পরাবাস্তব ভোরে মায়াময় পদ্মার জাদুময় চরে

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: সোম, ০৩/০৬/২০১৩ - ৮:২০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

377722_10152579086465497_748157969_n
পৃথিবীর অন্ধকার অধীর বাতাসে গেছে ভ’রে —
শস্য ফলে গেছে মাঠে — কেটে নিয়ে চলে গেছে চাষা;
নদীর পারের বন মানুষের মতো শব্দ করে
নির্জন ঢেউয়ের কানে মানুষের মনের পিপাসা, —

923510_10152761486100497_981583984_n

মহাবিশ্বের নির্জনতম প্রান্তে সুন্দরতম নদীর দিকে অপলকে চেয়ে আছি আমরা কজনা, কমলারঙা মেঘগুলো আঁধার আকাশের কোণে কোণে যেয়ে বিরামহীন চেষ্টা করে যাচ্ছে পুষ্ট কমলালেবুর স্বাস্থ্যবান সোনালী আলোয় জানা ভুবন ভরিয়ে ফেলতে, শিউলির ফুলের মত গুচ্ছ গুচ্ছ সফেদ শুভ্র বিন্দু ইতিমধ্যেই সফলতার সাথে আঁধার দূর করেই ফেলেছে একতাবদ্ধ হয়ে, আঁধার জগতের শেষ বাসিন্দা হিসেবে আছে কেবল গাঢ় কুয়াশা। সেও এই বিজন জলপ্রান্তরের ছড়িয়ে থাকা শূন্যতার কাছে হার মেনে ফিকে হতে শুরু করেছে। পদ্মা নদীর আসল মাঝিদের ঘরে ফেরার পালা চলছে হাড় কাঁপানো শীতের ভোরের পরিশ্রমের ফলাফল রূপোলী ফসল নিয়ে। কুণ্ডলী পাকানো কুয়াশার দৃঢ় রক্ষণবুহ্যের মাঝে আলগোছে নিজের রাস্তা ঠিকই করে ফাঁকা করে নিয়েছে পূবালী হাওয়া, সেখানে পরিচিত এক অশরীরী অবয়ব আঁকার নিচ্ছে বাস্তব কিছুর, কেমন যেন খাঁজ কাটা, সারি সারি পর্বতের মত এক কাঠামো বাহির হয়ে আসছে রহস্যময় কুয়াশার অবগুণ্ঠন খুলে, দেখে দক্ষিণ আফ্রিকার বিখ্যাত টেবিল মাউন্টেন বলে ভ্রম হয়।

আশ্চর্য ! এটা আমার স্থান! এই শহরের আমার জন্ম, জীবনের প্রথম কুড়ি বসন্ত এখানেই পেরিয়ে গেছে মুগ্ধতায়, আবেগে, ভালোবাসায়। এই আমার নদী। এই নদীর প্রতিটি বাঁক, চর, বালুকণার সাথে আমার চিরদিনের সখ্য। স্কুল জীবনে ২ দিন মাত্র পালিয়েছি এই নদীতে অবগাহনের জন্যই মূলত, এইখানেই মাঝি হবার অসফল প্রয়াস চালিয়েছি গায়ের জোরে, এই নদী আমার জানা মহাবিশ্বের প্রান্তসীমা, তার ওপারে কী আছে জানা নেই, জানবার দরকারও নেই হয়ত। নদীর এপার যতটুকু দেখা যায়, ছোঁয়া যায়, পাওয়া যায় তাতেই তৃপ্ত থাকে বালক মন। কিন্তু এমন জগতজোড়া আনন্দময় পরাবাস্তব রূপে তো তাকে দেখিনি কখনোই, মনের আবীর মেশানো কল্পনাতেও না। সেই কবে দেখা অতলান্তিক আর ভারত মহাসাগরের প্রান্ত চুমে থাকা আকাশ ছোঁয়া আরেক মহাদেশের পর্বতের কথা স্মৃতির ক্যানভাসে ফুটিয়ে তুলল কৈশোরের প্রেম- পদ্মা।

এখন সেখানে যাবার পালা, মানুষ যে স্বপ্নকে ছুঁতে পারে না সেই স্বপ্নকেই ছোবার রোমাঞ্চময় চেষ্টা করা, ভ্রমণ আজকে পদ্মার সেই জাদুময় চরগুলোতেই। পরিচিত মাঝিভাইকে ডেকে আনা হল নদীতীরের বাড়ী থেকেই, পুতুলের মত কন্যাকে নিয়ে তিনি এলেন আমাদের স্বপ্নযাত্রায় সাহায্য করতে, কন্যার চোখের তারায় বিস্ময় এবং বিরক্তি, কেন তাদের পিতা-পুত্রীর সকালের অমূল্য সাহচর্যের সময়তে অর্বাচীনেরা আঘাত হেনেছে তাই নিয়েই হয়ত চিন্তিত, বিরক্ত।

নদী এখন শান্ত, শীর্ণ, ঘুমন্ত।

পথ না চিনলে যেমন চোরাবালুর আকর্ষণে জীবন যেতে পারে, তেমন নৌকা ঠেকে যেতে পারে ডুবোচরে, জলসম্পদে এমনই গরীব আমাদের শীতের পদ্মা। নদী নিরবধির এই নিরিবিলি বয়ে চলার কুলকুল সৌন্দর্য যেমন উপেক্ষা করা সম্ভব না, আবার বর্ষার প্রমত্তা পূর্ণযৌবনা পদ্মাকে এর সাথে মেলাবার প্রচেষ্টাও বড়ই করুণ অভিজ্ঞতা। নৌকার চেয়ে সামান্য চওড়া কিছু খাল যেন প্রাচীন ছিন্ন আঁশটে জালের মত ছড়িয়ে আছে বালুচর ব্যপী, ধর্মের চেয়ে টুপি যেমন বেশী হয়ে গেছে সোনার বাংলাদেশে, তেমনই নদীতে জলভাগের চেয়ে চিকচিক করা বালুময় স্থলভাগের অংশ অনেক অনেক বেশী। কিন্তু ঐ যে, পথ অচেনা, তাই জলদাসদের সাহায্য প্রয়োজন সবসময়ই।

চরে নামতে নামতেই টেবিল মাউন্টেন মিলিয়ে গেল ফিকে হয়ে আসা মিহি কুয়াশার চাঁদরে, সামনে তখন চাঁদের পাহাড়ের মত রহস্যময় রোমাঞ্চপূর্ণ ভূখণ্ড, খালি পায়ের নিচে শিশিরসিক্ত মনোরম ঘাস এক শিরশিরে অনুভূতির জানা দিচ্ছে ক্রমাগত, পাখির কিচিরমিচিরে জগতের শ্রেষ্ঠতম অপেরা চলল অপার্থিব সুরমূর্ছনা নিয়ে, তা ক্রমাগত দিক পরিবর্তনশীল, আমাদের চলার পথের পালকময়বন্ধুরা খানিক সরে সরে অন্য ঝোপের মাথায়, খর্বাকৃতি গাছের ডালে, খড়কুটোর স্তুপের পাশে গেলেও সঙ্গীতচর্চা করে জীবনের আবাহন ঠিকই চালিয়ে যাচ্ছিল।

947378_10152836003050497_503892964_n

কেউবা দূরের নিরাপদ দূরত্বে ভাঁড়ারের প্রাচুর্যের মাঝে ঝিলমিল বিশ্ব দেখে একাকী, এমন ঝলমলে বিষণ্ণতায়ই মনে হয় পৃথিবীকে মায়াবীর পাড়ের দেশ মনে হয়। সেই অলীক পাখির আবেদন হীরে জহরত খচিত হীরামন পাখির চেয়ে নিযুতগুণ বেশী মনে হয় সব ভাল লাগার মায়াবী এই ভোরে।

IMG_0487

চারিদিকে অসামান্য সব গুপ্তধনের ছড়াছড়ি, সূর্যদেবের দূতেরা এসে পাল্টে দিচ্ছে ক্ষুদ্রতম অস্তিত্বটিকেও, একটি ঘাসের ডগায় শিশির বিন্দুর মাঝে যে ঝকঝকে কিরণ খেলা করে তা যুগপৎ ভাবেই রবি ঠাকুর এবং ওয়াল্ট হুইটম্যানকে মনে করিয়ে দেয়, আমরা উদাত্ত মনে আউড়ে চলি - i believe a leaf of grass is no less than the journey-work of the stars অথবা Spear of a summer grass , কী চমৎকারে ভাবেই না জল আর আগুনের স্পর্শ সবুজের মাঝে খেলা করে।

কয়েক মুহূর্ত জীবনের অধিকারী থোকা থোকা স্ফটিকমুক্তোর মত অগুনতি এই শিশিরবিন্দুর চেয়ে কী আরও ঝলমলে সৌন্দর্যের অধিকারী রূপকথার সোনা-হীরা-পান্নার বাক্সের আহ্বান? মনে হয় না।

931221_10152789875275497_1936225661_n

আর আছে বিশ্বের সেই বহুমূল্য সম্পদ যার দাম অর্থ দিয়ে পরিমাপ করা সম্ভব নয়, সূর্যকে নিজের ফাঁদে আটকানো পূর্ণ প্রস্ফুটিত মাকড়সার জাল, সূক্ষ তন্তগুলো থেকে জ্বলজ্বলে নক্ষত্রের দল সার বেঁধে জানান দিচ্ছে জীবনের সার্থকতার। জালের মালিকের হদিশ তখনকার মত না মিললেও , আমরা দেখি তার আসল মালিক, প্রকৃতির বিস্ময়কর লীলাখেলা, ক্ষুদ্রের মাঝে অসীমকে প্রকাশের অপূর্ব দক্ষতা।

চরের মানুষেরা জেগে উঠেছে, আমাদের গন্তব্য পরের চরে যেতে যে নৌকা লাগবে তা এসে পৌছয় নি, সেই ফাঁকে সেখানেই গজিয়ে ওঠা বাঁশের দোকানে গরম গরম পরাটা, ডিম ভাজির সাথে ধোঁয়া ওঠা সব্জি দিয়ে উদরপূর্তি করা হল, দুই মহিলা, মনে হল মা আর মেয়ে সেই হোটেলের মালিক। উনারাই দেখিয়ে দিলেন পরের গন্তব্যের নৌকা।

নৌকার কাপ্তানের কপালে ফেটির মত গামছা বাঁধা, প্রকৃতির সাথে লড়াই করে টিকে থাকা বাংলার তরুণের প্রতিচ্ছবি, চোখের তারায় জীবনের সাথে পাঞ্জা লড়াইয়ের আগুন, দৃঢ় প্রতিজ্ঞ চোয়াল, আর বুক ভর্তি আগামীর স্বপ্ন।

নৌকায় লাল-সবুজ নিশান ওড়ে পতপত করে,

মানুষ গরু পার হয়ে যায় একসাথে। খড় আর গোবরের ছড়াছড়ি নৌকাময়, আসলে গরুরাই যাতায়াত করে, মানুষ উছিলা মাত্র! অগভীর জলের বালুচরায় নৌকা ভিড়লে গরুর লাফিয়ে ওঠা এবং নামা এক দুর্দান্ত অ্যাডভেঞ্চারের মতই, যদিও গরুর রাখালদের এবং গরুদের কাছে মোটেও নয়।

(উপরের ছবিটি সহযাত্রী আলোকচিত্রগ্রাহক সাংবাদিক ইকবাল ভাইয়ের তোলা)

কাছেই মহিষের বাথানও আছে, যেখানে গেল গরম নির্জলা খাঁটি মহিষের দুধ মিলবে তৃষ্ণা দূরে নিমিত্তে, কিন্তু তা অন্যদিনের জন্য ফেলে এগেনো হল কাদাচর পার হয়ে অপূর্ব এক পাখির খোঁজে, ছোট বাবুইবাটান, যে আমাদের দুদণ্ডের জন্য রাজসিক ভঙ্গিমা উপহার দিয়ে চলে গেল অজানার পথে।

539778_10152579072990497_334311047_n

সেই চর পার হলে ভারতের জলসীমানা শুরু। সীমান্তের মানুষের জীবনযাত্রা আমাদের চেনা জগতের চেয়ে সবমাত্রায় আলাদা, শুধুমাত্র কায়ক্লেশে জীবনধারণের জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় জিনিসগুলোর জন্যও তাদের করতে হয় প্রবল পরিশ্রম, নিতে হয় অসীম ঝুঁকি। ফেরার পথে রোদের বন্যায় সম্পূর্ণ ভাবে পাল্টে গেল দৃশ্যপট, সেখানে সারি সারি মানুষ,

কেউ এসেছে ফসলের ক্ষেতের পরিচর্যা করতে, কেউ বা গবাদিপশু নিয়ে, কেউ ব্যবসায়ী হোটেলের। আর আছেন বিশ্বের অন্য সবখানের মতই মা ও বাবা।

575814_10152721586195497_1573553785_n

934736_10152762862390497_380410789_n

গরু-মহিষের পাল নিয়ে চলন্ত কয়েকদলের সাথে দেখা হল ঘুরে ফিরেই, স্ট্যামপিডের মতো ভয়াবহ না হলেও প্রায় একই ধরনের আচমকা তাড়া খাওয়ার সম্ভাবনা ছিল পুরোমাত্রাই,

তবে খুব অভিভূত হয়েছিলাম ছুটন্ত গরুর কারবারিদের একজনের গায়ে বাংলাদেশ লেখা এবং লাল-সবুজ গর্ব অঙ্কিত জার্সি দেখে, এই ছবি দেখে আর কারো সন্দেহ থাকা উচিৎ নয় যে – এটা কোন দেশ!

392923_10152674814075497_480342791_n

রাজশাহীর তীরের ফেরার সময় আমাদের সঙ্গী অবশ্যই কিছু গরু, কিন্তু জল কম থাকায় বেশ কিছু গরু-মহিষ সাঁতরেই পার হল জলসীমানা, এবং তাদের শৃঙ্খলা বিচ্যুতির সামান্য লক্ষণ দেখা দিতেই নৌকার তরুণ কাপ্তান ঝাঁপ দিয়ে নদীতে পড়লেন গরুদের লাইনে আনার জন্য!

শেষ পর্যন্ত দক্ষতার সাথে নিজের দায়িত্ব পালন করে নিরাপদেই তীরে পৌঁছালেন তিনি চতুষ্পদদের নিয়েই।

954851_10152834164720497_443541197_n

আমরা দেখলাম জীবনের আরেক রূপ। পদ্মার এক অন্য জাদু, যাকে বাস্তব বলে মনে হয় না, অথচ এর চেয়ে মোহময় আর কিছুই হতে পারে না।

( বাংলাদেশের নানা জায়গা ভ্রমণ নিয়ে লেখার চেষ্টা করছি, এই সময় ভ্রমণপাগল বন্ধু ফারজানা রহমান চৈতী জানতে চাইল নদী ভ্রমণ নিয়ে কোন লেখা লিখেছি নাকি।

আসমুদ্রহিমাচল নিয়ে লেখা থাকলেও নিজের দেশের নদী ও নদীর চর নিয়ে কোন লেখা ছিল না আদপেই। তবে কেবল শুরু হচ্ছে সেই যাত্রা। চৈতীকে অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রসঙ্গটি তোলায়, এই পোস্টটি তার জন্য, চৈতীর জীবন যেন বহমান নদীর মত সুন্দর এবং বৈচিত্রময় হয় সবসময়।)


মন্তব্য

Ullash এর ছবি

আমার সোনার বাংলা আমার বাংলাদেশ

তারেক অণু এর ছবি

আমার বাংলাদেশ

অতিথি লেখক এর ছবি

সকাল সকাল পোস্টটা পড়ে পদ্মার জন্য মনডা বড় 'কাতর' হয়ে গেল!! আর ছবিগুলোর জন্য বিশেষ করে শিশিরের ছবি গুলোর জন্য চলুক চলুক চলুক

*************
সুবোধ অবোধ
*************
শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি কেন এত বোকা হয়?!!

তারেক অণু এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

বাঃ খুব ভাল লাগল। যেমন লেখা, তেমন ছবি, আর বড়ই মরমী অনুভব।
উদ্বাস্তু বাবা-মায়ের সন্তান আমি, তাঁদের মুখে গল্প-ই শুধু শুনেছি। আর ভালবেসেছি সেই স্বপ্নের দেশকে। ৫৫ বছর কেটে গেল জীবনের, আর মনে হয় কোনোদিন-ই দেখা হবে না। এই রকম লেখার মধ্য দিয়েই চেটে-পুটে স্বাদ নিই সেই মায়াময় পরাবাস্তবতার।
সাগ্রহ অপেক্ষায় থাকলাম পরের লেখার।

- এক লহমা

তারেক অণু এর ছবি

হবে না কেন! একবার ঘুরে যান

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি

তারেক অণু ছেলেটা একটা বদ্ধ উন্মাদ। অণুর জন্য একরাশ শুভেচ্ছা। দীর্ঘজীবী হোক অণুর মায়ের ছেলেটা।

লেখা-টেখা কিচ্ছু পড়িনি, শুধু ছবিগুলো এক ঝলক দেখেই তারা দিয়ে যাচ্ছি। লেখা পড়লে এতো তারা দিতে হবে যে একটা আকাশ লাগবে অণুর দেঁতো হাসি

__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার

শুভায়ন এর ছবি

লেখা-টেখা কিচ্ছু পড়িনি, শুধু ছবিগুলো এক ঝলক দেখেই তারা দিয়ে যাচ্ছি। লেখা পড়লে এতো তারা দিতে হবে যে একটা আকাশ লাগবে অণুর

একমত। চলুক

তারেক অণু এর ছবি
তারেক অণু এর ছবি
প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

মন ভরে গেলো অনু ভাই - পদ্মার ঐ চরে কতবার পিকনিকে গেছি, পদ্মায় গোসল করতে নেমে বন্ধুদের সাথে বাজী লেগে উজানে যাওয়া বালুবাহী নৌকার হাল ধরে চলে গেছি টি বাঁধের কাছে, আবার বিকেল বেলা নদীর পারে বসে আড্ডা দিয়েছি রাত গভীর না হওয়া পর্যন্ত! এই সাত সকালেই মনটা উচাটন করে দিলেন অনু ভাই - কাজে মন বসছে না - রাজশাহী যেতে ইচ্ছে করছে - ভীষন, ভীষন, ভী-ষ-ন ইচ্ছে করছে---

তারেক অণু এর ছবি

আমারও হাসি

মসীলক্ষণ পণ্ডিত এর ছবি

তোমরা যেখানে সাধ চলে যাও — আমি এই বাংলার পারে
র’য়ে যাব ...

তারেক অণু এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

মন খারাপ করে দেওয়ার মত সুন্দর। পদ্মার পারে আমারও বাড়ি কিন্তু কখনও সেখানে থাকা হয় নি। অসাধারন লাগলো

তারেক অণু এর ছবি

যাবেন

ফারাবী এর ছবি

অসাধারণ একটা পোস্ট অনুভাই। এভাবে পদ্মার নদীচরকে আমাদের সামনে উপস্থাপনের জন্য আপনাকে বিরল একগুচ্ছ আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

তারেক অণু এর ছবি
মসীলক্ষণ পণ্ডিত এর ছবি

দারুণ সব ছবির সাথে অসাধারণ বর্ণনা ! চড়াই দুটোর ছবিটা তো আমার খুবই প্রিয়, আর বাবুইবাটানটা যে কী মিষ্টি ! তারেক অণু একটা জিনিস বটে !
মেশে তের নদী সাত সাগরের জল গঙ্গায় পদ্মায়... বাঙলা আমার তৃষ্ণার জল, তৃপ্ত শেষ চুমুক... আমি একবার দেখি বারবার দেখি, দেখি বাঙলার মুখ ...

তারেক অণু এর ছবি

জিনিস মানে কি মাল ??? অ্যাঁ

অতিথি লেখক এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

---------------------------
সুবোধ অবোধ
---------------------------
শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি কেন এত বোকা হয়?!!

তারেক অণু এর ছবি
MEHERUN NUR এর ছবি

হাততালি গুরু গুরু

তারেক অণু এর ছবি
মসীলক্ষণ পণ্ডিত এর ছবি

ইয়ে, মানে... হ !

তারেক অণু এর ছবি

কি!

মইনুল রাজু এর ছবি

বাক্যগুলোকে কবিতার লাইন মনে হচ্ছিলো। বেশ আরাম করে পড়লাম। হাসি

ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .

তারেক অণু এর ছবি

ধন্যবাদ

স্পর্শ এর ছবি

মনমুগ্ধকর!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

তারেক অণু এর ছবি
আব্দুল্লাহ এ.এম এর ছবি

শুধু ছবিগুলো হলেই পোষ্টটাকে বলা যেত অসাধারন, কিন্তু তার সংগে অসাধারন কিছু শব্দমালা যুক্ত হয়ে সৃষ্টি করেছে অপার্থিব একটি ঘোর লাগা সৌন্দর্য। জয়তু অনু!

আব্দুল্লাহ এ.এম.

তারেক অণু এর ছবি
স্যাম এর ছবি

চলুক চলুক
'অসাধারণ' শব্দটির সংক্ষিপ্ত রুপ হিসেবে এখন থেকে 'অণু' ব্যবহার করলে মোটেই ভুল হবেনা।
ইকবাল ভাই এর তোলা ছবিটা দেখে খুব মজা পেয়েছি, কুবুদ্ধিও মাথায় এসেছে শয়তানী হাসি

তারেক অণু এর ছবি

কুবুদ্ধি রেগে টং আবার কি ! আপনি ফাউল মশায় ! শয়তানী হাসি

সবাক এর ছবি

গরু মহিষের পাল নিয়ে আজ ইন্দোনেশিয়ার কিছু ফটোগ্রাফি দেখেছি। তখন মনে হলো আমাদের চরাঞ্চলে এরকম প্রচুর ছবি তোলা যায়, কিন্তু দেশের ফটোগ্রাফাররা কেন যে তোলে না! আপনার কয়েকটা ছবি দেখে কিছুটা তিয়াস মিটলো।

তারেক অণু এর ছবি

ধন্যবাদ

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হাততালি

তারেক অণু এর ছবি
এপোলোনিয়া এর ছবি

প্রতিটা ছবি অসাধারণ; মনের ফ্রেমে গেঁথে আছে আর লেখার তো তুলনাই হয়না।পরবর্তী পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম, শুভকামনা।

তারেক অণু এর ছবি
প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

কী সুন্দর যে লিখেছেন আর কত ভালো ছবি তুলেছেন, তা আপনি নিজেও জানেন না।
গুরু গুরু
প্রথম ছবিটার মত একটা ছবি তুলতে পারলে জীবন ধন্য হত।

তারেক অণু এর ছবি

সেদিন আলোটা খুব আলাদা ছিল হাসি

তানিম এহসান এর ছবি

‌‘তোমার মাঝেই স্বপ্নের শুরু, তোমার মাঝেই শেষ,
ভালোলাগা ভালবাসার তুমি, আমার বাংলাদেশ...’

তারেক অণু এর ছবি

ভালোলাগা ভালবাসার তুমি, আমার বাংলাদেশ...’

শাফায়েত এর ছবি

আপনার লেখা পড়লে মাঝে মাঝে মনে হয় শুধু সুন্দর জায়গায় গেলেই হয়না দেখার মতো মন চোখ থাকতে হয়, আপনি যেভাবে ছোটোখাট জিনিসগুলোও চমৎকার ভাবে তুলে ধরেন সেটা সবাই পারেনা। নানীবাড়ি বরিশাল হওয়ায় নদীভ্রমণ করার সৌভাগ্য হয়েছে বেশ কয়েকবার, ভোরবেলার কুয়াসাচ্ছন্ন নদীর সৌন্দর্যের কোনো তুলনা হয়না।

তারেক অণু এর ছবি

নানীবাড়ি বরিশাল হওয়ায় নদীভ্রমণ করার সৌভাগ্য হয়েছে বেশ কয়েকবার-- লেখা দেন!

তানিম এহসান এর ছবি

বরিশালে এখন দিনের বেলায় যাওয়া যায়; সে এক অভিজ্ঞতা বটে, নদীমাতৃক বাংলাদেশ চোখে দেখে বিশ্বাস করতে হয় আগে!

তারেক অণু এর ছবি
মন মাঝি এর ছবি

এককথায় ফাটাফাটি! অপূর্ব! দুর্দান্ত! -- এবং ডিকশনারিতে এরকম আর যা যা শব্দ আছে স-অ-ব!

ইয়ে, 'পরাবাস্তবতার ভোরে'-র চেয়ে 'পরাবাস্তব ভোরে' শব্দবন্ধটা বোধহয় আরও সুন্দর ও সঠিক হবে।

****************************************

তারেক অণু এর ছবি

হাসি হোকে !

ঈয়াসীন এর ছবি

ছবি কথা কয়

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

তারেক অণু এর ছবি
সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি

বাহ্!

তারেক অণু এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

গুরু গুরু চমৎকার একটা পোষ্ট

আরাফ করিম

তারেক অণু এর ছবি
ইমা  এর ছবি

আপ্নি ভাই খুবই খারাপ আছেন!

ইমা

তারেক অণু এর ছবি

আই কিচ্চি!

ইমা  এর ছবি

আমার সারাজীবনের আফসোস আমার বাড়ির পাশে একটা নদী নাই আর আপ্নি এম্ন ছবি দিয়ে মাথা-টাথা নষ্ট করে দিতেছেন

তারেক অণু এর ছবি

নদীর পাশে একটা বাড়ী নিয়ে ফ্যালান দেঁতো হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

ছবি যে অসাধারন এর চেয়েও বেশি কিছু হয়েছে সেটা বলার জন্যে ফটোগ্রাফার হতে হয়না। ইটা রাইখ্যা গেলাম...
তবে ছবির চেয়েও যেটায় বেশি মুগ্ধ হয়েছি সেটা হলো আপনার বর্ণনার ক্ষমতা,শব্দ চয়ন,বাক্যের বিন্যাস।আপনার লিখা পড়তে পড়দে হুমায়ূন আজাদ স্যারের কথা মনে পড়ছিলো ভীষন ভাবে,প্রকৃতির বর্ণনায় তিনি ছিলেন অসামান্য।উনার পর আপনার লিখায় আমি সেই অসামান্যতা খুজে পেয়েছি,এটাকে অতিয়োশক্ত কিছু ভাবার কারন নেই।প্রকৃতি কে নিয়ে এতো রুপক আর এতো মায়াময়তা দিয়ে কম মানুষি লেখতে পেরেছে,পারলেও আমি পড়তে পারিনি।আর পদ্মার সাথে আমারো আছে শৈশবের অস্ংখ্য মধুর স্মৃতি।তাই ভালোলাগাটা আরো বেশি এই লেখাকে ঘিরে।ভালোথাকবেন,হয়তো দেখা হয়ে যাবে পদ্মার তীরে কোন একদিন গোধূলীর শেষ আলোতে কিংবা প্রথম ভোরে।

মাসুদ সজীব

তারেক অণু এর ছবি

লইজ্জা লাগে আবার দেখা হবে আশা করি, তখন ভ্রমণ হবে, আড্ডা হবে-

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।