সারা রাত উৎকণ্ঠায় কাটিয়েছি, ঘুম ভেঙ্গে গেছে বেশ কবার, বার বার ঠাণ্ডা মাথায় ভাবার চেষ্টা করেছি- কাজটা কি ঠিক হবে? জীবনের কিছু বছর চলেই গেছে অজানার পথে, বাকীগুলোও হয়ত যাবে, তার মাঝে এমন চক্ষু-কর্ণের বিবাদভঞ্জন কি এতই জরুরী? যে মানুষটার অবদানে জ্ঞানের চোখ মেলেছে, যার লেখনী অন্তরের দৃষ্টি জাগিয়ে তুলেছে তার সাথে দেখা করতে চাওয়া তো মোজেসের ঈশ্বর দর্শনের বাসনার মত, মোজেস ঈশ্বরের রূপ সহ্য করতে পারে নি বলেই বলে ওল্ড টেস্টামেন্টের রূপকথা, আমার চেনাজগত যে সেই স্বপ্নের কারিগর দর্শনের পরে কতটা ওলট-পালট হবে তা বুঝি কী করে? মাথা ঠাণ্ডা থাকে না, কেমন যেন আউলে যায়, সেদিনের ভোরটাও বেশ আগে আসে, ঢাকার কাকগুলো অন্য স্বরে ডাকতে থাকে, আগের দেয়া সময় ঠিক রাখার জন্য সিএনজি নিয়ে সোজা সেগুনবাগিচা যেয়ে সহব্লগার জুন ভাইয়ের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম।
যত দোষ সবই জুন ভাইয়ের, কয়েক মাস আগে বিলেত যাত্রার সময় বিরক্তিকর বিমানযাত্রার ফাঁকে একটা লেখা লিখেছিলাম, এবং বিলেতে পা দিয়ে বাসে ইন্টারনেট পাওয়া মাত্রই তা সচলায়তনে পোস্ট দিয়েছিলাম। তারখানিক পরেই দেখি জুন ভাইয়ের কমেন্ট- আপনার লেখা দেখেই কাজীদাকে ফোন করেছিলাম, উনি লেখাটি পড়েছেন! আমার তখন ধরণী দ্বিধা হও অবস্থা, লন্ডনের বিরক্তিকর প্যাঁচপ্যাঁচে একঘেয়ে বৃষ্টির চেয়েও মেজাজ খারাপ হয়ে গেলে এই ভেবে যে কাজী আনোয়ার হোসেনের মত একজন কর্মযোগী মানুষের মহামূল্যবান সময় নষ্ট হল তার বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অগণিত কোটি কোটি ভক্তের মাঝের নগণ্য একজনের আবেগতাড়িত লেখা পড়ে! জুন ভাই মনে আবার জানালেন সেই সামান্য লেখা অগ্নিপুরুষের চোখে জল আনতে সামর্থ্য হয়েছে, লন্ডনের পচা বৃষ্টি যেন মুহূর্তেই পরিণত হয়েছিল ভূমধ্যসাগরের কমলা রঙের আরামদায়ক রোদে, বেশ আনন্দের সাথে মনে হয়েছিল আচ্ছা কাজীদার সাথে দেখা করলে হয় না?
ব্যস, দেখা করবার সুযোগ হল, চলে গেলাম বাংলাদেশের সবচেয়ে বিখ্যাত ঠিকানায় ২৪/৪ কাজী মোতাহার হোসেন রোডে অবস্থিত সেগুন বাগিচার কাজী ভবনে গেল ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে, সোজাসুজি কাজীদার লেখার ঘরে।
প্রথমেই কথা উঠল উত্তর মেরু নিয়ে, সুমেরু- অ্যান্টার্কটিকার ছবি নিয়ে অনেক বছর আগের প্রদর্শনীর ক্যাটালগটি নিয়ে দেখতে দেখতে কাজীদার মুখে তখন শিশুর চাঞ্চল্য , ব্যপক কৌতূহল প্রকাশ করলেন প্রতিটা ছবি নিয়ে, খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে জানতে চাইলেন আর্কটিক অঞ্চলের কোনটি আবার কোনটা অ্যান্টার্কটিকায় তোলা, দেখালাম বিশ্বের সর্ব উত্তরের জনপদ স্পিটসবের্গেন দ্বীপপুঞ্জের ছবি যার কথা প্রথম জেনেছিলাম সেবার কল্যাণেই, এবং রানা স্বয়ং এক অভিযানে এখানে গিয়েছিল। শুধু একগাল হেসে বললেন- দারুণ অভিজ্ঞতা!
জানালেন প্রতিদিন সকাল আটটায় ঘুম ভাঙ্গে তার, সকাল ১০টার মধ্যেই লেখার টেবিলে চলে আসেন, শুরু হয় আরেকটি কর্মব্যস্ত দিন। এখন লেখার চেয়ে অনেক বেশী সময় নেয় নানা বইয়ের সম্পাদনা কাজে, সেই সাথে আছে গল্প সংকলনের খুঁটিনাটি, নিজের পড়ার নেশা। আবার এক সময়ে যে কাজ করতেন ২ ঘণ্টায় সেটা এখন অনেক বেশী সময় নিয়ে নেয়। সেই কৈশোর থেকে শুরু করে কত কহা কহা মুলুকের চিত্র-বিচিত্র বই যে পড়েছেন তার সব আর মনে নেই। তবে বিশেষ প্রিয় উইলবার স্মিথের লেখা, অনেকেই বিভিন্ন স্থান থেকে জোগাড় করে দিয়েছেন স্মিথের বই, বেছে বেছে সেগুলো রূপান্তর করেছেন আমাদের জন্য মাসুদ রানাতে। ক,মাস আহে হেলসিংকিতে একটা বই মিলেছিল, আলফ্রেড হিচককের সম্পাদিত রোমহর্ষক ছোট গল্পসংকলন, দেখেই ভেবেছিলাম এই বই পড়ার জন্য একাধিক পড়ুয়া বন্ধু মুখিয়ে থাকলেও সত্যিকারের কাজের কাজ হবে যদি কাজীদার হাতে বইটা পৌঁছায়, তাহলেই আমরা পাব সেরা অনুবাদ। বইটার নাম দেখে বেশ খুশীই হলেন তিনি।
কোথাও শুনেছিলাম কাজীদা ছুরি সংগ্রহ করতে পছন্দ করেন, তাই ল্যাপল্যান্ডের অধিবাসীদের তৈরি বিশেষ ধরনের একটা ছুরি নিয়ে গিয়েছিলাম, যার গায়ে সূক্ষ ভাবে ফুটিয়ে তোলা ছিল বলগা হরিণ টানা স্লেজ গাড়ী এবং সেখানে টিলাময় ভূপ্রকৃতি। মুগ্ধ বালকের মত প্রথমেই ছুরিটির ধার পরখ করলেন কাজীদা, খাঁটি ইস্পাতে আঙ্গুল বুলিয়েই বললেন- বেশ ধার! তারপর উচ্ছাস ভরে খুঁজতে লাগলেন তার সংগ্রহের নানা ছুরি, এক ড্রয়ারের মধ্য থেকে মিলল কোলকাতা থেকে তার স্ত্রীর বয়ে নিয়ে আসা করাত-ছুরি! কিন্তু ছোট ভাই কাজি মাহবুব হোসেনের যুক্তরাষ্ট্র থেকে নিয়ে আসা স্পেশাল ছুরিটার সন্ধান মিলল না। জানালেন স্কুলে থাকতে তার শিকারের (বিশেষ করে বুনোহাঁস এবং অন্যান্য পাখি) ঝোঁক ছিল, ১৯৭৮/৭৯র দিকে চেপে ছিল মাছ ধরার নেশা। খুব সাধ ছিল ছুরি এবং বন্ধুক সংগ্রহের , কিন্তু তখন সাধ ছিল, সামর্থ্য ছিল না, তাই-ই বেশিদূর আর এগোই নি সেই প্রয়াস।
সাথে ছিল জগতের সেরা চুরুট, পিনার দেল রিওর আলেহান্দ্রো রুবাইনার ক্ষেত থেকে আনা সিগার ( এই একটা মাত্র খামারই কিউবাতে রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত ছিল না কখনোই, রুবাইনা অবশ্য অল্প ক,বছর আগেই মারা গেছেন পূর্ণ জীবন কাটিয়ে), জানতাম কাজীদা ধূমপান করেন না কয়েক দশক ধরে, কিন্তু শত হলেও তার বই পড়েই প্রথম জেনেছি হাভানা সিগারের কথা, সেখানে তার জন্য স্মারক হিসেবে খোদ কিউবা থেকে বয়ে আনা একটা সিগার না নিয়ে যাই কিভাবে? সিগারটা হাতে পেয়েই খুব উৎসুক হয়ে গন্ধটা নিলেন, বিশাল তৃপ্তি নিয়ে বললেন- আহ! কী চমৎকার গন্ধ, তারপরে আমাদের অবাক করে বললেন এই প্রথম হাভানা সিগার দুই আঙুলের ফাঁকে চেপে ধরলেন, এবং জেনে তিনি খুবই আপ্লুত যে এটিই সেরা সিগার।
কাজীদার সাথে যে একাধিক দিন যে অল্প অমূল্য সময় থাকার সৌভাগ্য হয়েছে তাতে লক্ষ্য করেছি তিনি যে কোন বিষয়কে পূর্ণ মাত্রায় উপভোগ করতে পারেন, বিস্ময়বোধ ছড়িয়ে থাকে তার পূর্ণ জীবনের প্রতি মুহূর্তে এবং সেই সাথে থাকে কৌতূহলের মিশেল, ভাল লাগার সৌন্দর্য। অনেকটা ডেভিড অ্যাটেনবোরোর মুখে যে চপলতাপূর্ণ আনন্দ এবং কৈশোরিক উচ্ছাসের ছটা খেলা করে তার সাথে কাজীদার চিরতরুণ মনের সুবাদে মুখে খেলা করা অপূর্ব মুখভঙ্গির ব্যপক মিল। আরেকদিন দেখলাম যন্ত্রসঙ্গীত উপভোগ করছিলেন আপন মনে, বললেন এক বুড়ো ভদ্রলোকের বাঁশি শুনতে খুব ভাল লাগে, নাম তার হরিপ্রসাদ চৌরাশিয়া। কিন্তু সেদিন জানলাম সে আমার ২ বছরের ছোট!
বহু দিন ধরে মনের মাঝে পুষে রাখা একটা আবদার করলাম কাজীদার কাছে, তার আত্মজীবনী লিখবার। মানুষ কাজী আনোয়ার হোসেন সম্পর্কে আমরা জানতে পারি না প্রায় কিছুই, প্রচারবিমুখ তিনি, সাক্ষাৎকার দেন না, টিভি ক্যামেরার প্রবেশাধিকার নেই বাড়ীতে ( জুনভাই প্রথমেই পই পই করে বলে নিয়েছিলেন, মিয়া কাজীদার সামনে সাক্ষাৎকার শব্দটাই বলবেন না। শুধু আড্ডা দিবেন, পরে সেই আড্ডা নিয়ে লিখেন), সেই অল্প সময়েই দেখলাম তিন-তিনবার ফোন বাজল তার সাক্ষাৎকারের জন্য, কাজী দা সরাসরি বললেন- আমি সাক্ষাৎকার দিই না, তবে আপনার বেশী উৎসাহী হলে প্রশ্নগুলো ই-মেইলে পাঠিয়ে দিতে পারেন, আমি উত্তর দেবার চেষ্টা করব, কিন্তু ব্যস্ততার কারণে সময় লাগবে! এখন এই মানুষটি সম্পর্কে সত্যনিষ্ঠ তথ্য পাবার একমাত্র উপায় যদি তিনি নিজের হাতে কলম তুলে নেন, নিজেকেই শব্দমালায় আঁকার জন্য। আবদার শুনে আনমনে বললেন- আত্নজীবনী তো বড় বড় মানুষদের ব্যাপার, আমি ক্ষুদ্র মানুষ, সঙ্কোচ বোধ করি নিজের কথা বলতে।
কী কথা! আমাদের বইবিমুখ সমাজে যে মানুষটি প্রায় একার অধ্যবসায়ের ফলে কয়েক প্রজন্মের পাঠ্যভাস গড়ে উঠল, যে মানুষটি আমাদের টিফিনের ১ টাকা, রিকশা ভাড়ার ২ টাকা জমিয়ে বই কেনার নেশা তৈরি করে দিয়েছিলেন উনি যদি বড় মানুষ না হন, তাহলে আর কে সেই অলৌকিক জ্যোতিঃময়!
পিড়াপিড়িতে কিছুটা প্রশয়ের হাসি দিয়ে বললেন- আচ্ছা, আমি মনে রাখব এই প্রস্তাব। তবে অনেক কিছু ঠিকঠাক মনে পড়ে না, আগুপিছু হয়ে যায়, কিছু কিছু ঘটনা মনে পড়লেই লিখে রাখব। চেষ্টা করব।
কাজীদাকে বললাম তার নামে অনেক অনেক কথা শুনেছি, সত্যি-মিথ্যার মেশানো, শুনেছি তিনি বাংলাদেশ কাউন্টার ইন্টেলিজেন্সের প্রধান, সেবারই এক প্রাক্তন লেখকের কাছে শুনেছি কাজীদা নিয়মিত লন্ডন যেয়ে ব্রিটিশ লাইব্রেরীতে সপ্তাহের পর সপ্তাহে বসে সেরা বইগুলোর বাংলা করতেন। আসলেই কি? দুষ্টু বালকের মত মুখভর্তি মিটিমিটি হাসি দিয়ে তিনি জানালেন এইগুলা সব মানুষের বানানো। জীবনের একবারই তিনি বাংলাদেশে বাহিরে গেছিলেন তাও স্ত্রীর সাথে একটা গানের অনুষ্ঠানের তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের মুলতানে। পরবর্তীতে শারীরিক অসুবিধার কারণে আর যথেচ্ছ ভ্রমণ করা হয়ে ওঠে নি, কিন্তু সারা দিনই মনঃভ্রমণ করেন তিনি, বেজায় পছন্দ করেন রঙচঙে ছবির বই দেখতে দেখতে মহাবিশ্বের নানা কোণে হারিয়ে যেতে, কখনও বইয়ের খসখসে পাতায়, এতেই তার সুখ, এত ভ্রমণের মাধ্যমেই নিজে ঘরে থেকে আমাদের দেশ ছাড়িয়ে মহাদেশে যাবার উৎসাহ দিয়ে যান তিনি লেখনীর মাধ্যমের অবিরাম ভাবে। বিশেষ কোন স্থানে তার যাবার ইচ্ছা ছিল কিনা এর উত্তরে বললেন ছবির মাধ্যমেই আসলে সব জায়গাতে যাওয়া হয়েছে, এই প্রসঙ্গে আমার টিটিকাকা হ্রদের ছবির কথা উল্লেখ করে বললেন , ঘুরে আসলাম আন্দেজের রাজত্বে নলখাগড়ার দ্বীপ থেকে।
ব্যক্তিগত জীবন ভীষণ নিভৃতচারী তিনি, তার বাবা পণ্ডিত কাজী মোতাহের হোসেনের ঠিক উল্টো ব্যক্তিত্ব, বাবা সবসময় মানুষজন নিয়ে থাকতেন, ব্যপক সামাজিক মানুষ ছিলেন, পড়াতেন, দাবা খেলতেন, বেড়াতেন, টেনিসও খেলতেন। একবার এক দাবা প্রতিযোগিতায় এক অচেনা বাচ্চা ছেলেকে অনেক লোকের সাথে একা খেলতে দেখে মুগ্ধ হয়ে সেই ছেলের বাড়ী চলে গেছিলেন, বাড়ীর দরজায় জাতীয় অধ্যাপককে কড়া নাড়তে দেখে তো সেই ছেলের বাবা ভীষণ অবাক! কিন্তু হাস্যোজ্জল অধ্যাপক জানালেন ছেলেটির খেলার ধরন তার খুব ভালো লেগছে, প্রথিতযশা দাবাড়ু তিনি নিজেও , তাই উৎসাহ দিতে এসেছেন। সেই বালকের নাম নিয়াজ মোরশেদ!
নিভৃতচারিতার জন্যই হয়ত এক সময় গানের চেয়ে লেখা অনেক বেশী উপভোগ করা শুরু করেছেন, ভাবতেন গানটা আসলে একটা পর্যায়ের পরে দলগত ব্যাপার, লেখার ক্ষেত্রে সেটা নেই। একই সাথে বিশ্ব-বিদ্যালয়ে পড়া তিন বছরের ছোট সহপাঠী আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেছিলেন- আমি লিখব, লেখাতে যে অনুভূতির প্রকাশ আমি ঝরাতে পারব, গানে তা সম্ভব না, সুর মানুষের অনেক গভীরে প্রবেশ করতে পার একন সন্দেহ নেই,কিন্তু লেখার মাধ্যমে যত কিছু বোঝানো সম্ভব, সুরের মাধ্যমে সেটি হবার নয়।
বললেন- এক সময়ে শখের বসে ছবি তুলতাম, কিছুদিন পরে ক্যামেরা একজনকে দিয়ে দিয়েছি, অনেক শখের পূরণের এক পর্যায়ে মনে হল লেখা এবং পড়া হচ্ছে আমার আসল টান। মাছ ধরতে বসেও মনে হয়েছে, আহা, সময় নষ্ট করছি, এই সময়ে অন্যকিছু লেখা পড়া করতে পারতাম। তবে সব লেখা না, যেটা আমাকে টানে। গান যে ছেড়ে দিয়েছি তাতে আমার বিন্দুমাত্র কষ্ট নেই, কিন্তু লেখা যদি কোনদিন ছেড়ে দিতে হয় তাহলে খুবই কষ্ট পাব।
রহস্য পত্রিকার ব্যাপারে কথা তুললেই বিনয় অবতার কাজী দা সরাসরি বললেন- এই পত্রিকার ব্যাপারে আমার কোন অবদান নেই, বন্ধুবর রাহাত খান সবসময়ই চাপাচাপি করতেন ( তার নাম থেকেই মেজর জেনারেল রাহাত খান নামটি নিয়েছিলেন ), মূলত তার উদ্যোগেই ১৯৭০ সালে পত্রিকার যাত্রা শুরু হয়। কবির চৌধুরী, হাশেম খানের অবদান স্মরণ করলেন ২য় যাত্রা শুরু হয় আবার ১৯৮৪ সালে, রহস্যপত্রিকার ইতিহাস জানতে পারবেন এইখানে-
বললেন বেশ অনেক বছর আগে মুখে ধুলো এড়াবার জন্য মাস্ক পড়া থাকা অবস্থাতেও এক জায়গায় তাকে একাধিক জন চকিতে চিনে ফেলেছিল, ব্যস ,সারা যেন মেলা এসে বসে গেল চারধারে। এই জন্যই বাহিরে সেভাবে যাওয়া হয় না, বইমেলাতেও না। তবে নিয়ম করে বছরে কয়েক মাস সাঁতার কাটেন সুইমিংপুলে, হাঁটাহাঁটি করেন নিয়মিত।
সেবা থেকে আজ পর্যন্ত নানা ধরনের বই বাহির হয়েছে, পুরাণ, ধর্ম, বিজ্ঞান, হস্তরেখা থেকে শুরু করে কোয়ান্টাম মেথড পর্যন্ত, কিন্তু বিবর্তন নিয়ে আলাদা ভাবে কোন বাহির হয় নি। কেন না? এই প্রশ্ন করতেই কাজীদা হাসতে হাসতে উল্টো প্রশ্ন করলেন- মৌলভীরা মারবে না তো? তারপর নিজে থেকেই বললেন বিবর্তনকে মিথ্যা প্রমাণ করার জন্য অনেকে পেল্লাই সব বই লিখছে, এক দল বলছে বিবর্তন কোন সময় ঘটেনি আসলে ভিনগ্রহের প্রাণী এসে আমাদের উন্নত মানুষে পরিণত করে গেছে, কিন্তু তাতে কি বিবর্তনের কিছু যায় আসে?
সেবার প্রথম বই প্রকাশের ৫০ বছর হতে যাচ্ছে আগামী বছর, ১৯৬৪ সালে প্রকাশিত হয়েছিল কুয়াশা, এই দীর্ঘ সময়ে বাঙ্গালীর পাঠ্যাভাসে কেমন পরিবর্তন এসেছে জানতে চাইলে তিনি বললেন- মানুষ পড়ছে, পাঠক বাড়ছে। হয়ত তারা আমার বই পড়ছে না, কিন্তু কারো না কারো পড়ছে। অনেকেই বলছেন কম্পিউটার, ফেসবুক ইত্যাদি এসে মানুষের বই পড়ার সর্বনাশ করে দিচ্ছে, আমি সেটা মনে করি না।
প্রতি মুহূর্তের দিকে কড়া নজর তার, যেন বৃথা সময় নষ্ট না হয়। এক ফাঁকে ১০ বছরের পুরনো কম্পিউটার টেবিলটাতে গেলেন রানার নবতম বই লাইট লাইটের প্রুফ দেখার জন্য, গত এক দশক ধরে কম্পিউটারেই লিখে চলেছেন, জুন ভাই জানালেন ছবির কম্পিউটারটি উনার ব্যবহৃত ৩য় কম্পিউটার। সেই সাথে জানালেন সচলায়তন পড়বার সময় মাঝে মাঝে ফন্ট ভাঙ্গা দেখায়, যেটা সমাধানের দায়িত্ব জুন ভাইকেই দেওয়া হল। সেই সাথে সচলায়তন লেখা কাগজটা সামনে ধরতেই নিজ আগ্রহে ধরলেন হাত দিয়ে।
চারপাশে থরে থরে বই সাজানো নানা বিষয়ের উপরে, এখনো দেখলাম যে কোন ব্যাপারে লিখতে হলে তার আগে যতখানি সম্ভব জেনে নেবার চেষ্টা করেন, পরিচিত এক পর্বতারোহীর অনুদিত বইয়ের মুখবন্ধ লিখছেন, যে কারণে মূল লেখক সম্পর্কে দেখি নেট ঘেঁটে নিজেই তথ্য বাহির করছেন, জানছেন সেই বিশেষ পর্বত নিয়ে! আসলে অদম্য জ্ঞানতৃষ্ণা না থাকলে কি আর তা অন্যের মাঝে ছড়ানো যায়। নিজের প্রিয় লেখকের কথা বলতে যেয়ে বললেন কোন কোন লেখকের ১ বা ২টা লেখা ভাল লাগে। তবে বারবার পড়া হয় না সময়ের অভাবে। মানিক বন্দোপাধ্যায়ের পদ্মা নদীর মাঝি এবং পুতুল নাচের ইতিকথা বিশেষ প্রিয়, আর হুমায়ূন আহমেদের নন্দিত নরকে পড়তে পড়তে তো আবেগে হাউমাউ করে কেঁদে ফেলেছিলেন, মনে হয়েছিল মধ্যবিত্ত জীবনে ছোট ছোট নানা সমস্যার যে কথা বলা হয়েছে তার সাথে নিজের জীবনেরই অনেক মিল। আবার বললেন- আমি কিন্তু কোন সুসাহিত্য পড়ি নাই!
ঘুরে ফিরে আসল কল্পলোকের নায়ক মাসুদ রানার গল্প, বললেন স্ত্রী ফরিদা ইয়াসমিনের সাথে আলাপ করে বন্ধু গীতিকার মাসুদ করিমের নাম থেকে মাসুদ আর শৈশবের নায়ক মেবারের রাজপুত রানা প্রতাপ সিংহের নাম থেকে রানা নিয়ে সবাইকে কাছে টেনে নেওয়া স্পাইয়ের নাম ঠিক করলেন মাসুদ রানা চৌধুরী। জন্ম দিন হিসেবে বেছে নিলেন ৯ এপ্রিল, এই বিশেষ দিনে জন্ম নেওয়া মানুষেরা নাকি সহজে অন্যায় মেনে নেয় না, তার প্রতিবাদী হয়, বিপ্লবী হয়, প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়ে যায় সবসময়। আনলেন নানা বর্ণিল চরিত্র, তার মাঝে সাগর সঙ্গম বইতে প্রথম বারের মত দেখা দেওয়া গিলটি মিয়াঁ তার নিজের তৈরি সবচেয়ে প্রিয় চরিত্র, আসলে তার মায়ের মুখে শোনা হুগলীর কথ্য ভাষা তিনি বসিয়ে দিয়েছেন গিলটি মিয়ার কণ্ঠে। এই বাড়ীতেই প্রথম রানা লেখা হয়েছিল, আসলে এই বাড়ীতেই জন্ম স্বয়ং কাজীদার।
সেবা প্রকাশনীর নাম যে সেগুনবাগিচা থেকে এসেছে সেটা সবাই জানে , কিন্তু তাদের প্রজাপতির বিখ্যাত লোগোটি সম্পর্কে জানতে চেয়ে জানা গেল বেশ কজনের পরিশ্রমের ফসল এটা, পরিবর্তনও আনা হয়েছে একাধিকবার, তারপর বর্তমানের লোগোটি টিকে গেছে। দুই দশকেরও বেশী সময় ধরে লস দিয়ে সেবা চালিয়ে অবশেষে লাভের মুখ দেখেছিল প্রকাশনাটি, ভাগ্যিস সেই দীর্ঘ সময়ে আঁকড়ে রেখেছিলেন নিজের স্বপ্নটাকে, নাহলে তো আমাদের অনেকের স্বপ্ন দেখার চোখই ফুটত না কোনদিনই।
সেবার রহস্যপত্রিকা সম্পর্কে বলা হয় বাংলাদেশের একমাত্র পত্রিকা যেখানে লেখা ছাপা হলে আপনি পারিশ্রমিক পাবেনই, সেবার অফিসে পরের বার যেয়ে কথাটার সত্যতা হাতেনাতে টের পেলাম, অফিসের কর্মকর্তা সেখানে লেখা ছাপা হওয়ার দরুন টাকা বুঝিয়ে দিয়ে রসিদে সাক্ষর নিয়ে রাখলেন। সেবার অনেক প্রবাসী লেখক দেশে ফিরে প্রিয় প্রকাশনীতে দেখা করতে আসলে অবাক হয়ে দেখেন তাদের রয়্যালিটি বাবদ প্রাপ্ত সন্মানী ঠিকই জমে আছে বছরের পর বছর।
প্রতিদিনই কাজীদার একটা বড় অংশ কাটে ছোট্ট কাজী সামিনের সাথে, অনুরোধ করতেই এক ফ্রেমে বেঁধে নিতে দিলেন তিন প্রজন্মের ছবি-
পণ্ডিত বাবা কাজী মোতাহার হোসেনের ছবির সামনে নিজ বাসভূমে দ্য গ্রেট কাজী আনোয়ার হোসেন এবং তার নাতি ছোট কাজী তাহমীদ হোসেন সামিন ( কাজী মায়মুর হোসেনের পুত্র)
কাজী দা কথা শুরু করেছিলেন আপনি সম্বোধনে, হয়ত বুঝতে পেরেছিলেন আবেগে কতটা বিহ্বল হয়ে আছি, পরে যখন জোর দিয়ে বললাম তুমি করে না বললে ব্যপক লজ্জা পাচ্ছি, তখন নিমরাজি হলেন বটে, কিন্তু আপন করে নিয়েছিলেন কয়েক মুহূর্তের মাঝেই, দেখা গেল তার চেয়ে বেশী কথা বলে চলেছি আমি নিজেই। কথা বললেন কী না নিয়ে- পেরুর ইনকা রাজাদের রাজকীয় খাবার গিনিপিগ রোস্ট থেকে শুরু করে রাঙ্গামাটির নিসর্গ নিয়ে। কবি রবার্ট ফ্রস্টের সাক্ষাৎকার নিতে যে সাংবাদিকরা যেতেন তারা প্রত্যেকেই অবাক হয়ে খেয়াল করতেন ফ্রস্টের মত সর্বকালের সেরা কবিদের একজন উল্টো তাদের কাছে তাদের জীবনের বিষয়গুলো জানতে চাচ্ছেন, নিজের পাহাড়প্রমাণ ব্যক্তিত্বের সামনে যেন নবিশ আগ্রহীরা চাপা না পরে সেইদিকে সতর্ক হৃদয়বান দৃষ্টি ছিল তার, উল্টো প্রশ্নকর্তাকে প্রমাণ করে দিতেন যে সে কত বেশী জানে! কাজীদার ক্ষেত্রেও একই জিনিস মনে হল প্রতিবারেই, আদার ব্যপারি হয়ে বিশাল এক গ্রহের সামনে আপনে মনে বকেই গেলাম তারই উৎসাহে। ইচ্ছা পোষণ করা হল উনার উপরে একটি তথ্যচিত্র নির্মাণের, স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে, তবে অবশ্যই তিনি যদি মূল্যবান সময়ের খানিকটা আমাদের দিতে পারেন, কাজী আনোয়ার হোসেনের বিচিত্র বিস্তৃত জীবন নিয়ে তথ্যচিত্র করা মানে তো ব্যপক গবেষণার ব্যাপার।
মিলল সেই বহু আকাঙ্ক্ষিত সাক্ষর-
বিদায় নেবার সময় ভিতর থেকেই একটা কাজ করতে ইচ্ছে হল যা এক বন্ধুদের বাবা-মা ছাড়া কারো সাথে করার তাড়না অনুভব করি নাই, অনুমতি নিয়ে কাজীদার পা ছুঁয়ে প্রণাম করলাম, শুনলাম অস্ফুট ভাবে তিনি মঙ্গল হোক, সুখী হও বলে আশীর্বাদ করে যাচ্ছেন। সেই আশীর্বাদ যেন ছড়িয়ে পড়ছে সারা বাংলাদেশে উপরে। শুধু কামনা করি এই কর্মবীর যেন সুস্থ ভাবে অন্তত শতবর্ষ পার করেন কাজের মাঝে ডুবে থেকে, তার লেখার নেশায় মেতে থেকে।
প্রথমবারে মত কাজীদার ভিডিও ইউটিউবে, লিঙ্ক এইখানে
ইউটিউব দেখতে না পারলে ভিমিওর লিঙ্ক
কাজীদার সাথে আড্ডা from on Vimeo.
( ভিডিওটির জন্য সমস্ত কৃতিত্ব দ্রোহী দা, জুন ভাই এবং আমার ছোট্ট ক্যামেরার প্রাপ্ত। কাজীদার বিশেষ অনুমতি সাপেক্ষে এটি শেয়ার করা হল, কোথাও ব্যবহারের আগে অবশ্যই লেখকের অনুমতি নিতে হবে )
মন্তব্য
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
facebook
এপিক!
আপনার অপর নাম নিশ্চয় বিনয়?
facebook
এত ভালো লাগলো ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না।
facebook
অনু ভিডিও এমবেড করে দাও। এই কোড টুকু কপি পেস্ট করে দিলে হবে।
<iframe width="560" height="315" src="http://www.youtube.com/embed/SmjPs96mtjA" frameborder="0" allowfullscreen></iframe>
ডান
facebook
শুনে তো মনে হচ্ছে কাজীদাও আপনার ভক্ত!
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
ধুর
facebook
এপিক বন্ধু এপিক!
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
facebook
কোন কথা হবেনা, শুধু-
[দাবাড়ু নিয়াজ ভাই স্কুলের সিনিয়র ! :)]
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
facebook
ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .
facebook
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
facebook
ভালো লাগলো। কাজীদা'র সাথে দেখা করতে একদিন আমিও গিয়েছিলাম অনেক বছর আগে। ঘরে তখন একটা এ্যাকুরিয়ম ছিলো। দীর্ঘজীবি হো'ন।
facebook
দারুণ অণুদা। বাধাই করে রাখবার মতন একটা লেখা
অফটপিকঃ কাজীদা তোমার নামের বানান ভুল লেখেছে
নিশিতা
নাহ, টান গেছে !
facebook
নাস্তা খেয়ে এসে পড়ছি থামো
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
নাস্তা
facebook
অসাধারণ কাজ করেছেন অণুভাই। আপনার যেকোন এডভেঞ্চারের চেয়েও এই এড্ভেঞ্চারকেই আগিয়ে রাখব। কাজীদাকে স্যালুট।
facebook
facebook
facebook
অসাধারণ লিখেছেন। কাজীদা কে নিয়ে আরও লেখা চাই।
facebook
facebook
দুর্দান্ত লেখা। আড়ালে থাকা মানুষটাকে নিয়ে অজানা অনেক কিছু জানলাম। দারুন দারুন অনু দা।
facebook
মাসুদ করিম মারা গেছেন না?
'৭৪ এ সেই পিটিয়ে মারা মানুষটার ছবি তোলার কথাটা বিস্তারিত জানার ইচ্ছা ছিলো, আগে জানলে বলে রাখতাম।
...........................
Every Picture Tells a Story
ফটু নিয়ে বললেন না তেমন একটা! পরের বার দেখা যাক
facebook
ব্যাপক লাগলোরে! অসাধারন!
লিয়ে লিলছি!
facebook
ধন্যবাদ দিয়ে আপনাকে খাটো করতে চাইনা !!! অসম্ভব ভালোলাগা দিয়ে দিন শুরু হলো মূহুর্তগুলো শেয়ার করায়
আমি এমনিতেই খাটো!
facebook
আয় হায়, তাইলে তো আপনারে কখনই কারও ধন্যবাদ দেওয়া উচিৎ হবে না। সবার ধন্যবাদের চাপে আপনি খাটো হতে হতে মাটিতে মিশে গেলে, আমরা আরেকটা তারেক অণু কই পাব?
****************************************
হ, ভাবছিলাম স্পেসে যাইতে পারলে আর ৩ ইঞ্ছি বেড়ে ৬ ফুট ২ ইঞ্চি হমু, কিন্ত ২৫ মিলিয়ন ডলার লাগে স্পেস যেতে তাও কয়েক দিনের জন্য মাত্র
facebook
৫-১১ ইঃ !!! আরে, ধন্যবাদ! ধন্যবাদ! ধন্যবাদ! ধন্যবাদ! ধন্যবাদ! ধন্যবাদ!!! এইবার ৬ ধন্যবাদে ৬ ইঃ কমে নর্মাল বাঙালী সাইজ হন তো মিয়া! এই চমৎকার পোস্টটার জন্য আবারও ধন্যবাদ! ধন্যবাদ! ধন্যবাদ! ধন্যবাদ! ধন্যবাদ! ধন্যবাদ!!!
****************************************
মাসুদ রানা কিন্তু ৫-১১ !
facebook
মিলিয়ন ডলার কোশ্চেন।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
এইহানে , আছি তো
facebook
আবেগের ঘনঘটা
-----
পিনাক পাণি
পুরাই
facebook
এই মানুষটার কাছে যে কী অশেষ কৃতজ্ঞ আমি! কাজী আনোয়ার আমার মতো লক্ষ লক্ষ পাঠকের কাছে পৃথিবীকে একটা অবাক জানালা খুলে দেখিয়েছেন।
এই মানুষটার কাছে যে কী অশেষ কৃতজ্ঞ আমি!
facebook
দারুন লেখা অণু। সেবার বই নিয়ে আমার বলার মতো এতো কিছু আছে যে বলে ফুরানোর নয়। বাংলাদেশের বাইরের পৃথিবীটাকে তো তিনিই চিনিয়েছেন। কাজীদা বেঁচে থাকুন এবং লিখতে থাকুন।
কিন্তু ভায়া- চুরুট শুধু কাজীদার জন্যে! কাজীদা ধূমপান করেন না, আর ধরেন আমরাও করিনা। কিন্তু সেইরাম একখান রুবাইনা পাইলে কেডা না টানে!
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
লেখেন না সেইগুলা নিয়ে!
facebook
সে নাহয় লিখবানে। কিন্তু রুবাইনা খাবো কবে?
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
facebook
দারুন!
কাজীদার বাড়ির নাম-ঠিকানা লেখা প্লেকের ছবিটা দেখে মনে পড়ে গেল সেবার আদি নাম ও ঠিকানাটা। কোন রেফারেন্স না দেখে এক দমে কে বলতে পারবেন এটা?
****************************************
facebook
সেগুন বাগিচা প্রকাশনী, ৫/৫ সেগুন বাগিচা না?
উঁহু!
এটা হবে -
সেগুনবাগান প্রকাশনী,
১১৩ সেগুনবাগান,
ঢাকা।
সেগুন বাগিচাকে আগে সেগুনবাগান লেখা হত। ৮০-র দশকে মনে হয় পরিবর্তন হয়, ঠিক নিশ্চিত না।
****************************************
ছবি আছে কোন বইয়ের পিছনের এই ঠিকানা সহ??
facebook
এখানে দেখুন:
প্রোফেসর হিজিবিজবিজ
নাই তো
facebook
দেখুন তো এবার পাওয়া যায় কিনা -
না হলে এই লিংকটাতে দেখুন।
স্মৃতি থেকে যা লিখেছিলাম তা দেখছি ১০০% সঠিক! প্রোফেসর হিজিবিজবিজকে অজস্র গিজগিজে ধন্যবাদ!
****************************************
facebook
আমার মত অসংখ্য মানুষের কৈশরের সময়গুলো কেটেছে সেবা প্রকাশনীর বই এর সাথে। কাজীদা দীর্ঘায়ু হোন। অনুদা অনেক ধন্যবাদ লেখাটার জন্য।
জন্ম দিন হিসেবে বেছে নিলেন ৯ এপ্রিল, এই বিশেষ দিনে জন্ম নেওয়া মানুষেরা নাকি সহজে অন্যায় মেনে নেয় না, তার প্রতিবাদী হয়, বিপ্লবী হয়, প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়ে যায় সবসময়।
আমার জন্মদিন ও ৯ এপ্রিল। ইয়াহু
তাহসিন রেজা
facebook
facebook
স্কুলে পড়ার সময় একবার কাজীদার বাড়ির সামনে হাজির হয়েছিলাম। অনেক চেষ্টাতেও দেখা করার অনুমতি মেলেনি। তার বহু বছর পর গতবছর এই জুন ভাইয়ের সাহায্যেই কাজীদার সঙ্গে দেখা।
প্রথমেই অভিযোগ করে বসেছিলাম- আপনি কি জানেন আমার শৈশব কৈশোরের প্রায় পুরোটা সময় আমি টিফিন খাইনি, বাজার থেকে পয়সা চুরি করেছি, বাবার পকেট কেটেছি... এই সবকিছুর জন্য আপনি দায়ী? সেবার বই দায়ী?
কাজীদা হাসতে হাসতে শেষ। আমার জীবনের একটা স্মরণীয় অভিজ্ঞতা।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
facebook
ভিডিওটা এডিট করার সময় জুন ভাইয়ের উপর খুব রাগ উঠছিল। খালি একটু পর পর খ্যাকর খ্যাকর করে কাশি মারে!
আমি ৪/৫ ঘন্টা ধরে ক্লিপ বেছে, জোড়া দিয়ে, এক্সপোর্ট করে আপলোড করে যখন ঘুমাতে গেলাম তখন দেখি মাথার মধ্যে খালি কাশির শব্দ!
জুন ভাই একটা মূর্তিমান অভিশাপ
facebook
লেব্বাবা, কাশি শুনে কই আমার শরীর স্বাস্থ্যের একটু খোঁজ খবর নিবেন... তা না। শুরু করছেন গালাগালি। এই হইল সহ-ব্লগার!
facebook
খাইছে আমারে, জুন্দা কি তাইলে চামে বিড়ি-াড়া টানা ধর্লো নাকি রে?
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
facebook
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
facebook
দারুণ লাগলো !
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
কি, কাশি !
facebook
উহু। লেখা আর কাজীদা।
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
আপনে জুন ভাইয়ুর মনে কষ্ট দিলেন
facebook
মাঝে বেশ কিছুদিনের বিরতির পর এই বছর আবার সেবার কিছু অনুবাদ পড়লাম যেগুলা বিগত কয়েক বছরে বের হয়েছে। হ্যাগার্ড, সাবাতিনির বইগুলো পড়তে গিয়ে সেই অনুভূতিই পেলাম যেটা পেতাম স্কুলে টাকা জমিয়ে অনুবাদ কিনে পড়ার সময়। কাজীদা হয়তো আপনার এ লেখাটাও পড়বেন, কে জানে মন্তব্য অংশেও হয়তো একবার চোখ বুলাবেন, তাই এই সুযোগে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে নিতে চাই, কাজীদা আপনি না থাকলে আমাদের শৈশব এত রঙীন হতোনা, আপনার প্রতি অনেক অনেক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।
facebook
বিখ্যাত মানুষদের মধুর সান্নিধ্যে আমি বড় হয়েছি। সেই কারণে অনেক বড় মাপের মানুষের বেমানান ক্ষুদ্রতাও দেখেছি। সুযোগ থাকা সত্বেও কিছু কিছু প্রিয় মানুষের ধারে কাছেও আমি যাইনি--সেই মানুষটির ভাবমূর্তিটি আজীবন অক্ষুণ্ণ রাখার জন্যে। সেই তালিকায় কাজী আনোয়ার হোসেনও আছেন। এই মানুষটি কোনোদিন জানবেন না কী যে মুগ্ধতা আমার, তাঁকে ঘিরে! জীবনে একবার মাত্র দেখা হয়েছে তাঁর সঙ্গে, বাংলা একাডেমীর একুশের বইমেলায়।
ভিডিওটা দেখে মনটা একটু খারাপ হলো। শরীর ভেঙে পড়েছে কাজীদার। আমার সঙ্গে যখন দেখা হয়েছিলো তখন চমৎকার সুঠাম দেহের অধিকারী ছিলেন।
জয়তু কাজী আনোয়ার হোসেন।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
৮০ বছর বয়েস হিসেবে অনেক ভাল কিন্তু !
facebook
আমি ৯১/৯২ সালের কথা বলেছি।
তোমার লেখাটা তো খারাপ না!
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
হয়ে যায় মাঝে মাঝে ৯১ ! ওরে বাবা! সে সময়---- হুম---- মনে নেয়
facebook
আমি ৯১/৯২ সালের কথা বলেছি।
তোমার লেখাটা তো খারাপ না!
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
facebook
আমার টি-শার্ট ^_^
তাই !
facebook
আমার কৈশোরের আরেক নাম- সেবা।
জেলা শহরের যে পাড়ায় থাকতাম সেখানে অন্য জেলা শহর থেকে একটি পরিবার এলো পরীর মতো চারটি ফুটফুটে মেয়ে নিয়ে। তারা ছিল সেবার পোকা। বড় মেয়ে দুটির সুনজরে পরার জন্য কত যে কিশোর-তরুণ সেবার পাঠক হল ! ছোট্ট জেলা শহরের পাড়ায় পাড়ায় গড়ে উঠলো সেবা পাঠাগার! আর যদি কোন বইয়ের পেছনে তাদের চিঠি ছাপা হত, তবে আর রক্ষে নেই! সেই বই হাতে নিয়ে অনেক সেবা পাঠককে দেখা যেতো তাদের বাড়ির সামনের রাস্তায় ক্লান্তিহীন ভাবে হাঁটাহাঁটি করতে।
প্রসঙ্গত বলে রাখি সেই বাড়ির মেজো মেয়েটি আমার প্রিয় বন্ধুদের একজন। নজরুল ইসলাম ভাইয়ের মত আমরাও টিফিনের টাকা আর রিকশা ভাড়া বাঁচিয়ে সেবার বই কিনতাম। আর সে জন্যই বোধহয় সেবা গেঁথে আছে রক্তের গভীরে।
কাজীদা শতায়ু হউন, আমার সন্তানদের স্মৃতিতে যেন এই কিংবদন্তী থাকেন।
ধন্যবাদ তারেক অনুকে এই চমৎকার পোস্টের জন্য।
আমার কৈশোরের আরেক নাম- সেবা।
facebook
কিছু বলার নাই॥ শুধু শ্রদ্ধাটুকু রাখতে আসলাম।
আমি আমার মা, বাবা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ওনার ভক্ত। মা অনেক বই আমার থেকে লুকিয়ে রাখতেন। এখনও উনি জানেন না, তাতে কোন লাভ হয় নাই। এই মানুষটা আমাদের সব বয়সীদের একসাথে স্বপ্ন দেখাতেন। একসাথে পাড়ি দেওয়াতেন কল্পনার অজানা সব জায়গায়।
কৃতজ্ঞতা॥ আপনাদের দুইজনকেই॥
এই মানুষটা আমাদের সব বয়সীদের একসাথে স্বপ্ন দেখাতেন। একসাথে পাড়ি দেওয়াতেন কল্পনার অজানা সব জায়গায়।
facebook
দারুণ লেখা।।।।।।।।।।। সেবার বই পড়তে পড়তে বই পড়ার অভ্যাস শুরু।।।।।।।।।।।।।।।। এখনও মুগ্ধতা একই রকম আছে।।।।।।।।।।।।।।।।।
সেবার বই পড়তে পড়তে বই পড়ার অভ্যাস শুরু।।।। সত্য!
facebook
ধন্যবাদ লেখাটির জন্যে। আমাকে বই এর পোকা বানাতে যে লেখকের অবদান অন্যতম প্রথমবারের মত তাঁকে নিয়ে এমন লেখা পড়তে পেরে ভালো লাগছে খুব।
facebook
সেবা প্রকাশনীর কিশোর ক্লাসিক আর তিন গোয়েন্দা দিয়ে বইয়ের নেশা শুরু। শুরু লেখালেখিও। চট্টগ্রাম থেকে লিখতাম রহস্য পত্রিকায়। লেখার বিল চলে আসতো মনি অর্ডারে। কী যে আনন্দ অনুভব করতাম! একবার ঢাকায় গিয়ে সরাসরি চলে গেলাম সেবা প্রকাশনীর কার্যালয়ে। ভেতরে ঢুকে মনে হলো, আরে এতো বহুদিনের চেনা! কয়েকটি লেখার বিল পাওনা ছিলো, সেটা তুললাম, মহা গর্বিত ভঙ্গিতে। সদ্য কৈশর উত্তীর্ণ আমার এতো কদর দেখে, সাথের আত্মীয়টি রীতিমতো বিস্মিত! কাজীদার সাথে দেখা করতে খুব ইচ্ছে করছিল। কিন্তু ভয়ে সে চেষ্টা আর করিনি।
লেখাটা পড়ে অনেক ভালো লাগলো, অণু।
বাহ! আমিও পেয়েছি এবার লেখা ছাপার হওয়ার বিল!
facebook
অণুদা, কাজীদা কিন্তু একটা কথা আপনাকে বলেন নি। ছোট্টবেলায় তিনি মোটেও নিভৃতচারী ছিলেন না, বরং আজকের যে মাসুদ রানাকে আমার দেখতে পাই সেটা তাঁর ভেতরে লুকানো বৈশিষ্ট্যের বহি:প্রকাশ। তখন কাজীদা প্রাইমারিতে পড়েন। তাঁর খুব ইচ্ছে হলো বাড়ি থেকে পালানোর। তো তিনি কাউকে না জানিয়ে বেরিয়েন পড়লেন। তারপর টোকাইদের সাথে নেমে গেলেন কাগজ টোকাতে। এরপর ট্রেনে উঠে পড়লেন অজানার উদ্দ্যেশ্যে ।
ওদিকে মোতাহার হোসেন তো ছেলেকে না পেয়ে দিশেহারা। চারদিকে লোক পাঠিয়ে ছেলের তালাশ শুরু হলো। অবশেষে কুষ্টিয়া থেকে ধরে আনা হলো মাসুদ রানার জনককে।
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
হে হে শুনেছিলাম বাড়ী পালানোর ঘটনা!
facebook
সেবা দিয়েই আমার বই পড়া শুরু;এখনও সেবাতে ডুবে থাকি।
এই মানুষটার প্রতি আমার এত শ্রদ্ধা যে বলে বুঝাতে পারব না।
বড় ইচ্ছা ছিল পা ধরে সালাম করার.…
অণু ভাই আপনার এই লেখার জন্যে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ…
facebook
সেবার বিভিন্ন ধরনের বই আমিই পড়েছি।
লেখাটা দারুণ হয়েছে।
facebook
কাজী’দাকে শ্রদ্ধা। অণুকে শুভেচ্ছা।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
facebook
নীরা
facebook
সেটাই। তার সাথে তুলনা দিতে পারি এমন কাউকে কখনও খুজে পাইনি। ভিডিও দেখে মন খারাপ হল। কেন যেন মনে হল উনি একটু দুর্বল হয়ে গেছেন। তার আরও অন্তত একশ বছর সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকা উচিত।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আপনার সমস্ত এডভেঞ্চারের মধ্যে এটাই শ্রেষ্ঠ
facebook
দুর্বল হওয়ার পেছনে একটা বড় কারণ আছে। জানি, কিন্তু বলব না। কাজীদার বারণ আছে। আসলে কিছু কিছু কষ্ট থাকে চেপে রাখা যায় না। আবার প্রকাশ করাও যায় না। তেমনই এক কষ্ট কাজীদাকে অনেকটাই কাহিল করে ফেলেছে।
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
facebook
দুই দিন থেকে ভাবছি সময় নিয়ে লেখাটা পড়তে বসব, কিছুতেই পারলাম না। খনি থেকে হীরা তুলে নিয়ে এসেছেন, অভিনন্দন। পড়ে এসে আবার জানিয়ে যাব
facebook
প্রথম যে বই পড়ে পড়ার নেশা চেপে ধরেছিলো সেটা কুয়াশা। ক্লাস সিক্সে থাকতে পড়েছিলাম মনে আছে। এর পর আর থামাথামি নেই। কুয়াশা, তিনগোয়েন্দা হয়ে মাসুদ রানা। আর কিশোর ক্লাসিকগুলোর জন্য তো চিরকৃতজ্ঞ হয়ে থাকবো। আপনার সূত্রে এই প্রবাদ প্রতিম মানুষটাকে আরো কাছে থেকে দেখা হলো। অশেষ কৃতজ্ঞতা জানবেন।
বিজ্ঞানের প্রতি এক ধরণের মুগ্ধতা সৃষ্টি হয়েছিলো কুয়াশা পড়ে। বিজ্ঞান জানলে এতকিছু করা যায়!! পরে যখনই যেখান থেকে যতটুকু বিজ্ঞান শেখার সুযোগ পেয়েছি শিখেছি। সেই সাধনা অব্যহত আছে...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
কুয়াশা নিয়ে লেখেন মিয়া !
facebook
দারুন ।।।।এই প্রথ্ম কাজি দা কে নিয়া লিখা পরলাম ।।।।
আরো আছে !
facebook
আহ কাজীদা - কতবার তাকে কল্পনা করতে গিয়ে কৈশোরের হিরো মাসুদ রানার বস রাহাত খানকে কল্পনা করেছি! বাংলাদেশের এক কোনায় পড়ে থাকা ছোট্ট এক শহরের ততোধিক ছোট্ট এক কিশোরকে একটানে বিশ্বসাহিত্যের সিংহদরজায় নিয়ে হাজির করে দেয়ার জন্য এই মানুষটির কাছে আমার ঋনের কোন শেষ নেই।
ধন্যবাদ উড়ন্ত ঘুড়িকে এই মাস্টারপীসের জন্য।
-হিজিবিজবিজ
facebook
মাসুদ-রানা কিম্বা সেবার অনুবাদ পড়ার দিনগুলোতে কি যে আগ্রহ ছিল কাজী আনোয়ার হোসেন কে নিয়ে। চিঠিপত্র বিভাগে তাঁর লেখা উত্তরগুলো খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়তাম। যেমন, কে যেন একবার জিজ্ঞেস করল, 'ফরিদা ইয়াসমীনের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক কি'? কাজীদা'র উত্তর ছিল, 'খুব খারাপ'।
সাপ্তাহিক বিচিত্রা'তে সম্ভবত একবার লেখা হয়েছিল তাকে নিয়ে। উনি সাইকেল নিয়ে ছুটির দিনে যান মাছ ধরতে, ইত্যাদি, সব খুঁটিনাটি কি যে আগ্রহ নিয়ে পড়েছিলাম! আপনার লেখাটা কাজী'দা কে নিয়ে আমার এযাবৎকাল পড়া সবচে' তথ্য ও ছবি এবং একমাত্র ভিডিওচিত্র সম্বলিত লেখা। কাজীদা কে নিয়ে আমার আগ্রহ দেখছি কোন অংশে কমেনি। যদিও সেবার বই পড়িনি অনেক দিন।
সবসময়েই চেয়েছি কাজী আনোয়ার হোসেনের জীবনী লেখা হোক। আপনি তাঁকে বেশ ঘুষ-টুস দিয়েছেন বোঝা গেল,
আত্মজীবনীটা লিখিয়েই ছাড়তে পারলে আমি আপনাকে ঘুষ দেব।
'খুব খারাপ'
facebook
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
facebook
ধন্যবাদ অণু তারেক
facebook
এই ভদ্রলোকটির কল্যানেই হয়তো আমি দেশপ্রেমিক।
যা বলেছেন
facebook
নতুন মন্তব্য করুন