মোটর সাইকেল চলেছে গ্রাম বাংলার সবুজের বুক চিরে, পীচ ঢালা পথের দুপাশে কৃত্রিম বনায়নের অংশ হিসেবে সবুজের সারি সারি আস্ফালন, মাঝে মাঝে হঠাৎ দেখা মেলে শতবর্ষী মহীরুহের, বট কিংবা পাকুর রাস্তার পারের উঁচু ঢিবি থেকে সস্নেহ ছায়ার মাধ্যমে চিরল বাতাসের স্পর্শ বুলিয়ে দেয় আমাদের যাত্রায়। চলেছি নওগাঁর প্রাচীন জগদ্দল বিহারের খোঁজে, দুই মোটর সাইকেলে ইকবাল ভাই, তোজাম ভাই, রুহুল, উদয় শঙ্কর ও আমি।
সেই প্রাচীন বিহারের মাত্র আড়াই কিলোমিটার দূরে বাংলাদেশ-ভারত সীমানার কাছাকাছি স্থানে আলতা দীঘি নামের এক বিশাল প্রাচীন জলাশয় আছে, যাকে বলা হয় বাংলাদেশের সকল হিন্দু-বৌদ্ধ যুগের সর্ববৃহৎ প্রাচীন দীঘি। যদিও প্রাচীনতর দীঘি বাংলাদেশে আছে কিন্তু সেগুলোর কোনটিই ব্যবহারযোগ্য নয়, অথচ আলতা দীঘি এখনও জলে পরিপূর্ণ এবং সেখানে মাছের চাষ হয়।
আলতা দীঘি জাতীয় উদ্যানে প্রবেশের পরপরই হারিয়ে যাবার কথা ছিল শাল বনের মাঝে, উত্তরবঙ্গের অন্যতম বৃহত্তম শালবন এটি, যদিও রাস্তা থেকে দুপাশে দীর্ঘ পাংশুল শালদের দেখা মিলল, কিন্তু মাঝে মাঝেই নজরে আসল তাদের মূলোৎপাটন করে সেখানে লাগানো বিদেশি গাছেদের।
এই ধরনের মুর্খামি পূর্ণ শয়তানি অনেক চলেছে বাংলাদেশে, দেশী গাছ কেটে উজাড় করে সেখানে লাগানো হয়েছে আমাদের পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর ইউক্যালিপটাস, অ্যাকাশিয়া, ইপিল ইপিল, বোঝা যায় এই আত্মধ্বংসের নিদর্শন দশক আগের, বা আরও পুরনো।
হে অরণ্য কথা কও! বৃক্ষসখারা কথা কয় না, মুখ বুঝে সয়ে যায় আমাদের অত্যাচার, লোভ, নির্লিপ্ততা। বনের মাঝে মাঝে একেবারে ন্যাড়া করে ফেলা হয়েছে, একসময় নাকি ট্রাক নিয়ে এসে অস্ত্রের মুখ বনদস্যুরা নিয়ে গেছে দামী শাল কাঠ, মনে হয় গহীন শ্বাপদসংকুল অরণ্য, কিন্তু খানিক ভিতরে গেলে প্রায় সবদিকেই এমন নজরে আসে।
কিন্তু ঠিকই দেখা মিলল বাংলাদেশের বৃহত্তম উঁইঢিবিগুলোর কয়েকটির।
জায়গায় জায়গায় আছে তারা, কোথাও প্রায় ৩ মিটার উঁচু! দেখে মনে হচ্ছে বটে ঝুরঝুরে ধুলামাটির তৈরি, টোকা দিলেই তাসের ঘরের মত মাটিতে লুটিয়ে পরে মিলিয়ে যাবে, কিন্তু ভবি ভোলবার নয়! পাথরের চেয়ে কোন অংশে কম শক্ত নয় উঁইয়ের ঢিবি, হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়েও সহজে নিশ্চিহ্ন করা যাবে না তাদের, মাঝে খান থেকে বরং বাড়াবাড়ির কম্পনের লাখো লাখো বিরক্ত কৌতূহলী উঁই বেরিয়ে আসতে পারে আস্তানা ছেড়ে।
বাল্মিকি ধরনের কোন রত্নাকর দস্যু কি আদতেই এমন কোন ঢিপির আড়ালে বসে রাম নাম জপে যাচ্ছেন? উঁইদের মত বুদ্ধিমান প্রাণীদের কি আর কোনই কাজ নেই জীবন্ত মানুষের দেহে বাসা বাঁধা ছাড়া? তবে বেশ মজা পেলাম সেই প্রাসাদদুর্গের ভিতরের উঁইদের রাজত্ব কল্পনা করে।
তার খানিক পরেই একটা ক্ষুদে গ্রাম মত পার হয়েই দেখা মিলল আলতা দীঘির। স্থানীয় কিংবদন্তী মতে আলতা বিবি নামে কোন রানী এই দীঘিতে হাত ধুতে গেলে সারা দীঘির জল আলতার মত রক্তবর্ণ হয়ে ওঠে, সেই থেকে নামকরণ করা হয় আলতা দীঘি। কিন্তু প্রমাণ সাপেক্ষে বলা যায় এটি অন্তত পাল যুগের খনন করা একটি বিশাল জলাশয়, তারচেয়ে প্রাচীনতর হতেও পারে, কিন্তু অবশ্যই তার পরের কালের নয়।
দীঘিটি বেশ বড়, এক কিলোমিটার দীর্ঘ এবং কয়েকশ মিটার প্রশস্ত। জানা গেল এটি আয়তনের অন্তত আর দ্বিগুণ ছিল, বাংলাদেশের প্রথম সামরিক শাসকের আমলে এটিকে একটি পিকনিক স্পট হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করা হয়, রাতারাতি অর্ধেক দীঘি মাটি দিয়ে বুজিয়ে ফেলা হয় এবং বাকী অর্ধেক মাছ চাষ করার জন্য লিজ দেওয়া হয়। সেই সংস্কৃতি আজও বহমান। মাছের চাষ হচ্ছে দেদারসে।
সেখানে কাবাব মে হাড্ডির মত দেখা মিলল এক ঝাঁক বড় পানকৌড়ির, এবং তাদের বিরক্ত করতে তৎপর দুই মাছচাষির। পাখিগুলো যেখানেই যেয়ে বসে, তারা সেখানেই যেয়ে হৈ হট্টগোল শুরু করে। কী ব্যাপার? না, পাখিগুলো নাকি তাদের সবেধন নীলমণি মাছ খেয়ে যাচ্ছে! বললাম, ভাই মণ কে মণ মাছ ধরেন আপনার, কয়টা মাছ এই বুনো পাখি খেলে কী এমন ক্ষতি হবে আপনাদের? সে ব্যাটা দেখি মহা ধড়িবাজ, আমাকে হিসেব শিখিয়ে বলল একটা পানকৌড়ি কমপক্ষে ৩০০ গ্রামের মাছ খাচ্ছে প্রতিবেলাতে! কাজেই এত ক্ষতি বরদাস্ত করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়!
আর দেখা মিলল তৈ তৈ করতে থাকা একদল কিউট হাঁসের বাচ্চার,
দীঘির পাড় ধরে হেঁটে যেতে যেতে প্রাচীন অবস্থানটুকুও বোঝা হয়ে গেল। মস্তিষ্কে কতখানি বিকৃতি থাকলে এই দীঘি বুজিয়ে পিকনিক স্পট বানানো আর শাল কেটে ইউক্যালিপটাস লাগানোর চিন্তা বাস্তবায়ন হতে পারে তা বুঝতে পারছি না কোন ভাবেই।
এমন সময়ে দূরে চোখে পড়ল বিশাল এলাকা জুড়ে কাঁটাতারের বেড়া!
সেটা নাকি ভারতের সীমান্ত, বেড়াগুলো নতুন দেওয়া হচ্ছে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকানোসহ সীমান্তের নিরাপত্তা বৃদ্ধির জন্য। গুটি গুটি পায়ে আমরা নোম্যান্স ল্যান্ডে গেলাম, সেখানে নাকি মোটামুটি নিরাপদ, বি এস এফ এই এলাকায় তেমন গুলী চালায় না।
২০১৩ সালে যে কোন দেশের সীমান্তে জীবিকার দায়ে অনুপ্রবেশের সময় গরিব দুস্থ মানুষকে গুলী করে নির্বিচারে হত্যা করা হয় তা বিশ্বাস করা কষ্টের হলেও, এমনটা হয় প্রায়ই। ফ্যালানীর লাশ আঁটকে থাকে সীমান্তের বেড়াতে, গুলী চালানো হয় মাঝে মাঝেই স্রেফ হত্যাযজ্ঞের জন্যই কোনরকম সতর্ক সংকেত না দিয়ে। নিজেদের মাঝে আলাপ করছিলাম আমরা, আজ পর্যন্ত তো শুনলাম না যে ভারত- চীন সীমান্তে বি এস এফ একজন চীনা নাগরিকের দিকে গুলী চালিয়েছে? বরং শুনি যে চীনা সৈন্যরাই এসে মাঝে মাঝে সীমান্ত নির্ধারক খুঁটি কয়েক ফুট এদিকে এগিয়ে দিয়ে যায়। তারপর পাকিস্তানীদের যতই গালাগালি করি, ভারতীয় বি এস এফ কবে পাকিস্তানের সীমান্তে গুলী করে মানুষ মেরেছে? তার মানেটা শেষ পর্যন্ত এটাই দাঁড়াচ্ছে যে শক্তের ভক্ত, নরমের যম??
সেই বেড়ার দিকেই কিছুক্ষণ থমকে তাকিয়ে রইলাম সবাই, আমরা আজ বেড়াতে গেছি সেখানে , হয়ত কোনদিন আর ফেরা হবে না, কিন্তু এই সীমান্ত দিয়েই দুই দেশের মানুষেরা জীবন হাতে নিয়ে জীবিকার তাগিদে যাতায়াত করবেন অনাদিকাল ধরে, মৃত্যুর ঝুঁকিকে পায়ে দলে। শুধু আশা করি, এই মরণ যেন না হয় কখনও কারোই।
এই সিরিজের বাকী পর্বগুলো এই খানে
মন্তব্য
আবারও চমৎকার আর উচ্ছ্বল একটি লেখা। ২০১০ এর শেষে গিয়েছিলাম আলতা দীঘি। দীঘির এক প্রস্হ বরাবর গোছানো বৃক্ষ রাজি দিয়ে যে ছায়া সুশীতল পথ দিঘির এপাশ থেকে অন্য পাশে প্রসারিত শীতের সেই মধ্য দুপুরে অসাধারন লেগেছিল। শাল বনের ভিতরে বিক্ষিপ্তভাবে গড়ে উঠা কাঁচা রং করা দোতলা মাটির বাড়ীগুলো দেখে খুব কৌতুক বোধ করেছিলাম। এগুলো নাকি সীমান্ত এলাকার ছোটখাট চোরাকারবারীর। আগে এ জায়গা বা আশেপাশে নাকি ওপেন বাজার বসতো মুলত: সীমান্ত কারবারীদের।
গোরা।
হুম, দেখি আবার যেতে হবে বেশী সময় হাতে নিয়ে
facebook
উই ঢিবিগুলো চোখ জুড়িয়েছে। রাস্তাটি সত্যি সুন্দর।
আর বিকৃত মস্তিষ্কদের জন্যই গত কয়েক দশক ধরে দেশের সবুজ কমছেই শুধু, যদিও বনায়ন বানিজ্যও চলেছে পাশাপাশি। এখন পিকনিকওয়ালাদের যুগ, ইউক্যালিপটাসের সময়! শাল-দীঘিদের তাই বুজে যেতে হয় এক এক করে!
শেষটা পড়ে কেন জানি অজান্তেই দীর্ঘনিঃশ্বাস বেরিয়ে এল, আমাদের প্রাণ তাহলে এতই কম দামী? বা, আমরা এমন যে, আমাদের বেড়া দিয়ে আটকে রাখতে হয়? আমি বুঝি না, ভারত কি করে নিজেদের বন্ধু রাষ্ট্র দাবী করতে পারে, যখন বন্ধুকে আটকানোর জন্য তাকে বাড়ির চারপাশে উঁচু বেড়া দিয়ে রাখতে হয়? অবিশ্বাস দিয়ে বন্ধুত্ব হয় না। ভালবাসা দিয়েও অনেক সমস্যা মিটমাট করে ভাল বন্ধু হওয়া যায়! কিন্তু ভারতের কি সেই বিশ্বাস আছে? ভালবাসা? নাকি তার বিশ্বাস-ভালবাসা গুটিকয়েকের জন্যই বরাদ্দ?
জানি না! শুভ বুদ্ধির উদয় হোক সকলের
facebook
অগুলোকে ঢিবি না বলে স্কাইস্ক্র্যাপার বলা ভাল।
কী ব্যাপার দাদা, এইবারে ক্যামেরা মনে হয় অন্য ছিল?
শেষের দিকটায় এসে সত্যি মন খারাপ হয়ে গেল।
এই আশাই রাখি।
হ, অন্য ক্যামেরা, আর চলার উপরে ছিলাম, ছবি বেশী তোলার সুযোগ মিলে নাই
facebook
উইপোকার ঢিবি দেখেছি আইভরি কোস্টে। বাহারি ডিজাইন করে বানিয়েছে এই পোকাগুলো। সারি সারি বাগান আর ঝোপের মাঝে তৈরি এই সব ঢিবি।
লেখা বরাবরের মত ভালো। দেশে বেশ ঘোরাঘুরি করেছেন এবার বোঝা যাচ্ছে। আরও অনেক বিষয় সামনে আসবে আশা রাখি। ভালো থাকবেন অনু দা।
আপনিও তো দেশে নাকি? লেখা জারি থাকুক
facebook
আসলে ভারত চীন সীমান্তে বি এস এফ পাহারা দেয় না। আই টি বি পি / এস এস বি র মত সংস্থা গুলি দেয়। তাদের অবস্থা খানিকটা ঢাল তরোয়াল হীন নিধিরাম সর্দার এর মত - তাদের গুলি চালানোর কোনো হুকুম নেই কোনদিন ছিল না। ভারত চীন সীমান্তে ঠিক কি ঘটছে তা ঘরে বসে আন্দাজ করা শক্ত - তবে অনুমান করা চলে দু-পক্ষই দড়ি ধরে মারে টান - যদিও তাতে সীমান্তের নৈশব্দ্য: খান খান হয় না।
পাকিস্তান সীমান্তে অনেক জায়গায় বি এস এফ পাহারা দেয় তবে সেই সব স্থান খুব একটা ঘটনাবহুল নয় - কাশ্মীর সীমান্তে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা আছে - দুদেশের সেনাবাহিনী একে অপরকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় - মাঝে মধ্যে একে অপরের দেশে অতর্কিতে হামলা চালিয়ে - প্রতিপক্ষ সেনার মুন্ডচ্ছেদ করে নিয়ে যায়।
তবে এই দুটি সীমান্ত তুলনায় জনবিরল - ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত তুলনায় অনেক বেশি অবিশ্রান্ত ও জনবসতি সংলগ্ন। এখানে রক্ষীদলের আরেকটু সতর্ক ও সংযত থাকার প্রয়োজন আছে বৈকি। তবে ২০০১ সন এ ১৬ জন বি এস এফ কর্র্মী বি ডি আর (অধুনা বি জি বি) কর্তৃক নিহত হবার পর থেকেই বি এস এফ একটু রক্তলিপ্সু হয়ে উঠেছে বলে মনে করা হয়। আবার এমনও হতে পারে যে সীমান্তে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ভারত বি এস এফ কে চাপে রাখে - সেই চাপ সামলাতে বি এস এফ জীবন্ত চাঁদমারি খোঁজে।
সীমান্ত টপকাতে গিয়ে মারা যাওয়া ১৫ বছরের মেয়েটির ছবি সত্যি বেদনাদায়ক - সন্দেহ নেই নির্মম, নিষ্ঠুর পরিণতি, যা হয়তো সহজেই পরিহার করা যেত, সামান্য বিবেচনা বোধ দিয়ে। তবে রাডক্লিফ লাইন এর অবস্থা অনেকটা ডুরান্ড লাইন এর মত - পাকিস্তান আফগানিস্তান এর সীমানা (ডুরান্ড লাইন) কে স্থানীয় পুশতুন রা সব সময়ে অগ্রাহ্য করে এসেছে - এদিকে বাঙালিরাও তাই করে করে চলেছে আবহমান কাল ধরে (রাডক্লিফ লাইন নিয়ে)।
কিন্তু সত্যি কবে রাজনৈতিক সীমানা জাতি বা ধর্মের আবেগ মেনে চলেছে? দুঃস্থ বলেই কি দেশের সীমানা টপকানোর অধিকার মানুষের থাকে -(মানবিক অধিকার হয়ত থাকে) আইনি অধিকার? তাহলে মায়ানমার থেকে তাড়া খাওয়া একান্ত নিরুপায় মানুষ গুলোকেও তো বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়া উচিত ছিল? তাই নয় কি?
যুগে যুগে ভারতবর্ষ পৃথিবীর কাছে বালির বস্তা হিসেবে গণ্য হয়েছে - ইউরোপীয় ইহুদি - পারসিক জরাথুস্ত্রীয় - আবহমান কালের বাঙালি (জাতি ধর্ম নির্বিশেষে) বিহারী মুসলমান - সবাই এখানে আশ্রয় পেয়েছে। শুধু ১৯৭১ সালে ৩ কোটি উদ্বাস্তু মানুষ কে ভারত আশ্রয় দিয়েছে - যার মধ্যে ন্যূনতম ১ কোটি ফিরে যায়নি। এবং তার পর থেকে ক্রমাগত আসতেই থেকেছে। শুধু বাংলাদেশীরাই নয় - নেপাল মায় ভুটান থেকেও লোক আসে। আজ পশ্চিমবঙ্গের জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ লোক (পশ্চিমবঙ্গের আয়তন বাংলাদেশের অর্ধেক কিন্তু জনসংখ্যা ২/৩ অংশ এর থেকেই আন্দাজ পাওয়া যায় - জন্মহার মৃত্যুহার নিয়ে জটিল হিসেব করতে পারি না - তার জন্য কৌস্তুভ মহাশয় রয়েছেন ) এমন যারা বিগত ৩০ বছরের মধ্যে এই দেশে এসেছেন - সারা ভারত বর্ষ ধরলে এই সংখ্যা কত হবে কে জানে। তাই আমাদের বি এস এফ খারাপ হতেই পারে - কিন্তু আমাদের আতিথেয়তাও চমৎকার- কি বলেন?
এরপর থাকে রাডক্লিফ লাইন এর পূর্ব দিকের অংশ - যে লাইন টানার একদিন আগে আমার ঠাকুর্দা জন্মভূমি খুলনা কে বিদায় বলে রাতের অন্ধকারে পগার পার হয়ে এসেছিলেন। জানি না ওপারে কোনদিন যেতে পারব কিনা - পারলেও - পুরনো ভিটে কেই বা চিনিয়ে দেবে - অসংখ্য পরিতক্ত্য ও পুনর্দখলিকৃত দের ভিড়ে হারিয়ে যাওয়া জমিজিরেত এর মধ্যে কি আমি নিজেকে খুঁজে পাব - হয়ত না - তবুও একবার যেতে পারলে ভালো লাগত। পরিশেষে দুঃস্থ কি এই পারে নেই? ভগবানের ইচ্ছায় প্রচুর আছে। ভারত অনেক বড় দেশ, দুঃস্থ রপ্তানি শুরু করলে আমেরিকার মত দেশ ও দেউলিয়া হয়ে যাবে (কিছুটা হয়েও গেছে)। তাই বলি কি আপনাদের তরফ থেকেও একটু সচেতনতা জরুরি - পেট সব সময় যুক্তি মানে না - কিন্তু চেষ্টা করতে ক্ষতি-ই বা কি - ভারতে তো বেশ একটা বিশ্বাস রয়েছে - হিমালয়ের ওপারে ড্রাগন নামের একটি অলীক জন্তু থাকে - আস্তিক নাস্তিক সবাই তাকে ভয় পায় ভক্তি করে। সেরকম - বি এস এফ কে টিকটিকি বানিয়ে ভয় দেখালে কিছু কাজ হতে পারে মনে হয়। অবাঞ্ছিত অনেক মৃত্যু কমে যাবে হয়ত।
তাহলে মায়ানমার থেকে তাড়া খাওয়া একান্ত নিরুপায় মানুষ গুলোকেও তো বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়া উচিত ছিল?----- বাংলাদেশের সীমান্তে কি আজ পর্যন্ত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের গুলি করা হয়েছে? চট্টগ্রামে কত লক্ষ রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু আছে জানেন?
তাই আমাদের বি এস এফ খারাপ হতেই পারে - কিন্তু আমাদের আতিথেয়তাও চমৎকার- কি বলেন? বালির বস্তা হিসেবে গণ্য করার যে ব্যাপারটা বললেন সেটার সাথে কি এই কথা যায়? ভারতবর্ষের সমস্ত মানুষও তো বাহির থেকে এসেছে হাজার বছর আগে, যেমন এসেছে আর সব দেশেই। আপনি কি আমার কথার পয়েন্ট ধরতে পেরেছেন? তাই আমাদের বি এস এফ খারাপ হতেই পারে - মানে কতটা খারাপ? বুঝিয়ে বলেন, সরাসরি এই পয়েন্টেই--
facebook
না ধরতে পারি নাই হয় - বুঝায়ে বলেন
আপনিই বুঝায়ে বলেন, তাই আমাদের বি এস এফ খারাপ হতেই পারে এই কথার মানে কি !
facebook
খারাপ = খারাপ (হতেই পারে মানে অধিকার অর্থে নয়, সব ভারতীয় বি এস এফ নয় এই অর্থে )
এর মধ্যে কোনো তানা প্যাচানো নেই
এর কোনো রেফারেন্স দিবেন?
৭১ সালে যারা ভারতে গিয়েছিলো, তারা উদ্বাস্তু ছিলো না। শরণার্থী ছিলো। আশাকরি শব্দদু'টোর মধ্যে তফাৎটাও লক্ষ্য করবেন।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আমি প্রথম শুনলাম, বইয়ে পড়েছি এক কোটির মত, যাদের অধিকাংশই মানে যারা বেঁচেছিলেন ফিরে এসেছিলেন বাংলাদেশে
facebook
উইকি অনুসারে আমার কথা ভুল - আমি বেশি বলে ফেলেছি - তার জন্য দুঃখিত। সংখ্যা দুটি ১ কোটি ও ১৫ লাখ দেওয়া রয়েছে। এখানে উইকি কোন বিস্তার দেয়নি (৩ লাখ - ৩০ লাখ) ফলে আমার বেছে নেবার কোন উপায় নেই। এর পর থেকে ঠিক করে লেখার চেষ্টা করব।
আমার কাছে শব্দ দুটি সমান। আপনি হয়্ত উদ্বাস্তু / শরণার্থী বলতে অ / রাজনৈতিক কারণে ভিটে ছাড়া বুঝিয়েছেন - কিন্তু শরণার্থী ও তো একপ্রকার উদ্বাস্তু - কারণ আলাদা হতে পারে ফলাফল নয়। ভারতে এক ধরনের শ্রেনীবিন্যাস চালু আছে - কাউকে শরণার্থী বলা হয় কাউকে অনুপ্রবেশকারী - হতে পারে কারণ আলাদা - কিন্তু ফলাফল একই। যদি উদ্বাস্তু শব্দটি খারাপ হয় তাহলে আমি যুগপৎ ভাবে শরণার্থী বলতে রাজি - ১৯৭১ সালে সবাই তাই ছিল এ নিয়ে বিতর্কের অবকাশ নেই।
১।
কোনো রেফারেন্স ছাড়া ১ কোটিকে ৩ কোটি বানিয়ে দিলেন?
৩ লাখ - ৩০ লাখ লিখে কী বুঝাতে চাইলেন? একটু বিস্তারিত বলবেন?
এই তথ্যগুলোর সঙ্গে একটি জাতির ইতিহাস জড়িত। না জেনে লিখবেন না দয়া করে।
উদ্বাস্তু আর শরণার্থী শব্দ দু'টির মূল অর্থ এক হলেও বাংলাদেশ থেকে ভারতে আশ্রয় নেওয়াদের এই দু'টো শব্দ দিয়েই পার্থক্য করা হয় বলে জানি। ৪৭ এর দেশভাগের ফলে যারা গিয়েছিলো তাদেরকে বলা হয় উদ্বাস্তু। ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগের ফলে এই অমানবিক ভূমিহীনতার দায় বহন করেছিলো উপমহাদেশের কোটি কোটি মানুষ। এঁদের এই পরিণতির সঙ্গে বাংলাদেশ ভারত মিলিয়ে লাভ নেই। সবাই মূলত বৃটিশ কুটচালের ভূক্তভোগী।
এঁদের সকলের সঙ্গেও পশ্চিমবঙ্গ সরকার খুব ভালো আচরণ করেছিলো কী? মরিচঝাঁপির কথা ভুলে যাননি আশা করি।
শরণার্থী বলা হয় মূলত যাঁরা ৭১ সালে পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় নিয়েছিলেন, এবং যাঁদের সিংহভাগই ফিরে এসেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতার কোনো অভাব নেই আমার। ভারতের ২৮ হাজার সৈন্য আমাদের স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দিয়েছেন, তাঁদের ঋন কি কখনো ভোলা সম্ভব?
আপনি মায়ানমারের প্রসঙ্গ এনেছেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের একটি বড় অংশ এখনো বাংলাদেশে বাস করছে। এ পর্যন্ত তাদের একজনকেও গুলি করে মারা হয়নি।
২।
রাজনৈতিক কারনে পার্শ্ববর্তী দেশে আশ্রয় চাওয়া আর চোরাচালানের কাজে সীমান্ত পারাপার দু'টো ভিন্ন ঘটনা। একেবারেই ভিন্ন। আপনি বিএসএফ প্রসঙ্গে কেন ৭১ টেনে আনলেন তা বোধগম্য হলো না। চোরাচালানের কাজে শুধু এপার থেকে ওপারেই যায় না লোকে, ওপার থেকেও এপাশে আসে। চোরাচালান বন্ধ করাটা খুব জরুরী, কিন্তু বিজিবি তাই বলে গুলি করে মেরে ফেলে না কাউকে। একই ঘটনা ঘটে বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তেও।
এই অসহায় মানুষগুলোকে নির্মমভাবে গুলি করে মেরে বিএসএফ কতটুকু বীর হলো?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নজু ভাই যা বলার বলেছে।
আচ্ছা, শুধু উইকি ঘেঁটে এত বড় ভুল তথ্য দিয়ে দিলেন
facebook
অনু স্যার এত রাগ করেন না প্লিজ - আমি লোকের মুখের রটনা শুনে লিখে ফেলেছিলুম - লেখাপড়া করে লিখলে এই ভুলটা হত না - ভবিষ্যতে যত্ন নেব - আরেকবার সরি।
কোথাও বীর বলিনি কিন্তু - কথায় কথায় গুলি চালানোকেও ভাল বলিনি।
আমার ভুল হয়ে গেছে - কিছু মনে করবেন না। গোজামিল দেয়া উদ্দেশ্য ছিল না। কি বুঝিয়েছি সেটা কি বলে দিতে হবে - প্রচুর লোক ওই জিনিস নিয়ে বই লিখে নাম করে ফেলেছেন - তাও যদি না আঁচ করে থাকেন তাহলে থাক।
আমি এই তফাৎ জানতুম না - অবশ্য অত আগের কথা ভাবিনি - কূটচাল তো বটেই।
না না মনে আছে বৈকি - আর পুরনো কথা যখন তুললেন দেশভাগ এর দায় কিন্তু বাঙালি আর ব্রিটিশ দের - পাকিস্তান এর দাবি প্রথম বাংলা থেকেই ওঠে (নাম তখন দেওয়া হয়নি) - সত্যি বলতে বর্ণ হিন্দু রা প্রান্তিক হিন্দু দের খুব একটা পছন্দ করত না - ফলশ্রুতি দেশভাগ ।
হ্যা অধিকাংশই ফিরে গেছিলেন। মনে করিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ - আমি সংখ্যাটা জানতাম না
শরনার্থী দের মেরে ফেলার ঘটনা (মরিচঝাঁপি) কিন্তু বিচ্ছিন্ন একটি উদাহরণ - ওটাতে কিছু রাজনৈতিক ষড় থাকতে পারে - দন্ডকারন্যে বসবাস করি লোকেদের ডেকে এনে মারা হয়েছিল। এই পাপ এর দাম আমরা আজ দিয়ে চলেছি - ভারতে একমাত্র সুন্দরবনের সুস্থ সবল বাঘ নরখাদক - এর দায়ভার অনেকেই ওই ঘটনাকে দিয়ে থাকেন। আর কখনো এরকম হয়ত হয়নি।
শুভায়ন, আপনি যদি বিএসএফের হত্যাকাণ্ডের ধরনটা একটু মনোযোগ দিয়ে দেখেন, তাহলে দেখবেন, ভারতে আশ্রয় নেওয়ার জন্য সীমান্ত টপকে বাংলাদেশের কেউ গুলি খাচ্ছে না। গুলি খাচ্ছে ভারত থেকে আবার বাংলাদেশে গরুসমেত ঢোকার সময়। আপনারা অতিথিবৎসল বলে সীমান্ত এলাকায় প্রচুর পানীয় কারখানা গড়ে তুলেছেন, যেখান থেকে বাংলাদেশে বস্তা বস্তা ফেনসিডিল চালান হয়, ফেনসিডিলের বস্তা কাঁধে এ পর্যন্ত কেউ বিএসএফের গুলি খেয়ে মরেছে বলে শুনিনি। গরুচালানের বখরা না পেয়ে বিএসএফের গুলি চালানোকে তো ডিফেন্ড করার কিছু নাই ভাই।
আপনারা গরু ব্যবসাটিকে বৈধ চেহারা দিন, দেখবেন সীমান্ত টপকে লোকজন ঢোকাও কমে গেছে। হরিয়ানা থেকে গরুগুলোকে তো বিএসএফের বিওপির ঘাস খাওয়ানোর জন্য বাংলাদেশ সীমান্তে আনা হয় না। গরু বেচবেন আবার গুলিও করবেন, এ কেমন বেওসা?
হেব্বী বেওসা, গরীব মরলে হুয়াটস দ্য প্রবলেম !
facebook
বি এস এফ - কে ধোয়া তুলসীপাতা বলব এত বুকের পাটা আমার নেই - হয়তো বি এস এফ এর ডিজি-র ও নেই। আর হ্যা কোথায় জানি দেখছিলুম ভারত বর্ষ পৃথিবীর (বৃহত্তম - ভুল হলে ধরিয়ে দেবেন ) অন্যতম বড় গোমাংস রপ্তানীকারক। আর গবাদি পশু চারণেও আমরা এগিয়ে রয়েছি। কিন্তু - এই 'বেওসা' টা আমাদের একটু লুকিয়ে চুরিয়ে করতে হয় এই আর কি। এই সেদিনও অনু স্যার এর এক লেখায় কেউ জিগ্গেস করছিল গুলাশ এর রেসিপি। আমি বলতে যাচ্ছিলুম - পরে চেপে গেলুম। ওই লুকোচুরি-র খেলাটা আমাদের খেলতেই হয় - কাউকে বোঝাতে গেলে কল্লা নেমে যেতে পারে - বেশিদূর যেতে হবে না সংসারের শান্তি বিঘ্নিত হবে। বি এস এফ - যে পাওনা গন্ডা আদায় করার জন্যই গুলি চালায় (দেশরক্ষার জন্য নয়) তা আমি আগেই (একটি মন্তব্যের জবাবে) স্বীকার করে নিয়েছি - প্রথম লেখাতে যদি একটু ডিফেন্সিভ স্ট্যান্ড থেকেও থাকে পরে নিশ্চই সেটা আর নেই।
ফেনসিডিল জিনিষটা আমি ঠিক বুঝি না। কয়েকদিন আগে সচল বা অন্য কোথাও একটি লেখা পড়লুম এ বিষয়ে। এটা কি কোনো ওষুধ না নেশা দ্রব্য? শুধু রপ্তানী হয়, কে জানে? ঘরোয়া চাহিদা যদি না থাকে - তাহলে অবাক ই হব - হতে পারে এ পারে সবাই চোলাই খায় - খেয়েও মজা - মরলেও দু লক্ষ। ভারতবর্ষ কিন্তু অনেক পিছিয়ে পড়া দেশ - যে সমস্ত ওষুধ ইউ এন নিষিদ্ধ করে রেখেছে - মায় বাংলাদেশে পর্যন্ত ব্যান - সেগুলো প:ব: তে হই হই করে বিক্রি হয় - (খবরের কাগজে পড়েছি)
কথা দিলুম আমি দেশের প্রধানমন্ত্রী হলে গরু বেচা - আইন সিদ্ধ করে দেব!
সিমান্তে বিএসএফ কতৃক হত্যাকান্ড ঘটে চলেছে বছরের পর বছর ধরে, অনেক আলোচনা সমালোচনা সত্বেও এটা কমার তো লক্ষন নেই, বরং উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। এর প্রতিকারের দুটি দিক আছে, এক- বিএসএফ কে সংযত করা, দুই- অকুস্থল থেকে নিরাপদ দুরত্বে অবস্থান করা। প্রথমটি বোধ হয় সম্ভব নয়, অন্ততঃ ঘটনা প্রকৃতি দেখে তাই মনে হয়। মিডিয়া এবং আমরা এই প্রথম বিষয়টি নিয়েই শুধু সোচ্চার, অবশ্য সেটা সংগত কারনেই- স্বদেশের দরিদ্র মানুষদের ক্রমাগত হত্যাকান্ড আমাদের উদ্বিগ্ন না করে পারে না। কিন্তু প্রতিকারের দ্বিতীয় দিকটাও কি গুরুত্ব দিয়ে ভেবে দেখা উচিৎ নয়? চীনা কিংবা পাকিস্তানী নাগরিকদের প্রতি গুলিবর্ষন কিংবা হত্যাকান্ড না ঘটার কারন এই নয় যে ওরা খুব শক্তিশালী, মূল কারন বোধ হয় এই যে সিমান্ত অতিক্রমের চেষ্টা সেখানে নেই বললেই চলে। অপরপক্ষে বাংলাদেশ থেকে বিনা পাসপোর্ট ভিসায় ভারতে চলে যাওয়ার ঘটনা অহরহই ঘটছে। বাংলাদেশ-ভারত বিশাল সিমান্ত জুড়ে গ্রামগুলোর অধিকাংশ মানুষ প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে চোরাচালান ব্যাবসার সাথে জড়িত, সংখ্যায় তারা কোটি কোটি। এই চোরাচালানই অবৈধ মানব পারাপারের প্রধান কারন, এ ছাড়া অনেক নিম্নবিত্ত মানুষ হরেক রকম পেশাগত কারনে হরদম অবৈধভাবে যাতায়াত করে। এই সকল গমনাগমন যে বিএসএফ এর অগোচরে ঘটে কিংবা তারা এটা মোটের উপর অপছন্দ করে এবং এটা বন্ধ করতে চায়, তাও নয়। তারা চায় চোরাচালান এবং অবৈধ মানব চলাচল যথারীতি বজায় থাকুক। একটা বিষয়ে তারা শুধু নিশ্চিয়তা চায়, কেউ যেন তাদের অগোচরে এসব কাজ করে তাদের পাওনাটা মেরে না দেয়। সেটা নিশ্চিত করার জন্য তারা নির্বিচার হত্যাকান্ডেও পিছপা হয় না।
বিএসএফ এর অন্তরে যে শুভ বুদ্ধির উদয় হবে, সে আশা সুদূর পরাহত- সুতরাং প্রানহানি রোধে আমাদের উচিৎ নতুন করে কর্তব্য নির্ধারন করা।
১। চোরাচালান ও অবৈধ মানব পারাপার বন্ধে সবাইকে একযোগে এগিয়ে আসা, অথবা
২। এ সংক্রান্ত বিএসএফ এর ন্যায্য পাওনা মেরে দেয়ার অপচেষ্টা থেকে সর্বোতভাবে বিরত থাকা।
আব্দুল্লাহ এ.এম.
চীনা কিংবা পাকিস্তানী নাগরিকদের প্রতি গুলিবর্ষন কিংবা হত্যাকান্ড না ঘটার কারন এই নয় যে ওরা খুব শক্তিশালী, মূল কারন বোধ হয় এই যে সিমান্ত অতিক্রমের চেষ্টা সেখানে নেই বললেই চলে। , করুক না এক চীনে গ্রামবাসীকে গুলি, কিংবা পাকিস্তানেরই কাউকে- অনেক আগের চীনভারত যুদ্ধের কথা মনে হচ্ছে, কোন লেখক জানি লিখেছিল- চীনে সৈন্য চোখে মুখে থাবড়া দিয়ে দিল্লি পর্যন্ত পাঠিয়ে দিল ফৌজকে
facebook
একদম তাই
হুম
facebook
হুম
facebook
তোরা কি রাজশাহী থেকে ধামইরহাটের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলি? মোটর সাইকেল এ কতক্ষন লাগলো?
সারাদিন, অবশ্য ব্যপক ঘোরাঘুরি ছিল, অনেক জায়গা প্লাস খাওয়া। মোটর সাইকেল না থাকলে সম্ভব হোত না
facebook
ইউক্যালিপটাস লাগিয়ে এভাবে সর্বনাশ করতে দেখেছি জাফলং এর ওদিকেও। আর এরকম একটা প্রাচীন দিঘি ভরাট! মুর্খামির সীমা থাকা দরকার।
হ্যাঁ এই নীতি থেকে সরে আসার মত উন্নত স্তরে মানুষ এখনো ইভল্ভ করেনি। যাকে দুর্বল মনে হয়, তার সাথে বন্ধুত্ব হয় না। সিংগাপুর আর মালয়েশিয়ার ব্যাপারটা দেখুন। এত ছোট একটা দেশ, কিন্তু মালয়েশিয়া কোনো চুদুর বুদুর করার সাহস পায় না। সিংগাপুরের অর্থনৈতিক-সামরিক অবস্থা বাংলাদেশের মত হলে, এখানেও ফালানিরা কাঁটাতারে ঝুলতো।
তাই দ্বারে দ্বারে মানবীয় আবেদন করার চেয়ে নিজের উন্নতিতে মনযোগী হওয়াই শ্রেয়তর পলিসি।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
নিজের উন্নতিতে মনযোগী হওয়াই শ্রেয়তর পলিসি
facebook
ঠিকই - প্রবাদবাক্য অনুসারে বন্ধুত্ব (এবং হয়ত শত্রুতাও) হয় সমানে সমানে - ভারত (ভালো করে বললে ম্যাডাম ম) জল বন্টন নিয়ে বাংলাদেশ কে উপেক্ষা করে - উল্টোদিকে ঠিক সেটি-ই ঘটে ব্রহ্মপুত্রের বেলায় - আমার চিনের কাছে হাত কচলাই - কিন্তু কচুপোড়াও মেলে না। বরঞ্চ - ভারত পাকিস্তানে কোথাও একটা সমতা রয়েছে - সিন্ধু জল চুক্তি রয়েছে - গোঁড়া পাকিস্তানীরাও বলেন না যে ভারত তাতে কারচুপি করে।
সভ্যতা ভদ্রতা সব ই বোধহয় - শ্রেণীনির্ভর।
আমি শুধু আপনার লেখা পড়লে ঈর্ষাকাতর হই কেম্নে একটা মানুষ এত ঘুরাঘুরি করে, এইসব একদম ঠিক না। আমার মত অভাগারা আপ্নারে কত যে অভিশাপ দেয় তা যদি জানতেন , আমার শুধু মনে চায় আপ্নারে একটা হিযাব পরিহিতা অতি ধার্মিক কইন্নার সাথে বিবাহ দিয়া দেই
"তার মানেটা শেষ পর্যন্ত এটাই দাঁড়াচ্ছে যে শক্তের ভক্ত, নরমের যম??"
ছি ছি, এত বাজে পিলান কেন আপনার! কী দুষ করছি!
facebook
বৃহত্তর মেসোপটেমিয়ায় তারেকাণু'দা এখনও পদধুলি দেন নি... সেইটা হয়ে যাবে তখন ... খ্রাপ না
আসিতেছি
facebook
facebook
চমৎকার লেখা
facebook
RE: shokter vokto, noromer jom
Reports of BSF killing people at Pakistan border:
http://www.ndtv.com/article/cities/bsf-kills-three-smugglers-on-indo-pak-border-in-punjab-191612
http://www.ndtv.com/article/india/bsf-women-personnel-gun-down-pakistani-intruder-in-punjab-204009
But it is probably true about China, although there is a higher tension in China-border. There are places near that border which is claimed by both India and China.
নতুন মন্তব্য করুন