কিঙ্কিণী রিনিঝিনি শব্দে কাঁচা ঘুমটা ভেঙ্গে গেল, জলতরঙ্গের মত তরল সুরেলা কয়েকটা কণ্ঠস্বর উড়ে বেড়াচ্ছে ঘরময়, তারই কোন একটা তন্দ্রাভেদী বাণ হয়ে কর্ণকুহরে প্রবেশ করা মাত্র আপাতদৃষ্টিতে হিমালয়ের মত অটল ঘুমখানা বজ্রআঁটুনি ফস্কা গেরোর মত জামানত হারালো। রিও ডি জেনিরোর লেমন গ্রাস হোস্টেলের এক কোণার কক্ষে তিন তলা খাটের সবচেয়ে উপরেরটাতে শুয়ে আছি, উপরের দিকে তাকালে নানা আঁকিবুঁকি সহ বিবর্ণ হতে থাকা ছাদ চোখে আসে কিন্তু নিচের দিকে তাকাতেই--- আহেম—গুরু মুজতবা আলী প্যারিসের রমণীদের পোশাক নিয়ে যা বলেছিলেন প্রায় শত বছর আগে তা ঝা করে মনে পড়ে গেল- আহাহা, প্যারিসের মেয়েদের সে কী পোশাক! আমার টাই দিয়ে তিন-তিনজনের জাঙ্গিয়া হয়ে যাবে!
শুধু একটা ছোট্ট কারেকশান, ব্রাজিলের যে ডানাকাটা পরীদের দেখলাম আমাদের কক্ষে তাদের পাঁচজনের পরনের পোশাক হয়েও বাঁচবে আমার টাই থেকে! তবে রমণী দের হুর-পরীর মত ফালতু কল্পনার সাথে তুলনা করতে যথেষ্ট আপত্তি আছে আমার, সেই যে কবি বায়রণ বলে গেছিলেন টু এলিজা কবিতাতে-
1.
Eliza! what fools are the Mussulman sect,
Who, to woman, deny the soul's future existence;
Could they see thee, Eliza! they'd own their defect,
And this doctrine would meet with a general resistance.
2.
Had their Prophet possess'd half an atom of sense,
He ne'er would have woman from Paradise driven;
Instead of his Houris, a flimsy pretence,
With woman alone he had peopled his Heaven.
এই নিয়ে অবশ্য অনেক মহাজ্ঞানীকে বুলি কপচাতে শুনেছি যে বায়রন ইসলামবিদ্বেষী ছিলেন বলেই এমন লিখেছেন, আর ভাই, এইখানে কবি নারীকে ঐ সব হুর-পরীদের চেয়ে সম্পূর্ণ অন্য এক উচ্চতায় নিয়ে যেয়ে বলেছেন যে তাদের তুলনা একমাত্র তারাই!
যাই হোক, চোখ মেলে নিচের দিকে তাকানোর পরপরই হেঁড়ে গলায় বলতে চেয়েছিলাম জিম মরিসনের মত স্কচ ভেজানো কণ্ঠে- Hello, I love you, Will you tell me your name? কিন্তু মুখ দিয়ে কেবল ঠেলেঠুলে আসল একটিই শব্দ- হ্যালো!
তাতেই মর্ত্যের অপ্সরা যে বিলোল চাহনি দিলেন তাতেই বুকের মাঝে সুখের মত চিনচিনে ব্যথার অনুভবের সাথে সাথে অনাগত উৎক্ষিপ্ত ক্ষিপ্ত বস্তুর আশঙ্কায় মাথাটা বালিশের আড়ালে নিয়ে ফেললাম। কিন্তু নাহ, উৎক্ষিপ্ত হল মোম পালিশ করা নাটোরের কাঁচাগোল্লায় ডুবানো কিছু বাক্য, নানা কণ্ঠে- এই এখনও ঘুমাচ্ছ? আমরা সৈকতে যাচ্ছি সানবেদিং করতে, যাবে না? গেলে এখনই উঠতে হবে, খানিক পরে ভিড়ে পা ফেলা যাবে না কোপাকাবানায় !
সৈকতপ্রেমী, সূর্যস্নানপাগল বিকিনি পরিহিতাদের জন্য কোপাকাবানা সারা বিশ্বের সবচেয়ে চিত্তাকর্ষক সৈকতের নাম। সুনীল সমুদ্র, সবুজ পাহাড়, সাদা বালি, ঝকঝকে মহানগরী, মায়াময় পানশালা, উদাত্ত সঙ্গীত, জাদুময় নৃত্য- সব মিলিয়ে এই আবহ তৈরি করেছে অনেক দশক ধরে। তার উপরে নতুন প্রলেপ বুলিয়েছে আগামী বছরের বিশ্বকাপ ফুটবল এবং ২০১৬র অলিম্পিক। সবাই যেন পাগল হয়ে ছুটছে রিওর পানে।
সেই বিশ্বখ্যাত কোপাকাবানা সৈকত আমাদের হোস্টেল থেকে মাত্র কয়েকশ মিটার দূরে, কিন্তু গত ৩ সপ্তাহের অমানুষিক লাগাতার ভ্রমণের ফাঁকে ফাঁকে বারবার ইসাইয়াস সেরণা এবং হুয়ান ভিদালের সাথে পইপই করে বলে নিয়েছি যে রিওতে আমরা প্রথম দিন কেবল অলস বিশ্রাম করব, হয়ত একটু আধটু হেঁটে কাইপিরিনিয়ার গ্লাস হাতে সৈকতে যেতেও পারি সাদা বালুতে পা ছোঁয়াতে এর বেশী কিছু নয়। কিন্তু ঘুমের তন্দ্রা না যাওয়া অবস্থাতেই সদ্য পরিচিত এত বন্ধুবৎসল তরুণীদের আহ্বান ফেরাই কী করে ! কোন মতে ঢোক গিলে বললাম, তোমরা রওনা দাও, আমরা অন দ্য ওয়ে!
আসলে আগের নিশি রাতে পৌঁছেছি রিওতে, সাথে রাজ্যের ক্লান্তিজনিত ঘুম, মরার মত যখন বিছানায় গেছি তখন আর কেউ ছিল না সেখানে, রুমে নয় খানা বিছানা, ৩ টা আমাদের, বাকী ৬ খানা সেই ছয় ব্রাজিলিয়ান তরুণীর যারা এসেছে সাও পাওলো শহর থেকে, কিন্তু রাতে আমাদের আসার সময়ে স্থানীয় কোন পানশালায় ছিল বলে আর পরিচয় হয় নি! যাক, ভাগ্যিস তারা সকালে আমাদের উপস্থিতিকে উপেক্ষা করে খিলখিল শুরু করেছিল, নাহলে দিনের শুরুটা কেমন বিবর্ণ ম্যাড়ম্যাড়ে হতে পারত!
বেজায় গরম, কাঠফাটা রোদ। এই রোদের মাঝে গরম বালুর উপরে পাতলা তোয়ালে বিছিয়ে তাতে উদোম হয়ে শুয়ে তন্দুর সেঁকা হবার অনেক ফজিলত নিশ্চয়ই আছে, তবে কিনা আমরা ঠিক ঐ গোত্রের না। তাই হোস্টেলের ছায়াময় বারান্দায় ছাতার নিচে বসে বেশ খানিকক্ষণ রাজা-উজির মারতে মারতে কাইপিরিনিয়া পান চলল, জিনিসটা উমদা, আঁখের রস গেজিয়ে তাতে পরিমাণমত চিনি এবং লেবু দিয়ে প্রায় অমৃতের মত বানিয়ে মেলা হয়েছে। একেই বলা চলে ব্রাজিলের জাতীয় ককটেল, আর যে যাই বলুক, লেবুর চেয়ে সুগন্ধি জিনিস কীই বা আছে মহাবিশ্বে!
এক থালা ভাত আর গরম ডালের মতো সাধারণ ভেতো খাবারও দুফোঁটা লেবুর রসে কতটা পরিবর্তিত হয় তা আমরা সকলেই জানি, তেমন ভাবেই শুধু টেকিলা না, লেবু যেখানেই যাক সেটাকেই সুন্দরতর, সুস্বাদুতর করে থাকে বলেই আমার দৃঢ় বিশ্বাস। সেই সাথে এই পানীয়ের আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে প্রচুর বরফের কুঁচি, চাইলেই গ্লাস ধুম করে শেষ করা যাবে না, চরম উদাসের গল্পের মতই রসিয়ে রসিয়ে, তারিয়ে তারিয়ে, চেখে চেখে পান করতে হবে তরিবৎ করে। মুছে যাবে ক্লান্তি, ক্লেদ। লকলোমন্ড পানরত ক্যাপ্টেন হ্যাডকের মতই আপনি হয়ে উঠবেন ফিঞ্চ পাখির মত ফুরফুরে মেজাজের।
লেমন গ্রাস হোস্টেলের খ্যাতি দেশ ছাড়িয়ে মহাদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত, ল্যাতিনের অন্য দেশেও আমাদের একাধিক পর্যটক বলেছিল- রিও গেলে অবশ্যই লেমন গ্রাসে থেক, পয়সাও যেমন কম, সৈকতেরও কাছে, আর মজা পাবে অনেক। সেই সাথে স্বীকার করতেই হবে এদের কর্মচারীরা অতিমাত্রায় বন্ধুবৎসল। আর্জেন্টিনার ট্যুরিস্টের ছড়াছড়ি, আসলে বাংলাদেশে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা শুনলেই আমরা শত্রুভাবাপন্ন দুই জাতি মনে করে, যারা সারাদিন একে অন্যকে খোঁচাচ্ছে ফুটবল নিয়ে। কিন্তু বাস্তবে তারা যথেষ্ট বন্ধুভাবাপন্ন জাতি, ব্রাজিল যেমন লাখো লাখো আর্জেন্টাইন বেড়াতে আসে, আর্জেন্টিনার রাস্তাতেও তেমন দেখা হয়েছে অনেক ব্রাজিলিয়ানের সাথে। বরং দুই জাতিই অবাক হয়েছে শুনে যে দূর বিশ্বের বাংলাদেশ নামের দেশটি প্রতি চার বছর অন্তর অন্তর তাদের পতাকায় ছেয়ে যায়!
এই সব আড্ডার ফাঁকেই পায়ে সমুদ্রে চুম্বনসিক্ত অতল জলের উপহার বালুকণা নিয়ে আমাদের রুমমেটরা ফেরত আসল, আমাদের দেখেই মুচকি হেসে চোখ মটকে বলল- আলসে পোলাপাইন, সারাদিন ছায়া বসে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে রাজি, কিন্তু রোদেলা সাগরের তীরে আমাদের সাথে একটু আড্ডা দিবে, তাতেও গড়িমসি!
তা কম্পিউটার ছিল সাথে বৈকি, সচলায়তনও ছিল, ঐ আড্ডার মাঝে হাল না ছাড়ার এই লেখাটি এক বসায় লেখে পোস্ট করেছিলাম ( বরাবরের মতই)।
দুপুরের রোদের তেজে খানিকটা মেঘলা ভেজাল মেশবার পর যাওয়া হল কোপাকাবানা সৈকতের লেবনন বীচে, কয়েক মিনিটের হাঁটা পথ, সবার গায়ে ফিনফিনে সিল্ক জাতীয় পোশাক, গরমে যার বিকল্প নেই ! হাতে সদ্য কাঁটা সবুজ ডাব, তৃষ্ণা নিবারনে অব্যর্থ বস্তু! শুনলাম আসন্ন বিশ্বকাপ আর অলিম্পিকের জন্য এই এলাকার সমস্ত বাড়িঘরের দাম সপ্ত আসমান ভেদ করে আরও ঊর্ধ্বপানে ছুটে চলেছে। মিনিট তিনেকের হাঁটা পথ, তারপর লম্বা এক রাস্তা চলে গেছে সৈকতের বালুকণা আর শহরের ইটকে আলাদা করে। আর সেখানে- উরেব্বাস! মানুষের মহারণ্য।
গিজগিজ করছে আদমসন্তানে। আবালবৃদ্ধবণিতা। তার মাঝেই চলছে কোটি ধরনের বিনোদন এবং ব্যবসা- হচ্ছে বীচ ভলিবল, হ্যান্ডবল, স্যান্ড ফুটবল, নানা ধরনের কসরত। জলক্রীড়ার ব্যবস্থা আছে হরেক রকমের- সার্ফিং, নৌকাভ্রমণ, দূরের দ্বীপে জাহাজে যাওয়া, ওয়াটার স্কি, এমনকি ডাইভিংও! পানীয়ের- খাবারের দোকান সারি সারি একপাশে, সাথে ছাতা, রোদচশমা, সাঁতারের পোশাক, তোয়ালের বিকিকিনি। চাইলে ভাড়া করতে পারবেন শুয়ে বসে থাকার চেয়ার, মাথার উপরে দেবার জন্য রঙ ঝলমলে ছাতা। গরমের মাঝে এত্ত এত্ত উদোম নারী-পুরুষের ছবি তেমন তুলতে উৎসাহ বোধ করি নি, যাও দুয়েকটা আছে তা কোন ছবির পরীক্ষায় উৎরাতে অসমর্থ বিধায় তারা উহ্যই থাক।
ঘণ্টাখানেক জীবনের নেশায় মাতাল উদ্দেশ্যহীন হাঁটাহাঁটি করে ফের লেমন গ্রাসের দিকে ফেরা। আড্ডায়-বিশ্রামে-কাইপিরিনিয়ায় বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যে হয়ে গেল, রাতের পরিকল্পনা হচ্ছে, এর মাঝে বিশ্বের অন্যতম নিষ্পাপ মুখমণ্ডল এবং সূক্ষ সৌন্দর্যের অধিকারিণী মিশেল জানাল সে খুব ভাল দৌড়বিদ, ( ইয়াইয়াস ব্যাটা তাকে বলেছে একদা সুমেরুর ম্যারাথনে অংশ নিয়েছিলাম), তার সাথে যেন পরদিন দৌড়াতে যাই। মিশেলের অতলস্পর্শী চোখের স্বচ্ছ তারায় চোখ রেখে কেবল বলেছিলাম, তোমার সাথে শুধু কালকের কয়েক মাইলের দৌড় না, সম্ভব হলে সারা আন্দেজ, আমাজ, আতাকামা হেঁটে হেঁটে পাড়ি দেব মেয়ে, কিন্তু আমার জন্য একজন অপেক্ষা করে আছে যে বাল্টিক সাগর পাড়ের হেলসিংকিতে। সে যদি কোনদিন অপেক্ষার পালা ভুলে যায়, তাহলে অবশ্যই তোমাকে লিখব অভিযানের জন্য তৈরি হতে। প্রত্যুত্তরে মিলেছিল লাজুক হাসি আর অন্যদের বাহিরে যাবার জন্য প্রস্তত হবার তাড়া।
যাওয়া হবে লাপাতে, শহরের আরেক প্রান্তে। অন্যগ্রহের ফুটবল খেলা টার্মটি যে খেলোয়াড়ের জন্য প্রথম ব্যবহার করা হয়েছিল তিনি ব্রাজিলের রোনালদিনহো, তার এক সাক্ষাৎকার পড়েছিলাম ইউরোপিয়ান নৈশজীবন নাকি ব্রাজিলের নৈশবিনোদনের তুলনায় মহাপানসে ! বেশ বিরক্তই হয়েছিলাম সেই কথা শুনে, কিন্তু লাপা পৌঁছানোর পর বুঝলাম কতখানি ঠিক! বিশাল এলাকা জুড়ে ফাঁকা জায়গা, এর মাঝেই কিছু রাস্তা, ঘরদোর, পুরো এলাকাটাই ডিসকো ক্লাব হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। মিউজিক বাজছে নানা কোণ থেকে, আলাদা আলাদা ডিজের তত্ত্বাবধানে, যে যার ইচ্ছা মত নেচে যাচ্ছে পছন্দনীয় সঙ্গীত বা সঙ্গীর সাথে। এমনটা চলবে ভোর ছয়টা বা সাতটা পর্যন্ত! মাঝে গুটিকতক খাবারের দোকান, সাথে পানীয়ের তো বটেই। নাচানাচির এক পর্যায়ে হঠাৎ শুনি কয়েকজনের তারস্বরে চিৎকার- ফাইট, ফাইট! দেখি ছুরি ঝিলিক দিয়ে উঠল সোডিয়াম আলোয়, মারামারি লেগে গেছে দুই মুশকো জোয়ানের মাঝে, পুরাই হলিউডের সিনেমার মত, তাদের কোনমতে অন্যদিকে ঠেলে দিল সবাই, ভাবখানা এমন- মারামারি করলে কর, কিন্তু আমাদের মজা নষ্ট করছে কেন বাপু! অন্যদিকে যেয়ে সারারাত হাতাহাতি কর, যাও।
আর দেখা মিলল অনেক অনেক ট্রান্সসেক্সুয়ালদের, আগেই শুনেছিলাম রিওতে তাদের উপস্থিতির সংখ্যা সারা বিশ্বের মাঝে উচ্চতম, সবাই যে এখানের তা না, এবং এদের অনেকে প্রতারণার শিকার হয়ে, কেউবা জীবনযুদ্ধে বেঁচে থাকার তাগিদে উপায়ন্তর না দেখে আদিমতম পেশায় নিয়োজিত হবার জন্য অপারেশন টেবিলে আর হরমোন পিলের কাছে পেতেছে সাহায্যের হাত। তাদের কমিউনিটি বিশাল এখানে। সন্ধ্যার পর নানা ধরনের খদ্দেরদের আনাগোনাও শুরু হয় যৌনব্যবসার কারণে।
ব্রাজিলিয়ানদের যে কেন বিশ্বের সবচেয়ে পার্টিপাগল জাতি বলা হয় তা বুঝে যাবেন রিওতে একটি রাত কাটালেই, ভোর ছয়টা পর্যন্ত সামনে নেচে গেয়ে পান করে লাল চোখ নিয়ে ঠিকই অফিস চলে যাবে সাতটার সময় কড়া কফির কাপ হাতে, কিন্তু পার্টির মজা ছাড়তে জারি না কেউ-ই। আমাদের এমন কোন সমস্যা নেই পরের দিন রিওতে ঘোরাফেরা করা ছাড়া, তাই নিশ্চিন্তে মিশে গেলাম সবাই জীবনের আনন্দ পানরত উম্মাতাল জনতার সাথে।
( টেকি ব্যাপারে আমি বড়ই আইলসা, যাকে বলা চলে জগদ্দল পাথর, নতুন কিছু শিখতে ব্যাপক অনীহা, যে কারণে পুরানো যন্ত্রপাতি পাল্টাই না সাধারণত জীবনযাত্রা হুমকির মুখে পড়া পর্যন্ত। বাসায় আনা হল ম্যাকের কম্পু , সেখানে অভ্র লেখা যায় না সহজে। কী করি?
এক সচল এগিয়ে আসলেন সাহায্যের হাত নিয়ে। প্রথমেই ভয় দেখালাম, ভাই এত্ত এত্ত প্রশ্ন করব, মাথা ঠাণ্ডা রাইখেন। সে উল্টো অভয়বাণী দিয়ে বলে- আমার ব্যপক ধৈর্য, এমন অনেক হয়েছে যে ছাত্র আমার ধৈর্যে অতিষ্ঠ হয়ে পালিয়েছে, আমিই টিকে গেছি!
আসলেই তাই, আমার মত আকাঠকেও উনি দিনের পর দিন নানা ফুঁসমন্তর দিয়ে ঠিকই ম্যাকে অল্পবিস্তর অভ্র টাইপ করা শিখিয়ে ফেললেন!
এই পোস্টটি আমার সেই শিক্ষক সচল জি এম তানিমের জন্য । )
মন্তব্য
জাবো ২০১৪ টে হুহহ
facebook
শুনলাম বউ নিয়া ব্রাজিল ঘুরে আসছ!
কে !
facebook
হেহে আমি ব্রাজিলিয়ানদের মতন ফূর্তিবাজ পোলাপান আর দেখিনি। কিন্তু ছবির স্বল্পতায় ব্যাথিত হইলাম।
কিছু কথা থাক না গুপন।
facebook
ব্যাটা লুল!
তোমার মত চোদ্দনম্বর না
facebook
কছকি মমিন?
(আবেগঘন তুইতুকারি)
..................................................................
#Banshibir.
কেন হে ! ক্ষতি কী তাতে?
facebook
ফেইসবুকে কী দেখলাম আর এইখানে কী দেখি। দেখাইলেন মুরগি আর খাওয়াইলেন ডাইল!
ব্রাজিল একটি অভিশাপ! আপনি অদ্ভুদ!
ক্যান! সৈকতের ছবি তো ফেবুতেও নাই ! কি বলতে চাচ্ছেন, ঝেড়ে কাশেন!
facebook
মেম্বর আর কী ঝেড়ে কাশবে? রিও'র সৈকতের কথা শিরোনামে লিখে রেখে ভেতরে আকাশ-বাতাস-পাহাড়-নদীনালার ছবি দিলে লোকে আপনারে ভালো বলবে? আমার মতো মুমিন বান্দা, যে কিনা শিরোনামের ধন্দে পড়ে দুইটা ভালোমন্দ ছবির আশায় এই পোস্টে ঢুকলো সে তো ঐ মুরগি আর ডাইলের কথাই বলবে!
আপনে একটা অভিশাপ! আপনে অদ্ভূদ! টেকাটুকা আপনেরে না দিয়া ব্রাজিলীয় তরুণীদেরকে দিলেও তারা বাবু না দিক, অন্তত কয়েক ঠোঙা বাদাম হইলেও তো দিতো...
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হ, কথা সত্য। মুরগীর রান দেখাইয়া ডাইল খাওয়ানের তীব্র পেতিবাদ জানাই
লেবু দিলাম এত্ত এত্ত , তারপরও ভালো লাগল না !
facebook
মুরব্বি্ কপিরাইট আইনে ফেসে যেতে পারি
facebook
হ
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
যদিও লেখার আয়তন বেশ ভালো তবুও লেখাটা হঠাৎ শেষ হলো মনে হলো। ভালো লেখা অনুদাদা। তোমার জন্য শুভকামনা।
- কামরুজ্জামান পলাশ
হুম, রাতের লেখা কিনা! রাত ভোর হওয়াতেই শেষ
facebook
উমদা
facebook
ধ্যাত!!, খালি তো মেয়েদের কথা লিখেন! পাঠকের পাশাপাশি কিছু পাঠিকাও তো আছে! নাকি?
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
পরেরবার, ওকে:?
facebook
লেখা ভালো লেগেছে (তাতো সবসময়ই লাগে), কাইপিরিনিয়া খাইতে চাই পরেরবার দেখা হলে, ছবির বেলায় এত কৃপন আপনাকে প্রথম দেখলাম তাত্তারি একটা ছবি ব্লগ দেন রিও নিয়ে, নইলে দ্রোহীদারে ডাকলাম
আমি কি ডরাই ঐ ফাজিল দ্রোহীদারে
facebook
কতরকম পানীয় আছে দুনিয়ায় ! জীবনটা পানি খেয়েই কেটে গেলো
। গত কয় বছর ধরে ঢাকার রাস্তায় (বিশেষ করে ঢাবি এলাকায়) খালি লেবুর সরবতওয়ালা দেখি, ওগুলা খেয়ে টাইফয়েডও বাধায় ফেলসি একবার।
facebook
facebook
ব্রাজিল অপূর্ব ! লাতিন আমেরিকান দেশগুলো একেকটা সৌন্দর্যের আকর !
হ
facebook
ছবি কম হয়ে গেল। ব্রাজিলের বিখ্যাত কার্নিভাল নিয়ে কিছু লেখা দেন।
যেতে পারি নাই , যামু
facebook
আরো লেখা চাই, আরো ছবি চাই।
ব্রাজিল যেতে চাই। আর্জেন্তিনা যেতে চাই। বলিভিয়া যেতে চাই, পেরু যেতে চাই, চিলি যেতে----
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ব্রাজিল যেতে চাই। আর্জেন্তিনা যেতে চাই। বলিভিয়া যেতে চাই, পেরু যেতে চাই, চিলি যে
আমি যাবই যাব- ভেনিজুয়েলা, ইকুয়েডর, কলম্বিয়া, আমাজন, তেপুই, আহাহাহাহ
facebook
পরের পর্ব তাড়াতাড়ি ভাই- ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে প্রায়।
রিলাক্স! হুয়াটস দ্য প্রব্লেম!
facebook
আপনের আর প্রবলেম কি মিয়া -আপনে তো রিও তে গিয়ে রিলাক্স করেছেন। আমাদের রিলাক্স আপনার লেখা পড়া--- তাই তাড়াতাড়ি চাই।
facebook
কি মজা না শুধু দেশ বিদেশ ঘুরাঘুরি করেন আর এইসব পোস্ট দিয়া আমাগো মত কপালপোড়াদের মনে কষ্ট দেন, একদম ভালা না আপনি। আর শুধু ললনাদের কথা কেন আমাদের জন্য দুই এক্তা ললনদের (ললনার পুং)কথাও তো লিখতে পারেন!
কেন, আমাদের পছন্দ হয় না ?
facebook
এতো লেখার কি আছে? খালি আইরাম বাইরাম ফটো দিলেই হতো
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
তাই?
facebook
লেখাটি পুরো 'দেখার' পর একটি গানের কথা মনে পড়ল।
"----
আমার সাধ না মিটিল
আশা না পুরিল
-----"
আহাহা কি একখানা গীত!
facebook
নতুন মন্তব্য করুন