গাড়ী চলছে সুন্দরবনের উদ্দেশ্যে, ঢাকার ক্লেদাক্ত পরিবেশ ছেড়ে একেবারে বাদাবনের বনজ গন্ধময় উম্মাতাল জোয়ার-ভাটার দেশে। পথে রাজবাড়ি জেলাতে একটু ঘুরপথে যাওয়া হল বাল্যবন্ধু এবং ভ্রমণসঙ্গী উদয় শঙ্কর বিশ্বাসের পরামর্শে, তার মতে এখানে নাকি এক অত্যাশ্চর্য পুরাকীর্তি আছে যার জুড়ি সমস্ত বাংলাতে আছে আর মাত্র একটি ( বাগেরহাটের কোদালা মঠ)! কী সেই স্থাপত্য? কেউ জানে না- কেউ বলে মন্দির, কে বলে বিজয় স্তম্ভ, অনেকেই বলে সীমানাস্তম্ভ, কিন্তু ঠিক কী কারণে এটি নির্মিত হয়েছিল তার হদিশ মিলেনি এখন পর্যন্ত। নাম তার দেউল, মথুরাপুরের দেউল।
পীচ ঢালা রাস্তার পাশেই চোখে পড়ল দেয়াল দিয়ে ঘেরা বেশ পরিষ্কার এক মাঠের মাঝে অবস্থিত দেউলটি। প্রাচীর ঘেঁষে প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তরের সাইনবোর্ডও চোখে পড়ল, বিচিত্র আকারের এক কাঠামো, ময়দানবের কারবার যেন, আকাশ পর্যন্ত উঠে যেয়েও কোন বিচিত্র কারণে দেউলের চূড়া থমকে গেছে। জানা গেল শত বছর আগের এক ভূমিকম্পে এই ক্ষতিসাধনটি হয়েছে। ভারতীয় একাধিক ভাষায় দেউল শব্দের অর্থ মন্দির, কিন্তু মথুরাপুরের দেউল কোন পূজা-অর্চনার কাজে ব্যবহৃত হত বলে মনে হয় না, সে কথায় পরে আসছি।
দেউলের দুইটি ফটকে লোহার গ্রিল লাগানো, বাকি দুটি ইট দিয়ে বন্ধ করা, এর মাঝে একটিতে ঝোলানো তালা তার আপন ধর্মের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করায় সহজেই ভিতরে প্রবেশ করা গেল, সেখানে আঁধারের রাজত্ব আর আছে কিছু চামচিকে। বাহিরের দেয়াল যেমন কারুকার্যময় ভেতরে একেবারেই সাদামাটা, সব কোণ যেয়ে উপরপানে মিলিত হয়েছে, সেখানে নিচ্ছিদ্র আঁধার, আর পায়ের নিচে বেশ পুরু ছাইয়ের স্তূপ!
ছাই এল কোথা থেকে? বোঝা গেল দেউলের পুরু দেয়াল কিছুটা হলেও শীত ঠেকাতে সক্ষম, তাই হিমের আক্রমণে অতিদরিদ্ররা খড়কুটো জ্বালিয়ে ওম পাবার চেষ্টা চালিয়েছে সূর্য ডুবে গেলে। তাতে ধোঁয়ার কুণ্ডলী উপরে উঠে যেয়ে দেউলের ভিতরের দেয়ালের ক্ষতি সাধন করেছে কি? স্বল্প ক্ষমতার টর্চ লাইট দিয়ে বোঝা গেল না, কিন্তু অবশ্যই এমন সুপ্রাচীন জায়গাতে আগুন জ্বালানো অব্যাহত থাকলে যে কোন সময়ই বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ইউরোপের অধিকাংশ দেশেই এর চেয়ে অনেক কম আকর্ষণীয় পুরাকীর্তিকে কেন্দ্র করে স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে কাজে লাগিয়ে পর্যটন ব্যবসাকে বেগবান করা হয়েছে, এতে ইতিহাসের সাক্ষীর যেমন রক্ষণাবেক্ষণ নিশ্চিত হয় তেমন স্থানীয় মানুষেরও কর্ম সংস্থান নিশ্চিত হয়। আশা করি মথুরাপুরের দেউলকে কেন্দ্র করেও এমন কিছু গড়ে উঠবে অদূর ভবিষ্যতে।
আবার বাহির হয়ে দেউলের চারপাশে ঘুরতে ঘুরে অসাধারণ সব টেরাকোটার কাজগুলো দেখলাম মুগ্ধতা ভরা চোখে- পদ্মবনের মধ্য দিয়ে চলমান সিংহ, রামলীলা, কৃষ্ণলীলা, রামায়ণ, মহাভারত, বৃন্দাবনের নানা দৃশ্যের সাথে সাথে সেগুলোতে বাঙ্গালী সংস্কৃতির প্রভাব, যা নিয়ে গুরুসদয় দত্ত বহু যুগ পূর্বে লিখেছিলেন- দেউলের স্থাপত্যে পরিকল্পনা ও গঠনপ্রণালী সম্পূর্ণরূপে বাঙ্গালী ভাবের পরিচায়ক।
বাঙলা পল্লীগ্রামের বাঁকা ছাদের (জুত) ঘর, বাংলার তৎকালীন রীতিনীতি ও জীবনযাপনের চিত্র, বাংলার নরনারীর আকার-প্রকারের বিশেষত্ব, বাংলার চালা হইতে ঝুলানো ধানের শীষ, বাঙ্গালী শাড়ীর অনুপম লীলা মাধুর্য্য- সমস্তই বাঙালী গৃহস্থ ঘরের প্রতিদিনের দৃশ্য , বাঙালী পুরুষের দৃঢ়তাব্যঞ্জক চিত্র, ও নারীর হ্রীসম্পন্ন মূর্তি- এগুলো ইটের মধ্যে ফুটাইয়া তোলা সহজ কাজ নহে। এই দেউল একান্ত ভাবে বাংলার নিজস্ব- বাংলার পুরুষোচিত কৃষ্টির পরিচায়ক। বাংলার বাহির হইতে কোণ প্রভাবই ইহাকে স্পর্শ করে নাই। লঙ্কা, মথুরা, বৃন্দাবন- বাংলার বাহিরের দৃশ্য, বাংলার এক গ্রাম্য স্থপতি এমন ভাবে ফুটাইয়া তুলিয়াছে, যেন বাংলার কুটিরে বাংলার নর-নারীই ইহাদের নায়ক নায়িকা।
( গুরুসদয় দত্তের অসাধারণ বই বাংলার লোকশিল্প এবং লোকনৃত্য-এ মথুরাপুরের দেউল নিয়ে চমৎকার একটি অধ্যায় আছে, আগ্রহীদের জন্য অবশ্যপাঠ্য। )
সেই সাথে সব দিকের দেয়ালেই আছে চমৎকার ভাবে খোদাই করা কীর্ত্তিমুখ।
সেই সাথে প্রাতঃস্মরণীয় আবুল কালাম মোহাম্মদ জাকারিয়ার বাংলাদেশের প্রাচীন কীর্তি বইতে দেউল সম্পর্কে যা উল্লেখ আছে তার সম্পূর্ণই এখানে তুলে দেওয়া হল-----
রাজবাড়ি জেলার বালিয়াকান্দি থানার অধীনে মথুরাপুর একটি উল্লেখযোগ্য স্থান। মধুখালী থেকে এ স্থান মাইল দেড়েক উত্তরে অবস্থিত। এখানে একটি বিরাট প্রাচীন কীর্তি আছে, নাম মথুরাপুর দেউল।
ভূমি পরিকল্পনায় এটি ঠিক গোলাকার নয়। এতে মোট বারটি কোণ আছে। এই কোণগুলো নিয়েই এটি উপরে উঠে গেছে। উপরের দিকে প্রায় মাঝামাঝি পর্যন্ত সোজাসুজি উপরে উঠে গেছে। তারপরে ক্রমশ একটু সরু হয়ে উপরের দিকে উঠেছে। একদম উপরের অংশ নিচের অংশের তুলনায় একটু সরু হলেও খুব সরু নয়। এটি বর্তমানে প্রায় ৭০ ফুট উঁচু। এটি সম্ভবত আরও উঁচু ছিল, সেই অংশ নাকি ভেঙ্গে পড়ে গেছে।
দেউলের বাইরের দেয়াল সাধারণ ভাবে তৈরি নয়, থাকে থাকে ইটের কার্নিশ তৈরি করে সামনের দেয়ালগুলোকে অলংকৃত করা হয়েছে। বিভিন্ন থাকের ফাঁকে ফাঁকে বিশেষ করে নিচের দিকে পোড়ামাটির চিত্রফলক বসানো হয়েছে। এগুলোতে রামায়ণ-মহাভারত ও অন্যান্য পৌরাণিক কাহিনীর চিত্র বসা আছে।
দেউলে একটিমাত্র দরজা আছে এবং তা হচ্ছে দক্ষিণ দিকে। ভেতরে আছে একটিমাত্র ছোট কামরা। সেখানে কোন মূর্তি নেই। আগে ছিল কিনা বলা কঠিন।
দেউলটি একটি খোলা মাঠের মধ্যে অবস্থিত। ধারে-কাছে আর কোন ইমারত নেই। ছিল বলেও কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না।
এটি কবে ও কেন তৈরি হয়েছিল এবং কে তৈরি করেছিল এ সম্পর্কে কোন সঠিক খবর পাওয়া যায় না। লোকে অবশ্য বলে যশোরের রাজা প্রতাপাদিত্যকে যুদ্ধে পরাজিত করার পর সম্রাট আকবরের সেনাপতি রাজা মানসিংহ এটি তৈরি করেছিলেন বিজয়স্তম্ভ হিসেবে।
এই গল্পের পিছনে কোন সত্য থাকতে পারে না, কারণ রাজা মানসিংহের সাথে প্রতাপের কোন যুদ্ধ হয় নি। মানসিংহের মৃত্যু হয় ১৬০৬ খ্রিষ্টাব্দে। এর আরও প্রায় ৯/১০ বছর পরে মোঘলদের সাথে প্রতাপের যুদ্ধ হয়েছিল সম্রাট জাহাঙ্গীরের রাজত্বকালে।
দেউল তৈরি কায়দাকানুন দেখে পণ্ডিতেরা অনুমান করেন যে এটি সতের শতকের দিকে তৈরি হয়েছিল। খুব সম্ভব সেই এলাকার কোন হিন্দু সামন্ত রাজা এটি তৈরি করেছিলেন।
দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া- বাংলার কোণে কোণে আছে আমাদের ইতিহাস, তাদের নিয়েই জানা হল না সম্পূর্ণ ভাবে আজ পর্যন্ত। সেই অজানাকে জানার, অদেখাকে দেখার উদ্দেশ্য নিয়েই এবার যাত্রা বাংলার শ্যামল ভূমিতে, সঙ্গী হবেন তো?
মন্তব্য
অসাধারন লেখা।
ধন্যবাদ
facebook
চমৎকার !!! কি বিপুল সৌন্দর্য !! এবং চমৎকার লেখা কিন্তু শেষ ছবিটায় বড় দাঁত ওয়ালা যে দানব আকৃতির প্রতিকৃতি, এটা কাকে রিপ্রেজেন্ট করছে ? @ অনু দা
সেগুলোই তো কীর্ত্তিমুখ।
facebook
দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া - সে প্রায় চল্লিশ বছর আগে এক বন্ধুর সাথে তার আত্মীয় বাড়িতে গিয়েছিলাম, আড়কান্দি। তখন ছিলো ফরিদপুর। পাশে বালিয়াকান্দিতে এই দেউলটির দিকে তাকিয়েছিলাম বটে কিন্তু দেখা হয় নাই। জানেনতো 'তাকানো' আর 'দেখা'র মাঝে বিস্তর ফারাক। আপনার চোখ দিয়েই তাই সত্যিকার দেখাটা হলো।
আবার হবে
facebook
facebook
আবার জিগায়! সঙ্গী হবোনা মানে? অসাধারণ লিখেছিস। রাজবাড়িতে ছিলাম তিন বছর আট মাস। মধুখালি এমন কোনও দূরও নয়। রাজবাড়ি জেলার অন্দর মহলে ঘোরাও কম হয়নি। কিন্তু এমন একটি অসাধারণ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা এত কাছে রয়েছে তা জানাই ছিলনা। যাক, তোর মাধ্যমে দেখা তো হয়ে গেল। ধন্যবাদ রে! পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম, জলদি ছাড়িস।
-মনি
লিয়ে লিব
facebook
'বাংলার পথে' নামের যে সিরিজটি শুরু করলেন, অণু ভাই, তা খুব প্রত্যাশিত ছিল। আপনি সারা বিশ্বে ঘুরেছেন, সাথে আমরাও ঘুরেছি। অথচ দেশে থেকেও আমরা দেশকে ততটা দেখিনি, যতটা এ কয়দিনে আপনি দেখে ফেলেছেন। এ থেকে একটা বিষয় পরিষ্কার হয়, আমাদের মধ্যে পর্যটক সত্তার তীব্র অনুপস্থিতি। হয়ত আমাদের দুর্দশার এটিও একটি কারণ।
শুরুতে যে পুরাকীর্তিটি নিয়ে লিখলেন,স্বীকার করতে দ্বিধা নেই, দেখা তো দূরের কথা, এমনকি নামও শুনিনি। অথচ আপনার তোলা ছবিগুলো বলে দিচ্ছে, কান্তজীর মন্দিরের মতই দৃষ্টিনন্দন একটি স্থাপনা এটি।
গুরুসদয় দত্ত ও মোহাম্মদ আবুল কালাম জাকারিয়ার লেখাগুলোতে কোটেশান মার্ক না থাকাতে পাঠে বিঘ্ন ঘটেছে। বিশেষ করে, গুরুসদয় দত্তের উদ্ধৃতাংশটুকু সাধু ভাষায় হওয়াতে এবং কোটশান মার্ক না থাকাতে পাঠ করতে যেয়ে সামান্য খটকা লেগেছিল।
ছবিগুলোর সাথে পরিচিতিমূলক ক্যাপশান রাখলে দারুণ হত, অণুদা।
আর একটি প্রশ্নের উত্তর পাইনি এখনো। মথুরাপুরের দেউল কেন পূজা-অর্চনার কাজে ব্যবহৃত হতো না বলে আপনার মনে হয়েছে?
আমার না, এটা বিশেষজ্ঞদের ধারণা, পরের বার অন্যদের লেখাগুলো ভাল মত চিহ্ন দিয়ে দেবার চেষ্টা করব
facebook
যাক বাবা বাঁচা গেল! এদ্দিন আপনার খবর নাই দেখে ভাবছিলাম সুন্দরবনে গিয়ে বাঘের পেটে চলে গেছেন। আপনার পোস্টের অভাবে সচলায়তনকে কিছুদিন বেশ আলুনি লাগতেছিল। কিন্তু, কাজিদার সাক্ষাৎকার পর্বগুলির কি হইল? কবে আসবে?
আর হ্যাঁ, নিজের পোস্টে নিজেই এমনি এমনি স্মাইলি মারার মানে কি? ঘটনা কি?
আসবে আসবে!
ঐ কমেন্টটা ভুলে চলে গেছে
facebook
সন্ন্যাসী উপগুপ্ত
মথুরাপুরীর প্রাচীরের তলে
একদা ছিলেন সুপ্ত--।
এটাই কি সেই মাথুরাপুরীর 'প্রাচীর'?
কিছুক্ষণ আগে আমার এক ছোটবেলার বন্ধুর ফেইসবুকের এ্যালবামে একটি ছবি দেখলাম। আপনার সাথে হাসিমুখে দাড়িয়ে আছে ইস্তাম্বুল এয়ারপোর্টে। দেখে লাইক দিয়েছি ঠিকই কিন্তু হিংসাও লাগছে। বিখ্যাত মানুষের সাথে বন্ধুরা ছবি তুলে ফেইসবুকে শেয়ার করলে হিংসা লাগে বৈকি!
হায় হায়, মানে সুইডেনে বন্ধু? আরে সে তো আমার লেখা পড়ে নাই কখনও
facebook
সে না পড়লে কি হইছে, তার বউতো রেগুলার পড়ে। বউরে দেখানোর জন্যেই নিশ্চই ছবি তুলছে আপনার সাথে।
facebook
অনেকদিন পর তারেকাণু ! বাংলায় যাত্রা শুভ হোক।
জয় বাংলা, সবে তো শুরু
facebook
ওয়েলকাম ব্যাক
ভ্রমণ নিয়ে লেখা কুতায়!
facebook
অসাধারণ একখান পরাকীর্ত্তি দেখালেন মশায়
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
facebook
তা প্রায় চল্লিশ বছর আগে আমার এক বন্ধুর আত্মীয় বাড়ি আড়কান্দি গিয়েছিলাম। তখন ছিলো ফরিদপুর জেলা। ঘুরতে ঘুরতে একদিন পাশের বালিয়াকান্দিতে ঐ দেউলের দিকে তাকিয়েছিলাম বটে তবে সত্যিকার দেখা আপনার চোখ দিয়েই হলো। জানেনতো, তাকানো আর দেখার মধ্যে বিস্তর ফারাক।
facebook
মানসিংহের সাথে প্রতাপের যুদ্ধ হয় অন্ততঃ দুইবার। এই যুদ্ধের ইতিহাস দক্ষিন বঙ্গের বহু জায়গায় ছরিয়ে আছে। প্রথম যৌবনে প্রতাপ উড়িষ্যার পাঠান রাজা কোতলু খাঁর পক্ষ নিয়ে মানসিংহের সাথে লড়াই করেন। পরে অবশ্য বশ্যতা মেনে নেন।
এর পরে সমস্যা শুরু হয় ১৬০৩ সালে। বসন্ত রায়েরহত্যার খবর জাহাঙ্গীরের দরবারে পৌঁছে দেয় রুপরাম বসু। তখন ফের ডাক পরে মানসিংহের। মানসিংহের পক্ষ নেয় কৃষ্ণনগরের রাজা ভবানন্দ মজুমদার, চাঁচড়ার মহাতাব রায়, নলডাঙার রণবীর খাঁ, কুশদহের জমিদার রাঘব সিদ্ধান্তবাগীশ এবং লক্ষীকান্ত মজুমদার (কোলকাতার জমিদার সাবর্ন রায়চৌধুরী বংশের প্রতিষ্ঠাতা কামদেব ব্রহ্মচারীর পুত্র)।
এই যুদ্ধে প্রতাপের পক্ষে মারা যান খোজা কমল আর বন্ধু সুর্যকান্ত, বন্দী হন শংকর চক্রবর্তী (এনার বাড়ি ছিল বারাসাতে, এখনো সেখানে বিশাল দুর্গা পুজো হয়)।
প্রতাপ বশ্যতা স্বীকার এই যুদ্ধের পরে এবং ১৬০৮ অব্দি রাজত্ত করেন। পরে ইসলাম খাঁর সাথে যুদ্ধে সম্পুর্ন পরাস্ত হয়ে বন্দী হন।
বাহ, ধন্যবাদ
facebook
ঠিক এমনই এক দেউল দক্ষিন ২৪ পরগনাতেও আছে, নাম জটার দেউল। প্রায় ১০০ ফুট উঁচু এই দেউল বানিয়েছিলেন রাজা জয়চন্দ্র বা জয়ন্ত চন্দ্র (৯৭৫ খ্রীঃ)। যতদুর সম্ভব ইনি বিক্রমপুরের চন্দ্র বংশের রাজা ছিলেন।
Hunter এর Statistical Accounts এ একে বৌদ্ধ মন্দির বলা হয়েছে। এশিয়াটিক সোসাইটিও একে বৌদ্ধ মন্দির বলে মনে করে। তার মুল কারন হল
১। দেউল পুর্বমুখী - যা হিন্দু মন্দিরে দেখা যায় না
২। খিলান গুল হিন্দু মন্দিরের মতন নয়
৩। মন্দিরের প্রাচীর হিন্দু পীঠের মতন নয়, একেবারে গর্ভগৃহ থেকে গেঁথে তোলা
৪। দেওয়ালে সারি সারি প্রদীপ জ্বালানোর ব্যাবস্থা - বৌদ্ধ মন্দিরের মতন।
৫। এছারা এর আশে পাশে প্রচুর বৌদ্ধ সংস্কৃতির নিদর্শন রয়েছে।
এই হলো দেউলের ছবি (ইন্টারনেট থেকে সংগৃহিত)
facebook
দারুন লাগ্লো অণু, ঢাকায় আসলে দেখা করিস।
___________________________________
অন্তর্জালিক ঠিকানা
পরের বার ব্যাটা গুহামানব
facebook
বাঁইচা আসেন তইলে?
পাঁচতারা পুস্ট।
..................................................................
#Banshibir.
এহন পর্যন্ত
facebook
অনু ইজ ব্যাক। পড়ি নাই এখনও। ওয়েল্কাম ব্যাক জানাইতে ঢুকলাম।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ফিরিয়াচি, ফিরিয়াচি!
facebook
কেমন আছেন অনু দা। অনেক দিন পর আপনার সাড়া শব্দ পাওয়া গেল। ভালো থাকবেন। লেখায়
একটু ছুটিতে ছিলাম, হে হে
facebook
সন্যাসী উপগুপ্ত, মথুরাপুরের ভিতরে কই জানি সুপ্ত ছিলেন। এই টাইপের একটা কবিতা পড়ছিলাম। লেখাটার টাইটেল পড়ে বার বার সেই উপগুপ্ত সাধুর কথা মনে হইলো।
খুব সুন্দর লেখা। দারুন লাগলো।
ধন্যবাদ
সৌম্য
রবি ঠাকুরের লেখা- নগরের নটি চলে অভিসারে, যৌবন মদে মত্তা- কোন কারকে কোণ বিভক্তি! নটির নিচে দাগ -- পরীক্ষাতে প্রায়ই আসত প্রশ্নটা
facebook
অঙ্গে আঁচল সুনীলবরণ,
রুনুঝুনু রবে বাজে আভরণ,
সন্ন্যাসী গায়ে পড়িতে চরণ,
থামিলো বাসবদত্তা
তারেক অণুর এই সিরিজটা আমি খুব আগ্রহ নিয়ে পড়বো, দরকারে বিভিন্ন কাজে ছবিগূলো লোকজনকে জানানোর জন্যে ব্যবহার করবো (কার্টেসি সহ)- আগেই বলে রাখলাম।
ধুর মিয়া, লগে থাকলেন না।
facebook
আবার প্রতিদিন অনুর পোস্ট
এই দেউলটা নিয়ে অনেক পড়েছি, যাওয়া হয় নাই কখনো, ইচ্ছা আছে আবার আলস্যও আছে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
বাগেরহাটের টা অল্পের জন্য মিস হয়ে গেছে, গেলে ছবি দিয়েন। ( ইয়ে, মানে মাঝে মাঝে দিনে ২ টা দিলে কেমুন অয়? )
facebook
মন ভালো হয়ে যায় এরকম লেখা পড়লে।
মন ভালো করে দেবার মজাই আলাদা, কমেন্টে ৫ তারা
facebook
লেখা চমৎকার হয়েছে। কতদিন থাকবেন বাংলাদেশে?
মনে মনে সেখানেই আছি
facebook
অনুদা ইজ ব্যাক।
দারুন পোস্ট। পরের পর্বের অপেক্ষায়
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
আসিতেছে-
facebook
যাচ্চলে, আবার সে এসেছে ফিরিয়া?
আজ্ঞে হ্যাঁ ! তা এতদিন কি পটকায় আগুন দিচ্ছিলেন?
facebook
অণু, ফিরেছেন তাহলে ? এই রকম হঠাৎ হঠাৎ যাতে নিরুদ্দেশ না হতে পারেন সে কারনেই আপনার সেটল হওয়া দরকার । কেউ একজন অন্ততঃ থাকে, যার কাছে খোঁজ খবর করা যায়
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
কেন, আমার ফেসবুক আছে তো !
facebook
অনুদা আপনাকে ধন্যবাদ বাড়ির কাছে এরম জিনিস আছে জানানোর জন্য । ২৫,২৬ তারিখে রাজবাড়ি,মধুখালী যাবো। পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম ।
বাহ, দেউলটাতে অবশ্যই যাবেন
facebook
উফফ এতদিনে আবার আপনার লেখা!!!
রোজই খুঁজি, রোজই খুঁজি।
খুব ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
কেমন আছেন তুলি দি, দৌড়ের এবং নৌকার উপরে থাকার কারণে লেখা দিতে পারি নাই, এখন থেকে দেবার চেষ্টা করব, শুভেচ্ছা
facebook
অসাধারণ! আপনার লেখার সঙ্গে থেকে চক্ষু মেলিয়া দেখিতে চাই।
============================
কত আর রবে দেশ রাহু গ্রাস কবলে?
সমূলে উপড়ে ফেলি দূর্নীতি সবলে।
আপনার এবারের লেখা আর ছবি ২টাই দারুণ লাগল।
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
facebook
যাক লেখালেখি আবার শুরু হল ক্যামন আছো ভায়া?
০২
সিরিজ অনেক লম্বা হবে বলেই আমার অনুমান। লেগে পড়লাম সাথে
ডাকঘর | ছবিঘর
ভাল নাই/// মুকুল দেখি আসছি, আম না খেয়েই!
facebook
নীড় পাতায় আবার তারেক অণু!!
স্থায়ী আসন গাড়লাম
facebook
অনুদা মানেই সামথিং স্পেশাল, ত ভাইডি এদ্দিন পর, আপ্নের কি দয়া মায়া নাই?
ট্যরাকোটা ইজ মাই ফ্যাবারিট। পোষ্টে হাজার তারা। এভাবেই বাংলা বারবার উঠে আসুক তারেক অনুর ক্যামেরায়।
ধন্যবাদ।
এদ্দিন তো নৌকায় ছিলাম, লিখতে পারি, কিন্তু নেটের সমস্যা
facebook
- ফাঁকিবাজের খাতায় তো নাম ওঠে নাই
পরের বার
facebook
দারুন দারুন পোস্ট। আমিতো তোমার লেখা দেখলেই পরে ফেলি। এত সুন্দর ভ্রমন কাহিনী খুব কম লোকই লিখতে পারে।
আপনার লেখার দেখা পেলাম অবশেষে
facebook
বাংলাদেশ নিয়ে খুব সুন্দর একটা সিরিজ পাচ্ছি এটা নিশ্চিত।
আলসেমির জন্য কমেন্ট হয়ত করা হয় না, কিন্তু এটুক জানবেন ঐ লেখাগুলোর জন্য অপেক্ষা করে থাকব।
ক্যারিবিয়ানের সাগরে আপনাকে দেখে যে ঈর্ষা হয়েছে বঙ্গোপসাগরে দেখে তার চাইতে বেশি করতে পারব সে আশাও থাকল।
অটঃ আপনি কি একুশে টিভিতে কোন ট্রাভেল প্রোগ্রাম করতেন? হঠাৎ কেন যেন এ প্রশ্নটা মাথায় এল সেদিন!
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
না তো ! এখন পর্যন্ত না
facebook
কাব্যগ্রন্থ> কথা, কবিতা> অভিসার
http://rabindra-rachanabali.nltr.org/node/11132
অনেক দিন আগে বাংলাদেশ টেলিভিশনে একটা প্রামান্যচিত্র দেখেচিলাম এই দেউলের উপরে।
ভালো লেগেছে
কার উপস্থাপনা ছিল মনে আছে কি?
facebook
নাহ ভাইয়া, উপস্থাপনা কার মনে নেই, বিকেল ৫ টার খবরের পর হত অনুষ্ঠানটি, সম্ভবত বুধবারে (সোমবার ও হতে পারে)
অনুষ্ঠানটি বিটিভির নিজস্ব প্রযোজনা ছিল। পরে বিটিভির ভ্রমণ বিষয়ক অনুষ্ঠান দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল।
বহুদিন পরে এ মাসুদ চোধুরী পিটু একটা প্রোগ্রাম শুরু করেছিলো সেটা রাত আটটার খবরের পরে ৫ মিনিটের একটা প্রামান্য।
সেটা কি আলী ইমামের দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া ছিল?
facebook
আহ পড়তে এতো মজা দেউল টা দেখতে কতো জানি সুন্দর। ধন্যবাদ অনু ভাই। পুরান ঢাকা এর কোনও লেখা কি আসবে ? আমি দেশে থাকলে জোর করে ধরে আপনাকে বুড়িগঙ্গার অই পারে নিয়া জাইতাম । পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম । সবসময় ভাল থাকুন ।
লন যাই , পরের বার
facebook
নতুন মন্তব্য করুন