১ম দৃশ্য- পূতিগন্ধময় আবছা আঁধার ঘর, ইতালির দ্বীপের এক জেলের বাড়ী, বিছানার উপরে শুয়ে স্বপ্নময় চোখে আমেরিকা থেকে পাঠানো বন্ধুর পোষ্ট কার্ড আলতো ছুয়ে দেখছে যুবক মারিও রুওপ্পোলো, যেন জোরে চেপে ধরলেই অদৃশ্য হয়ে যাবে স্বর্গের টিকিটখানা। দ্বীপের অধিকাংশ মানুষের মতই মারিওর বাবাও মৎস্যজীবী, সারা রাত দুরন্ত সাগরের বুকে দোদুল্যমান নৌকায় ঝড় ঝঞ্চা সহ্য করে জল থেকে তুলে আনে রূপালী ফসল, আবার অনেক সময়ই ফিরতে হয় রিক্ত হাতে। ছেলের উপরে মহাবিরক্ত বাবা, কারণ মারিও জেলের পেশাকে খুবই অবজ্ঞার চোখে দেখে, তার ইচ্ছা আমেরিকার যেয়ে অঢেল টাকার মালিক হওয়া। লম্বা জীবনযুদ্ধের শেষে ঘানি টেনে ক্লান্ত সৈনিক বাবা বলেন- মারিও, তোমার যেখানে ইচ্ছা সেখানে যাও, কিন্তু নিজের জন্য একটা চাকরি জোগাড় কর।
পরের দৃশ্য - সেই দ্বীপের অধিবাসীদের বিনোদনের অন্যতম উৎস সিনেমা হলে দেখানো হচ্ছিল এক ব্যক্তিকে নিয়ে, বিখ্যাত সেই মানুষটি নির্বাসনে আসছেন ইতালিতে এবং কাকতালীয় ভাবে সেই দ্বীপটিতেই! দ্বীপের অনেকেই নিজের প্রেক্ষাগৃহের পর্দায় নিজের চলন্ত ছবি দেখে বিমোহিত হয়ে পড়ে, কিন্তু মারিওর চোখে লেগে থাকে সেই বিখ্যাত কবি, যিনি কিনা আদতে একজন কবি অথচ রাজনৈতিক কারণে ইতালিতে নির্বাসনে এসেছেন, তার চারপাশ ঘিরে মহিলাদের ভিড়, সাথে স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও সব মহিলাভক্তরা আলিঙ্গনে বাঁধবার চেষ্টা করছিল সবখানেই। নির্বাসিত কবির জন্মস্থান ল্যাতিন আমেরিকার দেশ চিলি, নাম তার পাবলো নেরুদা।
( সতর্কীকরণ—এখানে প্রিয় কিছু চলচ্চিত্রের গল্প বলার ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়েছি মাত্র, এটা কোন মুভি রিভিউ নয়, কারণ এমন চলচ্চিত্র নিয়ে রিভিউ লেখার জ্ঞান বা প্রজ্ঞা কোনটাই আমার নেই, এটি স্রেফ ধারা বিবরণী। কাজেই যাদের চলচ্চিত্রটি এখনো দেখা হয় নি, তারা আগে দেখে ফেললেই ভাল হয়, নতুবা সব ঘটনা জানলে হয়ত আগ্রহ কিছুটা কমে যাবে। এমন লেখার ব্যাপারে সকল ধরনের পরামর্শ স্বাগতম। )
যারা কবি নেরুদার বর্ণময় জীবন নিয়ে জানতে বেশী আগ্রহী তারা উনার আত্মজীবনী নিয়ে লেখা একটা ছোট রিভিউ এইখানে পড়ে দেখে পারেন।
সেই দিনই স্থানীয় ডাকঘরে একটি চাকরীর স্থান তৈরি হয়, একজন মাত্র মানুষের জন্য ডাক বয়ে নিয়ে যেতে হবে, মানুষটি অবশ্যই বিশ্বখ্যাত কবি নেরুদা। বেকার মারিও কাজটি খুব খুশি মনে গ্রহণ করে, স্থানীয় পোষ্ট মাস্টারকে বিস্ময় ভরে শুধু বলে- নেরুদা! মহিলাদের সেই কবি! জবাবে কম্যুনিস্ট আদর্শে বিশ্বাসী পোষ্টমাস্টার মুখ গম্ভীর করে বলে- মানুষের কবি! এবং মারিওকে বুঝিয়ে বলে কেমন ব্যবহার নেরুদার সাথে করতে হবে, তাকে খামোখা বিরক্ত করা যাবে না, এবং এটিও জানায় যে এই কাজের বেতন খুবই সামান্য।
শুরু হয় মারিওর নতুন জীবন, ক্রমে ক্রমের নেরুদার সাথে ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে সে, পড়ার চেষ্টা করে নেরুদার জ্বলজ্বলে কবিতামালা, গনগনে আবেগে মোড়া শব্দগুচ্ছ, নেরুদা একদিন কথায় কথায় বলেন তার কাব্যে মানুষ পছন্দ করে হয়ত মেটাফরের ( উপমা ) ব্যবহারের জন্য, শুনে মারিওর জানি পৃথিবী ওলট-পালট হয়ে যায়, সে নিজেই নিজেই চেষ্টা করে জানা পৃথিবী থেকে অজানা উপমা আবিস্কারের জন্য। জানার চেষ্টা করে ভালবাসা কাকে বলে।
স্থানীয় পানশালার কর্মী আবেদনময়ী বিয়েত্রিচ রুশোকে দেখে, তার ছন্দময় কণ্ঠ শুনে জীবনে প্রথম বারের মত আকাশ ভেঙ্গে পড়ে সরল মারিওর মাথায়, প্রেমের চোরাবালিতে কিছু বুঝে ওঠার আগেই আকণ্ঠ নিমজ্জিত হয় সে, ভেসে যায় এক নতুন উম্মাতাল স্রোতে, বুকের মাঝে অনুভব করে সুখের মত অসহ্য এক ব্যথা। ভালবাসার তীব্র সুখময় এবং হাহাকার করা অনুভূতি ভরিয়ে তোলে তার মহাবিশ্ব।
পরদিন কাক ভোরে নেরুদাকে ঘুম তোলে সে জানায় তার ভালবাসার কথা। প্রবল প্রেমিক পুরুষ নেরুদার মুখে ভুমধ্যসাগরের উষার আলোতে দেখা দেয় সুখ এবং কৌতুকের অভিব্যক্তি, খুশী মনে তিনি বলেন, তা মারিও কী কথা হল তার সাথে- মারিও বলল ৫ টা শব্দ। তোমার নাম কী? উত্তর ছিল – বিয়েত্রিচ রুশো। হতভম্ব নেরুদা বললেন তুমি তো ৩ শব্দ বললে! মারিও উত্তর- আমি নিজের মনে আবার উচ্চারণ করেছিলাম বিয়েত্রিচ রুশো। হে নেরুদা, আবার জীবনের এমন হয় নি, আমি ভালবাসা কী জানতাম না, আপনার সাথে কথা বলে, আপনার কবিতা পড়ে আমার দশা, আমার হৃদয়ে আজ ভালবাসার ফুল ফুটেছে, এই সবকিছুর জন্যই আপনি দায়ী, আপনি অনুগ্রহ করে আমায় হয়ে বিয়েত্রিচ কে একটা ভালবাসার কবিতা লিখে দিন!
সব ঠিকই ছিল, কিন্তু এই অনুরোধে ভীষণ ভাবে বেঁকে বসেন নেরুদা, তার এক কথা যাকে দেখেন নি তাকে নিয়ে কবিতা লেখা সম্ভব না, উৎস এবং উৎসাহ একসাথে একবারের জন্য এক হওয়া দরকার। সাময়িক মনোমালিন্য দেখা দেয় পোড় খাওয়া নেরুদা এবং সদ্য প্রেমে পড়া অনভিজ্ঞা খাঁটি মানুষ মারিওর মাঝে। অবশেষে একদিন নেরুদা তার বন্ধুদের কাছে রেকর্ডকৃত বার্তা পাঠানোর সময় মারিওকে সেই রেকর্ডে এই দ্বীপের সবচেয়ে সুন্দর জিনিসগুলোর কথা বলতে বলেন, মারিও কোনমতে বলে- বিয়েত্রিচ রুশো! হাস্যরত নেরুদা সেইদিনই সাইকেলে চেপে মারিওকে নিয়ে বিয়েত্রিচের পানশালাতে উপস্থিত হন, সেখানে মারিওকে একটি ফাঁকা খাতা দিয়ে তাতে বিয়েত্রিচের কাছ থেকে ধার নেয়া কলমে সাক্ষর করে ইঙ্গিতপূর্ণ ভাবে বলেন- তুমি তোমার কবিতা পেয়ে গেছে মারিও, শুধু লেখাটা তোমার দায়িত্ব।
স্বাধীনচেতা বিয়েত্রিচ বেলাভূমিতে ঘুরে বেড়াচ্ছে আপন মনে, অন্য মানুষের উপস্থিতিতে চমকে উঠে দেখে সম্মোহিত মারিও, যে কেবল অস্ফুট কণ্ঠে বলে যায়- বিয়েত্রিচ, তোমার হাসি তোমার মুখমণ্ডলে প্রজাপতির মত উড়ে বেড়ায়! আসে একের পর এক নিখাঁদ আবেগে মোড়া ভালোবাসার সরল স্বীকারোক্তিতে ডোবানো উপমার ছড়াছড়ি ( সবই নেরুদার সৃষ্ট)।
নিশিতে পাওয়া মানুষের মত বাড়ীতে ফেরে বিয়েত্রিচ, তার অভিভাবক বৃদ্ধা ফুফু অবাক হয়ে লক্ষ্য করেন ভাতিজীকে, বোকা বনে বলেন কী হয়েছে রে মেয়ে, উত্তর মিলে মেটাফোর!
এমন কঠিন শব্দ এর আগে কোনদিন শুনেন নি ফুফু, মারিওর নামে একগাদা বাজে মন্তব্য করেন তিনি। শুধু তাই না বিয়েত্রিচের অন্তর্বাসের ভিতর থেকে একটি কবিতা আবিস্কারে করেন তিনি যাতে লেখা ছিল
In nude you are as bare as one of your hands
smooth, earthly, small, round, transparent
with lines of moon and paths of an apple,
in nude you’re slender like a naked stem of wheat.
In nude you look blue like the Cuban night
with stars and vines in your hair,
in nude you are whole and yellow
like summer in a church of gold.
মারিও কি উদ্ভিন্নযৌবনা বিয়েত্রিচকে Nude দেখে ফেলেছে কিনা এই চিন্তায় অস্থির হয়ে স্থানীয় চার্চের যাজকের কাছে কবিতাটি নিয়ে যান, শেষমেশ বিচার দেন নেরুদার কাছে! বলেন মারিও যেন তার ভাতিজির কাছ থাকে দূরে থাকে, তার এই সমস্ত উপমার দরকার নেই।
কবিতাটি পড়ে নেরুদা হাসতে হাসতে বলেন এর সাথে নগ্নতার কোন সম্পর্ক নেই, পুরোটাই উপমা, কিন্তু ক্রুদ্ধ বৃদ্ধা চলে যাওয়ার পরে মারিওকে নেরুদা বলেন যে কবিতা তিনি তার স্ত্রী মাতিলডা উরুশিয়েকে নিয়ে লিখেছেন সেটা কেন সে অনুমতি ছাড়া বিয়েত্রিচকে লিখেছে?
জবাবে মারিও স্বীকারোক্তি দেয়- কবিতা কবির না, কবিতা তারই যার সেটা প্রয়োজন!
অবশেষে শব্দ আর উপমার বন্ধনে মারিও এবং বিয়েত্রিচের বন্ধন সামাজিক স্বীকৃতি লাভ করে, গির্জাতে পরিণয় অনুষ্ঠানে মারিওর সাক্ষী হিসেবে উপস্থিত থাকেন স্বয়ং নেরুদা। এবং সেই দিনই চিলি থেকে টেলিগ্রাম আসে যে তার উপরে জারি করা হুলিয়া উঠে গেছে, এখন প্রিয় স্বদেশে ফিরতে পারবেন তিনি। কিন্তু এর ফলে আবার বেকার পরিণত হল মারিও। এরপরেও বিদায় বেলায় নেরুদার কাছ থেকে কোন অর্থ সাহায্য নিয়ে অস্বীকৃতি জানায় সে। নেরুদা জানান তিনি বন্ধুকে মনে রাখবেন।
এরপরে ছোট সেই দ্বীপের জীবনযাত্রা চলতেই থাকে আগের মত, চুষে খাওয়া রাজনীতিবিদরা ইচ্ছে মত শোষণ করে যায় সরল মানুষগুলোকে , ভাগ্য পরিবর্তন হয় না কারোই। এর মাঝে শরীরে দ্বিতীয় স্বত্বার অস্তিত্বে শিহরিত হয়ে ওঠে বিয়েত্রিচ, মারিও জানায় এই সন্তানের নাম হবে পাবলো, সম্ভব হলে তারা চিলিতে চলে যাবে, যেখানে অনাগত সন্তান বড় হবে কবিতা আর আলোকিত মানুষের মাঝে। নেরুদার কাছ থেকে কোন খবর আসে না, তাকে দেখা যায় খবরের লাগজে, টিভিতে, সারা বিশ্বের মানুষের প্রিয় মানুষ তিনি, কিন্তু তার কথাতে এই পরিবারের উল্লেখ থাকে না। অবশেষে একদিন চিঠি আসে চিলি থেকে, পরিবারের সবাই আবেগে আপ্লুত হয়ে একসাথে ঘিরে বসে পবিত্র গ্রন্থপাঠের আয়োজনের মত করে চিঠিটি খুলে, তাতে নেরুদার সেক্রেটারির লেখা বার্তা ছিল , উনার ব্যবহৃত কিছু জিনিস ফেরত পাঠাবার জন্য। বিয়েত্রিচ এবং তার ফুফু খুবই ক্ষুব্ধ হয় নেরুদার প্রতি, কেন তিনি তাদের কোন খবর নেন না, তখন মারিও আবেগপূর্ণ কণ্ঠে বলে- নেরুদা তাদের যা দিয়েছেন তাতেই সারা জীবন সুখী থাকা উচিত। সে-ই তো তাকে সবসময় বিরক্ত করে, সময় নষ্ট করেছে নানা বাহানায়, নেরুদা তো তাদের কাছে থেকে এমন কিছু পান নি, বরং তার সাথে মিশেই সে ভালবাসা শিখেছে, কবিতা লেখার চেষ্টা করেছে, যদিও কবি হিসেবে সে নিম্ন মানে।
দৃঢ় মুখে বিয়েত্রিচ বলে- মারিও, তুমি কবি হিসেবে নিম্ন মানের না।
এইবার মারিওর মনে পড়ে সেই রেকর্ডারের কথা, যাতে সে এই দ্বীপের সবচেয়ে সুন্দর জিনিসগুলোর কথা রেকর্ড করে নেরুদার কাছে পাঠাতে পারে, শুরু হয় তার প্রিয় জিনিসগুলোর শব্দ ধারণের চেষ্টা-
১- সাগরের ছোট ছোট ঢেউয়ের ধ্বনি
২- বিশাল তরঙ্গের গর্জন
৩- পাহাড়ের ঢালে বাতাসের গুমরে ওঠা
৪- ঝোপের মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া বাতাসের ফিসফিসানি
৫- জেলেদের বিষণ্ণ জালের শব্দ
৬- গির্জার ঘণ্টা ধ্বনি
৭- নক্ষত্রময় আকাশের নীরবতা
৮- বিয়েত্রিচের গর্ভে থাকা ছোট পাবলোর হৃৎস্পন্দন
পর্দা পড়ে যায় সিনেমাতে।
পরের দৃশ্যে দেখা যায় নেরুদা এবং বিয়েত্রিচ ফিরে এসেছেন সেই দ্বীপের পানশালায়, সেখানে খেলে বেড়াচ্ছে এক ফুটফুটে কিশোর, যার নাম পাবলো। পর্দার আড়াল থেকে বেরিয়ে আসে বিয়েত্রিচ, জানায় ছোট্ট পাবলোর জন্মের আগে কম্যুনিস্টদের এক জনসভায় পাবলো নেরুদাকে নিয়ে স্বরচিত কবিতা পড়তে যেয়ে পুলিশের রোষের শিকার হয়ে খুব হয় সে। সেই রেকর্ড আর পাঠানো হয় নি নেরুদাকে, ঘরে বসে রেকর্ড আর মারিওর কণ্ঠ শুনতে শুনতে অপার্থিব অভিব্যক্তিতে ভরে উঠে কবি নেরুদার মুখ।
১৯৯৪ সালে ইতালিয়ান ভাষায় নির্মিত এই উপমাময় ভালবাসার অন্যতম সফল রূপকার ছিলেন পোষ্টম্যান মারিও-র ভূমিকায় অভিনয়কারী ম্যাসসিমো ত্রয়সি, দুঃখজনক ভাবে ছবিটি মুক্তি পাবার আগেই হার্ট অ্যাটাকের কারণে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। নেরুদার ভূমিকায় সফল ভাবে উৎরে যান ফিলিপ নোয়ের এবং বিয়েত্রিচের ভূমিকায় ইতালির মেয়ে মারিয়া গ্রাজিয়া। সিনেমাটির অধিকাংশ শ্যুটিং-ইতালির ন্যাপলির “প্রচিদা” আর সিসিলির “সালিনা” দ্বীপেই হয়েছিল ।
( এই পোস্টটি তোমার জন্য প্রিয় মহুয়া। অবশ্যই এই অসাধারণ সিনেমাটি একসাথে দেখব আমরা শীঘ্রই।
শেষ পর্দা ওঠার সময় নেরুদার এই কবিতাটা ভেসে উঠেছিল দৃশ্যপটে, এখানে কেবল কবিতার (poetry) জায়গায় ভালবাসা বসিয়ে নাও)
And it was at that age ... Poetry arrived
in search of me. I don't know, I don't know where
it came from, from winter or a river.
I don't know how or when,
no they were not voices, they were not
words, nor silence,
but from a street I was summoned,
from the branches of night,
abruptly from the others,
among violent fires
or returning alone,
there I was without a face
and it touched me.
মন্তব্য
সুবোধ অবোধ
facebook
এক কথায় সিনেমাটা অসাধারন। পরিচালক মাইকেল রেডফোর্ড এর এক অসামান্য কীর্তি ই বলা যায়, কারন এতো সাধারন এবং ধীর একটা গল্প কে নিরবিচ্ছিন্নিভাবে বিরক্তির উদ্রেগ না করে পরিস্ফুটন করাটা অত্যন্ত কঠিন কাজ এবং তিনি তা চমৎকার ভাবেই করেছেন। মাসিমো ত্রাইসি (মারিও রাউপ্পোলো) এর অভিনয় চোখে লেগে থাকার মত। পুরা সিনেমাটায় তার অভিনয় ই গভীর আগ্রহ ধরে রেখেছিল।
সবচে অভিভূত হয়েছিলাম মারিও যখন পুরনো রেকর্ডার টা নিয়ে পাখির ডাক, সমুদ্রের গরজন, বাতাসের প্রবাহ রেকর্ড করতে শুরু করে। অসাধারন !!
সিনেমাটা দ্যাখার সময় মনে হচ্ছিল যেন দীর্ঘ আশ্চর্য এক কবিতা পড়ছি।
চমৎকার লিখেছেন অনু দা।
সিনেমাটা দ্যাখার সময় মনে হচ্ছিল যেন দীর্ঘ আশ্চর্য এক কবিতা পড়ছি।
facebook
ভালই লাগল নিবন্ধটি।
ধন্যবাদ
আঃ হাকিম চাকলাদার
facebook
দেখতে হবে মুভিটা
মাস্ট
facebook
প্রিয় চলচ্চিত্র! ৬/৭ বছর আগে দেখা - আবার দেখতে ইচ্ছা করছে লেখা পড়ে।
এবার পরিবার নিয়ে দেহেন
facebook
সচল পরিবার এখন ম্যালা বড় ! অডিটোরিয়াম লাগবে
আর স্যাম পরিবার বড় হয়ে গ্যাছে এত?
facebook
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
কী খবর আপনার?
facebook
ভাইয়াখবর হলো খুব খারাপ আছি। অসুস্থ অনেক মন ভালো নেই পিসির হার্ড ডিস্ক ক্রাস করেছে। সব মিলিয়েখুব খারাপ আছি বলতে পারো। স্কাইপে মেসেজ করেছিলাম দেখো।
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
সুস্থ হয়ে উঠ জলদি
facebook
ঐ মিয়া এতো লেহেন ক্যান? আমাগো কি হিংসা হয়না?
লেহেন, লেহেন !
facebook
আপনার ধারাবিবরণী চমৎকার হয়েছে। অসাধারণ এই সিনেমাটি ৭ বছর আগে দেখার পর দুইদিন ঝিম মেরে বসে ছিলাম, কি মারাত্মক অভিনয় ক্ষমতা ম্যাসসিমো ত্রয়সির! শুটিং শেষ হবার মাত্র ১২ ঘণ্টা পর হার্ট অ্যাটাক হয় বেচারার। অস্কারে সেরা অভিনেতার নমিনেশনও পায় ডাকপিয়নের এই চরিত্রের জন্য।
লুইস বাকালভ এই ফিল্মের সাউন্ডট্র্যাকের জন্য ১৯৯৬ সালের অস্কার পুরষ্কার জিতে নেন। যতবার শুনি চোখের সামনে ভেসে উঠে ত্রয়সির সেই বোকাবোকা নিষ্পাপ মুখখানি। http://www.youtube.com/watch?v=95IvXVD0Utc
“সিনেমাটির অধিকাংশ শ্যুটিং-ই হয়েছিল নেরুদার দেশ চিলিতে” কথাটা ঠিক মানতে পারছিনা। আমার জানামতে ন্যাপলির “প্রচিদা” আর সিসিলির “সালিনা” দ্বীপেই মূল শুটিং হয়।
ইংলিশ ভার্সনে ত্রয়সির ভয়েসে ডাবিং দেয় রবার্ট দি নিরো।
......জিপসি
ভুল ইনফো পেয়েছিলাম, ঠিক করে দিয়েছি,
facebook
দেখা হয়নি,দেখতে হবে তো মুভিটা।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
facebook
রিভিউ পড়ে সিনেমাটা দেখার ইচ্ছা জাগল
facebook
তুমি খুব ঝরঝর করে গল্পটা বলোতো, পড়তে ভালো লাগে। তোমার রিভিউ পড়ে ছবি দেখতে আমার অসুবিধা হয়না। একবার পড়ে ফেললে কবিতা কি পুরনো হয়ে যায়? আরো মুভি রিভিউ চাই।
facebook
নতুন মন্তব্য করুন