মধ্যরাতের আক্রোপোলিস, এথেন্সের স্কুইড ভাজা এবং রেবেকা

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: রবি, ১৯/০৫/২০১৩ - ১১:৫৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রিয় শহর এথেন্সের আস্তানা অস্ট্রেলিয়ান ব্যাকপাকারে হোস্টেলে ফিরেছি কেবল, সারা দিন ব্যপক হাঁটাহাঁটি হয়েছে এথেন্সের অলিগলি ধরে, এমন শহর যে মর্ত্যে আছে তা ভাবতেই কেমন অজানা রোমাঞ্চে রোমগুলো দাড়িয়ে যায়, অন্তত ১৫টা স্থাপত্য আছে যার প্রতিটার বয়স ৩৫০০ বছর এই একই শহরে!

DSC02767

তার কিছু বুভুক্ষুর মত হতভম্ব হয়ে দেখে সক্রেটিসের পথে হেঁটে ফিরেছি সাময়িক বিরতির জন্য। বিছানার উপরে কাঁধের ভারী ব্যাগখানা থেকে ভারমুক্ত হবার উল্লাসবোধ ঘিরে ধরেছি কী ধরেনি এই মাঝে আস্তে করে ঘরের পাল্লা খুলে যেতে শুরু করল।

এই ধরনের হোস্টেলের কক্ষগুলোতে সাধারণত ছয় থেকে আটটি বিছানা থাকে, দোতালা খাট সবগুলোই, যে যেটার দখল নেয়, সেটাতেই থাকে। এই ব্যবস্থার অন্যতম একটা ভাল দিক হচ্ছে প্রায় সময়েই আপনি কাউকে না কাউকে সমমনা ভ্রমণসঙ্গী হিসেবে পেয়েই যাবেন, মিলে যাবে চুটিয়ে দিলখোলা আড্ডা দেবার সঙ্গী। তাই একটু উৎসুক হয়ে তাকালাম কে আসছে ঐ দুয়ার দিয়ে।

তিনি আসলেন, দেখলেন, জয় করলেন।

ইয়ুথ হোস্টেলের রুমে এই তরুণী কেন? লাস্যময়ীর থাকার কথা হুড খোলা ল্যাম্বরগিনিতে ফাইভ স্টার হোটেলের সামনে! কয়েক মুহূর্ত বোবা হয়েই ছিলাম, কিন্তু মানসলোকের গুরু মাসুদ রানার উপদেশ মনে পড়ল এই পরিস্থিতি নিয়ে তার করা কাজের স্মৃতিচারণ- সাহসের সাথে এগিয়ে গেলাম আমি, মুখের ভিতরে জিভ নেড়ে আর চোখ দুটো টান টান করে ভুবনভুলানো হাসিটা ছাড়লাম, জানি এই হাসিতেই ঘায়েল হয় এরা, ডিনামাইটের মত বিস্ফোরনোন্মুখ হয়ে ওঠে ।

হাসিটা মিলিয়ে যাবার আগেই বললাম- অ্যান্ড, ইউ আর ?

হিমালয়ের শিখরে জন্ম নেওয়া স্রোতস্বিনী যেমন কুলকুল শব্দে নামতে থাকে গিরি পেরিয়ে সমতলের দিকে তেমনি ভাবে একটি সুরেলা কণ্ঠ বলে উঠল- রেবেকা!

শুনে আরও বোকা বনে ইচ্ছের বিরুদ্ধে মুখ দিয়ে নিঃসৃত হল দুই শব্দের একটি প্রশ্ন- রেবেকা সাউল? ( বিদায় রানা, প্রতিদ্বন্দ্বীর নায়িকা)

আরেকবার শোনার সৌভাগ্য হল জলপ্রপাতের কুলুকুলু ধ্বনির, তবে তা নায়াগ্রার মত সর্বগ্রাসী নয়, বান্দরবানের ঝিরির মত দুকূল উপচে পড়া শান্তিময় কণ্ঠ বলে উঠল- রেবেনা লোপেজ, বন্ধুরা আমায় রেবেকা বলে।

ক্যাতালান মেয়ে সে, এখন থাকে বার্সেলোনায়। কী কাকতাল, সেদিনই এক বন্ধুর জন্য বার্সেলোনার ফুটবল টিমের জার্সি কিনেছি, সেটা দেখাতেই গ্রীসের রাস্তায় রাস্তায় দেখা উজ্জল কমলালেবু বাগান যেন হেসে উঠল ঘরের মাঝে! বন্ধু হয়ে গেলাম আমরা, যদিও ইংরেজি চোস্ত না তার, আমার স্প্যানিশও ভাঙ্গা ভাঙ্গা তারপরও কথা চলতে থাকল মুখের ভাষা আর চোখের ইশারায়।

আবার দরজার পাল্লা খুলে গেল, এবার ঝটকা দিয়ে, ভিতরে ঢুকল এশিয়ান এক ভদ্রলোক, ঢুকেই নিজের নাম বলে বললেন ফিলিপাইন থেকে এসেছেন, তার পরপরই সবচেয়ে বিচ্ছিরি প্রশ্নটা করে বসলেন- তোমাদের ধর্ম কী? আবারও কাকতালীয় ভাবে দুজনের উত্তর একসাথে বাহির হল- আমরা মানুষ। ফিলিপিনো ব্যাটা মুখ ব্যাজার করে বলে- আমি ক্যাথলিক।

কাবাব মে হাড্ডিটাকে ফেলে বাহির হলাম সন্ধ্যাকালীন হাটার জন্য, ছায়া ঘনাইছে ধীরে প্রাচীন নগরীর বুকে, ছয়শ বছর ধরে নির্মিত হওয়া জিউসের মন্দিরের কয়েকটি কঙ্কালসার স্তম্ভ সুবর্ণ অতীতে প্রচ্ছায়ার মত দাড়িয়ে থাকে নশ্বর পৃথিবীর বুকে।

বাতাস থমকে দাড়ায় জলপাইয়ের শাখাতে, আমরা ঘুরতে থাকি ইতিহাস ও বর্তমানের সন্ধিক্ষণে। ভ্রমণের পাগল রেবেকা, কবছর আগেই ল্যাতিন আমেরিকা ঘুরতে যেয়ে পেরুমাচু পিচু, গুয়াতেমালার তিকাল, বলিভিয়ার টিটিকাকা ইত্যাদি ঘুরে এসেছে আর চোখ মটকে বলল নাহ, ওদের জীবন কত বর্ণময়।

পরদিন কাক ভোরে একসাথে যাওয়া হল অ্যাক্রোপলিস পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত পার্থেননের মন্দিরে, সেখানে টিকিট কাঁটার জায়গায় এক ব্যাটা এসে হাসি দিয়ে বিশাল ত্যানাপ্যাঁচানো কথা শুরু করল- দেখ বন্ধু, আমরা সবাই মানুষ, মহাবিশ্বের জন্মের সময় কিন্তু এমন ছিল না, শেষেও এমন থাকবে না, আমাদের পরস্পরকে সাহায্য করতেই হবে, আসলে মহাবিশ্বের শুরুতে হয়েছে কি------- ( আমি তো আমি ত্যানাপ্যাঁচানোর বিশেষজ্ঞ চরম উদাস পর্যন্ত আসলেই উদাস হয়ে যেত ব্যাটার বাকচাতুর্যে, ব্যাটার বক্তৃতায় অস্থির হয়ে বললাম- এক মিনিট, ঐ মামুর বুটা, তোমার নাম কী?

উত্তর- অ্যাডাম।

তা বাবা আদম, আমার সাথে কে দেখেছ?

উত্তর- মামমা মিয়া!

তাহলে বুঝতেই পারছ সময় কম! এখন সাফ সাফ বল কি চাও?

উত্তর- নাস্তা করব, এক ডলার দিলেই কথা বন্ধ করে দিব!

যা ব্যাটা, সেটা প্রথমেই বললে হয়ত দিতাম, কিন্তু ত্যানা পেঁচিয়ে মুড নষ্ট করার জন্য আদমের দিকে অগস্ত্য মুনির মত একটা দৃষ্টিবাণ হেনে রেবেকার সাথে সোজা ঢুকে পড়লাম সেই বিশ্বের বিস্ময়ে।

সেই দিনই পরে যাওয়া হল গ্রীসের জাতীয় পুরাকীর্তি জাদুঘরে, দেখা মিলল পরম আরাধ্য আগামেমননের সোনার মুখোশের, সেই কথা লিখেছিলাম এই খানে-

ফেরার দিন ঘনিয়ে আসছে, ক্যান্ডল লাইট ডিনারের বদলে আক্রোপোলিসের পাদদেশেই অবস্থিত এক গ্রীক রেস্তোরাঁয় চললাম স্পেশাল ডিনারের আশায়, পুরোপুরি সামুদ্রিক খাবার যেখানে মেলে। মেন্যু খুব ভাল করে দেখেটেখে আমার জন্য অর্ডার দিলাম ভূমধ্যসাগরের ভাজা স্কুইড, বিশেষ ধরনের ভাত আর লেবু দিয়ে। রেবেকা অর্ডার দিল অক্টোপাসের। সেই সাথে চলনসই রেড ওয়াইন।

DSC02763

খাবার দেখেই অবশ্য প্রথমে একটু ভ্যাবাচাকা খেয়েই গেলাম- ভাতের প্লেট থেকে ১০ শুঁড়ের একটি কিম্ভুত চীজ যদি চেয়ে থাকে আপনার দিকে, তাহলে আর কিই বা আশা করতে পারেন ! কিন্তু প্রাথমিক চমক কেটে যাবার পর মুখে দিয়েই বুঝলাম এমন চমৎকার স্বাদের খাবার জীবনে খুব কমই খেয়েছি, মুখের ভিতরে গলে গেল মাখনের মতো, সাথে অল্প লেবুর রস মিলে সাগরের নোনা থেকে উঠিয়ে আনা জীবকে দারুণ তোফা বানিয়ে ফেলল। ঠিক করে ফেললাম, শুধু স্কুইড ভাজা খাবার জন্য হলেও এথেন্স ফিরতে হবে আবার।

P1200981

ডিনারের পরপরই রেবেকার আব্দার- চল, আক্রোপোলিস পাহাড় থেকে আরেকবার ঘুরে আসি, মন্দিরাটাকে দেখি আবছা চাঁদের আলোয়!

এত রাতে?

কেন নয়?

DSC02766

ভাগ্যিস গিয়েছিলাম, হাড়হাভাতে ট্যুরিস্টেদের সরগরম করা ভিড় নেই, সুমসাম চারিদিক, অপার্থিব মনে হল পার্থননকে দূর থেকে, সেখানে কৃত্রিম আলো ফেলা হয়েছে সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য।

DSC02765

কত ঘটনা ঘটে গেছে গত সাড়ে তিন হাজার বছর ধরে এর চারপাশে, কত এমন রাত্রি চলে গেছে মানুষ গাঢ় নিঃশ্বাস নিয়ে, এটা ভাবতেই রোমাঞ্চে রক্ত চলাচল দ্রুত হয়ে গেল। অবাক হয়ে দেখি রেবেকা স্প্যানিশে বলছে- রাতের পার্থেনন দেখে আনন্দে, বিস্ময়ে, রোমাঞ্চে আমার গাঁয়ে কাঁটা দিচ্ছে। ধন্যবাদ অ্যামিগো এই মুহূর্তটির জন্য।

DSC02770

সেই মুহূর্তে দুজনেরই কণ্ঠে আশ্রয় নিলেন প্রিয় কবি নেরুদা—

Y fue a esa edad . . . Llegó la poesía
a buscarme. No sé, no sé de dónde
salió, de inverno o río.
No sé cómo ni cuándo,
no, no eran voces, no eran
palabras, ni silencio,
pero desde una calle me llamaba,
desde las ramas de la noche
de pronto entre los otros,
entre fuegos violentos
o regresando solo,
allí estaba sin rostro
y me tocaba.


মন্তব্য

মানিক চন্দ্র দাস এর ছবি

ধূর মিয়া, খালি হিংশাটা বাড়ান। আম্নে মিয়া খারাপ লুক। রেগে টং

তারেক অণু এর ছবি

নাহে ভ্রাত, অতটা খ্রাপ নয় যতটা ভাবচেন শয়তানী হাসি

তানিম এহসান এর ছবি

কবে যে এই জায়গাগুলোতে যাওয়ার জন্য ঘর থেকে বের হবো!

তারেক অণু এর ছবি

বাহির হন

মন মাঝি এর ছবি

তারপর? চোখ টিপি

****************************************

তারেক অণু এর ছবি

কেন! শয়তানী হাসি

আরাফাত এর ছবি

কিঞ্চিৎ আত্মা (Bengal spirit) কিঞ্চিৎ রেবেকা (একটু খোঁড়া ছিলো না মেয়েটা?) আর ৩৫০০ বছরের ধাক্কায় নেরুদার অসাধারণ কয়টি লাইনের ভাবানুবাদের কুচেষ্টা করলাম, আগাম ক্ষমা প্রার্থনাও থাকল

"আর ঠিক অই বয়েসে, কাব্যেরা এসেছিলো আমার খোঁজে,
জানি না, জানি না তারা এল কোথা থেকে
প্রগাঢ় শীত কিংবা নদীর স্রোতে
জানি না তারা এসেছিল কীভাবে-কখন
তারা ছিলোনা কোন কন্ঠ, শব্দ বা নিঃশব্দের মতন।

অথচ তাদের আহবান এই পথের মাঝে
এই মায়াময় অবেলা সাঁঝে
সহসা শুধু এই আমাকেই
টেনে নেয় যেন তপ্ত আগুনে
ফিরে যেতে হবে সঙ্গী বিহনে
অবয়বহীন আমায়
কাব্য ছুঁয়ে যায়...."

তারেক অণু এর ছবি
সাইদ এর ছবি

টেম্পল অভ দা অলিম্পিয়ান জিউসটা কেমন লাগছে??

তারেক অণু এর ছবি

দারুণ

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার লেখা পড়ি,ছবি দেখি আর ফোঁস কইরা একখান দীর্ঘশ্বাস ফালাই!!!

সুবোধ অবোধ

তারেক অণু এর ছবি

খামোখা মন খারাপ

অতিথি লেখক এর ছবি

মোটেও খামোখা না। কবে যাইতে পারবো এমন সব সুন্দর যায়গায়,সেই কথা ভাইবা....

সুবোধ অবোধ

তারেক অণু এর ছবি

যাবেন যাবেন

m. sadek এর ছবি

রানা ভাগ্য আপনার; এংকোরেজের ব্যাকপ্যাকার হোস্টেলে আমি পেয়েছিলাম .........., থাক, সে আর
নাইবা বললাম...............

তারেক অণু এর ছবি

বলেন বলেন, জাতি জানতে ইচ্ছুক

শামীমা রিমা এর ছবি

বরাবরের মতোই । উত্তম জাঝা!

তারেক অণু এর ছবি
শামীমা রিমা এর ছবি

বরাবরের মতোই উত্তম জাঝা!

তারেক অণু এর ছবি

দেখি চরম উদাস কি বলে !

শুভায়ন এর ছবি

ছবি (ক্রমে) কমে আসিতেছে। ওঁয়া ওঁয়া

তারেক অণু এর ছবি

আবার বাড়িবে

অতিথি লেখক এর ছবি

মানুষ রাজকপাল নিয়ে জন্মায়, আপনি জন্মেছেন ভ্রমনকপাল নিয়ে। হায়! আমাদের কোন কপাল নেই, আমাদের একটাই স্বান্তনা, আমাদের অনু আছে।

তারেক অণু এর ছবি
 জনাব এর ছবি

রক্তের রং এর নায়িকা রেবেকা ছিল না।

তারেক অণু এর ছবি

হায়, হায়! ভুল করে ফেললাম নাকি! দাতাকুর হাতে মারা গেল সে কোন বইতে?

 জনাব এর ছবি

প্রতিদ্বন্দী

তারেক অণু এর ছবি

প্রতিদ্বন্দ্বী হবে !

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

চলুক

তারেক অণু এর ছবি
রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

দারুন লিখেছে। ঐতিহাসিক স্থাপনার ছবি তো বরাবরই ভালো লাগে। আমি কিছুদিন আগে জীবনে প্রথমবারের মতো স্কুইড ভাজা খেলাম ব্যাংককে। দারুন মজা।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

তারেক অণু এর ছবি

প্রিয় সী-ফুড = স্কুইড ভাজা

সুমাদ্রী এর ছবি

হাসি প্লাহার বর্ণনা আর ছবি কই? এই স্কুইডগুলো কি ব্যাকপ্যাকারস এর নীচে যে রেস্টুরেন্ট ছিল ওখানেই খেয়েছেন? আমার সাথে দু'জন বিশিষ্ট হালাল খাবার অন্বেষক ছিলেন বিধায় এসব চাখার সুযোগ মেলেনি। তবে একটা দোকানে ১ ইউরোতে অসাধারণ আইসক্রীম পাওয়া যেত। ব্যাকপ্যাকারস এর নীচেই। ওটা খেয়েই প্রায়ই পেট ভরাতাম।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

তারেক অণু এর ছবি

না না , কিন্তু খুব দূরেও না ! এথেন্স আসলেই সস্তা। সবাই খাবার হারাম -হালাল নিয়ে ব্যস্ত । কিন্তু যে টাকা দিয়ে খাওয়া কেন হচ্ছে সেটা কি হারাম না হালাল , এই ব্যাপারে নিশ্চুপ থাকে।

ওডিন এর ছবি

সবাই খাবার হারাম -হালাল নিয়ে ব্যস্ত । কিন্তু যে টাকা দিয়ে খাওয়া কেন হচ্ছে সেটা কি হারাম না হালাল , এই ব্যাপারে নিশ্চুপ থাকে।

বেইজিং এর এক রেস্তোরাঁয় দুই পাকিকে দেখেছিলাম হালাল-হারাম নিয়ে বিশাল গবেষণা করে খাবার অর্ডার দেয়ার পরে দুই বোতল বিয়ার খুলে বসতে দেঁতো হাসি

বটতলার উকিল এর ছবি

আপনি আছেন, তাই দেশ-বিদেশ ঘুরে আশা হচ্ছে! একদিন স্কুইড ভাজা খেয়েই দেখতে হবে!

বটতলার উকিল

তারেক অণু এর ছবি
তারেক অণু এর ছবি

আহা হাসি

সাইদ এর ছবি

আমার কাছে অক্টোপাসের একটা মেনু , নাম মনে আসছে না অনেক সুস্বাদু লেগেছিল। তবে স্কুইড ভাজা আসলেই মজার।

তারেক অণু এর ছবি
স্পর্শ এর ছবি

দারুণ একটা উপন্যাস পড়ছিলাম মনে হচ্ছিলো। না থামলেই ভালো হতো...
আপনি উপন্যাস লেখেন না কেন? নাকি লেখেন, আমরা জানি না?


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

তারেক অণু এর ছবি
মরুদ্যান এর ছবি

চলুক

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

তারেক অণু এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

হিংসা লাগে আপনার কপাল দেখলে রেগে টং ।আপনার কপালের সাথে একটু ঘষা দিতে চাই তাইলেও যদি কপালটা একটু ফিরে। স্কুইড ভাজার ছবি দেখে পিলে চমকে গেল এইরকম শুঁড়অলা জিনিস দেখলে কেমন জানি লাগে ( পরিচিত মহলে আমার মাকড়শা ভীতি প্রবাদতুল্য), আপনি লোক ভালা না, মানুষের মনে কষ্ট দেন। গুল্লি গুল্লি গুল্লি

তারেক অণু এর ছবি

খেতে দারুণ!

কপাল ঘষা নিষেধ শয়তানী হাসি

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

খাবারটা লোভনীয়

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

তারেক অণু এর ছবি
মন মাঝি এর ছবি

কোনটা - স্কুইড না অক্টোপাস?

****************************************

তারেক অণু এর ছবি

আমার মুনে অয় নজু ভাই অন্যকিছু মিন করছে, মণিকার ভক্ত কিনা!

মন মাঝি এর ছবি

আরে আপনি আমারে চিনেন নাই -- আমিও কেনেথ স্টারের ভক্ত! হুঁহুঁ! হো হো হো

****************************************

তারেক অণু এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি কৌসুলি ! আরে মিয়া আমগোর নজু ভাই মনিকা বেলুচ্চির ভক্ত!

ওডিন এর ছবি

একবার স্কুইড খাইছিলাম, কিন্তু খায়া ভাল্লাগেনাই, তবে সেটা লাদাখ এর রাজধানী লেহ শহরের এক রেস্টুরেন্টের একটা কিম্ভুতকিমাকার সি-ফুড স্যুপ এর মধ্যে ছিলো। ঘটোনাটা হইলো লেহ শহরটা নিয়ারেস্ট সমুদ্দুর থেকে তিন হাজার কিলোমিটার আর বারো হাজার ফুট উঁচুতে। সেইখানের 'সি-ফুড' আর কি আর এমন হবে খাইছে

তারেক অণু এর ছবি

পাইছেন তাই তো অনেক ! সেটা মনে হয় ভেজাল ছিল দেঁতো হাসি

ফাহিম হাসান এর ছবি

উত্তর- নাস্তা করব, এক ডলার দিলেই কথা বন্ধ করে দিব!

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

অক্টোপাসে বর্ণনা শুনে খেতে ইচ্ছা করছে

তারেক অণু এর ছবি

ব্যাটা নিজেরে বেশী চাল্লু ভাবে, হেহ শয়তানী হাসি

ফয়সাল ইজা এর ছবি

মনে হয় কোনো বিলুপ্ত নগরীর কথা
সেই নগরীর এক ধূসর প্রাসাদের রূপ জাগে হৃদয়ে।

ভারতসমুদ্রের তীরে
কিংবা ভূমধ্যসাগরের কিনারে
অথবা টায়ার সিন্ধুর পারে
আজ নেই, কোন এক নগরী ছিল একদিন,
কোন এক প্রাসাদ ছিল;
মূল্যবান আসবাবে ভরা এক প্রাসাদ;
পারস্য গালিচা, কাশ্মিরি শাল, বেরিন তরঙ্গের নিটোল মুক্তা প্রবাল,
আমার বিলুপ্ত হৃদয়, আমার মৃত চোখ, আমার বিলীন স্বপ্ন আকাঙ্ক্ষা;
আর তুমি নারী-----
এই সব ছিল সেই জগতে একদিন।
(জীবনানন্দ দাশ)

তারেক অণু এর ছবি
নিরীহ মানুষ  এর ছবি

চরম উদাসের প্রতি সম্মান জানিয়ে এক ডলার দেয়া উচিত ছিল… নিন্দা জানাই চরম ভাবে

তারেক অণু এর ছবি

ঠিক! পরের বার দিয়েই দিব!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।