা একঘরে হইসে এই চুতিয়া আহমাদিনেজাদের কারণে।
মুশকিল হইতেসে আমাদের রাজনৈতিক অবস্থান আমাদের কাছেই পরিস্কার না। একবার একটা মিছিলে গেসিলাম ইরাকে আমেরিকার হামলার বিরোধিতা করার জন্য। ওমা কিছুদূর গিয়া দেখি, এরা সাদ্দামের সমর্থনে শ্লোগান দিতেসে। আমি তো অবাক; আমি তো আম্রিকার হামলার বিরোধিতা করতে আসছি, সাদ্দামের সমর্থনে না। কিন্তু প্রায় কাউরেই বুঝাইতে না পাইরা আমি পত্রপাঠ মিছিল ত্যাগ করসি।
আর আলুর ব্যাপারে আমার একটা আবেদন আছ সকল সচলদের প্রতি। প্রথম আলোর বিভিন্ন বিষয়ের আমিও একজন নিষ্ঠাবান সমালোচক। কিন্তু, প্রথম আলোর বিশাল পাঠকশ্রেণীর বিষয়টারে অবহেলা করে আমরা ওই জায়গাটা ছাগুদের জন্য একরকম ছাইড়াই দিসি। আমিও ওইদিকে যাওয়া প্রায় বন্ধ করে দিসিলাম। সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, আলুর মন্তব্য সেকশন বা জনজরিপে ছাগুদের জয়জয়কার; এটার দায় আমাদেরও। আমিরাই ছাইড়া দিসি। আলুর ব্যবসা টিকিয়ে রাথার জন্য দরকার কাটতি, পর্যাপ্ত কমেন্ট। আমাদরে কমেন্ট না থাকলে ওরা ছাগুদের কমেন্ট ছাপাবেই; খালি তো আর রাথা যায় না!!! আমি পুরোপুরি একমত যে, আলু অনেক ভালো কমেন্ট আটকাইয়া দিয়া ছাগু কমেন্ট ছাড়ে। কিন্তু চেষ্টা অব্যাহত রাথা জরুরি; ইহাদিগকে নিরন্তর ঠেলার উপর রাখিতে হইবেক।
এই আহমেদিনেজাদ আহম্মকের জন্য ইরান কে সত্যিই আরো ডুবতে হবে, কাহিনী ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে।
আলু'র ব্যাপারে বলি। আমার এক বন্ধু, উনি প্রথম শ্রেণীর সরকারী কর্মকর্তা, তো আমার মতো সে হাল ছাড়ে নাই, সে নিয়মিতই কমেন্ট করে, বেশিরভাগই ছাপা হয় না, যাও দু'একটা হয়, সেগুলোর প্রতিক্রিয়া হয় দেখার মতো। আপনার প্রস্তাবটা ভেবে দেখা জুরুরী। আলু'র কমেন্ট একেবারেই ছাগুময় হয়ে গেছে।
কোনো লাভ নাই।
আলু কিন্তু শুধু ছাগু মন্তব্য চায় না। তারা চায় যুক্তিযুক্ত কিছু মন্তব্যের পাশাপাশি অফুরান মলস্রোত। যাতে তারা একটা ইমপ্রেশন তৈরি করতে পারে যে বাংলাদেশে তারাই অন্ধজনে আলু দিচ্ছে। আলুতে যৌক্তিক মন্তব্য করার অর্থ হচ্ছে প্যারাসিটাইজ করার জন্য ছাগুদের একটা শরীর যোগানো।
আলুর কমেন্টের ময়দান যেহেতু আলুর ইচ্ছাতেই ছাগুদের দখলে গেছে, এটা পরিষ্কার যে তাদের টার্গেট ভ্যারিয়েবল কাটতি, কাণ্ডজ্ঞানের প্রসার নয়। অতএব তারাও ছাগুদের সহযাত্রী। কাজেই আমাদের কর্তব্য আলুর এই রূপ সবার কাছে স্পষ্ট করা, এবং আলুর বাইরে বসেই করা।
মাত্র কলরবে লিখে এসে আপনার এই মন্তব্য চোখে পড়ল -
-
facebook
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
এই অদৃশ্য ভেরিফিকেশনের ভয়ে সচলে কমেন্ট করাই ছেড়ে দিসি :(।
কথা সত্যি। মডু মামারা করেন টা কী? একটু দেখুন দয়া করে
আপনারা নিবন্ধন করে ফেলেন। পাপিষ্ঠ মডারেটরদের সঙ্গে কথা বলা যায় কি না দেখি।
অ্যাকাউন্ট অ্যাকটিভ করে দেয়া হলো দেখি! মডারেটরদের ধন্যবাদ।
হিমু ভাই, গত এক বছরে অন্তত চার বার চেষ্টা করেছি। মেইলও পেয়েছি কিন্তু একাউন্টে ঢুকতে গেলে দেখায় ভ্যারিফাইড না। কী করবো বলেন। তাই নিবন্ধনের আশা আমি ছেড়ে দিয়েছি।
এখন আবার দেখেন।
করলাম।
কি লিখেছেন ভাই আমার যে পছন্দ হয়ে যাইছে!
যাই হোক একটা কথা আছে, শুধু কেন যেন সচলায়তনে এসেই এক রকম চিন্তার মানুষ দেখি । শুধু আপনার লেখা ভালো লেগেছে তাই নয় সঙ্গে যারা মন্তব্য করেছে প্রত্যেকের কথাই ভালো লাগলো । ইদানিং যেখানেই যাই আমেরিকা থেকে বাংলাদেশ মানুষের বিশ্বাসের ভয়াবহতা দেখে আমার ভয় লাগে কবে জানি এই বিশ্বাসের ভারে আমরা ডুবে মরি । দুঃখ জনক হলেও সত্যি যে ডারউইন কে মানুষ যত না চেনে তার চাইতে বেশী চেনে জাকির নায়েক সাহেব কে । আবার এই নায়েক নামের ভদ্রোলোক কি ভাবে বিবর্তনবাদ মিথ্যা তাও প্রমান করেন , ওনাদের মুল স্তম্ভ বিশ্বাস হলেও ইদানিং আবার প্রমানাদি দিয়ে সব ব্যখ্যা শুরু করেছেন কেননা লোকে আজকাল প্রমান ছাড়া বিশ্বাস করতে চায়না তাছারা বিজ্ঞানের জয় জয়ৎকারের যুগে গ্রোহন যোগ্যতার প্রশ্ন আসে প্রমানের দরকার পরে ।
আসল কথা হচ্ছে মানুষ জানুক বা না জানুক, মানুক বা না মানুক সত্য কিন্তু সত্যই।
facebook
সরি মন্তব্যের সময় নাম লিখতে ভুলে যাই তাই ফিরে এলাম । আপনার লেখাটা সত্যি খুব বেশী পছন্দ হয়ে গিয়েলছে কি করি বুলেন তো
ইভা
অসাধারন। রচনাটি আরও দীর্ঘ হলে মনে হয় ভাল হত। তবে যেটুকু পাওয়া গেল তাও মনে হল সোনা। এনিয়ে তোর মতন অনুকরণীয় ঢঙে আরও লিখে যা।
-মনি শামিম
লিয়ে লিব=
facebook
বুলতে হে তো বুলবেন হিনি যে বুলছি! পাসতেই পারছি না
facebook
মূল লেখায় বিবর্তন বুঝাতে গিয়ে টাকা/ডলার সদৃশ যে চার্ট দেয়া হয়েছে, সেখানে মানুষের ছবিটা পাল্টিয়ে তারেকাণুর অথবা বুদ্ধের ছবি দিতে চাই!
নতুন পাঠক।
facebook
facebook
হাডায়ালাইছেন
আমার এইহানে একজন নতুন হুজুর আছেন, কয়দিন আগেও তার লগে একলগে পাবে গেছি। আজকাল তাঁর মসলা র হাদীসের যন্ত্রনায় টেকা যাচ্ছে না। আমি ইভোলিউশনের কথা তুলতেই কইয়া ফালাইল এইটা পুরাই ঈহুদী-নাসারা ফালতু বিশ্বাস, এইটা বিশ্বাস করলে জীবনে শান্তি পাব না কারন জোকার নায়েকের মত স্কলাররা কইছে এইডা ভুল। একটু ডিপে গেলেই চেইতা যায় :পি
নায়েক মিয়া ৫ মিনিট কথা বলছে বিবর্তন নিয়া, তাতে ২২ টা ভুল! আরে ব্যাটা, জানিস না চুপ থাক, এই বকিস ক্যান!
facebook
“Another curious aspect of the theory of evolution is that everybody thinks he understands it( Jacques Monod)
তাহসিন রেজা
facebook
দারুন
সব মিলিয়ে অসাধারন।
অন্যসবার মত আমার ও মনে হয়েছে, লেখা আর ও একটু বড় হতে পারতো অনুদা।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
পরের বার
facebook
ভাইয়ারা, তোমরা আমায় ভুলেছ বটে,
আমি কিন্তু তোমাদের ভুলি নাই!!
****************************************
facebook
পোস্ট তো ভালো হইসেই কিন্তু কমেন্ট গুলা পইড়া
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
facebook
বিশ্বাস অবিশ্বাসের প্রশ্ন আসে কোত্থেকে? এটা তো তথ্য।
অজ্ঞাতবাস
আপনেই বুঝলেন কত্তা! পেন্নাম
facebook
আমি একজন বায়োলজির ছাত্র হয়েও আজ পর্যন্ত বিবর্তন নিয়ে কোনো স্বচ্ছ্ব ধারণা পেলাম না। কোনো শিক্ষক আমাকে এই বিষয়ে পরিষ্কার করে কিছু বলেননি। আমি নিজে থেকে জানতে চেষ্টা করেছি। সব শিক্ষক এটাকে এড়িয়ে গেছেন নিরবে। বিবর্তন যেখানে জীববিজ্ঞানের মূল ভিত্তি সেখানে পুরো ব্যাপারটাই সিলেবাসে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে দেশের শিক্ষাব্যবস্থার প্রতিটি স্টেজে। সত্যিই হতাশাজনক ব্যাপার।
আপনার লেখার বিবর্তন খুবই দারুন। আপনার লেখাগুলো টিকে থাকবে কারণ আপনি fittest.
তাহসিন রেজা
আমাদের বায়োলজির টিচার গোঁড়া জামাতের লোক! চিন্তা করেন, তার কাছে কী করে বিবর্তন শিখব???
খুবই হতাশাজনক ব্যাপার, অনেক দেশের হাই স্কুলেই বাচ্চারা যে জ্ঞান পায়, ফসিল দেখে- আমরা সারা জীবনই সেটা নিয়ে বিশ্বাস - অবিশ্বাসের দোলায় কাটিয়ে দেয়।
তবে সত্য কিন্তু সত্যই, সেটা টিকে থাকুক বা বিলুপ্ত হোক, আমার লেখা টিকে না থাকলেও বিবর্তন চলতেই থাকবে।
facebook
সত্য সত্যই
facebook
বাংলাদেশে কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইফসায়েন্স বিভাগগুলি ছাগুরা আশির দশক থেকে দখল করে নিচ্ছে। এটা চোখের সামনেই দেখা।
অজ্ঞাতবাস
facebook
কলেজে আজমল স্যার বিবর্তন পড়াইতে গিয়ে বলছিল, বানর থেকে ডারউইন হইছে, আমরা হই নাই। আমরা আল্লাহর তৈরি!
সাম্প্রদায়িকতার শিক্ষা-অজ্ঞানতার শিক্ষা স্কুল-কলেজ থেকে নিপুন যত্নের সাথে দেয়া হয়।
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
আজমল স্যার বিবর্তন বোঝানোর ধারে কাছেও যেতেন না, শুধু বলতেন লেখা আছে পড়, ব্যাস।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
হ্যাঁ, আমাদের পড়িয়েছিল। তার বইয়ের বিবর্তনের ছবিটা নাকি ডারউইন বানর থেকে এসেছে তার প্রমাণ! কি পড়ে এরা শিক্ষক হয় কে জানে?
আরও বলেছিল- (মিঠুন চক্রবর্তী এর আগের দিন ইত্যাদির সাক্ষাতকারে নাকি বলেছিল সে বাঙ্গালি হিসেবে মরতে চায়) আরে ব্যাটা, তুই হিন্দু হবি না মুসলমান হবি সেইটা বল। তোরে কি পুড়াবে না কবর দিবে? বাঙালি হয়ে কি করবি?
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
শালার আমাদের বায়োলজি আর ফিজিক্সের স্যার ছিল পাক্কা জামাত, ক্লাসের মধ্যে অর্ধেক সময় কেয়ামতের মাঠে কী হবে এই নিয়ে লেকচার দিত! চিন্তা করেন বেতন নিচ্ছে ফিজিক্স পড়ানোর জন্য আর ক্লাসে পুশ করছে ধর্ম! কেমন অসুস্থ মানসিকতা।
facebook
ঢাকার বাইরের কলেজে পড়লেও আজমল স্যারের অনেক প্রশংসা শুনতে পেতাম। বেশির ভাগ কলেজে তো ওনার লেখা উচ্চমাধ্যমিকের জীববিজ্ঞান ২য় পত্রের বইটা পড়ায়। উনি যে এরকম জঘন্য মনমানসিকতার লোক এটা আজকে জানলাম। ওনার বই বর্জন করা উচিত ছিল।
নাহ, উনি খুব ভাল পড়ান- জটিল মজার! মানুষ খারাপ না, শুধু বিবররতন মানেন না আর কি!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
বিবর্তন মানলে কী আর না মানলেই কী! কিন্তু বিবর্তন নিয়ে না জেনে জীববিজ্ঞানের বই লিখল ক্যামনে?
facebook
কুদরতি কারবার !
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
নাকি মেশিনের কারবার!
facebook
সৌরভ কবীর
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
সত্য , আমাদের স্যার বলেছিল পাছায় হাত দিয়ে দ্যাখ সেখান কি কোন লেজ আছে? নাই। আর ব্যাটা বলে আমরা এসেছি বানর থেকে লানত এমন শিক্ষাব্যবস্থায়
facebook
আমি বাইচ্যা গেছি। আপনাদের মতো বিজ্ঞানী হই নাই বটে। ব্যাবসায়ের ছাত্র ছিলাম, ব্যাবসায়ে কুন ধর্ম নাইক্যা।
ধর্ম নিজেই তো ব্যবসা
facebook
হু, সেটা তো বটেই। মানে যেটা বলেছি, ব্যাবসায়ের সাথে কোন ধর্মের কোন বিরোধ নাই। ব্যাবসা মহান, টাকা ধর্মই প্রকৃত ধর্ম, বাকী সব নিমিত্ত মাত্র
facebook
___________________________________
অন্তর্জালিক ঠিকানা
facebook
খুব বেশী অবাক লাগল যখন আমার এক বাল্য বন্ধু বলল যে সে বিবর্তনে বিশ্বাস করেনা। অবাক লাগার কারন - সে ইউরোপের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বায়ো কেমিস্ট্রির কোন একটি শাখায় পি এইচ ডি করছে। তাকে বিস্তারিত বলতে বলায় সে পাশ কাটিয়ে গেল। শুধু একজনকে কোট করে বলল যে 'বিবর্তনের আলোকে না দেখলে বায়োলজিতে কোন কিছুই অর্থবহ হয়না' - তারপরও সে নিজে সেটা মানবেনা - কারন তাতে অনন্ত আগুনে পোড়ার ভয় রয়েছে। এবং আমাকে বলল এই ব্যাপারে আর প্রশ্ন করিস না। বিজ্ঞানে উচ্চতর ডিগ্রী নিচ্ছে এমন পাবলিকের যদি এই অবস্থা হয় , তাহলে আমজনতার কী চিন্তা ভাবনা থাকতে পারে ? ক্রিস্টোফার হিচেন্সের সাথে গলা মিলিয়ে বলতে হয় - It is not knowledge, thats why it is called faith.
একদম খাঁটি কথা! আসলে পড়লেই হয় না, নিজে থেকে জ্ঞান আর মিথ্যার মাঝে ফারাকটা খুঁজে নিতে হয়, তেমন অন্তর্দৃষ্টি লাগে। যে জন্য প্রাইমারি স্কুলে না পড়া আরজ আলী মাতুব্বর জ্ঞানের রাজ্যে নক্ষত্র হয়ে থাকেন, আর পি এইচ ডি ডিগ্রী অর্জন করা জাকির নায়েক মিথ্যের বেসাতি করে।
facebook
জোকারের পেঁয়াজডি ফেঁয়াজডি নাই। হ্যাতে এমবিবিএস পাশ করা ডাক্তার।
ছিঃ ছিঃ! তাই নাকি! কনফার্ম করেন তো মেম্বর
facebook
ডাক্তারি নিয়েও সন্দেহ আছে। মহাগ্রন্থের মেডিক্যাল সাইন্সের খবর জানি না, কিন্তু রেগুলার কারিকুলামে পড়ে ডাক্তার হওয়া কেউ মানুষের বৈজ্ঞানিক নাম হোমো স্যাপিয়েন্স এটা জানে না, তা খুবই অবিশ্বাস্য।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
ঠিক
facebook
মানুষের বৈজ্ঞানিক নাম জানতে নাইন পাশ হওয়াই যথেষ্ট।
অজ্ঞাতবাস
আসলে জানার ইচ্ছা থাকাই যথেষ্ট
facebook
ছরি, জাকির নায়েক ডাক্তার, ডক্টর নয়।
facebook
সুমন সাত্তারের মতো আমার নিজেরও একইরকম অভিজ্ঞতা আছে; ডক্টরেট করা লোক তাবিজের পক্ষে যুক্তি দেখাইতেসিলেন। আমি বিরোধিতা করতে গেলে আমারে বললেন, উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যই কি ধর্মবিরোধিতা করা? আমি অবশ্য ‘বাজে’ উত্তর দিসিলাম; বলসিলাম হ্যাঁ, কারণ উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্য হচ্ছে অযৌক্তিক সবকিছুর খোলনলচে পাল্টে ফেলা, চিরায়ত বিশ্বাসের ভিত নাড়িয়ে দেয়া। আর প্রকৃত শিক্ষা গোড়াতে যা শেখায় তা হচ্ছে, ধর্ম হচ্ছে নিছক বিশ্বাস। অতএব, এর ভিত নাড়ানো শিক্ষিতদেরই কাজ বটে। আপনার quote-এর কাছাকাছি: “It is not knowledge, thats why it is called faith.” Simply loved this quote!
তবে আমার মনে হয়, নাস্তিক হওয়ার জন্য দুটো জিনিস লাগে: ধর্মগ্রন্থ আর মগজ। সঠিকভাবে কোরানটা (অন্যসব ধর্মগ্রন্থের ক্ষেত্রেও একইকথা প্রযোজ্য) পড়তে পারলে একে ঐশী মনে করার কোনো কারণ আছে কি? আমি যেমন মজা করে বলতাম, ‘কারণ’ নেই বলেই এর নাম ‘কোরান’।
আরজ আলী মাতুব্বরের রচনাসমগ্র আমাকে বিস্মিত করেছে, যেমন করেছেন লালন। পাঠকদের সুবিধের জন্য নিচে আরজ আলী রচনাসম্রগ্রর প্রথম খণ্ডের লিংক দেয়া হলো ধর্মকারী.কম (dhormockery[ডট]com)-এর স্যেজন্যে। [url=http://www.dhormockery.com/search/label/আরজ%20আলী%20মাতুব্বর]ধর্মকারীর লিংক[/url]:
আর আরজ আলী রচনাসমগ্রর লিংক:
সরাসরি ডাউনলোড লিংক:
বাকি খণ্ডগুলার লিংক পাইলে দয়া করে এখানে পোস্ট করবেন।
ধন্যবাদ
facebook
বিবর্তনবাদ এ' বিশ্বাস ' রাখার দরকার কী?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
দরকার নাই , রাখার এবং না রাখার ফল এক!
facebook
আমি এত কস্ট করে লোকজনদের লাইনে রাখি, আর আপনি, হয়রান আবীর ইত্যাদি কিছু লোক খালি বিবর্তন বিবর্তন করে লোকজনকে লাইনচ্যুত করার চেস্টা করেন।
এসব কথায় কেউ কান দিবেন না, সবাই নিজ নিজ নাম্বারের টোকেন নিয়ে প্লিজ লাইনে থাকুন।
জয় চউ দা
facebook
আপনে মিয়া পারেনও বটে! এগুলো পান কোত্থেকে?
চউ দা কি? জয়।।।।।।।।।।।
চউ দা কি? জয়।।।।।।।।।।।
facebook
লেখা, কমেন্টেস সবই দেখি উত্তম-ঝাঝা টাইপ!
facebook
খুব ভালো লেখা।
কিছু কিছু কমেন্ট পইড়া হাসতে হাসতে মাটিতে গইড় দিয়া উঠলাম।
বিশেষ করে ডারউইন নামের বান্দর কমেন্টটা।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
facebook
আমাকে ভাতে মারার এই হীন চক্রান্তে তীব্র প্রতিবাদ জানাই !!
ঠিক এইরকম কি ???-
একহাত লম্বা খাড়া চুল !!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
পেরাই! ভাবছি ন্যাড়া হয়ে যাব, যেহেতু বব মার্লের মত রাসতা আপাতত করা যাচ্ছে না
facebook
ন্যাড়া ঘনুদা !! সিম্পলি লাইক এ বস !!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
facebook
অসাধারণ!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
লেখা দ্যান মিয়া, আপনার গবেষণা নিয়া
facebook
আর লেখা! এত ক্যাঁচাল, মাথা গরম করার খবরের ভীড়ে ঐগুলা ভুলেই গেসি
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
মাথা গরম হবে ক্যান কানাডাতে?? কেবল জানালা দিয়ে টুপি ছাড়া মিনিট দুই মুণ্ডু টা বাহির করে ঝাকান, তাপ্পর লিখতে বসেন, সব ঠাণ্ডা!
facebook
-৩৩ সে চলতেছে ফিলস লাইক!
আমার -৪৮ সে টেম্পারেচার দেখার সৌভাগ্য হইছে (ফিলস লাইক মনে হয় -৫২/৫৩ ছিল)। আপনার লোয়েস্ট কত? এইসব ক্ষেত্রে মনে হয় শীতকালে এইখানের পশুদের গায়ে লোম উঠার ব্যাপারটা মানুষেরও থাকা উচিত ছিল।
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
নাই নাকি!
নাহ, আমার কি আর কাজ নাইক্যা যে অত ঠাণ্ডার মাঝে যাব! ৪০এর মত পেয়েছিলাম ল্যাপল্যান্ডে, তবে পোলের টা মনে হয়েছিল ৭০এর মত, যদিও ছিল ৩০এর কাছাকাছি।
facebook
মানুষের মধ্যেও ব্যাপারটা আছে। সাইবেরিয়ার একটা শহর আছে নোভোসিবিরস্ক, এই শহরের মেয়েরা বেশ রোমশ হয়।
শুধু মেয়েরা কিনু হিম্ভাই?
___________________________________
অন্তর্জালিক ঠিকানা
পুলাডা খালি টেকনিক্যাল কোচ্চেন করে রে
আপনার অভিজ্ঞতা তো বিয়াপক হিম্ভাই।
facebook
facebook
সব মিছা কথা। বুঝিনা মনে কর্সেন?
..................................................................
#Banshibir.
facebook
facebook
ছাগুদের চারনভুমি খোমাখাতায় শেয়ার দিলাম অনুমতি না নিয়ে ।
-মিলন
facebook
চমৎকার আর্টিকেল ভাইয়া!
facebook
বিবর্তনবাদীরা বলে থাকে যে CHANCE বা ভাগ্যের কারণে এই পৃথিবীতে প্রাণ সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু গাণিতিকভাবে হিসাব করলে দেখা যায় যে যদি কারও কোন নিয়ন্ত্রণ ছাড়া প্রান সৃষ্টি হয় তাহলে সম্ভাব্যতার সূত্রানুসারে সেটা হবে অসম্ভব একটি ব্যাপার।
এক্ষেত্রে স্যার ফ্রেড হোয়েল এবং চার্লস ভিক্রমসিং একটি বিখ্যাত উক্তি দেন। সেটি হলঃ
“Belief in the chemical evolution of the first cell from lifeless chemicals is equivalent to believing that a tornado could sweep through a junkyard and form a Boeing 747.”
তাঁরা এখানে বলেন -
“প্রাণহীন রাসায়নিক দ্রব্যাদি থেকে প্রথম কোষের রাসায়নিক বিবর্তনের উপর বিশ্বাস করা হল একটি টর্নেডোর প্রচুর আবর্জনা ভর্তি একটি স্থান থেকে বোইং ৭৪৭ তৈরি করতে পারার উপর বিশ্বাস করার সমান।”
স্যার ফ্রেড হোয়েল এবং চার্লস ভিক্রমসিং এর কথা অনুসারে একটি টর্নেডো ময়লা আবর্জনা ভর্তি একটি স্থান দিয়ে যাবার সময় সঠিক পার্টগুলো খুঁজে বের করে একটি বোইং ৭৪৭ তৈরি করতে পারে এই কথায় বিশ্বাস করা এবং রাসায়নিক বিবর্তন এর মাধ্যমে প্রাণহীন বস্তু থেকে প্রথম কোষের উদ্ভব হওয়ায় বিশ্বাস করা একই কথা। মানে তাদের কথা থেকেই বোঝা যায় যে রাসায়নিক বিবর্তনের মাধ্যমে প্রাণের উদ্ভব হওয়াটা কতটুকু অবাস্তব একটি ব্যাপার। এর কারন হল রাসায়নিক বিবর্তনের দ্বারা প্রথম কোষের উৎপত্তির সম্ভাবনা অতি ক্ষীণ, এতই ক্ষীণ যে একে অসম্ভব হিসেবে বললেও কিছুমাত্র ভুল হবে না।
এবার একটু দেখা যাক যে রাসায়নিক বিবর্তন দ্বারা প্রাণের উৎপত্তি ও উন্নতির সম্ভাবনা ঠিক কতটুকু। স্যার ফ্রেড হোয়েল এবং চার্লস ভিক্রমসিং RANDOM PROCESS এর মাধ্যমে প্রোটিন তৈরি হবার সম্ভাব্যতা গননা করেন। তাঁরা বলেন যে, RANDOM PROCESS এ CHANCE দ্বারা শুধুমাত্র একটি এনজাইম বা প্রোটিন অনু গঠিত হবার সম্ভাবনা 1 IN 10 TO THE POWER 20 (1/10^20) এর বেশি নয়। বর্তমান পৃথিবীর জীবজগতে ২০০০ এরও বেশি এনজাইম আছে । এই দুই বিজ্ঞানী গননা করেন যে RANDOM PROCESS এ CHANCE দ্বারা এই সমস্ত এনজাইম গঠিত হবার সম্ভাবনা হল 1 IN 10 TO THE POWER 40,000(1/10^40000)। তবে দুঃখের বিষয় হল যে বর্তমানে আর তাদের এইসব গননা ব্যাবহার করা হয় না! কারন বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে তাঁদের সম্ভাব্যতা সম্পর্কিত এইসব গণনা ভুল হিসেবে গণ্য হয়!! বর্তমানে জীববিজ্ঞান ও রসায়নবিজ্ঞানের বহু উন্নতি সাধিত হয়েছে। মানুষ এখন জীববিজ্ঞান ও রসায়নবিজ্ঞান সম্পর্কে এমন অনেক কিছু জানে যা স্যার ফ্রেড হোয়েল এবং চার্লস ভিক্রমসিং এর সময় মানুষ জানতো না। এখনকার জীববিজ্ঞান ও রসায়নবিজ্ঞানের জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে প্রান সৃষ্টির ক্ষেত্রে যে সম্ভাব্যতা গননা করা হয় তা আসলে আরও ভয়াবহ!!!! এখনকার গননা অনুসারে CHANCE এর মাধ্যমে ২০০ টি এমিনো এসিড অণু সম্বলিত শুধুমাত্র ১ টি প্রোটিন অণু গঠন হবার সম্ভাবনা হল 1 IN 10 TO THE POWER 260 বা 1/10^260।(সংখ্যাটি এতই বড়ো যে আমার Fx-570 ms SCIENTIFIC CALCULATOR এ CALCULATION এর সময় Math ERROR দেখায়!)। এই গণনাটি করা হয় বর্তমানে পাওয়া প্রোটিনের সংখ্যা অর্থাৎ ২০ এর উপর বর্তমানে পাওয়া অ্যামিনো এসিডের সংখ্যা মানে ২০০ এর পাওয়ার(POWER) দিয়ে। অর্থাৎ 20^200 থেকে এই গণনাটি পাওয়া যায়। এই সম্ভাবনাটি এতোই সামান্য যে সারা মহাবিশ্বও যদি অ্যামিনো এসিড দ্বারা ভর্তি থাকে এবং তারা যদি ১ বিলিয়ন বছর ধরেও একটি আর একটির সাথে সংযুক্ত হতে থাকে তবুও ২০০ অ্যামিনো এসিড সম্বলিত ১ টি প্রোটিন অণুও গঠিত হবার কথা না জীবন্ত কোষ তো দূরে থাক!
আমাদের বর্তমান জ্ঞান অনুসারে মানুষের প্রতিটি জিনে গড়ে প্রায় ৩০০০ টি করে বেস থাকে। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি বেস সম্বলিত যে জিন পাওয়া গেছে সেখানে বেস আছে সর্বমোট 2.4 বিলিয়ন! মানুষের দেহে প্রায় ৩০,০০০ জিন আছে। মানুষের জেনোমে প্রায় ৩ বিলিয়ন ডিএনএ বেস পেয়ার আছে। শুধুমাত্র পরিণত লাল রক্ত কোষগুলো ছাড়া মানুষের প্রত্যেক কোষে জেনোম সম্পূর্ণ রয়েছে । প্রতি কোষে প্রটিওম আছে যা প্রোটিন থেকেই আসে। জেনোম সাধারণত কখনও পরিবর্তিত হয় না। কিন্তু প্রটিওম প্রতি মিনিটেই পরিবর্তিত হয় পরিবেশের বিভিন্ন প্রায় ১০,০০০ সিগনাল পেয়ে। সবশেষে আমরা জানতে পারি যে মানব দেহে প্রায় ২ মিলিওন প্রোটিন আছে যার প্রতিটিরই আছে বিভিন্ন ধরনের কাজ। কিন্তু যেখানে মহাবিশ্বে এমিনো এসিড দ্বারা পূর্ণ থাকলেও ১ বিলিয়ন বছরে CHANCE দ্বারা ১ টি প্রোটিন অণু গঠিত হয় কিনা সন্দেহ সেখানে ২ মিলিওন প্রোটিন অণু এবং আরও অসংখ্য সূক্ষ্ম অংশ সম্বলিত এতো জটিল এবং কর্মক্ষম একটি মানবদেহ কিনা এসেছে CHANCE থেকে! আর পুরা জীবজগতের কথা তো ভাবাই যায় না যেখানে এখনও প্রচুর নতুন নতুন প্রাণী আবিষ্কার হচ্ছে!! এটা তো একটা অবিশ্বাস এবং অলৌকিক ব্যাপার!!! যারা সৃষ্টিকর্তা এবং অলৌকিকত্বে বিশ্বাস করে না তাদের জন্য এটা একটা বেশ ভালই কল্পনা প্রসূত অলৌকিক চিন্তাভাবনা!!!!!
এক্ষেত্রে এই কথাটি বেশ ভালভাবেই খেটে যায় যে -
There is no chance that the human body could have come about by chance!
তবে এই কথাটি শুধুমাত্র মানুষের ক্ষেত্রেই খাটে না বরং আসলে পৃথিবীর সকল জীবের ক্ষেত্রেই খাটে। মানুষের মস্তিষ্কের গঠন অন্যান্য জীবদের মস্তিষ্কের গঠন থেকে অনেক অনেক বেশি জটিল ও উন্নত বলেই মূলত মানব দেহের উদাহরণটি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সত্যি বলতে কি সম্ভাব্যতা অনুসারে আসলে বাহিরের কোন হস্তক্ষেপ ছাড়া বর্তমান পৃথিবীর সবচেয়ে সরলতম এককোষী জীবটিরও অস্তিত্ব থাকার কথা নয়!
তাইতো!
কে কর্লো হস্তক্ষেপ কন্তো?
অজ্ঞাতবাস
ধুর সুমন ভাই, আমি নজু মিয়ারে কইলাম যে ফিনলান্ডিয়া পার্টি হবে, সুমন ভাইরে ডাকেন। নজু মিয়াঁ দাঁত বাহির করে বলে ডাকুম নে, কিন্তুক সে থাকে জর্মন দেশে!!!
facebook
আমরা যদি তর্কের খাতিরে ধরেও নিই যে প্রাণ সৃষ্টিতে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের বাইরের কোনও হস্তক্ষেপ আছে, এবং তাকে যদি ঈশ্বর নামে ডাকি, তবে সেই ঈশ্বরের সঙ্গে আব্রাহামীয় ঈশ্বরের সম্পর্ক কী? মানুষ কিন্তু বিবর্তনের যুক্তির বিরুদ্ধে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের ঈশ্বরকে টেনে আনে না, আনে মূলত আব্রাহামীয় ঈশ্বরকে। এই ঈশ্বর আরশ নামে এক সীমিত স্থানে বসে ড্যাব ড্যাব করে চেয়ে দেখে বিশেষ গোষ্ঠীর মানুষের মধ্যে নিয়ম মেনে কে প্রার্থনা করল আর কে করল না, কে হিজাব পরল আর কে পরল না, কে শূকরের মাংশ খেল আর কে খেল না। ছ’শ ডানাওয়ালা আগুনের তৈরি জীবের মাধ্যমে মানুষের সঙ্গে বাক্যালাপ করে। এই ঈশ্বরকে কিন্তু মর্ত্যের তুচ্ছতম মানুষটিও পশ্চিম দিকে দাঁড়িয়ে এক ছিলিম জলত্যাগ করেই ‘ক্রুদ্ধ’ করে তুলতে পারে। এই শস্তা আবেগী, ক্রূর, বদমেজাজি, ঈর্ষাকাতর, যৌনবিকৃত, পরস্পরবিরোধী, অতিতর সীমাবদ্ধ ও সাধারণ বিজ্ঞানের ন্যূনতম ধারণাবঞ্চিত তুচ্ছ ঈশ্বরকে যুক্তির ফাঁকফোঁকরে বসিয়ে কি বিবর্তনের মত প্রচণ্ড বাস্তবতাকে অস্বীকার বা আড়াল করা যাবে?
আপনার এই তথ্যসমৃদ্ধ ও যুক্তিনিষ্ঠ প্রশ্নের উদ্গাতা মাইকেল জে বেহে আর স্টিভেন সি মেয়ার। বেহের দুটো গ্রন্থের (‘ডারউইন’স ব্ল্যাকবক্স’ ও ‘দ্য এজ অভ ইভল্যুশন’) আর মেয়ারের ‘সিগনেচার ইন দ্য সেল’-এর জবাবে বিবর্তন জীববিজ্ঞানীদের অনেকেই পাল্টা যুক্তি দিয়ে গ্রন্থ লিখে ফেলেছেন। সবগুলো পড়তে পারা সঙ্গত কারণেই সম্ভব নয়। তবে কেনেথ মিলারের ‘ফাইণ্ডিং ডারউইন’স গড’, জেরি কয়েনের ‘হোয়াই ইভল্যুশন ইজ ট্রু’, রিচার্ড ডকিন্সের ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ পড়ে দেখতে পারেন। মাইকেল রিউজের সম্পাদনায় ঢাউশ একখানা বই আছে, ‘ইভল্যুশনঃ দ্য ফার্স্ট ফোর হান্ড্রেড ইয়ার্স’, সেটিও ঘেঁটে দেখতে পারেন। এছাড়াও পুরনো গ্রন্থের মধ্যে জন মেইনার্ড স্মিথের ‘দ্য অরিজিন্স অভ লাইফ’ আর আর্নস্ট মেয়ারের ‘দ্য গ্রোথ অভ বায়োলজিক্যাল থটস’ পড়লেও এসব প্রশ্নের ভাল জবাব পাবেন। ডকিন্স তাঁর অনেকগুলো গ্রন্থেই এ জাতীয় অসম্ভাব্যতার পাল্টা ব্যাখ্যা নিয়ে আলোচনা করেছেন। যতদূর মনে পড়ে, ‘ক্লাইম্বিং মাউন্ট ইম্প্রবেবল’ ‘দ্য এক্সটেন্ডেড ফেনোটাইপ’, ‘দ্য ব্লাইন্ড ওয়াচমেকার’ আর ‘দ্য অ্যানসেস্টর’স টেইল’-এ এ প্রসঙ্গে কিছু না কিছু যুক্তি দেখিয়েছেন।
দীক্ষিত পাঠক যাঁরা ‘নেইম ড্রপিং’-এর কারণে বিরক্ত হলেন, তাঁদের বিনয়ের সঙ্গে জানাই, বইগুলো আমার পড়া ও সংগ্রহে আছে। আগ্রহী পাঠকেরা সামান্য কষ্ট করলেই বিবর্তনের ওপর বিস্তর পাণ্ডিত্যপূর্ণ লেখা আর আস্ত গ্রন্থ মুফতে ডাউনলোড করে পড়ে দেখতে পারেন। এ প্রসঙ্গে যত পড়বেন, ততই বিস্ময়ের মুখোমুখি হবেন। মনখোলা রাখলে আব্রাহামীয় ঈশ্বর সম্পর্কে আমার বিশেষণগুলোকে লঘু আর বিনয়ী মনে হবে।
সামিউল, আপনার উপস্থিতি আলোচনাকে সমৃদ্ধ করুক।
বাহ, চমৎকার সব বইয়ের নাম দিয়েছেন, অনেক অনেক ধন্যবাদ। কয়েনের বই খুঁজছি নতুন করে, দেখি কবে হাতে আসে।
facebook
মাইকেল রিউজের সম্পাদনায় বইখানার নাম ভুল লিখেছি, নামটি হবে ‘ইভল্যুশনঃ দ্য ফার্স্ট ফোর বিলিওন ইয়ার্স’।
চমৎকার লেখা। ভয়ের চোটে বিবর্তনবাদ মানি তাই বলার সাহস পাই না লোকজনের সামনে।।।।।।। বিবর্তনবাদ নিয়া কথা বললে আশেপাশের মানুষ নাস্তিক বলে আর এখন ত দেশে নাস্তিক খুনির চেও খারাপ।
তা তে আর সত্য চেঞ্জ হচ্ছে না
facebook
একটা ডাম কুয়েসন আছিলো - এক সময় বানর থেকে বিবর্তন হইয়া মানুষ হইছে, বাট এখন বানর থেকে মানুষ হওয়া বন্ধ হলো কেনু আই মিন বিবর্তনটা বন্ধ হলু কেনু ? একটু সহজ করে আনসারটা দিয়েন
বন্ধ হইলে আপনে কমেন্ট করেন ক্যামতে?
..................................................................
#Banshibir.
আসলেই ডাম কুয়েসন । উপরে কমেন্ট এর মধ্যে একটা পোস্টার আসে । দয়া করে দেখে নিবেন ।
facebook
ধর্মবিশ্বাসী এবং অবিশ্বাসী দুটোই মনে হয় একই মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ। কার্যত দুজনই বিশ্বাসী, যেহেতু ঈশ্বর আছেন না নেই প্রমাণ অসাধ্য।
স্ট্যাম্প না জমানো যেমন একটা হবি।
লা-জবাব হিমুদা
"কোন খেলা অংশ না নেওয়াও একটা খেলা"
খেলব না !
facebook
১। প্রকৃতিতে টিকে থাকার জন্যই তো বিবর্তন? মানুষ বানরের থেকে উন্নত বলেই বিবর্তিত হয়ে বানর মানুষ হয়েছে...। তাহলে এখনো কিছু বানরকে বনে জঙ্গলে দেখা যায় কেন? তাদের কে কি তাদের মায়েরা হরলিক্স খাওয়ায় নাই নাকি কমপ্লান খাওয়ায় নাই?
২. বিবর্তন হয়েছে প্রয়োজনে, টিকে থাকার জন্য...। একেক পরিবেশের একেক বৈশিষ্ট্য, তবুও ভিন্ন ভিন্ন পরিবেশে আমরা কিছু একই প্রানী দেখি কেন? সুন্দরবনের বাঘ আর সাইবেরিয়ার বাঘের এত মিল কেন?
৩. বিবর্তন হয়েছে উপকারে, জীবন সহজ করার জন্য... তাহলে দ্বীপ অঞ্চলের মানুষের পানির নিচে বসবাসের গুণাবলী চলে আসল না কেন? কেনই বা আমরা চিতাবাঘের মত দৌড়াতে পারিনা? আর বানরের মতই কেন বা গাছে চড়তে পারি না? আমার বিবর্তন কি ভুয়া নাকি রে?
মানুষ বানরের থেকে উন্নত বলেই বিবর্তিত হয়ে বানর মানুষ হয়েছে --- এই ডাহা ফালতু কথাটা কই পাইছেন! আপনার মাথা থেকে বাহির হয়েছে???
এই এক প্রশ্নেই জীব বিদ্যা, মানুষ, বিবর্তন নিয়ে আপনার দৌড় বোঝা যাচ্ছে, শুনেন ভাই- তর্ক করতে হলে জ্ঞান লাগে, তার জন্য এত্তু লেখা পড়া কইরা আইসেন, খামোখা ভ্যানতারা করবেন না
facebook
আপনার প্রশ্নগুলোর জবাব দিচ্ছি, মন দিয়ে পড়ে দেখুন। তার আগে কিছু কথা আপনার মন দিয়ে বোঝা প্রয়োজন। প্রথমত, অন্য সব কিছুর মতোই বিবর্তন ব্যাপারটা বোঝার জন্য কিছু পড়াশোনা করে আসতে হয়। আপনার যদি পড়াশোনার দৌড় সীমিত হয়, তাহলে আপনি বিবর্তন বুঝতে পারবেন না, যেভাবে ক্লাস ফোর পর্যন্ত পড়া কোনো ব্যক্তি সরল ছন্দিত স্পন্দনের সমীকরণ সমাধান করতে পারবে না। আপনি স্বল্পশিক্ষিত হলেও আপনার মাঝে জানার আগ্রহ আছে, তাই বুঝিয়ে বলছি। মন দিয়ে পড়ুন। না বুঝলে এলাকার শিক্ষিত ব্যক্তিদের সাহায্য নিন।
১. "প্রকৃতিতে টিকে থাকার জন্যই বিবর্তন", কথাটা এভাবে বলা যায় না। বিবর্তন কোনো ঐচ্ছিক ক্রিয়া নয়, এমনকি একটি প্রাণীর এক জেনারেশনের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতেও বিবর্তন হয় না, তাই বিবর্তন "অমুক উদ্দেশ্য নিয়ে সাধিত", এরকম বলা যায় না। বিবর্তিত প্রাণী প্রকৃতিতে অবিবর্তিত প্রাণীর তুলনায় পরিস্থিতিবিশেষে টিকে থাকার ব্যাপারে একটু বেশি সাফল্য পায়। আর মানুষ "বানরের চেয়ে উন্নত বলেই" বিবর্তিত হয়ে "বানর থেকে মানুষ" হয়নি। বানর থেকে মানুষ হওয়ার প্রক্রিয়াটা প্রায় দুই থেকে আড়াই কোটি বছর সময় নিয়ে হয়েছে। আর এই প্রক্রিয়াটার পেছনে কাজ করেছে পরিবেশের কয়েক লক্ষ রকম পরিবর্তন, যা পৃথিবীর সব বানরের ক্ষেত্রে ঘটেনি, ঘটেছে নির্দিষ্ট এলাকায় নির্দিষ্ট কিছু বানরের ক্ষেত্রে। যারা এই কয়েক লক্ষ রকমের পরিবর্তনের সঙ্গে নিজেদের অভিযোজিত করতে পেরেছে, তারা শেষ পর্যন্ত মানুষ হয়েছে। যেসব বানর আপনি আশেপাশে দেখতে পান, তারাও বিবর্তিত হয়েছে এই আড়াই কোটি বছরে, কিন্তু মানুষ হয়নি কারণ মানুষ হওয়ার জন্য যেসব প্রাকৃতিক পরিবর্তনের সঙ্গে অভিযোজন প্রয়োজন ছিলো, সেগুলো তাদের ক্ষেত্রে ঘটেনি।
২. সুন্দরবনের বাঘ আর সাইবেরিয়ার বাঘের মধ্যে আপনি বাহ্যিক সাদৃশ্য দেখে সন্তুষ্ট। কিন্তু চিন্তা করে দেখেন, সুন্দরবনের বাঘকে সাইবেরিয়ায় বা সাইবেরিয়ার বাঘকে সুন্দরবনে নিয়ে ছেড়ে দিলে তারা বেঁচে থাকতে পারবে কি না। আপনি যদি চিন্তায় সক্ষম না হন, উত্তর বলে দিচ্ছি, পারবে না। সাইবেরিয়ার বাঘ সুন্দরবনের আর্দ্র উষ্ণ পরিবেশে খুব দ্রুত মারা যাবে, আর সুন্দরবনের বাঘ মারা যাবে সাইবেরিয়ার ঠাণ্ডায়। এরা দুই অঞ্চলের পরিবেশের সঙ্গে অভিযোজিত বলে এমনকি এদের প্রজাতিও ভিন্ন, অর্থাৎ সাইবেরিয়ার বাঘ আর সুন্দরবনের বাঘের মধ্যে যৌন প্রজনন ঘটবে না বা ঘটলেও তাদের ছানা বন্ধ্যা হবে।
৩. "বিবর্তন হয়েছে উপকারে, জীবন সহজ করার জন্য", এই কথাটাও ভুল ধারণা। বিবর্তন সবসময় উপকারে না-ও আসতে পারে, জীবন সহজ করার জন্য না-ও ঘটতে পারে। বিবর্তন কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে ঘটে না, বরং বিবর্তন ঘটলে পরিবেশের পরিবর্তনের সঙ্গে অভিযোজনের একটা সুযোগ মেলে। কিন্তু পরিবেশ যেহেতু সবসময়ই পরিবর্তনশীল, তাই প্রকৃতিতে পাশার দান সবসময়ই ওল্টাতে থাকে। দ্বীপ অঞ্চলের মানুষের পানির নিচে বসবাসের গুণাবলী চলে আসেনি কারণ মানুষের শরীরে এমন কোনো জিন নেই, যেটা কানকো তৈরি করে। আমরা চিতার (চিতাবাঘ হচ্ছে লেপার্ড, চিতা হচ্ছে চিতা, খুব জোরে দৌড়াতে পারে চিতা, লেপার্ড নয়) মতো দৌড়াতে পারি না কারণ আমাদের শরীরে এমন কোনো জিন নেই যেটা চিতার দৌড়ের যান্ত্রিক দক্ষতার সমকক্ষ কিছু (চিতার পায়ের পেশী, মেরুদণ্ডের গড়ন, হৃৎপিণ্ডের আকৃতি, ধমনীর প্রস্থচ্ছেদ) তৈরি করবে। বিবর্তন তো বাতাস থেকে হয় না, জিনসম্ভারে যেসব জিন থাকে, সেগুলোর মাধ্যমেই হয়। আর বিবর্তন প্রক্রিয়াটা অনেক অনেক অনেক মন্থর, কয়েক হাজার থেকে কয়েক লক্ষ জেনারেশন লেগে যায়। মানুষের জেনারেশনের গড় দৈর্ঘ্য ২৫ বছর, সে হিসাবে লক্ষণীয় বিবর্তন দেখতে গেলে হয়তো আপনাকে কয়েক লক্ষ বছর অপেক্ষা করতে হবে। বর্তমানে আপনি মানুষের যে প্রজাতিকে দেখতে পান আশেপাশে, তাদের বয়স আনুমানিক ৫০ হাজার বছর। আর মানুষের বিবর্তন প্রাণীর মতো ঘটে না কারণ মানুষের কালচার আছে, যেটা তার দৈহিক বিবর্তনের প্রয়োজনকেই সীমিত করে দিয়েছে। উদাহরণ হিসাবে সাইবেরিয়ার বাঘের কথা চিন্তা করুন। সাইবেরিয়ার শীতের সঙ্গে অভিযোজনের জন্য বাঘটার গায়ে পুরু রোম আর চামড়ার নিচে চর্বির স্তর আছে। কিন্তু সাইবেরিয়ার মানুষের কিন্তু পুরু রোম বা চামড়ার নিচে চর্বির প্রয়োজন নেই (যদিও শীতপ্রধান দেশের মানুষ একটু রোমশ হয়), সে শীতকালে বল্গা হরিণের চামড়ার জ্যাকেট গায়ে দিয়ে ঘুরে বেড়াতে পারে। সাইবেরিয়ার বাঘ সুন্দরবনে এলে গরমে মরে যাবে, কিন্তু সাইবেরিয়ার মানুষ সুন্দরবনে এলে বল্গা হরিণের জ্যাকেটটা খুলে খালি গায়ে ঘুরে বেড়াতে পারবে। অন্যান্য প্রাণীর বিবর্তনের সঙ্গে মানুষের বিবর্তনের পার্থক্যটা এখানেই, সে তার কালচারকে বিবর্তিত হতে দিয়ে নিজের ফিজিওলজির পরিবর্তনের প্রয়োজনকেই হাপিস করে দিতে পারে।
তারপরও মানুষের যে বিবর্তন ঘটছে না, এমন নয়। তার খুব স্পষ্ট উদাহরণ আপনি পাবেন মানুষের চামড়ায়। যে সময় মানুষের চলাচল অল্প এলাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিলো, সে সময় সূর্যের আলোর তীব্রতার সঙ্গে শরীরের ম্যালানিনের প্রতিক্রিয়াভেদে ক্রান্তীয় অঞ্চলের মানুষের চামড়ার রং ছিলো অপেক্ষাকৃত কালো, আর মেরুবৃত্তের কাছাকাছি মানুষের চামড়ার রং ছিলো সাদা। শেরপাদের শরীরে হিমোগ্লোবিনের আচরণ সমুদ্রসমতলের মানুষের শরীরে হিমোগ্লোবিনের আচরণের চেয়ে ভিন্ন। এগুলো খুব সূক্ষ্ম বিবর্তন, কিন্তু বিবর্তন।
মূর্খতার মধ্যে লজ্জার কিছু নেই, আমরা সবাই কোনো না কোনো বিষয়ে মূর্খ। তবে মূর্খতা নিয়ে গৌরবের কিছুও নেই। বিবর্তন নিয়ে আবারও কোনো প্রশ্ন থাকলে করবেন, কেউ না কেউ আপনার কৌতূহল নিবৃত্ত করবেন নিশ্চয়ই। যতো বেশি প্রশ্ন করবেন, ততো বেশি জানবেন, পৃথিবীটা আরো সুন্দর মনে হবে। ধন্যবাদ।
অসাধারণ লেখা হয়েছে! মন ভরে গেল।
- একলহমা
হিমু ভাইয়ের মত একখানা শিক্ষক পেলে এত্তদিনে ছোটখাট কার্ল স্যাগান হয়ে যেতাম
facebook
যেমন কুকুর তেমন মুগুর
____________________________
এত চমৎকার লেখাটা এত দেরীতে পড়লাম বলে আফশোস হচ্ছে।
____________________________
facebook
আপনার এই বাক্যটার সোজা মানে দাঁড়ায় - 'মানুষ' বানর থেকে উন্নত - এই ব্যাপারটা হয় দেখেশুনে, নয়তো ভবিষ্যতদৃষ্টির ক্ষমতাবলে বানর আগেভাগে জেনে গিয়ে 'মানুষে' বিবর্তিত হয়েছে।
আরেকটু বিশ্লেষন করলে এরকম দাঁড়ায় - 'মানুষ' নামক বানর-থেকে-উন্নত প্রাণীটা বানরের বিবর্তনের কারন হিসেবে বানরের মানুষে বিবর্তিত হওয়ার আগেই অস্তিত্ত্বশীল ছিল। নইলে "মানুষ বানরের থেকে উন্নত" এবং উন্নত বলেই তার মত হওয়া লাগবে - এই কথাটা বানর বিবর্তিত হওয়ার আগেই জানল কিভাবে?? তো মানুষ আগে থেকে অস্তিত্ত্বশীল ছিল বলেই ও সম্ভবত তার সেই "উন্নত" রূপ দেখেই লোভাতুর, আকৃষ্ট বা ইর্ষাকাতর হয়ে (বা যাই হোক) আত্নোন্নতির প্রত্যাশায় বানরও বিবর্তিত হয়ে 'মানুষ' হয়ে গেছে। আপনার কথাটার এইই একমাত্র যুক্তিসঙ্গত মানে খুঁজে পেলাম আমি।
বিবর্তনের তত্ত্বে (হিউম্যান ইভোলিউশন) বানর-জাতীয় ('বানর' না) প্রাণী থেকে বিবর্তিত হয়ে মানুষের উৎপত্তি বা আবির্ভাবের কথা বলা হয়। বিবর্তিত হয়ে তারা মানুষের পর্যায়ে উপনীত হওয়ার আগে 'মানুষের' অস্তিত্ত্ব ছিল না। থাকতে পারে না। কারন তাহলে সেটা আর উৎস বা উৎপত্তিই থাকে না। কিন্তু আপনার এই প্রশ্নে সেটাই সম্ভব হয়েছে, অর্থাৎ কার্যকারনের পারম্পর্য উলটে গেছে! রীতিমত ঘোড়ার আগে গাড়ি জুতে দিয়েছেন আপনি। তাছাড়া মানুষ যে বানর থেকে 'উন্নত' - এটাও পরবর্তীকালের মানুষেরই উপলব্ধি। কার্যকারন ও তার পারম্পর্যের একেবারে মৌলিক যুক্তিতে এটাও মানুষের অস্তিত্বমান হওয়ার আগেই কারও পক্ষে জানা সম্ভব না। অবশ্য বানরের ভবিষ্যৎদৃষ্টি বা দৈবদৃষ্টি থাকলে অন্য কথা। কিম্বা হয়তো তাদের কাছে টাইম-মেশিন ছিল। সেই মেশিনে চড়ে তারা ঊনবিংশ শতাব্দীতে এসে ডারউইনের 'অরিজিন অফ স্পিসিস' পড়ে ফিরে গিয়ে আলোচনা করে ঠিক করে তাদের কিসে বিবর্তিত হতে হবে। অথবা, বড়জোর এরকম একটা থিয়োরি দাঁড় করানো যেতে পারে যে - কিছু মানুষ বানর মানুষে বিবর্তিত হওয়ার আগে থেকেই ছিল, তাদের দেখে পরে কিছু বানরও মানুষ হয়েছে (এক্ষেত্রে অবশ্য 'কিছু' শব্দটা ব্যবহার অপরিহার্য, যা আপনি করেননি)। এই তিনটা অপশন ছাড়া আমি অন্তত "মানুষ বানরের থেকে উন্নত বলেই বিবর্তিত হয়ে বানর মানুষ হয়েছে" - এই স্টেটমেন্টটার কোন অর্থই খুঁজে পাই না। আর এই রকম তিনটা অপশন ইমপ্লাই করে এমন কোন স্টেটমেন্টকে... কি বলব... কোন ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না।
আপনার পরের প্রশ্নগুলিও প্রায় একই রকম। মোদ্দা কথায়, কার্য-কারনের পারম্পর্য কি জিনিষ আর 'উদ্দেশ্য' আর 'কারন' - এই দুইয়ের মধ্যে পার্থক্য কি - এই দুইটা অতি মৌলিক কাণ্ডজ্ঞানসুলভ বিষয় আপনাকে খুব স্পষ্টভাবে বুঝতে হবে।
আপনাকে ধন্যবাদ চমৎকার বিনোদনমূলক মন্তব্যের জন্য।
****************************************
ইন্টারনেট কানেকশন ও কম্পিউটারের মালিক এবং বাংলা কীবোর্ড চালাতে পারঙ্গম স্বল্পশিক্ষিত মূর্খদের এইপ বা 'বানর-জাতীয়' বোঝানোর চেষ্টা করা পণ্ডশ্রম। এরা সিম্পলি বোঝে না। তাই ছয় মিলিয়ন বছর আগে মানুষ আর শিম্পাঞ্জির অভিন্ন পূর্বপুরুষ থেকে প্রজাতির বিভাজন বোঝানো বাদ দিয়ে একেবারে কুড়ি-পঁচিশ মিলিয়ন বছর আগের লাঙ্গুলধারী বানর থেকেই বোঝানো সহজ। এদেরকে মাদ্রাসার মূর্খ হুজুর পাছায় হাত দিয়ে লেজ খুঁজতে বলে আর লেজ খুঁজে না পেলে ডারউইনকে গালি দিতে বলে। খালি লেজ খসলেই যে মানুষ হয় না, ঘটে কিছু থাকা লাগে, সেটা মাদ্রাসার হুজুর কায়দা করে চেপে গেছেন, তাই আমাদের বছরের পর বছর কীবোর্ড ভাঙতে হচ্ছে।
facebook
লেখায় আর কমেন্ট-এ এক অসামান্য সংগ্রহ।
- একলহমা
বিবর্তন বিষয়টি বুঝতে গিয়ে সাধারণ মানুষ তো বটেই, অসাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত, অর্থাৎ বিজ্ঞানের কোনও অগ্রগামী শাখায় পিএইচডি আছে, এমন অনেক লোককে ধাক্কা খেতে দেখেছি। এর কারণ ধর্ম বিশ্বাস। একটা কথা অনেকেই মানবেন, এরকম ধর্মেও আছি জিরাফেও আছি মার্কা অগণন 'শিক্ষিত' লোকে জগত পরিপূর্ণ। ধর্মের মূল ভিতকে নাড়িয়ে দেয় এমন কোনও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা এঁরা মন থেকে মেনে নিতে পারেন না। সে তুলনায় সাজ্জাদ হোসেনের মত গড় শিক্ষিত (তাঁর প্রশ্নের ধরনে মনে হল, আমার অনুমান ভুলও হতে পারে) পাঠকের কাছ থেকে এ জাতীয় প্রশ্ন আসতেই পারে। এক্ষেত্রে প্রশ্নকারীকে 'বোকার মত' প্রশ্নের জন্য আক্রমণটুকু এড়িয়ে কেবল জবাব দিলেই আমরা হয়ত ভবিষ্যতে এরকম আরও প্রশ্ন পাব এবং হিমুর জবাবের মত জবাব পাব। অনেক সাধারণ পাঠক জনসমক্ষে নাকাল হওয়ার ভয়ে প্রশ্ন করা থেকে বিরত থাকা শ্রেয় মনে করেন। আমার মনে হয় এধরনের জনসচেতনতামূলক প্রসঙ্গ নিয়ে যাঁরা প্রবন্ধ লিখবেন এবং এ বিষয়ে বিপুল পাঠসমৃদ্ধ পাঠক যাঁরা পরিপূরক জবাব দিয়ে আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যাবেন, তাঁরা দুজনেই একটি অলিখিত নিয়ম অনুসরন করতে পারেন যে পাঠকদের ভেতর প্রশ্ন করাকে উৎসাহিত করবেন। প্রশ্নের ভেতরই কিন্তু জ্ঞানচর্চার বীজ, একে দয়া করে অকারণ ক্রোধ বা তাচ্ছিল্য দিয়ে নিভিয়ে দেবেন না। সাজ্জাদের প্রশ্নের কল্যাণেই কিন্তু আমরা হিমুর কাছ থেকে এমন অসাধারণ ব্যাখ্যা পেলাম, এর অন্তর্নিহিত মূল্যকে উড়িয়ে দেবেন না। প্রশ্নের জন্য সাজ্জাদকে ধন্যবাদ। হিমু আর মনমাঝিকে ছোট নাই করলাম।
facebook
সহমত।
বিবর্তনের পক্ষে বিপক্ষে অনেক কথায় বলা যাবে। তবে আমার কাছে একটু অবাক লাগলো এ ব্যপারে বিবর্তনবাদে বিশ্বাসীদের একটু চরমপন্থীতা দেখে। অনেকের মন্তব্য দেখে মনে হল তাঁরা মনে করেন - যারা বিবর্তনে বিশ্বাসী না তাদের জ্ঞানবুদ্ধি অনেক নিম্ন পর্যায়ের। এই চরমপন্থীতা না করলেই কি নয়? যারা বিবর্তনে বিশ্বাস করে না তারা সবাই কি এটা ইহুদী/নাসারাদের চক্রান্ত বলে বিশ্বাস করে না???
যাক আপনাদের জন্য একটা ছো্ট্ প্রশ্ন রেখে যাই - যারা বিবর্তনবাদ নিয়ে অল্পবিস্তর জানেন তাঁরা সকলেই ল্যামার্ক এর নাম শুনে থাকবেন। জিরাফ এর ঘাড় ক্যামনে এত লম্বা হয়ে গেল সেটা নিয়ে থিওরী। আমার মাথায় একটা জিনিষ ঢুকে না যে জিরাফ যে এলাকায় বিচরণ করে সেখানকার অন্যান্য অনেক তৃণভোজী প্রাণী ঘাড় লম্বা না হয়ে টিকে গেল জিরাফকে কেন হতে হল। অনেকে বলবেন - জিরাফের যে সাইজ কিংবা ওদের যে ধরণের খাবার খাওয়ার অভ্যাস সেই কারণে বাধ্য হয়ে হতে হল। প্রশ্ন এখানেই - বিবর্তন হয়ে ঘাড় লম্বা না হয়ে কেন সাইজ ছোট বা খাদ্যাভাস এ কিছুটা পরিবর্তন ঘটল না। যারা বলবেন টিকে থাকার জন্যই বড় সাইজ থাকাটা জরূরী। তাদের জন্য পরবর্তী প্রশ্ন - তাহলে ইমপালা বা গ্র্যান্ট গ্যাজেল এর কাছাকাছি সাইজের জেরেনুকের কেন ঘাড় লম্বা হয়ে গেল? তাদের তো অন্য কোন কারণ ছিল না। এই অ্যান্টিলোপগুলোর বিচরণক্ষেত্রও মোটামুটি একই। আর সবচেয়ে বড় প্রশ্ন যদি জিরাফের ঘাড় লম্বা হওয়াটাই সারাভাইভালের জন্য সবচেয়ে ফিটেস্ট উপায় ছিল তবে অ্যান্টিলোপিনে সাব ফ্যামিলির কাছাকাছি ধরণের বেশ কয়েকটি স্পেসিস ক্যামনে টিকে থাকল - থাকার তো কথা ছিল শুধু জেরেনুকের ! !
বিবর্তন তো ভূতপেত্নীর বিশ্বাস বা অবিশ্বাসের লক্ষ্যবস্তু না, বোঝার বা না বোঝার ব্যাপার। যারা বিবর্তনে "বিশ্বাস করে না", তারা বিবর্তন বোঝে না। যে জিনিসটা লেখাপড়া করে বুঝতে হয়, সেটা লেখাপড়া না করার কারণে বুঝতে না পেরে "বিশ্বাস না করা" খুবই নিম্নস্তরের জ্ঞানবুদ্ধির পরিচায়ক।
আপনার প্রশ্নটা খুবই চমৎকার। এখন আপনার অনুমিতিগুলো আপনি নিজেই একটু পরখ করে দেখুন।
১. জিরাফ এখন যে এলাকায় বিচরণ করে, বিবর্তনের শুরুতেও সে সেই একই এলাকায় একই কিসিমের অন্যান্য তৃণভোজীর সঙ্গে বিচরণ করতো, এমনটা ধরে নিচ্ছেন কেন?
২. জিরাফের ঘাড় লম্বা হয়েছে কারণ জিরাফের জিন পুলে ঘাড় লম্বা হওয়ার জন্যে যে জিন প্রয়োজন, সেটা ছিলো। এই জিনবাহী আদি জিরাফ (যাদের ঘাড় অন্যদের চেয়ে সামান্য লম্বা), তারা শুধু টিকেই থাকেনি, সফলভাবে বংশবিস্তারও করেছে। আপনি হয়তো জানেন না যে প্রকৃতিতে সব পুরুষ প্রাণী বংশবিস্তারের সমান সুযোগ পায় না। যারা সুযোগ বেশি পায়, তাদের জিন ক্রমশ জিন পুলে পরিমাণগত প্রাধান্য পায়।
৩. প্রাণীর আকার বিবর্তিত হয়ে ছোটো হতে থাকে যদি সেই ছোটো আকার তার টিকে থাকা এবং বংশবৃদ্ধির জন্যে সহায়ক হয়। লম্বা ঘাড়ের আদিজিরাফের জন্যে যদি ঘাড় লম্বা হওয়া তার টিকে থাকার এবং বংশবৃদ্ধির জন্য সহায়ক হয়, তার সাইজ ছোটো হবে কেন? আর জিরাফের ঘাড় যে কেবল খাবারের জন্যেই লম্বা হয়েছে, এমনটা না-ও হতে পারে। তৃণভূমিতে যেসব শিকারী প্রাণী ঘুরে বেড়ায়, তারা ঘাসের আড়ালে লুকিয়ে থাকে। একটু বাড়তি উচ্চতা মানে একটু দূর থেকে তাদের দেখে ফেলার সুযোগ, এবং নিরাপদ দূরত্বে পালিয়ে গিয়ে আত্মরক্ষার সুযোগ, যেটা উচ্চতায় ছোটো তৃণভোজী প্রাণী সচরাচর পায় না। তাই আদিজিরাফের সমাজে বর্ধিত ঘাড়ের ইনডিভিজুয়ালরা বাড়তি সুবিধা পেয়ে টিকে থাকতে আর বংশবিস্তার করতে পেরেছে, যা হয়তো অবর্ধিত ঘাড়ের ইনডিভিজুয়ালরা পারেনি।
৪. আবারও একই উত্তর, জেরেনুকের জিন পুলে ঐ ঘাড় লম্বা হওয়ার জিন আছে। ওপরের উত্তরটা এখানেও প্রযোজ্য।
৫. অবর্ধিত ঘাড়ের অ্যান্টিলোপগুলো টিকে থাকার কারণ অনেকরকম হতে পারে। জিরাফের জন্য যে পরিস্থিতি ঘাড় লম্বা হওয়ার জন্য সহায়ক, সেই একই পরিস্থিতিতে অন্যান্য স্পিশিজের ঘাড় লম্বা হতেই হবে, এমন কোনো বাধ্যবাধকতা তো নেই। একেক স্পিশিজের খাদ্যাভ্যাস, গতি, বিচরণের অভ্যাস, আক্রান্ত হলে প্রতিক্রিয়া, যৌনমিলনের অভ্যাস, শিশুর টিকে থাকার অনুকূল পরিবেশ, বিচরণক্ষেত্র ছেড়ে মাইগ্রেশনের অভ্যাস, শিকারী প্রাণীর আচরণ, এরকম হাজারো ফ্যাক্টরের কারণে একেক স্পিশিজের বিবর্তন একেক রকম হতে পারে।
হিম্ভাই বিবর্তন নিয়া লেখা দ্যান, পিলিজ
facebook
হ, বিজ্ঞান বিষয়ে হিমুর লেখা পাইনা অনেকদিন।
প্রাণীর স্বভাবের বিবর্তন নিয়ে একটা লেখা আসতে পারে। কেনো প্রাণীগোষ্ঠী মূলত স্বার্থপর হয়েও বেঁচে থাকার তাগিদে একে অপরের সাথে সহযোগীতা করে। কেনো ভালো ব্যবহার ধর্মের সূচনার আগে থেকেই পৃথিবীতে ছিলো? দ্যা সেলফিশ জিনে শেষের দিকে এ বিষয়ে একটা চ্যাপ্টার আছে।
হিমু ভাইকে ধন্যবাদ ডিটেইল এ উত্তর দেওয়ার জন্য।
বিবর্তনবাদ যে পুরোপুরি ভুল এটা কিন্তু আমি মনে করি না। সময়ের পরিক্রমায় ছোট ছোট বিবর্তন অবশ্যই ঘটছে এবং ঘটবে। হয়ত প্রজাতি ( স্পেসিস) লেভেল এ বিবর্তন ঘটছে কিন্তু তার চেয়ে উপরের স্তরে বিবর্তন ঘটছে বা ঘটেছে কিনা সেটা নিয়েই বক্তব্য। পর্ব ( ফাইলাম) বা শ্রেণী ( ক্লাস) ছেড়েই দিই, গণ (জেনাস) লেভেল এ বিবর্তন ঘটছে/ঘটেছে কিনা সেটা নিয়ে আমি সন্দেহবাদী ।
প্রথমেই বলে নিচ্ছি আমি এমন একটা তৃণভোজী সেট বেছে নিয়েছি যারা বিবর্তনের ধারায় টিকে থাকা একই অঞ্চলের প্রাণী। জিরাফ কে নিয়ে শুরু করার কারণ সর্বপ্রথম যে সব বিজ্ঞানী বিবর্তন নিয়ে কাজ করেছেন তাদের মধ্যে ল্যামার্ক একজন এবং তাঁর বক্তব্যমতে জিরাফ এর ঘাড় লম্বা হয়ে যাওয়ার মূল কারণই কিন্তু খাদ্য প্রাচুর্য নিশ্চিত করা।
জিরাফ আর অ্যান্টিলোপ গোত্র ( ফ্যামিলি) স্তর থেকেই আলাদা প্রাণী। যদিও তাদের বর্গ ( ফ্যামিলি) এক। বিবর্তনবাদ পুরোপুরি সত্য হলে ধরে নিতে হবে সব অ্যান্টিলোপ, অ্যান্টিলোপিনে সাব ফ্যামিলি থেকে এসেছে। এখন আসুন আরও ছোট একটা সেট এ। এবার আমি বেছে নিচ্ছি শুধু সেই সব অ্যান্টিলোপ যারা একটা নির্দিষ্ট এলাকায় বিচরণ করে এবং যাদের খাদ্যাভ্যাস এবং শারিরীক গঠন এক। এবার আমার প্রশ্ন একই শারিরীক গঠন এবং খাদ্যাভাস থাকা সত্ত্বেও প্রাণিগুলি আলাদা হয়ে গেল কেন? তাদের জিনোম সিকোয়েন্স আলাদা হয়ে গেল কেন? খুবই ভাবনার বিষয়।
আফ্রিকার যে অঞ্চলের কথা বলছি সেখানে এখন প্রায় ৫ ধরণের জিরাফ বহাল তবিয়তে টিকে আছে। বাকিগুলি এক্সটিন্ট হয়ে গেছে বা হব হব করছে। এই ৫ ধরণের জিরাফ এর গায়ের প্যাটার্ন থেকে আর পায়ের রং থেকে এদেরকে আলাদা করা হয়। মাসাই জিরাফ আর রথ্সচাইল্ড জিরাফকে খুব সহজেই আপনি আলাদা করে চিনতে পারবেন এমনকি দুর থেকে দেখেও। এটা হয়ত হতে পারে যে একসময় জিরাফ এক ধরণেরই ছিল এবং বির্বতনের কারণে তাদের গায়ের রং এর প্যাটার্ন চেঞ্জ হযেছে। কিন্তু সব কর্ডাটাই একসময় নন কর্ডেট কোন প্রাণি থেকে উৎপন্ন কোন এক কর্ডেট প্রাণির বংশধর সেটা ঠিক মেনে নিতেই আমার যত সমস্যা।
মুদ্রা সংগ্রাহক
আপনি একটা ক্লাসিক সমস্যার চক্করে ঘুরপাক খাচ্ছেন। বিবর্তন নিয়ে যখন ল্যামার্ক, ওয়ালেস, ডারউইনরা কাজ এবং কথা শুরু করেছেন, তখন এটা ছিলো একটা মতবাদের মতো। তারপর দেড়শো বছরে আরো বহু বিজ্ঞানী বিবর্তন নিয়ে কাজ করেছেন, এবং এখন এটা আর কোনো মতবাদ নয়, পর্যবেক্ষণযোগ্য ঘটনা। আপনি যদি আজকে বলেন, আপনি অভিকর্ষবাদে বিশ্বাস করেন না, আপনাকে লোকে বোকা ভাববে, কারণ অভিকর্ষ এখন আর কোনো মতবাদ নয়, পর্যবেক্ষণযোগ্য ঘটনা।
ল্যামার্কের পর শয়ে শয়ে বিজ্ঞানী জিরাফ নিয়ে কাজ করেছেন। ল্যামার্ক বিবর্তন যতোটুকু বুঝতেন, এখন আন্ডারগ্র্যাডে জুওলজির ছাত্ররা বিবর্তন তারচেয়ে অনেক বেশি বোঝে। বিজ্ঞান ব্যাপারটাই এমন, সময়ের সাথে বহু মানুষের গবেষণায় এটি ক্রমশ সমৃদ্ধ হয়। বিজ্ঞানের কোনো নবীরসূল নাই। ল্যামার্ক যা বলে গেছেন সেটাই বিবর্তন সম্পর্কে শেষ কথা নয়। এভাবে দেখতে না পারলে ফ্যাক্টগুলোকে বিজ্ঞান দিয়ে সূত্রবদ্ধ করতে পারবেন না তো।
আপনি যে শারীরিক গঠন বা খাদ্যাভ্যাস "একই রকম" বলে ব্ল্যাঙ্কেট স্টেটমেন্ট দিচ্ছেন, একটু খেয়াল করলেই দেখবেন প্রতিটি প্রাণীর ভিন্ন নিশ আছে। সাদা চোখে মনে হয় এ-ও ঘাস খাচ্ছে ও-ও ঘাস খাচ্ছে, কিন্তু আরেকটু খতিয়ে দেখলেই দেখবেন সব অ্যান্টিলোপ একই এলাকার এক ধরনের ঘাস একই ভাবে খায় না। আর এদের মধ্যে স্পিশিয়েশনকে আজকের আচরণ দিয়ে আপনি যাচাই করার চেষ্টা করছেন, যেখানে এদের স্পিশিয়েশন মিলিয়ন মিলিয়ন বছর ধরে হয়ে আসছে। এই কয়েক মিলিয়ন বছরে ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য পাল্টেছে, এবং তার সঙ্গে এই প্রাণীগুলো একেকটি গণ, একেকটি প্রজাতি একেকভাবে খাপ খাইয়ে নিয়েছে। সেটাকেও হিসাবে ধরতে হবে।
আপনার মেনে নিতে সমস্যাগুলো যে প্রশ্নগুলোর কারণে, সেগুলোকে গুছিয়ে নিয়ে আবার বসুন। আপনারও প্রশ্ন করা হবে, আমাদেরও উত্তর খোঁজা হবে, আলোচনা শেষে আমরা সবাই আরেকটু ভালোমতো বুঝতে পারবো ব্যাপারটাকে। এটাই বিজ্ঞানের সরলতম পথ। ধন্যবাদ।
আপনার কথাগুলোর উত্তর লিখছিলাম, হটাত দেখি হিমু মোটামুটি একই কথা বলে দিল যা বলতে চাচ্ছিলাম। ল্যামার্ক এর নাম যখন শুনেছেন তখন এই জিরাফ বিষয়ক সমস্ত তর্ক বিতর্ক সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন একটু সার্চ করলেই। কয়েকটা লিঙ্ক দেই , যেহেতু ল্যামার্ক এর নাম জানেন এগুলো পড়া থাকতে পারে ইতোমধ্যেই
http://evolution.berkeley.edu/evolibrary/article/history_09
http://en.wikipedia.org/wiki/Lamarckism
http://natureinstitute.org/pub/ic/ic10/giraffe.htm
বিজ্ঞান ধর্ম নয়, বিজ্ঞানীরা নবী নয়। তাই একজন বিজ্ঞানীর সব কথা ধ্রুব সত্য হয়না। বিজ্ঞানীরা ভুল করেন, আবার আরেক বিজ্ঞানীরা এসে সেই ভুল ধরিয়ে দেন। এইভাবেই যুক্তি তর্ক পরীক্ষা বিশ্লেষণ এর মাধ্যমে হাইপোথিসিস থিউরিতে রূপান্তরিত হয়।
কেউ বিবর্তন না মানলে (এখানে বিশ্বাস শব্দটা একেবারেই মানানসই নয়) কোন বিজ্ঞানী তাকে নিয়ে বড়োজোর হাসাহাসি করতে পারে। বিবর্তন বিশ্বাস(!) না করার জন্য মাইর দিবে না। কয়দিন আগে বাংলাদেশের যেই বিশিষ্ট বিজ্ঞানী মহাকর্ষ সূত্র ভুল প্রমাণ করলেন, "পানি তাপ দিলে বাস্প হয়ে উপ্রে উঠে নীচে নামে না ... সুতরাং মহাকর্ষ সূত্র ভুল" এই বলে। তারে কিন্তু আমরা কেউ মাইর দিতে যাই নাই। এমনকি তার কথার উত্তরও দিতে যাই নাই। যুক্তি শুনে কেউ কেউ হেসেছে। আমি নিজের বাসার দেয়ালে নিজে মাথা ঠুকেছি।
তবে ল্যামার্ক ডারউইন সহ নানা বিবর্তনবাদীদের জীবনের নানা সময় নানাভাবে মাইর খেতে হয়েছে। ল্যামার্কের শেষ জীবন সুখের ছিলনা
একটু অবাক লাগলো এ ব্যপারে বিবর্তনবাদে বিশ্বাসীদের একটু চরমপন্থীতা দেখে -- চরমপন্থীতা কথাটা মনে হয় আরেকটু রয়েসয়ে ব্যবহার করতে পারেন। নাইলে আস্তে আস্তে এই কথাটাই "উগ্র বিবর্তনবাদী আর উগ্র বিবর্তনবিরোধী দুজনেই সমাজের জন্য ক্ষতিকর, উভয়কেই আমি অপছন্দ করি" টাইপের সুশীল ভণ্ডামি বাক্যাংশ হয়ে যাবে।
উগ্র বিবর্তনবাদী আর উগ্র বিবর্তনবিরোধী দুজনেই সমাজের জন্য ক্ষতিকর, উভয়কেই আমি অপছন্দ করি" টাইপের সুশীল ভণ্ডামি বাক্যাংশ হয়ে যাবে।
facebook
দারুন লিখা,আমার পড়া সচলের সেরা লেখার একটি।
আমার নিজের একটা অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করি।অনার্স ফাইনালের ভাইবাতে আমাকে প্রশ্ন করা হলো “
প্রশ্ন শুনেই আমি পুরা চোদনা হয়ে গেলাম,একজন বিজ্ঞানের পিএইচডি করা শিক্ষক এইটা কি বলে?আমাকে উত্তরটা দিতে হয়েছে কৌশলের আশ্রয় নিয়ে।বললাম স্যার বিবর্তন আমার বিষয় না,আমার বিষয় অণুজীব বিজ্ঞান।ব্যস কাজ হইছে আর পায় কে,শুরু হলো ত্যানা প্যাচানো আর আমাকে জ্ঞান দেওয়া।
তোমাদের কে নিয়ে এই হলো প্রধান সমস্যা,তোমরা এইযুগের ছেলে মেয়েরা পাঠ্য বইয়ের বাইরে কিছু পড়োনা।কোরান শরীফের অমুক সূরার তমুক আয়াতে পৃথিবী আর প্রাণী কি করে সৃষ্টি হয়েছে তার ব্যাখা দেওয়া হয়েছে।তোমরা তো আর কোরান পড়ো না কি করে সত্য জানবে।আমি অবাক হয়ে ভাবছিলাম এও সম্ভব,একজন বিজ্ঞানের শিক্ষক কথা বলছে একজন গন্ডমূর্খের মতো।আমার মনে হলো আমার সামনে একজন আল মাহমুদ বসে আছে,তার সামনে বসা থাকা আমার জীবনের সবচেয়ে ক্লান্তিকর অধ্যায়ের একটি ছিলো।
মাসুদ সজীব
নতুন মন্তব্য করুন