তখন হাইস্কুলে উঠেছি, অথবা প্রাইমারী স্কুলেই পড়ি, নীল হাফপ্যান্ট আর সাদা শার্ট গায়ে স্কুলে যাই, গল্পের বই পড়া শিখছি, প্রভাতফেরীতে বাবার হাত ধরে শহীদ মিনারে যাওয়া হয়, ক্লাস টেনের ভাইয়া-আপুদের দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকি- ইস, আর মাত্র এক বছর পরেই তাদের স্কুল শেষ! কী আনন্দের জীবন তারপর!
আমাদের স্কুল ছিল রাজশাহী বিশ্ব-বিদ্যালয়ের কাজলা গেটের সাথে, আর বিশ্ব-বিদ্যালয়ের বাস সাধারণত মূল ফটক দিয়ে প্রবেশ ও বাহির হত, যার নাম সবাই বলত মেইন গেট। তার সাথেই একটা ফাঁকা মাঠের পাশে সিনেট ভবন, সেই মাঠের এক পাশে অনেক দিন ধরে ছালা দিয়ে ঘেরা জায়গায় কিছু একটা হচ্ছে দেখতাম, কী তা অবশ্য জানতাম না , কেউ বলেও নি। একদিন শুনি সেখানে নিতুন কুণ্ডু নামের এক শিল্পী ভাস্কর্য তৈরি করেছেন, নাম তার সাবাশ বাংলাদেশ, দুইজন মুক্তিযোদ্ধার বিশাল আকারের ভাস্কর্য, দুইপাশে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করা এবং সহায়তা দেওয়া নারীদের স্মরণে ম্যুরাল, সেটি খুব শীঘ্রই উদ্বোধন করা হবে। আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ খবর যে ছিল তা নয়, কেউ বুঝিয়েও দেয় নি বিশ্ব-বিদ্যালয়ের মূল ফটকের কাছে এমন অসাধারণ একটা ভাস্কর্যের অপরিসীম গুরুত্ব। তারপরও ভাবতাম যাক, চটে ঘেরা জায়গাটি শীঘ্রই উম্মুক্ত হবে, হয়ত সেখানে দেখার মত কিছু একটা আসবে, স্কুলে যাওয়া এবং আসার পথে দিনে ২ বার চোখে পড়বে।
অবশেষে এক সবুজ সকালে শুনলাম সেই ভাস্কর্য আজ উম্মুক্ত করে দেওয়া হবে, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উম্মোচন করার জন্য ঢাকা থেকে খুবই বিখ্যাত একজন মানুষ এসেছেন, নাম তার জাহানারা ইমাম। আমরা স্কুলে, সেদিন কোন বিশেষ ছুটি দেওয়া হয় নি, কিন্তু জাহানারা ইমামের নাম শুনেই মন আকুলিবিকুলি করে উঠল, উনাকে সামনাসামনি দেখা যাবে, উনার কথা শুনতে পারব এই আশাতে কয়েক বন্ধু মিলে আধা বেলা স্কুলের পরে ছুটি নেবার জন্য দরখাস্ত লিখেও ফেললাম, কিন্তু স্যারদের কাছে সেই সাদা কাগজে কালো অক্ষরে কাঁচা ভাষায় ফুটিয়ে তোলা মনের কথামালা নিয়ে যাবার সাহস না করতে পেরে স্কুল টিফিনের সময় আস্তে করে জীবনের প্রথম স্কুল পালিয়ে রওনা দিলাম কাঙ্খিত মুক্তির মন্দির মহা সোপান তলে।
সেই একবারই সামনাসামনি উনার কথা শোনার সৌভাগ্য হয়েছিল।
রাজশাহী বিশ্ব-বিদ্যালয়ে একবার শিবিরের সাথে অন্যান্য দলগুলোর ব্যপক সংঘর্ষ হয়ে ছিল, আজ পর্যন্ত জানা যায় নি ঠিক কতজন ছাত্র তাতে মারা গিয়েছে, যদিও খবরের কাগজে এসেছিল ৫ জন, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে ৫০ জনের কফিনের অর্ডার দেয়া হয়েছিল। সেই সময়ে শের-এ-বাংলা হলের সামনে রিমু নামের এক ছাত্রনেতার ( উনি বাম দলের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন) রগ কাটা লাশ পড়ে ছিল অনেকক্ষণ। জামাতের গোদা মতিউর নিজামি বলেছিল রিমু নিজেই মারামারি করতে যেয়ে গুলি বিদ্ধ হয়ে অথবা ককটেল বিস্ফোরণে মারা গিয়েছে, আইচ্ছা, আর রিমুর পায়ের রগ কী সে মারা যাওয়ার আগে নিজে নিজে কাটছিল? না তোর হাতে গড়া অমানুষগুলার কাজ সেগুলা? যাই হল, জামাতের কাজই মিথ্যা বল আর মানুষের মনে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে বাণিজ্যের বেসাতি করা, তাদের নিয়ে পরে কথা হবে। শহীদ রিমুর মাকে একটি চিঠি লিখেছিলেন জাহানারা ইমাম, সেটি রাজশাহীর স্থানীয় পত্রিকাগুলোতে ছাপা হয়েছিল, সেখানে উনার নাম ছিল না- লেখা ছিল রিমুর মাকে রুমির মা। আর একটা লাইনে উল্লেখ ছিল জামাত-শিবির দেশটাকে মিনি পাকিস্তানে পরিণত করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
মিনি পাকিস্তান? পাকিস্তানের সাথে আমাদের কি সম্পর্ক? তখন নেহাত পিচ্চি, বুঝি না কিছুই, কিন্তু বাংলাদেশকে পাকিস্তানে পরিণত করার চেষ্টা চালাচ্ছে এই দেশের কিছু কুলাঙ্গার সেইটা জেনে কেমন একটা ছমছমে অনুভূতিতে শরীর কেঁপে উঠেছিল, পাকিস্তানের সাথে তো যুদ্ধ করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছে আমাদের বাবারা, লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণের বিনিময়ে পেয়েছি লাল-সবুজ পতাকা, সেখানে কারা চেষ্টা চালাচ্ছে আবার সেই আঁধার অকর্মণ্য অথর্ব বর্বর দেশে ফিরে যেতে!
আজ জানি আম্মা কতখানি ঠিক ছিলেন, কতটা অসম্ভব দূরদর্শী ছিলেন। বাংলাদেশে যে স্বাধীনতাবিরোধী মৌলবাদীরা স্বাধীনতার জন্মলগ্ন থেকেই কতটা সক্রিয় তা তিনি আঁচ পেয়েছিলেন অনেক আগে থেকেই। ও হ্যাঁ, জাহানারা ইমাম আমার আম্মাতে পরিণত হয়েছিলেন টুলবেঞ্চির দিনগুলোতেই, অসাধারণ এক আলেখ্যর মাধ্যমে, নাম তার- একাত্তরের দিনগুলি।
একাত্তরের দিনগুলি পড়তে পড়তে মোহগ্রস্ত হয়ে গেলাম, শহীদ রুমির সাথে গেরিলা যুদ্ধের অংশ গ্রহণ করতে চলেছি কখনও, আবার খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে বাংলাদেশের সমস্ত সেতু-কালভার্টের ম্যাপ নিয়ে আঁধার ঢাকা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে মেলাঘরের দিকে, আবার উৎকণ্ঠায় আছি পাক হানাদারদের ধরে নিয়ে যাওয়া জামি এবং বাবার ভবিষ্যৎ চিন্তায়। আর কোন একটি মাত্র বই আমাদের সমগ্র জাতির চিন্তায় এতটা ছাপ রাখতে পেরেছে?
আস্তে আস্তে পড়ে ফেললাম নিঃসঙ্গ পাইন, ক্যান্সারের সাথে বসবাস, বিদায় দে মা ঘুরে আসি, জীবন মৃত্যু, বুকের ভেতরে আগুন এমনকি অনেক অনেক দশক আগে আম্মার অনুবাদ করা লরা ইঙ্গলস ওয়াইল্ডারের লিটল হাউজ অন দ্য প্রেইরীর অনুবাদ। কী অসাধারণ ক্ষমতার একজন মা, একজন পরিপূর্ণ মানুষ, উনাকেই আমার নিঃসঙ্গ পাইন বলে মনে হত, সমগ্র প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে ঘেয়ো রুদ্ধ সমাজে একা দাড়িয়ে সংগ্রামের জয়গান গাইতেন সেই মহীয়সী।
আমাদের দেশের মানুষকে তিনি সচেতন করার চেষ্টা করলেন, দল মত নির্বিশেষে রাজাকারদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুললেন, অথচ তাকেই রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় অভিযুক্ত করা হল, পুলিশ দিয়ে পিটিয়ে হাসপাতালে নেওয়া হল, কিন্তু উনি লড়ে গেলেন দৈহিক ব্যধি ক্যান্সার আর বাংলাদেশের ক্যান্সার রাজাকারদের সাথে। ক্যান্সারের চিকিৎসারত অবস্থায় আম্মা যেদিন মারা যান সেদিন রেডিওতে তার ছেলে জামি ভাইয়ের সাক্ষাৎকার শুনছিলাম ফোঁপাতে ফোঁপাতে, ভাবছিলাম- উনাকে আমাদের দরকার ছিল বড় বেশী, উনি ক্ষমতার- ক্ষমতাশালীদের তোয়াক্কা করতেন না, বুঝতেন কোনটা ন্যায় এবং কোনটা অন্যায়, বেছে নিতেন এবং নেওয়াতেন সত্য পথ।
প্রথম যখন ঢাকায় গেলাম তখন গুলশানের একটা সাইবার ক্যাফেতে আম্মার অপূর্ব একটা চিত্রকর্ম চোখে পড়ত, মনে হত জানা বিশ্বকে আড়াল করে দাড়িয়ে আলো ছড়াচ্ছেন মানুষটি, তখন মনে মনে প্রতিজ্ঞা করে ফেলেছিলাম সামর্থ্য হওয়া মাত্রই সেই পেইন্টিংটা কিনে নিব, দেয়ালে রাখব সারা জীবনের জন্য। পেইন্টিংটা কেনা হয় নি আর, কিন্তু আম্মা গেঁথে গেছেন মস্তিস্কের কোষে কোষে, সেখান থেকেই উনি বলেন- সজাগ থেক, এই দেশ যেন রাজাকারের দেশ না হয়, এই দেশের পরিণতি যেন পাকিস্তানের মত না হয়।
উনার মৃতদেহ বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয় নি, তখন উনাকে জাতি অভিহিত করত শহীদ জননী বলে, সময়ের সাথে সাথে কেবল শহীদ রুমির নয় উনি আমাদের সবার জননী হয়ে উঠেছেন, তাই তো জাহানারা ইমাম আজ পরিচিত আম্মা হিসেবে, উনি অমর আমাদের চেতনায়।
আম্মার শেষ চিঠি--
সহযোদ্ধা দেশবাসীগণ,
আপনারা গত তিন বছর একাত্তরের ঘাতক ও যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমসহ স্বাধীনতাবিরোধী সকল অপশক্তির বিরোদ্ধে লড়াই করে আসছেন। এই লড়াইয়ে আপনারা দেশবাসী অভূতপূর্ব ঐক্যবদ্ধতা ও সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। আন্দোলনের শুরুতে আমি আপনাদের সঙ্গে ছিলাম। আমাদের অঙ্গীকার ছিল লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত কেউ রাজপথ ছেড়ে যাবো না। মরণব্যাধি ক্যান্সার আমাকে শেষ মরণ কামড় দিয়েছে। আমি আমার অঙ্গীকার রেখেছি। রাজপথ ছেড়ে যাই নি। মৃত্যুর পথে বাধা দেবার ক্ষমতা কারো নেই। তাই আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি এবং অঙ্গীকার পালনের কথা আরেকবার আপনাদের মনে করিয়ে দিতে চাই। আপনারা আপনাদের অঙ্গীকার ও ওয়াদা পূরণ করবেন। আন্দোলনের শেষ পর্যায় পর্যন্ত ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ে থাকবেন। আমি না থাকলেও আপনারা আমার সন্তান-সন্ততিরা - আপনাদের উত্তরসূরিরা সোনার বাংলায় থাকবেন।
এই আন্দোলনকে এখনো অনেক দুস্তর পথ পাড়ি দিতে হবে। দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, মুক্তিযোদ্ধা, নারী, ছাত্র ও যুবশক্তি, নারীসমাজসহ দেশের সর্বস্তরের মানুষ এই লড়াইয়ে আছে। তবু আমি জানি জনগণের মতো বিশ্বস্ত আর কেউ নয়। জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস। তাই গোলাম আযম ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের দায়িত্বভার আমি আপনাদের, বাংলাদেশের জনগণের হাতে অর্পন করলাম। অবশ্যই, জয় আমাদের হবেই।
জাহানারা ইমাম
( ব্যবহৃত ছবি ২টি নেট থেকে সংগ্রহ করা, চিঠিটিও)
এই সিরিজের বাকী পর্বগুলি এইখানে
মন্তব্য
আম্মা আসলেই আলো ছড়িয়ে গেছেন মনে। আম্মা যখন মারা যান তখন আমি খুব ছোট, তাঁর কথা জানতাম না। পরে একবার পাঠ্যবইয়ে আম্মার লেখা পড়ি। খুব সম্ভব সেখানে রূমীর উদ্দেশ্যে আম্মা বলেছিলেন দেশের উদ্দেশ্যে তোকে কোরবানী দিলাম। ঠিক মনে নেই আমার। সেদিন বাবাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম আম্মার কথা। বাবা আম্মার গল্প শুনিয়েছিলেন। পরে বড় হয়ে আম্মার বই পড়ি।
খুব বলতে ইচ্ছা হয়, "আম্মা তুমি শুরু করেছিলে, আমরা শেষ করব"
আম্মা আসলেই আলো ছড়িয়ে গেছেন মনে।
facebook
আম্মা আসলেই আলো ছড়িয়ে গেছেন মনে।
facebook
জয় আমাদের হবেই!
facebook
আম্মা আসলেই আলো ছড়িয়ে গেছেন মনে।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
রিমুর মা ছিলেন স্থানীয় বিএনপি নেত্রী।
তখন ছাত্রদলের মধ্যে প্রচণ্ড জামাত-ঠেকাও মনোভাব ছিল; আজ এটা রুপকথার মতো শোনাবে।
হুম তখন রাবিতে জামাত বাদে বাকী সবাই এক দিকেই ছিল মনে পড়ে
facebook
পড়তে পড়তে আক্ষরিক অর্থেই লোম দাঁড়িয়ে গিয়েছে। স্রোতের বিপরীতে লড়াই করা কাকে বলে আম্মাই শিখিয়ে গেছে বাঙালিকে। পুরো দেশ যখন গোলাম, নিজামী, সাঈদির অন্ধকারে জরজর তখন একা বুক চিতিয়ে রাজপথে দাঁড়িয়ে ফাঁসি চাইছিলেন যিনি তাঁকে এদেশের কুলাঙ্গারসম্প্রদায় কিচ্ছু দেয় নি, বরং অপমান করেছে ভাবলেই অক্ষম আক্রোশে সব ভেঙেচুরে দিতে ইচ্ছা করে।
আর আসিফ নজরুলের মত তৃতীয়শ্রেণির বুদ্ধিবেশ্যারা উনার সাহচর্যের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে তখনো এখনো, অনবরত!
কিন্তু আমাদের কাজ আমরা করে যাব, আসিফ নজরুলরা মুড়ি ভিজিয়ে যাক
facebook
ঠিক। ভালো লাগলো কথাটা, মুড়ি ভিজিয়ে খাক
কি অদ্ভূত একটা শক্তি পাই ওনার ছবি দেখলেই।
বাহ, আমার মনের কথাটা বলে ফেললেন
facebook
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
মেলাঘর হবে সম্ভবত
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এত বিনয়ের কী আছে ! ঠিক করে দিলাম, ধন্যবাদ
facebook
ডিম নিয়ে লেখা কুতায়?
facebook
আসলেই, "ডিম নিয়ে লেখা কুতায়?"
আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি
facebook
দারুন অণু ভাই।
facebook
কী ভয়ংকর আমাদের রিসেন্ট ইতিহাসও। সেই ভয়াবহতাও এত গুছিয়ে লিপিবদ্ধ করার জন্য ধন্যবাদ।
-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।
facebook
আম্মা যে চেতনার মশাল জ্বালিয়ে গেছেন হৃদয়ে তার মৃত্যু নেই।
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
facebook
এই অংশটা খুব পছন্দ হলো।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
facebook
হারা জিতা বুঝিনা- আজ থেকে বিশ বছর আগেও আম্মার ডাকে বাহির হইয়া আসছিলাম আর ফিরি নাই- গোলাম আজমের যেদিন শাস্তি হবে সেদিন আমার আম্মার কবর জেয়ারতের ইচ্ছা আছে- বলার ইচ্ছা আছে জিত্যা গেসি আম্মা!
facebook
মা'র অসমাপ্ত লড়াই লড়ে যায় যে সন্তানেরা, মা বেঁচে থাকেন তাদের-ই মধ্যে।
সুন্দর লেখা।
মা'র অসমাপ্ত লড়াই লড়ে যায় যে সন্তানেরা, মা বেঁচে থাকেন তাদের-ই মধ্যে।
facebook
দারুন।
ভাই একটা কমন ট্যাগ লাগালে যেমন "প্রিয় মুখ", তাহলে সব গুলি পর্ব খুজে পেতে সুবিধা হত।
এই মানুষটাকে অসম্ভব শ্রদ্ধা করি। দুঃখের ব্যাপার হলো, ভালো মানুষগুলাই তাড়াতাড়ি চলে যায়। প্রকৃতির কোনো এক রহস্য মনে হয় এটা।
আপনার লেখাটা খুবই ভালো লাগল।
এই মানুষটাকে অসম্ভব শ্রদ্ধা করি।
facebook
facebook
এই লেখাটার কিছু তথ্য আমি ব্যবহার করতে চাই আম্মাকে নিয়ে করা আমাদের একটা অনুষ্ঠানে। অনুমতি চাই।
নতুন মন্তব্য করুন