সকাল নয়টায় ঘুম ভাঙল মুঠোফোনের আওয়াজে, বিরক্তিকর যান্ত্রিক শব্দটা মুহূর্তের মাঝে তোজাম ভাইয়ের পরিশালীত কণ্ঠে পরিণত হল, মনে আসল আজ সাড়ে নয়টার কম্যুটার ট্রেনে চড়ে আমাদের বরেন্দ্রভূমির গহনে যাবার কথা, হাতে সময় আছে আধা ঘণ্টারও কম! আগের রাত ভোর করে বই পড়ার খেসারৎ দিতে হল নাস্তা না করেই তড়িঘড়ি করে দৌড় দিয়ে বাড়ীর কাছের স্টেশনে পৌঁছে, সেই সাথে মনে মনে ধন্যবাদ দিচ্ছি রাজশাহীকে যে ঢাকার মত বিদঘুটে গিট্টু লাগানো ট্র্যাফিক জ্যাম তার কাছে নেই বলে। টিকেট সংগ্রহ করে প্ল্যাটফর্মে পৌঁছানোর পরপরই ট্রেন ছাড়ল ধীর লয়ে, এর আগে কম্যুটার ট্রেনে ভ্রমণ করা হয় নি, আসলেই জিনিসটাই নাকি নতুন উত্তরবঙ্গে, সারাদিনে বেশ কবার নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর একই স্টেশন ছুঁয়ে ছুঁয়ে আসে। দামেও সস্তা, কেবল একটু আস্তে আস্তে চলে।
ভেবেছিলাম ব্যপক ভিড় থাকবে, গাদাগাদি করে যেতে হবে, সেই সাথে ছেঁড়াখোঁড়া সিটের কাভার থাকবে তেল চিটচিটে, মেঝে থাকবে মুড়ির ঠোঙ্গায় ভরা। বেশ আরামপ্রদ অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম ট্রেন বেশ ফাঁকা, আরামে সীটে পা ছড়িয়ে বসলাম দুইজনই, চেনা শহরে ছাড়িয়ে অচেনার দিকে চলেছে তখন মাঠের পেরিয়ে দূরের দেশের দিকে। নাচোল অঞ্চলের গোসাইপুরে প্রায় একশ বিঘা জমির উপরে তোজাম ভাইয়ের বাবা একটা পরিবেশবান্ধব রিসোর্ট করছেন, কাজ এখনও চলবে বেশ কিছু দিন, যদিও পিকনিক পার্টির আনাগোনা শুরু হয়ে গেছে, সেটা দেখার সাথে সাথে গ্রামবাংলা উপভোগের সুযোগ আসে ষোলআনায়। তাই-ই আজকের ভ্রমণ সেইদিকে।
ট্রেন ভ্রমণটা আসলেই উপভোগ্য ছিল, কু ঝিঁক ঝিঁক শব্দের সাথে সাথে মিতালি হয়ে গেল পাশের সীটের পরিবারটির সাথেও, তারা এই লাইনের নিয়মিত যাত্রী, জানালেন ভাড়া সাশ্রয় হয় এবং নিয়মিত সময়ে ছাড়ে বলে এই ট্রেনের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে জ্যামিতিক হারে। যা হয়েছে ঢাকা-রাজশাহী ট্রেনের ক্ষেত্রেও, ১৭০ টাকার টিকেট মাত্র কয়েক বছরে এখন ৬৫০ টাকা হয়েছে কিন্তু তারপরও কয়েকদিন আগে থেকে টিকেট কাটতে হয়, এতই তার চাহিদা। সাধারণ মানুষদের কথা ট্রেন যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নতি করে যেখানে কোটি কোটি লোকের যাতায়াতের অনেক ধরনের উন্নতি করা এবং দেশের রাজস্ব আয় সম্ভব সেখানে উল্টো দেশের একটার পর একটা ট্রেন স্টেশন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এর পিছনে কী বিশাল ধনী বাসমালিকদের হাত আছে, আছে কোন লাভবান আঁতাত? যেমনটা ভোলা –বরিশাল অঞ্চলের মানুষরাও বলে থাকেন নৌপরিবহনের ব্যবস্থার উন্নতি নিয়ে। তোজাম ভাই তার মতামতে জানালেন এই ভাবে যদি টানা কয়েক বছর চলে তাহলে দেখ যাবে কোন বহুজাতিক কোম্পানি একসময় বাংলাদেশের ট্রেনপরিবহণ ব্যবস্থা পুরোটাই লিজ নিয়ে অনেকগুণ লাভ সহকারে চালাবে, এই খাঁতে এতই অমিত সম্ভাবনা। আমি বললাম বহুজাতিক কোম্পানি তো লাভ খুঁজবেই, আমাদের উচিৎ নিজেদের শোধরানো, কে যেন অনেক আগে বলেছিল বাংলাদেশ বিমান বিশ্বের একমাত্র বিমান কোম্পানি যেখানে কোন রকম কাস্টোমার সার্ভিস না দেওয়া হলেও বছরে কয়েক লক্ষ মানুষ এমনিই যাবে, এই কোম্পানিকে লস করছে দেখাতে হলে আসলে বিশাল বুদ্ধিমান হতে হয় (!), এবং আমরা সেই বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছি কিন্তু! এক বার না, বারংবার।
অবশেষে ট্রেন আমনুরা নিয়ে ফেলল আমাদের, এই জংশনের নাম অনেক শুনেছি, শিশুকালে এসেছি কিনা মনে নেই। এখন মনে হয় আমরা রাজশাহীর পাশের জেলা চাপাই নবানগঞ্জে।
কিছুটা হতশ্রী, লোহা লক্কড়ের ছড়াছড়ি দেখে রবি ঠাকুরকেই মনে আসে-
দাও ফিরে সে অরণ্য, লও এ নগর,
লও যত লৌহ লোষ্ট্র কাষ্ঠ ও প্রস্তর
হে নবসভ্যতা! হে নিষ্ঠুর সর্বগ্রাসী,
দাও সেই তপোবন পুণ্যচ্ছায়ারাশি,
গ্লানিহীন দিনগুলি, সেই সন্ধ্যাস্নান,
সেই গোচারণ, সেই শান্ত সামগান,
নীবারধান্যের মুষ্টি, বল্কলবসন,
মগ্ন হয়ে আত্মমাঝে নিত্য আলোচন
মহাতত্ত্বগুলি। পাষাণপিঞ্জরে তব
নাহি চাহি নিরাপদে রাজভোগ নব--
চাই স্বাধীনতা, চাই পক্ষের বিস্তার,
বক্ষে ফিরে পেতে চাই শক্তি আপনার,
পরানে স্পর্শিতে চাই ছিঁড়িয়া বন্ধন
অনন্ত এ জগতের হৃদয়স্পন্দন।
কাছের এক চা-য়ের দোকানে দম এবং যাত্রাপথের রেস্ত নেবার জন্য জিরানো হল, ছোট বসার ঘরে টেবিলের পাশেই ছাদ পর্যন্ত গাদা করে রাখা শুকনা গোবরের জ্বালানী,
বাহিরেই গরম ডোবা তেলে পিয়াজু, বেগুনি, পুরি, চপ ভাজা হচ্ছে।
টেনিদা স্টাইলে সেগুলোর কিছু বন্দোবস্ত করে বাহিরে এসে দেখি সবুজ স্নিগ্ধ শসা ( খিরাই) দারুণ শিল্পসম্মত ভাবে কেটে সাজিয়ে রাখা হচ্ছে পেটপূজার জন্য, দেখেই বিটলবণ ছিটিয়ে কচকচ করে খেতে ইচ্ছে করে এই গরমে-
বাসস্ট্যান্ডে অনেক ওঁরাও এবং সাঁওতাল রমণী চোখে পড়ল, আমার নানা-নানীর সংসার জীবন শুরু হয়েছিল নাচোলেই, এই লাল মাটির শুস্ক অঞ্চলে, নানী এখনও শতমুখে প্রশংসা করেন আদিবাসীগোত্রদের, তার মতে- সাঁওতালরা কোন সময় মিথ্যা বলত না, ওজনে কম দিত না, ঠকাতো না। এখন এত দশকের পড়ে যদি কিছু কিছু মিথ্যাচারিতা ঢুকেও থাকে তাদের মাঝে, সেটা বাঙ্গালীদের সাথে বেশী মেশার জন্য!
এসে পড়ল মুড়ির টিন বাস, সেটাতে করেই হাসি ঠাট্টার মাঝে সময় গড়িয়ে গেল, এক মোড়ে নেমে চেপে বসলাম নছিমনে।
নছিমন নামের বিখ্যাত যানটি নিয়ে নতুন করে কিছু বলার আছে বলে মনে হয় না, জনশ্রুতি আছে জল তোলার পাম্পের সাথে ভ্যানগাড়ী জুড়ে যে মহান উদ্ভাবক এটি প্রথম আবিস্কার করেছিলেন তার স্ত্রীর নাম ছিল নছিমন। যদিও অঞ্চলে বিশেষে এর নাম করিমন, ভুটভুটি ইত্যাদি ইত্যাদি।
পথে দেখা মিলল অসাধারণ নকশা করা কিছু ঘরদোরের। আদিবাসীরা তাদের বাড়ীতে এমন নকশা করে থাকেন অতি অল্প খরচে, চুন এবং অন্যান্য সহজলভ্য উপকরণ ব্যবহার করে। যেন ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের পাতা থেকে উঠে আসা দূর দেশের কোন ঝকঝকে স্মৃতি, অথচ এ আমার মাটিরই এক ব্যতিক্রমী সৃষ্টি।
কোথাও সাদামাটা, কোথায় বেশ জম্পেশ নকশা, তবে অধিকাংশ জায়গাতেই সফেদ বর্ণের ছড়াছড়ি। চলন্ত অবস্থাতেই টিকইল গ্রামের কয়েকটা বাড়ীর ছবি মিলে গেল।
পিচ ঢালা রাস্তা, গাঁও-গেরামেও পৌঁছে গেছে, সেটা দিয়েই দেখা হল এক জীবন্ত ইতিহাসের সাথে। তার দর্শনে নেমে পড়লাম, অতি চমৎকার ছমছমে গুঁড়ির অধিকারী এক তেঁতুল গাছ, তার বয়স নাকি ৬০০ বছরের মত,
খুব অসম্ভব কিছুও নয়, কারণ মাটির যেখান থেকে একসময় গাছটির শেকড় পাতালপানে যাত্রা শুরু করেছিল সেখান থেকে প্রায় কয়েক মিটার জায়গা সারা এলাকার মাটি দেবে গেছে বা ক্ষয়প্রাপ্ত হয়েছে, আর শিকড়গুলো হয়েছে দারুণ কিম্ভূতকিমাকার, কেন যেন মনে হয় অনেকগুলো মৃত মানুষ বসে আছে, এই ছবি দেখে মৃদুল দা চমৎকার ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছিলেন- এই জন্যই বোধহয় তেঁতুল গাছ নিয়ে এক ভূতের গল্প প্রচলিত। শিকড়টা তো মাশাল্লা দিনের আলোতেই ভৌতিক!
পুকুরে মহিষাসুরের দল স্নান সেরে ফিরছে, মহিষ বেজায় পছন্দ করি, সহজেই পিঠে চাপা যায়, গরুর মত শিঙয়ের গুঁতো খাবার সম্ভাবনা কম থাকে। কিন্তু তাদের আপাদমস্তক সপসপা ভেজা দেখে আর ইচ্ছা করল না।
পাশেই তোজাম ভাইদের গ্রামের বাড়ী, সেখানে সামান্য গড়িয়ে নিয়ে, গ্রামের টাটকা আনাজ, ঝাল ঝাল দেশী মুরগীর ঝোল নিয়ে তোফা মধ্যাহ্নভোজন করে বাসার তুলতুলে মুরগীর বাচ্চাদের একটু আদর করে আমরা রিসোর্টের দিকে এগোলাম পদ্রবজেই।
মেঠো পথের দুইপাশেই ভরা ক্ষেত, কিষাণেরা কাজ করে যাচ্ছে, মহিলাদের উপস্থিতি লক্ষ্যণীয় পর্যায়ে।
আর আছে ভবিষ্যতের আম, আজকের মুকুলদের সমারোহ! গাছে ভরে গেছে, মৌ মৌ করছে বাতাস, ভাবতেই খারাপ লাগছে যে ভরা আমের মৌসুমে আমি পৃথিবীর অন্য প্রান্তে থাকব-
সেই এলাকায় অনেক অনেক ফুলের ছড়াছড়ি, তার মাঝে একটা দেখে আরণ্যকের লাইন গুলো মাথায় এল- বেগুনি রঙের জংলী ফুলগুলিই আমার কানে শুনাইয়া দিল বসন্তের আগমনবাণী। বাতাবী লেবুর ফুল নয়, ঘেঁটুফুল নয়, আম্রমুকুল নয়, কামিনীফুল নয়, রক্তপলাশ বা শিমুল নয়, কি একটা নামগোত্রহীন রূপহীন নগণ্য জংলী কাঁটাগাছের ফুল। আমার কাছে কিন্তু তাহাই কাননভরা বনভরা বসন্তের কুসুমরাজির প্রতীক হইয়া দেখা দিল। কতক্ষণ সেখানে একমনে দাঁড়াইয়া রহিলাম, বাংলা দেশের ছেলে আমি, কতকগুলি জংলী কাঁটার ফুল যে ডালি সাজাইয়া বসন্তের মান রাখিয়াছে এ দৃশ্য আমার কাছে নূতন। কিন্তু কি গম্ভীর শোভা উঁচু ডাঙ্গার উপরকার অরণ্যের! কি ধ্যানস্তিমিত, উদাসীন, বিলাসহীন, সন্ন্যাসীর মতো রুক্ষ বেশ তার, অথচ কি বিরাট! সেই অর্ধশুষ্ক, পুষ্পপত্রহীন বনের নিস্পৃহ আত্মার সহিত ও নিন্মের এই বন্য, বর্বর, তরুণদের বসন্তোৎসবের সকল নিরাড়ম্বর প্রচেষ্টার উচ্ছ্বসিত আনন্দের সহিত আমার মন এক হইয়া গেল।---( বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় )
রিসোর্টের এক পাশের অনেকটা সীমানা নির্দেশের মত চলে গেছে দীর্ঘ খাড়ি-
বরেন্দ্র অঞ্চলে নদী নেই, সেখানে আছে খাঁড়ি। সেই অগভীর খালের মত খাঁড়িগুলোতে আবার শীত- গ্রীষ্মে জল থাকে না বললেই চলে কিন্তু বর্ষাকালে তারা চলে বুনো ঘোড়ার উদ্দাম প্রাচুর্য নিয়ে। তখন পাড় উপচিয়ে জলে চলে আসে প্রায়ই। বরেন্দ্রর মানুষের প্রাণস্পন্দন এই খাঁড়ি আর ক্ষুদের পুকুরগুলো।
পাড়েই দেখাল মিলল বুনো পণ্ডিতের, উনি হয়ত বেরিয়েছেন ভোজনের সন্ধানে-
কি অপূর্ব আমাদের দেশটা কতই না বিচিত্র প্রকৃতি! বরেন্দ্রভূমির লাল শুস্ক মাটিকে কতই না কায়দা করে আমাদের পূর্বপুরুষরা পোষ মানিয়েছে, তার কাছ থেকে ফসল উৎপাদন করিয়ে নিচ্ছে নানা কৌশলে, যে পাহাড়ি স্টাইলে ধাপে ধাপে চাষ আমরা দেখি ফিলিপাইনে, পেরুতে, সেই জিনিসই অন্য আকারে চালু আছে আমাদের গ্রাম বাংলায়! আজ যে গাছের সাথে দেখা হল, যে অপূর্ব পটে আঁকা নকশাদার বাড়ীগুলোর সাথে দেখা হল, যে বিস্তীর্ণ প্রান্তরের দেখা পেলাম, তার সন্ধান এই বাংলা মায়ের কতজন সন্তান রাখেন?
সিরিজের বাকি এইখানে
মন্তব্য
আপনার এই সিরিজটা আমার সবচেয়ে প্রিয়!
facebook
বাহ,
(নিজের শহরে লজ্জা পাচ্ছেন নাকি? কোবতে কিঞ্চিৎ কম হল )
পরের বার !
facebook
facebook
অদ্ভুত ভাল লাগায় ভরিয়ে দিলেন অনু ভাই ।
ভাল লাগল শুনে
facebook
তেঁতুল গুঁড়িটি তো আস্ত একটা শিল্পকর্ম ! অনেকদিন পরে ঘেঁটুফুল (আমাদের এলাকায় অবশ্য ভাঁটফুল বলে) দেখলাম ।
গ্রাম-বাংলা না দেখলে আর কীই বা দেখা হল জীবনে ?
"অনন্যমনা হইয়া প্রকৃতিকে লইয়া ডুবিয়া থাকো, তাঁর সর্ববিধ আনন্দের বর, সৌন্দর্যের বর, অপূর্ব শান্তির বর তোমার উপর অজস্রধারে এত বর্ষিত হইবে, তুমি দেখিয়া পাগল হইয়া উঠিবে, দিনরাত মোহিনী প্রকৃতিরানী তোমাকে শতরূপে মুগ্ধ করিবেন, নূতন দৃষ্টি জাগ্রত করিয়া তুলিবেন, মনের আয়ু বাড়াইয়া দিবেন, অমরলোকের আভাসে অমরত্বের প্রান্তে উপনীত করাইবেন ।" (বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়)
পাকা আমের মিষ্টি-মধুর শুভেচ্ছা, প্রকৃতিসন্তান !
ভাঁটফুলই !
আম কুতায় পাব
facebook
দেশে
facebook
তোমার লেখা ভাল ভাল বলতে বলতে মুখ ব্যাথা করে আজকে আর ভাল ভাল বলবনা ঠিক করেছি। মুরগী খেয়ে মুরগীর ছবি তুলেছো বলে কিনা জানি না , মুরগীর ছানাপোনা সমেত ছবিটা সৌন্দয্য লাগেনি আর সকালে কাজের সময় গরম গরম সিঙ্গারার ছবি দেখানোর জন্যে তোমাকে কষে মাইনাস। ( অফটপিক ঃ নছিমনে কমলা শাড়ী পরিহিতার ছবিটা খুব মায়াবী এসেছে)। হেলসিন্কির সাম্বার পোষ্ট কই?
-নিশিতা
গরম গরম সিঙ্গারা
facebook
তঁেতুল গাছটাকে যদি আরও ৬০০ বছর বঁাচিয়ে রাখা যেত, আহা কি তার শরীীীর! ভ্রমনের চমৎকার এক উপস্থাপন।
facebook
ঐ গরম সিঙ্গারার রাশি দেখে এতই দুর্বল হয়ে পড়লাম যে কী বলবো! গরম জিলাপীও ছিল।
লেখা ছবি সব দারুণ হয়েছে, সে তো আর বলতে হবে না।
আপনার এই বিশ্বভ্রমণ বা দেশভ্রমণ সবকিছুর মধ্যেই একটা দারুণ কিছু থাকে। সেটা আপনার অন্য লেখাগুলোতেও থাকে। সেটা যে কী তা বলা আমার পক্ষে ভারী শক্ত, ভাষায় কুলাতে পারবো না, কিন্তু সেটা খুবই ভালো।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
অ্যাপিলিং কিছু?
facebook
জানিনা অ্যাপিলিং কিনা, অনেকটা এই নিচের কথাটার মতন
“Traveling- it leaves you speechless, then turns you into a storyteller"- Ibn Battuta”
আপনার লেখায় একজন এমন নিরভিমান ভ্রমণকারীকে পাই, শুধু ভ্রমণের লেখাতেই না, এমনকি যখন কোনো বই কিংবা মিউজিয়াম বা প্রিয় কোনো মানুষকে( সালীম আলি, আটেনবরো এঁদের নিয়ে ) নিয়ে লেখেন, তখনও পাই। অবশ্য এসবও তো ভ্রমণই একরকম।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
“Traveling- it leaves you speechless, then turns you into a storyteller"- Ibn Battuta”
facebook
বরেন্দ্রভূমির মাটির দোতালা বাড়ির ছবি কই?
আসিতেছে
facebook
আপনি কোথায় যান নি, জানাবেন তারেকাণু ভাই? দেশের বাইরেতো তেমন কোথাও যাওয়াই হয় নি, দেশের ভেতরটাও তো ঘুরে দেখলামনা! আপনি আসলেই ভাগ্যবান!
সবই বাকী, আসলেই সব বাকী
facebook
বরাবরের মতো মন ছুঁয়ে গেলো! সিডনী কবে আসবেন ভাই?
আইতে তো চাইতাছি ! দেখা যাক-
facebook
আপনার কল্যাণে চার বছর পর এত কাছ থেকে আবার আম্রমুকুল দেখলাম।
ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .
হে হে, সামনের গ্রীষ্মে শুধু আম নিয়ে পোস্ট থাকবে
facebook
অণু ভাই.... আপনার ছবি দেখে মাঝে মাখে হিংসা হয়
-অনুপম প্রতীপ
অহিংসা পরম ধর্ম
facebook
প্রথম ছবিটার টেক্সচার কিন্তু বুকড সচলায়তনের কোন একটা ব্যানার এর জন্য
অবশ্যই, আরও আসিতেছে
facebook
মন ভরানো!
facebook
আরণ্যক আমারও খুব প্রিয় উপন্যাস, বাংলাতে এমন বোধ হয় আর একটিও নেই। রেল ষ্টেশন বন্ধ হয়ে যাবার একটা বাস্তব কারনও আছে, কালের পরিক্রমায় অনেক ষ্টেশনেরই অবস্থান এখন গুরুত্বহীন স্থানে, যাত্রী হয় না বললেই চলে। পাবলিক তাই কষ্ট করে সে সকল ষ্টেশনে না গিয়ে অন্য বাহনে চড়ে। রানীমা'র(ইলা মিত্র) বিষয়ে সেখানে কি কিছু শুনলেন?
আছে কিছু ঘটনা, জানাবো অণ্য লেখায়, আশা করি
facebook
facebook
আসলেই আপনার দেখার চোখ আছে - বরেন্দ্রভূমি আর চলনবিল এলাকার প্রায় সমস্ত জায়গা আমাকে ঘুরতে হয়েছে কাজের সুবাদে, কিন্তু আপনার মত এত সুন্দর ছবি তুলতে পেরেছি কই?(ঈর্ষার ইমো হবে)। অভিজ্ঞতাগুলোও তো লিখতে গেলে তালগোল পাকিয়ে যায়!!!
হ্যাটস অফ হে পরিব্রাজক।
অভিজ্ঞতা লিখে ফেলেন, ছবি লাগবে না, প্লিজ
facebook
God bless your eyes and your camera.
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
গড ব্যাটা ফাউল , আমার ক্যামেরা আমারেই কিনতে হয়।
facebook
আর কিছুই কমুনা
কন, আমরাই তো
facebook
সিরিজটা ভীষণ ভালো লাগার একটা। বাংলাদেশকে কাছে থেকে দেখা যাচ্ছে যেন।
চলতেই থাকুক...
ডাকঘর | ছবিঘর
আহা, বাংলার পথে পথে কত কী যে ছড়ানো!
facebook
জীবনে তারেক অণু হইতে মঞ্চায়
অ গেরস্থ লীলেন দা, লন্ডন কেমুন লাগল?
facebook
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
facebook
এর পোস্টে আর ঢুকা যাবে না। মাটির স্মৃতি জড়ানো এসব ছবি দেখলে চোখে পানি চলে আসে। আমার কাজল ব্যাড়াছ্যাড়া হয়ে যায় ! আমাকে তখন ভুত্নীর মত দেখায় !
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
ভুত্নী ভালুবাসি
facebook
আহ, জিলাপি আর ঝালমুড়ি দেখে মাথা নষ্ট
হ
facebook
নতুন মন্তব্য করুন