বলিভিয়া, পৃথিবীর এক অজানা রহস্যঘেরা দুর্গম অঞ্চলের নাম।
অন্য কারো কাছে না হোক, পদ্মা তীরের নিরিবিলি রাজশাহীতে বেড়ে ওঠা কোন কিশোরের কাছে তো বটেই। সে জানে না বলিভিয়া পৃথিবীর শেষ প্রান্ত নয় বরং দক্ষিণ আমেরিকার ঠিক মধ্যভাগে অবস্থিত একটি দেশ যার সাথে আরও ৫টি দেশের সীমান্ত আছে। এখানেই নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন আধুনিক বিশ্বের ঈশ্বরহীন সন্ত চে গ্যেভারা, এই বলিভিয়াতেই জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এসেছেন ল্যাতিন আমেরিকার প্রথম আদিবাসী রাষ্ট্রপতি ইভো মোরালেস, এখানেও আছে আমাজনের গহীন অরণ্য, সুপ্রাচীন সভ্যতার আকর তিহুয়ানাকো শহর, আদিগন্ত বিস্তৃত লবণহ্রদ, এই দেশটিই মাঝে মাঝে খেলে বিশ্বকাপ ফুটবলে। তার শুধু জানা ছিল পাতলা সাধারণ জ্ঞানের বই পড়ে যে বলিভিয়া রাজধানী লাপাজ বিশ্বের সবচেয়ে উচ্চতম স্থানে অবস্থিত রাজধানী, এবং সেখানের দমকল বাহিনীর নাকি বসে বসে ঝিমাতে থাকে কারণ অত উঁচুতে আগুন লাগলেও ছড়াতে পারে না দ্রুত!
সেই কিশোর কী করে দক্ষিণ এশিয়ার পদ্মাপার থেকে বলিভিয়ার লাপাজে পৌঁছালো সে এক বিশাল ইতিহাস, যদিও পেরু-বলিভিয়ার সীমান্ত পেরোনোর কথা বলে হয়েছে এই পোস্টে, আজ লাপাজের গল্প। তিন বন্ধুকে নিয়ে নেমে পড়লাম তারা জ্বলা আকাশের নিচের, সারা সন্ধ্যা বৃষ্টি ঝরানোর পরে আকাশ আপাতত বিশ্রামে, রাস্তার থেকে থেকে জমে থাকা জল সেই সময়ের কথা ভুলতে দিচ্ছে না, বড় বড় রাস্তা সোডিয়াম বাতির আলো ঝলমলে, তার শাখা-প্রশাখাগুলো অবশ্য গলি-উপগলি-তস্যগলি হয়ে ছড়িয়ে গেছে এই পাহাড়ি শহরে। এমনিতে লাপাজের দুর্নাম শুনেছি বেশ, জাপানিজ বন্ধু মাৎসুমোতো পই পই করে বলেছে সারা ল্যাতিন আমেরিকাতে তার গায়ে ফুলের টোকাটিও লাগে নি, কিন্তু লাপাজের এক কানাগলিতে তাকে দিগম্বর করে ছেড়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এমন আরও কয়েকজনই বলেছে লাপাজ আর পার্শ্ববর্তী শহর আলতো (স্প্যানিশে যার মানে উঁচু, শহরটা আসলেই লাপাজ থেকেও বেশ খানিকটা উঁচু)তে এমন ঘটনা খুব একটা বিরল নয়, যেন খুব সাবধানে থাকি, বিশেষ করে রাতের আঁধারে।
নব্যবন্ধু হুগোকে প্রথমেই বললাম আশৈশব শুনে আসা লাপাজের দমকল বাহিনীর অফিসের কথা, তবে সত্য কথা বলতে যাত্রাপথে আমাদের সবারই কমবেশী মাথাব্যথা করেছে উচ্চতার কারণে, বিশেষ করে আলতো শহর অতিক্রমের সময়, নিচের লাপাজে নেমে এসে অবস্থা কিছুটা ভালোর দিকে, শুধু হুয়ান ভিদাল বেশ কষ্ট পাচ্ছে নিঃশ্বাস নিতে। মনে পড়ল, বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার মত শক্তিশালী দলগুলোও কিভাবে লাপাজে খেলতে এসে বলিভিয়ার মত অপেক্ষাকৃত অনেক কম শক্তিশালী দলেও কাছেও কিভাবে এক হালি গোলের ব্যবধানে হেরে যায়। অবশ্য ফিফা এখানকারসহ এই মহাদেশের মোট তিনটি স্টেডিয়াম বেশী উচ্চতার কারণে নিষিদ্ধ করেছে, তার প্রতিবাদে আয়োজিত এক প্রতীকী ম্যাচে বলিভিয়ার রাষ্ট্রপতি ইভো মোরালেসসহ অংশ নিয়েছিলেন কিংবদন্তী দিয়েগো ম্যারাদোনা। ম্যারাদোনার কথা উঠতেই অবশ্য হুগো চোখ মটকে বলল- দিয়েগো তো প্রায়ই আসে বলিভিয়াতে, মাঝে মাঝেই। কেন আসে এই প্রশ্নের উত্তরে আলতো হাসি দিয়ে ফিসফিস করে বললে- আর কেন! কোকেন !!
লাপাজ আমার কাছে কল্পলোকের এক শহরের মত, যে দৃশ্যের দিকে স্থানীয়রা ঘুরে ভ্রূক্ষেপও করবে না তাও চলৎশক্তিরহিত হয়ে দেখি বুভুক্ষের মত, রাস্তার মোড়ে ইন্ডিয়ান আদিবাসী তার বর্ণিল পঞ্চো গায়ে জড়িয়ে কিছু বিক্রির চেষ্টা করছে, পাশেই দুজন ব্যস্ত আগুন জ্বেলে চা বানাতে, কয়েকজন রেড ইন্ডিয়ান মহিলা পিঠের বহুবর্ণা চাদরের সাথে সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ জীবন্ত শিশুটিকে ঢেকে নিয়ে যাচ্ছেন পরম মমতায়। মনে হচ্ছে টিনটিনের কোন বইয়ের মাঝে উপস্থিত হয়েছি, হয়ত মমির অভিশাপ নয়তো সূর্যদেবের বন্দীতে, তেমন বেশভূষা, সেই ধরনেরই মানুষগুলো, রেড ইন্ডিয়ান বালক ঝাঁকাতে করে কমলা ফেরী করে বেড়াচ্ছে, পায়ে জুতার বালাই নেই, কোথাও আবার কয়েকজন সড়গড় হয়ে আড্ডা জমিয়ে বসেছে।
কত বৈচিত্রে ভরা এই পৃথিবী। আবার মানুষে মানুষের কত মিল। আবার মানুষই মানুষকে কতটা শোষণ করে। উপনিবেশিক প্রভু হিসেবে বলা হয় সবচেয়ে বেশী অত্যাচার করেছিল স্প্যানিশরা, তার এসেছিলই লুট করতে, সাথী হিসেবে ছিল টলেডো ইস্পাতের তলোয়ার আর ধর্মীয় গ্রন্থ। বইয়ে ছিল রক্তবন্যা, এখনো সেই নজির দেখতে পাবেন সবখানেই, ভিন্ন রূপে।
অনেক ঘুরে ফিরে পুরাতন এক দমকল অফিস খুঁজে পাওয়া গেল বটে, কিন্তু তার দরজা বন্ধ, জানা গেলে তাদের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে অনেক আগে। অন্য মহল্লার এক দমকল অফিসের খোঁজ মিলল বটে, কিন্তু সেটাও যে কর্মক্ষম অবস্থায় আছে সেই নিশ্চয়তা দিতে অক্ষম স্বয়ং মিকাইলও। শেষে আগুনদমন বাহিনী খোঁজ রেখে শহরের সবচেয়ে প্রশস্ত রাস্তা ধরে হাঁটতে থাকলাম মৃদুমন্দ বাতাসে আমরা চারজন। রাস্তার মাঝে ল্যাতিন আমেরিকার সত্যিকারের স্বাধীনতার মহানায়ক সায়মন বলিভারের বিশাল ভাস্কর্য, বিশ্বের অনেক নেতা জাতীয় পর্যায়ে সশস্ত্র সংগ্রাম করে মাতৃভূমিকে স্বাধীন করেছেন, কিন্তু এতগুলো দেশকে উপনিবেশিক পরাধীনতা থেকে বলিভার ছাড়া আর কেউ স্বাধীন করেছেন বলে শুনি নাই। সেই রাস্তারই আরেক প্রান্তে ক্রিস্টোফার কলম্বাসের মূর্তি, দেখেই গভীর দুঃখের শ্বাস ফেলে হুগো জানাল কদিন আগে ভেনিজুয়েলায় কিছু মানুষ কলম্বাসের মূর্তি ভেঙ্গে ফেলেছে, কলম্বাস নাকি এখন শ্বেতাঙ্গদের কয়েকশ বছরের শোষণের এবং উপনিবেশিকতার প্রতীক। বললাম, দেখো- কলম্বাস এমন কোন মহান ব্যক্তি এমনিতেই ছিলে না, সে এবং তার চ্যালা চামুন্ডারা যথেষ্ট অত্যাচার করেছে স্থানীয় আদিবাসীদের উপরে। আর ছিল সত্যিকারের লোভী মানুষ। অভিযাত্রী হিসেবে সে ইতিহাসের খাতায় লেখা থাকবে, কিন্তু আদিবাসীরা যদি তাকে অত্যাচারের প্রতীক হিসেবে দেখে সেটা কি ভুল কিছু? আমি বলছি না ঐতিহাসিক মূর্তি বা নিদর্শন ভেঙ্গে ফেলতে হবে, কিন্তু এটাও ঠিক যে সময় এসেছে সঠিক ইতিহাস জানবার এবং নতুন প্রজন্মকে জানাবার।
বেচারা আবার দুঃখ প্রকাশ করে বলল তুমি জান যে প্রেসিডেন্ট মোরালেস আমার দেশের নাম পর্যন্ত পরিবর্তন করে ছেড়েছে? তা তো করবেই, আগের পূর্ণ নাম যে উপনিবেশিক পরিচয় বহন করে, এত শিকল গলাবার শখ কেন তোমাদের?
সেদিন আবার বিশেষ কোন কারণে রাত আটটার দিকেই লাপাজের প্রায় সমস্ত রেস্তোরাঁ আর পানশালা বন্ধ, কেমন যেন মফস্বল শহরের সুমসাম নিস্তব্ধতা নেমে এল সাত তাড়াতাড়ি। বলিভিয়ার সর্ববৃহৎ এবং বাণিজ্যিক কেন্দ্র সান্তাক্রুজের অধিবাসী হুগো খুব দাঁত বাহির করে বলল- সান্তাক্রুজে একবার সে দেখ, আমাদের সবকিছুই ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে। আসলে সান্তাক্রুজ হচ্ছে শ্বেতাঙ্গ অধ্যুষিত শহর যা কয়েক শতাব্দী ধরে বলিভিয়ার বাণিজ্যকেন্দ্র বলে পরিচিত, সেখানের অধিকাংশ মানুষই কিছুটা ধনী গোছের এবং সাম্যবাদকে তারা প্রবল ভয়ের চোখে দেখে। তাই রেড ইন্ডিয়ান রাষ্ট্রপতি ইভো মোরালেস যেখানে লাপাজের ইন্ডিয়ান এবং উদারপন্থীদের মাঝে ব্যপক জনপ্রিয়, তেমনি সান্তাক্রুজের ব্যবসায়ীদের মাঝে ভীষণ অজনপ্রিয়। আমার এক আর্জেন্টাইন বন্ধু লাপাজ থেকে সান্তাক্রুজ যাবার সময় আক্রান্ত হয়েছিল পেটের পীড়ায়, সে যখন সান্তাক্রুজ পৌছাল, হাসপাতালের ডাক্তার প্রথম কথাটাই বলল লাপাজকে কটাক্ষ করে- লাপাজের বাতাসই দূষিত, সেটা যে কোন মানুষকে অসুস্থ করে তোলে!
শুনলাম ম্যাকডোনাল্ডসের মত কোম্পানি বলিভিয়া ছাড়তে বাধ্য হয়েছে সরকারের সাথে বনিবনা নাও হওয়ায়, কিন্তু তাতে সমস্যা কী? বলিভিয়াতে যারা যায় তারা নিশ্চয়ই ম্যাকডোনাল্ডসের বার্গার খেতে যাচ্ছে না! আর সেটার মালিকানা তো অন্য দেশের, তুমি যদি স্থানীয় খাবার, স্থানীয় মানুষদের দিয়ে বিক্রি করতে পার, কী দরকার দেশের টাকা এভাবে বিদেশে পাঠানোর? নাকি মনেই হয়েছে যে ম্যাকডোনাল্ডস না থাকলে সেই শহর জাতে উঠবে না, মার্কিন জীবনধারা না থাকলে সভ্য হওয়া যাবে না? বিশ্বব্যাংকের ঋণ কি আমাদের নিতেই হবে তাদের পরিকল্পনার জালে আটকা পড়ার জন্য? ভেনিজুয়েলা সমস্ত ঋণ শোধ করে বিশ্বব্যাংকের মত রক্তচোষা প্রতিষ্ঠানকে পাততাড়ি গোটাতে বাধ্য করেছে, আখেরে কি সুফল সমস্ত জাতিই ভোগ করবে না?
অবশেষে এক পানশালা খোলা পাওয়া গেল, তেষ্টায় কাতর আমরা ঢোকার সাথে সাথে চাইলাম মেক্সিকান রীতির পানীয় মিচেলাদো ( যার কথা বলেছি এই পোস্টে), মিলল বটে কিন্তু খালি সাদা লবণ কোনমতে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে গ্লাসের মুখে, মেক্সিকোর মত রঙদার, ঝালদার মশলা না। খাবার হিসেবে কোনমতে মুখে কিছু গুজে বাহির হতে হল, পরদিন কাক ভোরে বিমানযাত্রা। কোন সমস্যা ছাড়াই ফেরা সম্ভব হল বিলাসবহুল হোটেলে ( যেখানে ছিলাম নামমাত্র ভাড়াতে), হুগো আমাদের বাবার ধন্যবাদ দিল এই সাহচর্যটুকুর জন্য, মুখে পিচ্ছিল হাসি নিয়ে বলল- তোমরা না থাকলে বড় একঘেয়ে হয়ে যেত আজকের দিনটা , হয়ত স্মস্য কাটানোর জন্য হোটেল রুম থেকে ফোন করতাম পত্রিকা ঘেঁটে খুঁজে পাওয়া কোন স্বর্ণকেশীর নাম্বারে! টাকার বিনিয়ের যৌনতার বিকিকিনি আমার কাছে চরম অরুচিকর লাগে, বিশ্বের আদিমতম পেশা হলেও এই ধারনাটাই কেমন যেন স্থূল মনে হয়। বললাম, কী হে, কাল যে তোমার বৌ-এর এত্ত এত্ত প্রশংসা করলে, আজ আবার স্বর্ণকেশীর সময় কিনতে চাওয়া কেন? আবার মুখ ভর্তি হাসি দিয়ে হুগোর উত্তর- আরেহ, শুধু কথা বলার জন্য, ফোনে একটু নিঃসঙ্গতা কাটানোর জন্য!
পরদিন লাপাজ বিমানবন্দরে যেয়ে বেশ সহজেই সান্তাক্রুজের বিমানে চেপে বসলাম, দেশের মাঝেই যাত্রা বলে কোন সমস্যা হয় নি। বিশাল দেশটিতে আবার ফেরার ইচ্ছে আছে- আমাজন দেখার জন্য, তিহুয়ানাকো দেখার জন্য, লবণ হ্রদে পা ডুবিয়ের প্রকৃতির বিস্ময় উপভোগের জন্য, কিন্তু সবচেয়ে বেশী যে কারণে ফিরব তা বনের মাঝে এক স্কুল ঘরে এক মুহূর্ত একে দাঁড়াবার জন্য, যেখানে ৩৯ বছর বয়সে শোষিতের মুক্তির জন্য সংগ্রামের লড়াইয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন চে আর্নেস্তো গ্যেভারা, জানি না কবে অতখানি শক্ত মনের অধিকারী হতে পারব, যে কারণে এর আগে কিউবার সিয়েনফুয়েগোস, ত্রিনিদাদা ইত্যাদি শহর ভ্রমণের ফাঁকে সুযোগ থাকা স্বত্বেও সান্তা ক্লারা শহরে যাই নি, যেখানে এই বলিভিয়ার বধ্যভূমি থেকেই দীর্ঘ কয়েক দশক পরে উত্তোলন করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল চে-র দেহাবশেষ, সমাহিত করা হয়েছিল যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে, হয়ত কোন একদিন। তবে লাপাজের দেয়ালে দেয়ালে চে-র ছবি, নাম দেখে এটুকু সান্ত্বনা অন্তত পেলাম যে বলিভিয়ার মানুষের জন্য তার আত্মদান সম্পূর্ণ বৃথা যায় নি, মাটির মানুষেরা তাকে মনে রেখেছে।
বিমান উড়ে চলেছে আন্দেজের শিখরের উপর দিয়ে, মনের পর্দায় ভাসে সেই রাগবি খেলোয়াড়দের পরিণতি, যারা বিমান দুর্ঘটনার কারণে বাধ্য হয়েছিল আন্দেজের বন্দী হতে। কিন্ত কি অপূর্ব সেই দৃশ্য, ভোরের আলো এসে পড়েছে অমরাবতীর চূড়োয়, নিচের কালো আদিম ভেজা চকচকে পাথর, আরও নিচে আঁধারে ঢাকা উপত্যকা। ভয়ংকর সুন্দর, বিপদের হাতছানি যেমন আছে, তেমনি আছে প্রকৃতি সম্ভোগের রোমাঞ্চ। শুধু ছবি আর তোলা হল না সেযাত্রা ক্যামেরা মহাশয় ব্যাগবন্দী থাকায়।
সান্তাক্রুজের বিমান বন্দরে নেমেই চিত্তির, যেহেতু আন্তর্জাতিক ফ্লাইট, শুনলাম আমাদের আলাদা ট্যাক্স দিতে হবে, এবং তা বেশ চড়া! অধিকাংশ বিমানবন্দরেই এই ট্যাক্স টিকিটের দামের সাথে সাথেই নেওয়া হয়, ফলে বাড়তি ঝামেলার দরকার হয় না, কিন্তু অযাচিত ভাবে কোন কোন এয়ারপোর্টে এই সমস্যায় পড়তেই হয়, আগে থেকে জানা না থাকায় মহামুশকিল এত লটবহর নিয়ে আবার নানা জায়গায় দৌড়াদৌড়ি করা। শেষমেশ সেই সব ঝামেলা চুকিয়ে যখন ইমিগ্রেশন পার হচ্ছি বদখত চেহারার এক অফিসার আমার সবুজ পাসপোর্ট খানা ইদুরের পনির শোঁকার মত পরীক্ষা করতে করতে স্প্যানিশে বলে বসল- স্প্যানিশ পার? পারি বৈকি, অন্তত কাজ তো চালাতে পারি খিদা লাগলে, কিন্তু সেই ভোরের ঘুম ভাঙ্গা, ট্যাক্স দেবার জন্য হয়রানি ইত্যাদির কারণ মেজাজ চটে ছিল, ইংরেজিতে ব্যাটাকে বললাম - তোমার দেশে বেড়াতে আসলেই যে তোমার ভাষাতেই কথা বলতে হবে এমন বাধ্যবাধকতা নিশ্চয় নাই, জীবনে যত ভাষা শেখার চেষ্টা করেছি ততগুলা ভাষার নামও তুমি জানো না, আর এই এক স্প্যানিশ না জানলেও আমার জীবন খুব ভালই চলে যাবে! ( বাজে কথা, স্প্যানিশ আমার খুবই পছন্দের ভাষা, সেই সাথে বাংলাই ভাল মত শিখতে পারলাম না আর অন্য ভাষা!) ব্যাটা মুখ কালো করে ইসাইয়াসের সাথে পড়ল- আমাকে দেখিয়ে বলে কতদিন ধরে চেন একে? ২ বছর। ২ বছরেও স্প্যানিশ শেখাতে পারলে না? কি প্রশ্ন ! শেষে তিনজনই la puta madre , la puta madre বলতে বলতে বিমানের দরজার দিকে এগোলাম, হাতে সময় ছিল , আর কি! সবাই নিজের কম্পু নিয়ে বসে গেল বহিবিশ্বের কাছে জানান দিতে যে- আমরা বেঁচে আছি, ভালই আছি।
সান্তাক্রুজ থেকে সচলায়তনে কোন পোষ্ট করেছি কি? ঠিক মনে নেই, কিন্তু মন্তব্য করেছি তো বটেই! নানা ঝামেলার পরও আমাদের মন তখন আনন্দে পূর্ণ, পরের গন্তব্য যে এইখানে ,দিয়েগোর দেশে, ট্যাঙ্গোর শহরে----
মন্তব্য
লা পুতা মাদ্রে, লা পুতা মাদ্রে
এক্কেবারে
ব্যাটা পুরাই ফাউল ছিল এক্কেরে!
facebook
শিরোনাম ভুল পড়ে ভাবছিলাম রাতের বেলা জেনিফার লোপেজের সঙ্গে দমকলের সম্পর্ক কী?
পোস্ট পড়ে ভুল ভাংলো...
ঘুরতে থাকেন, আমি আলস্য ভালোবাসি
আর ইয়ে, la puta madre অর্থ কী? এটাও তো আমি প্রথমে ভুল পড়ে ফেলছিলাম
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ক্যান মিয়া! এতদিন মনিকা বেলুচ্চিরে নিয়ে ছিলেন কিছু কই নাই, খবরদার ল্যাতিনাদের দিকে নজর দেবেন না, বিশেষ করে সালমা আর জেনির দিকে
la puta madre মানে সাকা!
facebook
চে কিংবা বলিভারের থেকেও অনেক বেশি মুগ্ধ হয়েছিলাম এনরিকের ইতিহাস পড়ে। কলাম্বাস এবং পরবর্তী সময়ে স্প্যানিশ অত্যাচার, সাথে সাথে এনরিকেকে নিয়ে খানিকটা লিখেছিলাম এখানে।
ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .
ধন্যবাদ, পড়ে দেখব
facebook
দক্ষিণ আমেরিকার সব দেশই কী সুন্দর ! ছোটবেলায় ডেথ রোডের কথা পড়েছিলাম , সেখানে যান নাই ? আর পুমা পুংকু ?
নাহ, কিন্তু যামু
facebook
তোমার লেখা আর ছবি যে ভাল লাগে সেটা এতদিনে জেনে গেছ আশাকরি। এই লেখাটায় যে শব্দটি বারবার কানে লাগছে তা হল রেড ইন্ডিয়ান। আমেরিকায় আমরা বলি নেটিভ আমেরিকান। তুমিও নেটিভ বলিভিয়ান বলতে পার। আদিবাসী বল্লেও হয়। রেড ইন্ডিয়ান বাদ দিয়ে। একেবারেই ব্যক্তিগত মত দিলাম। আশাকরি কিছু মনে করবে না।
এই বছর আসছ কি ?
জানি, এইটা লিখে দিতে চেয়েছিলাম ভিতরে যে রেড ইন্ডিয়ানের ভালো বাংলা প্রতিশব্দ কী হতে পারে।
facebook
ক্যানাডায় বলে ফার্স্ট নেশন।
..................................................................
#Banshibir.
বাংলা
facebook
অতএব বাংলা হইল "এক নম্বর জাত"
..................................................................
#Banshibir.
নাহ, আপনি বর্ণবাদী
facebook
বর্ণনা বরাবরের মতই সাবলীল। একটা প্রশ্ন ছিল- অভ্যন্তরীন ফ্লাইট কিভাবে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট হয়?
ইমিগ্রেশনের ব্যাটা কি আপনাকে অবৈধ মাইগ্র্যান্ট ভাবছিল ??
প্রথমটা অভ্যন্তরীন ফ্লাইট , পরের টা আন্তর্জাতিক ফ্লাইট
facebook
- এই অংশটুকুর প্রেক্ষিতে আমার দুই পয়সা:
চে গুয়েভারার টোটালিটারিয়ান অ্যাপ্রোচ যেখানে রাষ্ট্রের চূড়ান্ত আধিপত্য সেখানে ব্যক্তিমানুষের অবস্থান কতটুকু আধুনিক? আজকে ব্লগে বা পত্রপত্রিকায় রাষ্ট্রের বিভিন্ন অবস্থানের যে সমালোচনা চে'র চিন্তার ডোমেইনে তা রাষ্ট্রদ্রোহীতারই নামান্তর। চে পপ কালচারের আইকন, কিউবান বিপ্লবের প্রতীক, কিন্তু বর্তমান বিশ্বে তার রাজনৈতিক বিশ্বাস মূলত মেরুর এমনই এক প্রান্তে যেখানে ব্যক্তিস্বাধীনতার অস্তিত্ব বেশ টালটমাল।
বলিভিয়া চে কে সম্মান করে ঠিকই, কিন্তু এ কথাও মনে রাখা প্রয়োজন এই বলিভিয়ার লোকজনেরই চে'র বৈপ্লবিক ঝান্ডার প্রতি ছিল চরম অনাগ্রহ। ট্যুরিস্টের চোখে দেখা বলিভিয়া (সম্ভবত ১৯৫২-৫৩ এর দিকে) এক দশকে বদলে গিয়েছিল অনেকখানি। ৬৬ এর বলিভিয়ার পরিবর্তিত রূপ গোঁয়ারের মত অস্বীকার করে বিপ্লবে ঝাঁপিয়ে পড়াটা ঠিক কতটুকু যুক্তিসম্মত ছিল? চে'র প্রস্তাবিত মডেলে তো নতুন কোন পরিবর্তনের অঙ্গীকার দেখি না যা তৎকালীন বলিভিয়ানদের আগ্রহী করে তুলতে পারে।
চে'র সম্পর্কে পড়তে গেলে রীতিমত মহাসমুদ্রে হাবুডুবু খেতে হয়, কিন্তু হলিউডের রোমান্টিক ইমেজ বাদ দিলে মনে হয় একটা কোন রকম বিপ্লবের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য চে রীতিমত মুখিয়ে ছিল। যেখানে বলিভিয়ানদের মঙ্গল কামনার চেয়ে নেতৃত্বের অ্যাড্রেনালিন ছিল মুখ্য।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
বলিভিয়া চে কে সম্মান করে ঠিকই, কিন্তু এ কথাও মনে রাখা প্রয়োজন এই বলিভিয়ার লোকজনেরই চে'র বৈপ্লবিক ঝান্ডার প্রতি ছিল চরম অনাগ্রহ। ট্যুরিস্টের চোখে দেখা বলিভিয়া (সম্ভবত ১৯৫২-৫৩ এর দিকে) এক দশকে বদলে গিয়েছিল অনেকখানি।-- এই ব্যাপারটা আরেকটু খোলাসা করেন তো ভাইডি। আর ১৯৫২ সালে নেটিভ বলিভিয়াদের হাতে আদৌ কোন ক্ষমতা ছিল কি? ইভো মোরালেস তো সাম্যবাদের পক্ষে দাড়িয়েও জনগণের ভোটেই নির্বাচিত।
বর্তমান বিশ্বে তার রাজনৈতিক বিশ্বাস মূলত মেরুর এমনই এক প্রান্তে যেখানে ব্যক্তিস্বাধীনতার অস্তিত্ব বেশ টালটমাল।--- এখন একটু ভাল ভাবে আমরা চিন্তা করি চে কোন সময়ে কোন প্রেক্ষিতে সেখানে গেছিল, এবং আমরা এখন কোন সময়ে আছি। ব্যক্তিস্বাধীনতা, ব্যক্তিস্বাধীনতা বলে আমরা যেমন উল্লসিত, সুশীল দেশগুলোও সাম্যবাদী ব্যবস্থার বিরুদ্ধে কিছু বলতে হলেই সবার আগে এই ব্যক্তিস্বাধীনতার কথায় বলে, কিন্তু খেয়াল রেখেন ২য় বিশ্বযুদ্ধের আগ পর্যন্ত বিশ্বে স্বাধীন দেশ কয়টা ছিল? আফ্রিকার প্রথম স্বাধীন দেশ হল ঘানা, সেও কিন্তু মনে হয় ১৯৫৭ সালে, ব্যক্তি দূরে থাক, জাতির স্বাধীনতা ছিল না। আমি সোভিয়েত সমাজ ব্যবস্থার অনেক অনিয়মের বিপক্ষে কিন্তু নানা ভূখণ্ডের, বাংলাদেশ সহ, স্বাধীনতার পিছনে তাদের অবদান অস্বীকার করতে পারি না। ব্যক্তিস্বাধীনতার বুলি কপচানো সুশীল দেশগুলো কিন্তু এই স্বাধীনতা চায় নি।
চে-র মিডিয়ার উপরে যে কঠোর নিয়ন্ত্রণের কথা বলা হয় সেটা কোন সময়ে, কোন পর্যায়ে কোন পরিস্থিতির মুখে সেটাও কিন্তু আপনাকে ভাবনায় রাখতে হবে। অবশ্যই তার সব কাজের সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল না, কিন্তু আমাদের বিবেচনা করতে হবে তাদের আসল পরিস্থিতি কি ছিল এবং বিকল্প কি ছিল।
( এই প্রসঙ্গে অন্য একটা কথা, আপনি প্রকৃতি নিয়ে উৎসাহী বলে সহজেই বুঝবেন, সেদিন এক বইতে পড়লাম জিম করবেট নিয়ে যথেষ্ট বিষেদাগার করা হয়েছে, যে উনি মূলত শোম্যান ছিলেন, নেটিভদের অবজ্ঞা করেছেন তার লেখাতে, শিকার করেছেন ইচ্ছে মত। এই নিয়ে একজনের সাথে কথা বলতে গেলে সে বলল- ভাই সেই সময়টা চিন্তা কইরেন! অন্যরা তো মেরে সব হুতাই ফেলছে, সেখানে করবেট অল্প হলেও সংরক্ষণের কথা চিন্তা করেছেন, মানে তার যুগের অন্যদের তুলনায় তিনি অনেক এগিয়ে ছিলেন সেই ক্ষেত্রগুলোতে। আবার জেমস অডুবনের উদাহরণ দিয়ে বললেন, অডুবন এক সত্যিকারের পূজনীয় ব্যক্তিত্ব, কিন্তু সেই আমলে যে পরিমাণ পাখি শিকার করে তারপর তাদের ছবি এঁকেছেন, সেই হিসেবে বর্তমান সময়ের আইনের বা মূল্যবোধে কী আমরা তার বিচার করতে পারি? )
facebook
১৯৬৬/৬৭ তে চে'র পরাজয়ের আসল কারণ মস্কোপন্থী কমিউনিস্ট পার্টির অসহযোগীতা। ২০০৯ সালে বামপন্থীরা ক্ষমতায় আসার পরেই মনে হয়েছিল এই কাজটা ৪০ বছর আগে হইলে পৃথিবীর ইতিহাসটা আরেক্টু অন্যরকম হইতো ....
অজ্ঞাতবাস
দেখা যাক এখন কি হয়। আসলে কম্যুনিজমের জুজু দেখিয়ে সবাইকে এমন কাবু করে রাখার চেষ্টা করা হয় যে বামপন্থী কোন দল ক্ষমতায় আসলেও নিজের অবস্থান রক্ষা করতেই তাদের প্রাণান্ত অবস্থা হয়, দেশের দেখভাল হয়ে যায় ২য় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই নিয়ে মনমাঝি দা বেশ চমৎকার একটা কমেন্ট করেছিলেন আগে-
facebook
একটু সরলীকরণ হইলেও আমার কাছে মনে হয় যে শত্রু কোন জিনিসটা ভয় পাইতেছে সেইটাকে গুরুত্বের সাথে নেওয়া। দক্ষিণ আমেরিকায় গত দেড় দশকে সমাজতন্ত্রীদের জনগণের ম্যাণ্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় আসার ব্যাপারটা আন্তর্জাতিক পুঁজির নিয়ন্ত্রকরা ভালো চোখে দেখছে না। এইটাই একটা প্রথমিক ট্র্যাক নির্দেশ করে। ভবিষ্যতে কী হবে সেটা নির্ভর করে এখন কী করা হচ্ছে তার উপর।
অজ্ঞাতবাস
আন্তর্জাতিক পুঁজির নিয়ন্ত্রকরা তো ফার্স্টক্ল্যাস সুধীর ভাই। তারা যে আসলেই কী ইচ্ছা রাখে কে জানে।
facebook
অণুদা, খোলাসা করেই বলি তাহলে:
১৯৬৬/৬৭ তে চে'র ডাকে বলিভিয়ানরা সাড়া দেয় নি। নেটিভ বলিভিয়ানদের মাঝে তৎকালীন René Barrientos বেশ জনপ্রিয় ছিল - একটা কারণ হল তার মিলিটারি স্টান্টবাজি, সাধারনের সাথে যোগাযোগ এবং Quechua ভাষার উপর তার দক্ষতা যা কিনা অনেক বলিভিয়ান বাসিন্দার মুখের বুলি। কৃষিতে তার রিফর্ম তাকে চাষীদের মাঝেও জনপ্রিয় করে তুলে। Víctor Estenssoro কিন্তু ততদিনে উচ্ছেদ, কিন্তু চে'র মনে সেই ৫২ সালে ঘুরে যাওয়া বলিভিয়ার ছবি। খালি বলিভিয়া না, কঙ্গোতেও তার এই স্বল্প প্রস্তুতির ছাপ। বিপ্লবের ডাক দিতে উনি কঙ্গো চলে গেলেন অথচ সেখানকার গোত্রদের ডাইনামিক্স, ভাষা, পরিবেশ, সংস্কৃতি সম্পর্কে ঠিক কতটুকু ধারণা ছিল তার? কঙ্গো ডায়েরিসহ অন্যান্য লেখকদের চোখে তার আফ্রিকার সময়কালীন বিবরণে তো মনে হয় না খুব বেশি প্রস্তুতি ছিল তার। বিপ্লবের ইন্টেনশান হয়ত ভালো, কিন্তু হোমওয়ার্কের অভাব স্পষ্ট।
-----
ব্যক্তিস্বাধীনতার প্রসঙ্গে রাষ্ট্রের স্বাধীনতা টেনে আরো জটিল করে ফেললেন। যদি আদর্শের রাজনীতির কথাই বলি তা কেন একটা নির্দিষ্ট সময়ের ফ্রেমে থাকবে? আর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের উদাহরণটা ঠিক মিলে নাই কারণ সাহায্য করা না করার সাথে ব্যক্তি স্বাধীনতার কোন ক্যাশ নাই, বিষয়টা ছিল রাজনৈতিক।
আমেরিকা (ব্যক্তি) সাহায্য করে নাই, আবার রাশিয়া (রাষ্ট্র) সাহায্য করেছে।
উল্টাভাবে চিন (রাষ্ট্র) সাহায্য করে নাই কিন্তু ভারত(ব্যক্তি) সাহায্য করেছে।
এইখানে সাহায্য/সমর্থন করা না করার পিছনে ব্যক্তি স্বাধীনতাটা ডিসাইডিং ফ্যাক্টর না।
----
মিডিয়ার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কথা বলতে গেলে হাসি চলে আসে। তখন কেন, এখনো সেন্সরশিপ ভালভাবেই আছে। আপনি তো কিউবা ঘুরে এসছেন, নিশ্চয়ই জানেন ওখানে সাধারণ মানুষের ইন্টারনেট অ্যাক্সেস একেবারেই নগণ্য। সাধারণ মানুষ মোবাইল ফোন কেনার অধিকার পেয়েছে মনে হয় বছর পাঁচেক হল। এর আগে মোবাইল ছিল খালি উর্দির হাতে।
ফাইজলামির তো একটা লিমিট আছে, নাকি?
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
মিডিয়ার নিয়ন্ত্রণ কুতায় নাই ??
facebook
বলিভিয়ানরা মানুষ হিসেবে কেমন , অনু দা। আমি বোঝাতে চাইছি সততা আর সরলতার বিষয়টি।
ল্যাতিনে অল্পে অভিজ্ঞতায় সেই কথা না যায়, তবে ল্যাতিনের মানুষদের মতামত--- মেক্সিকান- বন্ধুত্বপরায়ণ, আমুদে, ব্রাজিলিয়ান- পার্টিবাজ, আর্জেন্টাইন- নাকউঁচু, ছেলেরা ব্যপক লুল, পেরু- বাটপার কিসিমের, ধান্ধাবাজ, সেই হিসেবে বলিভিয়ার মানুষ পরিশ্রমী, মিশুক
facebook
আপনার করা মন্তব্য মিলে গেল আমার সাথে। আইভরি কোস্টে দুইজন বলিভিয়ানের সাথে আমার পরিচয় হয়েছে। অসম্ভব মিশুক আর মাস্তিবাজ মনে হয়েছে । আর একইসাথে পরিশ্রমী।
facebook
Salar de Uyuni এর ছবি কই? ( একটা সল্ট লেক/প্লেন আছেনা এ নামে - যেটাকে পৃথিবীর বড় আয়নাগুলোর একটা বলা হয়?)
হ , যাইতে পারি নাই ! লন যাই ২০১৫তে?
facebook
facebook
আমিও তালি দিয়ে যাই -
facebook
রেড ইন্ডিয়ানের ছবি কোথায়… বহু বরনের চাদরের ছবি কোথায় ???
সেদিন আঁধারের কারণে তুলতে পারি নাই, কিন্তু অন্য অনেক পোস্টে আছে তাদের ছবি
facebook
নতুন মন্তব্য করুন