Nothing in the Nature is for Nothing.
না পড়া বইয়ের পাহাড়ের নিচে চাপা পড়ে আছি, সেই চাপ দিনকে দিন বাড়তেই আছে নতুন আগন্তকদের মিছিলে, এর মাঝেও স্থানীয় গ্রন্থাগারে এক নতুন বই দেখে কৌতূহলের শরাক্রান্ত হয়ে ইস্যু করে আনতেই হল, পাখিদের নিয়ে Colin Tudgeএর লেখা The Secret Life of Birds।
চিত্তাকর্ষক বই, প্রচুর তথ্য সুচারু ভাবে যেখানে যেটা দরকার ঠিক সেইভাবেই সন্নিবেশন করা হয়েছে পরিপাটি করে, ফলে অজানা তথ্যের বন্যায় হাবুডুবু খেতে হয় না, বরং নতুন জানার উচ্ছাসে জ্ঞানের স্রোতের বেশ গা ভাসিয়ে এগোনো যায়। ফলে গতকাল রাত জেগে শেষ করতেই হল চমৎকার বইটা।
প্রথমেই লেখক শুরু করেছেন ওড়া দিয়ে, কারা কারা উড়তে পারে, কেন ওড়া শুরু হল, সেটা কেন গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সেই প্রাণীদের কথাও এসেছে যারা বাতাসে ভেসে বেশ খানিকদূর যেতে পারে, কিন্তু সেটাকে ওড়া বলা যায় না, যেমন উড়ুক্কু মাছ, কয়েক ধরনের কাঠবেরালি, লিমার, ব্যাঙ, সাপ, গিরগিটি। সত্যি কথা বলতে ৩ ধরনের জীব আসলেই উড়তে সক্ষম- পতঙ্গ, পাখি এবং তাবৎ স্তন্যপায়ীদের পক্ষ থেকে সবেধন নীলমণি বাদুড়। কিন্তু আবার এটাও সত্যি যে পাখিদের মত উড়তে আর কেউই সক্ষম না। হয়ত তাদের পূর্বপুরুষ ঠিক বর্তমানের পাখিদের মত উড়তে পারত না, বর্তমানের অনেক পাখিও আর উড়তে সক্ষম না, কিন্তু তাদের সকলের পূর্বপুরুষ ছিল উড্ডয়নে সক্ষম, আর এটাই পাখিদের আলাদা করেছে আর সবার চেয়ে, সফল করেছে বিবর্তনের লম্বা ইতিহাসে।
এর পরে এসেছে সফল ভাবে উড়তে পারার পিছনের কারণ গুলো, ফাঁপা হাড়, বিশেষ ধরনের মহা শক্তিশালী পেশী, দেহের আকৃতি এবং অতি অবশ্যই একটা বিশেষ জিনিস আর বিশ্বের আর কোন প্রাণীর নেই- পালক !!!
আধুনিক পাখিদের মাঝে পালক ৩ ধরনের কাজের ব্যবহৃত হয় –শরীরের তাপ ধরে রাখা, সৌন্দর্য প্রদর্শন এবং ওড়ার জন্য। পালক তৈরি হয় কেরাটিন থেকে, যা দিয়ে তৈরি হয় সরীসৃপদের আঁশ, স্তন্যপায়ীদের পশম। কিন্তু পালকের উদ্ভব কেন হয়েছিল? পুরনো ধারণা ছিল- পাখিদের সরাসরি পূর্বপুরুষ ডাইনোসরদের কয়েক প্রজাতির মাঝে পালকের আগমন ঘটেছিল শরীরের তাপমাত্রা ধরে রাখার জন্য, যেহেতু তারা থাকত মরুভূমি অঞ্চলে যেখানে রাতে ছিল প্রচণ্ড শীত। কিন্তু প্রাপ্ত প্রমাণ সাপেক্ষে এখন বলা যায় পালকের প্রথম আবির্ভাব ঘটেছিল নিজেকে আকর্ষণীয় ভাবে উপস্থাপনের জন্য (Display) যাতে যৌনসঙ্গী নির্বাচনে সে সুবিধা পায়, জীবনের আর সবকিছুর মতই খুব সামান্য অবস্থা থেকে যাত্রা শুরু করা পালকরাশি কোটি কোটি বছরের রূপান্তরিত হল জটিল চোখধাঁধানো সব আকর্ষণে। অধিকাংশ পাখিই বছরে একবার সমস্ত পালক ঝরিয়ে ফেলে, সেখানে গজিয়ে ওঠে নতুনেরা।
অবশ্যই কিছু পাখি অন্যদের চেয়ে উড়ুক্কু হিসেবে বেশী চৌকষ, এবং প্রকৃতিতে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যে NO BODY IS PERFECT , যে কারণে নিখুঁত থেকে নিখুঁততর হবার প্রাকৃতিক অন্ধনির্বাচনের ইঁদুরদৌড়ে সামিল আমরা সবাই। কোন পাখি দ্রুতগতিতে উড়তে পারে, কেউ দুর্দান্ত ডাইভ দিতে পারে, কেউ আলতো ভেসে থাকতে পারে মাসের পর মাস। বিখ্যাত প্রকৌশলী-জীববিদ John Maynard Smith যে কারণে পাখিদের তুলনা করেছিলেন বিমানের সাথে, একেক ধরনের বিমান একের কাজে দক্ষ। সব কাজে একসাথে দক্ষ এমন বিমান নেই, পাখিও নেই। সেই সাথে আদিমতম পাখি আর্কিওপেটরিক্সকে তিনি তুলনা করেছিলেন কাগজের বিমানের সাথে।
ওড়া খুবই পরিশ্রমসাধ্য একটা কাজ, এর জন্য লাগে প্রচুর শক্তি, যার জন্য পাখিদের ওড়ার ধরনের উপরেই গড়ে উঠেছে ভিন্ন ভিন্ন খাদ্যাভাস। নাহ, আসলে খাবারের তাগিদেই চলে এসেছে ওড়াওড়ির এই পার্থক্য।
৪০০ মিলিয়ন বছর আগে চতুষ্পদীদের আগমন ঘটে, ৩৫০ মিলিয়ন বছর আগে সেই উভচরগুলো থেকে বিবর্তিত হয়ে আগমন ঘটে সরীসৃপদের, যাদের মাঝে Synapsida থেকে ২২০ মিলিয়ন বছর আগে এসেছিল আদি স্তন্যপায়ীরা, যদিও ৬৫ মিলিয়ন বছর আগে ডাইনোসরের বিলুপ্তি ঘটার আগে তাদের অবস্থান ছিল পিছনের সারিতে লুকায়মান। আর সরীসৃপদের Eureptilia ধারা থেকে আগমন ঘটে Anapsid(কাছিম, কচ্ছপ) আর Diapsidর একগাদা ধারা থেকে আলাদা আলাদা ভাবে থেকে বাকী সব গিরগিটি, সাপ, তুয়াতারা, কুমির, বিলুপ্ত ইকথিওসোরাস, এবং পাখিদের উদ্ভব হয়। কোটি কোটি বছর আগের স্তন্যপায়ী এবং পাখিদের যে পূর্বপুরুষ ছিল তার না ছিল পালক, না ছিল পশম, না ছিল ধমনীতে বহমান উষ্ণ রক্তপ্রবাহ, তার ছিল একটি ক্ষুদের মস্তিষ্ক আর সামান্য বুদ্ধিমত্তা। অথচ মাত্র ৩৩০ মিলিয়ন বছরের ব্যবধানে তার বংশধরেরাই কত আলাদা আলাদা রূপে বিদ্যমান আজকের জগতে!
পাখিদের পূর্বপুরুষ ডাইনোসর, কিন্তু কোন ধরনের ডাইনোসর? পালকওয়ালা ডাইনোসর, কিন্তু কিভাবে তারা উড়তে শিখল এবং কেন শিখল এই নিয়ে করা হয়েছে চিত্তাকর্ষক বিশদ আলোচনা।
এরপর লেখক আলোচনা করেছেন পাখিদের শ্রেণীবিন্যাস নিয়ে, কোন পাখি আসলে কোন পরিবারে বা গণের অন্তর্ভুক্ত, অনেক পাখি দেখতে এক কিন্তু দেখা গেল সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রজাতি, আবার শ্রেণীবিন্যাসের গুরুত্বও অপরিসীম। তাই বারংবার ঘুরে ফিরে এসেছে প্রাতঃস্মরণীয় চার্লস ডারউইন, রাসেল ওয়ালেস এবং বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে নাম দেবার আবিস্কার সুইডিশ প্রকৃতিবিদ কার্ল লিনিয়ের কথা। তবে বর্তমান ডি এন এ পদ্ধতি আসার পরে অনেক পাখির শ্রেণীবিন্যাস আবার নতুন করে করা হয়েছে, নিখুঁততর ভাবে। এবং ডি এন এ ম্যাপিং-এর সাহায্যে সন্ধান চলছে কে কার পূর্বপুরুষ, এবং কে কার কতটা নিকটাত্মীয়। যেমন এতদিন ধারণা ছিল আমাদের জানা মতে সর্বকালের সর্ববৃহৎ শিকারি পাখি নিউজিল্যান্ডের Haasts Eagle ( ৩ মিটার দানার বিস্তার, ওজন ১৫ কিলোগ্রাম), যা এখন বিলুপ্ত এসেছে অস্ট্রেলিয়ার Wedge-tailed Eagleর পূর্বপুরুষ থেকে, কিন্তু ডি এন এ ইতিহাস সাক্ষ্য দিচ্ছে মাত্র ১ মিলিয়ন বছর আগে কেজিখানেক ওজনের এক ভিন্ন জাতের ঈগল ছিল সেই বিশালাদেহী ঈগলের পূর্বপুরুষ, যারা দ্বীপ দেশ নিউজিল্যান্ডে আসার পর প্রচুর খাবার, শত্রুর অনুপস্থিতিসহ অন্যান্য কারণে প্রায় ১৫গুণ বৃদ্ধি পায় তাদের আকৃতি! এটা প্রমাণিত হবার পর Haasts Eagleর নতুন বৈজ্ঞানিক নামকরণ করা হয় সঠিক গণ অনুযায়ী!
সারা বিশ্বে দশ হাজার প্রজাতির পাখি আছে বর্তমানে, তাদের মূল পরিবারগুলোর সবার বৈশিষ্ট্য আলোচনা করা হয়েছে স্বল্প কথায়, জানানো হয়েছে তাদের বিলুপ্ত পূর্বপুরুষদের কথা।
এরপর লেখক টেনেছেন আসল প্রসঙ্গ- পাখিদের জীবন ! মানে তাদের খাদ্যাভাস এবং যৌনআচরণ। কেন এক ধরনের পাখি বীজ খায়, যেখানে অন্যরা মাংস খাচ্ছে, কেন একদল ঘাস খায়, অন্যরা মাছ। এবং কিভাবে এই খাবার মূল ভুমিকার রাখছে তাদের দৈহিক আকৃতিতে, কেন কিছু পাখি হচ্ছে ক্ষুদে আবার কিছু হচ্ছে বিশালদেহী! অধিকাংশ পাখিই অন্য প্রাণী ভক্ষণ করেই বাঁচে, তা হোক পতঙ্গ, কাঁকড়া, মাছ বা মাংস। এবং একমাত্র শিকারি পাখিরা বাদে সবাই-ই খাদ্যসংগ্রহ করে চঞ্চু দিয়ে, একমাত্র শিকারিরা ( প্যাঁচা এবং ফ্যালকনরা) ব্যবহার করে তাদের ব্রহ্মাস্ত্র- নখর ! এসেছে সেই পাখিদের কথা যারা চোরের উপরে ডাকাতি করে খায়, মানে অন্য পাখির শিকার ছিনিয়ে নেয়, যেমন কয়েকজাতের সিন্ধু ঈগল, স্কুয়া ইত্যাদি। আলোচনায় এসেছে ঘাস-লতা-পাতা এবং ফুলের রস খেয়ে বেঁচে থাকা পাখিরাও এবং তাদের তৃষ্ণা নিবারণের ভঙ্গীও। সেই সাথে কী করে তারা তাদের ছোট্ট বাচ্চাদের লালন করে সেইটাও।
পরিযায়ী পাখিদের নিয়ে আছে আস্ত একটা অধ্যায়, উত্তর ইউরোপ এবং এশিয়ার ৫ বিলিয়ন পাখি এবং উত্তর আমেরিকার ৫ বিলিয়ন পাখি প্রতিবছর পরিযান (মাইগ্রেশন) করে, কিভাবে এর শুরু? কেন করে? কিভাবে করে? পথ চেনার বিষয়-আশয়সহ সবকিছুরই উত্তর আছে সংক্ষিপ্ত আকারে।
পাখিদের যৌনজীবন নিয়ে কাকতালীয় ভাবে কৌস্তভ তার বর্তমান পোস্টে মূল্যবান কিছু তথ্য দিয়েছে যেমন-
দেহকোষের অনেকরকম স্পেশালাইজেশনের একটা হল প্রোগ্রামড সেল ডেথ। খুবই আবশ্যক জিনিস। ভ্রুণ অবস্থায় আমাদের হাতের তালু থাকে একটা চ্যাপ্টা চাকতির মত। সেখান থেকে আঙুল তৈরির উপায় হচ্ছে, চাকতিটা বাড়ার সময় চারটে খাঁজ বরাবর কোষগুলো মরে যাওয়া। তাহলেই পাঁচটা আঙুল বাড়তে থাকবে। কোথায় কী কোষ তৈরি হবে সেই স্পেশালাইজেশনের মতনই কোথায় কোন কোষ মরবে এই প্রোগ্রামিংটাও আমাদের শরীর নিখুঁতভাবে করে দেয়।
এই পেপারটায় পাখিদের ভ্রুণের একটা খুব ইন্টারেস্টিং অংশের প্রোগ্রামড সেল ডেথ নিয়ে কথা বলেছে। দায়ী জিনটাকে শনাক্তও করে ফেলেছে।
বস্তুটা হল শিশ্ন।
অল্প কয়েক প্রজাতি ছাড়া দুনিয়ার বেশির ভাগ পাখিদেরই শিশ্ন নেই বলে তারা মিলনের সময় ‘পেনিট্রেশন’ করতে পারে না। তাদের পরষ্পর যৌনছিদ্র ঠেকিয়ে মিলনের পদ্ধতিটা বেশ সাম্যবাদী, একটা সুন্দর নাম দেওয়া যায় – যৌনচুম্বন। এরা দেখছি এই দুর্দান্ত প্রশ্নটা নিয়ে তদন্তে নেমেছিল, বিবর্তনে পাখিদের শিশ্ন হারিয়ে গেল কী ভাবে?
এবং সেই প্রশ্নটার সম্ভাব্য উত্তর এই যে, পাখিরাও বলপূর্বক পেনিট্রেটিভ সেক্স পছন্দ করে না। এবং পাখিদের মেটিংয়ের নিয়ম যেহেতু এই যে মেয়ে পাখিরাই সঙ্গী নির্বাচন করে তাকে প্রজননের জন্য মিলনের অনুমতি দেয়, তারা হয়ত ছোট অস্ত্রের পুরুষকেই পছন্দ করত।
বইতে সেই সাথে বলা হয়েছে উটপাখি এবং কিছু হাঁসের কথা যাদের শিশ্ন ব্যবহার এখনো কার্যকর। কিন্তু অন্যদের ক্ষেত্রে কেন এমন হল, বিশেষ করে তাদের পূর্বপুরুষ যেখানে শিশ্নসম্পন্ন ছিল?
আর আছে মিলনের জন্য সঙ্গীকে আকর্ষণ করার অসাধারণ সব ব্যাপারগুলো- নাচ, গান, রূপ, বল, যুদ্ধ, বাসগৃহ নির্মাণ- কি না! প্রাণীজগতের অন্যতম বর্ণীল ব্যাপারস্যাপার পাখিদের মিলনসঙ্গীকে ইমপ্রেস করার চেষ্টাগুলো!
অবধারিত ভাবেই এরপরে আলোচনা করা হয়েছে পাখিদের পরিবার গঠন, সামাজিক সম্পর্ক এবং ছানা লালনের দিকগুলো , কেন এক পাখি অন্য পাখির বাসায় ডিম পাড়ে, কেন একজন অন্যজনের বাচ্চাকে লালন করে, ছেলে-মেয়ে পাখির আলাদা আলাদা ভূমিকা- ইত্যাদি ইত্যাদি।
খুব কৌতূহলদ্দীপক অধ্যায়ে নাম হচ্ছে MINDS OF BIRDS, পাখিদের মনে বলে কি আদপেই কিছু আছে? অবশ্য লেখক এখানে দারুণ ভাবে ব্যাখা করেছেন মন বলতে আমরা কি বুঝি, মন বলে কি কিছু আসলেই আছে কিনা এই প্রশ্নগুলোর। শেষে ব্যাখ্যা করেছেন পাখির বুদ্ধিমত্তা, ব্যবহার, কৌতুকবোধ নিয়ে। নিউ ক্যালোডোনিয়া দ্বীপের কাকেরা শুধু যন্ত্র ব্যবহার করে তাই-ই নয় তারা যন্ত্র তৈরি পর্যন্ত করতে সক্ষম ( কাঠি, ঘাস, লাঠি দিয়ে খাদ্য সংগ্রহ), কিছু পাখি ঝিনুক বা কচ্ছপ অনেক উপর থেকে পাথুরে চাতালে ফেলে তরিবৎ করে খায়- এই ব্যাপার গুলো এসেছে দারুণ সব স্কেচ সহ।
শেষ অধ্যায়ে বর্ণনা করা হয়েছে বর্তমান মানব সভ্যতার সাথে পাখিদের দন্ধ ও সম্পর্কের কথা, মানুষের কারণে অনেক প্রজাতির বিলুপ্তির কথা, আবার কিছু মানুষের কারণে কয়েক প্রজাতির পাখির বেঁচে থাকার কথা।
৪৬০ পাতার বইটি অবশ্যপাঠ্য, শুধু পাখিদের সম্পর্কে জানার জন্য নয়, জীবজগত, প্রকৃতি, জীবন এবং সর্বোপরি নিজেকে জানার জন্য।
( আমার জীববিদ বন্ধু আলিফা বিনতে হক বিনিকা সম্প্রতি ফুল স্কলারশিপ নিয়ে অক্সফোর্ডে জীববিজ্ঞান নিয়ে উচ্চতর লেখাপড়ার সুযোগ পেয়েছেন। বন্ধুভাগ্যে আমি অতি অতি আনন্দিত এবং গর্বিত। এই পোস্টটি তার জন্য।
সেই সাথে বিনিকার প্রতি অনুরোধ বাংলায় জীববিজ্ঞান এবং বিবর্তন নিয়ে চমৎকার তথ্যবহুল সহজ ভাষায় লেখা এমন বইয়ের ব্যপক অভাব, সে যেন উচ্চতর গবেষণা ফাঁকে ফাঁকে এমন বই লেখার কথাও বিবেচনা করে।)
মন্তব্য
দারুণ তথ্যসমৃদ্ধ বই মনে হচ্ছে ! এখানে পাদপ্রদীপের আলোয় বইটিকে চমৎকারভাবে নিয়ে আসার জন্য ধন্যবাদ
ঝরঝরে তথ্য সমৃদ্ধ
facebook
[সব্বাই একযোগে পাখিগো মিশিনের পিছে লাগ্লেন ক্যা?]
তাহলে কি মানুষের পিছনে লাগুম!
facebook
থাক, সেই সুমহান দায়িত্ব পালনের জন্য ভারতের নায়ক ভাইজানের শান্তিটিভী আছে... আপ্নে খালি দেশবিদেশ ঘুরপাক খায়া বোলগ দিয়া ইন্টারনেট চালান... তাই ভালো...
বইটি পড়ার কি যে আগ্রহ হইছে ।
অনুবাদ করে দিবেন কেও
দেন না ! শুরু করেন ! আমি আগের অনুবাদেই ধরা খেয়ে আছি-
facebook
বর্ণনা পড়ে মনে হচ্ছে বইটা দারুণ হবে
হুম আসলেই দারুণ! এক্কেবারে উড়ু উড়ু
facebook
দারুণ লেখা। বইটা পড়ার ইচ্ছা জাগিয়ে দিল।
এখানে চারিপাশে ছোটো ছোটো হামিংবার্ড, চিকাডি, টাফ্টেড টিটমাউস, মকিংবার্ড, দাঁড়কাক, ব্লু জে, কার্ডিনাল, বড় বড় হাঁস--এইসব দেখি আর দেখি এরা কী স্মার্ট আর কী ভয়ানক ব্যস্ত সর্বদা। হয় খাবার খুঁজছে, নয় গান গাইছে, নয় তো সার বেঁধে ডাকতে ডাকতে উড়ছে হাঁসের দল। পাখি না থাকলে পৃথিবীটা খুব বর্ণহীন পানসা আলুনি হতো। এত গান গাইতো কারা? এমন করে উড়তো কারা? এমন করে খাবার এনে এনে বাসায় ছানাকে খাওয়াতো কারা?
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আসলেই!
অনুবাদ করেন না তুলিদি?
facebook
অনুবাদ? আগে দুই একটা করেছি, আজিমভের একটা গল্প, "শেষ প্রশ্ন" অনুবাদ করেছিলাম।
কিন্তু এই বইটা অনুবাদ ? এখনও বইটাই তো পাই নাই !
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
facebook
শেষ প্রশ্ন এর অনুবাদ সচলে দিয়েছিলাম। এইখানে।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আমারো
প্রথমে ভেবেছিলাম উইকেন্ডে পড়ব, কয়েক লাইন পড়ে আর থামতে পারলাম্না - খুব ভাল বর্ণনা করেছেন অণুদা।
আপনি একটা বিম, বিনয়ী স্যাম !
facebook
অণুদা, এই লেখাটা ভাল হয়েছে। পাখি জিনিসটা কেমন জানি অদ্ভুত। দেখলেই এতো মায়া লাগে! নাহ্, বইটা পড়তেই হবে দেখছি। আরো লেখা আসুক পাখি নিয়ে- নিশিতা
বইটা জোগাড় করতে পারলে জানিও, আর লাইফ অফ প্ল্যান্টসও
facebook
বইটা হয়তো পড়া হবেনা, তবে আপনার লেখা থেকে অনেক কিছু জানা হলো।
facebook
ছবি কোই???
--------------------------------------------------------------------------------
বইয়ের স্কেচ তো, এই কারণেই দিলাম না। নিজের তোলার সবকিছুর ছবি নাই যে
facebook
নতুন মন্তব্য করুন